Ajker Patrika

আইনি কাঠামো পাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার, অধ্যাদেশ চূড়ান্ত

  • অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না
  • নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার দিন পর্যন্ত থাকবে সরকারের মেয়াদ
  • আগের মতোই থাকছে প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের পদমর্যাদা
  • উপদেষ্টা পরিষদে নিয়োগ পাবেন না ২৫ বছরের কম বয়সীরা
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৬: ৪১
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ‘অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। অধ্যাদেশটি জারি হলে আদালতে বৈধতার প্রশ্ন তুলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে অবৈধ বা বাতিল করা যাবে না। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার দিন পর্যন্ত হবে বর্তমান সরকারের মেয়াদ।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বিশেষ পরিস্থিতিতে ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর ফলে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত হওয়ায় বর্তমানে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবস্থা এবং প্রধান উপদেষ্টা বা উপদেষ্টার পদ বলে কিছু নেই। এ কারণে অন্তর্বর্তী সরকারের আইনি ভিত্তি নিয়ে যাতে প্রশ্ন না ওঠে, সে জন্য গত ১৯ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।

অধ্যাদেশে বিলুপ্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টাদের মতোই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টাদের পদমর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় উপদেষ্টাদের সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারণ করে দেওয়া থাকলেও এখন উপদেষ্টাদের সর্বোচ্চ সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে না।

আইন ও বিচার বিভাগ প্রণীত অধ্যাদেশের খসড়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদসংক্রান্ত ধারায় বলা হয়েছে, যে তারিখে প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, সেই তারিখ থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ গঠিত হওয়ার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যভার গ্রহণ করার তারিখ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার বহাল থাকবে।

এর আগে সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার মেয়াদ ধরা ছিল ৯০ দিন।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ কী হবে, তা-ও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে চূড়ান্ত করা অধ্যাদেশে। সেখানে এ-সংক্রান্ত ধারায় বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার একটি অস্থায়ী বা সাময়িক সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। সরকারি কর্মচারীদের সহায়তায় সরকার কাজ করবে। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক সংসদ সদস্যদের নির্বাচন অনুষ্ঠানে এবং সংবিধান বা অন্য কোনো আইন দিয়ে নির্ধারিত দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য ও সহায়তা দেবে।

‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক প্রণীত অধ্যাদেশ ও কার্যক্রমের বৈধতা’ ধারায় বলা হয়েছে, ‘সংবিধান এবং আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়া এবং নতুন সংসদ গঠিত হইবার পর প্রধানমন্ত্রী যে তারিখে তাঁহার পদের কার্যভার গ্রহণ করিবেন, সেই তারিখের (উভয় দিনসহ) মধ্যবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক প্রয়োগকৃত সকল ক্ষমতা, প্রণীত সকল অধ্যাদেশ, বিধিমালা, প্রবিধানমালা, জারীকৃত প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত আদেশ, কৃত কার্য, গৃহীত ব্যবস্থা আইনানুযায়ী যথাযথভাবে প্রয়োগকৃত, প্রণীত, জারীকৃত, প্রদত্ত, কৃত এবং গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টসহ অন্য কোনো আদালত বা কর্তৃপক্ষ ইহাদের বৈধতা সম্পর্কে কোনোভাবেই কোনো প্রশ্ন উত্থাপন কিংবা ইহাদেরকে অবৈধ বা বাতিল করিতে পারিবে না।’

এতে আরও বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশের অধীন গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, প্রধান উপদেষ্টা বা কোনো উপদেষ্টাদের নিয়োগ নিয়ে ত্রুটি থাকলে সে জন্য কোনো কাজ অবৈধ হবে না, এ জন্য কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন বা মামলা দায়েরও করা যাবে না।’

নতুন অধ্যাদেশের খসড়ায় রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা প্রসঙ্গে বলা হয়, ‘বিদ্যমান অন্যান্য আইনে যা কিছুই বলা থাকুক না কেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে কাজ করতে হবে। জরুরি অবস্থা ঘোষণার বৈধতার জন্য প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ নিতে হবে।’

কারা হবেন উপদেষ্টা, সুযোগ-সুবিধা কী

সংবিধান অনুযায়ী, কারও বয়স ২৫ বছর পূর্ণ না হলে তিনি সংসদ সংসদ হতে পারেন না। সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়। মন্ত্রিসভায় এক-দশমাংশ পদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের মধ্য থেকে মনোনীত করা যায়। অর্থাৎ তাঁদের বয়সও কমপক্ষে ২৫ বছর হতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হওয়ার জন্য বয়স কমপক্ষে ২৫ হতে হবে। এ নিয়ে অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, ২৫ বছরের কম বয়সী কেউ প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পাবেন না। কোনো আদালত অপ্রকৃতিস্থ বলে ঘোষণা করলে, দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার পর দায় থেকে অব্যাহতি না পেলে, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করলে এসব পদে নিয়োগ পাওয়া যাবে না। এ ছাড়া নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে এবং মুক্তি পাওয়ার পর পাঁচ বছর পার না হলেও এসব পদে নিয়োগ পাওয়া যাবে না।

এ ছাড়া ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না’—এ বিষয়ে সম্মত না হলেও প্রধান উপদেষ্টা বা উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পাওয়া যাবে না বলে অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির কাছে লেখা ও স্বাক্ষরযুক্ত পত্রের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টারা পদত্যাগ করতে পারবেন। পদত্যাগ, মৃত্যু বা অন্য কোনো কারণে প্রধান উপদেষ্টার পদ শূন্য হলে উপদেষ্টাদের মধ্য থেকে একজনকে রাষ্ট্রপতি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবেন।

নতুন অধ্যাদেশের খসড়া অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রীর এবং উপদেষ্টারা মন্ত্রীর পদমর্যাদা, পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা কী কী সুযোগ-সুবিধা পাবেন, সে বিষয়ে আইন রয়েছে।

কবে নাগাদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ জারি হতে পারে, সে বিষয়ে সরকারের দুজন উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করেও জানা যায়নি।

তবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দেওয়ার পর আমরা বিভিন্ন বিষয় পরীক্ষা করেছি। সরকারের পক্ষ থেকে আর কোনো নির্দেশনা না এলে খসড়াটি চূড়ান্ত অবস্থায় রয়েছে বলে আমরা মনে করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কের পর সেই চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ

খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যেতে পারেন বুধবার

তুমি কে? নিজেকে কী ভাব—পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ ইমরান-সমর্থকদের কড়া প্রতিক্রিয়া

চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত, তেজস্ক্রিয় বিকিরণের বিষয়ে জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

মৃত নবজাতক নিয়ে থানায় হাজির মা-বাবা, হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে ১১৪ জুলাই শহীদের মরদেহ উত্তোলন শুরু আজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ০২
রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে ১১৪ জুলাই শহীদের মরদেহ উত্তোলন শুরু আজ

রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন অজ্ঞাতনামা শহীদের মরদেহ শনাক্তের লক্ষ্যে আজ রোববার থেকে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ফৌজদারি তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন খান বলেন, ‘ঢাকার একটি আদালতের আদেশ অনুযায়ী রোববার রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই শহীদদের মরদেহ উত্তোলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।’

জসিম উদ্দিন জানান, রোববার সকালে মরদেহ উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হবে। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ও ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো যথাযথ মর্যাদায় পুনরায় দাফন করা হবে।

সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি (প্রধান) মো. সিবগত উল্লাহ আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধসংলগ্ন কবরস্থানে মরদেহ উত্তোলন শুরুর আগে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন। এই কার্যক্রমে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুই ফন্দেব্রাইডার এবং ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানীদের একটি দল উপস্থিত থাকবে।

সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, বিভাগটির অপরাধ দৃশ্য ইউনিট কবরস্থানে তাঁবু ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্থাপন করেছে, যাতে মরদেহ উত্তোলনের কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায়।

গত ৪ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহিদুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ১১৪টি মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নিহত অজ্ঞাত শহীদদের পরিচয় শনাক্তের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত বছর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন শহীদকে অজ্ঞাত পরিচয়ে মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়।

পুলিশের আবেদনে বলা হয়, ‘ভবিষ্যতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য সঠিক আইনগত প্রক্রিয়ায় মরদেহ উত্তোলন, ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ জরুরি।’

আবেদনে আরও বলা হয়, ‘ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ সংশ্লিষ্ট পরিবারের কাছে হস্তান্তর করাও প্রয়োজন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কের পর সেই চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ

খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যেতে পারেন বুধবার

তুমি কে? নিজেকে কী ভাব—পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ ইমরান-সমর্থকদের কড়া প্রতিক্রিয়া

চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত, তেজস্ক্রিয় বিকিরণের বিষয়ে জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

মৃত নবজাতক নিয়ে থানায় হাজির মা-বাবা, হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

  • মেডিকেল বোর্ড বললেই চলে আসবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
  • আজ রোববার যাত্রার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না
  • গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান চিকিৎসক জাহিদ হোসেনের।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭: ৫৪
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উড়োজাহাজে দীর্ঘ পথ ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাঁর লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত শুক্রবারই খালেদা জিয়াকে নিয়ে চিকিৎসকদের লন্ডনে রওনা হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল ঘোষণা করা হয়। আজ রোববার যাত্রা করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না।

এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী বলেছেন, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সবিষয়ক প্রস্তুতি সম্পন্ন। মেডিকেল বোর্ড পরামর্শ দিলেই ঢাকায় চলে আসবে কাতারের আমিরের ব্যবস্থা করা অ্যাম্বুলেন্সটি।

গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। লিভার, কিডনি, ফুসফুস ও হৃদ্‌রোগের জটিলতায় তাঁর অবস্থা এখন সংকটাপন্ন। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। খালেদা জিয়ার বড় পুত্রবধূ মেডিকেল বোর্ডের সদস্য জুবাইদা রহমান যুক্তরাজ্য থেকে শুক্রবার ঢাকায় এসে চিকিৎসাপ্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন। লন্ডনে থাকতেও চিকিৎসা কার্যক্রমে ভূমিকা রেখে আসছিলেন জুবাইদা রহমান।

সার্বিকভাবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিএনপির চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি থাকলেও বিষয়টি মূলত তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে বলে জানান তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সব সময় প্রস্তুত আছে। তবে চিকিৎসাগত দিক থেকে উনার নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা প্রাধান্য পাচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরাও উনার শারীরিক অবস্থার দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।’

খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়া বিলম্বিত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘(কাতারের আমিরের) এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের যান্ত্রিক ত্রুটি যেমন ছিল, একইভাবে মেডিকেল বোর্ডও সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ওই মুহূর্তে উনার ফ্লাই করা সঠিক হবে না। ভবিষ্যতে হয়তো শারীরিক অবস্থাই বলে দেবে, উনাকে কখন বিদেশে নিয়ে যাওয়া যাবে।’

জাহিদ হোসেন বলেন, ‘যেহেতু উনার স্বাস্থ্য আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, সেহেতু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তদারকির পাশাপাশি চিকিৎসকদের মতামতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। দলও বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। গতকাল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। গতকাল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে। ছবি: আজকের পত্রিকা

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা, তাঁকে দেশের বাইরে নেওয়ার বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়া, গুজবে কান না দেওয়া এবং গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা যখন বিমানে ফ্লাই করবেন, তখন মানুষের শারীরিক যে পরিবর্তন হয়, তার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো একজন অসুস্থ মানুষের পক্ষে সব সময় সম্ভব হয় না। বিষয়টি খেয়াল রেখে আপনারা দয়া করে বিভ্রান্ত হবেন না, দয়া করে কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করবেন না।’

খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে কাতার সরকার এবং অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ পর্যায়ে সহযোগিতা করছে বলেও জানান খালেদা জিয়ার চিকিৎসক।

এদিকে বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড সবুজসংকেত দিলেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে কাতারের ব্যবস্থা করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। বাসস জানায়, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। দলের পক্ষ থেকে তিনিই কাতার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

এনামুল হক চৌধুরী বলেন, মেডিকেল বোর্ড যখনই সিদ্ধান্ত জানাবে, তখনই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে এবং খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিয়ে যাবে। সবকিছুই কাতার কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় হচ্ছে।

বিকল্প এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে এনামুল হক বলেন, ‘আমরা নই, কাতার কর্তৃপক্ষই জার্মানি থেকে একটি অত্যাধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।’

মেডিকেল বোর্ডের কয়েকজন সদস্য বাসসকে জানিয়েছেন, গত দুদিনে বোর্ড কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। সেগুলোর প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। শুক্রবার দুই দফা মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক হয়। প্রতিদিনই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার নিয়মিত প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কের পর সেই চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ

খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যেতে পারেন বুধবার

তুমি কে? নিজেকে কী ভাব—পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ ইমরান-সমর্থকদের কড়া প্রতিক্রিয়া

চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত, তেজস্ক্রিয় বিকিরণের বিষয়ে জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

মৃত নবজাতক নিয়ে থানায় হাজির মা-বাবা, হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভোটের জোটে গতি নেই

  • বিএনপির ২৮টি আসন এখনো ফাঁকা। সেগুলো শরিকদের জন্য কি না খোলাসা করেনি
  • জামায়াতসহ আটটি দল মাঠে সক্রিয়। কিন্তু জোটের ঘোষণা এখনো আসেনি
  • বিএনপি বা জামায়াতে না ঘেঁষে এনসিপির ঝোঁক তৃতীয় শক্তি দাঁড় করানোয়
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ০৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই হয়ে যেতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল। এর পরেই পুরোদমে ভোটের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বে রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত দলগুলোর মধ্যে ভোটের মেরুকরণে তেমন কোনো বড় নড়চড় চোখে পড়ছে না। ক্ষমতায় যাওয়ার পথ পাকা করার কৌশলে ভোটের আগ দিয়ে জোট গড়ার আলাপ বরাবরের মতো এবারও ছিল শুরু থেকে। কিন্তু সেই আলাপ যেন কোনো পরিণতিতে গড়াচ্ছে না।

যদিও সমন্বিতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা এখনো বলে যাচ্ছে ছোট কয়েকটি দল। কিন্তু প্রথাগত নির্বাচনী জোটের ঘোষণা এখনো আসেনি কারও পক্ষ থেকে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)—এই প্রধান তিন শক্তি এবং তাদের মিত্র দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে মনে হচ্ছে, নির্বাচনী জোট বলতে যা বোঝায়, তা যে হচ্ছে না, সেটা এখন অনেকটাই স্পষ্ট।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগপর্যন্ত ছোট ছোট অনেক দলকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে এসেছে বিএনপি। ভোটের আলাপ শুরু হওয়ার পর থেকে দলটি তাই রাজপথের মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া এবং জয়ী হলে সমন্বিতভাবে সরকার গঠনের কথা বলে আসছে। এখনো ওই অবস্থানে থেকেই মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে দলটি।

বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, শরিকদের অবদানকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে সবার আগে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার বিষয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন দলের নীতিনির্ধারকেরা। দলের ভেতরে ও বাইরে মিত্রদের সঙ্গে আসন সমঝোতার ক্ষেত্রেও বিষয়টি সামনে আনছেন তাঁরা। নীতিনির্ধারকদের ভাষ্য অনুযায়ী, মিত্রদের সঙ্গে শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক নয়, নির্বাচনের পরেও এই সম্পর্ক অটুট থাকবে এবং সবাইকে নিয়েও সরকার গঠন করা হবে। কিন্তু তার আগে দরকার নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া। কারণ, নির্বাচনে বিজয়ী না হলে সব চেষ্টাই বৃথা হয়ে যাবে। বিষয়টি নিয়ে শরিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। যদিও এরই মধ্যে নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির মনোনয়ন ঘিরে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে শরিকদের অনেকের মধ্যে। ২৭২টি আসনে বিএনপির ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা নিয়ে এরই মধ্যে আপত্তি তুলেছে তারা।

গত শুক্রবার বিএনপির অন্যতম মিত্র ১২ দলীয় জোট সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছে, শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা না করে বিএনপির দুই ধাপে সংসদীয় আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জোটের নেতারা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন এবং সরকার গঠনের যে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ২৭২টি আসনে মনোনয়ন ঘোষণার মাধ্যমে তার বরখেলাপ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে আগামীকাল সোমবার সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট বক্তব্য তুলে ধরার কথা বলেছেন জোটের নেতারা।

শরিকদের এসব অভিযোগের বিপরীতে বাস্তবতার আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। শরিক দলগুলোকে কতটি আসন ছাড়া হবে, তার আগে দেখছেন বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু। এ ক্ষেত্রে নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বাধ্যবাধকতা শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতার আলোচনায় আরও বেশি বিপাকে ফেলেছে বিএনপিকে। নিবন্ধিত শরিক দলের প্রার্থীরা তাঁদের নিজ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হতে পারবেন—এমন ভরসা রাখতে পারছে না বিএনপি।

নির্বাচনী জোট নিয়ে শরিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে জানিয়ে গতকাল শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যাঁরা যুগপৎ আন্দোলনে ছিলেন, তাঁদের অনেক এলাকা নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। এখনো ২৮টা আসন তো বাকি আছে। জোটের আলোচনা তো এখনো শেষ হয়নি।’

আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে নতুন বাস্তবতায় এবার বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে সামনে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। তাদের নেতৃত্বে ইতিমধ্যে আটটি দল একযোগে সক্রিয় মাঠের আন্দোলনে। জামায়াতের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ আটটি ইসলামপন্থী দল থাকলেও ভোটের জোট বা নির্বাচনে আসন সমঝোতার ঘোষণা এখনো আসেনি তাদের দিক থেকে।

জামায়াতের একাধিক সূত্র বলছে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই শরিকদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে প্রতিটি আসনের চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশিত হবে। সমন্বিত কৌশলে ভোটযুদ্ধে লড়ার পরিকল্পনা চলছে।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই আসন সমঝোতার প্রক্রিয়া শেষ হতে পারে জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তো আগেই নিজেদের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছি। এখন যেহেতু অন্য কয়েকটি দলের সঙ্গে সমঝোতা করতে হচ্ছে...এখানে আলাপ আলোচনার অনেক বিষয় আছে।’

এবার বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির কোনো জোট হয় কি না, বড় করে সেদিকেই শুরু থেকে সবার নজর। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি এখন পর্যন্ত নেই; বরং সংস্কারের পক্ষে থাকা মধ্যপন্থী দলগুলোর সঙ্গে জোটের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এনসিপি। তৃতীয় শক্তি বা তৃতীয় জোট গঠন করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার প্রশ্নে শক্তিশালী অবস্থানে থাকতে চাইছে বলে জানিয়েছেন এনসিপির একাধিক নেতা।

এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদসহ মধ্যমপন্থী রাজনীতি এবং সংস্কারের পক্ষে থাকা দলগুলোর সমন্বয়ে জোটের বিষয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে।

তবে জোটের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষ পর্যায়ে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করব। তবে জোট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।’

এনসিপির একটি সূত্র অবশ্য জানিয়েছে, জোট নিয়ে এনসিপির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আটকে আছে দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদের ওপর। এর মধ্যে একজন উপদেষ্টা মনে করেন, এনসিপি বিএনপির সঙ্গে জোট না করে এককভাবে নির্বাচন করলেও সুবিধাভোগী হবে জামায়াতে ইসলামী। আর জোট করলে পুরো সুবিধাই জামায়াত পাবে। এ ক্ষেত্রে এনসিপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে। দলটি রাজনৈতিক মাঠে অবস্থান তৈরি করতে পারবে না বলেও মনে করেন ওই উপদেষ্টা। যে কারণে দলটিতে থাকা দুই উপদেষ্টার অনুসারীরা এনসিপিকে বিএনপির দিকে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে দলটির নেতাদের একটা অংশ জামায়াতের সঙ্গে জোট করতে আগ্রহী। জোট নিয়ে নেতাদের মতভেদের কারণে এনসিপির মধ্যে বিভক্তি চলছে বলে জানা গেছে। দুই উপদেষ্টা এনসিপিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়েও চলছে নানা আলোচনা।

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘তাঁদের (দুই উপদেষ্টা) জন্য দলের দরজা খোলাই আছে। তাঁরা চাইলেই এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন এবং নির্বাচন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আইনি বিধিনিষেধ নেই।’

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শরিক হিসেবে গত তিনটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে জাতীয় সংসদে বিরোধী দল হয়েছিল জাতীয় পার্টি। দলটিকে নিষিদ্ধের সঙ্গে ভোটে অযোগ্য ঘোষণার দাবিতে রাজপথে একাধিক দল আন্দোলনও করেছিল। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন করা জাপার নিজস্ব সিদ্ধান্ত।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে জাতীয় পার্টিতে আরেক দফা ভাঙন দেখা দেয়। আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে একটি অংশ সম্মেলন করে নতুন কমিটি দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে এরই মধ্যে। দলটি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বোধীন আওয়ামী লীগের শরিক জাতীয় পার্টির (জেপি) সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। আগামীকাল সোমবার জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক জোট নামে নতুন জোটের ঘোষণা দিতে পারেন তাঁরা। এ জোটে নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল জনতা পার্টিসহ আরও ১৬টি রাজনৈতিক দল রয়েছে বলে জানা গেছে। তারা জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে।

অন্যদিকে গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির মূল অংশ এখনো নির্বাচনী জোট তৈরির বিষয়ে আলোচনা শুরু করেনি। তবে কোনো দল তাদের আমন্ত্রণ জানালে জোট করতে আগ্রহী তাঁরা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে জোট গঠনে জাপা উদ্যোগ নেবে বলে জানা গেছে।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন করলে কোনো একটা জোট হতেই পারে। জোট গঠন নিয়ে আমরা কারও সঙ্গে আলোচনা শুরু করেনি। তবে আমাদের ভোটব্যাংক রয়েছে, তাই অনেকে আমাদের জোটে নিতে আগ্রহী হবে। কারণ, আমাদের ভোট অনেক আসনে ফলাফল নির্ধারণ করবে।’

আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে একটি তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বামপন্থী, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক ধারার ৯টি দল নিয়ে নতুন জোট ‘গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট’ করার ঘোষণা দিয়েছে বামপন্থী দলগুলো। দলগুলো হলো—বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন, বাসদ (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল—বাসদ (মাহবুব) ও সোনার বাংলা পার্টি। গতকাল শনিবার এক রাজনৈতিক কনভেনশনের মাধ্যমে এই নতুন জোটের ঘোষণা করেন তাঁরা। নেতারা বলছেন, জোটের কলেবর বাড়াতে ঐক্য ন্যাপ, গণমুক্তি ইউনিয়ন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন, নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চাসহ আরও কয়েকটি বামপন্থী রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

এই জোটের অন্যতম শরিক দল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ কাফি রতন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে যুক্তফ্রন্ট ঘোষণা করেছি। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বামপন্থী গণতান্ত্রিক দলের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গেও আলোচনা চলমান। একই সঙ্গে সারা দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি জনতার সনদ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কের পর সেই চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ

খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যেতে পারেন বুধবার

তুমি কে? নিজেকে কী ভাব—পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ ইমরান-সমর্থকদের কড়া প্রতিক্রিয়া

চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত, তেজস্ক্রিয় বিকিরণের বিষয়ে জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

মৃত নবজাতক নিয়ে থানায় হাজির মা-বাবা, হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত হবে আজ

  • আজ ইসির বৈঠকে সময় ও ভোটকক্ষের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে
  • বৈঠকের বিষয়গুলো রাষ্ট্রপতিকে জানানোর পর তফসিল ঘোষণা
  • গণভোটের প্রচারে থাকবে লিফলেট-ব্যানার
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ১৬
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তারিখ আজ রোববার চূড়ান্ত করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ১০ ডিসেম্বর (বুধবার) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে বিষয়গুলো অবহিত করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দশম কমিশন সভা শুরু হবে। এই সভায় ভোটের দিন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হওয়ায় ভোট গ্রহণের সময় ১ ঘণ্টা বাড়ানো বা বুথ ও গোপন কক্ষ বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি। আজকের কমিশন সভার আগে গতকাল শনিবার কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন ইসি সচিব।

রেওয়াজ অনুযায়ী, বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে সিইসির নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন। সেদিন দুপুর ১২টায় সময় দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে তফসিল ঘোষণা করতে পারেন সিইসি। তবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর বুধবারও তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। আগামী ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেকোনো দিন ভোট গ্রহণ করা হবে।

ভোটের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি কমিশন সচিবালয় থেকে নেওয়া আছে। বাকিটা রোববার (আজ) কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। এত বড় কর্মযজ্ঞে চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। চ্যালেঞ্জ থাকলেও তা উত্তরণ করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি জানান, সংসদ ও গণভোট একসঙ্গে হওয়ায় নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণ শেষ করতে ভোটের সময় বাড়ানো, বুথের সংখ্যা বাড়ানো ও গোপন কক্ষ বাড়ানোর প্রস্তাব কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

একসঙ্গে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য গত ২৯ নভেম্বর মহড়া (মক) ভোট করে ইসি। দুটি আলাদা ব্যালটে এই ভোট নিতে একজন ভোটারের গড়ে ৩ মিনিট ৫২ সেকেন্ড সময় লেগেছে। গণভোটের প্রশ্ন না পড়ে সিল মারলে ২ মিনিট এবং পড়ে সিল মারতে ৭-৮ মিনিট সময় লেগেছে।

সংসদ নির্বাচনে সাধারণত সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা ভোট গ্রহণ করা হয়। সূত্র জানায়, এবার সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হবে বলে ভোটের সময় সকাল ও বিকেলে ৩০ মিনিট করে মোট ১ ঘণ্টা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আজকের কমিশন সভায় নেওয়া হতে পারে। ভোট গ্রহণের সময় না বাড়লে বুথ ও গোপন কক্ষের সংখ্যা বাড়াতে পারে কমিশন।

ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, তফসিল ঘোষণার আগে কমিশনকে মনোনয়নপত্র ছাপানো, মনোনয়নপত্র পূরণের নির্দেশিকা, আসনভিত্তিক ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত রাখতে হবে। এর মধ্যে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। তবে সংশোধিত রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা এবং নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা আইন মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই-বাছাই হয়ে না আসায় মনোনয়নপত্র ছাপাতে পারেনি কমিশন। এ কারণে নির্বাচনী ম্যানুয়েলও ছাপানো যায়নি। ইসি কর্মকর্তারা আশা করছেন, দু-এক দিনের মধ্যে এসব হাতে পাবেন তাঁরা।

ইসি সূত্র বলছে, এবারও জেলা প্রশাসকেরাই (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পাচ্ছেন। তবে যেসব জেলায় সংসদীয় আসন বেশি, সেখানে একাধিক রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ইসির কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকেও রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়া হতে পারে। এ বিষয়েও আজকের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের সচেতন করতে ব্যানার ও লিফলেট ছাপাচ্ছে ইসি। প্রতি উপজেলায় ৫০ হাজার করে লিফলেট ও প্রতি ইউনিয়নে কয়েকটি ব্যানার দেওয়া হবে। সরকারি অফিস, মাঠপর্যায়ে সব নির্বাচন কমিশনের অফিস, জনবহুল এলাকায় এসব ব্যানার টাঙানো হবে। স্কুল-কলেজসহ জনবহুল এলাকায় লিফলেট বিলি করা হবে। লিফলেট ও ব্যানারে গণভোটের চারটি প্রশ্ন উল্লেখ থাকবে।

ইসি সূত্র জানায়, আজকের বৈঠকে তফসিল অর্থাৎ মনোনয়নপত্র জমা, বাছাই, রিটার্নিং কর্মকর্তার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল, আপিল নিষ্পত্তি, প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ, প্রচারের সময়, ভোট গ্রহণের দিন চূড়ান্ত করা হবে। এ ছাড়া নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তফসিলের আগে-পরের কার্যক্রম, মাঠপর্যায়ে যোগাযোগ, মতবিনিময়, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের আবেদন পদ্ধতি পর্যালোচনা, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, মক ভোট থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা এবং মাঠপর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সুপারিশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কের পর সেই চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ

খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যেতে পারেন বুধবার

তুমি কে? নিজেকে কী ভাব—পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ ইমরান-সমর্থকদের কড়া প্রতিক্রিয়া

চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত, তেজস্ক্রিয় বিকিরণের বিষয়ে জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

মৃত নবজাতক নিয়ে থানায় হাজির মা-বাবা, হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত