নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চার মাস পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই ভোটে আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত নেই বলেই মনে হচ্ছে। পরিবর্তিত এই প্রেক্ষাপটে ভোটের মাঠে বিজয় ছিনিয়ে আনতে নিজেদের মতো করে ছক কষছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অন্য দলগুলো। নভেম্বরে নির্বাচনের তফসিল হয়ে গেলেই ঘোষণা করতে হবে প্রার্থী তালিকা। তার আগে তাই দলগুলোর মনোযোগ এখন চূড়ান্তভাবে প্রার্থী বাছাইয়ে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষ সংগঠক, আন্দোলনে ভূমিকা, সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নবীন-প্রবীণের মিশেলে নতুন চমক নিয়ে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী দিতে চায় বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিবিড় তত্ত্বাবধানে প্রার্থী চূড়ান্তকরণের প্রক্রিয়া এখন শেষের পথে। সব ঠিক থাকলে খুব শিগগির দলটির মনোনীত প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে দেখা যাবে বলে আভাস পাওয়া গেছে। যদিও ঠিক কবে নাগাদ প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে বিএনপি, তা নিয়ে জোর দিয়ে এখনো কিছু বলছেন না দলটির নীতিনির্ধারকেরা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে তৃণমূলের মতামত, নিরপেক্ষ জনমত যাচাই এবং প্রত্যাশীদের তথ্যাদি পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। মনোনয়ন কখন দেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
দলীয় সূত্র বলছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে অনেক আগেই নিজ নিজ জায়গা থেকে তৎপরতা শুরু করেছেন দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। মনোনয়ন আদায়ের প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে নিজেদের মধ্যে কোন্দল ও বিবাদেও জড়িয়েছেন তাঁরা। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দলাদলি এবং একে ঘিরে কোন্দল এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই অবস্থার দ্রুত অবসান চেয়ে এরই মধ্যে তৃণমূল থেকে বারবার বার্তা যাচ্ছে কেন্দ্রে।
সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রার্থী চূড়ান্তকরণে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। চলতি মাসেই (অক্টোবর) প্রায় ২০০ আসনে একক প্রার্থীকে ‘সবুজসংকেত’ দিয়ে নির্বাচনের মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। গত সোমবার অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র।
দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখেন এবং প্রার্থী বাছাইয়ের কাজে সম্পৃক্ত বিএনপির একাধিক নেতা জানান, প্রার্থী চূড়ান্ত করার শেষ পর্যায়ে এখন প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগ ও জেলার নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। এসব আলোচনা থেকে মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের জন্য বার্তা ও নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। সেখানে বলা হচ্ছে, একক প্রার্থী ঘোষণার পরে দলের আর কোনো প্রার্থীকে নির্বাচনের মাঠে মেনে নেওয়া হবে না। সবাইকে একযোগে মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে হবে।
এদিকে এরই মধ্যে মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের মধ্যে অনেককে নির্বাচনী মাঠ গোছাতে তারেক রহমান মৌখিকভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। তারেক রহমানের কাছ থেকে নির্দেশনা পেয়ে তাঁরা মাঠে নেমে গেছেন। ঠিক কতজনকে তারেক রহমান এমন নির্দেশনা দিয়েছেন, তার সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও তা ২০-এর বেশি বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
এদিকে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের আসন ছাড়ের বিষয়টিও দ্রুত সুরাহা করতে চায় বিএনপি। এ জন্য মিত্রদের কাছে তালিকা চেয়েছে দলটি। বিএনপি ও মিত্র দলগুলোর একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপির কাছে দুই শর বেশি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা জমা দিয়েছে শরিক দলগুলো। এর মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ ১৩৮, ১২ দলীয় জোট ২১, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ৯, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ১৩, জাতীয় পার্টি-বিজেপি ৫, গণফোরাম ১৫টি আসনের প্রার্থীর নাম দিয়েছে। যদিও শরিকদের জন্য এখন পর্যন্ত বিএনপির সর্বোচ্চ ৩০টি আসন ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘প্রতিটি আসনে আমাদের একাধিক যোগ্য প্রার্থী আছেন। নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়টা আমাদের দেখতে হচ্ছে।’
জামায়াতের প্রার্থীরা মাঠে
এরই মধ্যে প্রায় সব আসনে অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। সেই প্রার্থীরা নিজ নিজ আসনে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। যদিও পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের ঘোষিত প্রার্থী তালিকাতেই আটকে থাকতে চান না জামায়াতের নীতিনির্ধারকেরা। নির্বাচনী মাঠ ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের তৎপরতা এবং এর সঙ্গে সমমনাদের সঙ্গে জোট বা সমঝোতার আলোকে প্রার্থী তালিকায় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তাঁরা বলছেন, নির্বাচনের জন্য আবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে। সেই তালিকা ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্যানেলের মতো অন্তর্ভুক্তিমূলক করার প্রয়াস আছে। নতুন তালিকা চূড়ান্ত করতে কিছুটা সময় লাগতে পারে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ শিগগির শেষ হচ্ছে না। কিছু আসনে সমঝোতার বিষয় আছে। এ ছাড়া প্রার্থী তালিকা অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য আমাদের আলোচনা চলছে। আরও সময় লাগবে।’
দুই দলের আগ্রহে সিদ্ধান্তহীনতায় এনসিপি
নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) পাশে চাচ্ছে বিএনপি ও জামায়াত। দুটি পক্ষই মনে করে, এনসিপিকে সঙ্গে রাখলে নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়া সহজ হবে।
এ নিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হলেও কিছু বিষয় বিবেচনা করে এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছেন এনসিপির নেতারা। তাঁরা বলছেন, বিএনপির সঙ্গে গেলে আসন ছাড় দিলেও নির্বাচনী প্রচারে দলটির নেতা-কর্মীদের না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। একই সঙ্গে দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থীও দাঁড়িয়ে গেলে তা ঠেকাতে পারবে না। নির্বাচনের মাঠে বিএনপির কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবে না এনসিপি। অন্যদিকে জামায়াতের সঙ্গে গেলে ট্যাগিংয়ের ঝুঁকি আছে, আবার এনসিপিকে জামায়াতের ‘বি টিম’ বলে যে প্রচার আছে, তা-ও প্রতিষ্ঠা পাবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনসিপির এক যুগ্ম আহ্বায়ক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিদ্ধান্তহীনতার মধ্যে থেকেও আমরা প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করছি। একই সঙ্গে দলের নেতা-কর্মীদের মাঠে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’
এনসিপির একাধিক সূত্র বলছে, চলতি মাসে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। দলটির নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক আসনে এরই মধ্যে প্রার্থী নির্ধারণ হয়ে গেছে। অনেকে নিজ নিজ আসনে জনসংযোগও শুরু করেছেন।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যাঁদের নিয়ে বিতর্ক নেই, সারা দেশের মানুষ চেনে, তাঁদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। তাঁদের দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থাকতে হবে। প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করতে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে সিভি (জীবনবৃত্তান্ত) আহ্বান করা হবে।
প্রস্তুতির কথা জানিয়ে এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, ‘৩০০ আসনের জন্যই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জোট বা সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন হলে কিছু আসন থেকে প্রার্থী তুলে নেওয়া হবে। জোটের ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং আরও কয়েকটি ছোট ও মাঝারি দলের সঙ্গে এনসিপির আলোচনা চলছে।’
গণতন্ত্র মঞ্চের ১৪০ নাম
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে মাহমুদুর রহমান মান্না, জোনায়েদ সাকি, হাসনাত কাইয়ূম, সাইফুল হকসহ ১৪০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাম ও প্রগতিশীল ঘরানার ছয়টি রাজনৈতিক দলের মোর্চা ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মঞ্চের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম। পর্যায়ক্রমে ৩০০ আসনের বাকি আসনগুলোতেও প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
হাসনাত কাইয়ূম আজকের পত্রিকাকে জানান, গণতন্ত্র মঞ্চের ছয় দলের চার শতাধিক প্রার্থীর আবেদন জমা পড়েছে। প্রার্থিতা বাছাই ও সমন্বয় কমিটি আবেদনগুলো পর্যালোচনা ও সমন্বয়ের কাজ করছে। একই আসনে একাধিক প্রার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ধারাবাহিকভাবে দলগুলোর মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে সমন্বয়ের কাজ চলছে।
গণঅধিকারের প্রস্তুতি
নির্বাচনে অংশ নিতে গত ২২ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আগ্রহীদের কাছে প্রাথমিক আবেদন ফরম আহ্বান করেছিল গণঅধিকার পরিষদ। যোগ্য এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রার্থীদের আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দলের পক্ষ থেকে ৩৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আরও ১০০ আসন এবং আগামী মাসের মধ্যে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে দলটি।
গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গণঅধিকার পরিষদ এরই মধ্যে ৩৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে এবং শিগগির আরও ১০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে। তারপর ধাপে ধাপে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রক্রিয়া চলবে।
নির্বাচনী জোটের বিষয়ে ভাবনা জানতে চাইলে রাশেদ খান বলেন, ‘জোটবদ্ধ হওয়ার আলোচনা অনেকে করছেন। অনেকে চাইছেন কাছাকাছি আসতে। বেশ কিছু দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। তবে জোটের বিষয়ে এখনো আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।’
এরই মধ্যে বাম গণতান্ত্রিক জোটের দলগুলো নিজেদের প্রার্থী বাছাই এবং নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন জোটের শীর্ষ নেতারা। জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দলগুলোর মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা করেছি। দলগুলো নিজেরা প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ৩১ অক্টোবর জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সমন্বয়ের মাধ্যমে শিগগির আমরা প্রার্থী ঘোষণা করব।’
বিভক্ত জাতীয় পার্টিও নিচ্ছে প্রস্তুতি
এদিকে নানাভাবে চাপে থাকলেও নির্বাচনী ভাবনা ভর করেছে জাতীয় পার্টিতেও। নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করছে পার্টির দুটি পক্ষই। জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। নির্বাচন যেহেতু প্রতিযোগিতামূলক হবে, তাই আমরা আরও ভালো জনপ্রিয় প্রার্থী; যেমন বিভিন্ন দলে যারা সুযোগ পাবে না এমন জনপ্রিয়, যোগ্য প্রার্থীকে নেব। নির্বাচন নিয়ে সংশয় থাকার পরেও আমরা প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। এরই মধ্যে আমাদের ৬০-৭০ জন প্রার্থী প্রস্তুত আছে।’
জাতীয় পার্টির অপর অংশের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি দেখে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের কাজ আমরা শুরু করব।’ জোটের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন শামীম হায়দার। তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

চার মাস পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই ভোটে আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত নেই বলেই মনে হচ্ছে। পরিবর্তিত এই প্রেক্ষাপটে ভোটের মাঠে বিজয় ছিনিয়ে আনতে নিজেদের মতো করে ছক কষছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অন্য দলগুলো। নভেম্বরে নির্বাচনের তফসিল হয়ে গেলেই ঘোষণা করতে হবে প্রার্থী তালিকা। তার আগে তাই দলগুলোর মনোযোগ এখন চূড়ান্তভাবে প্রার্থী বাছাইয়ে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষ সংগঠক, আন্দোলনে ভূমিকা, সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নবীন-প্রবীণের মিশেলে নতুন চমক নিয়ে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী দিতে চায় বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিবিড় তত্ত্বাবধানে প্রার্থী চূড়ান্তকরণের প্রক্রিয়া এখন শেষের পথে। সব ঠিক থাকলে খুব শিগগির দলটির মনোনীত প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে দেখা যাবে বলে আভাস পাওয়া গেছে। যদিও ঠিক কবে নাগাদ প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে বিএনপি, তা নিয়ে জোর দিয়ে এখনো কিছু বলছেন না দলটির নীতিনির্ধারকেরা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে তৃণমূলের মতামত, নিরপেক্ষ জনমত যাচাই এবং প্রত্যাশীদের তথ্যাদি পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। মনোনয়ন কখন দেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
দলীয় সূত্র বলছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে অনেক আগেই নিজ নিজ জায়গা থেকে তৎপরতা শুরু করেছেন দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। মনোনয়ন আদায়ের প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে নিজেদের মধ্যে কোন্দল ও বিবাদেও জড়িয়েছেন তাঁরা। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দলাদলি এবং একে ঘিরে কোন্দল এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই অবস্থার দ্রুত অবসান চেয়ে এরই মধ্যে তৃণমূল থেকে বারবার বার্তা যাচ্ছে কেন্দ্রে।
সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রার্থী চূড়ান্তকরণে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। চলতি মাসেই (অক্টোবর) প্রায় ২০০ আসনে একক প্রার্থীকে ‘সবুজসংকেত’ দিয়ে নির্বাচনের মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। গত সোমবার অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র।
দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখেন এবং প্রার্থী বাছাইয়ের কাজে সম্পৃক্ত বিএনপির একাধিক নেতা জানান, প্রার্থী চূড়ান্ত করার শেষ পর্যায়ে এখন প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগ ও জেলার নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। এসব আলোচনা থেকে মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের জন্য বার্তা ও নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। সেখানে বলা হচ্ছে, একক প্রার্থী ঘোষণার পরে দলের আর কোনো প্রার্থীকে নির্বাচনের মাঠে মেনে নেওয়া হবে না। সবাইকে একযোগে মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে হবে।
এদিকে এরই মধ্যে মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের মধ্যে অনেককে নির্বাচনী মাঠ গোছাতে তারেক রহমান মৌখিকভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। তারেক রহমানের কাছ থেকে নির্দেশনা পেয়ে তাঁরা মাঠে নেমে গেছেন। ঠিক কতজনকে তারেক রহমান এমন নির্দেশনা দিয়েছেন, তার সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও তা ২০-এর বেশি বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
এদিকে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের আসন ছাড়ের বিষয়টিও দ্রুত সুরাহা করতে চায় বিএনপি। এ জন্য মিত্রদের কাছে তালিকা চেয়েছে দলটি। বিএনপি ও মিত্র দলগুলোর একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপির কাছে দুই শর বেশি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা জমা দিয়েছে শরিক দলগুলো। এর মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ ১৩৮, ১২ দলীয় জোট ২১, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ৯, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ১৩, জাতীয় পার্টি-বিজেপি ৫, গণফোরাম ১৫টি আসনের প্রার্থীর নাম দিয়েছে। যদিও শরিকদের জন্য এখন পর্যন্ত বিএনপির সর্বোচ্চ ৩০টি আসন ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘প্রতিটি আসনে আমাদের একাধিক যোগ্য প্রার্থী আছেন। নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়টা আমাদের দেখতে হচ্ছে।’
জামায়াতের প্রার্থীরা মাঠে
এরই মধ্যে প্রায় সব আসনে অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। সেই প্রার্থীরা নিজ নিজ আসনে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। যদিও পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের ঘোষিত প্রার্থী তালিকাতেই আটকে থাকতে চান না জামায়াতের নীতিনির্ধারকেরা। নির্বাচনী মাঠ ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের তৎপরতা এবং এর সঙ্গে সমমনাদের সঙ্গে জোট বা সমঝোতার আলোকে প্রার্থী তালিকায় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তাঁরা বলছেন, নির্বাচনের জন্য আবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে। সেই তালিকা ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্যানেলের মতো অন্তর্ভুক্তিমূলক করার প্রয়াস আছে। নতুন তালিকা চূড়ান্ত করতে কিছুটা সময় লাগতে পারে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ শিগগির শেষ হচ্ছে না। কিছু আসনে সমঝোতার বিষয় আছে। এ ছাড়া প্রার্থী তালিকা অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য আমাদের আলোচনা চলছে। আরও সময় লাগবে।’
দুই দলের আগ্রহে সিদ্ধান্তহীনতায় এনসিপি
নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) পাশে চাচ্ছে বিএনপি ও জামায়াত। দুটি পক্ষই মনে করে, এনসিপিকে সঙ্গে রাখলে নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়া সহজ হবে।
এ নিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হলেও কিছু বিষয় বিবেচনা করে এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছেন এনসিপির নেতারা। তাঁরা বলছেন, বিএনপির সঙ্গে গেলে আসন ছাড় দিলেও নির্বাচনী প্রচারে দলটির নেতা-কর্মীদের না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। একই সঙ্গে দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থীও দাঁড়িয়ে গেলে তা ঠেকাতে পারবে না। নির্বাচনের মাঠে বিএনপির কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবে না এনসিপি। অন্যদিকে জামায়াতের সঙ্গে গেলে ট্যাগিংয়ের ঝুঁকি আছে, আবার এনসিপিকে জামায়াতের ‘বি টিম’ বলে যে প্রচার আছে, তা-ও প্রতিষ্ঠা পাবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনসিপির এক যুগ্ম আহ্বায়ক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিদ্ধান্তহীনতার মধ্যে থেকেও আমরা প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করছি। একই সঙ্গে দলের নেতা-কর্মীদের মাঠে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’
এনসিপির একাধিক সূত্র বলছে, চলতি মাসে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। দলটির নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক আসনে এরই মধ্যে প্রার্থী নির্ধারণ হয়ে গেছে। অনেকে নিজ নিজ আসনে জনসংযোগও শুরু করেছেন।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যাঁদের নিয়ে বিতর্ক নেই, সারা দেশের মানুষ চেনে, তাঁদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। তাঁদের দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থাকতে হবে। প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করতে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে সিভি (জীবনবৃত্তান্ত) আহ্বান করা হবে।
প্রস্তুতির কথা জানিয়ে এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, ‘৩০০ আসনের জন্যই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জোট বা সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন হলে কিছু আসন থেকে প্রার্থী তুলে নেওয়া হবে। জোটের ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং আরও কয়েকটি ছোট ও মাঝারি দলের সঙ্গে এনসিপির আলোচনা চলছে।’
গণতন্ত্র মঞ্চের ১৪০ নাম
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে মাহমুদুর রহমান মান্না, জোনায়েদ সাকি, হাসনাত কাইয়ূম, সাইফুল হকসহ ১৪০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাম ও প্রগতিশীল ঘরানার ছয়টি রাজনৈতিক দলের মোর্চা ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন মঞ্চের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম। পর্যায়ক্রমে ৩০০ আসনের বাকি আসনগুলোতেও প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
হাসনাত কাইয়ূম আজকের পত্রিকাকে জানান, গণতন্ত্র মঞ্চের ছয় দলের চার শতাধিক প্রার্থীর আবেদন জমা পড়েছে। প্রার্থিতা বাছাই ও সমন্বয় কমিটি আবেদনগুলো পর্যালোচনা ও সমন্বয়ের কাজ করছে। একই আসনে একাধিক প্রার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ধারাবাহিকভাবে দলগুলোর মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে সমন্বয়ের কাজ চলছে।
গণঅধিকারের প্রস্তুতি
নির্বাচনে অংশ নিতে গত ২২ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আগ্রহীদের কাছে প্রাথমিক আবেদন ফরম আহ্বান করেছিল গণঅধিকার পরিষদ। যোগ্য এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রার্থীদের আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দলের পক্ষ থেকে ৩৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আরও ১০০ আসন এবং আগামী মাসের মধ্যে ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে দলটি।
গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গণঅধিকার পরিষদ এরই মধ্যে ৩৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে এবং শিগগির আরও ১০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে। তারপর ধাপে ধাপে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রক্রিয়া চলবে।
নির্বাচনী জোটের বিষয়ে ভাবনা জানতে চাইলে রাশেদ খান বলেন, ‘জোটবদ্ধ হওয়ার আলোচনা অনেকে করছেন। অনেকে চাইছেন কাছাকাছি আসতে। বেশ কিছু দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। তবে জোটের বিষয়ে এখনো আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।’
এরই মধ্যে বাম গণতান্ত্রিক জোটের দলগুলো নিজেদের প্রার্থী বাছাই এবং নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন জোটের শীর্ষ নেতারা। জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দলগুলোর মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা করেছি। দলগুলো নিজেরা প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ৩১ অক্টোবর জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সমন্বয়ের মাধ্যমে শিগগির আমরা প্রার্থী ঘোষণা করব।’
বিভক্ত জাতীয় পার্টিও নিচ্ছে প্রস্তুতি
এদিকে নানাভাবে চাপে থাকলেও নির্বাচনী ভাবনা ভর করেছে জাতীয় পার্টিতেও। নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করছে পার্টির দুটি পক্ষই। জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। নির্বাচন যেহেতু প্রতিযোগিতামূলক হবে, তাই আমরা আরও ভালো জনপ্রিয় প্রার্থী; যেমন বিভিন্ন দলে যারা সুযোগ পাবে না এমন জনপ্রিয়, যোগ্য প্রার্থীকে নেব। নির্বাচন নিয়ে সংশয় থাকার পরেও আমরা প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। এরই মধ্যে আমাদের ৬০-৭০ জন প্রার্থী প্রস্তুত আছে।’
জাতীয় পার্টির অপর অংশের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি দেখে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের কাজ আমরা শুরু করব।’ জোটের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন শামীম হায়দার। তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১৩ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৬ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর দু’টি মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ও ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ নেতারা এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে’ রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। রোববার থেকে সব শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে।
এদিকে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাদের ‘হয়রানিমূলক’ বদলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাদের দাবি, বৃহস্পতিবার তিনজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে নিজ জেলার বাইরে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। এসব বদলিকে তাঁরা ‘হয়রানিমূলক বদলি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
শিক্ষক নেতারা দাবি করেছেন, ‘রেওয়াজ না থাকলেও নিজ জেলার বাইরে হয়রানি করতে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে।’
যদিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা ও অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এসব বদলির আদেশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে প্রাথমিক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ জানিয়েছেন, তাঁকে নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আরেক আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি জানিয়েছেন, তিনিসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অন্তত ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে অন্য জেলায় প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রথমে শোকজ ও পরে বদলি করা হলো। এটি হয়রানিমূলক বদলি, আমাদের শাস্তি দিয়েছে কারণ আমরা শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই করেছি। কিন্তু অনেক শিক্ষক যাঁরা আন্দোলনে জড়িত ছিলেন না তবুও তাঁরা বদলি হয়েছেন।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ অনুসারীরা সরকারের দেওয়া আশ্বাস বাস্তবায়নের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করেছেন। সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু স্কুলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা তা বর্জন করে কর্মবিরতি চালিয়ে যান।
কয়েক দিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছিলেন। পরে ১১ তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে সেদিন বিকেলে তাঁরা ‘কলম বিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া চেষ্টা করলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। সেসময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা পরদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা, যেখানে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকারে আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে ওই দিন রাতে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর দু’টি মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ও ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ নেতারা এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে’ রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। রোববার থেকে সব শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে।
এদিকে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাদের ‘হয়রানিমূলক’ বদলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাদের দাবি, বৃহস্পতিবার তিনজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে নিজ জেলার বাইরে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। এসব বদলিকে তাঁরা ‘হয়রানিমূলক বদলি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
শিক্ষক নেতারা দাবি করেছেন, ‘রেওয়াজ না থাকলেও নিজ জেলার বাইরে হয়রানি করতে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে।’
যদিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা ও অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এসব বদলির আদেশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে প্রাথমিক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ জানিয়েছেন, তাঁকে নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আরেক আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি জানিয়েছেন, তিনিসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অন্তত ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে অন্য জেলায় প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রথমে শোকজ ও পরে বদলি করা হলো। এটি হয়রানিমূলক বদলি, আমাদের শাস্তি দিয়েছে কারণ আমরা শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই করেছি। কিন্তু অনেক শিক্ষক যাঁরা আন্দোলনে জড়িত ছিলেন না তবুও তাঁরা বদলি হয়েছেন।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ অনুসারীরা সরকারের দেওয়া আশ্বাস বাস্তবায়নের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করেছেন। সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু স্কুলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা তা বর্জন করে কর্মবিরতি চালিয়ে যান।
কয়েক দিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছিলেন। পরে ১১ তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে সেদিন বিকেলে তাঁরা ‘কলম বিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া চেষ্টা করলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। সেসময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা পরদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা, যেখানে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকারে আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে ওই দিন রাতে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

চার মাস পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই ভোটে আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত নেই বলেই মনে হচ্ছে। পরিবর্তিত এই প্রেক্ষাপটে ভোটের মাঠে বিজয় ছিনিয়ে আনতে নিজেদের মতো করে ছক কষছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অন্য দলগুলো।
১২ অক্টোবর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১৩ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৬ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৭ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

চার মাস পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই ভোটে আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত নেই বলেই মনে হচ্ছে। পরিবর্তিত এই প্রেক্ষাপটে ভোটের মাঠে বিজয় ছিনিয়ে আনতে নিজেদের মতো করে ছক কষছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অন্য দলগুলো।
১২ অক্টোবর ২০২৫
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৬ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

চার মাস পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই ভোটে আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত নেই বলেই মনে হচ্ছে। পরিবর্তিত এই প্রেক্ষাপটে ভোটের মাঠে বিজয় ছিনিয়ে আনতে নিজেদের মতো করে ছক কষছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অন্য দলগুলো।
১২ অক্টোবর ২০২৫
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১৩ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

চার মাস পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই ভোটে আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত নেই বলেই মনে হচ্ছে। পরিবর্তিত এই প্রেক্ষাপটে ভোটের মাঠে বিজয় ছিনিয়ে আনতে নিজেদের মতো করে ছক কষছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) অন্য দলগুলো।
১২ অক্টোবর ২০২৫
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১৩ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৬ ঘণ্টা আগে