
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১০ দফা মানবাধিকার সনদ দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। গতকাল বৃহস্পতিবার অ্যামনেস্টির ওয়েবসাইটে সনদগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।
‘বাংলাদেশ: নির্বাচন সামনে রেখে মানবাধিকার সনদের ১০ দফা’ শিরোনামে প্রকাশিত নথিতে বলা হয়েছে, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সব রাজনৈতিক দলের মূল পরিকল্পনায় মানবাধিকার সুরক্ষা ও উৎসাহিত করার বিষয়টি যাতে থাকে, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি।
অ্যামনেস্টির ১০ দফায় আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার অনুযায়ী, মানবাধিকার রক্ষার বাধ্যবাধকতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। এসব চুক্তির মধ্যে রয়েছে: নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার (আইসিসিপিআর) এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার (আইসিইএসআর)। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সংবিধানে থাকা মানবাধিকার-সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে অ্যামনেস্টি।
১০ দফার প্রতিটির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিদ্যমান পরিস্থিতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও পর্যবেক্ষণ দিয়েছে অ্যামনেস্টি। প্রতিটি দফার ক্ষেত্রে পৃথকভাবে কিছু সুপারিশও রেখেছে সংগঠনটি। অ্যাজেন্ডার ক্রমবিন্যাস অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করা হয়নি উল্লেখ করে বাংলাদেশের জন্য অ্যামনেস্টির দেওয়া ১০ দফা মানবাধিকার সনদ হলো—
১. মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা ও সুরক্ষা
শুধু মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার চর্চার জন্য সাইবার নিরাপত্তা আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিন। অভিযুক্ত সবার বিরুদ্ধে মামলা বাতিল করুন।
* আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানদণ্ড অনুযায়ী, সাইবার নিরাপত্তা আইন সংশোধন করুন। এই আইনের ২১, ২৫ ও ২৮ ধারা বাতিল করুন।
* মানহানিকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে জেল-জরিমানার মতো বিধান রদ করুন। মানহানির বিষয়টি দেওয়ানি আইন ও মামলার বিষয় হিসেবেই থাকা উচিত।
* মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, ব্যক্তির স্বাধীনতা-নিরাপত্তার অধিকারের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচারপ্রাপ্তি এবং পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণসহ কার্যকর প্রতিকারের আইন প্রবর্তন করুন।
* সাংবাদিকদের হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনে আইনের অপব্যবহার বন্ধ করুন।
২. প্রতিবাদ-বিক্ষোভের সুরক্ষা
২০২২ সালের ডিসেম্বর ও ২০২৩ সালের অক্টোবরে বিরোধীদের বিক্ষোভ এবং তাঁদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বলপ্রয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করে কিছু সুপারিশ তুলে ধরেছে অ্যামনেস্টি।
* নাগরিকদের বিক্ষোভ মোকাবিলার ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বন্ধ করুন।
* শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সুরক্ষাসহ তা পালনে সহায়তার বাধ্যবাধকতা পূরণ করুন। বিধিনিষেধসহ যেকোনো প্রতিক্রিয়া যাতে আইনসম্মত, প্রয়োজনীয়, সমানুপাতিক ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করুন।
* সব ধরনের গ্রেপ্তার যাতে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানদণ্ড অনুযায়ী করা হয়, তা নিশ্চিত করুন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে: গ্রেপ্তারের কারণ ও আটক রাখার স্থান জানানো, গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে অবিলম্বে বিচারকের সামনে হাজির করা, আইনি পরামর্শ পাওয়া নিশ্চিত করা। একটি মুক্ত ও ন্যায়বিচারের অধিকার নিশ্চিত করা।
৩. রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং শিশুদের শিক্ষায় নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে।
* আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী আশ্রিত রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষা করুন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা হয়রানির অভিযোগ তদন্ত করুন। দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনুন।
* স্বাধীনভাবে পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য ভাসানচরে সাংবাদিক, জাতিসংঘের প্রতিনিধি, দাতা-মানবিক সহায়তা সংস্থাসহ নাগরিক সমাজের সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করুন।
* রোহিঙ্গা শিশুদের যথাসময়ে উপযুক্ত, মানসম্মত ও আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করুন।
* আশ্রিত রোহিঙ্গারা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন বা লঙ্ঘনের প্রকৃত ঝুঁকিতে পড়তে পারেন, এমন কোনো স্থানে (এমনকি নিজ মাতৃভূমি হলেও) তাঁদের স্থানান্তর না করার বিষয়টি নিশ্চিত করুন।
* স্থানান্তর, প্রত্যাবাসন, ত্রাণ, উন্নয়ন-সম্পর্কিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করুন। তাঁদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করুন। এ ক্ষেত্রে নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠীর সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
* রোহিঙ্গা সংকটের একটি সমন্বিত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহযোগিতামূলক সমাধান খুঁজে পেতে প্রতিবেশী দেশ, আঞ্চলিক সংস্থা ও বৈশ্বিক অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় যুক্ত হোন।
৪. গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে দায়মুক্তির অবসান
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে কত মানুষ গুম, অপহরণ ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তার কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে অ্যামনেস্টি। সেই সঙ্গে কিছু সুপারিশও করা হয়েছে।
* আপত্তি ছাড়াই গুম হওয়া থেকে সবার সুরক্ষার সনদ অনুমোদন করুন। গুমকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে তা দেশের আইনি ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করুন।
* বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক সফরের জন্য গুমবিষয়ক জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের অনুরোধ গ্রহণ করুন।
* গুমের শিকার ব্যক্তি, পরিবারের জন্য পূর্ণ ও কার্যকর ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করুন।
* র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অন্যান্য বিভাগের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কার্যকর, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করুন; বিশেষ করে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগের ক্ষেত্রে।
৫. নারীর অধিকার রক্ষা
বাল্যবিবাহ, নারীর প্রতি সহিংসতা, হত্যাসহ বেশ কিছু ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরে কিছু সুপারিশ করেছে অ্যামনেস্টি।
* নারীর প্রতি সহিংসতায় জড়িত অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে বিদ্যমান আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন। ভুক্তভোগীদের জন্য সময়মতো ও পর্যাপ্ত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
* বিচার ও আইনি সেবায় নারীদের কার্যকর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করুন।
* লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার শিকার ভুক্তভোগীরা যাতে সময়মতো ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করুন। তাঁদের জন্য একটি ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠন করুন।
* সারা দেশে আরও আশ্রয়কেন্দ্র ও সেফ হাউস চালু করুন। কার্যকরভাবে তথ্য প্রচার করুন।
৬. ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের অধিকার রক্ষা
ধর্মীয় সংখ্যালঘু প্রধানত হিন্দু সম্প্রদায়সহ অন্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনা এবং পরিসংখ্যান তুলে ধরে কিছু সুপারিশ করেছে অ্যামনেস্টি।
* সংসদে উত্থাপিত দীর্ঘ প্রত্যাশিত বৈষম্যবিরোধী বিল, ২০২২ আইনে পরিণত করুন।
* পার্বত্য চুক্তিতে যে মানবাধিকার সংস্কারের কথা বলা হয়েছিল, তা সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করুন।
* ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য কার্যকর সমতা অর্জন, মানবাধিকারসহ মৌলিক স্বাধীনতার পূর্ণ ও সমান উপভোগ নিশ্চিতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
* সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সমতা-সংক্রান্ত সাংবিধানিক নিশ্চয়তা নিশ্চিত করুন। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনুন।
৭. মৃত্যুদণ্ড বিলোপ
বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। এই সাজা কার্যকরের কয়েক বছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে সুপারিশে বলা হয়েছে:
*মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিল করুন। মৃত্যুদণ্ড রহিত করার লক্ষ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ওপর একটি সরকারি স্থগিতাদেশ দিন।
* মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আইন ও মানদণ্ড নির্ধারিত বিধিনিষেধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় আইনে পরিবর্তন আনুন।
* অপরাধের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড একটি অনন্য প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে—এমন কোনো চূড়ান্ত প্রমাণ না থাকার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ান। এ কথাও বলুন, এই শাস্তির সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি জড়িত।
৮. জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই পদক্ষেপ
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে সংকট মোকাবিলায় কিছু সুপারিশ করেছে অ্যামনেস্টি।
* জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়নে উপযুক্ত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করুন। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করুন।
* জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষ বা জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করুন। তাঁদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করুন। স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি প্রশমিত করুন।
* বেশি কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় আলোচনায় বাংলাদেশের জলবায়ু প্রভাবকে অগ্রাধিকার দিন।
৯. হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতনের ক্ষেত্রে দায়মুক্তির অবসান
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর ঘটনায় অধিকার, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) মতো বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে কিছু সুপারিশ করেছে অ্যামনেস্টি।
* হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতনের ঘটনায় পুঙ্খানুপুঙ্খ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত করুন। মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে অপরাধীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
* রাষ্ট্র থেকে ভুক্তভোগীদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ দিন। এর মধ্যে আর্থিক ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসাসেবা ও পুনর্বাসন অন্তর্ভুক্ত।
* নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চুক্তির (আইসিসিপিআর) ঐচ্ছিক প্রটোকল অনুমোদন করুন। নির্যাতনের বিরুদ্ধে কনভেনশনের ২২ অনুচ্ছেদের অধীনে একটি ঘোষণা জারি করুন।
১০. করপোরেট দায়বদ্ধতা ও শ্রম অধিকার সমুন্নত রাখা
বাংলাদেশে শ্রমিকেরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশসহ নানা ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়েন। এতে গত অক্টোবরে ন্যূনতম মজুরির আন্দোলনে তিন শ্রমিকের মৃত্যুসহ নানা ঘটনা উল্লেখ করেছে অ্যামনেস্টি। এতে কিছু সুপারিশও তুলে ধরা হয়েছে।
* বাংলাদেশ শ্রম আইনে শিশুর সংজ্ঞা সংশোধন করুন। এটিকে জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ ও বাংলাদেশের শিশু আইন, ২০১৩-এর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করুন। শিশুশ্রমিক নিয়োগের জন্য করপোরেশনগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনুন।
* শ্রমিকদের বিক্ষোভে সহিংস দমনপীড়ন বন্ধ করুন। শ্রমিকনেতাসহ অন্য বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করুন। অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনুন।
* শ্রমিকেরা যাতে তাঁদের সংগঠন (ট্রেড ইউনিয়ন) করার স্বাধীনতার অধিকার চর্চা করতে পারেন, কারখানা পর্যায়ে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন এবং তাতে যোগদানের মাধ্যমে যাতে সম্মিলিত দর-কষাকষি করতে পারেন, সরকারি কর্তৃপক্ষ ও কারখানার মালিকদের সঙ্গে যাতে প্রকৃত সংলাপে যুক্ত হতে পারেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশসহ ধর্মঘটের স্বাধীনতার অধিকার যাতে ভোগ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করুন।
* পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা যাতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মানদণ্ড অনুযায়ী পর্যাপ্ত মজুরি পান, তা নিশ্চিত করুন।
* বাংলাদেশ শ্রম আইনের পঞ্চম তফসিল সংশোধন করুন।
* স্বচ্ছতা নিশ্চিতসহ আনুষ্ঠানিক ডেটার ঘাটতি পূরণে কর্মক্ষেত্রে মৃত্যু ও আঘাতের বিষয়ে একটি জাতীয় তথ্যভান্ডার চালু করুন।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১০ দফা মানবাধিকার সনদ দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। গতকাল বৃহস্পতিবার অ্যামনেস্টির ওয়েবসাইটে সনদগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।
‘বাংলাদেশ: নির্বাচন সামনে রেখে মানবাধিকার সনদের ১০ দফা’ শিরোনামে প্রকাশিত নথিতে বলা হয়েছে, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সব রাজনৈতিক দলের মূল পরিকল্পনায় মানবাধিকার সুরক্ষা ও উৎসাহিত করার বিষয়টি যাতে থাকে, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি।
অ্যামনেস্টির ১০ দফায় আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার অনুযায়ী, মানবাধিকার রক্ষার বাধ্যবাধকতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। এসব চুক্তির মধ্যে রয়েছে: নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার (আইসিসিপিআর) এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার (আইসিইএসআর)। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সংবিধানে থাকা মানবাধিকার-সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতার কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে অ্যামনেস্টি।
১০ দফার প্রতিটির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিদ্যমান পরিস্থিতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও পর্যবেক্ষণ দিয়েছে অ্যামনেস্টি। প্রতিটি দফার ক্ষেত্রে পৃথকভাবে কিছু সুপারিশও রেখেছে সংগঠনটি। অ্যাজেন্ডার ক্রমবিন্যাস অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করা হয়নি উল্লেখ করে বাংলাদেশের জন্য অ্যামনেস্টির দেওয়া ১০ দফা মানবাধিকার সনদ হলো—
১. মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা ও সুরক্ষা
শুধু মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার চর্চার জন্য সাইবার নিরাপত্তা আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিন। অভিযুক্ত সবার বিরুদ্ধে মামলা বাতিল করুন।
* আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানদণ্ড অনুযায়ী, সাইবার নিরাপত্তা আইন সংশোধন করুন। এই আইনের ২১, ২৫ ও ২৮ ধারা বাতিল করুন।
* মানহানিকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে জেল-জরিমানার মতো বিধান রদ করুন। মানহানির বিষয়টি দেওয়ানি আইন ও মামলার বিষয় হিসেবেই থাকা উচিত।
* মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, ব্যক্তির স্বাধীনতা-নিরাপত্তার অধিকারের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচারপ্রাপ্তি এবং পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণসহ কার্যকর প্রতিকারের আইন প্রবর্তন করুন।
* সাংবাদিকদের হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনে আইনের অপব্যবহার বন্ধ করুন।
২. প্রতিবাদ-বিক্ষোভের সুরক্ষা
২০২২ সালের ডিসেম্বর ও ২০২৩ সালের অক্টোবরে বিরোধীদের বিক্ষোভ এবং তাঁদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বলপ্রয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করে কিছু সুপারিশ তুলে ধরেছে অ্যামনেস্টি।
* নাগরিকদের বিক্ষোভ মোকাবিলার ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বন্ধ করুন।
* শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সুরক্ষাসহ তা পালনে সহায়তার বাধ্যবাধকতা পূরণ করুন। বিধিনিষেধসহ যেকোনো প্রতিক্রিয়া যাতে আইনসম্মত, প্রয়োজনীয়, সমানুপাতিক ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করুন।
* সব ধরনের গ্রেপ্তার যাতে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানদণ্ড অনুযায়ী করা হয়, তা নিশ্চিত করুন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে: গ্রেপ্তারের কারণ ও আটক রাখার স্থান জানানো, গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে অবিলম্বে বিচারকের সামনে হাজির করা, আইনি পরামর্শ পাওয়া নিশ্চিত করা। একটি মুক্ত ও ন্যায়বিচারের অধিকার নিশ্চিত করা।
৩. রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং শিশুদের শিক্ষায় নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে।
* আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী আশ্রিত রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষা করুন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা হয়রানির অভিযোগ তদন্ত করুন। দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনুন।
* স্বাধীনভাবে পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য ভাসানচরে সাংবাদিক, জাতিসংঘের প্রতিনিধি, দাতা-মানবিক সহায়তা সংস্থাসহ নাগরিক সমাজের সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করুন।
* রোহিঙ্গা শিশুদের যথাসময়ে উপযুক্ত, মানসম্মত ও আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করুন।
* আশ্রিত রোহিঙ্গারা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন বা লঙ্ঘনের প্রকৃত ঝুঁকিতে পড়তে পারেন, এমন কোনো স্থানে (এমনকি নিজ মাতৃভূমি হলেও) তাঁদের স্থানান্তর না করার বিষয়টি নিশ্চিত করুন।
* স্থানান্তর, প্রত্যাবাসন, ত্রাণ, উন্নয়ন-সম্পর্কিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করুন। তাঁদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করুন। এ ক্ষেত্রে নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠীর সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
* রোহিঙ্গা সংকটের একটি সমন্বিত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহযোগিতামূলক সমাধান খুঁজে পেতে প্রতিবেশী দেশ, আঞ্চলিক সংস্থা ও বৈশ্বিক অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় যুক্ত হোন।
৪. গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে দায়মুক্তির অবসান
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে কত মানুষ গুম, অপহরণ ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তার কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে অ্যামনেস্টি। সেই সঙ্গে কিছু সুপারিশও করা হয়েছে।
* আপত্তি ছাড়াই গুম হওয়া থেকে সবার সুরক্ষার সনদ অনুমোদন করুন। গুমকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে তা দেশের আইনি ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করুন।
* বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক সফরের জন্য গুমবিষয়ক জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের অনুরোধ গ্রহণ করুন।
* গুমের শিকার ব্যক্তি, পরিবারের জন্য পূর্ণ ও কার্যকর ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করুন।
* র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অন্যান্য বিভাগের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কার্যকর, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করুন; বিশেষ করে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগের ক্ষেত্রে।
৫. নারীর অধিকার রক্ষা
বাল্যবিবাহ, নারীর প্রতি সহিংসতা, হত্যাসহ বেশ কিছু ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরে কিছু সুপারিশ করেছে অ্যামনেস্টি।
* নারীর প্রতি সহিংসতায় জড়িত অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে বিদ্যমান আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন। ভুক্তভোগীদের জন্য সময়মতো ও পর্যাপ্ত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
* বিচার ও আইনি সেবায় নারীদের কার্যকর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করুন।
* লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতার শিকার ভুক্তভোগীরা যাতে সময়মতো ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করুন। তাঁদের জন্য একটি ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠন করুন।
* সারা দেশে আরও আশ্রয়কেন্দ্র ও সেফ হাউস চালু করুন। কার্যকরভাবে তথ্য প্রচার করুন।
৬. ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের অধিকার রক্ষা
ধর্মীয় সংখ্যালঘু প্রধানত হিন্দু সম্প্রদায়সহ অন্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনা এবং পরিসংখ্যান তুলে ধরে কিছু সুপারিশ করেছে অ্যামনেস্টি।
* সংসদে উত্থাপিত দীর্ঘ প্রত্যাশিত বৈষম্যবিরোধী বিল, ২০২২ আইনে পরিণত করুন।
* পার্বত্য চুক্তিতে যে মানবাধিকার সংস্কারের কথা বলা হয়েছিল, তা সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করুন।
* ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য কার্যকর সমতা অর্জন, মানবাধিকারসহ মৌলিক স্বাধীনতার পূর্ণ ও সমান উপভোগ নিশ্চিতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
* সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সমতা-সংক্রান্ত সাংবিধানিক নিশ্চয়তা নিশ্চিত করুন। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনুন।
৭. মৃত্যুদণ্ড বিলোপ
বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। এই সাজা কার্যকরের কয়েক বছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে সুপারিশে বলা হয়েছে:
*মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিল করুন। মৃত্যুদণ্ড রহিত করার লক্ষ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ওপর একটি সরকারি স্থগিতাদেশ দিন।
* মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আইন ও মানদণ্ড নির্ধারিত বিধিনিষেধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় আইনে পরিবর্তন আনুন।
* অপরাধের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড একটি অনন্য প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে—এমন কোনো চূড়ান্ত প্রমাণ না থাকার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ান। এ কথাও বলুন, এই শাস্তির সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি জড়িত।
৮. জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই পদক্ষেপ
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে সংকট মোকাবিলায় কিছু সুপারিশ করেছে অ্যামনেস্টি।
* জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়নে উপযুক্ত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করুন। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করুন।
* জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষ বা জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করুন। তাঁদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করুন। স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি প্রশমিত করুন।
* বেশি কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় আলোচনায় বাংলাদেশের জলবায়ু প্রভাবকে অগ্রাধিকার দিন।
৯. হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতনের ক্ষেত্রে দায়মুক্তির অবসান
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর ঘটনায় অধিকার, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) মতো বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে কিছু সুপারিশ করেছে অ্যামনেস্টি।
* হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতনের ঘটনায় পুঙ্খানুপুঙ্খ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত করুন। মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে অপরাধীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
* রাষ্ট্র থেকে ভুক্তভোগীদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ দিন। এর মধ্যে আর্থিক ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসাসেবা ও পুনর্বাসন অন্তর্ভুক্ত।
* নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চুক্তির (আইসিসিপিআর) ঐচ্ছিক প্রটোকল অনুমোদন করুন। নির্যাতনের বিরুদ্ধে কনভেনশনের ২২ অনুচ্ছেদের অধীনে একটি ঘোষণা জারি করুন।
১০. করপোরেট দায়বদ্ধতা ও শ্রম অধিকার সমুন্নত রাখা
বাংলাদেশে শ্রমিকেরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশসহ নানা ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়েন। এতে গত অক্টোবরে ন্যূনতম মজুরির আন্দোলনে তিন শ্রমিকের মৃত্যুসহ নানা ঘটনা উল্লেখ করেছে অ্যামনেস্টি। এতে কিছু সুপারিশও তুলে ধরা হয়েছে।
* বাংলাদেশ শ্রম আইনে শিশুর সংজ্ঞা সংশোধন করুন। এটিকে জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ ও বাংলাদেশের শিশু আইন, ২০১৩-এর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করুন। শিশুশ্রমিক নিয়োগের জন্য করপোরেশনগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনুন।
* শ্রমিকদের বিক্ষোভে সহিংস দমনপীড়ন বন্ধ করুন। শ্রমিকনেতাসহ অন্য বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করুন। অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনুন।
* শ্রমিকেরা যাতে তাঁদের সংগঠন (ট্রেড ইউনিয়ন) করার স্বাধীনতার অধিকার চর্চা করতে পারেন, কারখানা পর্যায়ে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন এবং তাতে যোগদানের মাধ্যমে যাতে সম্মিলিত দর-কষাকষি করতে পারেন, সরকারি কর্তৃপক্ষ ও কারখানার মালিকদের সঙ্গে যাতে প্রকৃত সংলাপে যুক্ত হতে পারেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশসহ ধর্মঘটের স্বাধীনতার অধিকার যাতে ভোগ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করুন।
* পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা যাতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মানদণ্ড অনুযায়ী পর্যাপ্ত মজুরি পান, তা নিশ্চিত করুন।
* বাংলাদেশ শ্রম আইনের পঞ্চম তফসিল সংশোধন করুন।
* স্বচ্ছতা নিশ্চিতসহ আনুষ্ঠানিক ডেটার ঘাটতি পূরণে কর্মক্ষেত্রে মৃত্যু ও আঘাতের বিষয়ে একটি জাতীয় তথ্যভান্ডার চালু করুন।

জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১২ মিনিট আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২২ মিনিট আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৪২ মিনিট আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
আজ বুধবার বেলা ৩টায় রাজধানীর নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুতে টাঙ্গাইলে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু ও প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, মাহমুদুল হাসান আজীবন আদর্শ টাঙ্গাইল গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবক, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল মানুষ। শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তাঁর মৃত্যুতে টাঙ্গাইল সদর একজন অভিভাবক হারাল।
সেই সঙ্গে তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মাহমুদুল হাসান ১৯৩৬ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাকোরকোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সালের উপনির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য হন।

টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
আজ বুধবার বেলা ৩টায় রাজধানীর নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুতে টাঙ্গাইলে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু ও প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, মাহমুদুল হাসান আজীবন আদর্শ টাঙ্গাইল গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবক, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল মানুষ। শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তাঁর মৃত্যুতে টাঙ্গাইল সদর একজন অভিভাবক হারাল।
সেই সঙ্গে তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মাহমুদুল হাসান ১৯৩৬ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাকোরকোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সালের উপনির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য হন।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১০ দফা মানবাধিকার সনদ দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। গতকাল বৃহস্পতিবার অ্যামনেস্টির ওয়েবসাইটে সনদগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২২ মিনিট আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৪২ মিনিট আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত ৪৬০ জনের মধ্যে ৫৫ জন কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দল আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সদস্য।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালে গণপিটুনি বা মব সন্ত্রাস আশঙ্কাজনক বেড়ে যাওয়ায় জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি প্রশ্নাতীতভাবে এগিয়ে রয়েছে। প্রচলিত আইন অবজ্ঞা করে গণপিটুনির ঘটনাগুলোকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করা হয়। নাগরিকের ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার মূল উৎস এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর মব সহিংসতা। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীদের পাওয়ামাত্র গণপিটুনি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার লক্ষণীয় প্রভাব থাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৯৯টি ঘটনায় শিকার হয়েছে ৫ হাজার ৬০৪ জন। তাদের মধ্যে ৮৬ জন নিহত ও ৫ হাজার ৫১৮ জন আহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৫ জন বিএনপি, আটজন আওয়ামী লীগ, তিনজন জামায়াতে ইসলামী এবং ১০ জন বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বয়সের সাধারণ নাগরিক, যাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। ২০২৫ সালে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলার ১৬৯টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ১৮৭ জন আহত হয়েছেন।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে সরকার পতন ও গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ৬৭টি মামলা হয়েছে। মামলায় ৭ হাজার ৭৮০ জনকে সুনির্দিষ্টভাবে আসামি করা হয়েছে এবং ১১ হাজার ১৭৯ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ২৯টি মামলা হয়েছে। সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতন-সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩ হাজার ৬৯৫ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’—এর আওতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ২২ হাজার ২৮৪ জন। গ্রেপ্তার ১১ হাজার ৩১৩ জন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় লোকজন।
এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের কমপক্ষে ১৯টি ঘটনা ঘটেছে। সংঘটিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারা হেফাজতে ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে পালাতে গিয়ে আট যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ৬৪১ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হত্যা, হামলা, হুমকি, আইনি হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০২৫ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলাসহ মোট ২৫টি মামলায় ৫৫ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত ৪৬০ জনের মধ্যে ৫৫ জন কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দল আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সদস্য।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালে গণপিটুনি বা মব সন্ত্রাস আশঙ্কাজনক বেড়ে যাওয়ায় জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি প্রশ্নাতীতভাবে এগিয়ে রয়েছে। প্রচলিত আইন অবজ্ঞা করে গণপিটুনির ঘটনাগুলোকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করা হয়। নাগরিকের ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার মূল উৎস এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর মব সহিংসতা। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীদের পাওয়ামাত্র গণপিটুনি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার লক্ষণীয় প্রভাব থাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৯৯টি ঘটনায় শিকার হয়েছে ৫ হাজার ৬০৪ জন। তাদের মধ্যে ৮৬ জন নিহত ও ৫ হাজার ৫১৮ জন আহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৫ জন বিএনপি, আটজন আওয়ামী লীগ, তিনজন জামায়াতে ইসলামী এবং ১০ জন বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বয়সের সাধারণ নাগরিক, যাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। ২০২৫ সালে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলার ১৬৯টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ১৮৭ জন আহত হয়েছেন।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে সরকার পতন ও গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ৬৭টি মামলা হয়েছে। মামলায় ৭ হাজার ৭৮০ জনকে সুনির্দিষ্টভাবে আসামি করা হয়েছে এবং ১১ হাজার ১৭৯ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ২৯টি মামলা হয়েছে। সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতন-সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩ হাজার ৬৯৫ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’—এর আওতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ২২ হাজার ২৮৪ জন। গ্রেপ্তার ১১ হাজার ৩১৩ জন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় লোকজন।
এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের কমপক্ষে ১৯টি ঘটনা ঘটেছে। সংঘটিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারা হেফাজতে ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে পালাতে গিয়ে আট যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ৬৪১ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হত্যা, হামলা, হুমকি, আইনি হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০২৫ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলাসহ মোট ২৫টি মামলায় ৫৫ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১০ দফা মানবাধিকার সনদ দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। গতকাল বৃহস্পতিবার অ্যামনেস্টির ওয়েবসাইটে সনদগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১২ মিনিট আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৪২ মিনিট আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানাজা শেষে প্রধান উপদেষ্টা তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেন এবং এই কঠিন সময়ে তাঁর ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এ সময় বিএনপির শীর্ষ নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, কূটনৈতিক মহল এবং সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশ নেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের আবহ বিরাজ করছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানাজা শেষে প্রধান উপদেষ্টা তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেন এবং এই কঠিন সময়ে তাঁর ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এ সময় বিএনপির শীর্ষ নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, কূটনৈতিক মহল এবং সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশ নেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের আবহ বিরাজ করছে।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১০ দফা মানবাধিকার সনদ দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। গতকাল বৃহস্পতিবার অ্যামনেস্টির ওয়েবসাইটে সনদগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১২ মিনিট আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২২ মিনিট আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। ভোটারদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪২৪ জন এবং নারী ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৭ জন।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে। ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা এই নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া আইনি হেফাজতে (কারাগারে) থাকা ভোটাররাও পোস্টাল ভোটের এই সুবিধা নিতে পারবেন।
প্রবাসী ভোটারদের পরিসংখ্যান
প্রবাসী ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছেন সৌদি আরব থেকে, যার সংখ্যা ১ লাখ ৯৭ হাজার ১২ জন। এরপর কাতারে ৬৮ হাজার ৬৬৮, মালয়েশিয়ায় ৬৩ হাজার ৮৩, ওমানে ৫০ হাজার ৩৯ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩১ হাজার ৫৫৫ জন ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। গত ১৮ নভেম্বর থেকে চালু হওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের ১৪৮টি দেশের প্রবাসীরা নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন।
দেশের অভ্যন্তরে নিবন্ধন
দেশের ভেতরে ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৪ জন। জেলাভিত্তিক তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, যার সংখ্যা ৮৮ হাজার ৬৮২ জন। এরপর ঢাকায় ৮২ হাজার ১৮৫ ও চট্টগ্রামে ৭৫ হাজার ৫৮৯ জন। আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ১৩৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপর চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ১১ হাজার ৫৮৯ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ১১ হাজার ৪৭৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
ব্যালট প্রেরণ কার্যক্রম
প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন বিষয়ক ‘ওসিভি-এসডিআই’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বাসসকে নিশ্চিত করেছেন, গত ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৫ জন প্রবাসী ভোটারের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার এক দিনেই পাঠানো হয়েছে ২৭ হাজার ৪৪২টি ব্যালট।
নির্বাচন কমিশন জানায়, নিবন্ধনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। ভোটারদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪২৪ জন এবং নারী ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৭ জন।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে। ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা এই নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া আইনি হেফাজতে (কারাগারে) থাকা ভোটাররাও পোস্টাল ভোটের এই সুবিধা নিতে পারবেন।
প্রবাসী ভোটারদের পরিসংখ্যান
প্রবাসী ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছেন সৌদি আরব থেকে, যার সংখ্যা ১ লাখ ৯৭ হাজার ১২ জন। এরপর কাতারে ৬৮ হাজার ৬৬৮, মালয়েশিয়ায় ৬৩ হাজার ৮৩, ওমানে ৫০ হাজার ৩৯ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩১ হাজার ৫৫৫ জন ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। গত ১৮ নভেম্বর থেকে চালু হওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের ১৪৮টি দেশের প্রবাসীরা নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন।
দেশের অভ্যন্তরে নিবন্ধন
দেশের ভেতরে ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৪ জন। জেলাভিত্তিক তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, যার সংখ্যা ৮৮ হাজার ৬৮২ জন। এরপর ঢাকায় ৮২ হাজার ১৮৫ ও চট্টগ্রামে ৭৫ হাজার ৫৮৯ জন। আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ১৩৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপর চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ১১ হাজার ৫৮৯ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ১১ হাজার ৪৭৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
ব্যালট প্রেরণ কার্যক্রম
প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন বিষয়ক ‘ওসিভি-এসডিআই’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বাসসকে নিশ্চিত করেছেন, গত ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৫ জন প্রবাসী ভোটারের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার এক দিনেই পাঠানো হয়েছে ২৭ হাজার ৪৪২টি ব্যালট।
নির্বাচন কমিশন জানায়, নিবন্ধনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১০ দফা মানবাধিকার সনদ দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। গতকাল বৃহস্পতিবার অ্যামনেস্টির ওয়েবসাইটে সনদগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১২ মিনিট আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২২ মিনিট আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৪২ মিনিট আগে