নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে সহিংসতায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। হতাহতদের অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ। অনেকে নিজের বাসায় বা ছাদে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। হতাহতদের অনেকেরই গুলি লেগেছে চোখে, মাথায়, ঘাড়ে ও পেটে। অনেকে গুলির কারণে পঙ্গু হয়ে গেছেন, অনেকে চিরতরে হারিয়েছেন চোখের আলো।
এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘প্রাণঘাতী অস্ত্র’ ব্যবহার নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচনা হচ্ছে। এতে দেশের আইন ও সংবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা।
কখন, কীভাবে গুলি করতে হবে এ বিষয়ে আইনে স্পষ্ট বলা আছে।
পুলিশ প্রবিধানমালার ১৫৩ ধারায় আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে বলা আছে:
(ক) শুধু নিম্নোক্ত উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে—
(১) ব্যক্তিগত আত্মরক্ষা বা সম্পত্তি রক্ষার অধিকার প্রয়োগ করার জন্য (দণ্ডবিধির ৯৬–১০৬ ধারার বিধান অনুযায়ী)
(২) বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য (ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭-১২৮ ধারা অনুযায়ী)
(৩) কোনো কোনো পরিস্থিতিতে গ্রেপ্তার কার্যকর করার জন্য (ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৬ ধারা অনুযায়ী)।
(খ) ব্যক্তিগত আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার:
এটি খুবই প্রয়োজন যেসব পদ মর্যাদার কর্মকর্তা ব্যক্তিগত আত্মরক্ষা ও সম্পত্তি রক্ষার অধিকার সম্পূর্ণভাবে উপলব্ধি করবেন। নিজেদের এবং সরকারি সম্পত্তি, যেমন অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ, মোটরযান, যানবাহন প্রভৃতি আক্রমণের হাত থেকে তাঁরা আইনানুগভাবে রক্ষা করার অধিকারী। এ ধরনের হামলা মোকাবিলার জন্য শক্তি প্রয়োগ করা যেতে পারে। ব্যক্তিগত আত্মরক্ষার জন্য যতটুকু শক্তি প্রয়োজন তার বেশি প্রয়োগ করা যাবে না।
কেবল ব্যক্তিগত আত্মরক্ষায় জরুরি প্রয়োগের প্রয়োজনের যথার্থতা ছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে গুলি চালানো নিষিদ্ধ। ব্যক্তিগত আত্মরক্ষার মতো জরুরি পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল কিনা তা প্রমাণের দায়িত্ব গুলি বর্ষণকারীর অথবা গুলি বর্ষণের নির্দেশ প্রদানকারী কর্মকর্তার ওপর বর্তায়।
(গ) বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার:
(১) জনতার ওপর গুলি বর্ষণের আদেশ একটি চরম ব্যবস্থা হিসেবে গণ্য করতে হবে এবং এ পদক্ষেপ গৃহীত হবে সব ব্যবস্থা শেষে যখন জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য তা একান্তভাবে অপরিহার্য হয়ে পড়ে বা যখন একজন ম্যাজিস্ট্রেট, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা এ ধরনের কর্মকর্তার উচ্চ পদ মর্যাদার কর্মকর্তা বিবেচনা করেন যে, অন্য কোনোভাবে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা সম্ভব নয়। কেবল তখনই ছত্রভঙ্গ করার জন্য গুলি বর্ষণের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে।
(২) জনতার ওপর গুলি বর্ষণের আদেশ দেওয়ার আগে ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা কোনো ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত না থাকলে পুলিশ দলের অধিনায়ক পুলিশ কর্মকর্তা দাঙ্গাকারীদের পূর্ণাঙ্গ এবং অনেকবার সতর্ক বাণী প্রদান করবেন যে, তাঁরা যদি অবিলম্বে ছত্রভঙ্গ না হন, তবে তাঁদের ওপর গুলি বর্ষণ করা হবে।
(৩) দাঙ্গা দমনে অথবা দাঙ্গাকারী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার কাজে নিয়োজিত সব পদ মর্যাদার পুলিশ সদস্য গুলি বর্ষণের আগে একজন ম্যাজিস্ট্রেট, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা তাঁর থেকে ঊর্ধ্বতন পদ মর্যাদার কোনো পুলিশ কর্মকর্তার আদেশের জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করবেন।
পুলিশ প্রবিধানের ১৫৪ ধারায় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার সম্পর্কে সাধারণ নিয়মাবলি সম্পর্কে বলা হয়েছে:
(ক) একজন পুলিশ কর্মকর্তা গুলি বর্ষণের আগে বা গুলির আদেশ দেওয়ার আগে যেভাবেই সম্ভব তাঁর উদ্দেশ্য সম্পর্কে সতর্কবাণী দেবেন।
(খ) গুলি সব সময়ে নিয়ন্ত্রিত হবে ও নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুর প্রতি পরিচালিত হতে হবে।
(গ) একেবারে অপরিহার্য ক্ষেত্র ছাড়া কোনো বড় রকমের ক্ষতি সাধন করা যাবে না।
(ঘ) উদ্দেশ্য সাধিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গুলি বর্ষণ বন্ধ করতে হবে।
পুলিশ প্রবিধানের ১৫৫ ধারায় গুলি বর্ষণের নির্দেশ ও গুলি বর্ষণের নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে বলা হয়েছে:
(ক) প্রবিধান ১৫১ (৩)–এর অধীনে অধিনায়ক পুলিশ কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে অথবা ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত না থাকলে নিজে যখন প্রয়োজন মনে করেন তখন শক্তি প্রয়োগ বা গুলি বর্ষণের নির্দেশ দেবেন।
(খ) তিনি এমনভাবে গুলি বর্ষণ করবেন যেন ন্যূনতম ক্ষতি সাধন করে তাৎক্ষণিক ফল অর্জন করা যায়। অবৈধ জনতা ছাড়া মাথার ওপর দিয়ে অথবা অন্য কোনো লক্ষ্যাভিমুখে গুলি বর্ষণের ওপর কঠোর বাধা নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কেননা এতে দূরবর্তী নিরপরাধ লোক জখম হওয়ার ঘটনা এবং দৃশ্যমান কোনো কার্যকর ক্ষতি না দেখে বেআইনি জনতার উৎসাহ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়ার আগে তিনি দূরত্ব, লক্ষ্যবস্তু ও গুলির সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেবেন।
(গ) পরিস্থিতি অনুযায়ী যা প্রয়োজন তা অপেক্ষা অতিরিক্ত গুলি যাতে বর্ষণ করা না হয় তার জন্য তিনি দায়ী থাকবেন। তিনি সাধারণত, গুলি চালানোর জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি বিশেষকে অথবা নির্ধারিত দলকে নির্দেশ দেবেন। যদি উচ্ছৃঙ্খল জনতার মনোভাব কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা অথবা অন্যদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার্থে অনিবার্য করে তোলে, তাহলে অর্ধেকের বেশি সদস্য যাতে একসঙ্গে গুলি বর্ষণ না করে সে জন্য তিনি নির্দেশ দেবেন।
(ঘ) দাঙ্গাকারী জনতা সরে যাওয়ার বা ছত্রভঙ্গ হওয়ার সামান্যতম লক্ষণ দেখামাত্র তিনি গুলি বর্ষণ বন্ধের নির্দেশ দেবেন। কোনো ম্যাজিস্ট্রেট যদি উপস্থিত থাকেন তবে পুলিশকে আদেশ দেওয়ার এমন ক্ষমতা তাঁর আছে।
পুলিশ প্রবিধানের ১৫৬ ধারায় বলা আছে, পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পর যে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে:
(ক) অধিনায়ক পুলিশ কর্মকর্তা যত শিগগির সম্ভব মৃত দেহগুলো (যদি থাকে) শবাগারে এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠাবেন।
(খ) তিনি গুলির খোসাগুলো সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করবেন ও ইস্যুকৃত রাউন্ডের সংখ্যার সঙ্গে মিলিয়ে দেখবেন।
(গ) যদি ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকেন তবে তিনি এবং অধিনায়ক পুলিশ কর্মকর্তা—
(১) ঘটনা সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত অথচ নিখুঁত প্রতিবেদন এবং এরপর
(২) ব্যবহৃত ও ইস্যুকৃত গুলির সংখ্যাসহ ঘটনার সব প্রাসঙ্গিক বিষয়ের একটি নিখুঁত ও বিস্তারিত বিবরণ প্রস্তুত করবেন।
(ঘ) সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনের অনুলিপি জরুরি টেলিগ্রাম যোগে ও বিস্তারিত বিবরণ টেলিগ্রাম ছাড়া অন্য কোনো দ্রুত মাধ্যমে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাঠাতে হবে—
(১) যদি একজন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকেন তিনি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে, পুলিশ সুপারকে, কমিশনারকে এবং মুখ্য সচিবকে অনুরূপ প্রতিবেদন পাঠাবেন এবং
(২) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এবং ইন্সপেক্টর জেনারেলকে অধিনায়ক পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৯৬–১০৬ ধারায় আত্মরক্ষার অধিকার সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ৯৯ ধারায় বলা হয়েছে, আঘাত যতটুকু, প্রতিকারও ঠিক ততটুকু করতে পারবে। প্রতিঘাত আঘাতের বেশি হতে পারবে না।
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনো বেআইনি সমাবেশ বা সর্ব সাধারণের শান্তি বিনষ্ট হওয়ার কারণ ঘটাতে পারে এরূপ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হতে আদেশ দিতে পারেন। ১২৮ ধারায় বলা হয়েছে, আদেশ পাওয়ার পরও কোনো সমাবেশ যদি ছত্রভঙ্গ না হয় তাহলে কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলপ্রয়োগ করে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য অগ্রসর হতে পারবেন। একই সঙ্গে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে সশস্ত্রবাহিনীর সাহায্য দাবি করতে পারেন এবং সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারবেন।
বাংলাদেশের সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইনের আশ্রয়লাভ এবং আইনানুযায়ী ও কেবল আইনানুযায়ী ব্যবহার লাভ যেকোনো স্থানে অবস্থানরত প্রত্যেক নাগরিকের এবং সাময়িকভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত অপরাপর ব্যক্তির অবিচ্ছেদ্য অধিকার। আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না, যাতে কোনো ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে।
সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইনানুযায়ী ব্যতীত জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতা থেকে কোনো ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাবে না। আর ৩৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধা–নিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হওয়ার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে।

সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে সহিংসতায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। হতাহতদের অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ। অনেকে নিজের বাসায় বা ছাদে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। হতাহতদের অনেকেরই গুলি লেগেছে চোখে, মাথায়, ঘাড়ে ও পেটে। অনেকে গুলির কারণে পঙ্গু হয়ে গেছেন, অনেকে চিরতরে হারিয়েছেন চোখের আলো।
এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘প্রাণঘাতী অস্ত্র’ ব্যবহার নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচনা হচ্ছে। এতে দেশের আইন ও সংবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা।
কখন, কীভাবে গুলি করতে হবে এ বিষয়ে আইনে স্পষ্ট বলা আছে।
পুলিশ প্রবিধানমালার ১৫৩ ধারায় আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে বলা আছে:
(ক) শুধু নিম্নোক্ত উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে—
(১) ব্যক্তিগত আত্মরক্ষা বা সম্পত্তি রক্ষার অধিকার প্রয়োগ করার জন্য (দণ্ডবিধির ৯৬–১০৬ ধারার বিধান অনুযায়ী)
(২) বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য (ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭-১২৮ ধারা অনুযায়ী)
(৩) কোনো কোনো পরিস্থিতিতে গ্রেপ্তার কার্যকর করার জন্য (ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৬ ধারা অনুযায়ী)।
(খ) ব্যক্তিগত আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার:
এটি খুবই প্রয়োজন যেসব পদ মর্যাদার কর্মকর্তা ব্যক্তিগত আত্মরক্ষা ও সম্পত্তি রক্ষার অধিকার সম্পূর্ণভাবে উপলব্ধি করবেন। নিজেদের এবং সরকারি সম্পত্তি, যেমন অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ, মোটরযান, যানবাহন প্রভৃতি আক্রমণের হাত থেকে তাঁরা আইনানুগভাবে রক্ষা করার অধিকারী। এ ধরনের হামলা মোকাবিলার জন্য শক্তি প্রয়োগ করা যেতে পারে। ব্যক্তিগত আত্মরক্ষার জন্য যতটুকু শক্তি প্রয়োজন তার বেশি প্রয়োগ করা যাবে না।
কেবল ব্যক্তিগত আত্মরক্ষায় জরুরি প্রয়োগের প্রয়োজনের যথার্থতা ছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে গুলি চালানো নিষিদ্ধ। ব্যক্তিগত আত্মরক্ষার মতো জরুরি পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল কিনা তা প্রমাণের দায়িত্ব গুলি বর্ষণকারীর অথবা গুলি বর্ষণের নির্দেশ প্রদানকারী কর্মকর্তার ওপর বর্তায়।
(গ) বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার:
(১) জনতার ওপর গুলি বর্ষণের আদেশ একটি চরম ব্যবস্থা হিসেবে গণ্য করতে হবে এবং এ পদক্ষেপ গৃহীত হবে সব ব্যবস্থা শেষে যখন জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য তা একান্তভাবে অপরিহার্য হয়ে পড়ে বা যখন একজন ম্যাজিস্ট্রেট, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা এ ধরনের কর্মকর্তার উচ্চ পদ মর্যাদার কর্মকর্তা বিবেচনা করেন যে, অন্য কোনোভাবে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা সম্ভব নয়। কেবল তখনই ছত্রভঙ্গ করার জন্য গুলি বর্ষণের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে।
(২) জনতার ওপর গুলি বর্ষণের আদেশ দেওয়ার আগে ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা কোনো ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত না থাকলে পুলিশ দলের অধিনায়ক পুলিশ কর্মকর্তা দাঙ্গাকারীদের পূর্ণাঙ্গ এবং অনেকবার সতর্ক বাণী প্রদান করবেন যে, তাঁরা যদি অবিলম্বে ছত্রভঙ্গ না হন, তবে তাঁদের ওপর গুলি বর্ষণ করা হবে।
(৩) দাঙ্গা দমনে অথবা দাঙ্গাকারী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার কাজে নিয়োজিত সব পদ মর্যাদার পুলিশ সদস্য গুলি বর্ষণের আগে একজন ম্যাজিস্ট্রেট, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা তাঁর থেকে ঊর্ধ্বতন পদ মর্যাদার কোনো পুলিশ কর্মকর্তার আদেশের জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করবেন।
পুলিশ প্রবিধানের ১৫৪ ধারায় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার সম্পর্কে সাধারণ নিয়মাবলি সম্পর্কে বলা হয়েছে:
(ক) একজন পুলিশ কর্মকর্তা গুলি বর্ষণের আগে বা গুলির আদেশ দেওয়ার আগে যেভাবেই সম্ভব তাঁর উদ্দেশ্য সম্পর্কে সতর্কবাণী দেবেন।
(খ) গুলি সব সময়ে নিয়ন্ত্রিত হবে ও নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুর প্রতি পরিচালিত হতে হবে।
(গ) একেবারে অপরিহার্য ক্ষেত্র ছাড়া কোনো বড় রকমের ক্ষতি সাধন করা যাবে না।
(ঘ) উদ্দেশ্য সাধিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গুলি বর্ষণ বন্ধ করতে হবে।
পুলিশ প্রবিধানের ১৫৫ ধারায় গুলি বর্ষণের নির্দেশ ও গুলি বর্ষণের নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে বলা হয়েছে:
(ক) প্রবিধান ১৫১ (৩)–এর অধীনে অধিনায়ক পুলিশ কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে অথবা ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত না থাকলে নিজে যখন প্রয়োজন মনে করেন তখন শক্তি প্রয়োগ বা গুলি বর্ষণের নির্দেশ দেবেন।
(খ) তিনি এমনভাবে গুলি বর্ষণ করবেন যেন ন্যূনতম ক্ষতি সাধন করে তাৎক্ষণিক ফল অর্জন করা যায়। অবৈধ জনতা ছাড়া মাথার ওপর দিয়ে অথবা অন্য কোনো লক্ষ্যাভিমুখে গুলি বর্ষণের ওপর কঠোর বাধা নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কেননা এতে দূরবর্তী নিরপরাধ লোক জখম হওয়ার ঘটনা এবং দৃশ্যমান কোনো কার্যকর ক্ষতি না দেখে বেআইনি জনতার উৎসাহ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়ার আগে তিনি দূরত্ব, লক্ষ্যবস্তু ও গুলির সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেবেন।
(গ) পরিস্থিতি অনুযায়ী যা প্রয়োজন তা অপেক্ষা অতিরিক্ত গুলি যাতে বর্ষণ করা না হয় তার জন্য তিনি দায়ী থাকবেন। তিনি সাধারণত, গুলি চালানোর জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি বিশেষকে অথবা নির্ধারিত দলকে নির্দেশ দেবেন। যদি উচ্ছৃঙ্খল জনতার মনোভাব কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা অথবা অন্যদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার্থে অনিবার্য করে তোলে, তাহলে অর্ধেকের বেশি সদস্য যাতে একসঙ্গে গুলি বর্ষণ না করে সে জন্য তিনি নির্দেশ দেবেন।
(ঘ) দাঙ্গাকারী জনতা সরে যাওয়ার বা ছত্রভঙ্গ হওয়ার সামান্যতম লক্ষণ দেখামাত্র তিনি গুলি বর্ষণ বন্ধের নির্দেশ দেবেন। কোনো ম্যাজিস্ট্রেট যদি উপস্থিত থাকেন তবে পুলিশকে আদেশ দেওয়ার এমন ক্ষমতা তাঁর আছে।
পুলিশ প্রবিধানের ১৫৬ ধারায় বলা আছে, পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পর যে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে:
(ক) অধিনায়ক পুলিশ কর্মকর্তা যত শিগগির সম্ভব মৃত দেহগুলো (যদি থাকে) শবাগারে এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠাবেন।
(খ) তিনি গুলির খোসাগুলো সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করবেন ও ইস্যুকৃত রাউন্ডের সংখ্যার সঙ্গে মিলিয়ে দেখবেন।
(গ) যদি ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকেন তবে তিনি এবং অধিনায়ক পুলিশ কর্মকর্তা—
(১) ঘটনা সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত অথচ নিখুঁত প্রতিবেদন এবং এরপর
(২) ব্যবহৃত ও ইস্যুকৃত গুলির সংখ্যাসহ ঘটনার সব প্রাসঙ্গিক বিষয়ের একটি নিখুঁত ও বিস্তারিত বিবরণ প্রস্তুত করবেন।
(ঘ) সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনের অনুলিপি জরুরি টেলিগ্রাম যোগে ও বিস্তারিত বিবরণ টেলিগ্রাম ছাড়া অন্য কোনো দ্রুত মাধ্যমে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাঠাতে হবে—
(১) যদি একজন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকেন তিনি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে, পুলিশ সুপারকে, কমিশনারকে এবং মুখ্য সচিবকে অনুরূপ প্রতিবেদন পাঠাবেন এবং
(২) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এবং ইন্সপেক্টর জেনারেলকে অধিনায়ক পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৯৬–১০৬ ধারায় আত্মরক্ষার অধিকার সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ৯৯ ধারায় বলা হয়েছে, আঘাত যতটুকু, প্রতিকারও ঠিক ততটুকু করতে পারবে। প্রতিঘাত আঘাতের বেশি হতে পারবে না।
১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনো বেআইনি সমাবেশ বা সর্ব সাধারণের শান্তি বিনষ্ট হওয়ার কারণ ঘটাতে পারে এরূপ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হতে আদেশ দিতে পারেন। ১২৮ ধারায় বলা হয়েছে, আদেশ পাওয়ার পরও কোনো সমাবেশ যদি ছত্রভঙ্গ না হয় তাহলে কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলপ্রয়োগ করে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য অগ্রসর হতে পারবেন। একই সঙ্গে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে সশস্ত্রবাহিনীর সাহায্য দাবি করতে পারেন এবং সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারবেন।
বাংলাদেশের সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইনের আশ্রয়লাভ এবং আইনানুযায়ী ও কেবল আইনানুযায়ী ব্যবহার লাভ যেকোনো স্থানে অবস্থানরত প্রত্যেক নাগরিকের এবং সাময়িকভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত অপরাপর ব্যক্তির অবিচ্ছেদ্য অধিকার। আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না, যাতে কোনো ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে।
সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইনানুযায়ী ব্যতীত জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতা থেকে কোনো ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাবে না। আর ৩৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধা–নিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হওয়ার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে সহিংসতায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। হতাহতদের অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ। অনেকে নিজের বাসায় বা ছাদে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। হতাহতদের অনেকেরই গুলি লেগেছে চোখে, মাথায়, ঘাড়ে ও পেটে। অনেকে গুলির কারণে পঙ্গু হয়ে গেছেন, অনেকে চিরতরে হারিয়েছেন চোখের আলো।
৩০ জুলাই ২০২৪
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।
সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।
সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে সহিংসতায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। হতাহতদের অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ। অনেকে নিজের বাসায় বা ছাদে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। হতাহতদের অনেকেরই গুলি লেগেছে চোখে, মাথায়, ঘাড়ে ও পেটে। অনেকে গুলির কারণে পঙ্গু হয়ে গেছেন, অনেকে চিরতরে হারিয়েছেন চোখের আলো।
৩০ জুলাই ২০২৪
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে সহিংসতায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। হতাহতদের অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ। অনেকে নিজের বাসায় বা ছাদে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। হতাহতদের অনেকেরই গুলি লেগেছে চোখে, মাথায়, ঘাড়ে ও পেটে। অনেকে গুলির কারণে পঙ্গু হয়ে গেছেন, অনেকে চিরতরে হারিয়েছেন চোখের আলো।
৩০ জুলাই ২০২৪
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।
এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
Sardar Ayaz Sadiq, Speaker, National Assembly of Pakistan, will represent Pakistan tomorrow at the funeral of Late Begum Khaleda Zia in Dhaka, Bangladesh. https://t.co/BBV93jK5a7
— Ishaq Dar (@MIshaqDar50) December 30, 2025

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।
এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
Sardar Ayaz Sadiq, Speaker, National Assembly of Pakistan, will represent Pakistan tomorrow at the funeral of Late Begum Khaleda Zia in Dhaka, Bangladesh. https://t.co/BBV93jK5a7
— Ishaq Dar (@MIshaqDar50) December 30, 2025

সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে সহিংসতায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। হতাহতদের অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ। অনেকে নিজের বাসায় বা ছাদে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। হতাহতদের অনেকেরই গুলি লেগেছে চোখে, মাথায়, ঘাড়ে ও পেটে। অনেকে গুলির কারণে পঙ্গু হয়ে গেছেন, অনেকে চিরতরে হারিয়েছেন চোখের আলো।
৩০ জুলাই ২০২৪
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৬ ঘণ্টা আগে