Ajker Patrika

জুলাই আন্দোলনে রামপুরায় ভবনের ছাদের রডে ঝুলে থাকার সময় ৬টি গুলি করে পুলিশ, তরুণের সাক্ষ্য

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই রাজধানীর রামপুরায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদের রডে ঝুলন্ত অবস্থায় এক তরুণকে গুলি করে পুলিশ। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই রাজধানীর রামপুরায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদের রডে ঝুলন্ত অবস্থায় এক তরুণকে গুলি করে পুলিশ। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের রডে ঝুলে থাকা অবস্থায় পুলিশ পায়ে ছয়টি গুলি করে বলে জানিয়েছেন আমির হোসেন নামে এক তরুণ।

আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দেন তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রামপুরায় চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষ্য দেন ১৮ বছরের এই তরুণ।

এই মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, রামপুরা থানার সাবেক এসআই তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে আসামি করা হয়েছে।

এর মধ্যে চঞ্চল চন্দ্র সরকার গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা পলাতক।

আমির হোসেন তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, আন্দোলনের সময় আফতাবনগরে মামা কফিশপ নামের একটি খাবারের দোকানে চাকরি করতেন তিনি। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রামপুরা খালের সাঁকো পার হয়ে প্রধান সড়কে গেলে দেখতে পান পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি চালাচ্ছে। ভয়ে তিনি পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের চারতলার ছাদে উঠে যান। তিনজন পুলিশ সদস্য তখন তাঁর পিছু নিলে তিনি ছাদের একটি রড ধরে ঝুলতে থাকেন।

আমির হোসেন বলেন, সে সময় পুলিশের এক সদস্য তাঁকে নিচে ঝাঁপ দিতে বলেন। তা না করলে তিনি পিস্তল দিয়ে পরপর তিনটি গুলি করেন। তিনটি গুলিই পায়ে বিদ্ধ হয়। এরপর আরেকজন পুলিশ পিস্তল দিয়ে তাঁর দিকে আরও তিনটি গুলি ছোড়েন। সেই গুলিও তাঁর পায়ে লাগে। এরপর জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফিরলে নিজেকে ফেমাস হাসপাতালে পান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্রে সন্তানের আয়ের তথ্য দেওয়া ঐচ্ছিক—বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের পর ইসির চিঠি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে থাকা ‘সন্তানের আয়’ দেখানোর বাধ্যবাধকতা বিষয়ে স্পষ্টতা চেয়ে আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। এর পরপরই রিটার্নিং কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, এই তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক।

আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

বৈঠক শেষে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, আরপিওতে না থাকা সত্ত্বেও মনোনয়নপত্রে সন্তানেরও আয়ের হিসাব দেওয়ার বিষয়টি রাখা হয়েছে। যেটা নিয়ে সব জায়গায় একটা প্রশ্ন উঠেছে। কারণ অনেকের সন্তানেরা নিজেরাই উপার্জনক্ষম এবং তাঁরা নির্ভরশীল নন। অনেকেই দেশের বাইরে থাকেন। অনেকেই নিজেরা আলাদাভাবেই ট্যাক্স দেন। এই বিষয়টা নিয়ে একটা জটিলতা হয়ে গেছে। যার জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছি এবং কথা বললাম। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং তাঁর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা বোঝাতে চেয়েছেন নির্ভরশীল সন্তানদের বুঝিয়েছেন। তাঁরা এর ব্যাখ্যা দেবেন যে, এই ‘সন্তান’ শব্দটার অর্থ হলো ‘নির্ভরশীল সন্তান’।

সিইসির সঙ্গে বিএনপির এই বৈঠকের পর বিষয়টি স্পষ্ট করে বিকেলে সব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছে কমিশন। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, হলফনামার ক্রম ১০-এ আয়কর সংক্রান্ত তথ্যে সর্বশেষ আয়কর রিটার্ন জমার বিবরণ অংশে প্রদত্ত ছকের ক্রমিক ২,৩ ও ৪ এ উল্লিখিত যথাক্রমে স্বামী/স্ত্রী, সন্তান ও নির্ভরশীলদের আয়কর সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া ঐচ্ছিক মর্মে বিবেচিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই হাদি হত্যার বিচার সম্পন্ন হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: সংগৃহীত
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচার বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই সম্পন্ন করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, হাদি হত্যার তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং আগামী ১০ দিনের মধ্যে (৭ জানুয়ারি) এ মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করা সম্ভব হবে। দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে মামলাটি ইতিমধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে তদন্তের স্বার্থে সব তথ্য প্রকাশ না করলেও উপদেষ্টা বেশ কিছু অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ঘটনার মূল হোতা ফয়সাল করিম মাসুদের বাবা হুমায়ুন কবির, মা হাসি বেগম, স্ত্রী শাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ শিপু এবং প্রেমিকা মারিয়া আক্তার লিমা রয়েছেন। এ ছাড়া মো. কবির, নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল, সিবিয়ন দিও, সঞ্জয় চিসিম, মো. আমিনুল ইসলাম রাজু এবং মো. আব্দুল হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জন এবং ৪ জন সাক্ষী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি বিদেশি পিস্তল, ৫২ রাউন্ড গুলি, ম্যাগাজিন, ছোরা এবং ভুয়া নম্বর প্লেটসহ একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য আলামত পুলিশের হাতে রয়েছে।

তদন্তে ৫৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিপরীতে মোট ২১৮ কোটি টাকার স্বাক্ষরিত চেক জব্দ করা হয়েছে, যা এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে গভীর কোনো ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয় বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে ফ্যাসিস্টের দোসর ও দুষ্কৃতকারীরা ওত পেতে আছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের অনুরোধ করব—দলের ভেতরে খোলস পাল্টানো সুযোগসন্ধানী ও দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করুন। তাঁরা যেন আপনাদের দলে আশ্রয় না পায় সে বিষয়ে সচেতন হোন। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিন।’

কোর কমিটির সভায় দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করা হয়। উপদেষ্টা জানান, গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে (অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২) এ পর্যন্ত ২২ হাজার ৩৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১০২টি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম।

উপদেষ্টা ময়মনসিংহে দিপু চন্দ্র দাসকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার বিষয়েও কথা বলেন। তিনি জানিয়েছেন, এ ঘটনায় র‍্যাব ও পুলিশ এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। লক্ষ্মীপুর নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের মূল আসামি রুবেল এবং খুলনায় শ্রমশক্তি নেতা মোতালেব সিকদারকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশবাসীকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘হাদি হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল অনবরত তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সরকার ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির খুনিদের আশ্রয় দেওয়া দুই ভারতীয়কে আটক করেছে মেঘালয় পুলিশ: ডিএমপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৩৭
শরিফ ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত
শরিফ ওসমান হাদি। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, ‘এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে। ভারতে তাদের যারা আশ্রয় দিয়েছিল, সেই দুজনকে আটক করেছে মেঘালয় পুলিশ।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এবং অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম এই তথ্য জানান।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী ফয়সাল করিম দাউদ ওরফে রাহুল ও তার সহযোগী আলমগীর শেখের সহযোগী ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, চারজন সাক্ষী হয়েছেন।’

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে তদন্ত শেষ পর্যায়ে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এই মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে হাদি হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী ছিল—এমন প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবির প্রধান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, তদন্তে যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, সেই মোতাবেক এটি একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘মূল দুই আসামি ফয়সাল করিম ওরফে মাসুদ ওরফে রাহুল, মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুজনেই ভারতে পালিয়ে গেছে। আমাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে মেঘালয় পুলিশ পাচারে সহায়তার অভিযোগে সেখানকার দুজনকে আটক করেছে।’

মেঘালয় পুলিশ পুর্তি ও সামী নামে ভারতের দুই নাগরিককে আটক করেছে বলে জানান নজরুল ইসলাম।

এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাদির হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত। ঘটনার পর ফয়সাল ও আলমগীর শেখ ঢাকা থেকে সিএনজিতে (অটোরিকশা) করে আমিনবাজারে যান। সেখান থেকে গাড়িতে করে কালামপুড়ে যান। কালামপুর থেকে আরেকটি গাড়িতে করে ময়মনসিংহ সীমান্তে যান। সেখানে ফয়সাল ও আলমগীরকে গ্রহণ করে ফিলিপ স্নাল ও সঞ্জয়। তাঁরা সীমান্তে অবৈধভাবে মানুষ পারাপার করেন। পরে ফিলিপ দুজনকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে নিয়ে যান।’

নজরুল ইসলাম বলেন, ফিলিপ ফয়সাল ও আলমগীরকে ভারতের তুরা নামক স্থানে নিয়ে যান। সেখানে ভারতীয় নাগরিক পুর্তির কাছে দুজনকে পৌঁছে দেন। পরে সামী নামের এক ব্যক্তির গাড়িতে করে সেখান থেকে পালিয়ে যান তাঁরা।

একই সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৫ আগস্ট (২০২৪) যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তারাই জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যাকাণ্ড: ফয়সাল ও তাঁর সহযোগী ভারতে পালিয়েছেন—জানাল ডিএমপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৫
হাদি হত্যাকাণ্ড মামলার তদন্তে অগ্রগতি নিয়ে ডিএমপির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাদি হত্যাকাণ্ড মামলার তদন্তে অগ্রগতি নিয়ে ডিএমপির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।

আজ রোববার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর এক সহযোগী ময়মনসিংহের দুর্গম সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন। পুলিশি নজরদারি এড়াতে তাঁরা স্থানীয় দালাল চক্রের সহায়তা নিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়, এটি ছিল সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো একটি পরিকল্পনা। ডিএমপি এ পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যেখানে তারা হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ এবং পরিকল্পনার খুঁটিনাটি প্রকাশ করেছে।’ ডিএমপি আশা করছে, আগামী ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে এই মামলার একটি পূর্ণাঙ্গ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হবে।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১২ ডিসেম্বর হামলার শিকার হন ওসমান হাদি। ওই দিন বেলা আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে অনুসারীদের নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলে আসা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর এক সহযোগী চলন্ত অবস্থায় হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালান।

গুলিবিদ্ধ হাদিকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে এবং পরে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন। প্রাথমিক এজাহারে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হলেও হাদির মৃত্যুর পর ২০ ডিসেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদের নির্দেশে মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত