শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

নানা কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন বাংলাদেশিরা। অন্য দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব ছাড়ার হার দিন দিন বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বহাল রেখে দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার হার। মূলত দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগের হার বাড়ছে বলে পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৬০৬ জন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। এই আট বছরে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়েছেন ১৪ হাজার ৬৮৫ জন।
২০১৭ সালে ১১৯ জন, ২০১৮ সালে ৩৬৫ জন, ২০১৯ সালে ৩৫৬ জন, ২০২০ সালে ৩২৩ জন, ২০২১ সালে ১৬৫ জন, ২০২২ সালে ৪২১ জন, ২০২৩ সালে ৫৪৮ জন এবং ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ৩০৯ জন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে ইউরোপের অন্যতম শীর্ষ অর্থনীতি ও প্রযুক্তির দেশ জার্মানির নাগরিকত্ব নেওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। এর পরে আছে জার্মানিরই প্রতিবেশী অস্ট্রিয়া এবং পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, মন্ত্রণালয় বিভক্ত হওয়ার পর নাগরিকত্ব পরিত্যাগের তথ্য হারিয়ে যায়। ফলে ২০১৭ সালের আগে কতজন বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেছেন, সে তথ্য সুরক্ষা সেবা বিভাগে নেই। তাঁদের ধারণা, ২০১৭ সালের আগে সংখ্যাটি এখনকার তুলনায় বেশ কম ছিল।
পছন্দের শীর্ষে জার্মানি
গত আট বছরে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে ৪০টির বেশি দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশিরা। গত আট বছরে ১ হাজার ২৮১ জন বাংলাদেশি জার্মানির, ৩৯২ জন অস্ট্রিয়ার, ১৮০ জন সিঙ্গাপুর, ১৫১ জন ভারত, ৬০ জন কোরিয়া, ৫৭ জন নরওয়ে, ২৫ জন যুক্তরাজ্য, ১৭ জন ইউক্রেন, ১৫ জন শ্রীলঙ্কা, ১৩ জন করে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরান; ১১ জন ইন্দোনেশিয়া ও ৯ জন বুলগেরিয়ার নাগরিকত্ব নিয়েছেন। এ ছাড়া পাকিস্তান ও মিয়ানমারের নাগরিকত্ব নিয়েছেন ৪ জন।
দ্বৈত নাগরিকত্ব ৩৩ হাজার
১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশিদের দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদন শুরু করে সরকার। এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৮৭৫ জনের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। ১৯৮৮ সালে ২২৭ জনকে দ্বৈত নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। সুরক্ষা সেবা বিভাগের তথ্যে ক্রমেই দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার তথ্য বাড়তে দেখা যায়। কয়েক বছরের ব্যবধান দিয়ে উপাত্তের দিকে তাকালে পাওয়া যায়: ১৯৮৯ সালে ৩১৫ জন, ২০০০ সালে ২৮৬ জন, ২০০৮ সালে ১ হাজার ১৮০ জন, ২০১৪ সালে ১ হাজার ৬৯৯ জন, ২০২০ সালে ১ হাজার ১৮৭ জন, ২০২২ সালে ১ হাজার ৭৮৬ জন এবং ২০২৩ সালে ৪ হাজার ১৩৩ জন বাংলাদেশি দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়েছেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনেক দুর্নীতিবাজ ও নব্য ধনীর বিদেশে অর্থ পাচারের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের বিদেশে পাড়ি জমানোর কথা জানা যায়। ওই সরকারের শেষ দিকে বাংলাদেশিদের আরও বেশি দেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশিদের নতুন করে আরও ৪৪টি দেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার সুযোগ করে দেয় মন্ত্রিসভা। এর আগে ৫৭টি দেশের নাগরিকেরা এ সুযোগ পেতেন। কয়েকটি শীর্ষ ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কর্ণধাররা নিজে কিংবা তাদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন বা দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী বলে মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে।
কোনো কোনো দেশের পাসপোর্ট পাওয়ার শর্ত হিসেবে আগের দেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে হয়। আবার কোনো কোনো দেশের পাসপোর্ট পাওয়ার পর নাগরিক হিসেবে শপথ নিতে হলে আগের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে হয়। এ জন্য উল্লিখিত বাংলাদেশিরা নাগরিকত্ব ছেড়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, কোনো বাংলাদেশি অন্য দেশের পাসপোর্ট (অর্থাৎ নাগরিকত্ব) গ্রহণের পর বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখতে না চাইলেও এ দেশে ৭৫ হাজার ডলার স্থায়ী বিনিয়োগ করে সহজেই স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পান। সুরক্ষা সেবা বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, কোনো বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগ করলেও তার পরবর্তী তিন প্রজন্মের বংশধরের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব স্বয়ংক্রিয়ভাবে বহাল থাকবে।
সুরক্ষা সেবা বিভাগের নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগের উপসচিব আলীমুন রাজীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইন অনুযায়ী বাংলাদেশিরা নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে পারেন। ১০১টি দেশের নাগরিকেরা বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব পান।’
৪৫২ বিদেশি পেয়েছেন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব
১৯৮৮ সালে প্রথম ৪ জন বিদেশিকে নাগরিকত্ব দেয় বাংলাদেশ। ১৯৮৯ সালে নাগরিকত্ব পান ৩৩ বিদেশি। এরপর ২০০৩ ও ২০১০ সাল ছাড়া প্রতিবছরই কিছু না কিছু বিদেশিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৪৫২ জন বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই নাগরিকত্ব পেয়েছেন বৈবাহিক সূত্রে। দীর্ঘদিন ধরে বসবাসের কারণেও বেশ কয়েকজনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।
আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিই কারণ
দেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি, নিরন্তর রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতির কারণে আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান ও উচ্চ দক্ষতার ব্যক্তিদের মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদে বা স্থায়ীভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। সংবাদপত্রের প্রতিবেদন, বিভিন্ন জরিপ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টে মেধাবীদের বিদেশে শিক্ষা গ্রহণের পরও থেকে যাওয়া এবং দেশ থেকে সামর্থ্যবানদের বিদেশে পাড়ি জমানোর প্রবণতার চিত্র পাওয়া যায়। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সাম্প্রতিক লেখালেখি ও গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ার চরমভাবাপন্ন হয়ে পড়া, খাদ্যে ভেজালের দৌরাত্ম্য, শিক্ষার মানের অবনতি ইত্যাদির কারণেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে বিত্তবানদের মধ্যে দেশ ছাড়ার ঘটনা বাড়ছে। বৈধ ও অবৈধভাবে অভিবাসী কর্মীদেরও একটি অংশ বিদেশে স্থায়ী হন।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগে ‘নেক্সট জেনারেশন বাংলাদেশ ২০২৪’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনের ফল প্রকাশিত হয় ৬ নভেম্বর। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ তরুণ বেকারত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং ৫৫ শতাংশ তরুণ দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যেতে আগ্রহী।
সার্বিকভাবে দেশে সুশাসনের অভাব থাকাতেই সুযোগ পেলে অনেকে দেশ ছাড়ছেন বলে মনে করেন শীর্ষ বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ ইনিশিয়েটিভ কর্মসূচির প্রধান শরিফুল ইসলাম হাসান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের যত গল্পই বলি না কেন, বাস্তবতা হচ্ছে সুযোগ পেলেই লোকজন দেশ ছেড়ে যেতে চান। এর একটা বড় কারণ হলো, সুশাসনের ঘাটতি। যখন কেউ দেখে যে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই, ক্রসফায়ার-গুম হচ্ছে, এসব কারণে নিজের বা সন্তানের ভবিষ্যতের চিন্তা করে তাঁরা দেশ ছাড়ছেন। রাজনীতিবিদ বা আমলারা যতই দেশের উন্নয়নের কথা বলেন না কেন, তাঁদের অনেকেই মনে করেন, দেশের আসলে ভবিষ্যৎ নেই। এ জন্য নিজের সন্তানদের বিদেশে পাঠান, নিজের বাড়ি-গাড়ি বিদেশেই করেন।’

নানা কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন বাংলাদেশিরা। অন্য দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব ছাড়ার হার দিন দিন বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বহাল রেখে দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার হার। মূলত দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগের হার বাড়ছে বলে পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৬০৬ জন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। এই আট বছরে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়েছেন ১৪ হাজার ৬৮৫ জন।
২০১৭ সালে ১১৯ জন, ২০১৮ সালে ৩৬৫ জন, ২০১৯ সালে ৩৫৬ জন, ২০২০ সালে ৩২৩ জন, ২০২১ সালে ১৬৫ জন, ২০২২ সালে ৪২১ জন, ২০২৩ সালে ৫৪৮ জন এবং ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ৩০৯ জন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে ইউরোপের অন্যতম শীর্ষ অর্থনীতি ও প্রযুক্তির দেশ জার্মানির নাগরিকত্ব নেওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। এর পরে আছে জার্মানিরই প্রতিবেশী অস্ট্রিয়া এবং পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, মন্ত্রণালয় বিভক্ত হওয়ার পর নাগরিকত্ব পরিত্যাগের তথ্য হারিয়ে যায়। ফলে ২০১৭ সালের আগে কতজন বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেছেন, সে তথ্য সুরক্ষা সেবা বিভাগে নেই। তাঁদের ধারণা, ২০১৭ সালের আগে সংখ্যাটি এখনকার তুলনায় বেশ কম ছিল।
পছন্দের শীর্ষে জার্মানি
গত আট বছরে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে ৪০টির বেশি দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশিরা। গত আট বছরে ১ হাজার ২৮১ জন বাংলাদেশি জার্মানির, ৩৯২ জন অস্ট্রিয়ার, ১৮০ জন সিঙ্গাপুর, ১৫১ জন ভারত, ৬০ জন কোরিয়া, ৫৭ জন নরওয়ে, ২৫ জন যুক্তরাজ্য, ১৭ জন ইউক্রেন, ১৫ জন শ্রীলঙ্কা, ১৩ জন করে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরান; ১১ জন ইন্দোনেশিয়া ও ৯ জন বুলগেরিয়ার নাগরিকত্ব নিয়েছেন। এ ছাড়া পাকিস্তান ও মিয়ানমারের নাগরিকত্ব নিয়েছেন ৪ জন।
দ্বৈত নাগরিকত্ব ৩৩ হাজার
১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশিদের দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদন শুরু করে সরকার। এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৮৭৫ জনের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। ১৯৮৮ সালে ২২৭ জনকে দ্বৈত নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। সুরক্ষা সেবা বিভাগের তথ্যে ক্রমেই দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার তথ্য বাড়তে দেখা যায়। কয়েক বছরের ব্যবধান দিয়ে উপাত্তের দিকে তাকালে পাওয়া যায়: ১৯৮৯ সালে ৩১৫ জন, ২০০০ সালে ২৮৬ জন, ২০০৮ সালে ১ হাজার ১৮০ জন, ২০১৪ সালে ১ হাজার ৬৯৯ জন, ২০২০ সালে ১ হাজার ১৮৭ জন, ২০২২ সালে ১ হাজার ৭৮৬ জন এবং ২০২৩ সালে ৪ হাজার ১৩৩ জন বাংলাদেশি দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়েছেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনেক দুর্নীতিবাজ ও নব্য ধনীর বিদেশে অর্থ পাচারের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের বিদেশে পাড়ি জমানোর কথা জানা যায়। ওই সরকারের শেষ দিকে বাংলাদেশিদের আরও বেশি দেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশিদের নতুন করে আরও ৪৪টি দেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার সুযোগ করে দেয় মন্ত্রিসভা। এর আগে ৫৭টি দেশের নাগরিকেরা এ সুযোগ পেতেন। কয়েকটি শীর্ষ ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কর্ণধাররা নিজে কিংবা তাদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন বা দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী বলে মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে।
কোনো কোনো দেশের পাসপোর্ট পাওয়ার শর্ত হিসেবে আগের দেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে হয়। আবার কোনো কোনো দেশের পাসপোর্ট পাওয়ার পর নাগরিক হিসেবে শপথ নিতে হলে আগের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে হয়। এ জন্য উল্লিখিত বাংলাদেশিরা নাগরিকত্ব ছেড়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, কোনো বাংলাদেশি অন্য দেশের পাসপোর্ট (অর্থাৎ নাগরিকত্ব) গ্রহণের পর বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখতে না চাইলেও এ দেশে ৭৫ হাজার ডলার স্থায়ী বিনিয়োগ করে সহজেই স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পান। সুরক্ষা সেবা বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, কোনো বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগ করলেও তার পরবর্তী তিন প্রজন্মের বংশধরের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব স্বয়ংক্রিয়ভাবে বহাল থাকবে।
সুরক্ষা সেবা বিভাগের নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগের উপসচিব আলীমুন রাজীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইন অনুযায়ী বাংলাদেশিরা নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে পারেন। ১০১টি দেশের নাগরিকেরা বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব পান।’
৪৫২ বিদেশি পেয়েছেন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব
১৯৮৮ সালে প্রথম ৪ জন বিদেশিকে নাগরিকত্ব দেয় বাংলাদেশ। ১৯৮৯ সালে নাগরিকত্ব পান ৩৩ বিদেশি। এরপর ২০০৩ ও ২০১০ সাল ছাড়া প্রতিবছরই কিছু না কিছু বিদেশিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৪৫২ জন বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই নাগরিকত্ব পেয়েছেন বৈবাহিক সূত্রে। দীর্ঘদিন ধরে বসবাসের কারণেও বেশ কয়েকজনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।
আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিই কারণ
দেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি, নিরন্তর রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতির কারণে আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান ও উচ্চ দক্ষতার ব্যক্তিদের মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদে বা স্থায়ীভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। সংবাদপত্রের প্রতিবেদন, বিভিন্ন জরিপ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টে মেধাবীদের বিদেশে শিক্ষা গ্রহণের পরও থেকে যাওয়া এবং দেশ থেকে সামর্থ্যবানদের বিদেশে পাড়ি জমানোর প্রবণতার চিত্র পাওয়া যায়। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সাম্প্রতিক লেখালেখি ও গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ার চরমভাবাপন্ন হয়ে পড়া, খাদ্যে ভেজালের দৌরাত্ম্য, শিক্ষার মানের অবনতি ইত্যাদির কারণেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে বিত্তবানদের মধ্যে দেশ ছাড়ার ঘটনা বাড়ছে। বৈধ ও অবৈধভাবে অভিবাসী কর্মীদেরও একটি অংশ বিদেশে স্থায়ী হন।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগে ‘নেক্সট জেনারেশন বাংলাদেশ ২০২৪’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনের ফল প্রকাশিত হয় ৬ নভেম্বর। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ তরুণ বেকারত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং ৫৫ শতাংশ তরুণ দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যেতে আগ্রহী।
সার্বিকভাবে দেশে সুশাসনের অভাব থাকাতেই সুযোগ পেলে অনেকে দেশ ছাড়ছেন বলে মনে করেন শীর্ষ বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ ইনিশিয়েটিভ কর্মসূচির প্রধান শরিফুল ইসলাম হাসান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের যত গল্পই বলি না কেন, বাস্তবতা হচ্ছে সুযোগ পেলেই লোকজন দেশ ছেড়ে যেতে চান। এর একটা বড় কারণ হলো, সুশাসনের ঘাটতি। যখন কেউ দেখে যে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই, ক্রসফায়ার-গুম হচ্ছে, এসব কারণে নিজের বা সন্তানের ভবিষ্যতের চিন্তা করে তাঁরা দেশ ছাড়ছেন। রাজনীতিবিদ বা আমলারা যতই দেশের উন্নয়নের কথা বলেন না কেন, তাঁদের অনেকেই মনে করেন, দেশের আসলে ভবিষ্যৎ নেই। এ জন্য নিজের সন্তানদের বিদেশে পাঠান, নিজের বাড়ি-গাড়ি বিদেশেই করেন।’
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

নানা কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন বাংলাদেশিরা। অন্য দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব ছাড়ার হার দিন দিন বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বহাল রেখে দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার হার। মূলত দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগের হার বাড়ছে বলে পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৬০৬ জন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। এই আট বছরে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়েছেন ১৪ হাজার ৬৮৫ জন।
২০১৭ সালে ১১৯ জন, ২০১৮ সালে ৩৬৫ জন, ২০১৯ সালে ৩৫৬ জন, ২০২০ সালে ৩২৩ জন, ২০২১ সালে ১৬৫ জন, ২০২২ সালে ৪২১ জন, ২০২৩ সালে ৫৪৮ জন এবং ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ৩০৯ জন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে ইউরোপের অন্যতম শীর্ষ অর্থনীতি ও প্রযুক্তির দেশ জার্মানির নাগরিকত্ব নেওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। এর পরে আছে জার্মানিরই প্রতিবেশী অস্ট্রিয়া এবং পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, মন্ত্রণালয় বিভক্ত হওয়ার পর নাগরিকত্ব পরিত্যাগের তথ্য হারিয়ে যায়। ফলে ২০১৭ সালের আগে কতজন বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেছেন, সে তথ্য সুরক্ষা সেবা বিভাগে নেই। তাঁদের ধারণা, ২০১৭ সালের আগে সংখ্যাটি এখনকার তুলনায় বেশ কম ছিল।
পছন্দের শীর্ষে জার্মানি
গত আট বছরে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে ৪০টির বেশি দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশিরা। গত আট বছরে ১ হাজার ২৮১ জন বাংলাদেশি জার্মানির, ৩৯২ জন অস্ট্রিয়ার, ১৮০ জন সিঙ্গাপুর, ১৫১ জন ভারত, ৬০ জন কোরিয়া, ৫৭ জন নরওয়ে, ২৫ জন যুক্তরাজ্য, ১৭ জন ইউক্রেন, ১৫ জন শ্রীলঙ্কা, ১৩ জন করে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরান; ১১ জন ইন্দোনেশিয়া ও ৯ জন বুলগেরিয়ার নাগরিকত্ব নিয়েছেন। এ ছাড়া পাকিস্তান ও মিয়ানমারের নাগরিকত্ব নিয়েছেন ৪ জন।
দ্বৈত নাগরিকত্ব ৩৩ হাজার
১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশিদের দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদন শুরু করে সরকার। এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৮৭৫ জনের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। ১৯৮৮ সালে ২২৭ জনকে দ্বৈত নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। সুরক্ষা সেবা বিভাগের তথ্যে ক্রমেই দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার তথ্য বাড়তে দেখা যায়। কয়েক বছরের ব্যবধান দিয়ে উপাত্তের দিকে তাকালে পাওয়া যায়: ১৯৮৯ সালে ৩১৫ জন, ২০০০ সালে ২৮৬ জন, ২০০৮ সালে ১ হাজার ১৮০ জন, ২০১৪ সালে ১ হাজার ৬৯৯ জন, ২০২০ সালে ১ হাজার ১৮৭ জন, ২০২২ সালে ১ হাজার ৭৮৬ জন এবং ২০২৩ সালে ৪ হাজার ১৩৩ জন বাংলাদেশি দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়েছেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনেক দুর্নীতিবাজ ও নব্য ধনীর বিদেশে অর্থ পাচারের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের বিদেশে পাড়ি জমানোর কথা জানা যায়। ওই সরকারের শেষ দিকে বাংলাদেশিদের আরও বেশি দেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশিদের নতুন করে আরও ৪৪টি দেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার সুযোগ করে দেয় মন্ত্রিসভা। এর আগে ৫৭টি দেশের নাগরিকেরা এ সুযোগ পেতেন। কয়েকটি শীর্ষ ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কর্ণধাররা নিজে কিংবা তাদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন বা দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী বলে মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে।
কোনো কোনো দেশের পাসপোর্ট পাওয়ার শর্ত হিসেবে আগের দেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে হয়। আবার কোনো কোনো দেশের পাসপোর্ট পাওয়ার পর নাগরিক হিসেবে শপথ নিতে হলে আগের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে হয়। এ জন্য উল্লিখিত বাংলাদেশিরা নাগরিকত্ব ছেড়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, কোনো বাংলাদেশি অন্য দেশের পাসপোর্ট (অর্থাৎ নাগরিকত্ব) গ্রহণের পর বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখতে না চাইলেও এ দেশে ৭৫ হাজার ডলার স্থায়ী বিনিয়োগ করে সহজেই স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পান। সুরক্ষা সেবা বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, কোনো বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগ করলেও তার পরবর্তী তিন প্রজন্মের বংশধরের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব স্বয়ংক্রিয়ভাবে বহাল থাকবে।
সুরক্ষা সেবা বিভাগের নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগের উপসচিব আলীমুন রাজীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইন অনুযায়ী বাংলাদেশিরা নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে পারেন। ১০১টি দেশের নাগরিকেরা বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব পান।’
৪৫২ বিদেশি পেয়েছেন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব
১৯৮৮ সালে প্রথম ৪ জন বিদেশিকে নাগরিকত্ব দেয় বাংলাদেশ। ১৯৮৯ সালে নাগরিকত্ব পান ৩৩ বিদেশি। এরপর ২০০৩ ও ২০১০ সাল ছাড়া প্রতিবছরই কিছু না কিছু বিদেশিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৪৫২ জন বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই নাগরিকত্ব পেয়েছেন বৈবাহিক সূত্রে। দীর্ঘদিন ধরে বসবাসের কারণেও বেশ কয়েকজনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।
আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিই কারণ
দেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি, নিরন্তর রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতির কারণে আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান ও উচ্চ দক্ষতার ব্যক্তিদের মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদে বা স্থায়ীভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। সংবাদপত্রের প্রতিবেদন, বিভিন্ন জরিপ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টে মেধাবীদের বিদেশে শিক্ষা গ্রহণের পরও থেকে যাওয়া এবং দেশ থেকে সামর্থ্যবানদের বিদেশে পাড়ি জমানোর প্রবণতার চিত্র পাওয়া যায়। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সাম্প্রতিক লেখালেখি ও গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ার চরমভাবাপন্ন হয়ে পড়া, খাদ্যে ভেজালের দৌরাত্ম্য, শিক্ষার মানের অবনতি ইত্যাদির কারণেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে বিত্তবানদের মধ্যে দেশ ছাড়ার ঘটনা বাড়ছে। বৈধ ও অবৈধভাবে অভিবাসী কর্মীদেরও একটি অংশ বিদেশে স্থায়ী হন।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগে ‘নেক্সট জেনারেশন বাংলাদেশ ২০২৪’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনের ফল প্রকাশিত হয় ৬ নভেম্বর। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ তরুণ বেকারত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং ৫৫ শতাংশ তরুণ দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যেতে আগ্রহী।
সার্বিকভাবে দেশে সুশাসনের অভাব থাকাতেই সুযোগ পেলে অনেকে দেশ ছাড়ছেন বলে মনে করেন শীর্ষ বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ ইনিশিয়েটিভ কর্মসূচির প্রধান শরিফুল ইসলাম হাসান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের যত গল্পই বলি না কেন, বাস্তবতা হচ্ছে সুযোগ পেলেই লোকজন দেশ ছেড়ে যেতে চান। এর একটা বড় কারণ হলো, সুশাসনের ঘাটতি। যখন কেউ দেখে যে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই, ক্রসফায়ার-গুম হচ্ছে, এসব কারণে নিজের বা সন্তানের ভবিষ্যতের চিন্তা করে তাঁরা দেশ ছাড়ছেন। রাজনীতিবিদ বা আমলারা যতই দেশের উন্নয়নের কথা বলেন না কেন, তাঁদের অনেকেই মনে করেন, দেশের আসলে ভবিষ্যৎ নেই। এ জন্য নিজের সন্তানদের বিদেশে পাঠান, নিজের বাড়ি-গাড়ি বিদেশেই করেন।’

নানা কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন বাংলাদেশিরা। অন্য দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব ছাড়ার হার দিন দিন বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বহাল রেখে দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার হার। মূলত দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগের হার বাড়ছে বলে পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৬০৬ জন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। এই আট বছরে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়েছেন ১৪ হাজার ৬৮৫ জন।
২০১৭ সালে ১১৯ জন, ২০১৮ সালে ৩৬৫ জন, ২০১৯ সালে ৩৫৬ জন, ২০২০ সালে ৩২৩ জন, ২০২১ সালে ১৬৫ জন, ২০২২ সালে ৪২১ জন, ২০২৩ সালে ৫৪৮ জন এবং ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ৩০৯ জন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে ইউরোপের অন্যতম শীর্ষ অর্থনীতি ও প্রযুক্তির দেশ জার্মানির নাগরিকত্ব নেওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। এর পরে আছে জার্মানিরই প্রতিবেশী অস্ট্রিয়া এবং পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, মন্ত্রণালয় বিভক্ত হওয়ার পর নাগরিকত্ব পরিত্যাগের তথ্য হারিয়ে যায়। ফলে ২০১৭ সালের আগে কতজন বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেছেন, সে তথ্য সুরক্ষা সেবা বিভাগে নেই। তাঁদের ধারণা, ২০১৭ সালের আগে সংখ্যাটি এখনকার তুলনায় বেশ কম ছিল।
পছন্দের শীর্ষে জার্মানি
গত আট বছরে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে ৪০টির বেশি দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশিরা। গত আট বছরে ১ হাজার ২৮১ জন বাংলাদেশি জার্মানির, ৩৯২ জন অস্ট্রিয়ার, ১৮০ জন সিঙ্গাপুর, ১৫১ জন ভারত, ৬০ জন কোরিয়া, ৫৭ জন নরওয়ে, ২৫ জন যুক্তরাজ্য, ১৭ জন ইউক্রেন, ১৫ জন শ্রীলঙ্কা, ১৩ জন করে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরান; ১১ জন ইন্দোনেশিয়া ও ৯ জন বুলগেরিয়ার নাগরিকত্ব নিয়েছেন। এ ছাড়া পাকিস্তান ও মিয়ানমারের নাগরিকত্ব নিয়েছেন ৪ জন।
দ্বৈত নাগরিকত্ব ৩৩ হাজার
১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশিদের দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদন শুরু করে সরকার। এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৮৭৫ জনের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। ১৯৮৮ সালে ২২৭ জনকে দ্বৈত নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। সুরক্ষা সেবা বিভাগের তথ্যে ক্রমেই দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার তথ্য বাড়তে দেখা যায়। কয়েক বছরের ব্যবধান দিয়ে উপাত্তের দিকে তাকালে পাওয়া যায়: ১৯৮৯ সালে ৩১৫ জন, ২০০০ সালে ২৮৬ জন, ২০০৮ সালে ১ হাজার ১৮০ জন, ২০১৪ সালে ১ হাজার ৬৯৯ জন, ২০২০ সালে ১ হাজার ১৮৭ জন, ২০২২ সালে ১ হাজার ৭৮৬ জন এবং ২০২৩ সালে ৪ হাজার ১৩৩ জন বাংলাদেশি দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়েছেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনেক দুর্নীতিবাজ ও নব্য ধনীর বিদেশে অর্থ পাচারের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের বিদেশে পাড়ি জমানোর কথা জানা যায়। ওই সরকারের শেষ দিকে বাংলাদেশিদের আরও বেশি দেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশিদের নতুন করে আরও ৪৪টি দেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার সুযোগ করে দেয় মন্ত্রিসভা। এর আগে ৫৭টি দেশের নাগরিকেরা এ সুযোগ পেতেন। কয়েকটি শীর্ষ ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কর্ণধাররা নিজে কিংবা তাদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন বা দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী বলে মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে।
কোনো কোনো দেশের পাসপোর্ট পাওয়ার শর্ত হিসেবে আগের দেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে হয়। আবার কোনো কোনো দেশের পাসপোর্ট পাওয়ার পর নাগরিক হিসেবে শপথ নিতে হলে আগের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে হয়। এ জন্য উল্লিখিত বাংলাদেশিরা নাগরিকত্ব ছেড়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, কোনো বাংলাদেশি অন্য দেশের পাসপোর্ট (অর্থাৎ নাগরিকত্ব) গ্রহণের পর বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখতে না চাইলেও এ দেশে ৭৫ হাজার ডলার স্থায়ী বিনিয়োগ করে সহজেই স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পান। সুরক্ষা সেবা বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, কোনো বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগ করলেও তার পরবর্তী তিন প্রজন্মের বংশধরের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব স্বয়ংক্রিয়ভাবে বহাল থাকবে।
সুরক্ষা সেবা বিভাগের নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগের উপসচিব আলীমুন রাজীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আইন অনুযায়ী বাংলাদেশিরা নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে পারেন। ১০১টি দেশের নাগরিকেরা বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব পান।’
৪৫২ বিদেশি পেয়েছেন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব
১৯৮৮ সালে প্রথম ৪ জন বিদেশিকে নাগরিকত্ব দেয় বাংলাদেশ। ১৯৮৯ সালে নাগরিকত্ব পান ৩৩ বিদেশি। এরপর ২০০৩ ও ২০১০ সাল ছাড়া প্রতিবছরই কিছু না কিছু বিদেশিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৪৫২ জন বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই নাগরিকত্ব পেয়েছেন বৈবাহিক সূত্রে। দীর্ঘদিন ধরে বসবাসের কারণেও বেশ কয়েকজনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।
আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিই কারণ
দেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি, নিরন্তর রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতির কারণে আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান ও উচ্চ দক্ষতার ব্যক্তিদের মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদে বা স্থায়ীভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। সংবাদপত্রের প্রতিবেদন, বিভিন্ন জরিপ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টে মেধাবীদের বিদেশে শিক্ষা গ্রহণের পরও থেকে যাওয়া এবং দেশ থেকে সামর্থ্যবানদের বিদেশে পাড়ি জমানোর প্রবণতার চিত্র পাওয়া যায়। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সাম্প্রতিক লেখালেখি ও গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ার চরমভাবাপন্ন হয়ে পড়া, খাদ্যে ভেজালের দৌরাত্ম্য, শিক্ষার মানের অবনতি ইত্যাদির কারণেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে বিত্তবানদের মধ্যে দেশ ছাড়ার ঘটনা বাড়ছে। বৈধ ও অবৈধভাবে অভিবাসী কর্মীদেরও একটি অংশ বিদেশে স্থায়ী হন।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগে ‘নেক্সট জেনারেশন বাংলাদেশ ২০২৪’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনের ফল প্রকাশিত হয় ৬ নভেম্বর। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ তরুণ বেকারত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং ৫৫ শতাংশ তরুণ দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যেতে আগ্রহী।
সার্বিকভাবে দেশে সুশাসনের অভাব থাকাতেই সুযোগ পেলে অনেকে দেশ ছাড়ছেন বলে মনে করেন শীর্ষ বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ ইনিশিয়েটিভ কর্মসূচির প্রধান শরিফুল ইসলাম হাসান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের যত গল্পই বলি না কেন, বাস্তবতা হচ্ছে সুযোগ পেলেই লোকজন দেশ ছেড়ে যেতে চান। এর একটা বড় কারণ হলো, সুশাসনের ঘাটতি। যখন কেউ দেখে যে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই, ক্রসফায়ার-গুম হচ্ছে, এসব কারণে নিজের বা সন্তানের ভবিষ্যতের চিন্তা করে তাঁরা দেশ ছাড়ছেন। রাজনীতিবিদ বা আমলারা যতই দেশের উন্নয়নের কথা বলেন না কেন, তাঁদের অনেকেই মনে করেন, দেশের আসলে ভবিষ্যৎ নেই। এ জন্য নিজের সন্তানদের বিদেশে পাঠান, নিজের বাড়ি-গাড়ি বিদেশেই করেন।’

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪।
১২ ঘণ্টা আগে
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১ দিন আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১ দিন আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪। হাইকোর্ট কোর্টের আদেশ অনুযায়ী সীমানায় এই পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিলো ইসি।
আজ শুক্রবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
তফসিল ঘোষণার আগে ইসি গাজীপুরের একটি আসন কমিয়ে এবং বাগেরহাটের একটি আসন ফেরত দিয়ে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছিল কমিশন। এবার তফসিল ঘোষণার পর আরও চারটি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনল। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে এমন নজির দেখা যায়নি।
সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার প্রকাশিত গেজেটের তথ্যানুযায়ী, পাবনা-১ আসনের সীমানায় সাঁথিয়া উপজেলা এবং বেড়া উপজেলার বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
পাবনা-২ আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সুজানগর উপজেলা এবং উল্লিখিত একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়ন (বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা ইউনিয়ন) ব্যতীত বেড়া উপজেলা।
আর ফরিদপুর-২ আসনের সীমানায় নগরকান্দা উপজেলা ও সালথা উপজেলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে-ভাঙ্গা উপজেলা, চরভদ্রাসন উপজেলা এবং সদরপুর উপজেলা।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪। হাইকোর্ট কোর্টের আদেশ অনুযায়ী সীমানায় এই পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিলো ইসি।
আজ শুক্রবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
তফসিল ঘোষণার আগে ইসি গাজীপুরের একটি আসন কমিয়ে এবং বাগেরহাটের একটি আসন ফেরত দিয়ে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছিল কমিশন। এবার তফসিল ঘোষণার পর আরও চারটি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনল। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে এমন নজির দেখা যায়নি।
সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার প্রকাশিত গেজেটের তথ্যানুযায়ী, পাবনা-১ আসনের সীমানায় সাঁথিয়া উপজেলা এবং বেড়া উপজেলার বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
পাবনা-২ আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সুজানগর উপজেলা এবং উল্লিখিত একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়ন (বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা ইউনিয়ন) ব্যতীত বেড়া উপজেলা।
আর ফরিদপুর-২ আসনের সীমানায় নগরকান্দা উপজেলা ও সালথা উপজেলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে-ভাঙ্গা উপজেলা, চরভদ্রাসন উপজেলা এবং সদরপুর উপজেলা।

নানা কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন বাংলাদেশিরা। অন্য দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব ছাড়ার হার দিন দিন বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বহাল রেখে দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার হার। মূলত দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগের হার বাড়ছে
১১ নভেম্বর ২০২৪
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১ দিন আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১ দিন আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২ দিন আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

নানা কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন বাংলাদেশিরা। অন্য দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব ছাড়ার হার দিন দিন বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বহাল রেখে দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার হার। মূলত দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগের হার বাড়ছে
১১ নভেম্বর ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪।
১২ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১ দিন আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

নানা কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন বাংলাদেশিরা। অন্য দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব ছাড়ার হার দিন দিন বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বহাল রেখে দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার হার। মূলত দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগের হার বাড়ছে
১১ নভেম্বর ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪।
১২ ঘণ্টা আগে
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১ দিন আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

নানা কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন বাংলাদেশিরা। অন্য দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব ছাড়ার হার দিন দিন বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বহাল রেখে দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার হার। মূলত দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগের হার বাড়ছে
১১ নভেম্বর ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪।
১২ ঘণ্টা আগে
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
১ দিন আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১ দিন আগে