Ajker Patrika

পিএসসির ভেতরেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের চক্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও মাদারীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৪, ১৯: ৩৮
পিএসসির ভেতরেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের চক্র

থলের বিড়াল বেরিয়ে এসেছে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত খোদ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাই। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মকর্তা, তিন কর্মচারীসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। এই চক্র অন্তত এক যুগ ধরে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার চাকরির ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে। আর এ কাজ করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন প্রত্যেকেই।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সিআইডির প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের ১৭ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কে কে জড়িত, তাঁদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তদন্তে যাঁকে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাঁকেই গ্রেপ্তার করা হবে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পিএসসির উপপরিচালক আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক আলমগীর কবির, সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও তাঁর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম, ডেসপাস রাইডার খলিলুর রহমান, অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা- প্রহরী শাহাদাত হোসেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেকনিশিয়ান নিয়ামুন হাসান, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, নোমান সিদ্দিকী, আবু সোলায়মান মো. সোহেল, জাহিদুল ইসলাম, মামুনুর রশীদ, সাখাওয়াত হোসেন, সায়েম হোসেন ও লিটন সরকার।

 গ্রেপ্তার হওয়া চক্রটি প্রশ্নপত্র ফাঁস করে ৫০ লাখ থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত তুলে নিত। এর মধ্য দিয়ে বিপুল সম্পদ গড়েছে তারা।

প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের খোঁজ যেভাবে
৫ জুলাই শুক্রবার রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীর নিয়োগ পরীক্ষায় নজরদারি বাড়ায় সিআইডি। চক্রটির অন্যতম সদস্য পিএসসির অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি জিজ্ঞাসাবাদে জানান, পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফরের মাধ্যমে ২ কোটি টাকার বিনিময়ে শুক্রবার ওই প্রশ্নপত্র ফাঁসের চুক্তি করেন তাঁরা। চুক্তি অনুযায়ী প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন। হোয়াটসঅ্যাপে তাঁরা প্রশ্ন দেন। গত ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস করেন তাঁরা। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা নেন। তাঁর এই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করে সিআইডি।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা বলেন, ১৭ জনের মধ্যে ৬ জনই পিএসসির কর্মকর্তা-কর্মচারী। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের আলামত, ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে।

পিএসএসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, পিএসসিকে বিতর্কিত করা হলে চাকরিপ্রার্থীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই সবার উচিত পিএসসিকে বিতর্কিত না করা। 

প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার পিএসসির
এদিকে পিএসসি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। গতকাল রাতে পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের নন-ক্যাডার ‘উপসহকারী প্রকৌশলী’ পদের নিয়োগ পরীক্ষাসহ গত ১২ বছরে বিসিএস এবং অন্যান্য নন-ক্যাডার পরীক্ষা সম্পর্কে কোনো মহল থেকেই কখনো কোনো অভিযোগ ওঠেনি। এতেই প্রমাণিত, ওই সব পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। কাজেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে নতুন করে অভিযোগ তোলার কোনো সুযোগ নেই।

পিএসসির পরীক্ষা গ্রহণের পদ্ধতির বর্ণনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যথাসময়ে অভিযোগ না হওয়া সত্ত্বেও ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস বা প্রতারণা কিংবা অন্য কোনো অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত প্রমাণ হলে কমিশন জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।

আলোচনায় গাড়িচালক আবেদ আলী
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের একজন আবেদ আলী জীবন একসময় পিএসসির চেয়ারম্যানের গাড়িচালক ছিলেন। পিএসসির চাকরি থেকে অবসরের পর তিনি এলাকায় গিয়ে উপজেলা নির্বাচন করেন। তাঁর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ঢাকায় দুটি বহুতল ভবন এবং মাদারীপুরে একটি বিলাসবহুল বাড়ির সন্ধান রয়েছে। এ ছাড়া গত ১৮ মে আবেদ আলী তাঁর ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আমাদের নতুন হোটেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম আজ। হোটেল সান মেরিনা, কুয়াকাটা।’ 

গত উপজেলা নির্বাচনে মাদারীপুরের ডাসার এলাকায় কোটি টাকার গাড়িতে চড়ে জনসংযোগ করেন সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও তাঁর ছেলে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা-বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম। বাবা-ছেলে এলাকায় দান করেন দুই হাত ভরে। এলাকাবাসী জানান, আবেদ আলীর ছেলে সিয়াম শুধু একটি নয়, একাধিক দামি গাড়ি ব্যবহার করেন। সবই দামি, ঝকঝকে। পড়েছেন ভারতের শিলংয়ে। তারপর দেশের একটি ব্যয়বহুল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৈয়দ আবেদ আলী তাঁর গ্রামের বাড়িতে বিলাসবহুল ভবন নির্মাণ করেছেন। বাড়ির পাশে করেছেন মসজিদ। এ ছাড়া তিনি রাস্তার পাশে সরকারি জায়গা দখল করে নির্মাণ করছেন গরুর খামার ও শপিং সেন্টার। ডাসার উপজেলার পান্তাপাড়া ও পূর্ব বোতলা গ্রামে কিনেছেন বিপুল সম্পদ।

সামান্য একজন গাড়িচালক থেকে হঠাৎ করে এমন বিত্তবৈভবের মালিক হওয়ায় তাঁর সম্পর্কে জানার কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

আবেদ আলীর গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পশ্চিম বোতলা গ্রামে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ঢাকায় এসে জীবনযুদ্ধে নেমে পড়েন আবেদ আলী। প্রথমে কুলির কাজ দিয়ে শুরু হয় তাঁর কর্মজীবন। এরপর রিকশা চালানো, হোটেলে কাজ, চাল বিক্রি করাসহ যখন যে কাজ পেয়েছেন, তা-ই করেছেন। এরপর ড্রাইভিং শিখে চাকরি নেন পিএসসিতে। এরপরই তাঁর ভাগ্য খুলতে থাকে। বর্তমানে তিনি বহু টাকা ও সম্পত্তির মালিক। ডাসার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার স্বপ্নও দেখছেন। নিজ গ্রামে গড়ে তুলেছেন তিনতলাবিশিষ্ট দালানঘর, একটি পাকা মসজিদ ও বাগান। কিনেছেন বহু ফসলি জমি। 

আবেদ আলীর সঙ্গে সিয়ামসিয়ামকে ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি
সিয়াম ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা-বিষয়ক সম্পাদক। তবে তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পরপরই তাঁকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংগঠনের নীতি ও নৈতিকতাপরিপন্থী কার্যকলাপের সঙ্গে লিপ্ত থাকায় সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামকে এই শাখার ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনী ব্যয় বেশি হলে ভোটে জিতে জনগণের কাছ থেকে আদায় করা হয়: দেবপ্রিয়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৪
নির্বাচনী ব্যয় বেশি হলে ভোটে জিতে জনগণের কাছ থেকে আদায় করা হয়: দেবপ্রিয়
টানা তৃতীয়বার জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্টের (সিডিপি) সদস্য হয়েছেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ফাইল ছবি

নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-পরবর্তী দুর্নীতি কমানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, নির্বাচনী ব্যয় কমানো না গেলে নির্বাচন-উত্তর দুর্নীতি কমানো যাবে না। কারণ এই ব্যয় পরে জনগণের কাছ থেকে আদায়ের চেষ্টা করা হয়।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আজ বুধবার আয়োজিত ‘নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার: অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এ বৈঠকের আয়োজন করে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যয় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন কমিশন উভয়ের যে দায়িত্ব আছে, দুই ক্ষেত্রেই তা অবহেলা করা হচ্ছে। যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের কোনো প্রক্রিয়া হলো না এবং এটা আমরা পারলাম না, সে কারণে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব বেড়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন তার সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারবে কি না–এটা এখন দেখার বিষয়।’

তিনি বলেন, নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রিফর্ম ট্র্যাকার নামে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে; যেখানে নির্বাচন, দুর্নীতি দমন, মিডিয়া এবং শ্রমসহ মোট ১৮টি ডোমেইনের সংস্কার কাজ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নির্বাচন সংক্রান্ত প্রায় ৫০টি ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ৩১টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে মাত্র দুটি বাস্তবায়নের পর্যায়ে আছে। একটি হলো জেন্ডার গ্যাপ কমানো এবং অন্যটি নির্বাচনের প্রাক্কালে যারা ১৮ বছরে উপনীত হবেন, তারা যাতে ভোটার তালিকায় যুক্ত থাকতে পারেন, সেটার ব্যবস্থা করা।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে নির্বাচনই এখন চলমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের প্রধান স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষের মনে প্রশ্ন রয়েছে–নির্বাচন আদৌ হবে কি না বা হলেও এর গুণমান কেমন হবে। কয়টা বুথ দখল হলে বা কত শতাংশ ভোট পড়লে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে–এমন প্রশ্ন সবার। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সূচক কী হবে এবং ‘অংশগ্রহণমূলক’ ও ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ শব্দ দুটির প্রকৃত অর্থ কী, তা স্পষ্ট করা প্রয়োজন। এ শব্দগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা না থাকলে নির্বাচনের গুণমান নিয়ে পরবর্তী সময়ে বড় বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য সরকারের এগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত।

বৈঠকে সুজনের সম্পাদক ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিচারপতি এম এ মতিন, ইসির সাবেক অতিরিক্তি সচিব জেসমিন টুলি প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পোস্টাল ভোট

ব্যালট পেলেন পৌনে ২ লাখ প্রবাসী, সর্বোচ্চ নিবন্ধন সৌদি আরব থেকে

বাসস, ঢাকা  
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দিতে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৭২ হাজার ১২ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরা নিবন্ধন করছেন।

ইতিমধ্যে প্রবাসীদের কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত পাঁচ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯০০ জন প্রবাসী ভোটারের কাছে ব্যালট পাঠানো হয়েছে জানিয়েছেন ‘আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই)’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান।

আজ বুধবার সকাল ১১টায় ইসির ওয়েবসাইটে দেখা যায়, নিবন্ধনকারীদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ২১ হাজার ৮০০ জন এবং নারী ভোটার ৫০ হাজার ২১০ জন।

পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপ নিবন্ধনকারী প্রবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সৌদি আরবের। দেশটি থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৬ জন নিবন্ধন করেছেন। এছাড়া কাতারে ৫৬ হাজার ১৪৪ জন, ওমানে ৪১ হাজার ৭৩৭ জন, মালয়েশিয়ায় ৩৯ হাজার ১০৫ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩০ হাজার ১০০ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ হাজার ৮৪৯ জন, কুয়েতে ২২ হাজার ১২৩ জন, যুক্তরাজ্যে ২০ হাজার ২০৯ জন ও সিঙ্গাপুরে ১৭ হাজার ৩৪৬ জন নিবন্ধন করেছেন।

গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রবাসীদের কাছে ব্যালট পাঠানো শুরু হয়েছে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার কাতারে ২১ হাজার, ওমানে ৩ হাজার ৬০০, সৌদি আরবে ১০ হাজার ৫০০, কুয়েতে ১ হাজার, ইতালিতে ৫ হাজার, পর্তুগালে ১ হাজার ৫০০, ফ্রান্সে ১ হাজার এবং জার্মানিতে ১ হাজার ব্যালট পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া, গত সোমবার অস্ট্রেলিয়ায় ৬ হাজার ৭৭৯, মালয়েশিয়ায় ১৬ হাজার ৫৬৮, ওমানে ১৮ হাজার এবং কাতারে ১১ হাজার ব্যালট পাঠানো হয়। এরপর গত শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ায় ৮৯২, যুক্তরাজ্যে ৫৭৩ এবং মালয়েশিয়ায় ৬ হাজার ২৪৬ ব্যালট পাঠানো হয়।

গত শনিবার সন্ধ্যায় মোট সাতটি দেশে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৪৮০, চীনে ৬৮১, কুয়েতে ১ হাজার ৩১০, কাতারে ২ হাজার ৭৩৭, সৌদি আরবে ৭ হাজার ৩৪৩, জাপানে ৫ হাজার ৬০০ এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ৭ হাজার ৬৮১টি ব্যালট পাঠানো হয়।

এছাড়া, গত রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১ হাজার ১১৬, যুক্তরাষ্ট্রে ৮ হাজার ৭১৮, কানাডায় ৯ হাজার ৪৪৩, ইতালিতে ৫ হাজার ৬৮৬, জার্মানিতে ২ হাজার ১২৬ এবং ফ্রান্সে ৩ হাজার ৩২১টি ব্যালট পাঠানো হয়।

আগামী ২১ জানুয়ারি প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবে ইসি। প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটাররা অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে প্রার্থীর তালিকা দেখতে পাবেন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যালট পেপারে প্রতীকের পাশে ফাঁকা ঘরে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে পারবেন।

সালীম আহমাদ খান জানান, প্রবাসীদের কেউ যদি (আগে থেকে প্রার্থীর বিষয় নিশ্চিত হয়ে) প্রতীক বরাদ্দের আগে ভোট দেন সেক্ষেত্রে তাঁর ভোট বাতিল হবে না। তবে নিয়ম অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন প্রবাসীরা।

তিনি আরও জানান, প্রবাসীদের নিবন্ধনের শেষ সময় ২৫ ডিসেম্বর। এর পর আর সময় বাড়ানো হবে না।

ইসির তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসী ভোটাররা যে দেশ থেকে ভোট দেবেন, অবশ্যই সে দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে। নিবন্ধনের জন্য গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড ও ইনস্টল করতে হবে।

অন্যদিকে, দেশে অবস্থানরত ভোটারদের মধ্যে ‘ইন কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫০ জন।

জেলাভিত্তিক নিবন্ধনে শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, ৬৪ হাজার ১৩২ জন। ঢাকায় ৫৫ হাজার ৬৪০ জন, চট্টগ্রামে ৫৪ হাজার ৭৬৯ জন, নোয়াখালীতে ৩৬ হাজার ৫৯০ জন, সিলেটে ২৬ হাজার ৭৪৯ জন ও চাঁদপুরে ২৫ হাজার ৩১৮ জন নিবন্ধন করেছেন।

আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে ৯ হাজার ৬১১ জন নিবন্ধন করেছেন, যা সর্বোচ্চ। এছাড়া, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ৮ হাজার ৯৩০ জন, কুমিল্লা-১০ আসনে ৮ হাজার ৪৩৮ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ৮ হাজার ৩৮৪ জন ভোটার পোস্টাল ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন।

নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা ১৮ থেকে ২৫ ডিসেম্বর, আইনি হেফাজতে থাকা ভোটাররা ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর এবং নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবীরা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন। এই সময়ের মধ্যে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।

ইসি জানায়, পোস্টাল ব্যালট পেতে হলে নিবন্ধনের সময় ভোটারের অবস্থানকালীন দেশের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দিতে হবে। প্রয়োজনে কর্মস্থল বা পরিচিতজনের ঠিকানাও ব্যবহার করা যাবে। তবে ভুল ঠিকানা দিলে ব্যালট পাঠানো সম্ভব হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৭
আতাউর রহমান বিক্রমপুরী। ছবি: ফেসবুক
আতাউর রহমান বিক্রমপুরী। ছবি: ফেসবুক

আলোচিত ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তিন মাসের আটকাদেশ দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে আজ বুধবার সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লা আল মামুন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এ রাখা হয়েছে।

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী, আসাদুল্লাহ বা আতাউর নামেও পরিচিত। তাঁর বাবার নাম হুমায়ুন সর্দার, মা রোকেয়া বেগম।

আতাউর রহমান বিক্রমপুরীর বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী উপজেলার আমতলী গ্রামে। তিনি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় ইস্তা গ্রামে অবস্থিত মারকাজুল হুনাফা আল মুসলিমিন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল (অধ্যক্ষ)। এ ছাড়া হুনাফা ইসলামীক স্কুলেরও প্রিন্সিপাল।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২৪ মার্চ ঝিকরগাছা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা এফআইআর (নং- ১৮ / ৭৭)-এর এজাহারভুক্ত আসামি তিনি।

মাওলানা আতাউর রহমান বিক্রমপুরী বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ সক্রিয়। রাজধানীতেও বিভিন্ন আন্দোলন বিক্ষোভের সময় তাঁকে সামনের সারিতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, আতাউর রহমান, আযাদী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির, বৈষম্যহীন কারামুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট সেক্রেটারি এবং শানে সাহাবা জাতীয় খতীব ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানেরও পদে রয়েছেন।

গত অক্টোবরে গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলায় হিন্দু যুবক কর্তৃক মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। একই মাসে গাজীপুরের একটি মসজিদের ইমাম মুফতি মুহিবুল্লাহ মিয়াজীর কথিত ‘অপহরণ’ ঘটনা সারা দেশে বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। দুটি ঘটনা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় তৎপর ছিলেন আতাউর রহমান। এ দুটি বিষয় নিয়ে সশরীরে থানা-পুলিশ করেন তিনি। যদিও মুহিবুল্লাহ মিয়াজীর ঘটনাটি পরে ‘অপহরণ’ নয় বলে জানায় পুলিশ।

সর্ব সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর পর প্রতিবাদে ঢাকার শাহবাগে আয়োজিত বিক্ষোভের একটি অংশে আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়। যদিও অন্য বিক্ষোভকারীরা তাঁদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখায় তিনি মাঝপথে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করে চলে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচন ও গণভোটের প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়ক হলেন আলী রীয়াজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ০৯
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট-সংক্রান্ত জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ছিলেন আলী রীয়াজ। পরে তাঁকে উপদেষ্টা পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত