Ajker Patrika

সাবেক ১৩ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

সৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকা 
আপডেট : ২০ মে ২০২৫, ১৪: ০৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সামরিক বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় সাবেক ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত ও অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ জন্য ১১টি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে সর্বনিম্ন দুজন থেকে চারজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

এই ১৩ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মামলা হয়েছে, পাঁচজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং চারজনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এসব কর্মকর্তা বিগত সরকারের আমলে সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান সম্পর্কে জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিরোধ সেলের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘অনুসন্ধান সম্পন্ন হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সে বিষয়ে কমিশনে সুপারিশ করবেন। এরপর কমিশন সেই সুপারিশের আলোকে ব্যবস্থা নেবে।’

১৩ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান। তাঁর ও তাঁর স্ত্রী গাজী রেবেকা রওশনের বিও হিসাব, শেয়ার, ব্যাংক হিসাব ও সঞ্চয়পত্র ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন। এর আগে, গত ১৭ এপ্রিল এই দম্পতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ছিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

একই আদালত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী সোমা ইসলামের সাতটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। সাফিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এর আগে, গত ১৩ মার্চ তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

দুদকের সূত্র জানায়, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন এবং মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচার করে ব্যবসা পরিচালনা ও বাড়ি কিনেছেন।

এ ছাড়া ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, তাঁর মেয়ে তাসনিয়া মাসুদসহ চারজনের বিরুদ্ধে গত ১১ মার্চ মামলা করে দুদক। তাঁদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়াগামী প্রবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা অতিরিক্ত আদায় করার অভিযোগ রয়েছে।

শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক সামরিক সচিব ও ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সালাউদ্দিন মিয়াজীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান করছে দুদক। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ভূমিহীনদের জমি দখল করে ৪০০ বিঘা জমিতে পার্ক নির্মাণ করেছেন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে তাঁর রিসোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিনে তাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। গত ৩০ এপ্রিল তিনি জামিনে মুক্তি পান।

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) টি এম জোবায়েরের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি লন্ডনে ২৯ লাখ ৪৫ হাজার পাউন্ডে বাড়ি কেনা, বিদেশে অর্থ পাচার, মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহণ এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর ও তাঁর স্ত্রী ফাহমিনা মাসুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আদালতের আদেশে গত ২১ এপ্রিল ট্রাস্ট ব্যাংকে থাকা জোবায়েরের পাঁচটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়।

শেখ হাসিনার সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তিনটি বিমানবন্দরের চারটি প্রকল্পে ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক গত ২৭ জানুয়ারি চারটি মামলা করেছে। মামলাগুলোতে মোট ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও তাঁর পরিবারের ১৩টি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মুজিবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রীর নামে একাধিক ফ্ল্যাট ও প্লট রয়েছে—এমন অভিযোগের তদন্ত করছে দুদক।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ মে এয়ার মার্শাল শেখ আবদুল হান্নানের কয়েকটি ফ্ল্যাট ও জমি ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়, ঘুষ গ্রহণ, নিয়োগ-বাণিজ্য এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক বরখাস্ত করা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের একটি বাগানবাড়ি, চারটি বাড়ি, তিনটি ফ্ল্যাট ও বিভিন্ন কৃষিজমি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁর নামে থাকা নয়টি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে প্রায় ৪০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২৩ জানুয়ারি জিয়াউল আহসান ও তাঁর স্ত্রী নুসরাত জাহানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাদাত হোসেন এবং উপপ্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চাঁদাবাজির মামলায় আত্মসমর্পণের পর কারাগারে নওরোজ সম্পাদক দুররানী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নওরোজ পত্রিকার সম্পাদক শামসুল হক দুররানী। ছবি: সংগৃহীত
নওরোজ পত্রিকার সম্পাদক শামসুল হক দুররানী। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদাবাজির মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে নওরোজ পত্রিকার সম্পাদক শামসুল হক দুররানীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আদালতে আজ আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন শামসুল হক দুররানী। তাঁর পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম।

খোরশেদ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, আদালত জামিন না দিয়ে শামসুল হক দুররানীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ১২ নভেম্বর রাজিবুল ইসলাম নামের এক ঠিকাদার শামসুল হক দুররানীকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, জামালপুরের মেলান্দহ থানার উপজেলা বীজ অফিসে রাজিবুল ইসলামের ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭৩২ টাকার একটি কাজ চলমান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ কাজের সাইটে অজ্ঞাতনামা কিছু ব্যক্তি কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। গত ৭ নভেম্বর রাজিবুল ইসলামকে এক ব্যক্তি ফোন করে সাভার বাসস্ট্যান্ডে দেখা করতে বলেন। জামালপুরে সাইটের কাজে যে ঝামেলা চলছে, তা সমাধান করে দেবেন বলে জানান তিনি। রাজিবুল ইসলাম সেখানে গেলে ওই ব্যক্তি তাঁকে বলেন, জামালপুরের সাইটের কাজ ঠিকঠাকভাবে করতে হলে শামসুল হক দুররানীকে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে এবার ১ কোটি টাকা প্রতারণার মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সালমান এফ রহমান। ফাইল ছবি
সালমান এফ রহমান। ফাইল ছবি

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তাঁর ভাই এ এস এফ রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এবার ১ কোটি ২০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা প্রতারণার মামলা করা হয়েছে।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে আজ রোববার মামলাটি করেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন মো. মাহবুব আলম।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো অ্যাভিয়েশনের কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ খান মজলিশ, তাঁর ভাই ইমরান খান মজলিশ, গুলজার হোসাইন ও সৈয়দ সামিউল ওয়াদুদ ওরফে সামি ওয়াদুদ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সালমান এফ রহমানের কোম্পানি অ্যাভিয়েশন লিমিটেডে বাদী ও বিমানবাহিনীর সাবেক দুই ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ রাশেদুল আমীন ও জাহিদুর রহমান চাকরি নিয়েছিলেন পাইলট হিসেবে। শেখ হাসিনার উপদেষ্টা দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া-আসা করতেন হেলিকপ্টারে করে। কোম্পানিতে থাকাকালে পাইলট তিনজন বেতন-ভাতা পেয়েছিলেন ঠিকই। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে বেতন-ভাতা বকেয়া রেখে কোম্পানি থেকে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। তিনজনের ১ কোটি ২০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আসামিরা পরিশোধ না করায় প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়।

ভুয়া কোম্পানি দেখিয়ে নিয়োগের মাধ্যমে ওই তিন পাইলটের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলেও অভিযোগে বলা হয়।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১৩ আগস্ট সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৬
আবদুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত
আবদুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রের ২৪ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

দুদকের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ব্যক্তিগত সুখ-সুবিধা ভোগের উদ্দেশ্যে নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকায় সাজসজ্জা ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের নামে রাষ্ট্রের প্রায় ২৪ কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও উত্থাপন করা হয়েছে।

দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উল্লিখিত অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য কমিশন একটি সমন্বিত তদন্ত টিম গঠন করেছে। পাশাপাশি সংস্থাটির একজন পরিচালককে তদারক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুতর। কমিশন আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিরপেক্ষভাবে অনুসন্ধান পরিচালনা করবে। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হলে নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শুধু বিধিবিধান দিয়ে অবৈধ আয় বন্ধ হবে না: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ফাইল ছবি
শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ফাইল ছবি

রাজনৈতিক চাহিদা থাকলে এবং সদিচ্ছা না থাকলে কেবল বিধিবিধান দিয়ে অবৈধ আয় বা দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি মনে করেন, অবৈধ আয় কমাতে হলে দিনের শেষে তা রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপরই নির্ভর করে। তা না হলে দুর্নীতির একটি উৎস বন্ধ করলে দ্রুতই আরেকটি উৎস চালু হয়ে যায়।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে সরকারি গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এই মন্তব্য করেন।

এ বছরের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়ন’। উদ্বোধনী অধিবেশনে গণতন্ত্র ও উন্নয়নবিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

তিনি তাঁর প্রবন্ধে বলেন, ‘দেশে যদি একটি অশুভ সংস্কৃতি গড়ে ওঠে, তাহলে শুধু প্রশাসনিক সংস্কার দিয়ে তার সমাধান হবে না।’ তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ‘ভারতে ঘুষ নেওয়া ও দেওয়া দুটোই অপরাধ হলেও আমাদের দেশে শুধু ঘুষ নেওয়াকে অপরাধ বলে মনে করা হয়, দেওয়াটাকে নয়।’

উন্নয়ন সম্পর্কে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন শুধু গণতান্ত্রিক দেশেই নয়, চীন–ভিয়েতনামের মতো দেশেও হয়েছে। কেননা, এসব দেশে জবাবদিহির একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘উদারনীতিকরণের সফলতা মূল্যবোধ ও আস্থার ওপর নির্ভর করে।’

জবাবদিহির সঙ্গে দায়িত্ববোধের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বর্তমান সময়ের একটি প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, ‘এখনকার প্রাথমিক শিক্ষকেরা ছাত্রদের পরীক্ষা বন্ধ করে ও তাদের জিম্মি করে আন্দোলন করছেন। অথচ আমাদের সময় শিক্ষকেরা বাসায় এসে খোঁজখবর নিতেন। এটাই হলো দায়িত্ববোধ।’

সামাজিক আচরণবিধি, মূল্যবোধ ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সামাজিক মূল্যবোধ তৈরি করা নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত।’

আলোচনা শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ দেশের প্রশাসনিক বাস্তবতার একটি চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আগের অনেক প্রকল্প পরিচালক চলে গেছেন; কারও বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাই নতুন প্রকল্প পরিচালক পাওয়া যাচ্ছে না।’

বর্তমান মেয়াদের আগেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সে সময় (আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার) কোনো কাজ করতে বললেই তা হয়ে যেত। সচিব ছিলেন আকবর আলি খান ও সা’দত হুসাইন। কিন্তু এখন বললেই কাজ হয় না; কোথায় সমস্যা আছে, তা নিজেকেই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে ও বুঝতে হয়।’

সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ কে এম এনামুল হক। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দুই দিনের গবেষণা সম্মেলনে প্রায় অর্ধশতাধিক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে যুব বেকারত্ব, দারিদ্র্য বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য খাতে নানা সংকটের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে আসবে।’

উদ্বোধনী অধিবেশনের পর পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আরও একটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে চারটি উপস্থাপনা তুলে ধরা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কৃষি অর্থনীতিবিদ এম এ সাত্তার মন্ডল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত