রাসেল মাহমুদ, ঢাকা

গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক সাবেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশই এখন কারাগারে বন্দী। এসব কারাবন্দীর মধ্যে ১৬২ জন ডিভিশন বা শ্রেণির সুবিধা পেয়েছেন। তাঁরা কারাগারে সময় কাটাচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের বই, পত্রিকা ও নামাজ পড়ে, গল্প করে এবং সকাল-বিকেল হাঁটাহাঁটি করে। তবে সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ ডিভিশন না পাওয়া অনেকে বিশেষ বন্দী হিসেবে রয়েছেন।
দেশে ঢাকায় একটি বিশেষ কারাগার, চৌদ্দটি কেন্দ্রীয় কারাগার ও ৫৫টি জেলা কারাগার রয়েছে। কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া বন্দীদের মধ্যে ৮ জুলাই পর্যন্ত ডিভিশন পেয়েছেন ১৬২ জন। এর মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী ৩০ জন এবং সংসদ সদস্য ৪৪ জন। বাকি ৮৮ জনের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সচিব, বিচারপতি, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সেনা ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পেশার বন্দীরা। ডিভিশনপ্রাপ্ত এসব বন্দী রয়েছেন ঢাকা বিশেষ কারাগার, ১১টি কেন্দ্রীয় ও ১৪টি জেলা কারাগারে।
বড় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সাবেক সরকারের লোকজনসহ অনেক হোমরাচোমরা আটক হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কারাগারগুলোতে ডিভিশনপ্রাপ্তদের সংখ্যাও অতীতের চেয়ে অনেক বেশি। এরপরও অবশ্য ডিভিশন-সুবিধা পাননি এমন অনেকে রয়ে গেছেন।
কারাবিধি অনুযায়ী কারাবন্দীদের দুই ধরনের ডিভিশন দেওয়া হয়ে থাকে। বিধিতে বলা হয়েছে, ভালো চরিত্রের অধিকারী, সামাজিক মর্যাদাসম্পন্ন শিক্ষিত ও উন্নত জীবনযাপনে অভ্যস্ত বন্দী এবং নিষ্ঠুরতা, মারাত্মক অপরাধ, সম্পদ আত্মসাৎসহ কিছু সুনির্দিষ্ট কারণে দণ্ডিত নন—এমন ব্যক্তিরা ডিভিশন-১ এর যোগ্য হবেন। এ ছাড়া বিধির ৬১৭(২) ধারায় বলা হয়েছে, সামাজিক মর্যাদা, শিক্ষা ও অভ্যাসের কারণে জীবনযাপনের ধরন উচ্চমানের এমন বন্দীরা ডিভিশন-২ প্রাপ্তির যোগ্য হবেন। এসব বন্দীর বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় তথ্য দেবেন বন্দীর আইনজীবী ও স্বজনেরা।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তাঁর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ও সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী গ্রেপ্তার হন। তাঁরা তিনজনই ঢাকা বিশেষ কারাগারে ডিভিশন বন্দী হিসেবে রয়েছেন।
গত ১৩ আগস্ট মন্ত্রীদের মধ্যে প্রথম গ্রেপ্তার হন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এরপর হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ অন্তত ৩৫ জন সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রী একে একে গ্রেপ্তার হন। কারাগারে থাকা এসব মন্ত্রীর মধ্যে ৩০ জন বর্তমানে ডিভিশন পাচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলার আসামি ও সাবেক মন্ত্রীদের অনেকে ঢাকা বিশেষ কারাগারে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই কারাগার বিশেষ বন্দীদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এখন সেখানেই বন্দী রয়েছেন গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও প্রভাবশালী নেতা।
সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও ৬০ জনের বেশি সাবেক সংসদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ, ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুসহ বন্দী থাকা ৪৪ জন সাবেক সংসদ সদস্য ডিভিশন পাচ্ছেন। তাঁরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, বিভাগীয় কেন্দ্রীয় কারাগার ও জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
কারা সূত্রে জানা যায়, ডিভিশন পাওয়া বন্দীরা কারাবিধি অনুযায়ী খাটসহ একজনের বা দুজনের কক্ষ পেয়েছেন। সেখানে চেয়ার, টেবিল, তোষক, বালিশ, মশারি ও আয়নার ব্যবস্থা আছে। তেল, চিরুনি এবং সংবাদপত্রও দেওয়া হয়। ডিভিশনপ্রাপ্তদের খাবারের মেনুও কিছুটা ভিন্ন। এ আসামিদের ছোটখাটো কাজ করে দেওয়ার জন্য প্রতিটি ফ্লোরে একজন করে সাধারণ বন্দীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ডিভিশন পাওয়া বন্দীদের পাশাপাশি সেলেই রাখা হচ্ছে। ছোট কক্ষে একজন এবং বড় কক্ষে দুজন করে থাকেন। সকালে প্রায় সবাই খবরের কাগজ পড়েন। এ ছাড়া দিনের অন্য সময়ে কেউ কেউ গল্প-উপন্যাস, জীবনী, ধর্মীয় ও আইনসহ বিভিন্ন বিষয়ের বই পড়েন। কেউ কেউ নামাজ পড়েন। বয়স্ক বন্দীদের অনেকে সকাল-বিকেল সেলের সামনের ফাঁকা স্থানে কিছু সময় হাঁটাহাঁটিও করেন।
৫ আগস্টের পর গ্রেপ্তার হওয়া বন্দীদের মধ্যে কয়েকজনের ডিভিশন বাতিলও করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। আচরণবিধি ভঙ্গ করায় নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের ডিভিশন বাতিল করা হয়। তবে কারারক্ষীদের সঙ্গে এই বিশেষ বন্দীরা কোনো ধরনের খারাপ আচরণ করছেন না বলেই কারা সূত্র জানিয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীদের কারাবিধি অনুযায়ী যেসব সুবিধা দেওয়া দরকার, সেগুলো দেওয়া হয়েছে।’
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এখনো সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও আমলাসহ ২৮ কারাবন্দী ডিভিশন পাননি। তাঁরা কারাগারে রয়েছেন বিশেষ বন্দী হিসেবে। এসব বিশেষ বন্দীর মধ্যে আছেন সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস, সিলেট-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এম এ লতিফ, কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিম, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ, নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, অভিনেত্রী শমী কায়সার প্রমুখ।
ডিভিশন না পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক কয়েক নারী সংসদ সদস্যও। এদের মধ্যে আছেন বরিশাল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম। তাঁরা সাধারণ বন্দীদের সঙ্গে থাকছেন।
সবচেয়ে বেশি ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী (৪৬ জন) রয়েছেন কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। সংখ্যার হিসাবে তারপরেই রয়েছে ঢাকা বিশেষ কারাগার (৪৫ জন)। এ ছাড়া গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ ১৫ জন, কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ১২ জন, মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৮ জন, অন্য ৬টি কেন্দ্রীয় কারাগারে ৯ জন, খুলনা, কিশোরগঞ্জ, নোয়াখালী, দিনাজপুর জেলা কারাগারে ১২ জনসহ ১৪টি জেলা কারাগারে ২৭ জন ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী রয়েছেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারাগারে বন্দী সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অনেকেই কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন সুবিধা পাচ্ছেন। তবে কারাগারে আচরণবিধি না মানায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দুই-একজনের ডিভিশন বাতিলও করা হয়েছে।’
ডিভিশন না পাওয়া বন্দীদের বিষয়ে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক বলেন, আদালত যেসব বন্দীর বিষয়ে ডিভিশন দেওয়ার আদেশ দেন, কারা কর্তৃপক্ষ সেই বন্দীদের ডিভিশন দেন। কারাবিধি অনুযায়ী তাঁদের ডিভিশন সুবিধা দেওয়া হয়।

গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক সাবেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশই এখন কারাগারে বন্দী। এসব কারাবন্দীর মধ্যে ১৬২ জন ডিভিশন বা শ্রেণির সুবিধা পেয়েছেন। তাঁরা কারাগারে সময় কাটাচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের বই, পত্রিকা ও নামাজ পড়ে, গল্প করে এবং সকাল-বিকেল হাঁটাহাঁটি করে। তবে সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ ডিভিশন না পাওয়া অনেকে বিশেষ বন্দী হিসেবে রয়েছেন।
দেশে ঢাকায় একটি বিশেষ কারাগার, চৌদ্দটি কেন্দ্রীয় কারাগার ও ৫৫টি জেলা কারাগার রয়েছে। কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া বন্দীদের মধ্যে ৮ জুলাই পর্যন্ত ডিভিশন পেয়েছেন ১৬২ জন। এর মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী ৩০ জন এবং সংসদ সদস্য ৪৪ জন। বাকি ৮৮ জনের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সচিব, বিচারপতি, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সেনা ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পেশার বন্দীরা। ডিভিশনপ্রাপ্ত এসব বন্দী রয়েছেন ঢাকা বিশেষ কারাগার, ১১টি কেন্দ্রীয় ও ১৪টি জেলা কারাগারে।
বড় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সাবেক সরকারের লোকজনসহ অনেক হোমরাচোমরা আটক হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কারাগারগুলোতে ডিভিশনপ্রাপ্তদের সংখ্যাও অতীতের চেয়ে অনেক বেশি। এরপরও অবশ্য ডিভিশন-সুবিধা পাননি এমন অনেকে রয়ে গেছেন।
কারাবিধি অনুযায়ী কারাবন্দীদের দুই ধরনের ডিভিশন দেওয়া হয়ে থাকে। বিধিতে বলা হয়েছে, ভালো চরিত্রের অধিকারী, সামাজিক মর্যাদাসম্পন্ন শিক্ষিত ও উন্নত জীবনযাপনে অভ্যস্ত বন্দী এবং নিষ্ঠুরতা, মারাত্মক অপরাধ, সম্পদ আত্মসাৎসহ কিছু সুনির্দিষ্ট কারণে দণ্ডিত নন—এমন ব্যক্তিরা ডিভিশন-১ এর যোগ্য হবেন। এ ছাড়া বিধির ৬১৭(২) ধারায় বলা হয়েছে, সামাজিক মর্যাদা, শিক্ষা ও অভ্যাসের কারণে জীবনযাপনের ধরন উচ্চমানের এমন বন্দীরা ডিভিশন-২ প্রাপ্তির যোগ্য হবেন। এসব বন্দীর বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় তথ্য দেবেন বন্দীর আইনজীবী ও স্বজনেরা।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তাঁর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ও সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী গ্রেপ্তার হন। তাঁরা তিনজনই ঢাকা বিশেষ কারাগারে ডিভিশন বন্দী হিসেবে রয়েছেন।
গত ১৩ আগস্ট মন্ত্রীদের মধ্যে প্রথম গ্রেপ্তার হন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এরপর হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ অন্তত ৩৫ জন সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রী একে একে গ্রেপ্তার হন। কারাগারে থাকা এসব মন্ত্রীর মধ্যে ৩০ জন বর্তমানে ডিভিশন পাচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলার আসামি ও সাবেক মন্ত্রীদের অনেকে ঢাকা বিশেষ কারাগারে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই কারাগার বিশেষ বন্দীদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এখন সেখানেই বন্দী রয়েছেন গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও প্রভাবশালী নেতা।
সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও ৬০ জনের বেশি সাবেক সংসদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ, ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুসহ বন্দী থাকা ৪৪ জন সাবেক সংসদ সদস্য ডিভিশন পাচ্ছেন। তাঁরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, বিভাগীয় কেন্দ্রীয় কারাগার ও জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
কারা সূত্রে জানা যায়, ডিভিশন পাওয়া বন্দীরা কারাবিধি অনুযায়ী খাটসহ একজনের বা দুজনের কক্ষ পেয়েছেন। সেখানে চেয়ার, টেবিল, তোষক, বালিশ, মশারি ও আয়নার ব্যবস্থা আছে। তেল, চিরুনি এবং সংবাদপত্রও দেওয়া হয়। ডিভিশনপ্রাপ্তদের খাবারের মেনুও কিছুটা ভিন্ন। এ আসামিদের ছোটখাটো কাজ করে দেওয়ার জন্য প্রতিটি ফ্লোরে একজন করে সাধারণ বন্দীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ডিভিশন পাওয়া বন্দীদের পাশাপাশি সেলেই রাখা হচ্ছে। ছোট কক্ষে একজন এবং বড় কক্ষে দুজন করে থাকেন। সকালে প্রায় সবাই খবরের কাগজ পড়েন। এ ছাড়া দিনের অন্য সময়ে কেউ কেউ গল্প-উপন্যাস, জীবনী, ধর্মীয় ও আইনসহ বিভিন্ন বিষয়ের বই পড়েন। কেউ কেউ নামাজ পড়েন। বয়স্ক বন্দীদের অনেকে সকাল-বিকেল সেলের সামনের ফাঁকা স্থানে কিছু সময় হাঁটাহাঁটিও করেন।
৫ আগস্টের পর গ্রেপ্তার হওয়া বন্দীদের মধ্যে কয়েকজনের ডিভিশন বাতিলও করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। আচরণবিধি ভঙ্গ করায় নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের ডিভিশন বাতিল করা হয়। তবে কারারক্ষীদের সঙ্গে এই বিশেষ বন্দীরা কোনো ধরনের খারাপ আচরণ করছেন না বলেই কারা সূত্র জানিয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীদের কারাবিধি অনুযায়ী যেসব সুবিধা দেওয়া দরকার, সেগুলো দেওয়া হয়েছে।’
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এখনো সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও আমলাসহ ২৮ কারাবন্দী ডিভিশন পাননি। তাঁরা কারাগারে রয়েছেন বিশেষ বন্দী হিসেবে। এসব বিশেষ বন্দীর মধ্যে আছেন সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস, সিলেট-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এম এ লতিফ, কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিম, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ, নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, অভিনেত্রী শমী কায়সার প্রমুখ।
ডিভিশন না পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক কয়েক নারী সংসদ সদস্যও। এদের মধ্যে আছেন বরিশাল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম। তাঁরা সাধারণ বন্দীদের সঙ্গে থাকছেন।
সবচেয়ে বেশি ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী (৪৬ জন) রয়েছেন কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। সংখ্যার হিসাবে তারপরেই রয়েছে ঢাকা বিশেষ কারাগার (৪৫ জন)। এ ছাড়া গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ ১৫ জন, কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ১২ জন, মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে ৮ জন, অন্য ৬টি কেন্দ্রীয় কারাগারে ৯ জন, খুলনা, কিশোরগঞ্জ, নোয়াখালী, দিনাজপুর জেলা কারাগারে ১২ জনসহ ১৪টি জেলা কারাগারে ২৭ জন ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী রয়েছেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারাগারে বন্দী সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অনেকেই কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন সুবিধা পাচ্ছেন। তবে কারাগারে আচরণবিধি না মানায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দুই-একজনের ডিভিশন বাতিলও করা হয়েছে।’
ডিভিশন না পাওয়া বন্দীদের বিষয়ে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক বলেন, আদালত যেসব বন্দীর বিষয়ে ডিভিশন দেওয়ার আদেশ দেন, কারা কর্তৃপক্ষ সেই বন্দীদের ডিভিশন দেন। কারাবিধি অনুযায়ী তাঁদের ডিভিশন সুবিধা দেওয়া হয়।

ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগেরংপুর প্রতিনিধি

ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
আজ সোমবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের জেলা কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন ধর্ম উপদেষ্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসান, হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার, প্রকল্প পরিচালক নিত্য প্রকাশ বিশ্বাসসহ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা।
ময়মনসিংহে দিপু হত্যাকাণ্ড এবং রাজবাড়ীর পাংশায় সংঘটিত পৃথক ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ময়মনসিংহে দিপু হত্যার ঘটনায় আমরা প্রথম দিন থেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমরা কোনো দিন চাই না এই কিলিং আউটসাইড দি জুডিশিয়ারি—ইট ইজ নট অ্যাক্সেপ্টেবল টু আস। ইন এনি সারকামস্ট্যান্স উই কান্ট অ্যালাও মব জাস্টিস। তাহলে তো দেশ থাকবে না, সরকার থাকবে না, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থাকবে না; আইন যদি আমি করি, বিচার যদি আমি করি।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কেউ যদি ধর্ম অবমাননা করে থাকে—করতে পারে, ফেসবুক ওপেন প্ল্যাটফর্ম, করে—তার জন্য আমাদের তো নির্ধারিত আইন আছে। সরকার আছে, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিজ আছে, জাস্টিস আছে, তার বিচার হবে যদি সে করে থাকে। কিন্তু এটার একটা অজুহাত তুলে কোনো মানুষকে পিটিয়ে মারা এবং তাকে পুড়িয়ে ফেলা—এটা জঘন্যতম কাজ। এটার নিন্দা জানাই।’
দিপু হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমাদের গভর্নমেন্টের পক্ষ থেকে আমাদের মাননীয় শিল্প উপদেষ্টাকে দিপুর বাড়িতে পাঠিয়েছি। এই মানুষটাও দরিদ্র। তো ক্যাবিনেটেও আমরা এটা আলোচনা করেছি—দিপুর পরিবারের সমস্ত খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।’
রাজবাড়ীর পাংশার ঘটনায় সাম্প্রদায়িক কোনো যোগ নেই উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে তিনি ঘটনাটির প্রকৃত চিত্র জানতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি অমিত নামে পরিচিত এবং তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ডাকাতির সময় গুলি ছোড়ার ঘটনায় স্থানীয়রা তাঁকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করে।’
তবে এ প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা পিটিয়ে মারার সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে চাই। যত বড় অপরাধী হোক, আমাদের তো আইন আছে, ল মাস্ট টেক ইটস ওউন কোর্স। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সে ডাকাত হলেও তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না থাকলে, এভাবে হলে তো আপনারে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনকে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেবে। এই যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া অথবা পিটিয়ে মারা—আমরা এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আমরা রুল অব ল, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
আগুন দেওয়া, পিটিয়ে হত্যা—এই সহিংস সংস্কৃতি পরিহার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই সরকারের লক্ষ্য বলে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে নমিনেশন পেপার সাবমিটের লাস্ট ডেট। জাতি একটা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করছি, আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা, উৎসবমুখর পরিবেশে ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং যারাই ম্যান্ডেট পেয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবেন, আমরা তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা পুরোনো ঠিকানায় ফিরে যাব। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। আমরা এভাবে এগোচ্ছি এবং ইলেকশন মাস্ট বি হেল্ড ফেয়ার, ফ্রি, ইমপারশিয়াল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ হবে। এটাই আমরা সমস্ত রিটার্নিং অফিসারদের, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি যারা আছেন তাদের আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।’

ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
আজ সোমবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের জেলা কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন ধর্ম উপদেষ্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসান, হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার, প্রকল্প পরিচালক নিত্য প্রকাশ বিশ্বাসসহ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা।
ময়মনসিংহে দিপু হত্যাকাণ্ড এবং রাজবাড়ীর পাংশায় সংঘটিত পৃথক ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ময়মনসিংহে দিপু হত্যার ঘটনায় আমরা প্রথম দিন থেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমরা কোনো দিন চাই না এই কিলিং আউটসাইড দি জুডিশিয়ারি—ইট ইজ নট অ্যাক্সেপ্টেবল টু আস। ইন এনি সারকামস্ট্যান্স উই কান্ট অ্যালাও মব জাস্টিস। তাহলে তো দেশ থাকবে না, সরকার থাকবে না, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থাকবে না; আইন যদি আমি করি, বিচার যদি আমি করি।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কেউ যদি ধর্ম অবমাননা করে থাকে—করতে পারে, ফেসবুক ওপেন প্ল্যাটফর্ম, করে—তার জন্য আমাদের তো নির্ধারিত আইন আছে। সরকার আছে, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিজ আছে, জাস্টিস আছে, তার বিচার হবে যদি সে করে থাকে। কিন্তু এটার একটা অজুহাত তুলে কোনো মানুষকে পিটিয়ে মারা এবং তাকে পুড়িয়ে ফেলা—এটা জঘন্যতম কাজ। এটার নিন্দা জানাই।’
দিপু হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমাদের গভর্নমেন্টের পক্ষ থেকে আমাদের মাননীয় শিল্প উপদেষ্টাকে দিপুর বাড়িতে পাঠিয়েছি। এই মানুষটাও দরিদ্র। তো ক্যাবিনেটেও আমরা এটা আলোচনা করেছি—দিপুর পরিবারের সমস্ত খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।’
রাজবাড়ীর পাংশার ঘটনায় সাম্প্রদায়িক কোনো যোগ নেই উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে তিনি ঘটনাটির প্রকৃত চিত্র জানতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি অমিত নামে পরিচিত এবং তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ডাকাতির সময় গুলি ছোড়ার ঘটনায় স্থানীয়রা তাঁকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করে।’
তবে এ প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা পিটিয়ে মারার সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে চাই। যত বড় অপরাধী হোক, আমাদের তো আইন আছে, ল মাস্ট টেক ইটস ওউন কোর্স। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সে ডাকাত হলেও তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না থাকলে, এভাবে হলে তো আপনারে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনকে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেবে। এই যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া অথবা পিটিয়ে মারা—আমরা এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আমরা রুল অব ল, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
আগুন দেওয়া, পিটিয়ে হত্যা—এই সহিংস সংস্কৃতি পরিহার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই সরকারের লক্ষ্য বলে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে নমিনেশন পেপার সাবমিটের লাস্ট ডেট। জাতি একটা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করছি, আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা, উৎসবমুখর পরিবেশে ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং যারাই ম্যান্ডেট পেয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবেন, আমরা তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা পুরোনো ঠিকানায় ফিরে যাব। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। আমরা এভাবে এগোচ্ছি এবং ইলেকশন মাস্ট বি হেল্ড ফেয়ার, ফ্রি, ইমপারশিয়াল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ হবে। এটাই আমরা সমস্ত রিটার্নিং অফিসারদের, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি যারা আছেন তাদের আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।’

গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক সাবেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশই এখন কারাগারে বন্দী। এসব কারাবন্দীর মধ্যে ১৬২ জন ডিভিশন বা শ্রেণির সুবিধা পেয়েছেন।
১২ জুলাই ২০২৫
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিজিবিও সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য নির্বাচনের সময় নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যেও দুই-চারটা অস্ত্র যে দেশে ঢুকছে না তা না। তবে এগুলো ধরাও হচ্ছে। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনো রকমের কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। এবারই নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
কেরানীগঞ্জ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে যেই ব্যক্তি অপকর্মটা ঘটিয়েছে সে পলাতক রয়েছে। কিন্তু তার সহযোগীকে ধরা হয়েছে। পলাতক ওই ব্যক্তিকেও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসব ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা —এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট যারা আছে তারা সব সময়ই এটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু সবার সহযোগিতা যদি থাকে তবে নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ রকম একটা নির্বাচনই এই সরকারের দেওয়ার ইচ্ছা এবং এটা বাস্তবায়ন করবে।

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিজিবিও সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য নির্বাচনের সময় নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যেও দুই-চারটা অস্ত্র যে দেশে ঢুকছে না তা না। তবে এগুলো ধরাও হচ্ছে। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনো রকমের কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। এবারই নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
কেরানীগঞ্জ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে যেই ব্যক্তি অপকর্মটা ঘটিয়েছে সে পলাতক রয়েছে। কিন্তু তার সহযোগীকে ধরা হয়েছে। পলাতক ওই ব্যক্তিকেও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসব ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা —এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট যারা আছে তারা সব সময়ই এটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু সবার সহযোগিতা যদি থাকে তবে নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ রকম একটা নির্বাচনই এই সরকারের দেওয়ার ইচ্ছা এবং এটা বাস্তবায়ন করবে।

গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক সাবেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশই এখন কারাগারে বন্দী। এসব কারাবন্দীর মধ্যে ১৬২ জন ডিভিশন বা শ্রেণির সুবিধা পেয়েছেন।
১২ জুলাই ২০২৫
ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিআরটিএ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা প্রকাশ করে।
বিআরটিএ নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
১. কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।
২. সর্বদা ‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩. লেন পরিবর্তন/ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।
৪. ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিআরটিএ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা প্রকাশ করে।
বিআরটিএ নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
১. কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।
২. সর্বদা ‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩. লেন পরিবর্তন/ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।
৪. ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক সাবেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশই এখন কারাগারে বন্দী। এসব কারাবন্দীর মধ্যে ১৬২ জন ডিভিশন বা শ্রেণির সুবিধা পেয়েছেন।
১২ জুলাই ২০২৫
ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা ও দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবিকে আরও পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে বিজিবির সাহস ও আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং ওই আন্দোলনে আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র-জনতার প্রতি সম্মান জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিজিবি একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বর্তমানে বিজিবি একটি “ত্রিমাত্রিক বাহিনী” হিসেবে সীমান্ত সুরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা এবং জনকল্যাণমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
বিজিবির সার্বিক উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে কোনো ধরনের মাদক দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা জোরদার করতে হবে।’
একই সঙ্গে অবৈধ পথে দেশীয় পণ্য বিদেশে পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
চোরাকারবারি ও মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পাশাপাশি অধীনস্ত সদস্যদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্তসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা অত্যন্ত কৌশল ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে, যাতে দেশের স্বার্থ শতভাগ সুরক্ষিত থাকে। সীমান্ত ব্যবহারকারী চোরাকারবারিদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় বজায় রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবি সদস্যদের ‘চেইন অব কমান্ড’-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও আনুগত্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিজিবি দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে তার গৌরবময় অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে এমন প্রত্যাশা তাঁর।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং বিজিবির মহাপরিচালকসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা ও দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবিকে আরও পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে বিজিবির সাহস ও আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং ওই আন্দোলনে আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র-জনতার প্রতি সম্মান জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিজিবি একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বর্তমানে বিজিবি একটি “ত্রিমাত্রিক বাহিনী” হিসেবে সীমান্ত সুরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা এবং জনকল্যাণমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
বিজিবির সার্বিক উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে কোনো ধরনের মাদক দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা জোরদার করতে হবে।’
একই সঙ্গে অবৈধ পথে দেশীয় পণ্য বিদেশে পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
চোরাকারবারি ও মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পাশাপাশি অধীনস্ত সদস্যদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্তসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা অত্যন্ত কৌশল ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে, যাতে দেশের স্বার্থ শতভাগ সুরক্ষিত থাকে। সীমান্ত ব্যবহারকারী চোরাকারবারিদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় বজায় রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবি সদস্যদের ‘চেইন অব কমান্ড’-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও আনুগত্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিজিবি দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে তার গৌরবময় অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে এমন প্রত্যাশা তাঁর।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং বিজিবির মহাপরিচালকসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক সাবেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশই এখন কারাগারে বন্দী। এসব কারাবন্দীর মধ্যে ১৬২ জন ডিভিশন বা শ্রেণির সুবিধা পেয়েছেন।
১২ জুলাই ২০২৫
ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
৩ ঘণ্টা আগে