শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
করোনা মহামারির মধ্যে সরকারঘোষিত ৩৩৩ হটলাইন নম্বরে প্রতিদিন খাবারের জন্য ফোন করছেন ৪৩ হাজার ৩৪১ জন। এর মধ্যে দিনে গড়ে খাবার পেয়েছেন ১ হাজার ৭১২ জন। সরকারের হটলাইন নম্বরে ফোন এলেও বিভিন্ন কারণে দিনে ৪১ হাজার ৬২৯ জনকে খাবার দেওয়া সম্ভব হয়নি।
করোনা নিয়ন্ত্রণে গত এপ্রিল থেকে বিধিনিষেধ শুরুর পর এখন দিনে ২ হাজার ২৭৪ জন মানুষ ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাবার চেয়ে কথা বলতে পেরেছেন। আর ৩৯ হাজার ৩৫৫ জন ৩৩৩ নম্বরে খাবারের জন্য ফোন করলেও কথা বলতে পারেননি। জনবলসংকটের কারণে ৩৩৩-এর খাবার সহায়তার ইউনিট থেকে এদের ফোনে সাড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তারা।
সীমাবদ্ধতার বিষয়টি মেনে নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব মো. মোহসীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৩৩৩-তে ফোন করে সহজেই যাতে মানুষ কথা বলতে পারেন, আইসিটি বিভাগ তা নিয়ে কাজ করছে। অপারেটরের সঙ্গে কথা বলতে দীর্ঘ সময় যাতে অপেক্ষায় থাকতে না হয়, আমরা সেই ব্যবস্থা করছি। আশা কয়েক দিনের মধ্যেই এর সমাধান হবে।’
করোনা মহামারির মধ্যে ৩৩৩ নিয়ন্ত্রণকারী এটুআই এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ২৫ এপ্রিল থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৭২ জন মানুষ ৩৩৩-তে ফোন করে কথা বলেছেন। তাঁদের মধ্যে খাবার নিয়ে কথা বলেছেন ২ লাখ ৬৪ হাজার ৬২৯ জন। খাবার চেয়েছেন ২ লাখ ১১ হাজার ৪৪৮ জন। আর খাবার সহায়তা পাওয়ার বিষয়ে তথ্য জেনেছেন ৫৩ হাজার ১৮১ জন মানুষ।
হটলাইনে ফোন করে যাঁরা খাবার চেয়েছেন, তাঁদের নাম-ঠিকানা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে ইউএনওদের পাঠানো হয়। ইউএনওরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে তা যাচাই করে খাদ্যসহায়তা দিচ্ছেন। এতে আছে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি ইত্যাদি। আর্থিক সামর্থ্য থাকার পরও যাঁরা ৩৩৩-তে ফোন করে খাবার চেয়েছেন, তাঁদের খাবার দেওয়া হচ্ছে না।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী, ৩৩৩-তে ফোন করে যাঁরা খাবার চেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্য থেকে গত ২৮ এপ্রিল থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭টি পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে। কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভাবী সবাইকেই খাবার দেওয়া হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় জমিজমা আছে কিন্তু ধানের ফলন ভালো না হওয়ায় বা ব্যবসা মন্দা থাকায় ফোন করে খাবার চেয়েছেন। আমরা তাঁদের খাবার দিচ্ছি না।’ লালমনিরহাটের আদিতমারীর ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন এবং খুলনার ডুমুরিয়ার ইউএনও মো. আবদুল ওয়াদুদ জানান, খাবারের জন্য যাঁরা ফোন করেছেন, যাঁচাই করে তাঁদের খাবার দেওয়া হচ্ছে বলে অনেকেই খাবার পাচ্ছেন না।
জটিলতা কোথায়?
৩৩৩ নম্বরে ফোন করে সরকারি সেবার তথ্য, স্বাস্থ্যসেবা, ভূমিসেবা, জরুরি খাদ্যসহায়তা, নিত্যপণ্য ও ওষুধ কেনা এবং সাইবার নিরাপত্তাসংক্রান্ত সহায়তা পাওয়া যায়। এই হটলাইনে ফোন করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইভিআর সিস্টেমে তা রিসিভ হয়। এরপর যে যে বিষয়ে সেবা পেতে চান সেই শর্টকোড নম্বর চাপতে হয়। এটুআইর প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মান্নান বলেন, ৩৩৩ হটলাইনে অনেক হিট হওয়ায় তাঁরা সবার ফোনে সাড়া দিতে পারছেন না। বিষয়টি সমাধানে তাঁরা উদ্যোগ নিয়েছেন।
আরেকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৩৩৩ নম্বরে এখন দিনে ১ লাখ ফোন আসছে। এর মধ্যে ৪১ শতাংশ মানুষ খাবার চেয়ে ফোন দিচ্ছেন। সবার ফোন যাতে রিসিভ করা যায় সে জন্য আমরা একটি মডেল তৈরি করেছি। বাংলাদেশে যত উদ্যোক্তা আছেন, তাঁদের মধ্য থেকে ১০০ জনকে বাছাই করেছি। তাঁদের মধ্য থেকে ৫০ জনকে নেওয়া হবে। এখন ৪০ জন ৩৩৩-এর খাদ্যসহায়তা ইউনিটে কাজ করছেন, এদের সঙ্গে ৫০ জন যুক্ত হলে দিনে ২৫ হাজার জনের সঙ্গে কথা বলা যাবে। আগামী ১ আগস্ট থেকেই আমরা দিনে ২৫ হাজার ফোন নিতে পারব।’
একজন কর্মকর্তা জানান, ইউএনওরা যাতে ৩৩৩-এর কন্ট্রোল প্যানেলে ঢুকে সংশ্লিষ্ট এলাকার তথ্যগুলো দেখতে পারেন সে জন্য তাঁদের আইডি-পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। নিজ নিজ এলাকার কত মানুষ খাবার চেয়ে ফোন করেছেন, তাঁরা এখন নিজেরাই সেই তথ্য দেখে প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
করোনা মহামারির মধ্যে সরকারঘোষিত ৩৩৩ হটলাইন নম্বরে প্রতিদিন খাবারের জন্য ফোন করছেন ৪৩ হাজার ৩৪১ জন। এর মধ্যে দিনে গড়ে খাবার পেয়েছেন ১ হাজার ৭১২ জন। সরকারের হটলাইন নম্বরে ফোন এলেও বিভিন্ন কারণে দিনে ৪১ হাজার ৬২৯ জনকে খাবার দেওয়া সম্ভব হয়নি।
করোনা নিয়ন্ত্রণে গত এপ্রিল থেকে বিধিনিষেধ শুরুর পর এখন দিনে ২ হাজার ২৭৪ জন মানুষ ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাবার চেয়ে কথা বলতে পেরেছেন। আর ৩৯ হাজার ৩৫৫ জন ৩৩৩ নম্বরে খাবারের জন্য ফোন করলেও কথা বলতে পারেননি। জনবলসংকটের কারণে ৩৩৩-এর খাবার সহায়তার ইউনিট থেকে এদের ফোনে সাড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তারা।
সীমাবদ্ধতার বিষয়টি মেনে নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব মো. মোহসীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৩৩৩-তে ফোন করে সহজেই যাতে মানুষ কথা বলতে পারেন, আইসিটি বিভাগ তা নিয়ে কাজ করছে। অপারেটরের সঙ্গে কথা বলতে দীর্ঘ সময় যাতে অপেক্ষায় থাকতে না হয়, আমরা সেই ব্যবস্থা করছি। আশা কয়েক দিনের মধ্যেই এর সমাধান হবে।’
করোনা মহামারির মধ্যে ৩৩৩ নিয়ন্ত্রণকারী এটুআই এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ২৫ এপ্রিল থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৭২ জন মানুষ ৩৩৩-তে ফোন করে কথা বলেছেন। তাঁদের মধ্যে খাবার নিয়ে কথা বলেছেন ২ লাখ ৬৪ হাজার ৬২৯ জন। খাবার চেয়েছেন ২ লাখ ১১ হাজার ৪৪৮ জন। আর খাবার সহায়তা পাওয়ার বিষয়ে তথ্য জেনেছেন ৫৩ হাজার ১৮১ জন মানুষ।
হটলাইনে ফোন করে যাঁরা খাবার চেয়েছেন, তাঁদের নাম-ঠিকানা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে ইউএনওদের পাঠানো হয়। ইউএনওরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে তা যাচাই করে খাদ্যসহায়তা দিচ্ছেন। এতে আছে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি ইত্যাদি। আর্থিক সামর্থ্য থাকার পরও যাঁরা ৩৩৩-তে ফোন করে খাবার চেয়েছেন, তাঁদের খাবার দেওয়া হচ্ছে না।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী, ৩৩৩-তে ফোন করে যাঁরা খাবার চেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্য থেকে গত ২৮ এপ্রিল থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭টি পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে। কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভাবী সবাইকেই খাবার দেওয়া হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় জমিজমা আছে কিন্তু ধানের ফলন ভালো না হওয়ায় বা ব্যবসা মন্দা থাকায় ফোন করে খাবার চেয়েছেন। আমরা তাঁদের খাবার দিচ্ছি না।’ লালমনিরহাটের আদিতমারীর ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন এবং খুলনার ডুমুরিয়ার ইউএনও মো. আবদুল ওয়াদুদ জানান, খাবারের জন্য যাঁরা ফোন করেছেন, যাঁচাই করে তাঁদের খাবার দেওয়া হচ্ছে বলে অনেকেই খাবার পাচ্ছেন না।
জটিলতা কোথায়?
৩৩৩ নম্বরে ফোন করে সরকারি সেবার তথ্য, স্বাস্থ্যসেবা, ভূমিসেবা, জরুরি খাদ্যসহায়তা, নিত্যপণ্য ও ওষুধ কেনা এবং সাইবার নিরাপত্তাসংক্রান্ত সহায়তা পাওয়া যায়। এই হটলাইনে ফোন করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইভিআর সিস্টেমে তা রিসিভ হয়। এরপর যে যে বিষয়ে সেবা পেতে চান সেই শর্টকোড নম্বর চাপতে হয়। এটুআইর প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মান্নান বলেন, ৩৩৩ হটলাইনে অনেক হিট হওয়ায় তাঁরা সবার ফোনে সাড়া দিতে পারছেন না। বিষয়টি সমাধানে তাঁরা উদ্যোগ নিয়েছেন।
আরেকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৩৩৩ নম্বরে এখন দিনে ১ লাখ ফোন আসছে। এর মধ্যে ৪১ শতাংশ মানুষ খাবার চেয়ে ফোন দিচ্ছেন। সবার ফোন যাতে রিসিভ করা যায় সে জন্য আমরা একটি মডেল তৈরি করেছি। বাংলাদেশে যত উদ্যোক্তা আছেন, তাঁদের মধ্য থেকে ১০০ জনকে বাছাই করেছি। তাঁদের মধ্য থেকে ৫০ জনকে নেওয়া হবে। এখন ৪০ জন ৩৩৩-এর খাদ্যসহায়তা ইউনিটে কাজ করছেন, এদের সঙ্গে ৫০ জন যুক্ত হলে দিনে ২৫ হাজার জনের সঙ্গে কথা বলা যাবে। আগামী ১ আগস্ট থেকেই আমরা দিনে ২৫ হাজার ফোন নিতে পারব।’
একজন কর্মকর্তা জানান, ইউএনওরা যাতে ৩৩৩-এর কন্ট্রোল প্যানেলে ঢুকে সংশ্লিষ্ট এলাকার তথ্যগুলো দেখতে পারেন সে জন্য তাঁদের আইডি-পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। নিজ নিজ এলাকার কত মানুষ খাবার চেয়ে ফোন করেছেন, তাঁরা এখন নিজেরাই সেই তথ্য দেখে প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
করোনা মহামারির মধ্যে সরকারঘোষিত ৩৩৩ হটলাইন নম্বরে প্রতিদিন খাবারের জন্য ফোন করছেন ৪৩ হাজার ৩৪১ জন। এর মধ্যে দিনে গড়ে খাবার পেয়েছেন ১ হাজার ৭১২ জন। সরকারের হটলাইন নম্বরে ফোন এলেও বিভিন্ন কারণে দিনে ৪১ হাজার ৬২৯ জনকে খাবার দেওয়া সম্ভব হয়নি।
করোনা নিয়ন্ত্রণে গত এপ্রিল থেকে বিধিনিষেধ শুরুর পর এখন দিনে ২ হাজার ২৭৪ জন মানুষ ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাবার চেয়ে কথা বলতে পেরেছেন। আর ৩৯ হাজার ৩৫৫ জন ৩৩৩ নম্বরে খাবারের জন্য ফোন করলেও কথা বলতে পারেননি। জনবলসংকটের কারণে ৩৩৩-এর খাবার সহায়তার ইউনিট থেকে এদের ফোনে সাড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তারা।
সীমাবদ্ধতার বিষয়টি মেনে নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব মো. মোহসীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৩৩৩-তে ফোন করে সহজেই যাতে মানুষ কথা বলতে পারেন, আইসিটি বিভাগ তা নিয়ে কাজ করছে। অপারেটরের সঙ্গে কথা বলতে দীর্ঘ সময় যাতে অপেক্ষায় থাকতে না হয়, আমরা সেই ব্যবস্থা করছি। আশা কয়েক দিনের মধ্যেই এর সমাধান হবে।’
করোনা মহামারির মধ্যে ৩৩৩ নিয়ন্ত্রণকারী এটুআই এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ২৫ এপ্রিল থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৭২ জন মানুষ ৩৩৩-তে ফোন করে কথা বলেছেন। তাঁদের মধ্যে খাবার নিয়ে কথা বলেছেন ২ লাখ ৬৪ হাজার ৬২৯ জন। খাবার চেয়েছেন ২ লাখ ১১ হাজার ৪৪৮ জন। আর খাবার সহায়তা পাওয়ার বিষয়ে তথ্য জেনেছেন ৫৩ হাজার ১৮১ জন মানুষ।
হটলাইনে ফোন করে যাঁরা খাবার চেয়েছেন, তাঁদের নাম-ঠিকানা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে ইউএনওদের পাঠানো হয়। ইউএনওরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে তা যাচাই করে খাদ্যসহায়তা দিচ্ছেন। এতে আছে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি ইত্যাদি। আর্থিক সামর্থ্য থাকার পরও যাঁরা ৩৩৩-তে ফোন করে খাবার চেয়েছেন, তাঁদের খাবার দেওয়া হচ্ছে না।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী, ৩৩৩-তে ফোন করে যাঁরা খাবার চেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্য থেকে গত ২৮ এপ্রিল থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭টি পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে। কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভাবী সবাইকেই খাবার দেওয়া হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় জমিজমা আছে কিন্তু ধানের ফলন ভালো না হওয়ায় বা ব্যবসা মন্দা থাকায় ফোন করে খাবার চেয়েছেন। আমরা তাঁদের খাবার দিচ্ছি না।’ লালমনিরহাটের আদিতমারীর ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন এবং খুলনার ডুমুরিয়ার ইউএনও মো. আবদুল ওয়াদুদ জানান, খাবারের জন্য যাঁরা ফোন করেছেন, যাঁচাই করে তাঁদের খাবার দেওয়া হচ্ছে বলে অনেকেই খাবার পাচ্ছেন না।
জটিলতা কোথায়?
৩৩৩ নম্বরে ফোন করে সরকারি সেবার তথ্য, স্বাস্থ্যসেবা, ভূমিসেবা, জরুরি খাদ্যসহায়তা, নিত্যপণ্য ও ওষুধ কেনা এবং সাইবার নিরাপত্তাসংক্রান্ত সহায়তা পাওয়া যায়। এই হটলাইনে ফোন করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইভিআর সিস্টেমে তা রিসিভ হয়। এরপর যে যে বিষয়ে সেবা পেতে চান সেই শর্টকোড নম্বর চাপতে হয়। এটুআইর প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মান্নান বলেন, ৩৩৩ হটলাইনে অনেক হিট হওয়ায় তাঁরা সবার ফোনে সাড়া দিতে পারছেন না। বিষয়টি সমাধানে তাঁরা উদ্যোগ নিয়েছেন।
আরেকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৩৩৩ নম্বরে এখন দিনে ১ লাখ ফোন আসছে। এর মধ্যে ৪১ শতাংশ মানুষ খাবার চেয়ে ফোন দিচ্ছেন। সবার ফোন যাতে রিসিভ করা যায় সে জন্য আমরা একটি মডেল তৈরি করেছি। বাংলাদেশে যত উদ্যোক্তা আছেন, তাঁদের মধ্য থেকে ১০০ জনকে বাছাই করেছি। তাঁদের মধ্য থেকে ৫০ জনকে নেওয়া হবে। এখন ৪০ জন ৩৩৩-এর খাদ্যসহায়তা ইউনিটে কাজ করছেন, এদের সঙ্গে ৫০ জন যুক্ত হলে দিনে ২৫ হাজার জনের সঙ্গে কথা বলা যাবে। আগামী ১ আগস্ট থেকেই আমরা দিনে ২৫ হাজার ফোন নিতে পারব।’
একজন কর্মকর্তা জানান, ইউএনওরা যাতে ৩৩৩-এর কন্ট্রোল প্যানেলে ঢুকে সংশ্লিষ্ট এলাকার তথ্যগুলো দেখতে পারেন সে জন্য তাঁদের আইডি-পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। নিজ নিজ এলাকার কত মানুষ খাবার চেয়ে ফোন করেছেন, তাঁরা এখন নিজেরাই সেই তথ্য দেখে প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
করোনা মহামারির মধ্যে সরকারঘোষিত ৩৩৩ হটলাইন নম্বরে প্রতিদিন খাবারের জন্য ফোন করছেন ৪৩ হাজার ৩৪১ জন। এর মধ্যে দিনে গড়ে খাবার পেয়েছেন ১ হাজার ৭১২ জন। সরকারের হটলাইন নম্বরে ফোন এলেও বিভিন্ন কারণে দিনে ৪১ হাজার ৬২৯ জনকে খাবার দেওয়া সম্ভব হয়নি।
করোনা নিয়ন্ত্রণে গত এপ্রিল থেকে বিধিনিষেধ শুরুর পর এখন দিনে ২ হাজার ২৭৪ জন মানুষ ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাবার চেয়ে কথা বলতে পেরেছেন। আর ৩৯ হাজার ৩৫৫ জন ৩৩৩ নম্বরে খাবারের জন্য ফোন করলেও কথা বলতে পারেননি। জনবলসংকটের কারণে ৩৩৩-এর খাবার সহায়তার ইউনিট থেকে এদের ফোনে সাড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তারা।
সীমাবদ্ধতার বিষয়টি মেনে নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব মো. মোহসীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৩৩৩-তে ফোন করে সহজেই যাতে মানুষ কথা বলতে পারেন, আইসিটি বিভাগ তা নিয়ে কাজ করছে। অপারেটরের সঙ্গে কথা বলতে দীর্ঘ সময় যাতে অপেক্ষায় থাকতে না হয়, আমরা সেই ব্যবস্থা করছি। আশা কয়েক দিনের মধ্যেই এর সমাধান হবে।’
করোনা মহামারির মধ্যে ৩৩৩ নিয়ন্ত্রণকারী এটুআই এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ২৫ এপ্রিল থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৭২ জন মানুষ ৩৩৩-তে ফোন করে কথা বলেছেন। তাঁদের মধ্যে খাবার নিয়ে কথা বলেছেন ২ লাখ ৬৪ হাজার ৬২৯ জন। খাবার চেয়েছেন ২ লাখ ১১ হাজার ৪৪৮ জন। আর খাবার সহায়তা পাওয়ার বিষয়ে তথ্য জেনেছেন ৫৩ হাজার ১৮১ জন মানুষ।
হটলাইনে ফোন করে যাঁরা খাবার চেয়েছেন, তাঁদের নাম-ঠিকানা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে ইউএনওদের পাঠানো হয়। ইউএনওরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে তা যাচাই করে খাদ্যসহায়তা দিচ্ছেন। এতে আছে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি ইত্যাদি। আর্থিক সামর্থ্য থাকার পরও যাঁরা ৩৩৩-তে ফোন করে খাবার চেয়েছেন, তাঁদের খাবার দেওয়া হচ্ছে না।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী, ৩৩৩-তে ফোন করে যাঁরা খাবার চেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্য থেকে গত ২৮ এপ্রিল থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭টি পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে। কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভাবী সবাইকেই খাবার দেওয়া হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় জমিজমা আছে কিন্তু ধানের ফলন ভালো না হওয়ায় বা ব্যবসা মন্দা থাকায় ফোন করে খাবার চেয়েছেন। আমরা তাঁদের খাবার দিচ্ছি না।’ লালমনিরহাটের আদিতমারীর ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন এবং খুলনার ডুমুরিয়ার ইউএনও মো. আবদুল ওয়াদুদ জানান, খাবারের জন্য যাঁরা ফোন করেছেন, যাঁচাই করে তাঁদের খাবার দেওয়া হচ্ছে বলে অনেকেই খাবার পাচ্ছেন না।
জটিলতা কোথায়?
৩৩৩ নম্বরে ফোন করে সরকারি সেবার তথ্য, স্বাস্থ্যসেবা, ভূমিসেবা, জরুরি খাদ্যসহায়তা, নিত্যপণ্য ও ওষুধ কেনা এবং সাইবার নিরাপত্তাসংক্রান্ত সহায়তা পাওয়া যায়। এই হটলাইনে ফোন করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইভিআর সিস্টেমে তা রিসিভ হয়। এরপর যে যে বিষয়ে সেবা পেতে চান সেই শর্টকোড নম্বর চাপতে হয়। এটুআইর প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মান্নান বলেন, ৩৩৩ হটলাইনে অনেক হিট হওয়ায় তাঁরা সবার ফোনে সাড়া দিতে পারছেন না। বিষয়টি সমাধানে তাঁরা উদ্যোগ নিয়েছেন।
আরেকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৩৩৩ নম্বরে এখন দিনে ১ লাখ ফোন আসছে। এর মধ্যে ৪১ শতাংশ মানুষ খাবার চেয়ে ফোন দিচ্ছেন। সবার ফোন যাতে রিসিভ করা যায় সে জন্য আমরা একটি মডেল তৈরি করেছি। বাংলাদেশে যত উদ্যোক্তা আছেন, তাঁদের মধ্য থেকে ১০০ জনকে বাছাই করেছি। তাঁদের মধ্য থেকে ৫০ জনকে নেওয়া হবে। এখন ৪০ জন ৩৩৩-এর খাদ্যসহায়তা ইউনিটে কাজ করছেন, এদের সঙ্গে ৫০ জন যুক্ত হলে দিনে ২৫ হাজার জনের সঙ্গে কথা বলা যাবে। আগামী ১ আগস্ট থেকেই আমরা দিনে ২৫ হাজার ফোন নিতে পারব।’
একজন কর্মকর্তা জানান, ইউএনওরা যাতে ৩৩৩-এর কন্ট্রোল প্যানেলে ঢুকে সংশ্লিষ্ট এলাকার তথ্যগুলো দেখতে পারেন সে জন্য তাঁদের আইডি-পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। নিজ নিজ এলাকার কত মানুষ খাবার চেয়ে ফোন করেছেন, তাঁরা এখন নিজেরাই সেই তথ্য দেখে প্রস্তুতি নিতে পারবেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
৬ মিনিট আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর দু’টি মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ও ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ নেতারা এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে’ রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। রোববার থেকে সব শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে।
এদিকে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাদের ‘হয়রানিমূলক’ বদলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাদের দাবি, বৃহস্পতিবার তিনজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে নিজ জেলার বাইরে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। এসব বদলিকে তাঁরা ‘হয়রানিমূলক বদলি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
শিক্ষক নেতারা দাবি করেছেন, ‘রেওয়াজ না থাকলেও নিজ জেলার বাইরে হয়রানি করতে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে।’
যদিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা ও অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এসব বদলির আদেশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে প্রাথমিক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ জানিয়েছেন, তাঁকে নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আরেক আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি জানিয়েছেন, তিনিসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অন্তত ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে অন্য জেলায় প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রথমে শোকজ ও পরে বদলি করা হলো। এটি হয়রানিমূলক বদলি, আমাদের শাস্তি দিয়েছে কারণ আমরা শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই করেছি। কিন্তু অনেক শিক্ষক যাঁরা আন্দোলনে জড়িত ছিলেন না তবুও তাঁরা বদলি হয়েছেন।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ অনুসারীরা সরকারের দেওয়া আশ্বাস বাস্তবায়নের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করেছেন। সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু স্কুলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা তা বর্জন করে কর্মবিরতি চালিয়ে যান।
কয়েক দিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছিলেন। পরে ১১ তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে সেদিন বিকেলে তাঁরা ‘কলম বিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া চেষ্টা করলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। সেসময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা পরদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা, যেখানে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকারে আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে ওই দিন রাতে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর দু’টি মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ও ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ নেতারা এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে’ রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। রোববার থেকে সব শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে।
এদিকে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাদের ‘হয়রানিমূলক’ বদলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাদের দাবি, বৃহস্পতিবার তিনজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে নিজ জেলার বাইরে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। এসব বদলিকে তাঁরা ‘হয়রানিমূলক বদলি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
শিক্ষক নেতারা দাবি করেছেন, ‘রেওয়াজ না থাকলেও নিজ জেলার বাইরে হয়রানি করতে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে।’
যদিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা ও অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এসব বদলির আদেশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে প্রাথমিক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ জানিয়েছেন, তাঁকে নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আরেক আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি জানিয়েছেন, তিনিসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অন্তত ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে অন্য জেলায় প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রথমে শোকজ ও পরে বদলি করা হলো। এটি হয়রানিমূলক বদলি, আমাদের শাস্তি দিয়েছে কারণ আমরা শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই করেছি। কিন্তু অনেক শিক্ষক যাঁরা আন্দোলনে জড়িত ছিলেন না তবুও তাঁরা বদলি হয়েছেন।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ অনুসারীরা সরকারের দেওয়া আশ্বাস বাস্তবায়নের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করেছেন। সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু স্কুলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা তা বর্জন করে কর্মবিরতি চালিয়ে যান।
কয়েক দিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছিলেন। পরে ১১ তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে সেদিন বিকেলে তাঁরা ‘কলম বিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া চেষ্টা করলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। সেসময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা পরদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা, যেখানে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকারে আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে ওই দিন রাতে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
করোনা মহামারির মধ্যে সরকারঘোষিত ৩৩৩ হটলাইন নম্বরে প্রতিদিন খাবারের জন্য ফোন করছেন ৪৩ হাজার ৩৪১ জন। এর মধ্যে দিনে গড়ে খাবার পেয়েছেন ১ হাজার ৭১২ জন। সরকারের হটলাইন নম্বরে ফোন এলেও বিভিন্ন কারণে দিনে ৪১ হাজার ৬২৯ জনকে খাবার দেওয়া সম্ভব হয়নি।
২৯ জুলাই ২০২১
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
করোনা মহামারির মধ্যে সরকারঘোষিত ৩৩৩ হটলাইন নম্বরে প্রতিদিন খাবারের জন্য ফোন করছেন ৪৩ হাজার ৩৪১ জন। এর মধ্যে দিনে গড়ে খাবার পেয়েছেন ১ হাজার ৭১২ জন। সরকারের হটলাইন নম্বরে ফোন এলেও বিভিন্ন কারণে দিনে ৪১ হাজার ৬২৯ জনকে খাবার দেওয়া সম্ভব হয়নি।
২৯ জুলাই ২০২১
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
৬ মিনিট আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’
করোনা মহামারির মধ্যে সরকারঘোষিত ৩৩৩ হটলাইন নম্বরে প্রতিদিন খাবারের জন্য ফোন করছেন ৪৩ হাজার ৩৪১ জন। এর মধ্যে দিনে গড়ে খাবার পেয়েছেন ১ হাজার ৭১২ জন। সরকারের হটলাইন নম্বরে ফোন এলেও বিভিন্ন কারণে দিনে ৪১ হাজার ৬২৯ জনকে খাবার দেওয়া সম্ভব হয়নি।
২৯ জুলাই ২০২১
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
৬ মিনিট আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।
করোনা মহামারির মধ্যে সরকারঘোষিত ৩৩৩ হটলাইন নম্বরে প্রতিদিন খাবারের জন্য ফোন করছেন ৪৩ হাজার ৩৪১ জন। এর মধ্যে দিনে গড়ে খাবার পেয়েছেন ১ হাজার ৭১২ জন। সরকারের হটলাইন নম্বরে ফোন এলেও বিভিন্ন কারণে দিনে ৪১ হাজার ৬২৯ জনকে খাবার দেওয়া সম্ভব হয়নি।
২৯ জুলাই ২০২১
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
৬ মিনিট আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে