মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা

চলতি বছর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। টাকা জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র দেখানো সাপেক্ষে এই অর্থ ফেরত পাবেন তাঁরা। তবে যে পরিমাণ টাকা ফেরতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তা মোট খরচের তুলনায় খুবই নগণ্য।
ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীরা জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রতিজন কর্মী ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা খরচ করেছেন। মধ্যস্বত্বভোগী দালাল ও এজেন্সির প্রতিনিধিরা তাঁদের কাছ থেকে এ পরিমাণ অর্থ আদায় করেই ভিসা ও টিকিট সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেন। কিন্তু রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে তাঁরা রসিদ পেয়েছেন মাত্র ৭৯ হাজার টাকা জমার। ফলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বলছে, মালয়েশিয়ার সরকারি সিস্টেমে ক্লিয়ারেন্সের জন্য রিক্রুটিং এজেন্টকে কর্মীপ্রতি ১০০ রিঙ্গিত দিতে হয়েছে। তবে মূল সমস্যা ভিসা-বাণিজ্য। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে প্রতিটি ভিসা ৪ থেকে ৫ হাজার রিঙ্গিত দিয়ে কিনতে হয়েছে; যা বাংলাদেশি টাকায় গড়ে ১ লাখের বেশি। এ ছাড়া মালয়েশিয়ান প্ল্যাটফর্মের জন্য দিতে হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অন্যদিকে চুক্তি অনুযায়ী, যাতায়াতের বিমানভাড়া নিয়োগকর্তার বহন করার কথা থাকলেও বাস্তবে সেটি কর্মীকেই বহন করতে হচ্ছে; যা গত এপ্রিল ও মে মাসে লাখ টাকা পেরিয়ে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে অভিবাসন ব্যয় পৌঁছায় ৬ লাখ টাকার বেশি।
জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, একেবারে শেষ পর্যায়ে বেশ কিছু ই-ভিসা ইস্যু হওয়া ও ফ্লাইটের স্বল্পতায় অনেকে যেতে পারেননি। তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। তবে মালয়েশিয়ায় যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের পুরো অর্থ ফেরত পাওয়ার প্রক্রিয়াটি জটিল। কারণ দেশটির সিস্টেমের কারণে অভিবাসন ব্যয়গুলো বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়েছে। রিক্রুটিং এজেন্সি একজন কর্মীকে পাঠানোর জন্য সরকার-নির্ধারিত ৭৯ হাজার নিয়েছে। অন্যান্য খাতে যে খরচ হয়েছে, সেটি ফেরত আনার সুযোগ এজেন্সির নেই।
গত মাসে (জুন) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর্মীদের মালয়েশিয়া পাঠাতে না পারার কারণ অনুসন্ধানে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ৫ লাখ ৩২ হাজার ১৬২ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিএমইটির ছাড়পত্র পান ৪ লাখ ৯৩ জন। আর শেষ পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া যেতে সক্ষম হন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও ১৭ হাজার ৭৭৭ হাজার জন কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি।
নির্ধারিত ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সির কারও ১০ জন, কারও ৫০ জন, কারও ৫০০ জন, কারও ৪০০ জন কর্মী যেতে পারেননি। এর মধ্যে প্রমাণপত্রসহ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন যেতে না পারা ২ হাজার ২৫ জন কর্মী।
সরকারি হিসাবমতে, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারার কারণে কর্মীরা যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন, তার পরিমাণ টাকার অঙ্কে ৮০০ কোটির বেশি।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘যেসব কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। বায়রা ১৫ দিন সময় চেয়েছে। আমরা বলেছি, আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে। এ সময়ের মধ্যে যারা টাকা দিতে পারবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে বায়রা সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের নিবন্ধনের জন্য বায়রার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। যেসব কর্মী নিবন্ধন করবেন, তাঁদের সবাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তাঁরা যে পরিমাণ টাকা দিয়েছেন, আমরা তা সেই এজেন্সির কাছ থেকে আদায় করে দেব। অনেকেই এরই মধ্যে অর্থ ফেরত পেয়েছেন। অনেকে আবার সবকিছু ঠিক থাকার পরও উড়োজাহাজের ভাড়া বেশি হওয়ায় যাননি। অনেক কর্মী আবার অর্থ ফেরত নিতে চাচ্ছেন না। মালয়েশিয়া যেহেতু হয়নি, তাঁরা সৌদি আরব বা অন্য কোনো দেশে যেতে চান। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোও সেভাবে কাজ করছে।’
এদিকে চলতি মাসের শেষের দিকে কুয়ালালামপুরের সঙ্গে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের কথা রয়েছে। বৈঠকে পুনরায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার বিষয়টি তুলে ধরবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। আর বাজার খুললে যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
অভিবাসন খাত নিয়ে কাজ করা বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ ফেরত পাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগটি ইতিবাচক। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, কী পন্থায় সেটি বাস্তবায়ন করা হবে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের নিজ উদ্যোগেই প্রমাণসহ অর্থ দাবি করতে হচ্ছে। তৃতীয় কোনো পক্ষের সহায়তা না থাকলে ফরমাল ডকুমেন্টের বাইরে কোনো অর্থ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো দেবে না। ফলে যাঁরা অর্থ দাবি করবেন, তাঁরা সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকার মতো পেতে পারেন। আবার অনেকে অর্থ দাবি করার প্রক্রিয়াটিও ঠিকভাবে জানেন না। এ অবস্থায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ক্ষতি কমাতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের অন্য দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী আছেন। গত বছর সেখানে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন কর্মী। এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত গেছেন ৪৪ হাজার ৭২৭ জন। চার বছর পর ২০২২ সালে দেশটির শ্রমবাজার খুলেছিল। মালয়েশিয়া সরকার গত মার্চেই ঘোষণা করে, ৩১ মের পর আর কোনো নতুন বিদেশি শ্রমিক দেশটিতে ঢুকতে পারবেন না। সে হিসাবে গত ১ জুন থেকে আবার বন্ধ হয়েছে দেশটির শ্রমবাজার।
আরও খবর পড়ুন:

চলতি বছর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। টাকা জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র দেখানো সাপেক্ষে এই অর্থ ফেরত পাবেন তাঁরা। তবে যে পরিমাণ টাকা ফেরতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তা মোট খরচের তুলনায় খুবই নগণ্য।
ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীরা জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রতিজন কর্মী ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা খরচ করেছেন। মধ্যস্বত্বভোগী দালাল ও এজেন্সির প্রতিনিধিরা তাঁদের কাছ থেকে এ পরিমাণ অর্থ আদায় করেই ভিসা ও টিকিট সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেন। কিন্তু রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে তাঁরা রসিদ পেয়েছেন মাত্র ৭৯ হাজার টাকা জমার। ফলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বলছে, মালয়েশিয়ার সরকারি সিস্টেমে ক্লিয়ারেন্সের জন্য রিক্রুটিং এজেন্টকে কর্মীপ্রতি ১০০ রিঙ্গিত দিতে হয়েছে। তবে মূল সমস্যা ভিসা-বাণিজ্য। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে প্রতিটি ভিসা ৪ থেকে ৫ হাজার রিঙ্গিত দিয়ে কিনতে হয়েছে; যা বাংলাদেশি টাকায় গড়ে ১ লাখের বেশি। এ ছাড়া মালয়েশিয়ান প্ল্যাটফর্মের জন্য দিতে হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অন্যদিকে চুক্তি অনুযায়ী, যাতায়াতের বিমানভাড়া নিয়োগকর্তার বহন করার কথা থাকলেও বাস্তবে সেটি কর্মীকেই বহন করতে হচ্ছে; যা গত এপ্রিল ও মে মাসে লাখ টাকা পেরিয়ে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে অভিবাসন ব্যয় পৌঁছায় ৬ লাখ টাকার বেশি।
জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, একেবারে শেষ পর্যায়ে বেশ কিছু ই-ভিসা ইস্যু হওয়া ও ফ্লাইটের স্বল্পতায় অনেকে যেতে পারেননি। তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। তবে মালয়েশিয়ায় যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের পুরো অর্থ ফেরত পাওয়ার প্রক্রিয়াটি জটিল। কারণ দেশটির সিস্টেমের কারণে অভিবাসন ব্যয়গুলো বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়েছে। রিক্রুটিং এজেন্সি একজন কর্মীকে পাঠানোর জন্য সরকার-নির্ধারিত ৭৯ হাজার নিয়েছে। অন্যান্য খাতে যে খরচ হয়েছে, সেটি ফেরত আনার সুযোগ এজেন্সির নেই।
গত মাসে (জুন) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর্মীদের মালয়েশিয়া পাঠাতে না পারার কারণ অনুসন্ধানে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ৫ লাখ ৩২ হাজার ১৬২ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিএমইটির ছাড়পত্র পান ৪ লাখ ৯৩ জন। আর শেষ পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া যেতে সক্ষম হন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও ১৭ হাজার ৭৭৭ হাজার জন কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি।
নির্ধারিত ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সির কারও ১০ জন, কারও ৫০ জন, কারও ৫০০ জন, কারও ৪০০ জন কর্মী যেতে পারেননি। এর মধ্যে প্রমাণপত্রসহ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন যেতে না পারা ২ হাজার ২৫ জন কর্মী।
সরকারি হিসাবমতে, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারার কারণে কর্মীরা যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন, তার পরিমাণ টাকার অঙ্কে ৮০০ কোটির বেশি।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘যেসব কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। বায়রা ১৫ দিন সময় চেয়েছে। আমরা বলেছি, আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে। এ সময়ের মধ্যে যারা টাকা দিতে পারবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে বায়রা সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের নিবন্ধনের জন্য বায়রার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। যেসব কর্মী নিবন্ধন করবেন, তাঁদের সবাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তাঁরা যে পরিমাণ টাকা দিয়েছেন, আমরা তা সেই এজেন্সির কাছ থেকে আদায় করে দেব। অনেকেই এরই মধ্যে অর্থ ফেরত পেয়েছেন। অনেকে আবার সবকিছু ঠিক থাকার পরও উড়োজাহাজের ভাড়া বেশি হওয়ায় যাননি। অনেক কর্মী আবার অর্থ ফেরত নিতে চাচ্ছেন না। মালয়েশিয়া যেহেতু হয়নি, তাঁরা সৌদি আরব বা অন্য কোনো দেশে যেতে চান। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোও সেভাবে কাজ করছে।’
এদিকে চলতি মাসের শেষের দিকে কুয়ালালামপুরের সঙ্গে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের কথা রয়েছে। বৈঠকে পুনরায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার বিষয়টি তুলে ধরবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। আর বাজার খুললে যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
অভিবাসন খাত নিয়ে কাজ করা বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ ফেরত পাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগটি ইতিবাচক। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, কী পন্থায় সেটি বাস্তবায়ন করা হবে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের নিজ উদ্যোগেই প্রমাণসহ অর্থ দাবি করতে হচ্ছে। তৃতীয় কোনো পক্ষের সহায়তা না থাকলে ফরমাল ডকুমেন্টের বাইরে কোনো অর্থ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো দেবে না। ফলে যাঁরা অর্থ দাবি করবেন, তাঁরা সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকার মতো পেতে পারেন। আবার অনেকে অর্থ দাবি করার প্রক্রিয়াটিও ঠিকভাবে জানেন না। এ অবস্থায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ক্ষতি কমাতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের অন্য দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী আছেন। গত বছর সেখানে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন কর্মী। এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত গেছেন ৪৪ হাজার ৭২৭ জন। চার বছর পর ২০২২ সালে দেশটির শ্রমবাজার খুলেছিল। মালয়েশিয়া সরকার গত মার্চেই ঘোষণা করে, ৩১ মের পর আর কোনো নতুন বিদেশি শ্রমিক দেশটিতে ঢুকতে পারবেন না। সে হিসাবে গত ১ জুন থেকে আবার বন্ধ হয়েছে দেশটির শ্রমবাজার।
আরও খবর পড়ুন:
মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা

চলতি বছর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। টাকা জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র দেখানো সাপেক্ষে এই অর্থ ফেরত পাবেন তাঁরা। তবে যে পরিমাণ টাকা ফেরতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তা মোট খরচের তুলনায় খুবই নগণ্য।
ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীরা জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রতিজন কর্মী ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা খরচ করেছেন। মধ্যস্বত্বভোগী দালাল ও এজেন্সির প্রতিনিধিরা তাঁদের কাছ থেকে এ পরিমাণ অর্থ আদায় করেই ভিসা ও টিকিট সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেন। কিন্তু রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে তাঁরা রসিদ পেয়েছেন মাত্র ৭৯ হাজার টাকা জমার। ফলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বলছে, মালয়েশিয়ার সরকারি সিস্টেমে ক্লিয়ারেন্সের জন্য রিক্রুটিং এজেন্টকে কর্মীপ্রতি ১০০ রিঙ্গিত দিতে হয়েছে। তবে মূল সমস্যা ভিসা-বাণিজ্য। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে প্রতিটি ভিসা ৪ থেকে ৫ হাজার রিঙ্গিত দিয়ে কিনতে হয়েছে; যা বাংলাদেশি টাকায় গড়ে ১ লাখের বেশি। এ ছাড়া মালয়েশিয়ান প্ল্যাটফর্মের জন্য দিতে হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অন্যদিকে চুক্তি অনুযায়ী, যাতায়াতের বিমানভাড়া নিয়োগকর্তার বহন করার কথা থাকলেও বাস্তবে সেটি কর্মীকেই বহন করতে হচ্ছে; যা গত এপ্রিল ও মে মাসে লাখ টাকা পেরিয়ে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে অভিবাসন ব্যয় পৌঁছায় ৬ লাখ টাকার বেশি।
জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, একেবারে শেষ পর্যায়ে বেশ কিছু ই-ভিসা ইস্যু হওয়া ও ফ্লাইটের স্বল্পতায় অনেকে যেতে পারেননি। তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। তবে মালয়েশিয়ায় যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের পুরো অর্থ ফেরত পাওয়ার প্রক্রিয়াটি জটিল। কারণ দেশটির সিস্টেমের কারণে অভিবাসন ব্যয়গুলো বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়েছে। রিক্রুটিং এজেন্সি একজন কর্মীকে পাঠানোর জন্য সরকার-নির্ধারিত ৭৯ হাজার নিয়েছে। অন্যান্য খাতে যে খরচ হয়েছে, সেটি ফেরত আনার সুযোগ এজেন্সির নেই।
গত মাসে (জুন) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর্মীদের মালয়েশিয়া পাঠাতে না পারার কারণ অনুসন্ধানে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ৫ লাখ ৩২ হাজার ১৬২ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিএমইটির ছাড়পত্র পান ৪ লাখ ৯৩ জন। আর শেষ পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া যেতে সক্ষম হন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও ১৭ হাজার ৭৭৭ হাজার জন কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি।
নির্ধারিত ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সির কারও ১০ জন, কারও ৫০ জন, কারও ৫০০ জন, কারও ৪০০ জন কর্মী যেতে পারেননি। এর মধ্যে প্রমাণপত্রসহ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন যেতে না পারা ২ হাজার ২৫ জন কর্মী।
সরকারি হিসাবমতে, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারার কারণে কর্মীরা যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন, তার পরিমাণ টাকার অঙ্কে ৮০০ কোটির বেশি।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘যেসব কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। বায়রা ১৫ দিন সময় চেয়েছে। আমরা বলেছি, আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে। এ সময়ের মধ্যে যারা টাকা দিতে পারবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে বায়রা সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের নিবন্ধনের জন্য বায়রার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। যেসব কর্মী নিবন্ধন করবেন, তাঁদের সবাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তাঁরা যে পরিমাণ টাকা দিয়েছেন, আমরা তা সেই এজেন্সির কাছ থেকে আদায় করে দেব। অনেকেই এরই মধ্যে অর্থ ফেরত পেয়েছেন। অনেকে আবার সবকিছু ঠিক থাকার পরও উড়োজাহাজের ভাড়া বেশি হওয়ায় যাননি। অনেক কর্মী আবার অর্থ ফেরত নিতে চাচ্ছেন না। মালয়েশিয়া যেহেতু হয়নি, তাঁরা সৌদি আরব বা অন্য কোনো দেশে যেতে চান। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোও সেভাবে কাজ করছে।’
এদিকে চলতি মাসের শেষের দিকে কুয়ালালামপুরের সঙ্গে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের কথা রয়েছে। বৈঠকে পুনরায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার বিষয়টি তুলে ধরবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। আর বাজার খুললে যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
অভিবাসন খাত নিয়ে কাজ করা বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ ফেরত পাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগটি ইতিবাচক। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, কী পন্থায় সেটি বাস্তবায়ন করা হবে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের নিজ উদ্যোগেই প্রমাণসহ অর্থ দাবি করতে হচ্ছে। তৃতীয় কোনো পক্ষের সহায়তা না থাকলে ফরমাল ডকুমেন্টের বাইরে কোনো অর্থ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো দেবে না। ফলে যাঁরা অর্থ দাবি করবেন, তাঁরা সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকার মতো পেতে পারেন। আবার অনেকে অর্থ দাবি করার প্রক্রিয়াটিও ঠিকভাবে জানেন না। এ অবস্থায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ক্ষতি কমাতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের অন্য দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী আছেন। গত বছর সেখানে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন কর্মী। এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত গেছেন ৪৪ হাজার ৭২৭ জন। চার বছর পর ২০২২ সালে দেশটির শ্রমবাজার খুলেছিল। মালয়েশিয়া সরকার গত মার্চেই ঘোষণা করে, ৩১ মের পর আর কোনো নতুন বিদেশি শ্রমিক দেশটিতে ঢুকতে পারবেন না। সে হিসাবে গত ১ জুন থেকে আবার বন্ধ হয়েছে দেশটির শ্রমবাজার।
আরও খবর পড়ুন:

চলতি বছর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। টাকা জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র দেখানো সাপেক্ষে এই অর্থ ফেরত পাবেন তাঁরা। তবে যে পরিমাণ টাকা ফেরতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তা মোট খরচের তুলনায় খুবই নগণ্য।
ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীরা জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রতিজন কর্মী ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা খরচ করেছেন। মধ্যস্বত্বভোগী দালাল ও এজেন্সির প্রতিনিধিরা তাঁদের কাছ থেকে এ পরিমাণ অর্থ আদায় করেই ভিসা ও টিকিট সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেন। কিন্তু রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে তাঁরা রসিদ পেয়েছেন মাত্র ৭৯ হাজার টাকা জমার। ফলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বলছে, মালয়েশিয়ার সরকারি সিস্টেমে ক্লিয়ারেন্সের জন্য রিক্রুটিং এজেন্টকে কর্মীপ্রতি ১০০ রিঙ্গিত দিতে হয়েছে। তবে মূল সমস্যা ভিসা-বাণিজ্য। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে প্রতিটি ভিসা ৪ থেকে ৫ হাজার রিঙ্গিত দিয়ে কিনতে হয়েছে; যা বাংলাদেশি টাকায় গড়ে ১ লাখের বেশি। এ ছাড়া মালয়েশিয়ান প্ল্যাটফর্মের জন্য দিতে হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অন্যদিকে চুক্তি অনুযায়ী, যাতায়াতের বিমানভাড়া নিয়োগকর্তার বহন করার কথা থাকলেও বাস্তবে সেটি কর্মীকেই বহন করতে হচ্ছে; যা গত এপ্রিল ও মে মাসে লাখ টাকা পেরিয়ে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে অভিবাসন ব্যয় পৌঁছায় ৬ লাখ টাকার বেশি।
জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, একেবারে শেষ পর্যায়ে বেশ কিছু ই-ভিসা ইস্যু হওয়া ও ফ্লাইটের স্বল্পতায় অনেকে যেতে পারেননি। তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। তবে মালয়েশিয়ায় যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের পুরো অর্থ ফেরত পাওয়ার প্রক্রিয়াটি জটিল। কারণ দেশটির সিস্টেমের কারণে অভিবাসন ব্যয়গুলো বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়েছে। রিক্রুটিং এজেন্সি একজন কর্মীকে পাঠানোর জন্য সরকার-নির্ধারিত ৭৯ হাজার নিয়েছে। অন্যান্য খাতে যে খরচ হয়েছে, সেটি ফেরত আনার সুযোগ এজেন্সির নেই।
গত মাসে (জুন) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর্মীদের মালয়েশিয়া পাঠাতে না পারার কারণ অনুসন্ধানে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ৫ লাখ ৩২ হাজার ১৬২ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিএমইটির ছাড়পত্র পান ৪ লাখ ৯৩ জন। আর শেষ পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া যেতে সক্ষম হন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও ১৭ হাজার ৭৭৭ হাজার জন কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি।
নির্ধারিত ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সির কারও ১০ জন, কারও ৫০ জন, কারও ৫০০ জন, কারও ৪০০ জন কর্মী যেতে পারেননি। এর মধ্যে প্রমাণপত্রসহ মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন যেতে না পারা ২ হাজার ২৫ জন কর্মী।
সরকারি হিসাবমতে, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারার কারণে কর্মীরা যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন, তার পরিমাণ টাকার অঙ্কে ৮০০ কোটির বেশি।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘যেসব কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। বায়রা ১৫ দিন সময় চেয়েছে। আমরা বলেছি, আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে। এ সময়ের মধ্যে যারা টাকা দিতে পারবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে বায়রা সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের নিবন্ধনের জন্য বায়রার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। যেসব কর্মী নিবন্ধন করবেন, তাঁদের সবাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তাঁরা যে পরিমাণ টাকা দিয়েছেন, আমরা তা সেই এজেন্সির কাছ থেকে আদায় করে দেব। অনেকেই এরই মধ্যে অর্থ ফেরত পেয়েছেন। অনেকে আবার সবকিছু ঠিক থাকার পরও উড়োজাহাজের ভাড়া বেশি হওয়ায় যাননি। অনেক কর্মী আবার অর্থ ফেরত নিতে চাচ্ছেন না। মালয়েশিয়া যেহেতু হয়নি, তাঁরা সৌদি আরব বা অন্য কোনো দেশে যেতে চান। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোও সেভাবে কাজ করছে।’
এদিকে চলতি মাসের শেষের দিকে কুয়ালালামপুরের সঙ্গে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের কথা রয়েছে। বৈঠকে পুনরায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার বিষয়টি তুলে ধরবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। আর বাজার খুললে যাঁরা যেতে পারেননি, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
অভিবাসন খাত নিয়ে কাজ করা বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থ ফেরত পাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগটি ইতিবাচক। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, কী পন্থায় সেটি বাস্তবায়ন করা হবে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের নিজ উদ্যোগেই প্রমাণসহ অর্থ দাবি করতে হচ্ছে। তৃতীয় কোনো পক্ষের সহায়তা না থাকলে ফরমাল ডকুমেন্টের বাইরে কোনো অর্থ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো দেবে না। ফলে যাঁরা অর্থ দাবি করবেন, তাঁরা সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকার মতো পেতে পারেন। আবার অনেকে অর্থ দাবি করার প্রক্রিয়াটিও ঠিকভাবে জানেন না। এ অবস্থায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ক্ষতি কমাতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের অন্য দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী আছেন। গত বছর সেখানে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন কর্মী। এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত গেছেন ৪৪ হাজার ৭২৭ জন। চার বছর পর ২০২২ সালে দেশটির শ্রমবাজার খুলেছিল। মালয়েশিয়া সরকার গত মার্চেই ঘোষণা করে, ৩১ মের পর আর কোনো নতুন বিদেশি শ্রমিক দেশটিতে ঢুকতে পারবেন না। সে হিসাবে গত ১ জুন থেকে আবার বন্ধ হয়েছে দেশটির শ্রমবাজার।
আরও খবর পড়ুন:

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
২ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনী কার্যক্রমের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটের কাজে কর্মকর্তা নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইসি।
এর আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ও এ জন্য বাজেট প্রণয়ন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করা, ভুল তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার রোধ এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমোদন ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং প্রয়োজনে বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গণমাধ্যমের বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে ভিসা প্রসেসিংসহ সব বিষয়ে সচিবের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বিগত সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য যেভাবে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছিল, এবারও তা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারণা চালানো ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে পোস্টাল ভোটের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ডাক বিভাগকে সমন্বয় ও গোপনীয়তা বজায় রেখে পোস্টাল ব্যালট দ্রুত ও নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া এবং ফেরত আনার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হবে।
এ ছাড়া আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে দেওয়া চিঠিতে ইসি জানায়, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সংস্কার এবং কেন্দ্রে যাতায়াতের ভাঙা ও সংকীর্ণ রাস্তা মেরামতের প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে ইসির সম্মতির প্রয়োজন হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনী কার্যক্রমের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটের কাজে কর্মকর্তা নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইসি।
এর আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ও এ জন্য বাজেট প্রণয়ন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করা, ভুল তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার রোধ এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমোদন ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং প্রয়োজনে বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গণমাধ্যমের বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে ভিসা প্রসেসিংসহ সব বিষয়ে সচিবের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বিগত সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য যেভাবে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছিল, এবারও তা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারণা চালানো ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে পোস্টাল ভোটের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ডাক বিভাগকে সমন্বয় ও গোপনীয়তা বজায় রেখে পোস্টাল ব্যালট দ্রুত ও নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া এবং ফেরত আনার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হবে।
এ ছাড়া আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে দেওয়া চিঠিতে ইসি জানায়, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সংস্কার এবং কেন্দ্রে যাতায়াতের ভাঙা ও সংকীর্ণ রাস্তা মেরামতের প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে ইসির সম্মতির প্রয়োজন হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

চলতি বছর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। টাকা জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র দেখানো সাপেক্ষে এই অর্থ ফেরত পাবেন তাঁরা। তবে যে পরিমাণ টাকা ফেরতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তা মোট খরচের তুলনায়
১৬ জুলাই ২০২৪
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
২ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সারা দেশে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে এই অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ দেওয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সব জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে শপথবাক্য পড়ান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সারা দেশে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে এই অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ দেওয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সব জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে শপথবাক্য পড়ান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

চলতি বছর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। টাকা জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র দেখানো সাপেক্ষে এই অর্থ ফেরত পাবেন তাঁরা। তবে যে পরিমাণ টাকা ফেরতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তা মোট খরচের তুলনায়
১৬ জুলাই ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
২ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। টাকা জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র দেখানো সাপেক্ষে এই অর্থ ফেরত পাবেন তাঁরা। তবে যে পরিমাণ টাকা ফেরতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তা মোট খরচের তুলনায়
১৬ জুলাই ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ বিআইডব্লিউটিএর জারি করা এক বিশেষ নৌ চলাচল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে, সেসবসহ অন্য সব নৌযানকে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বিধিমালা, ১৯৭৬ অনুসরণ করে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ বিআইডব্লিউটিএর জারি করা এক বিশেষ নৌ চলাচল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে, সেসবসহ অন্য সব নৌযানকে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বিধিমালা, ১৯৭৬ অনুসরণ করে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

চলতি বছর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। টাকা জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র দেখানো সাপেক্ষে এই অর্থ ফেরত পাবেন তাঁরা। তবে যে পরিমাণ টাকা ফেরতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তা মোট খরচের তুলনায়
১৬ জুলাই ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
২ ঘণ্টা আগে