Ajker Patrika

বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে ‘অপপ্রচার’ হচ্ছে, মিডিয়াকে দুষলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী 

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২২, ২২: ০২
বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে ‘অপপ্রচার’ হচ্ছে, মিডিয়াকে দুষলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী 

এখন দেশ যখন ভালো অবস্থানে এসেছে, অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তার জন্য তাদের মাতব্বরি বেড়েছে। আর এটার জন্য মিডিয়া বহুলাংশে দায়ী। যারা মাতব্বরি করে, তাদের দেশেই অহরহ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে, মানুষ ন্যায়বিচার পাচ্ছে না।

আজ শনিবার দুপুরে সিলেট সদর উপজেলার সাহেব বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নবনির্মিত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।

গণমাধ্যমকর্মীদের সেসব দেশের রাষ্ট্রদূতের কাছে তাঁদের দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বর্তমান সরকার কাউকে বিনা বিচারে হত্যা করে না। দুর্ঘটনা সব দেশেই ঘটে। সে জন্য সরকার দায়ী না। কালে-ভদ্রে একটা ঘটনা ঘটলে আপনারা এটা নিয়ে অনেক বলেন। এটা ঠিক নয়। বিদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা অসংখ্য ঘটে। আমাদের মিডিয়া এটা নিয়ে সরব হয় না। বিদেশিদের কাছে যায় আমাদের নিজেদের সমস্যা বলতে।’

‘সরকার কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটায় না। সরকার চায় না কেউ গুম হোক। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে শেখ হাসিনা সরকার দায়ীদের শক্ত হাতে দমন করছে’ বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের নানা বিষয় নিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কাছে অযথাই মিডিয়ার লোকজন ছুটে যায়। অথচ বাংলাদেশ সম্পর্কে তাঁদের ধারণা খুবই সামান্য।’ 

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনাকারী দেশগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, ‘আমরা অত পরামর্শ চাই না, আমাদের হৃদয়টা স্বচ্ছ। যতগুলো নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিয়েছে, সবগুলো স্বচ্ছ হয়েছে। ১৯৭১ সালে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিরিশ লাখ লোক জীবন দিয়েছেন, ওই সময় তাদের মানবাধিকার কোথায় ছিল?’ 

বেলা দেড়টার দিকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নারী এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচ দেখতে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দুই দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সিলেটে আরও তিনটি স্টেডিয়াম তৈরির জন্য প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বেদখল হওয়া পুকুরগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট একসময় মাঠ ও পুকুরের নগর ছিল। এখন মাঠ ও পুকুরগুলো বেদখল হয়ে গেছে। এগুলো উদ্ধারে কয়েকটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’ 

সিলেটে নারীদের খেলাধুলা করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় এই সংসদ সদস্য একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আপনারা জানেন, সিলেটের মানুষ কিছুটা রক্ষণশীল। এরপরও এখানের স্থানীয়রা মেয়েদের খেলা নিয়ে উৎসাহ দিয়ে থাকেন। আগামীতে সিলেট থেকে ভালো ভালো খেলোয়াড় উঠে আসবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, সংসদ ভবনে জানাজার প্রস্তুতি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

আজ সকালে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে হাদির মরদেহ অ্যাম্বুলেন্স যোগে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়। এ সময় পুরো এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি পুনরায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

পরিবার ও ইনকিলাব মঞ্চ সূত্রে জানা গেছে, হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে মরদেহের গোসল সম্পন্ন করার পর তাঁকে জানাজার জন্য জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হবে। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী, আজ দুপুর ২টায় তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

জানাজা উপলক্ষে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জানাজা উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশ এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ এ বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে জানাজায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ১ হাজার বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করবেন। পুরো এলাকা সিসিটিভি ও গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

আগতদের কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করতে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া সংসদ ভবন ও এর আশপাশ এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

ওসমান হাদির শেষ বিদায়ে শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির জানাজায় অংশ নিতে সংসদ এলাকায় জনস্রোত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৪২
হাদির জানাজায় অংশ নিতে সংসদ এলাকায় ভিড় বাড়ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা।
হাদির জানাজায় অংশ নিতে সংসদ এলাকায় ভিড় বাড়ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা আজ শনিবার দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশ নিতে এরই মধ্যে সংসদ ভবন এলাকায় মানুষজন জড়ো হতে শুরু করেছে।

আজ শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় সংসদ এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ জড়ো হয়েছে। এ সময় অনেককে স্লোগান দিতে দেখা যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অবস্থানে দেখা গেছে।

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর সকাল সাড়ে ১০টায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেয়। এ সময় চীন থেকে আনা ৮টি আর্চওয়ে গেট দিয়ে হাজারো সাধারণ মানুষ সারিবদ্ধভাবে দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশ করেন।

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষ সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে জড়ো হতে শুরু করেছেন।

জানাজা উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশ এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেছে ডিএমপি। নিরাপত্তার স্বার্থে জানাজায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ১ হাজারটি বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করবেন বলে জানিয়েছে তারা। এছাড়াও পুরো এলাকা সিসিটিভি ও গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

সংসদ ভবন এলাকায় কড়া সতর্কতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংসদ ভবন এলাকায় কড়া সতর্কতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা

ওসমান হাদির জানাজায় বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম হতে পারে বিবেচনা করে ট্রাফিক বিভাগ থেকেও যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে ওসমান হাদির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আজ সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে নেওয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ আবার হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ওসমান হাদির জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পরে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শনিবার বেলা আড়াইটার পরিবর্তে বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহীদ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

সংসদ ভবন এলাকায় কড়া সতর্কতায় বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংসদ ভবন এলাকায় কড়া সতর্কতায় বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ওসমান হাদির জানাজায় যাঁরা অংশ নিতে আসবেন, তাঁরা কোনো প্রকার ব‍্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন‍্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে সংসদ ভবন ও এর আশপাশ এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা শেষে ওসমান হাদিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে দাফন করা হবে। দাফনের জন্য স্থানটি প্রস্তুত করা হচ্ছে। সেখানেও সকাল থেকে মানুষজন জড়ো হচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সোশ্যাল মিডিয়ায় সহিংসতার উসকানিমূলক পোস্টে রিপোর্ট করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ ও ই-মেইলে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ২৮
সোশ্যাল মিডিয়ায় সহিংসতার উসকানিমূলক পোস্টে রিপোর্ট করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ ও ই-মেইলে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সন্ত্রাস-সহিংসতার উসকানিমূলক আহ্বান-সংবলিত পোস্টের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি। এ জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ও ই-মেইল আইডি চালু করা হয়েছে।

আজ শনিবার থেকে সেখানে রিপোর্ট (অভিযোগ ও তথ্য) করা যাবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হোয়াটসঅ্যাপে এবং ই-মেইলে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ের পর বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোতে রিপোর্ট করবে।

যে নম্বর এবং ই-মেইলে রিপোর্ট করা যাবে—

হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর: 01308332592,

ই-মেইল: [email protected]

উল্লেখ্য, সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কোনো পোস্ট ‘ডাউন’ করতে অর্থাৎ সরিয়ে দিতে পারে না। সরকার শুধু যৌক্তিক কারণ তুলে ধরে সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত পোস্টগুলো সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মের কাছে রিপোর্ট করতে পারে।

বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যা সরাসরি সহিংসতা ঘটায় কিংবা সহিংসতার ডাক দেয়, সেগুলো সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা জাতীয় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।

জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে সহিংসতা কিংবা অস্থিতিশীলতা তৈরির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি দেশ এবং নাগরিকের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতন হতে জনসাধারণকে অনুরোধ জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকে একাধিক সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে এসব সহিংসতার উসকানি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সহিংসতায় উসকানিমূলক পোস্টের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদিকে হত্যা ও পরবর্তী সহিংসতার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের আহ্বান অ্যামনেস্টির

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ০৯
হাদিকে হত্যা ও পরবর্তী সহিংসতার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের আহ্বান  অ্যামনেস্টির

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ড এবং পরবর্তী সময়ে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এসব ঘটনায় দ্রুত, পূর্ণাঙ্গ, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা ২৬ মিনিটে এক্স হ্যান্ডলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাউথ এশিয়া রিজিওনাল অফিসের অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।

পোস্টটিতে মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, হাদি হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী সময়টিতে সহিংসতায় প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানট-এর কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এবং নিউ এজ-এর সম্পাদক নুরুল কবির হয়রানির শিকার হয়েছেন।

এ ছাড়া ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হিন্দু পোশাকশ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায়ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব কর্মকাণ্ডে মানুষ আহত হয়েছেন, সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে এমন সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ন্যায্য বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের আশ্রয় না নিয়ে আইনসম্মত ও ন্যায়সঙ্গত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত