Ajker Patrika

নিরাপত্তাহীনতায় ট্রেনযাত্রীরা

  • শুধু আন্তনগর ট্রেনে তিনজন করে পুলিশ সদস্য।
  • কমলাপুর স্টেশনেও প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে ঘাটতি।
  • ৬ বছরে ট্রেনে ১০টি ধর্ষণের ঘটনা।
  • লোকাল ট্রেনে নিরাপত্তা নেই, অপরাধের ঝুঁকি বেশি।
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা 
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৫, ১১: ৫৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ট্রেন দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ গণপরিবহন। অপেক্ষাকৃত নিম্ন আয়ের মানুষসহ বিশাল জনগোষ্ঠী এর ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু সাম্প্রতিককালে এতে ভ্রমণকালে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। নিয়মিত যাত্রীদের অভিযোগ, চলন্ত ট্রেনে প্রায়ই ঘটছে চুরি, ছিনতাই। কখনো কখনো ঘটছে ধর্ষণ এবং ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার মতো গুরুতর অপরাধও। এতে যাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। প্রশ্ন উঠেছে ট্রেনে যাত্রীর নিরাপত্তায় কর্তৃপক্ষের গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে।

গত কয়েক বছরে ট্রেনে ধর্ষণের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ ২৫ জুন সকালে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় রংপুর এক্সপ্রেসের টয়লেটে এক নারী যাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে রেলওয়ের অস্থায়ী কর্মচারী সাইফুল ইসলামকে (২৮) আটক করা হয়েছে।

ট্রেনে ধর্ষণের এ পর্যন্ত সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে ২০২৪ সালের ২৬ জুন। এদিন চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসে এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হন। অভিযুক্তরা রেলের খাবার সরবরাহকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছিলেন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ থেকে ২০২৫ সালের ২৫ জুন পর্যন্ত ট্রেনে ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে অন্তত ১০টি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ছিলেন রেলকর্মী বা রেলসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। এসব ঘটনায় মামলা হলেও বিচারপ্রক্রিয়ার গতি ধীর। অনেক ক্ষেত্রে বিচারের মুখ দেখেননি ভুক্তভোগীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধর্ষণের ঘটনা বেশি ঘটে ট্রেনের টয়লেটে। এরপর খাবার বগিতে। অনেক নারীই সম্মানহানির ভয়ে যৌন হয়রানির বিষয়টি চেপে রাখার চেষ্টা করেন। তবে কেউ কেউ আবার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। সে ঘটনাগুলোই মূলত সামনে আসছে।

রেলের অস্থায়ী কর্মচারীরা এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটাচ্ছেন বলে তাঁদের নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁদের হাতে যাত্রীরা নিরাপদ কি না, এ প্রশ্ন তুলেছে যাত্রী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ও ব্যক্তিরা।

গণপরিবহনের যাত্রী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, রেলে জিআরপি এবং আরএনবির মতো দুটি বাহিনী কাজ করছে। কিন্তু যাত্রীরা তারপরও নিরাপদ নয়। ট্রেনে শুধু মালপত্র চুরি নয়, ধর্ষণ ও ডাকাতির মতো বড় অপরাধের ঘটনা ঘটছে। ডাকাতির সময় যাত্রীকে শ্বাস রোধ করে মেরে বাইরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। ফলে যাত্রীরা ট্রেনে অনিরাপদ। যাঁরা যাত্রী ও রেললাইনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত, তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। মামলা ও শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে অপরাধ কমবে।

চুরি, ছিনতাই নিয়মিত ঘটনা

চলন্ত ট্রেনে যাত্রীদের মালামাল চুরি, মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ নিয়মিত পাওয়া যায়। একাধিক যাত্রী অভিযোগ করেছেন, অনেক সময় অপরিচিত লোক ট্রেনের কামরায় ঢুকে টিকিটধারী বৈধ যাত্রীর আসনকে নিজের দাবি করে হুমকি-ধমকি দেয়। একপর্যায়ে ব্যাগ বা মোবাইল কেড়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ছুরি ঠেকিয়েও লুট করা হয়। যাত্রীদের ট্রেনের দরজা দিয়ে ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।

গত বৃহস্পতিবার রাজধানী তথা দেশের প্রধান রেলস্টেশন কমলাপুরে ঘুরে শিথিল নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখা যায়। টিকিট ছাড়া যাত্রীরা অনায়াসে স্টেশনে প্রবেশ করছিল। টিকিটহীন বা উটকো লোকের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ ঠেকানোর কোনো তৎপরতা নেই। এ ছাড়া ট্রেনে নির্বিঘ্নে উঠছিল হকার। কয়েকজন যাত্রী বললেন, হকারসহ অনাকাঙ্ক্ষিত এসব লোকজনের উপস্থিতি শুধু বিরক্তিকর না, তা নিরাপত্তার দিক থেকেও অগ্রহণযোগ্য।

সুমি হালদার নামের রেলের এক নিয়মিত যাত্রী এ সময় বলেন, ‘ট্রেনযাত্রা এখন অনেকটা আতঙ্কের বিষয়েই পরিণত হয়েছে। এসি চেয়ারেও অযাচিত লোক ঘোরাফেরা করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকদের দেখা যায় না বললেই চলে। যা দু-একজন থাকে, তাদের বিনা টিকিটের যাত্রীদের নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখি।’

পাথর ছোড়াও বন্ধ হচ্ছে না

রেলযাত্রার আরেক পুরোনো সমস্যা লাইনের পাশ থেকে লোকজনের চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারা। এ ঘটনায় বহু যাত্রী আহত হয়েছে চোখে-মুখে পাথর বা জানালার ভাঙা কাচ লেগে। ঘটনার পরপর বা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনাও আছে। ট্রেনে দায়িত্বরত গার্ড, চালক, পুলিশসহ অন্য কর্মীদেরও আহত হওয়ার নজির আছে। ২০১৩ সালে চলন্ত ট্রেনে ছোড়া ঢিলে প্রীতি দাস নামের একজন প্রকৌশলীর মৃত্যু হয়। প্রাপ্ত তথ্যমতে, শুধু ২০২৩-২৪ অর্থবছরেই ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে ৫০টির বেশি। রেল কর্তৃপক্ষের প্রচারণা, আবেদন-নিবেদন, অপরাধী ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কারের ঘোষণা ইত্যাদির পরও এ বিষয়ে তেমন অগ্রগতি নেই। রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারা অনুযায়ী, ট্রেনে পাথর ছোড়ার শাস্তি সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা। পাথর নিক্ষেপে কারও মৃত্যু হলে ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ডের বিধানও রয়েছে। তবে পাথর ছোড়ার জন্য এ আইনে কারও শাস্তির কোনো নজির নেই বলেই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

নিরাপত্তার অপ্রতুল ব্যবস্থা

সারা দেশে বর্তমানে মোট ৩৮৮টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলে। এর মধ্যে ১০৬টি আন্তনগর ট্রেন, ১৮০টি মেইল ও কমিউটার ট্রেন এবং ১০২টি লোকাল ট্রেন। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এসব ট্রেনে যাতায়াত করে। আন্তনগর ট্রেনে রেল পুলিশের তিনজন সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের কাজ যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা ও মালামালের দেখভাল করা। শত শত যাত্রীবাহী অনেকগুলো কামরার পুরো একটি ট্রেনে ৩ জন পুলিশ সদস্য কতটা নিরাপত্তা দিতে পারেন, এ নিয়ে যাত্রীরা প্রশ্ন তুলেছে। তার ওপর একই পথে চলাচল করা মেইল, কমিউটার ও লোকাল ট্রেনগুলোয় এ ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থাও নেই। ফলে মূলত এসব ট্রেনেই অপরাধ ঘটছে। কিছু ট্রেনে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে, যার অনেকগুলোই নষ্ট বা অকার্যকর। ৪৬৬টি রেলস্টেশনের মধ্যে সিসিটিভি আছে মাত্র ৩৭ শতাংশ স্টেশনে।

কর্মকর্তারা যা বললেন

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন গত বৃহস্পতিবার বলেন, ‘ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রেল পুলিশের (জিআরপি)। আমাদের সুপারিশ ছিল, প্রতিটি ট্রেনে অন্তত পাঁচজন পুলিশ সদস্য রাখার, যদিও তা-ও সে অর্থে পর্যাপ্ত নয়। যাত্রী নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে আমরা জিআরপিকে বলব। রেলের নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) মূলত রেলওয়ের স্থাপনাসমূহ ও সম্পদ রক্ষায় কাজ করে। ট্রেনের ভেতরে যাত্রী নিরাপত্তা ও অপরাধ দমনের দায়িত্ব জিআরপির ওপরই বর্তায়। তবে রেলের জনবলসংকট রয়েছে। তাই কিছু জায়গায় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অস্থায়ী জনবল দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে।’

রেল পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বি এম হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘সারা দেশে অনেকগুলো ট্রেন চলাচল করে। সব ট্রেনে ৩-৪ জন পুলিশ সদস্য দেওয়া সম্ভব হয় না। কারণ, আমাদের লোকবলের সংকট আছে। আর একটি ট্রেনে মাত্র ৩ জন পুলিশ দিয়েও নিরাপত্তা দেওয়া যায় না। ফলে যাত্রীদের নিরাপত্তায় কিছুটা তো ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। তবে সীমাবদ্ধতা থাকলেও যাত্রীদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির খুনিদের আশ্রয় দেওয়া দুই ভারতীয়কে আটক করেছে মেঘালয় পুলিশ: ডিএমপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৩৭
শরিফ ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত
শরিফ ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, ‘এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে। ভারতে তাদের যারা আশ্রয় দিয়েছিল, সেই দুজনকে আটক করেছে মেঘালয় পুলিশ।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এবং অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম এই তথ্য জানান।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী ফয়সাল করিম দাউদ ওরফে রাহুল ও তার সহযোগী আলমগীর শেখের সহযোগী ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, চারজন সাক্ষী হয়েছেন।’

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে তদন্ত শেষ পর্যায়ে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এই মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে হাদি হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী ছিল—এমন প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবির প্রধান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, তদন্তে যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, সেই মোতাবেক এটি একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘মূল দুই আসামি ফয়সাল করিম ওরফে মাসুদ ওরফে রাহুল, মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুজনেই ভারতে পালিয়ে গেছে। আমাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে মেঘালয় পুলিশ পাচারে সহায়তার অভিযোগে সেখানকার দুজনকে আটক করেছে।’

মেঘালয় পুলিশ পুর্তি ও সামী নামে ভারতের দুই নাগরিককে আটক করেছে বলে জানান নজরুল ইসলাম।

এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাদির হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত। ঘটনার পর ফয়সাল ও আলমগীর শেখ ঢাকা থেকে সিএনজিতে (অটোরিকশা) করে আমিনবাজারে যান। সেখান থেকে গাড়িতে করে কালামপুড়ে যান। কালামপুর থেকে আরেকটি গাড়িতে করে ময়মনসিংহ সীমান্তে যান। সেখানে ফয়সাল ও আলমগীরকে গ্রহণ করে ফিলিপ স্নাল ও সঞ্জয়। তাঁরা সীমান্তে অবৈধভাবে মানুষ পারাপার করেন। পরে ফিলিপ দুজনকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে নিয়ে যান।’

নজরুল ইসলাম বলেন, ফিলিপ ফয়সাল ও আলমগীরকে ভারতের তুরা নামক স্থানে নিয়ে যান। সেখানে ভারতীয় নাগরিক পুর্তির কাছে দুজনকে পৌঁছে দেন। পরে সামী নামের এক ব্যক্তির গাড়িতে করে সেখান থেকে পালিয়ে যান তাঁরা।

একই সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৫ আগস্ট (২০২৪) যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তারাই জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যাকাণ্ড: ফয়সাল ও তাঁর সহযোগী ভারতে পালিয়েছেন—জানাল ডিএমপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৫
হাদি হত্যাকাণ্ড মামলার তদন্তে অগ্রগতি নিয়ে ডিএমপির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাদি হত্যাকাণ্ড মামলার তদন্তে অগ্রগতি নিয়ে ডিএমপির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।

আজ রোববার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর এক সহযোগী ময়মনসিংহের দুর্গম সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন। পুলিশি নজরদারি এড়াতে তাঁরা স্থানীয় দালাল চক্রের সহায়তা নিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়, এটি ছিল সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো একটি পরিকল্পনা। ডিএমপি এ পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যেখানে তারা হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ এবং পরিকল্পনার খুঁটিনাটি প্রকাশ করেছে।’ ডিএমপি আশা করছে, আগামী ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে এই মামলার একটি পূর্ণাঙ্গ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হবে।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১২ ডিসেম্বর হামলার শিকার হন ওসমান হাদি। ওই দিন বেলা আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে অনুসারীদের নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলে আসা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর এক সহযোগী চলন্ত অবস্থায় হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালান।

গুলিবিদ্ধ হাদিকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে এবং পরে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন। প্রাথমিক এজাহারে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হলেও হাদির মৃত্যুর পর ২০ ডিসেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদের নির্দেশে মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৪
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

শপথ অনুষ্ঠানে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, অন্যান্য উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২৩ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইনসচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজকোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান তিনি। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্র: ১৩০ কোটি খরচ না করায় ক্ষতি ৩০০০ কোটি টাকা

ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১১
শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্র: ১৩০ কোটি খরচ না করায় ক্ষতি ৩০০০ কোটি টাকা

জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।

বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।

বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।

বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।

শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’

কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।

১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।

বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত