এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

ভারত থেকে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাস ছয়েক পর দলটি নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এর জেরে বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এবার দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের দিকে এগোচ্ছেন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা।
আওয়ামী লীগের অপরাধের তদন্ত করতে ইতিমধ্যে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে তা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা দেবে প্রসিকিউশন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম (প্রশাসন) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চারটি শাস্তির মধ্যে একটি হচ্ছে দল নিষিদ্ধ করা। অপরাধ প্রমাণিত হলে ট্রাইব্যুনাল দল নিষিদ্ধ করতে পারবেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল কী করবেন, সেটা তাঁর বিষয়। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, তারা (আওয়ামী লীগ) মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে। শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেতা ইনানকে বলেছেন, “ছাত্রলীগ নামিয়ে দাও”। তিনি জাহাঙ্গীর কবির নানককে বলেছেন, “মোহাম্মদপুরে লোক নামিয়ে দাও”। তাপসের সঙ্গে বলেছেন, ঢাবির তৎকালীন ভিসিকে বলেছেন, “ছাত্রলীগ-যুবলীগকে বলে দিয়েছি”। এসব দলীয় নির্দেশনা।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের মুখোমুখি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধনের গেজেট জারি হয়েছিল গত ১০ মে। ওই গেজেট অনুযায়ী সংশোধিত আইনের ২০বি ধারায় বলা হয়েছে, যদি ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রতীয়মান হয় যে কোনো সংগঠন এই আইনের ধারা ৩ (২)-এর অধীনে কোনো অপরাধ সংঘটন করেছে, আদেশ দিয়েছে, চেষ্টা করেছে, সহায়তা করেছে, উসকানি দিয়েছে, প্ররোচনা দিয়েছে, ষড়যন্ত্র করেছে, সহায়তা করেছে তাহলে ট্রাইব্যুনাল তার কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করতে, সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করতে, এর নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল করতে এবং এর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবেন।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তকাজ দ্রুতই সম্পন্ন করবেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া সাপেক্ষে দল হিসেবে বিচারের জন্য আওয়ামী লীগের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এর আগে আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের ১২ মে আওয়ামী লীগ এবং এর সঙ্গে যুক্ত সব সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকার। এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা, গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তাদের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুম, খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কাজ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এসব অভিযোগ দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিচার ও শাস্তির বেসিক প্রিন্সিপাল (মূল নীতি) হচ্ছে, ঘটনার সময় আইনে অপরাধ হিসেবে বলা না থাকলে পরবর্তী সময়ে আইনে অপরাধ বানিয়ে শাস্তি দেওয়া যায় না। সংবিধানের ৩৫(১) অনুচ্ছেদে বলা আছে, অপরাধ সংঘটনকালে বলবৎ সেই আইনবলে যে দণ্ড দেওয়া যেত, তার অধিক বা ভিন্ন সাজা দেওয়া যাবে না।’
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো দল যদি মানবতাবিরোধী অপরাধ করে থাকে, তার আইন অনুযায়ী বিচার হওয়া উচিত। আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিশ্বের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এত জঘন্য-বর্বর ভূমিকায় কোনো রাজনৈতিক দল অবতীর্ণ হয়নি। ১৮ কোটি মানুষের দাবি তাদের বিচার। তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। রাষ্ট্র যথাযথভাবেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন। এটি খুবই স্বচ্ছ প্রক্রিয়া। দেশের মানুষের প্রত্যাশা, আওয়ামী লীগ যে অন্যায় করেছে, তার বিচার হবে। যাতে ভবিষ্যতে অন্য কোনো দল ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে না পারে।’
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দল। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশ করা জাতিসংঘের এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্বিচারে মারণাস্ত্র দিয়ে গুলি, গ্রেপ্তার, নির্যাতন, চিকিৎসা পেতে বাধা দেওয়ার মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। ক্ষমতায় টিকে থাকতে আন্দোলনকারীদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগের সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আন্দোলনকারী ও বিরোধী মত দমনের কৌশল হিসেবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত দিকনির্দেশনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা ঘটেছে বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অনেক সাক্ষী তাদের জবানবন্দিতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। এর প্রত্যেকটি কাজে লাগবে। কারণ সাক্ষীরা যখন তাঁদের বক্তব্য দিয়েছেন, দলের জড়িত থাকার কথা বলেছেন–এসব জুডিশিয়াল ডকুমেন্ট হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে দলটির বিরুদ্ধে যে তদন্ত হবে, দলের বিরুদ্ধে যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণ আসবে, তার মধ্যে যেসব সাক্ষ্য এরই মধ্যে দেওয়া হয়ে গেছে, সেগুলোও অন্যতম এভিডেন্স হিসেবে গণ্য হবে। সাজার বিষয়ে আইনে আছে দল নিষিদ্ধ করা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৪ দলীয় জোটের সম্পৃক্ততার অভিযোগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত এগোলে যদি মনে হয় আরও কোনো দল এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া দরকার, তখন তদন্ত সংস্থা সে অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
এর আগে গত বছরের ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে, বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, ছাত্রাবাসে সিট-বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এর প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।
দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা, পরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক হওয়া নাহিদ ইসলামও। তিনি গত ২১ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান এবং রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে ও ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগণকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এটা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিকভাবে সংঘটিত অপরাধ। আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা উচিত।’

ভারত থেকে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাস ছয়েক পর দলটি নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এর জেরে বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এবার দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের দিকে এগোচ্ছেন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা।
আওয়ামী লীগের অপরাধের তদন্ত করতে ইতিমধ্যে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে তা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা দেবে প্রসিকিউশন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম (প্রশাসন) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চারটি শাস্তির মধ্যে একটি হচ্ছে দল নিষিদ্ধ করা। অপরাধ প্রমাণিত হলে ট্রাইব্যুনাল দল নিষিদ্ধ করতে পারবেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল কী করবেন, সেটা তাঁর বিষয়। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, তারা (আওয়ামী লীগ) মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে। শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেতা ইনানকে বলেছেন, “ছাত্রলীগ নামিয়ে দাও”। তিনি জাহাঙ্গীর কবির নানককে বলেছেন, “মোহাম্মদপুরে লোক নামিয়ে দাও”। তাপসের সঙ্গে বলেছেন, ঢাবির তৎকালীন ভিসিকে বলেছেন, “ছাত্রলীগ-যুবলীগকে বলে দিয়েছি”। এসব দলীয় নির্দেশনা।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের মুখোমুখি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধনের গেজেট জারি হয়েছিল গত ১০ মে। ওই গেজেট অনুযায়ী সংশোধিত আইনের ২০বি ধারায় বলা হয়েছে, যদি ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রতীয়মান হয় যে কোনো সংগঠন এই আইনের ধারা ৩ (২)-এর অধীনে কোনো অপরাধ সংঘটন করেছে, আদেশ দিয়েছে, চেষ্টা করেছে, সহায়তা করেছে, উসকানি দিয়েছে, প্ররোচনা দিয়েছে, ষড়যন্ত্র করেছে, সহায়তা করেছে তাহলে ট্রাইব্যুনাল তার কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করতে, সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করতে, এর নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল করতে এবং এর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবেন।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তকাজ দ্রুতই সম্পন্ন করবেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া সাপেক্ষে দল হিসেবে বিচারের জন্য আওয়ামী লীগের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এর আগে আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের ১২ মে আওয়ামী লীগ এবং এর সঙ্গে যুক্ত সব সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকার। এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা, গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তাদের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুম, খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কাজ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এসব অভিযোগ দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিচার ও শাস্তির বেসিক প্রিন্সিপাল (মূল নীতি) হচ্ছে, ঘটনার সময় আইনে অপরাধ হিসেবে বলা না থাকলে পরবর্তী সময়ে আইনে অপরাধ বানিয়ে শাস্তি দেওয়া যায় না। সংবিধানের ৩৫(১) অনুচ্ছেদে বলা আছে, অপরাধ সংঘটনকালে বলবৎ সেই আইনবলে যে দণ্ড দেওয়া যেত, তার অধিক বা ভিন্ন সাজা দেওয়া যাবে না।’
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো দল যদি মানবতাবিরোধী অপরাধ করে থাকে, তার আইন অনুযায়ী বিচার হওয়া উচিত। আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিশ্বের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এত জঘন্য-বর্বর ভূমিকায় কোনো রাজনৈতিক দল অবতীর্ণ হয়নি। ১৮ কোটি মানুষের দাবি তাদের বিচার। তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। রাষ্ট্র যথাযথভাবেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন। এটি খুবই স্বচ্ছ প্রক্রিয়া। দেশের মানুষের প্রত্যাশা, আওয়ামী লীগ যে অন্যায় করেছে, তার বিচার হবে। যাতে ভবিষ্যতে অন্য কোনো দল ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে না পারে।’
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দল। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশ করা জাতিসংঘের এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্বিচারে মারণাস্ত্র দিয়ে গুলি, গ্রেপ্তার, নির্যাতন, চিকিৎসা পেতে বাধা দেওয়ার মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। ক্ষমতায় টিকে থাকতে আন্দোলনকারীদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগের সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আন্দোলনকারী ও বিরোধী মত দমনের কৌশল হিসেবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত দিকনির্দেশনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা ঘটেছে বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অনেক সাক্ষী তাদের জবানবন্দিতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। এর প্রত্যেকটি কাজে লাগবে। কারণ সাক্ষীরা যখন তাঁদের বক্তব্য দিয়েছেন, দলের জড়িত থাকার কথা বলেছেন–এসব জুডিশিয়াল ডকুমেন্ট হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে দলটির বিরুদ্ধে যে তদন্ত হবে, দলের বিরুদ্ধে যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণ আসবে, তার মধ্যে যেসব সাক্ষ্য এরই মধ্যে দেওয়া হয়ে গেছে, সেগুলোও অন্যতম এভিডেন্স হিসেবে গণ্য হবে। সাজার বিষয়ে আইনে আছে দল নিষিদ্ধ করা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৪ দলীয় জোটের সম্পৃক্ততার অভিযোগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত এগোলে যদি মনে হয় আরও কোনো দল এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া দরকার, তখন তদন্ত সংস্থা সে অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
এর আগে গত বছরের ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে, বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, ছাত্রাবাসে সিট-বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এর প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।
দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা, পরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক হওয়া নাহিদ ইসলামও। তিনি গত ২১ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান এবং রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে ও ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগণকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এটা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিকভাবে সংঘটিত অপরাধ। আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা উচিত।’
এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

ভারত থেকে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাস ছয়েক পর দলটি নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এর জেরে বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এবার দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের দিকে এগোচ্ছেন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা।
আওয়ামী লীগের অপরাধের তদন্ত করতে ইতিমধ্যে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে তা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা দেবে প্রসিকিউশন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম (প্রশাসন) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চারটি শাস্তির মধ্যে একটি হচ্ছে দল নিষিদ্ধ করা। অপরাধ প্রমাণিত হলে ট্রাইব্যুনাল দল নিষিদ্ধ করতে পারবেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল কী করবেন, সেটা তাঁর বিষয়। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, তারা (আওয়ামী লীগ) মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে। শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেতা ইনানকে বলেছেন, “ছাত্রলীগ নামিয়ে দাও”। তিনি জাহাঙ্গীর কবির নানককে বলেছেন, “মোহাম্মদপুরে লোক নামিয়ে দাও”। তাপসের সঙ্গে বলেছেন, ঢাবির তৎকালীন ভিসিকে বলেছেন, “ছাত্রলীগ-যুবলীগকে বলে দিয়েছি”। এসব দলীয় নির্দেশনা।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের মুখোমুখি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধনের গেজেট জারি হয়েছিল গত ১০ মে। ওই গেজেট অনুযায়ী সংশোধিত আইনের ২০বি ধারায় বলা হয়েছে, যদি ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রতীয়মান হয় যে কোনো সংগঠন এই আইনের ধারা ৩ (২)-এর অধীনে কোনো অপরাধ সংঘটন করেছে, আদেশ দিয়েছে, চেষ্টা করেছে, সহায়তা করেছে, উসকানি দিয়েছে, প্ররোচনা দিয়েছে, ষড়যন্ত্র করেছে, সহায়তা করেছে তাহলে ট্রাইব্যুনাল তার কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করতে, সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করতে, এর নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল করতে এবং এর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবেন।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তকাজ দ্রুতই সম্পন্ন করবেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া সাপেক্ষে দল হিসেবে বিচারের জন্য আওয়ামী লীগের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এর আগে আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের ১২ মে আওয়ামী লীগ এবং এর সঙ্গে যুক্ত সব সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকার। এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা, গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তাদের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুম, খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কাজ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এসব অভিযোগ দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিচার ও শাস্তির বেসিক প্রিন্সিপাল (মূল নীতি) হচ্ছে, ঘটনার সময় আইনে অপরাধ হিসেবে বলা না থাকলে পরবর্তী সময়ে আইনে অপরাধ বানিয়ে শাস্তি দেওয়া যায় না। সংবিধানের ৩৫(১) অনুচ্ছেদে বলা আছে, অপরাধ সংঘটনকালে বলবৎ সেই আইনবলে যে দণ্ড দেওয়া যেত, তার অধিক বা ভিন্ন সাজা দেওয়া যাবে না।’
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো দল যদি মানবতাবিরোধী অপরাধ করে থাকে, তার আইন অনুযায়ী বিচার হওয়া উচিত। আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিশ্বের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এত জঘন্য-বর্বর ভূমিকায় কোনো রাজনৈতিক দল অবতীর্ণ হয়নি। ১৮ কোটি মানুষের দাবি তাদের বিচার। তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। রাষ্ট্র যথাযথভাবেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন। এটি খুবই স্বচ্ছ প্রক্রিয়া। দেশের মানুষের প্রত্যাশা, আওয়ামী লীগ যে অন্যায় করেছে, তার বিচার হবে। যাতে ভবিষ্যতে অন্য কোনো দল ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে না পারে।’
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দল। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশ করা জাতিসংঘের এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্বিচারে মারণাস্ত্র দিয়ে গুলি, গ্রেপ্তার, নির্যাতন, চিকিৎসা পেতে বাধা দেওয়ার মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। ক্ষমতায় টিকে থাকতে আন্দোলনকারীদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগের সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আন্দোলনকারী ও বিরোধী মত দমনের কৌশল হিসেবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত দিকনির্দেশনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা ঘটেছে বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অনেক সাক্ষী তাদের জবানবন্দিতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। এর প্রত্যেকটি কাজে লাগবে। কারণ সাক্ষীরা যখন তাঁদের বক্তব্য দিয়েছেন, দলের জড়িত থাকার কথা বলেছেন–এসব জুডিশিয়াল ডকুমেন্ট হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে দলটির বিরুদ্ধে যে তদন্ত হবে, দলের বিরুদ্ধে যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণ আসবে, তার মধ্যে যেসব সাক্ষ্য এরই মধ্যে দেওয়া হয়ে গেছে, সেগুলোও অন্যতম এভিডেন্স হিসেবে গণ্য হবে। সাজার বিষয়ে আইনে আছে দল নিষিদ্ধ করা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৪ দলীয় জোটের সম্পৃক্ততার অভিযোগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত এগোলে যদি মনে হয় আরও কোনো দল এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া দরকার, তখন তদন্ত সংস্থা সে অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
এর আগে গত বছরের ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে, বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, ছাত্রাবাসে সিট-বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এর প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।
দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা, পরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক হওয়া নাহিদ ইসলামও। তিনি গত ২১ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান এবং রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে ও ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগণকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এটা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিকভাবে সংঘটিত অপরাধ। আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা উচিত।’

ভারত থেকে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাস ছয়েক পর দলটি নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এর জেরে বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এবার দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের দিকে এগোচ্ছেন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা।
আওয়ামী লীগের অপরাধের তদন্ত করতে ইতিমধ্যে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে তা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা দেবে প্রসিকিউশন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম (প্রশাসন) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চারটি শাস্তির মধ্যে একটি হচ্ছে দল নিষিদ্ধ করা। অপরাধ প্রমাণিত হলে ট্রাইব্যুনাল দল নিষিদ্ধ করতে পারবেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল কী করবেন, সেটা তাঁর বিষয়। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, তারা (আওয়ামী লীগ) মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে। শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেতা ইনানকে বলেছেন, “ছাত্রলীগ নামিয়ে দাও”। তিনি জাহাঙ্গীর কবির নানককে বলেছেন, “মোহাম্মদপুরে লোক নামিয়ে দাও”। তাপসের সঙ্গে বলেছেন, ঢাবির তৎকালীন ভিসিকে বলেছেন, “ছাত্রলীগ-যুবলীগকে বলে দিয়েছি”। এসব দলীয় নির্দেশনা।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের মুখোমুখি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধনের গেজেট জারি হয়েছিল গত ১০ মে। ওই গেজেট অনুযায়ী সংশোধিত আইনের ২০বি ধারায় বলা হয়েছে, যদি ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রতীয়মান হয় যে কোনো সংগঠন এই আইনের ধারা ৩ (২)-এর অধীনে কোনো অপরাধ সংঘটন করেছে, আদেশ দিয়েছে, চেষ্টা করেছে, সহায়তা করেছে, উসকানি দিয়েছে, প্ররোচনা দিয়েছে, ষড়যন্ত্র করেছে, সহায়তা করেছে তাহলে ট্রাইব্যুনাল তার কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করতে, সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করতে, এর নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল করতে এবং এর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবেন।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তকাজ দ্রুতই সম্পন্ন করবেন। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া সাপেক্ষে দল হিসেবে বিচারের জন্য আওয়ামী লীগের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এর আগে আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের ১২ মে আওয়ামী লীগ এবং এর সঙ্গে যুক্ত সব সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকার। এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা, গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তাদের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুম, খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কাজ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এসব অভিযোগ দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিচার ও শাস্তির বেসিক প্রিন্সিপাল (মূল নীতি) হচ্ছে, ঘটনার সময় আইনে অপরাধ হিসেবে বলা না থাকলে পরবর্তী সময়ে আইনে অপরাধ বানিয়ে শাস্তি দেওয়া যায় না। সংবিধানের ৩৫(১) অনুচ্ছেদে বলা আছে, অপরাধ সংঘটনকালে বলবৎ সেই আইনবলে যে দণ্ড দেওয়া যেত, তার অধিক বা ভিন্ন সাজা দেওয়া যাবে না।’
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো দল যদি মানবতাবিরোধী অপরাধ করে থাকে, তার আইন অনুযায়ী বিচার হওয়া উচিত। আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিশ্বের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এত জঘন্য-বর্বর ভূমিকায় কোনো রাজনৈতিক দল অবতীর্ণ হয়নি। ১৮ কোটি মানুষের দাবি তাদের বিচার। তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। রাষ্ট্র যথাযথভাবেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন। এটি খুবই স্বচ্ছ প্রক্রিয়া। দেশের মানুষের প্রত্যাশা, আওয়ামী লীগ যে অন্যায় করেছে, তার বিচার হবে। যাতে ভবিষ্যতে অন্য কোনো দল ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে না পারে।’
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দল। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশ করা জাতিসংঘের এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্বিচারে মারণাস্ত্র দিয়ে গুলি, গ্রেপ্তার, নির্যাতন, চিকিৎসা পেতে বাধা দেওয়ার মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। ক্ষমতায় টিকে থাকতে আন্দোলনকারীদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগের সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আন্দোলনকারী ও বিরোধী মত দমনের কৌশল হিসেবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত দিকনির্দেশনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা ঘটেছে বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অনেক সাক্ষী তাদের জবানবন্দিতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। এর প্রত্যেকটি কাজে লাগবে। কারণ সাক্ষীরা যখন তাঁদের বক্তব্য দিয়েছেন, দলের জড়িত থাকার কথা বলেছেন–এসব জুডিশিয়াল ডকুমেন্ট হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে দলটির বিরুদ্ধে যে তদন্ত হবে, দলের বিরুদ্ধে যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণ আসবে, তার মধ্যে যেসব সাক্ষ্য এরই মধ্যে দেওয়া হয়ে গেছে, সেগুলোও অন্যতম এভিডেন্স হিসেবে গণ্য হবে। সাজার বিষয়ে আইনে আছে দল নিষিদ্ধ করা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা।’
মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৪ দলীয় জোটের সম্পৃক্ততার অভিযোগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত এগোলে যদি মনে হয় আরও কোনো দল এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া দরকার, তখন তদন্ত সংস্থা সে অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
এর আগে গত বছরের ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে, বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, ছাত্রাবাসে সিট-বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এর প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।
দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা, পরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক হওয়া নাহিদ ইসলামও। তিনি গত ২১ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান এবং রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে ও ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগণকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এটা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিকভাবে সংঘটিত অপরাধ। আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা উচিত।’

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
৩৩ মিনিট আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
২ ঘণ্টা আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রোববার সকালে প্রণয় ভার্মাকে তলব করে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত উসকানিমূলক বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও জানিয়ে দেওয়া হয়।
গত শুক্রবার ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের সমর্থক ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তিনি এখনো সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ওসমান হাদিকে গুলিবর্ষণকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে ভারতের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে। তাঁরা যদি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষমও হন, তবে তাঁদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর তাঁকে ফেরত দিতে নয়াদিল্লিকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তাতে দিল্লির কোনো সাড়া মেলেনি। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি বন্ধ করার আহ্বানে সাড়া দেয়নি ভারত।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরও শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি অব্যাহত রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে আবার ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হলো। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তাঁকে ডেকে নিয়ে সরকারের পক্ষে উদ্বেগ তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
ভারতের হাইকমিশনারকে বলা হয়, পলাতক শেখ হাসিনাকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসন্ন নির্বাচন বানচালে প্ররোচিত করছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা–কর্মীরা ভারতে বসে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বানচালে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও প্রণয় ভার্মাকে জানানো হয়। এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও জানানো হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত শেখ হাসিনা,ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও আবার জানানো হয় ভারতের হাইকমিশনারকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে ভারত সরকার। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমন প্রত্যাশা ভারতের রয়েছে এবং এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে তাঁর দেশ প্রস্তুত।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রোববার সকালে প্রণয় ভার্মাকে তলব করে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত উসকানিমূলক বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও জানিয়ে দেওয়া হয়।
গত শুক্রবার ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের সমর্থক ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তিনি এখনো সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ওসমান হাদিকে গুলিবর্ষণকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে ভারতের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে। তাঁরা যদি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষমও হন, তবে তাঁদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর তাঁকে ফেরত দিতে নয়াদিল্লিকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তাতে দিল্লির কোনো সাড়া মেলেনি। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি বন্ধ করার আহ্বানে সাড়া দেয়নি ভারত।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরও শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি অব্যাহত রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে আবার ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হলো। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তাঁকে ডেকে নিয়ে সরকারের পক্ষে উদ্বেগ তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
ভারতের হাইকমিশনারকে বলা হয়, পলাতক শেখ হাসিনাকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসন্ন নির্বাচন বানচালে প্ররোচিত করছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা–কর্মীরা ভারতে বসে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বানচালে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও প্রণয় ভার্মাকে জানানো হয়। এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও জানানো হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত শেখ হাসিনা,ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও আবার জানানো হয় ভারতের হাইকমিশনারকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে ভারত সরকার। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমন প্রত্যাশা ভারতের রয়েছে এবং এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে তাঁর দেশ প্রস্তুত।

ভারত থেকে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাস ছয়েক পর দলটি নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এর জেরে বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এবার দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের দিকে এগোচ্ছেন
০৮ অক্টোবর ২০২৫
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
২ ঘণ্টা আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

ভারত থেকে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাস ছয়েক পর দলটি নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এর জেরে বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এবার দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের দিকে এগোচ্ছেন
০৮ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
৩৩ মিনিট আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।
তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।
পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।
তাঁরা হলেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।
পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

ভারত থেকে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাস ছয়েক পর দলটি নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এর জেরে বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এবার দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের দিকে এগোচ্ছেন
০৮ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
৩৩ মিনিট আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
২ ঘণ্টা আগে
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’
এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

ভারত থেকে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাস ছয়েক পর দলটি নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এর জেরে বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এবার দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের দিকে এগোচ্ছেন
০৮ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।
৩৩ মিনিট আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন ও তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য
২ ঘণ্টা আগে
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগে