কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হওয়া এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির নিশ্চয়তা চেয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এমন পদক্ষেপেকে দলীয় পক্ষপাতদুষ্ট বলছে সরকার। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রস্তাবের ভাষা, প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সময় এবং যে এমইপিরা প্রস্তাবটি আনলেন, এই তিন বিষয় বিবেচনায় নিলে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বাধীন বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের জন্য প্রস্তাবটি আনা হয়েছে।
এ ছাড়া সরকার মনে করে, নাগরিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলে আনা এবং পরে গৃহীত হওয়া প্রস্তাবটি দলীয় পক্ষপাত দোষে দুষ্ট।
প্রস্তাবে যা বলা হয়েছে, সরকার তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক উপায়ে সম্পন্ন হবে—বাংলাদেশ সরকারের কাছে এমন নিশ্চয়তা চেয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পার্লামেন্ট এক প্রস্তাব পাস করেছে।
প্রস্তাবে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি, বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার এবং তাঁদের বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এ সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে আইসিটি আইনে মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’-এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে দুই বছর কারাদণ্ডের রায়ের কথা উল্লেখ করা হয়।
ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে ইপির ছয় সদস্য (এমইপি-মেম্বার অব ইউরোপীয় পার্লামেন্ট) প্রস্তাবটির ওপর বুধবার রাতে বিতর্কে অংশ নেন। এরপর আজ প্রস্তাবটি পাস হয়।
প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী স্থানীয় ও বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের জন্য আগামী নির্বাচনে বাধাহীন পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে এমইপিরা বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। জবরদস্তি গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো সরকার ও বিচার বিভাগের দ্বারা হয়রানি ও নিপীড়নের সম্মুখীন হচ্ছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও শ্রমিকদের অধিকার খর্ব হচ্ছে।
প্রস্তাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে অধিকারের দুই নেতা আদিলুর রহমান খান এবং এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলানের বিচারের প্রসঙ্গটি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এমইপিরা নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চর্চার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিধিবিধান অনুসরণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রস্তাবে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বিধিবিধানের মারাত্মক লঙ্ঘন অব্যাহত থাকার মধ্যেও দেশটিকে ইইউভুক্ত অঞ্চলে অস্ত্র ছাড়া সব পণ্য (এভরিথিং বাট আর্মস–ইবিএ) রপ্তানির সুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকারের সঙ্গে যা করা হলো, তা নিন্দনীয় পশ্চাৎযাত্রা। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য ইবিএ সুবিধা অব্যাহত রাখা হবে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়।
ইপি সদস্যরা বলেন, বাংলাদেশে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে অধিকারসহ এমন অনেক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। তাদের কাজকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে হয়রানি করা হচ্ছে।
আলোচনায় অংশ নেওয়া এমইপিরা অবিলম্বে সংগঠনগুলোকে হয়রানি বন্ধ করা এবং সংগঠনের মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়ে নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে তাগিদ দেন।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারকে টার্গেট করে হয়রানি প্রসঙ্গে তারা বলেন, সংগঠনটির সদস্যরা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সরকারের কর্মকর্তাদের নজরদারি ও ভয়ভীতি দেখানোর শিকার হচ্ছেন বলে অনেক অভিযোগ আছে। অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে করা মামলায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।
ইপিতে আনা প্রস্তাবে সদস্যরা বলেছেন, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের উচিত মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে সহযোগিতা করা, যাতে দেশটিতে মানবাধিকারকর্মী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য কাজের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত হয়।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছে ইপি। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিসহ তাদের প্রস্তাবের বিষয়বস্তুগুলো এমইপিদের তাদের নিজ নিজ দেশ ও দায়িত্বের অধীন এলাকায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে তুলে ধরতে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হওয়া এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির নিশ্চয়তা চেয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এমন পদক্ষেপেকে দলীয় পক্ষপাতদুষ্ট বলছে সরকার। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রস্তাবের ভাষা, প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সময় এবং যে এমইপিরা প্রস্তাবটি আনলেন, এই তিন বিষয় বিবেচনায় নিলে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বাধীন বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের জন্য প্রস্তাবটি আনা হয়েছে।
এ ছাড়া সরকার মনে করে, নাগরিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলে আনা এবং পরে গৃহীত হওয়া প্রস্তাবটি দলীয় পক্ষপাত দোষে দুষ্ট।
প্রস্তাবে যা বলা হয়েছে, সরকার তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক উপায়ে সম্পন্ন হবে—বাংলাদেশ সরকারের কাছে এমন নিশ্চয়তা চেয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পার্লামেন্ট এক প্রস্তাব পাস করেছে।
প্রস্তাবে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি, বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার এবং তাঁদের বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এ সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে আইসিটি আইনে মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’-এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে দুই বছর কারাদণ্ডের রায়ের কথা উল্লেখ করা হয়।
ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে ইপির ছয় সদস্য (এমইপি-মেম্বার অব ইউরোপীয় পার্লামেন্ট) প্রস্তাবটির ওপর বুধবার রাতে বিতর্কে অংশ নেন। এরপর আজ প্রস্তাবটি পাস হয়।
প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী স্থানীয় ও বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের জন্য আগামী নির্বাচনে বাধাহীন পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে এমইপিরা বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। জবরদস্তি গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো সরকার ও বিচার বিভাগের দ্বারা হয়রানি ও নিপীড়নের সম্মুখীন হচ্ছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও শ্রমিকদের অধিকার খর্ব হচ্ছে।
প্রস্তাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে অধিকারের দুই নেতা আদিলুর রহমান খান এবং এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলানের বিচারের প্রসঙ্গটি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এমইপিরা নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চর্চার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিধিবিধান অনুসরণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রস্তাবে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বিধিবিধানের মারাত্মক লঙ্ঘন অব্যাহত থাকার মধ্যেও দেশটিকে ইইউভুক্ত অঞ্চলে অস্ত্র ছাড়া সব পণ্য (এভরিথিং বাট আর্মস–ইবিএ) রপ্তানির সুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকারের সঙ্গে যা করা হলো, তা নিন্দনীয় পশ্চাৎযাত্রা। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য ইবিএ সুবিধা অব্যাহত রাখা হবে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়।
ইপি সদস্যরা বলেন, বাংলাদেশে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে অধিকারসহ এমন অনেক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। তাদের কাজকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে হয়রানি করা হচ্ছে।
আলোচনায় অংশ নেওয়া এমইপিরা অবিলম্বে সংগঠনগুলোকে হয়রানি বন্ধ করা এবং সংগঠনের মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়ে নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে তাগিদ দেন।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারকে টার্গেট করে হয়রানি প্রসঙ্গে তারা বলেন, সংগঠনটির সদস্যরা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সরকারের কর্মকর্তাদের নজরদারি ও ভয়ভীতি দেখানোর শিকার হচ্ছেন বলে অনেক অভিযোগ আছে। অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে করা মামলায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।
ইপিতে আনা প্রস্তাবে সদস্যরা বলেছেন, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের উচিত মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে সহযোগিতা করা, যাতে দেশটিতে মানবাধিকারকর্মী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য কাজের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত হয়।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছে ইপি। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিসহ তাদের প্রস্তাবের বিষয়বস্তুগুলো এমইপিদের তাদের নিজ নিজ দেশ ও দায়িত্বের অধীন এলাকায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে তুলে ধরতে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হওয়া এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির নিশ্চয়তা চেয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এমন পদক্ষেপেকে দলীয় পক্ষপাতদুষ্ট বলছে সরকার। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রস্তাবের ভাষা, প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সময় এবং যে এমইপিরা প্রস্তাবটি আনলেন, এই তিন বিষয় বিবেচনায় নিলে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বাধীন বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের জন্য প্রস্তাবটি আনা হয়েছে।
এ ছাড়া সরকার মনে করে, নাগরিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলে আনা এবং পরে গৃহীত হওয়া প্রস্তাবটি দলীয় পক্ষপাত দোষে দুষ্ট।
প্রস্তাবে যা বলা হয়েছে, সরকার তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক উপায়ে সম্পন্ন হবে—বাংলাদেশ সরকারের কাছে এমন নিশ্চয়তা চেয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পার্লামেন্ট এক প্রস্তাব পাস করেছে।
প্রস্তাবে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি, বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার এবং তাঁদের বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এ সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে আইসিটি আইনে মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’-এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে দুই বছর কারাদণ্ডের রায়ের কথা উল্লেখ করা হয়।
ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে ইপির ছয় সদস্য (এমইপি-মেম্বার অব ইউরোপীয় পার্লামেন্ট) প্রস্তাবটির ওপর বুধবার রাতে বিতর্কে অংশ নেন। এরপর আজ প্রস্তাবটি পাস হয়।
প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী স্থানীয় ও বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের জন্য আগামী নির্বাচনে বাধাহীন পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে এমইপিরা বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। জবরদস্তি গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো সরকার ও বিচার বিভাগের দ্বারা হয়রানি ও নিপীড়নের সম্মুখীন হচ্ছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও শ্রমিকদের অধিকার খর্ব হচ্ছে।
প্রস্তাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে অধিকারের দুই নেতা আদিলুর রহমান খান এবং এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলানের বিচারের প্রসঙ্গটি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এমইপিরা নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চর্চার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিধিবিধান অনুসরণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রস্তাবে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বিধিবিধানের মারাত্মক লঙ্ঘন অব্যাহত থাকার মধ্যেও দেশটিকে ইইউভুক্ত অঞ্চলে অস্ত্র ছাড়া সব পণ্য (এভরিথিং বাট আর্মস–ইবিএ) রপ্তানির সুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকারের সঙ্গে যা করা হলো, তা নিন্দনীয় পশ্চাৎযাত্রা। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য ইবিএ সুবিধা অব্যাহত রাখা হবে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়।
ইপি সদস্যরা বলেন, বাংলাদেশে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে অধিকারসহ এমন অনেক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। তাদের কাজকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে হয়রানি করা হচ্ছে।
আলোচনায় অংশ নেওয়া এমইপিরা অবিলম্বে সংগঠনগুলোকে হয়রানি বন্ধ করা এবং সংগঠনের মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়ে নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে তাগিদ দেন।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারকে টার্গেট করে হয়রানি প্রসঙ্গে তারা বলেন, সংগঠনটির সদস্যরা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সরকারের কর্মকর্তাদের নজরদারি ও ভয়ভীতি দেখানোর শিকার হচ্ছেন বলে অনেক অভিযোগ আছে। অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে করা মামলায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।
ইপিতে আনা প্রস্তাবে সদস্যরা বলেছেন, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের উচিত মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে সহযোগিতা করা, যাতে দেশটিতে মানবাধিকারকর্মী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য কাজের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত হয়।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছে ইপি। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিসহ তাদের প্রস্তাবের বিষয়বস্তুগুলো এমইপিদের তাদের নিজ নিজ দেশ ও দায়িত্বের অধীন এলাকায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে তুলে ধরতে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হওয়া এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির নিশ্চয়তা চেয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এমন পদক্ষেপেকে দলীয় পক্ষপাতদুষ্ট বলছে সরকার। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রস্তাবের ভাষা, প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সময় এবং যে এমইপিরা প্রস্তাবটি আনলেন, এই তিন বিষয় বিবেচনায় নিলে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বাধীন বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের জন্য প্রস্তাবটি আনা হয়েছে।
এ ছাড়া সরকার মনে করে, নাগরিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলে আনা এবং পরে গৃহীত হওয়া প্রস্তাবটি দলীয় পক্ষপাত দোষে দুষ্ট।
প্রস্তাবে যা বলা হয়েছে, সরকার তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক উপায়ে সম্পন্ন হবে—বাংলাদেশ সরকারের কাছে এমন নিশ্চয়তা চেয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পার্লামেন্ট এক প্রস্তাব পাস করেছে।
প্রস্তাবে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি, বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার এবং তাঁদের বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এ সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে আইসিটি আইনে মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’-এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে দুই বছর কারাদণ্ডের রায়ের কথা উল্লেখ করা হয়।
ফ্রান্সের স্ট্রাসবুর্গে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে ইপির ছয় সদস্য (এমইপি-মেম্বার অব ইউরোপীয় পার্লামেন্ট) প্রস্তাবটির ওপর বুধবার রাতে বিতর্কে অংশ নেন। এরপর আজ প্রস্তাবটি পাস হয়।
প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী স্থানীয় ও বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের জন্য আগামী নির্বাচনে বাধাহীন পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে এমইপিরা বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। জবরদস্তি গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো সরকার ও বিচার বিভাগের দ্বারা হয়রানি ও নিপীড়নের সম্মুখীন হচ্ছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও শ্রমিকদের অধিকার খর্ব হচ্ছে।
প্রস্তাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে অধিকারের দুই নেতা আদিলুর রহমান খান এবং এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলানের বিচারের প্রসঙ্গটি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এমইপিরা নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চর্চার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিধিবিধান অনুসরণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রস্তাবে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বিধিবিধানের মারাত্মক লঙ্ঘন অব্যাহত থাকার মধ্যেও দেশটিকে ইইউভুক্ত অঞ্চলে অস্ত্র ছাড়া সব পণ্য (এভরিথিং বাট আর্মস–ইবিএ) রপ্তানির সুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকারের সঙ্গে যা করা হলো, তা নিন্দনীয় পশ্চাৎযাত্রা। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য ইবিএ সুবিধা অব্যাহত রাখা হবে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়।
ইপি সদস্যরা বলেন, বাংলাদেশে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে অধিকারসহ এমন অনেক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। তাদের কাজকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে হয়রানি করা হচ্ছে।
আলোচনায় অংশ নেওয়া এমইপিরা অবিলম্বে সংগঠনগুলোকে হয়রানি বন্ধ করা এবং সংগঠনের মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়ে নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে তাগিদ দেন।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারকে টার্গেট করে হয়রানি প্রসঙ্গে তারা বলেন, সংগঠনটির সদস্যরা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সরকারের কর্মকর্তাদের নজরদারি ও ভয়ভীতি দেখানোর শিকার হচ্ছেন বলে অনেক অভিযোগ আছে। অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক এ এস এম নাসিরউদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে করা মামলায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।
ইপিতে আনা প্রস্তাবে সদস্যরা বলেছেন, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের উচিত মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে সহযোগিতা করা, যাতে দেশটিতে মানবাধিকারকর্মী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য কাজের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত হয়।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছে ইপি। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিসহ তাদের প্রস্তাবের বিষয়বস্তুগুলো এমইপিদের তাদের নিজ নিজ দেশ ও দায়িত্বের অধীন এলাকায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে তুলে ধরতে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

এসএমজি (স্মল মেশিনগান), এলএমজিসহ (লাইট মেশিনগান) থানা থেকে লুট হওয়া অন্য ভারী অস্ত্র উদ্ধারে সরকারের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না—এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখানে সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই।
১ ঘণ্টা আগে
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল...
৫ ঘণ্টা আগে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
৮ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের অস্ত্র উদ্ধারে ‘সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই’ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি দাবি করেছেন, থানার বাইরে কোনো ভারী অস্ত্র নেই।
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সে সময় লুট করা হয় ৫ হাজার ৭৫৩টি আগ্নেয়াস্ত্র।
এসএমজি (স্মল মেশিনগান), এলএমজিসহ (লাইট মেশিনগান) থানা থেকে লুট হওয়া অন্য ভারী অস্ত্র উদ্ধারে সরকারের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না—এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখানে সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই।
তবে কতসংখ্যক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
নতুন অধ্যাদেশ পাস হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে পুলিশ পুনর্গঠনের উদ্যোগের কার্যকারিতা নিয়ে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশ্ন তোলা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইন করা হয় জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য। সমস্যা থাকলে তারা সুপারিশ করতে পারবে—স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা দেখবে।
এদিন সকালে নিবন্ধনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয় ফায়ার সার্ভিসের। পরে স্বেচ্ছাসেবক ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা হয়।
সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় ৬২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক গঠনের লক্ষ্য রয়েছে।
তিনি বলেন, ৫৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের প্রশিক্ষণ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
বড় দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবক অপরিহার্য উল্লেখ করে তিনি জানান, প্রশিক্ষণের মান বৃদ্ধি ও বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে সরকার ভাবছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামালসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

থানা থেকে লুট হওয়া পুলিশের অস্ত্র উদ্ধারে ‘সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই’ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি দাবি করেছেন, থানার বাইরে কোনো ভারী অস্ত্র নেই।
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সে সময় লুট করা হয় ৫ হাজার ৭৫৩টি আগ্নেয়াস্ত্র।
এসএমজি (স্মল মেশিনগান), এলএমজিসহ (লাইট মেশিনগান) থানা থেকে লুট হওয়া অন্য ভারী অস্ত্র উদ্ধারে সরকারের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না—এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখানে সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই।
তবে কতসংখ্যক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
নতুন অধ্যাদেশ পাস হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে পুলিশ পুনর্গঠনের উদ্যোগের কার্যকারিতা নিয়ে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশ্ন তোলা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইন করা হয় জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য। সমস্যা থাকলে তারা সুপারিশ করতে পারবে—স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা দেখবে।
এদিন সকালে নিবন্ধনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয় ফায়ার সার্ভিসের। পরে স্বেচ্ছাসেবক ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা হয়।
সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় ৬২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক গঠনের লক্ষ্য রয়েছে।
তিনি বলেন, ৫৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের প্রশিক্ষণ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
বড় দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবক অপরিহার্য উল্লেখ করে তিনি জানান, প্রশিক্ষণের মান বৃদ্ধি ও বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে সরকার ভাবছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামালসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হওয়া এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির নিশ্চয়তা চেয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এমন পদক্ষেপে হতাশা ব্যক্ত করেছে সরকার।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল...
৫ ঘণ্টা আগে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
৮ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ‘ইন্টারন্যাশনাল ভলান্টিয়ার্স ডে’ উদ্যাপন উপলক্ষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়াররা নিজেদের নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে জনগণের বন্ধু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ের ভূমিকম্প, বড় বড় অগ্নিদুর্ঘটনা এবং অন্যান্য দুর্যোগে ফায়ার ফাইটারদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভলান্টিয়াররাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণ করেছেন।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ভলান্টিয়ারদের আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘কোনো রকম সুবিধা না নিয়ে নিজের ইচ্ছায় নিঃস্বার্থভাবে স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য আপনারা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। আপনারা এ কাজের প্রতিদান শুধু ইহকালে নয়, পরকালেও পাবেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সারা দেশে ৬২ হাজার ভলান্টিয়ার তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। ইতিমধ্যে ৫৫ হাজারের বেশি ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবকেরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পরিবারের গর্বিত সদস্য হিসেবে আর্তমানবতার সেবায় ভূমিকা রাখছেন। এর ফলে একদিকে যেমন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের জনবল সংকট দূর হচ্ছে, তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতাও বাড়ছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকারি বাহিনীর সদস্যদের পক্ষে এককভাবে ভূমিকম্প, বড় অগ্নিদুর্ঘটনা বা বন্যার মতো দুর্যোগ মোকাবিলা করা দুরূহ। এ ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকেরা পেশাদার বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে দুর্যোগ প্রশমনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে, ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় সব স্তরে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ রাজনীতিমুক্ত হবে কি না—এ-সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আইন প্রণয়ন করা হয় জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য। এই আইনও করা হয়েছে জনগণ যেন প্রকৃত সেবা পায়, তা নিশ্চিত করতে। তিনি আশ্বস্ত করেন, পুলিশ কমিশন জনগণ ও পুলিশের প্রকৃত কল্যাণে কিছু সুপারিশ করবে, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।
এর আগে উপদেষ্টা পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রদর্শিত মহড়া দেখেন এবং তাঁদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ‘ইন্টারন্যাশনাল ভলান্টিয়ার্স ডে’ উদ্যাপন উপলক্ষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়াররা নিজেদের নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে জনগণের বন্ধু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ের ভূমিকম্প, বড় বড় অগ্নিদুর্ঘটনা এবং অন্যান্য দুর্যোগে ফায়ার ফাইটারদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভলান্টিয়াররাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণ করেছেন।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ভলান্টিয়ারদের আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘কোনো রকম সুবিধা না নিয়ে নিজের ইচ্ছায় নিঃস্বার্থভাবে স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য আপনারা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। আপনারা এ কাজের প্রতিদান শুধু ইহকালে নয়, পরকালেও পাবেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সারা দেশে ৬২ হাজার ভলান্টিয়ার তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। ইতিমধ্যে ৫৫ হাজারের বেশি ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবকেরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পরিবারের গর্বিত সদস্য হিসেবে আর্তমানবতার সেবায় ভূমিকা রাখছেন। এর ফলে একদিকে যেমন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের জনবল সংকট দূর হচ্ছে, তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতাও বাড়ছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকারি বাহিনীর সদস্যদের পক্ষে এককভাবে ভূমিকম্প, বড় অগ্নিদুর্ঘটনা বা বন্যার মতো দুর্যোগ মোকাবিলা করা দুরূহ। এ ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকেরা পেশাদার বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে দুর্যোগ প্রশমনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে, ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় সব স্তরে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ রাজনীতিমুক্ত হবে কি না—এ-সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আইন প্রণয়ন করা হয় জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য। এই আইনও করা হয়েছে জনগণ যেন প্রকৃত সেবা পায়, তা নিশ্চিত করতে। তিনি আশ্বস্ত করেন, পুলিশ কমিশন জনগণ ও পুলিশের প্রকৃত কল্যাণে কিছু সুপারিশ করবে, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।
এর আগে উপদেষ্টা পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রদর্শিত মহড়া দেখেন এবং তাঁদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হওয়া এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির নিশ্চয়তা চেয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এমন পদক্ষেপে হতাশা ব্যক্ত করেছে সরকার।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
এসএমজি (স্মল মেশিনগান), এলএমজিসহ (লাইট মেশিনগান) থানা থেকে লুট হওয়া অন্য ভারী অস্ত্র উদ্ধারে সরকারের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না—এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখানে সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই।
১ ঘণ্টা আগে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
৮ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেরংপুর প্রতিনিধি

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। রংপুর অঞ্চলে চার দিনের সফরে এসেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো চেয়েছি যে তাঁকে (শেখ হাসিনাকে) ফেরত পাঠানো হোক। যেহেতু উনি একজন কনভিক্টেড, যেহেতু সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা তাঁকে একটি শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু আমরা ইতিবাচক কোনো সাড়া এখন পর্যন্ত পাইনি। এটা নিয়ে আমার মনে হয় স্পেকুলেট না করাই ভালো। দেখা যাক কী হয়। আমরা তো চেয়েছি খুব, এ ধরনের ঘটনায় তো ঝট করে এক দিনে, সাত দিনে কোনো পরিবর্তন ঘটে না। আমরা অপেক্ষা করব, দেখি, ভারতের পক্ষ থেকে কী আসছে রিঅ্যাকশন।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, একটা রিঅ্যাকশন আমরা দেখেছি যেটা, সেটা হলো তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে, এ রকম একটা কথা আসছে আমাদের। দেখুক তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরে কোনো তথ্য নেই বলে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তারেক সাহেব কখন আসবেন, এই সম্বন্ধে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। উনার স্ত্রী সম্ভবত আসছেন বা পৌঁছে গেছেন হয়তো ইতিমধ্যে। আজকে সকালে পৌঁছার কথা ছিল। বেগম জিয়াকে আজকে নেওয়া হচ্ছে না, আমি ঢাকা থেকে আজকে সকালে জানলাম যে আজকে নেওয়া হচ্ছে না। একটু টেকনিক্যাল প্রবলেম দেখা দিয়েছে ওই এয়ারক্র্যাফট নিয়ে। সে ক্ষেত্রে হয়তো এক-আধ দিন দেরি হতে পারে।’
আরাকান আর্মি বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আরাকান আর্মির সাথে আমাদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্ভব নয়। তারা একটা নন-স্টেট অ্যাক্টর। আমরা স্টেট হিসেবে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা যেমন মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ, থাইল্যান্ড বা ভারতের সাথে করতে পারি, সেটা তাদের সাথে করতে পারি না। তবে আমাদের স্বার্থ যেহেতু আছে, আমাদের দেখতে হবে। এই ঘটনা যাতে কমে বা আদৌ না ঘটে, এটার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
এ ছাড়াও নীলফামারীতে প্রস্তাবিত চীনা হাসপাতালের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত শুরু করে যেতে চায় বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকার এলে এই কাজ সমাপ্ত করবে বলেও আশা তার। এ সময় পিছিয়ে পড়া রংপুরের প্রত্নতাত্ত্বিকসহ সব ক্ষেত্রে নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সরকারের সদিচ্ছার কথা জানান তৌহিদ হোসেন।
এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সপরিবার রংপুর জমিদার বাড়ি তাজহাটে পরিদর্শনে যান। এ ছাড়াও বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে চা-চক্রের কথা রয়েছে তৌহিদ হোসেনের। আগামীকাল রংপুরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিলা স্কুল পরিদর্শন করার কথাও রয়েছে তাঁর।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। রংপুর অঞ্চলে চার দিনের সফরে এসেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো চেয়েছি যে তাঁকে (শেখ হাসিনাকে) ফেরত পাঠানো হোক। যেহেতু উনি একজন কনভিক্টেড, যেহেতু সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা তাঁকে একটি শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু আমরা ইতিবাচক কোনো সাড়া এখন পর্যন্ত পাইনি। এটা নিয়ে আমার মনে হয় স্পেকুলেট না করাই ভালো। দেখা যাক কী হয়। আমরা তো চেয়েছি খুব, এ ধরনের ঘটনায় তো ঝট করে এক দিনে, সাত দিনে কোনো পরিবর্তন ঘটে না। আমরা অপেক্ষা করব, দেখি, ভারতের পক্ষ থেকে কী আসছে রিঅ্যাকশন।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, একটা রিঅ্যাকশন আমরা দেখেছি যেটা, সেটা হলো তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে, এ রকম একটা কথা আসছে আমাদের। দেখুক তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরে কোনো তথ্য নেই বলে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তারেক সাহেব কখন আসবেন, এই সম্বন্ধে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। উনার স্ত্রী সম্ভবত আসছেন বা পৌঁছে গেছেন হয়তো ইতিমধ্যে। আজকে সকালে পৌঁছার কথা ছিল। বেগম জিয়াকে আজকে নেওয়া হচ্ছে না, আমি ঢাকা থেকে আজকে সকালে জানলাম যে আজকে নেওয়া হচ্ছে না। একটু টেকনিক্যাল প্রবলেম দেখা দিয়েছে ওই এয়ারক্র্যাফট নিয়ে। সে ক্ষেত্রে হয়তো এক-আধ দিন দেরি হতে পারে।’
আরাকান আর্মি বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আরাকান আর্মির সাথে আমাদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্ভব নয়। তারা একটা নন-স্টেট অ্যাক্টর। আমরা স্টেট হিসেবে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা যেমন মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ, থাইল্যান্ড বা ভারতের সাথে করতে পারি, সেটা তাদের সাথে করতে পারি না। তবে আমাদের স্বার্থ যেহেতু আছে, আমাদের দেখতে হবে। এই ঘটনা যাতে কমে বা আদৌ না ঘটে, এটার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
এ ছাড়াও নীলফামারীতে প্রস্তাবিত চীনা হাসপাতালের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত শুরু করে যেতে চায় বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকার এলে এই কাজ সমাপ্ত করবে বলেও আশা তার। এ সময় পিছিয়ে পড়া রংপুরের প্রত্নতাত্ত্বিকসহ সব ক্ষেত্রে নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সরকারের সদিচ্ছার কথা জানান তৌহিদ হোসেন।
এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সপরিবার রংপুর জমিদার বাড়ি তাজহাটে পরিদর্শনে যান। এ ছাড়াও বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে চা-চক্রের কথা রয়েছে তৌহিদ হোসেনের। আগামীকাল রংপুরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিলা স্কুল পরিদর্শন করার কথাও রয়েছে তাঁর।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হওয়া এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির নিশ্চয়তা চেয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এমন পদক্ষেপে হতাশা ব্যক্ত করেছে সরকার।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
এসএমজি (স্মল মেশিনগান), এলএমজিসহ (লাইট মেশিনগান) থানা থেকে লুট হওয়া অন্য ভারী অস্ত্র উদ্ধারে সরকারের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না—এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখানে সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই।
১ ঘণ্টা আগে
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল...
৫ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর দু’টি মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ও ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ নেতারা এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে’ রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। রোববার থেকে সব শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে।
এদিকে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাদের ‘হয়রানিমূলক’ বদলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাদের দাবি, বৃহস্পতিবার তিনজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে নিজ জেলার বাইরে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। এসব বদলিকে তাঁরা ‘হয়রানিমূলক বদলি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
শিক্ষক নেতারা দাবি করেছেন, ‘রেওয়াজ না থাকলেও নিজ জেলার বাইরে হয়রানি করতে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে।’
যদিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা ও অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এসব বদলির আদেশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে প্রাথমিক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ জানিয়েছেন, তাঁকে নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আরেক আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি জানিয়েছেন, তিনিসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অন্তত ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে অন্য জেলায় প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রথমে শোকজ ও পরে বদলি করা হলো। এটি হয়রানিমূলক বদলি, আমাদের শাস্তি দিয়েছে কারণ আমরা শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই করেছি। কিন্তু অনেক শিক্ষক যাঁরা আন্দোলনে জড়িত ছিলেন না তবুও তাঁরা বদলি হয়েছেন।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ অনুসারীরা সরকারের দেওয়া আশ্বাস বাস্তবায়নের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করেছেন। সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু স্কুলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা তা বর্জন করে কর্মবিরতি চালিয়ে যান।
কয়েক দিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছিলেন। পরে ১১ তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে সেদিন বিকেলে তাঁরা ‘কলম বিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া চেষ্টা করলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। সেসময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা পরদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা, যেখানে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকারে আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে ওই দিন রাতে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর দু’টি মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ও ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ নেতারা এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে’ রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। রোববার থেকে সব শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে।
এদিকে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাদের ‘হয়রানিমূলক’ বদলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাদের দাবি, বৃহস্পতিবার তিনজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে নিজ জেলার বাইরে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। এসব বদলিকে তাঁরা ‘হয়রানিমূলক বদলি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
শিক্ষক নেতারা দাবি করেছেন, ‘রেওয়াজ না থাকলেও নিজ জেলার বাইরে হয়রানি করতে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে।’
যদিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা ও অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এসব বদলির আদেশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে প্রাথমিক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ জানিয়েছেন, তাঁকে নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আরেক আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি জানিয়েছেন, তিনিসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অন্তত ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে অন্য জেলায় প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রথমে শোকজ ও পরে বদলি করা হলো। এটি হয়রানিমূলক বদলি, আমাদের শাস্তি দিয়েছে কারণ আমরা শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই করেছি। কিন্তু অনেক শিক্ষক যাঁরা আন্দোলনে জড়িত ছিলেন না তবুও তাঁরা বদলি হয়েছেন।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ অনুসারীরা সরকারের দেওয়া আশ্বাস বাস্তবায়নের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করেছেন। সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু স্কুলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা তা বর্জন করে কর্মবিরতি চালিয়ে যান।
কয়েক দিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছিলেন। পরে ১১ তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে সেদিন বিকেলে তাঁরা ‘কলম বিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া চেষ্টা করলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। সেসময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা পরদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা, যেখানে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকারে আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে ওই দিন রাতে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হওয়া এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির নিশ্চয়তা চেয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এমন পদক্ষেপে হতাশা ব্যক্ত করেছে সরকার।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
এসএমজি (স্মল মেশিনগান), এলএমজিসহ (লাইট মেশিনগান) থানা থেকে লুট হওয়া অন্য ভারী অস্ত্র উদ্ধারে সরকারের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না—এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখানে সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই।
১ ঘণ্টা আগে
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল...
৫ ঘণ্টা আগে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
৮ ঘণ্টা আগে