শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ২০১৪ সালে। এর আগে পুলিশে হাজার দেড়েক উপপরিদর্শক (এসআই) নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১২ সালের শুরুতে। নতুন এই এসআইদের ভোটের আগেই মাঠে নামাতে আশ্রয় নেওয়া হয় নানা অনিয়মের। দুই বছরের প্রশিক্ষণ কমিয়ে করা হয় এক বছর। লিখিত পরীক্ষা শেষে মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) নেওয়ার আগেই করা হয় পুলিশ ভেরিফিকেশন। কোটার বরাদ্দ ভেঙে প্রাধান্য পায় গোপালগঞ্জ জেলা। নিয়োগের তালিকা চূড়ান্ত হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রভাবশালী পুলিশদের একটি সিন্ডিকেটের হাত ধরে।
অনিয়মের সেই শুরু। এর পর থেকে টানা এক যুগ ধরে এসআই নিয়োগে চলতে থাকে এসব অনিময়। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এভাবে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ পেয়েছেন প্রায় ১০ হাজার এসআই।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলেছে, বিগত সময়ে এসআই নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কারও বিরুদ্ধে অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ বাহিনীকে দলীয়করণের মাধ্যমে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করেছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়, গুম, হত্যা, নির্যাতন, দমনপীড়নে পুলিশকে ব্যবহার করা হয়েছে। এ জন্য দলীয় লোকজনকে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১২ সালে ৩৩তম ক্যাডেট এসআই নিয়োগ দেওয়া হয়। ৩২তম ক্যাডেট এসআই নিয়োগ পর্যন্ত দুই বছরের বনিয়াদি প্রশিক্ষণ এবং এরপর দুই বছর শিক্ষানবিশকাল ছিল। কিন্তু ৩৩তম ব্যাচে নিয়োগের আগে ২০১২ সালের ১৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ শাখা-২-এর এক প্রজ্ঞাপনে বনিয়াদি প্রশিক্ষণ কমিয়ে ১ বছর ও শিক্ষানবিশকালও করে ১ বছর। পুলিশ অ্যাক্ট, ১৮৬১-এর সেকশন-২-এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পুলিশ রেগুলেশনস, বেঙ্গল (পিআরবি), ১৯৪৩-এর রেগুলেশনস ৭৯১-এর সংশোধনের পর সরকার এই কাটছাঁট করে। শিক্ষানবিশকালে এসআইরা মাঠে অভিযান, গ্রেপ্তার ও মামলার তদন্ত করতে পারেন না। প্রশিক্ষণ ও শিক্ষানবিশকাল কমিয়ে অর্ধেক করায় ৩৩তম ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্তরা সহজে দশম সংসদ নির্বাচনে মাঠে থাকার সুযোগ পান।
সূত্র জানায়, ৩৩তম ব্যাচে অন্তত ১ হাজার ৪৫০ জন ক্যাডেট এসআই বনিয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু করলেও চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে শিক্ষানবিশ এসআই পদে নিয়োগ পান ১ হাজার ৩৫০ জন।
৩৩তম ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্তদের একজন বর্তমানে রাজশাহী রেঞ্জে কর্মরত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রশিক্ষণ ও শিক্ষানবিশকাল কমানোর ফলে তাঁদের সঙ্গে ২০১২ সালে নিয়োগপ্রাপ্তরা দ্রুত মাঠের কাজে অংশ নিতে পেরেছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক মুহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনে পুলিশকে ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণের সময় কমানো হলে সন্দেহ করা যেতেই পারে। তবে প্রশিক্ষণের সময় কমিয়ে দ্রুত নিয়োগ দেওয়ার কাজটি সঠিক নয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, এসআই নিয়োগে প্রাথমিক বাছাই করে এবং লিখিত পরীক্ষা নেয় পুলিশের রেঞ্জ কার্যালয়। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের পাঁচ সদস্যের কেন্দ্রীয় দল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার (ভাইভা) নেয়। ওই সাক্ষাৎকারের পর নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। পিআরবির ৭৪১ ও ৭৪২ প্রবিধান অনুযায়ী, এসআই পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা, ভাইভা ও চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে সারদায় পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়। সেখানে উত্তীর্ণরা শিক্ষানবিশ এসআই হিসেবে প্রাথমিক নিয়োগ পান।
২০১২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আটটি (৩৩তম থেকে ৪০তম) ব্যাচে অন্তত ১০ হাজার এসআই নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে ৩৬তম থেকে ৪০তম ব্যাচে এসআই নিয়োগের নথি পর্যালোচনা করা হয়। এতে দেখা যায়, ২০১৬ সালে ৩৬তম ব্যাচে ১ হাজার ৩৭৮, ২০১৭ সালে ৩৭তম ব্যাচে ১ হাজার ৮০৯, ২০১৯ সালে ৩৮তম ব্যাচে ১ হাজার ২৩১, ২০২২ সালে ৩৯তম ব্যাচে ৭৬১ এবং সর্বশেষ ২০২৩ সালে ৪০তম ব্যাচে ৮০৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই পাঁচবারে নিয়োগ পেয়েছেন মোট ৫ হাজার ৯৮৩ এসআই। এর আগে ৩৫তম ব্যাচে নিয়োগ পান ১ হাজার ২২১ জন। এই পাঁচটি ব্যাচে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া আছেন ৬৬৫ জন। তাঁরা সবাই ছাত্রলীগের কোটায় নিয়োগ পেয়েছেন বলে জনশ্রুতি আছে।
অভিযোগ উঠেছে, এসব ব্যাচের নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার পর উত্তীর্ণদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার আগেই পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হয়, যাতে সাক্ষাৎকারের আগেই প্রার্থীর এবং তাঁর পরিবারের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। অথচ বিগত সময়ে নিয়োগ চূড়ান্ত করার আগে পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হতো না।
এ বিষয়ে সাবেক আইজিপি মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, সাক্ষাৎকারের আগে সাধারণত পুলিশ ভেরিফিকেশন হওয়া উচিত নয়। কারণ, সাক্ষাৎকারের আগে জানা যায় না কাকে নেওয়া হবে। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বেশি নিয়োগপ্রাপ্ত গোপালগঞ্জসহ বৃহত্তর ফরিদপুরের
অভিযোগ রয়েছে, এসআই পদে ওই আট ব্যাচের নিয়োগে জেলা কোটা মানা হয়নি। কোটা লঙ্ঘন করে বেশি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর জেলার প্রার্থীদের। অন্য জেলার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং দলীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত পরিবারের সদস্যদের।
২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা বাতিলের পরিপত্র জারির আগপর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা, জেলা, নারী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী—এই পাঁচ ক্যাটাগরিতে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। ৩৬তম থেকে ৪০তম ব্যাচের নিয়োগ পর্যালোচনায় দেখা যায়, জেলা কোটা অনুযায়ী গোপালগঞ্জের শতকরা শূন্য দশমিক ৮১ জন প্রার্থী নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ থাকলেও পেয়েছেন ৩ দশমিক ৮৮ জন; যা সংখ্যায় ২৩২ জন। ফরিদপুরের শতকরা ১ দশমিক ৩৩ জন নিয়োগের সুযোগ থাকলেও দেওয়া হয়েছে ১৮৭ জন। শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ কোটার সুযোগ থাকা মাদারীপুরের নিয়োগ পেয়েছেন ১৩৩ জন। গোপালগঞ্জের আশপাশের জেলার প্রার্থীরাও বেশি নিয়োগ পেয়েছেন। বিগত সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার বাড়ি গোপালগঞ্জে।
অভিযোগ রয়েছে, গোপালগঞ্জে বাড়ি—এমন কোনো কোনো প্রার্থী অন্য জেলার কোটায় চাকরি পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রে স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন। এই অভিযোগও তদন্ত করছে পুলিশ সদর দপ্তর।
সুপারিশের পর নিয়োগ না পাওয়ার নজিরও আছে। এমন ৬৫ জন সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়ার দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন। তাঁদের দাবি, আওয়ামী লীগের রাজনীতি না করায় কিংবা পরিবারের কেউ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়নি।
সূত্র বলেছে, এসআই নিয়োগের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপিদের সুপারিশও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তো আছেই। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে পুলিশ সদর দপ্তরের দু-তিনজন ডিআইজির যোগসাজশে একটি চক্র নিয়োগের তালিকা সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করত বলে জানা গেছে।
সার্বিক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলপ্রীতি, স্বজনপ্রীতির এ নিয়োগ পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে রূপান্তর করেছে। এ জন্য পুলিশ পেশাদারত্ব হারিয়ে দেউলিয়াত্ব হয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এভাবেই ধ্বংস করা হয়েছে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ২০১৪ সালে। এর আগে পুলিশে হাজার দেড়েক উপপরিদর্শক (এসআই) নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১২ সালের শুরুতে। নতুন এই এসআইদের ভোটের আগেই মাঠে নামাতে আশ্রয় নেওয়া হয় নানা অনিয়মের। দুই বছরের প্রশিক্ষণ কমিয়ে করা হয় এক বছর। লিখিত পরীক্ষা শেষে মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) নেওয়ার আগেই করা হয় পুলিশ ভেরিফিকেশন। কোটার বরাদ্দ ভেঙে প্রাধান্য পায় গোপালগঞ্জ জেলা। নিয়োগের তালিকা চূড়ান্ত হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রভাবশালী পুলিশদের একটি সিন্ডিকেটের হাত ধরে।
অনিয়মের সেই শুরু। এর পর থেকে টানা এক যুগ ধরে এসআই নিয়োগে চলতে থাকে এসব অনিময়। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এভাবে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ পেয়েছেন প্রায় ১০ হাজার এসআই।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলেছে, বিগত সময়ে এসআই নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কারও বিরুদ্ধে অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ বাহিনীকে দলীয়করণের মাধ্যমে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করেছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়, গুম, হত্যা, নির্যাতন, দমনপীড়নে পুলিশকে ব্যবহার করা হয়েছে। এ জন্য দলীয় লোকজনকে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১২ সালে ৩৩তম ক্যাডেট এসআই নিয়োগ দেওয়া হয়। ৩২তম ক্যাডেট এসআই নিয়োগ পর্যন্ত দুই বছরের বনিয়াদি প্রশিক্ষণ এবং এরপর দুই বছর শিক্ষানবিশকাল ছিল। কিন্তু ৩৩তম ব্যাচে নিয়োগের আগে ২০১২ সালের ১৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ শাখা-২-এর এক প্রজ্ঞাপনে বনিয়াদি প্রশিক্ষণ কমিয়ে ১ বছর ও শিক্ষানবিশকালও করে ১ বছর। পুলিশ অ্যাক্ট, ১৮৬১-এর সেকশন-২-এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পুলিশ রেগুলেশনস, বেঙ্গল (পিআরবি), ১৯৪৩-এর রেগুলেশনস ৭৯১-এর সংশোধনের পর সরকার এই কাটছাঁট করে। শিক্ষানবিশকালে এসআইরা মাঠে অভিযান, গ্রেপ্তার ও মামলার তদন্ত করতে পারেন না। প্রশিক্ষণ ও শিক্ষানবিশকাল কমিয়ে অর্ধেক করায় ৩৩তম ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্তরা সহজে দশম সংসদ নির্বাচনে মাঠে থাকার সুযোগ পান।
সূত্র জানায়, ৩৩তম ব্যাচে অন্তত ১ হাজার ৪৫০ জন ক্যাডেট এসআই বনিয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু করলেও চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে শিক্ষানবিশ এসআই পদে নিয়োগ পান ১ হাজার ৩৫০ জন।
৩৩তম ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্তদের একজন বর্তমানে রাজশাহী রেঞ্জে কর্মরত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রশিক্ষণ ও শিক্ষানবিশকাল কমানোর ফলে তাঁদের সঙ্গে ২০১২ সালে নিয়োগপ্রাপ্তরা দ্রুত মাঠের কাজে অংশ নিতে পেরেছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক মুহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনে পুলিশকে ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণের সময় কমানো হলে সন্দেহ করা যেতেই পারে। তবে প্রশিক্ষণের সময় কমিয়ে দ্রুত নিয়োগ দেওয়ার কাজটি সঠিক নয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, এসআই নিয়োগে প্রাথমিক বাছাই করে এবং লিখিত পরীক্ষা নেয় পুলিশের রেঞ্জ কার্যালয়। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের পাঁচ সদস্যের কেন্দ্রীয় দল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার (ভাইভা) নেয়। ওই সাক্ষাৎকারের পর নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। পিআরবির ৭৪১ ও ৭৪২ প্রবিধান অনুযায়ী, এসআই পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা, ভাইভা ও চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে সারদায় পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়। সেখানে উত্তীর্ণরা শিক্ষানবিশ এসআই হিসেবে প্রাথমিক নিয়োগ পান।
২০১২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আটটি (৩৩তম থেকে ৪০তম) ব্যাচে অন্তত ১০ হাজার এসআই নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে ৩৬তম থেকে ৪০তম ব্যাচে এসআই নিয়োগের নথি পর্যালোচনা করা হয়। এতে দেখা যায়, ২০১৬ সালে ৩৬তম ব্যাচে ১ হাজার ৩৭৮, ২০১৭ সালে ৩৭তম ব্যাচে ১ হাজার ৮০৯, ২০১৯ সালে ৩৮তম ব্যাচে ১ হাজার ২৩১, ২০২২ সালে ৩৯তম ব্যাচে ৭৬১ এবং সর্বশেষ ২০২৩ সালে ৪০তম ব্যাচে ৮০৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই পাঁচবারে নিয়োগ পেয়েছেন মোট ৫ হাজার ৯৮৩ এসআই। এর আগে ৩৫তম ব্যাচে নিয়োগ পান ১ হাজার ২২১ জন। এই পাঁচটি ব্যাচে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া আছেন ৬৬৫ জন। তাঁরা সবাই ছাত্রলীগের কোটায় নিয়োগ পেয়েছেন বলে জনশ্রুতি আছে।
অভিযোগ উঠেছে, এসব ব্যাচের নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার পর উত্তীর্ণদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার আগেই পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হয়, যাতে সাক্ষাৎকারের আগেই প্রার্থীর এবং তাঁর পরিবারের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। অথচ বিগত সময়ে নিয়োগ চূড়ান্ত করার আগে পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হতো না।
এ বিষয়ে সাবেক আইজিপি মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, সাক্ষাৎকারের আগে সাধারণত পুলিশ ভেরিফিকেশন হওয়া উচিত নয়। কারণ, সাক্ষাৎকারের আগে জানা যায় না কাকে নেওয়া হবে। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বেশি নিয়োগপ্রাপ্ত গোপালগঞ্জসহ বৃহত্তর ফরিদপুরের
অভিযোগ রয়েছে, এসআই পদে ওই আট ব্যাচের নিয়োগে জেলা কোটা মানা হয়নি। কোটা লঙ্ঘন করে বেশি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর জেলার প্রার্থীদের। অন্য জেলার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং দলীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত পরিবারের সদস্যদের।
২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা বাতিলের পরিপত্র জারির আগপর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা, জেলা, নারী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী—এই পাঁচ ক্যাটাগরিতে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। ৩৬তম থেকে ৪০তম ব্যাচের নিয়োগ পর্যালোচনায় দেখা যায়, জেলা কোটা অনুযায়ী গোপালগঞ্জের শতকরা শূন্য দশমিক ৮১ জন প্রার্থী নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ থাকলেও পেয়েছেন ৩ দশমিক ৮৮ জন; যা সংখ্যায় ২৩২ জন। ফরিদপুরের শতকরা ১ দশমিক ৩৩ জন নিয়োগের সুযোগ থাকলেও দেওয়া হয়েছে ১৮৭ জন। শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ কোটার সুযোগ থাকা মাদারীপুরের নিয়োগ পেয়েছেন ১৩৩ জন। গোপালগঞ্জের আশপাশের জেলার প্রার্থীরাও বেশি নিয়োগ পেয়েছেন। বিগত সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার বাড়ি গোপালগঞ্জে।
অভিযোগ রয়েছে, গোপালগঞ্জে বাড়ি—এমন কোনো কোনো প্রার্থী অন্য জেলার কোটায় চাকরি পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রে স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন। এই অভিযোগও তদন্ত করছে পুলিশ সদর দপ্তর।
সুপারিশের পর নিয়োগ না পাওয়ার নজিরও আছে। এমন ৬৫ জন সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়ার দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন। তাঁদের দাবি, আওয়ামী লীগের রাজনীতি না করায় কিংবা পরিবারের কেউ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়নি।
সূত্র বলেছে, এসআই নিয়োগের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপিদের সুপারিশও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তো আছেই। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে পুলিশ সদর দপ্তরের দু-তিনজন ডিআইজির যোগসাজশে একটি চক্র নিয়োগের তালিকা সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করত বলে জানা গেছে।
সার্বিক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলপ্রীতি, স্বজনপ্রীতির এ নিয়োগ পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে রূপান্তর করেছে। এ জন্য পুলিশ পেশাদারত্ব হারিয়ে দেউলিয়াত্ব হয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এভাবেই ধ্বংস করা হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
২ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে অবস্থান ও চলাচল এড়িয়ে যেতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
৭ ঘণ্টা আগেতানিম আহমেদ, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এমন বিধানকে অস্পষ্ট মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনে একাধিক রাজনৈতিক নেতা দল বদল করেছেন। আবার কেউ কেউ দল বিলুপ্ত করে বড় দলে যোগ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের নেতারা অন্য কোনো দলে যোগ দিলে কী বিধান থাকবে, তা পরিষ্কার করা হয়নি।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আবদুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন এবং কী কারণে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নির্বাচন কমিশনকে পরিষ্কার করতে হবে। যেহেতু এক দল থেকে আরেক দলে যোগদান করা নিষিদ্ধ নয়, এ রকম অনেক উদাহরণ গত কয়েক দিনে হয়েছে।’
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রার্থীকে বলতে হবে, তিনি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সদস্য নন।
পরে যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে বিষয়টি মিথ্যাচার হিসেবে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে তিনি মিথ্যাবাদী।
কেউ নিষিদ্ধ দলের সঙ্গে জড়িত কি না, ইসি কীভাবে সেটি প্রমাণ করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, ‘আপনারা (গণমাধ্যম) জানিয়ে দেবেন, উনি (প্রার্থী) মিথ্যা কথা বলছেন। এরপর ইসি তদন্ত করে দেখবে, অভিযোগটি সত্য নাকি মিথ্যা।’ সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘সেটা নির্ভর করবে অপরাধের মাত্রার ওপরে।’
কী কারণে এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, কর্তৃপক্ষ মনে করেছে, এবার এমন একটা অঙ্গীকারনামা থাকা ভালো।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। যেখানে ২৩ পাতার মনোনয়ন ফরম পূরণ করতে হবে প্রার্থীদের। যার শেষ দুই পাতার তফসিল-১ ও ২ প্রার্থীদের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হবে।
তফসিল-১ অঙ্গীকারনামায় দলীয় প্রার্থী নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা সমমর্যাদার পদধারী এমন দুজনকে স্বাক্ষর দিতে হবে। যেখানে রাজনৈতিক দলের নাম ও নিবন্ধন নম্বর দিতে হবে।
রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকারনামার ক্ষেত্রে বলা আছে, ‘আমার দল এবং দল মনোনীত সব প্রার্থী সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫ বিধান মেনে চলব। দল বা দল মনোনীত কোনো প্রার্থী এই আচরণ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে আইন ও বিধিমালার বিধান অনুযায়ী শাস্তি মেনে নিতে বাধ্য থাকব।’
প্রার্থীর অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, ‘আমি অঙ্গীকার করেছি, আমি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।’ প্রার্থীর স্বাক্ষরের সঙ্গে দুজন সাক্ষীর নাম, স্বাক্ষর ও এনআইডি নম্বর দিতে হবে।
আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী আইন সংশোধন করে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলার অভিযোগপত্র গঠিত হলেই নির্বাচনে অযোগ্য হবেন অভিযুক্ত। আর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) বলা হয়েছে, ফেরারি আসামিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেরারি আসামিদের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণার প্রতিফলন হচ্ছে মনোনয়ন ফরমে নতুন বিধান যুক্ত করা। আর এখন যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, তাই বিষয়টি বলা হয়েছে। দলটির নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের বাইরে রাখতেই এমন বিধান রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এমন উদ্যোগের সমালোচনা করেছে আওয়ামী লীগের গত তিন সরকারের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন অংশ)। গতকাল দলের প্রার্থী ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেন দলের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
সংবাদ সম্মেলনে শামীম হায়দার বলেন, ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলের কর্মীদের মনোনয়ন না দেওয়ার বিধান অসাংবিধানিক। দল নিষিদ্ধ হলে তিনি স্বাভাবিকভাবে অন্য যেকোনো দলে আসতেই পারেন এবং ভোট করতে পারেন। এটা তো সাংবিধানিক অধিকার। তিনি সাজাপ্রাপ্ত ও নির্বাচনে অযোগ্য নন। ইসির এমন তফসিল অবিবেচনাপ্রসূত ও অসাংবিধানিক।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এমন বিধানকে অস্পষ্ট মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনে একাধিক রাজনৈতিক নেতা দল বদল করেছেন। আবার কেউ কেউ দল বিলুপ্ত করে বড় দলে যোগ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের নেতারা অন্য কোনো দলে যোগ দিলে কী বিধান থাকবে, তা পরিষ্কার করা হয়নি।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আবদুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন এবং কী কারণে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নির্বাচন কমিশনকে পরিষ্কার করতে হবে। যেহেতু এক দল থেকে আরেক দলে যোগদান করা নিষিদ্ধ নয়, এ রকম অনেক উদাহরণ গত কয়েক দিনে হয়েছে।’
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রার্থীকে বলতে হবে, তিনি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সদস্য নন।
পরে যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে বিষয়টি মিথ্যাচার হিসেবে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে তিনি মিথ্যাবাদী।
কেউ নিষিদ্ধ দলের সঙ্গে জড়িত কি না, ইসি কীভাবে সেটি প্রমাণ করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, ‘আপনারা (গণমাধ্যম) জানিয়ে দেবেন, উনি (প্রার্থী) মিথ্যা কথা বলছেন। এরপর ইসি তদন্ত করে দেখবে, অভিযোগটি সত্য নাকি মিথ্যা।’ সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘সেটা নির্ভর করবে অপরাধের মাত্রার ওপরে।’
কী কারণে এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, কর্তৃপক্ষ মনে করেছে, এবার এমন একটা অঙ্গীকারনামা থাকা ভালো।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। যেখানে ২৩ পাতার মনোনয়ন ফরম পূরণ করতে হবে প্রার্থীদের। যার শেষ দুই পাতার তফসিল-১ ও ২ প্রার্থীদের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হবে।
তফসিল-১ অঙ্গীকারনামায় দলীয় প্রার্থী নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা সমমর্যাদার পদধারী এমন দুজনকে স্বাক্ষর দিতে হবে। যেখানে রাজনৈতিক দলের নাম ও নিবন্ধন নম্বর দিতে হবে।
রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকারনামার ক্ষেত্রে বলা আছে, ‘আমার দল এবং দল মনোনীত সব প্রার্থী সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫ বিধান মেনে চলব। দল বা দল মনোনীত কোনো প্রার্থী এই আচরণ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে আইন ও বিধিমালার বিধান অনুযায়ী শাস্তি মেনে নিতে বাধ্য থাকব।’
প্রার্থীর অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, ‘আমি অঙ্গীকার করেছি, আমি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।’ প্রার্থীর স্বাক্ষরের সঙ্গে দুজন সাক্ষীর নাম, স্বাক্ষর ও এনআইডি নম্বর দিতে হবে।
আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী আইন সংশোধন করে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলার অভিযোগপত্র গঠিত হলেই নির্বাচনে অযোগ্য হবেন অভিযুক্ত। আর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) বলা হয়েছে, ফেরারি আসামিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেরারি আসামিদের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণার প্রতিফলন হচ্ছে মনোনয়ন ফরমে নতুন বিধান যুক্ত করা। আর এখন যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, তাই বিষয়টি বলা হয়েছে। দলটির নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের বাইরে রাখতেই এমন বিধান রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এমন উদ্যোগের সমালোচনা করেছে আওয়ামী লীগের গত তিন সরকারের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন অংশ)। গতকাল দলের প্রার্থী ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেন দলের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
সংবাদ সম্মেলনে শামীম হায়দার বলেন, ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলের কর্মীদের মনোনয়ন না দেওয়ার বিধান অসাংবিধানিক। দল নিষিদ্ধ হলে তিনি স্বাভাবিকভাবে অন্য যেকোনো দলে আসতেই পারেন এবং ভোট করতে পারেন। এটা তো সাংবিধানিক অধিকার। তিনি সাজাপ্রাপ্ত ও নির্বাচনে অযোগ্য নন। ইসির এমন তফসিল অবিবেচনাপ্রসূত ও অসাংবিধানিক।’

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ২০১৪ সালে। এর আগে পুলিশে হাজার দেড়েক উপপরিদর্শক (এসআই) নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১২ সালের শুরুতে। নতুন এই এসআইদের ভোটের আগেই মাঠে নামাতে আশ্রয় নেওয়া হয় নানা অনিয়মের।
০৮ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
২ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে অবস্থান ও চলাচল এড়িয়ে যেতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
৭ ঘণ্টা আগেপ্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা কার্যালয়গুলোতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ব্যাপক লুটপাট চালায়। বিশেষ করে প্রথম আলো কার্যালয় আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। একই রাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংহতি জানাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন সম্পাদক নূরুল কবীর। সাংবাদিক সমাজ এই ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ হিসেবে অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সম্মেলনে নূরুল কবীর বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে জানি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানটকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এক-দুই দিন আগে থেকেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কারা এই ঘোষণা দিয়েছে, তা এ দেশের মানুষ জানে এবং সরকারও জানে। ফৌজদারি অপরাধের এমন প্রকাশ্য ঘোষণার পরও সরকার তাদের গ্রেপ্তার করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সরকার হামলাকারীদের আগেভাগে থামায়নি বলেই আমরা মনে করি, সরকারের কোনো না কোনো অংশ এই ঘটনাটি ঘটতে দিয়েছে। একটি সংগঠিত শক্তি সেখানে গিয়ে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ইতিমধ্যে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে স্পষ্ট রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া গেছে।’
বিজেসি ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনেরা গণমাধ্যমের ওপর এ ধরনের হামলাকে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে বর্ণনা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন—সাবেক গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ডেইলি স্টারের কনসালটিং এডিটর কামাল আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিজেসি ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিজেসি উপদেষ্টা খায়রুল আনোয়ার।
বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার যেকোনো চেষ্টা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য হুমকি। এই হামলার ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে ভবিষ্যতে স্বাধীন সাংবাদিকতা ঝুঁকির মুখে পড়বে।
হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সাংবাদিক নেতারা এই হামলার নেপথ্যের মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করার এবং গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা কার্যালয়গুলোতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ব্যাপক লুটপাট চালায়। বিশেষ করে প্রথম আলো কার্যালয় আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। একই রাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংহতি জানাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন সম্পাদক নূরুল কবীর। সাংবাদিক সমাজ এই ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ হিসেবে অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সম্মেলনে নূরুল কবীর বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে জানি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানটকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এক-দুই দিন আগে থেকেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কারা এই ঘোষণা দিয়েছে, তা এ দেশের মানুষ জানে এবং সরকারও জানে। ফৌজদারি অপরাধের এমন প্রকাশ্য ঘোষণার পরও সরকার তাদের গ্রেপ্তার করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সরকার হামলাকারীদের আগেভাগে থামায়নি বলেই আমরা মনে করি, সরকারের কোনো না কোনো অংশ এই ঘটনাটি ঘটতে দিয়েছে। একটি সংগঠিত শক্তি সেখানে গিয়ে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ইতিমধ্যে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে স্পষ্ট রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া গেছে।’
বিজেসি ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনেরা গণমাধ্যমের ওপর এ ধরনের হামলাকে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে বর্ণনা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন—সাবেক গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ডেইলি স্টারের কনসালটিং এডিটর কামাল আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিজেসি ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিজেসি উপদেষ্টা খায়রুল আনোয়ার।
বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার যেকোনো চেষ্টা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য হুমকি। এই হামলার ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে ভবিষ্যতে স্বাধীন সাংবাদিকতা ঝুঁকির মুখে পড়বে।
হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সাংবাদিক নেতারা এই হামলার নেপথ্যের মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করার এবং গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ২০১৪ সালে। এর আগে পুলিশে হাজার দেড়েক উপপরিদর্শক (এসআই) নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১২ সালের শুরুতে। নতুন এই এসআইদের ভোটের আগেই মাঠে নামাতে আশ্রয় নেওয়া হয় নানা অনিয়মের।
০৮ অক্টোবর ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে অবস্থান ও চলাচল এড়িয়ে যেতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আজ শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান সিনিয়র সচিব।
আখতার আহমেদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান গুলশান এলাকায় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটার হওয়ার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। আজকেই হয়তো তাঁদের এনআইডি নম্বর দেওয়া হবে। কিন্তু তফসিল ঘোষণার পর ভোটার হওয়ার জন্য কমিশনের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। তাই আগামীকাল তাঁদের ভোটার হওয়ার নথি কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। আজ শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রথমে জাইমা রহমান এবং পরে তারেক রহমান এ দুই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আজ শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান সিনিয়র সচিব।
আখতার আহমেদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান গুলশান এলাকায় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটার হওয়ার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। আজকেই হয়তো তাঁদের এনআইডি নম্বর দেওয়া হবে। কিন্তু তফসিল ঘোষণার পর ভোটার হওয়ার জন্য কমিশনের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। তাই আগামীকাল তাঁদের ভোটার হওয়ার নথি কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। আজ শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রথমে জাইমা রহমান এবং পরে তারেক রহমান এ দুই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ২০১৪ সালে। এর আগে পুলিশে হাজার দেড়েক উপপরিদর্শক (এসআই) নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১২ সালের শুরুতে। নতুন এই এসআইদের ভোটের আগেই মাঠে নামাতে আশ্রয় নেওয়া হয় নানা অনিয়মের।
০৮ অক্টোবর ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
২ ঘণ্টা আগে
২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে অবস্থান ও চলাচল এড়িয়ে যেতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে অবস্থান ও চলাচল এড়িয়ে যেতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে আইএসপিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আগামী ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মিসাইল ফায়ারিং পরিচালিত হবে। এ সময় জানমালের নিরাপত্তায় সকল নৌযান, মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উক্ত এলাকায় অবস্থান ও চলাচল পরিহার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’

২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে অবস্থান ও চলাচল এড়িয়ে যেতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে আইএসপিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আগামী ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মিসাইল ফায়ারিং পরিচালিত হবে। এ সময় জানমালের নিরাপত্তায় সকল নৌযান, মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উক্ত এলাকায় অবস্থান ও চলাচল পরিহার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ২০১৪ সালে। এর আগে পুলিশে হাজার দেড়েক উপপরিদর্শক (এসআই) নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১২ সালের শুরুতে। নতুন এই এসআইদের ভোটের আগেই মাঠে নামাতে আশ্রয় নেওয়া হয় নানা অনিয়মের।
০৮ অক্টোবর ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
২ ঘণ্টা আগে
তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে