মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা

চলতি বছর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। টাকা জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র দেখানো সাপেক্ষে এই অর্থ ফেরত পাবেন তাঁরা। তবে যে পরিমাণ টাকা ফেরতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তা মোট খরচের তুলনায় খুবই নগণ্য।
ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীরা জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রতিজন কর্মী ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা খরচ করেছেন। মধ্যস্বত্বভোগী দালাল ও এজেন্সির প্রতিনিধিরা তাঁদের কাছ থেকে এ পরিমাণ অর্থ আদায় করেই ভিসা ও টিকিট সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেন। কিন্তু রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে তাঁরা রসিদ পেয়েছেন মাত্র ৭৯ হাজার টাকা জমার। ফলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বলছে, মালয়েশিয়ার সরকারি সিস্টেমে ক্লিয়ারেন্সের জন্য রিক্রুটিং এজেন্টকে কর্মীপ্রতি ১০০ রিঙ্গিত দিতে হয়েছে। তবে মূল সমস্যা ভিসা-বাণিজ্য। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে প্রতিটি ভিসা ৪ থেকে ৫ হাজার রিঙ্গিত দিয়ে কিনতে হয়েছে; যা বাংলাদেশি টাকায় গড়ে ১ লাখের বেশি। এ ছাড়া মালয়েশিয়ান প্ল্যাটফর্মের জন্য দিতে হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অন্যদিকে চুক্তি অনুযায়ী, যাতায়াতের বিমানভাড়া নিয়োগকর্তার বহন করার কথা থাকলেও বাস্তবে সেটি কর্মীকেই বহন করতে হচ্ছে; যা গত এপ্রিল ও মে মাসে লাখ টাকা পেরিয়ে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে অভিবাসন ব্যয় পৌঁছায় ৬ লাখ টাকার বেশি।
জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, একেবারে শেষ পর্যায়ে বেশ কিছু ই-ভিসা ইস্যু হওয়া ও ফ্লাইটের স্বল্পতায় অনেকে যেতে পারেননি। তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। তবে মালয়েশিয়ায় যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের পুরো অর্থ ফেরত পাওয়ার প্রক্রিয়াটি জটিল। কারণ দেশটির সিস্টেমের কারণে অভিবাসন ব্যয়গুলো বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়েছে। রিক্রুটিং এজেন্সি একজন কর্মীকে পাঠানোর জন্য সরকার-নির্ধারিত ৭৯ হাজার নিয়েছে। অন্যান্য খাতে যে খরচ হয়েছে, সেটি ফেরত আনার সুযোগ এজেন্সির নেই।
গত মাসে (জুন) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর্মীদের মালয়েশিয়া পাঠাতে না পারার কারণ অনুসন্ধানে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ৫ লাখ ৩২ হাজার ১৬২ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিএমইটির ছাড়পত্র পান ৪ লাখ ৯৩ জন। আর শেষ পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া যেতে সক্ষম হন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও ১৭ হাজার ৭৭৭ হাজার জন কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি।
নির্ধারিত ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সির কারও ১০ জন, কারও ৫০ জন, কারও ৫০০ জন, কারও ৪০০ জন কর্মী যেতে পারেননি। এর মধ্যে প্রমাণপত্রসহ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন যেতে না পারা ২ হাজার ২৫ জন কর্মী।
সরকারি হিসাবমতে, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারার কারণে কর্মীরা যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন, তার পরিমাণ টাকার অঙ্কে ৮০০ কোটির বেশি।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘যেসব কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। বায়রা ১৫ দিন সময় চেয়েছে। আমরা বলেছি, আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে। এ সময়ের মধ্যে যারা টাকা দিতে পারবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে বায়রা সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের নিবন্ধনের জন্য বায়রার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। যেসব কর্মী নিবন্ধন করবেন, তাঁদের সবাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তাঁরা যে পরিমাণ টাকা দিয়েছেন, আমরা তা সেই এজেন্সির কাছ থেকে আদায় করে দেব। অনেকেই এরই মধ্যে অর্থ ফেরত পেয়েছেন। অনেকে আবার সবকিছু ঠিক থাকার পরও উড়োজাহাজের ভাড়া বেশি হওয়ায় যাননি। অনেক কর্মী আবার অর্থ ফেরত নিতে চাচ্ছেন না। মালয়েশিয়া যেহেতু হয়নি, তাঁরা সৌদি আরব বা অন্য কোনো দেশে যেতে চান। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোও সেভাবে কাজ করছে।’
এদিকে চলতি মাসের শেষের দিকে কুয়ালালামপুরের সঙ্গে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের কথা রয়েছে। বৈঠকে পুনরায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার বিষয়টি তুলে ধরবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। আর বাজার খুললে যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
অভিবাসন খাত নিয়ে কাজ করা বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ ফেরত পাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগটি ইতিবাচক। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, কী পন্থায় সেটি বাস্তবায়ন করা হবে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের নিজ উদ্যোগেই প্রমাণসহ অর্থ দাবি করতে হচ্ছে। তৃতীয় কোনো পক্ষের সহায়তা না থাকলে ফরমাল ডকুমেন্টের বাইরে কোনো অর্থ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো দেবে না। ফলে যাঁরা অর্থ দাবি করবেন, তাঁরা সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকার মতো পেতে পারেন। আবার অনেকে অর্থ দাবি করার প্রক্রিয়াটিও ঠিকভাবে জানেন না। এ অবস্থায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ক্ষতি কমাতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের অন্য দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী আছেন। গত বছর সেখানে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন কর্মী। এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত গেছেন ৪৪ হাজার ৭২৭ জন। চার বছর পর ২০২২ সালে দেশটির শ্রমবাজার খুলেছিল। মালয়েশিয়া সরকার গত মার্চেই ঘোষণা করে, ৩১ মের পর আর কোনো নতুন বিদেশি শ্রমিক দেশটিতে ঢুকতে পারবেন না। সে হিসাবে গত ১ জুন থেকে আবার বন্ধ হয়েছে দেশটির শ্রমবাজার।
আরও খবর পড়ুন:

চলতি বছর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। টাকা জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র দেখানো সাপেক্ষে এই অর্থ ফেরত পাবেন তাঁরা। তবে যে পরিমাণ টাকা ফেরতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তা মোট খরচের তুলনায় খুবই নগণ্য।
ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীরা জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রতিজন কর্মী ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা খরচ করেছেন। মধ্যস্বত্বভোগী দালাল ও এজেন্সির প্রতিনিধিরা তাঁদের কাছ থেকে এ পরিমাণ অর্থ আদায় করেই ভিসা ও টিকিট সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেন। কিন্তু রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে তাঁরা রসিদ পেয়েছেন মাত্র ৭৯ হাজার টাকা জমার। ফলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বলছে, মালয়েশিয়ার সরকারি সিস্টেমে ক্লিয়ারেন্সের জন্য রিক্রুটিং এজেন্টকে কর্মীপ্রতি ১০০ রিঙ্গিত দিতে হয়েছে। তবে মূল সমস্যা ভিসা-বাণিজ্য। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে প্রতিটি ভিসা ৪ থেকে ৫ হাজার রিঙ্গিত দিয়ে কিনতে হয়েছে; যা বাংলাদেশি টাকায় গড়ে ১ লাখের বেশি। এ ছাড়া মালয়েশিয়ান প্ল্যাটফর্মের জন্য দিতে হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অন্যদিকে চুক্তি অনুযায়ী, যাতায়াতের বিমানভাড়া নিয়োগকর্তার বহন করার কথা থাকলেও বাস্তবে সেটি কর্মীকেই বহন করতে হচ্ছে; যা গত এপ্রিল ও মে মাসে লাখ টাকা পেরিয়ে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে অভিবাসন ব্যয় পৌঁছায় ৬ লাখ টাকার বেশি।
জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, একেবারে শেষ পর্যায়ে বেশ কিছু ই-ভিসা ইস্যু হওয়া ও ফ্লাইটের স্বল্পতায় অনেকে যেতে পারেননি। তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। তবে মালয়েশিয়ায় যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের পুরো অর্থ ফেরত পাওয়ার প্রক্রিয়াটি জটিল। কারণ দেশটির সিস্টেমের কারণে অভিবাসন ব্যয়গুলো বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়েছে। রিক্রুটিং এজেন্সি একজন কর্মীকে পাঠানোর জন্য সরকার-নির্ধারিত ৭৯ হাজার নিয়েছে। অন্যান্য খাতে যে খরচ হয়েছে, সেটি ফেরত আনার সুযোগ এজেন্সির নেই।
গত মাসে (জুন) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর্মীদের মালয়েশিয়া পাঠাতে না পারার কারণ অনুসন্ধানে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ৫ লাখ ৩২ হাজার ১৬২ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিএমইটির ছাড়পত্র পান ৪ লাখ ৯৩ জন। আর শেষ পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া যেতে সক্ষম হন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও ১৭ হাজার ৭৭৭ হাজার জন কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি।
নির্ধারিত ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সির কারও ১০ জন, কারও ৫০ জন, কারও ৫০০ জন, কারও ৪০০ জন কর্মী যেতে পারেননি। এর মধ্যে প্রমাণপত্রসহ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন যেতে না পারা ২ হাজার ২৫ জন কর্মী।
সরকারি হিসাবমতে, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারার কারণে কর্মীরা যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন, তার পরিমাণ টাকার অঙ্কে ৮০০ কোটির বেশি।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘যেসব কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। বায়রা ১৫ দিন সময় চেয়েছে। আমরা বলেছি, আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে। এ সময়ের মধ্যে যারা টাকা দিতে পারবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে বায়রা সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের নিবন্ধনের জন্য বায়রার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। যেসব কর্মী নিবন্ধন করবেন, তাঁদের সবাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তাঁরা যে পরিমাণ টাকা দিয়েছেন, আমরা তা সেই এজেন্সির কাছ থেকে আদায় করে দেব। অনেকেই এরই মধ্যে অর্থ ফেরত পেয়েছেন। অনেকে আবার সবকিছু ঠিক থাকার পরও উড়োজাহাজের ভাড়া বেশি হওয়ায় যাননি। অনেক কর্মী আবার অর্থ ফেরত নিতে চাচ্ছেন না। মালয়েশিয়া যেহেতু হয়নি, তাঁরা সৌদি আরব বা অন্য কোনো দেশে যেতে চান। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোও সেভাবে কাজ করছে।’
এদিকে চলতি মাসের শেষের দিকে কুয়ালালামপুরের সঙ্গে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের কথা রয়েছে। বৈঠকে পুনরায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার বিষয়টি তুলে ধরবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। আর বাজার খুললে যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
অভিবাসন খাত নিয়ে কাজ করা বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ ফেরত পাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগটি ইতিবাচক। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, কী পন্থায় সেটি বাস্তবায়ন করা হবে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের নিজ উদ্যোগেই প্রমাণসহ অর্থ দাবি করতে হচ্ছে। তৃতীয় কোনো পক্ষের সহায়তা না থাকলে ফরমাল ডকুমেন্টের বাইরে কোনো অর্থ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো দেবে না। ফলে যাঁরা অর্থ দাবি করবেন, তাঁরা সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকার মতো পেতে পারেন। আবার অনেকে অর্থ দাবি করার প্রক্রিয়াটিও ঠিকভাবে জানেন না। এ অবস্থায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ক্ষতি কমাতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের অন্য দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী আছেন। গত বছর সেখানে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন কর্মী। এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত গেছেন ৪৪ হাজার ৭২৭ জন। চার বছর পর ২০২২ সালে দেশটির শ্রমবাজার খুলেছিল। মালয়েশিয়া সরকার গত মার্চেই ঘোষণা করে, ৩১ মের পর আর কোনো নতুন বিদেশি শ্রমিক দেশটিতে ঢুকতে পারবেন না। সে হিসাবে গত ১ জুন থেকে আবার বন্ধ হয়েছে দেশটির শ্রমবাজার।
আরও খবর পড়ুন:
মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা

চলতি বছর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। টাকা জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র দেখানো সাপেক্ষে এই অর্থ ফেরত পাবেন তাঁরা। তবে যে পরিমাণ টাকা ফেরতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তা মোট খরচের তুলনায় খুবই নগণ্য।
ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীরা জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রতিজন কর্মী ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা খরচ করেছেন। মধ্যস্বত্বভোগী দালাল ও এজেন্সির প্রতিনিধিরা তাঁদের কাছ থেকে এ পরিমাণ অর্থ আদায় করেই ভিসা ও টিকিট সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেন। কিন্তু রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে তাঁরা রসিদ পেয়েছেন মাত্র ৭৯ হাজার টাকা জমার। ফলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বলছে, মালয়েশিয়ার সরকারি সিস্টেমে ক্লিয়ারেন্সের জন্য রিক্রুটিং এজেন্টকে কর্মীপ্রতি ১০০ রিঙ্গিত দিতে হয়েছে। তবে মূল সমস্যা ভিসা-বাণিজ্য। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে প্রতিটি ভিসা ৪ থেকে ৫ হাজার রিঙ্গিত দিয়ে কিনতে হয়েছে; যা বাংলাদেশি টাকায় গড়ে ১ লাখের বেশি। এ ছাড়া মালয়েশিয়ান প্ল্যাটফর্মের জন্য দিতে হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অন্যদিকে চুক্তি অনুযায়ী, যাতায়াতের বিমানভাড়া নিয়োগকর্তার বহন করার কথা থাকলেও বাস্তবে সেটি কর্মীকেই বহন করতে হচ্ছে; যা গত এপ্রিল ও মে মাসে লাখ টাকা পেরিয়ে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে অভিবাসন ব্যয় পৌঁছায় ৬ লাখ টাকার বেশি।
জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, একেবারে শেষ পর্যায়ে বেশ কিছু ই-ভিসা ইস্যু হওয়া ও ফ্লাইটের স্বল্পতায় অনেকে যেতে পারেননি। তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। তবে মালয়েশিয়ায় যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের পুরো অর্থ ফেরত পাওয়ার প্রক্রিয়াটি জটিল। কারণ দেশটির সিস্টেমের কারণে অভিবাসন ব্যয়গুলো বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়েছে। রিক্রুটিং এজেন্সি একজন কর্মীকে পাঠানোর জন্য সরকার-নির্ধারিত ৭৯ হাজার নিয়েছে। অন্যান্য খাতে যে খরচ হয়েছে, সেটি ফেরত আনার সুযোগ এজেন্সির নেই।
গত মাসে (জুন) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর্মীদের মালয়েশিয়া পাঠাতে না পারার কারণ অনুসন্ধানে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ৫ লাখ ৩২ হাজার ১৬২ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিএমইটির ছাড়পত্র পান ৪ লাখ ৯৩ জন। আর শেষ পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া যেতে সক্ষম হন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও ১৭ হাজার ৭৭৭ হাজার জন কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি।
নির্ধারিত ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সির কারও ১০ জন, কারও ৫০ জন, কারও ৫০০ জন, কারও ৪০০ জন কর্মী যেতে পারেননি। এর মধ্যে প্রমাণপত্রসহ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন যেতে না পারা ২ হাজার ২৫ জন কর্মী।
সরকারি হিসাবমতে, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারার কারণে কর্মীরা যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন, তার পরিমাণ টাকার অঙ্কে ৮০০ কোটির বেশি।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘যেসব কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। বায়রা ১৫ দিন সময় চেয়েছে। আমরা বলেছি, আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে। এ সময়ের মধ্যে যারা টাকা দিতে পারবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে বায়রা সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের নিবন্ধনের জন্য বায়রার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। যেসব কর্মী নিবন্ধন করবেন, তাঁদের সবাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তাঁরা যে পরিমাণ টাকা দিয়েছেন, আমরা তা সেই এজেন্সির কাছ থেকে আদায় করে দেব। অনেকেই এরই মধ্যে অর্থ ফেরত পেয়েছেন। অনেকে আবার সবকিছু ঠিক থাকার পরও উড়োজাহাজের ভাড়া বেশি হওয়ায় যাননি। অনেক কর্মী আবার অর্থ ফেরত নিতে চাচ্ছেন না। মালয়েশিয়া যেহেতু হয়নি, তাঁরা সৌদি আরব বা অন্য কোনো দেশে যেতে চান। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোও সেভাবে কাজ করছে।’
এদিকে চলতি মাসের শেষের দিকে কুয়ালালামপুরের সঙ্গে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের কথা রয়েছে। বৈঠকে পুনরায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার বিষয়টি তুলে ধরবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। আর বাজার খুললে যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
অভিবাসন খাত নিয়ে কাজ করা বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ ফেরত পাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগটি ইতিবাচক। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, কী পন্থায় সেটি বাস্তবায়ন করা হবে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের নিজ উদ্যোগেই প্রমাণসহ অর্থ দাবি করতে হচ্ছে। তৃতীয় কোনো পক্ষের সহায়তা না থাকলে ফরমাল ডকুমেন্টের বাইরে কোনো অর্থ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো দেবে না। ফলে যাঁরা অর্থ দাবি করবেন, তাঁরা সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকার মতো পেতে পারেন। আবার অনেকে অর্থ দাবি করার প্রক্রিয়াটিও ঠিকভাবে জানেন না। এ অবস্থায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ক্ষতি কমাতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের অন্য দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী আছেন। গত বছর সেখানে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন কর্মী। এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত গেছেন ৪৪ হাজার ৭২৭ জন। চার বছর পর ২০২২ সালে দেশটির শ্রমবাজার খুলেছিল। মালয়েশিয়া সরকার গত মার্চেই ঘোষণা করে, ৩১ মের পর আর কোনো নতুন বিদেশি শ্রমিক দেশটিতে ঢুকতে পারবেন না। সে হিসাবে গত ১ জুন থেকে আবার বন্ধ হয়েছে দেশটির শ্রমবাজার।
আরও খবর পড়ুন:

চলতি বছর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। টাকা জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র দেখানো সাপেক্ষে এই অর্থ ফেরত পাবেন তাঁরা। তবে যে পরিমাণ টাকা ফেরতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তা মোট খরচের তুলনায় খুবই নগণ্য।
ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীরা জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রতিজন কর্মী ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা খরচ করেছেন। মধ্যস্বত্বভোগী দালাল ও এজেন্সির প্রতিনিধিরা তাঁদের কাছ থেকে এ পরিমাণ অর্থ আদায় করেই ভিসা ও টিকিট সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেন। কিন্তু রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে তাঁরা রসিদ পেয়েছেন মাত্র ৭৯ হাজার টাকা জমার। ফলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বলছে, মালয়েশিয়ার সরকারি সিস্টেমে ক্লিয়ারেন্সের জন্য রিক্রুটিং এজেন্টকে কর্মীপ্রতি ১০০ রিঙ্গিত দিতে হয়েছে। তবে মূল সমস্যা ভিসা-বাণিজ্য। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে প্রতিটি ভিসা ৪ থেকে ৫ হাজার রিঙ্গিত দিয়ে কিনতে হয়েছে; যা বাংলাদেশি টাকায় গড়ে ১ লাখের বেশি। এ ছাড়া মালয়েশিয়ান প্ল্যাটফর্মের জন্য দিতে হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অন্যদিকে চুক্তি অনুযায়ী, যাতায়াতের বিমানভাড়া নিয়োগকর্তার বহন করার কথা থাকলেও বাস্তবে সেটি কর্মীকেই বহন করতে হচ্ছে; যা গত এপ্রিল ও মে মাসে লাখ টাকা পেরিয়ে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে অভিবাসন ব্যয় পৌঁছায় ৬ লাখ টাকার বেশি।
জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, একেবারে শেষ পর্যায়ে বেশ কিছু ই-ভিসা ইস্যু হওয়া ও ফ্লাইটের স্বল্পতায় অনেকে যেতে পারেননি। তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। তবে মালয়েশিয়ায় যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের পুরো অর্থ ফেরত পাওয়ার প্রক্রিয়াটি জটিল। কারণ দেশটির সিস্টেমের কারণে অভিবাসন ব্যয়গুলো বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়েছে। রিক্রুটিং এজেন্সি একজন কর্মীকে পাঠানোর জন্য সরকার-নির্ধারিত ৭৯ হাজার নিয়েছে। অন্যান্য খাতে যে খরচ হয়েছে, সেটি ফেরত আনার সুযোগ এজেন্সির নেই।
গত মাসে (জুন) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর্মীদের মালয়েশিয়া পাঠাতে না পারার কারণ অনুসন্ধানে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ৫ লাখ ৩২ হাজার ১৬২ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিএমইটির ছাড়পত্র পান ৪ লাখ ৯৩ জন। আর শেষ পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া যেতে সক্ষম হন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও ১৭ হাজার ৭৭৭ হাজার জন কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি।
নির্ধারিত ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সির কারও ১০ জন, কারও ৫০ জন, কারও ৫০০ জন, কারও ৪০০ জন কর্মী যেতে পারেননি। এর মধ্যে প্রমাণপত্রসহ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন যেতে না পারা ২ হাজার ২৫ জন কর্মী।
সরকারি হিসাবমতে, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারার কারণে কর্মীরা যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন, তার পরিমাণ টাকার অঙ্কে ৮০০ কোটির বেশি।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘যেসব কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। বায়রা ১৫ দিন সময় চেয়েছে। আমরা বলেছি, আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে। এ সময়ের মধ্যে যারা টাকা দিতে পারবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে বায়রা সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের নিবন্ধনের জন্য বায়রার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। যেসব কর্মী নিবন্ধন করবেন, তাঁদের সবাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তাঁরা যে পরিমাণ টাকা দিয়েছেন, আমরা তা সেই এজেন্সির কাছ থেকে আদায় করে দেব। অনেকেই এরই মধ্যে অর্থ ফেরত পেয়েছেন। অনেকে আবার সবকিছু ঠিক থাকার পরও উড়োজাহাজের ভাড়া বেশি হওয়ায় যাননি। অনেক কর্মী আবার অর্থ ফেরত নিতে চাচ্ছেন না। মালয়েশিয়া যেহেতু হয়নি, তাঁরা সৌদি আরব বা অন্য কোনো দেশে যেতে চান। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোও সেভাবে কাজ করছে।’
এদিকে চলতি মাসের শেষের দিকে কুয়ালালামপুরের সঙ্গে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের কথা রয়েছে। বৈঠকে পুনরায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার বিষয়টি তুলে ধরবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। আর বাজার খুললে যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
অভিবাসন খাত নিয়ে কাজ করা বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ ফেরত পাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগটি ইতিবাচক। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, কী পন্থায় সেটি বাস্তবায়ন করা হবে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের নিজ উদ্যোগেই প্রমাণসহ অর্থ দাবি করতে হচ্ছে। তৃতীয় কোনো পক্ষের সহায়তা না থাকলে ফরমাল ডকুমেন্টের বাইরে কোনো অর্থ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো দেবে না। ফলে যাঁরা অর্থ দাবি করবেন, তাঁরা সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকার মতো পেতে পারেন। আবার অনেকে অর্থ দাবি করার প্রক্রিয়াটিও ঠিকভাবে জানেন না। এ অবস্থায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ক্ষতি কমাতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের অন্য দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী আছেন। গত বছর সেখানে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন কর্মী। এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত গেছেন ৪৪ হাজার ৭২৭ জন। চার বছর পর ২০২২ সালে দেশটির শ্রমবাজার খুলেছিল। মালয়েশিয়া সরকার গত মার্চেই ঘোষণা করে, ৩১ মের পর আর কোনো নতুন বিদেশি শ্রমিক দেশটিতে ঢুকতে পারবেন না। সে হিসাবে গত ১ জুন থেকে আবার বন্ধ হয়েছে দেশটির শ্রমবাজার।
আরও খবর পড়ুন:

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, ‘এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, ‘এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

চলতি বছর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। টাকা জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র দেখানো সাপেক্ষে এই অর্থ ফেরত পাবেন তাঁরা। তবে যে পরিমাণ টাকা ফেরতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তা মোট খরচের তুলনায়
১৬ জুলাই ২০২৪
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

চলতি বছর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। টাকা জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র দেখানো সাপেক্ষে এই অর্থ ফেরত পাবেন তাঁরা। তবে যে পরিমাণ টাকা ফেরতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তা মোট খরচের তুলনায়
১৬ জুলাই ২০২৪
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

চলতি বছর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। টাকা জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র দেখানো সাপেক্ষে এই অর্থ ফেরত পাবেন তাঁরা। তবে যে পরিমাণ টাকা ফেরতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তা মোট খরচের তুলনায়
১৬ জুলাই ২০২৪
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে এনে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে এনে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

চলতি বছর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। টাকা জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র দেখানো সাপেক্ষে এই অর্থ ফেরত পাবেন তাঁরা। তবে যে পরিমাণ টাকা ফেরতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তা মোট খরচের তুলনায়
১৬ জুলাই ২০২৪
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৫ ঘণ্টা আগে