
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘিরে গতকাল সোমবার সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে। এদিন সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং ২২ সংসদ সদস্যের (এমপি) বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। তাণ্ডব চালানো হয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে। এ সময় ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাড়ির আসবাবপত্র। এ ছাড়া রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের কয়েক শ নেতা-কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দলটির অনেক কার্যালয়।
রাজধানীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় হামলা
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই রাজধানীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়, বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড কার্যালয়ও। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে কারওয়ান বাজারে মৎস্য আড়তের পাশে জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।
এর আগে দুপুরের পরপরই গুলশানে শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসভবনে হামলা হয়। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সরকারি বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর করেন আন্দোলনকারীরা। বাড়িতে আগুনও দেওয়া হয়।
এদিকে জাতীয় সংসদ এলাকায় থাকা স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমের সরকারি বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর করা হয়। সেখানে লুটপাটও করা হয়।
সংসদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলায় কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা জানি না। আজকে (মঙ্গলবার) বিষয়টি দেখার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।’
৭ মন্ত্রী ও ২৬ এমপির বাড়িতে ভাঙচুর-আগুন
চাঁদপুরে সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, মেহেরপুরে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নাটোরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সিলেটে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর বাসভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
নাটোরে সংসদ সদস্য শিমুলের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। সিলেট নগরীর গোপালটিলা এলাকার সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য রণজিত চন্দ্র সরকারের বাসায় ভাঙচুর চালানো হয়। গাংনীতে অবস্থিত মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এস এম নাজমুল হক সাগরের কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়। ময়মনসিংহ নগরের শিববাড়ী রোডে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর, আঠারবাড়ি বিল্ডিং এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের বাসায় অগ্নিসংযোগ, সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু এবং ময়মনসিংহ সদর আসনের সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমানের নাটকঘর লেনের বাসায় অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ময়মনসিংহ-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানীর বাসা ও ত্রিশাল অটোরিকশাস্ট্যান্ড-সংলগ্ন পেট্রোলপাম্পে ভাঙচুর চালানো হয়। পাবনায় জেলা আওয়ামী লীগ অফিস, বাসা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাস কাউন্টার ও গ্যারেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়।
দিনাজপুর শহরের বাসুনিয়াপট্টি এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা হয়েছে। বিরামপুর পৌর শহর ও নবাবগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
লালমনিরহাটে তিন সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বরগুনার আমতলীতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির বাসভবনে আগুন এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ ১০টি স্থাপনায় ভাঙচুর করা হয়েছে। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, মেয়রসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও যুবলীগের কার্যালয় ভাঙচুর হয়েছে।
মানিকগঞ্জের ঘিওরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন মাহমুদের অফিসসহ অর্ধশত স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়। নাটোর-৪ আসনের সাংসদ ডা. সিদ্দিকুর রহমান পরিচালিত পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয়। কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আওয়ামী লীগ কার্যালয়, মেয়রের বাসায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। রাঙামাটিতে আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর করা হয়।
আবদুল হামিদের বাসভবনে হামলা
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কিশোরগঞ্জের বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বিকেলে জেলা শহরের খরমপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বাসার কিছু মালামাল বাইরে এনে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া বাসার বিভিন্ন মালপত্র মানুষ হাতে হাতে করে নিয়ে যায়। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বাসাও ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়।
বরিশালে এমপি হাসানাতের বাসভবনে আগুন
বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুর ভাগনে সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর কালীবাড়ি রোডের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। সেখানে ফায়ার সার্ভিসকে যেতে বাধা দেয় বিক্ষুব্ধরা। প্রায় এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যার দিকে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী কর্মীরা জানিয়েছেন, ওই বাড়ি থেকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আগুনে পুড়ে বীভৎস হয়ে যাওয়ায় মৃতদের পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এর আগের বিক্ষুব্ধ জনতা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহর বাসভবন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে।
রাজশাহী নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় দৈনিক ইত্তেফাকের রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ আলোকচিত্রী আজাহার উদ্দিনের বাসায় ভাঙচুর হয়েছে। এ ছাড়া পত্রিকার বাঘা উপজেলা প্রতিনিধি ও বাঘা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামানের আহমদপুর গ্রামের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।
জয়পুরহাটে সংসদ সদস্য স্বপনসহ আওয়ামী লীগের ১২ নেতার বাসা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদার বাসভবন, বাগেরহাটে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় এবং গাজীপুর জেলা ও মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় থানা, আওয়ামী লীগ অফিস, নেতাদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য ও হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমলের হোটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে।
শামীম ও সেলিম ওসমানের বাড়িতে আগুন
নারায়ণগঞ্জে হামলা ও ধাওয়ার মুখে পালিয়েছেন বহু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী। সারা দিন শেষে রাত নেমে এলেও খণ্ড খণ্ড সহিংসতা চলে পাড়া-মহল্লায়। চাষাঢ়ায় শামীম ওসমানের দাদাবাড়ি বায়তুল আমান, উত্তর চাষাঢ়ায় সেলিম ওসমানের বাড়ি হীরা মহল, জামতলায় শামীম ওসমানের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সাবেক সভাপতি আসিফ হাসান মানু, প্রয়াত নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
শাহীন চাকলাদারের পাঁচ তারকা হোটেলে আগুন
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন পাঁচ তারকা হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হোটেলের ভেতরে অনেকে আটকা পড়ে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।
শাজাহান ও নাছিমের বাড়িতে আগুন
মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের বাড়িতে বিকেলে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দিয়েছে জনতা।
আহমদিয়াদের অর্ধশত বাড়িতে আগুন
সোমবার বিকেলে পঞ্চগড়ে বিক্ষুব্ধ জনতা আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অর্ধশত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। এ ঘটনায় আহমদিয়াদের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আহম্মদনগরে আহমদিয়াদের অর্ধশত পরিবারের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নারীসহ আহত হয় ২০-২৫ জন আহমদিয়া। পরে সেনাবাহিনী তাঁদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘিরে গতকাল সোমবার সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে। এদিন সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং ২২ সংসদ সদস্যের (এমপি) বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। তাণ্ডব চালানো হয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে। এ সময় ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাড়ির আসবাবপত্র। এ ছাড়া রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের কয়েক শ নেতা-কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দলটির অনেক কার্যালয়।
রাজধানীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় হামলা
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই রাজধানীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়, বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড কার্যালয়ও। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে কারওয়ান বাজারে মৎস্য আড়তের পাশে জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।
এর আগে দুপুরের পরপরই গুলশানে শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসভবনে হামলা হয়। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সরকারি বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর করেন আন্দোলনকারীরা। বাড়িতে আগুনও দেওয়া হয়।
এদিকে জাতীয় সংসদ এলাকায় থাকা স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমের সরকারি বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর করা হয়। সেখানে লুটপাটও করা হয়।
সংসদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলায় কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা জানি না। আজকে (মঙ্গলবার) বিষয়টি দেখার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।’
৭ মন্ত্রী ও ২৬ এমপির বাড়িতে ভাঙচুর-আগুন
চাঁদপুরে সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, মেহেরপুরে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নাটোরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সিলেটে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর বাসভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
নাটোরে সংসদ সদস্য শিমুলের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। সিলেট নগরীর গোপালটিলা এলাকার সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য রণজিত চন্দ্র সরকারের বাসায় ভাঙচুর চালানো হয়। গাংনীতে অবস্থিত মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এস এম নাজমুল হক সাগরের কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়। ময়মনসিংহ নগরের শিববাড়ী রোডে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর, আঠারবাড়ি বিল্ডিং এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের বাসায় অগ্নিসংযোগ, সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু এবং ময়মনসিংহ সদর আসনের সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমানের নাটকঘর লেনের বাসায় অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ময়মনসিংহ-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানীর বাসা ও ত্রিশাল অটোরিকশাস্ট্যান্ড-সংলগ্ন পেট্রোলপাম্পে ভাঙচুর চালানো হয়। পাবনায় জেলা আওয়ামী লীগ অফিস, বাসা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাস কাউন্টার ও গ্যারেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়।
দিনাজপুর শহরের বাসুনিয়াপট্টি এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা হয়েছে। বিরামপুর পৌর শহর ও নবাবগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
লালমনিরহাটে তিন সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বরগুনার আমতলীতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির বাসভবনে আগুন এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ ১০টি স্থাপনায় ভাঙচুর করা হয়েছে। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, মেয়রসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও যুবলীগের কার্যালয় ভাঙচুর হয়েছে।
মানিকগঞ্জের ঘিওরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন মাহমুদের অফিসসহ অর্ধশত স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়। নাটোর-৪ আসনের সাংসদ ডা. সিদ্দিকুর রহমান পরিচালিত পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয়। কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আওয়ামী লীগ কার্যালয়, মেয়রের বাসায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। রাঙামাটিতে আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর করা হয়।
আবদুল হামিদের বাসভবনে হামলা
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কিশোরগঞ্জের বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বিকেলে জেলা শহরের খরমপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বাসার কিছু মালামাল বাইরে এনে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া বাসার বিভিন্ন মালপত্র মানুষ হাতে হাতে করে নিয়ে যায়। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বাসাও ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়।
বরিশালে এমপি হাসানাতের বাসভবনে আগুন
বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুর ভাগনে সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর কালীবাড়ি রোডের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। সেখানে ফায়ার সার্ভিসকে যেতে বাধা দেয় বিক্ষুব্ধরা। প্রায় এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যার দিকে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী কর্মীরা জানিয়েছেন, ওই বাড়ি থেকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আগুনে পুড়ে বীভৎস হয়ে যাওয়ায় মৃতদের পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এর আগের বিক্ষুব্ধ জনতা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহর বাসভবন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে।
রাজশাহী নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় দৈনিক ইত্তেফাকের রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ আলোকচিত্রী আজাহার উদ্দিনের বাসায় ভাঙচুর হয়েছে। এ ছাড়া পত্রিকার বাঘা উপজেলা প্রতিনিধি ও বাঘা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামানের আহমদপুর গ্রামের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।
জয়পুরহাটে সংসদ সদস্য স্বপনসহ আওয়ামী লীগের ১২ নেতার বাসা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদার বাসভবন, বাগেরহাটে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় এবং গাজীপুর জেলা ও মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় থানা, আওয়ামী লীগ অফিস, নেতাদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য ও হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমলের হোটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে।
শামীম ও সেলিম ওসমানের বাড়িতে আগুন
নারায়ণগঞ্জে হামলা ও ধাওয়ার মুখে পালিয়েছেন বহু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী। সারা দিন শেষে রাত নেমে এলেও খণ্ড খণ্ড সহিংসতা চলে পাড়া-মহল্লায়। চাষাঢ়ায় শামীম ওসমানের দাদাবাড়ি বায়তুল আমান, উত্তর চাষাঢ়ায় সেলিম ওসমানের বাড়ি হীরা মহল, জামতলায় শামীম ওসমানের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সাবেক সভাপতি আসিফ হাসান মানু, প্রয়াত নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
শাহীন চাকলাদারের পাঁচ তারকা হোটেলে আগুন
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন পাঁচ তারকা হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হোটেলের ভেতরে অনেকে আটকা পড়ে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।
শাজাহান ও নাছিমের বাড়িতে আগুন
মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের বাড়িতে বিকেলে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দিয়েছে জনতা।
আহমদিয়াদের অর্ধশত বাড়িতে আগুন
সোমবার বিকেলে পঞ্চগড়ে বিক্ষুব্ধ জনতা আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অর্ধশত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। এ ঘটনায় আহমদিয়াদের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আহম্মদনগরে আহমদিয়াদের অর্ধশত পরিবারের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নারীসহ আহত হয় ২০-২৫ জন আহমদিয়া। পরে সেনাবাহিনী তাঁদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘিরে গতকাল সোমবার সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে। এদিন সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং ২২ সংসদ সদস্যের (এমপি) বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। তাণ্ডব চালানো হয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে। এ সময় ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাড়ির আসবাবপত্র। এ ছাড়া রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের কয়েক শ নেতা-কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দলটির অনেক কার্যালয়।
রাজধানীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় হামলা
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই রাজধানীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়, বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড কার্যালয়ও। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে কারওয়ান বাজারে মৎস্য আড়তের পাশে জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।
এর আগে দুপুরের পরপরই গুলশানে শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসভবনে হামলা হয়। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সরকারি বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর করেন আন্দোলনকারীরা। বাড়িতে আগুনও দেওয়া হয়।
এদিকে জাতীয় সংসদ এলাকায় থাকা স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমের সরকারি বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর করা হয়। সেখানে লুটপাটও করা হয়।
সংসদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলায় কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা জানি না। আজকে (মঙ্গলবার) বিষয়টি দেখার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।’
৭ মন্ত্রী ও ২৬ এমপির বাড়িতে ভাঙচুর-আগুন
চাঁদপুরে সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, মেহেরপুরে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নাটোরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সিলেটে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর বাসভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
নাটোরে সংসদ সদস্য শিমুলের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। সিলেট নগরীর গোপালটিলা এলাকার সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য রণজিত চন্দ্র সরকারের বাসায় ভাঙচুর চালানো হয়। গাংনীতে অবস্থিত মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এস এম নাজমুল হক সাগরের কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়। ময়মনসিংহ নগরের শিববাড়ী রোডে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর, আঠারবাড়ি বিল্ডিং এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের বাসায় অগ্নিসংযোগ, সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু এবং ময়মনসিংহ সদর আসনের সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমানের নাটকঘর লেনের বাসায় অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ময়মনসিংহ-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানীর বাসা ও ত্রিশাল অটোরিকশাস্ট্যান্ড-সংলগ্ন পেট্রোলপাম্পে ভাঙচুর চালানো হয়। পাবনায় জেলা আওয়ামী লীগ অফিস, বাসা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাস কাউন্টার ও গ্যারেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়।
দিনাজপুর শহরের বাসুনিয়াপট্টি এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা হয়েছে। বিরামপুর পৌর শহর ও নবাবগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
লালমনিরহাটে তিন সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বরগুনার আমতলীতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির বাসভবনে আগুন এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ ১০টি স্থাপনায় ভাঙচুর করা হয়েছে। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, মেয়রসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও যুবলীগের কার্যালয় ভাঙচুর হয়েছে।
মানিকগঞ্জের ঘিওরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন মাহমুদের অফিসসহ অর্ধশত স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়। নাটোর-৪ আসনের সাংসদ ডা. সিদ্দিকুর রহমান পরিচালিত পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয়। কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আওয়ামী লীগ কার্যালয়, মেয়রের বাসায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। রাঙামাটিতে আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর করা হয়।
আবদুল হামিদের বাসভবনে হামলা
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কিশোরগঞ্জের বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বিকেলে জেলা শহরের খরমপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বাসার কিছু মালামাল বাইরে এনে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া বাসার বিভিন্ন মালপত্র মানুষ হাতে হাতে করে নিয়ে যায়। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বাসাও ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়।
বরিশালে এমপি হাসানাতের বাসভবনে আগুন
বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুর ভাগনে সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর কালীবাড়ি রোডের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। সেখানে ফায়ার সার্ভিসকে যেতে বাধা দেয় বিক্ষুব্ধরা। প্রায় এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যার দিকে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী কর্মীরা জানিয়েছেন, ওই বাড়ি থেকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আগুনে পুড়ে বীভৎস হয়ে যাওয়ায় মৃতদের পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এর আগের বিক্ষুব্ধ জনতা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহর বাসভবন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে।
রাজশাহী নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় দৈনিক ইত্তেফাকের রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ আলোকচিত্রী আজাহার উদ্দিনের বাসায় ভাঙচুর হয়েছে। এ ছাড়া পত্রিকার বাঘা উপজেলা প্রতিনিধি ও বাঘা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামানের আহমদপুর গ্রামের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।
জয়পুরহাটে সংসদ সদস্য স্বপনসহ আওয়ামী লীগের ১২ নেতার বাসা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদার বাসভবন, বাগেরহাটে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় এবং গাজীপুর জেলা ও মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় থানা, আওয়ামী লীগ অফিস, নেতাদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য ও হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমলের হোটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে।
শামীম ও সেলিম ওসমানের বাড়িতে আগুন
নারায়ণগঞ্জে হামলা ও ধাওয়ার মুখে পালিয়েছেন বহু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী। সারা দিন শেষে রাত নেমে এলেও খণ্ড খণ্ড সহিংসতা চলে পাড়া-মহল্লায়। চাষাঢ়ায় শামীম ওসমানের দাদাবাড়ি বায়তুল আমান, উত্তর চাষাঢ়ায় সেলিম ওসমানের বাড়ি হীরা মহল, জামতলায় শামীম ওসমানের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সাবেক সভাপতি আসিফ হাসান মানু, প্রয়াত নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
শাহীন চাকলাদারের পাঁচ তারকা হোটেলে আগুন
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন পাঁচ তারকা হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হোটেলের ভেতরে অনেকে আটকা পড়ে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।
শাজাহান ও নাছিমের বাড়িতে আগুন
মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের বাড়িতে বিকেলে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দিয়েছে জনতা।
আহমদিয়াদের অর্ধশত বাড়িতে আগুন
সোমবার বিকেলে পঞ্চগড়ে বিক্ষুব্ধ জনতা আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অর্ধশত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। এ ঘটনায় আহমদিয়াদের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আহম্মদনগরে আহমদিয়াদের অর্ধশত পরিবারের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নারীসহ আহত হয় ২০-২৫ জন আহমদিয়া। পরে সেনাবাহিনী তাঁদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘিরে গতকাল সোমবার সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে। এদিন সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং ২২ সংসদ সদস্যের (এমপি) বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। তাণ্ডব চালানো হয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে। এ সময় ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাড়ির আসবাবপত্র। এ ছাড়া রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের কয়েক শ নেতা-কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দলটির অনেক কার্যালয়।
রাজধানীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় হামলা
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই রাজধানীতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়, বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড কার্যালয়ও। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে কারওয়ান বাজারে মৎস্য আড়তের পাশে জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।
এর আগে দুপুরের পরপরই গুলশানে শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসভবনে হামলা হয়। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সরকারি বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর করেন আন্দোলনকারীরা। বাড়িতে আগুনও দেওয়া হয়।
এদিকে জাতীয় সংসদ এলাকায় থাকা স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমের সরকারি বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর করা হয়। সেখানে লুটপাটও করা হয়।
সংসদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলায় কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা জানি না। আজকে (মঙ্গলবার) বিষয়টি দেখার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।’
৭ মন্ত্রী ও ২৬ এমপির বাড়িতে ভাঙচুর-আগুন
চাঁদপুরে সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, মেহেরপুরে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নাটোরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সিলেটে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর বাসভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
নাটোরে সংসদ সদস্য শিমুলের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। সিলেট নগরীর গোপালটিলা এলাকার সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য রণজিত চন্দ্র সরকারের বাসায় ভাঙচুর চালানো হয়। গাংনীতে অবস্থিত মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এস এম নাজমুল হক সাগরের কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়। ময়মনসিংহ নগরের শিববাড়ী রোডে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর, আঠারবাড়ি বিল্ডিং এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের বাসায় অগ্নিসংযোগ, সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু এবং ময়মনসিংহ সদর আসনের সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমানের নাটকঘর লেনের বাসায় অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ময়মনসিংহ-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানীর বাসা ও ত্রিশাল অটোরিকশাস্ট্যান্ড-সংলগ্ন পেট্রোলপাম্পে ভাঙচুর চালানো হয়। পাবনায় জেলা আওয়ামী লীগ অফিস, বাসা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাস কাউন্টার ও গ্যারেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়।
দিনাজপুর শহরের বাসুনিয়াপট্টি এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা হয়েছে। বিরামপুর পৌর শহর ও নবাবগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
লালমনিরহাটে তিন সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বরগুনার আমতলীতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির বাসভবনে আগুন এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ ১০টি স্থাপনায় ভাঙচুর করা হয়েছে। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, মেয়রসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও যুবলীগের কার্যালয় ভাঙচুর হয়েছে।
মানিকগঞ্জের ঘিওরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন মাহমুদের অফিসসহ অর্ধশত স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়। নাটোর-৪ আসনের সাংসদ ডা. সিদ্দিকুর রহমান পরিচালিত পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয়। কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আওয়ামী লীগ কার্যালয়, মেয়রের বাসায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে। রাঙামাটিতে আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর করা হয়।
আবদুল হামিদের বাসভবনে হামলা
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কিশোরগঞ্জের বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বিকেলে জেলা শহরের খরমপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বাসার কিছু মালামাল বাইরে এনে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া বাসার বিভিন্ন মালপত্র মানুষ হাতে হাতে করে নিয়ে যায়। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বাসাও ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়।
বরিশালে এমপি হাসানাতের বাসভবনে আগুন
বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুর ভাগনে সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর কালীবাড়ি রোডের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। সেখানে ফায়ার সার্ভিসকে যেতে বাধা দেয় বিক্ষুব্ধরা। প্রায় এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যার দিকে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী কর্মীরা জানিয়েছেন, ওই বাড়ি থেকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আগুনে পুড়ে বীভৎস হয়ে যাওয়ায় মৃতদের পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এর আগের বিক্ষুব্ধ জনতা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহর বাসভবন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে।
রাজশাহী নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় দৈনিক ইত্তেফাকের রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ আলোকচিত্রী আজাহার উদ্দিনের বাসায় ভাঙচুর হয়েছে। এ ছাড়া পত্রিকার বাঘা উপজেলা প্রতিনিধি ও বাঘা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামানের আহমদপুর গ্রামের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।
জয়পুরহাটে সংসদ সদস্য স্বপনসহ আওয়ামী লীগের ১২ নেতার বাসা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদার বাসভবন, বাগেরহাটে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় এবং গাজীপুর জেলা ও মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় থানা, আওয়ামী লীগ অফিস, নেতাদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য ও হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমলের হোটেলসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে।
শামীম ও সেলিম ওসমানের বাড়িতে আগুন
নারায়ণগঞ্জে হামলা ও ধাওয়ার মুখে পালিয়েছেন বহু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী। সারা দিন শেষে রাত নেমে এলেও খণ্ড খণ্ড সহিংসতা চলে পাড়া-মহল্লায়। চাষাঢ়ায় শামীম ওসমানের দাদাবাড়ি বায়তুল আমান, উত্তর চাষাঢ়ায় সেলিম ওসমানের বাড়ি হীরা মহল, জামতলায় শামীম ওসমানের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সাবেক সভাপতি আসিফ হাসান মানু, প্রয়াত নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
শাহীন চাকলাদারের পাঁচ তারকা হোটেলে আগুন
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন পাঁচ তারকা হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হোটেলের ভেতরে অনেকে আটকা পড়ে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।
শাজাহান ও নাছিমের বাড়িতে আগুন
মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের বাড়িতে বিকেলে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দিয়েছে জনতা।
আহমদিয়াদের অর্ধশত বাড়িতে আগুন
সোমবার বিকেলে পঞ্চগড়ে বিক্ষুব্ধ জনতা আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অর্ধশত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। এ ঘটনায় আহমদিয়াদের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আহম্মদনগরে আহমদিয়াদের অর্ধশত পরিবারের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নারীসহ আহত হয় ২০-২৫ জন আহমদিয়া। পরে সেনাবাহিনী তাঁদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টা এবং সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রচারের মাঠে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ইতিমধ্যে...
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) পূর্ব দিগন্তে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাতি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহীদদের...
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে হারিয়ে বিজয় অর্জনের ৫৪তম বার্ষিকীতে পতাকামিছিল ও মুক্তির গান পরিবেশন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন।
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙালি জাতি নিজেদের জন্য বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংযোজন করেছিল এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। দিবসটির প্রথম প্রহরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন
৮ ঘণ্টা আগেআমানুর রহমান রনি, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টা এবং সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রচারের মাঠে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ইতিমধ্যে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রার্থীদের পুলিশের নিরাপত্তা প্রটোকল দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ। তবে পুলিশ বলেছে, প্রার্থীর ঝুঁকি বিবেচনায় ‘ক্যাটাগরি করে’ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলি করে দু্র্বৃত্তরা। মাথায় গুলিবিদ্ধ হাদি বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর ওপর প্রকাশ্যে হামলার ওই ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানান। প্রচারে নিরাপত্তাঝুঁকি ও শঙ্কার কথাও বলছেন অনেকে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে নির্বাচনে ভোটার অংশগ্রহণ কম হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হবে।
অবশ্য পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঝুঁকি বিবেচনায় নিরাপত্তার বিধান করা হবে। কেউ যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন ও ঝুঁকিতে আছেন মনে করেন, তিনি পুলিশের কাছে আসবেন, আমরা তাঁর ঝুঁকি বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেব।’
নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বলেন, পারিবারিক ও নিরাপত্তাসহ একাধিক কারণে তিনি এই নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সিকিউরিটি কনসার্ন হচ্ছে আমার পরিবার। আমার পরিবারের সঙ্গে এই জায়গায় নেগোসিয়েশন করতে পারছি না। তবে বিষয়টা এমন না যে সরকার নিরাপত্তা দিতে পারছে না, সেই কারণে সরে যাচ্ছি।’
তফসিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য প্রার্থী, ভোটারসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছিল। সম্ভাব্য প্রার্থীরা অনানুষ্ঠানিক গণসংযোগেও নেমেছিলেন। কিন্তু হাদির ওপর হামলার পর তাঁরা মাঠে নামতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ফলে নির্বাচনী মাঠে এখন প্রার্থীদের তেমন তৎপরতা নেই বললেই চলে।
জানতে চাইলে গতকাল কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী আমির হামজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনার পর আমরা সতর্ক রয়েছি। পুলিশ সুপার, ওসির সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা হয়তো সামনে নিরাপত্তা দেবে। প্রচার-প্রচারণা বন্ধ থাকায় এখন বাইরে কোথাও যাই না। এখন যখনই কোথাও যাই, অন্তত ১৫ জন সঙ্গে নিয়ে যাই।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনে করছেন, বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন এনসিপির প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধারা। হাদি সম্মুখসারির জুলাই যোদ্ধা। এনসিপির নেতৃত্বে রয়েছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা।
নরসিংদী-২ আসনে এনসিপির মনোনীত প্রার্থী সারোয়ার তুষার বলেন, ‘আমরা শঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ, তবে আমরা ভীত নই। আমি যে আসন থেকে নির্বাচন করব, সেখানে নিয়মিত আমাকে ও আমার নেতা-কর্মীদের, এমনকি সাধারণ ভোটারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রাজনীতি ছেড়ে দিতে আমার নেতা-কর্মীদের ওপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে।’
এর আগে ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের চালিতাতলীতে বিএনপির প্রার্থী এরশাদউল্লাহর গণসংযোগের গুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলা নিহত এবং এরশাদউল্লাহসহ দুজন আহত হন। বাবলাকে হত্যার জন্য ওই হামলা হলেও আতঙ্ক ছড়ায় চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
এদিকে হাদির ওপর হামলার পর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক করেন। সরকার ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে। গত সোমবার গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স এবং তাঁদের জন্য সশস্ত্র ব্যক্তি (রিটেইনার) নিয়োগ নীতিমালা-২০২৫ জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৪।
সূত্র জানায়, রোববার ও সোমবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশ কর্মকর্তারা একাধিক বৈঠক করেন। এরপর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। এসব বৈঠকে করণীয় ঠিক করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সদর দপ্তরেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। করণীয় ঠিক করতে প্রতিটি রেঞ্জ ও মহানগর পুলিশকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন আইজিপি।
তবে ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, অদৃশ্য একটি ঝুঁকি রয়েছে। কারণ, অনেকেই নির্বাচন করতে দিতে চাইছে না। স্বাধীনতাবিরোধী শত্রুরা এখনো সক্রিয়। তারা পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতা পাচ্ছে, এটি আরও ভয় তৈরি করছে।
একই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ফয়জুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বস্তি বোধ করছেন না। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক করতে হবে।
পুলিশ সদর দপ্তর বলেছে, ঝুঁকি বিবেচনায় প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে নিশ্চিত করা হবে। এগুলো হলো, অতিঝুঁকিতে, মাঝারি ঝুঁকিতে ও কম ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তি। ঝুঁকিতে থাকা প্রত্যেক প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধার সঙ্গে আলোচনা করে, যেভাবে তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন, সেই অনুযায়ী নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ জানায়, ইউনিফর্ম পরা পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন, যা নির্বাচন পর্যন্ত বহাল থাকবে। প্রার্থীদের পাশাপাশি ছাত্রনেতা, জুলাই যোদ্ধা, শিক্ষকসহ আরও কয়েকটি শ্রেণির ব্যক্তিও এই নিরাপত্তার আওতায় থাকবেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ইতিমধ্যে জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেছে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং এ বিষয়ে কাজ চলছে।
যেসব প্রার্থীর নিরাপত্তা ঝুঁকি বেশি, তাঁরা সার্বক্ষণিক গানম্যান পাবেন। প্রয়োজনে বাসা ও অফিসে স্থায়ীভাবে গানম্যান নিয়োজিত থাকবে। এক্ষেত্রে জুলাই যোদ্ধা ও অতিঝুঁকিতে থাকা প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন। গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মূল্যায়নে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হলে প্রার্থীরা নিজেরা সশস্ত্র দেহরক্ষী রাখতে পারবেন, না পারলে পুলিশের পক্ষ থেকে দেহরক্ষী দেওয়া হবে। বাসা, অফিস ও যাতায়াতের সময় এ নিরাপত্তা কার্যকর থাকবে।
ঝুঁকিতে থাকা প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধাদের গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ ও চলাচলের সময়সূচি সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে আগাম জানাতে বলা হয়েছে, যাতে পুলিশ আগে থেকেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিতে পারে। সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং থানার সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচনী গণসংযোগ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি একটি সমন্বিত ‘নিরাপত্তা প্রটোকল’ তৈরি করছে, যেখানে প্রার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকনির্দেশনা থাকবে।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের সব ইউনিট ও থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনিরাপদবোধ করলে যে কেউ পুলিশের সহায়তা চাইতে পারবেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কেউ নির্বাচন বানচাল করতে চায়, কেউ ক্ষমতা চায়। তাই দেশে এই অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ভোটারদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। তাই সরকারকে উদ্যোগ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের যেমন দায় রয়েছে, তেমনি নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোরও উদ্যোগ নিতে হবে। তাদের সদাচরণ করতে হবে। তাহলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। প্রার্থী ও ভোটারদের জন্য সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টা এবং সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রচারের মাঠে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ইতিমধ্যে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারও বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রার্থীদের পুলিশের নিরাপত্তা প্রটোকল দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ। তবে পুলিশ বলেছে, প্রার্থীর ঝুঁকি বিবেচনায় ‘ক্যাটাগরি করে’ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলি করে দু্র্বৃত্তরা। মাথায় গুলিবিদ্ধ হাদি বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর ওপর প্রকাশ্যে হামলার ওই ঘটনায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানান। প্রচারে নিরাপত্তাঝুঁকি ও শঙ্কার কথাও বলছেন অনেকে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে নির্বাচনে ভোটার অংশগ্রহণ কম হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হবে।
অবশ্য পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঝুঁকি বিবেচনায় নিরাপত্তার বিধান করা হবে। কেউ যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন ও ঝুঁকিতে আছেন মনে করেন, তিনি পুলিশের কাছে আসবেন, আমরা তাঁর ঝুঁকি বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেব।’
নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বলেন, পারিবারিক ও নিরাপত্তাসহ একাধিক কারণে তিনি এই নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সিকিউরিটি কনসার্ন হচ্ছে আমার পরিবার। আমার পরিবারের সঙ্গে এই জায়গায় নেগোসিয়েশন করতে পারছি না। তবে বিষয়টা এমন না যে সরকার নিরাপত্তা দিতে পারছে না, সেই কারণে সরে যাচ্ছি।’
তফসিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য প্রার্থী, ভোটারসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছিল। সম্ভাব্য প্রার্থীরা অনানুষ্ঠানিক গণসংযোগেও নেমেছিলেন। কিন্তু হাদির ওপর হামলার পর তাঁরা মাঠে নামতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ফলে নির্বাচনী মাঠে এখন প্রার্থীদের তেমন তৎপরতা নেই বললেই চলে।
জানতে চাইলে গতকাল কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী আমির হামজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনার পর আমরা সতর্ক রয়েছি। পুলিশ সুপার, ওসির সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা হয়তো সামনে নিরাপত্তা দেবে। প্রচার-প্রচারণা বন্ধ থাকায় এখন বাইরে কোথাও যাই না। এখন যখনই কোথাও যাই, অন্তত ১৫ জন সঙ্গে নিয়ে যাই।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনে করছেন, বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন এনসিপির প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধারা। হাদি সম্মুখসারির জুলাই যোদ্ধা। এনসিপির নেতৃত্বে রয়েছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা।
নরসিংদী-২ আসনে এনসিপির মনোনীত প্রার্থী সারোয়ার তুষার বলেন, ‘আমরা শঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ, তবে আমরা ভীত নই। আমি যে আসন থেকে নির্বাচন করব, সেখানে নিয়মিত আমাকে ও আমার নেতা-কর্মীদের, এমনকি সাধারণ ভোটারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রাজনীতি ছেড়ে দিতে আমার নেতা-কর্মীদের ওপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে।’
এর আগে ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের চালিতাতলীতে বিএনপির প্রার্থী এরশাদউল্লাহর গণসংযোগের গুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলা নিহত এবং এরশাদউল্লাহসহ দুজন আহত হন। বাবলাকে হত্যার জন্য ওই হামলা হলেও আতঙ্ক ছড়ায় চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
এদিকে হাদির ওপর হামলার পর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক করেন। সরকার ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে। গত সোমবার গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের অনুকূলে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স এবং তাঁদের জন্য সশস্ত্র ব্যক্তি (রিটেইনার) নিয়োগ নীতিমালা-২০২৫ জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-৪।
সূত্র জানায়, রোববার ও সোমবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশ কর্মকর্তারা একাধিক বৈঠক করেন। এরপর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। এসব বৈঠকে করণীয় ঠিক করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সদর দপ্তরেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। করণীয় ঠিক করতে প্রতিটি রেঞ্জ ও মহানগর পুলিশকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন আইজিপি।
তবে ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, অদৃশ্য একটি ঝুঁকি রয়েছে। কারণ, অনেকেই নির্বাচন করতে দিতে চাইছে না। স্বাধীনতাবিরোধী শত্রুরা এখনো সক্রিয়। তারা পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতা পাচ্ছে, এটি আরও ভয় তৈরি করছে।
একই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ফয়জুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বস্তি বোধ করছেন না। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক করতে হবে।
পুলিশ সদর দপ্তর বলেছে, ঝুঁকি বিবেচনায় প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে নিশ্চিত করা হবে। এগুলো হলো, অতিঝুঁকিতে, মাঝারি ঝুঁকিতে ও কম ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তি। ঝুঁকিতে থাকা প্রত্যেক প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধার সঙ্গে আলোচনা করে, যেভাবে তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন, সেই অনুযায়ী নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ জানায়, ইউনিফর্ম পরা পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন, যা নির্বাচন পর্যন্ত বহাল থাকবে। প্রার্থীদের পাশাপাশি ছাত্রনেতা, জুলাই যোদ্ধা, শিক্ষকসহ আরও কয়েকটি শ্রেণির ব্যক্তিও এই নিরাপত্তার আওতায় থাকবেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ইতিমধ্যে জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেছে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং এ বিষয়ে কাজ চলছে।
যেসব প্রার্থীর নিরাপত্তা ঝুঁকি বেশি, তাঁরা সার্বক্ষণিক গানম্যান পাবেন। প্রয়োজনে বাসা ও অফিসে স্থায়ীভাবে গানম্যান নিয়োজিত থাকবে। এক্ষেত্রে জুলাই যোদ্ধা ও অতিঝুঁকিতে থাকা প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন। গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মূল্যায়নে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হলে প্রার্থীরা নিজেরা সশস্ত্র দেহরক্ষী রাখতে পারবেন, না পারলে পুলিশের পক্ষ থেকে দেহরক্ষী দেওয়া হবে। বাসা, অফিস ও যাতায়াতের সময় এ নিরাপত্তা কার্যকর থাকবে।
ঝুঁকিতে থাকা প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধাদের গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ ও চলাচলের সময়সূচি সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে আগাম জানাতে বলা হয়েছে, যাতে পুলিশ আগে থেকেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিতে পারে। সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং থানার সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচনী গণসংযোগ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি একটি সমন্বিত ‘নিরাপত্তা প্রটোকল’ তৈরি করছে, যেখানে প্রার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকনির্দেশনা থাকবে।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, প্রার্থী ও জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের সব ইউনিট ও থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনিরাপদবোধ করলে যে কেউ পুলিশের সহায়তা চাইতে পারবেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কেউ নির্বাচন বানচাল করতে চায়, কেউ ক্ষমতা চায়। তাই দেশে এই অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ভোটারদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। তাই সরকারকে উদ্যোগ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের যেমন দায় রয়েছে, তেমনি নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোরও উদ্যোগ নিতে হবে। তাদের সদাচরণ করতে হবে। তাহলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। প্রার্থী ও ভোটারদের জন্য সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘিরে গতকাল সোমবার সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে। এদিন সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং ২২ সংসদ সদস্যের (এমপি) বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। তাণ্ডব চালানো হয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে। এ সময় ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে
০৬ আগস্ট ২০২৪
মহান বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) পূর্ব দিগন্তে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাতি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহীদদের...
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে হারিয়ে বিজয় অর্জনের ৫৪তম বার্ষিকীতে পতাকামিছিল ও মুক্তির গান পরিবেশন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন।
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙালি জাতি নিজেদের জন্য বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংযোজন করেছিল এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। দিবসটির প্রথম প্রহরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন
৮ ঘণ্টা আগেস্মৃতিসৌধে জনতার ঢল
নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধি, সাভার

মহান বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) পূর্ব দিগন্তে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাতি।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে। শহীদদের স্মরণে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে তারা।
এরপর পর্যায়ক্রমে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দলের নেতারা, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
মঙ্গলবার সকাল থেকে স্মৃতিসৌধ এলাকায় মানুষের ঢল নামে। হাতে লাল-সবুজের পতাকা, মুখে বিজয়ের গান, হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা—শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবাই একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একত্র হয়।
স্বাধীনতার ৫৫তম বছরে প্রবেশের এই ঐতিহাসিক দিনে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে দেশকে ন্যায়, সাম্য ও মানবিকতার পথে এগিয়ে নিতে হবে।’
সাভারের উত্তরপাড়া থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন কলেজছাত্র বিশাল চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমি গণতান্ত্রিক, দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ দেখতে চাই।’
ব্যবসায়ী সুমন ঘোষ বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয় আজও আমাদের প্রেরণা।’
বিএনপির পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, জামায়াত ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত দেশের শান্তি কামনা করেনি, এমনকি এখনো করে না। তারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, এখনো চায় না। তারা চায় দেশটা একটা বিপাকে পড়ুক, একটা খারাপ অবস্থায় চলে যাক, অশান্তিময় থাকুক।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সরকার ও পুলিশের ওপর নির্ভর করে জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। আমাদের নিরাপত্তা নিজেদেরই নিশ্চিত করতে হবে।’
এ ছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণসংহতি আন্দোলন প্রভৃতি দলও জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানায়।
বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নতুন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘যখন থেকে আমরা স্বাধীন হলাম, তখন থেকেই আমাদের প্রত্যাশা ছিল একটা গণতান্ত্রিক, শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থার। অনেক বছর পর এখন আবার মনে হচ্ছে, ওই জিনিসগুলো আমরা অর্জন করতে পারিনি। পারিনি বলেই তো গণ-অভ্যুত্থান হলো, বিপ্লব হলো।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। আমরা আশা করি, এ নির্বাচনের মাধ্যমে একটা ভিত্তি স্থাপন হবে। যে ভিত্তি গণতন্ত্রকে যেমন সুদৃঢ় করবে, তেমনি জনগণের কাছে সরকারকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি। এখানে এলে ভালো লাগে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, আহত মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, যাঁরা ওই সময়ে নানান আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় মন সিক্ত হয়।’
এদিকে বিজয় দিবস ঘিরে সাভারে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। গত সোমবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত আমিনবাজার থেকে স্মৃতিসৌধ এবং বাইপাইল থেকে স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হয়নি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ ত্যাগের পর সড়কের ওই অংশে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।
পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও দর্শনার্থীদের জন্য চার স্তরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। সাভারের আমিনবাজার থেকে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি পোশাকে এবং সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৪ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন করা হয়।

মহান বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) পূর্ব দিগন্তে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাতি।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে। শহীদদের স্মরণে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে তারা।
এরপর পর্যায়ক্রমে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দলের নেতারা, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
মঙ্গলবার সকাল থেকে স্মৃতিসৌধ এলাকায় মানুষের ঢল নামে। হাতে লাল-সবুজের পতাকা, মুখে বিজয়ের গান, হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা—শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবাই একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একত্র হয়।
স্বাধীনতার ৫৫তম বছরে প্রবেশের এই ঐতিহাসিক দিনে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে দেশকে ন্যায়, সাম্য ও মানবিকতার পথে এগিয়ে নিতে হবে।’
সাভারের উত্তরপাড়া থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন কলেজছাত্র বিশাল চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমি গণতান্ত্রিক, দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ দেখতে চাই।’
ব্যবসায়ী সুমন ঘোষ বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয় আজও আমাদের প্রেরণা।’
বিএনপির পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, জামায়াত ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত দেশের শান্তি কামনা করেনি, এমনকি এখনো করে না। তারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, এখনো চায় না। তারা চায় দেশটা একটা বিপাকে পড়ুক, একটা খারাপ অবস্থায় চলে যাক, অশান্তিময় থাকুক।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সরকার ও পুলিশের ওপর নির্ভর করে জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। আমাদের নিরাপত্তা নিজেদেরই নিশ্চিত করতে হবে।’
এ ছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণসংহতি আন্দোলন প্রভৃতি দলও জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানায়।
বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নতুন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘যখন থেকে আমরা স্বাধীন হলাম, তখন থেকেই আমাদের প্রত্যাশা ছিল একটা গণতান্ত্রিক, শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থার। অনেক বছর পর এখন আবার মনে হচ্ছে, ওই জিনিসগুলো আমরা অর্জন করতে পারিনি। পারিনি বলেই তো গণ-অভ্যুত্থান হলো, বিপ্লব হলো।’
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। আমরা আশা করি, এ নির্বাচনের মাধ্যমে একটা ভিত্তি স্থাপন হবে। যে ভিত্তি গণতন্ত্রকে যেমন সুদৃঢ় করবে, তেমনি জনগণের কাছে সরকারকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি। এখানে এলে ভালো লাগে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, আহত মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, যাঁরা ওই সময়ে নানান আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় মন সিক্ত হয়।’
এদিকে বিজয় দিবস ঘিরে সাভারে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। গত সোমবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত আমিনবাজার থেকে স্মৃতিসৌধ এবং বাইপাইল থেকে স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হয়নি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ ত্যাগের পর সড়কের ওই অংশে যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।
পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও দর্শনার্থীদের জন্য চার স্তরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। সাভারের আমিনবাজার থেকে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি পোশাকে এবং সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৪ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘিরে গতকাল সোমবার সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে। এদিন সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং ২২ সংসদ সদস্যের (এমপি) বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। তাণ্ডব চালানো হয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে। এ সময় ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে
০৬ আগস্ট ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টা এবং সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রচারের মাঠে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ইতিমধ্যে...
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে হারিয়ে বিজয় অর্জনের ৫৪তম বার্ষিকীতে পতাকামিছিল ও মুক্তির গান পরিবেশন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন।
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙালি জাতি নিজেদের জন্য বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংযোজন করেছিল এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। দিবসটির প্রথম প্রহরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান বিজয় দিবস, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে হারিয়ে বিজয় অর্জনের ৫৪তম বার্ষিকীতে পতাকামিছিল ও মুক্তির গান পরিবেশন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের গেটের সামনে থেকে শুরু হয়ে পতাকামিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বিভিন্ন গান পরিবেশন করেন উদীচী সংগীত বিভাগের শিল্পীরা। তাঁরা পরিবেশন করেন—‘মুক্তির মন্দির সোপানতলে’, ‘মাগো ভাবনা কেন’, ‘গেরিলা আমরা, আমরা গেরিলা’, ‘তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর’, ‘ধন ধান্য পুষ্প ভরা’সহ বেশ কিছু গান। মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন তিনটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ সেলিম, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্নু। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।
সমাবেশে মাহমুদ সেলিম বলেন, বিজয়ের ৫৪ বছর পরও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থামায়নি। তারা মুক্তিযুদ্ধের নিত্যনতুন ইতিহাস তৈরি করে তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ধর্মের নামে বিভেদ সৃষ্টি করে জাতীয় ঐক্যকে বিনষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব মিথ্যাবাদী, মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে না দিতে পারলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক ও সাম্যবাদী বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যাবে না। এসব অপশক্তিকে রুখে দিতে প্রয়োজনে একাত্তরের মতোই প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান মাহমুদ সেলিম।
মাহমুদ সেলিম বলেন, ‘মহান বিজয় দিবস, স্বাধীন বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাসে মুক্তি, আত্মত্যাগ ও অগ্রযাত্রার প্রতীক। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য পতাকামিছিল ও মুক্তির গান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমরা বিজয়ের চেতনাকে ধারণ করে সাম্য, মানবিকতা ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের স্বপ্নকে আরও শক্তিশালী করতে চাই।’
এর আগে, বিজয় দিবসের সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ।

মহান বিজয় দিবস, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে হারিয়ে বিজয় অর্জনের ৫৪তম বার্ষিকীতে পতাকামিছিল ও মুক্তির গান পরিবেশন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের গেটের সামনে থেকে শুরু হয়ে পতাকামিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বিভিন্ন গান পরিবেশন করেন উদীচী সংগীত বিভাগের শিল্পীরা। তাঁরা পরিবেশন করেন—‘মুক্তির মন্দির সোপানতলে’, ‘মাগো ভাবনা কেন’, ‘গেরিলা আমরা, আমরা গেরিলা’, ‘তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর’, ‘ধন ধান্য পুষ্প ভরা’সহ বেশ কিছু গান। মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন তিনটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ সেলিম, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্নু। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।
সমাবেশে মাহমুদ সেলিম বলেন, বিজয়ের ৫৪ বছর পরও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থামায়নি। তারা মুক্তিযুদ্ধের নিত্যনতুন ইতিহাস তৈরি করে তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ধর্মের নামে বিভেদ সৃষ্টি করে জাতীয় ঐক্যকে বিনষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব মিথ্যাবাদী, মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে না দিতে পারলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক ও সাম্যবাদী বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যাবে না। এসব অপশক্তিকে রুখে দিতে প্রয়োজনে একাত্তরের মতোই প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান মাহমুদ সেলিম।
মাহমুদ সেলিম বলেন, ‘মহান বিজয় দিবস, স্বাধীন বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাসে মুক্তি, আত্মত্যাগ ও অগ্রযাত্রার প্রতীক। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য পতাকামিছিল ও মুক্তির গান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমরা বিজয়ের চেতনাকে ধারণ করে সাম্য, মানবিকতা ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের স্বপ্নকে আরও শক্তিশালী করতে চাই।’
এর আগে, বিজয় দিবসের সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘিরে গতকাল সোমবার সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে। এদিন সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং ২২ সংসদ সদস্যের (এমপি) বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। তাণ্ডব চালানো হয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে। এ সময় ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে
০৬ আগস্ট ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টা এবং সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রচারের মাঠে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ইতিমধ্যে...
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) পূর্ব দিগন্তে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাতি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহীদদের...
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙালি জাতি নিজেদের জন্য বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংযোজন করেছিল এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। দিবসটির প্রথম প্রহরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন
৮ ঘণ্টা আগেমহান বিজয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে বাঙালি জাতি নিজেদের জন্য বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংযোজন করেছিল এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে। দিবসটির প্রথম প্রহরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা। দিবসটিকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র বাহিনী মনোজ্ঞ ফ্লাই পাস্ট, প্যারা জাম্প ও বিশেষ অ্যারোবেটিক প্রদর্শনীর আয়োজন করে। বিজয় দিবস উদ্যাপনে নানা আয়োজন নিয়ে এই ছবির গল্প:
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

























বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘিরে গতকাল সোমবার সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে। এদিন সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং ২২ সংসদ সদস্যের (এমপি) বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। তাণ্ডব চালানো হয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে। এ সময় ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে
০৬ আগস্ট ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টা এবং সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রচারের মাঠে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেকে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ইতিমধ্যে...
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) পূর্ব দিগন্তে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাতি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহীদদের...
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে হারিয়ে বিজয় অর্জনের ৫৪তম বার্ষিকীতে পতাকামিছিল ও মুক্তির গান পরিবেশন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন।
৬ ঘণ্টা আগে