নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন এবং সেই কারণে তাঁর সরকারের কোনো বৈধতা নেই।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা ও নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ এই সভার আয়োজন করে।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনি (ড. ইউনূস) শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন। রাজনীতি কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আইন কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আমরা অপেক্ষা করেছি, কিন্তু আর নয়। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, রাষ্ট্র মানে গ্রামীণ ব্যাংক চালানো না, রাষ্ট্র আলাদা জিনিস। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই যে কথাগুলো আমি বলছি, তার যথোপযুক্ত উত্তর আমি আপনার কাছে আশা করি।’
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর প্রশাসনের কয়েকটি বিশেষ সিদ্ধান্ত ও নিয়োগকেও চ্যালেঞ্জ করেন মজহার।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন, বিভিন্ন বিদেশি উদ্যোগের প্রবেশ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে মজহার বলেন, ‘আপনি শেখ হাসিনার সংবিধান রক্ষার মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন। সংবিধান, প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক ও ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে মুক্ত না হলে নির্বাচন নিয়ে কথা বলার কোনো অর্থ নেই।’
মজহার প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কেন নির্বাচন করতে চাইছেন? আপনি তো গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এসেছেন; কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের মহানায়ক নন, কেউ ব্যক্তিগতভাবে মহানায়ক নয়, জনগণই প্রধান।’
ড. ইউনূসের নেওয়া ‘ভুল সিদ্ধান্তের’ বিষয়ে মজহার বলেন, ‘কিছু তরুণকে “মাস্টারমাইন্ড” হিসেবে দাবি করা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনগণের সঙ্গে পর্যাপ্ত আলোচনার অভাব রয়েছে। এত বড় আত্মত্যাগের পরে কেন নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে—এই প্রশ্ন থেকেই আমার অভিযোগ।’
ফরহাদ মজহার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা বললেন প্রধানমন্ত্রী লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন; কিন্তু তা এখনো দেখানো হয়নি। প্রেসিডেন্টও জানেন না পদত্যাগপত্র কোথায়—এটা চলবে না। রাষ্ট্রের ১৭ কোটি মানুষকে সাথে নিয়ে তামাশা করা যায় না।’
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনাকে নতুন গণপরিষদ গঠন করতে হবে। গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একমাত্র সেই সংসদে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে—সেই সিদ্ধান্তই আইনগতভাবে বৈধ হবে। সামরিক অভ্যুত্থানের পরে সেনাবাহিনী কী করত? আমাদের সংবিধান স্থগিত রাখত। তারা দেশে ফরমান দিয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন চালাত। আর আমাদের গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে আপনি কোনো ফরমান দিতে পারেননি। আমাকে বলুন—আপনি কার পক্ষে কাজ করছেন? আপনি কার স্বার্থ রক্ষা করছেন? এটা তো চলবে না, এটা তো হতে পারে না।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে লোক এনেছেন, বিদেশ থেকে লোক এনেছেন—এরা বড় বড় বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করেছে, করপোরেট স্বার্থ রক্ষার জন্য। আপনি এনেছেন এমন লোকদের, যাদের সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসি বলে, “সে আমাদের লোক।” এদের দিয়ে আপনি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছেন। আমরা আমাদের দেশের নিরাপত্তা কীভাবে রক্ষা করব, আমরা তা জানি না। আমি দুঃখিত, আমি অত্যন্ত আহত ও ভীত হয়ে এসব কথা বলছি।’
ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘আপনি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন বিশাল বহর নিয়ে—কেন যাচ্ছেন? আপনি একজন উপদেষ্টা; আপনার প্রধান কাজ হওয়া উচিত ছিল দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তপোক্ত করা। সেনাবাহিনীকে আপনি ম্যাজিস্ট্রেসিতে এনেছেন—এ অভিযোগ উঠেছে যে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী চারজনকে হত্যা করেছে; যে দলই করা হোক না কেন, সেনাবাহিনী হত্যায় জড়িত হয়েছে। আপনি সেনাবাহিনীকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আপনার সামনে অনেক বড় বিপদ রয়েছে; একটির নাম হলো রোহিঙ্গা-মিয়ানমার ইস্যু। আপনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে ভূরাজনীতি অনুসরণ করছেন, সেই ভূরাজনীতিকে কীভাবে মোকাবিলা করবেন? আরাকান সশস্ত্র বাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে কার্যক্রম চালাচ্ছে; এই ঘটনার বিচ্ছিন্ন দিক নেই। আজ যদি বিলোনিয়া থেকে চট্টগ্রাম আলাদা হয়ে যায়—তা-ও আমাকে অবাক করবে না।
‘চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের জাতীয় প্রতিরক্ষার অংশ; আপনি সেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন একপ্রকারে অস্বীকার করে বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দিচ্ছেন। কার কাছে আপনি অনুমতি নিচ্ছেন—জনগণ কি আপনাকে সে অনুমতি দিয়েছে?’
নিজের আশঙ্কা ব্যক্ত করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমাদের আশা ছিল, যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের যে দুর্বলতা, সে দুর্বলতাগুলোকে আমরা মোকাবিলা করতে পারব। তার (ড. ইউনূস) আন্তরিকতা যদি পাই। তিনি যদি গণ-অভ্যুত্থানের অভিপ্রায়টুকু বোঝেন। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, তিনি এটা বোঝেন নাই। শুধু বোঝেন নাই না, এখন তিনি যে জায়গায় দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন—সেটা অত্যন্ত বিপজ্জনক।’
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আইনজীবী আবু হেনা রাজ্জাকী, সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান প্রমুখ।

কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন এবং সেই কারণে তাঁর সরকারের কোনো বৈধতা নেই।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা ও নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ এই সভার আয়োজন করে।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনি (ড. ইউনূস) শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন। রাজনীতি কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আইন কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আমরা অপেক্ষা করেছি, কিন্তু আর নয়। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, রাষ্ট্র মানে গ্রামীণ ব্যাংক চালানো না, রাষ্ট্র আলাদা জিনিস। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই যে কথাগুলো আমি বলছি, তার যথোপযুক্ত উত্তর আমি আপনার কাছে আশা করি।’
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর প্রশাসনের কয়েকটি বিশেষ সিদ্ধান্ত ও নিয়োগকেও চ্যালেঞ্জ করেন মজহার।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন, বিভিন্ন বিদেশি উদ্যোগের প্রবেশ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে মজহার বলেন, ‘আপনি শেখ হাসিনার সংবিধান রক্ষার মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন। সংবিধান, প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক ও ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে মুক্ত না হলে নির্বাচন নিয়ে কথা বলার কোনো অর্থ নেই।’
মজহার প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কেন নির্বাচন করতে চাইছেন? আপনি তো গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এসেছেন; কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের মহানায়ক নন, কেউ ব্যক্তিগতভাবে মহানায়ক নয়, জনগণই প্রধান।’
ড. ইউনূসের নেওয়া ‘ভুল সিদ্ধান্তের’ বিষয়ে মজহার বলেন, ‘কিছু তরুণকে “মাস্টারমাইন্ড” হিসেবে দাবি করা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনগণের সঙ্গে পর্যাপ্ত আলোচনার অভাব রয়েছে। এত বড় আত্মত্যাগের পরে কেন নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে—এই প্রশ্ন থেকেই আমার অভিযোগ।’
ফরহাদ মজহার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা বললেন প্রধানমন্ত্রী লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন; কিন্তু তা এখনো দেখানো হয়নি। প্রেসিডেন্টও জানেন না পদত্যাগপত্র কোথায়—এটা চলবে না। রাষ্ট্রের ১৭ কোটি মানুষকে সাথে নিয়ে তামাশা করা যায় না।’
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনাকে নতুন গণপরিষদ গঠন করতে হবে। গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একমাত্র সেই সংসদে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে—সেই সিদ্ধান্তই আইনগতভাবে বৈধ হবে। সামরিক অভ্যুত্থানের পরে সেনাবাহিনী কী করত? আমাদের সংবিধান স্থগিত রাখত। তারা দেশে ফরমান দিয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন চালাত। আর আমাদের গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে আপনি কোনো ফরমান দিতে পারেননি। আমাকে বলুন—আপনি কার পক্ষে কাজ করছেন? আপনি কার স্বার্থ রক্ষা করছেন? এটা তো চলবে না, এটা তো হতে পারে না।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে লোক এনেছেন, বিদেশ থেকে লোক এনেছেন—এরা বড় বড় বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করেছে, করপোরেট স্বার্থ রক্ষার জন্য। আপনি এনেছেন এমন লোকদের, যাদের সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসি বলে, “সে আমাদের লোক।” এদের দিয়ে আপনি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছেন। আমরা আমাদের দেশের নিরাপত্তা কীভাবে রক্ষা করব, আমরা তা জানি না। আমি দুঃখিত, আমি অত্যন্ত আহত ও ভীত হয়ে এসব কথা বলছি।’
ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘আপনি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন বিশাল বহর নিয়ে—কেন যাচ্ছেন? আপনি একজন উপদেষ্টা; আপনার প্রধান কাজ হওয়া উচিত ছিল দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তপোক্ত করা। সেনাবাহিনীকে আপনি ম্যাজিস্ট্রেসিতে এনেছেন—এ অভিযোগ উঠেছে যে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী চারজনকে হত্যা করেছে; যে দলই করা হোক না কেন, সেনাবাহিনী হত্যায় জড়িত হয়েছে। আপনি সেনাবাহিনীকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আপনার সামনে অনেক বড় বিপদ রয়েছে; একটির নাম হলো রোহিঙ্গা-মিয়ানমার ইস্যু। আপনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে ভূরাজনীতি অনুসরণ করছেন, সেই ভূরাজনীতিকে কীভাবে মোকাবিলা করবেন? আরাকান সশস্ত্র বাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে কার্যক্রম চালাচ্ছে; এই ঘটনার বিচ্ছিন্ন দিক নেই। আজ যদি বিলোনিয়া থেকে চট্টগ্রাম আলাদা হয়ে যায়—তা-ও আমাকে অবাক করবে না।
‘চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের জাতীয় প্রতিরক্ষার অংশ; আপনি সেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন একপ্রকারে অস্বীকার করে বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দিচ্ছেন। কার কাছে আপনি অনুমতি নিচ্ছেন—জনগণ কি আপনাকে সে অনুমতি দিয়েছে?’
নিজের আশঙ্কা ব্যক্ত করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমাদের আশা ছিল, যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের যে দুর্বলতা, সে দুর্বলতাগুলোকে আমরা মোকাবিলা করতে পারব। তার (ড. ইউনূস) আন্তরিকতা যদি পাই। তিনি যদি গণ-অভ্যুত্থানের অভিপ্রায়টুকু বোঝেন। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, তিনি এটা বোঝেন নাই। শুধু বোঝেন নাই না, এখন তিনি যে জায়গায় দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন—সেটা অত্যন্ত বিপজ্জনক।’
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আইনজীবী আবু হেনা রাজ্জাকী, সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন এবং সেই কারণে তাঁর সরকারের কোনো বৈধতা নেই।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা ও নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ এই সভার আয়োজন করে।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনি (ড. ইউনূস) শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন। রাজনীতি কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আইন কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আমরা অপেক্ষা করেছি, কিন্তু আর নয়। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, রাষ্ট্র মানে গ্রামীণ ব্যাংক চালানো না, রাষ্ট্র আলাদা জিনিস। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই যে কথাগুলো আমি বলছি, তার যথোপযুক্ত উত্তর আমি আপনার কাছে আশা করি।’
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর প্রশাসনের কয়েকটি বিশেষ সিদ্ধান্ত ও নিয়োগকেও চ্যালেঞ্জ করেন মজহার।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন, বিভিন্ন বিদেশি উদ্যোগের প্রবেশ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে মজহার বলেন, ‘আপনি শেখ হাসিনার সংবিধান রক্ষার মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন। সংবিধান, প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক ও ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে মুক্ত না হলে নির্বাচন নিয়ে কথা বলার কোনো অর্থ নেই।’
মজহার প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কেন নির্বাচন করতে চাইছেন? আপনি তো গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এসেছেন; কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের মহানায়ক নন, কেউ ব্যক্তিগতভাবে মহানায়ক নয়, জনগণই প্রধান।’
ড. ইউনূসের নেওয়া ‘ভুল সিদ্ধান্তের’ বিষয়ে মজহার বলেন, ‘কিছু তরুণকে “মাস্টারমাইন্ড” হিসেবে দাবি করা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনগণের সঙ্গে পর্যাপ্ত আলোচনার অভাব রয়েছে। এত বড় আত্মত্যাগের পরে কেন নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে—এই প্রশ্ন থেকেই আমার অভিযোগ।’
ফরহাদ মজহার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা বললেন প্রধানমন্ত্রী লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন; কিন্তু তা এখনো দেখানো হয়নি। প্রেসিডেন্টও জানেন না পদত্যাগপত্র কোথায়—এটা চলবে না। রাষ্ট্রের ১৭ কোটি মানুষকে সাথে নিয়ে তামাশা করা যায় না।’
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনাকে নতুন গণপরিষদ গঠন করতে হবে। গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একমাত্র সেই সংসদে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে—সেই সিদ্ধান্তই আইনগতভাবে বৈধ হবে। সামরিক অভ্যুত্থানের পরে সেনাবাহিনী কী করত? আমাদের সংবিধান স্থগিত রাখত। তারা দেশে ফরমান দিয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন চালাত। আর আমাদের গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে আপনি কোনো ফরমান দিতে পারেননি। আমাকে বলুন—আপনি কার পক্ষে কাজ করছেন? আপনি কার স্বার্থ রক্ষা করছেন? এটা তো চলবে না, এটা তো হতে পারে না।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে লোক এনেছেন, বিদেশ থেকে লোক এনেছেন—এরা বড় বড় বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করেছে, করপোরেট স্বার্থ রক্ষার জন্য। আপনি এনেছেন এমন লোকদের, যাদের সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসি বলে, “সে আমাদের লোক।” এদের দিয়ে আপনি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছেন। আমরা আমাদের দেশের নিরাপত্তা কীভাবে রক্ষা করব, আমরা তা জানি না। আমি দুঃখিত, আমি অত্যন্ত আহত ও ভীত হয়ে এসব কথা বলছি।’
ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘আপনি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন বিশাল বহর নিয়ে—কেন যাচ্ছেন? আপনি একজন উপদেষ্টা; আপনার প্রধান কাজ হওয়া উচিত ছিল দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তপোক্ত করা। সেনাবাহিনীকে আপনি ম্যাজিস্ট্রেসিতে এনেছেন—এ অভিযোগ উঠেছে যে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী চারজনকে হত্যা করেছে; যে দলই করা হোক না কেন, সেনাবাহিনী হত্যায় জড়িত হয়েছে। আপনি সেনাবাহিনীকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আপনার সামনে অনেক বড় বিপদ রয়েছে; একটির নাম হলো রোহিঙ্গা-মিয়ানমার ইস্যু। আপনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে ভূরাজনীতি অনুসরণ করছেন, সেই ভূরাজনীতিকে কীভাবে মোকাবিলা করবেন? আরাকান সশস্ত্র বাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে কার্যক্রম চালাচ্ছে; এই ঘটনার বিচ্ছিন্ন দিক নেই। আজ যদি বিলোনিয়া থেকে চট্টগ্রাম আলাদা হয়ে যায়—তা-ও আমাকে অবাক করবে না।
‘চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের জাতীয় প্রতিরক্ষার অংশ; আপনি সেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন একপ্রকারে অস্বীকার করে বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দিচ্ছেন। কার কাছে আপনি অনুমতি নিচ্ছেন—জনগণ কি আপনাকে সে অনুমতি দিয়েছে?’
নিজের আশঙ্কা ব্যক্ত করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমাদের আশা ছিল, যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের যে দুর্বলতা, সে দুর্বলতাগুলোকে আমরা মোকাবিলা করতে পারব। তার (ড. ইউনূস) আন্তরিকতা যদি পাই। তিনি যদি গণ-অভ্যুত্থানের অভিপ্রায়টুকু বোঝেন। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, তিনি এটা বোঝেন নাই। শুধু বোঝেন নাই না, এখন তিনি যে জায়গায় দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন—সেটা অত্যন্ত বিপজ্জনক।’
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আইনজীবী আবু হেনা রাজ্জাকী, সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান প্রমুখ।

কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন এবং সেই কারণে তাঁর সরকারের কোনো বৈধতা নেই।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা ও নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ এই সভার আয়োজন করে।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনি (ড. ইউনূস) শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন। রাজনীতি কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আইন কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আমরা অপেক্ষা করেছি, কিন্তু আর নয়। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, রাষ্ট্র মানে গ্রামীণ ব্যাংক চালানো না, রাষ্ট্র আলাদা জিনিস। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই যে কথাগুলো আমি বলছি, তার যথোপযুক্ত উত্তর আমি আপনার কাছে আশা করি।’
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর প্রশাসনের কয়েকটি বিশেষ সিদ্ধান্ত ও নিয়োগকেও চ্যালেঞ্জ করেন মজহার।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন, বিভিন্ন বিদেশি উদ্যোগের প্রবেশ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে মজহার বলেন, ‘আপনি শেখ হাসিনার সংবিধান রক্ষার মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন। সংবিধান, প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক ও ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে মুক্ত না হলে নির্বাচন নিয়ে কথা বলার কোনো অর্থ নেই।’
মজহার প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কেন নির্বাচন করতে চাইছেন? আপনি তো গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এসেছেন; কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের মহানায়ক নন, কেউ ব্যক্তিগতভাবে মহানায়ক নয়, জনগণই প্রধান।’
ড. ইউনূসের নেওয়া ‘ভুল সিদ্ধান্তের’ বিষয়ে মজহার বলেন, ‘কিছু তরুণকে “মাস্টারমাইন্ড” হিসেবে দাবি করা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনগণের সঙ্গে পর্যাপ্ত আলোচনার অভাব রয়েছে। এত বড় আত্মত্যাগের পরে কেন নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে—এই প্রশ্ন থেকেই আমার অভিযোগ।’
ফরহাদ মজহার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা বললেন প্রধানমন্ত্রী লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন; কিন্তু তা এখনো দেখানো হয়নি। প্রেসিডেন্টও জানেন না পদত্যাগপত্র কোথায়—এটা চলবে না। রাষ্ট্রের ১৭ কোটি মানুষকে সাথে নিয়ে তামাশা করা যায় না।’
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনাকে নতুন গণপরিষদ গঠন করতে হবে। গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একমাত্র সেই সংসদে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে—সেই সিদ্ধান্তই আইনগতভাবে বৈধ হবে। সামরিক অভ্যুত্থানের পরে সেনাবাহিনী কী করত? আমাদের সংবিধান স্থগিত রাখত। তারা দেশে ফরমান দিয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন চালাত। আর আমাদের গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে আপনি কোনো ফরমান দিতে পারেননি। আমাকে বলুন—আপনি কার পক্ষে কাজ করছেন? আপনি কার স্বার্থ রক্ষা করছেন? এটা তো চলবে না, এটা তো হতে পারে না।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে লোক এনেছেন, বিদেশ থেকে লোক এনেছেন—এরা বড় বড় বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করেছে, করপোরেট স্বার্থ রক্ষার জন্য। আপনি এনেছেন এমন লোকদের, যাদের সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসি বলে, “সে আমাদের লোক।” এদের দিয়ে আপনি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছেন। আমরা আমাদের দেশের নিরাপত্তা কীভাবে রক্ষা করব, আমরা তা জানি না। আমি দুঃখিত, আমি অত্যন্ত আহত ও ভীত হয়ে এসব কথা বলছি।’
ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘আপনি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন বিশাল বহর নিয়ে—কেন যাচ্ছেন? আপনি একজন উপদেষ্টা; আপনার প্রধান কাজ হওয়া উচিত ছিল দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তপোক্ত করা। সেনাবাহিনীকে আপনি ম্যাজিস্ট্রেসিতে এনেছেন—এ অভিযোগ উঠেছে যে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী চারজনকে হত্যা করেছে; যে দলই করা হোক না কেন, সেনাবাহিনী হত্যায় জড়িত হয়েছে। আপনি সেনাবাহিনীকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আপনার সামনে অনেক বড় বিপদ রয়েছে; একটির নাম হলো রোহিঙ্গা-মিয়ানমার ইস্যু। আপনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে ভূরাজনীতি অনুসরণ করছেন, সেই ভূরাজনীতিকে কীভাবে মোকাবিলা করবেন? আরাকান সশস্ত্র বাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে কার্যক্রম চালাচ্ছে; এই ঘটনার বিচ্ছিন্ন দিক নেই। আজ যদি বিলোনিয়া থেকে চট্টগ্রাম আলাদা হয়ে যায়—তা-ও আমাকে অবাক করবে না।
‘চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের জাতীয় প্রতিরক্ষার অংশ; আপনি সেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন একপ্রকারে অস্বীকার করে বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দিচ্ছেন। কার কাছে আপনি অনুমতি নিচ্ছেন—জনগণ কি আপনাকে সে অনুমতি দিয়েছে?’
নিজের আশঙ্কা ব্যক্ত করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমাদের আশা ছিল, যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের যে দুর্বলতা, সে দুর্বলতাগুলোকে আমরা মোকাবিলা করতে পারব। তার (ড. ইউনূস) আন্তরিকতা যদি পাই। তিনি যদি গণ-অভ্যুত্থানের অভিপ্রায়টুকু বোঝেন। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, তিনি এটা বোঝেন নাই। শুধু বোঝেন নাই না, এখন তিনি যে জায়গায় দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন—সেটা অত্যন্ত বিপজ্জনক।’
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আইনজীবী আবু হেনা রাজ্জাকী, সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান প্রমুখ।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনি (ড. ইউনূস) শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন। রাজনীতি কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আইন কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আমরা অপেক্ষা করেছি, কিন্তু আর নয়। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, রাষ্ট্র মানে গ্রামীণ ব্যাংক চালানো না, রাষ্ট্র আলাদা জিনিস।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনি (ড. ইউনূস) শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন। রাজনীতি কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আইন কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আমরা অপেক্ষা করেছি, কিন্তু আর নয়। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, রাষ্ট্র মানে গ্রামীণ ব্যাংক চালানো না, রাষ্ট্র আলাদা জিনিস।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনি (ড. ইউনূস) শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন। রাজনীতি কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আইন কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আমরা অপেক্ষা করেছি, কিন্তু আর নয়। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, রাষ্ট্র মানে গ্রামীণ ব্যাংক চালানো না, রাষ্ট্র আলাদা জিনিস।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আপনি (ড. ইউনূস) শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করেছেন। রাজনীতি কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আইন কাকে বলে—এটা যেন আপনি বোঝেন! আমরা অপেক্ষা করেছি, কিন্তু আর নয়। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, রাষ্ট্র মানে গ্রামীণ ব্যাংক চালানো না, রাষ্ট্র আলাদা জিনিস।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৫ ঘণ্টা আগে