তানিম আহমেদ, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ কিছুটা সংশোধন করে আদেশ জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। ১৫ নভেম্বর আদেশ জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আদেশ জারির পাশাপাশি গণভোটে এক ব্যালটে একাধিক প্রশ্ন রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে আগামী জাতীয় সংসদকে ৩৬৫ দিনের জন্য দ্বৈত ক্ষমতা দিয়ে সনদে থাকা সুপারিশগুলো সংবিধানে সংযুক্ত করতে বলা হতে পারে।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে গত ২৭ অক্টোবর দুটি সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ জারির কথা বলা হয়েছে। তফসিলে সংবিধান-সম্পর্কিত ৪৮টি প্রস্তাব আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) ছাড়াই রাখা হয়েছে। তফসিলে থাকা সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ/না’ গণভোটের কথা বলা হয়েছে। গণভোটের ফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একযোগে সংসদ সদস্য (এমপি) ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন।
ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ জমা দেওয়ার পর সনদে নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) না রাখার সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটি আপত্তিসহ সনদ বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট করার দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচনের আগেই গণভোটের দাবিতে মাঠে কর্মসূচি পালন করছে জামায়াতে ইসলামীসহ আট সমমনা দল। এমন অবস্থায় গত ৩ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে সমঝোতায় পৌঁছাতে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয়। সরকারের অনুরোধে দলগুলো সাড়া দেয়নি।
জানা গেছে, আদেশ চূড়ান্ত করতে ছয় উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তাঁরা হলেন, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। এই উপদেষ্টারা আদেশ চূড়ান্ত করতে গত কয়েক দিন ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করেছেন।
সূত্র জানিয়েছে, কমিশনের সুপারিশ করা জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ নামেই আদেশ জারির বিষয়ে প্রায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা। দলগুলোর আপত্তি থাকায় গণভোটে একাধিক প্রশ্ন রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা আগামীকাল অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত করে আগামী শনিবার রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জারির সম্ভাবনা আছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের একটা ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে, এ ধরনের প্রত্যাশা আমরা করেছিলাম। কিন্তু প্রত্যাশা করেই আমরা বসে থাকিনি। আমরা নিজেদের মতো কাজ করেছি। সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, তা আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে পরিষ্কারভাবে জানতে পারবেন। তিনি বলেন, আমরা উপদেষ্টা পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ে এটা আলোচনা করছি। সব দলের প্রত্যাশার সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের এবং জনগণের স্বার্থে যা করা দরকার সেটাই আমরা করতে যাচ্ছি।
সূত্রে জানা গেছে, কমিশনের প্রস্তাবের কিছু পরিবর্তন করছে সরকার। সনদে থাকা সংবিধান-সম্পর্কিত ৪৮টি প্রস্তাবকে এক ব্যালটে চার-পাঁচটি প্রশ্নে ভাগ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যার মধ্যে আপত্তি না থাকা ৩০টি বিষয়ে একটি প্রশ্ন। বাকি ১৮টি নিয়ে চারটি প্রশ্ন করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নিয়ে আলাদা প্রশ্ন থাকতে পারে।
গণভোটে কি প্রশ্ন বাড়তে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে সরকারসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, উপদেষ্টাদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে গণভোটে একাধিক প্রশ্ন করার বিষয়ে মতামত দেওয়া হয়েছে। সেইভাবে আদেশটি তৈরি করা হচ্ছে। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) পদ্ধতি উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানা গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে আপত্তি রাখার পক্ষে নয় সরকার। সে ক্ষেত্রে সনদে থাকা প্রস্তাবের পক্ষে হ্যাঁ/না ভোট হতে পারে।
জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট করার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। অন্যদিকে চলতি নভেম্বরে গণভোট করার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে সমাবেশ করেছে জামায়াতসহ সমমনা আটটি দল। তবে জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট করার পরিকল্পনা সরকার করছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৪২ হাজার ৭৬১ ভোট কেন্দ্র স্থাপনের কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিন গণভোট হলে কেন্দ্রের সংখ্যা কমপক্ষে ১০ হাজার বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা করছে সরকার।
সূত্রের দাবি, ভোটের দিন গণভোট করার পক্ষে সরকারের যুক্তি হলো—নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন আলাদাভাবে করার সক্ষমতা নেই। আবার আগে গণভোট হলে, সেটাকে কেন্দ্র কোনো ধরনের ঘটনা ঘটলে জাতীয় নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হলে ভোট গণনা সময়সাপেক্ষ হওয়ার কথাটি সরকারের চিন্তায় আছে। সে ক্ষেত্রে গণনায় দুই দিন সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আদেশ জারির পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। জামায়াত ও এনসিপি প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে আদেশ জারির প্রস্তাবের বিষয়ে সরকারের একটি সূত্র বলছে, এটি সম্ভব না। প্রধান উপদেষ্টা জারি করলে নতুন আরেকটি সংকট তৈরির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষয়টি এড়ানোর জন্য রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আদেশ জারি করা হবে। তবে সেটি অবশ্যই প্রজ্ঞাপন না।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রস্তাবগুলো সংবিধানে যুক্ত করার কথা আদেশে থাকবে বলে জানা গেছে। সে ক্ষেত্রে ২৭০ দিনের বদলে ৩৬৫ দিন বা এক বছর কিংবা কমিয়ে ১৮০ দিন বা ছয় মাস রাখা হতে পারে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে কী হবে, সেটি আদেশে নাও থাকতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে।
এক কর্মকর্তা বলেন, সময়সীমা বেঁধে দেওয়া উচিত। তবে এ ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন না করার আশঙ্কাও আছে, সে ক্ষেত্রে তো আমাদের কিছুই করার নেই। সময়সীমা বেঁধে না দিয়ে পাঁচ বছর টানার কোনো মানেই হয় না। সে ক্ষেত্রে কি ২৭০ দিনের সময়সীমা বাড়াতে পারে—এমন প্রশ্নে ওই কর্মকর্তা বলেন, দিন তো কমানোও হতে পারে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে অত দিন লাগে না।
রাজনৈতিক দলগুলো নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকলে নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলেন, সবাইকে কিছু না কিছু ছাড় দিতে হবে। সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থানে থাকেন, তাহলে তো দেশে নির্বাচনই হবে না। গণভোটের বিষয়টি ছাড়া আদেশের অন্যান্য আইনি দিক কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ কিছুটা সংশোধন করে আদেশ জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। ১৫ নভেম্বর আদেশ জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আদেশ জারির পাশাপাশি গণভোটে এক ব্যালটে একাধিক প্রশ্ন রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে আগামী জাতীয় সংসদকে ৩৬৫ দিনের জন্য দ্বৈত ক্ষমতা দিয়ে সনদে থাকা সুপারিশগুলো সংবিধানে সংযুক্ত করতে বলা হতে পারে।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে গত ২৭ অক্টোবর দুটি সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ জারির কথা বলা হয়েছে। তফসিলে সংবিধান-সম্পর্কিত ৪৮টি প্রস্তাব আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) ছাড়াই রাখা হয়েছে। তফসিলে থাকা সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ/না’ গণভোটের কথা বলা হয়েছে। গণভোটের ফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একযোগে সংসদ সদস্য (এমপি) ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন।
ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ জমা দেওয়ার পর সনদে নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) না রাখার সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটি আপত্তিসহ সনদ বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট করার দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচনের আগেই গণভোটের দাবিতে মাঠে কর্মসূচি পালন করছে জামায়াতে ইসলামীসহ আট সমমনা দল। এমন অবস্থায় গত ৩ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে সমঝোতায় পৌঁছাতে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয়। সরকারের অনুরোধে দলগুলো সাড়া দেয়নি।
জানা গেছে, আদেশ চূড়ান্ত করতে ছয় উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তাঁরা হলেন, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। এই উপদেষ্টারা আদেশ চূড়ান্ত করতে গত কয়েক দিন ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করেছেন।
সূত্র জানিয়েছে, কমিশনের সুপারিশ করা জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ নামেই আদেশ জারির বিষয়ে প্রায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা। দলগুলোর আপত্তি থাকায় গণভোটে একাধিক প্রশ্ন রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা আগামীকাল অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত করে আগামী শনিবার রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জারির সম্ভাবনা আছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের একটা ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে, এ ধরনের প্রত্যাশা আমরা করেছিলাম। কিন্তু প্রত্যাশা করেই আমরা বসে থাকিনি। আমরা নিজেদের মতো কাজ করেছি। সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, তা আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে পরিষ্কারভাবে জানতে পারবেন। তিনি বলেন, আমরা উপদেষ্টা পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ে এটা আলোচনা করছি। সব দলের প্রত্যাশার সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের এবং জনগণের স্বার্থে যা করা দরকার সেটাই আমরা করতে যাচ্ছি।
সূত্রে জানা গেছে, কমিশনের প্রস্তাবের কিছু পরিবর্তন করছে সরকার। সনদে থাকা সংবিধান-সম্পর্কিত ৪৮টি প্রস্তাবকে এক ব্যালটে চার-পাঁচটি প্রশ্নে ভাগ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যার মধ্যে আপত্তি না থাকা ৩০টি বিষয়ে একটি প্রশ্ন। বাকি ১৮টি নিয়ে চারটি প্রশ্ন করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নিয়ে আলাদা প্রশ্ন থাকতে পারে।
গণভোটে কি প্রশ্ন বাড়তে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে সরকারসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, উপদেষ্টাদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে গণভোটে একাধিক প্রশ্ন করার বিষয়ে মতামত দেওয়া হয়েছে। সেইভাবে আদেশটি তৈরি করা হচ্ছে। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) পদ্ধতি উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানা গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে আপত্তি রাখার পক্ষে নয় সরকার। সে ক্ষেত্রে সনদে থাকা প্রস্তাবের পক্ষে হ্যাঁ/না ভোট হতে পারে।
জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট করার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। অন্যদিকে চলতি নভেম্বরে গণভোট করার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে সমাবেশ করেছে জামায়াতসহ সমমনা আটটি দল। তবে জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট করার পরিকল্পনা সরকার করছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৪২ হাজার ৭৬১ ভোট কেন্দ্র স্থাপনের কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিন গণভোট হলে কেন্দ্রের সংখ্যা কমপক্ষে ১০ হাজার বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা করছে সরকার।
সূত্রের দাবি, ভোটের দিন গণভোট করার পক্ষে সরকারের যুক্তি হলো—নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন আলাদাভাবে করার সক্ষমতা নেই। আবার আগে গণভোট হলে, সেটাকে কেন্দ্র কোনো ধরনের ঘটনা ঘটলে জাতীয় নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হলে ভোট গণনা সময়সাপেক্ষ হওয়ার কথাটি সরকারের চিন্তায় আছে। সে ক্ষেত্রে গণনায় দুই দিন সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আদেশ জারির পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। জামায়াত ও এনসিপি প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে আদেশ জারির প্রস্তাবের বিষয়ে সরকারের একটি সূত্র বলছে, এটি সম্ভব না। প্রধান উপদেষ্টা জারি করলে নতুন আরেকটি সংকট তৈরির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষয়টি এড়ানোর জন্য রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আদেশ জারি করা হবে। তবে সেটি অবশ্যই প্রজ্ঞাপন না।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রস্তাবগুলো সংবিধানে যুক্ত করার কথা আদেশে থাকবে বলে জানা গেছে। সে ক্ষেত্রে ২৭০ দিনের বদলে ৩৬৫ দিন বা এক বছর কিংবা কমিয়ে ১৮০ দিন বা ছয় মাস রাখা হতে পারে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে কী হবে, সেটি আদেশে নাও থাকতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে।
এক কর্মকর্তা বলেন, সময়সীমা বেঁধে দেওয়া উচিত। তবে এ ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন না করার আশঙ্কাও আছে, সে ক্ষেত্রে তো আমাদের কিছুই করার নেই। সময়সীমা বেঁধে না দিয়ে পাঁচ বছর টানার কোনো মানেই হয় না। সে ক্ষেত্রে কি ২৭০ দিনের সময়সীমা বাড়াতে পারে—এমন প্রশ্নে ওই কর্মকর্তা বলেন, দিন তো কমানোও হতে পারে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে অত দিন লাগে না।
রাজনৈতিক দলগুলো নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকলে নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলেন, সবাইকে কিছু না কিছু ছাড় দিতে হবে। সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থানে থাকেন, তাহলে তো দেশে নির্বাচনই হবে না। গণভোটের বিষয়টি ছাড়া আদেশের অন্যান্য আইনি দিক কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
তানিম আহমেদ, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ কিছুটা সংশোধন করে আদেশ জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। ১৫ নভেম্বর আদেশ জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আদেশ জারির পাশাপাশি গণভোটে এক ব্যালটে একাধিক প্রশ্ন রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে আগামী জাতীয় সংসদকে ৩৬৫ দিনের জন্য দ্বৈত ক্ষমতা দিয়ে সনদে থাকা সুপারিশগুলো সংবিধানে সংযুক্ত করতে বলা হতে পারে।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে গত ২৭ অক্টোবর দুটি সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ জারির কথা বলা হয়েছে। তফসিলে সংবিধান-সম্পর্কিত ৪৮টি প্রস্তাব আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) ছাড়াই রাখা হয়েছে। তফসিলে থাকা সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ/না’ গণভোটের কথা বলা হয়েছে। গণভোটের ফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একযোগে সংসদ সদস্য (এমপি) ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন।
ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ জমা দেওয়ার পর সনদে নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) না রাখার সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটি আপত্তিসহ সনদ বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট করার দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচনের আগেই গণভোটের দাবিতে মাঠে কর্মসূচি পালন করছে জামায়াতে ইসলামীসহ আট সমমনা দল। এমন অবস্থায় গত ৩ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে সমঝোতায় পৌঁছাতে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয়। সরকারের অনুরোধে দলগুলো সাড়া দেয়নি।
জানা গেছে, আদেশ চূড়ান্ত করতে ছয় উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তাঁরা হলেন, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। এই উপদেষ্টারা আদেশ চূড়ান্ত করতে গত কয়েক দিন ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করেছেন।
সূত্র জানিয়েছে, কমিশনের সুপারিশ করা জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ নামেই আদেশ জারির বিষয়ে প্রায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা। দলগুলোর আপত্তি থাকায় গণভোটে একাধিক প্রশ্ন রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা আগামীকাল অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত করে আগামী শনিবার রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জারির সম্ভাবনা আছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের একটা ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে, এ ধরনের প্রত্যাশা আমরা করেছিলাম। কিন্তু প্রত্যাশা করেই আমরা বসে থাকিনি। আমরা নিজেদের মতো কাজ করেছি। সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, তা আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে পরিষ্কারভাবে জানতে পারবেন। তিনি বলেন, আমরা উপদেষ্টা পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ে এটা আলোচনা করছি। সব দলের প্রত্যাশার সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের এবং জনগণের স্বার্থে যা করা দরকার সেটাই আমরা করতে যাচ্ছি।
সূত্রে জানা গেছে, কমিশনের প্রস্তাবের কিছু পরিবর্তন করছে সরকার। সনদে থাকা সংবিধান-সম্পর্কিত ৪৮টি প্রস্তাবকে এক ব্যালটে চার-পাঁচটি প্রশ্নে ভাগ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যার মধ্যে আপত্তি না থাকা ৩০টি বিষয়ে একটি প্রশ্ন। বাকি ১৮টি নিয়ে চারটি প্রশ্ন করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নিয়ে আলাদা প্রশ্ন থাকতে পারে।
গণভোটে কি প্রশ্ন বাড়তে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে সরকারসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, উপদেষ্টাদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে গণভোটে একাধিক প্রশ্ন করার বিষয়ে মতামত দেওয়া হয়েছে। সেইভাবে আদেশটি তৈরি করা হচ্ছে। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) পদ্ধতি উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানা গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে আপত্তি রাখার পক্ষে নয় সরকার। সে ক্ষেত্রে সনদে থাকা প্রস্তাবের পক্ষে হ্যাঁ/না ভোট হতে পারে।
জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট করার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। অন্যদিকে চলতি নভেম্বরে গণভোট করার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে সমাবেশ করেছে জামায়াতসহ সমমনা আটটি দল। তবে জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট করার পরিকল্পনা সরকার করছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৪২ হাজার ৭৬১ ভোট কেন্দ্র স্থাপনের কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিন গণভোট হলে কেন্দ্রের সংখ্যা কমপক্ষে ১০ হাজার বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা করছে সরকার।
সূত্রের দাবি, ভোটের দিন গণভোট করার পক্ষে সরকারের যুক্তি হলো—নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন আলাদাভাবে করার সক্ষমতা নেই। আবার আগে গণভোট হলে, সেটাকে কেন্দ্র কোনো ধরনের ঘটনা ঘটলে জাতীয় নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হলে ভোট গণনা সময়সাপেক্ষ হওয়ার কথাটি সরকারের চিন্তায় আছে। সে ক্ষেত্রে গণনায় দুই দিন সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আদেশ জারির পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। জামায়াত ও এনসিপি প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে আদেশ জারির প্রস্তাবের বিষয়ে সরকারের একটি সূত্র বলছে, এটি সম্ভব না। প্রধান উপদেষ্টা জারি করলে নতুন আরেকটি সংকট তৈরির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষয়টি এড়ানোর জন্য রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আদেশ জারি করা হবে। তবে সেটি অবশ্যই প্রজ্ঞাপন না।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রস্তাবগুলো সংবিধানে যুক্ত করার কথা আদেশে থাকবে বলে জানা গেছে। সে ক্ষেত্রে ২৭০ দিনের বদলে ৩৬৫ দিন বা এক বছর কিংবা কমিয়ে ১৮০ দিন বা ছয় মাস রাখা হতে পারে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে কী হবে, সেটি আদেশে নাও থাকতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে।
এক কর্মকর্তা বলেন, সময়সীমা বেঁধে দেওয়া উচিত। তবে এ ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন না করার আশঙ্কাও আছে, সে ক্ষেত্রে তো আমাদের কিছুই করার নেই। সময়সীমা বেঁধে না দিয়ে পাঁচ বছর টানার কোনো মানেই হয় না। সে ক্ষেত্রে কি ২৭০ দিনের সময়সীমা বাড়াতে পারে—এমন প্রশ্নে ওই কর্মকর্তা বলেন, দিন তো কমানোও হতে পারে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে অত দিন লাগে না।
রাজনৈতিক দলগুলো নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকলে নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলেন, সবাইকে কিছু না কিছু ছাড় দিতে হবে। সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থানে থাকেন, তাহলে তো দেশে নির্বাচনই হবে না। গণভোটের বিষয়টি ছাড়া আদেশের অন্যান্য আইনি দিক কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ কিছুটা সংশোধন করে আদেশ জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। ১৫ নভেম্বর আদেশ জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আদেশ জারির পাশাপাশি গণভোটে এক ব্যালটে একাধিক প্রশ্ন রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে আগামী জাতীয় সংসদকে ৩৬৫ দিনের জন্য দ্বৈত ক্ষমতা দিয়ে সনদে থাকা সুপারিশগুলো সংবিধানে সংযুক্ত করতে বলা হতে পারে।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে গত ২৭ অক্টোবর দুটি সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ জারির কথা বলা হয়েছে। তফসিলে সংবিধান-সম্পর্কিত ৪৮টি প্রস্তাব আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) ছাড়াই রাখা হয়েছে। তফসিলে থাকা সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ/না’ গণভোটের কথা বলা হয়েছে। গণভোটের ফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একযোগে সংসদ সদস্য (এমপি) ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন।
ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ জমা দেওয়ার পর সনদে নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) না রাখার সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটি আপত্তিসহ সনদ বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট করার দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচনের আগেই গণভোটের দাবিতে মাঠে কর্মসূচি পালন করছে জামায়াতে ইসলামীসহ আট সমমনা দল। এমন অবস্থায় গত ৩ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে সমঝোতায় পৌঁছাতে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয়। সরকারের অনুরোধে দলগুলো সাড়া দেয়নি।
জানা গেছে, আদেশ চূড়ান্ত করতে ছয় উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তাঁরা হলেন, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। এই উপদেষ্টারা আদেশ চূড়ান্ত করতে গত কয়েক দিন ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করেছেন।
সূত্র জানিয়েছে, কমিশনের সুপারিশ করা জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ নামেই আদেশ জারির বিষয়ে প্রায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা। দলগুলোর আপত্তি থাকায় গণভোটে একাধিক প্রশ্ন রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা আগামীকাল অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত করে আগামী শনিবার রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জারির সম্ভাবনা আছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের একটা ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে, এ ধরনের প্রত্যাশা আমরা করেছিলাম। কিন্তু প্রত্যাশা করেই আমরা বসে থাকিনি। আমরা নিজেদের মতো কাজ করেছি। সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, তা আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে পরিষ্কারভাবে জানতে পারবেন। তিনি বলেন, আমরা উপদেষ্টা পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ে এটা আলোচনা করছি। সব দলের প্রত্যাশার সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের এবং জনগণের স্বার্থে যা করা দরকার সেটাই আমরা করতে যাচ্ছি।
সূত্রে জানা গেছে, কমিশনের প্রস্তাবের কিছু পরিবর্তন করছে সরকার। সনদে থাকা সংবিধান-সম্পর্কিত ৪৮টি প্রস্তাবকে এক ব্যালটে চার-পাঁচটি প্রশ্নে ভাগ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যার মধ্যে আপত্তি না থাকা ৩০টি বিষয়ে একটি প্রশ্ন। বাকি ১৮টি নিয়ে চারটি প্রশ্ন করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নিয়ে আলাদা প্রশ্ন থাকতে পারে।
গণভোটে কি প্রশ্ন বাড়তে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে সরকারসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, উপদেষ্টাদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে গণভোটে একাধিক প্রশ্ন করার বিষয়ে মতামত দেওয়া হয়েছে। সেইভাবে আদেশটি তৈরি করা হচ্ছে। সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) পদ্ধতি উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানা গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে আপত্তি রাখার পক্ষে নয় সরকার। সে ক্ষেত্রে সনদে থাকা প্রস্তাবের পক্ষে হ্যাঁ/না ভোট হতে পারে।
জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট করার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। অন্যদিকে চলতি নভেম্বরে গণভোট করার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে সমাবেশ করেছে জামায়াতসহ সমমনা আটটি দল। তবে জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট করার পরিকল্পনা সরকার করছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৪২ হাজার ৭৬১ ভোট কেন্দ্র স্থাপনের কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের দিন গণভোট হলে কেন্দ্রের সংখ্যা কমপক্ষে ১০ হাজার বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা করছে সরকার।
সূত্রের দাবি, ভোটের দিন গণভোট করার পক্ষে সরকারের যুক্তি হলো—নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন আলাদাভাবে করার সক্ষমতা নেই। আবার আগে গণভোট হলে, সেটাকে কেন্দ্র কোনো ধরনের ঘটনা ঘটলে জাতীয় নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হলে ভোট গণনা সময়সাপেক্ষ হওয়ার কথাটি সরকারের চিন্তায় আছে। সে ক্ষেত্রে গণনায় দুই দিন সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আদেশ জারির পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। জামায়াত ও এনসিপি প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে আদেশ জারির প্রস্তাবের বিষয়ে সরকারের একটি সূত্র বলছে, এটি সম্ভব না। প্রধান উপদেষ্টা জারি করলে নতুন আরেকটি সংকট তৈরির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষয়টি এড়ানোর জন্য রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আদেশ জারি করা হবে। তবে সেটি অবশ্যই প্রজ্ঞাপন না।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রস্তাবগুলো সংবিধানে যুক্ত করার কথা আদেশে থাকবে বলে জানা গেছে। সে ক্ষেত্রে ২৭০ দিনের বদলে ৩৬৫ দিন বা এক বছর কিংবা কমিয়ে ১৮০ দিন বা ছয় মাস রাখা হতে পারে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে কী হবে, সেটি আদেশে নাও থাকতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে।
এক কর্মকর্তা বলেন, সময়সীমা বেঁধে দেওয়া উচিত। তবে এ ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন না করার আশঙ্কাও আছে, সে ক্ষেত্রে তো আমাদের কিছুই করার নেই। সময়সীমা বেঁধে না দিয়ে পাঁচ বছর টানার কোনো মানেই হয় না। সে ক্ষেত্রে কি ২৭০ দিনের সময়সীমা বাড়াতে পারে—এমন প্রশ্নে ওই কর্মকর্তা বলেন, দিন তো কমানোও হতে পারে। রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে অত দিন লাগে না।
রাজনৈতিক দলগুলো নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকলে নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলেন, সবাইকে কিছু না কিছু ছাড় দিতে হবে। সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থানে থাকেন, তাহলে তো দেশে নির্বাচনই হবে না। গণভোটের বিষয়টি ছাড়া আদেশের অন্যান্য আইনি দিক কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
৫ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৭ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৮ ঘণ্টা আগেওমর ফারুক, চট্টগ্রাম

জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।
শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’
কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।
শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’
কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ কিছুটা সংশোধন করে আদেশ জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। ১৫ নভেম্বর আদেশ জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আদেশ জারির পাশাপাশি গণভোটে এক ব্যালটে একাধিক প্রশ্ন রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে আগামী জাতীয়
১২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
৫ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৭ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তফাপত্রটি আগামীকাল রোববার সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তফাপত্রটি আগামীকাল রোববার সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ কিছুটা সংশোধন করে আদেশ জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। ১৫ নভেম্বর আদেশ জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আদেশ জারির পাশাপাশি গণভোটে এক ব্যালটে একাধিক প্রশ্ন রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে আগামী জাতীয়
১২ নভেম্বর ২০২৫
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
২ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৭ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ কিছুটা সংশোধন করে আদেশ জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। ১৫ নভেম্বর আদেশ জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আদেশ জারির পাশাপাশি গণভোটে এক ব্যালটে একাধিক প্রশ্ন রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে আগামী জাতীয়
১২ নভেম্বর ২০২৫
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
৫ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
৮ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ কিছুটা সংশোধন করে আদেশ জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। ১৫ নভেম্বর আদেশ জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আদেশ জারির পাশাপাশি গণভোটে এক ব্যালটে একাধিক প্রশ্ন রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে আগামী জাতীয়
১২ নভেম্বর ২০২৫
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
৫ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
৭ ঘণ্টা আগে