মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

তিস্তা সেচ প্রকল্পের ৮০০ কোটি টাকার কাজ বাকি রেখে উধাও হয়েছেন ১৬ ঠিকাদার। তাঁরা কাজ না করে আগেভাগে বিল তুলে ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক। ফলে রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, জয়পুরহাট এবং বগুড়ায় সেচের সুবিধার্থে নেওয়া এ প্রকল্পের তিনটি সেক্টরের মধ্যে একটির কাজ বন্ধ রয়েছে। বাকি দুই সেক্টরের ঠিকাদারেরা কাজ করলেও সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকার আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া চার লেন সড়ক প্রকল্পের কাজ এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড জুলাই অভ্যুত্থানের পর ভারতে ফিরে যাওয়ায়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, শুধু এই দুই প্রকল্পই নয়, চারটি মন্ত্রণালয়ের প্রায় ৬০টি প্রকল্পের ঠিকাদারেরা বরাদ্দের টাকা তুলে নিয়ে কাজ না করে ৫ আগস্টের পর গা ঢাকা দিয়েছেন। এমন শতাধিক ঠিকাদার নিয়েছেন প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। এই চার মন্ত্রণালয় হলো স্থানীয় সরকার, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, সড়ক ও জনপথ এবং রেলপথ।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত সরকার (আওয়ামী লীগ সরকার) এমন ঠিকাদারদের প্রকল্প দিয়েছে, যাঁরা পেশাদার ঠিকাদার নন। দেখা যাবে, তাঁরা প্রকল্প নেওয়ার পর অর্থের বিনিময়ে হাতবদল করেছেন। তিনি বলেন, কাজ না করলেও ঠিকাদারদের প্রকল্প থেকে অর্থ দিয়ে যাঁরা অন্যায় করেছেন, তাঁদেরকেও শাস্তির আওতায় আনা উচিত।
সূত্র বলেছে, দেশে ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চলমান। প্রকল্পগুলোতে সরকারের ও বিদেশি অর্থায়ন রয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) বলছে, এ প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১০টি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের অগ্রগতির পাশাপাশি প্রকল্পের সার্বিক বিষয় নিয়ে তারা কাজ করছে। এর মধ্যে চারটি মন্ত্রণালয়ের প্রায় ৬০ প্রকল্পের ঠিকাদারেরা দেড় হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। ঠিকাদার না থাকায় এসব প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে একদিকে সরকারের অর্থের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ১০টি প্রকল্পের ঠিকাদারেরা ৩৩০ কোটি টাকা তুলে লাপাত্তা। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪টি প্রকল্পের ঠিকাদারেরা ৩২৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা নিলেও কাজ করছেন না। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৬৭১ কোটি ৫২ লাখ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ১৬১ কোটি ২১ লাখ টাকা নিয়ে কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদারেরা। এসব ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়ায় প্রকল্পগুলোর কাজও স্থবির রয়েছে। কাজ বন্ধ থাকা প্রকল্পগুলোর ঠিকাদারদের মধ্যে বিদেশি ঠিকাদারও রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ভারতীয়ই বেশি। আবার লাপাত্তা থাকা দেশি ঠিকাদারদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সমর্থক ও দলটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারের সংখ্যা বেশি।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম বলেন, অনেক প্রকল্পের ঠিকাদারদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও পরিদর্শন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের দুই শতাধিক প্রকল্প রয়েছে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে প্রথম দিকে ঠিকাদার পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে ৩-৬ মাস পর অনেকে ফিরেছেন। আবার কেউ কেউ অন্য ঠিকাদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছেন। যাঁদের একান্তই পাওয়া যায়নি, তাঁদের বাদ দিয়ে নতুন করে দরপত্র দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রকল্পগুলো বড়। এখানে অনেক ঠিকাদার রয়েছেন। তাঁদের কতজন পলাতক, সে তথ্য আমার কাছে নেই।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডির তথ্যমতে, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকল্পের কাজ পেয়েছে হাতে গোনা চার-পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। একইভাবে স্থানীয় সরকার, রেলপথ, আইসিটিসহ অধিকাংশ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগ পেয়েছেন নির্দিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁদের কেউ কেউ সরকারদলীয় রাজনীতিক হওয়ায় কার্যাদেশ পেয়ে টাকার বিনিময়ে কাজ বিক্রি করে দেন। আবার কিছু ঠিকাদার বেশি প্রকল্প বাগিয়ে নেওয়ায় সঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে পারেননি। পটপরিবর্তনের পর কাজ অসমাপ্ত রেখেই লাপাত্তা হয়েছেন তাঁরা।
আইএমইডির সচিব মো. কামাল উদ্দিন বলেন, নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি মন্ত্রণালয়ের বেশ কিছু প্রকল্পের ঠিকাদার কাজ ফেলে রেখে পালিয়েছেন। বাকিগুলোর তথ্য দ্রুত সংগ্রহ করা হচ্ছে। এগুলো পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হবে।
সূত্র বলেছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়া প্রকল্পগুলোর কাজ আবার শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, ঠিকাদার চলে যাওয়ায় বন্ধ প্রকল্পগুলোর জন্য আবার দরপত্র আহ্বান করতে হবে। কাজ বন্ধ থাকায় এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হবে না।
এদিকে প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করার লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার ৫৮টি মন্ত্রণালয়কে উধাও হওয়া ঠিকাদার ও প্রকল্প পরিচালকদের তথ্য জানাতে চিঠি দিয়েছে আইএমইডি। চিঠিতে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘প্রতিটি প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সে নির্দেশনা পালন করছি। এর অংশ হিসেবে আইএমইডিকে দ্রুত সারা দেশে কী পরিমাণ প্রকল্পে ঠিকাদার নেই, তা জানানোর জন্য বলা হয়েছে। পলাতক ঠিকাদার ও প্রকল্প পরিচালকদের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’
আরও খবর পড়ুন:

তিস্তা সেচ প্রকল্পের ৮০০ কোটি টাকার কাজ বাকি রেখে উধাও হয়েছেন ১৬ ঠিকাদার। তাঁরা কাজ না করে আগেভাগে বিল তুলে ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক। ফলে রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, জয়পুরহাট এবং বগুড়ায় সেচের সুবিধার্থে নেওয়া এ প্রকল্পের তিনটি সেক্টরের মধ্যে একটির কাজ বন্ধ রয়েছে। বাকি দুই সেক্টরের ঠিকাদারেরা কাজ করলেও সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকার আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া চার লেন সড়ক প্রকল্পের কাজ এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড জুলাই অভ্যুত্থানের পর ভারতে ফিরে যাওয়ায়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, শুধু এই দুই প্রকল্পই নয়, চারটি মন্ত্রণালয়ের প্রায় ৬০টি প্রকল্পের ঠিকাদারেরা বরাদ্দের টাকা তুলে নিয়ে কাজ না করে ৫ আগস্টের পর গা ঢাকা দিয়েছেন। এমন শতাধিক ঠিকাদার নিয়েছেন প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। এই চার মন্ত্রণালয় হলো স্থানীয় সরকার, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, সড়ক ও জনপথ এবং রেলপথ।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত সরকার (আওয়ামী লীগ সরকার) এমন ঠিকাদারদের প্রকল্প দিয়েছে, যাঁরা পেশাদার ঠিকাদার নন। দেখা যাবে, তাঁরা প্রকল্প নেওয়ার পর অর্থের বিনিময়ে হাতবদল করেছেন। তিনি বলেন, কাজ না করলেও ঠিকাদারদের প্রকল্প থেকে অর্থ দিয়ে যাঁরা অন্যায় করেছেন, তাঁদেরকেও শাস্তির আওতায় আনা উচিত।
সূত্র বলেছে, দেশে ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চলমান। প্রকল্পগুলোতে সরকারের ও বিদেশি অর্থায়ন রয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) বলছে, এ প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১০টি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের অগ্রগতির পাশাপাশি প্রকল্পের সার্বিক বিষয় নিয়ে তারা কাজ করছে। এর মধ্যে চারটি মন্ত্রণালয়ের প্রায় ৬০ প্রকল্পের ঠিকাদারেরা দেড় হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। ঠিকাদার না থাকায় এসব প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে একদিকে সরকারের অর্থের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ১০টি প্রকল্পের ঠিকাদারেরা ৩৩০ কোটি টাকা তুলে লাপাত্তা। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪টি প্রকল্পের ঠিকাদারেরা ৩২৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা নিলেও কাজ করছেন না। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৬৭১ কোটি ৫২ লাখ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ১৬১ কোটি ২১ লাখ টাকা নিয়ে কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদারেরা। এসব ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়ায় প্রকল্পগুলোর কাজও স্থবির রয়েছে। কাজ বন্ধ থাকা প্রকল্পগুলোর ঠিকাদারদের মধ্যে বিদেশি ঠিকাদারও রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ভারতীয়ই বেশি। আবার লাপাত্তা থাকা দেশি ঠিকাদারদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সমর্থক ও দলটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারের সংখ্যা বেশি।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম বলেন, অনেক প্রকল্পের ঠিকাদারদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও পরিদর্শন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের দুই শতাধিক প্রকল্প রয়েছে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে প্রথম দিকে ঠিকাদার পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে ৩-৬ মাস পর অনেকে ফিরেছেন। আবার কেউ কেউ অন্য ঠিকাদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছেন। যাঁদের একান্তই পাওয়া যায়নি, তাঁদের বাদ দিয়ে নতুন করে দরপত্র দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রকল্পগুলো বড়। এখানে অনেক ঠিকাদার রয়েছেন। তাঁদের কতজন পলাতক, সে তথ্য আমার কাছে নেই।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডির তথ্যমতে, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকল্পের কাজ পেয়েছে হাতে গোনা চার-পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। একইভাবে স্থানীয় সরকার, রেলপথ, আইসিটিসহ অধিকাংশ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগ পেয়েছেন নির্দিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁদের কেউ কেউ সরকারদলীয় রাজনীতিক হওয়ায় কার্যাদেশ পেয়ে টাকার বিনিময়ে কাজ বিক্রি করে দেন। আবার কিছু ঠিকাদার বেশি প্রকল্প বাগিয়ে নেওয়ায় সঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে পারেননি। পটপরিবর্তনের পর কাজ অসমাপ্ত রেখেই লাপাত্তা হয়েছেন তাঁরা।
আইএমইডির সচিব মো. কামাল উদ্দিন বলেন, নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি মন্ত্রণালয়ের বেশ কিছু প্রকল্পের ঠিকাদার কাজ ফেলে রেখে পালিয়েছেন। বাকিগুলোর তথ্য দ্রুত সংগ্রহ করা হচ্ছে। এগুলো পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হবে।
সূত্র বলেছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়া প্রকল্পগুলোর কাজ আবার শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, ঠিকাদার চলে যাওয়ায় বন্ধ প্রকল্পগুলোর জন্য আবার দরপত্র আহ্বান করতে হবে। কাজ বন্ধ থাকায় এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হবে না।
এদিকে প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করার লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার ৫৮টি মন্ত্রণালয়কে উধাও হওয়া ঠিকাদার ও প্রকল্প পরিচালকদের তথ্য জানাতে চিঠি দিয়েছে আইএমইডি। চিঠিতে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘প্রতিটি প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সে নির্দেশনা পালন করছি। এর অংশ হিসেবে আইএমইডিকে দ্রুত সারা দেশে কী পরিমাণ প্রকল্পে ঠিকাদার নেই, তা জানানোর জন্য বলা হয়েছে। পলাতক ঠিকাদার ও প্রকল্প পরিচালকদের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’
আরও খবর পড়ুন:

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য....
৭ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
১ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

তিস্তা সেচ প্রকল্পের ৮০০ কোটি টাকার কাজ বাকি রেখে উধাও হয়েছেন ১৬ ঠিকাদার। তাঁরা কাজ না করে আগেভাগে বিল তুলে ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক। ফলে রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, জয়পুরহাট এবং বগুড়ায় সেচের সুবিধার্থে নেওয়া এ প্রকল্পের তিনটি সেক্টরের মধ্যে একটির কাজ বন্ধ রয়েছে।
৩০ জুলাই ২০২৫
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
১ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ বিআইডব্লিউটিএর জারি করা এক বিশেষ নৌ চলাচল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে, সেসবসহ অন্য সব নৌযানকে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বিধিমালা, ১৯৭৬ অনুসরণ করে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ বিআইডব্লিউটিএর জারি করা এক বিশেষ নৌ চলাচল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে, সেসবসহ অন্য সব নৌযানকে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বিধিমালা, ১৯৭৬ অনুসরণ করে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

তিস্তা সেচ প্রকল্পের ৮০০ কোটি টাকার কাজ বাকি রেখে উধাও হয়েছেন ১৬ ঠিকাদার। তাঁরা কাজ না করে আগেভাগে বিল তুলে ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক। ফলে রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, জয়পুরহাট এবং বগুড়ায় সেচের সুবিধার্থে নেওয়া এ প্রকল্পের তিনটি সেক্টরের মধ্যে একটির কাজ বন্ধ রয়েছে।
৩০ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য....
৭ মিনিট আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

৪১তম বিসিএস ব্যাচে নিয়োগ পাওয়া ছয় শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) চাকরি থেকে অপসারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অপসারণ করা এএসপিরা হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, মাহমুদুল হক, মো. ইসহাক হোসেন, মো. মশিউর রহমান, মুহাম্মদ রাকিব আনোয়ার ও সাঈদ করিম মুগ্ধ।
আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
বিধিতে বলা আছে, শিক্ষানবিশ মেয়াদ চলাকালে কেউ সংশ্লিষ্ট চাকরিতে বহাল থাকার অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হলে সরকারি কর্ম কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ না করেই সরাসরি নিয়োগ অবসান করতে পারবে সরকার।

৪১তম বিসিএস ব্যাচে নিয়োগ পাওয়া ছয় শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) চাকরি থেকে অপসারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অপসারণ করা এএসপিরা হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, মাহমুদুল হক, মো. ইসহাক হোসেন, মো. মশিউর রহমান, মুহাম্মদ রাকিব আনোয়ার ও সাঈদ করিম মুগ্ধ।
আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
বিধিতে বলা আছে, শিক্ষানবিশ মেয়াদ চলাকালে কেউ সংশ্লিষ্ট চাকরিতে বহাল থাকার অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হলে সরকারি কর্ম কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ না করেই সরাসরি নিয়োগ অবসান করতে পারবে সরকার।

তিস্তা সেচ প্রকল্পের ৮০০ কোটি টাকার কাজ বাকি রেখে উধাও হয়েছেন ১৬ ঠিকাদার। তাঁরা কাজ না করে আগেভাগে বিল তুলে ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক। ফলে রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, জয়পুরহাট এবং বগুড়ায় সেচের সুবিধার্থে নেওয়া এ প্রকল্পের তিনটি সেক্টরের মধ্যে একটির কাজ বন্ধ রয়েছে।
৩০ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য....
৭ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তিনি বিকেলে সাংবাদিকদের এই বিবৃতির কথা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তাঁর মন্তব্য বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন নয়। বাংলাদেশ সরকারের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে এমন কোনো বিভ্রান্তিকর, অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বর্ণনা বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’
বিচ্ছিন্ন কিছু অপরাধমূলক ঘটনাকে পরিকল্পিতভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়ন হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। এতে আরও বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশবিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে দিতে সেটার অপব্যবহার করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু মহলে বাছাই করা ও পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে অতিরঞ্জিত ও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সাধারণ ভারতীয় জনগণকে বাংলাদেশ, ভারতের বাংলাদেশি কূটনৈতিক মিশন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যে ব্যক্তির উদাহরণ দিয়েছেন, তিনি ছিলেন তালিকাভুক্ত অপরাধী। চাঁদাবাজির সময় তাঁর মুসলিম সহযোগীর সঙ্গে থাকা অবস্থায় তাঁর দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু ঘটে, যাঁকে পরে গ্রেপ্তার করা হয়। এই অপরাধমূলক ঘটনাকে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা বাস্তবসম্মত নয়, বরং বিভ্রান্তিকর।
বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ভারতের বিভিন্ন মহলকে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে, যা সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক ও পারস্পরিক আস্থার চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে।
আরও পড়ুন:

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তিনি বিকেলে সাংবাদিকদের এই বিবৃতির কথা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তাঁর মন্তব্য বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন নয়। বাংলাদেশ সরকারের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে এমন কোনো বিভ্রান্তিকর, অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বর্ণনা বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’
বিচ্ছিন্ন কিছু অপরাধমূলক ঘটনাকে পরিকল্পিতভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়ন হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। এতে আরও বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশবিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে দিতে সেটার অপব্যবহার করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু মহলে বাছাই করা ও পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে অতিরঞ্জিত ও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সাধারণ ভারতীয় জনগণকে বাংলাদেশ, ভারতের বাংলাদেশি কূটনৈতিক মিশন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যে ব্যক্তির উদাহরণ দিয়েছেন, তিনি ছিলেন তালিকাভুক্ত অপরাধী। চাঁদাবাজির সময় তাঁর মুসলিম সহযোগীর সঙ্গে থাকা অবস্থায় তাঁর দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু ঘটে, যাঁকে পরে গ্রেপ্তার করা হয়। এই অপরাধমূলক ঘটনাকে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা বাস্তবসম্মত নয়, বরং বিভ্রান্তিকর।
বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ভারতের বিভিন্ন মহলকে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে, যা সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক ও পারস্পরিক আস্থার চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে।
আরও পড়ুন:

তিস্তা সেচ প্রকল্পের ৮০০ কোটি টাকার কাজ বাকি রেখে উধাও হয়েছেন ১৬ ঠিকাদার। তাঁরা কাজ না করে আগেভাগে বিল তুলে ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক। ফলে রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, জয়পুরহাট এবং বগুড়ায় সেচের সুবিধার্থে নেওয়া এ প্রকল্পের তিনটি সেক্টরের মধ্যে একটির কাজ বন্ধ রয়েছে।
৩০ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য....
৭ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
১ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে