Ajker Patrika

বঙ্গোপসাগর সংলাপ

ভারত-বাংলাদেশ আলোচনায় হাসিনা প্রসঙ্গে উত্তপ্ত মুহূর্ত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০: ৩৯
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আজ শনিবার ‘ব্রিজিং ডিভাইডস: নেভিগেটিং দ্য কমপ্লেক্সিটিস অব ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ রিলেশন্স’ শিরোনামে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে এই বিশেষ অধিবেশন হয়। ছবি: সংগৃহিত
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আজ শনিবার ‘ব্রিজিং ডিভাইডস: নেভিগেটিং দ্য কমপ্লেক্সিটিস অব ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ রিলেশন্স’ শিরোনামে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে এই বিশেষ অধিবেশন হয়। ছবি: সংগৃহিত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরানোর প্রসঙ্গে বঙ্গোপসাগর সংলাপে ভারত ও বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে পরে হাস্যরসের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে উষ্ণতা ছড়িয়েছেন দুপক্ষের আলোচকেরা।

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আজ শনিবার ‘ব্রিজিং ডিভাইডস: নেভিগেটিং দ্য কমপ্লেক্সিটিস অব ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ রিলেশন্স’ শিরোনামে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে এই বিশেষ অধিবেশন হয়। এই অধিবেশনটি ‘চ্যাথাম হাউস পলিসি’র আওতায় অনুষ্ঠিত হয়। এর অর্থ হলো নির্দিষ্ট কোনো আলোচকের নাম দিয়ে নির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য বা উদ্ধৃতি প্রকাশ করা যাবে না। সার্বিক আলোচনা প্রকাশ করা যাবে।

সংলাপে বাংলাদেশি আলোচকদের একজন পরামর্শ চান, ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনার বিষয়ে বাংলাদেশের করণীয় কী? ভারতীয় দুজন আলোচক বলেন, বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় এগোনোর পর তা নিয়ে আলোচনা করা যায়। এবিষয় নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। এক পর্যায়ে ভারতীয় এক আলোচকের এই বক্তব্যে সবাই হো হো করে হেসে ওঠেন।

সেই প্রসঙ্গ সংক্ষেপে তুলে ধরতে সংলাপ শেষে এক্স প্ল্যাটফর্মে হাজির হন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর কূটনৈতিক সম্পাদক সুহাসিনী হায়দার। তিনি এক পোস্টে লেখেন, ৫ আগস্টের পর ভারত ও বাংলাদেশের সাবেক কূটনীতিক, গবেষক ও সাংবাদিকদের মধ্যে প্রথম সাক্ষাৎ। কিছু উত্তেজিত মুহূর্ত এবং উষ্ণতা।’

আলোচনার টেবিলের এক পাশে বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রীয়াজ, নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীর, চাকমা সার্কেলের প্রধান দেবাশীষ রায়, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, যুক্তরাষ্ট্রের কোলগেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক নাভিন মুরশিদ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) গবেষণা ফেলো শাফকাত মুনির।

অপর পাশে ছিলেন ভারতের সাবেক কূটনীতিক ও ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত, মিলেনিয়াল ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, ইন্ডাস্ট্রি ও অ্যাগ্রিকালচারের প্রেসিডেন্ট অনিল ত্রিগুনায়ত, সাবেক সেনা কমান্ডার অরুণ কে সাহনি, ভারতের সাবেক কূটনীতিক অশোক সাজনহর, ভারতের ইনস্টিটিউট অব ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিসের গবেষণা ফেলো শ্রুতি এস পট্টনায়ক এবং ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর কূটনৈতিক সম্পাদক সুহাসিনী হায়দার।

সংলাপে বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ছয়টি দিক নিয়ে আলোচনা হয়—সীমান্ত হত্যা, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, রোহিঙ্গা সংকট, সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ও সাম্প্রতিক রাজনীতি এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ। আলোচনা সঞ্চালনা করেন সিজিএসের জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো পারভেজ করিম আব্বাসী।

দুই ঘণ্টার মতো সময়ের আলোচনার শেষ দিকে বাংলাদেশি একজন আলোচক ভারতীয়দের কাছে জানতে চান, বাংলাদেশে প্রায় দেড় হাজার মানুষের হত্যার ঘটনার পর শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছেন। এ হত্যার দায় তাঁর। ভারত তাঁকে আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশের এখন কী করা উচিত?

জবাবে ভারতীয় এক আলোচক কয়েকটি বিষয়ে বললেও শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে সরাসরি কিছু বলেননি। তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা না হলে অন্য কোনো বিষয়ে কথা হবে না— এই মানসিকতা পরিহার করা দরকার।

এরপরে এক বাংলাদেশি আলোচক বলেন, দুই ঘণ্টার আলোচনায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি একজন আলোচক শেখ হাসিনার প্রসঙ্গটি তুললেন। কিন্তু ভারতীয় আলোচক জবাব এড়িয়ে গেলেন। তখন ভারতীয় আলোচক বলেন, তিনি প্রশ্ন বোঝেননি।

তাঁর মন্তব্যের পর বাংলাদেশি আলোচক শেখ হাসিনা প্রসঙ্গ নিয়ে আবার কথা বলেন। তিনি বলেন, একজন স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার পর ভারত সরকার কর্মকর্তা পাঠিয়ে তাঁকে রিসিভ (গ্রহণ) করেছে। এমনটি তিনি আগে কখনো দেখেননি।

এ পর্যায়ে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা প্রসঙ্গে ভারতীয় ওই আলোচক বলেন, দ্বিপক্ষীয় বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ এখনো শেখ হাসিনাকে ফেরত চায়নি। ফেরত চাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

ভারতীয় আরেকজন আলোচকও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিষয়ে যত কথা এসেছে, তা সংবাদমাধ্যমে, মানুষের আলোচনায়। আদালতে বিচার এখনো শেষ হয়নি। বাংলাদেশ সরকারও ভারতের কাছে তাকে ফেরত চায়নি। ফেরত চাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত।

বাংলাদেশি আলোচকদের মধ্যে শুরুতে যিনি শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন, তিনি এ পর্যায়ে বলেন, তিনি কোনো প্রশ্ন করেননি। শুধু পরামর্শ চেয়েছিলেন।

তখন ভারতীয় এক আলোচক বাংলাদেশি আলোচকের উদ্দেশে বলেন, তিনি যদি বাংলাদেশের সরকারে থাকেন, কোনো সময় প্রয়োজন হলে ভারতে আশ্রয় নিতে চান, ভারত তাঁকেও আশ্রয় দেবে। তাঁর এই বক্তব্যের পর সবাই হেসে ওঠেন।

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। তখন থেকে তিনি সেখানেই রয়েছেন।

সীমান্ত হত্যা, পানিবণ্টন ও রোহিঙ্গা সমস্যা

বাংলাদেশি আলোচকেরা সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যাকে একটি বড় সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেন। জবাবে ভারতীয় আলোচকেরা বলেন, সীমান্তে শুধু বাংলাদেশিরা হত্যার শিকার হন না, ভারতীয়রাও হন— এটা দুই দিকের জন্যই সমস্যা। এটা নিয়ে অনেক বছর ধরে কথা হচ্ছে। এখন সমাধান খুঁজতে হবে।

বাংলাদেশি একজন আলোচক প্রশ্ন করেন, ভারতীয় হত্যার কথা কেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে না। জবাবে ভারতীয় একজন আলোচক বলেন, বয়ান গণমাধ্যম তৈরি করে না, রাষ্ট্র তৈরি করে। ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ক্ষেত্রেও সেটাই দেখা যায়।

ভারতীয় একজন আলোচক স্বীকার করেন, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টনের বিষয়ে ভারতের ‘রিপোর্ট কার্ড’ ভালো নয়। আরেক আলোচক তিস্তার বিষয়ে পানির প্রবাহ ছাড়াও সমাধানের অন্য উপায় খুঁজে দেখার পরামর্শ দেন। তখন বাংলাদেশি একজন আলোচক বলেন, পানিপ্রবাহ যদি সমাধানের উপায় হয়, তাহলে সেটা নিয়ে কেন আলোচনা হবে না।

তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে ভারতীয় আলোচকেরা বলেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেই সবকিছু করতে পারে না। কারণ রাষ্ট্রটি ফেডারেল–ব্যবস্থার, রাজ্য সরকারের ওপর নির্ভর করতে হয়। তিস্তার পানিবণ্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নিজস্ব রাজনীতি রয়েছে। বাংলাদেশি একজন আলোচক বলেন, আস্থার সংকটই এখানে বড় সমস্যা। ভারত ৪০ দিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর কথা বলে আর বন্ধ করেনি। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বেশ কিছু সময় আলোচনার পর বাংলাদেশ ও ভারতের দুজন আলোচক একমত হন যে মিয়ানমার নাগরিকত্ব না দিলে রোহিঙ্গারা ফিরে যাবে না।

‘বাস্তবতার ভিত্তিতে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে’

আলোচনার শেষ দিকে বাংলাদেশ ও ভারতের আলোচকেরা যে বক্তব্য দেন, তাতে উঠে আসে যে দুই দেশের মধ্যে চার হাজার কিলোমিটারের বেশি সীমান্ত রয়েছে, বড় বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের যেমন ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা দরকার, তেমনি ভারতেরও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা প্রয়োজন। ভারতের উচিত রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা, কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নয়। আবেগ নয়, বাস্তবতা বিবেচনা করে দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে। ভারতীয় একজন আলোচক শেষে বলেন, ভারত আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর আস্থা রেখেছিল তার নিরাপত্তার প্রয়োজনে। বাংলাদেশের নতুন সরকার যদি নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দেয়, তাহলে ভবিষ্যতে অনেক ভালো কিছু দেখা যাবে। বাংলাদেশি আলোচকেরা শেষে বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে এবার ১ কোটি টাকা প্রতারণার মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সালমান এফ রহমান। ফাইল ছবি
সালমান এফ রহমান। ফাইল ছবি

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তাঁর ভাই এ এস এফ রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এবার ১ কোটি ২০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা প্রতারণার মামলা করা হয়েছে।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে আজ রোববার মামলাটি করেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন মো. মাহবুব আলম।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো অ্যাভিয়েশনের কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ খান মজলিশ, তাঁর ভাই ইমরান খান মজলিশ, গুলজার হোসাইন ও সৈয়দ সামিউল ওয়াদুদ ওরফে সামি ওয়াদুদ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সালমান এফ রহমানের কোম্পানি অ্যাভিয়েশন লিমিটেডে বাদী ও বিমানবাহিনীর সাবেক দুই ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ রাশেদুল আমীন ও জাহিদুর রহমান চাকরি নিয়েছিলেন পাইলট হিসেবে। শেখ হাসিনার উপদেষ্টা দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া-আসা করতেন হেলিকপ্টারে করে। কোম্পানিতে থাকাকালে পাইলট তিনজন বেতন-ভাতা পেয়েছিলেন ঠিকই। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে বেতন-ভাতা বকেয়া রেখে কোম্পানি থেকে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। তিনজনের ১ কোটি ২০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আসামিরা পরিশোধ না করায় প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়।

ভুয়া কোম্পানি দেখিয়ে নিয়োগের মাধ্যমে ওই তিন পাইলটের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলেও অভিযোগে বলা হয়।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১৩ আগস্ট সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৬
আবদুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত
আবদুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রের ২৪ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

দুদকের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ব্যক্তিগত সুখ-সুবিধা ভোগের উদ্দেশ্যে নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকায় সাজসজ্জা ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের নামে রাষ্ট্রের প্রায় ২৪ কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও উত্থাপন করা হয়েছে।

দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উল্লিখিত অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য কমিশন একটি সমন্বিত তদন্ত টিম গঠন করেছে। পাশাপাশি সংস্থাটির একজন পরিচালককে তদারক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুতর। কমিশন আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিরপেক্ষভাবে অনুসন্ধান পরিচালনা করবে। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হলে নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শুধু বিধিবিধান দিয়ে অবৈধ আয় বন্ধ হবে না: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ফাইল ছবি
শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ফাইল ছবি

রাজনৈতিক চাহিদা থাকলে এবং সদিচ্ছা না থাকলে কেবল বিধিবিধান দিয়ে অবৈধ আয় বা দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি মনে করেন, অবৈধ আয় কমাতে হলে দিনের শেষে তা রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপরই নির্ভর করে। তা না হলে দুর্নীতির একটি উৎস বন্ধ করলে দ্রুতই আরেকটি উৎস চালু হয়ে যায়।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে সরকারি গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এই মন্তব্য করেন।

এ বছরের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়ন’। উদ্বোধনী অধিবেশনে গণতন্ত্র ও উন্নয়নবিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

তিনি তাঁর প্রবন্ধে বলেন, ‘দেশে যদি একটি অশুভ সংস্কৃতি গড়ে ওঠে, তাহলে শুধু প্রশাসনিক সংস্কার দিয়ে তার সমাধান হবে না।’ তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ‘ভারতে ঘুষ নেওয়া ও দেওয়া দুটোই অপরাধ হলেও আমাদের দেশে শুধু ঘুষ নেওয়াকে অপরাধ বলে মনে করা হয়, দেওয়াটাকে নয়।’

উন্নয়ন সম্পর্কে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন শুধু গণতান্ত্রিক দেশেই নয়, চীন–ভিয়েতনামের মতো দেশেও হয়েছে। কেননা, এসব দেশে জবাবদিহির একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘উদারনীতিকরণের সফলতা মূল্যবোধ ও আস্থার ওপর নির্ভর করে।’

জবাবদিহির সঙ্গে দায়িত্ববোধের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বর্তমান সময়ের একটি প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, ‘এখনকার প্রাথমিক শিক্ষকেরা ছাত্রদের পরীক্ষা বন্ধ করে ও তাদের জিম্মি করে আন্দোলন করছেন। অথচ আমাদের সময় শিক্ষকেরা বাসায় এসে খোঁজখবর নিতেন। এটাই হলো দায়িত্ববোধ।’

সামাজিক আচরণবিধি, মূল্যবোধ ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সামাজিক মূল্যবোধ তৈরি করা নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত।’

আলোচনা শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ দেশের প্রশাসনিক বাস্তবতার একটি চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আগের অনেক প্রকল্প পরিচালক চলে গেছেন; কারও বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাই নতুন প্রকল্প পরিচালক পাওয়া যাচ্ছে না।’

বর্তমান মেয়াদের আগেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সে সময় (আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার) কোনো কাজ করতে বললেই তা হয়ে যেত। সচিব ছিলেন আকবর আলি খান ও সা’দত হুসাইন। কিন্তু এখন বললেই কাজ হয় না; কোথায় সমস্যা আছে, তা নিজেকেই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে ও বুঝতে হয়।’

সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ কে এম এনামুল হক। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দুই দিনের গবেষণা সম্মেলনে প্রায় অর্ধশতাধিক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে যুব বেকারত্ব, দারিদ্র্য বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য খাতে নানা সংকটের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে আসবে।’

উদ্বোধনী অধিবেশনের পর পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আরও একটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে চারটি উপস্থাপনা তুলে ধরা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কৃষি অর্থনীতিবিদ এম এ সাত্তার মন্ডল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহেই: ইসি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ১৫
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা চলতি সপ্তাহেই: ইসি
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। ছবি: আজকের পত্রিকা

চলতি সপ্তাহের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট নিয়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে এবার ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ইসি।

আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে দশম কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে ইসি আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ ও গণভোট শুরু হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। আর শেষ হবে বিকেল সাড়ে ৪টায়। আগের চেয়ে এক ঘণ্টা বাড়বে। এ ছাড়া প্রতিটি বুথে একটি বাড়তি গোপন কক্ষ করা হবে। যেখানে কক্ষ বাড়ানো যাবে না, সেখানে বাইরে আলাদা গোপন কক্ষ করা হবে।’

তফসিল বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘খুব শিগগির, এই সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট নিয়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে। তফসিল উপলক্ষে বিটিভির মাধ্যমে জাতির উদ্দেশে ভাষণ রেকর্ড করা হবে। আমরা বিটিভিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ রেকর্ড করার জন্য কালকে চিঠি দেব।’

সানাউল্লাহ বলেন, ভোটের আগের রাতেই ব্যালট পেপার কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে। আর তফসিল ঘোষণার তিন দিন পর পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য দেশের ভেতরের ভোটারদের নিবন্ধন চলবে।

‎আচরণবিধি প্রতিপালনে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে প্রতিটি উপজেলায় দুজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন উল্লেখ করে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘এরপর ভোটের পাঁচ দিন আগে ম্যাজিস্ট্রেট বাড়ানো হবে। তফসিল ঘোষণার পর ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে পোস্টার সরাতে। না সরালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

‎আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, তফসিলের পর নতুন কোনো প্রকল্প অনুমোদন করতে পারবে না উপদেষ্টা পরিষদ। আইন যাদের পারমিট করবে, তারাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

‎নির্বাচনে প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং এবং পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, সরকারি, আধা সরকারি এবং সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নেওয়া হবে। বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের এই মুহূর্তে ভোটের কাজে নিযুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।

আজ দশম কমিশনের সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন। এতে অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত