তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

দেশে গত এক যুগে কয়েকটি নতুন সড়ক-মহাসড়ক, সেতু, উড়ালসড়ক, টানেল যোগাযোগে ব্যাপক পরিবর্তন আনলেও সড়ক নিরাপত্তা বাড়েনি। যানবাহনের বেপরোয়া গতি, প্রতিযোগিতা, বিশৃঙ্খল গণপরিবহন, অনিয়ন্ত্রিত ব্যাটারিচালিত ও তিন চাকার যান এবং আইন না মানায় প্রতিদিনই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। হতাহত হচ্ছে মানুষ।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সড়ক অবকাঠামোর উন্নয়ন হলেও নিরাপত্তা পরিকল্পনা ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ঘাটতি রয়ে গেছে। শুধু সড়ক নির্মাণ নয়, সেই সড়কে নিরাপদ চলাচল ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করাও জরুরি। সড়ক নিরাপত্তার নতুন চ্যালেঞ্জ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৮ হাজার ৭৯২টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩৮ হাজার ২২৭ জন এবং আহত হয়েছে ৬১ হাজার ৭০ জন। এই সময়ে সারা দেশে ১৩ হাজার ৫৯২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১৩ হাজার ৬৫১ জনের। এই ৫ বছরের দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনা এবং দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা প্রতিবছরই ঊর্ধ্বমুখী। এমন প্রেক্ষাপটে আজ ২২ অক্টোবর পালিত হচ্ছে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস।
জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সড়কের প্রধান সমস্যা হলো বিশৃঙ্খলা। এর কারণ হলো চালক। এর জন্য লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া পরিবর্তন করতে চাচ্ছি। সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হলো মোটরসাইকেল। নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে মানুষকে সচেতন করতে ১০ হাজার হেলমেট দেব।’

গত এক যুগে সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পদ্মা সেতু, ঢাকা-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-টাঙ্গাইল, এলেঙ্গা-রংপুরসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলো চার লেন বা ছয় লেনে উন্নীত হয়েছে। চট্টগ্রামে নির্মিত হয়েছে কর্ণফুলী টানেল। ঢাকা-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক যোগাযোগে নতুন দিগন্ত খুলে দিলেও বেপরোয়া গতি ও বিশৃঙ্খলায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, প্রাণহানি। টানেলেও দুর্ঘটনা ঘটছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে সড়ক নেটওয়ার্কের দৈর্ঘ্য প্রায় ২২ হাজার কিলোমিটার। এর মধ্যে জাতীয় মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কের বেশির ভাগ অংশই প্রশস্ত করা হয়েছে। প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার সড়ক চার লেন হয়েছে। তবে অনেক জায়গায় মানসম্মত ট্রাফিক সাইন, গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেই।
সওজের প্রকৌশলীরা বলছেন, নতুন প্রকল্পে এখন রোড সেফটি কম্পোনেন্ট যুক্ত হচ্ছে। তবে শুধু অবকাঠামো দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়, এর সঙ্গে মানুষকেও সচেতন হতে হবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নে দ্রুত এগিয়েছে, কিন্তু নিরাপত্তাকে একইভাবে অগ্রাধিকার দেয়নি। সড়কে নিরাপত্তা উপকরণ, পথচারীর পারাপারের সুযোগ, গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, ফুটপাত—এসব জায়গায় ঘাটতি রয়ে গেছে।
শৃঙ্খলার বাইরে গণপরিবহন: বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, সড়ক দুর্ঘটনার বড় একটি অংশের কারণ গণপরিবহনের শৃঙ্খলাহীনতা ও নিয়ম না মানা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাস ও ট্রাকচালকদের বেপরোয়া গতি, প্রতিযোগিতা ও নিয়মভঙ্গ সড়ক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। পরিবহনমালিকদের চাপে সরকার সড়ক থেকে লক্কড়ঝক্কড় যানবাহন সরাতে পারেনি। রাজনৈতিক প্রভাব ও চাঁদাবাজির সংস্কৃতি গণপরিবহন খাতকে অনিয়মের ঘূর্ণিতে রেখেছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বাসগুলো এখনো প্রতিযোগিতামূলকভাবে চলে, যাত্রী তুলতে যত্রতত্র থামে। পরিবহন খাতে দীর্ঘদিনের অনিয়ম এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। চালকদের প্রশিক্ষণ, কঠোর আইন প্রয়োগ ও কার্যকর তদারকি ছাড়া গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরবে না।
গণপরিবহনের শৃঙ্খলার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেন, গণপরিবহনব্যবস্থা দেখভালের জন্য একটি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ দরকার। এটি ছাড়া শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়।
সড়ক আইন বাস্তবে কার্যকর হয়নি: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর ২০১৮ সালে সড়ক পরিবহন আইন পাস হয়। ওই আইনে লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত গতি, ফিটনেসবিহীন যান চলাচল ও ওভারলোডের ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তির বিধান আছে। বাস্তবে আইনটি কার্যকর হয়নি বললেই চলে। উল্টো পরিবহনমালিকেরা আইনের বিভিন্ন ধারা সংশোধনের দাবি তুলেছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন না হওয়ার মূল কারণ হলো রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক দুর্বলতা। আইনটি ভালো হলেও বাস্তবায়নের ইচ্ছা ও সক্ষমতা দুটিই কম। পরিবহন খাত দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী মহলের নিয়ন্ত্রণে, তাই আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে বারবার ছাড় দেওয়া হয়। ফলে চালক, মালিক ও যাত্রী—কেউ আইনকে গুরুত্ব দেন না। বাস্তবায়ন ছাড়া কোনো আইনই ফলপ্রসূ হয় না।
সড়ক নিরাপত্তার নতুন চ্যালেঞ্জ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারা দেশে ক্রমবর্ধমান ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এখন সড়ক নিরাপত্তার নতুন চ্যালেঞ্জ। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে এই যান বাড়লে রাজধানীর পুরো পরিবহনব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। প্রশিক্ষণবিহীন চালকদের কারণে এই যান দুর্ঘটনার বড় কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ড. আরমানা সাবিহা হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, এসব অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণে না আনলে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো আরও কঠিন হবে। তাই দ্রুত নীতিমালা, নিবন্ধন ও চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি প্রধান সড়কে চলাচল বন্ধ করে নির্দিষ্ট সড়কে চলার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
সমন্বয়ের অভাব: সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন ও নীতি থাকলেও কার্যকারিতা ব্যাহত হচ্ছে সওজ, বিআরটিএ ও পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয়ের অভাবে। এ তিনটি সংস্থা সড়ক, যানবাহন ও আইন প্রয়োগের দায়িত্বে থাকলেও নীতি ও পরিকল্পনায় একযোগে কাজ না করায় দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অগ্রগতি হচ্ছে না।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা উন্নয়নের কাজ চলছে। পুলিশকে যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হচ্ছে, যাতে আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া যায়। ক্ষতিপূরণের হার বাড়ানো ও যত্রতত্র বাস থামা বন্ধে পাইলট প্রকল্পও চালু হচ্ছে। এসব উদ্যোগ দীর্ঘমেয়াদি হলেও আমরা আশা করছি, এতে সড়ক নিরাপত্তায় দৃশ্যমান উন্নতি হবে।’

দেশে গত এক যুগে কয়েকটি নতুন সড়ক-মহাসড়ক, সেতু, উড়ালসড়ক, টানেল যোগাযোগে ব্যাপক পরিবর্তন আনলেও সড়ক নিরাপত্তা বাড়েনি। যানবাহনের বেপরোয়া গতি, প্রতিযোগিতা, বিশৃঙ্খল গণপরিবহন, অনিয়ন্ত্রিত ব্যাটারিচালিত ও তিন চাকার যান এবং আইন না মানায় প্রতিদিনই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। হতাহত হচ্ছে মানুষ।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সড়ক অবকাঠামোর উন্নয়ন হলেও নিরাপত্তা পরিকল্পনা ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ঘাটতি রয়ে গেছে। শুধু সড়ক নির্মাণ নয়, সেই সড়কে নিরাপদ চলাচল ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করাও জরুরি। সড়ক নিরাপত্তার নতুন চ্যালেঞ্জ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৮ হাজার ৭৯২টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩৮ হাজার ২২৭ জন এবং আহত হয়েছে ৬১ হাজার ৭০ জন। এই সময়ে সারা দেশে ১৩ হাজার ৫৯২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১৩ হাজার ৬৫১ জনের। এই ৫ বছরের দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনা এবং দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা প্রতিবছরই ঊর্ধ্বমুখী। এমন প্রেক্ষাপটে আজ ২২ অক্টোবর পালিত হচ্ছে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস।
জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সড়কের প্রধান সমস্যা হলো বিশৃঙ্খলা। এর কারণ হলো চালক। এর জন্য লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া পরিবর্তন করতে চাচ্ছি। সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হলো মোটরসাইকেল। নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে মানুষকে সচেতন করতে ১০ হাজার হেলমেট দেব।’

গত এক যুগে সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পদ্মা সেতু, ঢাকা-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-টাঙ্গাইল, এলেঙ্গা-রংপুরসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলো চার লেন বা ছয় লেনে উন্নীত হয়েছে। চট্টগ্রামে নির্মিত হয়েছে কর্ণফুলী টানেল। ঢাকা-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক যোগাযোগে নতুন দিগন্ত খুলে দিলেও বেপরোয়া গতি ও বিশৃঙ্খলায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, প্রাণহানি। টানেলেও দুর্ঘটনা ঘটছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে সড়ক নেটওয়ার্কের দৈর্ঘ্য প্রায় ২২ হাজার কিলোমিটার। এর মধ্যে জাতীয় মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কের বেশির ভাগ অংশই প্রশস্ত করা হয়েছে। প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার সড়ক চার লেন হয়েছে। তবে অনেক জায়গায় মানসম্মত ট্রাফিক সাইন, গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেই।
সওজের প্রকৌশলীরা বলছেন, নতুন প্রকল্পে এখন রোড সেফটি কম্পোনেন্ট যুক্ত হচ্ছে। তবে শুধু অবকাঠামো দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়, এর সঙ্গে মানুষকেও সচেতন হতে হবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নে দ্রুত এগিয়েছে, কিন্তু নিরাপত্তাকে একইভাবে অগ্রাধিকার দেয়নি। সড়কে নিরাপত্তা উপকরণ, পথচারীর পারাপারের সুযোগ, গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, ফুটপাত—এসব জায়গায় ঘাটতি রয়ে গেছে।
শৃঙ্খলার বাইরে গণপরিবহন: বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, সড়ক দুর্ঘটনার বড় একটি অংশের কারণ গণপরিবহনের শৃঙ্খলাহীনতা ও নিয়ম না মানা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাস ও ট্রাকচালকদের বেপরোয়া গতি, প্রতিযোগিতা ও নিয়মভঙ্গ সড়ক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। পরিবহনমালিকদের চাপে সরকার সড়ক থেকে লক্কড়ঝক্কড় যানবাহন সরাতে পারেনি। রাজনৈতিক প্রভাব ও চাঁদাবাজির সংস্কৃতি গণপরিবহন খাতকে অনিয়মের ঘূর্ণিতে রেখেছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বাসগুলো এখনো প্রতিযোগিতামূলকভাবে চলে, যাত্রী তুলতে যত্রতত্র থামে। পরিবহন খাতে দীর্ঘদিনের অনিয়ম এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। চালকদের প্রশিক্ষণ, কঠোর আইন প্রয়োগ ও কার্যকর তদারকি ছাড়া গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরবে না।
গণপরিবহনের শৃঙ্খলার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেন, গণপরিবহনব্যবস্থা দেখভালের জন্য একটি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ দরকার। এটি ছাড়া শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়।
সড়ক আইন বাস্তবে কার্যকর হয়নি: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর ২০১৮ সালে সড়ক পরিবহন আইন পাস হয়। ওই আইনে লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত গতি, ফিটনেসবিহীন যান চলাচল ও ওভারলোডের ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তির বিধান আছে। বাস্তবে আইনটি কার্যকর হয়নি বললেই চলে। উল্টো পরিবহনমালিকেরা আইনের বিভিন্ন ধারা সংশোধনের দাবি তুলেছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন না হওয়ার মূল কারণ হলো রাজনৈতিক প্রভাব ও প্রশাসনিক দুর্বলতা। আইনটি ভালো হলেও বাস্তবায়নের ইচ্ছা ও সক্ষমতা দুটিই কম। পরিবহন খাত দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী মহলের নিয়ন্ত্রণে, তাই আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে বারবার ছাড় দেওয়া হয়। ফলে চালক, মালিক ও যাত্রী—কেউ আইনকে গুরুত্ব দেন না। বাস্তবায়ন ছাড়া কোনো আইনই ফলপ্রসূ হয় না।
সড়ক নিরাপত্তার নতুন চ্যালেঞ্জ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারা দেশে ক্রমবর্ধমান ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এখন সড়ক নিরাপত্তার নতুন চ্যালেঞ্জ। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে এই যান বাড়লে রাজধানীর পুরো পরিবহনব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। প্রশিক্ষণবিহীন চালকদের কারণে এই যান দুর্ঘটনার বড় কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ড. আরমানা সাবিহা হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, এসব অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণে না আনলে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো আরও কঠিন হবে। তাই দ্রুত নীতিমালা, নিবন্ধন ও চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি প্রধান সড়কে চলাচল বন্ধ করে নির্দিষ্ট সড়কে চলার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
সমন্বয়ের অভাব: সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন ও নীতি থাকলেও কার্যকারিতা ব্যাহত হচ্ছে সওজ, বিআরটিএ ও পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয়ের অভাবে। এ তিনটি সংস্থা সড়ক, যানবাহন ও আইন প্রয়োগের দায়িত্বে থাকলেও নীতি ও পরিকল্পনায় একযোগে কাজ না করায় দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অগ্রগতি হচ্ছে না।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা উন্নয়নের কাজ চলছে। পুলিশকে যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হচ্ছে, যাতে আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া যায়। ক্ষতিপূরণের হার বাড়ানো ও যত্রতত্র বাস থামা বন্ধে পাইলট প্রকল্পও চালু হচ্ছে। এসব উদ্যোগ দীর্ঘমেয়াদি হলেও আমরা আশা করছি, এতে সড়ক নিরাপত্তায় দৃশ্যমান উন্নতি হবে।’

ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
২৩ মিনিট আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
৩ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৫ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। ভোটারদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪২৪ জন এবং নারী ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৭ জন।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে। ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা এই নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া আইনি হেফাজতে (কারাগারে) থাকা ভোটাররাও পোস্টাল ভোটের এই সুবিধা নিতে পারবেন।
প্রবাসী ভোটারদের পরিসংখ্যান
প্রবাসী ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছেন সৌদি আরব থেকে, যার সংখ্যা ১ লাখ ৯৭ হাজার ১২ জন। এরপর কাতারে ৬৮ হাজার ৬৬৮, মালয়েশিয়ায় ৬৩ হাজার ৮৩, ওমানে ৫০ হাজার ৩৯ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩১ হাজার ৫৫৫ জন ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। গত ১৮ নভেম্বর থেকে চালু হওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের ১৪৮টি দেশের প্রবাসীরা নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন।
দেশের অভ্যন্তরে নিবন্ধন
দেশের ভেতরে ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৪ জন। জেলাভিত্তিক তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, যার সংখ্যা ৮৮ হাজার ৬৮২ জন। এরপর ঢাকায় ৮২ হাজার ১৮৫ ও চট্টগ্রামে ৭৫ হাজার ৫৮৯ জন। আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ১৩৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপর চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ১১ হাজার ৫৮৯ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ১১ হাজার ৪৭৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
ব্যালট প্রেরণ কার্যক্রম
প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন বিষয়ক ‘ওসিভি-এসডিআই’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বাসসকে নিশ্চিত করেছেন, গত ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৫ জন প্রবাসী ভোটারের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার এক দিনেই পাঠানো হয়েছে ২৭ হাজার ৪৪২টি ব্যালট।
নির্বাচন কমিশন জানায়, নিবন্ধনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। ভোটারদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪২৪ জন এবং নারী ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৭ জন।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে। ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা এই নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া আইনি হেফাজতে (কারাগারে) থাকা ভোটাররাও পোস্টাল ভোটের এই সুবিধা নিতে পারবেন।
প্রবাসী ভোটারদের পরিসংখ্যান
প্রবাসী ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছেন সৌদি আরব থেকে, যার সংখ্যা ১ লাখ ৯৭ হাজার ১২ জন। এরপর কাতারে ৬৮ হাজার ৬৬৮, মালয়েশিয়ায় ৬৩ হাজার ৮৩, ওমানে ৫০ হাজার ৩৯ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩১ হাজার ৫৫৫ জন ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। গত ১৮ নভেম্বর থেকে চালু হওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের ১৪৮টি দেশের প্রবাসীরা নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন।
দেশের অভ্যন্তরে নিবন্ধন
দেশের ভেতরে ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৪ জন। জেলাভিত্তিক তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, যার সংখ্যা ৮৮ হাজার ৬৮২ জন। এরপর ঢাকায় ৮২ হাজার ১৮৫ ও চট্টগ্রামে ৭৫ হাজার ৫৮৯ জন। আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ১৩৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপর চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ১১ হাজার ৫৮৯ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ১১ হাজার ৪৭৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
ব্যালট প্রেরণ কার্যক্রম
প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন বিষয়ক ‘ওসিভি-এসডিআই’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বাসসকে নিশ্চিত করেছেন, গত ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৫ জন প্রবাসী ভোটারের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার এক দিনেই পাঠানো হয়েছে ২৭ হাজার ৪৪২টি ব্যালট।
নির্বাচন কমিশন জানায়, নিবন্ধনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

দেশে গত এক যুগে কয়েকটি নতুন সড়ক-মহাসড়ক, সেতু, উড়ালসড়ক, টানেল যোগাযোগে ব্যাপক পরিবর্তন আনলেও সড়ক নিরাপত্তা বাড়েনি। যানবাহনের বেপরোয়া গতি, প্রতিযোগিতা, বিশৃঙ্খল গণপরিবহন, অনিয়ন্ত্রিত ব্যাটারিচালিত ও তিন চাকার যান এবং আইন না মানায় প্রতিদিনই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। হতাহত হচ্ছে মানুষ।
২২ অক্টোবর ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
৩ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
আজ বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে দুই দেশের শীর্ষ এই প্রতিনিধির মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। খালেদা জিয়ার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে তাঁরা উভয়েই ঢাকায় অবস্থান করছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক মহল গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে একাধিক দেশের প্রতিনিধিরা ঢাকায় এসেছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
আজ বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে দুই দেশের শীর্ষ এই প্রতিনিধির মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। খালেদা জিয়ার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে তাঁরা উভয়েই ঢাকায় অবস্থান করছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক মহল গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে একাধিক দেশের প্রতিনিধিরা ঢাকায় এসেছেন।

দেশে গত এক যুগে কয়েকটি নতুন সড়ক-মহাসড়ক, সেতু, উড়ালসড়ক, টানেল যোগাযোগে ব্যাপক পরিবর্তন আনলেও সড়ক নিরাপত্তা বাড়েনি। যানবাহনের বেপরোয়া গতি, প্রতিযোগিতা, বিশৃঙ্খল গণপরিবহন, অনিয়ন্ত্রিত ব্যাটারিচালিত ও তিন চাকার যান এবং আইন না মানায় প্রতিদিনই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। হতাহত হচ্ছে মানুষ।
২২ অক্টোবর ২০২৫
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
২৩ মিনিট আগে
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
৩ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর থেকে তুলে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধাসহ বিরুদ্ধ মতের মানুষকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিষ্ক্রিয়তা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে উদাসীনতার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে, যা দেশে আইনের শাসনের জন্য চূড়ান্ত হুমকিস্বরূপ এবং সমাজে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সব কথা বলা হয়েছে। আজ বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মব সন্ত্রাসে কমপক্ষে ১৯৭ জন নিহত হয়েছে। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২৮ জন।
আসকের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালে কমপক্ষে ২৯৩ জন নাগরিক মব সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে। মবের শিকার হয়ে ২০২৫ সালে ঢাকা জেলায় সর্বাধিক ২৭, গাজীপুরে ১৭, নারায়ণগঞ্জে ১১ জন নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। ২০২৫ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে গণপিটুনির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য মাসের থেকে বেশি ঘটেছে। এই সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাও গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন, যদিও অধিকাংশ ভুক্তভোগী ছিলেন দল-মত নিরপেক্ষ সাধারণ নাগরিক।
আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০২৫ সালে কমপক্ষে ৩৮ জন ব্যক্তি বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। এ সব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে, নির্যাতনে, কথিত ‘গুলিতে’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে। ২০২৫ সালে কমপক্ষে ১০৭ জন ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছে। এর মধ্যে ৬৯ জন হাজতি এবং কয়েদি ৩৮ জন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে অন্তত ৪০১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার ৭৪৪ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছে। সহিংসতার এই চিত্র কেবল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার সংঘাতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তিও সহিংসতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনি নিপীড়নের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক ধারায় পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অন্তত ৩৮১ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন, হয়রানি বা হুমকির শিকার হয়েছেন অন্তত ২৩ জন সাংবাদিক। প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন ২০ জন। প্রকাশিত সংবাদ বা মতামতকে কেন্দ্র করে মামলার সম্মুখীন হয়েছেন কমপক্ষে ১২৩ জন সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সরাসরি হামলার শিকার হয়েছেন ১১৮ জন সাংবাদিক। এ সময়কালে দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন ৩ জন সাংবাদিক এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রহস্যজনকভাবে ৪ জন সাংবাদিকের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কমপক্ষে ৪২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাসমূহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩টি বাড়িঘর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৩৬টি বসত ঘরে। এ ছাড়া ৪টি মন্দিরে হামলা, ৬৪টি প্রতিমা ভাঙচুর, ৯টি জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় নিহত হয়েছে ১ জন, আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। এ বছর দেশে ২১৭ জন নারী স্বামীর মাধ্যমে হত্যার শিকার হয়েছেন এবং ৬৩ জন নারীকে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে। নিজের পরিবারের সদস্যদের হাতেও ৫১ জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন। পারিবারিক সহিংসতা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে না পেয়ে অন্তত ১৬৮ জন নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ধর্ষণের ৭৪৯টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৬৯টি ছিল একক ধর্ষণ এবং ১৮০টি দলবদ্ধ ধর্ষণ। ধর্ষণের পর অন্তত ৩৬ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে, ৭ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন এবং ধর্ষণের চেষ্টার পর প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন নারী।
আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অন্তত ৪১০ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণের পর হত্যা, শারীরিক নির্যাতন, অপহরণ, আত্মহত্যা এবং বিস্ফোরণে মৃত্যু।
আসক মনে করে, দেশে নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের মধ্যে আশা ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হলেও বাস্তব পর্যায়ে বৈষম্য, নিপীড়ন ও দমন-পীড়নের চিত্রে আশানুরূপ ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে লক্ষ্য করা গেছে।

২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর থেকে তুলে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধাসহ বিরুদ্ধ মতের মানুষকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিষ্ক্রিয়তা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে উদাসীনতার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে, যা দেশে আইনের শাসনের জন্য চূড়ান্ত হুমকিস্বরূপ এবং সমাজে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সব কথা বলা হয়েছে। আজ বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মব সন্ত্রাসে কমপক্ষে ১৯৭ জন নিহত হয়েছে। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২৮ জন।
আসকের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালে কমপক্ষে ২৯৩ জন নাগরিক মব সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে। মবের শিকার হয়ে ২০২৫ সালে ঢাকা জেলায় সর্বাধিক ২৭, গাজীপুরে ১৭, নারায়ণগঞ্জে ১১ জন নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। ২০২৫ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে গণপিটুনির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য মাসের থেকে বেশি ঘটেছে। এই সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাও গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন, যদিও অধিকাংশ ভুক্তভোগী ছিলেন দল-মত নিরপেক্ষ সাধারণ নাগরিক।
আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০২৫ সালে কমপক্ষে ৩৮ জন ব্যক্তি বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। এ সব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে, নির্যাতনে, কথিত ‘গুলিতে’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে। ২০২৫ সালে কমপক্ষে ১০৭ জন ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছে। এর মধ্যে ৬৯ জন হাজতি এবং কয়েদি ৩৮ জন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে অন্তত ৪০১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার ৭৪৪ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছে। সহিংসতার এই চিত্র কেবল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার সংঘাতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তিও সহিংসতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনি নিপীড়নের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক ধারায় পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অন্তত ৩৮১ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন, হয়রানি বা হুমকির শিকার হয়েছেন অন্তত ২৩ জন সাংবাদিক। প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন ২০ জন। প্রকাশিত সংবাদ বা মতামতকে কেন্দ্র করে মামলার সম্মুখীন হয়েছেন কমপক্ষে ১২৩ জন সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সরাসরি হামলার শিকার হয়েছেন ১১৮ জন সাংবাদিক। এ সময়কালে দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন ৩ জন সাংবাদিক এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রহস্যজনকভাবে ৪ জন সাংবাদিকের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কমপক্ষে ৪২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাসমূহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩টি বাড়িঘর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৩৬টি বসত ঘরে। এ ছাড়া ৪টি মন্দিরে হামলা, ৬৪টি প্রতিমা ভাঙচুর, ৯টি জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় নিহত হয়েছে ১ জন, আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। এ বছর দেশে ২১৭ জন নারী স্বামীর মাধ্যমে হত্যার শিকার হয়েছেন এবং ৬৩ জন নারীকে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে। নিজের পরিবারের সদস্যদের হাতেও ৫১ জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন। পারিবারিক সহিংসতা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে না পেয়ে অন্তত ১৬৮ জন নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ধর্ষণের ৭৪৯টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৬৯টি ছিল একক ধর্ষণ এবং ১৮০টি দলবদ্ধ ধর্ষণ। ধর্ষণের পর অন্তত ৩৬ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে, ৭ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন এবং ধর্ষণের চেষ্টার পর প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন নারী।
আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অন্তত ৪১০ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণের পর হত্যা, শারীরিক নির্যাতন, অপহরণ, আত্মহত্যা এবং বিস্ফোরণে মৃত্যু।
আসক মনে করে, দেশে নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের মধ্যে আশা ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হলেও বাস্তব পর্যায়ে বৈষম্য, নিপীড়ন ও দমন-পীড়নের চিত্রে আশানুরূপ ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে লক্ষ্য করা গেছে।

দেশে গত এক যুগে কয়েকটি নতুন সড়ক-মহাসড়ক, সেতু, উড়ালসড়ক, টানেল যোগাযোগে ব্যাপক পরিবর্তন আনলেও সড়ক নিরাপত্তা বাড়েনি। যানবাহনের বেপরোয়া গতি, প্রতিযোগিতা, বিশৃঙ্খল গণপরিবহন, অনিয়ন্ত্রিত ব্যাটারিচালিত ও তিন চাকার যান এবং আইন না মানায় প্রতিদিনই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। হতাহত হচ্ছে মানুষ।
২২ অক্টোবর ২০২৫
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
২৩ মিনিট আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

দেশে গত এক যুগে কয়েকটি নতুন সড়ক-মহাসড়ক, সেতু, উড়ালসড়ক, টানেল যোগাযোগে ব্যাপক পরিবর্তন আনলেও সড়ক নিরাপত্তা বাড়েনি। যানবাহনের বেপরোয়া গতি, প্রতিযোগিতা, বিশৃঙ্খল গণপরিবহন, অনিয়ন্ত্রিত ব্যাটারিচালিত ও তিন চাকার যান এবং আইন না মানায় প্রতিদিনই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। হতাহত হচ্ছে মানুষ।
২২ অক্টোবর ২০২৫
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
২৩ মিনিট আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
৩ ঘণ্টা আগে