গ্যাস-সংকট চরমে
আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা

দেশে দৈনিক ৪৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে পেট্রোবাংলা দৈনিক ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। এতে সারা বছরই গ্যাস-সংকটে ভোগে শিল্পকারখানাগুলো। চলমান শীতে সংকট আরও বেড়েছে। গ্যাসের চাপ কমায় রাজধানীর বড় অংশে সারা দিন বাসাবাড়িতে গ্যাস থাকছে না। এতে জ্বলছে না রান্নার চুলা। গ্যাস না পেয়ে ধুঁকছে ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রামসহ প্রধান শিল্পাঞ্চলগুলোর অনেক কারখানা।
সারা দিনে গ্যাস না মেলায় রান্নার কাজ সারতে গলদঘর্ম অবস্থা রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলের গৃহিণীদের। সন্ধ্যার পর গ্যাসের চুলা জ্বললেও সেই আঁচে রান্না করতে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে বনশ্রী, মিরপুর, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, বাসাবো, আজিমপুর, কমলাপুর, গোলাপবাগ, গোপীবাগ, মানিকনগর, ওয়ারী, পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর বড় একটি এলাকার বাসিন্দাদের। এসব এলাকায় গ্যাসের চাপ অনেক কম।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মো. এনায়েত করিম বলেন, গ্যাস না থাকায় বাসায় রান্নার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। চুলায় এত কম চাপ থাকে যে রান্নার কাজ শেষ করা যায় না। একই রকম অভিজ্ঞতা পশ্চিম ধানমন্ডির বাসিন্দা কাজী রাকিবউদ্দীনের। তিনি বলেন, বাসায় রান্না হচ্ছে না। কারণ, গ্যাসের চাপ না থাকায় চুলা জ্বলছে না।
রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা মো. শফিউল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দিন গ্যাস আসে না। রাতে চুলা যতটুকু জ্বলে সেই আঁচে রান্না করতে অনেক সময় লাগে। হোটেল থেকে কেনা খাবারই এখন ভরসা।
সংকট সমাধান কবে নাগাদ হবে—জানতে চাইলে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিতাস গ্যাস এলাকায় ২৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। পেট্রোবাংলা আমাদের এই চাহিদার বিপরীতে ১৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস দিত। সেটা এই শীতে নেমে এসেছে ১৪০ কোটি ঘনফুটে। যদি গ্যাসের উৎপাদন না বাড়ানো যায়, তাহলে গ্যাস-সংকটের স্থায়ী সমাধান হবে না।’
ধুঁকছে শিল্পকারখানা
দেশের শিল্পকারখানায় গ্যাসের সংকট অনেক দিন ধরে। বড় তদবির না হলে শিল্পকারখানায় গ্যাস-সংযোগ মেলে না। আর চালু থাকা কলকারখানায় গ্যাসের চাপও ঠিক নেই। জ্বালানি সংকটের কারণে বেশির ভাগ কারখানা মাত্র ৩০ শতাংশ সক্ষমতা নিয়ে চলছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাস-সংকটে নাকাল বস্ত্র খাতের কারখানাগুলো। এখন সংকট আরও বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিস্থিতি খারাপ নারায়ণগঞ্জের ভুলতা, গাউছিয়া, রূপগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ শহর এলাকার কারখানাগুলোর। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, গাজীপুর, ঢাকার সাভার, চট্টগ্রাম, নরসিংদীসহ দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে এই সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে বস্ত্র খাতে বেশি গ্যাস ব্যবহৃত হয়। বস্ত্র কারখানায় বাস্প তৈরিতে গ্যাসের ব্যবহার করা হয়। কারখানায় গ্যাসের চাপ থাকার কথা অন্তত ১৫ পিএসআই (পাউন্ড পার স্কয়ার ইঞ্চি), সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ১ থেকে ২ পিএসআই। এত কম চাপে জেনারেটর ও বয়লার চালানো যাচ্ছে না। সে কারণে বস্ত্র কারখানাগুলো বন্ধ থাকছে। এর বিকল্প হিসেবে কোনো কোনো কারখানা ডিজেল জেনারেটর দিয়ে চালু রেখেছে। এতে খরচ অনেক বেশি পড়ে যাচ্ছে। বাড়তি খরচের কারণে প্রতিযোগিতামূলক এই শিল্পে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
বস্ত্র কারখানার মালিকেরা বলছেন, এই খাতের কারখানাগুলোতে ব্যবহৃত গ্যাসের ৭৫ শতাংশই বাষ্প তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়, বাকিটা বিদ্যুৎ উৎপাদনে। গ্যাস-সংকটের কারণে কারখানা চালু করা যাচ্ছে না। আর এ কারণে নিটের রপ্তানি পোশাকের উৎপাদন অন্তত ৪০ শতাংশ কমেছে।
ঢাকার পাশেই গাজীপুরে এখন তৈরি পোশাকশিল্পের বড় হাব। এই জেলার বোর্ডবাজার, বাসন সড়ক, জয়দেবপুর, কড্ডা, কোনাবাড়ী, কাশিমপুর ও কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর, মৌচাক, কালিয়াকৈর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস-সংকট রয়েছে।
চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে থাকা কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) চট্টগ্রাম নগর, নয়টি উপজেলা ও রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পেপার মিলে গ্যাস সরবরাহ করে। কোম্পানিটির গ্রাহক সংযোগ আছে ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪টি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা, আগ্রাবাদ, চান্দগাঁও, বায়েজিদ বাকলিয়া, চকবাজার, চাক্তাই, বহদ্দারহাট, জামালখান, কাজীর দেউড়ি, আন্দরকিল্লা এলাকায় গ্যাসের চাপ না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
সংকটের মূলে এলএনজিনির্ভরতা
গ্যাস-সংকটের সমাধানে দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের ওপর জোর না দিয়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির ওপর জোর দিয়েছিল বিগত সরকার। দুটি এলএনজি টার্মিনাল দিয়ে দৈনিক ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছিল। এতে চাপ বাড়ে বৈদেশিক মুদ্রার ওপর। এলএনজিনির্ভরতা সংকট আরও বাড়িয়েছে জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এলএনজির পক্ষে প্রচার চালাতে গিয়ে বলা হয়েছিল, দেশে গ্যাস নেই। অথচ দেশের স্থলভাগে মাত্র ১০ শতাংশ এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধান হয়েছে, ৯০ শতাংশ এলাকায় অনুসন্ধান করা হয়নি। অনুসন্ধান বাকি থাকা এলাকায় বড় গ্যাসের সন্ধান মিলতে পারে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে কাজ করে এমন তিনটি বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষা বলেছে, বাংলাদেশে অনাবিষ্কৃত গ্যাসের মজুত ৩২ থেকে ৪২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। দেশে প্রতিবছর গ্যাসের চাহিদা ১ টিসিএফ। এ হিসাবে অন্তত ৩০ বছরের গ্যাসের মজুত রয়েছে দেশে। এই বিপুল পরিমাণ গ্যাস উত্তোলনের ব্যবস্থা না করেই কয়েক বছর ধরে বলা হচ্ছে দেশে আর গ্যাস নেই, বিদেশ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিই একমাত্র ভরসা।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, দেশের মাত্র ১০ ভাগ এলাকা অনুসন্ধানের আওতায় এসেছে, বাকি এলাকায় অনুসন্ধান না করেই যারা বলছেন গ্যাস নেই। বেঙ্গল বেসিন বা ব-দ্বীপ এলাকার ত্রিমাত্রিক জরিপ বলছে, সমতলে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস রয়েছে। তিন পার্বত্য জেলা ও সাগর ভাগে নিশ্চিত গ্যাস আছে। এসব গ্যাস তোলার বাস্তবসম্মত কোনো পদক্ষেপ নেই। অথচ এলএনজি কেনার হিড়িক পড়েছে। দেশীয় গ্যাস উত্তোলনের ওপর বড় নজর দেওয়ার পরামর্শ এই বিশেষজ্ঞের।
এলএনজিনির্ভরতায় কার লাভ
গত সরকার দেশীয় গ্যাস উৎপাদনের চেয়ে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির দিকে বেশি নজর দিয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, অ্যাকসিলারেট এনার্জি ২০১৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশে সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল সেবা শুরু করে। এই কাজটি তারা পায় বিনা দরপত্রে বিশেষ আইনে। সেবা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে প্রতিবছর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে সরকারের। সে হিসাবে ১৫ বছরে এ বাবদ দিতে হবে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। ১৩ বছরের পুরোনো এলএনজি জাহাজ দিয়ে এই সেবা শুরু করায় শুরুতেই প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, জাহাজ না কিনে ভাড়া নিয়ে মূলত সরকার বিদেশি কোম্পানিকে বিশেষ সেবা দিচ্ছে। অ্যাকসিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ থেকে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছরে ফিক্সড কস্ট (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) পেয়েছে ২৫ কোটি ৯৬ লাখ ৪৯ হাজার ডলার।
২০১৭ সালে সামিট গ্রুপ বিনা দরপত্রে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অনুমতি পায়। এরপর তারা টার্মিনালটি অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দিয়ে দেয়। ২০১৯ সালের এপ্রিলে এই টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করে সামিট। প্রতিবছর সামিট গ্রুপ সরকারের কাছ থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা এলএনজির টার্মিনাল ভাড়া বাবদ নেয়। এর একটি অংশ তারা অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দেয় জাহাজভাড়ার অংশ হিসেবে। এ ছাড়া সরকারের সঙ্গে অ্যাকসিলারেট এনার্জির থেকে ১৫ বছর মেয়াদে এলএনজি আমদানির চুক্তিও রয়েছে।

দেশে দৈনিক ৪৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে পেট্রোবাংলা দৈনিক ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। এতে সারা বছরই গ্যাস-সংকটে ভোগে শিল্পকারখানাগুলো। চলমান শীতে সংকট আরও বেড়েছে। গ্যাসের চাপ কমায় রাজধানীর বড় অংশে সারা দিন বাসাবাড়িতে গ্যাস থাকছে না। এতে জ্বলছে না রান্নার চুলা। গ্যাস না পেয়ে ধুঁকছে ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রামসহ প্রধান শিল্পাঞ্চলগুলোর অনেক কারখানা।
সারা দিনে গ্যাস না মেলায় রান্নার কাজ সারতে গলদঘর্ম অবস্থা রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলের গৃহিণীদের। সন্ধ্যার পর গ্যাসের চুলা জ্বললেও সেই আঁচে রান্না করতে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে বনশ্রী, মিরপুর, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, বাসাবো, আজিমপুর, কমলাপুর, গোলাপবাগ, গোপীবাগ, মানিকনগর, ওয়ারী, পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর বড় একটি এলাকার বাসিন্দাদের। এসব এলাকায় গ্যাসের চাপ অনেক কম।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মো. এনায়েত করিম বলেন, গ্যাস না থাকায় বাসায় রান্নার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। চুলায় এত কম চাপ থাকে যে রান্নার কাজ শেষ করা যায় না। একই রকম অভিজ্ঞতা পশ্চিম ধানমন্ডির বাসিন্দা কাজী রাকিবউদ্দীনের। তিনি বলেন, বাসায় রান্না হচ্ছে না। কারণ, গ্যাসের চাপ না থাকায় চুলা জ্বলছে না।
রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা মো. শফিউল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারা দিন গ্যাস আসে না। রাতে চুলা যতটুকু জ্বলে সেই আঁচে রান্না করতে অনেক সময় লাগে। হোটেল থেকে কেনা খাবারই এখন ভরসা।
সংকট সমাধান কবে নাগাদ হবে—জানতে চাইলে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিতাস গ্যাস এলাকায় ২৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। পেট্রোবাংলা আমাদের এই চাহিদার বিপরীতে ১৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস দিত। সেটা এই শীতে নেমে এসেছে ১৪০ কোটি ঘনফুটে। যদি গ্যাসের উৎপাদন না বাড়ানো যায়, তাহলে গ্যাস-সংকটের স্থায়ী সমাধান হবে না।’
ধুঁকছে শিল্পকারখানা
দেশের শিল্পকারখানায় গ্যাসের সংকট অনেক দিন ধরে। বড় তদবির না হলে শিল্পকারখানায় গ্যাস-সংযোগ মেলে না। আর চালু থাকা কলকারখানায় গ্যাসের চাপও ঠিক নেই। জ্বালানি সংকটের কারণে বেশির ভাগ কারখানা মাত্র ৩০ শতাংশ সক্ষমতা নিয়ে চলছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাস-সংকটে নাকাল বস্ত্র খাতের কারখানাগুলো। এখন সংকট আরও বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিস্থিতি খারাপ নারায়ণগঞ্জের ভুলতা, গাউছিয়া, রূপগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ শহর এলাকার কারখানাগুলোর। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, গাজীপুর, ঢাকার সাভার, চট্টগ্রাম, নরসিংদীসহ দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে এই সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে বস্ত্র খাতে বেশি গ্যাস ব্যবহৃত হয়। বস্ত্র কারখানায় বাস্প তৈরিতে গ্যাসের ব্যবহার করা হয়। কারখানায় গ্যাসের চাপ থাকার কথা অন্তত ১৫ পিএসআই (পাউন্ড পার স্কয়ার ইঞ্চি), সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ১ থেকে ২ পিএসআই। এত কম চাপে জেনারেটর ও বয়লার চালানো যাচ্ছে না। সে কারণে বস্ত্র কারখানাগুলো বন্ধ থাকছে। এর বিকল্প হিসেবে কোনো কোনো কারখানা ডিজেল জেনারেটর দিয়ে চালু রেখেছে। এতে খরচ অনেক বেশি পড়ে যাচ্ছে। বাড়তি খরচের কারণে প্রতিযোগিতামূলক এই শিল্পে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
বস্ত্র কারখানার মালিকেরা বলছেন, এই খাতের কারখানাগুলোতে ব্যবহৃত গ্যাসের ৭৫ শতাংশই বাষ্প তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়, বাকিটা বিদ্যুৎ উৎপাদনে। গ্যাস-সংকটের কারণে কারখানা চালু করা যাচ্ছে না। আর এ কারণে নিটের রপ্তানি পোশাকের উৎপাদন অন্তত ৪০ শতাংশ কমেছে।
ঢাকার পাশেই গাজীপুরে এখন তৈরি পোশাকশিল্পের বড় হাব। এই জেলার বোর্ডবাজার, বাসন সড়ক, জয়দেবপুর, কড্ডা, কোনাবাড়ী, কাশিমপুর ও কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর, মৌচাক, কালিয়াকৈর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস-সংকট রয়েছে।
চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে থাকা কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) চট্টগ্রাম নগর, নয়টি উপজেলা ও রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পেপার মিলে গ্যাস সরবরাহ করে। কোম্পানিটির গ্রাহক সংযোগ আছে ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪টি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা, আগ্রাবাদ, চান্দগাঁও, বায়েজিদ বাকলিয়া, চকবাজার, চাক্তাই, বহদ্দারহাট, জামালখান, কাজীর দেউড়ি, আন্দরকিল্লা এলাকায় গ্যাসের চাপ না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
সংকটের মূলে এলএনজিনির্ভরতা
গ্যাস-সংকটের সমাধানে দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের ওপর জোর না দিয়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির ওপর জোর দিয়েছিল বিগত সরকার। দুটি এলএনজি টার্মিনাল দিয়ে দৈনিক ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছিল। এতে চাপ বাড়ে বৈদেশিক মুদ্রার ওপর। এলএনজিনির্ভরতা সংকট আরও বাড়িয়েছে জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এলএনজির পক্ষে প্রচার চালাতে গিয়ে বলা হয়েছিল, দেশে গ্যাস নেই। অথচ দেশের স্থলভাগে মাত্র ১০ শতাংশ এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধান হয়েছে, ৯০ শতাংশ এলাকায় অনুসন্ধান করা হয়নি। অনুসন্ধান বাকি থাকা এলাকায় বড় গ্যাসের সন্ধান মিলতে পারে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে কাজ করে এমন তিনটি বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষা বলেছে, বাংলাদেশে অনাবিষ্কৃত গ্যাসের মজুত ৩২ থেকে ৪২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। দেশে প্রতিবছর গ্যাসের চাহিদা ১ টিসিএফ। এ হিসাবে অন্তত ৩০ বছরের গ্যাসের মজুত রয়েছে দেশে। এই বিপুল পরিমাণ গ্যাস উত্তোলনের ব্যবস্থা না করেই কয়েক বছর ধরে বলা হচ্ছে দেশে আর গ্যাস নেই, বিদেশ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিই একমাত্র ভরসা।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, দেশের মাত্র ১০ ভাগ এলাকা অনুসন্ধানের আওতায় এসেছে, বাকি এলাকায় অনুসন্ধান না করেই যারা বলছেন গ্যাস নেই। বেঙ্গল বেসিন বা ব-দ্বীপ এলাকার ত্রিমাত্রিক জরিপ বলছে, সমতলে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস রয়েছে। তিন পার্বত্য জেলা ও সাগর ভাগে নিশ্চিত গ্যাস আছে। এসব গ্যাস তোলার বাস্তবসম্মত কোনো পদক্ষেপ নেই। অথচ এলএনজি কেনার হিড়িক পড়েছে। দেশীয় গ্যাস উত্তোলনের ওপর বড় নজর দেওয়ার পরামর্শ এই বিশেষজ্ঞের।
এলএনজিনির্ভরতায় কার লাভ
গত সরকার দেশীয় গ্যাস উৎপাদনের চেয়ে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির দিকে বেশি নজর দিয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, অ্যাকসিলারেট এনার্জি ২০১৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশে সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল সেবা শুরু করে। এই কাজটি তারা পায় বিনা দরপত্রে বিশেষ আইনে। সেবা ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে প্রতিবছর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে সরকারের। সে হিসাবে ১৫ বছরে এ বাবদ দিতে হবে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। ১৩ বছরের পুরোনো এলএনজি জাহাজ দিয়ে এই সেবা শুরু করায় শুরুতেই প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, জাহাজ না কিনে ভাড়া নিয়ে মূলত সরকার বিদেশি কোম্পানিকে বিশেষ সেবা দিচ্ছে। অ্যাকসিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ থেকে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছরে ফিক্সড কস্ট (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) পেয়েছে ২৫ কোটি ৯৬ লাখ ৪৯ হাজার ডলার।
২০১৭ সালে সামিট গ্রুপ বিনা দরপত্রে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের অনুমতি পায়। এরপর তারা টার্মিনালটি অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দিয়ে দেয়। ২০১৯ সালের এপ্রিলে এই টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করে সামিট। প্রতিবছর সামিট গ্রুপ সরকারের কাছ থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা এলএনজির টার্মিনাল ভাড়া বাবদ নেয়। এর একটি অংশ তারা অ্যাকসিলারেট এনার্জিকে দেয় জাহাজভাড়ার অংশ হিসেবে। এ ছাড়া সরকারের সঙ্গে অ্যাকসিলারেট এনার্জির থেকে ১৫ বছর মেয়াদে এলএনজি আমদানির চুক্তিও রয়েছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৩৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এরপর থেকেই আসতে থাকেন দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ মঙ্গলবার রাতে শোকবইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সারয়ার ফারুকী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানের বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এরপর থেকেই আসতে থাকেন দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ মঙ্গলবার রাতে শোকবইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সারয়ার ফারুকী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানের বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

দেশে দৈনিক ৪৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে পেট্রোবাংলা দৈনিক ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। এতে সারা বছরই গ্যাস-সংকটে ভোগে শিল্পকারখানাগুলো। চলমান শীতে সংকট আরও বেড়েছে। গ্যাসের চাপ কমায় রাজধানীর বড় অংশে সারা দিন বাসাবাড়িতে গ্যাস থাকছে না। এতে জ্বলছে না রান্নার চুলা।
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।
সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।
সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

দেশে দৈনিক ৪৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে পেট্রোবাংলা দৈনিক ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। এতে সারা বছরই গ্যাস-সংকটে ভোগে শিল্পকারখানাগুলো। চলমান শীতে সংকট আরও বেড়েছে। গ্যাসের চাপ কমায় রাজধানীর বড় অংশে সারা দিন বাসাবাড়িতে গ্যাস থাকছে না। এতে জ্বলছে না রান্নার চুলা।
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৩৩ মিনিট আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

দেশে দৈনিক ৪৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে পেট্রোবাংলা দৈনিক ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। এতে সারা বছরই গ্যাস-সংকটে ভোগে শিল্পকারখানাগুলো। চলমান শীতে সংকট আরও বেড়েছে। গ্যাসের চাপ কমায় রাজধানীর বড় অংশে সারা দিন বাসাবাড়িতে গ্যাস থাকছে না। এতে জ্বলছে না রান্নার চুলা।
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৩৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।
এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
Sardar Ayaz Sadiq, Speaker, National Assembly of Pakistan, will represent Pakistan tomorrow at the funeral of Late Begum Khaleda Zia in Dhaka, Bangladesh. https://t.co/BBV93jK5a7
— Ishaq Dar (@MIshaqDar50) December 30, 2025

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।
এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
Sardar Ayaz Sadiq, Speaker, National Assembly of Pakistan, will represent Pakistan tomorrow at the funeral of Late Begum Khaleda Zia in Dhaka, Bangladesh. https://t.co/BBV93jK5a7
— Ishaq Dar (@MIshaqDar50) December 30, 2025

দেশে দৈনিক ৪৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে পেট্রোবাংলা দৈনিক ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। এতে সারা বছরই গ্যাস-সংকটে ভোগে শিল্পকারখানাগুলো। চলমান শীতে সংকট আরও বেড়েছে। গ্যাসের চাপ কমায় রাজধানীর বড় অংশে সারা দিন বাসাবাড়িতে গ্যাস থাকছে না। এতে জ্বলছে না রান্নার চুলা।
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৩৩ মিনিট আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
১ ঘণ্টা আগে