এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

সদ্য অনুষ্ঠিত বিচার বিভাগীয় জাতীয় সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টা পৃথক সচিবালয়ের ঘোষণা দেবেন বলেই আশা করেছিলেন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। তবে সে ঘোষণা না আসায় হতাশ তাঁরা। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা বলছেন, পৃথক সচিবালয় না হলে তাঁদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি বহাল থেকে যাবে। নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে পৃথক সচিবালয়ের উদ্যোগে ভাটা পড়তে পারে। এখনই বিচার বিভাগ সচিবালয় বাস্তবায়ন করার উপযুক্ত সময় ছিল।
একাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকা'কে বলেন, তাঁরা আশা করেছিলেন জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথি হয়ে আসা প্রধান উপদেষ্টা পৃথক সচিবালয় কবে প্রতিষ্ঠা করা হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা দেবেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে স্বাধীন বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন। কিন্তু সময়সীমার ঘোষণা না আশায় অনেক বিচারক হতাশ। কারণ তাঁদের আশঙ্কা, রাজনৈতিক সরকার এলেই বিষয়টি আবার ঝুলে যাবে।
গত রোববার সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত জুডিশিয়াল ইনডিপেনডেন্স অ্যান্ড এফিসিয়েন্সি শীর্ষক সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, পৃথক সচিবালয় হলে বিচার বিভাগ হস্তক্ষেপমুক্ত হবে। স্বাধীন ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সেমিনারে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদও বলেন, ‘বিচার বিভাগ প্রকৃত স্বাধীনতা দাবি করতে পারে না, যদি না তার সর্বোচ্চ সদস্যদের নিয়োগ এবং জবাবদিহি কাঠামোগতভাবে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে রক্ষা করা হয়। অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করছি।’
তবে পৃথক সচিবালয় কবে নাগাদ হচ্ছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট আভাস পাওয়া যায়নি সেমিনারের সভাপতি প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বা অন্যতম বক্তা আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কথা থেকেও।
এ বিষয়ে অভিমত জানতে চাইলে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বিচারকেরা আশা করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে পৃথক সচিবালয়ের বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা আসবে। অন্তর্বর্তী সরকারের এত দিনেও পৃথক সচিবালয় না হওয়ায় তাঁরা কিছুটা হতাশ। তবে আমরা আশা করি, সরকার দ্রুত বিচার বিভাগ সচিবালয় বাস্তবায়ন করবে।’
গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর সারা দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে অভিভাষণে নতুন নিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের মতো বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব শিগগির আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সুপ্রিম কোর্ট থেকে গত বছরের ২৭ অক্টোবর এ বিষয়ে ধারণাপত্র ও প্রস্তাব পাঠানো হয় আইন মন্ত্রণালয়ে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাবের পর আইন মন্ত্রণালয় প্রায় সব কাজ শেষ করে রেখেছে। এখন অর্ন্তবর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নিলেই অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে পৃথক সচিবালয় করতে পারে। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহের কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। আর সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতে দ্রুতই পৃথক সচিবালয় হবে বলে আমরা আশা করছি।’
হস্তক্ষেপ বন্ধ চায় সংস্কার কমিশন: বিচারকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আইন মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ বন্ধ করার সুপারিশ করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। কমিশনের মতে, মন্ত্রণালয়ের হাতে ক্ষমতা থাকার অর্থ দ্বৈত নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা বজায় থাকা।
জানতে চাইলে সংস্কার কমিশনের সদস্য তানিম হোসেইন শাওন বলেন, ‘এখন বিচার বিভাগ নামমাত্র স্বাধীন। সবকিছু আসে মন্ত্রণালয় থেকে। তবে সংবিধানে ১১৬ ধারা রেখে পৃথক সচিবালয় অর্থপূর্ণ হবে না। তাই দ্রুত রুল নিষ্পত্তি করে পৃথক সচিবালয় বাস্তবায়ন করা দরকার। কেননা কোনো রাজনৈতিক সরকার এলে আর এটা বাস্তবায়ন করবে বলে মনে হয় না।’
আরও খবর পড়ুন:

সদ্য অনুষ্ঠিত বিচার বিভাগীয় জাতীয় সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টা পৃথক সচিবালয়ের ঘোষণা দেবেন বলেই আশা করেছিলেন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। তবে সে ঘোষণা না আসায় হতাশ তাঁরা। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা বলছেন, পৃথক সচিবালয় না হলে তাঁদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি বহাল থেকে যাবে। নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে পৃথক সচিবালয়ের উদ্যোগে ভাটা পড়তে পারে। এখনই বিচার বিভাগ সচিবালয় বাস্তবায়ন করার উপযুক্ত সময় ছিল।
একাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকা'কে বলেন, তাঁরা আশা করেছিলেন জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথি হয়ে আসা প্রধান উপদেষ্টা পৃথক সচিবালয় কবে প্রতিষ্ঠা করা হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা দেবেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে স্বাধীন বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন। কিন্তু সময়সীমার ঘোষণা না আশায় অনেক বিচারক হতাশ। কারণ তাঁদের আশঙ্কা, রাজনৈতিক সরকার এলেই বিষয়টি আবার ঝুলে যাবে।
গত রোববার সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত জুডিশিয়াল ইনডিপেনডেন্স অ্যান্ড এফিসিয়েন্সি শীর্ষক সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, পৃথক সচিবালয় হলে বিচার বিভাগ হস্তক্ষেপমুক্ত হবে। স্বাধীন ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সেমিনারে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদও বলেন, ‘বিচার বিভাগ প্রকৃত স্বাধীনতা দাবি করতে পারে না, যদি না তার সর্বোচ্চ সদস্যদের নিয়োগ এবং জবাবদিহি কাঠামোগতভাবে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে রক্ষা করা হয়। অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করছি।’
তবে পৃথক সচিবালয় কবে নাগাদ হচ্ছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট আভাস পাওয়া যায়নি সেমিনারের সভাপতি প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বা অন্যতম বক্তা আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কথা থেকেও।
এ বিষয়ে অভিমত জানতে চাইলে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বিচারকেরা আশা করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে পৃথক সচিবালয়ের বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা আসবে। অন্তর্বর্তী সরকারের এত দিনেও পৃথক সচিবালয় না হওয়ায় তাঁরা কিছুটা হতাশ। তবে আমরা আশা করি, সরকার দ্রুত বিচার বিভাগ সচিবালয় বাস্তবায়ন করবে।’
গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর সারা দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে অভিভাষণে নতুন নিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের মতো বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব শিগগির আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সুপ্রিম কোর্ট থেকে গত বছরের ২৭ অক্টোবর এ বিষয়ে ধারণাপত্র ও প্রস্তাব পাঠানো হয় আইন মন্ত্রণালয়ে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাবের পর আইন মন্ত্রণালয় প্রায় সব কাজ শেষ করে রেখেছে। এখন অর্ন্তবর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নিলেই অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে পৃথক সচিবালয় করতে পারে। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহের কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। আর সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতে দ্রুতই পৃথক সচিবালয় হবে বলে আমরা আশা করছি।’
হস্তক্ষেপ বন্ধ চায় সংস্কার কমিশন: বিচারকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আইন মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ বন্ধ করার সুপারিশ করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। কমিশনের মতে, মন্ত্রণালয়ের হাতে ক্ষমতা থাকার অর্থ দ্বৈত নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা বজায় থাকা।
জানতে চাইলে সংস্কার কমিশনের সদস্য তানিম হোসেইন শাওন বলেন, ‘এখন বিচার বিভাগ নামমাত্র স্বাধীন। সবকিছু আসে মন্ত্রণালয় থেকে। তবে সংবিধানে ১১৬ ধারা রেখে পৃথক সচিবালয় অর্থপূর্ণ হবে না। তাই দ্রুত রুল নিষ্পত্তি করে পৃথক সচিবালয় বাস্তবায়ন করা দরকার। কেননা কোনো রাজনৈতিক সরকার এলে আর এটা বাস্তবায়ন করবে বলে মনে হয় না।’
আরও খবর পড়ুন:
এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

সদ্য অনুষ্ঠিত বিচার বিভাগীয় জাতীয় সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টা পৃথক সচিবালয়ের ঘোষণা দেবেন বলেই আশা করেছিলেন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। তবে সে ঘোষণা না আসায় হতাশ তাঁরা। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা বলছেন, পৃথক সচিবালয় না হলে তাঁদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি বহাল থেকে যাবে। নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে পৃথক সচিবালয়ের উদ্যোগে ভাটা পড়তে পারে। এখনই বিচার বিভাগ সচিবালয় বাস্তবায়ন করার উপযুক্ত সময় ছিল।
একাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকা'কে বলেন, তাঁরা আশা করেছিলেন জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথি হয়ে আসা প্রধান উপদেষ্টা পৃথক সচিবালয় কবে প্রতিষ্ঠা করা হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা দেবেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে স্বাধীন বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন। কিন্তু সময়সীমার ঘোষণা না আশায় অনেক বিচারক হতাশ। কারণ তাঁদের আশঙ্কা, রাজনৈতিক সরকার এলেই বিষয়টি আবার ঝুলে যাবে।
গত রোববার সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত জুডিশিয়াল ইনডিপেনডেন্স অ্যান্ড এফিসিয়েন্সি শীর্ষক সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, পৃথক সচিবালয় হলে বিচার বিভাগ হস্তক্ষেপমুক্ত হবে। স্বাধীন ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সেমিনারে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদও বলেন, ‘বিচার বিভাগ প্রকৃত স্বাধীনতা দাবি করতে পারে না, যদি না তার সর্বোচ্চ সদস্যদের নিয়োগ এবং জবাবদিহি কাঠামোগতভাবে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে রক্ষা করা হয়। অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করছি।’
তবে পৃথক সচিবালয় কবে নাগাদ হচ্ছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট আভাস পাওয়া যায়নি সেমিনারের সভাপতি প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বা অন্যতম বক্তা আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কথা থেকেও।
এ বিষয়ে অভিমত জানতে চাইলে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বিচারকেরা আশা করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে পৃথক সচিবালয়ের বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা আসবে। অন্তর্বর্তী সরকারের এত দিনেও পৃথক সচিবালয় না হওয়ায় তাঁরা কিছুটা হতাশ। তবে আমরা আশা করি, সরকার দ্রুত বিচার বিভাগ সচিবালয় বাস্তবায়ন করবে।’
গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর সারা দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে অভিভাষণে নতুন নিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের মতো বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব শিগগির আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সুপ্রিম কোর্ট থেকে গত বছরের ২৭ অক্টোবর এ বিষয়ে ধারণাপত্র ও প্রস্তাব পাঠানো হয় আইন মন্ত্রণালয়ে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাবের পর আইন মন্ত্রণালয় প্রায় সব কাজ শেষ করে রেখেছে। এখন অর্ন্তবর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নিলেই অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে পৃথক সচিবালয় করতে পারে। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহের কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। আর সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতে দ্রুতই পৃথক সচিবালয় হবে বলে আমরা আশা করছি।’
হস্তক্ষেপ বন্ধ চায় সংস্কার কমিশন: বিচারকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আইন মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ বন্ধ করার সুপারিশ করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। কমিশনের মতে, মন্ত্রণালয়ের হাতে ক্ষমতা থাকার অর্থ দ্বৈত নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা বজায় থাকা।
জানতে চাইলে সংস্কার কমিশনের সদস্য তানিম হোসেইন শাওন বলেন, ‘এখন বিচার বিভাগ নামমাত্র স্বাধীন। সবকিছু আসে মন্ত্রণালয় থেকে। তবে সংবিধানে ১১৬ ধারা রেখে পৃথক সচিবালয় অর্থপূর্ণ হবে না। তাই দ্রুত রুল নিষ্পত্তি করে পৃথক সচিবালয় বাস্তবায়ন করা দরকার। কেননা কোনো রাজনৈতিক সরকার এলে আর এটা বাস্তবায়ন করবে বলে মনে হয় না।’
আরও খবর পড়ুন:

সদ্য অনুষ্ঠিত বিচার বিভাগীয় জাতীয় সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টা পৃথক সচিবালয়ের ঘোষণা দেবেন বলেই আশা করেছিলেন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। তবে সে ঘোষণা না আসায় হতাশ তাঁরা। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা বলছেন, পৃথক সচিবালয় না হলে তাঁদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি বহাল থেকে যাবে। নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে পৃথক সচিবালয়ের উদ্যোগে ভাটা পড়তে পারে। এখনই বিচার বিভাগ সচিবালয় বাস্তবায়ন করার উপযুক্ত সময় ছিল।
একাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকা'কে বলেন, তাঁরা আশা করেছিলেন জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথি হয়ে আসা প্রধান উপদেষ্টা পৃথক সচিবালয় কবে প্রতিষ্ঠা করা হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা দেবেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে স্বাধীন বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন। কিন্তু সময়সীমার ঘোষণা না আশায় অনেক বিচারক হতাশ। কারণ তাঁদের আশঙ্কা, রাজনৈতিক সরকার এলেই বিষয়টি আবার ঝুলে যাবে।
গত রোববার সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত জুডিশিয়াল ইনডিপেনডেন্স অ্যান্ড এফিসিয়েন্সি শীর্ষক সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, পৃথক সচিবালয় হলে বিচার বিভাগ হস্তক্ষেপমুক্ত হবে। স্বাধীন ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সেমিনারে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদও বলেন, ‘বিচার বিভাগ প্রকৃত স্বাধীনতা দাবি করতে পারে না, যদি না তার সর্বোচ্চ সদস্যদের নিয়োগ এবং জবাবদিহি কাঠামোগতভাবে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে রক্ষা করা হয়। অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করছি।’
তবে পৃথক সচিবালয় কবে নাগাদ হচ্ছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট আভাস পাওয়া যায়নি সেমিনারের সভাপতি প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বা অন্যতম বক্তা আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কথা থেকেও।
এ বিষয়ে অভিমত জানতে চাইলে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বিচারকেরা আশা করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে পৃথক সচিবালয়ের বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা আসবে। অন্তর্বর্তী সরকারের এত দিনেও পৃথক সচিবালয় না হওয়ায় তাঁরা কিছুটা হতাশ। তবে আমরা আশা করি, সরকার দ্রুত বিচার বিভাগ সচিবালয় বাস্তবায়ন করবে।’
গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর সারা দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে অভিভাষণে নতুন নিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের মতো বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব শিগগির আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সুপ্রিম কোর্ট থেকে গত বছরের ২৭ অক্টোবর এ বিষয়ে ধারণাপত্র ও প্রস্তাব পাঠানো হয় আইন মন্ত্রণালয়ে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাবের পর আইন মন্ত্রণালয় প্রায় সব কাজ শেষ করে রেখেছে। এখন অর্ন্তবর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নিলেই অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে পৃথক সচিবালয় করতে পারে। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহের কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। আর সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতে দ্রুতই পৃথক সচিবালয় হবে বলে আমরা আশা করছি।’
হস্তক্ষেপ বন্ধ চায় সংস্কার কমিশন: বিচারকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আইন মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ বন্ধ করার সুপারিশ করেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। কমিশনের মতে, মন্ত্রণালয়ের হাতে ক্ষমতা থাকার অর্থ দ্বৈত নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা বজায় থাকা।
জানতে চাইলে সংস্কার কমিশনের সদস্য তানিম হোসেইন শাওন বলেন, ‘এখন বিচার বিভাগ নামমাত্র স্বাধীন। সবকিছু আসে মন্ত্রণালয় থেকে। তবে সংবিধানে ১১৬ ধারা রেখে পৃথক সচিবালয় অর্থপূর্ণ হবে না। তাই দ্রুত রুল নিষ্পত্তি করে পৃথক সচিবালয় বাস্তবায়ন করা দরকার। কেননা কোনো রাজনৈতিক সরকার এলে আর এটা বাস্তবায়ন করবে বলে মনে হয় না।’
আরও খবর পড়ুন:

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
১ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
২ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

সদ্য অনুষ্ঠিত বিচার বিভাগীয় জাতীয় সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টা পৃথক সচিবালয়ের ঘোষণা দেবেন বলেই আশা করেছিলেন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। তবে সে ঘোষণা না আসায় হতাশ তাঁরা। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা বলছেন, পৃথক সচিবালয় না হলে তাঁদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি বহাল থেকে যাবে।
২৫ জুন ২০২৫
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
২ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ বিআইডব্লিউটিএর জারি করা এক বিশেষ নৌ চলাচল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে, সেসবসহ অন্য সব নৌযানকে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বিধিমালা, ১৯৭৬ অনুসরণ করে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ বিআইডব্লিউটিএর জারি করা এক বিশেষ নৌ চলাচল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে, সেসবসহ অন্য সব নৌযানকে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বিধিমালা, ১৯৭৬ অনুসরণ করে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

সদ্য অনুষ্ঠিত বিচার বিভাগীয় জাতীয় সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টা পৃথক সচিবালয়ের ঘোষণা দেবেন বলেই আশা করেছিলেন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। তবে সে ঘোষণা না আসায় হতাশ তাঁরা। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা বলছেন, পৃথক সচিবালয় না হলে তাঁদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি বহাল থেকে যাবে।
২৫ জুন ২০২৫
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
১ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

৪১তম বিসিএস ব্যাচে নিয়োগ পাওয়া ছয় শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) চাকরি থেকে অপসারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অপসারণ করা এএসপিরা হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, মাহমুদুল হক, মো. ইসহাক হোসেন, মো. মশিউর রহমান, মুহাম্মদ রাকিব আনোয়ার ও সাঈদ করিম মুগ্ধ।
আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
বিধিতে বলা আছে, শিক্ষানবিশ মেয়াদ চলাকালে কেউ সংশ্লিষ্ট চাকরিতে বহাল থাকার অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হলে সরকারি কর্ম কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ না করেই সরাসরি নিয়োগ অবসান করতে পারবে সরকার।

৪১তম বিসিএস ব্যাচে নিয়োগ পাওয়া ছয় শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) চাকরি থেকে অপসারণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। অপসারণ করা এএসপিরা হলেন মো. দেলোয়ার হোসেন, মাহমুদুল হক, মো. ইসহাক হোসেন, মো. মশিউর রহমান, মুহাম্মদ রাকিব আনোয়ার ও সাঈদ করিম মুগ্ধ।
আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখার জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
বিধিতে বলা আছে, শিক্ষানবিশ মেয়াদ চলাকালে কেউ সংশ্লিষ্ট চাকরিতে বহাল থাকার অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হলে সরকারি কর্ম কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ না করেই সরাসরি নিয়োগ অবসান করতে পারবে সরকার।

সদ্য অনুষ্ঠিত বিচার বিভাগীয় জাতীয় সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টা পৃথক সচিবালয়ের ঘোষণা দেবেন বলেই আশা করেছিলেন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। তবে সে ঘোষণা না আসায় হতাশ তাঁরা। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা বলছেন, পৃথক সচিবালয় না হলে তাঁদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি বহাল থেকে যাবে।
২৫ জুন ২০২৫
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
১ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তিনি বিকেলে সাংবাদিকদের এই বিবৃতির কথা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তাঁর মন্তব্য বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন নয়। বাংলাদেশ সরকারের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে এমন কোনো বিভ্রান্তিকর, অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বর্ণনা বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’
বিচ্ছিন্ন কিছু অপরাধমূলক ঘটনাকে পরিকল্পিতভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়ন হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। এতে আরও বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশবিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে দিতে সেটার অপব্যবহার করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু মহলে বাছাই করা ও পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে অতিরঞ্জিত ও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সাধারণ ভারতীয় জনগণকে বাংলাদেশ, ভারতের বাংলাদেশি কূটনৈতিক মিশন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যে ব্যক্তির উদাহরণ দিয়েছেন, তিনি ছিলেন তালিকাভুক্ত অপরাধী। চাঁদাবাজির সময় তাঁর মুসলিম সহযোগীর সঙ্গে থাকা অবস্থায় তাঁর দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু ঘটে, যাঁকে পরে গ্রেপ্তার করা হয়। এই অপরাধমূলক ঘটনাকে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা বাস্তবসম্মত নয়, বরং বিভ্রান্তিকর।
বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ভারতের বিভিন্ন মহলকে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে, যা সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক ও পারস্পরিক আস্থার চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে।
আরও পড়ুন:

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মহলকে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস এম মাহবুবুল আলম এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তিনি বিকেলে সাংবাদিকদের এই বিবৃতির কথা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তাঁর মন্তব্য বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন নয়। বাংলাদেশ সরকারের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে এমন কোনো বিভ্রান্তিকর, অতিরঞ্জিত বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বর্ণনা বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’
বিচ্ছিন্ন কিছু অপরাধমূলক ঘটনাকে পরিকল্পিতভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক নিপীড়ন হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। এতে আরও বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশবিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে দিতে সেটার অপব্যবহার করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু মহলে বাছাই করা ও পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে অতিরঞ্জিত ও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সাধারণ ভারতীয় জনগণকে বাংলাদেশ, ভারতের বাংলাদেশি কূটনৈতিক মিশন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যে ব্যক্তির উদাহরণ দিয়েছেন, তিনি ছিলেন তালিকাভুক্ত অপরাধী। চাঁদাবাজির সময় তাঁর মুসলিম সহযোগীর সঙ্গে থাকা অবস্থায় তাঁর দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু ঘটে, যাঁকে পরে গ্রেপ্তার করা হয়। এই অপরাধমূলক ঘটনাকে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা বাস্তবসম্মত নয়, বরং বিভ্রান্তিকর।
বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ভারতের বিভিন্ন মহলকে বিভ্রান্তিকর বর্ণনা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে, যা সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক ও পারস্পরিক আস্থার চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে।
আরও পড়ুন:

সদ্য অনুষ্ঠিত বিচার বিভাগীয় জাতীয় সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টা পৃথক সচিবালয়ের ঘোষণা দেবেন বলেই আশা করেছিলেন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। তবে সে ঘোষণা না আসায় হতাশ তাঁরা। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা বলছেন, পৃথক সচিবালয় না হলে তাঁদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি বহাল থেকে যাবে।
২৫ জুন ২০২৫
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
১ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
২ ঘণ্টা আগে
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস নিয়োগ বিধিমালার ৬এর ২(এ) বিধি অনুযায়ী ওই ছয় শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে