Ajker Patrika

একুশে বাঙালি জাতিসত্তার পরিচয়, একুশে অস্তিত্বের বীজ

ঢাবি সংবাদদাতা
শিশুরা শহীদ মিনারে আসছে, জানছে অস্তিত্বের ইতিহাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিশুরা শহীদ মিনারে আসছে, জানছে অস্তিত্বের ইতিহাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘একুশ আমাদের চেতনা, আমাদের দায়। একুশের মাঝেই লুকিয়ে আছে আমাদের অস্তিত্বের বীজ। যত দিন পৃথিবীতে বাঙালি জাতি বেঁচে থাকবে, তত দিন একুশের এই উদযাপন অনিবার্য। একুশ হারিয়ে গেলে হারিয়ে যাবে আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়। রাজনৈতিক-সামাজিক নানা উত্থান-পতনের মাঝে এই একুশের মাঝেই আমরা নিজেদের পরিচয় খুঁজে পাই।’ বলছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মেডিকেল বিভাগের চাকরিজীবী ইফতেখারুল ইসলাম। আজ শুক্রবার একুশে ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন তিনি।

একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে একুশের এ দায় থেকে মুক্ত হতে ছুটে আসে দেশ-বিদেশের লাখো মানুষ। নানা শ্রেণি-পেশা ধর্ম-বর্ণের মানুষের কোলাহলে জীবন্ত হয়ে উঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। মানুষ হৃদয়ের গহিনে লুকিয়ে থাকার শ্রদ্ধার সামান্য বহিঃপ্রকাশ ঘটান পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে। শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ মানুষের সংমিশ্রণ ঘটে একুশের এই আয়োজনে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে একুশের চেতনাকে হস্তান্তর করতে উদ্যোগী সবাই।

সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা বিকল হয়ে যায় কুমিল্লার কমার্শিয়াল আর্টিস্ট আব্দুর রশিদের। শহীদদের প্রতি হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে কারও সহায়তা ছাড়া নিজেই চলে এসেছেন শহীদ মিনারে। তিনি বলেন, ‘আমার পরিচয়, আমি বাঙালি। আমার এই পরিচয়ের সূচনা এই দিবসে। জাতিগত স্বাতন্ত্র্য রক্ষায় নিজেদের বিসর্জন দিয়েছেন ভাষাশহীদেরা। বাঙালি হিসেবে আমার নৈতিক দায়িত্ব, তাঁদের ইতিহাসকে জীবন্ত রাখা। সেই দায়িত্ব পালন করতে ছুটে এসেছি শহীদ মিনারে।’

তিনি বলেন, ‘আমার কিছু আক্ষেপ আছে। আমরা এখানে শ্রদ্ধা জানালেও বাংলা ভাষার মর্যাদা নানাভাবে ভূলুণ্ঠিত করছি। ৮ ফাল্গুন না বলে একুশের পরিচয়ে দিবসটি আয়োজন করছি। ফলে আন্তর্জাতিক মহলে আমার স্বতন্ত্র সংস্কৃতি আর পঞ্জিকা পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। শহীদদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধাকে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য এ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও ভাবা উচিত।’

রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে এসেছেন গৃহিণী মাহমুদা আক্তার। তিনি বলেন, ‘একুশকে ঘিরে আমাদের আনন্দ একটু বেশিই। কারণ দীর্ঘ সাত বছর পর দেশে এসেছি। স্বামীর চাকরির সুবাদে মিশর এবং স্পেনে থাকতে হয়েছে এই সাত বছর। যখন দেশ ছাড়ি তখন বড় মেয়ের বয়স আট। এখন সে পঞ্চম শ্রেণিতে এবং তাঁর ছোট বোন প্রথম শ্রেণিতে শ্রেণিতে পড়ে। দেশে না থাকার কারণে তারা ভাষা আন্দোলন নিয়ে জানতে পারেনি। আমাদের মুখ থেকে শুনে কৌতূহলী হয়ে উঠত। আজ বাঙালির গৌরবগাথার সঙ্গে তাদের পরিচয় করাতে এনেছি। মেয়েরাও জানার সুযোগ পাচ্ছে।’

নারায়ণগঞ্জ পাঠ অধিদপ্তরে চাকরি করেন শেমন্তী পাল। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুনরায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বড় আয়োজনের অংশ হতে এসেছেন। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন নিজের ছেলেকে। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের এমন পরিবেশ না দেখালে তাদের ভেতরে দেশ প্রেম জন্মাবে না। শহীদদের প্রতি মনের গভীর থেকে শ্রদ্ধা আসবে না। সে জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে ছুটে এসেছি এখানে।’

সাভার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন কৃষক আলমগীর হোসেন। সেখান থেকে তিনি এসেছেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। তিনি বলেন, পাশেই শহীদ মিনার। হাজার হাজার মানুষ আসছে শ্রদ্ধা জানাতে। আমি এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।

নরসিংদী থেকে বন্ধুদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন ব্যবসায়ী কবির হোসেন মোল্লা। তিনি বলেন, বাংলা ভাষার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের সারা বিশ্বে মানুষ স্যালুট জানায়। আমাদের গর্বের এই জায়গাগুলো পথ চলতে শেখায়। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম দেশপ্রেম আর সাহস ছড়িয়ে দিতে উৎসাহ জোগায়। মাতৃভাষার মর্যাদা পেলাম যাঁদের জন্য, তাঁদের প্রতি এই শ্রদ্ধা চিরকাল থাকুক।’

শহীদদের প্রতি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের হৃদয়ে থাকা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। একুশের প্রথম প্রহর থেকে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন। ১২টা ১ মিনিটে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তারপর ক্রমান্বয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনুস, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রিফাত আহমেদ, উপদেষ্টা পরিষদের সকল সদস্য, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও হাইকমিশনাররা।

এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসিরুদ্দিন, সেনা-নৌ-বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে তিন বাহিনীর প্রধান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।

১২টা ৪০ মিনিটে শহীদ মিনার সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। একুশের শহীদদের ত্যাগের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল নামে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। নানা সংগঠন, সমিতি ও রাজনৈতিক দলের ব্যানারে ক্রমান্বয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন মানুষ।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দলের উপস্থিতি ছিল দিনভর। বিভিন্ন ব্যানারে দিনভর শহীদ মিনার এলাকায় শ্রদ্ধা জানান এ সংগঠনগুলোর বিভিন্ন শাখা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ নানা রাজনৈতিক সংগঠন ব্যস্ত থাকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণে। এ ছাড়া দেশের পরিচিত-অপরিচিত, রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক বহু শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি ছিল শহীদ মিনারে।

কালো ব্যাজ, কালো পতাকা ও ব্যানার নিয়ে পলাশী হয়ে জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে সবাই ধীর লয়ে এগিয়ে যান শহীদ মিনারের দিকে। অনেকের পোশাক-সাজসজ্জায় রয়েছে শোকের কালো রং। কণ্ঠে বেদনাবিধুর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’।

১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে রাজপথে নামে বাংলার আপসহীন ছাত্র-জনতা। মিছিল নিয়ে বের হলে ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে পুলিশ। গুলিতে শহীদ হন রফিক, সালাম, বরকত ও আব্দুল জব্বারসহ আরও অনেকে। আহত হন ১৭ জন ছাত্র-যুবক। শহীদদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়ে ওঠে। শোকাবহ এ ঘটনায় সমগ্র পূর্ব বাংলায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৫৩ সাল থেকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় একুশের আত্মত্যাগী শহীদদের। ইউনেসকো ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর বাংলা ভাষা আন্দোলন, মানুষের ভাষা এবং কৃষ্টির অধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। একুশের এই দিনটি বৈশ্বিক পর্যায়ে গভীর শ্রদ্ধা এবং মর্যাদার সঙ্গে উদযাপন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র নিলেন ৩১৪৪ জন, আগামীকালই দাখিলের শেষ সময়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে নির্বাচনী কার্যক্রমের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটের কাজে কর্মকর্তা নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইসি।

এর আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ও এ জন্য বাজেট প্রণয়ন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করা, ভুল তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার রোধ এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমোদন ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়।

এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং প্রয়োজনে বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গণমাধ্যমের বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে ভিসা প্রসেসিংসহ সব বিষয়ে সচিবের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বিগত সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য যেভাবে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছিল, এবারও তা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারণা চালানো ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে পোস্টাল ভোটের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ডাক বিভাগকে সমন্বয় ও গোপনীয়তা বজায় রেখে পোস্টাল ব্যালট দ্রুত ও নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া এবং ফেরত আনার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হবে।

এ ছাড়া আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে দেওয়া চিঠিতে ইসি জানায়, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সংস্কার এবং কেন্দ্রে যাতায়াতের ভাঙা ও সংকীর্ণ রাস্তা মেরামতের প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে ইসির সম্মতির প্রয়োজন হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আগামী মঙ্গলবার অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।

আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে এই অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ দেওয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সব জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

এর আগে আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে শপথবাক্য পড়ান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ২৩
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার। ছবি: প্রেস উইং
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার। ছবি: প্রেস উইং

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।

পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজ রাতে চাঁদপুর ও দক্ষিণাঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এমভি কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চ। ছবি: সংগৃহীত
এমভি কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চ। ছবি: সংগৃহীত

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

আজ বিআইডব্লিউটিএর জারি করা এক বিশেষ নৌ চলাচল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে, সেসবসহ অন্য সব নৌযানকে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বিধিমালা, ১৯৭৬ অনুসরণ করে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত