মাহ্ফুজুল ইসলাম, ঢাকা

১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬৩ লাখই বেকার। আর এই বেকারদের ৮৭ শতাংশই শিক্ষিত বেকার। আর ২১ শতাংশ বেকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েও কোনো কাজে যুক্ত নন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপ-২০২৩-এ এই তথ্য উঠে এসেছে। জরিপের তথ্য বলছে, ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণেরাই বেশি বেকার, যার সংখ্যা ৩৮ লাখ। তাঁরা কোনো কাজকর্ম না করেই বছরের পর বছর চাকরির পেছনে ছুটছেন।
এ বিষয়ে বিবিএসের উপপরিচালক আজিজা রহমান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘শ্রমশক্তি জরিপে এসডিজির সূচক, কর্মসংস্থান, বেকারত্ব ও শ্রমবাজার সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। জরিপে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বেকারত্ব কমেছে। তবে উচ্চ শিক্ষিত বেকার বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করি, সরকার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩ অনুসারে, দেশে বর্তমানে ৬২ লাখ ৫৭ হাজার মানুষ বেকার রয়েছে। এই বেকারকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগ হচ্ছে, কাজ করতে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন এবং সক্রিয়ভাবে কাজ খুঁজছেন। এ রকম মানুষের সংখ্যা ২৬ লাখ ২৫ হাজার, যা মোট বেকারের ৪১ দশমিক ৯৫ শতাংশ। দ্বিতীয় ক্যাটাগরি হলো, সব যোগ্যতা রয়েছে। তারপরও সপ্তাহে ৭ থেকে ৪০ ঘণ্টা কাজ করছেন। অর্থাৎ, যোগ্যতা ও চাহিদা অনুসারে কাজ করতে পারছেন না। এমন মানুষের সংখ্যা ২৪ লাখ ৬১ হাজার, যার মোট বেকারের ৩৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এই ক্যাটাগরির উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, একজন স্নাতক পাস শিক্ষার্থী টিউশনি করছেন। সপ্তাহে ৬ ঘণ্টা কাজ করছেন। কিন্তু, তাঁর যোগ্যতা রয়েছে ৪৮ কিংবা ৫৬ ঘণ্টা কাজ করার।
তৃতীয় ক্যাটাগরি হচ্ছে, শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে, কিন্তু চাকরি খুঁজছেন না। কিংবা চাকরি খুঁজছেন, কিন্তু চাকরির জন্য অতিরিক্ত যোগ্যতা প্রয়োজন, যা তাঁর নেই। এ রকম বেকারের সংখ্যা ১১ লাখ ৭১ হাজার, যা মোট বেকারের ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে কর্মসংস্থানহীন অর্থনীতির অগ্রগতি হয়েছে। এই সময়ে দেশের বিনিয়োগের পরিবর্তে টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এ কারণে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়েনি। এ কারণে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে।
বিবিএসের এই জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিত বেকারের হার সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেকার মাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থীরা। এরপরই রয়েছে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্নকারী এবং প্রাথমিকের গণ্ডি পেরোনো। বেকারত্বের হার সবচেয়ে কম অশিক্ষিতদের মধ্যে। অর্থাৎ, যাঁরা পড়াশোনা করেননি, তাঁদের মধ্যে বেকার মানুষ কম।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় রাজনীতি ঢুকেছে, ফলে দিন দিন শিক্ষার মান কমছে। পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের অভাব এবং কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষিত বেকার বাড়ছে।
গত ১৫ বছরে দেশে কর্মসংস্থানহীন অর্থনীতির অগ্রগতি হয়েছে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়েনি। এ কারণে বেকারত্ব বাড়ছে। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সিপিডির বিশেষ ফেলো
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. তৈয়বুর রহমান বলেন, দেশে সরকারি-বেসরকারি ১৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান আগের তুলনায় কমেছে। ফলে প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট তৈরি হচ্ছে, কিন্তু চাকরিযোগ্য করতে পারছে না। এ ছাড়া শিক্ষায় যেরকম জব ক্রিয়েট হওয়ার দরকার ছিল, সে অনুসারে সরকারি ও বেসরকারি খাতে জব নেই। এই কারণে শিক্ষিত বেকার বাড়ছে।
বিবিএসের জরিপের তথ্যমতে, ৬২ লাখ ৫৭ হাজার মানুষের মধ্যে শিক্ষিত বেকার ৫৪ লাখ ১৭ হাজার। আর অশিক্ষিত বেকার ৮ লাখ ৪০ হাজার।
শিক্ষিত বেকারের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় পাস করে বেকার হয়েছেন ১৩ লাখ ২৮ হাজার, মাধ্যমিক বিদ্যালয় পাস করে বেকার ২০ লাখ ৫ হাজার, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় পাস করে বেকার ৭ লাখ ৭০ হাজার এবং স্নাতক পাস করে বেকার ১৩ লাখ ১৪ হাজার।
বিপরীতে এর মধ্যে অক্ষরজ্ঞানহীন ৭৬ হাজার মানুষ বেকার হয়েছেন। স্বাক্ষর জানেন তবে স্কুলের আঙিনায় পা রাখেননি—এমন মানুষের সংখ্যা ৭ লাখ ৬৪ হাজার।
অশিক্ষিতদের তুলনায় শিক্ষিতরা বেকার বেশি। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক গবেষণায় বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ দশমিক ২৪ শতাংশই বেকার।
কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা না থাকায় পোশাক খাতের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের বড় পদে চাকরি করছেন ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কান নাগরিকেরা। ফারুক হাসান বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি
বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক এস এম জুলফিকার আলী বলেন, নারী ও গ্রামের শিক্ষার্থীর মধ্যে বেকারত্বের হার তুলনামূলক বেশি। তিনি বলেন, সারা দেশের কলেজগুলোর মানের ঘাটতি, শিক্ষার্থীদের কম উপস্থিতি, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার অভাব এবং চাকরির বাজারমুখী শিক্ষার অভাব সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া গ্রামীণ অঞ্চলের শিক্ষার্থী ও নারী শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে শিক্ষাব্যবস্থায় যুগোপযোগী পরিবর্তন আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
দেশের সবচেয়ে বেশি কর্মক্ষম বা উৎপাদনশীল মানুষ হলেন তরুণেরা। জরিপে বলা হয়, ২০২৩ সালে প্রায় ৬৩ লাখ বেকার মানুষের মধ্যে ১৫ থেকে ২৯ বয়সী ৩৭ লাখ ৯৬ হাজার তরুণ। ৩০ থেকে ৬৪ বছর বয়সী ২৩ লাখ ৫১ হাজার মানুষ এবং ৬৫ বছর বয়সী ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ বেকার হয়েছেন। অর্থাৎ মোট বেকারের তিন ভাগের দুই ভাগই তরুণ।
অপর দিকে ২০২৩ সালের ৬২ লাখ ৫৭ হাজার বেকার মানুষের মধ্যে পুরুষ বেকার ৩৩ লাখ ৬২ হাজার। আর নারী বেকার ২৮ লাখ ৯৫ হাজার জন। ২০২২ সালের শ্রমশক্তি জরিপের বেকার ছিল ৬৭ লাখ ৬৩ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ছিল ৪০ লাখ আর নারী ছিল ২৭ লাখ ৬০ হাজার। গ্রাম ও শহর উভয় এলাকায় মহিলার তুলনায় পুরুষেরা বেশি বেকার ছিলেন।
এ বিষয়ে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা না থাকায় পোশাক খাতের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের বড় পদে চাকরি করছেন ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কান নাগরিকেরা। কিন্তু সরকার পক্ষ থেকে তার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬৩ লাখই বেকার। আর এই বেকারদের ৮৭ শতাংশই শিক্ষিত বেকার। আর ২১ শতাংশ বেকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েও কোনো কাজে যুক্ত নন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপ-২০২৩-এ এই তথ্য উঠে এসেছে। জরিপের তথ্য বলছে, ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণেরাই বেশি বেকার, যার সংখ্যা ৩৮ লাখ। তাঁরা কোনো কাজকর্ম না করেই বছরের পর বছর চাকরির পেছনে ছুটছেন।
এ বিষয়ে বিবিএসের উপপরিচালক আজিজা রহমান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘শ্রমশক্তি জরিপে এসডিজির সূচক, কর্মসংস্থান, বেকারত্ব ও শ্রমবাজার সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। জরিপে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বেকারত্ব কমেছে। তবে উচ্চ শিক্ষিত বেকার বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করি, সরকার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩ অনুসারে, দেশে বর্তমানে ৬২ লাখ ৫৭ হাজার মানুষ বেকার রয়েছে। এই বেকারকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগ হচ্ছে, কাজ করতে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন এবং সক্রিয়ভাবে কাজ খুঁজছেন। এ রকম মানুষের সংখ্যা ২৬ লাখ ২৫ হাজার, যা মোট বেকারের ৪১ দশমিক ৯৫ শতাংশ। দ্বিতীয় ক্যাটাগরি হলো, সব যোগ্যতা রয়েছে। তারপরও সপ্তাহে ৭ থেকে ৪০ ঘণ্টা কাজ করছেন। অর্থাৎ, যোগ্যতা ও চাহিদা অনুসারে কাজ করতে পারছেন না। এমন মানুষের সংখ্যা ২৪ লাখ ৬১ হাজার, যার মোট বেকারের ৩৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এই ক্যাটাগরির উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, একজন স্নাতক পাস শিক্ষার্থী টিউশনি করছেন। সপ্তাহে ৬ ঘণ্টা কাজ করছেন। কিন্তু, তাঁর যোগ্যতা রয়েছে ৪৮ কিংবা ৫৬ ঘণ্টা কাজ করার।
তৃতীয় ক্যাটাগরি হচ্ছে, শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে, কিন্তু চাকরি খুঁজছেন না। কিংবা চাকরি খুঁজছেন, কিন্তু চাকরির জন্য অতিরিক্ত যোগ্যতা প্রয়োজন, যা তাঁর নেই। এ রকম বেকারের সংখ্যা ১১ লাখ ৭১ হাজার, যা মোট বেকারের ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে কর্মসংস্থানহীন অর্থনীতির অগ্রগতি হয়েছে। এই সময়ে দেশের বিনিয়োগের পরিবর্তে টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এ কারণে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়েনি। এ কারণে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে।
বিবিএসের এই জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিত বেকারের হার সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেকার মাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থীরা। এরপরই রয়েছে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্নকারী এবং প্রাথমিকের গণ্ডি পেরোনো। বেকারত্বের হার সবচেয়ে কম অশিক্ষিতদের মধ্যে। অর্থাৎ, যাঁরা পড়াশোনা করেননি, তাঁদের মধ্যে বেকার মানুষ কম।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় রাজনীতি ঢুকেছে, ফলে দিন দিন শিক্ষার মান কমছে। পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের অভাব এবং কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষিত বেকার বাড়ছে।
গত ১৫ বছরে দেশে কর্মসংস্থানহীন অর্থনীতির অগ্রগতি হয়েছে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়েনি। এ কারণে বেকারত্ব বাড়ছে। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সিপিডির বিশেষ ফেলো
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. তৈয়বুর রহমান বলেন, দেশে সরকারি-বেসরকারি ১৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান আগের তুলনায় কমেছে। ফলে প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট তৈরি হচ্ছে, কিন্তু চাকরিযোগ্য করতে পারছে না। এ ছাড়া শিক্ষায় যেরকম জব ক্রিয়েট হওয়ার দরকার ছিল, সে অনুসারে সরকারি ও বেসরকারি খাতে জব নেই। এই কারণে শিক্ষিত বেকার বাড়ছে।
বিবিএসের জরিপের তথ্যমতে, ৬২ লাখ ৫৭ হাজার মানুষের মধ্যে শিক্ষিত বেকার ৫৪ লাখ ১৭ হাজার। আর অশিক্ষিত বেকার ৮ লাখ ৪০ হাজার।
শিক্ষিত বেকারের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় পাস করে বেকার হয়েছেন ১৩ লাখ ২৮ হাজার, মাধ্যমিক বিদ্যালয় পাস করে বেকার ২০ লাখ ৫ হাজার, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় পাস করে বেকার ৭ লাখ ৭০ হাজার এবং স্নাতক পাস করে বেকার ১৩ লাখ ১৪ হাজার।
বিপরীতে এর মধ্যে অক্ষরজ্ঞানহীন ৭৬ হাজার মানুষ বেকার হয়েছেন। স্বাক্ষর জানেন তবে স্কুলের আঙিনায় পা রাখেননি—এমন মানুষের সংখ্যা ৭ লাখ ৬৪ হাজার।
অশিক্ষিতদের তুলনায় শিক্ষিতরা বেকার বেশি। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক গবেষণায় বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ দশমিক ২৪ শতাংশই বেকার।
কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা না থাকায় পোশাক খাতের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের বড় পদে চাকরি করছেন ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কান নাগরিকেরা। ফারুক হাসান বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি
বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক এস এম জুলফিকার আলী বলেন, নারী ও গ্রামের শিক্ষার্থীর মধ্যে বেকারত্বের হার তুলনামূলক বেশি। তিনি বলেন, সারা দেশের কলেজগুলোর মানের ঘাটতি, শিক্ষার্থীদের কম উপস্থিতি, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার অভাব এবং চাকরির বাজারমুখী শিক্ষার অভাব সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া গ্রামীণ অঞ্চলের শিক্ষার্থী ও নারী শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে শিক্ষাব্যবস্থায় যুগোপযোগী পরিবর্তন আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
দেশের সবচেয়ে বেশি কর্মক্ষম বা উৎপাদনশীল মানুষ হলেন তরুণেরা। জরিপে বলা হয়, ২০২৩ সালে প্রায় ৬৩ লাখ বেকার মানুষের মধ্যে ১৫ থেকে ২৯ বয়সী ৩৭ লাখ ৯৬ হাজার তরুণ। ৩০ থেকে ৬৪ বছর বয়সী ২৩ লাখ ৫১ হাজার মানুষ এবং ৬৫ বছর বয়সী ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ বেকার হয়েছেন। অর্থাৎ মোট বেকারের তিন ভাগের দুই ভাগই তরুণ।
অপর দিকে ২০২৩ সালের ৬২ লাখ ৫৭ হাজার বেকার মানুষের মধ্যে পুরুষ বেকার ৩৩ লাখ ৬২ হাজার। আর নারী বেকার ২৮ লাখ ৯৫ হাজার জন। ২০২২ সালের শ্রমশক্তি জরিপের বেকার ছিল ৬৭ লাখ ৬৩ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ছিল ৪০ লাখ আর নারী ছিল ২৭ লাখ ৬০ হাজার। গ্রাম ও শহর উভয় এলাকায় মহিলার তুলনায় পুরুষেরা বেশি বেকার ছিলেন।
এ বিষয়ে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা না থাকায় পোশাক খাতের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের বড় পদে চাকরি করছেন ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কান নাগরিকেরা। কিন্তু সরকার পক্ষ থেকে তার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
মাহ্ফুজুল ইসলাম, ঢাকা

১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬৩ লাখই বেকার। আর এই বেকারদের ৮৭ শতাংশই শিক্ষিত বেকার। আর ২১ শতাংশ বেকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েও কোনো কাজে যুক্ত নন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপ-২০২৩-এ এই তথ্য উঠে এসেছে। জরিপের তথ্য বলছে, ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণেরাই বেশি বেকার, যার সংখ্যা ৩৮ লাখ। তাঁরা কোনো কাজকর্ম না করেই বছরের পর বছর চাকরির পেছনে ছুটছেন।
এ বিষয়ে বিবিএসের উপপরিচালক আজিজা রহমান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘শ্রমশক্তি জরিপে এসডিজির সূচক, কর্মসংস্থান, বেকারত্ব ও শ্রমবাজার সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। জরিপে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বেকারত্ব কমেছে। তবে উচ্চ শিক্ষিত বেকার বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করি, সরকার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩ অনুসারে, দেশে বর্তমানে ৬২ লাখ ৫৭ হাজার মানুষ বেকার রয়েছে। এই বেকারকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগ হচ্ছে, কাজ করতে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন এবং সক্রিয়ভাবে কাজ খুঁজছেন। এ রকম মানুষের সংখ্যা ২৬ লাখ ২৫ হাজার, যা মোট বেকারের ৪১ দশমিক ৯৫ শতাংশ। দ্বিতীয় ক্যাটাগরি হলো, সব যোগ্যতা রয়েছে। তারপরও সপ্তাহে ৭ থেকে ৪০ ঘণ্টা কাজ করছেন। অর্থাৎ, যোগ্যতা ও চাহিদা অনুসারে কাজ করতে পারছেন না। এমন মানুষের সংখ্যা ২৪ লাখ ৬১ হাজার, যার মোট বেকারের ৩৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এই ক্যাটাগরির উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, একজন স্নাতক পাস শিক্ষার্থী টিউশনি করছেন। সপ্তাহে ৬ ঘণ্টা কাজ করছেন। কিন্তু, তাঁর যোগ্যতা রয়েছে ৪৮ কিংবা ৫৬ ঘণ্টা কাজ করার।
তৃতীয় ক্যাটাগরি হচ্ছে, শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে, কিন্তু চাকরি খুঁজছেন না। কিংবা চাকরি খুঁজছেন, কিন্তু চাকরির জন্য অতিরিক্ত যোগ্যতা প্রয়োজন, যা তাঁর নেই। এ রকম বেকারের সংখ্যা ১১ লাখ ৭১ হাজার, যা মোট বেকারের ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে কর্মসংস্থানহীন অর্থনীতির অগ্রগতি হয়েছে। এই সময়ে দেশের বিনিয়োগের পরিবর্তে টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এ কারণে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়েনি। এ কারণে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে।
বিবিএসের এই জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিত বেকারের হার সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেকার মাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থীরা। এরপরই রয়েছে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্নকারী এবং প্রাথমিকের গণ্ডি পেরোনো। বেকারত্বের হার সবচেয়ে কম অশিক্ষিতদের মধ্যে। অর্থাৎ, যাঁরা পড়াশোনা করেননি, তাঁদের মধ্যে বেকার মানুষ কম।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় রাজনীতি ঢুকেছে, ফলে দিন দিন শিক্ষার মান কমছে। পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের অভাব এবং কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষিত বেকার বাড়ছে।
গত ১৫ বছরে দেশে কর্মসংস্থানহীন অর্থনীতির অগ্রগতি হয়েছে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়েনি। এ কারণে বেকারত্ব বাড়ছে। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সিপিডির বিশেষ ফেলো
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. তৈয়বুর রহমান বলেন, দেশে সরকারি-বেসরকারি ১৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান আগের তুলনায় কমেছে। ফলে প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট তৈরি হচ্ছে, কিন্তু চাকরিযোগ্য করতে পারছে না। এ ছাড়া শিক্ষায় যেরকম জব ক্রিয়েট হওয়ার দরকার ছিল, সে অনুসারে সরকারি ও বেসরকারি খাতে জব নেই। এই কারণে শিক্ষিত বেকার বাড়ছে।
বিবিএসের জরিপের তথ্যমতে, ৬২ লাখ ৫৭ হাজার মানুষের মধ্যে শিক্ষিত বেকার ৫৪ লাখ ১৭ হাজার। আর অশিক্ষিত বেকার ৮ লাখ ৪০ হাজার।
শিক্ষিত বেকারের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় পাস করে বেকার হয়েছেন ১৩ লাখ ২৮ হাজার, মাধ্যমিক বিদ্যালয় পাস করে বেকার ২০ লাখ ৫ হাজার, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় পাস করে বেকার ৭ লাখ ৭০ হাজার এবং স্নাতক পাস করে বেকার ১৩ লাখ ১৪ হাজার।
বিপরীতে এর মধ্যে অক্ষরজ্ঞানহীন ৭৬ হাজার মানুষ বেকার হয়েছেন। স্বাক্ষর জানেন তবে স্কুলের আঙিনায় পা রাখেননি—এমন মানুষের সংখ্যা ৭ লাখ ৬৪ হাজার।
অশিক্ষিতদের তুলনায় শিক্ষিতরা বেকার বেশি। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক গবেষণায় বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ দশমিক ২৪ শতাংশই বেকার।
কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা না থাকায় পোশাক খাতের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের বড় পদে চাকরি করছেন ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কান নাগরিকেরা। ফারুক হাসান বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি
বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক এস এম জুলফিকার আলী বলেন, নারী ও গ্রামের শিক্ষার্থীর মধ্যে বেকারত্বের হার তুলনামূলক বেশি। তিনি বলেন, সারা দেশের কলেজগুলোর মানের ঘাটতি, শিক্ষার্থীদের কম উপস্থিতি, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার অভাব এবং চাকরির বাজারমুখী শিক্ষার অভাব সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া গ্রামীণ অঞ্চলের শিক্ষার্থী ও নারী শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে শিক্ষাব্যবস্থায় যুগোপযোগী পরিবর্তন আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
দেশের সবচেয়ে বেশি কর্মক্ষম বা উৎপাদনশীল মানুষ হলেন তরুণেরা। জরিপে বলা হয়, ২০২৩ সালে প্রায় ৬৩ লাখ বেকার মানুষের মধ্যে ১৫ থেকে ২৯ বয়সী ৩৭ লাখ ৯৬ হাজার তরুণ। ৩০ থেকে ৬৪ বছর বয়সী ২৩ লাখ ৫১ হাজার মানুষ এবং ৬৫ বছর বয়সী ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ বেকার হয়েছেন। অর্থাৎ মোট বেকারের তিন ভাগের দুই ভাগই তরুণ।
অপর দিকে ২০২৩ সালের ৬২ লাখ ৫৭ হাজার বেকার মানুষের মধ্যে পুরুষ বেকার ৩৩ লাখ ৬২ হাজার। আর নারী বেকার ২৮ লাখ ৯৫ হাজার জন। ২০২২ সালের শ্রমশক্তি জরিপের বেকার ছিল ৬৭ লাখ ৬৩ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ছিল ৪০ লাখ আর নারী ছিল ২৭ লাখ ৬০ হাজার। গ্রাম ও শহর উভয় এলাকায় মহিলার তুলনায় পুরুষেরা বেশি বেকার ছিলেন।
এ বিষয়ে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা না থাকায় পোশাক খাতের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের বড় পদে চাকরি করছেন ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কান নাগরিকেরা। কিন্তু সরকার পক্ষ থেকে তার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬৩ লাখই বেকার। আর এই বেকারদের ৮৭ শতাংশই শিক্ষিত বেকার। আর ২১ শতাংশ বেকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েও কোনো কাজে যুক্ত নন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপ-২০২৩-এ এই তথ্য উঠে এসেছে। জরিপের তথ্য বলছে, ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণেরাই বেশি বেকার, যার সংখ্যা ৩৮ লাখ। তাঁরা কোনো কাজকর্ম না করেই বছরের পর বছর চাকরির পেছনে ছুটছেন।
এ বিষয়ে বিবিএসের উপপরিচালক আজিজা রহমান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘শ্রমশক্তি জরিপে এসডিজির সূচক, কর্মসংস্থান, বেকারত্ব ও শ্রমবাজার সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। জরিপে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বেকারত্ব কমেছে। তবে উচ্চ শিক্ষিত বেকার বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করি, সরকার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩ অনুসারে, দেশে বর্তমানে ৬২ লাখ ৫৭ হাজার মানুষ বেকার রয়েছে। এই বেকারকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগ হচ্ছে, কাজ করতে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন এবং সক্রিয়ভাবে কাজ খুঁজছেন। এ রকম মানুষের সংখ্যা ২৬ লাখ ২৫ হাজার, যা মোট বেকারের ৪১ দশমিক ৯৫ শতাংশ। দ্বিতীয় ক্যাটাগরি হলো, সব যোগ্যতা রয়েছে। তারপরও সপ্তাহে ৭ থেকে ৪০ ঘণ্টা কাজ করছেন। অর্থাৎ, যোগ্যতা ও চাহিদা অনুসারে কাজ করতে পারছেন না। এমন মানুষের সংখ্যা ২৪ লাখ ৬১ হাজার, যার মোট বেকারের ৩৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এই ক্যাটাগরির উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, একজন স্নাতক পাস শিক্ষার্থী টিউশনি করছেন। সপ্তাহে ৬ ঘণ্টা কাজ করছেন। কিন্তু, তাঁর যোগ্যতা রয়েছে ৪৮ কিংবা ৫৬ ঘণ্টা কাজ করার।
তৃতীয় ক্যাটাগরি হচ্ছে, শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে, কিন্তু চাকরি খুঁজছেন না। কিংবা চাকরি খুঁজছেন, কিন্তু চাকরির জন্য অতিরিক্ত যোগ্যতা প্রয়োজন, যা তাঁর নেই। এ রকম বেকারের সংখ্যা ১১ লাখ ৭১ হাজার, যা মোট বেকারের ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে কর্মসংস্থানহীন অর্থনীতির অগ্রগতি হয়েছে। এই সময়ে দেশের বিনিয়োগের পরিবর্তে টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এ কারণে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়েনি। এ কারণে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে।
বিবিএসের এই জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিত বেকারের হার সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেকার মাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থীরা। এরপরই রয়েছে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্নকারী এবং প্রাথমিকের গণ্ডি পেরোনো। বেকারত্বের হার সবচেয়ে কম অশিক্ষিতদের মধ্যে। অর্থাৎ, যাঁরা পড়াশোনা করেননি, তাঁদের মধ্যে বেকার মানুষ কম।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় রাজনীতি ঢুকেছে, ফলে দিন দিন শিক্ষার মান কমছে। পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের অভাব এবং কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষিত বেকার বাড়ছে।
গত ১৫ বছরে দেশে কর্মসংস্থানহীন অর্থনীতির অগ্রগতি হয়েছে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়েনি। এ কারণে বেকারত্ব বাড়ছে। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সিপিডির বিশেষ ফেলো
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. তৈয়বুর রহমান বলেন, দেশে সরকারি-বেসরকারি ১৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান আগের তুলনায় কমেছে। ফলে প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট তৈরি হচ্ছে, কিন্তু চাকরিযোগ্য করতে পারছে না। এ ছাড়া শিক্ষায় যেরকম জব ক্রিয়েট হওয়ার দরকার ছিল, সে অনুসারে সরকারি ও বেসরকারি খাতে জব নেই। এই কারণে শিক্ষিত বেকার বাড়ছে।
বিবিএসের জরিপের তথ্যমতে, ৬২ লাখ ৫৭ হাজার মানুষের মধ্যে শিক্ষিত বেকার ৫৪ লাখ ১৭ হাজার। আর অশিক্ষিত বেকার ৮ লাখ ৪০ হাজার।
শিক্ষিত বেকারের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় পাস করে বেকার হয়েছেন ১৩ লাখ ২৮ হাজার, মাধ্যমিক বিদ্যালয় পাস করে বেকার ২০ লাখ ৫ হাজার, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় পাস করে বেকার ৭ লাখ ৭০ হাজার এবং স্নাতক পাস করে বেকার ১৩ লাখ ১৪ হাজার।
বিপরীতে এর মধ্যে অক্ষরজ্ঞানহীন ৭৬ হাজার মানুষ বেকার হয়েছেন। স্বাক্ষর জানেন তবে স্কুলের আঙিনায় পা রাখেননি—এমন মানুষের সংখ্যা ৭ লাখ ৬৪ হাজার।
অশিক্ষিতদের তুলনায় শিক্ষিতরা বেকার বেশি। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক গবেষণায় বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ দশমিক ২৪ শতাংশই বেকার।
কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা না থাকায় পোশাক খাতের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের বড় পদে চাকরি করছেন ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কান নাগরিকেরা। ফারুক হাসান বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি
বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক এস এম জুলফিকার আলী বলেন, নারী ও গ্রামের শিক্ষার্থীর মধ্যে বেকারত্বের হার তুলনামূলক বেশি। তিনি বলেন, সারা দেশের কলেজগুলোর মানের ঘাটতি, শিক্ষার্থীদের কম উপস্থিতি, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার অভাব এবং চাকরির বাজারমুখী শিক্ষার অভাব সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া গ্রামীণ অঞ্চলের শিক্ষার্থী ও নারী শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে শিক্ষাব্যবস্থায় যুগোপযোগী পরিবর্তন আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
দেশের সবচেয়ে বেশি কর্মক্ষম বা উৎপাদনশীল মানুষ হলেন তরুণেরা। জরিপে বলা হয়, ২০২৩ সালে প্রায় ৬৩ লাখ বেকার মানুষের মধ্যে ১৫ থেকে ২৯ বয়সী ৩৭ লাখ ৯৬ হাজার তরুণ। ৩০ থেকে ৬৪ বছর বয়সী ২৩ লাখ ৫১ হাজার মানুষ এবং ৬৫ বছর বয়সী ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ বেকার হয়েছেন। অর্থাৎ মোট বেকারের তিন ভাগের দুই ভাগই তরুণ।
অপর দিকে ২০২৩ সালের ৬২ লাখ ৫৭ হাজার বেকার মানুষের মধ্যে পুরুষ বেকার ৩৩ লাখ ৬২ হাজার। আর নারী বেকার ২৮ লাখ ৯৫ হাজার জন। ২০২২ সালের শ্রমশক্তি জরিপের বেকার ছিল ৬৭ লাখ ৬৩ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ছিল ৪০ লাখ আর নারী ছিল ২৭ লাখ ৬০ হাজার। গ্রাম ও শহর উভয় এলাকায় মহিলার তুলনায় পুরুষেরা বেশি বেকার ছিলেন।
এ বিষয়ে পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা না থাকায় পোশাক খাতের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের বড় পদে চাকরি করছেন ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কান নাগরিকেরা। কিন্তু সরকার পক্ষ থেকে তার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। তাই রেলসম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রতি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, অযৌক্তিকভাবে রেললাইন অবরোধ ও ইচ্ছাকৃতভাবে রেললাইনের ক্ষতিসাধনের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে একদিকে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনা ব্যাহত হওয়ায় রেলওয়ের ভাবমূর্তিও মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, যেহেতু রেল একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ, তাই এর ক্ষতি মানে সরাসরি জনগণের ক্ষতি। এই ক্ষয়ক্ষতি ও লোকসান প্রতিরোধ করা দেশের সব নাগরিকের দায়িত্ব। নৈতিক এই দায়িত্ব পালনে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
যাত্রীসাধারণকে মানসম্মত সেবা দিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানসম্মত যাত্রীসেবা নিশ্চিতে নাগরিকদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
এ ছাড়া যেকোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন বা এর চেষ্টা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ উল্লেখ করে জানানো হয়, রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা অন্য যেকোনো কর্মসূচির নামে বেআইনি উপায়ে রেলের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। তাই রেলসম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রতি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, অযৌক্তিকভাবে রেললাইন অবরোধ ও ইচ্ছাকৃতভাবে রেললাইনের ক্ষতিসাধনের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে একদিকে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনা ব্যাহত হওয়ায় রেলওয়ের ভাবমূর্তিও মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, যেহেতু রেল একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ, তাই এর ক্ষতি মানে সরাসরি জনগণের ক্ষতি। এই ক্ষয়ক্ষতি ও লোকসান প্রতিরোধ করা দেশের সব নাগরিকের দায়িত্ব। নৈতিক এই দায়িত্ব পালনে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
যাত্রীসাধারণকে মানসম্মত সেবা দিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানসম্মত যাত্রীসেবা নিশ্চিতে নাগরিকদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
এ ছাড়া যেকোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন বা এর চেষ্টা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ উল্লেখ করে জানানো হয়, রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা অন্য যেকোনো কর্মসূচির নামে বেআইনি উপায়ে রেলের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬৩ লাখই বেকার। আর এই বেকারদের ৮৭ শতাংশই শিক্ষিত বেকার। আর ২১ শতাংশ বেকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েও কোনো কাজে যুক্ত নন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপ-২০২৩-এ এই তথ্য উঠে এসেছে। জরিপের তথ্য বলছে, ১৫ থেকে
১২ ডিসেম্বর ২০২৪
উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে তাঁদের নিয়োগ আদেশ বাতিলক্রমে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
নিয়োগ বাতিল করা চার আইন কর্মকর্তা হলেন—ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিকার আলম শিমুল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আইয়ুব আলী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মন্টু আলম।
উল্লেখ্য, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করে থাকেন।

উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে তাঁদের নিয়োগ আদেশ বাতিলক্রমে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
নিয়োগ বাতিল করা চার আইন কর্মকর্তা হলেন—ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিকার আলম শিমুল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আইয়ুব আলী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মন্টু আলম।
উল্লেখ্য, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করে থাকেন।

১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬৩ লাখই বেকার। আর এই বেকারদের ৮৭ শতাংশই শিক্ষিত বেকার। আর ২১ শতাংশ বেকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েও কোনো কাজে যুক্ত নন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপ-২০২৩-এ এই তথ্য উঠে এসেছে। জরিপের তথ্য বলছে, ১৫ থেকে
১২ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ইসি বাড়াচ্ছে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘না। সময় বাড়ছে না।’
দল ও প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল আজ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।
আজ দিনভর কত মনোনয়নপত্র জমা পড়ল, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘পুরোটা সংগ্রহ করা শেষ হলে, রাত ১০টার দিকে তা জানাতে পারব।’

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ইসি বাড়াচ্ছে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘না। সময় বাড়ছে না।’
দল ও প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল আজ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।
আজ দিনভর কত মনোনয়নপত্র জমা পড়ল, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘পুরোটা সংগ্রহ করা শেষ হলে, রাত ১০টার দিকে তা জানাতে পারব।’

১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬৩ লাখই বেকার। আর এই বেকারদের ৮৭ শতাংশই শিক্ষিত বেকার। আর ২১ শতাংশ বেকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েও কোনো কাজে যুক্ত নন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপ-২০২৩-এ এই তথ্য উঠে এসেছে। জরিপের তথ্য বলছে, ১৫ থেকে
১২ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৫১ হাজার ৮০৮ জন ভোটার পোস্টাল ভোটের জন্য সফলভাবে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
ইসির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে পোস্টাল ভোটের প্রতি বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রবাসীদের মধ্যে নিবন্ধন সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। দেশটিতে অবস্থানরত ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক পোস্টাল ভোটের জন্য আবেদন করেছেন। নিবন্ধনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতার (৬৩ হাজার ৯২৮ জন) এবং তৃতীয় অবস্থানে মালয়েশিয়া (৫১ হাজার ৫৭২ জন)।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভোটারদের মধ্যে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৩ জন পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে বড় একটি অংশই সরকারি চাকরিজীবী, যার সংখ্যা ৩ লাখ ১ হাজার ৭১ জন। এ ছাড়া নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত ৪৬ হাজার ৮০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৪ হাজার ৩৬৭ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য এবং আইনি হেফাজতে থাকা ৩ হাজার ৬৭৫ জন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পোস্টাল ভোটের এই নিবন্ধনপ্রক্রিয়া আগামী বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগ্য ভোটারদের নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।
আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৫১ হাজার ৮০৮ জন ভোটার পোস্টাল ভোটের জন্য সফলভাবে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
ইসির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে পোস্টাল ভোটের প্রতি বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রবাসীদের মধ্যে নিবন্ধন সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। দেশটিতে অবস্থানরত ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক পোস্টাল ভোটের জন্য আবেদন করেছেন। নিবন্ধনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতার (৬৩ হাজার ৯২৮ জন) এবং তৃতীয় অবস্থানে মালয়েশিয়া (৫১ হাজার ৫৭২ জন)।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভোটারদের মধ্যে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৩ জন পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে বড় একটি অংশই সরকারি চাকরিজীবী, যার সংখ্যা ৩ লাখ ১ হাজার ৭১ জন। এ ছাড়া নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত ৪৬ হাজার ৮০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৪ হাজার ৩৬৭ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য এবং আইনি হেফাজতে থাকা ৩ হাজার ৬৭৫ জন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পোস্টাল ভোটের এই নিবন্ধনপ্রক্রিয়া আগামী বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগ্য ভোটারদের নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।

১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬৩ লাখই বেকার। আর এই বেকারদের ৮৭ শতাংশই শিক্ষিত বেকার। আর ২১ শতাংশ বেকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েও কোনো কাজে যুক্ত নন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপ-২০২৩-এ এই তথ্য উঠে এসেছে। জরিপের তথ্য বলছে, ১৫ থেকে
১২ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগে