কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

ভূমধ্যসাগরের উপকূল থেকে আটক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ভূমধ্যসাগরের উপকূল হয়ে বাংলাদেশিদের ইউরোপযাত্রার সংখ্যাটা ঢাকার জন্য উদ্বেগের জানিয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘ভূমধ্যসাগরের উপকূল থেকে আটক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে লিবিয়ার সেফ হোমে রাখা হয়েছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। আমাদের রাষ্ট্রদূত তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য আইওএমসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা নেবেন। বছরখানেকের মধ্যে আমরা লিবিয়া থেকে ১ হাজারের ওপর বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে এনেছি।’
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির পূর্ব উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতিকালে গত শনিবার পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে আটক করে দেশটির পুলিশ। লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান গণমাধ্যমকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
রাষ্ট্রদূত শামীম উজ জামান জানান, ‘প্রাথমিকভাবে লিবিয়ার পুলিশ আমাদের ৫০০ জন বাংলাদেশিকে আটকের কথা জানিয়েছে। তবে, আমরা এ পর্যন্ত ২৪০ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছি।’
এ বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘ভূমধ্যসাগর উপকূল হয়ে ইউরোপে যাত্রার সংখ্যাটা কমছে না। আমরা এটা নিয়ে সিরিয়াস অবস্থানে যাব। আমরা সিরিয়াসলি সচেতনতামূলক প্রচারে যাব। যেসব জেলার লোকজন বেশি যাচ্ছে, বিশেষ করে ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর অঞ্চলের লোকদের বোঝানোর জন্য প্রচার চালানো হবে।’ তিনি বলেন, ‘এখানে মানব পাচারের বিষয়টাতে আমরা গুরুত্ব দিতে চাই। যারা এসব কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করার বিষয় আছে। লিবিয়াতে আমাদের শ্রমবাজার অল্প অল্প করে খুলছে। সেই স্বাভাবিক বাজারে বৈধ পথে যারা যাবে, এটা তাদের জন্য সাংঘর্ষিক।’
ভূমধ্যসাগর উপকূল হয়ে বাংলাদেশিদের ইউরোপযাত্রার কারণে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে কি না, জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন, ‘চাপ অনুভব করছি না। এর আগে যাঁরা ফিরেছেন, তাঁদের কোয়ারেটিনের সময় আমরা তথ্য নিয়েছি। অবৈধভাবে কেউ যাক, এটা আমরা চাই না। আমরা কখনোই এটাকে প্রশ্রয় দেব না। বৃহত্তর স্বার্থে আমরা এটাকে গুরুত্ব দিচ্ছি।’
এদিকে এক দিনের সংক্ষিপ্ত সফরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কাত্রা ঢাকা আসছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, ‘জয়শঙ্করের এ সফরে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আলোচনায় আনতে চায় ঢাকা।’ তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরশু (আগামী বৃহস্পতিবার) আসছেন। তাঁর সঙ্গে ভারতের নতুন পররাষ্ট্রসচিবও আসবেন। এ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তাঁরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। ওই দিন সন্ধ্যায় আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করেছে।’
জয়শঙ্করের সফরে কোন বিষয়গুলো আলোচনা থাকবে—জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন জানান, ‘দুই দেশের মধ্যে ইস্যু সব সময় তো থাকেই। সময়ে সময়ে আমরা বৈঠক করে হালনাগাদ তথ্য দিই ও নিই। সামনে আমাদের বেশ কিছু উচ্চপর্যায়ের বৈঠক রয়েছে। জেসিসি আছে, প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি যাওয়ার ব্যাপার আছে, সেটার তারিখ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। অত বড় ফরমেটওয়াইজ না হলেও সবকিছুই আলোচনায় আসতে পারে।’
জয়শঙ্কর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নয়াদিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানাতে দাওয়াতপত্র নিয়ে আসছেন কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘দাওয়াতপত্রের বিষয়টা আমরা পত্রিকায় দেখেছি। আমাদের মধ্যে যে সম্পর্ক, তাতে দাওয়াতপত্রের জন্য বসে থাকার বিষয় না। প্রয়োজন বোধ করলে যে কেউ সফর করতে পারে। সচিব পর্যায়ের আরও দুই-তিনটি বৈঠক বাকি আছে। এগুলোর পর জেআরসি হবে। পরে প্রধানমন্ত্রীর সফর হবে। আলাপ-আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রীর সফরের তারিখ নির্ধারণ হতে পারে।’

ভূমধ্যসাগরের উপকূল থেকে আটক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ভূমধ্যসাগরের উপকূল হয়ে বাংলাদেশিদের ইউরোপযাত্রার সংখ্যাটা ঢাকার জন্য উদ্বেগের জানিয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘ভূমধ্যসাগরের উপকূল থেকে আটক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে লিবিয়ার সেফ হোমে রাখা হয়েছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। আমাদের রাষ্ট্রদূত তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য আইওএমসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা নেবেন। বছরখানেকের মধ্যে আমরা লিবিয়া থেকে ১ হাজারের ওপর বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে এনেছি।’
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির পূর্ব উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতিকালে গত শনিবার পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে আটক করে দেশটির পুলিশ। লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান গণমাধ্যমকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
রাষ্ট্রদূত শামীম উজ জামান জানান, ‘প্রাথমিকভাবে লিবিয়ার পুলিশ আমাদের ৫০০ জন বাংলাদেশিকে আটকের কথা জানিয়েছে। তবে, আমরা এ পর্যন্ত ২৪০ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছি।’
এ বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘ভূমধ্যসাগর উপকূল হয়ে ইউরোপে যাত্রার সংখ্যাটা কমছে না। আমরা এটা নিয়ে সিরিয়াস অবস্থানে যাব। আমরা সিরিয়াসলি সচেতনতামূলক প্রচারে যাব। যেসব জেলার লোকজন বেশি যাচ্ছে, বিশেষ করে ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর অঞ্চলের লোকদের বোঝানোর জন্য প্রচার চালানো হবে।’ তিনি বলেন, ‘এখানে মানব পাচারের বিষয়টাতে আমরা গুরুত্ব দিতে চাই। যারা এসব কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করার বিষয় আছে। লিবিয়াতে আমাদের শ্রমবাজার অল্প অল্প করে খুলছে। সেই স্বাভাবিক বাজারে বৈধ পথে যারা যাবে, এটা তাদের জন্য সাংঘর্ষিক।’
ভূমধ্যসাগর উপকূল হয়ে বাংলাদেশিদের ইউরোপযাত্রার কারণে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে কি না, জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন, ‘চাপ অনুভব করছি না। এর আগে যাঁরা ফিরেছেন, তাঁদের কোয়ারেটিনের সময় আমরা তথ্য নিয়েছি। অবৈধভাবে কেউ যাক, এটা আমরা চাই না। আমরা কখনোই এটাকে প্রশ্রয় দেব না। বৃহত্তর স্বার্থে আমরা এটাকে গুরুত্ব দিচ্ছি।’
এদিকে এক দিনের সংক্ষিপ্ত সফরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কাত্রা ঢাকা আসছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, ‘জয়শঙ্করের এ সফরে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আলোচনায় আনতে চায় ঢাকা।’ তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরশু (আগামী বৃহস্পতিবার) আসছেন। তাঁর সঙ্গে ভারতের নতুন পররাষ্ট্রসচিবও আসবেন। এ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তাঁরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। ওই দিন সন্ধ্যায় আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করেছে।’
জয়শঙ্করের সফরে কোন বিষয়গুলো আলোচনা থাকবে—জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন জানান, ‘দুই দেশের মধ্যে ইস্যু সব সময় তো থাকেই। সময়ে সময়ে আমরা বৈঠক করে হালনাগাদ তথ্য দিই ও নিই। সামনে আমাদের বেশ কিছু উচ্চপর্যায়ের বৈঠক রয়েছে। জেসিসি আছে, প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি যাওয়ার ব্যাপার আছে, সেটার তারিখ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। অত বড় ফরমেটওয়াইজ না হলেও সবকিছুই আলোচনায় আসতে পারে।’
জয়শঙ্কর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নয়াদিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানাতে দাওয়াতপত্র নিয়ে আসছেন কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘দাওয়াতপত্রের বিষয়টা আমরা পত্রিকায় দেখেছি। আমাদের মধ্যে যে সম্পর্ক, তাতে দাওয়াতপত্রের জন্য বসে থাকার বিষয় না। প্রয়োজন বোধ করলে যে কেউ সফর করতে পারে। সচিব পর্যায়ের আরও দুই-তিনটি বৈঠক বাকি আছে। এগুলোর পর জেআরসি হবে। পরে প্রধানমন্ত্রীর সফর হবে। আলাপ-আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রীর সফরের তারিখ নির্ধারণ হতে পারে।’
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

ভূমধ্যসাগরের উপকূল থেকে আটক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ভূমধ্যসাগরের উপকূল হয়ে বাংলাদেশিদের ইউরোপযাত্রার সংখ্যাটা ঢাকার জন্য উদ্বেগের জানিয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘ভূমধ্যসাগরের উপকূল থেকে আটক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে লিবিয়ার সেফ হোমে রাখা হয়েছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। আমাদের রাষ্ট্রদূত তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য আইওএমসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা নেবেন। বছরখানেকের মধ্যে আমরা লিবিয়া থেকে ১ হাজারের ওপর বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে এনেছি।’
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির পূর্ব উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতিকালে গত শনিবার পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে আটক করে দেশটির পুলিশ। লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান গণমাধ্যমকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
রাষ্ট্রদূত শামীম উজ জামান জানান, ‘প্রাথমিকভাবে লিবিয়ার পুলিশ আমাদের ৫০০ জন বাংলাদেশিকে আটকের কথা জানিয়েছে। তবে, আমরা এ পর্যন্ত ২৪০ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছি।’
এ বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘ভূমধ্যসাগর উপকূল হয়ে ইউরোপে যাত্রার সংখ্যাটা কমছে না। আমরা এটা নিয়ে সিরিয়াস অবস্থানে যাব। আমরা সিরিয়াসলি সচেতনতামূলক প্রচারে যাব। যেসব জেলার লোকজন বেশি যাচ্ছে, বিশেষ করে ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর অঞ্চলের লোকদের বোঝানোর জন্য প্রচার চালানো হবে।’ তিনি বলেন, ‘এখানে মানব পাচারের বিষয়টাতে আমরা গুরুত্ব দিতে চাই। যারা এসব কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করার বিষয় আছে। লিবিয়াতে আমাদের শ্রমবাজার অল্প অল্প করে খুলছে। সেই স্বাভাবিক বাজারে বৈধ পথে যারা যাবে, এটা তাদের জন্য সাংঘর্ষিক।’
ভূমধ্যসাগর উপকূল হয়ে বাংলাদেশিদের ইউরোপযাত্রার কারণে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে কি না, জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন, ‘চাপ অনুভব করছি না। এর আগে যাঁরা ফিরেছেন, তাঁদের কোয়ারেটিনের সময় আমরা তথ্য নিয়েছি। অবৈধভাবে কেউ যাক, এটা আমরা চাই না। আমরা কখনোই এটাকে প্রশ্রয় দেব না। বৃহত্তর স্বার্থে আমরা এটাকে গুরুত্ব দিচ্ছি।’
এদিকে এক দিনের সংক্ষিপ্ত সফরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কাত্রা ঢাকা আসছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, ‘জয়শঙ্করের এ সফরে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আলোচনায় আনতে চায় ঢাকা।’ তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরশু (আগামী বৃহস্পতিবার) আসছেন। তাঁর সঙ্গে ভারতের নতুন পররাষ্ট্রসচিবও আসবেন। এ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তাঁরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। ওই দিন সন্ধ্যায় আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করেছে।’
জয়শঙ্করের সফরে কোন বিষয়গুলো আলোচনা থাকবে—জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন জানান, ‘দুই দেশের মধ্যে ইস্যু সব সময় তো থাকেই। সময়ে সময়ে আমরা বৈঠক করে হালনাগাদ তথ্য দিই ও নিই। সামনে আমাদের বেশ কিছু উচ্চপর্যায়ের বৈঠক রয়েছে। জেসিসি আছে, প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি যাওয়ার ব্যাপার আছে, সেটার তারিখ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। অত বড় ফরমেটওয়াইজ না হলেও সবকিছুই আলোচনায় আসতে পারে।’
জয়শঙ্কর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নয়াদিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানাতে দাওয়াতপত্র নিয়ে আসছেন কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘দাওয়াতপত্রের বিষয়টা আমরা পত্রিকায় দেখেছি। আমাদের মধ্যে যে সম্পর্ক, তাতে দাওয়াতপত্রের জন্য বসে থাকার বিষয় না। প্রয়োজন বোধ করলে যে কেউ সফর করতে পারে। সচিব পর্যায়ের আরও দুই-তিনটি বৈঠক বাকি আছে। এগুলোর পর জেআরসি হবে। পরে প্রধানমন্ত্রীর সফর হবে। আলাপ-আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রীর সফরের তারিখ নির্ধারণ হতে পারে।’

ভূমধ্যসাগরের উপকূল থেকে আটক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ভূমধ্যসাগরের উপকূল হয়ে বাংলাদেশিদের ইউরোপযাত্রার সংখ্যাটা ঢাকার জন্য উদ্বেগের জানিয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘ভূমধ্যসাগরের উপকূল থেকে আটক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে লিবিয়ার সেফ হোমে রাখা হয়েছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। আমাদের রাষ্ট্রদূত তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য আইওএমসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা নেবেন। বছরখানেকের মধ্যে আমরা লিবিয়া থেকে ১ হাজারের ওপর বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে এনেছি।’
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির পূর্ব উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতিকালে গত শনিবার পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে আটক করে দেশটির পুলিশ। লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান গণমাধ্যমকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
রাষ্ট্রদূত শামীম উজ জামান জানান, ‘প্রাথমিকভাবে লিবিয়ার পুলিশ আমাদের ৫০০ জন বাংলাদেশিকে আটকের কথা জানিয়েছে। তবে, আমরা এ পর্যন্ত ২৪০ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছি।’
এ বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘ভূমধ্যসাগর উপকূল হয়ে ইউরোপে যাত্রার সংখ্যাটা কমছে না। আমরা এটা নিয়ে সিরিয়াস অবস্থানে যাব। আমরা সিরিয়াসলি সচেতনতামূলক প্রচারে যাব। যেসব জেলার লোকজন বেশি যাচ্ছে, বিশেষ করে ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর অঞ্চলের লোকদের বোঝানোর জন্য প্রচার চালানো হবে।’ তিনি বলেন, ‘এখানে মানব পাচারের বিষয়টাতে আমরা গুরুত্ব দিতে চাই। যারা এসব কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করার বিষয় আছে। লিবিয়াতে আমাদের শ্রমবাজার অল্প অল্প করে খুলছে। সেই স্বাভাবিক বাজারে বৈধ পথে যারা যাবে, এটা তাদের জন্য সাংঘর্ষিক।’
ভূমধ্যসাগর উপকূল হয়ে বাংলাদেশিদের ইউরোপযাত্রার কারণে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে কি না, জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন, ‘চাপ অনুভব করছি না। এর আগে যাঁরা ফিরেছেন, তাঁদের কোয়ারেটিনের সময় আমরা তথ্য নিয়েছি। অবৈধভাবে কেউ যাক, এটা আমরা চাই না। আমরা কখনোই এটাকে প্রশ্রয় দেব না। বৃহত্তর স্বার্থে আমরা এটাকে গুরুত্ব দিচ্ছি।’
এদিকে এক দিনের সংক্ষিপ্ত সফরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কাত্রা ঢাকা আসছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, ‘জয়শঙ্করের এ সফরে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আলোচনায় আনতে চায় ঢাকা।’ তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরশু (আগামী বৃহস্পতিবার) আসছেন। তাঁর সঙ্গে ভারতের নতুন পররাষ্ট্রসচিবও আসবেন। এ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তাঁরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। ওই দিন সন্ধ্যায় আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করেছে।’
জয়শঙ্করের সফরে কোন বিষয়গুলো আলোচনা থাকবে—জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন জানান, ‘দুই দেশের মধ্যে ইস্যু সব সময় তো থাকেই। সময়ে সময়ে আমরা বৈঠক করে হালনাগাদ তথ্য দিই ও নিই। সামনে আমাদের বেশ কিছু উচ্চপর্যায়ের বৈঠক রয়েছে। জেসিসি আছে, প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি যাওয়ার ব্যাপার আছে, সেটার তারিখ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। অত বড় ফরমেটওয়াইজ না হলেও সবকিছুই আলোচনায় আসতে পারে।’
জয়শঙ্কর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নয়াদিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানাতে দাওয়াতপত্র নিয়ে আসছেন কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘দাওয়াতপত্রের বিষয়টা আমরা পত্রিকায় দেখেছি। আমাদের মধ্যে যে সম্পর্ক, তাতে দাওয়াতপত্রের জন্য বসে থাকার বিষয় না। প্রয়োজন বোধ করলে যে কেউ সফর করতে পারে। সচিব পর্যায়ের আরও দুই-তিনটি বৈঠক বাকি আছে। এগুলোর পর জেআরসি হবে। পরে প্রধানমন্ত্রীর সফর হবে। আলাপ-আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রীর সফরের তারিখ নির্ধারণ হতে পারে।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
৩৯ মিনিট আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

ভূমধ্যসাগরের উপকূল থেকে আটক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
২৬ এপ্রিল ২০২২
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।
তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।
পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।
তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।
পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

ভূমধ্যসাগরের উপকূল থেকে আটক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
২৬ এপ্রিল ২০২২
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
৩৯ মিনিট আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

ভূমধ্যসাগরের উপকূল থেকে আটক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
২৬ এপ্রিল ২০২২
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
৩৯ মিনিট আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কর্তৃক এই নৃশংস ড্রোন হামলাটি পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় কর্তব্যরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন। শহীদদের আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।
ড্রোন হামলায় শহীদ হয়েছেন ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। তাঁরা হলেন নাটোরের কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (এএসসি), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (বীর), রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা (বীর), কুড়িগ্রামের সৈনিক শান্ত মন্ডল (বীর), কিশোরগঞ্জের মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।
হামলায় আহত হয়েছেন আটজন শান্তিরক্ষী। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়ার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (পিএসসি, অর্ডন্যান্স), দিনাজপুরের সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (বীর), ঢাকার কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (সিগন্যালস), বরগুনার ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (ইএমই), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (বীর), রংপুরের সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার (ইঞ্জিনিয়ারিং), মানিকগঞ্জের সৈনিক চুমকি আক্তার (অর্ডন্যান্স) এবং নোয়াখালীর সৈনিক মো. মানাজির আহসান (বীর)।
আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে সৈনিক মো. মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাঁর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অপর সাত আহত শান্তিরক্ষীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানান্তরিত সকলেই বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে আজ রোববার এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কর্তৃক এই নৃশংস ড্রোন হামলাটি পরিচালিত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় কর্তব্যরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন। শহীদদের আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।
ড্রোন হামলায় শহীদ হয়েছেন ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। তাঁরা হলেন নাটোরের কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (এএসসি), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (বীর), রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা (বীর), কুড়িগ্রামের সৈনিক শান্ত মন্ডল (বীর), কিশোরগঞ্জের মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।
হামলায় আহত হয়েছেন আটজন শান্তিরক্ষী। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়ার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (পিএসসি, অর্ডন্যান্স), দিনাজপুরের সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (বীর), ঢাকার কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (সিগন্যালস), বরগুনার ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (ইএমই), কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (বীর), রংপুরের সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার (ইঞ্জিনিয়ারিং), মানিকগঞ্জের সৈনিক চুমকি আক্তার (অর্ডন্যান্স) এবং নোয়াখালীর সৈনিক মো. মানাজির আহসান (বীর)।
আহত শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে সৈনিক মো. মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাঁর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। অপর সাত আহত শান্তিরক্ষীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানান্তরিত সকলেই বর্তমানে শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।

ভূমধ্যসাগরের উপকূল থেকে আটক পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে লিবিয়া থেকে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
২৬ এপ্রিল ২০২২
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
৩৯ মিনিট আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
২ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
২ ঘণ্টা আগে