Ajker Patrika

নির্বাচন সামনে রেখে অ্যামনেস্টির ১০ দফা মানবাধিকার সনদ

আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২০: ২৮
নির্বাচন সামনে রেখে অ্যামনেস্টির ১০ দফা মানবাধিকার সনদ

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১০ দফা মানবাধিকার সনদ দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। গতকাল বৃহস্পতিবার অ্যামনেস্টির ওয়েবসাইটে সনদগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।

‘বাংলাদেশ: নির্বাচন সামনে রেখে মানবাধিকার সনদের ১০ দফা’ শিরোনামে প্রকাশিত নথিতে বলা হয়েছে, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সব রাজনৈতিক দলের মূল পরিকল্পনায় মানবাধিকার সুরক্ষা ও উৎসাহিত করার বিষয়টি যাতে থাকে, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি। 

অ্যামনেস্টির ১০ দফায় আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার অনুযায়ী, মানবাধিকার রক্ষার বাধ্যবাধকতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। এসব চুক্তির মধ্যে রয়েছে: নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার (আইসিসিপিআর) এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার (আইসিইএসআর)। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সংবিধানে থাকা মানবাধিকার-সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে অ্যামনেস্টি। 

১০ দফার প্রতিটির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিদ্যমান পরিস্থিতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও পর্যবেক্ষণ দিয়েছে অ্যামনেস্টি। প্রতিটি দফার ক্ষেত্রে পৃথকভাবে কিছু সুপারিশও রেখেছে সংগঠনটি। অ্যাজেন্ডার ক্রমবিন্যাস অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করা হয়নি উল্লেখ করে বাংলাদেশের জন্য অ্যামনেস্টির দেওয়া ১০ দফা মানবাধিকার সনদ হলো—

১. মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা ও সুরক্ষা
শুধু মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার চর্চার জন্য সাইবার নিরাপত্তা আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিন। অভিযুক্ত সবার বিরুদ্ধে মামলা বাতিল করুন। 

* আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানদণ্ড অনুযায়ী, সাইবার নিরাপত্তা আইন সংশোধন করুন। এই আইনের ২১, ২৫ ও ২৮ ধারা বাতিল করুন। 

* মানহানিকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে জেল-জরিমানার মতো বিধান রদ করুন। মানহানির বিষয়টি দেওয়ানি আইন ও মামলার বিষয় হিসেবেই থাকা উচিত। 

* মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, ব্যক্তির স্বাধীনতা-নিরাপত্তার অধিকারের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচারপ্রাপ্তি এবং পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণসহ কার্যকর প্রতিকারের আইন প্রবর্তন করুন। 

* সাংবাদিকদের হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনে আইনের অপব্যবহার বন্ধ করুন। 

২. প্রতিবাদ-বিক্ষোভের সুরক্ষা
২০২২ সালের ডিসেম্বর ও ২০২৩ সালের অক্টোবরে বিরোধীদের বিক্ষোভ এবং তাঁদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বলপ্রয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করে কিছু সুপারিশ তুলে ধরেছে অ্যামনেস্টি। 

* নাগরিকদের বিক্ষোভ মোকাবিলার ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বন্ধ করুন। 

* শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সুরক্ষাসহ তা পালনে সহায়তার বাধ্যবাধকতা পূরণ করুন। বিধিনিষেধসহ যেকোনো প্রতিক্রিয়া যাতে আইনসম্মত, প্রয়োজনীয়, সমানুপাতিক ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করুন। 

* সব ধরনের গ্রেপ্তার যাতে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানদণ্ড অনুযায়ী করা হয়, তা নিশ্চিত করুন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে: গ্রেপ্তারের কারণ ও আটক রাখার স্থান জানানো, গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে অবিলম্বে বিচারকের সামনে হাজির করা, আইনি পরামর্শ পাওয়া নিশ্চিত করা। একটি মুক্ত ও ন্যায়বিচারের অধিকার নিশ্চিত করা। 

৩. রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং শিশুদের শিক্ষায় নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। 

* আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী আশ্রিত রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষা করুন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা হয়রানির অভিযোগ তদন্ত করুন। দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনুন। 

* স্বাধীনভাবে পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য ভাসানচরে সাংবাদিক, জাতিসংঘের প্রতিনিধি, দাতা-মানবিক সহায়তা সংস্থাসহ নাগরিক সমাজের সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করুন। 

* রোহিঙ্গা শিশুদের যথাসময়ে উপযুক্ত, মানসম্মত ও আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করুন। 

* আশ্রিত রোহিঙ্গারা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন বা লঙ্ঘনের প্রকৃত ঝুঁকিতে পড়তে পারেন, এমন কোনো স্থানে (এমনকি নিজ মাতৃভূমি হলেও) তাঁদের স্থানান্তর না করার বিষয়টি নিশ্চিত করুন। 

* স্থানান্তর, প্রত্যাবাসন, ত্রাণ, উন্নয়ন-সম্পর্কিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করুন। তাঁদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করুন। এ ক্ষেত্রে নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠীর সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করুন। 

* রোহিঙ্গা সংকটের একটি সমন্বিত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহযোগিতামূলক সমাধান খুঁজে পেতে প্রতিবেশী দেশ, আঞ্চলিক সংস্থা ও বৈশ্বিক অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় যুক্ত হোন।

৪. গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে দায়মুক্তির অবসান
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে কত মানুষ গুম, অপহরণ ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তার কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে অ্যামনেস্টি। সেই সঙ্গে কিছু সুপারিশও করা হয়েছে। 

* আপত্তি ছাড়াই গুম হওয়া থেকে সবার সুরক্ষার সনদ অনুমোদন করুন। গুমকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে তা দেশের আইনি ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করুন। 

* বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক সফরের জন্য গুমবিষয়ক জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের অনুরোধ গ্রহণ করুন।

* গুমের শিকার ব্যক্তি, পরিবারের জন্য পূর্ণ ও কার্যকর ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করুন। 

* র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অন্যান্য বিভাগের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কার্যকর, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করুন; বিশেষ করে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগের ক্ষেত্রে। 

৫. নারীর অধিকার রক্ষা
বাল্যবিবাহ, নারীর প্রতি সহিংসতা, হত্যাসহ বেশ কিছু ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরে কিছু সুপারিশ করেছে অ্যামনেস্টি। 

* নারীর প্রতি সহিংসতায় জড়িত অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে বিদ্যমান আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন। ভুক্তভোগীদের জন্য সময়মতো ও পর্যাপ্ত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।

* বিচার ও আইনি সেবায় নারীদের কার্যকর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করুন।

* লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার শিকার ভুক্তভোগীরা যাতে সময়মতো ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করুন। তাঁদের জন্য একটি ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠন করুন। 

* সারা দেশে আরও আশ্রয়কেন্দ্র ও সেফ হাউস চালু করুন। কার্যকরভাবে তথ্য প্রচার করুন। 

৬. ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের অধিকার রক্ষা
ধর্মীয় সংখ্যালঘু প্রধানত হিন্দু সম্প্রদায়সহ অন্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনা এবং পরিসংখ্যান তুলে ধরে কিছু সুপারিশ করেছে অ্যামনেস্টি।

* সংসদে উত্থাপিত দীর্ঘ প্রত্যাশিত বৈষম্যবিরোধী বিল, ২০২২ আইনে পরিণত করুন। 

* পার্বত্য চুক্তিতে যে মানবাধিকার সংস্কারের কথা বলা হয়েছিল, তা সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করুন। 

* ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য কার্যকর সমতা অর্জন, মানবাধিকারসহ মৌলিক স্বাধীনতার পূর্ণ ও সমান উপভোগ নিশ্চিতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

* সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সমতা-সংক্রান্ত সাংবিধানিক নিশ্চয়তা নিশ্চিত করুন। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনুন।

৭. মৃত্যুদণ্ড বিলোপ
বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। এই সাজা কার্যকরের কয়েক বছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে সুপারিশে বলা হয়েছে: 

*মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিল করুন। মৃত্যুদণ্ড রহিত করার লক্ষ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ওপর একটি সরকারি স্থগিতাদেশ দিন। 

* মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আইন ও মানদণ্ড নির্ধারিত বিধিনিষেধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় আইনে পরিবর্তন আনুন।

* অপরাধের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড একটি অনন্য প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে—এমন কোনো চূড়ান্ত প্রমাণ না থাকার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ান। এ কথাও বলুন, এই শাস্তির সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি জড়িত। 

৮. জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই পদক্ষেপ
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে সংকট মোকাবিলায় কিছু সুপারিশ করেছে অ্যামনেস্টি।

* জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়নে উপযুক্ত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করুন। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করুন।

* জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষ বা জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করুন। তাঁদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করুন। স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি প্রশমিত করুন।

* বেশি কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় আলোচনায় বাংলাদেশের জলবায়ু প্রভাবকে অগ্রাধিকার দিন। 

৯. হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতনের ক্ষেত্রে দায়মুক্তির অবসান
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর ঘটনায় অধিকার, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) মতো বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে কিছু সুপারিশ করেছে অ্যামনেস্টি। 

* হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতনের ঘটনায় পুঙ্খানুপুঙ্খ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত করুন। মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে অপরাধীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। 

* রাষ্ট্র থেকে ভুক্তভোগীদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ দিন। এর মধ্যে আর্থিক ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসাসেবা ও পুনর্বাসন অন্তর্ভুক্ত। 

* নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চুক্তির (আইসিসিপিআর) ঐচ্ছিক প্রটোকল অনুমোদন করুন। নির্যাতনের বিরুদ্ধে কনভেনশনের ২২ অনুচ্ছেদের অধীনে একটি ঘোষণা জারি করুন। 

 ১০. করপোরেট দায়বদ্ধতা ও শ্রম অধিকার সমুন্নত রাখা
বাংলাদেশে শ্রমিকেরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশসহ নানা ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়েন। এতে গত অক্টোবরে ন্যূনতম মজুরির আন্দোলনে তিন শ্রমিকের মৃত্যুসহ নানা ঘটনা উল্লেখ করেছে অ্যামনেস্টি। এতে কিছু সুপারিশও তুলে ধরা হয়েছে। 

* বাংলাদেশ শ্রম আইনে শিশুর সংজ্ঞা সংশোধন করুন। এটিকে জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ ও বাংলাদেশের শিশু আইন, ২০১৩-এর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করুন। শিশুশ্রমিক নিয়োগের জন্য করপোরেশনগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনুন। 

* শ্রমিকদের বিক্ষোভে সহিংস দমনপীড়ন বন্ধ করুন। শ্রমিকনেতাসহ অন্য বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করুন। অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনুন। 

* শ্রমিকেরা যাতে তাঁদের সংগঠন (ট্রেড ইউনিয়ন) করার স্বাধীনতার অধিকার চর্চা করতে পারেন, কারখানা পর্যায়ে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন এবং তাতে যোগদানের মাধ্যমে যাতে সম্মিলিত দর-কষাকষি করতে পারেন, সরকারি কর্তৃপক্ষ ও কারখানার মালিকদের সঙ্গে যাতে প্রকৃত সংলাপে যুক্ত হতে পারেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশসহ ধর্মঘটের স্বাধীনতার অধিকার যাতে ভোগ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করুন। 

* পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা যাতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মানদণ্ড অনুযায়ী পর্যাপ্ত মজুরি পান, তা নিশ্চিত করুন। 

* বাংলাদেশ শ্রম আইনের পঞ্চম তফসিল সংশোধন করুন। 

* স্বচ্ছতা নিশ্চিতসহ আনুষ্ঠানিক ডেটার ঘাটতি পূরণে কর্মক্ষেত্রে মৃত্যু ও আঘাতের বিষয়ে একটি জাতীয় তথ্যভান্ডার চালু করুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তফসিলের পর চার আসনের সীমানা পরিবর্তন করে ইসির গেজেট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পাবনা ও ফরিদপুর জেলার চারটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই চার সংসদীয় আসন হলো পাবনা-১, পাবনা-২, ফরিদপুর-২ ও ফরিদপুর-৪। হাইকোর্ট কোর্টের আদেশ অনুযায়ী সীমানায় এই পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিলো ইসি।

আজ শুক্রবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

তফসিল ঘোষণার আগে ইসি গাজীপুরের একটি আসন কমিয়ে এবং বাগেরহাটের একটি আসন ফেরত দিয়ে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছিল কমিশন। এবার তফসিল ঘোষণার পর আরও চারটি আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনল। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে এমন নজির দেখা যায়নি।

সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার প্রকাশিত গেজেটের তথ্যানুযায়ী, পাবনা-১ আসনের সীমানায় সাঁথিয়া উপজেলা এবং বেড়া উপজেলার বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

পাবনা-২ আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সুজানগর উপজেলা এবং উল্লিখিত একটি পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়ন (বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, চাকলা ইউনিয়ন ও কৈটোলা ইউনিয়ন) ব্যতীত বেড়া উপজেলা।

আর ফরিদপুর-২ আসনের সীমানায় নগরকান্দা উপজেলা ও সালথা উপজেলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে-ভাঙ্গা উপজেলা, চরভদ্রাসন উপজেলা এবং সদরপুর উপজেলা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বোরো ধানের মৌসুম: সেচ মৌসুমে জ্বালানিতে টান

  • যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা
  • বিপিসির নথি বলছে, আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি আছে
 আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩১
বোরো ধানের মৌসুম: সেচ মৌসুমে জ্বালানিতে টান

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।

বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।

বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।

এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।

নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।

পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।

তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজবাড়ীতে গণপিটুনিতে অমৃত মন্ডল নিহতের ঘটনা সাম্প্রদায়িক হামলা নয়: প্রেস উইং

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজবাড়ীতে গণপিটুনিতে অমৃত মন্ডল নিহতের ঘটনা সাম্প্রদায়িক হামলা নয়: প্রেস উইং

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।

পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।

সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের আগমনে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে: প্রেস সচিব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’

তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত