Ajker Patrika

ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক বিপর্যয়

ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক বিপর্যয়

একদিকে ভারী বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢল; তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ভারতের ত্রিপুরা থেকে ছুটে আসা পানির তোড়। সব মিলিয়ে দেশের পূর্বাঞ্চলের সিংহভাগ এলাকা এখন পানির নিচে। কোথাও কোমরপানি, কোথাও ঘরের চালা ছুঁই ছুঁই। তলিয়েছে সড়ক-মহাসড়ক, রেলপথও। ডুবেছে ফসলের মাঠ, ভেসে গেছে চাষের মাছ। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে আকস্মিক এই বন্যায় কী করতে হবে, কোথায় আশ্রয় নিতে হবে—তাৎক্ষণিকভাবে বুঝে ওঠাই মুশকিল হয়ে গেছে সাধারণ মানুষের জন্য। 

গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশের অন্তত ৯ জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ফেনীর বাসিন্দারা আকস্মিক বন্যায় পড়েছে চরম দুর্ভোগে। তিন পার্বত্য জেলা—রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে যোগ হয়েছে পাহাড়ধসের ঘটনা। ডুবেছে চট্টগ্রাম নগরীর অনেক সড়ক। মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জসহ হাওরাঞ্চলের মানুষ তো বিপদে আছে আগে থেকেই। এবার নিয়ে গত তিন মাসে তৃতীয় দফায় বন্যাকবলিত হয়েছে তারা। 

এর মধ্যেই আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও দুঃসংবাদ দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তাতে অধিদপ্তর বলেছে, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের ঘটনা ঘটতে পারে। 

এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর ত্রিপুরা, মেঘালয়সহ বাংলাদেশের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলীয় ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী ভারতের কয়েকটি রাজ্যে আজ শুক্রবারও ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে।

কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালীতে পানি আর পানি
সম্প্রতি ভারতের ত্রিপুরা অঞ্চলে প্রবল বন্যা দেখা দেয়। বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে সেখানে। সেখানকার গোমতী নদীর পানির স্তর বিপজ্জনকভাবে বেড়ে গেলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৩১ বছর পর মধ্য ত্রিপুরার ধলাই জেলার বিশাল জলাধার ডুম্বুরের (৪১ বর্গকিলোমিটার) ‘স্ল্যাপ গেটের’ তিনটি গেটের একটি খুলে দেওয়া হয়। এর জেরে গোমতীর বাংলাদেশ অংশ ও আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়। 

বিশেষ করে কুমিল্লা ও ফেনীর মানুষ বলছেন, গত ৩৬ বছরে এমন বন্যা তাঁরা দেখেননি। কুমিল্লায় পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে বাঁধ ভেঙে পড়ার শঙ্কায় মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যেই মধ্যরাতে গোমতীপাড়ে পাহারায় ছিলেন স্থানীয়রা। টর্চ ও মশাল হাতে, মোবাইল ফোনের আলো জেলে আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন তাঁরা। সবার মনে শঙ্কা, এই বুঝি পানির তোড়ে গোমতী বাঁধ ভেঙে পড়ল। মূলত কুমিল্লা সদর থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত ৮৫ কিলোমিটার গোমতী বাঁধের দুর্বল অংশ নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়েছে বেশি। বাঁধের দুর্বল ও ক্ষতিগ্রস্ত অংশে স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগেই বালুর বস্তা ফেলছেন। 

কুমিল্লায় টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে গোমতীর পানি বেড়ে গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিপৎসীমার ৭০ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সদর উপজেলা, দেবিদ্বার ও বুড়িচং উপজেলার নদীতীরবর্তী অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নিচু এলাকার কোথাও কোথাও পানি ঘরের চাল ছুঁই ছুঁই অবস্থা। অনেকের ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। প্রশাসন থেকে মাইকিং করে স্থানীয়দের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হচ্ছে। 
ব্রাহ্মণপাড়ার আলুয়া গ্রামের বাসিন্দা জাসমিন আক্তার বলেন, ‘বুধবার সকালেও বাড়িতে রান্না করছি। সন্ধ্যায় এত বেশি পানি এল যে জানালা দিয়ে ঘরে ঢুকছে। এখন পর্যন্ত সহায়তার জন্য কেউ আসে নাই।’

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, জনসাধারণকে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। 

এদিকে ফেনী কবলিত হয়েছে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায়। বিশেষ করে ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরামের অবস্থা বেশি খারাপ। এসব উপজেলার পৌর শহরগুলোও প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী কয়েক লাখ মানুষ। এমনকি ফেনী শহরেও কোনো কোনো বাড়ির নিচতলা প্রায় পুরোটা ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। পাহাড়ি ঢল ও বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে সোনাগাজী উপজেলার বড় ফেনী নদীর মুহুরী রেগুলেটরের ৪০টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, পানির তোড়ে ভেঙে গেছে অনেক রাস্তা, বাঁধ ও সেতু। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, মুহুরী ও ফেনী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এর মধ্যে মুহুরীর পানি গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।

ফেনী শহরের পূর্ব উকিলপাড়া এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, বুধবার রাত থেকে পৌর শহর প্লাবিত হয়েছে। তাঁদের বাসার নিচতলা পুরোপুরি পানিতে ডুবে গেছে। 

নোয়াখালীতেও একই অবস্থা। সদর, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, চাটখিল ও সুবর্ণচর উপজেলায় গতকাল বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। জেলা প্রশাসনের তথ্য বলছে, এই আট উপজেলার প্রায় ২০ লাখ মানুষ এখন পানিবন্দী। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেক বাড়িতেই ৩ থেকে ৫ ফুট পানি। নিচু এলাকাগুলোয় পানির উচ্চতা ৬ থেকে ৭ ফুট। এদিকে মুহুরী নদীর পানি আরও বেড়েছে।

কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের নূর নবী বলেন, বুধবার দুপুরে মুহুরী নদীর বাঁধ উপচে ফেনী ছোট নদীর পানি বেড়ে যায়। নোয়াখালী খালও উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। 

টানা বর্ষণ ও মেঘনার জোয়ারে লক্ষ্মীপুরে প্রায় ৬ লাখ মানুষ এখন পানিবন্দী। এই জেলার চারটি পৌরসভা ও পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে রামগতির প্রায় ৪০টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। বাসাবাড়িতে পানি ওঠায় জ্বলছে না চুলা। 
এদিকে খুলনার পাইকগাছার দেলুটি ইউনিয়নের কালীনগর গ্রামে পাউবোর বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে ৫-৬টি গ্রামের পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

বন্যাকবলিত চট্টগ্রাম ও পার্বত্য তিন জেলা
চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, চকবাজার, বাকলিয়া, ডিসি রোড, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় গতকাল হাঁটুপানি ছিল; কোথাও কোথাও কোমরসমান পানি। রাহাত্তারপুল এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হুদা বলেন, ‘আমাদের এলাকার অধিকাংশ বাসার নিচতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।’

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই ও ফটিকছড়িতে প্রায় এক লাখ মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছে। 
ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির পাঁচটি ইউনয়ন এবং কক্সবাজারের রামুর চার ইউনিয়নের এক লাখের বেশি মানুষ এখন পানিবন্দী। রামুতে পানির তোড়ে ভেসে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন দুজন। 

এদিকে খাগড়াছড়িতে গতকাল সকাল থেকে চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। জেলার অন্তত ৫০টি গ্রামের বাসিন্দা পানিবন্দী। এ নিয়ে গত দুই মাসে চারবার বন্যার কবলে পড়ল পার্বত্য জেলাটি। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, খাগড়াছড়ি সদরের ১৮টি এবং জেলায় মোট ৯৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। 

রাঙামাটিতেও কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। টানা বৃষ্টিতে জেলার তিনটি সড়কের ২১টি স্থানে ছোট-বড় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। পাহাড়ধসের শঙ্কায় স্থানীয়দের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করছে প্রশাসন।

দুর্ভোগের শেষ নেই সিলেট অঞ্চলের মানুষের
সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জসহ এই অঞ্চলের মানুষ এবার নিয়ে তিন মাসে তিনবার বন্যাকবলিত হয়েছে। গত জুনের শেষ দিকে প্রথম দফায়, জুলাইয়ে দ্বিতীয় দফায় এই অঞ্চল প্লাবিত হয়। দ্বিতীয় দফার পানি এখনো পুরোপুরি নামেনি। তার মধ্যেই তৃতীয় দফা বন্যা হানা দিয়েছে। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বেড়েই চলেছে কুশিয়ারার পানি। হবিগঞ্জে খোয়াই নদের পানি বিপৎসীমার প্রায় ২০০ সেমি ওপর দিয়ে বইছে। বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে কালনী নদীর পানিও।

মৌলভীবাজারে পানিবন্দী ৩ লাখ মানুষ। বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা, রাজনগর, সদর উপজেলায় অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

কুলাউড়া উপজেলার পানিবন্দী সাজিদ মিয়া বলেন, ‘রাতে মনু নদ ভেঙে আমার ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। আমার সবকিছু শেষ। জানি না, কোথায় যাব।’

এদিকে কিশোরগঞ্জের হাওরে খোয়াই নদীর পানি হু হু করে ঢুকছে। এতে অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন উপজেলায় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

বিদ্যুৎ নেই, নেটওয়ার্ক নেই, যোগাযোগও বিপর্যস্ত
কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি ঢুকে পড়াসহ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে এসব জেলার অনেক এলাকাই এখন বিদ্যুৎহীন। এমনকি মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কও বিঘ্নিত হচ্ছে কোথাও কোথাও। বিশেষ করে ফেনী ও নোয়াখালীর বেশ কিছু এলাকায় কার্যত টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। 

এদিকে বিভিন্ন এলাকায় সড়কে পানি ওঠায় যাতায়াতও বিঘ্নিত হচ্ছে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেন গতকাল সকালে হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায়। এতে সড়কের ৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে অবশ্য মহাসড়কে পানি কমায় সীমিত পরিসরে যাতায়াত শুরু হয়েছে। নোয়াখালীতে জেলা শহর মাইজদীতে প্রধান সড়ক ডুবেছে। শুধু তা-ই নয়, জেলার ৮০ শতাংশ সড়ক এখন পানির নিচে। লক্ষ্মীপুরেও অনেক সড়ক তলিয়েছে। চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকার সড়কের কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমরপানি। 

এদিকে ফেনীতে রেললাইন ও রেলসেতু তলিয়ে যাওয়ায় সারা দেশের সঙ্গে চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনে পাহাড় ধসে এই রুটেও ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। হবিগঞ্জে খোয়াই রেলসেতু তলিয়ে যাওয়ায় সারা দেশের সঙ্গে সিলেটেরও রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। 

ভেঙেছে বাঁধ, ভেসেছে ফসল
বন্যাকবলিত সব জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে চাষের মাছ। এ ছাড়া মৌলভীবাজারে ধলাই ও মনু নদের ১৪টি প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে।

কুমিল্লায় গোমতীতীরের কয়েক শ হেক্টর জমিতে আবাদ করা পাকা আউশ ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। লক্ষ্মীপুরে প্রায় ৪০ হাজার পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। তলিয়েছে শরৎকালীন সবজি, আমনের বীজতলাসহ ১৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল। নোয়াখালীতে আউশ, আমনসহ প্রায় ৩৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খাগড়াছড়িতেও আকস্মিক বন্যায় তলিয়েছে অনেক ফসলি জমি। মৌলভীবাজারে প্রায় ৪৪ হাজার হেক্টর জমির ফসল ও দেড় হাজারের বেশি ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। খুলনায়ও বাঁধ ভেঙে ভেসেছে ফসলি জমি, ঘেরের মাছ। 

উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা
বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোয় প্রশাসনের পাশাপাশি উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিজিবি। স্বেচ্ছাসেবকেরাও আছেন মাঠে। খাগড়াছড়িতে বন্যায় আটকে পড়া শতাধিক মানুষকে নৌকায় করে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এ ছাড়া উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ত্রাণ তৎপরতাও চালানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। তবে অনেক এলাকার বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, সহায়তা নিয়ে তাঁদের কাছে গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কেউ যাননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ২৫৮২ জন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৫৭
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৩টি আসন থেকে ৩৩৮টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৭৮টি। রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৯ আসন থেকে ৩২৯টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৬০টি। বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলার ২১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ২১২টি, জমা পড়েছে ১৬৬টি। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলার ১৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ১৬৫টি, জমা পড়েছে ১৪২টি।

খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬ আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৫৮টি, জমা পড়েছে ২৭৬টি। ঢাকা অঞ্চলের ৬ জেলার ৪১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৬৩৮টি, জমা পড়েছে ৪৪৪টি।

ময়মনসিংহের ৬টি জেলার ৩৮টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪০২টি, জমা পড়েছে ৩১১টি। সিলেটের ৪ জেলার ১৯টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ১৭৬টি, জমা পড়েছে ১৪৬টি। কুমিল্লার ৬ জেলার ৩৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪৯৬টি, জমা পড়েছে ৩৬৫টি। চট্টগ্রামের ৫ জেলার ২৩টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ২৯৩টি, জমা পড়েছে ১৯৪টি।

ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল করার সময় ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।

আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৪৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ: পি কে হালদারসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পি কে হালদার। ফাইল ছবি
পি কে হালদার। ফাইল ছবি

দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এই চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন।

আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২২ সালের ১৯ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।

মামলার আসামিরা হলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি ও পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদার, দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিবপ্রসাদ ব্যানার্জী, পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জী, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এম এ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার এবং এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার।

তদন্তে আরও ছয়জনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় দুদক। তাঁরা হলেন ইটা অ্যান্ড টাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নওশেরুল ইসলাম, দিয়া অয়েল লিমিটেডের এমডি বাসুদেব ব্যানার্জী, পরিচালক পূজা ব্যানার্জী, এমএসটি মেরিন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডার্স লিমিটেডের পরিচালক অমল চন্দ্র দাস, মমতাজ বেগম এবং বিডিএস অ্যাডজাস্টার্সের চিফ এক্সিকিউটিভ ইবনে মোফাজ্জল বারকি।

আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে অবৈধ উপায়ে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামে ঋণ হিসেবে ৪৪ কোটি টাকা গ্রহণ করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমান মামলার অন্যতম আসামি এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক এম ডি রাসেল শাহরিয়ারকে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে এই মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠায়।

কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা পি কে হালদার। তিনি শিবশংকর হালদার নামে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।

২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরও পাঁচজন। পরে প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে পি কে হালদার ভারতের কারাগারে রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা মামলার তদন্ত-বিচারকাজে আইনি পরামর্শক হলেন সমাজী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এহসানুল হক সমাজী। ফাইল ছবি
এহসানুল হক সমাজী। ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর সমাজীকে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদার সুবিধায় ওই দায়িত্ব দিয়ে আজ সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১২ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণাকালে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি আততায়ীর গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে ১৮ ডিসেম্বর তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে ঢাকা মহানগরীর পল্টন থানায় ১৪ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে। ডিএমপির অধীনে এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় মামলাটি দ্রুত তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

হাদি হত্যাকাণ্ডের মামলা তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা বা তদন্তসংশ্লিষ্টদের এবং পরে আদালতে বিচারকালে বিচারসংশ্লিষ্ট প্রসিকিউশন টিমকে প্রয়োজনীয় আইনি পরামর্শ দেওয়ার জন্য এহসানুল হক সমাজীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এখন র‍্যাপিড পাস রিচার্জ করা যাবে মোবাইল অ্যাপে

তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা 
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৪৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

মেট্রোর র‍্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র‍্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র‍্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে র‍্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য র‍্যাপিড পাস অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে।

ডিটিসিএ সূত্র জানিয়েছে, এক মাস ধরে র‍্যাপিড পাস অ্যাপটি নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি। অ্যাপটি তৈরি করে ইতিমধ্যে গুগলের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গুগল বিভিন্ন ধাপে অ্যাপটির পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার আজ সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, র‍্যাপিড পাস অ্যাপটি মোটামুটি প্রস্তুত। আগামী দুই–এক দিনের মধ্যে এটি জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এতে যাত্রীদের আরও বেশি সুবিধা হবে।

অ্যাপটি ব্যবহারের নিয়ম

ডিটিসিএ সূত্র জানায়, র‍্যাপিড পাস অ্যাপ ব্যবহার করতে হলে যেসব গ্রাহক ইতিমধ্যে rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাঁরা একই ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাপে লগইন করতে পারবেন। লগইনের পর ব্যবহারকারী ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারিত অ্যামাউন্ট সেট করে রিচার্জের জন্য প্রসেস দিতে পারবেন। এ সময় ব্যাংকের কার্ডের পাশাপাশি বিকাশ ও নগদের মাধ্যমেও সহজে রিচার্জ করা যাবে।

অনলাইনে রিচার্জ সম্পন্ন হওয়ার পর র‍্যাপিড পাস বা এমআরটি পাস কার্ডটি মেট্রো স্টেশনে থাকা এভিএমে (অ্যাড ভ্যালু মেশিন) ট্যাগ করলেই রিচার্জ করা অর্থ কার্ডে অ্যাকটিভ হয়ে যাবে। পাশাপাশি অ্যাপের মাধ্যমে কার্ডে থাকা বর্তমান ব্যালেন্স, কোথায় কোথায় ভ্রমণ করা হয়েছে—এসব বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। একই সঙ্গে যদি ব্যবহারকারীর মোবাইলে নিয়ার–ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) সুবিধা থাকে, তাহলে মোবাইলের নিচে র‍্যাপিড পাস কার্ড ধরলেই অ্যাপের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্ডে থাকা টাকার পরিমাণ মোবাইলের স্ক্রিনে দেখা যাবে।

ডিটিসিএ জানিয়েছে, র‍্যাপিড পাসের ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জের সুবিধা নিশ্চিত করতে মেট্রোর ১৬টি স্টেশনে দুটি করে মোট ৩২টি এভিএম বসানো হয়েছে। যাত্রীরা অনলাইনে রিচার্জ করার পর স্টেশনে থাকা এভিএম মেশিনে কার্ড স্পর্শ করলেই রিচার্জ সক্রিয় হয়ে যাবে।

ডিটিসিএ সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ১৭ লাখ গ্রাহক র‍্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ২ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, অর্থাৎ তাঁরা অনলাইনে রিচার্জ সুবিধা ব্যবহার করছেন।

ডিটিসিএ কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীদের সময় ও ঝামেলা কমাতেই অ্যাপের মাধ্যমে রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সহজেই অর্থ যোগ করা যাবে, ফলে যাতায়াত আরও নিরবচ্ছিন্ন হবে। মেট্রোরেল চালুর পর থেকে যাত্রীরা স্বল্প সময়ে র‍্যাপিড পাস ব্যবহার করে যাতায়াতের সুবিধা পাচ্ছেন। অ্যাপ ব্যবহার করে অনলাইন রিচার্জ যুক্ত হওয়ায় ডিজিটাল সেবার পরিধি আরও বাড়বে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৫ নভেম্বর মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকে র‍্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন রিচার্জ সেবা চালু করা হয়েছিল। সেই সময় প্রধান উপদেষ্টার সড়ক, সেতু ও রেলযোগাযোগবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত