অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

প্রচলন ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় ই-সিগারেট বা এ ধরনের তামাকভিত্তিক পণ্যকেও তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে গণ্য করে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে ই-সিগারেট ব্যবহার করলে গুনতে হবে জরিমানা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ভেপিংয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি নিয়ে স্বাস্থ্য খাতে কাজ করা ব্যক্তিদের উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে সরকারের এ উদ্যোগ এল।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) নামের নতুন এই অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, এর যন্ত্রাংশ বা অংশবিশেষ (ই-সিগারেট, ভেপ, ভেপিং, ভেপার ও ই-লিকুইড ইত্যাদি), হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টস বা ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, তা উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি, সংরক্ষণ, বিজ্ঞাপন, প্রচার-প্রচারণা, প্রণোদনা, পৃষ্ঠপোষকতা, বিপণন, বিতরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন করা যাবে না। এই নিয়ম না মানলে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা হবে।
কোনো কোম্পানি আইন অমান্য করলে তাদের মালামাল জব্দসহ কোম্পানির মালিক, ব্যবস্থাপক বা দায়ী ব্যক্তিকে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে। কোনো ব্যক্তি ই-সিগারেট ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের যন্ত্রাংশ বা অংশবিশেষ ব্যবহার করতে পারবেন না। এসব ব্যবহার করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা হবে। তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের সঙ্গে মিষ্টিদ্রব্য, মসলা, রং, সুগন্ধি, আসক্তিমূলক দ্রব্য বা মিশ্রণ যোগ করলে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ভেপিংয়ে ব্যবহৃত তরলে বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধ যোগ করা হয়ে থাকে।
খসড়ায় তামাক ব্যবহারের ক্ষতি সম্পর্কে তামাকজাত পণ্যের মোড়কের গায়ের ৯০ শতাংশ জায়গাজুড়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সতর্কবাণী রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে মোড়কের ৫০ শতাংশ জায়গায় এই সতর্কবাণী দেওয়া হয়।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপনের জন্য তৈরি করা সার-সংক্ষেপে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জানিয়েছে, দেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। এ-সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় হয় ৩০ হাজার কোটি টাকা। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভের-২০১৭ তথ্যমতে, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।
ই-সিগারেট জাতীয় পণ্য ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম এবং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট হিসেবেও পরিচিত। এর প্রচলিত জনপ্রিয় নাম ‘ভেপ’ (Vape)। ই-সিগারেট বা ভেপ পেন দিয়ে বাষ্প আকারে তামাক সেবনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় ভেপিং। সাধারণ মানুষের অনেকের ধারণা, সরাসরি সিগারেটের তামাক পুড়িয়ে ধোঁয়া টানা হয় না বলে ই-সিগারেট বা ‘ভেপ’ ক্ষতিকর নয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধারণা ভুল।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ চিকিৎসাসেবা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান জন্স হপকিন্স মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মাইকেল জোসেফ ব্লাহাকে উদ্ধৃত করে বলছে, ই-সিগারেট প্রচলিত তামাকের সিগারেটের চেয়ে কিছু কম ক্ষতিকর হলেও নিরাপদ নয়। এর উপাদানের মধ্যেও নিকোটিন রয়েছে। এটির আসক্তি সৃষ্টির ক্ষমতা প্রচলিত সিগারেটের মতোই।
মাইকেল ব্লাহার তথ্য অনুযায়ী, গবেষণায় দেখা গেছে, ভেপিং হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর।
বদলাচ্ছে নিয়ম, বাড়ছে সাজা
বর্তমান আইনে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় ই-সিগারেট অন্তর্ভুক্ত নেই। নতুন সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, তামাক, তামাকপাতা বা এর নির্যাস থেকে প্রস্তুত করা যেকোনো দ্রব্য, যা চুষে বা চিবিয়ে গ্রহণ করা যায় বা ধূমপানের মাধ্যমে শ্বাসের সঙ্গে টেনে নেওয়া যায় বা অন্য কোনোভাবে সেবন করা যায় এবং বিড়ি, সিগারেট, চুরুট, গুল, জর্দা, খৈনি, সাদাপাতা, সিগার (চুরুট), হুক্কা বা পাইপের ব্যবহার্য মিশ্রণ এবং ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস (বিকাশমান তামাকজাত পণ্য)। যেমন ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট ইত্যাদি নিকোটিন দ্রব্য, তা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, অন্তর্ভুক্ত হবে।
বর্তমান আইনে পাবলিক প্লেস (উদ্যান, বাজার ইত্যাদি জনপরিসর) বা বাস, লঞ্চ, ট্রেনের মতো গণপরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা রাখার কথা আছে। এটি বিলুপ্তির প্রস্তাব করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বলেছে, জনপরিসর শ্রেণির স্থানের ভেতরে পৃথক ধূমপানের এলাকা থাকলে অধূমপায়ীরা তামাকের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা পায় না। কারণ ধূমপান এলাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় বারবার দরজা খোলা হয় বলে ধোঁয়া আশপাশে ছড়িয়ে অধূমপায়ীদের ক্ষতি করে। এ বিষয়ে আপিল বিভাগ এক রায়ে ধূমপানমুক্ত স্থানে ধূমপানের জন্য ব্যবস্থা না রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে।
অধ্যাদেশে গণপরিবহন হিসেবে মোটরগাড়ি, বাস, রেল, জাহাজ, লঞ্চ, যান্ত্রিক সব যানবাহন ও উড়োজাহাজের সঙ্গে অযান্ত্রিক যানকেও যুক্ত করা হয়েছে। এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, রিকশা ও নৌকার মতো অযান্ত্রিক যানবাহনের যাত্রীরাও অন্যের ধূমপানের ফলে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন।
বর্তমান আইনে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান করায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। অধ্যাদেশে এসব স্থানে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, পানের (যা তামাক থেকে তৈরি জর্দা দিয়ে সেবন করা হয়) মতো ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য সেবন করে পিক ও থুতু ফেলায় সংক্রমণ ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে। পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের শাস্তি বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এখন সিনেমা হল, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর সঙ্গে ওয়েবপেজ এবং অনলাইনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিজ্ঞাপন প্রচার-সংক্রান্ত বিধান না মানলে এখন তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া যায়। এ অর্থদণ্ড বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অধ্যাদেশে ফেরি করে বা ভ্রাম্যমাণ দোকানে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন ছাড়া তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা যাবে না। এই বিধান অমান্য করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, খেলাধুলার স্থান ও শিশুপার্কের সীমানার ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা অমান্য করার সাজা হবে ৫ হাজার টাকা জরিমানা।
দুবার মন্ত্রিসভা থেকে খসড়া ফেরত
তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আগের আইন সংশোধন করে বেশ আগে নতুন খসড়া করেছিল সরকার। সে খসড়া পাসের জন্য ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হলেও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ তা প্রত্যাহার করে নেয়। পরে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেও গত ২৭ অক্টোবর খসড়াটি প্রত্যাহার করা হয়। এরপর গত বছরের ৯ ডিসেম্বর এটি পরিমার্জন করতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে চেয়ারম্যান করে ৯ উপদেষ্টাকে নিয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ওই উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এখনো তাদের সুপারিশ দেয়নি বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির মতামতের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ খসড়াটি পরিমার্জন করবে। এরপর তা পাসের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তোলা হবে।
চিকিৎসকের অভিমত
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার যে হারে কমার কথা ছিল, সে হারে কমেনি। কারণ আইনে দুর্বলতা ছিল, তার প্রয়োগেও দুর্বলতা রয়েছে। ই-সিগারেট নেশাকারী দ্রব্য। কোন আইনে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা কোথাও বলা ছিল না। আইনে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে, সেগুলো প্রয়োগ করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।’

প্রচলন ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় ই-সিগারেট বা এ ধরনের তামাকভিত্তিক পণ্যকেও তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে গণ্য করে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে ই-সিগারেট ব্যবহার করলে গুনতে হবে জরিমানা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ভেপিংয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি নিয়ে স্বাস্থ্য খাতে কাজ করা ব্যক্তিদের উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে সরকারের এ উদ্যোগ এল।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) নামের নতুন এই অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, এর যন্ত্রাংশ বা অংশবিশেষ (ই-সিগারেট, ভেপ, ভেপিং, ভেপার ও ই-লিকুইড ইত্যাদি), হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টস বা ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, তা উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি, সংরক্ষণ, বিজ্ঞাপন, প্রচার-প্রচারণা, প্রণোদনা, পৃষ্ঠপোষকতা, বিপণন, বিতরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন করা যাবে না। এই নিয়ম না মানলে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা হবে।
কোনো কোম্পানি আইন অমান্য করলে তাদের মালামাল জব্দসহ কোম্পানির মালিক, ব্যবস্থাপক বা দায়ী ব্যক্তিকে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা হবে। কোনো ব্যক্তি ই-সিগারেট ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের যন্ত্রাংশ বা অংশবিশেষ ব্যবহার করতে পারবেন না। এসব ব্যবহার করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা হবে। তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের সঙ্গে মিষ্টিদ্রব্য, মসলা, রং, সুগন্ধি, আসক্তিমূলক দ্রব্য বা মিশ্রণ যোগ করলে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ভেপিংয়ে ব্যবহৃত তরলে বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধ যোগ করা হয়ে থাকে।
খসড়ায় তামাক ব্যবহারের ক্ষতি সম্পর্কে তামাকজাত পণ্যের মোড়কের গায়ের ৯০ শতাংশ জায়গাজুড়ে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সতর্কবাণী রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে মোড়কের ৫০ শতাংশ জায়গায় এই সতর্কবাণী দেওয়া হয়।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপনের জন্য তৈরি করা সার-সংক্ষেপে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জানিয়েছে, দেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। এ-সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় হয় ৩০ হাজার কোটি টাকা। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভের-২০১৭ তথ্যমতে, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।
ই-সিগারেট জাতীয় পণ্য ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম এবং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট হিসেবেও পরিচিত। এর প্রচলিত জনপ্রিয় নাম ‘ভেপ’ (Vape)। ই-সিগারেট বা ভেপ পেন দিয়ে বাষ্প আকারে তামাক সেবনের প্রক্রিয়াকে বলা হয় ভেপিং। সাধারণ মানুষের অনেকের ধারণা, সরাসরি সিগারেটের তামাক পুড়িয়ে ধোঁয়া টানা হয় না বলে ই-সিগারেট বা ‘ভেপ’ ক্ষতিকর নয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধারণা ভুল।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ চিকিৎসাসেবা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান জন্স হপকিন্স মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মাইকেল জোসেফ ব্লাহাকে উদ্ধৃত করে বলছে, ই-সিগারেট প্রচলিত তামাকের সিগারেটের চেয়ে কিছু কম ক্ষতিকর হলেও নিরাপদ নয়। এর উপাদানের মধ্যেও নিকোটিন রয়েছে। এটির আসক্তি সৃষ্টির ক্ষমতা প্রচলিত সিগারেটের মতোই।
মাইকেল ব্লাহার তথ্য অনুযায়ী, গবেষণায় দেখা গেছে, ভেপিং হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর।
বদলাচ্ছে নিয়ম, বাড়ছে সাজা
বর্তমান আইনে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় ই-সিগারেট অন্তর্ভুক্ত নেই। নতুন সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, তামাক, তামাকপাতা বা এর নির্যাস থেকে প্রস্তুত করা যেকোনো দ্রব্য, যা চুষে বা চিবিয়ে গ্রহণ করা যায় বা ধূমপানের মাধ্যমে শ্বাসের সঙ্গে টেনে নেওয়া যায় বা অন্য কোনোভাবে সেবন করা যায় এবং বিড়ি, সিগারেট, চুরুট, গুল, জর্দা, খৈনি, সাদাপাতা, সিগার (চুরুট), হুক্কা বা পাইপের ব্যবহার্য মিশ্রণ এবং ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস (বিকাশমান তামাকজাত পণ্য)। যেমন ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট ইত্যাদি নিকোটিন দ্রব্য, তা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, অন্তর্ভুক্ত হবে।
বর্তমান আইনে পাবলিক প্লেস (উদ্যান, বাজার ইত্যাদি জনপরিসর) বা বাস, লঞ্চ, ট্রেনের মতো গণপরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা রাখার কথা আছে। এটি বিলুপ্তির প্রস্তাব করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বলেছে, জনপরিসর শ্রেণির স্থানের ভেতরে পৃথক ধূমপানের এলাকা থাকলে অধূমপায়ীরা তামাকের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা পায় না। কারণ ধূমপান এলাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় বারবার দরজা খোলা হয় বলে ধোঁয়া আশপাশে ছড়িয়ে অধূমপায়ীদের ক্ষতি করে। এ বিষয়ে আপিল বিভাগ এক রায়ে ধূমপানমুক্ত স্থানে ধূমপানের জন্য ব্যবস্থা না রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে।
অধ্যাদেশে গণপরিবহন হিসেবে মোটরগাড়ি, বাস, রেল, জাহাজ, লঞ্চ, যান্ত্রিক সব যানবাহন ও উড়োজাহাজের সঙ্গে অযান্ত্রিক যানকেও যুক্ত করা হয়েছে। এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, রিকশা ও নৌকার মতো অযান্ত্রিক যানবাহনের যাত্রীরাও অন্যের ধূমপানের ফলে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন।
বর্তমান আইনে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান করায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। অধ্যাদেশে এসব স্থানে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, পানের (যা তামাক থেকে তৈরি জর্দা দিয়ে সেবন করা হয়) মতো ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য সেবন করে পিক ও থুতু ফেলায় সংক্রমণ ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ে। পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের শাস্তি বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এখন সিনেমা হল, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর সঙ্গে ওয়েবপেজ এবং অনলাইনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিজ্ঞাপন প্রচার-সংক্রান্ত বিধান না মানলে এখন তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া যায়। এ অর্থদণ্ড বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অধ্যাদেশে ফেরি করে বা ভ্রাম্যমাণ দোকানে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন ছাড়া তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা যাবে না। এই বিধান অমান্য করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক, খেলাধুলার স্থান ও শিশুপার্কের সীমানার ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা অমান্য করার সাজা হবে ৫ হাজার টাকা জরিমানা।
দুবার মন্ত্রিসভা থেকে খসড়া ফেরত
তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আগের আইন সংশোধন করে বেশ আগে নতুন খসড়া করেছিল সরকার। সে খসড়া পাসের জন্য ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হলেও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ তা প্রত্যাহার করে নেয়। পরে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেও গত ২৭ অক্টোবর খসড়াটি প্রত্যাহার করা হয়। এরপর গত বছরের ৯ ডিসেম্বর এটি পরিমার্জন করতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে চেয়ারম্যান করে ৯ উপদেষ্টাকে নিয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ওই উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এখনো তাদের সুপারিশ দেয়নি বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির মতামতের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ খসড়াটি পরিমার্জন করবে। এরপর তা পাসের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তোলা হবে।
চিকিৎসকের অভিমত
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার যে হারে কমার কথা ছিল, সে হারে কমেনি। কারণ আইনে দুর্বলতা ছিল, তার প্রয়োগেও দুর্বলতা রয়েছে। ই-সিগারেট নেশাকারী দ্রব্য। কোন আইনে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা কোথাও বলা ছিল না। আইনে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে, সেগুলো প্রয়োগ করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।’

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)। এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
৩ ঘণ্টা আগে
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক অর্জন থাকলেও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে। ফলে সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়—এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফিরে আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়—সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য ছড়ানো হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য কমিশনের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি বা প্রভাবিত করা।
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) গুমসংক্রান্ত কমিশনের সচিব কুদরত-এ-ইলাহী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’-এর নাম জড়িয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচারিত হচ্ছে, যা কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদন দাখিলের পূর্বনির্ধারিত সময়সীমার সঙ্গে সংগতি রেখে মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সংযুক্ত করে কমিশন সম্পর্কে যে বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে, তা মূলত কমিশনের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি বা প্রভাবিত করার হীন উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, কমিশনের বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রমে খন্দকার রাকিব নামের কোনো ব্যক্তির উপস্থিতির যে দাবি প্রচার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য। ওই ব্যক্তি কখনোই গুমসংক্রান্ত কমিশনে কোনো পদে কর্মরত ছিলেন না এবং কমিশনের কোনো জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রমেও তাঁর উপস্থিতি ছিল না।
কমিশনের মতে, এ ধরনের অস্পষ্ট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের মাধ্যমে একটি মহল কমিশনের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গুম হওয়া ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের দীর্ঘ প্রতীক্ষা এবং ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান রেখে কমিশন তার অর্পিত দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দেশপ্রেমিক সব নাগরিকের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। এই অবস্থায় দেশবাসীকে বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উসকানিমূলক তথ্যের প্রতি কর্ণপাত না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য ছড়ানো হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য কমিশনের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি বা প্রভাবিত করা।
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) গুমসংক্রান্ত কমিশনের সচিব কুদরত-এ-ইলাহী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’-এর নাম জড়িয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচারিত হচ্ছে, যা কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদন দাখিলের পূর্বনির্ধারিত সময়সীমার সঙ্গে সংগতি রেখে মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সংযুক্ত করে কমিশন সম্পর্কে যে বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে, তা মূলত কমিশনের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি বা প্রভাবিত করার হীন উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, কমিশনের বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রমে খন্দকার রাকিব নামের কোনো ব্যক্তির উপস্থিতির যে দাবি প্রচার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য। ওই ব্যক্তি কখনোই গুমসংক্রান্ত কমিশনে কোনো পদে কর্মরত ছিলেন না এবং কমিশনের কোনো জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রমেও তাঁর উপস্থিতি ছিল না।
কমিশনের মতে, এ ধরনের অস্পষ্ট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের মাধ্যমে একটি মহল কমিশনের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গুম হওয়া ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের দীর্ঘ প্রতীক্ষা এবং ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান রেখে কমিশন তার অর্পিত দায়িত্ব নিরপেক্ষভাবে ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে দেশপ্রেমিক সব নাগরিকের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। এই অবস্থায় দেশবাসীকে বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উসকানিমূলক তথ্যের প্রতি কর্ণপাত না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রচলন ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় ই-সিগারেট বা এ ধরনের তামাকভিত্তিক পণ্যকেও তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে গণ্য করে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে ই-সিগারেট ব্যবহার করলে গুনতে হবে জরিমানা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ভেপিংয়ের
১৩ জুন ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)। এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
৩ ঘণ্টা আগে
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক অর্জন থাকলেও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে। ফলে সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়—এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফিরে আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়—সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)।
এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সরকারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে দেশের ৬৪ জেলায় ‘গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন–২০২৬’ উপলক্ষ্যে ধারাবাহিক প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে ‘ভোটের গাড়ি’ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটারদের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘ভোটের গাড়ি’ প্রচারণার মাধ্যমে গ্রাম থেকে শহর—সব স্তরের মানুষের কাছে নির্বাচনী বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন ও গণভোট নিয়ে আগ্রহ ও সচেতনতা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)।
এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সরকারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে দেশের ৬৪ জেলায় ‘গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন–২০২৬’ উপলক্ষ্যে ধারাবাহিক প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে ‘ভোটের গাড়ি’ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটারদের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘ভোটের গাড়ি’ প্রচারণার মাধ্যমে গ্রাম থেকে শহর—সব স্তরের মানুষের কাছে নির্বাচনী বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন ও গণভোট নিয়ে আগ্রহ ও সচেতনতা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রচলন ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় ই-সিগারেট বা এ ধরনের তামাকভিত্তিক পণ্যকেও তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে গণ্য করে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে ই-সিগারেট ব্যবহার করলে গুনতে হবে জরিমানা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ভেপিংয়ের
১৩ জুন ২০২৫
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য
৩ ঘণ্টা আগে
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক অর্জন থাকলেও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে। ফলে সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়—এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফিরে আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়—সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক অর্জন থাকলেও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে। ফলে সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’
আজ রোববার পূর্বাচল নতুন শহরে অবস্থিত স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এসইউবি) সপ্তম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এবারের সমাবর্তন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির স্মরণে উৎসর্গ করা হয়।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ইউরোপের অগ্রযাত্রা প্রমাণ করে যে দেশ গঠনে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যেসব দেশ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পেরেছে, তারাই এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের দেশে ব্যক্তি ও পরিবার প্রাধান্য পেয়েছে, প্রতিষ্ঠান নয়। ফলে অর্জন থাকলেও তা টেকসই হয়নি।’
বক্তব্যের শুরুতেই ওসমান হাদির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি কখনো এত বড় জানাজা দেখিনি। মানুষের যে আহাজারি ও দোয়া প্রত্যক্ষ করেছি, তাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস—আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অধিষ্ঠিত করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাদির জন্য এত মানুষের শোকের কারণ হলো—তিনি কখনো নিজের কথা ভাবতেন না; ভাবতেন ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কথা। তিনি সৎ জীবন যাপন করতেন, সবাইকে ভালোবাসতেন। কর্মীদের জন্য তিনি যা করে গেছেন, তা অনেক নেতার জন্যই অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।’
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
তিনি বলেন, ‘আজকের গ্র্যাজুয়েটরা মেধাবী ও সাহসী। কারণ, জ্ঞানার্জন এখন বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার পরিসরও বিস্তৃত হচ্ছে, তৈরি হচ্ছে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জকে সম্ভাবনা হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন খান। এ ছাড়া বক্তব্য দেন স্টেট ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ডা. এ এম শামীম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নওজিয়া ইয়াসমীনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা।
সমাবর্তনে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি বিভাগের মোট ৬৭২ জনকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে তিনজন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলরস গোল্ড মেডেল, চারজন শিক্ষার্থীকে ভাইস চ্যান্সেলর সিলভার মেডেল এবং ২০ জন শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
সমাবর্তন উপলক্ষে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, শিক্ষক ও গ্র্যাজুয়েটরা বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করে সমাবর্তন শোভাযাত্রায় অংশ নেন। দিনব্যাপী সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অ্যালামনাই, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক অর্জন থাকলেও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে। ফলে সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’
আজ রোববার পূর্বাচল নতুন শহরে অবস্থিত স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এসইউবি) সপ্তম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এবারের সমাবর্তন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির স্মরণে উৎসর্গ করা হয়।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ইউরোপের অগ্রযাত্রা প্রমাণ করে যে দেশ গঠনে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান কতটা গুরুত্বপূর্ণ। যেসব দেশ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পেরেছে, তারাই এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের দেশে ব্যক্তি ও পরিবার প্রাধান্য পেয়েছে, প্রতিষ্ঠান নয়। ফলে অর্জন থাকলেও তা টেকসই হয়নি।’
বক্তব্যের শুরুতেই ওসমান হাদির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি কখনো এত বড় জানাজা দেখিনি। মানুষের যে আহাজারি ও দোয়া প্রত্যক্ষ করেছি, তাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস—আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অধিষ্ঠিত করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাদির জন্য এত মানুষের শোকের কারণ হলো—তিনি কখনো নিজের কথা ভাবতেন না; ভাবতেন ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কথা। তিনি সৎ জীবন যাপন করতেন, সবাইকে ভালোবাসতেন। কর্মীদের জন্য তিনি যা করে গেছেন, তা অনেক নেতার জন্যই অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।’
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
তিনি বলেন, ‘আজকের গ্র্যাজুয়েটরা মেধাবী ও সাহসী। কারণ, জ্ঞানার্জন এখন বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার পরিসরও বিস্তৃত হচ্ছে, তৈরি হচ্ছে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জকে সম্ভাবনা হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন খান। এ ছাড়া বক্তব্য দেন স্টেট ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ডা. এ এম শামীম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নওজিয়া ইয়াসমীনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা।
সমাবর্তনে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি বিভাগের মোট ৬৭২ জনকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে তিনজন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলরস গোল্ড মেডেল, চারজন শিক্ষার্থীকে ভাইস চ্যান্সেলর সিলভার মেডেল এবং ২০ জন শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
সমাবর্তন উপলক্ষে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, শিক্ষক ও গ্র্যাজুয়েটরা বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করে সমাবর্তন শোভাযাত্রায় অংশ নেন। দিনব্যাপী সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অ্যালামনাই, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রচলন ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় ই-সিগারেট বা এ ধরনের তামাকভিত্তিক পণ্যকেও তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে গণ্য করে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে ই-সিগারেট ব্যবহার করলে গুনতে হবে জরিমানা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ভেপিংয়ের
১৩ জুন ২০২৫
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)। এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
৩ ঘণ্টা আগে
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়—এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফিরে আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়—সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
৪ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে আস্থার পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে শিগগির মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অপারেশন পুনরায় চালু হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‘আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, এখন থেকে মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অপারেশন পুনরায় চালু হবে। যৌথ বাহিনীর অপারেশনের অন্যতম লক্ষ্য হবে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা। সার্বিকভাবে, সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে একটা আস্থার পরিবেশ তৈরি করা। এলাকাভিত্তিক চেকপয়েন্ট অপারেশনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। যেসব এলাকায় অস্ত্রের আনাগোনা আছে মর্মে জানা যায়, ওইসব এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে বলা হয়েছে।’
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক এবং পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনাসংক্রান্ত ইসির সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ এসব কথা বলেন।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১২টায় তিন বাহিনীর প্রধান কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বেলা আড়াইটায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনাসংক্রান্ত ইসির সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাগ, বাহিনী ও সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়—এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফিরে আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়—সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, তাদের টার্গেট মূলত শহর এলাকাভিত্তিক। তারা সম্ভবত খুব অর্গানাইজভাবে টার্গেটেড কর্মকাণ্ড করছে। যাতে এটার প্রভাব জনমনে শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। এগুলো সব চিহ্নিত করা হয়েছে। জনমনে যাতে স্বস্তি ফেরত আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়, দলগুলো যাতে যথাযথভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারে, নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী সব কাজ যেন নির্বিঘ্ন হতে পারে, সে নির্দেশনা দিয়েছি।’
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘চোরাগোপ্তা হামলা হলো যারা হেরে যায়, তাদের একটা কৌশল। এগুলোকে প্রতিহত করার জন্য যা যা করা দরকার, তা-ই করতে হবে। যাতে কেউ এগুলো ঘটানোর দুঃসাহস না দেখায়, তারা যেন পালাতে না পারে—সে জন্য আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাসহ বাহিনীগুলোকে সচেতন করেছি।’
বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের বৈঠক ছিল। আজকে প্রথমবারের মতো তিন বাহিনীর প্রধান তথা সেনাবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান ও বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলাদাভাবে মিটিং করেছি। তফসিল ঘোষণা হয়েছে ১১ ডিসেম্বর। তফসিল ঘোষণার পরে সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়নে আমাদের দিকনির্দেশনা এবং অপরাপর আনুষ্ঠানিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তফসিল ঘোষণার পর দ্বিতীয় মিটিংয়ের শুরুতেই শহীদ শরিফ ওসমান হাদিসহ কয়েকজনের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে উল্লেখ করে সানাউল্লাহ বলেন, ‘ওসমান হাদির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সাত-আট দিন আমরা পুরা জাতি শোকের মধ্যে ছিলাম এবং আমাদের ফোকাসটা সেদিকেই ছিল। কিন্তু মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
সুনির্দিষ্ট কতগুলো নির্দেশনা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত করে—এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রার্থী হিসেবে যাঁদের মনোনয়ন দিচ্ছেন বা স্বতন্ত্র হিসেবে যাঁরা নির্বাচন করতে চাচ্ছেন—তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি যে, পুলিশ থেকে ইতিমধ্যে একটা প্রোটোকল দাঁড় করানো হয়েছে। সেই প্রটোকল অনুযায়ী যাঁরা যাঁরা নিরাপত্তা চাচ্ছেন, তাঁদের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনায় তাঁরা আমাদের সমন্বিতভাবে প্রস্তুতির ব্যাপারে জানিয়েছেন। একটা সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন করার জন্য যা যা প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, তা তাঁরা নিয়ে রেখেছেন। যত ডেপ্লয়মেন্ট যেভাবে করা দরকার, সেটা তাঁরা করতে যাচ্ছেন। যেমন—সেনাবাহিনী এক লাখ সদস্য মোতায়েন করবে।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে আস্থার পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে শিগগির মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অপারেশন পুনরায় চালু হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‘আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, এখন থেকে মাঠপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর অপারেশন পুনরায় চালু হবে। যৌথ বাহিনীর অপারেশনের অন্যতম লক্ষ্য হবে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় নিয়ে আসা। সার্বিকভাবে, সাধারণ মানুষ, ভোটার, প্রার্থী ও দলগুলোর মাঝে একটা আস্থার পরিবেশ তৈরি করা। এলাকাভিত্তিক চেকপয়েন্ট অপারেশনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। যেসব এলাকায় অস্ত্রের আনাগোনা আছে মর্মে জানা যায়, ওইসব এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে বলা হয়েছে।’
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক এবং পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনাসংক্রান্ত ইসির সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ এসব কথা বলেন।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ১২টায় তিন বাহিনীর প্রধান কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বেলা আড়াইটায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনাসংক্রান্ত ইসির সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাগ, বাহিনী ও সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, আন্ডারমাইন করতে চায়—এগুলো সব চিহ্নিত করেছি। জনমনে যাতে স্বস্তি ফিরে আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়—সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘যারা নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে চায়, তাদের টার্গেট মূলত শহর এলাকাভিত্তিক। তারা সম্ভবত খুব অর্গানাইজভাবে টার্গেটেড কর্মকাণ্ড করছে। যাতে এটার প্রভাব জনমনে শঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। এগুলো সব চিহ্নিত করা হয়েছে। জনমনে যাতে স্বস্তি ফেরত আসে, মানুষ যেন আশ্বস্ত হয়, দলগুলো যাতে যথাযথভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারে, নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী সব কাজ যেন নির্বিঘ্ন হতে পারে, সে নির্দেশনা দিয়েছি।’
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘চোরাগোপ্তা হামলা হলো যারা হেরে যায়, তাদের একটা কৌশল। এগুলোকে প্রতিহত করার জন্য যা যা করা দরকার, তা-ই করতে হবে। যাতে কেউ এগুলো ঘটানোর দুঃসাহস না দেখায়, তারা যেন পালাতে না পারে—সে জন্য আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাসহ বাহিনীগুলোকে সচেতন করেছি।’
বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের বৈঠক ছিল। আজকে প্রথমবারের মতো তিন বাহিনীর প্রধান তথা সেনাবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান ও বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলাদাভাবে মিটিং করেছি। তফসিল ঘোষণা হয়েছে ১১ ডিসেম্বর। তফসিল ঘোষণার পরে সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়নে আমাদের দিকনির্দেশনা এবং অপরাপর আনুষ্ঠানিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তফসিল ঘোষণার পর দ্বিতীয় মিটিংয়ের শুরুতেই শহীদ শরিফ ওসমান হাদিসহ কয়েকজনের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে উল্লেখ করে সানাউল্লাহ বলেন, ‘ওসমান হাদির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সাত-আট দিন আমরা পুরা জাতি শোকের মধ্যে ছিলাম এবং আমাদের ফোকাসটা সেদিকেই ছিল। কিন্তু মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
সুনির্দিষ্ট কতগুলো নির্দেশনা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত করে—এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রার্থী হিসেবে যাঁদের মনোনয়ন দিচ্ছেন বা স্বতন্ত্র হিসেবে যাঁরা নির্বাচন করতে চাচ্ছেন—তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি যে, পুলিশ থেকে ইতিমধ্যে একটা প্রোটোকল দাঁড় করানো হয়েছে। সেই প্রটোকল অনুযায়ী যাঁরা যাঁরা নিরাপত্তা চাচ্ছেন, তাঁদের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে আলোচনায় তাঁরা আমাদের সমন্বিতভাবে প্রস্তুতির ব্যাপারে জানিয়েছেন। একটা সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন করার জন্য যা যা প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, তা তাঁরা নিয়ে রেখেছেন। যত ডেপ্লয়মেন্ট যেভাবে করা দরকার, সেটা তাঁরা করতে যাচ্ছেন। যেমন—সেনাবাহিনী এক লাখ সদস্য মোতায়েন করবে।’

প্রচলন ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় ই-সিগারেট বা এ ধরনের তামাকভিত্তিক পণ্যকেও তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে গণ্য করে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে ই-সিগারেট ব্যবহার করলে গুনতে হবে জরিমানা। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ভেপিংয়ের
১৩ জুন ২০২৫
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’র নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এসব তথ্য কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং কমিশনের মতে, পূর্বনির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলকে ঘিরে মনগড়া তথ্য যুক্ত করে এ ধরনের বক্তব্য
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–২০২৬ সামনে রেখে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে ‘ভোটের গাড়ি’ শীর্ষক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবার (২২ ডিসেম্বর)। এদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই প্রচারণার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
৩ ঘণ্টা আগে
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক অর্জন থাকলেও টেকসই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অগ্রসরমাণ অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে তাদের ভিত দুর্বল করা হয়েছে। ফলে সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে
৩ ঘণ্টা আগে