Ajker Patrika

প্রতিদিন একটির বেশি ওষুধ কারখানা অনুমোদন, অর্ধেকের বেশি হার্বাল

আয়নাল হোসেন, ঢাকা
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৪, ১৩: ২৫
প্রতিদিন একটির বেশি ওষুধ কারখানা অনুমোদন, অর্ধেকের বেশি হার্বাল

২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় মাসে ১২০টি নতুন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এই ছয় মাসের মধ্যে মোট কর্মদিবস ছিল ১০৩টি। সেই হিসাবে দিনে গড়ে একটির বেশি কারখানা অনুমোদন পেয়েছে, যার বড় অংশই ইউনানি, হারবাল ও আয়ুর্বেদিক।

হঠাৎ এত বেশি ওষুধ কারখানা অনুমোদন নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। দীর্ঘদিন ধরে এ খাতের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করছেন, কিছু মানুষ কালোটাকা বিনিয়োগ এবং ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নেওয়ার জন্যই কারখানার অনুমোদন নিয়ে থাকতে পারেন। কেউ হয়তো গ্রামাঞ্চলে তৈরি হওয়া বাজার ধরতে নতুন কারখানা গড়ছেন, আবার অনেকে প্রতিবেশী দেশের গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার দেখে বাংলাদেশও আয়ুর্বেদিক ওষুধের বড় বাজার হবে বলে মনে করছেন।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঔষধ ও কসমেটিকস আইন পাস হওয়ার পর অনেকে নতুন প্রকল্প নিচ্ছেন। অনেকের ওষুধের ব্যবসা রয়েছে। তাঁরা নতুন করে ইউনানি, হারবাল ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এ কারণে নতুন প্রকল্প বেশি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

দেশে বর্তমানে সব ধরনের ওষুধ তৈরির প্রতিষ্ঠান রয়েছে হাজারখানেক। অ্যালোপ্যাথিক কোম্পানিগুলোর মধ্যেও ৩০-৪০টি প্রতিষ্ঠান চাহিদার মান ঠিক রেখে চাহিদার ৯৫ শতাংশ ওষুধ তৈরি করছে। অন্যগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক; বিশেষ করে বিকল্প ওষুধের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যা হচ্ছে। এগুলোর গুণমান ও দাম—কোনোটিই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে নতুন প্রকল্প অনুমোদনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন ওষুধশিল্পের মালিক ও বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম সফিউজ্জামান বলেন, নতুন প্রকল্প অনুমোদনের সময় অনেকে জমি ভাড়া নিয়ে নিজেদের বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। দেশে এত ওষুধ কারখানা অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।

ওষুধের মান খারাপ হলেও পার পেয়ে যাওয়া এবং কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকায় ওষুধ কারখানা অনুমোদন নেওয়ার হিড়িক পড়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি অ্যান্ড ফার্মাকোলজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মনীর উদ্দিন আহমেদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, দেশে অবৈধ পন্থায় উপার্জনকারী কালোটাকার মালিকেরা নতুনভাবে ওষুধে বিনিয়োগ করছেন। ওষুধের মান খারাপ দিলে সাধারণ মানুষ চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। ওষুধ কোম্পানিগুলো দেশের মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছে। তারা আগ্রাসী বিনিয়োগ করছে এবং কমিশন-বাণিজ্যের মাধ্যমে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা চিকিৎসকদের পকেটে দিচ্ছে।

মনীর উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, দেশে মোট ওষুধের ৯২-৯৫ শতাংশ উৎপাদন করছে ৩০-৪০টি কোম্পানি। অবশিষ্ট ওষুধ তৈরি করছে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান। দেশে বর্তমানে ৯৮ শতাংশ ওষুধ তৈরি হচ্ছে। নতুন করে আর কোম্পানির দরকার নেই।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের গত ৫ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওষুধ কারখানার অনুমোদন পেয়েছে গত নভেম্বর থেকে এপ্রিলে। অধিদপ্তর ২০২০ সালে ২০টি, ২০২১ সালে ২৪টি, ২০২২ সালে ২৯টি, ২০২৩ সালে ৭৫টি এবং ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৬০টি কারখানার অনুমোদন দেয়।

 ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রকল্প অনুমোদন কমিটির ১১৩তম সভায় ৬৫টি নতুন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল ১১৪তম সভায় অনুমোদন দেওয়া হয় ৫৫টি নতুন কারখানার। এসব নতুন কারখানার মধ্যে ২৫টি অ্যালোপ্যাথিক, ৬৫টি হারবাল, ১৩টি ইউনানি, হোমিওপ্যাথি ৪টি, আয়ুর্বেদিক ৭টি, মেডিকেল ডিভাইস ২টি, কসমেটিকস ২টি ও ১টি ফিড কারখানা রয়েছে।

সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ঢাকা জেলায়। ঢাকায় ১৪টি হারবাল, ২টি অ্যালোপ্যাথিক, ১টি ইউনানি, ২টি হোমিওসহ মোট ১৯টি কারখানার অনুমোদন পেয়েছে এ সময়ে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কারখানা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বগুড়ায়। সেখানে হারবাল ৮টি, আয়ুর্বেদিক ৩টি, ইউনানি ৩টি ও অ্যালোপ্যাথিক ২টিসহ মোট ১৬টি কারখানা অনুমোদন পায়। এ ছাড়া গাজীপুরে ৫টি হারবাল ও ৬টি অ্যালোপ্যাথিক মিলিয়ে মোট ১১টি, নারায়ণগঞ্জে ১টি আয়ুর্বেদিক, ২টি হারবাল এবং ১টি করে অ্যালোপ্যাথিক ও ইউনানি কারখানা অনুমোদন পেয়েছে।

বগুড়ায় এক ওষুধ ব্যবসায়ী নিজের এবং আত্মীয়স্বজনের নামে ৮টি কারখানা অনুমোদন নিয়ে রেখেছেন বলে জানা গেছে। জেলাটিতে নতুনভাবে অনুমোদন পাওয়া একটি আয়ুর্বেদিক কোম্পানির মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তালিকাভুক্ত। ওষুধ প্রশাসন থেকে প্রকল্প অনুমোদন দেখিয়ে আমরা চাইলে ব্যাংক থেকে চাহিদা অনুযায়ী ঋণ নিতে পারব।’

রাজশাহীতে অনুমোদন পাওয়া মেসার্স এভালন হারবাল অ্যান্ড নিউট্রাসিউটিক্যালস কারখানায় গত বুধবার বিকেলে গিয়ে দেখা গেছে, পাঁচতলা ভবনের সামনে ‘মুসলিম মেডিল্যাব’ নামে রাঙাপরি গ্রুপের একটি ওষুধ কোম্পানির সাইনবোর্ড। এভালন হারবাল অ্যান্ড নিউট্রাসিউটিক্যালসের লাইসেন্স নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মাসুম সরকার বলেন, চালু কারখানায় বাড়তি দেড় থেকে আড়াই হাজার বর্গফুট জায়গা থাকলে হারবালের লাইসেন্স নেওয়া যায়। ঔষধ প্রশাসন প্রাথমিকভাবে অনুমোদন পেলেও সবাই উৎপাদনে আসতে পারে না।

হারবাল প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনসি দারুল ইসলাম বলেন, দেশে ওষুধে আগ্রাসী বিনিয়োগ হচ্ছে। চাহিদা ও উৎপাদনের সঙ্গে কোনো মিল নেই। প্রকল্প অনুমোদন নিয়ে ব্যাংকঋণ নেবে। ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে ওষুধ উৎপাদনকারী মার্কেটিং করে না। সেখানে দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হচ্ছে। দেশে এটি করা হলে দুর্বল কোম্পানিগুলো সবল হতো।

ঔষধ প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ কারখানা রয়েছে ৩১৫টি। এগুলোর মধ্যে বন্ধ রয়েছে ৬৪টি। ইউনানি ২৮৭টির মধ্যে বন্ধ ১৯টি। আয়ুর্বেদিক ২০৫টির মধ্যে ১৬টি, হারবাল ৪৪টির মধ্যে ৩টি এবং হোমিও ৭১টির মধ্যে বন্ধ রয়েছে ১৭টি। অর্থাৎ ৯২২টি কারখানার মধ্যে বন্ধ রয়েছে ১১৯টি। এসব কারখানা দেখভাল করার মতো পর্যাপ্ত জনবল অধিদপ্তরের নেই।

ছয় মাসে ১২০টি নতুন কারখানা অনুমোদন দেওয়াকে লুটপাট বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ হেলথ কনজ্যুমারস রাইট ফোরাম। সংগঠনের সদস্যসচিব ইবনুল সাঈদ রানা বলেন, সরকারের দুর্বলতায় ঔষধ প্রশাসনে লুটপাট চলছে, যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এসব অনিয়ম জনগণের সামনে তুলে ধরার অনুরোধ করেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক আব্দুল হামিদ বলেন, দেশে বর্তমানে ওষুধের চাহিদা কী পরিমাণ রয়েছে, কত উৎপাদিত হচ্ছে, তার একটি মূল্যায়ন করে নতুন কারখানা অনুমোদন দেওয়া দরকার। চাহিদার তুলনায় বেশি ওষুধ তৈরি হলে আগ্রাসী বাণিজ্য এবং পুশ সেল বাড়বে।

ঔষধ প্রশাসনের অনিয়ম নিয়ে ২০১৫ সালে গবেষণা চালায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি)। প্রকল্প স্থানান্তর বা হস্তান্তরের সময় ১৫ লাখ, ছাড়পত্রে ৫-১০ লাখ, লাইসেন্স নবায়নে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ, রেসিপি অনুমোদন ৪-৫ হাজার, ওষুধ নিবন্ধন ১ থেকে দেড় লাখ পর্যন্ত ঘুষ লেনদেনের তথ্য উঠে আসে এতে।

নতুন ওষুধ কারখানা অনুমোদনের ক্ষেত্রেও এমন অর্থ লেনদেন হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ওষুধের মান খুব গুরুত্বপূর্ণ। যাদেরকে তড়িঘড়ি ওষুধ তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তাদের সে সক্ষমতা আছে কি না, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কি না, বিষয়টি ক্ষতি দেখতে হবে। ওষুধের মান দেখার দায়িত্ব ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের। তারা যদি রক্ষকের জায়গায় ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে, সেটি খতিয়ে দেখতে হবে এবং তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২০২৫ সালজুড়ে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ‘মব সন্ত্রাস’: আইন ও সালিশ কেন্দ্র

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
২০২৫ সালজুড়ে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে ‘মব সন্ত্রাস’: আইন ও সালিশ কেন্দ্র

২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর থেকে তুলে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধাসহ বিরুদ্ধ মতের মানুষকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিষ্ক্রিয়তা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে উদাসীনতার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে, যা দেশে আইনের শাসনের জন্য চূড়ান্ত হুমকিস্বরূপ এবং সমাজে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।

বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সব কথা বলা হয়েছে। আজ বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মব সন্ত্রাসে কমপক্ষে ১৯৭ জন নিহত হয়েছে। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২৮ জন।

আসকের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালে কমপক্ষে ২৯৩ জন নাগরিক মব সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে। মবের শিকার হয়ে ২০২৫ সালে ঢাকা জেলায় সর্বাধিক ২৭, গাজীপুরে ১৭, নারায়ণগঞ্জে ১১ জন নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। ২০২৫ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে গণপিটুনির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য মাসের থেকে বেশি ঘটেছে। এই সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাও গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন, যদিও অধিকাংশ ভুক্তভোগী ছিলেন দল-মত নিরপেক্ষ সাধারণ নাগরিক।

আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০২৫ সালে কমপক্ষে ৩৮ জন ব্যক্তি বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। এ সব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে, নির্যাতনে, কথিত ‘গুলিতে’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে। ২০২৫ সালে কমপক্ষে ১০৭ জন ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছে। এর মধ্যে ৬৯ জন হাজতি এবং কয়েদি ৩৮ জন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে অন্তত ৪০১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার ৭৪৪ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছে। সহিংসতার এই চিত্র কেবল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার সংঘাতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তিও সহিংসতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনি নিপীড়নের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক ধারায় পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অন্তত ৩৮১ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন, হয়রানি বা হুমকির শিকার হয়েছেন অন্তত ২৩ জন সাংবাদিক। প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন ২০ জন। প্রকাশিত সংবাদ বা মতামতকে কেন্দ্র করে মামলার সম্মুখীন হয়েছেন কমপক্ষে ১২৩ জন সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সরাসরি হামলার শিকার হয়েছেন ১১৮ জন সাংবাদিক। এ সময়কালে দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন ৩ জন সাংবাদিক এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রহস্যজনকভাবে ৪ জন সাংবাদিকের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।

আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কমপক্ষে ৪২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাসমূহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩টি বাড়িঘর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৩৬টি বসত ঘরে। এ ছাড়া ৪টি মন্দিরে হামলা, ৬৪টি প্রতিমা ভাঙচুর, ৯টি জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় নিহত হয়েছে ১ জন, আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। এ বছর দেশে ২১৭ জন নারী স্বামীর মাধ্যমে হত্যার শিকার হয়েছেন এবং ৬৩ জন নারীকে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে। নিজের পরিবারের সদস্যদের হাতেও ৫১ জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন। পারিবারিক সহিংসতা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে না পেয়ে অন্তত ১৬৮ জন নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ধর্ষণের ৭৪৯টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৬৯টি ছিল একক ধর্ষণ এবং ১৮০টি দলবদ্ধ ধর্ষণ। ধর্ষণের পর অন্তত ৩৬ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে, ৭ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন এবং ধর্ষণের চেষ্টার পর প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন নারী।

আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অন্তত ৪১০ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণের পর হত্যা, শারীরিক নির্যাতন, অপহরণ, আত্মহত্যা এবং বিস্ফোরণে মৃত্যু।

আসক মনে করে, দেশে নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের মধ্যে আশা ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হলেও বাস্তব পর্যায়ে বৈষম্য, নিপীড়ন ও দমন-পীড়নের চিত্রে আশানুরূপ ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে লক্ষ্য করা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পাকিস্তানের স্পিকার ও ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৩৮
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।

আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।

এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।

আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘খালেদা জিয়াকে এভাবে বিদায় দিতে হবে ভাবিনি’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৪
সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।

লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সংসদ-এলাকা

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’

বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’

জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমানের পদত্যাগ

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ২৪
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।

তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।

গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত