ফারুক মেহেদী, ঢাকা

পর্যাপ্ত ক্রয় আদেশ পাওয়ার পরও জাহাজ ও কনটেইনার–সংকটে পণ্য পাঠাতে পারছেন না তৈরি পোশাক কোম্পানির মালিকেরা। সংকটে পড়েছে পুরো রপ্তানি–বাণিজ্য। চট্টগ্রামে ১৯টি আইসিডিতে ৫৩ হাজারের বেশি কনটেইনার আটকে আছে। এর মধ্যে সাড়ে ১১ হাজারই রপ্তানিমুখী পোশাকের কনটেইনার। চীন, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরে জাহাজ ও কনটেইনার জটের কারণে এ সমস্যা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। এতে বাড়ছে রপ্তানির খরচ। দীর্ঘমেয়াদি বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির অর্ডার কমে যাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ মনে করে, তারা বৈশ্বিক সমস্যার শিকার। তাদের তেমন কিছু করার নেই। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারকদের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বেসরকারি আইসিডি মালিক, ফ্রেট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশন, শিপ ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্টরা আজ মঙ্গলবার ঢাকায় জরুরি বৈঠকে বসছেন।
বাংলাদেশ থেকে বছরে চার হাজার কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। এই রপ্তানি দিন দিন বাড়ছে। এই শিল্পের ওপর দেশের ৪০ লাখের বেশি মানুষ সরাসরি নির্ভরশীল।
রপ্তানিকারকসহ বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বিশ্বের অন্যতম শিপিং জায়ান্ট জার্মানির প্রতিষ্ঠান হেপ লয়েড এরই মধ্যে জানিয়েছে, তারা আগামী চার সপ্তাহ বাংলাদেশগামী পণ্য পরিবহন করবে না। শুধু হেপ লয়েডই নয়, বিশ্বের শীর্ষ কনটেইনার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন বাংলাদেশে আসতে চাইছে না। তারা করোনা–পরবর্তী বিশ্বের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতি ফেরায় চীন, ইউরোপ ও আমেরিকায় পণ্য পৌঁছানোকে বেশি লাভজনক মনে করছে। হেপ লয়েড বাংলাদেশে প্রতি মাসে গড়ে ২০ ফুট আকারের অন্তত ৯ হাজার কনটেইনারে আমদানি পণ্য পরিবহন করে। প্রায় একই পরিমাণ কনটেইনারে রপ্তানি পণ্যও পরিবহন করে থাকে।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, সম্প্রতি চীনের বন্দরে জট লাগার কারণেই এ সমস্যা প্রকট হচ্ছে। একদিকে রপ্তানির চাহিদা বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে তা পরিবহনের জন্য জাহাজ না পাওয়ার ফলে শিপিং খরচ বেড়ে যাচ্ছে। শুধু চীনেই নয়; বাংলাদেশের সব পণ্য ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে যায় মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দর হয়ে। ওই সব বন্দরে করোনার কারণে ইতিমধ্যে জাহাজজট লেগে গেছে। সেখানে পণ্য খালাসের জন্য পর্যাপ্ত জনবল নেই। এই ধীরগতির প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের রপ্তানিতে।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, দেশের ১৯টি ডিপোতে গতকাল পর্যন্ত মোট ৫৩ হাজারের বেশি পণ্যবাহী কনটেইনারের জট তৈরি হয়েছে। জাহাজ না পাওয়ায় এসব কনটেইনার জমা হয়েছে। কবে এগুলো জাহাজে তুলে দেওয়া যাবে, এ তথ্য কেউ দিতে পারছে না।
এ ব্যাপারে বেসরকারি আইসিডি মালিকদের সংগঠন বিকডার প্রেসিডেন্ট নুরুল কাইয়ুম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। জাহাজ আসছে না। বিভিন্ন বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ আটকে আছে। কনটেইনার–সংকট বাড়ছে। আমাদের ডিপোগুলোয় পণ্যবাহী কনটেইনার উপচে পড়ছে। এতে সংশ্লিষ্টদের খরচের বোঝা বাড়ছে।’
তবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ জাফর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি সমস্যা হয়েছে। এটি বৈশ্বিক সমস্যা। আমাদের বন্দরের এতে কিছুই করার নেই। রপ্তানিকারকেরা ৪০ ফুট কনটেইনারে পণ্য পাঠানোর চুক্তি করেছিলেন বিভিন্ন শিপিং এজেন্টদের সঙ্গে। বৈশ্বিক চাহিদার কারণে সেসব কনটেইনার এখন ইউরোপ-আমেরিকায় আটকা পড়েছে। যে কারণে ওই সব কনটেইনারের সংকট। তারা যদি ক্রেতাদের স্বার্থ আর ভবিষ্যৎ আদেশের কথা ভেবে তাদের পণ্যগুলো ২০ ফুট কনটেইনারে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়, তবে সাময়িকভাবে সমস্যার কিছুটা সমাধান হতে পারে। এখানে সরকারের দিকে চেয়ে থাকলে হবে না। সরকার তাদের চাহিদামতো সরাসরি জাহাজ কোথা থেকে দেবে?’
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে এই সমস্যা আমাদের নয়। আমরা আমাদের স্বাভাবিক কাজ করছি। যাদের সমস্যা, এটা তারা দেখবে। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। তবে এখানে আমদানি পণ্যের খালাস কম হচ্ছে, এটা ঠিক। এটা মূলত লকডাউনের কারণে। ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। পণ্য ছাড়িয়ে নিয়ে কী করবে? স্বাভাবিকভাবেই পণ্য খালাস কম।’
এ ব্যাপারে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত আমদানি পণ্যবাহী জাহাজেই রপ্তানি পণ্য পাঠানো হয়। যেহেতু করোনার কারণে আমদানি কমে গেছে, তাই পণ্যবাহী জাহাজ কমে গেছে। তা ছাড়া, সিঙ্গাপুর, চীন, কলম্বো বন্দরেও জাহাজজট লেগেছে। এর ধাক্কাই লেগেছে এখানে। সমস্যা প্রকট হচ্ছে। চার্জ বেড়ে যাচ্ছে। এখন যদি ক্রেতারা পণ্যগুলো বিমানে পাঠাতে বলে, তাহলে আমরা মুশকিলে পড়ে যাব। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে আমাদের। অনেক বেশি মাশুল গুনতে হবে।’
নিট পোশাক রপ্তানিকারক ও বিকেএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি একটি কঠিন পরিস্থিতি। কনটেইনার ও জাহাজসংকটে বাংলাদেশ থেকে যথাসময়ে রপ্তানিযোগ্য পণ্য পাঠানো যাচ্ছে না। সিঙ্গাপুরেও জাহাজজট চলছে। এর মধ্যে শিপিং কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের দিকে জাহাজ না পাঠানোর ঘোষণা দিচ্ছে। এতে লিড টাইম বেড়ে যাচ্ছে। ৪৫ দিনের সময়সীমা ১০ থেকে ১৫ দিন বেড়ে ৬০ দিনে গিয়ে ঠেকছে। চীন ও ভিয়েতনাম থেকে সরাসরি রপ্তানি পণ্যবাহী জাহাজ গন্তব্যে যাচ্ছে। আমরা পাঠাতে পারছি না। এখানে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকি আছে। সব মিলিয়ে একটি কঠিন সময় পার করছে রপ্তানি খাত। আমাদের অর্ডার আছে। কিন্তু একটি গ্লোবাল সমস্যার কারণে আমরা পণ্য সময়মতো পাঠাতে পারছি না।’
ওভেন ও নিট পোশাক রপ্তানিকারকেরা জানান, ইউরোপ–আমেরিকায় টিকা দেওয়ার কারণে ওই সব দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। এরই মধ্যে ওই সব দেশের দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। মানুষের পোশাকের চাহিদা বাড়ছে; বিশেষ করে কম দামি পোশাক, যা বাংলাদেশ সরবরাহ করে থাকে। এর ফলে বাংলাদেশে কয়েক মাস ধরে বিপুল অর্ডার আসছে। রপ্তানিকারকেরা অনেকে কাজ করে শেষ করতে পারছেন না। পুরো পোশাক খাত ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর একটি সুযোগ পেয়েছে। অথচ পণ্য পরিবহনের বৈশ্বিক এ সংকটের কারণে এখন রপ্তানি অনেকাংশে হুমকির মুখে রয়েছে। এই সংকটের কারণে কিছু কিছু শিপিং কোম্পানি ৪০ ফুটের একটি কনটেইনারের ভাড়া ১৯ হাজার ডলার পর্যন্ত দাবি করছে। অথচ করোনার আগে এ রকম একটি কনটেইনারের ভাড়া ছিল ২ হাজার ২০০ ডলার।
এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারকদের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ জরুরি বৈঠক ডেকেছে। আজ গুলশানে বিজিএমইএর লিয়াজোঁ অফিসে এ বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

পর্যাপ্ত ক্রয় আদেশ পাওয়ার পরও জাহাজ ও কনটেইনার–সংকটে পণ্য পাঠাতে পারছেন না তৈরি পোশাক কোম্পানির মালিকেরা। সংকটে পড়েছে পুরো রপ্তানি–বাণিজ্য। চট্টগ্রামে ১৯টি আইসিডিতে ৫৩ হাজারের বেশি কনটেইনার আটকে আছে। এর মধ্যে সাড়ে ১১ হাজারই রপ্তানিমুখী পোশাকের কনটেইনার। চীন, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরে জাহাজ ও কনটেইনার জটের কারণে এ সমস্যা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। এতে বাড়ছে রপ্তানির খরচ। দীর্ঘমেয়াদি বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির অর্ডার কমে যাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ মনে করে, তারা বৈশ্বিক সমস্যার শিকার। তাদের তেমন কিছু করার নেই। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারকদের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বেসরকারি আইসিডি মালিক, ফ্রেট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশন, শিপ ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্টরা আজ মঙ্গলবার ঢাকায় জরুরি বৈঠকে বসছেন।
বাংলাদেশ থেকে বছরে চার হাজার কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। এই রপ্তানি দিন দিন বাড়ছে। এই শিল্পের ওপর দেশের ৪০ লাখের বেশি মানুষ সরাসরি নির্ভরশীল।
রপ্তানিকারকসহ বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বিশ্বের অন্যতম শিপিং জায়ান্ট জার্মানির প্রতিষ্ঠান হেপ লয়েড এরই মধ্যে জানিয়েছে, তারা আগামী চার সপ্তাহ বাংলাদেশগামী পণ্য পরিবহন করবে না। শুধু হেপ লয়েডই নয়, বিশ্বের শীর্ষ কনটেইনার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন বাংলাদেশে আসতে চাইছে না। তারা করোনা–পরবর্তী বিশ্বের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতি ফেরায় চীন, ইউরোপ ও আমেরিকায় পণ্য পৌঁছানোকে বেশি লাভজনক মনে করছে। হেপ লয়েড বাংলাদেশে প্রতি মাসে গড়ে ২০ ফুট আকারের অন্তত ৯ হাজার কনটেইনারে আমদানি পণ্য পরিবহন করে। প্রায় একই পরিমাণ কনটেইনারে রপ্তানি পণ্যও পরিবহন করে থাকে।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, সম্প্রতি চীনের বন্দরে জট লাগার কারণেই এ সমস্যা প্রকট হচ্ছে। একদিকে রপ্তানির চাহিদা বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে তা পরিবহনের জন্য জাহাজ না পাওয়ার ফলে শিপিং খরচ বেড়ে যাচ্ছে। শুধু চীনেই নয়; বাংলাদেশের সব পণ্য ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে যায় মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দর হয়ে। ওই সব বন্দরে করোনার কারণে ইতিমধ্যে জাহাজজট লেগে গেছে। সেখানে পণ্য খালাসের জন্য পর্যাপ্ত জনবল নেই। এই ধীরগতির প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের রপ্তানিতে।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, দেশের ১৯টি ডিপোতে গতকাল পর্যন্ত মোট ৫৩ হাজারের বেশি পণ্যবাহী কনটেইনারের জট তৈরি হয়েছে। জাহাজ না পাওয়ায় এসব কনটেইনার জমা হয়েছে। কবে এগুলো জাহাজে তুলে দেওয়া যাবে, এ তথ্য কেউ দিতে পারছে না।
এ ব্যাপারে বেসরকারি আইসিডি মালিকদের সংগঠন বিকডার প্রেসিডেন্ট নুরুল কাইয়ুম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। জাহাজ আসছে না। বিভিন্ন বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ আটকে আছে। কনটেইনার–সংকট বাড়ছে। আমাদের ডিপোগুলোয় পণ্যবাহী কনটেইনার উপচে পড়ছে। এতে সংশ্লিষ্টদের খরচের বোঝা বাড়ছে।’
তবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ জাফর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি সমস্যা হয়েছে। এটি বৈশ্বিক সমস্যা। আমাদের বন্দরের এতে কিছুই করার নেই। রপ্তানিকারকেরা ৪০ ফুট কনটেইনারে পণ্য পাঠানোর চুক্তি করেছিলেন বিভিন্ন শিপিং এজেন্টদের সঙ্গে। বৈশ্বিক চাহিদার কারণে সেসব কনটেইনার এখন ইউরোপ-আমেরিকায় আটকা পড়েছে। যে কারণে ওই সব কনটেইনারের সংকট। তারা যদি ক্রেতাদের স্বার্থ আর ভবিষ্যৎ আদেশের কথা ভেবে তাদের পণ্যগুলো ২০ ফুট কনটেইনারে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়, তবে সাময়িকভাবে সমস্যার কিছুটা সমাধান হতে পারে। এখানে সরকারের দিকে চেয়ে থাকলে হবে না। সরকার তাদের চাহিদামতো সরাসরি জাহাজ কোথা থেকে দেবে?’
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে এই সমস্যা আমাদের নয়। আমরা আমাদের স্বাভাবিক কাজ করছি। যাদের সমস্যা, এটা তারা দেখবে। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। তবে এখানে আমদানি পণ্যের খালাস কম হচ্ছে, এটা ঠিক। এটা মূলত লকডাউনের কারণে। ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। পণ্য ছাড়িয়ে নিয়ে কী করবে? স্বাভাবিকভাবেই পণ্য খালাস কম।’
এ ব্যাপারে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত আমদানি পণ্যবাহী জাহাজেই রপ্তানি পণ্য পাঠানো হয়। যেহেতু করোনার কারণে আমদানি কমে গেছে, তাই পণ্যবাহী জাহাজ কমে গেছে। তা ছাড়া, সিঙ্গাপুর, চীন, কলম্বো বন্দরেও জাহাজজট লেগেছে। এর ধাক্কাই লেগেছে এখানে। সমস্যা প্রকট হচ্ছে। চার্জ বেড়ে যাচ্ছে। এখন যদি ক্রেতারা পণ্যগুলো বিমানে পাঠাতে বলে, তাহলে আমরা মুশকিলে পড়ে যাব। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে আমাদের। অনেক বেশি মাশুল গুনতে হবে।’
নিট পোশাক রপ্তানিকারক ও বিকেএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি একটি কঠিন পরিস্থিতি। কনটেইনার ও জাহাজসংকটে বাংলাদেশ থেকে যথাসময়ে রপ্তানিযোগ্য পণ্য পাঠানো যাচ্ছে না। সিঙ্গাপুরেও জাহাজজট চলছে। এর মধ্যে শিপিং কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের দিকে জাহাজ না পাঠানোর ঘোষণা দিচ্ছে। এতে লিড টাইম বেড়ে যাচ্ছে। ৪৫ দিনের সময়সীমা ১০ থেকে ১৫ দিন বেড়ে ৬০ দিনে গিয়ে ঠেকছে। চীন ও ভিয়েতনাম থেকে সরাসরি রপ্তানি পণ্যবাহী জাহাজ গন্তব্যে যাচ্ছে। আমরা পাঠাতে পারছি না। এখানে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকি আছে। সব মিলিয়ে একটি কঠিন সময় পার করছে রপ্তানি খাত। আমাদের অর্ডার আছে। কিন্তু একটি গ্লোবাল সমস্যার কারণে আমরা পণ্য সময়মতো পাঠাতে পারছি না।’
ওভেন ও নিট পোশাক রপ্তানিকারকেরা জানান, ইউরোপ–আমেরিকায় টিকা দেওয়ার কারণে ওই সব দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। এরই মধ্যে ওই সব দেশের দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। মানুষের পোশাকের চাহিদা বাড়ছে; বিশেষ করে কম দামি পোশাক, যা বাংলাদেশ সরবরাহ করে থাকে। এর ফলে বাংলাদেশে কয়েক মাস ধরে বিপুল অর্ডার আসছে। রপ্তানিকারকেরা অনেকে কাজ করে শেষ করতে পারছেন না। পুরো পোশাক খাত ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর একটি সুযোগ পেয়েছে। অথচ পণ্য পরিবহনের বৈশ্বিক এ সংকটের কারণে এখন রপ্তানি অনেকাংশে হুমকির মুখে রয়েছে। এই সংকটের কারণে কিছু কিছু শিপিং কোম্পানি ৪০ ফুটের একটি কনটেইনারের ভাড়া ১৯ হাজার ডলার পর্যন্ত দাবি করছে। অথচ করোনার আগে এ রকম একটি কনটেইনারের ভাড়া ছিল ২ হাজার ২০০ ডলার।
এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারকদের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ জরুরি বৈঠক ডেকেছে। আজ গুলশানে বিজিএমইএর লিয়াজোঁ অফিসে এ বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
ফারুক মেহেদী, ঢাকা

পর্যাপ্ত ক্রয় আদেশ পাওয়ার পরও জাহাজ ও কনটেইনার–সংকটে পণ্য পাঠাতে পারছেন না তৈরি পোশাক কোম্পানির মালিকেরা। সংকটে পড়েছে পুরো রপ্তানি–বাণিজ্য। চট্টগ্রামে ১৯টি আইসিডিতে ৫৩ হাজারের বেশি কনটেইনার আটকে আছে। এর মধ্যে সাড়ে ১১ হাজারই রপ্তানিমুখী পোশাকের কনটেইনার। চীন, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরে জাহাজ ও কনটেইনার জটের কারণে এ সমস্যা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। এতে বাড়ছে রপ্তানির খরচ। দীর্ঘমেয়াদি বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির অর্ডার কমে যাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ মনে করে, তারা বৈশ্বিক সমস্যার শিকার। তাদের তেমন কিছু করার নেই। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারকদের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বেসরকারি আইসিডি মালিক, ফ্রেট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশন, শিপ ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্টরা আজ মঙ্গলবার ঢাকায় জরুরি বৈঠকে বসছেন।
বাংলাদেশ থেকে বছরে চার হাজার কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। এই রপ্তানি দিন দিন বাড়ছে। এই শিল্পের ওপর দেশের ৪০ লাখের বেশি মানুষ সরাসরি নির্ভরশীল।
রপ্তানিকারকসহ বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বিশ্বের অন্যতম শিপিং জায়ান্ট জার্মানির প্রতিষ্ঠান হেপ লয়েড এরই মধ্যে জানিয়েছে, তারা আগামী চার সপ্তাহ বাংলাদেশগামী পণ্য পরিবহন করবে না। শুধু হেপ লয়েডই নয়, বিশ্বের শীর্ষ কনটেইনার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন বাংলাদেশে আসতে চাইছে না। তারা করোনা–পরবর্তী বিশ্বের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতি ফেরায় চীন, ইউরোপ ও আমেরিকায় পণ্য পৌঁছানোকে বেশি লাভজনক মনে করছে। হেপ লয়েড বাংলাদেশে প্রতি মাসে গড়ে ২০ ফুট আকারের অন্তত ৯ হাজার কনটেইনারে আমদানি পণ্য পরিবহন করে। প্রায় একই পরিমাণ কনটেইনারে রপ্তানি পণ্যও পরিবহন করে থাকে।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, সম্প্রতি চীনের বন্দরে জট লাগার কারণেই এ সমস্যা প্রকট হচ্ছে। একদিকে রপ্তানির চাহিদা বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে তা পরিবহনের জন্য জাহাজ না পাওয়ার ফলে শিপিং খরচ বেড়ে যাচ্ছে। শুধু চীনেই নয়; বাংলাদেশের সব পণ্য ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে যায় মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দর হয়ে। ওই সব বন্দরে করোনার কারণে ইতিমধ্যে জাহাজজট লেগে গেছে। সেখানে পণ্য খালাসের জন্য পর্যাপ্ত জনবল নেই। এই ধীরগতির প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের রপ্তানিতে।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, দেশের ১৯টি ডিপোতে গতকাল পর্যন্ত মোট ৫৩ হাজারের বেশি পণ্যবাহী কনটেইনারের জট তৈরি হয়েছে। জাহাজ না পাওয়ায় এসব কনটেইনার জমা হয়েছে। কবে এগুলো জাহাজে তুলে দেওয়া যাবে, এ তথ্য কেউ দিতে পারছে না।
এ ব্যাপারে বেসরকারি আইসিডি মালিকদের সংগঠন বিকডার প্রেসিডেন্ট নুরুল কাইয়ুম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। জাহাজ আসছে না। বিভিন্ন বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ আটকে আছে। কনটেইনার–সংকট বাড়ছে। আমাদের ডিপোগুলোয় পণ্যবাহী কনটেইনার উপচে পড়ছে। এতে সংশ্লিষ্টদের খরচের বোঝা বাড়ছে।’
তবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ জাফর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি সমস্যা হয়েছে। এটি বৈশ্বিক সমস্যা। আমাদের বন্দরের এতে কিছুই করার নেই। রপ্তানিকারকেরা ৪০ ফুট কনটেইনারে পণ্য পাঠানোর চুক্তি করেছিলেন বিভিন্ন শিপিং এজেন্টদের সঙ্গে। বৈশ্বিক চাহিদার কারণে সেসব কনটেইনার এখন ইউরোপ-আমেরিকায় আটকা পড়েছে। যে কারণে ওই সব কনটেইনারের সংকট। তারা যদি ক্রেতাদের স্বার্থ আর ভবিষ্যৎ আদেশের কথা ভেবে তাদের পণ্যগুলো ২০ ফুট কনটেইনারে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়, তবে সাময়িকভাবে সমস্যার কিছুটা সমাধান হতে পারে। এখানে সরকারের দিকে চেয়ে থাকলে হবে না। সরকার তাদের চাহিদামতো সরাসরি জাহাজ কোথা থেকে দেবে?’
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে এই সমস্যা আমাদের নয়। আমরা আমাদের স্বাভাবিক কাজ করছি। যাদের সমস্যা, এটা তারা দেখবে। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। তবে এখানে আমদানি পণ্যের খালাস কম হচ্ছে, এটা ঠিক। এটা মূলত লকডাউনের কারণে। ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। পণ্য ছাড়িয়ে নিয়ে কী করবে? স্বাভাবিকভাবেই পণ্য খালাস কম।’
এ ব্যাপারে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত আমদানি পণ্যবাহী জাহাজেই রপ্তানি পণ্য পাঠানো হয়। যেহেতু করোনার কারণে আমদানি কমে গেছে, তাই পণ্যবাহী জাহাজ কমে গেছে। তা ছাড়া, সিঙ্গাপুর, চীন, কলম্বো বন্দরেও জাহাজজট লেগেছে। এর ধাক্কাই লেগেছে এখানে। সমস্যা প্রকট হচ্ছে। চার্জ বেড়ে যাচ্ছে। এখন যদি ক্রেতারা পণ্যগুলো বিমানে পাঠাতে বলে, তাহলে আমরা মুশকিলে পড়ে যাব। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে আমাদের। অনেক বেশি মাশুল গুনতে হবে।’
নিট পোশাক রপ্তানিকারক ও বিকেএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি একটি কঠিন পরিস্থিতি। কনটেইনার ও জাহাজসংকটে বাংলাদেশ থেকে যথাসময়ে রপ্তানিযোগ্য পণ্য পাঠানো যাচ্ছে না। সিঙ্গাপুরেও জাহাজজট চলছে। এর মধ্যে শিপিং কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের দিকে জাহাজ না পাঠানোর ঘোষণা দিচ্ছে। এতে লিড টাইম বেড়ে যাচ্ছে। ৪৫ দিনের সময়সীমা ১০ থেকে ১৫ দিন বেড়ে ৬০ দিনে গিয়ে ঠেকছে। চীন ও ভিয়েতনাম থেকে সরাসরি রপ্তানি পণ্যবাহী জাহাজ গন্তব্যে যাচ্ছে। আমরা পাঠাতে পারছি না। এখানে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকি আছে। সব মিলিয়ে একটি কঠিন সময় পার করছে রপ্তানি খাত। আমাদের অর্ডার আছে। কিন্তু একটি গ্লোবাল সমস্যার কারণে আমরা পণ্য সময়মতো পাঠাতে পারছি না।’
ওভেন ও নিট পোশাক রপ্তানিকারকেরা জানান, ইউরোপ–আমেরিকায় টিকা দেওয়ার কারণে ওই সব দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। এরই মধ্যে ওই সব দেশের দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। মানুষের পোশাকের চাহিদা বাড়ছে; বিশেষ করে কম দামি পোশাক, যা বাংলাদেশ সরবরাহ করে থাকে। এর ফলে বাংলাদেশে কয়েক মাস ধরে বিপুল অর্ডার আসছে। রপ্তানিকারকেরা অনেকে কাজ করে শেষ করতে পারছেন না। পুরো পোশাক খাত ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর একটি সুযোগ পেয়েছে। অথচ পণ্য পরিবহনের বৈশ্বিক এ সংকটের কারণে এখন রপ্তানি অনেকাংশে হুমকির মুখে রয়েছে। এই সংকটের কারণে কিছু কিছু শিপিং কোম্পানি ৪০ ফুটের একটি কনটেইনারের ভাড়া ১৯ হাজার ডলার পর্যন্ত দাবি করছে। অথচ করোনার আগে এ রকম একটি কনটেইনারের ভাড়া ছিল ২ হাজার ২০০ ডলার।
এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারকদের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ জরুরি বৈঠক ডেকেছে। আজ গুলশানে বিজিএমইএর লিয়াজোঁ অফিসে এ বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

পর্যাপ্ত ক্রয় আদেশ পাওয়ার পরও জাহাজ ও কনটেইনার–সংকটে পণ্য পাঠাতে পারছেন না তৈরি পোশাক কোম্পানির মালিকেরা। সংকটে পড়েছে পুরো রপ্তানি–বাণিজ্য। চট্টগ্রামে ১৯টি আইসিডিতে ৫৩ হাজারের বেশি কনটেইনার আটকে আছে। এর মধ্যে সাড়ে ১১ হাজারই রপ্তানিমুখী পোশাকের কনটেইনার। চীন, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরে জাহাজ ও কনটেইনার জটের কারণে এ সমস্যা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। এতে বাড়ছে রপ্তানির খরচ। দীর্ঘমেয়াদি বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির অর্ডার কমে যাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ মনে করে, তারা বৈশ্বিক সমস্যার শিকার। তাদের তেমন কিছু করার নেই। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারকদের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বেসরকারি আইসিডি মালিক, ফ্রেট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশন, শিপ ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্টরা আজ মঙ্গলবার ঢাকায় জরুরি বৈঠকে বসছেন।
বাংলাদেশ থেকে বছরে চার হাজার কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। এই রপ্তানি দিন দিন বাড়ছে। এই শিল্পের ওপর দেশের ৪০ লাখের বেশি মানুষ সরাসরি নির্ভরশীল।
রপ্তানিকারকসহ বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বিশ্বের অন্যতম শিপিং জায়ান্ট জার্মানির প্রতিষ্ঠান হেপ লয়েড এরই মধ্যে জানিয়েছে, তারা আগামী চার সপ্তাহ বাংলাদেশগামী পণ্য পরিবহন করবে না। শুধু হেপ লয়েডই নয়, বিশ্বের শীর্ষ কনটেইনার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন বাংলাদেশে আসতে চাইছে না। তারা করোনা–পরবর্তী বিশ্বের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতি ফেরায় চীন, ইউরোপ ও আমেরিকায় পণ্য পৌঁছানোকে বেশি লাভজনক মনে করছে। হেপ লয়েড বাংলাদেশে প্রতি মাসে গড়ে ২০ ফুট আকারের অন্তত ৯ হাজার কনটেইনারে আমদানি পণ্য পরিবহন করে। প্রায় একই পরিমাণ কনটেইনারে রপ্তানি পণ্যও পরিবহন করে থাকে।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, সম্প্রতি চীনের বন্দরে জট লাগার কারণেই এ সমস্যা প্রকট হচ্ছে। একদিকে রপ্তানির চাহিদা বেড়ে যাওয়া, অন্যদিকে তা পরিবহনের জন্য জাহাজ না পাওয়ার ফলে শিপিং খরচ বেড়ে যাচ্ছে। শুধু চীনেই নয়; বাংলাদেশের সব পণ্য ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে যায় মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দর হয়ে। ওই সব বন্দরে করোনার কারণে ইতিমধ্যে জাহাজজট লেগে গেছে। সেখানে পণ্য খালাসের জন্য পর্যাপ্ত জনবল নেই। এই ধীরগতির প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের রপ্তানিতে।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা যায়, দেশের ১৯টি ডিপোতে গতকাল পর্যন্ত মোট ৫৩ হাজারের বেশি পণ্যবাহী কনটেইনারের জট তৈরি হয়েছে। জাহাজ না পাওয়ায় এসব কনটেইনার জমা হয়েছে। কবে এগুলো জাহাজে তুলে দেওয়া যাবে, এ তথ্য কেউ দিতে পারছে না।
এ ব্যাপারে বেসরকারি আইসিডি মালিকদের সংগঠন বিকডার প্রেসিডেন্ট নুরুল কাইয়ুম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। জাহাজ আসছে না। বিভিন্ন বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ আটকে আছে। কনটেইনার–সংকট বাড়ছে। আমাদের ডিপোগুলোয় পণ্যবাহী কনটেইনার উপচে পড়ছে। এতে সংশ্লিষ্টদের খরচের বোঝা বাড়ছে।’
তবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ জাফর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি সমস্যা হয়েছে। এটি বৈশ্বিক সমস্যা। আমাদের বন্দরের এতে কিছুই করার নেই। রপ্তানিকারকেরা ৪০ ফুট কনটেইনারে পণ্য পাঠানোর চুক্তি করেছিলেন বিভিন্ন শিপিং এজেন্টদের সঙ্গে। বৈশ্বিক চাহিদার কারণে সেসব কনটেইনার এখন ইউরোপ-আমেরিকায় আটকা পড়েছে। যে কারণে ওই সব কনটেইনারের সংকট। তারা যদি ক্রেতাদের স্বার্থ আর ভবিষ্যৎ আদেশের কথা ভেবে তাদের পণ্যগুলো ২০ ফুট কনটেইনারে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়, তবে সাময়িকভাবে সমস্যার কিছুটা সমাধান হতে পারে। এখানে সরকারের দিকে চেয়ে থাকলে হবে না। সরকার তাদের চাহিদামতো সরাসরি জাহাজ কোথা থেকে দেবে?’
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসলে এই সমস্যা আমাদের নয়। আমরা আমাদের স্বাভাবিক কাজ করছি। যাদের সমস্যা, এটা তারা দেখবে। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। তবে এখানে আমদানি পণ্যের খালাস কম হচ্ছে, এটা ঠিক। এটা মূলত লকডাউনের কারণে। ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। পণ্য ছাড়িয়ে নিয়ে কী করবে? স্বাভাবিকভাবেই পণ্য খালাস কম।’
এ ব্যাপারে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত আমদানি পণ্যবাহী জাহাজেই রপ্তানি পণ্য পাঠানো হয়। যেহেতু করোনার কারণে আমদানি কমে গেছে, তাই পণ্যবাহী জাহাজ কমে গেছে। তা ছাড়া, সিঙ্গাপুর, চীন, কলম্বো বন্দরেও জাহাজজট লেগেছে। এর ধাক্কাই লেগেছে এখানে। সমস্যা প্রকট হচ্ছে। চার্জ বেড়ে যাচ্ছে। এখন যদি ক্রেতারা পণ্যগুলো বিমানে পাঠাতে বলে, তাহলে আমরা মুশকিলে পড়ে যাব। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে আমাদের। অনেক বেশি মাশুল গুনতে হবে।’
নিট পোশাক রপ্তানিকারক ও বিকেএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি একটি কঠিন পরিস্থিতি। কনটেইনার ও জাহাজসংকটে বাংলাদেশ থেকে যথাসময়ে রপ্তানিযোগ্য পণ্য পাঠানো যাচ্ছে না। সিঙ্গাপুরেও জাহাজজট চলছে। এর মধ্যে শিপিং কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের দিকে জাহাজ না পাঠানোর ঘোষণা দিচ্ছে। এতে লিড টাইম বেড়ে যাচ্ছে। ৪৫ দিনের সময়সীমা ১০ থেকে ১৫ দিন বেড়ে ৬০ দিনে গিয়ে ঠেকছে। চীন ও ভিয়েতনাম থেকে সরাসরি রপ্তানি পণ্যবাহী জাহাজ গন্তব্যে যাচ্ছে। আমরা পাঠাতে পারছি না। এখানে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকি আছে। সব মিলিয়ে একটি কঠিন সময় পার করছে রপ্তানি খাত। আমাদের অর্ডার আছে। কিন্তু একটি গ্লোবাল সমস্যার কারণে আমরা পণ্য সময়মতো পাঠাতে পারছি না।’
ওভেন ও নিট পোশাক রপ্তানিকারকেরা জানান, ইউরোপ–আমেরিকায় টিকা দেওয়ার কারণে ওই সব দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। এরই মধ্যে ওই সব দেশের দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। মানুষের পোশাকের চাহিদা বাড়ছে; বিশেষ করে কম দামি পোশাক, যা বাংলাদেশ সরবরাহ করে থাকে। এর ফলে বাংলাদেশে কয়েক মাস ধরে বিপুল অর্ডার আসছে। রপ্তানিকারকেরা অনেকে কাজ করে শেষ করতে পারছেন না। পুরো পোশাক খাত ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর একটি সুযোগ পেয়েছে। অথচ পণ্য পরিবহনের বৈশ্বিক এ সংকটের কারণে এখন রপ্তানি অনেকাংশে হুমকির মুখে রয়েছে। এই সংকটের কারণে কিছু কিছু শিপিং কোম্পানি ৪০ ফুটের একটি কনটেইনারের ভাড়া ১৯ হাজার ডলার পর্যন্ত দাবি করছে। অথচ করোনার আগে এ রকম একটি কনটেইনারের ভাড়া ছিল ২ হাজার ২০০ ডলার।
এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারকদের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ জরুরি বৈঠক ডেকেছে। আজ গুলশানে বিজিএমইএর লিয়াজোঁ অফিসে এ বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ও আরও চারজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। এই অভিযোগের পর ঢাকার একটি মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক রিহ্যাব মাহামুর বলেন, আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার একটি উদ্বেগজনক ধারাবাহিকতার অংশ, যেখানে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে সমর্থন রয়েছে—এমন ধারণার ভিত্তিতে ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার না করে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এসব অধিকার নিশ্চিত করা, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাক্কালে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের (আইসিসিপিআর) অধীনে নিজেদের দায়বদ্ধতার সম্মান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে।
আদালতে শুনানির সময় আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি একজন সাংবাদিক। আমি ক্ষমতাসীনদের প্রশ্ন করি। গত দুই দশক ধরে আমি এই কাজই করছি। কারও কাছে মাথা নত করা আমার কাজ নয়।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। সংশোধনের পর থেকে দলটির প্রতি সমর্থনের অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাও রয়েছেন।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে রাজনৈতিক মতাদর্শ-নির্বিশেষে সবার মানবাধিকার সুরক্ষিত ও বিকশিত হয়। একটি মানবাধিকারসম্মত সমাজের জন্য অপরিহার্য স্বাধীনতাগুলো খর্ব করতে দমনমূলক আইনপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ও আরও চারজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। এই অভিযোগের পর ঢাকার একটি মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক রিহ্যাব মাহামুর বলেন, আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার একটি উদ্বেগজনক ধারাবাহিকতার অংশ, যেখানে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে সমর্থন রয়েছে—এমন ধারণার ভিত্তিতে ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার না করে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এসব অধিকার নিশ্চিত করা, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাক্কালে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের (আইসিসিপিআর) অধীনে নিজেদের দায়বদ্ধতার সম্মান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে।
আদালতে শুনানির সময় আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি একজন সাংবাদিক। আমি ক্ষমতাসীনদের প্রশ্ন করি। গত দুই দশক ধরে আমি এই কাজই করছি। কারও কাছে মাথা নত করা আমার কাজ নয়।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। সংশোধনের পর থেকে দলটির প্রতি সমর্থনের অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাও রয়েছেন।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে রাজনৈতিক মতাদর্শ-নির্বিশেষে সবার মানবাধিকার সুরক্ষিত ও বিকশিত হয়। একটি মানবাধিকারসম্মত সমাজের জন্য অপরিহার্য স্বাধীনতাগুলো খর্ব করতে দমনমূলক আইনপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।

পর্যাপ্ত ক্রয় আদেশ পাওয়ার পরও জাহাজ ও কনটেইনার সংকটে পণ্য পাঠাতে পারছেন না তৈরি পোশাক মালিকেরা। সংকটে পড়েছে পুরো রপ্তানি বাণিজ্য। চট্টগ্রামে ১৯টি আইসিডিতে ৫৩ হাজারে বেশি কনটেইনার আটকে আছে। এর মধ্যে সাড়ে ১১ হাজারই রপ্তানিমুখী পোশাকের কনটেইনার। চীন, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরে জাহাজ ও কনটেইনার জটের কারণ
০৬ জুলাই ২০২১
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সকালে এই মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মামলায় জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গুম-খুনের কালচার শেখ হাসিনার আমলে শুরু হয়েছিল। সেটা সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে হতো। পরে নির্দেশ আসত তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে। এসব কিছুর বাস্তবায়নের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউল আহসান। বাংলাদেশে এ রকম বীভৎস, নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর ব্যাপারে তাঁর যে স্পর্ধা, সে জন্য তাঁকে একক আসামি হিসেবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ-১: ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাতে গাজীপুরের পুবাইলের ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে জিয়াউল আহসানের পরিকল্পনায় ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সজল ও অজ্ঞাতনামা তিনজনকে গুলি করে হত্যা।
অভিযোগ-২: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানীর নিকটবর্তী বলেশ্বর নদের মোহনায় নজরুল ইসলাম মল্লিক, আলকাছ মল্লিকসহ কমপক্ষে ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা ও লাশ গুম।
অভিযোগ-৩: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার বলেশ্বর নদ ও বাগেরহাটের শরণখোলার সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে তথাকথিত বনদস্যু দমনের নামে মাসুদসহ ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা।
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র্যাবে পোস্টিং হওয়ার পর থেকে জিয়াউল আহসান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ফলে ২০২৪ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আগপর্যন্ত কখনোই তাঁকে সেনাবাহিনীতে ফেরত যেতে হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জিয়াউল আহসান র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক ও এডিজি (অপস) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসংখ্য গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অগণিত হত্যাকাণ্ড, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ তাঁর সরাসরি নির্দেশে বিশ্বস্ত র্যাব সদস্যরা ঘটাতেন।
হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হটস্পট ছিল বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী খাল বেয়ে অগ্রসর হয়ে বলেশ্বর নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ও মোহনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, সড়কপথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া হয়ে বরগুনার চরদুয়ানীতে রাত ১১টা কিংবা তারও পরে কালো কাচের মাইক্রোবাস, জিপ, ডাবল কেবিন পিকআপসহ বিভিন্ন গাড়িবহরে র্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে দু-একজন করে বন্দী থাকতেন, কখনো বন্দীর সংখ্যা অনেক বেশিও হতো। বন্দীদের ট্রলারে উঠিয়ে মাঝ নদীতে নিয়ে শরীরের সঙ্গে (মাথা বা বুকে) বালিশ ঠেকিয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। এরপর পেট ছুরি দিয়ে ফেড়ে শরীরে (মাথা ও পায়ে) সিমেন্টের ব্লক বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও পতেঙ্গা উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরেও এ ধরনের অপারেশন পরিচালিত হয়েছে। এ ধরনের অপারেশনের অনেকগুলোয় জিয়াউল আহসান সশরীরে অংশ নেন এবং অনেকগুলোয় তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনার আলোকে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা অথবা তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্যান্য ব্যাটালিয়নের বাছাই করা সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটান।
অভিযোগে বলা হয়, গুম থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গভীর রাতে পাথরঘাটার চরদুয়ানী থেকে ট্রলারে করে বলেশ্বর নদ হয়ে সুন্দরবনের পূর্বনির্ধারিত নিজেদের সাজানো কথিত বনদস্যুদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হতো। ভুক্তভোগীদের চোখ, হাত-পা বেঁধে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর উপর্যুপরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের আবহ তৈরি করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযানের সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো কিছু অনুগত সাংবাদিককে। তবে তাঁদের ঘটনাস্থলে না নিয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে ক্রসফায়ারের নামে ভুক্তভোগীদের হত্যা করা হতো। পরে তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে নিজেদের মনমতো ঘটনার বর্ণনা দিত। দস্যুনিধনের নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগে থেকে আটক রাখা নিরপরাধ বন্দীদের হত্যা করা হতো।
অধিকাংশ অভিযানে জিয়াউল আহসান নিজেই অংশ নিতেন। এ ছাড়া তদন্তে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জনকে হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নামে কমপক্ষে ৬১ জনকে হত্যাসহ আরও অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউল আহসানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে পৃথক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সকালে এই মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মামলায় জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গুম-খুনের কালচার শেখ হাসিনার আমলে শুরু হয়েছিল। সেটা সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে হতো। পরে নির্দেশ আসত তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে। এসব কিছুর বাস্তবায়নের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউল আহসান। বাংলাদেশে এ রকম বীভৎস, নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর ব্যাপারে তাঁর যে স্পর্ধা, সে জন্য তাঁকে একক আসামি হিসেবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ-১: ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাতে গাজীপুরের পুবাইলের ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে জিয়াউল আহসানের পরিকল্পনায় ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সজল ও অজ্ঞাতনামা তিনজনকে গুলি করে হত্যা।
অভিযোগ-২: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানীর নিকটবর্তী বলেশ্বর নদের মোহনায় নজরুল ইসলাম মল্লিক, আলকাছ মল্লিকসহ কমপক্ষে ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা ও লাশ গুম।
অভিযোগ-৩: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার বলেশ্বর নদ ও বাগেরহাটের শরণখোলার সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে তথাকথিত বনদস্যু দমনের নামে মাসুদসহ ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা।
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র্যাবে পোস্টিং হওয়ার পর থেকে জিয়াউল আহসান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ফলে ২০২৪ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আগপর্যন্ত কখনোই তাঁকে সেনাবাহিনীতে ফেরত যেতে হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জিয়াউল আহসান র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক ও এডিজি (অপস) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসংখ্য গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অগণিত হত্যাকাণ্ড, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ তাঁর সরাসরি নির্দেশে বিশ্বস্ত র্যাব সদস্যরা ঘটাতেন।
হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হটস্পট ছিল বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী খাল বেয়ে অগ্রসর হয়ে বলেশ্বর নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ও মোহনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, সড়কপথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া হয়ে বরগুনার চরদুয়ানীতে রাত ১১টা কিংবা তারও পরে কালো কাচের মাইক্রোবাস, জিপ, ডাবল কেবিন পিকআপসহ বিভিন্ন গাড়িবহরে র্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে দু-একজন করে বন্দী থাকতেন, কখনো বন্দীর সংখ্যা অনেক বেশিও হতো। বন্দীদের ট্রলারে উঠিয়ে মাঝ নদীতে নিয়ে শরীরের সঙ্গে (মাথা বা বুকে) বালিশ ঠেকিয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। এরপর পেট ছুরি দিয়ে ফেড়ে শরীরে (মাথা ও পায়ে) সিমেন্টের ব্লক বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও পতেঙ্গা উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরেও এ ধরনের অপারেশন পরিচালিত হয়েছে। এ ধরনের অপারেশনের অনেকগুলোয় জিয়াউল আহসান সশরীরে অংশ নেন এবং অনেকগুলোয় তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনার আলোকে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা অথবা তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্যান্য ব্যাটালিয়নের বাছাই করা সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটান।
অভিযোগে বলা হয়, গুম থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গভীর রাতে পাথরঘাটার চরদুয়ানী থেকে ট্রলারে করে বলেশ্বর নদ হয়ে সুন্দরবনের পূর্বনির্ধারিত নিজেদের সাজানো কথিত বনদস্যুদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হতো। ভুক্তভোগীদের চোখ, হাত-পা বেঁধে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর উপর্যুপরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের আবহ তৈরি করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযানের সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো কিছু অনুগত সাংবাদিককে। তবে তাঁদের ঘটনাস্থলে না নিয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে ক্রসফায়ারের নামে ভুক্তভোগীদের হত্যা করা হতো। পরে তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে নিজেদের মনমতো ঘটনার বর্ণনা দিত। দস্যুনিধনের নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগে থেকে আটক রাখা নিরপরাধ বন্দীদের হত্যা করা হতো।
অধিকাংশ অভিযানে জিয়াউল আহসান নিজেই অংশ নিতেন। এ ছাড়া তদন্তে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জনকে হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নামে কমপক্ষে ৬১ জনকে হত্যাসহ আরও অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউল আহসানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে পৃথক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

পর্যাপ্ত ক্রয় আদেশ পাওয়ার পরও জাহাজ ও কনটেইনার সংকটে পণ্য পাঠাতে পারছেন না তৈরি পোশাক মালিকেরা। সংকটে পড়েছে পুরো রপ্তানি বাণিজ্য। চট্টগ্রামে ১৯টি আইসিডিতে ৫৩ হাজারে বেশি কনটেইনার আটকে আছে। এর মধ্যে সাড়ে ১১ হাজারই রপ্তানিমুখী পোশাকের কনটেইনার। চীন, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরে জাহাজ ও কনটেইনার জটের কারণ
০৬ জুলাই ২০২১
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিফ প্রসিকিউটর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনসহ আটজনকে তুলে নেওয়ার কাজটি জিয়াউল আহসানের নির্দেশ ও তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। ছাত্রশিবিরের নেতা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ জাকির, চৌধুরী আলম—এ রকম উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার প্রতিটির পেছনের পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন জিয়াউল আহসান।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদকে তুলে নেওয়া এবং পরে ভারতে পাচার করে দেওয়ার পেছনেও জিয়াউল আহসান ছিলেন। বিচারের স্বার্থে এগুলোকে আলাদা করা হয়েছে, যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে সাক্ষী উপস্থাপন করা যায়। তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা শতাধিক মানুষের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে চার্জ দাখিল করেছি। বাকি আরও পাঁচ শতাধিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে। এগুলোকে আলাদাভাবে দাখিল করা হবে।’

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিফ প্রসিকিউটর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনসহ আটজনকে তুলে নেওয়ার কাজটি জিয়াউল আহসানের নির্দেশ ও তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। ছাত্রশিবিরের নেতা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ জাকির, চৌধুরী আলম—এ রকম উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার প্রতিটির পেছনের পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন জিয়াউল আহসান।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদকে তুলে নেওয়া এবং পরে ভারতে পাচার করে দেওয়ার পেছনেও জিয়াউল আহসান ছিলেন। বিচারের স্বার্থে এগুলোকে আলাদা করা হয়েছে, যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে সাক্ষী উপস্থাপন করা যায়। তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা শতাধিক মানুষের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে চার্জ দাখিল করেছি। বাকি আরও পাঁচ শতাধিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে। এগুলোকে আলাদাভাবে দাখিল করা হবে।’

পর্যাপ্ত ক্রয় আদেশ পাওয়ার পরও জাহাজ ও কনটেইনার সংকটে পণ্য পাঠাতে পারছেন না তৈরি পোশাক মালিকেরা। সংকটে পড়েছে পুরো রপ্তানি বাণিজ্য। চট্টগ্রামে ১৯টি আইসিডিতে ৫৩ হাজারে বেশি কনটেইনার আটকে আছে। এর মধ্যে সাড়ে ১১ হাজারই রপ্তানিমুখী পোশাকের কনটেইনার। চীন, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরে জাহাজ ও কনটেইনার জটের কারণ
০৬ জুলাই ২০২১
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
৩ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান দেশটিতে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন।
রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন এবং হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত অটোরিকশায় হাদিকে মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান দেশটিতে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন।
রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন এবং হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত অটোরিকশায় হাদিকে মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

পর্যাপ্ত ক্রয় আদেশ পাওয়ার পরও জাহাজ ও কনটেইনার সংকটে পণ্য পাঠাতে পারছেন না তৈরি পোশাক মালিকেরা। সংকটে পড়েছে পুরো রপ্তানি বাণিজ্য। চট্টগ্রামে ১৯টি আইসিডিতে ৫৩ হাজারে বেশি কনটেইনার আটকে আছে। এর মধ্যে সাড়ে ১১ হাজারই রপ্তানিমুখী পোশাকের কনটেইনার। চীন, সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরে জাহাজ ও কনটেইনার জটের কারণ
০৬ জুলাই ২০২১
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে