Ajker Patrika

সাঈদীর নামে ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করার অভিযোগ হাসিনাসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩: ০৩
সাঈদীর নামে ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করার অভিযোগ হাসিনাসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত আসামি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে বাধ্য হয়ে মামলা করা ও মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন এক বীর মুক্তিযোদ্ধা। আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর এই অভিযোগ করেছেন সাঈদীর বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী ও সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মাহবুবুল আলম হাওলাদার।

এ সময় মো. মাহবুবুল আলম হাওলাদারের সঙ্গে ছিলেন সাক্ষী আলতাফ হাওলাদার, সাক্ষী মাহাতাব উদ্দিন হাওলাদার ও সাক্ষী মধুসূদন ঘরামীর নাতি সুমন্ত মিস্ত্রি।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পিরোজপুরের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল, বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, তৎকালীন আইনপ্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির, বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম, তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন, সাবেক প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত, প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, প্রসিকিউটর সাইদুর রহমান, তৎকালীন তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক সানাউল হকসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগে মাহবুবুল আলম হাওলাদার বলেন, ‘উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হিসেবে আমার সঙ্গে তৎকালীন স্থানীয় এমপি এ কে এম আবদুল আউয়ালের ব্যক্তিগত পরিচয় ছিল। ২০০৯ সালের ৩১ আগস্ট ডেকে নিয়ে তিনি আমাকে সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেন। আমি বললাম, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারব না। তখন আউয়াল উত্তেজিত হয়ে বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ। তবুও আমি বলি, সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করতে পারব না। এই কথা শুনে আউয়াল সাহেব চেয়ার থেকে উঠে এসে আমাকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। ব্যথায় আমি চিৎকার করলে বাইরে থেকে হঠাৎ করে তানভীর মুজিব অভি, মিজানুর রহমান তালুকদারসহ কয়েকজন দল বেঁধে ঢুকে আমাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে এবং তারা বলতে থাকে, ‘‘তোকে মামলা করতেই হবে। না হয় তোকে মেরেই ফেলব।’’ আসামিদের অত্যাচারের একপর্যায়ে আমি কিছু সময়ের জন্য জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফিরলে আমাকে টেনেহিঁচড়ে আউয়াল তাঁর গাড়িতে করে নিয়ে যান পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের তৎকালীন পিপি আলাউদ্দিনের চেম্বারে।’

মাহবুবুল আলম আরও বলেন, ‘আলাউদ্দিন আগে থেকেই মামলার কাগজ প্রস্তুত করে রেখেছিলেন। তিনি আমাকে কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন। আমি স্বাক্ষর করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘‘সাঈদীর বিরুদ্ধে একটা মামলা করতে হবে, এটা সেই মামলার কাগজ। তুমি সই করো, বাকিটা আমি দেখব।’ আমি রাজী না হলে তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং মামলার কাগজে স্বাক্ষর না করলে হত্যার হুমকি দেন। একপর্যায়ে আলাউদ্দিন আমার গলা চেপে ধরেন। সেখানে আরও অনেকে উপস্তিত ছিল। তারা আমার মাথায় অস্ত্র ঠেকায়। মামলার কাগজে স্বাক্ষর না করলে গুলি করার হুমকি দেয়। আমি মৃত্যুভয় পেয়ে বাধ্য হয়ে মামলার কাগজে স্বাক্ষর করি এবং কোর্টে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আলাউদ্দিন, অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট দিলিপ কুমার, অ্যাডভোকেট শহিদুল হক পান্না ও অ্যাডভোকেট তরুণ ভট্টাচার্যের শেখানোমতে জবানবন্দি দিই। মামলা করার পর তাঁরাই আমাকে তাঁদের শেখানোমতে মামলার বিষয়টি নিয়ে মিডিয়াতে সাক্ষাৎকার দিতে বাধ্য করেন।’

মাহবুবুল আলম আরও বলেন, ‘২০১০ সালে এ কে এম আবদুল আউয়াল ও তাঁর ভাই হাবিবুর রহমান মালেকের নির্দেশে কয়েকজন লোক গিয়ে আমাকে ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী দিতে বলেন। না গেলে ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয়। সারা রাত নির্ঘুম কাটানোর পর ২০১০ সালের ২২ জুলাই আমাকে ঢাকায় নেওয়ার জন্য দুই মাইক্রোবাস ভর্তি করে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের লোকেরা আসে। তখন আমি জানের ভয়ে ঢাকায় আসতে বাধ্য হই। ঢাকায় নিযে এসে তারা আমাকে ধানমন্ডির একটি বাসায় রেখে কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। পরে জানতে পেরেছি, ওই বাসা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার অফিস আর উক্ত কাগজটি সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে মামলার কাগজ।’

সাঈদীর বিষয়ে মাহবুবুল আলম হাওলাদার বলেন, ‘একদিন আমাকে রাজলক্ষ্মী স্কুলে নিয়ে যায়। সেখানে মানিক পসারী, সুখরঞ্জন বালি, রুহুল আমিন নবীন, মধুসূদন ঘরামী, সুলতান, মফিজ পসারী, বাবুল পণ্ডিত, জলিল শেখ, গৌরাঙ্গসহ আরও অনেককে আমি দেখতে পাই। তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন আমাদের কাছে পিরোজপুর শহর ও ইন্দুরকানী থানায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালের সব ঘটনা জানতে চান। আমরা সব খুলে বলি। কিন্তু আমরা সেখানে কেউই সাঈদীর বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। তিনি রাজাকার ছিলেন না। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন আমাদের বলেন, ‘তোমরা পিরোজপুর শহর ও ইন্দুরকানীর যেসব ঘটনা বলেছ, সেসব ঘটনায় অন্য সব রাজাকারের নামের সঙ্গে সাঈদীর নামও বলতে হবে। তাইলে তোমাদের আর বেশি শেখানো লাগবে না। ঘটনা তো ঠিকই ঘটেছে, খালি ওই ঘটনায় সাঈদীর নামটা ঢুকিয়ে দিবা।’ আমরা একসঙ্গে সবাই বলে উঠি, ‘এটা আমরা পারব না।’ তখন হেলাল উদ্দিন পুলিশের মোটা লাঠি দিয়ে আমাদের মারতে শুরু করেন।’

সুখরঞ্জন বালির বিষয়ে মাহবুবুল আলম হাওলাদার বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকসেনারা সুখরঞ্জন বালির ভাই বিশেষশ্বর বালিকে (বিশাবালি) হত্যা করে। হেলাল উদ্দিন সুখরঞ্জন বালিকে তার ভাই বিশাবালি হত্যার জন্য সাঈদী হুজুরকে দায়ী করে জবানবন্দি দিতে বলেন। কিন্তু সুখরঞ্জন বালি রাজি না হওয়ায় তাকে হেলাল উদ্দিন ও উপস্থিত অন্যরা চরম অত্যাচার শুরু করেন। তারপরও সে রাজি না হওয়ায় তাকে পাশের রুমে নিয়ে যান। আমরা এই রুমে বসে সুখরঞ্জন বালির ডাকচিৎকার শুনতে পাই। আমাদের ওপর করা নির্যাতন সইতে না পেরে এবং মেরে ফেলার হুমকিতে ভয় পেয়ে আমরা তাঁদের শেখানোমতে মুক্তিযুদ্ধে রাজাকারদের করা সব অপকর্মের ঘটনায় সাঈদী সাহেবের নাম বলতে রাজি হই। মেরে ফেলার হমকি দিয়ে জোরপূর্বক ঢাকার গোলাপবাগে অবস্থিত একটি সেফ হাউসে আটকে রেখে আমাদের সাজানো মিথ্যা জবানবন্দি মুখস্ত করানো হয়।’

মধুসূদন ঘরামীর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাক্ষী মধুসূদন ঘরামীকে ১৯৭১ সালে তাঁর স্ত্রী শেফালী ঘরামীকে সাঈদী ধর্ষণ করেছেন—এ মর্মে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বলা হলে সে রাজি হয়নি এবং সে সেফ হাউস থেকে পালিয়ে যায়। পরে তাকে আবার ধরে নিয়ে হেলাল উদ্দিন, রানা দাশ গুপ্ত, সাইদুর রহমান, সানাউল হক, মোখলেছুর রহমান রাতভর অমানবিক নির্যাতন করেন। এরপরও সে সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে রাজি না হওয়ায় তৎকালীন পিরোজপুরের এসপির নেতৃত্বে পুলিশের আরও কিছু লোকজন মধু ঘরামীর নাতি সুমনকে পিরোজপুর থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর মধু ঘরামীর সামনে সুমনকে উপস্থিত করে তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। অতঃপর মধু ঘরামী তাঁর নাতির জীবন বাঁচাতে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে রাজি হয়।’

ট্রাইব্যুনালের প্রসঙ্গে মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আমাদের একদিন ট্রাইব্যুনালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর সেখানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির ও ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার শাহিনুর ইসলাম আসেন। গোলাম আরিফ টিপু (বর্তমানে মৃত) ও সানাউল হক তখন নিজামুল হক নাসিমের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিলে তিনি আমাদের বলেন যে, ‘তোমাদের যেভাবে শেখায়ে পড়ায়ে আনছে, সেভাবে সাক্ষী দেবা, তাইলে পুরস্কার পাবা। তুমি ভুল সাক্ষী দিলেও আমি ঠিক কইরা নিব। কিন্তু সাঈদীর নাম না কইলে তোমাদের রক্ষা নাই। শেখানো সাক্ষ্য দেবা, তাইলে পুরস্কার পাবা। তোমরা খালি নাম কইবা, সাঈদীকে ফাঁসি দেওয়ার দায়িত্ব আমার। তোমাগো কোনো ভয় নাই।’

মাহবুবুল আলম আরও বলেন, ‘এ টি এম ফজলে কবির আমাদের একইভাবে শেখানো সাক্ষ্য না দিলে হত্যার হুমকি দেন। হত্যার হুমকি দিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য আদায় করে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাটি ছিল মূলত সম্পূর্ণ সাজানো, মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্র: ১৩০ কোটি খরচ না করায় ক্ষতি ৩০০০ কোটি টাকা

ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম
শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্র: ১৩০ কোটি খরচ না করায় ক্ষতি ৩০০০ কোটি টাকা

জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।

বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।

বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।

বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।

শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’

কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।

১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।

বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাষ্ট্রপতির কাছে অব্যাহতিপত্র দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ৩৪
আজ শনিবার অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠান। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ শনিবার অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠান। ছবি: আজকের পত্রিকা

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তফাপত্রটি আগামীকাল রোববার সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।

বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।

গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ অনুমোদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানাল বিএনটিটিপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।

অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।

তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।

বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।

এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর শপথ কাল

বাসস, ঢাকা  
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ফাইল ছবি
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ফাইল ছবি

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।

২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত