Ajker Patrika

সড়ক পরিবহন আইন

লাইসেন্স ছাড়াই ৩৫ হাজার মোটরযান মেরামত কারখানা

  • মেরামত কারখানাকে লাইসেন্সের আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু বিআরটিএর।
  • লাইসেন্স বা নবায়ন ফি ১০ হাজার টাকা। লাইসেন্স নিতে আগ্রহ নেই মালিকদের।
  • লাইসেন্স ছাড়া কারখানা চালালে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা জরিমানা।
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা 
আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৫, ০২: ১২
লাইসেন্স ছাড়াই ৩৫ হাজার মোটরযান মেরামত কারখানা

সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী মোটরযান মেরামত কারখানা (ওয়ার্কশপ) চালাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) লাইসেন্স থাকতে হবে। কিন্তু সারা দেশে ৩৫ হাজারের মতো এমন কারখানা চলছে ওই লাইসেন্স ছাড়াই। আইন অনুযায়ী অবৈধ এসব সারাইখানাকে বিআরটিএ লাইসেন্সের আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে সারাইখানার মালিকেরা লাইসেন্স নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর বিধিমালা প্রকাশ করা হয় ২০২২ সালে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিআরটিএ কোনো মোটরযান মেরামত কারখানাকে লাইসেন্সের আওতায় আনতে পারেনি। বিআরটিএ সূত্র বলেছে, কারখানার মালিকেরা লাইসেন্সের জন্য কোনো আবেদন করেননি।

বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরাও চাইছি, মোটরযান মেরামত কারখানাগুলো একটি নিয়মের মধ্যে আসুক। কারণ, সঠিক মেরামতের ওপর নির্ভর করে গাড়ির মান। ত্রুটিযুক্ত গাড়ি চলাচল করলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে।

এরই মধ্যে বিআরটিএর বিভিন্ন বিভাগীয় অফিসকে মেরামত কারখানাগুলো নিবন্ধনের আওতায় আনতে বলা হয়েছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় আটটি বিভাগীয় অফিস সারা দেশে অনুমোদিত এবং অনুমোদনবিহীন মোটরযান মেরামত কারখানার তালিকা তৈরির কাজ করছে। তবে কোনো বিভাগই এখনো চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করতে পারেনি। ফলে সারা দেশে মেরামত কারখানার সরকারি হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি।

তবে মোটরযান মেরামত কারখানার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির তথ্য বলছে, সারা দেশে কমবেশি ৩৫ হাজার অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ আছে।

বিআরটিএর ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিআরটিএর সার্কেল অফিসের মাধ্যমে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। কারখানার মালিকদের লাইসেন্সের আবেদন করার জন্য অবহিত করা হচ্ছে। লাইসেন্স দিতে কমিটি করা হয়েছে। কারখানার মালিকেরা আবেদন করলে, বিধি অনুযায়ী শর্ত পূরণ সাপেক্ষে লাইসেন্স দেওয়া হবে।’

সূত্র জানায়, বিআরটিএ মোটরযান মেরামত কারখানার লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ শুরু করলে তা বন্ধ করতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে একটি চিঠি দেওয়া হয়। এই প্রতিবেদকের হাতে আসা চিঠিতে বলা হয়েছে, বিআরটিএ যে আইন করেছে, তাতে দেশের ছোট, বড়, মাঝারি ওয়ার্কশপগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। চিঠিতে আইনের ছয়টি বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা একটি বড় স্টেকহোল্ডার হলেও এই আইন করার সময় কোথাও ডাকা হয়নি। বিআরটিএ ছবি তুলে গাড়ির ফিটনেস দেয়; লোকবল, যন্ত্রপাতি নেই। তারা আমাদের লাইসেন্স দেবে কীভাবে? এই আইনের কিছু বিষয় সহনীয় ও সহজ করতে বিআরটিএকে জানিয়েছি। আমাদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে বললেও বিআরটিএ এখনো আমাদের সঙ্গে বসেনি।’

যেখানে-সেখানে কারখানা

বাস বা ট্রাকের বডি তৈরির কারখানাগুলো গড়ে উঠেছে আমিনবাজার, মিরপুর বেড়িবাঁধ, তেজগাঁও এবং সায়েদাবাদ এলাকায়। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের মোটরযান মেরামত কারখানা রাজধানীসহ সারা দেশে যেখানে-সেখানে গড়ে উঠেছে। ফুটপাতেও জায়গা দখল করে কারখানা গড়ে উঠেছে। এগুলোর কোনো লাইসেন্স নেই। অনেকের ট্রেড লাইসেন্সও নেই। এসব স্থানে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ট্রাক, গাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন মেরামত করা হচ্ছে। তবে যথাযথ মেরামত হচ্ছে কি না এবং মেরামত শেষে চলাচলের জন্য নিরাপদ কি না, তা নিশ্চিত করা হয় না।

বাসের বডি তৈরির একটি কারখানার মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাসমালিকদের চাহিদা অনুযায়ী তাঁরা বাস বানিয়ে দেন। যেমন বানিয়ে দেন, বিআরটিএ ফিটনেস দিয়ে দেয়। কারখানা নিবন্ধনের আগে বিআরটিএকে ঠিক হতে হবে। তারা যেকোনো গাড়ির ফিটনেস দিয়ে দিলে মেরামত কারখানাকে নিয়ন্ত্রণ করে লাভ নেই।

মেরামত কারখানার লাইসেন্সের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর। কারখানা নিবন্ধন বা নবায়ন করতে লাগবে ১০ হাজার টাকা। লাইসেন্স ছাড়া কারখানা চালালে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং তাৎক্ষণিকভাবে কারখানা সিলগালা করে দেওয়া যাবে।

পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেরামত কারখানাগুলোকে একটি নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। এটি দীর্ঘদিন ধরে বিআরটিএ করেনি। আর চাইলেই রাতারাতি করে ফেলাও সম্ভব নয়। বিআরটিএ আগে বিজ্ঞানভিত্তিক এবং টেকনিক্যালি দক্ষ হোক, সারা বছর কাজ করুক। তাহলেই গাড়ির মেরামতজনিত কাজও সুন্দর হবে।

কীভাবে দেওয়া হবে লাইসেন্স

যেখানে যানবাহনের ইঞ্জিন, মোটর, যন্ত্রাংশ মেরামত এবং যানবাহনের বডি প্রস্তুত করা হয়, আইনে সেগুলো মোটরযান মেরামত কারখানা। মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার (অটোরিকশা-মোটরক্যাব রিকশা-অটোটেম্পো), হালকা, মধ্যম ও ভারী মোটরযান, বিশেষ ধরনের এবং প্রতিবন্ধীবান্ধব মোটরযান কারখানার লাইসেন্স দিতে পারবে বিআরটিএ।

মোটরযান মেরামত কারখানা স্থাপন এবং পরিচালনার জন্য লাইসেন্স নিতে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। সেটি যাচাই-বাছাই করে পাঁচ সদস্যের নির্বাচনী কমিটি লাইসেন্স দিতে সুপারিশ করবে। এরপর বিআরটিএ লাইসেন্স দেবে। নির্বাচনী কমিটির সভাপতি থাকবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং)। সুপারিশ করার আগে কমিটিকে মেরামতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের অটোমোবাইলের ওপর কারিগরি জ্ঞান, কারখানায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম, কারখানায় পাঁচটি মোটরযান রাখার জায়গা, প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সার্টিফিকেট ও হালনাগাদ আয়কর পরিশোধের সনদ এবং আর্থিক স্বচ্ছতার সনদ আছে কি না—এগুলো দেখতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

‘ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন’

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

শহীদ জিয়ার কবরের পূর্ব পাশে খোঁড়া হচ্ছে নতুন কবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার শোক বইয়ে স্বাক্ষর করতে মানুষের ঢল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ১৩
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

‘ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন’

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

শহীদ জিয়ার কবরের পূর্ব পাশে খোঁড়া হচ্ছে নতুন কবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়াকে চিরবিদায় জানাতে আসবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৫
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।

সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

‘ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন’

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

শহীদ জিয়ার কবরের পূর্ব পাশে খোঁড়া হচ্ছে নতুন কবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫০
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

‘ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন’

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

শহীদ জিয়ার কবরের পূর্ব পাশে খোঁড়া হচ্ছে নতুন কবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।

এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

‘ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন’

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

শহীদ জিয়ার কবরের পূর্ব পাশে খোঁড়া হচ্ছে নতুন কবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত