মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

তিস্তা সেচ প্রকল্পের ৮০০ কোটি টাকার কাজ বাকি রেখে উধাও হয়েছেন ১৬ ঠিকাদার। তাঁরা কাজ না করে আগেভাগে বিল তুলে ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক। ফলে রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, জয়পুরহাট এবং বগুড়ায় সেচের সুবিধার্থে নেওয়া এ প্রকল্পের তিনটি সেক্টরের মধ্যে একটির কাজ বন্ধ রয়েছে। বাকি দুই সেক্টরের ঠিকাদারেরা কাজ করলেও সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকার আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া চার লেন সড়ক প্রকল্পের কাজ এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড জুলাই অভ্যুত্থানের পর ভারতে ফিরে যাওয়ায়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, শুধু এই দুই প্রকল্পই নয়, চারটি মন্ত্রণালয়ের প্রায় ৬০টি প্রকল্পের ঠিকাদারেরা বরাদ্দের টাকা তুলে নিয়ে কাজ না করে ৫ আগস্টের পর গা ঢাকা দিয়েছেন। এমন শতাধিক ঠিকাদার নিয়েছেন প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। এই চার মন্ত্রণালয় হলো স্থানীয় সরকার, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, সড়ক ও জনপথ এবং রেলপথ।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত সরকার (আওয়ামী লীগ সরকার) এমন ঠিকাদারদের প্রকল্প দিয়েছে, যাঁরা পেশাদার ঠিকাদার নন। দেখা যাবে, তাঁরা প্রকল্প নেওয়ার পর অর্থের বিনিময়ে হাতবদল করেছেন। তিনি বলেন, কাজ না করলেও ঠিকাদারদের প্রকল্প থেকে অর্থ দিয়ে যাঁরা অন্যায় করেছেন, তাঁদেরকেও শাস্তির আওতায় আনা উচিত।
সূত্র বলেছে, দেশে ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চলমান। প্রকল্পগুলোতে সরকারের ও বিদেশি অর্থায়ন রয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) বলছে, এ প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১০টি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের অগ্রগতির পাশাপাশি প্রকল্পের সার্বিক বিষয় নিয়ে তারা কাজ করছে। এর মধ্যে চারটি মন্ত্রণালয়ের প্রায় ৬০ প্রকল্পের ঠিকাদারেরা দেড় হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। ঠিকাদার না থাকায় এসব প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে একদিকে সরকারের অর্থের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ১০টি প্রকল্পের ঠিকাদারেরা ৩৩০ কোটি টাকা তুলে লাপাত্তা। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪টি প্রকল্পের ঠিকাদারেরা ৩২৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা নিলেও কাজ করছেন না। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৬৭১ কোটি ৫২ লাখ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ১৬১ কোটি ২১ লাখ টাকা নিয়ে কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদারেরা। এসব ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়ায় প্রকল্পগুলোর কাজও স্থবির রয়েছে। কাজ বন্ধ থাকা প্রকল্পগুলোর ঠিকাদারদের মধ্যে বিদেশি ঠিকাদারও রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ভারতীয়ই বেশি। আবার লাপাত্তা থাকা দেশি ঠিকাদারদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সমর্থক ও দলটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারের সংখ্যা বেশি।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম বলেন, অনেক প্রকল্পের ঠিকাদারদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও পরিদর্শন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের দুই শতাধিক প্রকল্প রয়েছে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে প্রথম দিকে ঠিকাদার পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে ৩-৬ মাস পর অনেকে ফিরেছেন। আবার কেউ কেউ অন্য ঠিকাদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছেন। যাঁদের একান্তই পাওয়া যায়নি, তাঁদের বাদ দিয়ে নতুন করে দরপত্র দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রকল্পগুলো বড়। এখানে অনেক ঠিকাদার রয়েছেন। তাঁদের কতজন পলাতক, সে তথ্য আমার কাছে নেই।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডির তথ্যমতে, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকল্পের কাজ পেয়েছে হাতে গোনা চার-পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। একইভাবে স্থানীয় সরকার, রেলপথ, আইসিটিসহ অধিকাংশ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগ পেয়েছেন নির্দিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁদের কেউ কেউ সরকারদলীয় রাজনীতিক হওয়ায় কার্যাদেশ পেয়ে টাকার বিনিময়ে কাজ বিক্রি করে দেন। আবার কিছু ঠিকাদার বেশি প্রকল্প বাগিয়ে নেওয়ায় সঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে পারেননি। পটপরিবর্তনের পর কাজ অসমাপ্ত রেখেই লাপাত্তা হয়েছেন তাঁরা।
আইএমইডির সচিব মো. কামাল উদ্দিন বলেন, নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি মন্ত্রণালয়ের বেশ কিছু প্রকল্পের ঠিকাদার কাজ ফেলে রেখে পালিয়েছেন। বাকিগুলোর তথ্য দ্রুত সংগ্রহ করা হচ্ছে। এগুলো পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হবে।
সূত্র বলেছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়া প্রকল্পগুলোর কাজ আবার শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, ঠিকাদার চলে যাওয়ায় বন্ধ প্রকল্পগুলোর জন্য আবার দরপত্র আহ্বান করতে হবে। কাজ বন্ধ থাকায় এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হবে না।
এদিকে প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করার লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার ৫৮টি মন্ত্রণালয়কে উধাও হওয়া ঠিকাদার ও প্রকল্প পরিচালকদের তথ্য জানাতে চিঠি দিয়েছে আইএমইডি। চিঠিতে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘প্রতিটি প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সে নির্দেশনা পালন করছি। এর অংশ হিসেবে আইএমইডিকে দ্রুত সারা দেশে কী পরিমাণ প্রকল্পে ঠিকাদার নেই, তা জানানোর জন্য বলা হয়েছে। পলাতক ঠিকাদার ও প্রকল্প পরিচালকদের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’
আরও খবর পড়ুন:

তিস্তা সেচ প্রকল্পের ৮০০ কোটি টাকার কাজ বাকি রেখে উধাও হয়েছেন ১৬ ঠিকাদার। তাঁরা কাজ না করে আগেভাগে বিল তুলে ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক। ফলে রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, জয়পুরহাট এবং বগুড়ায় সেচের সুবিধার্থে নেওয়া এ প্রকল্পের তিনটি সেক্টরের মধ্যে একটির কাজ বন্ধ রয়েছে। বাকি দুই সেক্টরের ঠিকাদারেরা কাজ করলেও সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকার আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া চার লেন সড়ক প্রকল্পের কাজ এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড জুলাই অভ্যুত্থানের পর ভারতে ফিরে যাওয়ায়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, শুধু এই দুই প্রকল্পই নয়, চারটি মন্ত্রণালয়ের প্রায় ৬০টি প্রকল্পের ঠিকাদারেরা বরাদ্দের টাকা তুলে নিয়ে কাজ না করে ৫ আগস্টের পর গা ঢাকা দিয়েছেন। এমন শতাধিক ঠিকাদার নিয়েছেন প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। এই চার মন্ত্রণালয় হলো স্থানীয় সরকার, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, সড়ক ও জনপথ এবং রেলপথ।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত সরকার (আওয়ামী লীগ সরকার) এমন ঠিকাদারদের প্রকল্প দিয়েছে, যাঁরা পেশাদার ঠিকাদার নন। দেখা যাবে, তাঁরা প্রকল্প নেওয়ার পর অর্থের বিনিময়ে হাতবদল করেছেন। তিনি বলেন, কাজ না করলেও ঠিকাদারদের প্রকল্প থেকে অর্থ দিয়ে যাঁরা অন্যায় করেছেন, তাঁদেরকেও শাস্তির আওতায় আনা উচিত।
সূত্র বলেছে, দেশে ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চলমান। প্রকল্পগুলোতে সরকারের ও বিদেশি অর্থায়ন রয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) বলছে, এ প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১০টি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের অগ্রগতির পাশাপাশি প্রকল্পের সার্বিক বিষয় নিয়ে তারা কাজ করছে। এর মধ্যে চারটি মন্ত্রণালয়ের প্রায় ৬০ প্রকল্পের ঠিকাদারেরা দেড় হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। ঠিকাদার না থাকায় এসব প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে একদিকে সরকারের অর্থের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ১০টি প্রকল্পের ঠিকাদারেরা ৩৩০ কোটি টাকা তুলে লাপাত্তা। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪টি প্রকল্পের ঠিকাদারেরা ৩২৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা নিলেও কাজ করছেন না। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৬৭১ কোটি ৫২ লাখ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ১৬১ কোটি ২১ লাখ টাকা নিয়ে কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদারেরা। এসব ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়ায় প্রকল্পগুলোর কাজও স্থবির রয়েছে। কাজ বন্ধ থাকা প্রকল্পগুলোর ঠিকাদারদের মধ্যে বিদেশি ঠিকাদারও রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ভারতীয়ই বেশি। আবার লাপাত্তা থাকা দেশি ঠিকাদারদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সমর্থক ও দলটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারের সংখ্যা বেশি।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম বলেন, অনেক প্রকল্পের ঠিকাদারদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও পরিদর্শন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের দুই শতাধিক প্রকল্প রয়েছে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে প্রথম দিকে ঠিকাদার পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে ৩-৬ মাস পর অনেকে ফিরেছেন। আবার কেউ কেউ অন্য ঠিকাদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছেন। যাঁদের একান্তই পাওয়া যায়নি, তাঁদের বাদ দিয়ে নতুন করে দরপত্র দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রকল্পগুলো বড়। এখানে অনেক ঠিকাদার রয়েছেন। তাঁদের কতজন পলাতক, সে তথ্য আমার কাছে নেই।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডির তথ্যমতে, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকল্পের কাজ পেয়েছে হাতে গোনা চার-পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। একইভাবে স্থানীয় সরকার, রেলপথ, আইসিটিসহ অধিকাংশ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগ পেয়েছেন নির্দিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁদের কেউ কেউ সরকারদলীয় রাজনীতিক হওয়ায় কার্যাদেশ পেয়ে টাকার বিনিময়ে কাজ বিক্রি করে দেন। আবার কিছু ঠিকাদার বেশি প্রকল্প বাগিয়ে নেওয়ায় সঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে পারেননি। পটপরিবর্তনের পর কাজ অসমাপ্ত রেখেই লাপাত্তা হয়েছেন তাঁরা।
আইএমইডির সচিব মো. কামাল উদ্দিন বলেন, নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি মন্ত্রণালয়ের বেশ কিছু প্রকল্পের ঠিকাদার কাজ ফেলে রেখে পালিয়েছেন। বাকিগুলোর তথ্য দ্রুত সংগ্রহ করা হচ্ছে। এগুলো পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হবে।
সূত্র বলেছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়া প্রকল্পগুলোর কাজ আবার শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, ঠিকাদার চলে যাওয়ায় বন্ধ প্রকল্পগুলোর জন্য আবার দরপত্র আহ্বান করতে হবে। কাজ বন্ধ থাকায় এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হবে না।
এদিকে প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করার লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার ৫৮টি মন্ত্রণালয়কে উধাও হওয়া ঠিকাদার ও প্রকল্প পরিচালকদের তথ্য জানাতে চিঠি দিয়েছে আইএমইডি। চিঠিতে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘প্রতিটি প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সে নির্দেশনা পালন করছি। এর অংশ হিসেবে আইএমইডিকে দ্রুত সারা দেশে কী পরিমাণ প্রকল্পে ঠিকাদার নেই, তা জানানোর জন্য বলা হয়েছে। পলাতক ঠিকাদার ও প্রকল্প পরিচালকদের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’
আরও খবর পড়ুন:
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

তিস্তা সেচ প্রকল্পের ৮০০ কোটি টাকার কাজ বাকি রেখে উধাও হয়েছেন ১৬ ঠিকাদার। তাঁরা কাজ না করে আগেভাগে বিল তুলে ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক। ফলে রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, জয়পুরহাট এবং বগুড়ায় সেচের সুবিধার্থে নেওয়া এ প্রকল্পের তিনটি সেক্টরের মধ্যে একটির কাজ বন্ধ রয়েছে। বাকি দুই সেক্টরের ঠিকাদারেরা কাজ করলেও সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকার আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া চার লেন সড়ক প্রকল্পের কাজ এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড জুলাই অভ্যুত্থানের পর ভারতে ফিরে যাওয়ায়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, শুধু এই দুই প্রকল্পই নয়, চারটি মন্ত্রণালয়ের প্রায় ৬০টি প্রকল্পের ঠিকাদারেরা বরাদ্দের টাকা তুলে নিয়ে কাজ না করে ৫ আগস্টের পর গা ঢাকা দিয়েছেন। এমন শতাধিক ঠিকাদার নিয়েছেন প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। এই চার মন্ত্রণালয় হলো স্থানীয় সরকার, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, সড়ক ও জনপথ এবং রেলপথ।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত সরকার (আওয়ামী লীগ সরকার) এমন ঠিকাদারদের প্রকল্প দিয়েছে, যাঁরা পেশাদার ঠিকাদার নন। দেখা যাবে, তাঁরা প্রকল্প নেওয়ার পর অর্থের বিনিময়ে হাতবদল করেছেন। তিনি বলেন, কাজ না করলেও ঠিকাদারদের প্রকল্প থেকে অর্থ দিয়ে যাঁরা অন্যায় করেছেন, তাঁদেরকেও শাস্তির আওতায় আনা উচিত।
সূত্র বলেছে, দেশে ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চলমান। প্রকল্পগুলোতে সরকারের ও বিদেশি অর্থায়ন রয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) বলছে, এ প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১০টি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের অগ্রগতির পাশাপাশি প্রকল্পের সার্বিক বিষয় নিয়ে তারা কাজ করছে। এর মধ্যে চারটি মন্ত্রণালয়ের প্রায় ৬০ প্রকল্পের ঠিকাদারেরা দেড় হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। ঠিকাদার না থাকায় এসব প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে একদিকে সরকারের অর্থের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ১০টি প্রকল্পের ঠিকাদারেরা ৩৩০ কোটি টাকা তুলে লাপাত্তা। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪টি প্রকল্পের ঠিকাদারেরা ৩২৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা নিলেও কাজ করছেন না। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৬৭১ কোটি ৫২ লাখ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ১৬১ কোটি ২১ লাখ টাকা নিয়ে কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদারেরা। এসব ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়ায় প্রকল্পগুলোর কাজও স্থবির রয়েছে। কাজ বন্ধ থাকা প্রকল্পগুলোর ঠিকাদারদের মধ্যে বিদেশি ঠিকাদারও রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ভারতীয়ই বেশি। আবার লাপাত্তা থাকা দেশি ঠিকাদারদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সমর্থক ও দলটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারের সংখ্যা বেশি।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম বলেন, অনেক প্রকল্পের ঠিকাদারদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও পরিদর্শন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের দুই শতাধিক প্রকল্প রয়েছে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে প্রথম দিকে ঠিকাদার পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে ৩-৬ মাস পর অনেকে ফিরেছেন। আবার কেউ কেউ অন্য ঠিকাদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছেন। যাঁদের একান্তই পাওয়া যায়নি, তাঁদের বাদ দিয়ে নতুন করে দরপত্র দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রকল্পগুলো বড়। এখানে অনেক ঠিকাদার রয়েছেন। তাঁদের কতজন পলাতক, সে তথ্য আমার কাছে নেই।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডির তথ্যমতে, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকল্পের কাজ পেয়েছে হাতে গোনা চার-পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। একইভাবে স্থানীয় সরকার, রেলপথ, আইসিটিসহ অধিকাংশ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগ পেয়েছেন নির্দিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁদের কেউ কেউ সরকারদলীয় রাজনীতিক হওয়ায় কার্যাদেশ পেয়ে টাকার বিনিময়ে কাজ বিক্রি করে দেন। আবার কিছু ঠিকাদার বেশি প্রকল্প বাগিয়ে নেওয়ায় সঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে পারেননি। পটপরিবর্তনের পর কাজ অসমাপ্ত রেখেই লাপাত্তা হয়েছেন তাঁরা।
আইএমইডির সচিব মো. কামাল উদ্দিন বলেন, নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি মন্ত্রণালয়ের বেশ কিছু প্রকল্পের ঠিকাদার কাজ ফেলে রেখে পালিয়েছেন। বাকিগুলোর তথ্য দ্রুত সংগ্রহ করা হচ্ছে। এগুলো পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হবে।
সূত্র বলেছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়া প্রকল্পগুলোর কাজ আবার শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, ঠিকাদার চলে যাওয়ায় বন্ধ প্রকল্পগুলোর জন্য আবার দরপত্র আহ্বান করতে হবে। কাজ বন্ধ থাকায় এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হবে না।
এদিকে প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করার লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার ৫৮টি মন্ত্রণালয়কে উধাও হওয়া ঠিকাদার ও প্রকল্প পরিচালকদের তথ্য জানাতে চিঠি দিয়েছে আইএমইডি। চিঠিতে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘প্রতিটি প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সে নির্দেশনা পালন করছি। এর অংশ হিসেবে আইএমইডিকে দ্রুত সারা দেশে কী পরিমাণ প্রকল্পে ঠিকাদার নেই, তা জানানোর জন্য বলা হয়েছে। পলাতক ঠিকাদার ও প্রকল্প পরিচালকদের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’
আরও খবর পড়ুন:

তিস্তা সেচ প্রকল্পের ৮০০ কোটি টাকার কাজ বাকি রেখে উধাও হয়েছেন ১৬ ঠিকাদার। তাঁরা কাজ না করে আগেভাগে বিল তুলে ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক। ফলে রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, জয়পুরহাট এবং বগুড়ায় সেচের সুবিধার্থে নেওয়া এ প্রকল্পের তিনটি সেক্টরের মধ্যে একটির কাজ বন্ধ রয়েছে। বাকি দুই সেক্টরের ঠিকাদারেরা কাজ করলেও সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকার আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া চার লেন সড়ক প্রকল্পের কাজ এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড জুলাই অভ্যুত্থানের পর ভারতে ফিরে যাওয়ায়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, শুধু এই দুই প্রকল্পই নয়, চারটি মন্ত্রণালয়ের প্রায় ৬০টি প্রকল্পের ঠিকাদারেরা বরাদ্দের টাকা তুলে নিয়ে কাজ না করে ৫ আগস্টের পর গা ঢাকা দিয়েছেন। এমন শতাধিক ঠিকাদার নিয়েছেন প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। এই চার মন্ত্রণালয় হলো স্থানীয় সরকার, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, সড়ক ও জনপথ এবং রেলপথ।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত সরকার (আওয়ামী লীগ সরকার) এমন ঠিকাদারদের প্রকল্প দিয়েছে, যাঁরা পেশাদার ঠিকাদার নন। দেখা যাবে, তাঁরা প্রকল্প নেওয়ার পর অর্থের বিনিময়ে হাতবদল করেছেন। তিনি বলেন, কাজ না করলেও ঠিকাদারদের প্রকল্প থেকে অর্থ দিয়ে যাঁরা অন্যায় করেছেন, তাঁদেরকেও শাস্তির আওতায় আনা উচিত।
সূত্র বলেছে, দেশে ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চলমান। প্রকল্পগুলোতে সরকারের ও বিদেশি অর্থায়ন রয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) বলছে, এ প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১০টি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের অগ্রগতির পাশাপাশি প্রকল্পের সার্বিক বিষয় নিয়ে তারা কাজ করছে। এর মধ্যে চারটি মন্ত্রণালয়ের প্রায় ৬০ প্রকল্পের ঠিকাদারেরা দেড় হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। ঠিকাদার না থাকায় এসব প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে একদিকে সরকারের অর্থের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ১০টি প্রকল্পের ঠিকাদারেরা ৩৩০ কোটি টাকা তুলে লাপাত্তা। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪টি প্রকল্পের ঠিকাদারেরা ৩২৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা নিলেও কাজ করছেন না। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৬৭১ কোটি ৫২ লাখ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ১৬১ কোটি ২১ লাখ টাকা নিয়ে কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদারেরা। এসব ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়ায় প্রকল্পগুলোর কাজও স্থবির রয়েছে। কাজ বন্ধ থাকা প্রকল্পগুলোর ঠিকাদারদের মধ্যে বিদেশি ঠিকাদারও রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ভারতীয়ই বেশি। আবার লাপাত্তা থাকা দেশি ঠিকাদারদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সমর্থক ও দলটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারের সংখ্যা বেশি।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম বলেন, অনেক প্রকল্পের ঠিকাদারদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও পরিদর্শন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের দুই শতাধিক প্রকল্প রয়েছে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে প্রথম দিকে ঠিকাদার পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে ৩-৬ মাস পর অনেকে ফিরেছেন। আবার কেউ কেউ অন্য ঠিকাদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছেন। যাঁদের একান্তই পাওয়া যায়নি, তাঁদের বাদ দিয়ে নতুন করে দরপত্র দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রকল্পগুলো বড়। এখানে অনেক ঠিকাদার রয়েছেন। তাঁদের কতজন পলাতক, সে তথ্য আমার কাছে নেই।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডির তথ্যমতে, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকল্পের কাজ পেয়েছে হাতে গোনা চার-পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। একইভাবে স্থানীয় সরকার, রেলপথ, আইসিটিসহ অধিকাংশ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগ পেয়েছেন নির্দিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁদের কেউ কেউ সরকারদলীয় রাজনীতিক হওয়ায় কার্যাদেশ পেয়ে টাকার বিনিময়ে কাজ বিক্রি করে দেন। আবার কিছু ঠিকাদার বেশি প্রকল্প বাগিয়ে নেওয়ায় সঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে পারেননি। পটপরিবর্তনের পর কাজ অসমাপ্ত রেখেই লাপাত্তা হয়েছেন তাঁরা।
আইএমইডির সচিব মো. কামাল উদ্দিন বলেন, নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি মন্ত্রণালয়ের বেশ কিছু প্রকল্পের ঠিকাদার কাজ ফেলে রেখে পালিয়েছেন। বাকিগুলোর তথ্য দ্রুত সংগ্রহ করা হচ্ছে। এগুলো পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হবে।
সূত্র বলেছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়া প্রকল্পগুলোর কাজ আবার শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, ঠিকাদার চলে যাওয়ায় বন্ধ প্রকল্পগুলোর জন্য আবার দরপত্র আহ্বান করতে হবে। কাজ বন্ধ থাকায় এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হবে না।
এদিকে প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করার লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার ৫৮টি মন্ত্রণালয়কে উধাও হওয়া ঠিকাদার ও প্রকল্প পরিচালকদের তথ্য জানাতে চিঠি দিয়েছে আইএমইডি। চিঠিতে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘প্রতিটি প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সে নির্দেশনা পালন করছি। এর অংশ হিসেবে আইএমইডিকে দ্রুত সারা দেশে কী পরিমাণ প্রকল্পে ঠিকাদার নেই, তা জানানোর জন্য বলা হয়েছে। পলাতক ঠিকাদার ও প্রকল্প পরিচালকদের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’
আরও খবর পড়ুন:

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ সাতজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ আজ রোববার এই নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন...
১৭ মিনিট আগে
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠে রয়েছে বিজিবির টহল দল। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’
১ ঘণ্টা আগে
১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ১৭ নভেম্বর (সোমবার) নির্ধারণ করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
২ ঘণ্টা আগে
অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ঠিকাদারদের কাজ ও অগ্রিম বিল দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. জরজিসুর রহমানসহ পাঁচ কর্মকর্তা ও দশ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ সাতজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ আজ রোববার এই নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ।
অন্য যাঁদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন সাবেক রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, টিপু মুনশির স্ত্রী আইরিন মালবিকা মুনশি এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
দুদকের সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা আজ সাতটি পৃথক আবেদন করে এই সাতজনের আয়কর নথি জব্দে আদালতের নির্দেশ চান।
দুদকের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম ও দেলোয়ার জাহান রুমি আবেদনের ওপর শুনানি করেন। শুনানি শেষে প্রত্যেকের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৩৯ লাখ ৪১ হাজার ৩৫১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, টিপু মুনশির বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৯০ লাখ ২৭ হাজার ৬১২ টাকার অবৈধ সম্পদ, তাঁর স্ত্রী আইরিন মালবিকা মুনশির বিরুদ্ধে ৪ কোটি ১৮ লাখ ২৩ হাজার ৭৩০ টাকার অবৈধ সম্পদ, এনামুর রহমানের বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৫০ লাখ ৯২ হাজার ৭৮৫ টাকার অবৈধ সম্পদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্সের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৯১ লাখ ৭৪ হাজার ৪৩৪ টাকার অবৈধ সম্পদ ও শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৩৯ লাখ ৬৬ হাজার ৮২০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করেছে দুদক।
এ ছাড়া শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংক হিসাবে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগও রয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, মামলাগুলো সুষ্ঠু তদন্তের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শুরু থেকে শেষ করবর্ষের আয়কর নথি পর্যালোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। এ জন্য নথি জব্দ করা প্রয়োজন। আয়কর আইন অনুযায়ী নথিগুলো জব্দ করতে আদালতের নির্দেশনা দরকার।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ সাতজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ আজ রোববার এই নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ।
অন্য যাঁদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন সাবেক রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, টিপু মুনশির স্ত্রী আইরিন মালবিকা মুনশি এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
দুদকের সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা আজ সাতটি পৃথক আবেদন করে এই সাতজনের আয়কর নথি জব্দে আদালতের নির্দেশ চান।
দুদকের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম ও দেলোয়ার জাহান রুমি আবেদনের ওপর শুনানি করেন। শুনানি শেষে প্রত্যেকের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৩৯ লাখ ৪১ হাজার ৩৫১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, টিপু মুনশির বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৯০ লাখ ২৭ হাজার ৬১২ টাকার অবৈধ সম্পদ, তাঁর স্ত্রী আইরিন মালবিকা মুনশির বিরুদ্ধে ৪ কোটি ১৮ লাখ ২৩ হাজার ৭৩০ টাকার অবৈধ সম্পদ, এনামুর রহমানের বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৫০ লাখ ৯২ হাজার ৭৮৫ টাকার অবৈধ সম্পদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্সের বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৯১ লাখ ৭৪ হাজার ৪৩৪ টাকার অবৈধ সম্পদ ও শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৩৯ লাখ ৬৬ হাজার ৮২০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করেছে দুদক।
এ ছাড়া শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংক হিসাবে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগও রয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, মামলাগুলো সুষ্ঠু তদন্তের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শুরু থেকে শেষ করবর্ষের আয়কর নথি পর্যালোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। এ জন্য নথি জব্দ করা প্রয়োজন। আয়কর আইন অনুযায়ী নথিগুলো জব্দ করতে আদালতের নির্দেশনা দরকার।

তিস্তা সেচ প্রকল্পের ৮০০ কোটি টাকার কাজ বাকি রেখে উধাও হয়েছেন ১৬ ঠিকাদার। তাঁরা কাজ না করে আগেভাগে বিল তুলে ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক। ফলে রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, জয়পুরহাট এবং বগুড়ায় সেচের সুবিধার্থে নেওয়া এ প্রকল্পের তিনটি সেক্টরের মধ্যে একটির কাজ বন্ধ রয়েছে।
৩০ জুলাই ২০২৫
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠে রয়েছে বিজিবির টহল দল। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’
১ ঘণ্টা আগে
১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ১৭ নভেম্বর (সোমবার) নির্ধারণ করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
২ ঘণ্টা আগে
অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ঠিকাদারদের কাজ ও অগ্রিম বিল দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. জরজিসুর রহমানসহ পাঁচ কর্মকর্তা ও দশ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানী ঢাকাসহ চার জেলায় সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকা ছাড়াও গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুরে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক দায়িত্ব পালন করছে বাহিনীটি।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠে রয়েছে বিজিবির টহল দল। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’
কয়েক দিন ধরে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়িতে আগুন, বাসে অগ্নিসংযোগ ও বিচ্ছিন্ন সহিংসতার ঘটনাই নিরাপত্তা জোরদারের মূল কারণ বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের ঘোষিত কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন, আগারগাঁও, বিমানবন্দর, হাতিরঝিল, মিরপুর ও হাজারীবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
এই পরিস্থিতিতে চার জেলায় বিজিবির উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে, যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে এবং যে কোনো নাশকতা প্রতিরোধ করা যায়।
এর আগে গত বুধবার ১২ নভেম্বর সকাল থেকে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ঢাকায় ১২ প্লাটুন এবং ঢাকার বাইরে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
উল্লেখ্য, আগামীকাল সোমবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

রাজধানী ঢাকাসহ চার জেলায় সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকা ছাড়াও গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুরে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক দায়িত্ব পালন করছে বাহিনীটি।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠে রয়েছে বিজিবির টহল দল। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’
কয়েক দিন ধরে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়িতে আগুন, বাসে অগ্নিসংযোগ ও বিচ্ছিন্ন সহিংসতার ঘটনাই নিরাপত্তা জোরদারের মূল কারণ বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের ঘোষিত কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন, আগারগাঁও, বিমানবন্দর, হাতিরঝিল, মিরপুর ও হাজারীবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
এই পরিস্থিতিতে চার জেলায় বিজিবির উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে, যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে এবং যে কোনো নাশকতা প্রতিরোধ করা যায়।
এর আগে গত বুধবার ১২ নভেম্বর সকাল থেকে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ঢাকায় ১২ প্লাটুন এবং ঢাকার বাইরে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
উল্লেখ্য, আগামীকাল সোমবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

তিস্তা সেচ প্রকল্পের ৮০০ কোটি টাকার কাজ বাকি রেখে উধাও হয়েছেন ১৬ ঠিকাদার। তাঁরা কাজ না করে আগেভাগে বিল তুলে ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক। ফলে রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, জয়পুরহাট এবং বগুড়ায় সেচের সুবিধার্থে নেওয়া এ প্রকল্পের তিনটি সেক্টরের মধ্যে একটির কাজ বন্ধ রয়েছে।
৩০ জুলাই ২০২৫
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ সাতজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ আজ রোববার এই নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন...
১৭ মিনিট আগে
১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ১৭ নভেম্বর (সোমবার) নির্ধারণ করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
২ ঘণ্টা আগে
অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ঠিকাদারদের কাজ ও অগ্রিম বিল দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. জরজিসুর রহমানসহ পাঁচ কর্মকর্তা ও দশ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। আজ রোববার প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে ব্রিফিংয়ে গাজী তামিম বলেন, ‘প্রসিকিউশন দাবি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করেছে। শুধু তা-ই নয়, এই আসামিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ভুক্তভোগী, শহীদ এবং আহতদের পরিবার বরাবর হস্তান্তরের জন্য প্রার্থনা করেছি।’
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে, সেগুলোর অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে তামিম বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে যে কয়েকটি অভিযোগ আমরা এই ট্রাইব্যুনালে এনেছি—এই একই অভিযোগে যদি এই তিনজন আসামির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অন্য কোনো আদালতে কোনো মামলা চলে থাকে, সেগুলো আর চলবে না। কারণ, এটা আমাদের কনস্টিটিউশনাল রাইটস। একই অভিযোগে কোনো ব্যক্তিকে দুবার শাস্তি বা দুবার বিচার করা যাবে না। অতএব এর বাইরে যদি অন্য কোনো অভিযোগ থেকে থাকে, তবে সেটি চলতে পারে। কিন্তু এখানে যে পাঁচটি অভিযোগ ডিসপোজাল করা হচ্ছে, সেই পাঁচটি অভিযোগে অন্য কোথাও কোনো মামলা করাও যাবে না, আর যদি মামলা থাকে, সেটা আর চলবে না।’
এর আগে ১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ১৭ নভেম্বর (সোমবার) নির্ধারণ করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
মামলার আসামিরা হলেন শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আসামিদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে রয়েছেন।
মামলাটিতে আন্দোলনকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীসহ ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ চলতি বছরের ১ জুন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। আজ রোববার প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে ব্রিফিংয়ে গাজী তামিম বলেন, ‘প্রসিকিউশন দাবি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করেছে। শুধু তা-ই নয়, এই আসামিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ভুক্তভোগী, শহীদ এবং আহতদের পরিবার বরাবর হস্তান্তরের জন্য প্রার্থনা করেছি।’
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে, সেগুলোর অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে তামিম বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে যে কয়েকটি অভিযোগ আমরা এই ট্রাইব্যুনালে এনেছি—এই একই অভিযোগে যদি এই তিনজন আসামির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অন্য কোনো আদালতে কোনো মামলা চলে থাকে, সেগুলো আর চলবে না। কারণ, এটা আমাদের কনস্টিটিউশনাল রাইটস। একই অভিযোগে কোনো ব্যক্তিকে দুবার শাস্তি বা দুবার বিচার করা যাবে না। অতএব এর বাইরে যদি অন্য কোনো অভিযোগ থেকে থাকে, তবে সেটি চলতে পারে। কিন্তু এখানে যে পাঁচটি অভিযোগ ডিসপোজাল করা হচ্ছে, সেই পাঁচটি অভিযোগে অন্য কোথাও কোনো মামলা করাও যাবে না, আর যদি মামলা থাকে, সেটা আর চলবে না।’
এর আগে ১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ১৭ নভেম্বর (সোমবার) নির্ধারণ করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
মামলার আসামিরা হলেন শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আসামিদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে রয়েছেন।
মামলাটিতে আন্দোলনকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীসহ ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ চলতি বছরের ১ জুন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়।

তিস্তা সেচ প্রকল্পের ৮০০ কোটি টাকার কাজ বাকি রেখে উধাও হয়েছেন ১৬ ঠিকাদার। তাঁরা কাজ না করে আগেভাগে বিল তুলে ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক। ফলে রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, জয়পুরহাট এবং বগুড়ায় সেচের সুবিধার্থে নেওয়া এ প্রকল্পের তিনটি সেক্টরের মধ্যে একটির কাজ বন্ধ রয়েছে।
৩০ জুলাই ২০২৫
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ সাতজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ আজ রোববার এই নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন...
১৭ মিনিট আগে
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠে রয়েছে বিজিবির টহল দল। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’
১ ঘণ্টা আগে
অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ঠিকাদারদের কাজ ও অগ্রিম বিল দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. জরজিসুর রহমানসহ পাঁচ কর্মকর্তা ও দশ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ঠিকাদারদের কাজ ও অগ্রিম বিল দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. জরজিসুর রহমানসহ পাঁচ কর্মকর্তা ও দশ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগের উপসচিব (শৃঙ্খলাবিষয়ক শাখা) মো. আশরাফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সাম্প্রতিক এক অফিস আদেশ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তদন্তের সম্মুখীন অন্য কর্মকর্তারা হলেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পিআরএল ভোগরত) মীর মুয়াজ্জেম হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী এ কে এম মনিরুজ্জামান ও জামিল হোসেন।
অফিস আদেশে ইইডির ঢাকার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার কথা উল্লেখ করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর অনুরোধ করা হয়।
এ বিষয়ে ইইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. তারেক আনোয়ার জাহেদীর কাছে জানতে চাইলে তিনি তদন্ত কার্যক্রম শুরুর কথা নিশ্চিত করেন। গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘যেহেতু তদন্ত চলমান, তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। অভিযোগগুলো আমার দায়িত্ব গ্রহণের আগের প্রধান প্রকৌশলীর সময়ের।’
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বা ইইডি সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন ভবন নির্মাণ, বিদ্যমান ভবনের সম্প্রসারণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার এবং আসবাবপত্র সরবরাহ করে। সময়ের পরিবর্তনে তাদের দায়িত্বের মধ্যে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও আইসিটি ল্যাব স্থাপন এবং ইন্টারনেট সংযোগ ও আইসিটি সুবিধা দেওয়ার কাজও যুক্ত হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, সম্প্রতি ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রায় ৩২ কোটি টাকার কাজ ইলেকট্রো গ্লোব মিরন এন্টারপ্রাইজকে এবং রূপগঞ্জের পূর্বাচল মাধ্যমিক সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩৫ কোটির কাজ নুরানি কনস্ট্রাকশনকে পাইয়ে দিতে প্রাক্কলিত ব্যয় কমিয়ে তা ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে দরপত্র কমিটির সভাপতি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় লালপুর উপজেলার বিলগারি দাখিল মাদ্রাসা, সদর উপজেলার বারঘরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের নির্মাণকাজের অগ্রিম বিল দেওয়া, রংপুরে ২০ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দিতে দরপত্রের শর্তে কোল্ডস্টোরেজ অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগও রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে পদোন্নতিতে বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) জালিয়াতিরও অভিযোগ উঠেছে।
এসব বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, নাটোরে চাকরিরত থাকাকালে আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছিল। আর তাঁর সর্বশেষ এসিআরে যে বিরূপ মন্তব্য ছিল, তাতে পদোন্নতি হওয়ার কথাই নয়। এসিআরটি যাচাই করলেই এতে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যাবে।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি অভিযুক্ত এই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁদের সবারই ভাষ্য, তদন্ত চলার সময় কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
ইইডি থেকে জানা যায়, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় তদন্ত শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে আগামীকাল সোমবার বিকেলে পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের শুনানির জন্য ডেকেছেন।
তবে ইইডির প্রধান কার্যালয়ের তদন্ত কার্যক্রম নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক কর্মকর্তা। তাঁদের ভাষ্য, প্রধান দুই অভিযুক্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান ও নির্বাহী প্রকৌশলী জরজিসুর রহমান প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত থেকে তদন্ত কার্যক্রমকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ইইডির পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মামুনুর রশিদ ও জরজিসুর রহমানের গ্রামের বাড়ি একই জেলায় এবং তাঁরা পূর্বপরিচিত হওয়ায় তদন্তের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জরজিসুর রহমান বলেন, ‘এখানে প্রভাব বিস্তার করার কী আছে?’
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) সাইদুর রহমান বলেন, ‘ইইডির তদন্ত কার্যক্রমের ওপর আমাদের নজরদারি থাকবে। এ ক্ষেত্রে কারও গাফিলতি বা অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না।’

অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে ঠিকাদারদের কাজ ও অগ্রিম বিল দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. জরজিসুর রহমানসহ পাঁচ কর্মকর্তা ও দশ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগের উপসচিব (শৃঙ্খলাবিষয়ক শাখা) মো. আশরাফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সাম্প্রতিক এক অফিস আদেশ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তদন্তের সম্মুখীন অন্য কর্মকর্তারা হলেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পিআরএল ভোগরত) মীর মুয়াজ্জেম হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী এ কে এম মনিরুজ্জামান ও জামিল হোসেন।
অফিস আদেশে ইইডির ঢাকার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার কথা উল্লেখ করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর অনুরোধ করা হয়।
এ বিষয়ে ইইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. তারেক আনোয়ার জাহেদীর কাছে জানতে চাইলে তিনি তদন্ত কার্যক্রম শুরুর কথা নিশ্চিত করেন। গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘যেহেতু তদন্ত চলমান, তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। অভিযোগগুলো আমার দায়িত্ব গ্রহণের আগের প্রধান প্রকৌশলীর সময়ের।’
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বা ইইডি সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন ভবন নির্মাণ, বিদ্যমান ভবনের সম্প্রসারণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার এবং আসবাবপত্র সরবরাহ করে। সময়ের পরিবর্তনে তাদের দায়িত্বের মধ্যে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও আইসিটি ল্যাব স্থাপন এবং ইন্টারনেট সংযোগ ও আইসিটি সুবিধা দেওয়ার কাজও যুক্ত হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, সম্প্রতি ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রায় ৩২ কোটি টাকার কাজ ইলেকট্রো গ্লোব মিরন এন্টারপ্রাইজকে এবং রূপগঞ্জের পূর্বাচল মাধ্যমিক সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩৫ কোটির কাজ নুরানি কনস্ট্রাকশনকে পাইয়ে দিতে প্রাক্কলিত ব্যয় কমিয়ে তা ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে দরপত্র কমিটির সভাপতি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় লালপুর উপজেলার বিলগারি দাখিল মাদ্রাসা, সদর উপজেলার বারঘরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের নির্মাণকাজের অগ্রিম বিল দেওয়া, রংপুরে ২০ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দিতে দরপত্রের শর্তে কোল্ডস্টোরেজ অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগও রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পদে পদোন্নতিতে বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) জালিয়াতিরও অভিযোগ উঠেছে।
এসব বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, নাটোরে চাকরিরত থাকাকালে আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছিল। আর তাঁর সর্বশেষ এসিআরে যে বিরূপ মন্তব্য ছিল, তাতে পদোন্নতি হওয়ার কথাই নয়। এসিআরটি যাচাই করলেই এতে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যাবে।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি অভিযুক্ত এই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁদের সবারই ভাষ্য, তদন্ত চলার সময় কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
ইইডি থেকে জানা যায়, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় তদন্ত শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে আগামীকাল সোমবার বিকেলে পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের শুনানির জন্য ডেকেছেন।
তবে ইইডির প্রধান কার্যালয়ের তদন্ত কার্যক্রম নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক কর্মকর্তা। তাঁদের ভাষ্য, প্রধান দুই অভিযুক্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান ও নির্বাহী প্রকৌশলী জরজিসুর রহমান প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত থেকে তদন্ত কার্যক্রমকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ইইডির পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মামুনুর রশিদ ও জরজিসুর রহমানের গ্রামের বাড়ি একই জেলায় এবং তাঁরা পূর্বপরিচিত হওয়ায় তদন্তের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জরজিসুর রহমান বলেন, ‘এখানে প্রভাব বিস্তার করার কী আছে?’
সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) সাইদুর রহমান বলেন, ‘ইইডির তদন্ত কার্যক্রমের ওপর আমাদের নজরদারি থাকবে। এ ক্ষেত্রে কারও গাফিলতি বা অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না।’

তিস্তা সেচ প্রকল্পের ৮০০ কোটি টাকার কাজ বাকি রেখে উধাও হয়েছেন ১৬ ঠিকাদার। তাঁরা কাজ না করে আগেভাগে বিল তুলে ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক। ফলে রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, জয়পুরহাট এবং বগুড়ায় সেচের সুবিধার্থে নেওয়া এ প্রকল্পের তিনটি সেক্টরের মধ্যে একটির কাজ বন্ধ রয়েছে।
৩০ জুলাই ২০২৫
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ সাতজনের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ আজ রোববার এই নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন...
১৭ মিনিট আগে
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠে রয়েছে বিজিবির টহল দল। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।’
১ ঘণ্টা আগে
১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ১৭ নভেম্বর (সোমবার) নির্ধারণ করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
২ ঘণ্টা আগে