
এক বছরের ব্যবধানে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) গণতন্ত্র সূচকে সবচেয়ে বেশি অবনমন হয়েছে বাংলাদেশের। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ ২৫ ধাপ পিছিয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) ২০২৪ সালের গণতন্ত্র সূচক অনুযায়ী, ১৬৫টি দেশ ও ২টি অঞ্চলের মধ্যে এবার বাংলাদেশের অবস্থান ১০০তম। আগের বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বের আর কোনো দেশের গণতন্ত্রের সূচকে এতটা অবনমন হয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার নিজেদের ওয়েবসাইটে ইআইইউ এই সূচক প্রকাশ করেছে।
বিশ্বের গণতন্ত্রের সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে বিশ্বের ১৬৫টি স্বাধীন দেশ এবং ২টি অঞ্চল নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে ইআইইউ। পাঁচটি বিষয় বিবেচনায় সূচকটি তৈরি করা হয়েছে। এসব বিষয় হচ্ছে—নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদ, সরকারের কার্যকারিতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক স্বাধীনতা। প্রতিটি বিষয়ের স্কোর ১০। এই স্কোরের ভিত্তিতে দেশগুলোর শাসনব্যবস্থাকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে—পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা।
অবশ্য প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৬ সাল থেকে বৈশ্বিক গণতন্ত্রের গড় সূচকের ক্রমাবনতি ঘটছে। বিশেষ করে কোভিড মহামারির সময় থেকে এই অবনমন ত্বরান্বিত হয়েছে।
২০২৩ সালের ইআইইউর গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৫তম। ২০২২ সালে তা ছিল ৭৩তম। অর্থাৎ ২০২৩ সালে আগের বছরের তুলনায় দুই ধাপ পিছিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ২০২৪ সালে এক লাফে ২৫ ধাপ পিছিয়ে ১০০–এ নেমে গেছে।
ইআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে স্কোর সবচেয়ে বেশি কমেছে বাংলাদেশের। এবার বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ৪ দশমিক ৪৪। ২০২৩ সালের তুলনায় স্কোর কমেছে ১ দশমিক ৪৪। এর আগের বছর বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৮৭।
একই স্কোর নিয়ে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনও ১০০তম অবস্থানে রয়েছে। তবে আগের বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে দেশটির অবস্থান নেমেছে তিন ধাপ আর বাংলাদেশের নেমেছে ২৫ ধাপ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের মতো গত বছরও বাংলাদেশ ‘হাইব্রিড শাসনব্যবস্থায়’ থাকলেও এবার তা একেবারে নিচের দিকে নেমে গেছে। যে কোনো সময় কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থায় নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ।
এবার পাঁচটি ক্যাটাগরির মধ্যে ‘সরকারের কার্যকারিতা’ (২ দশমিক ৫৭) ও ‘নাগরিক স্বাধীনতা’ (৩ দশমিক ৫৩)—এ দুই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবচেয়ে কম স্কোর করেছে। তবে ১০-এর মধ্যে ৬ দশমিক শূন্য ৮ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে ভালো করেছে ‘নির্বাচনপ্রক্রিয়া’ ও ‘বহুত্ববাদ’ ক্যাটাগরিতে। ‘রাজনৈতিক অংশগ্রহণ’ ও ‘রাজনৈতিক সংস্কৃতি’ উভয় ক্যাটাগরিতে স্কোর পেয়েছে ৫। ২০২৩ সালে সবচেয়ে কম স্কোর করেছিল ‘নাগরিক স্বাধীনতা’ (৪ দশমিক ৭১) ও ‘রাজনৈতিক অংশগ্রহণ’ (৫ দশমিক ৫৬)। সবচেয়ে বেশি স্কোর করেছিল নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদে (৭ দশমিক ৪২)।
এ ছাড়া ২০০৬ সালে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধরন ছিল ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ক্যাটাগরিতে। এরপর ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের গণতন্ত্র টানা ‘হাইব্রিড শাসনব্যবস্থার’ তকমা পেয়ে আসছে।

হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা বলতে ইআইইউ বোঝায়, এমন ব্যবস্থা যেখানে প্রায়ই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়। এ শাসনব্যবস্থায় বিরোধী দলের ওপর সরকারের চাপ থাকে। বিচারব্যবস্থা স্বাধীন নয়। সাংবাদিকদের চাপ সৃষ্টি ও হয়রানি করা হয়। দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার, দুর্বল আইনের শাসন, দুর্বল নাগরিক সমাজ এমন শাসনব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
আগের বছরের মতো ২০২৪ সালেও গণতন্ত্র সূচকে সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৮১ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড ও সুইডেন। ২০২৩ সালে আইসল্যান্ড তৃতীয় স্থানে থাকলেও এবার দেশটি চতুর্থ স্থানে নেমে এসেছে।
আগের বছরের মতো ২০২৪ সালেও গণতন্ত্র সূচকে তলানিতে (১৬৭ তম) আফগানিস্তান। দেশটির স্কোর শূন্য দশমিক ২৫। ২০২৩ সালে তা ছিল দশমিক ২৬। ২০২৩ সালের মতো এবারও আফগানিস্তানের ওপরের দুই অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে মিয়ানমার (১৬৬ তম) ও উত্তর কোরিয়া (১৬৫তম)।
এবারের তালিকায় যুক্তরাজ্যের অবস্থান এক ধাপ এগিয়ে ১৭–তে উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানও আগের বছরের তুলনায় এক ধাপ এগিয়ে ২৮–এ উঠেছে। তবে দেশটির গণতন্ত্র ‘ত্রুটিপূর্ণ শাসনব্যবস্থা’র অন্তর্ভুক্ত।
কর্তৃত্ববাদী ক্যাটাগরিতে থাকা চীনের অবস্থান এবার তিন ধাপ এগিয়েছে, দেশটির অবস্থান ১৪৫। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি বিসাউয়ের সঙ্গে এবার যৌথভাবে ১৫০ তম অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। গতবার রাশিয়া ছিল ১৪৪তম।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে ভারত। দেশটির অবস্থান ৪১তম, ২০২৩ সালেও একই ছিল। এরপর রয়েছে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা (৬৭তম), ভুটান (৭৯তম), নেপাল (৯৬তম), পাকিস্তান (১২৪তম)।
এশিয়ায় গণতন্ত্র সূচকে ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে যেসব দেশ বেশি খারাপ করেছে, সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের পর পাকিস্তান অন্যতম। আগের বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে দেশটির অবস্থান ছয় ধাপ পিছিয়েছে। তবে এই অঞ্চলে ২০২৩ সালের তুলনায় ১০ ধাপ পিছিয়ে ২০২৪ সালে ৩২তম অবস্থানে নেমে গেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
ইআইইউ জানিয়েছে, ২০২৪ সালে ১৬৭টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ২৫টিতে পূর্ণ গণতন্ত্র ছিল। ৪৬টির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ। বাংলাদেশসহ ৩৬টি দেশ ও অঞ্চলে হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান। আর সবচেয়ে বেশি ৬০টিতে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা ছিল।
ইআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজন নিয়ে চাপে রয়েছে। গণ–অভ্যুত্থানের মুখে দীর্ঘদিনের শাসক শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তারা শাসনভার গ্রহণ করে। তবে নির্বাচন দেওয়ার আগে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করতে চায় তারা। ফলে নির্বাচন আয়োজন ২০২৫ সালের পরেও চলে যেতে পারে।

এক বছরের ব্যবধানে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) গণতন্ত্র সূচকে সবচেয়ে বেশি অবনমন হয়েছে বাংলাদেশের। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ ২৫ ধাপ পিছিয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) ২০২৪ সালের গণতন্ত্র সূচক অনুযায়ী, ১৬৫টি দেশ ও ২টি অঞ্চলের মধ্যে এবার বাংলাদেশের অবস্থান ১০০তম। আগের বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বের আর কোনো দেশের গণতন্ত্রের সূচকে এতটা অবনমন হয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার নিজেদের ওয়েবসাইটে ইআইইউ এই সূচক প্রকাশ করেছে।
বিশ্বের গণতন্ত্রের সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে বিশ্বের ১৬৫টি স্বাধীন দেশ এবং ২টি অঞ্চল নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে ইআইইউ। পাঁচটি বিষয় বিবেচনায় সূচকটি তৈরি করা হয়েছে। এসব বিষয় হচ্ছে—নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদ, সরকারের কার্যকারিতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক স্বাধীনতা। প্রতিটি বিষয়ের স্কোর ১০। এই স্কোরের ভিত্তিতে দেশগুলোর শাসনব্যবস্থাকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে—পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা।
অবশ্য প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৬ সাল থেকে বৈশ্বিক গণতন্ত্রের গড় সূচকের ক্রমাবনতি ঘটছে। বিশেষ করে কোভিড মহামারির সময় থেকে এই অবনমন ত্বরান্বিত হয়েছে।
২০২৩ সালের ইআইইউর গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৫তম। ২০২২ সালে তা ছিল ৭৩তম। অর্থাৎ ২০২৩ সালে আগের বছরের তুলনায় দুই ধাপ পিছিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ২০২৪ সালে এক লাফে ২৫ ধাপ পিছিয়ে ১০০–এ নেমে গেছে।
ইআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে স্কোর সবচেয়ে বেশি কমেছে বাংলাদেশের। এবার বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ৪ দশমিক ৪৪। ২০২৩ সালের তুলনায় স্কোর কমেছে ১ দশমিক ৪৪। এর আগের বছর বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৮৭।
একই স্কোর নিয়ে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনও ১০০তম অবস্থানে রয়েছে। তবে আগের বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে দেশটির অবস্থান নেমেছে তিন ধাপ আর বাংলাদেশের নেমেছে ২৫ ধাপ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের মতো গত বছরও বাংলাদেশ ‘হাইব্রিড শাসনব্যবস্থায়’ থাকলেও এবার তা একেবারে নিচের দিকে নেমে গেছে। যে কোনো সময় কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থায় নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ।
এবার পাঁচটি ক্যাটাগরির মধ্যে ‘সরকারের কার্যকারিতা’ (২ দশমিক ৫৭) ও ‘নাগরিক স্বাধীনতা’ (৩ দশমিক ৫৩)—এ দুই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবচেয়ে কম স্কোর করেছে। তবে ১০-এর মধ্যে ৬ দশমিক শূন্য ৮ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে ভালো করেছে ‘নির্বাচনপ্রক্রিয়া’ ও ‘বহুত্ববাদ’ ক্যাটাগরিতে। ‘রাজনৈতিক অংশগ্রহণ’ ও ‘রাজনৈতিক সংস্কৃতি’ উভয় ক্যাটাগরিতে স্কোর পেয়েছে ৫। ২০২৩ সালে সবচেয়ে কম স্কোর করেছিল ‘নাগরিক স্বাধীনতা’ (৪ দশমিক ৭১) ও ‘রাজনৈতিক অংশগ্রহণ’ (৫ দশমিক ৫৬)। সবচেয়ে বেশি স্কোর করেছিল নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদে (৭ দশমিক ৪২)।
এ ছাড়া ২০০৬ সালে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধরন ছিল ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ক্যাটাগরিতে। এরপর ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের গণতন্ত্র টানা ‘হাইব্রিড শাসনব্যবস্থার’ তকমা পেয়ে আসছে।

হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা বলতে ইআইইউ বোঝায়, এমন ব্যবস্থা যেখানে প্রায়ই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়। এ শাসনব্যবস্থায় বিরোধী দলের ওপর সরকারের চাপ থাকে। বিচারব্যবস্থা স্বাধীন নয়। সাংবাদিকদের চাপ সৃষ্টি ও হয়রানি করা হয়। দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার, দুর্বল আইনের শাসন, দুর্বল নাগরিক সমাজ এমন শাসনব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
আগের বছরের মতো ২০২৪ সালেও গণতন্ত্র সূচকে সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৮১ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড ও সুইডেন। ২০২৩ সালে আইসল্যান্ড তৃতীয় স্থানে থাকলেও এবার দেশটি চতুর্থ স্থানে নেমে এসেছে।
আগের বছরের মতো ২০২৪ সালেও গণতন্ত্র সূচকে তলানিতে (১৬৭ তম) আফগানিস্তান। দেশটির স্কোর শূন্য দশমিক ২৫। ২০২৩ সালে তা ছিল দশমিক ২৬। ২০২৩ সালের মতো এবারও আফগানিস্তানের ওপরের দুই অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে মিয়ানমার (১৬৬ তম) ও উত্তর কোরিয়া (১৬৫তম)।
এবারের তালিকায় যুক্তরাজ্যের অবস্থান এক ধাপ এগিয়ে ১৭–তে উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানও আগের বছরের তুলনায় এক ধাপ এগিয়ে ২৮–এ উঠেছে। তবে দেশটির গণতন্ত্র ‘ত্রুটিপূর্ণ শাসনব্যবস্থা’র অন্তর্ভুক্ত।
কর্তৃত্ববাদী ক্যাটাগরিতে থাকা চীনের অবস্থান এবার তিন ধাপ এগিয়েছে, দেশটির অবস্থান ১৪৫। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি বিসাউয়ের সঙ্গে এবার যৌথভাবে ১৫০ তম অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। গতবার রাশিয়া ছিল ১৪৪তম।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে ভারত। দেশটির অবস্থান ৪১তম, ২০২৩ সালেও একই ছিল। এরপর রয়েছে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা (৬৭তম), ভুটান (৭৯তম), নেপাল (৯৬তম), পাকিস্তান (১২৪তম)।
এশিয়ায় গণতন্ত্র সূচকে ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে যেসব দেশ বেশি খারাপ করেছে, সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের পর পাকিস্তান অন্যতম। আগের বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে দেশটির অবস্থান ছয় ধাপ পিছিয়েছে। তবে এই অঞ্চলে ২০২৩ সালের তুলনায় ১০ ধাপ পিছিয়ে ২০২৪ সালে ৩২তম অবস্থানে নেমে গেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
ইআইইউ জানিয়েছে, ২০২৪ সালে ১৬৭টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ২৫টিতে পূর্ণ গণতন্ত্র ছিল। ৪৬টির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ। বাংলাদেশসহ ৩৬টি দেশ ও অঞ্চলে হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান। আর সবচেয়ে বেশি ৬০টিতে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা ছিল।
ইআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজন নিয়ে চাপে রয়েছে। গণ–অভ্যুত্থানের মুখে দীর্ঘদিনের শাসক শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তারা শাসনভার গ্রহণ করে। তবে নির্বাচন দেওয়ার আগে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করতে চায় তারা। ফলে নির্বাচন আয়োজন ২০২৫ সালের পরেও চলে যেতে পারে।

এক বছরের ব্যবধানে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) গণতন্ত্র সূচকে সবচেয়ে বেশি অবনমন হয়েছে বাংলাদেশের। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ ২৫ ধাপ পিছিয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) ২০২৪ সালের গণতন্ত্র সূচক অনুযায়ী, ১৬৫টি দেশ ও ২টি অঞ্চলের মধ্যে এবার বাংলাদেশের অবস্থান ১০০তম। আগের বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বের আর কোনো দেশের গণতন্ত্রের সূচকে এতটা অবনমন হয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার নিজেদের ওয়েবসাইটে ইআইইউ এই সূচক প্রকাশ করেছে।
বিশ্বের গণতন্ত্রের সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে বিশ্বের ১৬৫টি স্বাধীন দেশ এবং ২টি অঞ্চল নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে ইআইইউ। পাঁচটি বিষয় বিবেচনায় সূচকটি তৈরি করা হয়েছে। এসব বিষয় হচ্ছে—নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদ, সরকারের কার্যকারিতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক স্বাধীনতা। প্রতিটি বিষয়ের স্কোর ১০। এই স্কোরের ভিত্তিতে দেশগুলোর শাসনব্যবস্থাকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে—পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা।
অবশ্য প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৬ সাল থেকে বৈশ্বিক গণতন্ত্রের গড় সূচকের ক্রমাবনতি ঘটছে। বিশেষ করে কোভিড মহামারির সময় থেকে এই অবনমন ত্বরান্বিত হয়েছে।
২০২৩ সালের ইআইইউর গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৫তম। ২০২২ সালে তা ছিল ৭৩তম। অর্থাৎ ২০২৩ সালে আগের বছরের তুলনায় দুই ধাপ পিছিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ২০২৪ সালে এক লাফে ২৫ ধাপ পিছিয়ে ১০০–এ নেমে গেছে।
ইআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে স্কোর সবচেয়ে বেশি কমেছে বাংলাদেশের। এবার বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ৪ দশমিক ৪৪। ২০২৩ সালের তুলনায় স্কোর কমেছে ১ দশমিক ৪৪। এর আগের বছর বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৮৭।
একই স্কোর নিয়ে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনও ১০০তম অবস্থানে রয়েছে। তবে আগের বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে দেশটির অবস্থান নেমেছে তিন ধাপ আর বাংলাদেশের নেমেছে ২৫ ধাপ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের মতো গত বছরও বাংলাদেশ ‘হাইব্রিড শাসনব্যবস্থায়’ থাকলেও এবার তা একেবারে নিচের দিকে নেমে গেছে। যে কোনো সময় কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থায় নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ।
এবার পাঁচটি ক্যাটাগরির মধ্যে ‘সরকারের কার্যকারিতা’ (২ দশমিক ৫৭) ও ‘নাগরিক স্বাধীনতা’ (৩ দশমিক ৫৩)—এ দুই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবচেয়ে কম স্কোর করেছে। তবে ১০-এর মধ্যে ৬ দশমিক শূন্য ৮ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে ভালো করেছে ‘নির্বাচনপ্রক্রিয়া’ ও ‘বহুত্ববাদ’ ক্যাটাগরিতে। ‘রাজনৈতিক অংশগ্রহণ’ ও ‘রাজনৈতিক সংস্কৃতি’ উভয় ক্যাটাগরিতে স্কোর পেয়েছে ৫। ২০২৩ সালে সবচেয়ে কম স্কোর করেছিল ‘নাগরিক স্বাধীনতা’ (৪ দশমিক ৭১) ও ‘রাজনৈতিক অংশগ্রহণ’ (৫ দশমিক ৫৬)। সবচেয়ে বেশি স্কোর করেছিল নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদে (৭ দশমিক ৪২)।
এ ছাড়া ২০০৬ সালে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধরন ছিল ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ক্যাটাগরিতে। এরপর ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের গণতন্ত্র টানা ‘হাইব্রিড শাসনব্যবস্থার’ তকমা পেয়ে আসছে।

হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা বলতে ইআইইউ বোঝায়, এমন ব্যবস্থা যেখানে প্রায়ই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়। এ শাসনব্যবস্থায় বিরোধী দলের ওপর সরকারের চাপ থাকে। বিচারব্যবস্থা স্বাধীন নয়। সাংবাদিকদের চাপ সৃষ্টি ও হয়রানি করা হয়। দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার, দুর্বল আইনের শাসন, দুর্বল নাগরিক সমাজ এমন শাসনব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
আগের বছরের মতো ২০২৪ সালেও গণতন্ত্র সূচকে সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৮১ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড ও সুইডেন। ২০২৩ সালে আইসল্যান্ড তৃতীয় স্থানে থাকলেও এবার দেশটি চতুর্থ স্থানে নেমে এসেছে।
আগের বছরের মতো ২০২৪ সালেও গণতন্ত্র সূচকে তলানিতে (১৬৭ তম) আফগানিস্তান। দেশটির স্কোর শূন্য দশমিক ২৫। ২০২৩ সালে তা ছিল দশমিক ২৬। ২০২৩ সালের মতো এবারও আফগানিস্তানের ওপরের দুই অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে মিয়ানমার (১৬৬ তম) ও উত্তর কোরিয়া (১৬৫তম)।
এবারের তালিকায় যুক্তরাজ্যের অবস্থান এক ধাপ এগিয়ে ১৭–তে উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানও আগের বছরের তুলনায় এক ধাপ এগিয়ে ২৮–এ উঠেছে। তবে দেশটির গণতন্ত্র ‘ত্রুটিপূর্ণ শাসনব্যবস্থা’র অন্তর্ভুক্ত।
কর্তৃত্ববাদী ক্যাটাগরিতে থাকা চীনের অবস্থান এবার তিন ধাপ এগিয়েছে, দেশটির অবস্থান ১৪৫। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি বিসাউয়ের সঙ্গে এবার যৌথভাবে ১৫০ তম অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। গতবার রাশিয়া ছিল ১৪৪তম।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে ভারত। দেশটির অবস্থান ৪১তম, ২০২৩ সালেও একই ছিল। এরপর রয়েছে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা (৬৭তম), ভুটান (৭৯তম), নেপাল (৯৬তম), পাকিস্তান (১২৪তম)।
এশিয়ায় গণতন্ত্র সূচকে ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে যেসব দেশ বেশি খারাপ করেছে, সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের পর পাকিস্তান অন্যতম। আগের বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে দেশটির অবস্থান ছয় ধাপ পিছিয়েছে। তবে এই অঞ্চলে ২০২৩ সালের তুলনায় ১০ ধাপ পিছিয়ে ২০২৪ সালে ৩২তম অবস্থানে নেমে গেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
ইআইইউ জানিয়েছে, ২০২৪ সালে ১৬৭টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ২৫টিতে পূর্ণ গণতন্ত্র ছিল। ৪৬টির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ। বাংলাদেশসহ ৩৬টি দেশ ও অঞ্চলে হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান। আর সবচেয়ে বেশি ৬০টিতে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা ছিল।
ইআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজন নিয়ে চাপে রয়েছে। গণ–অভ্যুত্থানের মুখে দীর্ঘদিনের শাসক শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তারা শাসনভার গ্রহণ করে। তবে নির্বাচন দেওয়ার আগে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করতে চায় তারা। ফলে নির্বাচন আয়োজন ২০২৫ সালের পরেও চলে যেতে পারে।

এক বছরের ব্যবধানে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) গণতন্ত্র সূচকে সবচেয়ে বেশি অবনমন হয়েছে বাংলাদেশের। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ ২৫ ধাপ পিছিয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) ২০২৪ সালের গণতন্ত্র সূচক অনুযায়ী, ১৬৫টি দেশ ও ২টি অঞ্চলের মধ্যে এবার বাংলাদেশের অবস্থান ১০০তম। আগের বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বের আর কোনো দেশের গণতন্ত্রের সূচকে এতটা অবনমন হয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার নিজেদের ওয়েবসাইটে ইআইইউ এই সূচক প্রকাশ করেছে।
বিশ্বের গণতন্ত্রের সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে বিশ্বের ১৬৫টি স্বাধীন দেশ এবং ২টি অঞ্চল নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে ইআইইউ। পাঁচটি বিষয় বিবেচনায় সূচকটি তৈরি করা হয়েছে। এসব বিষয় হচ্ছে—নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদ, সরকারের কার্যকারিতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক স্বাধীনতা। প্রতিটি বিষয়ের স্কোর ১০। এই স্কোরের ভিত্তিতে দেশগুলোর শাসনব্যবস্থাকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে—পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা।
অবশ্য প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৬ সাল থেকে বৈশ্বিক গণতন্ত্রের গড় সূচকের ক্রমাবনতি ঘটছে। বিশেষ করে কোভিড মহামারির সময় থেকে এই অবনমন ত্বরান্বিত হয়েছে।
২০২৩ সালের ইআইইউর গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৫তম। ২০২২ সালে তা ছিল ৭৩তম। অর্থাৎ ২০২৩ সালে আগের বছরের তুলনায় দুই ধাপ পিছিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ২০২৪ সালে এক লাফে ২৫ ধাপ পিছিয়ে ১০০–এ নেমে গেছে।
ইআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে স্কোর সবচেয়ে বেশি কমেছে বাংলাদেশের। এবার বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ৪ দশমিক ৪৪। ২০২৩ সালের তুলনায় স্কোর কমেছে ১ দশমিক ৪৪। এর আগের বছর বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৮৭।
একই স্কোর নিয়ে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনও ১০০তম অবস্থানে রয়েছে। তবে আগের বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে দেশটির অবস্থান নেমেছে তিন ধাপ আর বাংলাদেশের নেমেছে ২৫ ধাপ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের মতো গত বছরও বাংলাদেশ ‘হাইব্রিড শাসনব্যবস্থায়’ থাকলেও এবার তা একেবারে নিচের দিকে নেমে গেছে। যে কোনো সময় কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থায় নেমে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ।
এবার পাঁচটি ক্যাটাগরির মধ্যে ‘সরকারের কার্যকারিতা’ (২ দশমিক ৫৭) ও ‘নাগরিক স্বাধীনতা’ (৩ দশমিক ৫৩)—এ দুই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবচেয়ে কম স্কোর করেছে। তবে ১০-এর মধ্যে ৬ দশমিক শূন্য ৮ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে ভালো করেছে ‘নির্বাচনপ্রক্রিয়া’ ও ‘বহুত্ববাদ’ ক্যাটাগরিতে। ‘রাজনৈতিক অংশগ্রহণ’ ও ‘রাজনৈতিক সংস্কৃতি’ উভয় ক্যাটাগরিতে স্কোর পেয়েছে ৫। ২০২৩ সালে সবচেয়ে কম স্কোর করেছিল ‘নাগরিক স্বাধীনতা’ (৪ দশমিক ৭১) ও ‘রাজনৈতিক অংশগ্রহণ’ (৫ দশমিক ৫৬)। সবচেয়ে বেশি স্কোর করেছিল নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদে (৭ দশমিক ৪২)।
এ ছাড়া ২০০৬ সালে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধরন ছিল ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ক্যাটাগরিতে। এরপর ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের গণতন্ত্র টানা ‘হাইব্রিড শাসনব্যবস্থার’ তকমা পেয়ে আসছে।

হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা বলতে ইআইইউ বোঝায়, এমন ব্যবস্থা যেখানে প্রায়ই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়। এ শাসনব্যবস্থায় বিরোধী দলের ওপর সরকারের চাপ থাকে। বিচারব্যবস্থা স্বাধীন নয়। সাংবাদিকদের চাপ সৃষ্টি ও হয়রানি করা হয়। দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার, দুর্বল আইনের শাসন, দুর্বল নাগরিক সমাজ এমন শাসনব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
আগের বছরের মতো ২০২৪ সালেও গণতন্ত্র সূচকে সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৮১ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড ও সুইডেন। ২০২৩ সালে আইসল্যান্ড তৃতীয় স্থানে থাকলেও এবার দেশটি চতুর্থ স্থানে নেমে এসেছে।
আগের বছরের মতো ২০২৪ সালেও গণতন্ত্র সূচকে তলানিতে (১৬৭ তম) আফগানিস্তান। দেশটির স্কোর শূন্য দশমিক ২৫। ২০২৩ সালে তা ছিল দশমিক ২৬। ২০২৩ সালের মতো এবারও আফগানিস্তানের ওপরের দুই অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে মিয়ানমার (১৬৬ তম) ও উত্তর কোরিয়া (১৬৫তম)।
এবারের তালিকায় যুক্তরাজ্যের অবস্থান এক ধাপ এগিয়ে ১৭–তে উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানও আগের বছরের তুলনায় এক ধাপ এগিয়ে ২৮–এ উঠেছে। তবে দেশটির গণতন্ত্র ‘ত্রুটিপূর্ণ শাসনব্যবস্থা’র অন্তর্ভুক্ত।
কর্তৃত্ববাদী ক্যাটাগরিতে থাকা চীনের অবস্থান এবার তিন ধাপ এগিয়েছে, দেশটির অবস্থান ১৪৫। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি বিসাউয়ের সঙ্গে এবার যৌথভাবে ১৫০ তম অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। গতবার রাশিয়া ছিল ১৪৪তম।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে ভারত। দেশটির অবস্থান ৪১তম, ২০২৩ সালেও একই ছিল। এরপর রয়েছে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা (৬৭তম), ভুটান (৭৯তম), নেপাল (৯৬তম), পাকিস্তান (১২৪তম)।
এশিয়ায় গণতন্ত্র সূচকে ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে যেসব দেশ বেশি খারাপ করেছে, সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের পর পাকিস্তান অন্যতম। আগের বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে দেশটির অবস্থান ছয় ধাপ পিছিয়েছে। তবে এই অঞ্চলে ২০২৩ সালের তুলনায় ১০ ধাপ পিছিয়ে ২০২৪ সালে ৩২তম অবস্থানে নেমে গেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
ইআইইউ জানিয়েছে, ২০২৪ সালে ১৬৭টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ২৫টিতে পূর্ণ গণতন্ত্র ছিল। ৪৬টির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ। বাংলাদেশসহ ৩৬টি দেশ ও অঞ্চলে হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান। আর সবচেয়ে বেশি ৬০টিতে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা ছিল।
ইআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজন নিয়ে চাপে রয়েছে। গণ–অভ্যুত্থানের মুখে দীর্ঘদিনের শাসক শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তারা শাসনভার গ্রহণ করে। তবে নির্বাচন দেওয়ার আগে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করতে চায় তারা। ফলে নির্বাচন আয়োজন ২০২৫ সালের পরেও চলে যেতে পারে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
৩ ঘণ্টা আগে
মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করে
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৩টি আসন থেকে ৩৩৮টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৭৮টি। রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৯ আসন থেকে ৩২৯টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৬০টি। বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলার ২১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ২১২টি, জমা পড়েছে ১৬৬টি। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলার ১৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ১৬৫টি, জমা পড়েছে ১৪২টি।
খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬ আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৫৮টি, জমা পড়েছে ২৭৬টি। ঢাকা অঞ্চলের ৬ জেলার ৪১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৬৩৮টি, জমা পড়েছে ৪৪৪টি।
ময়মনসিংহের ৬টি জেলার ৩৮টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪০২টি, জমা পড়েছে ৩১১টি। সিলেটের ৪ জেলার ১৯টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ১৭৬টি, জমা পড়েছে ১৪৬টি। কুমিল্লার ৬ জেলার ৩৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪৯৬টি, জমা পড়েছে ৩৬৫টি। চট্টগ্রামের ৫ জেলার ২৩টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ২৯৩টি, জমা পড়েছে ১৯৪টি।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল করার সময় ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।
আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৩টি আসন থেকে ৩৩৮টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৭৮টি। রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৯ আসন থেকে ৩২৯টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৬০টি। বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলার ২১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ২১২টি, জমা পড়েছে ১৬৬টি। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলার ১৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ১৬৫টি, জমা পড়েছে ১৪২টি।
খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬ আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৫৮টি, জমা পড়েছে ২৭৬টি। ঢাকা অঞ্চলের ৬ জেলার ৪১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৬৩৮টি, জমা পড়েছে ৪৪৪টি।
ময়মনসিংহের ৬টি জেলার ৩৮টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪০২টি, জমা পড়েছে ৩১১টি। সিলেটের ৪ জেলার ১৯টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ১৭৬টি, জমা পড়েছে ১৪৬টি। কুমিল্লার ৬ জেলার ৩৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪৯৬টি, জমা পড়েছে ৩৬৫টি। চট্টগ্রামের ৫ জেলার ২৩টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ২৯৩টি, জমা পড়েছে ১৯৪টি।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল করার সময় ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।
আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।

লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) ২০২৪ সালের গণতন্ত্র সূচক অনুযায়ী, ১৬৫টি দেশ ও ২টি অঞ্চলের মধ্যে এবার বাংলাদেশের অবস্থান ১০০ তম। আগের বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বের আর কোনো দেশের গণতন্ত্রের সূচকে এতটা অবনমন হয়নি।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
৩ ঘণ্টা আগে
মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করে
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এই চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২২ সালের ১৯ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি ও পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদার, দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিবপ্রসাদ ব্যানার্জী, পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জী, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এম এ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার এবং এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার।
তদন্তে আরও ছয়জনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় দুদক। তাঁরা হলেন ইটা অ্যান্ড টাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নওশেরুল ইসলাম, দিয়া অয়েল লিমিটেডের এমডি বাসুদেব ব্যানার্জী, পরিচালক পূজা ব্যানার্জী, এমএসটি মেরিন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডার্স লিমিটেডের পরিচালক অমল চন্দ্র দাস, মমতাজ বেগম এবং বিডিএস অ্যাডজাস্টার্সের চিফ এক্সিকিউটিভ ইবনে মোফাজ্জল বারকি।
আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে অবৈধ উপায়ে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামে ঋণ হিসেবে ৪৪ কোটি টাকা গ্রহণ করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান মামলার অন্যতম আসামি এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক এম ডি রাসেল শাহরিয়ারকে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে এই মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠায়।
কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা পি কে হালদার। তিনি শিবশংকর হালদার নামে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরও পাঁচজন। পরে প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে পি কে হালদার ভারতের কারাগারে রয়েছেন।

দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এই চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২২ সালের ১৯ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি ও পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদার, দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিবপ্রসাদ ব্যানার্জী, পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জী, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এম এ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার এবং এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার।
তদন্তে আরও ছয়জনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় দুদক। তাঁরা হলেন ইটা অ্যান্ড টাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নওশেরুল ইসলাম, দিয়া অয়েল লিমিটেডের এমডি বাসুদেব ব্যানার্জী, পরিচালক পূজা ব্যানার্জী, এমএসটি মেরিন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডার্স লিমিটেডের পরিচালক অমল চন্দ্র দাস, মমতাজ বেগম এবং বিডিএস অ্যাডজাস্টার্সের চিফ এক্সিকিউটিভ ইবনে মোফাজ্জল বারকি।
আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে অবৈধ উপায়ে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামে ঋণ হিসেবে ৪৪ কোটি টাকা গ্রহণ করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান মামলার অন্যতম আসামি এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক এম ডি রাসেল শাহরিয়ারকে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে এই মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠায়।
কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা পি কে হালদার। তিনি শিবশংকর হালদার নামে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরও পাঁচজন। পরে প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে পি কে হালদার ভারতের কারাগারে রয়েছেন।

লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) ২০২৪ সালের গণতন্ত্র সূচক অনুযায়ী, ১৬৫টি দেশ ও ২টি অঞ্চলের মধ্যে এবার বাংলাদেশের অবস্থান ১০০ তম। আগের বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বের আর কোনো দেশের গণতন্ত্রের সূচকে এতটা অবনমন হয়নি।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
৩ ঘণ্টা আগে
মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করে
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর সমাজীকে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদার সুবিধায় ওই দায়িত্ব দিয়ে আজ সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১২ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণাকালে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি আততায়ীর গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে ১৮ ডিসেম্বর তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে ঢাকা মহানগরীর পল্টন থানায় ১৪ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে। ডিএমপির অধীনে এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় মামলাটি দ্রুত তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
হাদি হত্যাকাণ্ডের মামলা তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা বা তদন্তসংশ্লিষ্টদের এবং পরে আদালতে বিচারকালে বিচারসংশ্লিষ্ট প্রসিকিউশন টিমকে প্রয়োজনীয় আইনি পরামর্শ দেওয়ার জন্য এহসানুল হক সমাজীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর সমাজীকে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদার সুবিধায় ওই দায়িত্ব দিয়ে আজ সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১২ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণাকালে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি আততায়ীর গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে ১৮ ডিসেম্বর তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে ঢাকা মহানগরীর পল্টন থানায় ১৪ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে। ডিএমপির অধীনে এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় মামলাটি দ্রুত তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
হাদি হত্যাকাণ্ডের মামলা তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা বা তদন্তসংশ্লিষ্টদের এবং পরে আদালতে বিচারকালে বিচারসংশ্লিষ্ট প্রসিকিউশন টিমকে প্রয়োজনীয় আইনি পরামর্শ দেওয়ার জন্য এহসানুল হক সমাজীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) ২০২৪ সালের গণতন্ত্র সূচক অনুযায়ী, ১৬৫টি দেশ ও ২টি অঞ্চলের মধ্যে এবার বাংলাদেশের অবস্থান ১০০ তম। আগের বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বের আর কোনো দেশের গণতন্ত্রের সূচকে এতটা অবনমন হয়নি।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
২ ঘণ্টা আগে
মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করে
৪ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য র্যাপিড পাস অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে।
ডিটিসিএ সূত্র জানিয়েছে, এক মাস ধরে র্যাপিড পাস অ্যাপটি নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি। অ্যাপটি তৈরি করে ইতিমধ্যে গুগলের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গুগল বিভিন্ন ধাপে অ্যাপটির পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার আজ সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, র্যাপিড পাস অ্যাপটি মোটামুটি প্রস্তুত। আগামী দুই–এক দিনের মধ্যে এটি জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এতে যাত্রীদের আরও বেশি সুবিধা হবে।
অ্যাপটি ব্যবহারের নিয়ম
ডিটিসিএ সূত্র জানায়, র্যাপিড পাস অ্যাপ ব্যবহার করতে হলে যেসব গ্রাহক ইতিমধ্যে rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাঁরা একই ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাপে লগইন করতে পারবেন। লগইনের পর ব্যবহারকারী ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারিত অ্যামাউন্ট সেট করে রিচার্জের জন্য প্রসেস দিতে পারবেন। এ সময় ব্যাংকের কার্ডের পাশাপাশি বিকাশ ও নগদের মাধ্যমেও সহজে রিচার্জ করা যাবে।
অনলাইনে রিচার্জ সম্পন্ন হওয়ার পর র্যাপিড পাস বা এমআরটি পাস কার্ডটি মেট্রো স্টেশনে থাকা এভিএমে (অ্যাড ভ্যালু মেশিন) ট্যাগ করলেই রিচার্জ করা অর্থ কার্ডে অ্যাকটিভ হয়ে যাবে। পাশাপাশি অ্যাপের মাধ্যমে কার্ডে থাকা বর্তমান ব্যালেন্স, কোথায় কোথায় ভ্রমণ করা হয়েছে—এসব বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। একই সঙ্গে যদি ব্যবহারকারীর মোবাইলে নিয়ার–ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) সুবিধা থাকে, তাহলে মোবাইলের নিচে র্যাপিড পাস কার্ড ধরলেই অ্যাপের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্ডে থাকা টাকার পরিমাণ মোবাইলের স্ক্রিনে দেখা যাবে।
ডিটিসিএ জানিয়েছে, র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জের সুবিধা নিশ্চিত করতে মেট্রোর ১৬টি স্টেশনে দুটি করে মোট ৩২টি এভিএম বসানো হয়েছে। যাত্রীরা অনলাইনে রিচার্জ করার পর স্টেশনে থাকা এভিএম মেশিনে কার্ড স্পর্শ করলেই রিচার্জ সক্রিয় হয়ে যাবে।
ডিটিসিএ সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ১৭ লাখ গ্রাহক র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ২ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, অর্থাৎ তাঁরা অনলাইনে রিচার্জ সুবিধা ব্যবহার করছেন।
ডিটিসিএ কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীদের সময় ও ঝামেলা কমাতেই অ্যাপের মাধ্যমে রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সহজেই অর্থ যোগ করা যাবে, ফলে যাতায়াত আরও নিরবচ্ছিন্ন হবে। মেট্রোরেল চালুর পর থেকে যাত্রীরা স্বল্প সময়ে র্যাপিড পাস ব্যবহার করে যাতায়াতের সুবিধা পাচ্ছেন। অ্যাপ ব্যবহার করে অনলাইন রিচার্জ যুক্ত হওয়ায় ডিজিটাল সেবার পরিধি আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৫ নভেম্বর মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন রিচার্জ সেবা চালু করা হয়েছিল। সেই সময় প্রধান উপদেষ্টার সড়ক, সেতু ও রেলযোগাযোগবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন।

মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য র্যাপিড পাস অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে।
ডিটিসিএ সূত্র জানিয়েছে, এক মাস ধরে র্যাপিড পাস অ্যাপটি নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি। অ্যাপটি তৈরি করে ইতিমধ্যে গুগলের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গুগল বিভিন্ন ধাপে অ্যাপটির পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার আজ সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, র্যাপিড পাস অ্যাপটি মোটামুটি প্রস্তুত। আগামী দুই–এক দিনের মধ্যে এটি জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এতে যাত্রীদের আরও বেশি সুবিধা হবে।
অ্যাপটি ব্যবহারের নিয়ম
ডিটিসিএ সূত্র জানায়, র্যাপিড পাস অ্যাপ ব্যবহার করতে হলে যেসব গ্রাহক ইতিমধ্যে rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাঁরা একই ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাপে লগইন করতে পারবেন। লগইনের পর ব্যবহারকারী ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারিত অ্যামাউন্ট সেট করে রিচার্জের জন্য প্রসেস দিতে পারবেন। এ সময় ব্যাংকের কার্ডের পাশাপাশি বিকাশ ও নগদের মাধ্যমেও সহজে রিচার্জ করা যাবে।
অনলাইনে রিচার্জ সম্পন্ন হওয়ার পর র্যাপিড পাস বা এমআরটি পাস কার্ডটি মেট্রো স্টেশনে থাকা এভিএমে (অ্যাড ভ্যালু মেশিন) ট্যাগ করলেই রিচার্জ করা অর্থ কার্ডে অ্যাকটিভ হয়ে যাবে। পাশাপাশি অ্যাপের মাধ্যমে কার্ডে থাকা বর্তমান ব্যালেন্স, কোথায় কোথায় ভ্রমণ করা হয়েছে—এসব বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। একই সঙ্গে যদি ব্যবহারকারীর মোবাইলে নিয়ার–ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) সুবিধা থাকে, তাহলে মোবাইলের নিচে র্যাপিড পাস কার্ড ধরলেই অ্যাপের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্ডে থাকা টাকার পরিমাণ মোবাইলের স্ক্রিনে দেখা যাবে।
ডিটিসিএ জানিয়েছে, র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জের সুবিধা নিশ্চিত করতে মেট্রোর ১৬টি স্টেশনে দুটি করে মোট ৩২টি এভিএম বসানো হয়েছে। যাত্রীরা অনলাইনে রিচার্জ করার পর স্টেশনে থাকা এভিএম মেশিনে কার্ড স্পর্শ করলেই রিচার্জ সক্রিয় হয়ে যাবে।
ডিটিসিএ সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ১৭ লাখ গ্রাহক র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ২ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, অর্থাৎ তাঁরা অনলাইনে রিচার্জ সুবিধা ব্যবহার করছেন।
ডিটিসিএ কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীদের সময় ও ঝামেলা কমাতেই অ্যাপের মাধ্যমে রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সহজেই অর্থ যোগ করা যাবে, ফলে যাতায়াত আরও নিরবচ্ছিন্ন হবে। মেট্রোরেল চালুর পর থেকে যাত্রীরা স্বল্প সময়ে র্যাপিড পাস ব্যবহার করে যাতায়াতের সুবিধা পাচ্ছেন। অ্যাপ ব্যবহার করে অনলাইন রিচার্জ যুক্ত হওয়ায় ডিজিটাল সেবার পরিধি আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৫ নভেম্বর মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন রিচার্জ সেবা চালু করা হয়েছিল। সেই সময় প্রধান উপদেষ্টার সড়ক, সেতু ও রেলযোগাযোগবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন।

লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) ২০২৪ সালের গণতন্ত্র সূচক অনুযায়ী, ১৬৫টি দেশ ও ২টি অঞ্চলের মধ্যে এবার বাংলাদেশের অবস্থান ১০০ তম। আগের বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বের আর কোনো দেশের গণতন্ত্রের সূচকে এতটা অবনমন হয়নি।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
৩ ঘণ্টা আগে