আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিকেলের মৃদু রোদে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বৈগুনি গ্রামে নিজের অসমাপ্ত ইটের তৈরি ঘরের সামনে বসে পেটের ডান পাশের ব্যথা আর পোড়া পোড়া অনুভূতি নীরবে সব সহ্য করছিলেন ৪৫ বছর বয়সী সফিরুদ্দিন। ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে তিনি ভারতের এক হাসপাতালে নিজের কিডনি বিক্রি করেন ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। স্বপ্ন ছিল, দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাবেন, তিন সন্তানের জন্য ভালো একটি ঘর তৈরি করবেন। কিন্তু সেই টাকা বহু আগেই শেষ হয়ে গেছে। ঘর এখনো অসমাপ্ত, আর শরীরের ব্যথা প্রতিদিন তাকে মনে করিয়ে দেয়, তিনি কী ভয়ংকর মূল্য দিয়েছেন।
সফিরুদ্দিন এখন কষ্ট নিয়ে কাজ করেন স্থানীয় একটি কোল্ড স্টোরেজে। শরীরের অবস্থাও ভালো না। সারাক্ষণ ব্যথা আর ক্লান্তিতে ভোগেন, ফলে সাধারণ কাজও ঠিকভাবে করতে পারেন না। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবার যে ভালো থাকতে পারে সে জন্যই আমার কিডনি দিয়েছিলাম। স্ত্রী আর সন্তানদের জন্যই সব করেছি।’
যখন কিডনি বিক্রি করেন, তখন এটা তেমন ভয়ংকর সিদ্ধান্ত মনে হয়নি তাঁর। তাঁর কাছে আসা দালালেরা সবকিছু সহজ আর ঝুঁকিমুক্ত বলেই বুঝিয়েছে। তাঁরা বলেছে, এটা একটা সুযোগ, বিপদের কিছু নয়। শুরুতে সন্দেহ ছিল সফিরুদ্দিনের, কিন্তু দারিদ্র্য আর অসহায়ত্ব শেষ পর্যন্ত তাঁর সন্দেহকে হার মানিয়েছে।
দালালেরা তাঁকে মেডিকেল ভিসা দিয়ে ভারতে নিয়ে যায়। ফ্লাইট, কাগজপত্র, হাসপাতালের সব আনুষ্ঠানিকতা—সবকিছু তারাই ঠিকঠাক করে দেয়। ভারতে পৌঁছানোর পর কিডনি গ্রহীতার সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক প্রমাণ করার জন্য তাঁর জাল পরিচয়পত্র তৈরি করা হয়। নকল কাগজপত্র বানানো হয়, এমনকি তার পরিচয়ও বদলে ফেলা হয়।
সফিরুদ্দিন বলেন, ‘আমি জানিই না, আমার কিডনি কে পেয়েছে। ওরা (দালালেরা) আমাকে কিছুই বলেনি।’ ভারতীয় আইনে কেবল নিকটাত্মীয়দের মধ্যেই অঙ্গদান বৈধ, অথবা সরকারের বিশেষ অনুমোদন লাগে। কিন্তু পাচারকারীরা নকল কাগজ, ভুয়া পরিচয়পত্র, এমনকি ডিএনএ রিপোর্ট পর্যন্ত তৈরি করে আইনকে ফাঁকি দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন বিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্য মনির মনিরুজ্জামান বললেন, ‘সাধারণত বিক্রেতার নাম পাল্টে দেওয়া হয়। ভুয়া নোটারি সার্টিফিকেট দেখিয়ে আত্মীয়তার সম্পর্ক বানানো হয়। নকল জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে দেখানো হয়, যেন দাতা সত্যিই ভাই-বোন বা পরিবারের কেউ।’
সফিরুদ্দিনের ঘটনা মোটেও ব্যতিক্রম নয়। তাঁর গ্রাম বৈগুনিতে এত বেশি মানুষ কিডনি বিক্রি করেছে যে পুরো গ্রামটাই এখন ‘এক কিডনির গ্রাম’ নামে পরিচিত। কিডনি বিক্রির হটস্পট হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে কালাই উপজেলা। ২০২৩ সালে ‘ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল গ্লোবাল হেলথে’ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, ওই অঞ্চলের প্রতি ৩৫ জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন কিডনি বিক্রি করেছেন।

কালাই উপজেলা বাংলাদেশের অন্যতম দরিদ্র এলাকা। অধিকাংশ কিডনি বিক্রেতা ৩০-এর কোটায় থাকা পুরুষ। ৮৩ শতাংশ লোকই বলেছে, দারিদ্র্য তাদের কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করেছে। কেউ কেউ ঋণ শোধ, মাদকাসক্তি বা জুয়া আসক্তির কারণেও এই পথে গেছেন।
সফিরুদ্দিন বলেন, দালালেরা তাঁর পাসপোর্ট রেখে দেয়, কখনো ফেরত দেয়নি। এমনকি অপারেশনের পর যে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল, সেটাও পাননি তিনি। তিনি বলেন, ‘ওরা আমার সবকিছু নিয়ে নিয়েছে।’ দালালেরা সাধারণত বিক্রেতার পাসপোর্ট, মেডিকেল রিপোর্ট রেখে দেয়। ফলে ট্রান্সপ্ল্যান্টের কোনো প্রমাণ থাকে না, পরবর্তী চিকিৎসাও পাওয়া যায় না।
এই কিডনিগুলো বিক্রি হয় বাংলাদেশ বা ভারতের ধনী রোগীদের কাছে, যারা দীর্ঘ অপেক্ষার ঝামেলা এড়িয়ে দ্রুত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পেতে চান। ভারতে প্রতি বছর প্রায় দুই লাখ মানুষ চূড়ান্ত পর্যায়ের কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়, অথচ ২০২৩ সালে মাত্র ১৩ হাজার ৬০০টি কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে।
বাংলাদেশি ১০-১৫ জন কিডনি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। সবার গল্প প্রায় এক—দারিদ্র্য তাদের এই পথে নিয়ে গেছে। সরল সমীকরণ—দারিদ্র্য, দীর্ঘ অপেক্ষা, আইনি দুর্বলতা আর ধনীদের চাহিদা এই ব্যবসাকে থামতে দেয় না।
কালাই উপজেলারই বিনাই গ্রামের ৪৫ বছরের বিধবা জোসনা বেগমও একই পথে গেছেন। ২০১২ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই মেয়েকে (১৮ ও ২০ বছর বয়সী) নিয়ে জীবনের সংগ্রামে নেমেছিলেন। ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করতে গিয়ে পরিচয় হয় বেলালের সঙ্গে, পরে তাঁরা বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর ২০১৯ সালে এক দালালের প্রলোভনে পড়ে ভারত গিয়ে দু’জনেই কিডনি বিক্রি করেন।
জোসনা বলেন, ‘এটা ভুল ছিল। শুরুতে দালাল ৫ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিল, পরে তা বাড়িয়ে ৭ লাখ বলেছিল। কিন্তু অপারেশনের পর আমি মাত্র ৩ লাখ টাকা পেয়েছি।’ জোসনা ও বেলালকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্স হাসপাতালে। তিনি বলেন, ‘আমরা বাসে করে বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাই, সেখানে হাসপাতালের কাছেই ভাড়া বাসায় রাখে আমাদের।’

এই নারী আরও জানান, ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য তাদের নকল কাগজপত্র বানানো হয়, যাতে দেখানো হয় তারা ও গ্রহীতা আত্মীয়। তিনিও জানেন না, তার কিডনি কে পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘পাসপোর্টসহ সব আইডি দালালের কাছেই ছিল। আমি ওষুধের প্রেসক্রিপশন নিতে রাজি ছিলাম না, পাসপোর্টও চেয়েছিলাম। দেয়নি।’
অপারেশনের পর প্রায় দুই মাস ভারতে ছিলেন। পরে দালালেরা তাঁকে ফেরত পাঠায়, তখনো পুরো টাকার আশ্বাস দিয়েছিল। কিছু টাকা আর ঈদের সময় সামান্য সাহায্যের পর তারা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। অপারেশনের কিছুদিন পর বেলালও জোসনাকে ছেড়ে দিয়ে আরেকটি বিয়ে করে। জোসনা বলেন, ‘আমার জীবন শেষ হয়ে গেছে।’ তিনি এখন তীব্র চিনচিনে ব্যথায় ভুগছেন, ওষুধ কিনতেও কষ্ট হয়। তিনি বলেন, ‘ভারী কাজ করতে পারি না। বাঁচতে হবে, কিন্তু সব সময় ওষুধ লাগে।’
আরও ভয়ংকর দিক হলো, অনেকে নিজেরাই পরে দালাল হয়ে যান। ঢাকার সাবেক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সজল (ছদ্মনাম) ইভ্যালির মাধ্যমে গৃহস্থালির জিনিসপত্র বিক্রি করতেন। ২০২১ সালে ইভ্যালি প্রতারণার পর তার সব অর্থ শেষ হয়ে যায়। ধার-দেনার চাপে পড়ে ২০২২ সালে তিনি নিজের কিডনি বিক্রি করেন ভারতের দিল্লির ভেঙ্কটেশ্বর হাসপাতালে। কিন্তু ১০ লাখ টাকার কথা থাকলেও তিনি পান মাত্র ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
সজল বলেন, ‘ওরা আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে।’ পরে বাধ্য হয়ে তিনিও দালালের সঙ্গে যুক্ত হন, আরও অনেক বাংলাদেশিকে ভারতের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কিডনি বিক্রির ব্যবস্থা করেন। পরে টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দালালদের সঙ্গে মনোমালিন্য হলে ভয় পেয়ে সে কাজ ছেড়ে দেন।
তিনি বলেন, ‘এখন আমি ওদের বন্দুকের নিশানায় আছি।’ তাঁর ভাষায়, দুই দেশের হাসপাতাল থেকে শুরু করে চিকিৎসক, দালাল সবাই মিলে পুরো চক্রটি চালায়। এখন তিনি ঢাকায় রাইড শেয়ার করে দিন কাটান। তাঁর মতে, ‘কেউ শখ করে কিডনি বিক্রি করে না। এটা নিরেট দারিদ্র্যের হিসাব।’
বাংলাদেশ পুলিশ বলছে, তারা পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সাগর জানান, সাদা পোশাকে গোয়েন্দারাও এই চক্রের তথ্য সংগ্রহে কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা নজরদারিতে রেখেছি, প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ ইতিমধ্যে অনেক দালাল গ্রেপ্তার হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভারতে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে দিল্লি পুলিশ কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন ডা. বিজয়া রাজাকুমারিকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তে জানা যায়, ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তিনি দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতালে অন্তত ১৫টি বাংলাদেশি রোগীর ট্রান্সপ্লান্ট করেছেন।
কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব বিচ্ছিন্ন গ্রেপ্তার পুরো ব্যবসা বন্ধের জন্য যথেষ্ট নয়। ভারতের ১৯৯৪ সালের ট্রান্সপ্লান্টেশন অব হিউম্যান অর্গ্যানস অ্যাক্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র নিকটাত্মীয়ের মধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপন বৈধ। আত্মীয় নয় এমন ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু দালালেরা ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে এ আইনকে ফাঁকি দেয়।
মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এই কাগজপত্র বানাতে বেশি সময় বা খরচ লাগে না। জাল জাতীয় পরিচয়পত্র, নোটারি সার্টিফিকেট খুব সহজেই পাওয়া যায়। এরপর সেগুলো দেখিয়ে প্রতিস্থাপন বৈধ বলে চালানো হয়।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (কনস্যুলার) শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর বলেন, বাংলাদেশ সরকারের কেউ এসব জালিয়াতিতে জড়িত নয়। দুই দেশের মধ্যে এই বিষয়ে কোনো সমন্বয়ও হয়নি।
ভারতের দিল্লি পুলিশের উপকমিশনার অমিত গোয়েল বলেন, ‘অনেক সময় হাসপাতালের অনুমোদন বোর্ড ভুয়া কাগজ শনাক্ত করতে পারে না। ফলে অনুমতি দিয়ে দেয়।’ মনিরুজ্জামান বলেন, অর্থনৈতিক স্বার্থের কারণে হাসপাতালগুলো অনেক সময় ইচ্ছাকৃতভাবেই চোখ বন্ধ রাখে। কারণ বেশি ট্রান্সপ্ল্যান্ট মানেই বেশি আয়।’
বাংলাদেশের এক দালাল মিজানুর রহমান আল-জাজিরাকে জানান, চক্রের লোকজন ভারতে থাকা ডাক্তার বা হাসপাতালের কমিটির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করে। ঘুষ দিয়ে সব সহজ করে নেয় তারা। ভারতের জাতীয় অঙ্গ ও টিস্যু প্রতিস্থাপন সংস্থার (নটো) পরিচালক ডা. অনিল কুমার এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। এক সাবেক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা বলেন, অনেক সময় ধনী রোগীরাও আদালতে গিয়ে চাপ দেয়। ফলে হাসপাতালও আইনি ঝামেলা এড়াতে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে ফেলে।
অঙ্গ পাচার চক্রও নিজেদের কৌশল পাল্টায়। কোথাও পুলিশি তৎপরতা বাড়লে তারা হাসপাতাল পরিবর্তন করে ফেলে। এ বিষয়ে মনিরুজ্জামন বলেন, ‘এক জায়গায় নেই, চক্রের লোকজন দুই দেশেই সমন্বয় করে নতুন হাসপাতাল খুঁজে নেয়।’
এই ব্যবসায় বিপুল অর্থ ঘোরাফেরা করে। প্রতিটি কিডনির দাম ২২ থেকে ২৬ হাজার ডলার। কিন্তু বিক্রেতারা পায় তার অল্পই—সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা। বাকি টাকা দালাল, ভুয়া কাগজ প্রস্তুতকারী, চিকিৎসক ও অন্যান্য খাতে যায়। আরও ভয়াবহ, অনেকে চাকরির লোভে ভারতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন। কাজের নাম করে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক কিডনি নেওয়া হয়। ২০২৩ সালে এভাবে দিল্লিতে ১০ জন বাংলাদেশিকে কিডনি বিক্রির ফাঁদে ফেলা হয়। পরে ঢাকায় তিন পাচারকারী ধরা পড়ে।
ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক শরীফুল হাসান বলেন, ‘অনেকে নিজের ইচ্ছায় দারিদ্র্যের চাপে কিডনি বিক্রি করেন। কিন্তু অনেককে চাকরির নাম করে ফাঁদে ফেলা হয়।’ ভারতের কিডনি ওয়ারিয়রস ফাউন্ডেশনের সিইও বসুন্ধরা রঘুবন বলেন, বৈধ দাতার ঘাটতি এই চক্রকে আরও বাড়াচ্ছে। তাঁর মতে, ‘নিয়ম অনুযায়ী অঙ্গদান বাধা দেওয়া হচ্ছে, অথচ বাস্তবে অবৈধ চক্র আরও সক্রিয় হয়ে উঠছে।’
তিনি মনে করেন, এই ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ করা কঠিন, বরং নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে কিডনি দাতাদের জন্য বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষা, অপারেশনের পর নির্দিষ্ট সময় চিকিৎসা সেবা এবং আর্থিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
আর বৈগুনি গ্রামের সফিরুদ্দিন? এখনো অসমাপ্ত ঘরের সামনে বসে শুধু কষ্টের কথা ভাবেন। রাতে ঘুম আসে না। দালালের দেওয়া মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর ভেঙে যাওয়া স্বপ্নের কথা মনে পড়ে। নিজের কিডনি বিক্রি করে পরিবারকে সুরক্ষিত করতে চেয়েছিলেন তিনি। বাস্তবে তার সন্তানরা পেয়েছে অসুস্থ এক বাবা, আর তিনি পেয়েছেন শুধু প্রতারণা। তিনি বলেন, ‘ওরা আমার কিডনি নিয়ে উধাও হয়ে গেছে।’
অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক আব্দুর রহমান
আরো খবর পড়ুন:

বিকেলের মৃদু রোদে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বৈগুনি গ্রামে নিজের অসমাপ্ত ইটের তৈরি ঘরের সামনে বসে পেটের ডান পাশের ব্যথা আর পোড়া পোড়া অনুভূতি নীরবে সব সহ্য করছিলেন ৪৫ বছর বয়সী সফিরুদ্দিন। ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে তিনি ভারতের এক হাসপাতালে নিজের কিডনি বিক্রি করেন ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। স্বপ্ন ছিল, দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাবেন, তিন সন্তানের জন্য ভালো একটি ঘর তৈরি করবেন। কিন্তু সেই টাকা বহু আগেই শেষ হয়ে গেছে। ঘর এখনো অসমাপ্ত, আর শরীরের ব্যথা প্রতিদিন তাকে মনে করিয়ে দেয়, তিনি কী ভয়ংকর মূল্য দিয়েছেন।
সফিরুদ্দিন এখন কষ্ট নিয়ে কাজ করেন স্থানীয় একটি কোল্ড স্টোরেজে। শরীরের অবস্থাও ভালো না। সারাক্ষণ ব্যথা আর ক্লান্তিতে ভোগেন, ফলে সাধারণ কাজও ঠিকভাবে করতে পারেন না। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবার যে ভালো থাকতে পারে সে জন্যই আমার কিডনি দিয়েছিলাম। স্ত্রী আর সন্তানদের জন্যই সব করেছি।’
যখন কিডনি বিক্রি করেন, তখন এটা তেমন ভয়ংকর সিদ্ধান্ত মনে হয়নি তাঁর। তাঁর কাছে আসা দালালেরা সবকিছু সহজ আর ঝুঁকিমুক্ত বলেই বুঝিয়েছে। তাঁরা বলেছে, এটা একটা সুযোগ, বিপদের কিছু নয়। শুরুতে সন্দেহ ছিল সফিরুদ্দিনের, কিন্তু দারিদ্র্য আর অসহায়ত্ব শেষ পর্যন্ত তাঁর সন্দেহকে হার মানিয়েছে।
দালালেরা তাঁকে মেডিকেল ভিসা দিয়ে ভারতে নিয়ে যায়। ফ্লাইট, কাগজপত্র, হাসপাতালের সব আনুষ্ঠানিকতা—সবকিছু তারাই ঠিকঠাক করে দেয়। ভারতে পৌঁছানোর পর কিডনি গ্রহীতার সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক প্রমাণ করার জন্য তাঁর জাল পরিচয়পত্র তৈরি করা হয়। নকল কাগজপত্র বানানো হয়, এমনকি তার পরিচয়ও বদলে ফেলা হয়।
সফিরুদ্দিন বলেন, ‘আমি জানিই না, আমার কিডনি কে পেয়েছে। ওরা (দালালেরা) আমাকে কিছুই বলেনি।’ ভারতীয় আইনে কেবল নিকটাত্মীয়দের মধ্যেই অঙ্গদান বৈধ, অথবা সরকারের বিশেষ অনুমোদন লাগে। কিন্তু পাচারকারীরা নকল কাগজ, ভুয়া পরিচয়পত্র, এমনকি ডিএনএ রিপোর্ট পর্যন্ত তৈরি করে আইনকে ফাঁকি দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন বিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্য মনির মনিরুজ্জামান বললেন, ‘সাধারণত বিক্রেতার নাম পাল্টে দেওয়া হয়। ভুয়া নোটারি সার্টিফিকেট দেখিয়ে আত্মীয়তার সম্পর্ক বানানো হয়। নকল জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে দেখানো হয়, যেন দাতা সত্যিই ভাই-বোন বা পরিবারের কেউ।’
সফিরুদ্দিনের ঘটনা মোটেও ব্যতিক্রম নয়। তাঁর গ্রাম বৈগুনিতে এত বেশি মানুষ কিডনি বিক্রি করেছে যে পুরো গ্রামটাই এখন ‘এক কিডনির গ্রাম’ নামে পরিচিত। কিডনি বিক্রির হটস্পট হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে কালাই উপজেলা। ২০২৩ সালে ‘ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল গ্লোবাল হেলথে’ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, ওই অঞ্চলের প্রতি ৩৫ জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন কিডনি বিক্রি করেছেন।

কালাই উপজেলা বাংলাদেশের অন্যতম দরিদ্র এলাকা। অধিকাংশ কিডনি বিক্রেতা ৩০-এর কোটায় থাকা পুরুষ। ৮৩ শতাংশ লোকই বলেছে, দারিদ্র্য তাদের কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করেছে। কেউ কেউ ঋণ শোধ, মাদকাসক্তি বা জুয়া আসক্তির কারণেও এই পথে গেছেন।
সফিরুদ্দিন বলেন, দালালেরা তাঁর পাসপোর্ট রেখে দেয়, কখনো ফেরত দেয়নি। এমনকি অপারেশনের পর যে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল, সেটাও পাননি তিনি। তিনি বলেন, ‘ওরা আমার সবকিছু নিয়ে নিয়েছে।’ দালালেরা সাধারণত বিক্রেতার পাসপোর্ট, মেডিকেল রিপোর্ট রেখে দেয়। ফলে ট্রান্সপ্ল্যান্টের কোনো প্রমাণ থাকে না, পরবর্তী চিকিৎসাও পাওয়া যায় না।
এই কিডনিগুলো বিক্রি হয় বাংলাদেশ বা ভারতের ধনী রোগীদের কাছে, যারা দীর্ঘ অপেক্ষার ঝামেলা এড়িয়ে দ্রুত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পেতে চান। ভারতে প্রতি বছর প্রায় দুই লাখ মানুষ চূড়ান্ত পর্যায়ের কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়, অথচ ২০২৩ সালে মাত্র ১৩ হাজার ৬০০টি কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে।
বাংলাদেশি ১০-১৫ জন কিডনি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। সবার গল্প প্রায় এক—দারিদ্র্য তাদের এই পথে নিয়ে গেছে। সরল সমীকরণ—দারিদ্র্য, দীর্ঘ অপেক্ষা, আইনি দুর্বলতা আর ধনীদের চাহিদা এই ব্যবসাকে থামতে দেয় না।
কালাই উপজেলারই বিনাই গ্রামের ৪৫ বছরের বিধবা জোসনা বেগমও একই পথে গেছেন। ২০১২ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই মেয়েকে (১৮ ও ২০ বছর বয়সী) নিয়ে জীবনের সংগ্রামে নেমেছিলেন। ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করতে গিয়ে পরিচয় হয় বেলালের সঙ্গে, পরে তাঁরা বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর ২০১৯ সালে এক দালালের প্রলোভনে পড়ে ভারত গিয়ে দু’জনেই কিডনি বিক্রি করেন।
জোসনা বলেন, ‘এটা ভুল ছিল। শুরুতে দালাল ৫ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিল, পরে তা বাড়িয়ে ৭ লাখ বলেছিল। কিন্তু অপারেশনের পর আমি মাত্র ৩ লাখ টাকা পেয়েছি।’ জোসনা ও বেলালকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্স হাসপাতালে। তিনি বলেন, ‘আমরা বাসে করে বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাই, সেখানে হাসপাতালের কাছেই ভাড়া বাসায় রাখে আমাদের।’

এই নারী আরও জানান, ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য তাদের নকল কাগজপত্র বানানো হয়, যাতে দেখানো হয় তারা ও গ্রহীতা আত্মীয়। তিনিও জানেন না, তার কিডনি কে পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘পাসপোর্টসহ সব আইডি দালালের কাছেই ছিল। আমি ওষুধের প্রেসক্রিপশন নিতে রাজি ছিলাম না, পাসপোর্টও চেয়েছিলাম। দেয়নি।’
অপারেশনের পর প্রায় দুই মাস ভারতে ছিলেন। পরে দালালেরা তাঁকে ফেরত পাঠায়, তখনো পুরো টাকার আশ্বাস দিয়েছিল। কিছু টাকা আর ঈদের সময় সামান্য সাহায্যের পর তারা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। অপারেশনের কিছুদিন পর বেলালও জোসনাকে ছেড়ে দিয়ে আরেকটি বিয়ে করে। জোসনা বলেন, ‘আমার জীবন শেষ হয়ে গেছে।’ তিনি এখন তীব্র চিনচিনে ব্যথায় ভুগছেন, ওষুধ কিনতেও কষ্ট হয়। তিনি বলেন, ‘ভারী কাজ করতে পারি না। বাঁচতে হবে, কিন্তু সব সময় ওষুধ লাগে।’
আরও ভয়ংকর দিক হলো, অনেকে নিজেরাই পরে দালাল হয়ে যান। ঢাকার সাবেক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সজল (ছদ্মনাম) ইভ্যালির মাধ্যমে গৃহস্থালির জিনিসপত্র বিক্রি করতেন। ২০২১ সালে ইভ্যালি প্রতারণার পর তার সব অর্থ শেষ হয়ে যায়। ধার-দেনার চাপে পড়ে ২০২২ সালে তিনি নিজের কিডনি বিক্রি করেন ভারতের দিল্লির ভেঙ্কটেশ্বর হাসপাতালে। কিন্তু ১০ লাখ টাকার কথা থাকলেও তিনি পান মাত্র ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
সজল বলেন, ‘ওরা আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে।’ পরে বাধ্য হয়ে তিনিও দালালের সঙ্গে যুক্ত হন, আরও অনেক বাংলাদেশিকে ভারতের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কিডনি বিক্রির ব্যবস্থা করেন। পরে টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দালালদের সঙ্গে মনোমালিন্য হলে ভয় পেয়ে সে কাজ ছেড়ে দেন।
তিনি বলেন, ‘এখন আমি ওদের বন্দুকের নিশানায় আছি।’ তাঁর ভাষায়, দুই দেশের হাসপাতাল থেকে শুরু করে চিকিৎসক, দালাল সবাই মিলে পুরো চক্রটি চালায়। এখন তিনি ঢাকায় রাইড শেয়ার করে দিন কাটান। তাঁর মতে, ‘কেউ শখ করে কিডনি বিক্রি করে না। এটা নিরেট দারিদ্র্যের হিসাব।’
বাংলাদেশ পুলিশ বলছে, তারা পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সাগর জানান, সাদা পোশাকে গোয়েন্দারাও এই চক্রের তথ্য সংগ্রহে কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা নজরদারিতে রেখেছি, প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ ইতিমধ্যে অনেক দালাল গ্রেপ্তার হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভারতে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে দিল্লি পুলিশ কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন ডা. বিজয়া রাজাকুমারিকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তে জানা যায়, ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তিনি দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতালে অন্তত ১৫টি বাংলাদেশি রোগীর ট্রান্সপ্লান্ট করেছেন।
কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব বিচ্ছিন্ন গ্রেপ্তার পুরো ব্যবসা বন্ধের জন্য যথেষ্ট নয়। ভারতের ১৯৯৪ সালের ট্রান্সপ্লান্টেশন অব হিউম্যান অর্গ্যানস অ্যাক্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র নিকটাত্মীয়ের মধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপন বৈধ। আত্মীয় নয় এমন ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু দালালেরা ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে এ আইনকে ফাঁকি দেয়।
মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এই কাগজপত্র বানাতে বেশি সময় বা খরচ লাগে না। জাল জাতীয় পরিচয়পত্র, নোটারি সার্টিফিকেট খুব সহজেই পাওয়া যায়। এরপর সেগুলো দেখিয়ে প্রতিস্থাপন বৈধ বলে চালানো হয়।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (কনস্যুলার) শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর বলেন, বাংলাদেশ সরকারের কেউ এসব জালিয়াতিতে জড়িত নয়। দুই দেশের মধ্যে এই বিষয়ে কোনো সমন্বয়ও হয়নি।
ভারতের দিল্লি পুলিশের উপকমিশনার অমিত গোয়েল বলেন, ‘অনেক সময় হাসপাতালের অনুমোদন বোর্ড ভুয়া কাগজ শনাক্ত করতে পারে না। ফলে অনুমতি দিয়ে দেয়।’ মনিরুজ্জামান বলেন, অর্থনৈতিক স্বার্থের কারণে হাসপাতালগুলো অনেক সময় ইচ্ছাকৃতভাবেই চোখ বন্ধ রাখে। কারণ বেশি ট্রান্সপ্ল্যান্ট মানেই বেশি আয়।’
বাংলাদেশের এক দালাল মিজানুর রহমান আল-জাজিরাকে জানান, চক্রের লোকজন ভারতে থাকা ডাক্তার বা হাসপাতালের কমিটির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করে। ঘুষ দিয়ে সব সহজ করে নেয় তারা। ভারতের জাতীয় অঙ্গ ও টিস্যু প্রতিস্থাপন সংস্থার (নটো) পরিচালক ডা. অনিল কুমার এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। এক সাবেক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা বলেন, অনেক সময় ধনী রোগীরাও আদালতে গিয়ে চাপ দেয়। ফলে হাসপাতালও আইনি ঝামেলা এড়াতে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে ফেলে।
অঙ্গ পাচার চক্রও নিজেদের কৌশল পাল্টায়। কোথাও পুলিশি তৎপরতা বাড়লে তারা হাসপাতাল পরিবর্তন করে ফেলে। এ বিষয়ে মনিরুজ্জামন বলেন, ‘এক জায়গায় নেই, চক্রের লোকজন দুই দেশেই সমন্বয় করে নতুন হাসপাতাল খুঁজে নেয়।’
এই ব্যবসায় বিপুল অর্থ ঘোরাফেরা করে। প্রতিটি কিডনির দাম ২২ থেকে ২৬ হাজার ডলার। কিন্তু বিক্রেতারা পায় তার অল্পই—সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা। বাকি টাকা দালাল, ভুয়া কাগজ প্রস্তুতকারী, চিকিৎসক ও অন্যান্য খাতে যায়। আরও ভয়াবহ, অনেকে চাকরির লোভে ভারতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন। কাজের নাম করে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক কিডনি নেওয়া হয়। ২০২৩ সালে এভাবে দিল্লিতে ১০ জন বাংলাদেশিকে কিডনি বিক্রির ফাঁদে ফেলা হয়। পরে ঢাকায় তিন পাচারকারী ধরা পড়ে।
ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক শরীফুল হাসান বলেন, ‘অনেকে নিজের ইচ্ছায় দারিদ্র্যের চাপে কিডনি বিক্রি করেন। কিন্তু অনেককে চাকরির নাম করে ফাঁদে ফেলা হয়।’ ভারতের কিডনি ওয়ারিয়রস ফাউন্ডেশনের সিইও বসুন্ধরা রঘুবন বলেন, বৈধ দাতার ঘাটতি এই চক্রকে আরও বাড়াচ্ছে। তাঁর মতে, ‘নিয়ম অনুযায়ী অঙ্গদান বাধা দেওয়া হচ্ছে, অথচ বাস্তবে অবৈধ চক্র আরও সক্রিয় হয়ে উঠছে।’
তিনি মনে করেন, এই ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ করা কঠিন, বরং নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে কিডনি দাতাদের জন্য বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষা, অপারেশনের পর নির্দিষ্ট সময় চিকিৎসা সেবা এবং আর্থিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
আর বৈগুনি গ্রামের সফিরুদ্দিন? এখনো অসমাপ্ত ঘরের সামনে বসে শুধু কষ্টের কথা ভাবেন। রাতে ঘুম আসে না। দালালের দেওয়া মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর ভেঙে যাওয়া স্বপ্নের কথা মনে পড়ে। নিজের কিডনি বিক্রি করে পরিবারকে সুরক্ষিত করতে চেয়েছিলেন তিনি। বাস্তবে তার সন্তানরা পেয়েছে অসুস্থ এক বাবা, আর তিনি পেয়েছেন শুধু প্রতারণা। তিনি বলেন, ‘ওরা আমার কিডনি নিয়ে উধাও হয়ে গেছে।’
অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক আব্দুর রহমান
আরো খবর পড়ুন:

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বিকেলের মৃদু রোদে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বৈগুনি গ্রামে নিজের অসমাপ্ত ইটের তৈরি ঘরের সামনে বসে পেটের ডান পাশের ব্যথা আর পোড়া পোড়া অনুভূতি নীরবে সব সহ্য করছিলেন ৪৫ বছর বয়সী সফিরুদ্দিন। ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে তিনি ভারতের এক হাসপাতালে নিজের কিডনি বিক্রি করেন ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।
০৭ জুলাই ২০২৫
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিকেলের মৃদু রোদে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বৈগুনি গ্রামে নিজের অসমাপ্ত ইটের তৈরি ঘরের সামনে বসে পেটের ডান পাশের ব্যথা আর পোড়া পোড়া অনুভূতি নীরবে সব সহ্য করছিলেন ৪৫ বছর বয়সী সফিরুদ্দিন। ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে তিনি ভারতের এক হাসপাতালে নিজের কিডনি বিক্রি করেন ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।
০৭ জুলাই ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

বিকেলের মৃদু রোদে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বৈগুনি গ্রামে নিজের অসমাপ্ত ইটের তৈরি ঘরের সামনে বসে পেটের ডান পাশের ব্যথা আর পোড়া পোড়া অনুভূতি নীরবে সব সহ্য করছিলেন ৪৫ বছর বয়সী সফিরুদ্দিন। ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে তিনি ভারতের এক হাসপাতালে নিজের কিডনি বিক্রি করেন ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।
০৭ জুলাই ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

বিকেলের মৃদু রোদে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বৈগুনি গ্রামে নিজের অসমাপ্ত ইটের তৈরি ঘরের সামনে বসে পেটের ডান পাশের ব্যথা আর পোড়া পোড়া অনুভূতি নীরবে সব সহ্য করছিলেন ৪৫ বছর বয়সী সফিরুদ্দিন। ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে তিনি ভারতের এক হাসপাতালে নিজের কিডনি বিক্রি করেন ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।
০৭ জুলাই ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৫ ঘণ্টা আগে