রবিউল আলম, ঢাকা

করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সময় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল পুরোপুরি নিস্তব্ধ। বছরজুড়েই করোনার সামনে অসহায় দাঁড়িয়ে ছিল দেশের শিক্ষা খাত। সেশনজট, এলোমেলো শিক্ষাপঞ্জি, অর্থের অভাবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গুটিয়ে যাওয়া, শিক্ষকদের চাকরি হারানো ইত্যাদি কারণে বিদায়ী বছরে লাটে উঠেছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও নানা চাপে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খোলার মধ্য দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাণ ফিরে আসে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, এই সময়ে করোনায় অন্যান্য খাতের ক্ষতি পরিমাপ করা গেলেও শিক্ষা খাতে তা অসম্ভব।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী প্রতিবছরের এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও করোনার কারণে ২০২০ সালের এই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসিতে এ বছরের শুরুতে অটো পাস দেওয়া হয়। এতে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করে এবং আগের বছরের চেয়ে তিন গুণের বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পান। এই সময়ে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল এবং অন্যান্য ক্লাসের পরীক্ষা না নিয়ে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশন দেওয়া হয়। পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের তিন লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে অটো পাস দেওয়া হয় এবং স্কুল বন্ধ থাকায় ৩ কোটি ৭০ লাখ শিশুর পড়াশোনা ব্যাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনেসকো। দেড় থেকে দুই বছরের শিক্ষাজটের কারণে চাকরির আবেদন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন কয়েক লাখ শিক্ষার্থী।
এ সময়ে ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশা, নিঃসঙ্গতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের ৩৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তরুণদের ৬১ দশমিক ২ শতাংশ বিষণ্নতায় ভুগছেন এবং ৩ দশমিক ৭ শতাংশ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে এক জরিপে উঠে এসেছে। তবে শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ বলছে, বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হলেও গ্রামের ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থীই ছিল অনলাইন ক্লাসে ও ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী টেলিভিশনে সম্প্রচারিত পাঠ কার্যক্রমের বাইরে ছিল।
এদিকে সেশনজট নিরসনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হল খোলা, ভর্তি পরীক্ষার ফি কমানো, রুটিন প্রকাশ, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের বিচার, বাসে হাফ ভাড়া চালু, সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী হত্যার বিচারের দাবিসহ নানা দাবিতে বছরজুড়ে দফায় দফায় রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে কিছু আন্দোলনে সফলতা পায় তারা। তাদের দাবির মুখে খোলা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সব শহরে গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া কার্যকর করা হয়। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার ছিলেন শিক্ষকেরাও। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। তবে করোনায় প্রায় ৪ হাজার কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর সঙ্গে জড়িত প্রায় অর্ধলাখ শিক্ষক ও কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েন।
করোনার এ সময়েও বছরজুড়ে নানা পরিবর্তনের মুখোমুখি হয় শিক্ষা খাত। শুধু নৈর্ব্যক্তিক বিষয়গুলোতে এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতেও আনা হয় পরিবর্তন। ২০২৩ সাল থেকে শুধু দশম শ্রেণির কারিকুলামেই এসএসসি পরীক্ষা হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা এবং নবম-দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্যের মতো বিভাজন থাকবে না, যা ২০২৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে, পাশাপাশি ‘শিক্ষা আইন, ২০২১’-এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।
আন্তশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিশুদের চাপমুক্ত রাখতে নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সারা বিশ্বেই এ নিয়ম প্রচলিত। এটা এই সময়ের জন্য ইতিবাচক দিক।
প্রথমবারের মতো ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে। ফলাফলে গরমিল এবং নানা অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে এই পরীক্ষা শেষ হয়। আগামী বছর বেসরকারি স্কুলগুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কোনো শিশু যাতে বিদ্যালয়ে ভর্তির বাইরে না থাকে, সে জন্য শূন্য থেকে ৫ বছর পর্যন্ত সব শিশুকে জরিপের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনা সব আয়োজন থমকে দিলেও ১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত শতবর্ষপূর্তি উদ্যাপন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই উদ্যাপনের মধ্যেই বহুল আলোচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষিত হয়েছে। রায়ে বুয়েট ছাত্রলীগের ২০ জনকে ফাঁসি ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এ সময়ে দেশের সব কওমি মাদ্রাসায় ছাত্র-শিক্ষকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয় এবং স্থায়ী সনদ না নেওয়া ২৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে শোকজ করে ইউজিসি।
এদিকে ৫৪৪ দিনের বন্ধ শেষে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব স্কুল-কলেজ খোলার মাধ্যমে ক্লাসে ফেরে প্রায় সোয়া তিন কোটি শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের পদচারণে আবারও মুখর হয় সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। খোলার পর ৮ মাস বিলম্বে ১৪ নভেম্বর এসএসসি এবং ২ ডিসেম্বর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর করোনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইতিমধ্যেই শিক্ষাবর্ষের সময় কমিয়ে ছয়-আট মাস করছে। পাশাপাশি বাতিল করছে বিভিন্ন ধরনের ছুটি।
শিক্ষাবিদেরা বলছে, করোনা নামক এই চ্যালেঞ্জে যতটুকু ক্ষতি হয়েছে, তা পোষানোর চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই সময়ে করোনা আমাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে ছিল। অনলাইন ক্লাসে আমরা অভ্যস্ত না থাকলেও শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের আন্তরিকতায় করোনার চ্যালেঞ্জ ভালোভাবেই মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। তা-ও এই সময়ে যে ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি।’

করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সময় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল পুরোপুরি নিস্তব্ধ। বছরজুড়েই করোনার সামনে অসহায় দাঁড়িয়ে ছিল দেশের শিক্ষা খাত। সেশনজট, এলোমেলো শিক্ষাপঞ্জি, অর্থের অভাবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গুটিয়ে যাওয়া, শিক্ষকদের চাকরি হারানো ইত্যাদি কারণে বিদায়ী বছরে লাটে উঠেছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও নানা চাপে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খোলার মধ্য দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাণ ফিরে আসে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, এই সময়ে করোনায় অন্যান্য খাতের ক্ষতি পরিমাপ করা গেলেও শিক্ষা খাতে তা অসম্ভব।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী প্রতিবছরের এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও করোনার কারণে ২০২০ সালের এই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসিতে এ বছরের শুরুতে অটো পাস দেওয়া হয়। এতে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করে এবং আগের বছরের চেয়ে তিন গুণের বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পান। এই সময়ে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল এবং অন্যান্য ক্লাসের পরীক্ষা না নিয়ে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশন দেওয়া হয়। পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের তিন লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে অটো পাস দেওয়া হয় এবং স্কুল বন্ধ থাকায় ৩ কোটি ৭০ লাখ শিশুর পড়াশোনা ব্যাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনেসকো। দেড় থেকে দুই বছরের শিক্ষাজটের কারণে চাকরির আবেদন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন কয়েক লাখ শিক্ষার্থী।
এ সময়ে ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশা, নিঃসঙ্গতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের ৩৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তরুণদের ৬১ দশমিক ২ শতাংশ বিষণ্নতায় ভুগছেন এবং ৩ দশমিক ৭ শতাংশ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে এক জরিপে উঠে এসেছে। তবে শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ বলছে, বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হলেও গ্রামের ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থীই ছিল অনলাইন ক্লাসে ও ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী টেলিভিশনে সম্প্রচারিত পাঠ কার্যক্রমের বাইরে ছিল।
এদিকে সেশনজট নিরসনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হল খোলা, ভর্তি পরীক্ষার ফি কমানো, রুটিন প্রকাশ, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের বিচার, বাসে হাফ ভাড়া চালু, সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী হত্যার বিচারের দাবিসহ নানা দাবিতে বছরজুড়ে দফায় দফায় রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে কিছু আন্দোলনে সফলতা পায় তারা। তাদের দাবির মুখে খোলা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সব শহরে গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া কার্যকর করা হয়। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার ছিলেন শিক্ষকেরাও। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। তবে করোনায় প্রায় ৪ হাজার কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর সঙ্গে জড়িত প্রায় অর্ধলাখ শিক্ষক ও কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েন।
করোনার এ সময়েও বছরজুড়ে নানা পরিবর্তনের মুখোমুখি হয় শিক্ষা খাত। শুধু নৈর্ব্যক্তিক বিষয়গুলোতে এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতেও আনা হয় পরিবর্তন। ২০২৩ সাল থেকে শুধু দশম শ্রেণির কারিকুলামেই এসএসসি পরীক্ষা হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা এবং নবম-দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্যের মতো বিভাজন থাকবে না, যা ২০২৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে, পাশাপাশি ‘শিক্ষা আইন, ২০২১’-এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।
আন্তশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিশুদের চাপমুক্ত রাখতে নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সারা বিশ্বেই এ নিয়ম প্রচলিত। এটা এই সময়ের জন্য ইতিবাচক দিক।
প্রথমবারের মতো ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে। ফলাফলে গরমিল এবং নানা অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে এই পরীক্ষা শেষ হয়। আগামী বছর বেসরকারি স্কুলগুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কোনো শিশু যাতে বিদ্যালয়ে ভর্তির বাইরে না থাকে, সে জন্য শূন্য থেকে ৫ বছর পর্যন্ত সব শিশুকে জরিপের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনা সব আয়োজন থমকে দিলেও ১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত শতবর্ষপূর্তি উদ্যাপন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই উদ্যাপনের মধ্যেই বহুল আলোচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষিত হয়েছে। রায়ে বুয়েট ছাত্রলীগের ২০ জনকে ফাঁসি ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এ সময়ে দেশের সব কওমি মাদ্রাসায় ছাত্র-শিক্ষকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয় এবং স্থায়ী সনদ না নেওয়া ২৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে শোকজ করে ইউজিসি।
এদিকে ৫৪৪ দিনের বন্ধ শেষে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব স্কুল-কলেজ খোলার মাধ্যমে ক্লাসে ফেরে প্রায় সোয়া তিন কোটি শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের পদচারণে আবারও মুখর হয় সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। খোলার পর ৮ মাস বিলম্বে ১৪ নভেম্বর এসএসসি এবং ২ ডিসেম্বর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর করোনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইতিমধ্যেই শিক্ষাবর্ষের সময় কমিয়ে ছয়-আট মাস করছে। পাশাপাশি বাতিল করছে বিভিন্ন ধরনের ছুটি।
শিক্ষাবিদেরা বলছে, করোনা নামক এই চ্যালেঞ্জে যতটুকু ক্ষতি হয়েছে, তা পোষানোর চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই সময়ে করোনা আমাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে ছিল। অনলাইন ক্লাসে আমরা অভ্যস্ত না থাকলেও শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের আন্তরিকতায় করোনার চ্যালেঞ্জ ভালোভাবেই মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। তা-ও এই সময়ে যে ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি।’
রবিউল আলম, ঢাকা

করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সময় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল পুরোপুরি নিস্তব্ধ। বছরজুড়েই করোনার সামনে অসহায় দাঁড়িয়ে ছিল দেশের শিক্ষা খাত। সেশনজট, এলোমেলো শিক্ষাপঞ্জি, অর্থের অভাবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গুটিয়ে যাওয়া, শিক্ষকদের চাকরি হারানো ইত্যাদি কারণে বিদায়ী বছরে লাটে উঠেছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও নানা চাপে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খোলার মধ্য দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাণ ফিরে আসে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, এই সময়ে করোনায় অন্যান্য খাতের ক্ষতি পরিমাপ করা গেলেও শিক্ষা খাতে তা অসম্ভব।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী প্রতিবছরের এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও করোনার কারণে ২০২০ সালের এই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসিতে এ বছরের শুরুতে অটো পাস দেওয়া হয়। এতে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করে এবং আগের বছরের চেয়ে তিন গুণের বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পান। এই সময়ে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল এবং অন্যান্য ক্লাসের পরীক্ষা না নিয়ে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশন দেওয়া হয়। পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের তিন লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে অটো পাস দেওয়া হয় এবং স্কুল বন্ধ থাকায় ৩ কোটি ৭০ লাখ শিশুর পড়াশোনা ব্যাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনেসকো। দেড় থেকে দুই বছরের শিক্ষাজটের কারণে চাকরির আবেদন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন কয়েক লাখ শিক্ষার্থী।
এ সময়ে ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশা, নিঃসঙ্গতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের ৩৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তরুণদের ৬১ দশমিক ২ শতাংশ বিষণ্নতায় ভুগছেন এবং ৩ দশমিক ৭ শতাংশ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে এক জরিপে উঠে এসেছে। তবে শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ বলছে, বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হলেও গ্রামের ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থীই ছিল অনলাইন ক্লাসে ও ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী টেলিভিশনে সম্প্রচারিত পাঠ কার্যক্রমের বাইরে ছিল।
এদিকে সেশনজট নিরসনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হল খোলা, ভর্তি পরীক্ষার ফি কমানো, রুটিন প্রকাশ, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের বিচার, বাসে হাফ ভাড়া চালু, সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী হত্যার বিচারের দাবিসহ নানা দাবিতে বছরজুড়ে দফায় দফায় রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে কিছু আন্দোলনে সফলতা পায় তারা। তাদের দাবির মুখে খোলা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সব শহরে গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া কার্যকর করা হয়। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার ছিলেন শিক্ষকেরাও। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। তবে করোনায় প্রায় ৪ হাজার কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর সঙ্গে জড়িত প্রায় অর্ধলাখ শিক্ষক ও কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েন।
করোনার এ সময়েও বছরজুড়ে নানা পরিবর্তনের মুখোমুখি হয় শিক্ষা খাত। শুধু নৈর্ব্যক্তিক বিষয়গুলোতে এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতেও আনা হয় পরিবর্তন। ২০২৩ সাল থেকে শুধু দশম শ্রেণির কারিকুলামেই এসএসসি পরীক্ষা হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা এবং নবম-দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্যের মতো বিভাজন থাকবে না, যা ২০২৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে, পাশাপাশি ‘শিক্ষা আইন, ২০২১’-এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।
আন্তশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিশুদের চাপমুক্ত রাখতে নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সারা বিশ্বেই এ নিয়ম প্রচলিত। এটা এই সময়ের জন্য ইতিবাচক দিক।
প্রথমবারের মতো ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে। ফলাফলে গরমিল এবং নানা অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে এই পরীক্ষা শেষ হয়। আগামী বছর বেসরকারি স্কুলগুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কোনো শিশু যাতে বিদ্যালয়ে ভর্তির বাইরে না থাকে, সে জন্য শূন্য থেকে ৫ বছর পর্যন্ত সব শিশুকে জরিপের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনা সব আয়োজন থমকে দিলেও ১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত শতবর্ষপূর্তি উদ্যাপন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই উদ্যাপনের মধ্যেই বহুল আলোচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষিত হয়েছে। রায়ে বুয়েট ছাত্রলীগের ২০ জনকে ফাঁসি ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এ সময়ে দেশের সব কওমি মাদ্রাসায় ছাত্র-শিক্ষকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয় এবং স্থায়ী সনদ না নেওয়া ২৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে শোকজ করে ইউজিসি।
এদিকে ৫৪৪ দিনের বন্ধ শেষে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব স্কুল-কলেজ খোলার মাধ্যমে ক্লাসে ফেরে প্রায় সোয়া তিন কোটি শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের পদচারণে আবারও মুখর হয় সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। খোলার পর ৮ মাস বিলম্বে ১৪ নভেম্বর এসএসসি এবং ২ ডিসেম্বর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর করোনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইতিমধ্যেই শিক্ষাবর্ষের সময় কমিয়ে ছয়-আট মাস করছে। পাশাপাশি বাতিল করছে বিভিন্ন ধরনের ছুটি।
শিক্ষাবিদেরা বলছে, করোনা নামক এই চ্যালেঞ্জে যতটুকু ক্ষতি হয়েছে, তা পোষানোর চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই সময়ে করোনা আমাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে ছিল। অনলাইন ক্লাসে আমরা অভ্যস্ত না থাকলেও শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের আন্তরিকতায় করোনার চ্যালেঞ্জ ভালোভাবেই মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। তা-ও এই সময়ে যে ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি।’

করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সময় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল পুরোপুরি নিস্তব্ধ। বছরজুড়েই করোনার সামনে অসহায় দাঁড়িয়ে ছিল দেশের শিক্ষা খাত। সেশনজট, এলোমেলো শিক্ষাপঞ্জি, অর্থের অভাবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গুটিয়ে যাওয়া, শিক্ষকদের চাকরি হারানো ইত্যাদি কারণে বিদায়ী বছরে লাটে উঠেছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও নানা চাপে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খোলার মধ্য দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাণ ফিরে আসে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, এই সময়ে করোনায় অন্যান্য খাতের ক্ষতি পরিমাপ করা গেলেও শিক্ষা খাতে তা অসম্ভব।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী প্রতিবছরের এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও করোনার কারণে ২০২০ সালের এই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসিতে এ বছরের শুরুতে অটো পাস দেওয়া হয়। এতে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করে এবং আগের বছরের চেয়ে তিন গুণের বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পান। এই সময়ে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল এবং অন্যান্য ক্লাসের পরীক্ষা না নিয়ে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশন দেওয়া হয়। পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের তিন লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে অটো পাস দেওয়া হয় এবং স্কুল বন্ধ থাকায় ৩ কোটি ৭০ লাখ শিশুর পড়াশোনা ব্যাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনেসকো। দেড় থেকে দুই বছরের শিক্ষাজটের কারণে চাকরির আবেদন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন কয়েক লাখ শিক্ষার্থী।
এ সময়ে ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশা, নিঃসঙ্গতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের ৩৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তরুণদের ৬১ দশমিক ২ শতাংশ বিষণ্নতায় ভুগছেন এবং ৩ দশমিক ৭ শতাংশ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে এক জরিপে উঠে এসেছে। তবে শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ বলছে, বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হলেও গ্রামের ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থীই ছিল অনলাইন ক্লাসে ও ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী টেলিভিশনে সম্প্রচারিত পাঠ কার্যক্রমের বাইরে ছিল।
এদিকে সেশনজট নিরসনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হল খোলা, ভর্তি পরীক্ষার ফি কমানো, রুটিন প্রকাশ, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের বিচার, বাসে হাফ ভাড়া চালু, সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী হত্যার বিচারের দাবিসহ নানা দাবিতে বছরজুড়ে দফায় দফায় রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে কিছু আন্দোলনে সফলতা পায় তারা। তাদের দাবির মুখে খোলা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সব শহরে গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া কার্যকর করা হয়। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার ছিলেন শিক্ষকেরাও। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। তবে করোনায় প্রায় ৪ হাজার কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর সঙ্গে জড়িত প্রায় অর্ধলাখ শিক্ষক ও কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েন।
করোনার এ সময়েও বছরজুড়ে নানা পরিবর্তনের মুখোমুখি হয় শিক্ষা খাত। শুধু নৈর্ব্যক্তিক বিষয়গুলোতে এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতেও আনা হয় পরিবর্তন। ২০২৩ সাল থেকে শুধু দশম শ্রেণির কারিকুলামেই এসএসসি পরীক্ষা হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা এবং নবম-দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্যের মতো বিভাজন থাকবে না, যা ২০২৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে, পাশাপাশি ‘শিক্ষা আইন, ২০২১’-এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।
আন্তশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিশুদের চাপমুক্ত রাখতে নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সারা বিশ্বেই এ নিয়ম প্রচলিত। এটা এই সময়ের জন্য ইতিবাচক দিক।
প্রথমবারের মতো ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে। ফলাফলে গরমিল এবং নানা অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে এই পরীক্ষা শেষ হয়। আগামী বছর বেসরকারি স্কুলগুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কোনো শিশু যাতে বিদ্যালয়ে ভর্তির বাইরে না থাকে, সে জন্য শূন্য থেকে ৫ বছর পর্যন্ত সব শিশুকে জরিপের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনা সব আয়োজন থমকে দিলেও ১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত শতবর্ষপূর্তি উদ্যাপন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই উদ্যাপনের মধ্যেই বহুল আলোচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষিত হয়েছে। রায়ে বুয়েট ছাত্রলীগের ২০ জনকে ফাঁসি ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এ সময়ে দেশের সব কওমি মাদ্রাসায় ছাত্র-শিক্ষকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয় এবং স্থায়ী সনদ না নেওয়া ২৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে শোকজ করে ইউজিসি।
এদিকে ৫৪৪ দিনের বন্ধ শেষে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব স্কুল-কলেজ খোলার মাধ্যমে ক্লাসে ফেরে প্রায় সোয়া তিন কোটি শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের পদচারণে আবারও মুখর হয় সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। খোলার পর ৮ মাস বিলম্বে ১৪ নভেম্বর এসএসসি এবং ২ ডিসেম্বর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর করোনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইতিমধ্যেই শিক্ষাবর্ষের সময় কমিয়ে ছয়-আট মাস করছে। পাশাপাশি বাতিল করছে বিভিন্ন ধরনের ছুটি।
শিক্ষাবিদেরা বলছে, করোনা নামক এই চ্যালেঞ্জে যতটুকু ক্ষতি হয়েছে, তা পোষানোর চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই সময়ে করোনা আমাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে ছিল। অনলাইন ক্লাসে আমরা অভ্যস্ত না থাকলেও শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের আন্তরিকতায় করোনার চ্যালেঞ্জ ভালোভাবেই মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। তা-ও এই সময়ে যে ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি।’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সময় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল পুরোপুরি নিস্তব্ধ। বছরজুড়েই করোনার সামনে আসহায় দাঁড়িয়ে ছিল দেশের শিক্ষা খাত। সেশন জট, এলোমেলো শিক্ষাপঞ্জি, অর্থের
৩১ ডিসেম্বর ২০২১
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সময় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল পুরোপুরি নিস্তব্ধ। বছরজুড়েই করোনার সামনে আসহায় দাঁড়িয়ে ছিল দেশের শিক্ষা খাত। সেশন জট, এলোমেলো শিক্ষাপঞ্জি, অর্থের
৩১ ডিসেম্বর ২০২১
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সময় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল পুরোপুরি নিস্তব্ধ। বছরজুড়েই করোনার সামনে আসহায় দাঁড়িয়ে ছিল দেশের শিক্ষা খাত। সেশন জট, এলোমেলো শিক্ষাপঞ্জি, অর্থের
৩১ ডিসেম্বর ২০২১
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সময় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল পুরোপুরি নিস্তব্ধ। বছরজুড়েই করোনার সামনে আসহায় দাঁড়িয়ে ছিল দেশের শিক্ষা খাত। সেশন জট, এলোমেলো শিক্ষাপঞ্জি, অর্থের
৩১ ডিসেম্বর ২০২১
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে