উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

নির্বাচনের দায়িত্বে অবহেলার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জেল-জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, দায়িত্বে অবহেলাকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করলে তাদের বিরুদ্ধেও শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং অর্থ-সংক্রান্ত কতিপয় আইন (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ এবং নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচন কর্মকর্তার সংজ্ঞা পরিবর্তন করে কারা কারা এ দায়িত্বে থাকবেন, তা স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান আইন অনুযায়ী, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা নির্বাচন-সংক্রান্ত বিষয়ে কমিশন বা ক্ষেত্রমতো রিটার্নিং কর্মকর্তার কোনো আদেশ বা নির্দেশ পালন না করলে বা অস্বীকৃতি জানালে বা নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো আইনের বিধান ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করলে বা এর অধীন কোনো অপরাধ করলে তিনি অসদাচরণ করেছেন বলে গণ্য হবে। এ জন্য কমিশন, কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কমিশনের সম্মতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা চাকরিবিধি অনুযায়ী দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিতে পারবেন।
বর্তমান আইনে বলা আছে, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা অসদাচরণ করলে তাঁর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসর, পদাবনতি, পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি অনধিক দুই বছরের জন্য স্থগিত করতে পারবেন।
নির্বাচনী দায়িত্বে পালনে অসদাচরণের জন্য কোনো নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশন, কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কমিশনের সম্মতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা বা কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তাব পাঠাবেন। এ প্রস্তাব পাওয়ার এক মাসের মধ্যে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। এই আদেশ পালন বা কার্যকর না করলে সংশ্লিষ্টদের সর্বনিম্ন ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর জেল, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এত দিন এই অপরাধের জন্য ৬ মাস কারাদণ্ড, ২ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হতো।
আইনে নতুন ধারা যুক্ত করে বলা হয়েছে, কমিশনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ব্যক্তিগত নথি, চাকরি বই এবং বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে লিপিবদ্ধ ও ডসিআরে অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং এ বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। সরকার ও কমিশনের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো মতভেদ দেখা দিলে কমিশনের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিতে হবে। কমিশনের কাছে যদি প্রতীয়মান হয়, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তব্যে অবহেলা করেছেন, তাহলে ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কমিশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
এত দিন কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা দায়িত্ব গ্রহণে বা পালনে অপারগতা বা অস্বীকৃতি জানালে ১ বছর কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দেওয়া হতো। আইন সংশোধন করে এই অপরাধের জন্য ১ বছর কারাদণ্ডের সঙ্গে অর্থদণ্ড বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে, চাইলে উভয় দণ্ডও দেওয়া যাবে।
গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় যাঁরা অবহেলা করবেন তাঁদের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করা হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের কাজকে গতিশীল করা এবং তাদেরকে আরও শক্তিশালী করা। নির্বাচনকালে যাঁরা দায়িত্ব পালন করেন তাঁদেরকে জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসা এবং শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আগে শাস্তির বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না।
ইসির অধীনেই থাকছে এনআইডি
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এত দিন জাতীয় নির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রস্তুত করত। আইন সংশোধন করে তাদের ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার প্রস্তুত ও সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান আইনে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন করা রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ও সংরক্ষণকরণের দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের। এ দায়িত্বের সঙ্গে তাদের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের রেজিস্টার সংরক্ষণ, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং সংলাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ভোট গ্রহণের রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ম্যাজিস্ট্রেট, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং অফিসারদের জন্য প্যানেল তৈরি এবং নিয়োগ করাদের তালিকা সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়াও হয়েছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশন সার্ভিস নামে একটি সার্ভিস থাকবে। এই সার্ভিস প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান আইনের ৩(৪) ধারা বহাল থাকবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইনের ৩(৪) ধারায় বলা আছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিযুক্ত একজন সচিব এবং অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত হবে।
এনবিআর-সংক্রান্ত আইনের সংশোধনীর বিষয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্স-সংক্রান্ত বিষয়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেজারি বন্ডের ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।
সংস্কার নিয়ে আলোচনা
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চলমান সংস্কার পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ১২১টি সংস্কার নিয়ে প্রথম ধাপে কাজ শুরু হয়েছিল। বৈঠকে জানানো হয়েছে, ৭৭টি অতিগুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মধ্যে ২৪টি ইতিমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে, আর আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে ১৪টি, বাকিগুলো বাস্তবায়নের পথে।
সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বাইরে যে বিষয়গুলো তাঁরা সংস্কার করেছেন বা বাস্তবায়ন করেছেন, তার একটি তালিকা তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে। সংস্কার কমিশন যেসব সংস্কারের সুপারিশ দিয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি সংস্কার প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে হয়েছে। একটা বুকলেট করে সংস্কার তুলে ধরা হবে।
‘বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে’
বাসস জানায়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীন তাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিতে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে, যা উভয় দেশ ও বিশ্বের জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে গত বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এক ভিডিও বার্তায় এই মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জনগণের সেবার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে অর্জিত উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এর অনুপ্রেরণা ও অবদানের প্রশংসা করেন। চীনকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য দেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, প্রধান রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতা, বিদেশি কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, চীনা সম্প্রদায়ের সদস্য, শিক্ষাবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং থিংক ট্যাংক বিশেষজ্ঞসহ ৬০০ জনের বেশি অতিথি।

নির্বাচনের দায়িত্বে অবহেলার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জেল-জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, দায়িত্বে অবহেলাকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করলে তাদের বিরুদ্ধেও শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং অর্থ-সংক্রান্ত কতিপয় আইন (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ এবং নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচন কর্মকর্তার সংজ্ঞা পরিবর্তন করে কারা কারা এ দায়িত্বে থাকবেন, তা স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান আইন অনুযায়ী, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা নির্বাচন-সংক্রান্ত বিষয়ে কমিশন বা ক্ষেত্রমতো রিটার্নিং কর্মকর্তার কোনো আদেশ বা নির্দেশ পালন না করলে বা অস্বীকৃতি জানালে বা নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো আইনের বিধান ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করলে বা এর অধীন কোনো অপরাধ করলে তিনি অসদাচরণ করেছেন বলে গণ্য হবে। এ জন্য কমিশন, কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কমিশনের সম্মতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা চাকরিবিধি অনুযায়ী দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিতে পারবেন।
বর্তমান আইনে বলা আছে, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা অসদাচরণ করলে তাঁর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসর, পদাবনতি, পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি অনধিক দুই বছরের জন্য স্থগিত করতে পারবেন।
নির্বাচনী দায়িত্বে পালনে অসদাচরণের জন্য কোনো নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশন, কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কমিশনের সম্মতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা বা কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তাব পাঠাবেন। এ প্রস্তাব পাওয়ার এক মাসের মধ্যে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। এই আদেশ পালন বা কার্যকর না করলে সংশ্লিষ্টদের সর্বনিম্ন ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর জেল, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এত দিন এই অপরাধের জন্য ৬ মাস কারাদণ্ড, ২ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হতো।
আইনে নতুন ধারা যুক্ত করে বলা হয়েছে, কমিশনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ব্যক্তিগত নথি, চাকরি বই এবং বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে লিপিবদ্ধ ও ডসিআরে অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং এ বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। সরকার ও কমিশনের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো মতভেদ দেখা দিলে কমিশনের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিতে হবে। কমিশনের কাছে যদি প্রতীয়মান হয়, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তব্যে অবহেলা করেছেন, তাহলে ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কমিশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
এত দিন কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা দায়িত্ব গ্রহণে বা পালনে অপারগতা বা অস্বীকৃতি জানালে ১ বছর কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দেওয়া হতো। আইন সংশোধন করে এই অপরাধের জন্য ১ বছর কারাদণ্ডের সঙ্গে অর্থদণ্ড বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে, চাইলে উভয় দণ্ডও দেওয়া যাবে।
গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় যাঁরা অবহেলা করবেন তাঁদের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করা হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের কাজকে গতিশীল করা এবং তাদেরকে আরও শক্তিশালী করা। নির্বাচনকালে যাঁরা দায়িত্ব পালন করেন তাঁদেরকে জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসা এবং শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আগে শাস্তির বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না।
ইসির অধীনেই থাকছে এনআইডি
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এত দিন জাতীয় নির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রস্তুত করত। আইন সংশোধন করে তাদের ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার প্রস্তুত ও সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান আইনে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন করা রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ও সংরক্ষণকরণের দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের। এ দায়িত্বের সঙ্গে তাদের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের রেজিস্টার সংরক্ষণ, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং সংলাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ভোট গ্রহণের রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ম্যাজিস্ট্রেট, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং অফিসারদের জন্য প্যানেল তৈরি এবং নিয়োগ করাদের তালিকা সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়াও হয়েছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশন সার্ভিস নামে একটি সার্ভিস থাকবে। এই সার্ভিস প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান আইনের ৩(৪) ধারা বহাল থাকবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইনের ৩(৪) ধারায় বলা আছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিযুক্ত একজন সচিব এবং অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত হবে।
এনবিআর-সংক্রান্ত আইনের সংশোধনীর বিষয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্স-সংক্রান্ত বিষয়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেজারি বন্ডের ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।
সংস্কার নিয়ে আলোচনা
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চলমান সংস্কার পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ১২১টি সংস্কার নিয়ে প্রথম ধাপে কাজ শুরু হয়েছিল। বৈঠকে জানানো হয়েছে, ৭৭টি অতিগুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মধ্যে ২৪টি ইতিমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে, আর আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে ১৪টি, বাকিগুলো বাস্তবায়নের পথে।
সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বাইরে যে বিষয়গুলো তাঁরা সংস্কার করেছেন বা বাস্তবায়ন করেছেন, তার একটি তালিকা তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে। সংস্কার কমিশন যেসব সংস্কারের সুপারিশ দিয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি সংস্কার প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে হয়েছে। একটা বুকলেট করে সংস্কার তুলে ধরা হবে।
‘বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে’
বাসস জানায়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীন তাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিতে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে, যা উভয় দেশ ও বিশ্বের জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে গত বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এক ভিডিও বার্তায় এই মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জনগণের সেবার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে অর্জিত উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এর অনুপ্রেরণা ও অবদানের প্রশংসা করেন। চীনকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য দেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, প্রধান রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতা, বিদেশি কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, চীনা সম্প্রদায়ের সদস্য, শিক্ষাবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং থিংক ট্যাংক বিশেষজ্ঞসহ ৬০০ জনের বেশি অতিথি।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

নির্বাচনের দায়িত্বে অবহেলার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জেল-জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, দায়িত্বে অবহেলাকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করলে তাদের বিরুদ্ধেও শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং অর্থ-সংক্রান্ত কতিপয় আইন (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ এবং নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচন কর্মকর্তার সংজ্ঞা পরিবর্তন করে কারা কারা এ দায়িত্বে থাকবেন, তা স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান আইন অনুযায়ী, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা নির্বাচন-সংক্রান্ত বিষয়ে কমিশন বা ক্ষেত্রমতো রিটার্নিং কর্মকর্তার কোনো আদেশ বা নির্দেশ পালন না করলে বা অস্বীকৃতি জানালে বা নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো আইনের বিধান ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করলে বা এর অধীন কোনো অপরাধ করলে তিনি অসদাচরণ করেছেন বলে গণ্য হবে। এ জন্য কমিশন, কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কমিশনের সম্মতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা চাকরিবিধি অনুযায়ী দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিতে পারবেন।
বর্তমান আইনে বলা আছে, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা অসদাচরণ করলে তাঁর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসর, পদাবনতি, পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি অনধিক দুই বছরের জন্য স্থগিত করতে পারবেন।
নির্বাচনী দায়িত্বে পালনে অসদাচরণের জন্য কোনো নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশন, কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কমিশনের সম্মতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা বা কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তাব পাঠাবেন। এ প্রস্তাব পাওয়ার এক মাসের মধ্যে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। এই আদেশ পালন বা কার্যকর না করলে সংশ্লিষ্টদের সর্বনিম্ন ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর জেল, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এত দিন এই অপরাধের জন্য ৬ মাস কারাদণ্ড, ২ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হতো।
আইনে নতুন ধারা যুক্ত করে বলা হয়েছে, কমিশনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ব্যক্তিগত নথি, চাকরি বই এবং বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে লিপিবদ্ধ ও ডসিআরে অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং এ বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। সরকার ও কমিশনের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো মতভেদ দেখা দিলে কমিশনের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিতে হবে। কমিশনের কাছে যদি প্রতীয়মান হয়, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তব্যে অবহেলা করেছেন, তাহলে ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কমিশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
এত দিন কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা দায়িত্ব গ্রহণে বা পালনে অপারগতা বা অস্বীকৃতি জানালে ১ বছর কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দেওয়া হতো। আইন সংশোধন করে এই অপরাধের জন্য ১ বছর কারাদণ্ডের সঙ্গে অর্থদণ্ড বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে, চাইলে উভয় দণ্ডও দেওয়া যাবে।
গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় যাঁরা অবহেলা করবেন তাঁদের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করা হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের কাজকে গতিশীল করা এবং তাদেরকে আরও শক্তিশালী করা। নির্বাচনকালে যাঁরা দায়িত্ব পালন করেন তাঁদেরকে জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসা এবং শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আগে শাস্তির বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না।
ইসির অধীনেই থাকছে এনআইডি
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এত দিন জাতীয় নির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রস্তুত করত। আইন সংশোধন করে তাদের ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার প্রস্তুত ও সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান আইনে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন করা রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ও সংরক্ষণকরণের দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের। এ দায়িত্বের সঙ্গে তাদের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের রেজিস্টার সংরক্ষণ, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং সংলাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ভোট গ্রহণের রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ম্যাজিস্ট্রেট, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং অফিসারদের জন্য প্যানেল তৈরি এবং নিয়োগ করাদের তালিকা সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়াও হয়েছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশন সার্ভিস নামে একটি সার্ভিস থাকবে। এই সার্ভিস প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান আইনের ৩(৪) ধারা বহাল থাকবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইনের ৩(৪) ধারায় বলা আছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিযুক্ত একজন সচিব এবং অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত হবে।
এনবিআর-সংক্রান্ত আইনের সংশোধনীর বিষয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্স-সংক্রান্ত বিষয়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেজারি বন্ডের ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।
সংস্কার নিয়ে আলোচনা
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চলমান সংস্কার পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ১২১টি সংস্কার নিয়ে প্রথম ধাপে কাজ শুরু হয়েছিল। বৈঠকে জানানো হয়েছে, ৭৭টি অতিগুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মধ্যে ২৪টি ইতিমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে, আর আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে ১৪টি, বাকিগুলো বাস্তবায়নের পথে।
সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বাইরে যে বিষয়গুলো তাঁরা সংস্কার করেছেন বা বাস্তবায়ন করেছেন, তার একটি তালিকা তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে। সংস্কার কমিশন যেসব সংস্কারের সুপারিশ দিয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি সংস্কার প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে হয়েছে। একটা বুকলেট করে সংস্কার তুলে ধরা হবে।
‘বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে’
বাসস জানায়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীন তাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিতে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে, যা উভয় দেশ ও বিশ্বের জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে গত বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এক ভিডিও বার্তায় এই মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জনগণের সেবার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে অর্জিত উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এর অনুপ্রেরণা ও অবদানের প্রশংসা করেন। চীনকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য দেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, প্রধান রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতা, বিদেশি কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, চীনা সম্প্রদায়ের সদস্য, শিক্ষাবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং থিংক ট্যাংক বিশেষজ্ঞসহ ৬০০ জনের বেশি অতিথি।

নির্বাচনের দায়িত্বে অবহেলার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জেল-জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, দায়িত্বে অবহেলাকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করলে তাদের বিরুদ্ধেও শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁর কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং অর্থ-সংক্রান্ত কতিপয় আইন (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ এবং নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচন কর্মকর্তার সংজ্ঞা পরিবর্তন করে কারা কারা এ দায়িত্বে থাকবেন, তা স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান আইন অনুযায়ী, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা নির্বাচন-সংক্রান্ত বিষয়ে কমিশন বা ক্ষেত্রমতো রিটার্নিং কর্মকর্তার কোনো আদেশ বা নির্দেশ পালন না করলে বা অস্বীকৃতি জানালে বা নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো আইনের বিধান ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন করলে বা এর অধীন কোনো অপরাধ করলে তিনি অসদাচরণ করেছেন বলে গণ্য হবে। এ জন্য কমিশন, কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কমিশনের সম্মতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা চাকরিবিধি অনুযায়ী দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিতে পারবেন।
বর্তমান আইনে বলা আছে, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা অসদাচরণ করলে তাঁর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসর, পদাবনতি, পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি অনধিক দুই বছরের জন্য স্থগিত করতে পারবেন।
নির্বাচনী দায়িত্বে পালনে অসদাচরণের জন্য কোনো নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশন, কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কমিশনের সম্মতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ, মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা বা কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তাব পাঠাবেন। এ প্রস্তাব পাওয়ার এক মাসের মধ্যে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। এই আদেশ পালন বা কার্যকর না করলে সংশ্লিষ্টদের সর্বনিম্ন ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর জেল, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এত দিন এই অপরাধের জন্য ৬ মাস কারাদণ্ড, ২ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হতো।
আইনে নতুন ধারা যুক্ত করে বলা হয়েছে, কমিশনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ব্যক্তিগত নথি, চাকরি বই এবং বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে লিপিবদ্ধ ও ডসিআরে অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং এ বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। সরকার ও কমিশনের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো মতভেদ দেখা দিলে কমিশনের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিতে হবে। কমিশনের কাছে যদি প্রতীয়মান হয়, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তব্যে অবহেলা করেছেন, তাহলে ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কমিশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
এত দিন কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা দায়িত্ব গ্রহণে বা পালনে অপারগতা বা অস্বীকৃতি জানালে ১ বছর কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দেওয়া হতো। আইন সংশোধন করে এই অপরাধের জন্য ১ বছর কারাদণ্ডের সঙ্গে অর্থদণ্ড বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে, চাইলে উভয় দণ্ডও দেওয়া যাবে।
গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় যাঁরা অবহেলা করবেন তাঁদের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করা হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের কাজকে গতিশীল করা এবং তাদেরকে আরও শক্তিশালী করা। নির্বাচনকালে যাঁরা দায়িত্ব পালন করেন তাঁদেরকে জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসা এবং শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আগে শাস্তির বিষয়টি স্পষ্ট ছিল না।
ইসির অধীনেই থাকছে এনআইডি
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এত দিন জাতীয় নির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রস্তুত করত। আইন সংশোধন করে তাদের ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডার প্রস্তুত ও সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান আইনে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন করা রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ও সংরক্ষণকরণের দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের। এ দায়িত্বের সঙ্গে তাদের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের রেজিস্টার সংরক্ষণ, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং সংলাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ভোট গ্রহণের রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ম্যাজিস্ট্রেট, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং অফিসারদের জন্য প্যানেল তৈরি এবং নিয়োগ করাদের তালিকা সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়াও হয়েছে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশন সার্ভিস নামে একটি সার্ভিস থাকবে। এই সার্ভিস প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান আইনের ৩(৪) ধারা বহাল থাকবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইনের ৩(৪) ধারায় বলা আছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিযুক্ত একজন সচিব এবং অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত হবে।
এনবিআর-সংক্রান্ত আইনের সংশোধনীর বিষয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্স-সংক্রান্ত বিষয়ে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেজারি বন্ডের ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।
সংস্কার নিয়ে আলোচনা
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চলমান সংস্কার পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ১২১টি সংস্কার নিয়ে প্রথম ধাপে কাজ শুরু হয়েছিল। বৈঠকে জানানো হয়েছে, ৭৭টি অতিগুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মধ্যে ২৪টি ইতিমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে, আর আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে ১৪টি, বাকিগুলো বাস্তবায়নের পথে।
সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বাইরে যে বিষয়গুলো তাঁরা সংস্কার করেছেন বা বাস্তবায়ন করেছেন, তার একটি তালিকা তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে। সংস্কার কমিশন যেসব সংস্কারের সুপারিশ দিয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি সংস্কার প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে হয়েছে। একটা বুকলেট করে সংস্কার তুলে ধরা হবে।
‘বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে’
বাসস জানায়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীন তাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিতে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে, যা উভয় দেশ ও বিশ্বের জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে গত বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এক ভিডিও বার্তায় এই মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জনগণের সেবার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে অর্জিত উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এর অনুপ্রেরণা ও অবদানের প্রশংসা করেন। চীনকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য দেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, প্রধান রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতা, বিদেশি কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, চীনা সম্প্রদায়ের সদস্য, শিক্ষাবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং থিংক ট্যাংক বিশেষজ্ঞসহ ৬০০ জনের বেশি অতিথি।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
৯ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

নির্বাচনের দায়িত্বে অবহেলার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জেল-জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, দায়িত্বে অবহেলাকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করলে তাদের বিরুদ্ধেও শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

নির্বাচনের দায়িত্বে অবহেলার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জেল-জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, দায়িত্বে অবহেলাকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করলে তাদের বিরুদ্ধেও শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
৯ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

নির্বাচনের দায়িত্বে অবহেলার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জেল-জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, দায়িত্বে অবহেলাকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করলে তাদের বিরুদ্ধেও শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
৯ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১২ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

নির্বাচনের দায়িত্বে অবহেলার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জেল-জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, দায়িত্বে অবহেলাকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করলে তাদের বিরুদ্ধেও শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
৯ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৩ ঘণ্টা আগে