আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিকেলের মৃদু রোদে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বৈগুনি গ্রামে নিজের অসমাপ্ত ইটের তৈরি ঘরের সামনে বসে পেটের ডান পাশের ব্যথা আর পোড়া পোড়া অনুভূতি নীরবে সব সহ্য করছিলেন ৪৫ বছর বয়সী সফিরুদ্দিন। ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে তিনি ভারতের এক হাসপাতালে নিজের কিডনি বিক্রি করেন ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। স্বপ্ন ছিল, দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাবেন, তিন সন্তানের জন্য ভালো একটি ঘর তৈরি করবেন। কিন্তু সেই টাকা বহু আগেই শেষ হয়ে গেছে। ঘর এখনো অসমাপ্ত, আর শরীরের ব্যথা প্রতিদিন তাকে মনে করিয়ে দেয়, তিনি কী ভয়ংকর মূল্য দিয়েছেন।
সফিরুদ্দিন এখন কষ্ট নিয়ে কাজ করেন স্থানীয় একটি কোল্ড স্টোরেজে। শরীরের অবস্থাও ভালো না। সারাক্ষণ ব্যথা আর ক্লান্তিতে ভোগেন, ফলে সাধারণ কাজও ঠিকভাবে করতে পারেন না। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবার যে ভালো থাকতে পারে সে জন্যই আমার কিডনি দিয়েছিলাম। স্ত্রী আর সন্তানদের জন্যই সব করেছি।’
যখন কিডনি বিক্রি করেন, তখন এটা তেমন ভয়ংকর সিদ্ধান্ত মনে হয়নি তাঁর। তাঁর কাছে আসা দালালেরা সবকিছু সহজ আর ঝুঁকিমুক্ত বলেই বুঝিয়েছে। তাঁরা বলেছে, এটা একটা সুযোগ, বিপদের কিছু নয়। শুরুতে সন্দেহ ছিল সফিরুদ্দিনের, কিন্তু দারিদ্র্য আর অসহায়ত্ব শেষ পর্যন্ত তাঁর সন্দেহকে হার মানিয়েছে।
দালালেরা তাঁকে মেডিকেল ভিসা দিয়ে ভারতে নিয়ে যায়। ফ্লাইট, কাগজপত্র, হাসপাতালের সব আনুষ্ঠানিকতা—সবকিছু তারাই ঠিকঠাক করে দেয়। ভারতে পৌঁছানোর পর কিডনি গ্রহীতার সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক প্রমাণ করার জন্য তাঁর জাল পরিচয়পত্র তৈরি করা হয়। নকল কাগজপত্র বানানো হয়, এমনকি তার পরিচয়ও বদলে ফেলা হয়।
সফিরুদ্দিন বলেন, ‘আমি জানিই না, আমার কিডনি কে পেয়েছে। ওরা (দালালেরা) আমাকে কিছুই বলেনি।’ ভারতীয় আইনে কেবল নিকটাত্মীয়দের মধ্যেই অঙ্গদান বৈধ, অথবা সরকারের বিশেষ অনুমোদন লাগে। কিন্তু পাচারকারীরা নকল কাগজ, ভুয়া পরিচয়পত্র, এমনকি ডিএনএ রিপোর্ট পর্যন্ত তৈরি করে আইনকে ফাঁকি দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন বিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্য মনির মনিরুজ্জামান বললেন, ‘সাধারণত বিক্রেতার নাম পাল্টে দেওয়া হয়। ভুয়া নোটারি সার্টিফিকেট দেখিয়ে আত্মীয়তার সম্পর্ক বানানো হয়। নকল জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে দেখানো হয়, যেন দাতা সত্যিই ভাই-বোন বা পরিবারের কেউ।’
সফিরুদ্দিনের ঘটনা মোটেও ব্যতিক্রম নয়। তাঁর গ্রাম বৈগুনিতে এত বেশি মানুষ কিডনি বিক্রি করেছে যে পুরো গ্রামটাই এখন ‘এক কিডনির গ্রাম’ নামে পরিচিত। কিডনি বিক্রির হটস্পট হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে কালাই উপজেলা। ২০২৩ সালে ‘ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল গ্লোবাল হেলথে’ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, ওই অঞ্চলের প্রতি ৩৫ জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন কিডনি বিক্রি করেছেন।

কালাই উপজেলা বাংলাদেশের অন্যতম দরিদ্র এলাকা। অধিকাংশ কিডনি বিক্রেতা ৩০-এর কোটায় থাকা পুরুষ। ৮৩ শতাংশ লোকই বলেছে, দারিদ্র্য তাদের কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করেছে। কেউ কেউ ঋণ শোধ, মাদকাসক্তি বা জুয়া আসক্তির কারণেও এই পথে গেছেন।
সফিরুদ্দিন বলেন, দালালেরা তাঁর পাসপোর্ট রেখে দেয়, কখনো ফেরত দেয়নি। এমনকি অপারেশনের পর যে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল, সেটাও পাননি তিনি। তিনি বলেন, ‘ওরা আমার সবকিছু নিয়ে নিয়েছে।’ দালালেরা সাধারণত বিক্রেতার পাসপোর্ট, মেডিকেল রিপোর্ট রেখে দেয়। ফলে ট্রান্সপ্ল্যান্টের কোনো প্রমাণ থাকে না, পরবর্তী চিকিৎসাও পাওয়া যায় না।
এই কিডনিগুলো বিক্রি হয় বাংলাদেশ বা ভারতের ধনী রোগীদের কাছে, যারা দীর্ঘ অপেক্ষার ঝামেলা এড়িয়ে দ্রুত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পেতে চান। ভারতে প্রতি বছর প্রায় দুই লাখ মানুষ চূড়ান্ত পর্যায়ের কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়, অথচ ২০২৩ সালে মাত্র ১৩ হাজার ৬০০টি কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে।
বাংলাদেশি ১০-১৫ জন কিডনি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। সবার গল্প প্রায় এক—দারিদ্র্য তাদের এই পথে নিয়ে গেছে। সরল সমীকরণ—দারিদ্র্য, দীর্ঘ অপেক্ষা, আইনি দুর্বলতা আর ধনীদের চাহিদা এই ব্যবসাকে থামতে দেয় না।
কালাই উপজেলারই বিনাই গ্রামের ৪৫ বছরের বিধবা জোসনা বেগমও একই পথে গেছেন। ২০১২ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই মেয়েকে (১৮ ও ২০ বছর বয়সী) নিয়ে জীবনের সংগ্রামে নেমেছিলেন। ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করতে গিয়ে পরিচয় হয় বেলালের সঙ্গে, পরে তাঁরা বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর ২০১৯ সালে এক দালালের প্রলোভনে পড়ে ভারত গিয়ে দু’জনেই কিডনি বিক্রি করেন।
জোসনা বলেন, ‘এটা ভুল ছিল। শুরুতে দালাল ৫ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিল, পরে তা বাড়িয়ে ৭ লাখ বলেছিল। কিন্তু অপারেশনের পর আমি মাত্র ৩ লাখ টাকা পেয়েছি।’ জোসনা ও বেলালকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্স হাসপাতালে। তিনি বলেন, ‘আমরা বাসে করে বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাই, সেখানে হাসপাতালের কাছেই ভাড়া বাসায় রাখে আমাদের।’

এই নারী আরও জানান, ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য তাদের নকল কাগজপত্র বানানো হয়, যাতে দেখানো হয় তারা ও গ্রহীতা আত্মীয়। তিনিও জানেন না, তার কিডনি কে পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘পাসপোর্টসহ সব আইডি দালালের কাছেই ছিল। আমি ওষুধের প্রেসক্রিপশন নিতে রাজি ছিলাম না, পাসপোর্টও চেয়েছিলাম। দেয়নি।’
অপারেশনের পর প্রায় দুই মাস ভারতে ছিলেন। পরে দালালেরা তাঁকে ফেরত পাঠায়, তখনো পুরো টাকার আশ্বাস দিয়েছিল। কিছু টাকা আর ঈদের সময় সামান্য সাহায্যের পর তারা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। অপারেশনের কিছুদিন পর বেলালও জোসনাকে ছেড়ে দিয়ে আরেকটি বিয়ে করে। জোসনা বলেন, ‘আমার জীবন শেষ হয়ে গেছে।’ তিনি এখন তীব্র চিনচিনে ব্যথায় ভুগছেন, ওষুধ কিনতেও কষ্ট হয়। তিনি বলেন, ‘ভারী কাজ করতে পারি না। বাঁচতে হবে, কিন্তু সব সময় ওষুধ লাগে।’
আরও ভয়ংকর দিক হলো, অনেকে নিজেরাই পরে দালাল হয়ে যান। ঢাকার সাবেক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সজল (ছদ্মনাম) ইভ্যালির মাধ্যমে গৃহস্থালির জিনিসপত্র বিক্রি করতেন। ২০২১ সালে ইভ্যালি প্রতারণার পর তার সব অর্থ শেষ হয়ে যায়। ধার-দেনার চাপে পড়ে ২০২২ সালে তিনি নিজের কিডনি বিক্রি করেন ভারতের দিল্লির ভেঙ্কটেশ্বর হাসপাতালে। কিন্তু ১০ লাখ টাকার কথা থাকলেও তিনি পান মাত্র ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
সজল বলেন, ‘ওরা আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে।’ পরে বাধ্য হয়ে তিনিও দালালের সঙ্গে যুক্ত হন, আরও অনেক বাংলাদেশিকে ভারতের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কিডনি বিক্রির ব্যবস্থা করেন। পরে টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দালালদের সঙ্গে মনোমালিন্য হলে ভয় পেয়ে সে কাজ ছেড়ে দেন।
তিনি বলেন, ‘এখন আমি ওদের বন্দুকের নিশানায় আছি।’ তাঁর ভাষায়, দুই দেশের হাসপাতাল থেকে শুরু করে চিকিৎসক, দালাল সবাই মিলে পুরো চক্রটি চালায়। এখন তিনি ঢাকায় রাইড শেয়ার করে দিন কাটান। তাঁর মতে, ‘কেউ শখ করে কিডনি বিক্রি করে না। এটা নিরেট দারিদ্র্যের হিসাব।’
বাংলাদেশ পুলিশ বলছে, তারা পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সাগর জানান, সাদা পোশাকে গোয়েন্দারাও এই চক্রের তথ্য সংগ্রহে কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা নজরদারিতে রেখেছি, প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ ইতিমধ্যে অনেক দালাল গ্রেপ্তার হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভারতে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে দিল্লি পুলিশ কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন ডা. বিজয়া রাজাকুমারিকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তে জানা যায়, ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তিনি দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতালে অন্তত ১৫টি বাংলাদেশি রোগীর ট্রান্সপ্লান্ট করেছেন।
কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব বিচ্ছিন্ন গ্রেপ্তার পুরো ব্যবসা বন্ধের জন্য যথেষ্ট নয়। ভারতের ১৯৯৪ সালের ট্রান্সপ্লান্টেশন অব হিউম্যান অর্গ্যানস অ্যাক্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র নিকটাত্মীয়ের মধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপন বৈধ। আত্মীয় নয় এমন ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু দালালেরা ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে এ আইনকে ফাঁকি দেয়।
মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এই কাগজপত্র বানাতে বেশি সময় বা খরচ লাগে না। জাল জাতীয় পরিচয়পত্র, নোটারি সার্টিফিকেট খুব সহজেই পাওয়া যায়। এরপর সেগুলো দেখিয়ে প্রতিস্থাপন বৈধ বলে চালানো হয়।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (কনস্যুলার) শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর বলেন, বাংলাদেশ সরকারের কেউ এসব জালিয়াতিতে জড়িত নয়। দুই দেশের মধ্যে এই বিষয়ে কোনো সমন্বয়ও হয়নি।
ভারতের দিল্লি পুলিশের উপকমিশনার অমিত গোয়েল বলেন, ‘অনেক সময় হাসপাতালের অনুমোদন বোর্ড ভুয়া কাগজ শনাক্ত করতে পারে না। ফলে অনুমতি দিয়ে দেয়।’ মনিরুজ্জামান বলেন, অর্থনৈতিক স্বার্থের কারণে হাসপাতালগুলো অনেক সময় ইচ্ছাকৃতভাবেই চোখ বন্ধ রাখে। কারণ বেশি ট্রান্সপ্ল্যান্ট মানেই বেশি আয়।’
বাংলাদেশের এক দালাল মিজানুর রহমান আল-জাজিরাকে জানান, চক্রের লোকজন ভারতে থাকা ডাক্তার বা হাসপাতালের কমিটির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করে। ঘুষ দিয়ে সব সহজ করে নেয় তারা। ভারতের জাতীয় অঙ্গ ও টিস্যু প্রতিস্থাপন সংস্থার (নটো) পরিচালক ডা. অনিল কুমার এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। এক সাবেক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা বলেন, অনেক সময় ধনী রোগীরাও আদালতে গিয়ে চাপ দেয়। ফলে হাসপাতালও আইনি ঝামেলা এড়াতে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে ফেলে।
অঙ্গ পাচার চক্রও নিজেদের কৌশল পাল্টায়। কোথাও পুলিশি তৎপরতা বাড়লে তারা হাসপাতাল পরিবর্তন করে ফেলে। এ বিষয়ে মনিরুজ্জামন বলেন, ‘এক জায়গায় নেই, চক্রের লোকজন দুই দেশেই সমন্বয় করে নতুন হাসপাতাল খুঁজে নেয়।’
এই ব্যবসায় বিপুল অর্থ ঘোরাফেরা করে। প্রতিটি কিডনির দাম ২২ থেকে ২৬ হাজার ডলার। কিন্তু বিক্রেতারা পায় তার অল্পই—সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা। বাকি টাকা দালাল, ভুয়া কাগজ প্রস্তুতকারী, চিকিৎসক ও অন্যান্য খাতে যায়। আরও ভয়াবহ, অনেকে চাকরির লোভে ভারতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন। কাজের নাম করে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক কিডনি নেওয়া হয়। ২০২৩ সালে এভাবে দিল্লিতে ১০ জন বাংলাদেশিকে কিডনি বিক্রির ফাঁদে ফেলা হয়। পরে ঢাকায় তিন পাচারকারী ধরা পড়ে।
ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক শরীফুল হাসান বলেন, ‘অনেকে নিজের ইচ্ছায় দারিদ্র্যের চাপে কিডনি বিক্রি করেন। কিন্তু অনেককে চাকরির নাম করে ফাঁদে ফেলা হয়।’ ভারতের কিডনি ওয়ারিয়রস ফাউন্ডেশনের সিইও বসুন্ধরা রঘুবন বলেন, বৈধ দাতার ঘাটতি এই চক্রকে আরও বাড়াচ্ছে। তাঁর মতে, ‘নিয়ম অনুযায়ী অঙ্গদান বাধা দেওয়া হচ্ছে, অথচ বাস্তবে অবৈধ চক্র আরও সক্রিয় হয়ে উঠছে।’
তিনি মনে করেন, এই ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ করা কঠিন, বরং নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে কিডনি দাতাদের জন্য বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষা, অপারেশনের পর নির্দিষ্ট সময় চিকিৎসা সেবা এবং আর্থিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
আর বৈগুনি গ্রামের সফিরুদ্দিন? এখনো অসমাপ্ত ঘরের সামনে বসে শুধু কষ্টের কথা ভাবেন। রাতে ঘুম আসে না। দালালের দেওয়া মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর ভেঙে যাওয়া স্বপ্নের কথা মনে পড়ে। নিজের কিডনি বিক্রি করে পরিবারকে সুরক্ষিত করতে চেয়েছিলেন তিনি। বাস্তবে তার সন্তানরা পেয়েছে অসুস্থ এক বাবা, আর তিনি পেয়েছেন শুধু প্রতারণা। তিনি বলেন, ‘ওরা আমার কিডনি নিয়ে উধাও হয়ে গেছে।’
অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক আব্দুর রহমান
আরো খবর পড়ুন:

বিকেলের মৃদু রোদে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বৈগুনি গ্রামে নিজের অসমাপ্ত ইটের তৈরি ঘরের সামনে বসে পেটের ডান পাশের ব্যথা আর পোড়া পোড়া অনুভূতি নীরবে সব সহ্য করছিলেন ৪৫ বছর বয়সী সফিরুদ্দিন। ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে তিনি ভারতের এক হাসপাতালে নিজের কিডনি বিক্রি করেন ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। স্বপ্ন ছিল, দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাবেন, তিন সন্তানের জন্য ভালো একটি ঘর তৈরি করবেন। কিন্তু সেই টাকা বহু আগেই শেষ হয়ে গেছে। ঘর এখনো অসমাপ্ত, আর শরীরের ব্যথা প্রতিদিন তাকে মনে করিয়ে দেয়, তিনি কী ভয়ংকর মূল্য দিয়েছেন।
সফিরুদ্দিন এখন কষ্ট নিয়ে কাজ করেন স্থানীয় একটি কোল্ড স্টোরেজে। শরীরের অবস্থাও ভালো না। সারাক্ষণ ব্যথা আর ক্লান্তিতে ভোগেন, ফলে সাধারণ কাজও ঠিকভাবে করতে পারেন না। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবার যে ভালো থাকতে পারে সে জন্যই আমার কিডনি দিয়েছিলাম। স্ত্রী আর সন্তানদের জন্যই সব করেছি।’
যখন কিডনি বিক্রি করেন, তখন এটা তেমন ভয়ংকর সিদ্ধান্ত মনে হয়নি তাঁর। তাঁর কাছে আসা দালালেরা সবকিছু সহজ আর ঝুঁকিমুক্ত বলেই বুঝিয়েছে। তাঁরা বলেছে, এটা একটা সুযোগ, বিপদের কিছু নয়। শুরুতে সন্দেহ ছিল সফিরুদ্দিনের, কিন্তু দারিদ্র্য আর অসহায়ত্ব শেষ পর্যন্ত তাঁর সন্দেহকে হার মানিয়েছে।
দালালেরা তাঁকে মেডিকেল ভিসা দিয়ে ভারতে নিয়ে যায়। ফ্লাইট, কাগজপত্র, হাসপাতালের সব আনুষ্ঠানিকতা—সবকিছু তারাই ঠিকঠাক করে দেয়। ভারতে পৌঁছানোর পর কিডনি গ্রহীতার সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক প্রমাণ করার জন্য তাঁর জাল পরিচয়পত্র তৈরি করা হয়। নকল কাগজপত্র বানানো হয়, এমনকি তার পরিচয়ও বদলে ফেলা হয়।
সফিরুদ্দিন বলেন, ‘আমি জানিই না, আমার কিডনি কে পেয়েছে। ওরা (দালালেরা) আমাকে কিছুই বলেনি।’ ভারতীয় আইনে কেবল নিকটাত্মীয়দের মধ্যেই অঙ্গদান বৈধ, অথবা সরকারের বিশেষ অনুমোদন লাগে। কিন্তু পাচারকারীরা নকল কাগজ, ভুয়া পরিচয়পত্র, এমনকি ডিএনএ রিপোর্ট পর্যন্ত তৈরি করে আইনকে ফাঁকি দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন বিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্য মনির মনিরুজ্জামান বললেন, ‘সাধারণত বিক্রেতার নাম পাল্টে দেওয়া হয়। ভুয়া নোটারি সার্টিফিকেট দেখিয়ে আত্মীয়তার সম্পর্ক বানানো হয়। নকল জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে দেখানো হয়, যেন দাতা সত্যিই ভাই-বোন বা পরিবারের কেউ।’
সফিরুদ্দিনের ঘটনা মোটেও ব্যতিক্রম নয়। তাঁর গ্রাম বৈগুনিতে এত বেশি মানুষ কিডনি বিক্রি করেছে যে পুরো গ্রামটাই এখন ‘এক কিডনির গ্রাম’ নামে পরিচিত। কিডনি বিক্রির হটস্পট হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে কালাই উপজেলা। ২০২৩ সালে ‘ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল গ্লোবাল হেলথে’ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, ওই অঞ্চলের প্রতি ৩৫ জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন কিডনি বিক্রি করেছেন।

কালাই উপজেলা বাংলাদেশের অন্যতম দরিদ্র এলাকা। অধিকাংশ কিডনি বিক্রেতা ৩০-এর কোটায় থাকা পুরুষ। ৮৩ শতাংশ লোকই বলেছে, দারিদ্র্য তাদের কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করেছে। কেউ কেউ ঋণ শোধ, মাদকাসক্তি বা জুয়া আসক্তির কারণেও এই পথে গেছেন।
সফিরুদ্দিন বলেন, দালালেরা তাঁর পাসপোর্ট রেখে দেয়, কখনো ফেরত দেয়নি। এমনকি অপারেশনের পর যে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল, সেটাও পাননি তিনি। তিনি বলেন, ‘ওরা আমার সবকিছু নিয়ে নিয়েছে।’ দালালেরা সাধারণত বিক্রেতার পাসপোর্ট, মেডিকেল রিপোর্ট রেখে দেয়। ফলে ট্রান্সপ্ল্যান্টের কোনো প্রমাণ থাকে না, পরবর্তী চিকিৎসাও পাওয়া যায় না।
এই কিডনিগুলো বিক্রি হয় বাংলাদেশ বা ভারতের ধনী রোগীদের কাছে, যারা দীর্ঘ অপেক্ষার ঝামেলা এড়িয়ে দ্রুত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পেতে চান। ভারতে প্রতি বছর প্রায় দুই লাখ মানুষ চূড়ান্ত পর্যায়ের কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়, অথচ ২০২৩ সালে মাত্র ১৩ হাজার ৬০০টি কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে।
বাংলাদেশি ১০-১৫ জন কিডনি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। সবার গল্প প্রায় এক—দারিদ্র্য তাদের এই পথে নিয়ে গেছে। সরল সমীকরণ—দারিদ্র্য, দীর্ঘ অপেক্ষা, আইনি দুর্বলতা আর ধনীদের চাহিদা এই ব্যবসাকে থামতে দেয় না।
কালাই উপজেলারই বিনাই গ্রামের ৪৫ বছরের বিধবা জোসনা বেগমও একই পথে গেছেন। ২০১২ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই মেয়েকে (১৮ ও ২০ বছর বয়সী) নিয়ে জীবনের সংগ্রামে নেমেছিলেন। ঢাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করতে গিয়ে পরিচয় হয় বেলালের সঙ্গে, পরে তাঁরা বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর ২০১৯ সালে এক দালালের প্রলোভনে পড়ে ভারত গিয়ে দু’জনেই কিডনি বিক্রি করেন।
জোসনা বলেন, ‘এটা ভুল ছিল। শুরুতে দালাল ৫ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিল, পরে তা বাড়িয়ে ৭ লাখ বলেছিল। কিন্তু অপারেশনের পর আমি মাত্র ৩ লাখ টাকা পেয়েছি।’ জোসনা ও বেলালকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্স হাসপাতালে। তিনি বলেন, ‘আমরা বাসে করে বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাই, সেখানে হাসপাতালের কাছেই ভাড়া বাসায় রাখে আমাদের।’

এই নারী আরও জানান, ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য তাদের নকল কাগজপত্র বানানো হয়, যাতে দেখানো হয় তারা ও গ্রহীতা আত্মীয়। তিনিও জানেন না, তার কিডনি কে পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘পাসপোর্টসহ সব আইডি দালালের কাছেই ছিল। আমি ওষুধের প্রেসক্রিপশন নিতে রাজি ছিলাম না, পাসপোর্টও চেয়েছিলাম। দেয়নি।’
অপারেশনের পর প্রায় দুই মাস ভারতে ছিলেন। পরে দালালেরা তাঁকে ফেরত পাঠায়, তখনো পুরো টাকার আশ্বাস দিয়েছিল। কিছু টাকা আর ঈদের সময় সামান্য সাহায্যের পর তারা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। অপারেশনের কিছুদিন পর বেলালও জোসনাকে ছেড়ে দিয়ে আরেকটি বিয়ে করে। জোসনা বলেন, ‘আমার জীবন শেষ হয়ে গেছে।’ তিনি এখন তীব্র চিনচিনে ব্যথায় ভুগছেন, ওষুধ কিনতেও কষ্ট হয়। তিনি বলেন, ‘ভারী কাজ করতে পারি না। বাঁচতে হবে, কিন্তু সব সময় ওষুধ লাগে।’
আরও ভয়ংকর দিক হলো, অনেকে নিজেরাই পরে দালাল হয়ে যান। ঢাকার সাবেক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সজল (ছদ্মনাম) ইভ্যালির মাধ্যমে গৃহস্থালির জিনিসপত্র বিক্রি করতেন। ২০২১ সালে ইভ্যালি প্রতারণার পর তার সব অর্থ শেষ হয়ে যায়। ধার-দেনার চাপে পড়ে ২০২২ সালে তিনি নিজের কিডনি বিক্রি করেন ভারতের দিল্লির ভেঙ্কটেশ্বর হাসপাতালে। কিন্তু ১০ লাখ টাকার কথা থাকলেও তিনি পান মাত্র ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
সজল বলেন, ‘ওরা আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে।’ পরে বাধ্য হয়ে তিনিও দালালের সঙ্গে যুক্ত হন, আরও অনেক বাংলাদেশিকে ভারতের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কিডনি বিক্রির ব্যবস্থা করেন। পরে টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দালালদের সঙ্গে মনোমালিন্য হলে ভয় পেয়ে সে কাজ ছেড়ে দেন।
তিনি বলেন, ‘এখন আমি ওদের বন্দুকের নিশানায় আছি।’ তাঁর ভাষায়, দুই দেশের হাসপাতাল থেকে শুরু করে চিকিৎসক, দালাল সবাই মিলে পুরো চক্রটি চালায়। এখন তিনি ঢাকায় রাইড শেয়ার করে দিন কাটান। তাঁর মতে, ‘কেউ শখ করে কিডনি বিক্রি করে না। এটা নিরেট দারিদ্র্যের হিসাব।’
বাংলাদেশ পুলিশ বলছে, তারা পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সাগর জানান, সাদা পোশাকে গোয়েন্দারাও এই চক্রের তথ্য সংগ্রহে কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা নজরদারিতে রেখেছি, প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ ইতিমধ্যে অনেক দালাল গ্রেপ্তার হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভারতে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে দিল্লি পুলিশ কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন ডা. বিজয়া রাজাকুমারিকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তে জানা যায়, ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তিনি দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতালে অন্তত ১৫টি বাংলাদেশি রোগীর ট্রান্সপ্লান্ট করেছেন।
কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব বিচ্ছিন্ন গ্রেপ্তার পুরো ব্যবসা বন্ধের জন্য যথেষ্ট নয়। ভারতের ১৯৯৪ সালের ট্রান্সপ্লান্টেশন অব হিউম্যান অর্গ্যানস অ্যাক্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র নিকটাত্মীয়ের মধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপন বৈধ। আত্মীয় নয় এমন ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু দালালেরা ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে এ আইনকে ফাঁকি দেয়।
মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এই কাগজপত্র বানাতে বেশি সময় বা খরচ লাগে না। জাল জাতীয় পরিচয়পত্র, নোটারি সার্টিফিকেট খুব সহজেই পাওয়া যায়। এরপর সেগুলো দেখিয়ে প্রতিস্থাপন বৈধ বলে চালানো হয়।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (কনস্যুলার) শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর বলেন, বাংলাদেশ সরকারের কেউ এসব জালিয়াতিতে জড়িত নয়। দুই দেশের মধ্যে এই বিষয়ে কোনো সমন্বয়ও হয়নি।
ভারতের দিল্লি পুলিশের উপকমিশনার অমিত গোয়েল বলেন, ‘অনেক সময় হাসপাতালের অনুমোদন বোর্ড ভুয়া কাগজ শনাক্ত করতে পারে না। ফলে অনুমতি দিয়ে দেয়।’ মনিরুজ্জামান বলেন, অর্থনৈতিক স্বার্থের কারণে হাসপাতালগুলো অনেক সময় ইচ্ছাকৃতভাবেই চোখ বন্ধ রাখে। কারণ বেশি ট্রান্সপ্ল্যান্ট মানেই বেশি আয়।’
বাংলাদেশের এক দালাল মিজানুর রহমান আল-জাজিরাকে জানান, চক্রের লোকজন ভারতে থাকা ডাক্তার বা হাসপাতালের কমিটির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করে। ঘুষ দিয়ে সব সহজ করে নেয় তারা। ভারতের জাতীয় অঙ্গ ও টিস্যু প্রতিস্থাপন সংস্থার (নটো) পরিচালক ডা. অনিল কুমার এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। এক সাবেক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা বলেন, অনেক সময় ধনী রোগীরাও আদালতে গিয়ে চাপ দেয়। ফলে হাসপাতালও আইনি ঝামেলা এড়াতে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করে ফেলে।
অঙ্গ পাচার চক্রও নিজেদের কৌশল পাল্টায়। কোথাও পুলিশি তৎপরতা বাড়লে তারা হাসপাতাল পরিবর্তন করে ফেলে। এ বিষয়ে মনিরুজ্জামন বলেন, ‘এক জায়গায় নেই, চক্রের লোকজন দুই দেশেই সমন্বয় করে নতুন হাসপাতাল খুঁজে নেয়।’
এই ব্যবসায় বিপুল অর্থ ঘোরাফেরা করে। প্রতিটি কিডনির দাম ২২ থেকে ২৬ হাজার ডলার। কিন্তু বিক্রেতারা পায় তার অল্পই—সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা। বাকি টাকা দালাল, ভুয়া কাগজ প্রস্তুতকারী, চিকিৎসক ও অন্যান্য খাতে যায়। আরও ভয়াবহ, অনেকে চাকরির লোভে ভারতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন। কাজের নাম করে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক কিডনি নেওয়া হয়। ২০২৩ সালে এভাবে দিল্লিতে ১০ জন বাংলাদেশিকে কিডনি বিক্রির ফাঁদে ফেলা হয়। পরে ঢাকায় তিন পাচারকারী ধরা পড়ে।
ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক শরীফুল হাসান বলেন, ‘অনেকে নিজের ইচ্ছায় দারিদ্র্যের চাপে কিডনি বিক্রি করেন। কিন্তু অনেককে চাকরির নাম করে ফাঁদে ফেলা হয়।’ ভারতের কিডনি ওয়ারিয়রস ফাউন্ডেশনের সিইও বসুন্ধরা রঘুবন বলেন, বৈধ দাতার ঘাটতি এই চক্রকে আরও বাড়াচ্ছে। তাঁর মতে, ‘নিয়ম অনুযায়ী অঙ্গদান বাধা দেওয়া হচ্ছে, অথচ বাস্তবে অবৈধ চক্র আরও সক্রিয় হয়ে উঠছে।’
তিনি মনে করেন, এই ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ করা কঠিন, বরং নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে কিডনি দাতাদের জন্য বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষা, অপারেশনের পর নির্দিষ্ট সময় চিকিৎসা সেবা এবং আর্থিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
আর বৈগুনি গ্রামের সফিরুদ্দিন? এখনো অসমাপ্ত ঘরের সামনে বসে শুধু কষ্টের কথা ভাবেন। রাতে ঘুম আসে না। দালালের দেওয়া মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর ভেঙে যাওয়া স্বপ্নের কথা মনে পড়ে। নিজের কিডনি বিক্রি করে পরিবারকে সুরক্ষিত করতে চেয়েছিলেন তিনি। বাস্তবে তার সন্তানরা পেয়েছে অসুস্থ এক বাবা, আর তিনি পেয়েছেন শুধু প্রতারণা। তিনি বলেন, ‘ওরা আমার কিডনি নিয়ে উধাও হয়ে গেছে।’
অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক আব্দুর রহমান
আরো খবর পড়ুন:

বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
৩ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৬ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তফাপত্রটি আগামীকাল রোববার সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তফাপত্রটি আগামীকাল রোববার সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

বিকেলের মৃদু রোদে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বৈগুনি গ্রামে নিজের অসমাপ্ত ইটের তৈরি ঘরের সামনে বসে পেটের ডান পাশের ব্যথা আর পোড়া পোড়া অনুভূতি নীরবে সব সহ্য করছিলেন ৪৫ বছর বয়সী সফিরুদ্দিন। ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে তিনি ভারতের এক হাসপাতালে নিজের কিডনি বিক্রি করেন ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।
০৭ জুলাই ২০২৫
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৬ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

বিকেলের মৃদু রোদে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বৈগুনি গ্রামে নিজের অসমাপ্ত ইটের তৈরি ঘরের সামনে বসে পেটের ডান পাশের ব্যথা আর পোড়া পোড়া অনুভূতি নীরবে সব সহ্য করছিলেন ৪৫ বছর বয়সী সফিরুদ্দিন। ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে তিনি ভারতের এক হাসপাতালে নিজের কিডনি বিক্রি করেন ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।
০৭ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৬ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

বিকেলের মৃদু রোদে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বৈগুনি গ্রামে নিজের অসমাপ্ত ইটের তৈরি ঘরের সামনে বসে পেটের ডান পাশের ব্যথা আর পোড়া পোড়া অনুভূতি নীরবে সব সহ্য করছিলেন ৪৫ বছর বয়সী সফিরুদ্দিন। ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে তিনি ভারতের এক হাসপাতালে নিজের কিডনি বিক্রি করেন ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।
০৭ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
৩ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৫ ঘণ্টা আগে
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার খুবই সিরিয়াস। কারণ মানুষ দীর্ঘদিন তাদের ভোট দিতে পারেনি। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। তাই প্রত্যেক দলের কাজ হচ্ছে, মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করা।’
আজ শনিবার ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তারপরে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ, যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে বা তার আশপাশে, যারা বিগত বছরগুলোতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যাতে মানুষ তাদের ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সরকার আপনাদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য করবে না, যতক্ষণ আপনারা না চাইবেন। কেউ যাতে কোনোপ্রকার গণ্ডগোল করতে না পারে। আর যদিওবা করে, তা হলে তাকে কী করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায়, সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনো স্থানে সমস্যা হয়, সেখানে ভোট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা মানুষের কাছে যাবেন, বক্তব্য তুলে ধরবেন। তবে কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। সবাই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকুন এবং একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। সেই আন্দোলনে আমাদের ছেলেমেয়েরা জীবন দিয়েছে। যে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তারা জীবন দিয়েছে, তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলোর সমন্বয় করে আমরা একটি ছোট্ট তালিকা করেছি। পুরোপুরি শতভাগ যে করতে পেরেছি, তা নয়। আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব নিয়ে আসার।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার কোনো দলের পক্ষে না। আপনারা জানেন, কে কোন দলের পক্ষে নির্বাচন করছে। আপনারা আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন।’
ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বেল্লাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার খুবই সিরিয়াস। কারণ মানুষ দীর্ঘদিন তাদের ভোট দিতে পারেনি। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। তাই প্রত্যেক দলের কাজ হচ্ছে, মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করা।’
আজ শনিবার ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তারপরে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ, যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে বা তার আশপাশে, যারা বিগত বছরগুলোতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যাতে মানুষ তাদের ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সরকার আপনাদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য করবে না, যতক্ষণ আপনারা না চাইবেন। কেউ যাতে কোনোপ্রকার গণ্ডগোল করতে না পারে। আর যদিওবা করে, তা হলে তাকে কী করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায়, সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনো স্থানে সমস্যা হয়, সেখানে ভোট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা মানুষের কাছে যাবেন, বক্তব্য তুলে ধরবেন। তবে কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। সবাই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকুন এবং একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। সেই আন্দোলনে আমাদের ছেলেমেয়েরা জীবন দিয়েছে। যে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তারা জীবন দিয়েছে, তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলোর সমন্বয় করে আমরা একটি ছোট্ট তালিকা করেছি। পুরোপুরি শতভাগ যে করতে পেরেছি, তা নয়। আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব নিয়ে আসার।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার কোনো দলের পক্ষে না। আপনারা জানেন, কে কোন দলের পক্ষে নির্বাচন করছে। আপনারা আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন।’
ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বেল্লাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

বিকেলের মৃদু রোদে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বৈগুনি গ্রামে নিজের অসমাপ্ত ইটের তৈরি ঘরের সামনে বসে পেটের ডান পাশের ব্যথা আর পোড়া পোড়া অনুভূতি নীরবে সব সহ্য করছিলেন ৪৫ বছর বয়সী সফিরুদ্দিন। ২০২৪ সালের গ্রীষ্মে তিনি ভারতের এক হাসপাতালে নিজের কিডনি বিক্রি করেন ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।
০৭ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
৩ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৬ ঘণ্টা আগে