Ajker Patrika

ঢাকাকে ভারতের চোখে দেখার সম্ভাবনা কম

সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা 
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯: ৩৯
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশে যেকোনো সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এমন বাস্তবতায় দেশটির ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি সুযোগ হিসেবে দেখা হয়েছে ছয় মাস আগে। তবে ওয়াশিংটনে পালাবদলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান দল বিপুলভাবে ক্ষমতায় ফিরে আসায় দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক কী দাঁড়াবে, তা নিয়ে চলছে নানামুখী আলোচনা।

এই আলোচনা চলছে নানা প্রশ্ন সামনে রেখে—মার্কিনদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে দেশটির অন্যতম মিত্র ভারত প্রভাব খাটাতে পারবে কি না? ট্রাম্প কি বাংলাদেশকে ভারতের চোখে দেখবেন? নাকি বাংলাদেশ বিষয়ে কোনো প্রসঙ্গ তাঁর সামনে এলে নিজ দেশের চিরাচরিত বৈশ্বিক স্বার্থের দিকটি আগে বিবেচনায় নেবেন তিনি?

ওয়াশিংটন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশকে যতটা না ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখবে, তার চেয়ে বেশি বিবেচনায় নেবে বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক।

ট্রাম্প নিজে ব্যবসায়ী, এমন বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়ানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কী অবস্থান নেয়, তা তাঁর সরকারের অন্যতম বিবেচ্য হতে পারে, এমনটাও মনে করছেন কেউ কেউ।

ওয়াশিংটনভিত্তিক উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান ৯ জানুয়ারি এক এক্স-পোস্টে বলেন, শেখ হাসিনার পতন দিল্লির প্রতি একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে এসেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের বন্ধু খুব কম। দেশটি তাই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে চাইবে। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেয়, তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের নজর থাকবে, এমনটা মনে করেন কুগেলম্যান।

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ‘পদত্যাগ করে’ গত ৫ আগস্ট ভারতে আশ্রয় নেন।

২০২৪ সালে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের মান নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের অসন্তুষ্টি আছে, বিষয়টির উল্লেখ করে কুগেলম্যান বৈদেশিক নীতিবিষয়ক সাময়িকী ফরেন পলিসিতে এক প্রবন্ধে বলেন, ‘ট্রাম্প হয়তো বৃহৎ শক্তির প্রতিযোগিতা এবং বাণিজ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশকে দেখতে পারেন।’

এবারকার ট্রাম্প প্রশাসনের বাংলাদেশ নীতি কী হতে পারে, এমন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবীর গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশকে দেখবে প্রধানত তাদের এশিয়া নীতি এবং দ্বিতীয়ত দক্ষিণ এশিয়া নীতির আলোকে। আর বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের এত বেশি আগ্রহের বিষয় আছে যে তা ছাড়িয়ে বাংলাদেশের প্রতি তাদের আগ্রহী হওয়ার সম্ভাবনা কম।

বাংলাদেশের বিষয়ে ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে প্রভাবিত করতে পারে কি না, এ বিষয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়ে বাংলাদেশের ওপর কিছু বিষয়ে চাপ তৈরি করতে চাইতে পারে। কিন্তু ভারত নিয়েও ব্যক্তি হিসেবে ট্রাম্পের ও রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব হিসাব-নিকাশ আছে। ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের বিষয়ে ভারত কী বলে, তার চেয়ে ঢাকায় নিজেদের রাষ্ট্রদূত ও মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ কী প্রতিবেদন দেয়, তার ওপর বেশি নির্ভর করবে।

হুমায়ুন কবির মনে করেন, নতুন মার্কিন প্রশাসন বরাবরের মতো একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরায় জোর দেবে। দ্বিতীয়ত, এখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অবস্থার ওপর নজর রাখবে তারা। আর তৃতীয়ত, বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হচ্ছে, তার ওপরও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব নজর রাখবে। এই কয়েকটি বিষয়ের ওপর ঠিক হবে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সরকারের সম্পর্ক কেমন যাবে।

ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটিও বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। দিল্লিভিত্তিক অনলাইন ডব্লিউআইওএনকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত যত দ্রুত সম্ভব, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে চায়; যা বাংলাদেশের জন্য নতুন অধ্যায় শুরু করতে সহায়ক হতে পারে। গত বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হয়।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও দলটির নেতা-কর্মীদের একাংশ অবশ্য মনে করছে, নতুন মার্কিন প্রশাসন কী কৌশল নেবে, তার ওপর ইউনূস সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।

শেখ হাসিনা সরকারের সর্বশেষ শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আগামী মাসগুলোয় বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ট্রাম্প প্রশাসনের মনোভাবের ওপর।’ গত শুক্রবার এ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়।

নওফেলের এই মন্তব্যকে স্থানীয় এক কূটনৈতিক বিশ্লেষক ‘দুর্ভাগ্যজনক’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের পরিবর্তে বিদেশিদের কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করে থাকে। বর্তমানে রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের কোনো প্রকাশ্য অবস্থান নেই, এটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে নওফেল দেশের ভেতর কর্মীদের চাঙা রাখার জন্য ট্রাম্পের নাম ব্যবহার করতে পারেন।

বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা ওয়াশিংটন থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বলছেন, ট্রাম্প সরকার দেশটির পররাষ্ট্র বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দেশে তাদের অন্তত ৩০ রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ বাতিল করছে। বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করে যাওয়া পররাষ্ট্র বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মার্শা বার্নিকাটকে এরই মধ্যে সরে যেতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ জো বাইডেনের নিয়োগ দেওয়া ডেভিড মিলার রাষ্ট্রদূত হিসেবে ঢাকায় আসা না-ও হতে পারে, এটাও অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যায় অবসরে যাওয়া প্রবীণ কূটনীতিক ট্র্যাসি জেকবসনকে অন্তর্বর্তী ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে ঢাকা পাঠানোয়।

স্থানীয় কূটনীতিকেরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশে নতুন রাষ্ট্রদূত পাঠাতে ছয় মাস সময় নিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশে নির্বাচন, সংস্কারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের রুটিন ইস্যুগুলো সামনে আনবে। ট্র্যাসি জেকবসন তেমন আভাস দিতে শুরু করেছেন।

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস গত বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক পোস্টে বলেছে, ট্র্যাসি জেকবসন তাঁর প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে আলাপে শ্রমিকের অধিকার, বিচার বিভাগের সংস্কার ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধিতার প্রসঙ্গ তুলেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুই মাসের চুক্তিতে স্বাস্থ্যের ডিজি ও সচিব নিয়োগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
অধ্যাপক ডা. আবু জাফর ও মো. সাইদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক ডা. আবু জাফর ও মো. সাইদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানকে দুই মাসের জন্য চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। একই মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফরকে।

২৪ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সামিউল আমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী মো. সাইদুর রহমানকে তাঁর অবসরোত্তর ছুটি ও তৎসংশ্লিষ্ট সুবিধাদি স্থগিত এবং অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা সরকারি সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ২০২৬ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।

একই আইনের সমধারায় দুই মাসের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফরও। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে অধ্যাপক ডা. মো. শাদরুল আলমকে। এত দিন তিনি সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের (সিএমই) পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

আজ সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের উপসচিব দূর-রে শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তাঁকে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ২৫৮২ জন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৫৭
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৩টি আসন থেকে ৩৩৮টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৭৮টি। রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৯ আসন থেকে ৩২৯টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৬০টি। বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলার ২১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ২১২টি, জমা পড়েছে ১৬৬টি। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলার ১৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ১৬৫টি, জমা পড়েছে ১৪২টি।

খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬ আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৫৮টি, জমা পড়েছে ২৭৬টি। ঢাকা অঞ্চলের ৬ জেলার ৪১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৬৩৮টি, জমা পড়েছে ৪৪৪টি।

ময়মনসিংহের ৬টি জেলার ৩৮টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪০২টি, জমা পড়েছে ৩১১টি। সিলেটের ৪ জেলার ১৯টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ১৭৬টি, জমা পড়েছে ১৪৬টি। কুমিল্লার ৬ জেলার ৩৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪৯৬টি, জমা পড়েছে ৩৬৫টি। চট্টগ্রামের ৫ জেলার ২৩টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ২৯৩টি, জমা পড়েছে ১৯৪টি।

ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল করার সময় ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।

আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৪৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ: পি কে হালদারসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পি কে হালদার। ফাইল ছবি
পি কে হালদার। ফাইল ছবি

দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এই চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন।

আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২২ সালের ১৯ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।

মামলার আসামিরা হলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি ও পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদার, দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিবপ্রসাদ ব্যানার্জী, পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জী, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এম এ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার এবং এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার।

তদন্তে আরও ছয়জনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় দুদক। তাঁরা হলেন ইটা অ্যান্ড টাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নওশেরুল ইসলাম, দিয়া অয়েল লিমিটেডের এমডি বাসুদেব ব্যানার্জী, পরিচালক পূজা ব্যানার্জী, এমএসটি মেরিন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডার্স লিমিটেডের পরিচালক অমল চন্দ্র দাস, মমতাজ বেগম এবং বিডিএস অ্যাডজাস্টার্সের চিফ এক্সিকিউটিভ ইবনে মোফাজ্জল বারকি।

আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে অবৈধ উপায়ে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামে ঋণ হিসেবে ৪৪ কোটি টাকা গ্রহণ করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমান মামলার অন্যতম আসামি এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক এম ডি রাসেল শাহরিয়ারকে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে এই মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠায়।

কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা পি কে হালদার। তিনি শিবশংকর হালদার নামে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।

২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরও পাঁচজন। পরে প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে পি কে হালদার ভারতের কারাগারে রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা মামলার তদন্ত-বিচারকাজে আইনি পরামর্শক হলেন সমাজী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এহসানুল হক সমাজী। ফাইল ছবি
এহসানুল হক সমাজী। ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর সমাজীকে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদার সুবিধায় ওই দায়িত্ব দিয়ে আজ সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১২ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণাকালে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি আততায়ীর গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে ১৮ ডিসেম্বর তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে ঢাকা মহানগরীর পল্টন থানায় ১৪ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে। ডিএমপির অধীনে এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় মামলাটি দ্রুত তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

হাদি হত্যাকাণ্ডের মামলা তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা বা তদন্তসংশ্লিষ্টদের এবং পরে আদালতে বিচারকালে বিচারসংশ্লিষ্ট প্রসিকিউশন টিমকে প্রয়োজনীয় আইনি পরামর্শ দেওয়ার জন্য এহসানুল হক সমাজীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত