Ajker Patrika

বঙ্গোপসাগর সংলাপ

ভারত-বাংলাদেশ আলোচনায় হাসিনা প্রসঙ্গে উত্তপ্ত মুহূর্ত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০: ৩৯
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আজ শনিবার ‘ব্রিজিং ডিভাইডস: নেভিগেটিং দ্য কমপ্লেক্সিটিস অব ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ রিলেশন্স’ শিরোনামে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে এই বিশেষ অধিবেশন হয়। ছবি: সংগৃহিত
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আজ শনিবার ‘ব্রিজিং ডিভাইডস: নেভিগেটিং দ্য কমপ্লেক্সিটিস অব ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ রিলেশন্স’ শিরোনামে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে এই বিশেষ অধিবেশন হয়। ছবি: সংগৃহিত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরানোর প্রসঙ্গে বঙ্গোপসাগর সংলাপে ভারত ও বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে পরে হাস্যরসের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে উষ্ণতা ছড়িয়েছেন দুপক্ষের আলোচকেরা।

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আজ শনিবার ‘ব্রিজিং ডিভাইডস: নেভিগেটিং দ্য কমপ্লেক্সিটিস অব ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ রিলেশন্স’ শিরোনামে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে এই বিশেষ অধিবেশন হয়। এই অধিবেশনটি ‘চ্যাথাম হাউস পলিসি’র আওতায় অনুষ্ঠিত হয়। এর অর্থ হলো নির্দিষ্ট কোনো আলোচকের নাম দিয়ে নির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য বা উদ্ধৃতি প্রকাশ করা যাবে না। সার্বিক আলোচনা প্রকাশ করা যাবে।

সংলাপে বাংলাদেশি আলোচকদের একজন পরামর্শ চান, ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনার বিষয়ে বাংলাদেশের করণীয় কী? ভারতীয় দুজন আলোচক বলেন, বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় এগোনোর পর তা নিয়ে আলোচনা করা যায়। এবিষয় নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। এক পর্যায়ে ভারতীয় এক আলোচকের এই বক্তব্যে সবাই হো হো করে হেসে ওঠেন।

সেই প্রসঙ্গ সংক্ষেপে তুলে ধরতে সংলাপ শেষে এক্স প্ল্যাটফর্মে হাজির হন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর কূটনৈতিক সম্পাদক সুহাসিনী হায়দার। তিনি এক পোস্টে লেখেন, ৫ আগস্টের পর ভারত ও বাংলাদেশের সাবেক কূটনীতিক, গবেষক ও সাংবাদিকদের মধ্যে প্রথম সাক্ষাৎ। কিছু উত্তেজিত মুহূর্ত এবং উষ্ণতা।’

আলোচনার টেবিলের এক পাশে বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রীয়াজ, নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীর, চাকমা সার্কেলের প্রধান দেবাশীষ রায়, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, যুক্তরাষ্ট্রের কোলগেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক নাভিন মুরশিদ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) গবেষণা ফেলো শাফকাত মুনির।

অপর পাশে ছিলেন ভারতের সাবেক কূটনীতিক ও ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত, মিলেনিয়াল ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, ইন্ডাস্ট্রি ও অ্যাগ্রিকালচারের প্রেসিডেন্ট অনিল ত্রিগুনায়ত, সাবেক সেনা কমান্ডার অরুণ কে সাহনি, ভারতের সাবেক কূটনীতিক অশোক সাজনহর, ভারতের ইনস্টিটিউট অব ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিসের গবেষণা ফেলো শ্রুতি এস পট্টনায়ক এবং ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর কূটনৈতিক সম্পাদক সুহাসিনী হায়দার।

সংলাপে বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ছয়টি দিক নিয়ে আলোচনা হয়—সীমান্ত হত্যা, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, রোহিঙ্গা সংকট, সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ও সাম্প্রতিক রাজনীতি এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ। আলোচনা সঞ্চালনা করেন সিজিএসের জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো পারভেজ করিম আব্বাসী।

দুই ঘণ্টার মতো সময়ের আলোচনার শেষ দিকে বাংলাদেশি একজন আলোচক ভারতীয়দের কাছে জানতে চান, বাংলাদেশে প্রায় দেড় হাজার মানুষের হত্যার ঘটনার পর শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছেন। এ হত্যার দায় তাঁর। ভারত তাঁকে আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশের এখন কী করা উচিত?

জবাবে ভারতীয় এক আলোচক কয়েকটি বিষয়ে বললেও শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে সরাসরি কিছু বলেননি। তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা না হলে অন্য কোনো বিষয়ে কথা হবে না— এই মানসিকতা পরিহার করা দরকার।

এরপরে এক বাংলাদেশি আলোচক বলেন, দুই ঘণ্টার আলোচনায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি একজন আলোচক শেখ হাসিনার প্রসঙ্গটি তুললেন। কিন্তু ভারতীয় আলোচক জবাব এড়িয়ে গেলেন। তখন ভারতীয় আলোচক বলেন, তিনি প্রশ্ন বোঝেননি।

তাঁর মন্তব্যের পর বাংলাদেশি আলোচক শেখ হাসিনা প্রসঙ্গ নিয়ে আবার কথা বলেন। তিনি বলেন, একজন স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার পর ভারত সরকার কর্মকর্তা পাঠিয়ে তাঁকে রিসিভ (গ্রহণ) করেছে। এমনটি তিনি আগে কখনো দেখেননি।

এ পর্যায়ে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা প্রসঙ্গে ভারতীয় ওই আলোচক বলেন, দ্বিপক্ষীয় বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ এখনো শেখ হাসিনাকে ফেরত চায়নি। ফেরত চাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

ভারতীয় আরেকজন আলোচকও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিষয়ে যত কথা এসেছে, তা সংবাদমাধ্যমে, মানুষের আলোচনায়। আদালতে বিচার এখনো শেষ হয়নি। বাংলাদেশ সরকারও ভারতের কাছে তাকে ফেরত চায়নি। ফেরত চাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত।

বাংলাদেশি আলোচকদের মধ্যে শুরুতে যিনি শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন, তিনি এ পর্যায়ে বলেন, তিনি কোনো প্রশ্ন করেননি। শুধু পরামর্শ চেয়েছিলেন।

তখন ভারতীয় এক আলোচক বাংলাদেশি আলোচকের উদ্দেশে বলেন, তিনি যদি বাংলাদেশের সরকারে থাকেন, কোনো সময় প্রয়োজন হলে ভারতে আশ্রয় নিতে চান, ভারত তাঁকেও আশ্রয় দেবে। তাঁর এই বক্তব্যের পর সবাই হেসে ওঠেন।

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। তখন থেকে তিনি সেখানেই রয়েছেন।

সীমান্ত হত্যা, পানিবণ্টন ও রোহিঙ্গা সমস্যা

বাংলাদেশি আলোচকেরা সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যাকে একটি বড় সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেন। জবাবে ভারতীয় আলোচকেরা বলেন, সীমান্তে শুধু বাংলাদেশিরা হত্যার শিকার হন না, ভারতীয়রাও হন— এটা দুই দিকের জন্যই সমস্যা। এটা নিয়ে অনেক বছর ধরে কথা হচ্ছে। এখন সমাধান খুঁজতে হবে।

বাংলাদেশি একজন আলোচক প্রশ্ন করেন, ভারতীয় হত্যার কথা কেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে না। জবাবে ভারতীয় একজন আলোচক বলেন, বয়ান গণমাধ্যম তৈরি করে না, রাষ্ট্র তৈরি করে। ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ক্ষেত্রেও সেটাই দেখা যায়।

ভারতীয় একজন আলোচক স্বীকার করেন, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টনের বিষয়ে ভারতের ‘রিপোর্ট কার্ড’ ভালো নয়। আরেক আলোচক তিস্তার বিষয়ে পানির প্রবাহ ছাড়াও সমাধানের অন্য উপায় খুঁজে দেখার পরামর্শ দেন। তখন বাংলাদেশি একজন আলোচক বলেন, পানিপ্রবাহ যদি সমাধানের উপায় হয়, তাহলে সেটা নিয়ে কেন আলোচনা হবে না।

তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে ভারতীয় আলোচকেরা বলেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেই সবকিছু করতে পারে না। কারণ রাষ্ট্রটি ফেডারেল–ব্যবস্থার, রাজ্য সরকারের ওপর নির্ভর করতে হয়। তিস্তার পানিবণ্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নিজস্ব রাজনীতি রয়েছে। বাংলাদেশি একজন আলোচক বলেন, আস্থার সংকটই এখানে বড় সমস্যা। ভারত ৪০ দিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর কথা বলে আর বন্ধ করেনি। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বেশ কিছু সময় আলোচনার পর বাংলাদেশ ও ভারতের দুজন আলোচক একমত হন যে মিয়ানমার নাগরিকত্ব না দিলে রোহিঙ্গারা ফিরে যাবে না।

‘বাস্তবতার ভিত্তিতে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে’

আলোচনার শেষ দিকে বাংলাদেশ ও ভারতের আলোচকেরা যে বক্তব্য দেন, তাতে উঠে আসে যে দুই দেশের মধ্যে চার হাজার কিলোমিটারের বেশি সীমান্ত রয়েছে, বড় বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের যেমন ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা দরকার, তেমনি ভারতেরও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা প্রয়োজন। ভারতের উচিত রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা, কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নয়। আবেগ নয়, বাস্তবতা বিবেচনা করে দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে। ভারতীয় একজন আলোচক শেষে বলেন, ভারত আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর আস্থা রেখেছিল তার নিরাপত্তার প্রয়োজনে। বাংলাদেশের নতুন সরকার যদি নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দেয়, তাহলে ভবিষ্যতে অনেক ভালো কিছু দেখা যাবে। বাংলাদেশি আলোচকেরা শেষে বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার শোক বইয়ে স্বাক্ষর করতে মানুষের ঢল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ১৩
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়াকে চিরবিদায় জানাতে আসবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৫
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।

সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫০
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।

এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত