ইশতিয়াক হাসান

বর্ষা পেরিয়ে এখন চলছে শরৎ। এ সময় পাহাড়ের রং থাকে সবুজ। কোথাও কোথাও এখনো দেখতে পাবেন জুমের ফসল তোলার দৃশ্য। ঝরনা-ঝিরিতেও যথেষ্ট পানি আছে। এদিকে বৃষ্টি কমে আসায় জঙ্গল-পাহাড় ভ্রমণে বিপত্তিতে পড়ার সুযোগ কম। কাজেই সবুজ পাহাড়-বনানী, পাহাড়ি নদী, ঝিরি ভ্রমণের জন্য সময়টা আদর্শ। আপনার জন্য বাড়তি পাওয়া শরতের নীল আকাশ। আজ বিশ্ব পর্যটন দিবসে থাকছে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়, অরণ্যময় দশটি জায়গার গল্প।
সাঙ্গু নদী ধরে রেমাক্রি
বান্দরবানের থানচির সাঙ্গু নদী থেকে শুরু করবেন আশ্চর্য এই নৌকা ভ্রমণ। মিনিট পনেরো-কুড়ি পরেই এমন এক জায়গায় চলে আসবেন যেখানে মনে হবে পানি ফুটছে। নৌকাটা যখন তীব্র গতিতে জায়গাটি পেরোতে থাকবে তখন কেমন ভয় ভয় করবে, তার চেয়েও বেশি যেটা অনুভব করবেন সেটা রোমাঞ্চ। রেমাক্রি পর্যন্ত এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবেন বারবার। নদীটা চড়াই-উতরাই পথে বয়ে যাওয়া ও নিচের ছোট ছোট পাথরের কারণে এ কাণ্ড। এখানটায় স্রোতও বেশি।
শুরু থেকেই দুই পাশের গাছ-গাছালিতে ঠাসা সবুজ পাহাড় মন কেড়ে নেবে আপনার। ভাগ্য ভালো থাকলে হয়তো পাহাড়ের দেয়াল বেয়ে উঠতে দেখবেন কোনো বন ছাগলকে। অথবা হঠাৎ এক পলকের জন্য দেখবেন সবুজের মাঝখানে লাল একটা শরীর, মায়া হরিণ।
তিন্দু ছাড়ানোর একটু পরেই ছোট ও মাঝারি আকারের প্রচুর পাথর দেখবেন নদীতে। তারপরই চলে আসবেন আশ্চর্য সুন্দর এক জগতে। রাজা পাথর, বড় পাথর এমনই নানা নামের বিশাল সব পাথর যেখানে নদীর দখল নিতে মহাব্যস্ত। চারপাশের দৃশ্য দেখতে দেখতে এক সময় পৌঁছে যাবেন রেমাক্রিতে। শুরুতেই রেমাক্রি ঝরনায় মুগ্ধ হবেন। তারপর রেমাক্রি বাজারের আশপাশে স্থানীয়দের কোনো একটি হোটেলে উঠে পড়বেন রাত কাটানোর জন্য। সেখান থেকেই সাঙ্গু নদী আর চারপাশের পাহাড় দেখেও কাটিয়ে দিতে পারবেন অনেকটা সময়। রেমাক্রি পর্যন্ত ঘুরে আসতে পারবেন পরিবার নিয়েই।
পর্যটকদের প্রিয় সাজেক
পর্যটকদের প্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যের লিস্টিতে সাজেক কয়েক বছর ধরেই আছে ওপরের দিকে। পুরোনো সেই সাজেকের সঙ্গে এখন আর হোটেল-মোটেল-রিসোর্টে গিজগিজ করা সাজেককে মেলাতে পারি না আর। আগের সেই বুনো সৌন্দর্যের অভাব অনুভব করলেও এখনো সাজেকে পর্যটকের মন কেড়ে নেওয়ার মতো অনেক কিছুই আছে। হোটেল কিংবা রিসোর্টের বারান্দায় দাঁড়ালে মনে হবে যেন অন্য এক পৃথিবীর দুয়ার খুলে গিয়েছে। যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ পাহাড়। সাদা মেঘেরা যখন পাহাড়ের সবুজ শরীর ঢেকে দেয় তখন জন্ম হয় অন্য রকম এক সৌন্দর্যের।
কখনো কখনো রুইলুই পাড়ার পাকা সড়কটি ধরে হাঁটার সময়ও আশপাশে ওড়াউড়ি করতে দেখবেন মেঘেদের। রাঙামাটি জেলায় পড়লেও সাজেক যাওয়াটা সহজ খাগড়াছড়ি থেকেই। বাঘাইহাট থেকে সেনা সদস্যদের এসকর্ট নিয়ে যখন চান্দের গাড়িটা পাহাড়ি উঁচু-নিচু পথে চলা শুরু করবে রোমাঞ্চে গা কাটা দেবে আপনার। পাহাড়ি সৌন্দর্য দেখতে দেখতে এক সময় পৌঁছে যাবেন সাজেকে। রুইলুই পাড়ার হেলিপ্যাড, লুসাই জাদুঘর কিংবা কংলাক পাহাড়ে তো যাবেনই। যদি ভিড়-বাট্টা বেশি মনে হয় তবে পাহাড়ের কোনো পাকদণ্ডী ধরে একাকী বেশ কতকটা হাঁটতে পারেন।
রেমা-কালেঙ্গার অরণ্যে
মৌলভীবাজার জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের অবস্থান। চুপচাপ থেকে বনপথ ধরে কিছুটা সময় হাঁটলেই ভাগ্য ভালো থাকলে মুখপোড়া কিংবা চশমা হনুমানদের দেখা পেয়ে যাবেন। খুব ভোরে যদি বেরোতে পারেন তাহলে হয়তো মায়া হরিণেরও দেখা মিলে যেতে পারে। রাতে আবার দেখা মিলতে পারে লাজুক স্বভাবের লজ্জাবতী বানরদের।
বনের রেমা বিটে শকুনদের একটি দলের আবাস। রেমার আশপাশে কয়েকটি চা বাগান আছে। বনের পাশাপাশি এসব চা-বাগানেও কখনো কখনো বন মোরগের দেখা মেলে। রেমার বনের পাহাড়ি ছড়াগুলোর ওপরের সিঁকো পেরিয়ে যেতেও অদ্ভুত এক রোমাঞ্চ অনুভব করবেন। কালেঙ্গার লেকটির আশপাশে ভাগ্য ভালো থাকলে দেখা পেয়ে যেতে পারেন ভোঁদড়দের।
প্রাকৃতিক বন, বন্যপ্রাণী, চা বাগান, পাহাড়ি ছড়া সবকিছু মিলিয়ে প্রকৃতিপ্রেমিকদের জন্য চমৎকার এক জায়গা রেমা-কালেঙ্গা। তবে অরণ্যপথে হাঁটার সময় জোঁক ও সাপের ব্যাপারে সতর্ক থাকাটা জরুরি।
অপরূপ লোভাছড়া
সিলেট জেলার কানাইঘাটের ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা এক এলাকা লোভাছড়া। লোভাছড়া যাওয়া যায় দুইভাবে—একটি হলো নদী ধরে, অপরটি সড়কপথে। তবে লোভাছড়ায় যাওয়ার রাস্তাটার অবস্থা সুবিধের নয়, তাই সুরমা নদীর ঘাট থেকে একটি নৌকা ভাড়া করে তাতে চেপে বসাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এক জায়গায় এসে দেখবেন হঠাৎ অনেক চওড়া হয়ে গেল নদী। একটু খেয়াল করতেই বুঝবেন তিন নদী এক হয়েছে এখানে। সুরমা ছাড়া বাকি দুটি নদী হলো বরাক আর লোভাছড়া।
লোভাছড়া নাম হলেও এটি আসলে নদী। নদী থেকে সীমান্তের ওপাশের খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড় থেকে চোখ সরাতে পারবেন না। এক সময় চলে আসবেন নদীর ঘাঁটে। তারপর ঘুরে দেখবেন লোভাছড়ার চা-বাগান। চা বাগানের সীমানায় ব্রিটিশ আমলে বানানো ঝুলন্ত সেতুটা দেখবেন। লোভাছাড়া বাগানের খরে ছাওয়া বিশাল বাংলোটাও মুগ্ধ করবে আপনাকে। বাগানের কোনো চা বাগান শ্রমিক হয়তো আপনাকে শুনাবে বছর কয়েক আগে ওপাশের পাহাড় থেকে বাগানে চিতা বাঘ নামার গল্প। লোভাছড়া নদীতে ফিরে এসে স্বচ্ছ জলের তলে নানা আকারের পাথর দেখবেন।
বন্যপ্রাণী দেখতে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে
কর্ণফুলী নদীর এক পাশে সীতা পাহাড়, অপর পাশে রাম পাহাড়। নদীর কিনারা থেকে ওঠে যাওয়া সীতা পাহাড়ের দিকে তাকালে কিছু কিছু অংশে এখনো গহিন বনের দেখা পাবেন। উঁচু সব বৃক্ষ, নানা ধরনের লতা মিলিয়ে আদিম কোনো জঙ্গলের কথাই মনে করিয়ে দেবে। নিচ থেকে পাহাড়চূড়ায় গাছের ডালে ডালে ঘুরে বেড়ানো বানরদের দেখাবে লিলিপুটদের মতো।
ওপাশে রাম পাহাড়ে গিয়ে শুনবেন গাছ বাওয়ায় দক্ষ লতা বাঘ বা মেঘলা চিতাদের গল্প। রাম পাহাড়ের ঝিরির শীতল জলে পা ভিজিয়েও অনেক আনন্দ পাবেন। কর্ণফুলী বিট বা কাপ্তাই মুখ খালের জঙ্গলে গেলে দেখা মিলতে পারে বুনো হাতিদের। আবার রাঙামাটি থেকে কাপ্তাই লেকের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া পথেও বুনো হাতিদের সাক্ষাৎ মিলে যেতে পারে। ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে কাপ্তাই যাওয়া যায়, তেমনি যেতে পারেন রাঙামাটি হয়েও। কাপ্তাই থেকে হ্রদ ধরে বিলাইছড়ি যাওয়ার পথটাও ভারি সুন্দর।
ছোট্ট বন সাতছড়ি
হবিগঞ্জ জেলার ছোট্ট এক বন সাতছড়ি। ঢাকা-সিলেটর পুরোনো মহাসড়কটি ধরে গেলে দেখা মিলবে চুনারুঘাটের সাতছড়ি বনের। বনে পৌঁছাবার আগেই সুরমা আর সাতছড়ি চা বাগান মনটা আনন্দে ভরিয়ে দেবে। ছোট্ট বন হলে কী হবে ভালুক ও বন্য কুকুরের মতো প্রাণীদেরও দেখা মেলে এখানে। বালুময় বনপথ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার পথে দেখবেন মায়া হরিণ কিংবা বুনো শূকরের পায়ের ছাপ। বিশাল চাপালিশ গাছগুলো থেকে পড়া ফলগুলো দেখে ভাববেন আরে কাঁঠালের মিনি সংস্করণ নাকি!
সাতছড়ির চমৎকার ওয়াচ টাওয়ার থেকে চারপাশের বন ছাড়াও নানা জাতের পাখিদের দেখা পাওয়া সহজ। বন বিভাগের অফিসের সামনের বনে নিয়মিতই দেখা মেলে হনুমানদের। এদিকে পাম বাগানে মেলা বসে বানরদের। বাসে গেলে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ নেমে সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন বনটিতে। ট্রেনে গেলে নামতে পারেন নয়াপাড়া স্টেশনে।
নদী আর চা বাগানের লালা খাল
লালাখাল পড়েছে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায়। নৌকায় চেপে যখন লালাখাল ভ্রমণ করতে করতে খালের এমন একটি জায়গায় পৌঁছে যাবেন যেখানে আর এগোনোর সুযোগ নেই। কারণ তারপর থেকেই পাশের দেশ ভারতের সীমানা। তবে খালের স্বচ্ছ জল আর ওপাশের উঁচু পাহাড়গুলোর দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে যে সন্দেহ নেই।
নৌকা থেকে নেমে বাংলাদেশের সীমানায় পাবেন ছোট পাহাড় আর চমৎকার কয়েকটি চা বাগান। পাহাড়ের ওপর থেকে খালসহ চারপাশের দৃশ্য দেখে ভুলে যাবেন উঁচু পাহাড়গুলোর বেশি কাছে যেতে না পারার দুঃখ।
চলো যাই চন্দ্রনাথ পাহাড়ে
সীতাকুণ্ড-মিরসরাইয়ের উঁচু পাহাড়গুলো দেখে হঠাৎ মনে হতে পারে পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমানায় চলে এলাম নাকি! আর পর্যটকদের কাছে এই এলাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণগন্তব্যগুলোর একটি চন্দ্রনাথ পাহাড়। হাজার ফুটের বেশি উঁচু পাহাড়টায় চড়া খুব কঠিন নয়। পাদদেশে পৌঁছাতেই দেখবেন দোকানে লাঠি ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এটা সঙ্গে নিলে পাহাড়ে ওঠাটা সহজ হবে। তবে ভ্রমণের আগে যদি বৃষ্টি হয় তবে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।
পাহাড়ের চূড়া থেকে চারপাশের এলাকাটা দেখতে পাবেন পাখির চোখে। শিবচতুর্দশী মেলার সময় পাহাড়ের ওপরের চন্দ্রনাথ মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ঢল নামে। ওই সময় গেলে মেলাটি উপভোগ ও পাহাড়ে চড়া দুটোই হয়। তবে তখন ভিড়টা বেশি থাকে। শুক্র কিংবা শনিবার এড়িয়ে গেলে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারবেন মন ভরে।
জলের বন রাতারগুল
জলের রাজ্যে অসাধারণ এক অরণ্য রাতারগুল। বিশেষ করে বর্ষায় অরণ্যটি সবচেয়ে সুন্দর। অবশ্য শরতেও খারাপ লাগবে না। সরু খাল ধরে যখন ছোট নৌকায় চেপে যাবেন একেবারে অন্যরকম এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবেন। কখনো কখনো আশপাশের ডালের খোঁচা এড়াতে নিচু হয়ে যাবেন কখনো আবার হঠাৎ সামনে একটা ডাল আবিষ্কার করে মাথাটা নিচু করে ফেলবেন। পানি যখন কমে যায় তখন জঙ্গলের পথ ধরে হেঁটেও বেড়ানো যায়।
জঙ্গলটিতে চমৎকার একটি ওয়াচ টাওয়ার আছে। সেখান থেকে চারপাশের জল এবং জঙ্গলের রাজ্য ধরা দেবে মোহনীয় রূপে। বনে বানর আছে বেশ। নৌকা থেকে হঠাৎই হয়তো দেখবেন পাশের গাছটা ডালে বসে ভেংচি কাটছে এদের কোনো একটি। নানা ধরনের পাখিরও দেখা মেলে। তবে সাপের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকতে হবে রাতারগুল ভ্রমণে। সিলেট শহর থেকে খুব দূরে নয় বনটি। সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারবেন ঘাটে। তারপর বন বিভাগের নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করে ডিঙি নৌকা ভাড়া করে প্রবেশ করবেন মনোমুগ্ধকর এক রাজ্যে।
চলার পথে ডিম পাহাড়
থানচি থেকে আলীকদম যাওয়ার পথটা এমন যে একবার গেলে শুধুমাত্র ওই পথে ভ্রমণ করতেই সেখানে বারবার ছুটে যেতে ইচ্ছা করবে আপনার। এই পথ দিয়ে মোটরসাইকেল কিংবা অন্য কোনো যানবাহনে চেপে যাওয়ার সময় দেখা পাবেন ডিম পাহাড়ের। কখনো কখনো আপনার পথ আগলে দাঁড়াবে মেঘে। বর্ষায় কোনো কোনো সময় আশপাশের পাহাড়গুলোর এত ঘন সাদা মেঘে ঢেকে যায় যে আপনার মনে হবে এগুলোর ওপর কিছু পড়লে আটকে যাবে।
হঠাৎ পথটা অনেকটা খাঁড়া ওপরের দিকে ওঠে গেছে, কখনো আবার নেমে গেছে। চারপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে এমন একটা রোমাঞ্চকর পথে ভ্রমণের চেয়ে আনন্দদায়ক আর কী হতে পারে বলেন!

বর্ষা পেরিয়ে এখন চলছে শরৎ। এ সময় পাহাড়ের রং থাকে সবুজ। কোথাও কোথাও এখনো দেখতে পাবেন জুমের ফসল তোলার দৃশ্য। ঝরনা-ঝিরিতেও যথেষ্ট পানি আছে। এদিকে বৃষ্টি কমে আসায় জঙ্গল-পাহাড় ভ্রমণে বিপত্তিতে পড়ার সুযোগ কম। কাজেই সবুজ পাহাড়-বনানী, পাহাড়ি নদী, ঝিরি ভ্রমণের জন্য সময়টা আদর্শ। আপনার জন্য বাড়তি পাওয়া শরতের নীল আকাশ। আজ বিশ্ব পর্যটন দিবসে থাকছে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়, অরণ্যময় দশটি জায়গার গল্প।
সাঙ্গু নদী ধরে রেমাক্রি
বান্দরবানের থানচির সাঙ্গু নদী থেকে শুরু করবেন আশ্চর্য এই নৌকা ভ্রমণ। মিনিট পনেরো-কুড়ি পরেই এমন এক জায়গায় চলে আসবেন যেখানে মনে হবে পানি ফুটছে। নৌকাটা যখন তীব্র গতিতে জায়গাটি পেরোতে থাকবে তখন কেমন ভয় ভয় করবে, তার চেয়েও বেশি যেটা অনুভব করবেন সেটা রোমাঞ্চ। রেমাক্রি পর্যন্ত এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবেন বারবার। নদীটা চড়াই-উতরাই পথে বয়ে যাওয়া ও নিচের ছোট ছোট পাথরের কারণে এ কাণ্ড। এখানটায় স্রোতও বেশি।
শুরু থেকেই দুই পাশের গাছ-গাছালিতে ঠাসা সবুজ পাহাড় মন কেড়ে নেবে আপনার। ভাগ্য ভালো থাকলে হয়তো পাহাড়ের দেয়াল বেয়ে উঠতে দেখবেন কোনো বন ছাগলকে। অথবা হঠাৎ এক পলকের জন্য দেখবেন সবুজের মাঝখানে লাল একটা শরীর, মায়া হরিণ।
তিন্দু ছাড়ানোর একটু পরেই ছোট ও মাঝারি আকারের প্রচুর পাথর দেখবেন নদীতে। তারপরই চলে আসবেন আশ্চর্য সুন্দর এক জগতে। রাজা পাথর, বড় পাথর এমনই নানা নামের বিশাল সব পাথর যেখানে নদীর দখল নিতে মহাব্যস্ত। চারপাশের দৃশ্য দেখতে দেখতে এক সময় পৌঁছে যাবেন রেমাক্রিতে। শুরুতেই রেমাক্রি ঝরনায় মুগ্ধ হবেন। তারপর রেমাক্রি বাজারের আশপাশে স্থানীয়দের কোনো একটি হোটেলে উঠে পড়বেন রাত কাটানোর জন্য। সেখান থেকেই সাঙ্গু নদী আর চারপাশের পাহাড় দেখেও কাটিয়ে দিতে পারবেন অনেকটা সময়। রেমাক্রি পর্যন্ত ঘুরে আসতে পারবেন পরিবার নিয়েই।
পর্যটকদের প্রিয় সাজেক
পর্যটকদের প্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যের লিস্টিতে সাজেক কয়েক বছর ধরেই আছে ওপরের দিকে। পুরোনো সেই সাজেকের সঙ্গে এখন আর হোটেল-মোটেল-রিসোর্টে গিজগিজ করা সাজেককে মেলাতে পারি না আর। আগের সেই বুনো সৌন্দর্যের অভাব অনুভব করলেও এখনো সাজেকে পর্যটকের মন কেড়ে নেওয়ার মতো অনেক কিছুই আছে। হোটেল কিংবা রিসোর্টের বারান্দায় দাঁড়ালে মনে হবে যেন অন্য এক পৃথিবীর দুয়ার খুলে গিয়েছে। যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ পাহাড়। সাদা মেঘেরা যখন পাহাড়ের সবুজ শরীর ঢেকে দেয় তখন জন্ম হয় অন্য রকম এক সৌন্দর্যের।
কখনো কখনো রুইলুই পাড়ার পাকা সড়কটি ধরে হাঁটার সময়ও আশপাশে ওড়াউড়ি করতে দেখবেন মেঘেদের। রাঙামাটি জেলায় পড়লেও সাজেক যাওয়াটা সহজ খাগড়াছড়ি থেকেই। বাঘাইহাট থেকে সেনা সদস্যদের এসকর্ট নিয়ে যখন চান্দের গাড়িটা পাহাড়ি উঁচু-নিচু পথে চলা শুরু করবে রোমাঞ্চে গা কাটা দেবে আপনার। পাহাড়ি সৌন্দর্য দেখতে দেখতে এক সময় পৌঁছে যাবেন সাজেকে। রুইলুই পাড়ার হেলিপ্যাড, লুসাই জাদুঘর কিংবা কংলাক পাহাড়ে তো যাবেনই। যদি ভিড়-বাট্টা বেশি মনে হয় তবে পাহাড়ের কোনো পাকদণ্ডী ধরে একাকী বেশ কতকটা হাঁটতে পারেন।
রেমা-কালেঙ্গার অরণ্যে
মৌলভীবাজার জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের অবস্থান। চুপচাপ থেকে বনপথ ধরে কিছুটা সময় হাঁটলেই ভাগ্য ভালো থাকলে মুখপোড়া কিংবা চশমা হনুমানদের দেখা পেয়ে যাবেন। খুব ভোরে যদি বেরোতে পারেন তাহলে হয়তো মায়া হরিণেরও দেখা মিলে যেতে পারে। রাতে আবার দেখা মিলতে পারে লাজুক স্বভাবের লজ্জাবতী বানরদের।
বনের রেমা বিটে শকুনদের একটি দলের আবাস। রেমার আশপাশে কয়েকটি চা বাগান আছে। বনের পাশাপাশি এসব চা-বাগানেও কখনো কখনো বন মোরগের দেখা মেলে। রেমার বনের পাহাড়ি ছড়াগুলোর ওপরের সিঁকো পেরিয়ে যেতেও অদ্ভুত এক রোমাঞ্চ অনুভব করবেন। কালেঙ্গার লেকটির আশপাশে ভাগ্য ভালো থাকলে দেখা পেয়ে যেতে পারেন ভোঁদড়দের।
প্রাকৃতিক বন, বন্যপ্রাণী, চা বাগান, পাহাড়ি ছড়া সবকিছু মিলিয়ে প্রকৃতিপ্রেমিকদের জন্য চমৎকার এক জায়গা রেমা-কালেঙ্গা। তবে অরণ্যপথে হাঁটার সময় জোঁক ও সাপের ব্যাপারে সতর্ক থাকাটা জরুরি।
অপরূপ লোভাছড়া
সিলেট জেলার কানাইঘাটের ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা এক এলাকা লোভাছড়া। লোভাছড়া যাওয়া যায় দুইভাবে—একটি হলো নদী ধরে, অপরটি সড়কপথে। তবে লোভাছড়ায় যাওয়ার রাস্তাটার অবস্থা সুবিধের নয়, তাই সুরমা নদীর ঘাট থেকে একটি নৌকা ভাড়া করে তাতে চেপে বসাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এক জায়গায় এসে দেখবেন হঠাৎ অনেক চওড়া হয়ে গেল নদী। একটু খেয়াল করতেই বুঝবেন তিন নদী এক হয়েছে এখানে। সুরমা ছাড়া বাকি দুটি নদী হলো বরাক আর লোভাছড়া।
লোভাছড়া নাম হলেও এটি আসলে নদী। নদী থেকে সীমান্তের ওপাশের খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড় থেকে চোখ সরাতে পারবেন না। এক সময় চলে আসবেন নদীর ঘাঁটে। তারপর ঘুরে দেখবেন লোভাছড়ার চা-বাগান। চা বাগানের সীমানায় ব্রিটিশ আমলে বানানো ঝুলন্ত সেতুটা দেখবেন। লোভাছাড়া বাগানের খরে ছাওয়া বিশাল বাংলোটাও মুগ্ধ করবে আপনাকে। বাগানের কোনো চা বাগান শ্রমিক হয়তো আপনাকে শুনাবে বছর কয়েক আগে ওপাশের পাহাড় থেকে বাগানে চিতা বাঘ নামার গল্প। লোভাছড়া নদীতে ফিরে এসে স্বচ্ছ জলের তলে নানা আকারের পাথর দেখবেন।
বন্যপ্রাণী দেখতে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে
কর্ণফুলী নদীর এক পাশে সীতা পাহাড়, অপর পাশে রাম পাহাড়। নদীর কিনারা থেকে ওঠে যাওয়া সীতা পাহাড়ের দিকে তাকালে কিছু কিছু অংশে এখনো গহিন বনের দেখা পাবেন। উঁচু সব বৃক্ষ, নানা ধরনের লতা মিলিয়ে আদিম কোনো জঙ্গলের কথাই মনে করিয়ে দেবে। নিচ থেকে পাহাড়চূড়ায় গাছের ডালে ডালে ঘুরে বেড়ানো বানরদের দেখাবে লিলিপুটদের মতো।
ওপাশে রাম পাহাড়ে গিয়ে শুনবেন গাছ বাওয়ায় দক্ষ লতা বাঘ বা মেঘলা চিতাদের গল্প। রাম পাহাড়ের ঝিরির শীতল জলে পা ভিজিয়েও অনেক আনন্দ পাবেন। কর্ণফুলী বিট বা কাপ্তাই মুখ খালের জঙ্গলে গেলে দেখা মিলতে পারে বুনো হাতিদের। আবার রাঙামাটি থেকে কাপ্তাই লেকের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া পথেও বুনো হাতিদের সাক্ষাৎ মিলে যেতে পারে। ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে কাপ্তাই যাওয়া যায়, তেমনি যেতে পারেন রাঙামাটি হয়েও। কাপ্তাই থেকে হ্রদ ধরে বিলাইছড়ি যাওয়ার পথটাও ভারি সুন্দর।
ছোট্ট বন সাতছড়ি
হবিগঞ্জ জেলার ছোট্ট এক বন সাতছড়ি। ঢাকা-সিলেটর পুরোনো মহাসড়কটি ধরে গেলে দেখা মিলবে চুনারুঘাটের সাতছড়ি বনের। বনে পৌঁছাবার আগেই সুরমা আর সাতছড়ি চা বাগান মনটা আনন্দে ভরিয়ে দেবে। ছোট্ট বন হলে কী হবে ভালুক ও বন্য কুকুরের মতো প্রাণীদেরও দেখা মেলে এখানে। বালুময় বনপথ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার পথে দেখবেন মায়া হরিণ কিংবা বুনো শূকরের পায়ের ছাপ। বিশাল চাপালিশ গাছগুলো থেকে পড়া ফলগুলো দেখে ভাববেন আরে কাঁঠালের মিনি সংস্করণ নাকি!
সাতছড়ির চমৎকার ওয়াচ টাওয়ার থেকে চারপাশের বন ছাড়াও নানা জাতের পাখিদের দেখা পাওয়া সহজ। বন বিভাগের অফিসের সামনের বনে নিয়মিতই দেখা মেলে হনুমানদের। এদিকে পাম বাগানে মেলা বসে বানরদের। বাসে গেলে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ নেমে সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন বনটিতে। ট্রেনে গেলে নামতে পারেন নয়াপাড়া স্টেশনে।
নদী আর চা বাগানের লালা খাল
লালাখাল পড়েছে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায়। নৌকায় চেপে যখন লালাখাল ভ্রমণ করতে করতে খালের এমন একটি জায়গায় পৌঁছে যাবেন যেখানে আর এগোনোর সুযোগ নেই। কারণ তারপর থেকেই পাশের দেশ ভারতের সীমানা। তবে খালের স্বচ্ছ জল আর ওপাশের উঁচু পাহাড়গুলোর দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে যে সন্দেহ নেই।
নৌকা থেকে নেমে বাংলাদেশের সীমানায় পাবেন ছোট পাহাড় আর চমৎকার কয়েকটি চা বাগান। পাহাড়ের ওপর থেকে খালসহ চারপাশের দৃশ্য দেখে ভুলে যাবেন উঁচু পাহাড়গুলোর বেশি কাছে যেতে না পারার দুঃখ।
চলো যাই চন্দ্রনাথ পাহাড়ে
সীতাকুণ্ড-মিরসরাইয়ের উঁচু পাহাড়গুলো দেখে হঠাৎ মনে হতে পারে পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমানায় চলে এলাম নাকি! আর পর্যটকদের কাছে এই এলাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণগন্তব্যগুলোর একটি চন্দ্রনাথ পাহাড়। হাজার ফুটের বেশি উঁচু পাহাড়টায় চড়া খুব কঠিন নয়। পাদদেশে পৌঁছাতেই দেখবেন দোকানে লাঠি ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এটা সঙ্গে নিলে পাহাড়ে ওঠাটা সহজ হবে। তবে ভ্রমণের আগে যদি বৃষ্টি হয় তবে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।
পাহাড়ের চূড়া থেকে চারপাশের এলাকাটা দেখতে পাবেন পাখির চোখে। শিবচতুর্দশী মেলার সময় পাহাড়ের ওপরের চন্দ্রনাথ মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ঢল নামে। ওই সময় গেলে মেলাটি উপভোগ ও পাহাড়ে চড়া দুটোই হয়। তবে তখন ভিড়টা বেশি থাকে। শুক্র কিংবা শনিবার এড়িয়ে গেলে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারবেন মন ভরে।
জলের বন রাতারগুল
জলের রাজ্যে অসাধারণ এক অরণ্য রাতারগুল। বিশেষ করে বর্ষায় অরণ্যটি সবচেয়ে সুন্দর। অবশ্য শরতেও খারাপ লাগবে না। সরু খাল ধরে যখন ছোট নৌকায় চেপে যাবেন একেবারে অন্যরকম এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবেন। কখনো কখনো আশপাশের ডালের খোঁচা এড়াতে নিচু হয়ে যাবেন কখনো আবার হঠাৎ সামনে একটা ডাল আবিষ্কার করে মাথাটা নিচু করে ফেলবেন। পানি যখন কমে যায় তখন জঙ্গলের পথ ধরে হেঁটেও বেড়ানো যায়।
জঙ্গলটিতে চমৎকার একটি ওয়াচ টাওয়ার আছে। সেখান থেকে চারপাশের জল এবং জঙ্গলের রাজ্য ধরা দেবে মোহনীয় রূপে। বনে বানর আছে বেশ। নৌকা থেকে হঠাৎই হয়তো দেখবেন পাশের গাছটা ডালে বসে ভেংচি কাটছে এদের কোনো একটি। নানা ধরনের পাখিরও দেখা মেলে। তবে সাপের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকতে হবে রাতারগুল ভ্রমণে। সিলেট শহর থেকে খুব দূরে নয় বনটি। সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারবেন ঘাটে। তারপর বন বিভাগের নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করে ডিঙি নৌকা ভাড়া করে প্রবেশ করবেন মনোমুগ্ধকর এক রাজ্যে।
চলার পথে ডিম পাহাড়
থানচি থেকে আলীকদম যাওয়ার পথটা এমন যে একবার গেলে শুধুমাত্র ওই পথে ভ্রমণ করতেই সেখানে বারবার ছুটে যেতে ইচ্ছা করবে আপনার। এই পথ দিয়ে মোটরসাইকেল কিংবা অন্য কোনো যানবাহনে চেপে যাওয়ার সময় দেখা পাবেন ডিম পাহাড়ের। কখনো কখনো আপনার পথ আগলে দাঁড়াবে মেঘে। বর্ষায় কোনো কোনো সময় আশপাশের পাহাড়গুলোর এত ঘন সাদা মেঘে ঢেকে যায় যে আপনার মনে হবে এগুলোর ওপর কিছু পড়লে আটকে যাবে।
হঠাৎ পথটা অনেকটা খাঁড়া ওপরের দিকে ওঠে গেছে, কখনো আবার নেমে গেছে। চারপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে এমন একটা রোমাঞ্চকর পথে ভ্রমণের চেয়ে আনন্দদায়ক আর কী হতে পারে বলেন!

বন্ধুমহলে এমন অনেকে থাকেন, যাঁরা সব সময় দেরি করে আড্ডায় পৌঁছান। তাঁদের ফোন করলে যদি শোনা যায়, ‘এই তো, বাসা থেকে বের হয়েছি’, তাহলে মোবাইল ফোনের অপর প্রান্তে থাকা বন্ধুটি অনায়াসে বুঝে নেন, বন্ধুটি আসলে বাসায় আছেন। তেমনই অফিসে এমন অনেকে আছেন, যাঁদের মিটিংয়ের দিন কীভাবে যেন একটা না একটা সমস্যা জুটে যায়!
৫ ঘণ্টা আগে
মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন।
১৩ ঘণ্টা আগে
দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে? ৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে...
১৩ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বন্ধুমহলে এমন অনেকে থাকেন, যাঁরা সব সময় দেরি করে আড্ডায় পৌঁছান। তাঁদের ফোন করলে যদি শোনা যায়, ‘এই তো, বাসা থেকে বের হয়েছি’, তাহলে মোবাইল ফোনের অপর প্রান্তে থাকা বন্ধুটি অনায়াসে বুঝে নেন, বন্ধুটি আসলে বাসায় আছেন। তেমনই অফিসে এমন অনেকে আছেন, যাঁদের মিটিংয়ের দিন কীভাবে যেন একটা না একটা সমস্যা জুটে যায়! ফলে অফিসে আসতে দেরি হয়। এমন মানুষদের সরল বাংলায় বলা হয় ‘লেট লতিফ’। তবে এই লেট লতিফেরা আসলে কেন দেরি করে আসেন, তার কিছু প্রবণতা ব্যাখ্যা করেছে বিজ্ঞান। অর্থাৎ তাদের দেরি হওয়ার এই অভ্যাসের পেছনে একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে।
মনোবিজ্ঞান, ক্রোনোবায়োলজি এবং আচরণগত বিভিন্ন গবেষণা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে যা জানাচ্ছে, তার মোদ্দাকথা হলো, দীর্ঘস্থায়ীভাবে দেরি করার এই অভ্যাস কেবল দায়িত্বহীনতা বা অবহেলার কারণে নয়; বরং এটি আমাদের মস্তিষ্কের গঠন, ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য এবং এমনকি জৈবিক ঘড়ির সঙ্গে যুক্ত। দেরি করা মানেই সব সময় অনিচ্ছাকৃত অবহেলা নয়। এটি মানুষের মনস্তাত্ত্বিক ও জৈবিক গঠনের একটি জটিল প্রতিফলন। নিজের এই প্রবণতাগুলো চিহ্নিত করতে পারলে এবং প্রয়োজনীয় কাঠামোগত পরিবর্তন আনলে এই লেট লতিফ তকমা ঘোচানো সম্ভব।

পরিকল্পনার ভুল বা প্ল্যানিং ফ্যালাসি
দেরি করার অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক কারণ হলো প্ল্যানিং ফ্যালাসি বা পরিকল্পনার ভুল। একে বলা যেতে পারে কগনিটিভ বায়াস বা জ্ঞানীয় পক্ষপাত। অর্থাৎ কোনো কাজ সম্পন্ন করতে আসলে কত সময় লাগবে, তা সঠিকভাবে আন্দাজ করতে না পারা; বিশেষ করে আশাবাদী মানুষেরা মনে করেন, সবকিছুই খুব মসৃণভাবে চলবে। তাঁরা রাস্তায় যানজট বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত বিঘ্নের কথা বিবেচনায় রাখেন না বলে তাঁদের হাতে কোনো অতিরিক্ত সময় থাকে না। ফলে একবার জ্যামে পড়েই সব শেষ। এ ছাড়া অনেকের মধ্যে পার্সোনাল স্পিড ইলিউশন কাজ করে। তাঁরা মনে করেন, শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়ো করে সব কাজ দ্রুত সেরে ফেলতে পারবেন। এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস তাঁদের সময়সূচি সংকুচিত করে ফেলে এবং শেষ পর্যন্ত তাঁরা দেরি করেন।
ব্যক্তিত্বের ধরন: সচেতনতা বনাম বিশৃঙ্খলা
ব্যক্তিত্বের বৈচিত্র্যও সময়ানুবর্তিতার ওপর বড় প্রভাব ফেলে। বিভিন্ন গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, যাঁদের মধ্যে সচেতনতাবোধ বেশি, তাঁরা প্রাকৃতিকভাবে আগে থেকে পরিকল্পনা করেন এবং খুঁটিনাটি বিষয়ের দিকে নজর দেন। ফলে তাঁরা সময়মতো সবখানে পৌঁছাতে পারেন। অন্যদিকে, যাঁরা প্রাকৃতিকভাবে কিছুটা অগোছালো, তাঁদের পক্ষে সময়ের হিসাব রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এটি পরিবর্তনের জন্য আমূল ব্যক্তিত্ব বদলানোর প্রয়োজন নেই। ঘড়ি বা অ্যালার্মের মতো বাহ্যিক সাহায্যের মাধ্যমে এই সচেতনতা বাড়ানো সম্ভব।
বহুমুখী কাজ এবং সংস্কৃতির প্রভাব
যাঁরা একই সঙ্গে অনেক কাজ করতে পছন্দ করেন, তাঁদের দেরি করার প্রবণতা বেশি থাকে। তাঁরা ঘড়ির কাঁটার চেয়ে মুহূর্তের গুরুত্ব বা সম্পর্কের ওপর বেশি জোর দেন। ফলে কারও সঙ্গে কথা বলতে বলতে তাঁরা সময়ের জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এর সঙ্গে সংস্কৃতির একটি যোগসূত্র আছে। লাতিন আমেরিকা বা মধ্যপ্রাচ্যের মতো পলিক্রোনিক সংস্কৃতিতে সামাজিক যোগাযোগকে সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর জার্মানি, জাপান বা আমেরিকার মতো দেশে সময়কে অত্যন্ত কড়াকড়িভাবে দেখা হয়। এই সাংস্কৃতিক পার্থক্যের কারণেও অনেকে নিজের অজান্তে লেট লতিফ হয়ে ওঠেন।
রাতজাগা পাখি ও জৈবিক ঘড়ি
আমাদের শরীরের ভেতরে একটি প্রাকৃতিক ঘড়ি বা সার্কাডিয়ান রিদম থাকে। যাঁরা প্রাকৃতিকভাবে নাইট আউল বা রাতজাগা পাখি, তাঁদের মস্তিষ্ক সকালে দেরিতে সক্রিয় হয়। তাঁদের শরীরে মেলাটোনিন হরমোন দেরিতে নিঃসৃত হয়। ফলে খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা তাঁদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ে। এই জৈবিক কারণে সকালের প্রতিটি কাজে তাঁদের দেরি হতে থাকে এবং সারা দিন এর প্রভাব বজায় থাকে।
টাইম ব্লাইন্ডনেস বা সময়ের অন্ধত্ব
এডিএইচডি, অটিজম বা ডিসলেক্সিয়ার মতো নিউরোডাইভারজেন্ট বৈশিষ্ট্যের অধিকারীদের মধ্যে প্রায়ই টাইম ব্লাইন্ডনেস বা সময়ের অন্ধত্ব দেখা যায়। তাঁদের কাছে সময় অত্যন্ত অননুমেয়ভাবে অতিবাহিত হয়। তাঁরা কোনো একটি কাজ থেকে অন্য কাজে যাওয়ার সময়টুকুর হিসাব রাখতে পারেন না। এটি কোনো ইচ্ছাকৃত ভুল নয়, বরং তাঁদের মস্তিষ্কের গঠনগত কারণেই তাঁরা সময়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হিমশিম খান।
সমাধানের পথ কী
বিজ্ঞান শুধু সমস্যার কথাই বলে না। উত্তরণের পথও দেখায়। এই অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে—
সময়ের হিসাব দ্বিগুণ করা: কোনো কাজ বা যাতায়াতে যতটুকু সময় লাগবে বলে মনে হয়, হিসাবে তার দ্বিগুণ সময় হাতে রাখা।
বিচ্ছিন্ন পদক্ষেপের তালিকা: কোথাও যাওয়ার জন্য প্রতিটি ছোট ছোট পদক্ষেপ; যেমন তৈরি হওয়া, জুতা পরা, বের হওয়া ইত্যাদির জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ করা।
বাহ্যিক সংকেত ব্যবহার: কেবল ইচ্ছাশক্তির ওপর নির্ভর না করে অ্যালার্ম, চেক লিস্ট বা ডিজিটাল টুল ব্যবহার করা।
সহমর্মিতা: সময়নিষ্ঠ ব্যক্তি এবং লেট লতিফদের বুঝতে হবে যে প্রত্যেকে সময়কে ভিন্নভাবে অনুভব করেন। ফলে একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা দেখালে সম্পর্কের টানাপোড়েন কমে।
সূত্র: লাইফ সায়েন্স, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

বন্ধুমহলে এমন অনেকে থাকেন, যাঁরা সব সময় দেরি করে আড্ডায় পৌঁছান। তাঁদের ফোন করলে যদি শোনা যায়, ‘এই তো, বাসা থেকে বের হয়েছি’, তাহলে মোবাইল ফোনের অপর প্রান্তে থাকা বন্ধুটি অনায়াসে বুঝে নেন, বন্ধুটি আসলে বাসায় আছেন। তেমনই অফিসে এমন অনেকে আছেন, যাঁদের মিটিংয়ের দিন কীভাবে যেন একটা না একটা সমস্যা জুটে যায়! ফলে অফিসে আসতে দেরি হয়। এমন মানুষদের সরল বাংলায় বলা হয় ‘লেট লতিফ’। তবে এই লেট লতিফেরা আসলে কেন দেরি করে আসেন, তার কিছু প্রবণতা ব্যাখ্যা করেছে বিজ্ঞান। অর্থাৎ তাদের দেরি হওয়ার এই অভ্যাসের পেছনে একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে।
মনোবিজ্ঞান, ক্রোনোবায়োলজি এবং আচরণগত বিভিন্ন গবেষণা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে যা জানাচ্ছে, তার মোদ্দাকথা হলো, দীর্ঘস্থায়ীভাবে দেরি করার এই অভ্যাস কেবল দায়িত্বহীনতা বা অবহেলার কারণে নয়; বরং এটি আমাদের মস্তিষ্কের গঠন, ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য এবং এমনকি জৈবিক ঘড়ির সঙ্গে যুক্ত। দেরি করা মানেই সব সময় অনিচ্ছাকৃত অবহেলা নয়। এটি মানুষের মনস্তাত্ত্বিক ও জৈবিক গঠনের একটি জটিল প্রতিফলন। নিজের এই প্রবণতাগুলো চিহ্নিত করতে পারলে এবং প্রয়োজনীয় কাঠামোগত পরিবর্তন আনলে এই লেট লতিফ তকমা ঘোচানো সম্ভব।

পরিকল্পনার ভুল বা প্ল্যানিং ফ্যালাসি
দেরি করার অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক কারণ হলো প্ল্যানিং ফ্যালাসি বা পরিকল্পনার ভুল। একে বলা যেতে পারে কগনিটিভ বায়াস বা জ্ঞানীয় পক্ষপাত। অর্থাৎ কোনো কাজ সম্পন্ন করতে আসলে কত সময় লাগবে, তা সঠিকভাবে আন্দাজ করতে না পারা; বিশেষ করে আশাবাদী মানুষেরা মনে করেন, সবকিছুই খুব মসৃণভাবে চলবে। তাঁরা রাস্তায় যানজট বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত বিঘ্নের কথা বিবেচনায় রাখেন না বলে তাঁদের হাতে কোনো অতিরিক্ত সময় থাকে না। ফলে একবার জ্যামে পড়েই সব শেষ। এ ছাড়া অনেকের মধ্যে পার্সোনাল স্পিড ইলিউশন কাজ করে। তাঁরা মনে করেন, শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়ো করে সব কাজ দ্রুত সেরে ফেলতে পারবেন। এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস তাঁদের সময়সূচি সংকুচিত করে ফেলে এবং শেষ পর্যন্ত তাঁরা দেরি করেন।
ব্যক্তিত্বের ধরন: সচেতনতা বনাম বিশৃঙ্খলা
ব্যক্তিত্বের বৈচিত্র্যও সময়ানুবর্তিতার ওপর বড় প্রভাব ফেলে। বিভিন্ন গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, যাঁদের মধ্যে সচেতনতাবোধ বেশি, তাঁরা প্রাকৃতিকভাবে আগে থেকে পরিকল্পনা করেন এবং খুঁটিনাটি বিষয়ের দিকে নজর দেন। ফলে তাঁরা সময়মতো সবখানে পৌঁছাতে পারেন। অন্যদিকে, যাঁরা প্রাকৃতিকভাবে কিছুটা অগোছালো, তাঁদের পক্ষে সময়ের হিসাব রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এটি পরিবর্তনের জন্য আমূল ব্যক্তিত্ব বদলানোর প্রয়োজন নেই। ঘড়ি বা অ্যালার্মের মতো বাহ্যিক সাহায্যের মাধ্যমে এই সচেতনতা বাড়ানো সম্ভব।
বহুমুখী কাজ এবং সংস্কৃতির প্রভাব
যাঁরা একই সঙ্গে অনেক কাজ করতে পছন্দ করেন, তাঁদের দেরি করার প্রবণতা বেশি থাকে। তাঁরা ঘড়ির কাঁটার চেয়ে মুহূর্তের গুরুত্ব বা সম্পর্কের ওপর বেশি জোর দেন। ফলে কারও সঙ্গে কথা বলতে বলতে তাঁরা সময়ের জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এর সঙ্গে সংস্কৃতির একটি যোগসূত্র আছে। লাতিন আমেরিকা বা মধ্যপ্রাচ্যের মতো পলিক্রোনিক সংস্কৃতিতে সামাজিক যোগাযোগকে সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর জার্মানি, জাপান বা আমেরিকার মতো দেশে সময়কে অত্যন্ত কড়াকড়িভাবে দেখা হয়। এই সাংস্কৃতিক পার্থক্যের কারণেও অনেকে নিজের অজান্তে লেট লতিফ হয়ে ওঠেন।
রাতজাগা পাখি ও জৈবিক ঘড়ি
আমাদের শরীরের ভেতরে একটি প্রাকৃতিক ঘড়ি বা সার্কাডিয়ান রিদম থাকে। যাঁরা প্রাকৃতিকভাবে নাইট আউল বা রাতজাগা পাখি, তাঁদের মস্তিষ্ক সকালে দেরিতে সক্রিয় হয়। তাঁদের শরীরে মেলাটোনিন হরমোন দেরিতে নিঃসৃত হয়। ফলে খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা তাঁদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ে। এই জৈবিক কারণে সকালের প্রতিটি কাজে তাঁদের দেরি হতে থাকে এবং সারা দিন এর প্রভাব বজায় থাকে।
টাইম ব্লাইন্ডনেস বা সময়ের অন্ধত্ব
এডিএইচডি, অটিজম বা ডিসলেক্সিয়ার মতো নিউরোডাইভারজেন্ট বৈশিষ্ট্যের অধিকারীদের মধ্যে প্রায়ই টাইম ব্লাইন্ডনেস বা সময়ের অন্ধত্ব দেখা যায়। তাঁদের কাছে সময় অত্যন্ত অননুমেয়ভাবে অতিবাহিত হয়। তাঁরা কোনো একটি কাজ থেকে অন্য কাজে যাওয়ার সময়টুকুর হিসাব রাখতে পারেন না। এটি কোনো ইচ্ছাকৃত ভুল নয়, বরং তাঁদের মস্তিষ্কের গঠনগত কারণেই তাঁরা সময়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হিমশিম খান।
সমাধানের পথ কী
বিজ্ঞান শুধু সমস্যার কথাই বলে না। উত্তরণের পথও দেখায়। এই অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে—
সময়ের হিসাব দ্বিগুণ করা: কোনো কাজ বা যাতায়াতে যতটুকু সময় লাগবে বলে মনে হয়, হিসাবে তার দ্বিগুণ সময় হাতে রাখা।
বিচ্ছিন্ন পদক্ষেপের তালিকা: কোথাও যাওয়ার জন্য প্রতিটি ছোট ছোট পদক্ষেপ; যেমন তৈরি হওয়া, জুতা পরা, বের হওয়া ইত্যাদির জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ করা।
বাহ্যিক সংকেত ব্যবহার: কেবল ইচ্ছাশক্তির ওপর নির্ভর না করে অ্যালার্ম, চেক লিস্ট বা ডিজিটাল টুল ব্যবহার করা।
সহমর্মিতা: সময়নিষ্ঠ ব্যক্তি এবং লেট লতিফদের বুঝতে হবে যে প্রত্যেকে সময়কে ভিন্নভাবে অনুভব করেন। ফলে একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা দেখালে সম্পর্কের টানাপোড়েন কমে।
সূত্র: লাইফ সায়েন্স, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

বর্ষা পেরিয়ে এখন চলছে শরৎ। এ সময় পাহাড়ের রং থাকে সবুজ। ঝরনা-ঝিরিতেও যথেষ্ট পানি আছে। এদিকে বৃষ্টি কমে আসায় জঙ্গল-পাহাড় ভ্রমণে বিপত্তিতে পড়ার সুযোগ কম। কাজেই সবুজ পাহাড়-বনানী, পাহাড়ি নদী, ঝিরি ভ্রমণের জন্য সময়টা আদর্শ। আপনার জন্য বাড়তি পাওয়া শরতের নীল আকাশ। আজ বিশ্ব পর্যটন দিবসে থাকছে চট্টগ্রাম ও সিল
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন।
১৩ ঘণ্টা আগে
দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে? ৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে...
১৩ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
১৪ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন। আগামী বছর লিপস্টিকের ট্রেন্ডে থাকবে কিছু বৈচিত্র্য; একদিকে থাকবে স্নিগ্ধ গোলাপি আভা, অন্যদিকে ব্ল্যাক ও চেরি রেডের মতো শেডগুলো।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রিমিয়াম বিউটি ও মেকআপ স্টুডিও ব্র্যান্ড কেলি ঝাং মেকআপের নতুন পাঁচটি ট্রেন্ডের কথা জানিয়েছে।

স্মোকি রোজ
কয়েক বছর ধরে ন্যুড শেডের জনপ্রিয়তা থাকলেও ২০২৬ সালে ঠোঁটে ফিরে আসবে ক্ল্যাসিক গোলাপি আভা। তবে এবারের গোলাপি কোনো চড়া বা উগ্র শেড নয়, বরং এটি হবে অত্যন্ত স্নিগ্ধ, কোমল ও অনুজ্জ্বল একধরনের ‘স্মোকি রোজ’ শেড। এই শেড চেহারায় তাৎক্ষণিক একটি সতেজ ভাব ফুটিয়ে তোলে এবং একদম ভারী মনে হয় না। যাঁরা একেবারে ন্যাচারাল বা ‘ক্লিন মেকআপ লুক’ পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এটি হবে সেরা পছন্দ। সাধারণ ন্যুড শেডগুলো চেহারায় একটি ফ্যাকাশে ভাব আনে। কিন্তু স্মোকি রোজ সাধারণ ন্যুডের চেয়ে একটু বেশি উজ্জ্বল হওয়ায় চেহারায় আনে স্নিগ্ধ ভাব। নিত্যদিনের আউটিংয়ের জন্য নিজেকে মার্জিত এবং সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে আগামী বছর এই ট্রেন্ড থাকবে তালিকার শীর্ষে।

গথিক ব্ল্যাক
যাঁরা একটু সাহসী লুক পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য সামনের বছর ফিরতে চলেছে ব্ল্যাক লিপস্টিক। সাধারণত ফ্যাশন শো বা এডিটরিয়ালে এর ব্যবহার বেশি দেখা গেলেও ২০২৬ সালে এটি মূলধারার ফ্যাশনে জায়গা করে নেবে। ক্লিন মেকআপ লুকের বদলে যাঁরা একটু বোল্ড বা ড্রামাটিক লুক চাচ্ছেন, তাঁদের জন্য সেরা হবে এই পিগমেন্টেড ব্ল্যাক লিপস্টিক।

ক্লাউড লিপস
এটি হতে চলেছে ২০২৬ সালের অন্যতম সেরা ট্রেন্ড। বিশ্বখ্যাত কালার ইনস্টিটিউট প্যানটোন ২০২৬ সালের জন্য যে ‘ক্লাউড ড্যান্সার’ রং বেছে নিয়েছে, সামনের বছর লিপস্টিকের শেডেও এর প্রতিফলন দেখা যাবে। এই ট্রেন্ডে ঠোঁটের বর্ডার কিংবা রেখা খুব একটা স্পষ্ট থাকে না, বরং হালকাভাবে ব্লার করে দেওয়া হয়। এটি দেখতে অনেকটা ফ্রেঞ্চ বা কোরিয়ান মেকআপের মতো মনে হয়, যা খুবই স্নিগ্ধ দেখায়। প্রতিদিনের হালকা সাজের জন্য এই ক্লাউড লিপস হবে দারুণ মানানসই।

ভিনাইল লিপস
যাঁরা ম্যাট নাকি গ্লসি লিপস নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন, তাঁদের জন্য সুখবর হিসেবে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে হাই-শাইন বা ভিনাইল লিপস। ভিনাইল ফিনিশ মূলত ঠোঁটে আয়নার মতো একধরনের চকচকে আভা তৈরি করে, যা ঠোঁটকে আরও ভরাট, মসৃণ ও সজীব করে তোলে। লিপ গ্লস, লিপ অয়েল বা স্টেইন ব্যবহার করে খুব সহজে এই লুক তৈরি করা সম্ভব। ম্যাট লিপস্টিকই বেশি পছন্দ হলে লিপস্টিকের ওপর ঠোঁটের মাঝ বরাবর কিছুটা ট্রান্সপারেন্ট গ্লস বা লিপ অয়েল লাগিয়ে নিলে মুহূর্তেই তৈরি হয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত ভিনাইল লুক। ২০২৬ সালে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে এই লুকই হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।

চেরি রেড
লাল রঙের আবেদন কখনো পুরোনো হওয়ার নয়। ২০২৬ সালে ফিরে আসতে চলেছে চেরি রেড বা গাঢ় লাল লিপস্টিক। উজ্জ্বল ত্বকের সঙ্গে একটি গাঢ় লাল লিপস্টিক মুহূর্তে আপনাকে দিতে পারে আত্মবিশ্বাসী ও অভিজাত লুক। তবে এই বোল্ড লুক নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে দরকার একটু প্রস্তুতি। সুন্দর একটা ফিনিশ পেতে লিপস্টিক ব্যবহারের আগে ঠোঁট ভালো করে এক্সফোলিয়েট করে সামান্য লিপ বাম লাগিয়ে লিপস্টিক দিলে তা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় এবং ঠোঁট দেখায় বেশ মসৃণ ও আকর্ষণীয়।
সূত্র: গ্ল্যামার

মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন। আগামী বছর লিপস্টিকের ট্রেন্ডে থাকবে কিছু বৈচিত্র্য; একদিকে থাকবে স্নিগ্ধ গোলাপি আভা, অন্যদিকে ব্ল্যাক ও চেরি রেডের মতো শেডগুলো।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রিমিয়াম বিউটি ও মেকআপ স্টুডিও ব্র্যান্ড কেলি ঝাং মেকআপের নতুন পাঁচটি ট্রেন্ডের কথা জানিয়েছে।

স্মোকি রোজ
কয়েক বছর ধরে ন্যুড শেডের জনপ্রিয়তা থাকলেও ২০২৬ সালে ঠোঁটে ফিরে আসবে ক্ল্যাসিক গোলাপি আভা। তবে এবারের গোলাপি কোনো চড়া বা উগ্র শেড নয়, বরং এটি হবে অত্যন্ত স্নিগ্ধ, কোমল ও অনুজ্জ্বল একধরনের ‘স্মোকি রোজ’ শেড। এই শেড চেহারায় তাৎক্ষণিক একটি সতেজ ভাব ফুটিয়ে তোলে এবং একদম ভারী মনে হয় না। যাঁরা একেবারে ন্যাচারাল বা ‘ক্লিন মেকআপ লুক’ পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এটি হবে সেরা পছন্দ। সাধারণ ন্যুড শেডগুলো চেহারায় একটি ফ্যাকাশে ভাব আনে। কিন্তু স্মোকি রোজ সাধারণ ন্যুডের চেয়ে একটু বেশি উজ্জ্বল হওয়ায় চেহারায় আনে স্নিগ্ধ ভাব। নিত্যদিনের আউটিংয়ের জন্য নিজেকে মার্জিত এবং সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে আগামী বছর এই ট্রেন্ড থাকবে তালিকার শীর্ষে।

গথিক ব্ল্যাক
যাঁরা একটু সাহসী লুক পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য সামনের বছর ফিরতে চলেছে ব্ল্যাক লিপস্টিক। সাধারণত ফ্যাশন শো বা এডিটরিয়ালে এর ব্যবহার বেশি দেখা গেলেও ২০২৬ সালে এটি মূলধারার ফ্যাশনে জায়গা করে নেবে। ক্লিন মেকআপ লুকের বদলে যাঁরা একটু বোল্ড বা ড্রামাটিক লুক চাচ্ছেন, তাঁদের জন্য সেরা হবে এই পিগমেন্টেড ব্ল্যাক লিপস্টিক।

ক্লাউড লিপস
এটি হতে চলেছে ২০২৬ সালের অন্যতম সেরা ট্রেন্ড। বিশ্বখ্যাত কালার ইনস্টিটিউট প্যানটোন ২০২৬ সালের জন্য যে ‘ক্লাউড ড্যান্সার’ রং বেছে নিয়েছে, সামনের বছর লিপস্টিকের শেডেও এর প্রতিফলন দেখা যাবে। এই ট্রেন্ডে ঠোঁটের বর্ডার কিংবা রেখা খুব একটা স্পষ্ট থাকে না, বরং হালকাভাবে ব্লার করে দেওয়া হয়। এটি দেখতে অনেকটা ফ্রেঞ্চ বা কোরিয়ান মেকআপের মতো মনে হয়, যা খুবই স্নিগ্ধ দেখায়। প্রতিদিনের হালকা সাজের জন্য এই ক্লাউড লিপস হবে দারুণ মানানসই।

ভিনাইল লিপস
যাঁরা ম্যাট নাকি গ্লসি লিপস নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন, তাঁদের জন্য সুখবর হিসেবে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে হাই-শাইন বা ভিনাইল লিপস। ভিনাইল ফিনিশ মূলত ঠোঁটে আয়নার মতো একধরনের চকচকে আভা তৈরি করে, যা ঠোঁটকে আরও ভরাট, মসৃণ ও সজীব করে তোলে। লিপ গ্লস, লিপ অয়েল বা স্টেইন ব্যবহার করে খুব সহজে এই লুক তৈরি করা সম্ভব। ম্যাট লিপস্টিকই বেশি পছন্দ হলে লিপস্টিকের ওপর ঠোঁটের মাঝ বরাবর কিছুটা ট্রান্সপারেন্ট গ্লস বা লিপ অয়েল লাগিয়ে নিলে মুহূর্তেই তৈরি হয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত ভিনাইল লুক। ২০২৬ সালে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে এই লুকই হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।

চেরি রেড
লাল রঙের আবেদন কখনো পুরোনো হওয়ার নয়। ২০২৬ সালে ফিরে আসতে চলেছে চেরি রেড বা গাঢ় লাল লিপস্টিক। উজ্জ্বল ত্বকের সঙ্গে একটি গাঢ় লাল লিপস্টিক মুহূর্তে আপনাকে দিতে পারে আত্মবিশ্বাসী ও অভিজাত লুক। তবে এই বোল্ড লুক নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে দরকার একটু প্রস্তুতি। সুন্দর একটা ফিনিশ পেতে লিপস্টিক ব্যবহারের আগে ঠোঁট ভালো করে এক্সফোলিয়েট করে সামান্য লিপ বাম লাগিয়ে লিপস্টিক দিলে তা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় এবং ঠোঁট দেখায় বেশ মসৃণ ও আকর্ষণীয়।
সূত্র: গ্ল্যামার

বর্ষা পেরিয়ে এখন চলছে শরৎ। এ সময় পাহাড়ের রং থাকে সবুজ। ঝরনা-ঝিরিতেও যথেষ্ট পানি আছে। এদিকে বৃষ্টি কমে আসায় জঙ্গল-পাহাড় ভ্রমণে বিপত্তিতে পড়ার সুযোগ কম। কাজেই সবুজ পাহাড়-বনানী, পাহাড়ি নদী, ঝিরি ভ্রমণের জন্য সময়টা আদর্শ। আপনার জন্য বাড়তি পাওয়া শরতের নীল আকাশ। আজ বিশ্ব পর্যটন দিবসে থাকছে চট্টগ্রাম ও সিল
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বন্ধুমহলে এমন অনেকে থাকেন, যাঁরা সব সময় দেরি করে আড্ডায় পৌঁছান। তাঁদের ফোন করলে যদি শোনা যায়, ‘এই তো, বাসা থেকে বের হয়েছি’, তাহলে মোবাইল ফোনের অপর প্রান্তে থাকা বন্ধুটি অনায়াসে বুঝে নেন, বন্ধুটি আসলে বাসায় আছেন। তেমনই অফিসে এমন অনেকে আছেন, যাঁদের মিটিংয়ের দিন কীভাবে যেন একটা না একটা সমস্যা জুটে যায়!
৫ ঘণ্টা আগে
দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে? ৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে...
১৩ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে?
৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। নতুন এই গবেষণার চমকপ্রদ দিক হলো, ‘একই দাওয়াই সবার জন্য’ এই পুরোনো ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানানো।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি আগে থেকে কম বা মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে, তাঁদের মৃত্যুঝুঁকি কমার ক্ষেত্রে পরবর্তী পাঁচ বছরে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি কমানো তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি। তবে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য চিত্রটি ভিন্ন। তাঁদের ক্ষেত্রে চর্বি কমানো বা পরিবর্তন করা মৃত্যুঝুঁকি এবং হার্ট অ্যাটাকের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। মূলত স্যাচুরেটেড ফ্যাট লিভারের ব্যাড কোলেস্টেরল বা এলডিএল পরিষ্কার করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে রক্তনালিতে চর্বি জমে প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। তবে পাঁচ বছরের স্বল্প মেয়াদে সুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই কোলেস্টেরল কমানো হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সরাসরি ভূমিকা রাখছে না বলেই গবেষণায় উঠে এসেছে।
পরিবর্তন যখন খাদ্যের স্বাদে

গবেষকেরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। তা হলো, আপনি কী খাচ্ছেন না, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি তার বদলে কী খাচ্ছেন। কেবল চর্বি কমানোর চেয়ে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের বদলে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট; যেমন বাদাম, স্যামন বা ম্যাকারেল মাছের তেল গ্রহণ করা অনেক বেশি কার্যকর। এ ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছোট পরীক্ষা বেশ কার্যকর। সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের এক দলকে দেওয়া হয়েছিল প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত কেক ও বিস্কুট, আর অন্য দলকে দেওয়া হয়েছিল সমপরিমাণ ক্যালরির স্বাস্থ্যকর ফ্যাট (বাদাম ও মাছ)। এই গবেষণার ফল ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম দলের রক্তে ব্যাড কোলেস্টেরল ১০ শতাংশ এবং লিভারে চর্বির পরিমাণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল, যা ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের বড় কারণ। বিপরীতে, যাঁরা স্বাস্থ্যকর চর্বি খেয়েছিলেন, তাঁদের কোলেস্টেরল শুধু কমেইনি, বরং হৃদ্যন্ত্রের কর্মক্ষমতাও বেড়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নীতা ফরুহি এই গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, পাঁচ বছর সময়কাল হৃদ্রোগের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বোঝার জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ, হৃদ্রোগের ঝুঁকি মডেলগুলো সাধারণত ১০ বছরের হিসাব ধরে তৈরি করা হয়। এ ছাড়া তিনি আরও একটি দিক তুলে ধরেছেন, সব স্যাচুরেটেড ফ্যাট এক নয়। লাল মাংসের ফ্যাট এবং গাঁজানো দুগ্ধজাত পণ্য; যেমন দই বা পনির আমাদের শরীরে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে কাজ করতে পারে। তাই কেবল নিউট্রিশন বা উপাদানের দিকে নয়; বরং সেই উপাদানের উৎসের দিকে নজর দিতে হবে। কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক টম স্যান্ডার্স আবার বলছেন, গত ৫০ বছরে কোলেস্টেরল এবং হৃদ্রোগে মৃত্যুহার কমার পেছনে এই প্রচলিত খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শগুলোর বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই গড়পড়তা কোলেস্টেরল লেভেল কমিয়ে রাখা পুরো জনসংখ্যার জন্যই দীর্ঘ মেয়াদে মঙ্গলজনক।
ভারসাম্যই যেখানে চাবিকাঠি
গবেষণা আর পাল্টা গবেষণার এই ভিড়ে সাধারণ মানুষের জন্য বার্তাটি বেশ স্পষ্ট। চর্বি আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। কারণ, এটি ভিটামিন শোষণে সাহায্য করে। এনএইচএসের পরামর্শ অনুযায়ী, পুরুষদের দৈনিক ৩০ গ্রাম এবং নারীদের ২০ গ্রামের বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু জীবন বাঁচাতে শুধু ফ্যাট কমানোই যথেষ্ট নয়। প্রক্রিয়াজাত মাংস বা কেক-বিস্কুটের বদলে প্লেটে রাখতে হবে তৈলাক্ত মাছ, বাদাম ও উদ্ভিজ্জ তেল। স্যাচুরেটেড ফ্যাট হয়তো অনেকের জন্য তাৎক্ষণিক ঘাতক নয়, কিন্তু সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্যের গুণগত মান এবং উৎসের দিকে নজর দেওয়াই বরং বুদ্ধিমানের কাজ।
সূত্র: ডেইলি মেইল

দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে?
৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। নতুন এই গবেষণার চমকপ্রদ দিক হলো, ‘একই দাওয়াই সবার জন্য’ এই পুরোনো ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানানো।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি আগে থেকে কম বা মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে, তাঁদের মৃত্যুঝুঁকি কমার ক্ষেত্রে পরবর্তী পাঁচ বছরে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি কমানো তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি। তবে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য চিত্রটি ভিন্ন। তাঁদের ক্ষেত্রে চর্বি কমানো বা পরিবর্তন করা মৃত্যুঝুঁকি এবং হার্ট অ্যাটাকের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। মূলত স্যাচুরেটেড ফ্যাট লিভারের ব্যাড কোলেস্টেরল বা এলডিএল পরিষ্কার করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে রক্তনালিতে চর্বি জমে প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। তবে পাঁচ বছরের স্বল্প মেয়াদে সুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই কোলেস্টেরল কমানো হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সরাসরি ভূমিকা রাখছে না বলেই গবেষণায় উঠে এসেছে।
পরিবর্তন যখন খাদ্যের স্বাদে

গবেষকেরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। তা হলো, আপনি কী খাচ্ছেন না, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি তার বদলে কী খাচ্ছেন। কেবল চর্বি কমানোর চেয়ে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের বদলে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট; যেমন বাদাম, স্যামন বা ম্যাকারেল মাছের তেল গ্রহণ করা অনেক বেশি কার্যকর। এ ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছোট পরীক্ষা বেশ কার্যকর। সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের এক দলকে দেওয়া হয়েছিল প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত কেক ও বিস্কুট, আর অন্য দলকে দেওয়া হয়েছিল সমপরিমাণ ক্যালরির স্বাস্থ্যকর ফ্যাট (বাদাম ও মাছ)। এই গবেষণার ফল ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম দলের রক্তে ব্যাড কোলেস্টেরল ১০ শতাংশ এবং লিভারে চর্বির পরিমাণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল, যা ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের বড় কারণ। বিপরীতে, যাঁরা স্বাস্থ্যকর চর্বি খেয়েছিলেন, তাঁদের কোলেস্টেরল শুধু কমেইনি, বরং হৃদ্যন্ত্রের কর্মক্ষমতাও বেড়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নীতা ফরুহি এই গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, পাঁচ বছর সময়কাল হৃদ্রোগের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বোঝার জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ, হৃদ্রোগের ঝুঁকি মডেলগুলো সাধারণত ১০ বছরের হিসাব ধরে তৈরি করা হয়। এ ছাড়া তিনি আরও একটি দিক তুলে ধরেছেন, সব স্যাচুরেটেড ফ্যাট এক নয়। লাল মাংসের ফ্যাট এবং গাঁজানো দুগ্ধজাত পণ্য; যেমন দই বা পনির আমাদের শরীরে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে কাজ করতে পারে। তাই কেবল নিউট্রিশন বা উপাদানের দিকে নয়; বরং সেই উপাদানের উৎসের দিকে নজর দিতে হবে। কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক টম স্যান্ডার্স আবার বলছেন, গত ৫০ বছরে কোলেস্টেরল এবং হৃদ্রোগে মৃত্যুহার কমার পেছনে এই প্রচলিত খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শগুলোর বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই গড়পড়তা কোলেস্টেরল লেভেল কমিয়ে রাখা পুরো জনসংখ্যার জন্যই দীর্ঘ মেয়াদে মঙ্গলজনক।
ভারসাম্যই যেখানে চাবিকাঠি
গবেষণা আর পাল্টা গবেষণার এই ভিড়ে সাধারণ মানুষের জন্য বার্তাটি বেশ স্পষ্ট। চর্বি আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। কারণ, এটি ভিটামিন শোষণে সাহায্য করে। এনএইচএসের পরামর্শ অনুযায়ী, পুরুষদের দৈনিক ৩০ গ্রাম এবং নারীদের ২০ গ্রামের বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু জীবন বাঁচাতে শুধু ফ্যাট কমানোই যথেষ্ট নয়। প্রক্রিয়াজাত মাংস বা কেক-বিস্কুটের বদলে প্লেটে রাখতে হবে তৈলাক্ত মাছ, বাদাম ও উদ্ভিজ্জ তেল। স্যাচুরেটেড ফ্যাট হয়তো অনেকের জন্য তাৎক্ষণিক ঘাতক নয়, কিন্তু সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্যের গুণগত মান এবং উৎসের দিকে নজর দেওয়াই বরং বুদ্ধিমানের কাজ।
সূত্র: ডেইলি মেইল

বর্ষা পেরিয়ে এখন চলছে শরৎ। এ সময় পাহাড়ের রং থাকে সবুজ। ঝরনা-ঝিরিতেও যথেষ্ট পানি আছে। এদিকে বৃষ্টি কমে আসায় জঙ্গল-পাহাড় ভ্রমণে বিপত্তিতে পড়ার সুযোগ কম। কাজেই সবুজ পাহাড়-বনানী, পাহাড়ি নদী, ঝিরি ভ্রমণের জন্য সময়টা আদর্শ। আপনার জন্য বাড়তি পাওয়া শরতের নীল আকাশ। আজ বিশ্ব পর্যটন দিবসে থাকছে চট্টগ্রাম ও সিল
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বন্ধুমহলে এমন অনেকে থাকেন, যাঁরা সব সময় দেরি করে আড্ডায় পৌঁছান। তাঁদের ফোন করলে যদি শোনা যায়, ‘এই তো, বাসা থেকে বের হয়েছি’, তাহলে মোবাইল ফোনের অপর প্রান্তে থাকা বন্ধুটি অনায়াসে বুঝে নেন, বন্ধুটি আসলে বাসায় আছেন। তেমনই অফিসে এমন অনেকে আছেন, যাঁদের মিটিংয়ের দিন কীভাবে যেন একটা না একটা সমস্যা জুটে যায়!
৫ ঘণ্টা আগে
মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন।
১৩ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান। বন্ধুদের সঙ্গে সময় ভালো কাটবে, তবে তাদের পকেট মারার চেষ্টা করবেন না!
বৃষ
আজ খুব ব্যস্ত থাকবেন। এত দৌড়ঝাঁপ করবেন যে লোকে ভাববে আপনি বোধহয় অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সাবধান, আজ পায়ে চোট পাওয়ার প্রবল যোগ। রাস্তাঘাটে মোবাইলে মুখ গুঁজে না হেঁটে একটু সামনের দিকে তাকান। আর্থিক বিনিয়োগের জন্য দিনটি ভালো, তবে টাকাটা লটারিতে না লাগিয়ে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে লাগালে ভবিষ্যতে বাড়ির লোক আপনাকে অন্তত একটু সম্মান দেবে।
মিথুন
অফিসে আজ বসের প্রচুর কথা শুনতে হতে পারে। মনে রাখবেন, বসের কথাগুলো অনেকটা রেডিওর বিজ্ঞাপনের মতো—শুনতে খারাপ লাগলেও বন্ধ করার উপায় নেই। বাড়িতে গেস্ট আসার সম্ভাবনা আছে, যা আপনার শান্তিতে বিঘ্ন ঘটাবে। জরুরি কাগজে সই করার আগে অন্তত তিনবার পড়ে নিন, নয়তো পরে দেখবেন নিজের সম্পত্তি অজান্তেই কাউকে দান করে দিয়েছেন। আর্থিক দিকটা মোটামুটি উজ্জ্বল।
কর্কট
সকাল থেকে ব্যবসায় ভালো গতি আসবে। কাস্টমারকে কথা বলার সুযোগ দেবেন না, একাই বকে যান। তবে খরচ করার সময় একটু রাশ টানুন, জমানো টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার ভয় আছে। ভাই-বোনদের ওপর আজ দাদাগিরি ফলাতে পারবেন, তারা আপনার কথা শুনবে (হয়তো ভয়ে)। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, কিন্তু তাই বলে আজই হিমালয়ে ট্রেকিং করতে বেরিয়ে যাবেন না!
সিংহ
স্ত্রীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার যোগ আছে। মনে রাখবেন, স্ত্রীর হাসি মানেই আপনার পকেটের ফাঁসি! পাশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে। যদি কেউ আপনার নামে ষড়যন্ত্র করে, তবে জানবেন জনপ্রিয় হচ্ছেন। আজ নতুন কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে পারে, তবে সেই বন্ধুর থেকে টাকা ধার নেওয়ার কথা এখনই ভাববেন না।
কন্যা
আপনার অসাধারণ বুদ্ধির জোরে আজ ব্যবসায় মুনাফা বাড়বে। ঋণ থেকে মুক্তির সুযোগ আসতে পারে, কিন্তু তার জন্য লটারি জেতার অপেক্ষা করলে চলবে না। আজ কাউকে ‘না’ বলতে শিখুন, নয়তো লোকে আপনাকে দিয়ে অফিসের সব ছোট কাজ করিয়ে নেবে। ভ্রমণে বেরোলে পেটের দিকে খেয়াল রাখুন, রাস্তার ফুচকা আপনার বড় শত্রু হতে পারে।
তুলা
প্রেমে অতিরিক্ত আশা করা আজ ঠিক হবে না। হয়তো চাঁদ-তারা এনে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, আর সঙ্গী হয়তো ভাবছে পরের মাসে ইলেকট্রিক বিল কে দেবে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে। তাড়াহুড়ো এড়িয়ে চলুন, শান্তিতে এক কাপ চা খান। মনে রাখবেন, প্রেম না টিকলে কাচ্চি বিরিয়ানি তো আছেই!
বৃশ্চিক
সকালের দিকে কোনো বন্ধুর দ্বারা একটু বিরক্ত হতে পারেন। হয়তো সে আপনার কাছে পুরোনো ধার চাইতে এসেছে। শরীরের কোথাও ব্যথা আজ আপনার কাজে বাগড়া দিতে পারে। হাঁটাহাঁটি করার সময় একটু সচেতন থাকুন। প্রিয়জনের প্রতি আস্থা বজায় রাখুন, অকারণে গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে কপালে দুঃখ আছে।
ধনু
আজ সকাল থেকেই মন খাওয়ার দিকে থাকবে। ডায়েট চার্টটা আজ ড্রয়ারে ভরে রাখুন। সমাজে দান-ধ্যান করার জন্য খ্যাতি বাড়তে পারে, তবে নিজের পকেট খালি করে দান করবেন না। অতিথিদের সংখ্যা বাড়তে পারে, তাই ফ্রিজে অন্তত কয়েকটা মিষ্টি মজুত রাখুন। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ থাকবে।
মকর
অংশীদারি ব্যবসায় নিজের অধিকার বজায় রাখার চেষ্টা করুন, নয়তো পার্টনার আপনাকে দিয়ে চা বানিয়ে নেবে। শিল্পীদের জন্য আজ দারুণ সুযোগ আসতে পারে। গাড়ি কেনার পরিকল্পনা থাকলে আজ আলোচনা এগোতে পারেন। গুরুজনদের শরীর নিয়ে একটু দুশ্চিন্তা হতে পারে, তাই অযথা তর্ক করে তাঁদের ব্লাড প্রেশার বাড়াবেন না।
কুম্ভ
আজকের দিনটি আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বিবাদে জড়ানোর সম্ভাবনা আছে, তাই পাড়ার মোড়ে অযথা তর্ক করবেন না। ব্যবসায় একটু ক্ষতির আশঙ্কা আছে, তাই বড় ইনভেস্টমেন্ট আজ এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন, অন্তত প্রতিদিন সকালে দাঁত মাজাটা শুরু করতে পারেন!
মীন
আজ কর্মক্ষেত্রে পরিস্থিতি আপনার অনুকূল থাকবে। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে বসের চেয়ারে বসে পড়বেন না। পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই বড় সিদ্ধান্ত নিন। মূল্যবান জিনিসপত্রের প্রতি যত্নশীল হোন, নয়তো দেখবেন মোবাইলটা ভুলে বাসেই ফেলে এসেছেন। দিনটি সামগ্রিকভাবে শুভ, শুধু বিকেলের পর একটু শান্ত থাকুন।

মেষ
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান। বন্ধুদের সঙ্গে সময় ভালো কাটবে, তবে তাদের পকেট মারার চেষ্টা করবেন না!
বৃষ
আজ খুব ব্যস্ত থাকবেন। এত দৌড়ঝাঁপ করবেন যে লোকে ভাববে আপনি বোধহয় অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সাবধান, আজ পায়ে চোট পাওয়ার প্রবল যোগ। রাস্তাঘাটে মোবাইলে মুখ গুঁজে না হেঁটে একটু সামনের দিকে তাকান। আর্থিক বিনিয়োগের জন্য দিনটি ভালো, তবে টাকাটা লটারিতে না লাগিয়ে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে লাগালে ভবিষ্যতে বাড়ির লোক আপনাকে অন্তত একটু সম্মান দেবে।
মিথুন
অফিসে আজ বসের প্রচুর কথা শুনতে হতে পারে। মনে রাখবেন, বসের কথাগুলো অনেকটা রেডিওর বিজ্ঞাপনের মতো—শুনতে খারাপ লাগলেও বন্ধ করার উপায় নেই। বাড়িতে গেস্ট আসার সম্ভাবনা আছে, যা আপনার শান্তিতে বিঘ্ন ঘটাবে। জরুরি কাগজে সই করার আগে অন্তত তিনবার পড়ে নিন, নয়তো পরে দেখবেন নিজের সম্পত্তি অজান্তেই কাউকে দান করে দিয়েছেন। আর্থিক দিকটা মোটামুটি উজ্জ্বল।
কর্কট
সকাল থেকে ব্যবসায় ভালো গতি আসবে। কাস্টমারকে কথা বলার সুযোগ দেবেন না, একাই বকে যান। তবে খরচ করার সময় একটু রাশ টানুন, জমানো টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার ভয় আছে। ভাই-বোনদের ওপর আজ দাদাগিরি ফলাতে পারবেন, তারা আপনার কথা শুনবে (হয়তো ভয়ে)। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, কিন্তু তাই বলে আজই হিমালয়ে ট্রেকিং করতে বেরিয়ে যাবেন না!
সিংহ
স্ত্রীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার যোগ আছে। মনে রাখবেন, স্ত্রীর হাসি মানেই আপনার পকেটের ফাঁসি! পাশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে। যদি কেউ আপনার নামে ষড়যন্ত্র করে, তবে জানবেন জনপ্রিয় হচ্ছেন। আজ নতুন কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে পারে, তবে সেই বন্ধুর থেকে টাকা ধার নেওয়ার কথা এখনই ভাববেন না।
কন্যা
আপনার অসাধারণ বুদ্ধির জোরে আজ ব্যবসায় মুনাফা বাড়বে। ঋণ থেকে মুক্তির সুযোগ আসতে পারে, কিন্তু তার জন্য লটারি জেতার অপেক্ষা করলে চলবে না। আজ কাউকে ‘না’ বলতে শিখুন, নয়তো লোকে আপনাকে দিয়ে অফিসের সব ছোট কাজ করিয়ে নেবে। ভ্রমণে বেরোলে পেটের দিকে খেয়াল রাখুন, রাস্তার ফুচকা আপনার বড় শত্রু হতে পারে।
তুলা
প্রেমে অতিরিক্ত আশা করা আজ ঠিক হবে না। হয়তো চাঁদ-তারা এনে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, আর সঙ্গী হয়তো ভাবছে পরের মাসে ইলেকট্রিক বিল কে দেবে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে। তাড়াহুড়ো এড়িয়ে চলুন, শান্তিতে এক কাপ চা খান। মনে রাখবেন, প্রেম না টিকলে কাচ্চি বিরিয়ানি তো আছেই!
বৃশ্চিক
সকালের দিকে কোনো বন্ধুর দ্বারা একটু বিরক্ত হতে পারেন। হয়তো সে আপনার কাছে পুরোনো ধার চাইতে এসেছে। শরীরের কোথাও ব্যথা আজ আপনার কাজে বাগড়া দিতে পারে। হাঁটাহাঁটি করার সময় একটু সচেতন থাকুন। প্রিয়জনের প্রতি আস্থা বজায় রাখুন, অকারণে গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে কপালে দুঃখ আছে।
ধনু
আজ সকাল থেকেই মন খাওয়ার দিকে থাকবে। ডায়েট চার্টটা আজ ড্রয়ারে ভরে রাখুন। সমাজে দান-ধ্যান করার জন্য খ্যাতি বাড়তে পারে, তবে নিজের পকেট খালি করে দান করবেন না। অতিথিদের সংখ্যা বাড়তে পারে, তাই ফ্রিজে অন্তত কয়েকটা মিষ্টি মজুত রাখুন। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ থাকবে।
মকর
অংশীদারি ব্যবসায় নিজের অধিকার বজায় রাখার চেষ্টা করুন, নয়তো পার্টনার আপনাকে দিয়ে চা বানিয়ে নেবে। শিল্পীদের জন্য আজ দারুণ সুযোগ আসতে পারে। গাড়ি কেনার পরিকল্পনা থাকলে আজ আলোচনা এগোতে পারেন। গুরুজনদের শরীর নিয়ে একটু দুশ্চিন্তা হতে পারে, তাই অযথা তর্ক করে তাঁদের ব্লাড প্রেশার বাড়াবেন না।
কুম্ভ
আজকের দিনটি আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বিবাদে জড়ানোর সম্ভাবনা আছে, তাই পাড়ার মোড়ে অযথা তর্ক করবেন না। ব্যবসায় একটু ক্ষতির আশঙ্কা আছে, তাই বড় ইনভেস্টমেন্ট আজ এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন, অন্তত প্রতিদিন সকালে দাঁত মাজাটা শুরু করতে পারেন!
মীন
আজ কর্মক্ষেত্রে পরিস্থিতি আপনার অনুকূল থাকবে। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে বসের চেয়ারে বসে পড়বেন না। পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই বড় সিদ্ধান্ত নিন। মূল্যবান জিনিসপত্রের প্রতি যত্নশীল হোন, নয়তো দেখবেন মোবাইলটা ভুলে বাসেই ফেলে এসেছেন। দিনটি সামগ্রিকভাবে শুভ, শুধু বিকেলের পর একটু শান্ত থাকুন।

বর্ষা পেরিয়ে এখন চলছে শরৎ। এ সময় পাহাড়ের রং থাকে সবুজ। ঝরনা-ঝিরিতেও যথেষ্ট পানি আছে। এদিকে বৃষ্টি কমে আসায় জঙ্গল-পাহাড় ভ্রমণে বিপত্তিতে পড়ার সুযোগ কম। কাজেই সবুজ পাহাড়-বনানী, পাহাড়ি নদী, ঝিরি ভ্রমণের জন্য সময়টা আদর্শ। আপনার জন্য বাড়তি পাওয়া শরতের নীল আকাশ। আজ বিশ্ব পর্যটন দিবসে থাকছে চট্টগ্রাম ও সিল
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বন্ধুমহলে এমন অনেকে থাকেন, যাঁরা সব সময় দেরি করে আড্ডায় পৌঁছান। তাঁদের ফোন করলে যদি শোনা যায়, ‘এই তো, বাসা থেকে বের হয়েছি’, তাহলে মোবাইল ফোনের অপর প্রান্তে থাকা বন্ধুটি অনায়াসে বুঝে নেন, বন্ধুটি আসলে বাসায় আছেন। তেমনই অফিসে এমন অনেকে আছেন, যাঁদের মিটিংয়ের দিন কীভাবে যেন একটা না একটা সমস্যা জুটে যায়!
৫ ঘণ্টা আগে
মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন।
১৩ ঘণ্টা আগে
দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে? ৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে...
১৩ ঘণ্টা আগে