শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

কোভিড মহামারি পরিস্থিতির মধ্যেও মানব পাচারের ঘটনায় বিশ্বের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ আবার শিরোনাম হয়েছে। ৮ জুলাই তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে ৪৯ জন বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে ‘ভূমধ্যসাগর’ এখন যেন মৃত্যুকূপ। এর আগে লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে প্রায়ই নৌকা ডুবে নিখোঁজ হয়েছেন অনেক বাংলাদেশি। তার পরও এই স্রোত বন্ধ হচ্ছে না।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, লিবিয়ার মরুভূমিতে পাচারকারীদের হাতে ৩৬ বাংলাদেশির নিহত হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তৎপর হয়ে ওঠে। এতে জনমনে কিছুটা আস্থা আসে। কিন্তু এরপরই কুয়েতে একজন সাংসদ গ্রেপ্তারের খবর সবকিছু সামনে এনে দেয়।
পুলিশের হিসাব বলছে, মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছেন অন্তত পৌনে দুই লাখ বাংলাদেশি। তাঁরা বৈধ ভিসা নিয়েই অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন।
পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মাসে দুবাইয়ের ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬৪ জন নারী ও পুরুষ দেশ ছেড়েছেন। তাঁদের মধ্যে ফেরত এসেছেন মাত্র ২১ হাজার ৭৫৪ জন। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ১ লাখ ৭৮ হাজার লোক কোথায় আছেন, তার কোনো ধারণা নেই পুলিশের। এ ছাড়া অন্য দেশের ভিসা নিয়েও ফেরেননি–এমন অনেক মানুষ আছেন। এঁদের বেশির ভাগেরই বয়স ১৬ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
ইউরোপের দেশ ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন নবাবগঞ্জের যুবক সাইদুর রহমান। ১৫ লাখ টাকায় ইতালিতে পাঠানোর চুক্তি হয় তুহিনুজ্জামান ভূঁইয়ার সঙ্গে। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় থাইল্যান্ডে। সেখান থেকে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া হয়ে টোগোতে নিয়ে আটকে রাখা হয় সাইদুর রহমানকে। করা হয় চরম নির্যাতন। এরপর পরিবারের কাছ থেকে দুই কিস্তিতে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় তুহিনুজ্জামান ভূঁইয়ার চক্র। গত ২ এপ্রিল দেশে ফেরেন সাইদুর। এরপর তিনি ১৩ জুন গুলশান থানায় মানব পাচারকারী তুহিনুজ্জামান ভূঁইয়াসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সাইদুর বলেন, টোগোতে তাঁর সঙ্গে একই হোটেলে ২৫ জন বাংলাদেশিকে আটকে রাখা হয়েছিল। তাঁদের ভাগ্যে কী জুটেছে, তা বলতে পারেন না।
ভাগ্য ফেরাতে চাঁদপুরের যুবক ইয়াসিন যেতে চেয়েছিলেন স্পেনে। পাচারকারী নুরুল আলম সুমনকে তিনি ৪ লাখ টাকা দেন। বাকি টাকা স্পেনে যাওয়ার পর দেবেন বলে চুক্তি হয়। কিন্তু তাঁকেও নিয়ে যাওয়া হয় টোগোতে। বিদেশের মাটিতে তাঁকে নির্যাতন করে দেশে আরও ৬ লাখ টাকা আদায় করা হয় পরিবারের কাছ থেকে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে তিনি দেশে পালিয়ে আসেন। এরপর দেশে ফিরে গুলশান থানায় গত ১৩ জুন নুরুল আলম সুমনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আর পোল্যান্ডে নেওয়ার কথা বলে ময়মনসিংহের মাসুম সরদারকে মানব পাচারকারীরা নিয়ে গিয়েছিল উজবেকিস্তানে। তিনি ৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা দেশে থাকতেই দিয়েছিলেন মানব পাচারকারী ইয়াসির বারীকে। উজবেকিস্তানে একটি জঙ্গলে আটকে রেখে দেশে থাকা স্বজনদের কাছ থেকে আরও সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেওয়া হয়। গত ৩ জুন দেশে পালিয়ে এসে ইয়াসির বারীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।
এভাবে অনেক তরুণ ভাগ্য ফেরানোর আশায় বিদেশে যাওয়ার জন্য দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন। তাঁদের অভিজ্ঞতাও করুণ। এদিকে পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার প্রলোভনে দালালের খপ্পরে পড়ে দেশ ছেড়েছেন এই তরুণ-যুবকেরা। তাঁরা রুট হিসেবে ব্যবহার করছেন দুবাইয়ের বৈধ টুরিস্ট ভিসা–তারপর লিবিয়া আর সেখান থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপ। এই দুর্গম পথ তাঁরা পাড়ি নিচ্ছেন নৌকায় করে। এভাবে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকে ডুবে প্রাণ হারাচ্ছেন।
জানতে চাইলে পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইজি (ইমিগ্রেশন) মো. মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে উদ্ধারের পর ২৫ জন বাংলাদেশি তিন ধাপে দেশে ফিরেছেন। তাঁরা ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে পাড়ি দিচ্ছিলেন। তাঁদের মতো আরও অনেক বাংলাদেশি সেখানে অপেক্ষায় রয়েছেন।
অভিবাসনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে এখন সরাসরি লিবিয়ায় যাওয়ার সুযোগ নেই। দালালেরা এখন দেশ থেকে বৈধ ভিসায় প্রথমে দুবাই বা তুরস্কে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর সেখান থেকে তাঁরা লিবিয়ায় যাচ্ছেন। আর লিবিয়া থেকে সমুদ্রপথে ইতালি বা ইউরোপের কোনো দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
বিশেষ শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশিদের পাচার করতে এর বাইরেও একটা নিরাপদ রুট বেছে নিয়েছে আন্তর্জাতিক মানব পাচারের একটি চক্র। এই চক্র নিয়ন্ত্রণ করছে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিরা। এই চক্র দুবাই থেকে কাজাখস্তান, ইউক্রেনে নিয়ে যাচ্ছে লোকজনকে। সেখানে নিয়ে তাঁদের চুক্তিতে বিয়ে করানো হচ্ছে। বিয়েতে খরচ পড়ছে চার–পাঁচ শ ডলার। তারপর সেখানে পাওয়া আবাসিক অবস্থানের পাস দেখিয়ে পাড়ি দিচ্ছেন ইউরোপে।
পুলিশের হিসাবে গত তিন মাসে সব মিলিয়ে অন্তত ৯৫০ জন বাংলাদেশিকে এভাবে উদ্ধার করা হয়েছে। এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ জুন পর্যন্ত অবৈধভাবে ইউরোপযাত্রার সময় একাধিক দেশের অন্তত ৮১০ জন অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তথ্য অনুযায়ী, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে যাঁরা ইতালি প্রবেশের চেষ্টা করেন, তাঁদের মধ্যে এখন শীর্ষে থাকা চারটি দেশের একটি হলো বাংলাদেশ। আর পুরো ইউরোপে নৌপথে অবৈধভাবে প্রবেশের শীর্ষে আছেন বাংলাদেশিরা।
নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় রোহিঙ্গাদের জাহাজের খোলে ভর্তি করে দাস পাচারের মতো ‘ডলফিন ভিসা’ বা ‘শিপে’ সাগরপথে মানব পাচার জাতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এরপর আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্র এ নিয়ে জমজমাট ব্যবসা ফেঁদে বসে। ২০১৫ সালে আন্দামান সাগরে শুধু মানব বিপর্যয়েরই জন্ম দেয়নি, থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া সীমান্তে সন্ধান মেলে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের গণকবর। এই দালাল চক্র শুরুর দিকে বিমানে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডে নিয়ে তারপর জঙ্গলের পর জঙ্গল হাঁটিয়ে রাতের অন্ধকারে ট্রাকে, মালগাড়িতে, নৌকায় পাচার শুরু করেছিল। এখন তা আরও জমাজমাট হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য বলছে, গত প্রায় আট বছরে দেশে ৫ হাজার ৭১৬টি মামলা করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২৪৭টি, অর্থাৎ মাত্র ৪ শতাংশ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের হিসাবে বিচারাধীন আছে প্রায় ৪ হাজার ৪০৭টি মামলা।
জানতে চাইলে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ইউরোপে পাঠানোর নাম করে মানুষ পাচার করা অধিকাংশ দালাল মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী ও শরীয়তপুর এলাকার। এরা আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। চক্রের মূল হোতারা দেশের বাইরে বসে থেকে অনলাইন ভিসা ও বিমানের টিকিটের ব্যবস্থা করে। এমন দালাল চক্রের হাত থেকে এখন পর্যন্ত ৭৭২ জন পুরুষ ও ২৩৪ জন নারীসহ মোট ১ হাজার ৬ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮৯৬ জনকে।
অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক বিশ্লেষক এবং আইওএমের সাবেক কর্মকর্তা আসিফ মুনীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, মানব পাচারের ঘটনাগুলো শুধু বাংলাদেশকেন্দ্রিক নয়, পৃথিবীজুড়েই এই চক্র আছে। গত এক বছরে দেশে অবৈধ ও বৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।
অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক এই বিশ্লেষক বলেন, মানব পাচারের এই অবহেলা সরকারি ঊর্ধ্বতন থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের, যার কারণে বন্ধ হচ্ছে না পাচার। আর ভুক্তভোগীরা ঝুঁকিতে ফেলছেন নিজেদের ও নিজের পরিবারকে।

কোভিড মহামারি পরিস্থিতির মধ্যেও মানব পাচারের ঘটনায় বিশ্বের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ আবার শিরোনাম হয়েছে। ৮ জুলাই তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে ৪৯ জন বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে ‘ভূমধ্যসাগর’ এখন যেন মৃত্যুকূপ। এর আগে লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে প্রায়ই নৌকা ডুবে নিখোঁজ হয়েছেন অনেক বাংলাদেশি। তার পরও এই স্রোত বন্ধ হচ্ছে না।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, লিবিয়ার মরুভূমিতে পাচারকারীদের হাতে ৩৬ বাংলাদেশির নিহত হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তৎপর হয়ে ওঠে। এতে জনমনে কিছুটা আস্থা আসে। কিন্তু এরপরই কুয়েতে একজন সাংসদ গ্রেপ্তারের খবর সবকিছু সামনে এনে দেয়।
পুলিশের হিসাব বলছে, মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছেন অন্তত পৌনে দুই লাখ বাংলাদেশি। তাঁরা বৈধ ভিসা নিয়েই অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন।
পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মাসে দুবাইয়ের ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬৪ জন নারী ও পুরুষ দেশ ছেড়েছেন। তাঁদের মধ্যে ফেরত এসেছেন মাত্র ২১ হাজার ৭৫৪ জন। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ১ লাখ ৭৮ হাজার লোক কোথায় আছেন, তার কোনো ধারণা নেই পুলিশের। এ ছাড়া অন্য দেশের ভিসা নিয়েও ফেরেননি–এমন অনেক মানুষ আছেন। এঁদের বেশির ভাগেরই বয়স ১৬ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
ইউরোপের দেশ ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন নবাবগঞ্জের যুবক সাইদুর রহমান। ১৫ লাখ টাকায় ইতালিতে পাঠানোর চুক্তি হয় তুহিনুজ্জামান ভূঁইয়ার সঙ্গে। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় থাইল্যান্ডে। সেখান থেকে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া হয়ে টোগোতে নিয়ে আটকে রাখা হয় সাইদুর রহমানকে। করা হয় চরম নির্যাতন। এরপর পরিবারের কাছ থেকে দুই কিস্তিতে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় তুহিনুজ্জামান ভূঁইয়ার চক্র। গত ২ এপ্রিল দেশে ফেরেন সাইদুর। এরপর তিনি ১৩ জুন গুলশান থানায় মানব পাচারকারী তুহিনুজ্জামান ভূঁইয়াসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সাইদুর বলেন, টোগোতে তাঁর সঙ্গে একই হোটেলে ২৫ জন বাংলাদেশিকে আটকে রাখা হয়েছিল। তাঁদের ভাগ্যে কী জুটেছে, তা বলতে পারেন না।
ভাগ্য ফেরাতে চাঁদপুরের যুবক ইয়াসিন যেতে চেয়েছিলেন স্পেনে। পাচারকারী নুরুল আলম সুমনকে তিনি ৪ লাখ টাকা দেন। বাকি টাকা স্পেনে যাওয়ার পর দেবেন বলে চুক্তি হয়। কিন্তু তাঁকেও নিয়ে যাওয়া হয় টোগোতে। বিদেশের মাটিতে তাঁকে নির্যাতন করে দেশে আরও ৬ লাখ টাকা আদায় করা হয় পরিবারের কাছ থেকে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে তিনি দেশে পালিয়ে আসেন। এরপর দেশে ফিরে গুলশান থানায় গত ১৩ জুন নুরুল আলম সুমনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আর পোল্যান্ডে নেওয়ার কথা বলে ময়মনসিংহের মাসুম সরদারকে মানব পাচারকারীরা নিয়ে গিয়েছিল উজবেকিস্তানে। তিনি ৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা দেশে থাকতেই দিয়েছিলেন মানব পাচারকারী ইয়াসির বারীকে। উজবেকিস্তানে একটি জঙ্গলে আটকে রেখে দেশে থাকা স্বজনদের কাছ থেকে আরও সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেওয়া হয়। গত ৩ জুন দেশে পালিয়ে এসে ইয়াসির বারীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।
এভাবে অনেক তরুণ ভাগ্য ফেরানোর আশায় বিদেশে যাওয়ার জন্য দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন। তাঁদের অভিজ্ঞতাও করুণ। এদিকে পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার প্রলোভনে দালালের খপ্পরে পড়ে দেশ ছেড়েছেন এই তরুণ-যুবকেরা। তাঁরা রুট হিসেবে ব্যবহার করছেন দুবাইয়ের বৈধ টুরিস্ট ভিসা–তারপর লিবিয়া আর সেখান থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপ। এই দুর্গম পথ তাঁরা পাড়ি নিচ্ছেন নৌকায় করে। এভাবে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকে ডুবে প্রাণ হারাচ্ছেন।
জানতে চাইলে পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইজি (ইমিগ্রেশন) মো. মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে উদ্ধারের পর ২৫ জন বাংলাদেশি তিন ধাপে দেশে ফিরেছেন। তাঁরা ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে পাড়ি দিচ্ছিলেন। তাঁদের মতো আরও অনেক বাংলাদেশি সেখানে অপেক্ষায় রয়েছেন।
অভিবাসনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে এখন সরাসরি লিবিয়ায় যাওয়ার সুযোগ নেই। দালালেরা এখন দেশ থেকে বৈধ ভিসায় প্রথমে দুবাই বা তুরস্কে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর সেখান থেকে তাঁরা লিবিয়ায় যাচ্ছেন। আর লিবিয়া থেকে সমুদ্রপথে ইতালি বা ইউরোপের কোনো দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
বিশেষ শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশিদের পাচার করতে এর বাইরেও একটা নিরাপদ রুট বেছে নিয়েছে আন্তর্জাতিক মানব পাচারের একটি চক্র। এই চক্র নিয়ন্ত্রণ করছে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিরা। এই চক্র দুবাই থেকে কাজাখস্তান, ইউক্রেনে নিয়ে যাচ্ছে লোকজনকে। সেখানে নিয়ে তাঁদের চুক্তিতে বিয়ে করানো হচ্ছে। বিয়েতে খরচ পড়ছে চার–পাঁচ শ ডলার। তারপর সেখানে পাওয়া আবাসিক অবস্থানের পাস দেখিয়ে পাড়ি দিচ্ছেন ইউরোপে।
পুলিশের হিসাবে গত তিন মাসে সব মিলিয়ে অন্তত ৯৫০ জন বাংলাদেশিকে এভাবে উদ্ধার করা হয়েছে। এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ জুন পর্যন্ত অবৈধভাবে ইউরোপযাত্রার সময় একাধিক দেশের অন্তত ৮১০ জন অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তথ্য অনুযায়ী, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে যাঁরা ইতালি প্রবেশের চেষ্টা করেন, তাঁদের মধ্যে এখন শীর্ষে থাকা চারটি দেশের একটি হলো বাংলাদেশ। আর পুরো ইউরোপে নৌপথে অবৈধভাবে প্রবেশের শীর্ষে আছেন বাংলাদেশিরা।
নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় রোহিঙ্গাদের জাহাজের খোলে ভর্তি করে দাস পাচারের মতো ‘ডলফিন ভিসা’ বা ‘শিপে’ সাগরপথে মানব পাচার জাতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এরপর আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্র এ নিয়ে জমজমাট ব্যবসা ফেঁদে বসে। ২০১৫ সালে আন্দামান সাগরে শুধু মানব বিপর্যয়েরই জন্ম দেয়নি, থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া সীমান্তে সন্ধান মেলে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের গণকবর। এই দালাল চক্র শুরুর দিকে বিমানে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডে নিয়ে তারপর জঙ্গলের পর জঙ্গল হাঁটিয়ে রাতের অন্ধকারে ট্রাকে, মালগাড়িতে, নৌকায় পাচার শুরু করেছিল। এখন তা আরও জমাজমাট হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য বলছে, গত প্রায় আট বছরে দেশে ৫ হাজার ৭১৬টি মামলা করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২৪৭টি, অর্থাৎ মাত্র ৪ শতাংশ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের হিসাবে বিচারাধীন আছে প্রায় ৪ হাজার ৪০৭টি মামলা।
জানতে চাইলে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ইউরোপে পাঠানোর নাম করে মানুষ পাচার করা অধিকাংশ দালাল মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী ও শরীয়তপুর এলাকার। এরা আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। চক্রের মূল হোতারা দেশের বাইরে বসে থেকে অনলাইন ভিসা ও বিমানের টিকিটের ব্যবস্থা করে। এমন দালাল চক্রের হাত থেকে এখন পর্যন্ত ৭৭২ জন পুরুষ ও ২৩৪ জন নারীসহ মোট ১ হাজার ৬ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮৯৬ জনকে।
অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক বিশ্লেষক এবং আইওএমের সাবেক কর্মকর্তা আসিফ মুনীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, মানব পাচারের ঘটনাগুলো শুধু বাংলাদেশকেন্দ্রিক নয়, পৃথিবীজুড়েই এই চক্র আছে। গত এক বছরে দেশে অবৈধ ও বৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।
অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক এই বিশ্লেষক বলেন, মানব পাচারের এই অবহেলা সরকারি ঊর্ধ্বতন থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের, যার কারণে বন্ধ হচ্ছে না পাচার। আর ভুক্তভোগীরা ঝুঁকিতে ফেলছেন নিজেদের ও নিজের পরিবারকে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে জমকালো ‘এয়ার শো’ দেখতে মানুষের ঢল নেমেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিমানবন্দরমুখী মানুষের স্রোত দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
৪ ঘণ্টা আগে
পাচারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বিপুল সম্পদ গড়ে আলোচনায় থাকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়ার গেছে। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ সাতটি দেশে বিপুল এই সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
১০ ঘণ্টা আগে
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বেলা পৌনে ১১টায় উপকণ্ঠ থেকে মূল ঢাকা শহরে প্রবেশ করেন বিজয়ী মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সেনারা। অন্যদিকে শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ে চলতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে জমকালো ‘এয়ার শো’ দেখতে মানুষের ঢল নেমেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিমানবন্দরমুখী মানুষের স্রোত দেখা যায়। তবে নির্ধারিত সময়ের পরও এয়ার শো শুরু না হওয়ায় অপেক্ষার প্রহর গুনছেন হাজারো দর্শক।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল পৌনে ১০টার দিকে আগারগাঁও-সংলগ্ন পুরোনো বিমানবন্দরের ফটকে দর্শনার্থীদের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। নিরাপত্তা তল্লাশি শেষে সবাইকে একে একে প্রবেশ করানো হচ্ছে। ততক্ষণে শত শত পরিবার, শিশু ও উৎসুক জনতা বিমানবন্দরে প্রবেশ করে ভিড় জমিয়েছে।
আগত দর্শনার্থীদের হাতে শোভা পাচ্ছে জাতীয় পতাকা। অনেকের কপালে বাঁধা জাতীয় পতাকার আদলের ফিতা কিংবা ‘বিজয় দিবস’ লেখা কাপড়। অনেকেই পরিবারের সঙ্গে লাল-সবুজের পোশাক পরে এসেছে বিজয় উৎসবের এই বিশেষ প্রদর্শনী উপভোগ করতে।
গতকাল সোমবার এক তথ্যবিবরণীতে জানানো হয়েছিল মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ সকাল ১০টায় তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে এই জমকালো এয়ার শো অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু সকাল ১০টা ২০ মিনিটে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এয়ার শো শুরু হয়নি। জনসমাগম হলেও অনুষ্ঠান শুরু হতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা গেছে।
তথ্যবিবরণীতে সরকার জানিয়েছে, এই এয়ার শো সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। একই সঙ্গে তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দর ও এর আশপাশ এলাকায় আজ কোনো প্রকার ড্রোন না ওড়ানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিজয়ের ৫৪তম বছর উপলক্ষে এয়ার শোতে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের শেষ ৬ জন পোশাকে নিজেদের নেমপ্লেটের পরিবর্তে সুদানের ইউএন ঘাঁটিতে নিহত ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদের নেমপ্লেট পরে প্যারাট্র্যুপিং করবেন।
এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) বর্তমান নির্বাহী চেয়ারম্যান। আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে জমকালো ‘এয়ার শো’ দেখতে মানুষের ঢল নেমেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিমানবন্দরমুখী মানুষের স্রোত দেখা যায়। তবে নির্ধারিত সময়ের পরও এয়ার শো শুরু না হওয়ায় অপেক্ষার প্রহর গুনছেন হাজারো দর্শক।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল পৌনে ১০টার দিকে আগারগাঁও-সংলগ্ন পুরোনো বিমানবন্দরের ফটকে দর্শনার্থীদের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। নিরাপত্তা তল্লাশি শেষে সবাইকে একে একে প্রবেশ করানো হচ্ছে। ততক্ষণে শত শত পরিবার, শিশু ও উৎসুক জনতা বিমানবন্দরে প্রবেশ করে ভিড় জমিয়েছে।
আগত দর্শনার্থীদের হাতে শোভা পাচ্ছে জাতীয় পতাকা। অনেকের কপালে বাঁধা জাতীয় পতাকার আদলের ফিতা কিংবা ‘বিজয় দিবস’ লেখা কাপড়। অনেকেই পরিবারের সঙ্গে লাল-সবুজের পোশাক পরে এসেছে বিজয় উৎসবের এই বিশেষ প্রদর্শনী উপভোগ করতে।
গতকাল সোমবার এক তথ্যবিবরণীতে জানানো হয়েছিল মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ সকাল ১০টায় তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে এই জমকালো এয়ার শো অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু সকাল ১০টা ২০ মিনিটে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এয়ার শো শুরু হয়নি। জনসমাগম হলেও অনুষ্ঠান শুরু হতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা গেছে।
তথ্যবিবরণীতে সরকার জানিয়েছে, এই এয়ার শো সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। একই সঙ্গে তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দর ও এর আশপাশ এলাকায় আজ কোনো প্রকার ড্রোন না ওড়ানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিজয়ের ৫৪তম বছর উপলক্ষে এয়ার শোতে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের শেষ ৬ জন পোশাকে নিজেদের নেমপ্লেটের পরিবর্তে সুদানের ইউএন ঘাঁটিতে নিহত ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁদের নেমপ্লেট পরে প্যারাট্র্যুপিং করবেন।
এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) বর্তমান নির্বাহী চেয়ারম্যান। আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে।

কোভিড মহামারির সংকটের ভেতর মানব পাচারের ঘটনায় বিশ্বের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ আবার শিরোনাম হয়েছে। ৮ জুলাই তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে ৪৯ জন বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। অবৈধ অভিবাসন-প্রত্যাশীদের কাছে ‘ভূমধ্যসাগর’ এখন যেন মৃত্যুকূপ। এর আগে লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাও
১৪ জুলাই ২০২১
বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
৪ ঘণ্টা আগে
পাচারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বিপুল সম্পদ গড়ে আলোচনায় থাকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়ার গেছে। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ সাতটি দেশে বিপুল এই সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
১০ ঘণ্টা আগে
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বেলা পৌনে ১১টায় উপকণ্ঠ থেকে মূল ঢাকা শহরে প্রবেশ করেন বিজয়ী মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সেনারা। অন্যদিকে শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ে চলতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার

মহান বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি।
এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদর্শন করে এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। এরপর রাষ্ট্রপতি সেখানে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি বের হয়ে যাওয়ার পর জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ৬টা ৫৬ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও সরকারপ্রধান স্মৃতিসৌধে উপস্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্য, কূটনীতিক, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও তিন বাহিনীর প্রধানেরা বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরই জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
আজ ১৬ ডিসেম্বর। ৫৫তম মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র যুদ্ধের পর এই দিনেই আমরা চূড়ান্ত বিজয় লাভ করেছি।

মহান বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি।
এ সময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদর্শন করে এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। এরপর রাষ্ট্রপতি সেখানে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি বের হয়ে যাওয়ার পর জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ৬টা ৫৬ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও সরকারপ্রধান স্মৃতিসৌধে উপস্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্য, কূটনীতিক, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও তিন বাহিনীর প্রধানেরা বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরই জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
আজ ১৬ ডিসেম্বর। ৫৫তম মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র যুদ্ধের পর এই দিনেই আমরা চূড়ান্ত বিজয় লাভ করেছি।

কোভিড মহামারির সংকটের ভেতর মানব পাচারের ঘটনায় বিশ্বের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ আবার শিরোনাম হয়েছে। ৮ জুলাই তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে ৪৯ জন বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। অবৈধ অভিবাসন-প্রত্যাশীদের কাছে ‘ভূমধ্যসাগর’ এখন যেন মৃত্যুকূপ। এর আগে লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাও
১৪ জুলাই ২০২১
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে জমকালো ‘এয়ার শো’ দেখতে মানুষের ঢল নেমেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিমানবন্দরমুখী মানুষের স্রোত দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
পাচারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বিপুল সম্পদ গড়ে আলোচনায় থাকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়ার গেছে। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ সাতটি দেশে বিপুল এই সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
১০ ঘণ্টা আগে
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বেলা পৌনে ১১টায় উপকণ্ঠ থেকে মূল ঢাকা শহরে প্রবেশ করেন বিজয়ী মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সেনারা। অন্যদিকে শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ে চলতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি।
১২ ঘণ্টা আগেসৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকা

পাচারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বিপুল সম্পদ গড়ে আলোচনায় থাকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়ার গেছে। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ সাতটি দেশে বিপুল এই সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তদন্তসংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের নথিসহ মোট ১ হাজার ১০০টির মতো সম্পদের নথি রয়েছে তাদের কাছে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি এবং তাঁর নামে থাকা কোম্পানি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স। আর এসব সম্পদ রয়েছে প্রায় ১০টি দেশে। সম্পদগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য ১০ হাজার কোটি টাকা।
বিএফআইইউ ও দুদকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে যে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, তার বেশির ভাগই যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে ৩৮১টি সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। এর আগে একই দেশে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নামে ৩৪৩টি সম্পদের তথ্য পায় দুদক। সব মিলিয়ে শুধু যুক্তরাজ্যেই তাঁর ৭২৪টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেল।
এ ছাড়া, কম্বোডিয়ায় ১১১টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৯৪৮ মার্কিন ডলার। মালয়েশিয়ায় ৪৭টি সম্পদ পাওয়া গেছে, যার বাজারমূল্য ১০ কোটি ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ২৪২ ডলার। ফিলিপাইনে ২টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার মূল্য ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯০ পেসো, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮ কোটি টাকা। ভারতের হরিয়ানা, উত্তর চব্বিশপরগনাসহ দেশটিতে মোট ১১টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার মূল্য ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৯২ হাজার ৬৪ ডলার।
সাইফুজ্জামান জাবেদের নামে থাইল্যান্ডে ২৪টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার মূল্য ৩৬ কোটি ৩১ লাখ ২৪ হাজার ১৮৯ থাই বাত। যুক্তরাষ্ট্রে ৪৪টি সম্পদ ও ২টি কোম্পানির লাইসেন্স রয়েছে। ভিয়েতনামে ৩০টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। সিঙ্গাপুরে সম্পদ থাকার প্রমাণ পেয়েছে বিএফআইইউ। সুইজারল্যান্ডেও তাঁর সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য মিলেছে।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের নেতৃত্বে থাকা দুদকের উপপরিচালক মশিউর রহমান বলেন, ‘আমরা তাঁর যে অভিযোগগুলো অনুসন্ধান করছি, তার মধ্যে এখন পর্যন্ত সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নামে এক হাজারের বেশি সম্পদ থাকার নথি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি নথিতেই ভিয়েতনামে তাঁর ৩০টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএফআইইউর এক কর্মকর্তা বলেন, সাইফুজ্জামান জাবেদ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাচারের মাধ্যমে সম্পদ তৈরি করেন। অবৈধ অভিবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের টাকা তিনি তাঁর সেসব দেশের এজেন্ট দিয়ে সংগ্রহ করেছেন, পরে দেশে প্রবাসীদের স্বজনদের কাছে টাকা পরিশোধ করেছেন। তিনি জানান, জাবেদ তাঁর পাচারের অর্থ দিয়ে ভারত, মধ্যপ্রাচ্যসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কোম্পানি ও ব্যবসা গড়ে তোলেন। পরে সেগুলো যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেন।
পাচারের অর্থ দেশে আনার বিষয়ে কথা বলেছেন দুদকের সাবেক মহাপরিচালক মঈদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পাচার করা অর্থ ফেরত আনার জন্য যথাযথ আইনিপ্রক্রিয়া শেষ করে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স পাঠাতে হবে। যদিও যেসব দেশে অর্থ পাচার হয়, তাদের সঙ্গে চুক্তি থাকলে এটি সহজ হয়। আমাদের এমন চুক্তি নেই বললেই চলে। এ কারণে পাচারের অর্থ ফেরত আনা বেশ কঠিন।’
মঈদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমি বলব, প্রক্রিয়া যত কঠিনই হোক, দুদককে সঠিক প্রক্রিয়ায় চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের অর্থগুলো পাচার হয়ে যেসব দেশে যায়, সেসব দেশ দুর্নীতির সূচকে অত্যন্ত ভালো অবস্থানে। কিন্তু পাচারের অর্থ যখন তাদের দেশে যায়, তখন তারা তা ফেরতে সহযোগিতা না করে উল্টো সুরক্ষার ব্যবস্থা করে রেখেছে। এটা তাদের দ্বৈত নীতিরই বহিঃপ্রকাশ।’
দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাজ্যে জাবেদ ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা সম্পদ ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে দুদক। এ লক্ষ্যে সে দেশের সরকারের সঙ্গে চুক্তি করতে পারে দুদক।

পাচারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বিপুল সম্পদ গড়ে আলোচনায় থাকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়ার গেছে। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ সাতটি দেশে বিপুল এই সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তদন্তসংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুদকের একটি সূত্র জানায়, সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের নথিসহ মোট ১ হাজার ১০০টির মতো সম্পদের নথি রয়েছে তাদের কাছে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি এবং তাঁর নামে থাকা কোম্পানি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স। আর এসব সম্পদ রয়েছে প্রায় ১০টি দেশে। সম্পদগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য ১০ হাজার কোটি টাকা।
বিএফআইইউ ও দুদকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে যে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, তার বেশির ভাগই যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে ৩৮১টি সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। এর আগে একই দেশে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নামে ৩৪৩টি সম্পদের তথ্য পায় দুদক। সব মিলিয়ে শুধু যুক্তরাজ্যেই তাঁর ৭২৪টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেল।
এ ছাড়া, কম্বোডিয়ায় ১১১টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৯৪৮ মার্কিন ডলার। মালয়েশিয়ায় ৪৭টি সম্পদ পাওয়া গেছে, যার বাজারমূল্য ১০ কোটি ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ২৪২ ডলার। ফিলিপাইনে ২টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার মূল্য ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯০ পেসো, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮ কোটি টাকা। ভারতের হরিয়ানা, উত্তর চব্বিশপরগনাসহ দেশটিতে মোট ১১টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার মূল্য ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৯২ হাজার ৬৪ ডলার।
সাইফুজ্জামান জাবেদের নামে থাইল্যান্ডে ২৪টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে, যার মূল্য ৩৬ কোটি ৩১ লাখ ২৪ হাজার ১৮৯ থাই বাত। যুক্তরাষ্ট্রে ৪৪টি সম্পদ ও ২টি কোম্পানির লাইসেন্স রয়েছে। ভিয়েতনামে ৩০টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। সিঙ্গাপুরে সম্পদ থাকার প্রমাণ পেয়েছে বিএফআইইউ। সুইজারল্যান্ডেও তাঁর সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য মিলেছে।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের নেতৃত্বে থাকা দুদকের উপপরিচালক মশিউর রহমান বলেন, ‘আমরা তাঁর যে অভিযোগগুলো অনুসন্ধান করছি, তার মধ্যে এখন পর্যন্ত সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নামে এক হাজারের বেশি সম্পদ থাকার নথি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি নথিতেই ভিয়েতনামে তাঁর ৩০টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএফআইইউর এক কর্মকর্তা বলেন, সাইফুজ্জামান জাবেদ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাচারের মাধ্যমে সম্পদ তৈরি করেন। অবৈধ অভিবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের টাকা তিনি তাঁর সেসব দেশের এজেন্ট দিয়ে সংগ্রহ করেছেন, পরে দেশে প্রবাসীদের স্বজনদের কাছে টাকা পরিশোধ করেছেন। তিনি জানান, জাবেদ তাঁর পাচারের অর্থ দিয়ে ভারত, মধ্যপ্রাচ্যসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কোম্পানি ও ব্যবসা গড়ে তোলেন। পরে সেগুলো যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেন।
পাচারের অর্থ দেশে আনার বিষয়ে কথা বলেছেন দুদকের সাবেক মহাপরিচালক মঈদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পাচার করা অর্থ ফেরত আনার জন্য যথাযথ আইনিপ্রক্রিয়া শেষ করে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স পাঠাতে হবে। যদিও যেসব দেশে অর্থ পাচার হয়, তাদের সঙ্গে চুক্তি থাকলে এটি সহজ হয়। আমাদের এমন চুক্তি নেই বললেই চলে। এ কারণে পাচারের অর্থ ফেরত আনা বেশ কঠিন।’
মঈদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমি বলব, প্রক্রিয়া যত কঠিনই হোক, দুদককে সঠিক প্রক্রিয়ায় চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের অর্থগুলো পাচার হয়ে যেসব দেশে যায়, সেসব দেশ দুর্নীতির সূচকে অত্যন্ত ভালো অবস্থানে। কিন্তু পাচারের অর্থ যখন তাদের দেশে যায়, তখন তারা তা ফেরতে সহযোগিতা না করে উল্টো সুরক্ষার ব্যবস্থা করে রেখেছে। এটা তাদের দ্বৈত নীতিরই বহিঃপ্রকাশ।’
দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাজ্যে জাবেদ ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা সম্পদ ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে দুদক। এ লক্ষ্যে সে দেশের সরকারের সঙ্গে চুক্তি করতে পারে দুদক।

কোভিড মহামারির সংকটের ভেতর মানব পাচারের ঘটনায় বিশ্বের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ আবার শিরোনাম হয়েছে। ৮ জুলাই তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে ৪৯ জন বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। অবৈধ অভিবাসন-প্রত্যাশীদের কাছে ‘ভূমধ্যসাগর’ এখন যেন মৃত্যুকূপ। এর আগে লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাও
১৪ জুলাই ২০২১
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে জমকালো ‘এয়ার শো’ দেখতে মানুষের ঢল নেমেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিমানবন্দরমুখী মানুষের স্রোত দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
৪ ঘণ্টা আগে
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বেলা পৌনে ১১টায় উপকণ্ঠ থেকে মূল ঢাকা শহরে প্রবেশ করেন বিজয়ী মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সেনারা। অন্যদিকে শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ে চলতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বেলা পৌনে ১১টায় উপকণ্ঠ থেকে মূল ঢাকা শহরে প্রবেশ করেন বিজয়ী মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সেনারা। অন্যদিকে শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ে চলতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি।
১৫ ডিসেম্বর ছিল বাংলাদেশে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর সদর্প বিচরণের শেষ দিন। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর চূড়ান্ত অভিযানে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই কার্যত ঢাকায় পাকিস্তানি দুর্গের পতনের ক্ষণগণনা চলছিল। উপায় না দেখে পাকিস্তানি ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান আবদুল্লাহ খান নিয়াজি শীর্ষ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ১৫ তারিখ আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের দলিল এবং সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা চূড়ান্ত করার জন্য ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল জ্যাকব ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকা এসে পৌঁছান। বিকেল ৪টার আগেই বাংলাদেশ নিয়মিত বাহিনীর দুটি ইউনিটসহ মোট চার ব্যাটালিয়ন সেনা ঢাকায় প্রবেশ করে। সঙ্গে কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধা। ঢাকার এত দিনের জনবিরল সড়কগুলো ক্রমেই জনাকীর্ণ হয়ে উঠতে শুরু করে। সবার মুখে একাত্তরের পরিচিতি রণধ্বনি’ জয় বাংলা’।
কারফিউ জারি থাকলেও মানুষ তার পরোয়া না করে রাস্তায় বেরিয়ে উল্লাস করতে থাকেন। পাকিস্তানি বাহিনীর নয় মাসের গণহত্যা, নির্যাতন ও ধ্বংসযজ্ঞের পর মুক্তির আনন্দে তাঁরা তখন আত্মহারা। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর কয়েক লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে তাঁরা পেয়েছেন নতুন দেশ—বাংলাদেশ। বিজয়ের আনন্দ, স্বজন হারানোর শোক আর অজানা আগামীর প্রত্যাশায় সবার মনে এক বিচিত্র অনুভূতি। এর মধ্যেও ঘটে কিছু দুঃখজনক ঘটনা। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পলায়নপর কিছু পাকিস্তানি সেনা ও বিহারি এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে অনেক বাঙালিকে হতাহত করে।
বিকেল ৪টায় বাংলাদেশের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খোন্দকার, ভারত-বাংলাদেশ যুগ্ম কমান্ডের অধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা ও অন্য সামরিক কর্মকর্তারা বিমানে ঢাকা অবতরণ করেন। এর কিছু সময় পরই ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (এখনকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল উৎফুল্ল জনতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারত মিলিত বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন পাকিস্তানি সমরাধিনায়ক লে. জেনারেল নিয়াজি। পাকিস্তানি বাহিনীর দখল থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হলো বাংলাদেশ। সগর্বে জায়গা করে নিল বিশ্বের মানচিত্রে।
ঢাকায় ১৬ ডিসেম্বরই ধীরে ধীরে সবাই জানতে পারেন আগের কয়েক দিনে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, লেখকসহ বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর। নিয়ে যাওয়ার সময় পাকিস্তানি সেনাদের এদেশীয় সহযোগীরা তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল; কিন্তু কেউই আর ফিরে আসেননি। দেশের এই মেধাবী, কৃতী সন্তানদের পরিণতির কথা ভেবে জনমনে ছড়িয়ে পড়ে উদ্বেগ। পরদিনই মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমির বীভৎস দৃশ্যের খবর। রাজধানীর রায়েরবাজার ও মিরপুরের বিভিন্ন জায়গার অনেক বধ্যভূমিতে পাওয়া যায় নির্যাতিত মানুষের ক্ষতবিক্ষত দেহ। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের অনেকের হাত বা চোখ বাঁধা, বেয়নেট বা গুলিতে বিদ্ধ লাশের খোঁজ মেলে রায়েরবাজারে। বিজয়ের আনন্দের মধ্যে এই শোকের খবর, বধ্যভূমির ভয়াবহ দৃশ্য স্তম্ভিত করে মানুষকে।
এদিকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই কাজে লেগে যায় বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার। ১৬ ডিসেম্বরই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থিত প্রবাসী সরকার সদর দপ্তর থেকে গোটা দেশে বেসামরিক প্রশাসন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করে। নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসকদের কাছে প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলি পাঠানো শুরু হয়। যুদ্ধ শেষ হওয়ায় শুরু হয় পুরো সরকারের দেশে ফেরার প্রক্রিয়াও। ৭ ডিসেম্বর যশোর মুক্ত হওয়ার পর থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই উনিশটি জেলার জন্য জেলা প্রশাসকদের মনোনয়ন ও নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছিল। শুরু হলো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনের নতুন কঠিন যুদ্ধ।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বেলা পৌনে ১১টায় উপকণ্ঠ থেকে মূল ঢাকা শহরে প্রবেশ করেন বিজয়ী মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সেনারা। অন্যদিকে শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যায়ে চলতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি।
১৫ ডিসেম্বর ছিল বাংলাদেশে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর সদর্প বিচরণের শেষ দিন। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর চূড়ান্ত অভিযানে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই কার্যত ঢাকায় পাকিস্তানি দুর্গের পতনের ক্ষণগণনা চলছিল। উপায় না দেখে পাকিস্তানি ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান আবদুল্লাহ খান নিয়াজি শীর্ষ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ১৫ তারিখ আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের দলিল এবং সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা চূড়ান্ত করার জন্য ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল জ্যাকব ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকা এসে পৌঁছান। বিকেল ৪টার আগেই বাংলাদেশ নিয়মিত বাহিনীর দুটি ইউনিটসহ মোট চার ব্যাটালিয়ন সেনা ঢাকায় প্রবেশ করে। সঙ্গে কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধা। ঢাকার এত দিনের জনবিরল সড়কগুলো ক্রমেই জনাকীর্ণ হয়ে উঠতে শুরু করে। সবার মুখে একাত্তরের পরিচিতি রণধ্বনি’ জয় বাংলা’।
কারফিউ জারি থাকলেও মানুষ তার পরোয়া না করে রাস্তায় বেরিয়ে উল্লাস করতে থাকেন। পাকিস্তানি বাহিনীর নয় মাসের গণহত্যা, নির্যাতন ও ধ্বংসযজ্ঞের পর মুক্তির আনন্দে তাঁরা তখন আত্মহারা। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর কয়েক লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে তাঁরা পেয়েছেন নতুন দেশ—বাংলাদেশ। বিজয়ের আনন্দ, স্বজন হারানোর শোক আর অজানা আগামীর প্রত্যাশায় সবার মনে এক বিচিত্র অনুভূতি। এর মধ্যেও ঘটে কিছু দুঃখজনক ঘটনা। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পলায়নপর কিছু পাকিস্তানি সেনা ও বিহারি এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে অনেক বাঙালিকে হতাহত করে।
বিকেল ৪টায় বাংলাদেশের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খোন্দকার, ভারত-বাংলাদেশ যুগ্ম কমান্ডের অধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা ও অন্য সামরিক কর্মকর্তারা বিমানে ঢাকা অবতরণ করেন। এর কিছু সময় পরই ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (এখনকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল উৎফুল্ল জনতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারত মিলিত বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন পাকিস্তানি সমরাধিনায়ক লে. জেনারেল নিয়াজি। পাকিস্তানি বাহিনীর দখল থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হলো বাংলাদেশ। সগর্বে জায়গা করে নিল বিশ্বের মানচিত্রে।
ঢাকায় ১৬ ডিসেম্বরই ধীরে ধীরে সবাই জানতে পারেন আগের কয়েক দিনে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, লেখকসহ বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর। নিয়ে যাওয়ার সময় পাকিস্তানি সেনাদের এদেশীয় সহযোগীরা তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল; কিন্তু কেউই আর ফিরে আসেননি। দেশের এই মেধাবী, কৃতী সন্তানদের পরিণতির কথা ভেবে জনমনে ছড়িয়ে পড়ে উদ্বেগ। পরদিনই মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমির বীভৎস দৃশ্যের খবর। রাজধানীর রায়েরবাজার ও মিরপুরের বিভিন্ন জায়গার অনেক বধ্যভূমিতে পাওয়া যায় নির্যাতিত মানুষের ক্ষতবিক্ষত দেহ। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের অনেকের হাত বা চোখ বাঁধা, বেয়নেট বা গুলিতে বিদ্ধ লাশের খোঁজ মেলে রায়েরবাজারে। বিজয়ের আনন্দের মধ্যে এই শোকের খবর, বধ্যভূমির ভয়াবহ দৃশ্য স্তম্ভিত করে মানুষকে।
এদিকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই কাজে লেগে যায় বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার। ১৬ ডিসেম্বরই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থিত প্রবাসী সরকার সদর দপ্তর থেকে গোটা দেশে বেসামরিক প্রশাসন ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করে। নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসকদের কাছে প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলি পাঠানো শুরু হয়। যুদ্ধ শেষ হওয়ায় শুরু হয় পুরো সরকারের দেশে ফেরার প্রক্রিয়াও। ৭ ডিসেম্বর যশোর মুক্ত হওয়ার পর থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই উনিশটি জেলার জন্য জেলা প্রশাসকদের মনোনয়ন ও নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছিল। শুরু হলো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনের নতুন কঠিন যুদ্ধ।

কোভিড মহামারির সংকটের ভেতর মানব পাচারের ঘটনায় বিশ্বের গণমাধ্যমে বাংলাদেশ আবার শিরোনাম হয়েছে। ৮ জুলাই তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে ৪৯ জন বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে। অবৈধ অভিবাসন-প্রত্যাশীদের কাছে ‘ভূমধ্যসাগর’ এখন যেন মৃত্যুকূপ। এর আগে লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাও
১৪ জুলাই ২০২১
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দরে জমকালো ‘এয়ার শো’ দেখতে মানুষের ঢল নেমেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিমানবন্দরমুখী মানুষের স্রোত দেখা যায়।
১ ঘণ্টা আগে
বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
৪ ঘণ্টা আগে
পাচারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বিপুল সম্পদ গড়ে আলোচনায় থাকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নতুন করে ৬১৫টি সম্পদের তথ্য পাওয়ার গেছে। কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ সাতটি দেশে বিপুল এই সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
১০ ঘণ্টা আগে