আইনশৃঙ্খলার অবনতি
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য যৌথ বাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলাকালে বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই, ডাকাতি, সড়কে ডাকাতি, গুলি, হামলা, ধর্ষণের ঘটনায় আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মানুষ। পুলিশের টহল তেমন না থাকায় সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বাইরে বের হতে ভাবতে হচ্ছে মানুষকে। সারা দেশেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা গতকাল আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলার অবনতির বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারাও অস্বীকার করছেন না। তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ জন্য দায়ী করেছেন পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগীদের। বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোর কমিটির সভা শেষে তিনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলার উন্নতিতে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।
ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে পুলিশের তিনটি বিশেষায়িত ইউনিট শিগগির মাঠে নামছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, ডিএমপি, র্যাব ও অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট যৌথ অভিযান চালাবে, যা রাত থেকে বাস্তবায়ন হবে।
পুলিশের পুরোদমে সক্রিয় না হওয়ার সুযোগে কয়েক মাস ধরেই ছিনতাই, ডাকাতি, গুলি, হামলার ঘটনা বেড়েছে। রাজধানীর উত্তরায় এক দম্পতিকে কোপানোর ও টাঙ্গাইলে বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানির ঘটনার রেশ না কাটতেই গত রোববার রাতে ঢাকা শহরে একাধিক জায়গায় গুলি করে ছিনতাই ও ডাকাতি হয়েছে। বনশ্রী ডি ব্লকে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আনোয়ার হোসেন নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২০০ ভরি সোনা ও ১ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর দুই ঊরুতে দুটি ও পাশে একটি গুলি লাগে। তাঁর হাত, পা ও ঊরুতে কোপানো হয়। মোবাইলে ধারণ করা এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শেয়ার হতে থাকে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে।

বনশ্রীর ওই ঘটনার কিছু আগে ধানমন্ডির শংকরে ১০-১২ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডাকাতির জন্য মহড়া দেয়। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় মসজিদের মাইকে মহল্লায় ডাকাত দল প্রবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
শনিবার রাতে নওগাঁর পত্নীতলায় সড়কে গাছ ফেলে একটি বাস ও একটি মাইক্রোবাসে ডাকাতি হয়। একই রাতে ঢাকার আশুলিয়ার জিরানী নিজ বাসায় ডাকাতের গুলিতে আহত হন অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদ। ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় তাঁর পায়ে তিনটি গুলি করা হয়। তাঁর মা ও স্ত্রীও আহত হন।
শুক্রবার ঝিনাইদহে তিনজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দায় স্বীকার করে একটি লিফলেটে লেখা ছিল ‘কালু, জাসদ গণবাহিনী’।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন অবনতিতে সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। রাজশাহীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘টাকা থাকলে, বদ মতলব থাকলে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার মতো অনেক কিছু করা যায়। আমাদের ব্যর্থতা আছে, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।’
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ধানমন্ডির একাংশ ও মোহাম্মদপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বেশি অবনতি হয়। মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা ও বেসরকারি চাকরিজীবী এনামুল হোসেন বলেন, মোহাম্মদপুরের কিছু এলাকায় ছিনতাইকারীদের এত দৌরাত্ম্য যে দিনের বেলায়ও যাওয়া যায় না। তিনি ছিনতাইয়ের ভয়ে অফিস ছুটির সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে দ্রুত বাসায় চলে আসেন।
রাজধানীর আরও অনেক এলাকায় বেড়েছে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য। কেবল নীরব সড়কে নয়, যানজটে আটকে থাকা যানবাহনেও হচ্ছে ছিনতাই। যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রলপাম্প এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতে জটে আটকে পড়া যানবাহনের যাত্রী-চালক মাঝেমধ্যে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ছেন। পথচারীরাও বাদ যাচ্ছেন না।
১৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী একটি বাস টাঙ্গাইলে পৌঁছালে যাত্রীবেশী ডাকাতেরা বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা তারা বাসটি নিয়ন্ত্রণে রেখে যাত্রীদের টাকা, স্বর্ণালংকার, মালামাল লুট করে। নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি করে। ধর্ষণের অভিযোগও শোনা গেছে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি, তবে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে সারা দেশে ৭১টি ডাকাতি, ১৭১টি ছিনতাই, ২৯৪টি খুন, ১০৫টি অপহরণের মামলা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীতে ঘটেছে ৮টি ডাকাতি, ৫৪টি ছিনতাই, ৩৬টি খুন ও ৩১টি অপহরণ। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অপরাধের সংখ্যা পরিসংখ্যানের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি।
আইনশৃঙ্খলার এই পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে রোববার গভীর রাতে বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হয়ে তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এর পর রাত ৩টায় বারিধারায় নিজ বাসভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগের দোসররা। তাদের হাতে প্রচুর টাকা রয়েছে। সেসব টাকা দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। কিন্তু সেই সুযোগ তারা পাবে না। তাদের সবার ঘুম হারাম করে দেব।’ নিজের পদত্যাগের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা চায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হোক। সেটাই করার চেষ্টা করছি। সফল হলে পদত্যাগের প্রসঙ্গ আসবে না।’
দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, এমন পরিস্থিতির নেপথ্য কারণ পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্তদের একটি বড় অংশ পুলিশ বাহিনীতে রয়েছে। তাদের গা-ছাড়া ভাব রয়েছে। এ ছাড়া ওই সময়ে পুলিশে সুবিধাভোগীদের একটি অংশও আছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ অনেক অপরাধী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। পুলিশের যথাযথ টহল, নজরদারি, সক্রিয়তা না থাকার সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা।
পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে কাজ করছে সেনাবাহিনী। গতকাল সাভার সেনানিবাসে ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, মাঝে মাঝে কাজ করতে গিয়ে কিছু বলপ্রয়োগ হয়ে যায়। বল প্রয়োগ করতে গেলেও অত্যন্ত পেশাদারত্বের সঙ্গে যেন হয় এবং যত কম বল প্রয়োগ করা যায়, ততই ভালো।
অপরাধ বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘অপরাধীদের দৌরাত্ম্য যতটা বাড়ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা এর চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। যে কারণে পরিস্থিতি আর উন্নতি হচ্ছে না।’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য যৌথ বাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলাকালে বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই, ডাকাতি, সড়কে ডাকাতি, গুলি, হামলা, ধর্ষণের ঘটনায় আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মানুষ। পুলিশের টহল তেমন না থাকায় সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বাইরে বের হতে ভাবতে হচ্ছে মানুষকে। সারা দেশেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা গতকাল আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলার অবনতির বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারাও অস্বীকার করছেন না। তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ জন্য দায়ী করেছেন পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগীদের। বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোর কমিটির সভা শেষে তিনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলার উন্নতিতে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।
ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে পুলিশের তিনটি বিশেষায়িত ইউনিট শিগগির মাঠে নামছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, ডিএমপি, র্যাব ও অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট যৌথ অভিযান চালাবে, যা রাত থেকে বাস্তবায়ন হবে।
পুলিশের পুরোদমে সক্রিয় না হওয়ার সুযোগে কয়েক মাস ধরেই ছিনতাই, ডাকাতি, গুলি, হামলার ঘটনা বেড়েছে। রাজধানীর উত্তরায় এক দম্পতিকে কোপানোর ও টাঙ্গাইলে বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানির ঘটনার রেশ না কাটতেই গত রোববার রাতে ঢাকা শহরে একাধিক জায়গায় গুলি করে ছিনতাই ও ডাকাতি হয়েছে। বনশ্রী ডি ব্লকে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আনোয়ার হোসেন নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২০০ ভরি সোনা ও ১ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর দুই ঊরুতে দুটি ও পাশে একটি গুলি লাগে। তাঁর হাত, পা ও ঊরুতে কোপানো হয়। মোবাইলে ধারণ করা এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শেয়ার হতে থাকে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে।

বনশ্রীর ওই ঘটনার কিছু আগে ধানমন্ডির শংকরে ১০-১২ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডাকাতির জন্য মহড়া দেয়। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় মসজিদের মাইকে মহল্লায় ডাকাত দল প্রবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
শনিবার রাতে নওগাঁর পত্নীতলায় সড়কে গাছ ফেলে একটি বাস ও একটি মাইক্রোবাসে ডাকাতি হয়। একই রাতে ঢাকার আশুলিয়ার জিরানী নিজ বাসায় ডাকাতের গুলিতে আহত হন অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদ। ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় তাঁর পায়ে তিনটি গুলি করা হয়। তাঁর মা ও স্ত্রীও আহত হন।
শুক্রবার ঝিনাইদহে তিনজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দায় স্বীকার করে একটি লিফলেটে লেখা ছিল ‘কালু, জাসদ গণবাহিনী’।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন অবনতিতে সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। রাজশাহীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘টাকা থাকলে, বদ মতলব থাকলে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার মতো অনেক কিছু করা যায়। আমাদের ব্যর্থতা আছে, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।’
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ধানমন্ডির একাংশ ও মোহাম্মদপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বেশি অবনতি হয়। মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা ও বেসরকারি চাকরিজীবী এনামুল হোসেন বলেন, মোহাম্মদপুরের কিছু এলাকায় ছিনতাইকারীদের এত দৌরাত্ম্য যে দিনের বেলায়ও যাওয়া যায় না। তিনি ছিনতাইয়ের ভয়ে অফিস ছুটির সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে দ্রুত বাসায় চলে আসেন।
রাজধানীর আরও অনেক এলাকায় বেড়েছে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য। কেবল নীরব সড়কে নয়, যানজটে আটকে থাকা যানবাহনেও হচ্ছে ছিনতাই। যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রলপাম্প এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতে জটে আটকে পড়া যানবাহনের যাত্রী-চালক মাঝেমধ্যে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ছেন। পথচারীরাও বাদ যাচ্ছেন না।
১৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী একটি বাস টাঙ্গাইলে পৌঁছালে যাত্রীবেশী ডাকাতেরা বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা তারা বাসটি নিয়ন্ত্রণে রেখে যাত্রীদের টাকা, স্বর্ণালংকার, মালামাল লুট করে। নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি করে। ধর্ষণের অভিযোগও শোনা গেছে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি, তবে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে সারা দেশে ৭১টি ডাকাতি, ১৭১টি ছিনতাই, ২৯৪টি খুন, ১০৫টি অপহরণের মামলা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীতে ঘটেছে ৮টি ডাকাতি, ৫৪টি ছিনতাই, ৩৬টি খুন ও ৩১টি অপহরণ। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অপরাধের সংখ্যা পরিসংখ্যানের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি।
আইনশৃঙ্খলার এই পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে রোববার গভীর রাতে বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হয়ে তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এর পর রাত ৩টায় বারিধারায় নিজ বাসভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগের দোসররা। তাদের হাতে প্রচুর টাকা রয়েছে। সেসব টাকা দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। কিন্তু সেই সুযোগ তারা পাবে না। তাদের সবার ঘুম হারাম করে দেব।’ নিজের পদত্যাগের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা চায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হোক। সেটাই করার চেষ্টা করছি। সফল হলে পদত্যাগের প্রসঙ্গ আসবে না।’
দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, এমন পরিস্থিতির নেপথ্য কারণ পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্তদের একটি বড় অংশ পুলিশ বাহিনীতে রয়েছে। তাদের গা-ছাড়া ভাব রয়েছে। এ ছাড়া ওই সময়ে পুলিশে সুবিধাভোগীদের একটি অংশও আছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ অনেক অপরাধী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। পুলিশের যথাযথ টহল, নজরদারি, সক্রিয়তা না থাকার সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা।
পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে কাজ করছে সেনাবাহিনী। গতকাল সাভার সেনানিবাসে ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, মাঝে মাঝে কাজ করতে গিয়ে কিছু বলপ্রয়োগ হয়ে যায়। বল প্রয়োগ করতে গেলেও অত্যন্ত পেশাদারত্বের সঙ্গে যেন হয় এবং যত কম বল প্রয়োগ করা যায়, ততই ভালো।
অপরাধ বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘অপরাধীদের দৌরাত্ম্য যতটা বাড়ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা এর চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। যে কারণে পরিস্থিতি আর উন্নতি হচ্ছে না।’
আইনশৃঙ্খলার অবনতি
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য যৌথ বাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলাকালে বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই, ডাকাতি, সড়কে ডাকাতি, গুলি, হামলা, ধর্ষণের ঘটনায় আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মানুষ। পুলিশের টহল তেমন না থাকায় সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বাইরে বের হতে ভাবতে হচ্ছে মানুষকে। সারা দেশেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা গতকাল আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলার অবনতির বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারাও অস্বীকার করছেন না। তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ জন্য দায়ী করেছেন পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগীদের। বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোর কমিটির সভা শেষে তিনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলার উন্নতিতে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।
ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে পুলিশের তিনটি বিশেষায়িত ইউনিট শিগগির মাঠে নামছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, ডিএমপি, র্যাব ও অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট যৌথ অভিযান চালাবে, যা রাত থেকে বাস্তবায়ন হবে।
পুলিশের পুরোদমে সক্রিয় না হওয়ার সুযোগে কয়েক মাস ধরেই ছিনতাই, ডাকাতি, গুলি, হামলার ঘটনা বেড়েছে। রাজধানীর উত্তরায় এক দম্পতিকে কোপানোর ও টাঙ্গাইলে বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানির ঘটনার রেশ না কাটতেই গত রোববার রাতে ঢাকা শহরে একাধিক জায়গায় গুলি করে ছিনতাই ও ডাকাতি হয়েছে। বনশ্রী ডি ব্লকে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আনোয়ার হোসেন নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২০০ ভরি সোনা ও ১ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর দুই ঊরুতে দুটি ও পাশে একটি গুলি লাগে। তাঁর হাত, পা ও ঊরুতে কোপানো হয়। মোবাইলে ধারণ করা এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শেয়ার হতে থাকে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে।

বনশ্রীর ওই ঘটনার কিছু আগে ধানমন্ডির শংকরে ১০-১২ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডাকাতির জন্য মহড়া দেয়। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় মসজিদের মাইকে মহল্লায় ডাকাত দল প্রবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
শনিবার রাতে নওগাঁর পত্নীতলায় সড়কে গাছ ফেলে একটি বাস ও একটি মাইক্রোবাসে ডাকাতি হয়। একই রাতে ঢাকার আশুলিয়ার জিরানী নিজ বাসায় ডাকাতের গুলিতে আহত হন অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদ। ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় তাঁর পায়ে তিনটি গুলি করা হয়। তাঁর মা ও স্ত্রীও আহত হন।
শুক্রবার ঝিনাইদহে তিনজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দায় স্বীকার করে একটি লিফলেটে লেখা ছিল ‘কালু, জাসদ গণবাহিনী’।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন অবনতিতে সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। রাজশাহীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘টাকা থাকলে, বদ মতলব থাকলে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার মতো অনেক কিছু করা যায়। আমাদের ব্যর্থতা আছে, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।’
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ধানমন্ডির একাংশ ও মোহাম্মদপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বেশি অবনতি হয়। মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা ও বেসরকারি চাকরিজীবী এনামুল হোসেন বলেন, মোহাম্মদপুরের কিছু এলাকায় ছিনতাইকারীদের এত দৌরাত্ম্য যে দিনের বেলায়ও যাওয়া যায় না। তিনি ছিনতাইয়ের ভয়ে অফিস ছুটির সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে দ্রুত বাসায় চলে আসেন।
রাজধানীর আরও অনেক এলাকায় বেড়েছে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য। কেবল নীরব সড়কে নয়, যানজটে আটকে থাকা যানবাহনেও হচ্ছে ছিনতাই। যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রলপাম্প এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতে জটে আটকে পড়া যানবাহনের যাত্রী-চালক মাঝেমধ্যে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ছেন। পথচারীরাও বাদ যাচ্ছেন না।
১৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী একটি বাস টাঙ্গাইলে পৌঁছালে যাত্রীবেশী ডাকাতেরা বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা তারা বাসটি নিয়ন্ত্রণে রেখে যাত্রীদের টাকা, স্বর্ণালংকার, মালামাল লুট করে। নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি করে। ধর্ষণের অভিযোগও শোনা গেছে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি, তবে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে সারা দেশে ৭১টি ডাকাতি, ১৭১টি ছিনতাই, ২৯৪টি খুন, ১০৫টি অপহরণের মামলা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীতে ঘটেছে ৮টি ডাকাতি, ৫৪টি ছিনতাই, ৩৬টি খুন ও ৩১টি অপহরণ। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অপরাধের সংখ্যা পরিসংখ্যানের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি।
আইনশৃঙ্খলার এই পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে রোববার গভীর রাতে বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হয়ে তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এর পর রাত ৩টায় বারিধারায় নিজ বাসভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগের দোসররা। তাদের হাতে প্রচুর টাকা রয়েছে। সেসব টাকা দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। কিন্তু সেই সুযোগ তারা পাবে না। তাদের সবার ঘুম হারাম করে দেব।’ নিজের পদত্যাগের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা চায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হোক। সেটাই করার চেষ্টা করছি। সফল হলে পদত্যাগের প্রসঙ্গ আসবে না।’
দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, এমন পরিস্থিতির নেপথ্য কারণ পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্তদের একটি বড় অংশ পুলিশ বাহিনীতে রয়েছে। তাদের গা-ছাড়া ভাব রয়েছে। এ ছাড়া ওই সময়ে পুলিশে সুবিধাভোগীদের একটি অংশও আছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ অনেক অপরাধী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। পুলিশের যথাযথ টহল, নজরদারি, সক্রিয়তা না থাকার সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা।
পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে কাজ করছে সেনাবাহিনী। গতকাল সাভার সেনানিবাসে ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, মাঝে মাঝে কাজ করতে গিয়ে কিছু বলপ্রয়োগ হয়ে যায়। বল প্রয়োগ করতে গেলেও অত্যন্ত পেশাদারত্বের সঙ্গে যেন হয় এবং যত কম বল প্রয়োগ করা যায়, ততই ভালো।
অপরাধ বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘অপরাধীদের দৌরাত্ম্য যতটা বাড়ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা এর চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। যে কারণে পরিস্থিতি আর উন্নতি হচ্ছে না।’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য যৌথ বাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলাকালে বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই, ডাকাতি, সড়কে ডাকাতি, গুলি, হামলা, ধর্ষণের ঘটনায় আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মানুষ। পুলিশের টহল তেমন না থাকায় সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বাইরে বের হতে ভাবতে হচ্ছে মানুষকে। সারা দেশেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা গতকাল আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলার অবনতির বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারাও অস্বীকার করছেন না। তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ জন্য দায়ী করেছেন পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগীদের। বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোর কমিটির সভা শেষে তিনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলার উন্নতিতে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।
ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে পুলিশের তিনটি বিশেষায়িত ইউনিট শিগগির মাঠে নামছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, ডিএমপি, র্যাব ও অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট যৌথ অভিযান চালাবে, যা রাত থেকে বাস্তবায়ন হবে।
পুলিশের পুরোদমে সক্রিয় না হওয়ার সুযোগে কয়েক মাস ধরেই ছিনতাই, ডাকাতি, গুলি, হামলার ঘটনা বেড়েছে। রাজধানীর উত্তরায় এক দম্পতিকে কোপানোর ও টাঙ্গাইলে বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানির ঘটনার রেশ না কাটতেই গত রোববার রাতে ঢাকা শহরে একাধিক জায়গায় গুলি করে ছিনতাই ও ডাকাতি হয়েছে। বনশ্রী ডি ব্লকে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আনোয়ার হোসেন নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২০০ ভরি সোনা ও ১ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর দুই ঊরুতে দুটি ও পাশে একটি গুলি লাগে। তাঁর হাত, পা ও ঊরুতে কোপানো হয়। মোবাইলে ধারণ করা এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শেয়ার হতে থাকে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে।

বনশ্রীর ওই ঘটনার কিছু আগে ধানমন্ডির শংকরে ১০-১২ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডাকাতির জন্য মহড়া দেয়। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় মসজিদের মাইকে মহল্লায় ডাকাত দল প্রবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
শনিবার রাতে নওগাঁর পত্নীতলায় সড়কে গাছ ফেলে একটি বাস ও একটি মাইক্রোবাসে ডাকাতি হয়। একই রাতে ঢাকার আশুলিয়ার জিরানী নিজ বাসায় ডাকাতের গুলিতে আহত হন অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদ। ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় তাঁর পায়ে তিনটি গুলি করা হয়। তাঁর মা ও স্ত্রীও আহত হন।
শুক্রবার ঝিনাইদহে তিনজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দায় স্বীকার করে একটি লিফলেটে লেখা ছিল ‘কালু, জাসদ গণবাহিনী’।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন অবনতিতে সরকারের ব্যর্থতা রয়েছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। রাজশাহীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘টাকা থাকলে, বদ মতলব থাকলে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার মতো অনেক কিছু করা যায়। আমাদের ব্যর্থতা আছে, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।’
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ধানমন্ডির একাংশ ও মোহাম্মদপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বেশি অবনতি হয়। মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা ও বেসরকারি চাকরিজীবী এনামুল হোসেন বলেন, মোহাম্মদপুরের কিছু এলাকায় ছিনতাইকারীদের এত দৌরাত্ম্য যে দিনের বেলায়ও যাওয়া যায় না। তিনি ছিনতাইয়ের ভয়ে অফিস ছুটির সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে দ্রুত বাসায় চলে আসেন।
রাজধানীর আরও অনেক এলাকায় বেড়েছে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য। কেবল নীরব সড়কে নয়, যানজটে আটকে থাকা যানবাহনেও হচ্ছে ছিনতাই। যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রলপাম্প এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতে জটে আটকে পড়া যানবাহনের যাত্রী-চালক মাঝেমধ্যে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ছেন। পথচারীরাও বাদ যাচ্ছেন না।
১৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী একটি বাস টাঙ্গাইলে পৌঁছালে যাত্রীবেশী ডাকাতেরা বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা তারা বাসটি নিয়ন্ত্রণে রেখে যাত্রীদের টাকা, স্বর্ণালংকার, মালামাল লুট করে। নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি করে। ধর্ষণের অভিযোগও শোনা গেছে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি, তবে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে সারা দেশে ৭১টি ডাকাতি, ১৭১টি ছিনতাই, ২৯৪টি খুন, ১০৫টি অপহরণের মামলা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীতে ঘটেছে ৮টি ডাকাতি, ৫৪টি ছিনতাই, ৩৬টি খুন ও ৩১টি অপহরণ। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অপরাধের সংখ্যা পরিসংখ্যানের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি।
আইনশৃঙ্খলার এই পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে রোববার গভীর রাতে বিক্ষোভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হয়ে তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এর পর রাত ৩টায় বারিধারায় নিজ বাসভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগের দোসররা। তাদের হাতে প্রচুর টাকা রয়েছে। সেসব টাকা দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। কিন্তু সেই সুযোগ তারা পাবে না। তাদের সবার ঘুম হারাম করে দেব।’ নিজের পদত্যাগের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা চায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হোক। সেটাই করার চেষ্টা করছি। সফল হলে পদত্যাগের প্রসঙ্গ আসবে না।’
দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, এমন পরিস্থিতির নেপথ্য কারণ পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্তদের একটি বড় অংশ পুলিশ বাহিনীতে রয়েছে। তাদের গা-ছাড়া ভাব রয়েছে। এ ছাড়া ওই সময়ে পুলিশে সুবিধাভোগীদের একটি অংশও আছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ অনেক অপরাধী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। পুলিশের যথাযথ টহল, নজরদারি, সক্রিয়তা না থাকার সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা।
পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে কাজ করছে সেনাবাহিনী। গতকাল সাভার সেনানিবাসে ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, মাঝে মাঝে কাজ করতে গিয়ে কিছু বলপ্রয়োগ হয়ে যায়। বল প্রয়োগ করতে গেলেও অত্যন্ত পেশাদারত্বের সঙ্গে যেন হয় এবং যত কম বল প্রয়োগ করা যায়, ততই ভালো।
অপরাধ বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘অপরাধীদের দৌরাত্ম্য যতটা বাড়ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা এর চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। যে কারণে পরিস্থিতি আর উন্নতি হচ্ছে না।’

আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবিপ্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইন সচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।
৭ মিনিট আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৭ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও সম্মুখ সারির জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনায় জুলাই যোদ্ধারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের করা রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবিপ্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইন সচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।
এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
গত শুক্রবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এ বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবিপ্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইন সচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।
এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
গত শুক্রবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এ বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য যৌথ বাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলাকালে বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই, ডাকাতি, সড়কে ডাকাতি, গুলি, হামলা, ধর্ষণের ঘটনায় আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মানুষ। পুলিশের টহল তেমন না থাকায় সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বাইরে বের হতে ভাবতে হচ্ছে মানুষকে। সারা দেশেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৭ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও সম্মুখ সারির জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনায় জুলাই যোদ্ধারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের করা রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কর্তৃক এই নৃশংস ড্রোন হামলাটি পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় কর্তব্যরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন। শহীদদের আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।
ড্রোন হামলায় শহীদ হয়েছেন ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। তাঁরা হলেন নাটোরের কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (এএসসি), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (বীর), রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা (বীর), কুড়িগ্রামের সৈনিক শান্ত মন্ডল (বীর), কিশোরগঞ্জের মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।
হামলায় আহত হয়েছেন আটজন শান্তিরক্ষী। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়ার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (পিএসসি, অর্ডন্যান্স), দিনাজপুরের সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (বীর), ঢাকার কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (সিগন্যালস), বরগুনার ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (ইএমই), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (বীর), রংপুরের সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার (ইঞ্জিনিয়ারিং), মানিকগঞ্জের সৈনিক চুমকি আক্তার (অর্ডন্যান্স) এবং নোয়াখালীর সৈনিক মো. মানাজির আহসান (বীর)।
আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে সৈনিক মো. মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাঁর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অপর সাত আহত শান্তিরক্ষীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানান্তরিত সকলেই বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কর্তৃক এই নৃশংস ড্রোন হামলাটি পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় কর্তব্যরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন। শহীদদের আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।
ড্রোন হামলায় শহীদ হয়েছেন ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। তাঁরা হলেন নাটোরের কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (এএসসি), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (বীর), রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা (বীর), কুড়িগ্রামের সৈনিক শান্ত মন্ডল (বীর), কিশোরগঞ্জের মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।
হামলায় আহত হয়েছেন আটজন শান্তিরক্ষী। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়ার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (পিএসসি, অর্ডন্যান্স), দিনাজপুরের সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (বীর), ঢাকার কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (সিগন্যালস), বরগুনার ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (ইএমই), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (বীর), রংপুরের সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার (ইঞ্জিনিয়ারিং), মানিকগঞ্জের সৈনিক চুমকি আক্তার (অর্ডন্যান্স) এবং নোয়াখালীর সৈনিক মো. মানাজির আহসান (বীর)।
আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে সৈনিক মো. মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাঁর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অপর সাত আহত শান্তিরক্ষীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানান্তরিত সকলেই বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য যৌথ বাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলাকালে বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই, ডাকাতি, সড়কে ডাকাতি, গুলি, হামলা, ধর্ষণের ঘটনায় আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মানুষ। পুলিশের টহল তেমন না থাকায় সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বাইরে বের হতে ভাবতে হচ্ছে মানুষকে। সারা দেশেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবিপ্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইন সচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।
৭ মিনিট আগে
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৭ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও সম্মুখ সারির জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনায় জুলাই যোদ্ধারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের করা রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর মিরপুরে আজ রোববার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আসেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির পর সকাল সোয়া ৭টার দিকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর সেখানে তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল সালাম জানায়। তখন বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সব অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবিচল সাহস ও দৃঢ় অবস্থান দেশের ইতিহাসে অনন্য ও চিরস্মরণীয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাতে দেওয়া এক বাণীতে তিনি আরও বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা নির্মমভাবে হত্যা করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। আমি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি সেসব সূর্যসন্তান ও শহীদ বুদ্ধিজীবীকে, যাঁদের আত্মদান আমাদের মুক্তির সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছে। আমি তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীরা একটি জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম রূপকার।’
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে সম্মুখসারির যোদ্ধা।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ, সাংস্কৃতিক চর্চা ও ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। যুদ্ধকালীন সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে জাতিকে বিজয়ের পথে এগিয়ে নিতেও তাঁদের ছিল অসামান্য ভূমিকা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক দুঃখজনক ও কলঙ্কময় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিনগুলোতে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। শোকাবহ এই দিনে আমি শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করি।’
তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে সম্মুখসারির যোদ্ধা। বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ, সাংস্কৃতিক চর্চা ও ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। যুদ্ধকালীন সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে জাতিকে বিজয়ের পথে এগিয়ে নিতেও তাঁদের ছিল অসামান্য ভূমিকা।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রাক্কালে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা এসব দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক, রাজনৈতিক ও চিন্তাবিদসহ দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে গুম ও হত্যা করে। এ পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে থাকা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করে একটি ব্যর্থ জাতিতে পরিণত করাই ছিল স্বাধীনতাবিরোধীদের মূল উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি গণতান্ত্রিক উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমগ্র জাতিকে সঙ্গে নিয়ে তেমনই একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছে। এর মাধ্যমে আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আমৃত্যু লালিত স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সবাইকে নতুনভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আসুন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে তুলি উন্নত, সমৃদ্ধ আগামীর বাংলাদেশ।’
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাসই বুদ্ধিজীবীদের ধরে ধরে হত্যা করা হচ্ছিল, তবে ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে একযোগে ধরে নেওয়া হয় বহু বুদ্ধিজীবীকে। বিজয়ের পরই তাঁদের অনেকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহের সন্ধান মেলে। এ দিনটিকে তাই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করে জাতি।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর মিরপুরে আজ রোববার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আসেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির পর সকাল সোয়া ৭টার দিকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর সেখানে তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল সালাম জানায়। তখন বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সব অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবিচল সাহস ও দৃঢ় অবস্থান দেশের ইতিহাসে অনন্য ও চিরস্মরণীয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাতে দেওয়া এক বাণীতে তিনি আরও বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা নির্মমভাবে হত্যা করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। আমি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি সেসব সূর্যসন্তান ও শহীদ বুদ্ধিজীবীকে, যাঁদের আত্মদান আমাদের মুক্তির সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছে। আমি তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীরা একটি জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম রূপকার।’
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে সম্মুখসারির যোদ্ধা।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ, সাংস্কৃতিক চর্চা ও ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। যুদ্ধকালীন সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে জাতিকে বিজয়ের পথে এগিয়ে নিতেও তাঁদের ছিল অসামান্য ভূমিকা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক দুঃখজনক ও কলঙ্কময় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিনগুলোতে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। শোকাবহ এই দিনে আমি শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করি।’
তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে সম্মুখসারির যোদ্ধা। বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের মেধা ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ, সাংস্কৃতিক চর্চা ও ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। যুদ্ধকালীন সরকারকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত পরামর্শ দিয়ে জাতিকে বিজয়ের পথে এগিয়ে নিতেও তাঁদের ছিল অসামান্য ভূমিকা।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রাক্কালে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরেরা এসব দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক, রাজনৈতিক ও চিন্তাবিদসহ দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে গুম ও হত্যা করে। এ পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে থাকা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করে একটি ব্যর্থ জাতিতে পরিণত করাই ছিল স্বাধীনতাবিরোধীদের মূল উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি গণতান্ত্রিক উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমগ্র জাতিকে সঙ্গে নিয়ে তেমনই একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছে। এর মাধ্যমে আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আমৃত্যু লালিত স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সবাইকে নতুনভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আসুন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে তুলি উন্নত, সমৃদ্ধ আগামীর বাংলাদেশ।’
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাসই বুদ্ধিজীবীদের ধরে ধরে হত্যা করা হচ্ছিল, তবে ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে একযোগে ধরে নেওয়া হয় বহু বুদ্ধিজীবীকে। বিজয়ের পরই তাঁদের অনেকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহের সন্ধান মেলে। এ দিনটিকে তাই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করে জাতি।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য যৌথ বাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলাকালে বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই, ডাকাতি, সড়কে ডাকাতি, গুলি, হামলা, ধর্ষণের ঘটনায় আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মানুষ। পুলিশের টহল তেমন না থাকায় সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বাইরে বের হতে ভাবতে হচ্ছে মানুষকে। সারা দেশেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবিপ্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইন সচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।
৭ মিনিট আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও সম্মুখ সারির জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনায় জুলাই যোদ্ধারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের করা রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগেঅর্চি হক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও সম্মুখ সারির জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনায় জুলাই যোদ্ধারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের করা রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। জুলাই যোদ্ধারা সরকারের কাছে দ্রুত তাঁদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের নিরাপত্তা দিতে কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটি মূল্যায়ন করে ব্যবস্থা করবে।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেছেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার পর এনসিপির শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাদের মধ্যেও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এনসিপির বাইরে থাকা জুলাই যোদ্ধারাও সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং অচেনা মোবাইল নম্বর থেকে হুমকি পাচ্ছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা যাঁরা গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলাম, আমাদের গণ-অভ্যুত্থানের জুলাই যোদ্ধা, আহত, শহীদ পরিবার—সবাই হুমকির মুখে আছেন। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও সংকট তৈরি হয়েছে।’
এনসিপির নেতারা জানান, তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং কর্মী-সমর্থকেরাও নানাভাবে হুমকি পাচ্ছেন। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ, তবে ভীত নই। আমি যে আসন থেকে নির্বাচন করব, সেখানে নিয়মিত আমাকে ও আমার নেতা-কর্মীদের, এমনকি সাধারণ ভোটারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমার নেতা-কর্মীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছি। তবে এখনো থানায় অভিযোগ করিনি।’ এনসিপি তাঁকে নরসিংদী-২ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা অনেকেই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তাঁদের অনেকে বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের পলাতক নেতারা বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও অ্যাকাউন্ট থেকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা বলেন, বর্তমান সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। হাদির ওপর হামলার ঘটনা এটা স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিচ্ছে।
রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ইতিমধ্যে কয়েকবার ককটেল হামলা হয়েছে। দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর কয়েকবার হামলা করা হয়েছে। এনসিপির নেতারা বলছেন, তাঁরা মনে করেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দোসরদের বিভিন্ন স্থানে জায়গা দেওয়ার কারণেই জুলাই যোদ্ধারা হুমকির মুখে পড়েছেন। বারবার হুমকি দেওয়ার পর ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানো হয়েছে।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব এবং মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন বলেন, ‘আমরা শুধু নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত নই। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের নিরাপত্তা এবং পুরো বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি বিদেশি শক্তির মদদে পুরো দেশবাসীর নিরাপত্তার জন্যই হুমকি।’
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, দেশের প্রশাসনে, মিডিয়ায়, ব্যবসা-বাণিজ্যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের দোসর এবং সহযোগীরা রয়েছে। তারা এদের (হাদির মতো নেতাদের) হত্যার মতো উৎপাদন সৃষ্টি করছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন প্রকাশ্যে ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় নির্বাচনী প্রচারে নামা নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার একটি আসনের সম্ভাব্য এক প্রার্থী বলেন, তাঁদের সঙ্গেও যে একই ঘটনা ঘটবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়? তাঁদের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের জীবনের নিশ্চয়তা কে দেবে? বাধ্য হয়েই প্রচারে কিছু বদল আনতে হচ্ছে। দ্বিতীয়বার ভাবতে হচ্ছে।
সারোয়ার তুষার বলেন, তাঁরা দমে যাবেন না। তবে নির্বাচনী প্রচারের পরিবেশ নেই। সাধারণ ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা দলীয় আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে। এ পরিস্থিতি চলমান থাকলে নির্বাচনে সহিংসতা হতে পারে, ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে। জনগণের রায় কতটা প্রতিফলিত হবে, সে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে।
জুলাই যোদ্ধা এবং ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরই যদি নিরাপত্তা না থাকে, তাঁকে যদি দিবালোকে গুলি করা যায়, তাহলে এর মাধ্যমে আসলে সবাইকে এটাই বোঝানো হচ্ছে, কেউ নিরাপদ নন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা এক বছর ধরেই তাঁর পদত্যাগ চাইছি। এ জন্য আমাদের মামলাও খেতে হয়েছে।’
পতিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দেশের পরিস্থিতি অস্থির করার অপচেষ্টা করছে বলে মনে করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে গত শুক্রবার রাতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদের দোসর যারা জামিনে আছে, যাদের হাতে অস্ত্র ও অর্থ আছে, তাদের জেলখানার বাইরে রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করার সদিচ্ছা থাকলে এই সন্ত্রাসীদের ‘চৌদ্দ শিকের মধ্যে’ ঢোকাতে হবে।
এনসিপির যুব শাখা জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম বলেন, তাঁরা অবিলম্বে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চান।
এদিকে গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম সারির যোদ্ধাদের সরকারিভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর। সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য একটি কমিটি করে দিয়েছি। ওই কমিটি মূল্যায়ন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এত দিন শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের হাতিয়ার (ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র) দেওয়া হতো। এখন থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের বাইরে যাঁরা নির্বাচনে অংশ নেবেন, তাঁরাও যদি অস্ত্র চান তাহলে আমরা লাইসেন্স দেব। নির্বাচনে যাঁরা অংশ নেবেন তাঁদের ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র যদি সরকারের কাছে জমা থাকে, সেগুলো তাঁদের ফেরত দেওয়া হবে। এর বাইরেও প্রার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনো শঙ্কা নেই জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তার ব্যাপারে যত ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার আমরা নেব এবং তাঁর নিরাপত্তা দেব।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত শুক্রবার জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় আসবেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও সম্মুখ সারির জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনায় জুলাই যোদ্ধারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের করা রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। জুলাই যোদ্ধারা সরকারের কাছে দ্রুত তাঁদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের নিরাপত্তা দিতে কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটি মূল্যায়ন করে ব্যবস্থা করবে।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেছেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার পর এনসিপির শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাদের মধ্যেও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এনসিপির বাইরে থাকা জুলাই যোদ্ধারাও সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং অচেনা মোবাইল নম্বর থেকে হুমকি পাচ্ছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা যাঁরা গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলাম, আমাদের গণ-অভ্যুত্থানের জুলাই যোদ্ধা, আহত, শহীদ পরিবার—সবাই হুমকির মুখে আছেন। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও সংকট তৈরি হয়েছে।’
এনসিপির নেতারা জানান, তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং কর্মী-সমর্থকেরাও নানাভাবে হুমকি পাচ্ছেন। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা শঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ, তবে ভীত নই। আমি যে আসন থেকে নির্বাচন করব, সেখানে নিয়মিত আমাকে ও আমার নেতা-কর্মীদের, এমনকি সাধারণ ভোটারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমার নেতা-কর্মীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছি। তবে এখনো থানায় অভিযোগ করিনি।’ এনসিপি তাঁকে নরসিংদী-২ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা অনেকেই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তাঁদের অনেকে বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের পলাতক নেতারা বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও অ্যাকাউন্ট থেকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা বলেন, বর্তমান সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। হাদির ওপর হামলার ঘটনা এটা স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিচ্ছে।
রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ইতিমধ্যে কয়েকবার ককটেল হামলা হয়েছে। দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর কয়েকবার হামলা করা হয়েছে। এনসিপির নেতারা বলছেন, তাঁরা মনে করেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দোসরদের বিভিন্ন স্থানে জায়গা দেওয়ার কারণেই জুলাই যোদ্ধারা হুমকির মুখে পড়েছেন। বারবার হুমকি দেওয়ার পর ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানো হয়েছে।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব এবং মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন বলেন, ‘আমরা শুধু নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত নই। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের নিরাপত্তা এবং পুরো বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি বিদেশি শক্তির মদদে পুরো দেশবাসীর নিরাপত্তার জন্যই হুমকি।’
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, দেশের প্রশাসনে, মিডিয়ায়, ব্যবসা-বাণিজ্যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের দোসর এবং সহযোগীরা রয়েছে। তারা এদের (হাদির মতো নেতাদের) হত্যার মতো উৎপাদন সৃষ্টি করছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন প্রকাশ্যে ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় নির্বাচনী প্রচারে নামা নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থাকা সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার একটি আসনের সম্ভাব্য এক প্রার্থী বলেন, তাঁদের সঙ্গেও যে একই ঘটনা ঘটবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়? তাঁদের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের জীবনের নিশ্চয়তা কে দেবে? বাধ্য হয়েই প্রচারে কিছু বদল আনতে হচ্ছে। দ্বিতীয়বার ভাবতে হচ্ছে।
সারোয়ার তুষার বলেন, তাঁরা দমে যাবেন না। তবে নির্বাচনী প্রচারের পরিবেশ নেই। সাধারণ ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা দলীয় আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে। এ পরিস্থিতি চলমান থাকলে নির্বাচনে সহিংসতা হতে পারে, ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে। জনগণের রায় কতটা প্রতিফলিত হবে, সে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে।
জুলাই যোদ্ধা এবং ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরই যদি নিরাপত্তা না থাকে, তাঁকে যদি দিবালোকে গুলি করা যায়, তাহলে এর মাধ্যমে আসলে সবাইকে এটাই বোঝানো হচ্ছে, কেউ নিরাপদ নন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা এক বছর ধরেই তাঁর পদত্যাগ চাইছি। এ জন্য আমাদের মামলাও খেতে হয়েছে।’
পতিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দেশের পরিস্থিতি অস্থির করার অপচেষ্টা করছে বলে মনে করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে গত শুক্রবার রাতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদের দোসর যারা জামিনে আছে, যাদের হাতে অস্ত্র ও অর্থ আছে, তাদের জেলখানার বাইরে রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করার সদিচ্ছা থাকলে এই সন্ত্রাসীদের ‘চৌদ্দ শিকের মধ্যে’ ঢোকাতে হবে।
এনসিপির যুব শাখা জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম বলেন, তাঁরা অবিলম্বে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চান।
এদিকে গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম সারির যোদ্ধাদের সরকারিভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর। সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য একটি কমিটি করে দিয়েছি। ওই কমিটি মূল্যায়ন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এত দিন শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের হাতিয়ার (ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র) দেওয়া হতো। এখন থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের বাইরে যাঁরা নির্বাচনে অংশ নেবেন, তাঁরাও যদি অস্ত্র চান তাহলে আমরা লাইসেন্স দেব। নির্বাচনে যাঁরা অংশ নেবেন তাঁদের ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র যদি সরকারের কাছে জমা থাকে, সেগুলো তাঁদের ফেরত দেওয়া হবে। এর বাইরেও প্রার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনো শঙ্কা নেই জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তার ব্যাপারে যত ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার আমরা নেব এবং তাঁর নিরাপত্তা দেব।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত শুক্রবার জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় আসবেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য যৌথ বাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলাকালে বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই, ডাকাতি, সড়কে ডাকাতি, গুলি, হামলা, ধর্ষণের ঘটনায় আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মানুষ। পুলিশের টহল তেমন না থাকায় সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বাইরে বের হতে ভাবতে হচ্ছে মানুষকে। সারা দেশেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবিপ্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইন সচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।
৭ মিনিট আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৭ ঘণ্টা আগে