আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস শীর্ষ চীনা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি পশ্চিমা ও এশিয়ার দেশগুলোতে চীনা পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে একটি উৎপাদন হাব বা কেন্দ্রে পরিণত করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা চীনের শতাধিক শীর্ষস্থানীয় উদ্যোক্তা ও প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে চারটি বৈঠকে বসেন এবং বাংলাদেশকে ব্যবসার জন্য কতটা উন্মুক্ত করা হয়েছে তা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থানান্তরের সুবিধা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ কোনো ধরনের বাণিজ্য বাধার সম্মুখীন নয় এবং বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগকারীদের জন্য সেরা প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা ও সুযোগগুলো নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে আপনাদের কারখানা স্থাপনের এটাই সেরা সময়।’ তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে অবস্থিত এবং এটি নেপাল ও ভুটানের মতো স্থলবেষ্টিত দেশ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যের প্রবেশদ্বার।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বৈঠকগুলোতে নতুন বাংলাদেশ, দেশের বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ এবং বাংলাদেশি তরুণদের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁর স্বপ্ন তুলে ধরেন। তাঁর বক্তৃতার আগে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান ও বেজার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ‘বাংলাদেশ ২.০: প্রবৃদ্ধির প্রবেশদ্বার’ শিরোনামে দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
আশিক চৌধুরী ডেটা, সেক্টরাল হিটম্যাপ, চাহিদার ল্যান্ডস্কেপ এবং উৎপাদন প্রতিযোগিতার কারণগুলো তুলে ধরেন। তিনি বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বলেন, “‘শিয়েনজাই জেং শি শিহৌ”,—যার অর্থ, এখনই সময়।’ বেজার তরফ থেকে চীনা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্পের সাম্প্রতিক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে এই আহ্বান জানান তিনি। আশিক চৌধুরী আরও জানান, তিনি এরই মধ্যে বিডা ও বেজার মতো সংস্থাগুলোকে একীভূত করার ক্ষেত্রে স্পষ্ট সমন্বয় দেখতে পাচ্ছেন।
চীনের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিপিআইটি) ভাইস চেয়ারপারসন লি কিং শুয়াংও বাংলাদেশ বিনিয়োগ সংলাপে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, চীনা বিনিয়োগকারীরা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছেন এবং তাঁদের অনেকেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
লি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে চীনে আরও বিনিয়োগ ক্যাম্পেইন আয়োজন করার অনুরোধ জানান। কারণ, অনেক বিনিয়োগকারী এখনো দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে কারখানা স্থাপনের সুবিধা সম্পর্কে অবগত নন। সিসিপিআইটির ভাইস চেয়ারপারসন বলেন, তাঁর সংস্থা বাংলাদেশে আরও চীনা বিনিয়োগের সুবিধা দেবে। তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রচারের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করারও প্রতিশ্রুতি দেন।
বিনিয়োগ সংলাপের পর অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, প্রযুক্তি শিল্প এবং একাডেমিয়ার নেতাদের সঙ্গে তিনটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বের বৃহত্তম সৌর প্যানেল উৎপাদনকারী কোম্পানি লঞ্জি, মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক অপ্পো, চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি, হিসেন্স ইন্টারন্যাশনাল, গাওটু এডুকেশন টেকনোলজি গ্রুপ, চায়না বায়োটেক অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস ভ্যালি, চায়না ইন্টারনেট, চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন এবং চায়না রেলওয়ে ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের মতো শীর্ষ চীনা কোম্পানিগুলোর সিনিয়র কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাহীরা গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন।
আশিক চৌধুরী পরে বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে উৎসাহব্যঞ্জক অনুসন্ধানে উৎসাহ পাচ্ছি। চীনা প্রতিনিধিদল, যারা ইতিমধ্যেই দুই সপ্তাহ পর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন বিনিয়োগ সম্মেলনে বৃহত্তম, এটি আরও বড় হতে চলেছে।’
প্রধান উপদেষ্টা সামাজিক ব্যবসা এবং থ্রি-জিরো বা তিন শূন্যের বিশ্ব নিয়ে একটি উচ্চ-পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকেও বক্তব্য রাখেন। অধ্যাপক ইউনূস একটি নতুন সভ্যতা তৈরির আহ্বান জানান যেখানে শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ, শূন্য নেট কার্বন নিঃসারণ, শূন্য দারিদ্র্য এবং শূন্য বেকারত্ব থাকবে।
বিশ্বের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম পিকিং, রেনমিন ও সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ অধ্যাপক ও ডিন এবং শীর্ষ চীনা যুব নেতারা বৈঠকে অংশ নেন। সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন লি দাওকুই অধ্যাপক ইউনূসের প্রশংসা করে বলেন, তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হবে এবং উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে।
তিনি চীনের অসাধারণ উন্নয়নের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য সিংহুয়াতে বাংলাদেশি আমলা ও নীতি নির্ধারকদের জন্য ‘দিনব্যাপী গভীর আলোচনা’ আয়োজনের প্রস্তাবও দেন।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস শীর্ষ চীনা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি পশ্চিমা ও এশিয়ার দেশগুলোতে চীনা পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে একটি উৎপাদন হাব বা কেন্দ্রে পরিণত করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা চীনের শতাধিক শীর্ষস্থানীয় উদ্যোক্তা ও প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে চারটি বৈঠকে বসেন এবং বাংলাদেশকে ব্যবসার জন্য কতটা উন্মুক্ত করা হয়েছে তা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থানান্তরের সুবিধা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ কোনো ধরনের বাণিজ্য বাধার সম্মুখীন নয় এবং বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগকারীদের জন্য সেরা প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা ও সুযোগগুলো নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে আপনাদের কারখানা স্থাপনের এটাই সেরা সময়।’ তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে অবস্থিত এবং এটি নেপাল ও ভুটানের মতো স্থলবেষ্টিত দেশ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যের প্রবেশদ্বার।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বৈঠকগুলোতে নতুন বাংলাদেশ, দেশের বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ এবং বাংলাদেশি তরুণদের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁর স্বপ্ন তুলে ধরেন। তাঁর বক্তৃতার আগে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান ও বেজার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ‘বাংলাদেশ ২.০: প্রবৃদ্ধির প্রবেশদ্বার’ শিরোনামে দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
আশিক চৌধুরী ডেটা, সেক্টরাল হিটম্যাপ, চাহিদার ল্যান্ডস্কেপ এবং উৎপাদন প্রতিযোগিতার কারণগুলো তুলে ধরেন। তিনি বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বলেন, “‘শিয়েনজাই জেং শি শিহৌ”,—যার অর্থ, এখনই সময়।’ বেজার তরফ থেকে চীনা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্পের সাম্প্রতিক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে এই আহ্বান জানান তিনি। আশিক চৌধুরী আরও জানান, তিনি এরই মধ্যে বিডা ও বেজার মতো সংস্থাগুলোকে একীভূত করার ক্ষেত্রে স্পষ্ট সমন্বয় দেখতে পাচ্ছেন।
চীনের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিপিআইটি) ভাইস চেয়ারপারসন লি কিং শুয়াংও বাংলাদেশ বিনিয়োগ সংলাপে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, চীনা বিনিয়োগকারীরা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছেন এবং তাঁদের অনেকেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
লি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে চীনে আরও বিনিয়োগ ক্যাম্পেইন আয়োজন করার অনুরোধ জানান। কারণ, অনেক বিনিয়োগকারী এখনো দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে কারখানা স্থাপনের সুবিধা সম্পর্কে অবগত নন। সিসিপিআইটির ভাইস চেয়ারপারসন বলেন, তাঁর সংস্থা বাংলাদেশে আরও চীনা বিনিয়োগের সুবিধা দেবে। তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রচারের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করারও প্রতিশ্রুতি দেন।
বিনিয়োগ সংলাপের পর অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, প্রযুক্তি শিল্প এবং একাডেমিয়ার নেতাদের সঙ্গে তিনটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বের বৃহত্তম সৌর প্যানেল উৎপাদনকারী কোম্পানি লঞ্জি, মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক অপ্পো, চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি, হিসেন্স ইন্টারন্যাশনাল, গাওটু এডুকেশন টেকনোলজি গ্রুপ, চায়না বায়োটেক অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস ভ্যালি, চায়না ইন্টারনেট, চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন এবং চায়না রেলওয়ে ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের মতো শীর্ষ চীনা কোম্পানিগুলোর সিনিয়র কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাহীরা গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন।
আশিক চৌধুরী পরে বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে উৎসাহব্যঞ্জক অনুসন্ধানে উৎসাহ পাচ্ছি। চীনা প্রতিনিধিদল, যারা ইতিমধ্যেই দুই সপ্তাহ পর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন বিনিয়োগ সম্মেলনে বৃহত্তম, এটি আরও বড় হতে চলেছে।’
প্রধান উপদেষ্টা সামাজিক ব্যবসা এবং থ্রি-জিরো বা তিন শূন্যের বিশ্ব নিয়ে একটি উচ্চ-পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকেও বক্তব্য রাখেন। অধ্যাপক ইউনূস একটি নতুন সভ্যতা তৈরির আহ্বান জানান যেখানে শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ, শূন্য নেট কার্বন নিঃসারণ, শূন্য দারিদ্র্য এবং শূন্য বেকারত্ব থাকবে।
বিশ্বের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম পিকিং, রেনমিন ও সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ অধ্যাপক ও ডিন এবং শীর্ষ চীনা যুব নেতারা বৈঠকে অংশ নেন। সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন লি দাওকুই অধ্যাপক ইউনূসের প্রশংসা করে বলেন, তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হবে এবং উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে।
তিনি চীনের অসাধারণ উন্নয়নের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য সিংহুয়াতে বাংলাদেশি আমলা ও নীতি নির্ধারকদের জন্য ‘দিনব্যাপী গভীর আলোচনা’ আয়োজনের প্রস্তাবও দেন।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস শীর্ষ চীনা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি পশ্চিমা ও এশিয়ার দেশগুলোতে চীনা পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে একটি উৎপাদন হাব বা কেন্দ্রে পরিণত করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা চীনের শতাধিক শীর্ষস্থানীয় উদ্যোক্তা ও প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে চারটি বৈঠকে বসেন এবং বাংলাদেশকে ব্যবসার জন্য কতটা উন্মুক্ত করা হয়েছে তা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থানান্তরের সুবিধা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ কোনো ধরনের বাণিজ্য বাধার সম্মুখীন নয় এবং বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগকারীদের জন্য সেরা প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা ও সুযোগগুলো নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে আপনাদের কারখানা স্থাপনের এটাই সেরা সময়।’ তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে অবস্থিত এবং এটি নেপাল ও ভুটানের মতো স্থলবেষ্টিত দেশ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যের প্রবেশদ্বার।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বৈঠকগুলোতে নতুন বাংলাদেশ, দেশের বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ এবং বাংলাদেশি তরুণদের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁর স্বপ্ন তুলে ধরেন। তাঁর বক্তৃতার আগে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান ও বেজার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ‘বাংলাদেশ ২.০: প্রবৃদ্ধির প্রবেশদ্বার’ শিরোনামে দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
আশিক চৌধুরী ডেটা, সেক্টরাল হিটম্যাপ, চাহিদার ল্যান্ডস্কেপ এবং উৎপাদন প্রতিযোগিতার কারণগুলো তুলে ধরেন। তিনি বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বলেন, “‘শিয়েনজাই জেং শি শিহৌ”,—যার অর্থ, এখনই সময়।’ বেজার তরফ থেকে চীনা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্পের সাম্প্রতিক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে এই আহ্বান জানান তিনি। আশিক চৌধুরী আরও জানান, তিনি এরই মধ্যে বিডা ও বেজার মতো সংস্থাগুলোকে একীভূত করার ক্ষেত্রে স্পষ্ট সমন্বয় দেখতে পাচ্ছেন।
চীনের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিপিআইটি) ভাইস চেয়ারপারসন লি কিং শুয়াংও বাংলাদেশ বিনিয়োগ সংলাপে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, চীনা বিনিয়োগকারীরা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছেন এবং তাঁদের অনেকেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
লি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে চীনে আরও বিনিয়োগ ক্যাম্পেইন আয়োজন করার অনুরোধ জানান। কারণ, অনেক বিনিয়োগকারী এখনো দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে কারখানা স্থাপনের সুবিধা সম্পর্কে অবগত নন। সিসিপিআইটির ভাইস চেয়ারপারসন বলেন, তাঁর সংস্থা বাংলাদেশে আরও চীনা বিনিয়োগের সুবিধা দেবে। তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রচারের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করারও প্রতিশ্রুতি দেন।
বিনিয়োগ সংলাপের পর অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, প্রযুক্তি শিল্প এবং একাডেমিয়ার নেতাদের সঙ্গে তিনটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বের বৃহত্তম সৌর প্যানেল উৎপাদনকারী কোম্পানি লঞ্জি, মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক অপ্পো, চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি, হিসেন্স ইন্টারন্যাশনাল, গাওটু এডুকেশন টেকনোলজি গ্রুপ, চায়না বায়োটেক অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস ভ্যালি, চায়না ইন্টারনেট, চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন এবং চায়না রেলওয়ে ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের মতো শীর্ষ চীনা কোম্পানিগুলোর সিনিয়র কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাহীরা গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন।
আশিক চৌধুরী পরে বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে উৎসাহব্যঞ্জক অনুসন্ধানে উৎসাহ পাচ্ছি। চীনা প্রতিনিধিদল, যারা ইতিমধ্যেই দুই সপ্তাহ পর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন বিনিয়োগ সম্মেলনে বৃহত্তম, এটি আরও বড় হতে চলেছে।’
প্রধান উপদেষ্টা সামাজিক ব্যবসা এবং থ্রি-জিরো বা তিন শূন্যের বিশ্ব নিয়ে একটি উচ্চ-পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকেও বক্তব্য রাখেন। অধ্যাপক ইউনূস একটি নতুন সভ্যতা তৈরির আহ্বান জানান যেখানে শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ, শূন্য নেট কার্বন নিঃসারণ, শূন্য দারিদ্র্য এবং শূন্য বেকারত্ব থাকবে।
বিশ্বের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম পিকিং, রেনমিন ও সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ অধ্যাপক ও ডিন এবং শীর্ষ চীনা যুব নেতারা বৈঠকে অংশ নেন। সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন লি দাওকুই অধ্যাপক ইউনূসের প্রশংসা করে বলেন, তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হবে এবং উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে।
তিনি চীনের অসাধারণ উন্নয়নের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য সিংহুয়াতে বাংলাদেশি আমলা ও নীতি নির্ধারকদের জন্য ‘দিনব্যাপী গভীর আলোচনা’ আয়োজনের প্রস্তাবও দেন।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস শীর্ষ চীনা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি পশ্চিমা ও এশিয়ার দেশগুলোতে চীনা পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে একটি উৎপাদন হাব বা কেন্দ্রে পরিণত করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা চীনের শতাধিক শীর্ষস্থানীয় উদ্যোক্তা ও প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে চারটি বৈঠকে বসেন এবং বাংলাদেশকে ব্যবসার জন্য কতটা উন্মুক্ত করা হয়েছে তা তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশে তাদের কারখানা স্থানান্তরের সুবিধা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ কোনো ধরনের বাণিজ্য বাধার সম্মুখীন নয় এবং বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগকারীদের জন্য সেরা প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা ও সুযোগগুলো নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে আপনাদের কারখানা স্থাপনের এটাই সেরা সময়।’ তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে অবস্থিত এবং এটি নেপাল ও ভুটানের মতো স্থলবেষ্টিত দেশ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যের প্রবেশদ্বার।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বৈঠকগুলোতে নতুন বাংলাদেশ, দেশের বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ এবং বাংলাদেশি তরুণদের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁর স্বপ্ন তুলে ধরেন। তাঁর বক্তৃতার আগে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান ও বেজার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ‘বাংলাদেশ ২.০: প্রবৃদ্ধির প্রবেশদ্বার’ শিরোনামে দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
আশিক চৌধুরী ডেটা, সেক্টরাল হিটম্যাপ, চাহিদার ল্যান্ডস্কেপ এবং উৎপাদন প্রতিযোগিতার কারণগুলো তুলে ধরেন। তিনি বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বলেন, “‘শিয়েনজাই জেং শি শিহৌ”,—যার অর্থ, এখনই সময়।’ বেজার তরফ থেকে চীনা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্পের সাম্প্রতিক উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে এই আহ্বান জানান তিনি। আশিক চৌধুরী আরও জানান, তিনি এরই মধ্যে বিডা ও বেজার মতো সংস্থাগুলোকে একীভূত করার ক্ষেত্রে স্পষ্ট সমন্বয় দেখতে পাচ্ছেন।
চীনের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিপিআইটি) ভাইস চেয়ারপারসন লি কিং শুয়াংও বাংলাদেশ বিনিয়োগ সংলাপে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, চীনা বিনিয়োগকারীরা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছেন এবং তাঁদের অনেকেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
লি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে চীনে আরও বিনিয়োগ ক্যাম্পেইন আয়োজন করার অনুরোধ জানান। কারণ, অনেক বিনিয়োগকারী এখনো দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে কারখানা স্থাপনের সুবিধা সম্পর্কে অবগত নন। সিসিপিআইটির ভাইস চেয়ারপারসন বলেন, তাঁর সংস্থা বাংলাদেশে আরও চীনা বিনিয়োগের সুবিধা দেবে। তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রচারের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করারও প্রতিশ্রুতি দেন।
বিনিয়োগ সংলাপের পর অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, প্রযুক্তি শিল্প এবং একাডেমিয়ার নেতাদের সঙ্গে তিনটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বের বৃহত্তম সৌর প্যানেল উৎপাদনকারী কোম্পানি লঞ্জি, মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক অপ্পো, চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি, হিসেন্স ইন্টারন্যাশনাল, গাওটু এডুকেশন টেকনোলজি গ্রুপ, চায়না বায়োটেক অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস ভ্যালি, চায়না ইন্টারনেট, চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন এবং চায়না রেলওয়ে ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের মতো শীর্ষ চীনা কোম্পানিগুলোর সিনিয়র কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাহীরা গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন।
আশিক চৌধুরী পরে বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে উৎসাহব্যঞ্জক অনুসন্ধানে উৎসাহ পাচ্ছি। চীনা প্রতিনিধিদল, যারা ইতিমধ্যেই দুই সপ্তাহ পর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন বিনিয়োগ সম্মেলনে বৃহত্তম, এটি আরও বড় হতে চলেছে।’
প্রধান উপদেষ্টা সামাজিক ব্যবসা এবং থ্রি-জিরো বা তিন শূন্যের বিশ্ব নিয়ে একটি উচ্চ-পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকেও বক্তব্য রাখেন। অধ্যাপক ইউনূস একটি নতুন সভ্যতা তৈরির আহ্বান জানান যেখানে শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ, শূন্য নেট কার্বন নিঃসারণ, শূন্য দারিদ্র্য এবং শূন্য বেকারত্ব থাকবে।
বিশ্বের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম পিকিং, রেনমিন ও সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ অধ্যাপক ও ডিন এবং শীর্ষ চীনা যুব নেতারা বৈঠকে অংশ নেন। সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন লি দাওকুই অধ্যাপক ইউনূসের প্রশংসা করে বলেন, তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হবে এবং উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে।
তিনি চীনের অসাধারণ উন্নয়নের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য সিংহুয়াতে বাংলাদেশি আমলা ও নীতি নির্ধারকদের জন্য ‘দিনব্যাপী গভীর আলোচনা’ আয়োজনের প্রস্তাবও দেন।

২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
৫ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর থেকে তুলে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধাসহ বিরুদ্ধ মতের মানুষকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিষ্ক্রিয়তা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে উদাসীনতার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে, যা দেশে আইনের শাসনের জন্য চূড়ান্ত হুমকিস্বরূপ এবং সমাজে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সব কথা বলা হয়েছে। আজ বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মব সন্ত্রাসে কমপক্ষে ১৯৭ জন নিহত হয়েছে। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২৮ জন।
আসকের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালে কমপক্ষে ২৯৩ জন নাগরিক মব সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে। মবের শিকার হয়ে ২০২৫ সালে ঢাকা জেলায় সর্বাধিক ২৭, গাজীপুরে ১৭, নারায়ণগঞ্জে ১১ জন নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। ২০২৫ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে গণপিটুনির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য মাসের থেকে বেশি ঘটেছে। এই সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাও গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন, যদিও অধিকাংশ ভুক্তভোগী ছিলেন দল-মত নিরপেক্ষ সাধারণ নাগরিক।
আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০২৫ সালে কমপক্ষে ৩৮ জন ব্যক্তি বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। এ সব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে, নির্যাতনে, কথিত ‘গুলিতে’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে। ২০২৫ সালে কমপক্ষে ১০৭ জন ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছে। এর মধ্যে ৬৯ জন হাজতি এবং কয়েদি ৩৮ জন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে অন্তত ৪০১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার ৭৪৪ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছে। সহিংসতার এই চিত্র কেবল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার সংঘাতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তিও সহিংসতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনি নিপীড়নের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক ধারায় পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অন্তত ৩৮১ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন, হয়রানি বা হুমকির শিকার হয়েছেন অন্তত ২৩ জন সাংবাদিক। প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন ২০ জন। প্রকাশিত সংবাদ বা মতামতকে কেন্দ্র করে মামলার সম্মুখীন হয়েছেন কমপক্ষে ১২৩ জন সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সরাসরি হামলার শিকার হয়েছেন ১১৮ জন সাংবাদিক। এ সময়কালে দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন ৩ জন সাংবাদিক এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রহস্যজনকভাবে ৪ জন সাংবাদিকের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কমপক্ষে ৪২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাসমূহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩টি বাড়িঘর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৩৬টি বসত ঘরে। এ ছাড়া ৪টি মন্দিরে হামলা, ৬৪টি প্রতিমা ভাঙচুর, ৯টি জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় নিহত হয়েছে ১ জন, আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। এ বছর দেশে ২১৭ জন নারী স্বামীর মাধ্যমে হত্যার শিকার হয়েছেন এবং ৬৩ জন নারীকে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে। নিজের পরিবারের সদস্যদের হাতেও ৫১ জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন। পারিবারিক সহিংসতা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে না পেয়ে অন্তত ১৬৮ জন নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ধর্ষণের ৭৪৯টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৬৯টি ছিল একক ধর্ষণ এবং ১৮০টি দলবদ্ধ ধর্ষণ। ধর্ষণের পর অন্তত ৩৬ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে, ৭ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন এবং ধর্ষণের চেষ্টার পর প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন নারী।
আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অন্তত ৪১০ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণের পর হত্যা, শারীরিক নির্যাতন, অপহরণ, আত্মহত্যা এবং বিস্ফোরণে মৃত্যু।
আসক মনে করে, দেশে নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের মধ্যে আশা ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হলেও বাস্তব পর্যায়ে বৈষম্য, নিপীড়ন ও দমন-পীড়নের চিত্রে আশানুরূপ ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে লক্ষ্য করা গেছে।

২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর থেকে তুলে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধাসহ বিরুদ্ধ মতের মানুষকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিষ্ক্রিয়তা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে উদাসীনতার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে, যা দেশে আইনের শাসনের জন্য চূড়ান্ত হুমকিস্বরূপ এবং সমাজে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সব কথা বলা হয়েছে। আজ বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মব সন্ত্রাসে কমপক্ষে ১৯৭ জন নিহত হয়েছে। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২৮ জন।
আসকের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালে কমপক্ষে ২৯৩ জন নাগরিক মব সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে। মবের শিকার হয়ে ২০২৫ সালে ঢাকা জেলায় সর্বাধিক ২৭, গাজীপুরে ১৭, নারায়ণগঞ্জে ১১ জন নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। ২০২৫ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে গণপিটুনির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য মাসের থেকে বেশি ঘটেছে। এই সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাও গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন, যদিও অধিকাংশ ভুক্তভোগী ছিলেন দল-মত নিরপেক্ষ সাধারণ নাগরিক।
আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০২৫ সালে কমপক্ষে ৩৮ জন ব্যক্তি বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। এ সব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে, নির্যাতনে, কথিত ‘গুলিতে’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে। ২০২৫ সালে কমপক্ষে ১০৭ জন ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছে। এর মধ্যে ৬৯ জন হাজতি এবং কয়েদি ৩৮ জন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে অন্তত ৪০১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার ৭৪৪ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছে। সহিংসতার এই চিত্র কেবল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার সংঘাতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তিও সহিংসতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনি নিপীড়নের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক ধারায় পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অন্তত ৩৮১ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন, হয়রানি বা হুমকির শিকার হয়েছেন অন্তত ২৩ জন সাংবাদিক। প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন ২০ জন। প্রকাশিত সংবাদ বা মতামতকে কেন্দ্র করে মামলার সম্মুখীন হয়েছেন কমপক্ষে ১২৩ জন সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সরাসরি হামলার শিকার হয়েছেন ১১৮ জন সাংবাদিক। এ সময়কালে দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন ৩ জন সাংবাদিক এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রহস্যজনকভাবে ৪ জন সাংবাদিকের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কমপক্ষে ৪২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাসমূহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩টি বাড়িঘর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৩৬টি বসত ঘরে। এ ছাড়া ৪টি মন্দিরে হামলা, ৬৪টি প্রতিমা ভাঙচুর, ৯টি জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় নিহত হয়েছে ১ জন, আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। এ বছর দেশে ২১৭ জন নারী স্বামীর মাধ্যমে হত্যার শিকার হয়েছেন এবং ৬৩ জন নারীকে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে। নিজের পরিবারের সদস্যদের হাতেও ৫১ জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন। পারিবারিক সহিংসতা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে না পেয়ে অন্তত ১৬৮ জন নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ধর্ষণের ৭৪৯টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৬৯টি ছিল একক ধর্ষণ এবং ১৮০টি দলবদ্ধ ধর্ষণ। ধর্ষণের পর অন্তত ৩৬ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে, ৭ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন এবং ধর্ষণের চেষ্টার পর প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন নারী।
আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অন্তত ৪১০ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণের পর হত্যা, শারীরিক নির্যাতন, অপহরণ, আত্মহত্যা এবং বিস্ফোরণে মৃত্যু।
আসক মনে করে, দেশে নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের মধ্যে আশা ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হলেও বাস্তব পর্যায়ে বৈষম্য, নিপীড়ন ও দমন-পীড়নের চিত্রে আশানুরূপ ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে লক্ষ্য করা গেছে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস শীর্ষ চীনা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি পশ্চিমা ও এশিয়ার দেশগুলোতে চীনা পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে একটি উৎপাদন হাব বা কেন্দ্রে পরিণত করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
২৯ মার্চ ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
৫ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।
আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।
এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস শীর্ষ চীনা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি পশ্চিমা ও এশিয়ার দেশগুলোতে চীনা পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে একটি উৎপাদন হাব বা কেন্দ্রে পরিণত করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
২৯ মার্চ ২০২৫
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
৫ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।
লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’
বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’
জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস শীর্ষ চীনা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি পশ্চিমা ও এশিয়ার দেশগুলোতে চীনা পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে একটি উৎপাদন হাব বা কেন্দ্রে পরিণত করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
২৯ মার্চ ২০২৫
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।
গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস শীর্ষ চীনা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি পশ্চিমা ও এশিয়ার দেশগুলোতে চীনা পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে একটি উৎপাদন হাব বা কেন্দ্রে পরিণত করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
২৯ মার্চ ২০২৫
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত...
৫ ঘণ্টা আগে