Ajker Patrika

বিমানে সিট বদল নিয়ে ঝামেলা এড়াতে করণীয়

ফিচার ডেস্ক
কেউ ভিডিও করলেও শান্ত থাকা জরুরি। ছবি পেক্সেলস
কেউ ভিডিও করলেও শান্ত থাকা জরুরি। ছবি পেক্সেলস

বিমানযাত্রায় মনের মতো সিট না হলে কিংবা তথাকথিত উইন্ডো সিটের জন্য অনেকেই অন্য যাত্রীদের অনুরোধ জানিয়ে থাকেন। এটা ভুল কিছু নয়, এখানে অনেকের দরকার আবার অনেকের ইচ্ছা জড়িত থাকে। তবে যাঁর সঙ্গে সিট বদল করতে চাচ্ছেন, তাঁকেও তো রাজি থাকতে হবে। হতে পারে যে সিটটা আপনি চাইছেন, সেখানে বসে থাকা মানুষটারও ওই সিটটাই দরকার। এ ক্ষেত্রে যিনি চাইছেন এবং যাঁর কাছে চাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে একটা নমনীয় কথোপকথনের দরকার। বিমানে সিট বদলাতে অস্বীকার করায় মানুষকে অমানবিক বা অসংবেদনশীল বলে অভিযুক্ত করার ঘটনাও কম নয়। সাধারণত তা ঘটে যখন কেউ কোনো অভিভাবক বা পরিবারের কারও জন্য সিট ছাড়তে অস্বীকার করে।

রেগে যাওয়া কিংবা উত্তেজিত হয়ে কথা বলা কোনো সমাধান এনে দেবে না। এ ক্ষেত্রে সামলানোর জন্য বিশেষজ্ঞের মতামত দরকার না হলেও অভিজ্ঞরা কি বলছেন, তা জেনে রাখা ভালো। এই বিষয়ে ভ্রমণবিষয়ক সাইট ট্রাভেল+লিজারে পরামর্শ দিয়েছেন দ্বন্দ্ব সমাধান বিশেষজ্ঞ এমিলি স্কিনার। তিনি অ্যাসোসিয়েশন ফর কনফ্লিক্ট রেজল্যুশনের গ্রেটার নিউইয়র্কের নির্বাচিত সভাপতি। কাজ করেছেন কর্মক্ষেত্রের দ্বন্দ্ব ও যোগাযোগবিষয়ক সমস্যা নিয়ে। স্কিনার ব্যাখ্যা করেছেন কীভাবে এ ধরনের মুহূর্ত জটিল হয়ে উঠতে পারে। কেউ মেনে না নিলে কী করতে হবে এবং কেউ ভিডিও করতে শুরু করলে কীভাবে সামলাতে হবে।

দ্বন্দ্বের ধরন জানুন

ভ্রমণের সময় কী ধরনের মানুষের মুখোমুখি হবেন, তা আগে থেকে বলা যায় না। স্কিনার বলেন, দ্বন্দ্ব মেটানোর প্রথম ধাপ হলো আপনি দ্বন্দ্বে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানান, তা বোঝা। বিমানে ওঠার আগেই ভেবে নিন, এমন পরিস্থিতিতে পড়লে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। কিংবা মনে মনে ভাবুন, এমন পরিস্থিতিতে আগে পড়ে থাকলে তখন কীভাবে সামলেছিলেন এবং তা ফলপ্রসূ হয়েছিল কি না। ভেবে রাখুন চাপের মুহূর্তে আপনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন। ধরন জানলে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। স্কিনার বলেন, আপনি যত বেশি সচেতন থাকবেন, তত বেশি আপনার নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

বিমানভ্রমনে অনেকেরই আকাঙ্ক্ষিত থাকে উইন্ডো সিট। ছবিঃ পেক্সেলস
বিমানভ্রমনে অনেকেরই আকাঙ্ক্ষিত থাকে উইন্ডো সিট। ছবিঃ পেক্সেলস

পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করুন

আপনি যদি কারও প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন আর তারা শুধু ‘ঠিক আছে’ বলে চলে না যায়, তাহলে কিছু কৌশল প্রয়োগ করতে হতে পারে। এই বিষয়ে স্কিনারের পরামর্শ, তাদের কথা শোনা হয়েছে, তা স্বীকার করা এবং বোঝানো যে আপনি পরিকল্পনা করে এই সিট নিয়েছেন এবং এখানেই বসতে চান। তাতে কাজ না হলে সরে দাঁড়ান। কারণ, বিমানের মতো ছোট জায়গায় বিষয়টিকে বাড়ানো উচিত নয়।

পুরো দায়িত্ব আপনার নয়

বিমানের মতো ছোট জায়গায়, বিষয়টিকে বাড়ানো উচিত নয়। তবে বিমানে কেউ আপনাকে কোনো সমস্যায় ফেললে তা একা সমাধানের চেষ্টা করা আপনার দায়িত্ব নয়। বরং এতে অনেক সময় পরিস্থিতি খারাপও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে স্কিনারের পরামর্শ, একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টকে ডাকুন। এটি তাদের কাজের অংশ।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টকে ডাকুন। ছবি পেক্সেলস
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টকে ডাকুন। ছবি পেক্সেলস

শান্ত থাকুন

আজকাল জনসমক্ষের দ্বন্দ্ব প্রায়ই ভিডিও করা হয়। এমন হলে শান্ত থাকা জরুরি। সবচেয়ে ভালো উপায় হলো শান্ত থাকা, সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া দেওয়া এবং যতটা সম্ভব কম জড়িত থাকা। ভিডিও করার সময় একমাত্র বিষয় হলো স্পষ্ট করে বলা, আমি আপনাকে ভিডিও করার অনুমতি দিচ্ছি না।

দ্বন্দ্ব সব সময় আক্রমণাত্মক নয়

সিট বদল নিয়ে বিব্রতকর মুহূর্ত কল্পনা করলে অনেকেই উচ্চ স্বরে ঝগড়ার দৃশ্য ভাবেন। হয়তো তাদের প্রয়োজন আছে, কিন্তু আপনার প্রয়োজনও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে কোনো ব্যাখ্যা দিতেও হবে না। আপনি চাইলে সহানুভূতি প্রকাশ করতে পারেন, তবে সিদ্ধান্তে দৃঢ় থাকতে হবে। ঠান্ডা মাথায় বলুন, ‘আমি বুঝতে পারছি, এটি আপনার জন্য কঠিন হতে পারে, তবে আমি আমার সিটেই থাকব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদানের বয়সসীমা বাড়ল

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফুরিয়ে আসা লিপস্টিকে নতুন প্রসাধনী

ফিচার ডেস্ক
ফুরিয়ে আসা লিপস্টিকে নতুন প্রসাধনী

মেকআপপ্রেমী হোক বা না হোক, লিপস্টিক ব্যবহার করে না, এমন নারী খুঁজে পাওয়া মুশকিল। প্রায় প্রত্যেকের সাজের বাক্সে একাধিক রঙের লিপস্টিক থাকে। ক্রিমি ধরনের লিপস্টিক যদি ফুরিয়ে যাওয়ার পথে থাকে, তাহলে সেগুলো বাতিলের খাতায় না ফেলে বরং এর রংটা বের করে নিন। এবার তা দিয়েই আপনি তৈরি করুন নতুন প্রসাধনী।

রঙিন লিপবাম

টুথপিক দিয়ে লিপবামের কৌটা থেকে বাম বের করে তার সঙ্গে হালকা পিচ বা গোলাপি রঙের লিপস্টিক মেশান। তারপর ছোট্ট কৌটায় ভরে ব্যাগে রেখে দিন। তারপর লিপস্টিকের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন রঙিন এই লিপবাম।

লিপ গ্লস বানাতে

ছোট্ট কৌটায় এক টেবিল চামচ পেট্রোলিয়াম জেলির সঙ্গে ছোট হয়ে আসা কোনো লিপস্টিক ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ অনায়াসে লিপ গ্লস হিসেবে ব্যবহার করুন।

ব্লাশ

গোলাপি, পিচ বা কমলা রঙের লিপস্টিকের সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে গালে আলতো করে ব্রাশ করে নিন। শীতের দিন এমন ক্রিম ব্লাশের তুলনা আর কিসে হয় নাকি!

আইশ্যাডো

ন্য়ুড শেডের লিপস্টিক ও অল্প পেট্রোলিয়াম জেলি মিশিয়ে চোখের পাতায় লাগান। সরাসরি লিপস্টিক দিয়ে আইশ্যাডো লাগানোর ক্ষেত্রে ব্লেন্ডিংটা খুব ভালো হতে হবে।

লিপ টিন্ট

দুই বা তিনটি রঙের লিপস্টিক একটি কৌটায় ভরে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তৈরি হবে নতুন প্রসাধনী, যাকে বলে লিপ টিন্ট।

সূত্র: স্টাইল কাস্টার ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদানের বয়সসীমা বাড়ল

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতের বুফে: স্বাদ লুটতে কৌশলগুলো জেনে নিন

ফিচার ডেস্ক 
বুফে আসলে শুধু খাবারের আয়োজন নয়, এটি এ শহরের নাগরিক সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে উঠছে ক্রমশ। প্রতীকী ছবি এআই দিয়ে তৈরি
বুফে আসলে শুধু খাবারের আয়োজন নয়, এটি এ শহরের নাগরিক সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে উঠছে ক্রমশ। প্রতীকী ছবি এআই দিয়ে তৈরি

শীত এসেছে। সেই সঙ্গে খাবারদাবারের জগতেও পাওয়া যাচ্ছে আলাদা আমেজ। সেই আমেজে রাজধানী ঢাকার রেস্তোরাঁগুলোও হয়ে উঠেছে উৎসবমুখর। শহরে শীতের সন্ধ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শুরু হয়েছে বুফে ডিনারের দারুণ সব আয়োজন। হোটেল থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁ, প্রায় সবখানেই চোখে পড়ছে উইন্টার বুফে বা শীতের বিশেষ বুফের নান্দনিক বিজ্ঞাপন।

বুফে: ইতিহাস ও বিবর্তন

‘বুফে’ শব্দটি ফরাসি। এর অর্থ হলো যে সুসজ্জিত টেবিলে বিভিন্ন খাবার সাজানো থাকে এবং অতিথিরা পছন্দমতো নিজেরাই খাবার তুলে নেয়। আঠারো শতকের ইউরোপে এই ধারণার শুরু হলেও বাংলাদেশে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সম্প্রতি। শীতকালে এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী হয়। এ সময় তাজা শাকসবজি, মৌসুমি ফলের প্রাচুর্য এবং মন ভালো করা আবহাওয়া মানুষের বৈচিত্র্যময় খাবারের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়।

বুফেতে থাকে খাবারের বৈচিত্র্য। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি
বুফেতে থাকে খাবারের বৈচিত্র্য। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি

ঢাকার বুফে সংস্কৃতি

ঢাকার বুফে আসলে শুধু খাবারের আয়োজন নয়, এটি এ শহরের নাগরিক সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে উঠছে ক্রমশ। দিন দিন এ শহরের অধিবাসীদের বুফে খাবারের প্রবণতা বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বুফে রেস্তোরাঁ। পুরান ঢাকা থেকে শুরু করে গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, উত্তরা পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে বুফে খাবারের অসংখ্য রেস্তোরাঁ। সপ্তাহের শেষে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে কিংবা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান বা অফিসের অনানুষ্ঠানিক মিটিং; সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়ায় বুফে টেবিল।

বুফের আইটেমগুলোও হয়ে উঠেছে বৈচিত্র্যপূর্ণ। একদিকে রয়েছে দেশীয় স্বাদের সমাহার। তাতে পাওয়া যায় কাচ্চি বিরিয়ানি, মুরগি, খাসি ও গরুর মাংসে রান্না নানান পদের খাবার, বিভিন্ন ধরনের কাবাব ইত্যাদি। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক খাবারের মধ্যে পাওয়া যায় চায়নিজ, ইতালিয়ান পাস্তা, জাপানিজ সুশি, ম্যাক্সিকান ট্যাকোস ইত্যাদি। ডেজার্টের টেবিলও কম আকর্ষণীয় নয়; পায়েস, ফিরনি, কাস্টার্ড থেকে আধুনিক চিজ কেক, আইসক্রিম, ফ্রুট সালাদসহ প্রায় সব ধরনের ডেজার্টই পাওয়া যায় বুফে টেবিলে।

আর বিশেষভাবে পাওয়া যায় ভারতীয় বিভিন্ন খাবার।

বুফে উপভোগের কৌশল: কীভাবে বেশি ও ভালোভাবে খাবেন

বুফে মানেই খাওয়ার স্বাধীনতা। কিন্তু এই স্বাধীনতা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে কিছু কৌশল জানা জরুরি।

সালাদ বা স্যুপের মতো হালকা কোনো আইটেম দিয়ে খাওয়া শুরু করুন। ছবি: পেক্সেলস
সালাদ বা স্যুপের মতো হালকা কোনো আইটেম দিয়ে খাওয়া শুরু করুন। ছবি: পেক্সেলস

১. স্কাউটিং বা আগে ঘুরে দেখা

খাবার প্লেটে নেওয়ার আগে পুরো বুফে টেবিল একবার ঘুরে দেখুন। তাতে কী কী আইটেম আছে, কোনটা কোথায় সাজানো, কোন কোন খাবার আপনি খেতে চান; এগুলো জেনে নিলে খাওয়ার পরিকল্পনা করা সহজ হয়। এতে অনেক কিছু না খেয়ে আপনি পছন্দের খাবারগুলো আরামে খেতে পারবেন।

২. ছোট প্লেট, বেশি রাউন্ড

বড় একটি প্লেট ভরে ফেললে প্রথম দিকে বেশি খাবার তুলে নিলেও পরে আর খেতে ইচ্ছে নাও করতে পারে। বরং ছোট প্লেটে অল্প করে কয়েক বারে খাবার নিন। এতে প্রতিবারই তাজা ও গরম খাবার পাওয়া যায় এবং খেতে ক্লান্তি কম লাগে।

৩. হালকা শুরু, ভারী শেষ

হালকা খাবার দিয়ে বুফে শুরু করুন। সালাদ বা স্যুপের মতো হালকা কোনো আইটেম দিয়ে খাওয়া শুরু করুন। তারপর মূল খাবার এবং শেষে ডেজার্ট উপভোগ করুন। ভারী বা তৈলাক্ত খাবার দিয়ে শুরু করলে অল্পেই পেট ভরে যেতে পারে। তাতে বুফে খাবারের আনন্দ উপভোগ অধরা থেকে যাবে।

৪. পানি পান, কিন্তু সঠিক সময়ে

বুফে খাওয়া শুরুর আগে বা মাঝখানে অতিরিক্ত পানি পান করলে পেট ভরা ভরা লাগতে পারে। তাই অল্প অল্প পানি পান করুন। পানি পানের ক্ষেত্রে কোমল পানীয় এড়িয়ে গিয়ে সাধারণ পানি পান করুন। মিষ্টি পানীয় দ্রুত পেট ভরিয়ে দিতে পারে।

৫. ধীরে ও ভালোভাবে চিবিয়ে খান

বুফে দেখে উত্তেজিত হয়ে দ্রুত খাওয়ার প্রবণতা থাকে। কিন্তু দ্রুত খেলে বেশি খাওয়া যায় না, উল্টো হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই প্রতিটি খাবার ভালো করে চিবিয়ে, সময় নিয়ে খান। এতে স্বাদও বেশি উপভোগ করবেন, আবার পরিমাণেও বেশি খেতে পারবেন।

৬. নেগেটিভ স্পেসের ব্যবহার

প্লেটে খাবার সাজানোর সময় কিছু ফাঁকা জায়গা রাখুন। এতে খাবারগুলো আলাদা স্বাদ বজায় রাখে এবং দেখতেও সুন্দর লাগে। সবকিছু গাদাগাদি করে দিলে স্বাদ মিশে যেতে পারে।

৭. প্রোটিন ও শাকসবজির সমন্বয় করুন

মাছ, মাংস বা ডালের মতো প্রোটিন এবং শাকসবজির সমন্বয় করে খাবার নিন। এতে খাবার উপভোগ্য হয় এবং পুষ্টিগুণও বজায় থাকে।

শিষ্টাচার ও সতর্কতা

রেস্তোরাঁয় বুফে খেতে গেলেও মনে রাখবেন, এটি একটি সামাজিক আয়োজন। আপনিই শুধু নন, অনেকে আসবে বুফে উপভোগ করতে। তাই কিছু শিষ্টাচার মেনে চলুন।

  • একবারে বেশি পরিমাণ খাবার নিয়ে অপচয় করা থেকে বিরত থাকুন।
  • একবারে মাছ-মাংসসহ সব ধরনের খাবার প্লেটে তুলবেন না। তাতে খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন না।
  • লাইনে অপেক্ষা করুন, ধাক্কাধাক্কি করবেন না।
  • খাবার নেওয়ার পর পরিবেশন চামচগুলো সঠিক জায়গায় রাখুন।
  • রিফিল করার সময় ডান হাত দিয়ে চামচ ধরবেন না।
  • খাবার চেখে দেখার পর পাত্রে ফেরত দেবেন না।

শীতের বুফে আসলে খাদ্যের উৎসব। এটি আমাদের খাদ্য সংস্কৃতির একটি আধুনিক প্রকাশ। সঠিক পদ্ধতি ও শিষ্টাচার মেনে এই আয়োজন উপভোগ করলে এটি হয়ে উঠতে পারে সপ্তাহ বা মাসের সেরা গেট টুগেদার। তাই এই শীতে প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানোর পাশাপাশি স্বাদের এক নিখুঁত যাত্রা করতে বসে যেতে পারেন কোনো সুপরিচিত রেস্তোরাঁর বুফে টেবিলে। মনে রাখবেন, বুফে মানেই ভালো থাকার খোরাক। তবে অতিরিক্ত নয়, পরিমিতিবোধের মধ্যেই এর আসল স্বাদ নিহিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদানের বয়সসীমা বাড়ল

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এই শীতে ত্বক সুন্দর রাখবে যে ৫ সৌন্দর্যবর্ধক পানীয়

ফিচার ডেস্ক 
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ০৪
আপেল ও দারুচিনির পানীয় দিনে দুবার পান করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। ছবি: পেক্সেলস
আপেল ও দারুচিনির পানীয় দিনে দুবার পান করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। ছবি: পেক্সেলস

শীতে কমবেশি সবার ত্বকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ক্ষতি সারাতে পারলারে কয়েক ঘণ্টা কাটানোর সময় যাঁদের হাতে নেই, তাঁরা কী করবেন?

হাহুতাশ না করে বারান্দায় বসে পানি পান করুন, সব ঠিক হয়ে যাবে। না না, মোটেও মশকরা করছি না। ভেষজ উপায়ে তৈরি এমন বেশ কয়েক রকম পানীয় রয়েছে, যা ত্বকের জন্য ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ত্বক প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল দেখাতে সহায়ক। পাশাপাশি এসব পানীয় নিয়মিত পান করা গেলে ত্বকের বার্ধক্য বিলম্বিত করা সম্ভব। বিউটি ড্রিংকস বা সৌন্দর্যবর্ধক এসব পনীয়তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের সংক্রমণ কমাতে খুব ভালো কাজ করে। এখন কথা হচ্ছে, এই সৌন্দর্যবর্ধক পানীয় কী কী উপাদানে এবং কীভাবে তৈরি করা যায়?

গোলাপ ও জবার লালচে পানীয়

গোলাপ ও জবার লালচে পানীয়। ছবি: পেক্সেলস
গোলাপ ও জবার লালচে পানীয়। ছবি: পেক্সেলস

জবাকে প্রাকৃতিক বোটক্স বলা হয়। এতে রয়েছে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড, যা ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে, পাশাপাশি ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। অন্যদিকে গোলাপের পাপড়ির ব্যথানাশক গুণ রয়েছে, যা ত্বকের জন্য সুফল বয়ে আনে।

গোলাপ ও জবার লালচে পানীয় বানাতে হলে ২ কাপ পানিতে ১ চামচ শুকনো গোলাপের পাপড়ি ও ১ চামচ শুকনো জবা ফুলের পাপড়ি মিশিয়ে মিনিট দশেক ফোটাতে হবে। তারপর রঙিন এই পানীয় ছেঁকে কাপে ঢালতে হবে। এতে চাইলে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। শীতে এই পানীয় প্রতিদিন খেতে পারলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

হলুদ ও আদার টনিক

হলুদ যে ত্বকের জন্য জাদুকরি একটি উপাদান, তা কারও অজানা নয়। ত্বকে মাখার পাশাপাশি এই শীতে এই উপাদান দিয়ে পানীয় তৈরি করে পান করতে পারেন। ২ কাপ পানিতে আধা চামচ কাঁচা হলুদবাটা, আধা চামচ আদাকুচি এবং কয়েকটি আস্ত গোলমরিচ দিয়ে ফোটাতে হবে। এরপর ছেঁকে নিয়ে তাতে গুড় বা মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। মিষ্টি মেশাতে না চাইলেও কোনো অসুবিধা নেই। এই চায়ের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ ত্বকের যেকোনো সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে। শীতে ত্বককে ভেতর ও বাহির—দুদিক থেকে ভালো রাখবে এই পানীয়।

শীতে ভেতর ও বাহির থেকে ত্বক ভালো রাখবে এই পানীয়। ছবি: পেক্সেলস
শীতে ভেতর ও বাহির থেকে ত্বক ভালো রাখবে এই পানীয়। ছবি: পেক্সেলস

আপেল ও দারুচিনির পানীয়

একটি হাঁড়িতে ২ কাপ পানিতে সবুজ আপেলের টুকরা, এক চা-চামচ আদাকুচি ও ছোট এক টুকরা দারুচিনি দিন। পানি ফুটে গেলে চুলা বন্ধ করে ঢেকে রাখুন ১০ মিনিট। এরপর ছেঁকে পানিটুকু পান করুন। দিনে দুবার এই পানীয় পান করলে ত্বক আগের চেয়ে বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। শীতে এই পানীয় নিয়মিত পান করলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও।

ক্যামোমাইল ও মধুর পানীয়

প্রথমে পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। তাতে একটি ক্যামোমাইল টি-ব্যাগ এবং এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে ঢেকে রাখুন ৫ থেকে ৭ মিনিট। এরপর টি-ব্যাগ তুলে এই পানীয়তে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে এই পান করুন। যাঁদের চোখে-মুখে প্রায়ই ফোলা ভাব দেখা দেয়, তাঁদের জন্য এই পানীয় খুব উপকারী। আবার যাঁদের ত্বকে ব্রণ বা র‍্যাশের উপদ্রব রয়েছে, তাঁরা এই পানীয় পান করলে উপকার পেতে পারেন।

পুদিনা ও গ্রিন টির সবুজাভ পানীয়

গ্রিন টি যাঁরা রোজ পান করেন, তাঁদের জন্যও আছে সুখবর। রোজকার পানীয় পানেই যদি শীতে ত্বক ভালো থাকে, তাহলে মন্দ কি। এক কাপ পানিতে ১ চা-চামচ গ্রিন টি এবং ৪ থেকে ৫টি পুদিনাপাতা দিয়ে ৫ মিনিট ফোটাতে হবে। সকালের নাশতার পর এই পানীয় পান করতে পারেন। এতে খাবার ভালোভাবে হজম এবং পেটের সমস্যা দূর হবে, তেমনি ত্বকও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। গ্রিন টিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বকের সতেজ ও আর্দ্র ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদানের বয়সসীমা বাড়ল

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আংটিবদলের দিনে যে ধরনের পোশাক পরতে পারেন

ফারিয়া রহমান খান 
বাগদান বা আংটিবদলের দিন শাড়ির পাশাপাশি আজকাল লেহেঙ্গা ও ইন্দো-ওয়েস্টার্ন ফিউশন ধাঁচের পোশাক দারুণ প্রাধান্য পায়। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।
বাগদান বা আংটিবদলের দিন শাড়ির পাশাপাশি আজকাল লেহেঙ্গা ও ইন্দো-ওয়েস্টার্ন ফিউশন ধাঁচের পোশাক দারুণ প্রাধান্য পায়। প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি।

বাগদান বা আংটিবদলের দিন সাধারণত শাড়ি পরতেই বেশি ভালোবাসেন নারীরা। তবে আজকাল অনেকে বাগদানের অনুষ্ঠান বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করেন কনভেনশন হলে। সেসব ক্ষেত্রে শাড়ি ছাড়া লেহেঙ্গা ও ইন্দো-ওয়েস্টার্ন ফিউশন ধাঁচের পোশাক দারুণ প্রাধান্য পায়। এই বিশেষ দিনে নিজেকে অনন্য করে তুলতে সমকালীন ধাঁচের কোন কোন পোশাক পরতে পারেন, তা দেখে নিতে পারেন একনজরে।

লাল সিল্কের লেহেঙ্গা

বিয়ের যেকোনো আয়োজনেই লাল রঙের এক বিশেষ জায়গা আছে। লাল রঙের সিল্কের লেহেঙ্গায় সূক্ষ্ম সুতা ও কারজুবির কাজ এ রঙের জৌলুশ আরও বাড়িয়ে তোলে। জমকালো এই পোশাকে একটা রাজকীয় ও ঝলমলে ভাব আনতে লেহেঙ্গার নিচে ক্যান ক্যান স্কার্ট ব্যবহার করলে আরও আকর্ষণীয় দেখাবে। এই সাজ কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্যই নয়, বরং আত্মবিশ্বাসও বহুগুণে বাড়িয়ে এই বিশেষ দিনের জন্য নিখুঁত লুক তৈরি করবে।

লাল রঙের সিল্কের লেহেঙ্গায় সূক্ষ্ম সুতা ও কারজুবির কাজ এ রঙের জৌলুশ আরও বাড়িয়ে তোলে। ছবি: পেক্সেলস
লাল রঙের সিল্কের লেহেঙ্গায় সূক্ষ্ম সুতা ও কারজুবির কাজ এ রঙের জৌলুশ আরও বাড়িয়ে তোলে। ছবি: পেক্সেলস

এমারেল্ড গ্রিন লেহেঙ্গা

গাঢ় এমারেল্ড গ্রিন সিল্কের ওপর সূক্ষ্ম পুঁতির কাজ করা লেহেঙ্গা আপনার সাজে একটা রাজকীয় ভাব তৈরি করবে। এর জমকালো রং ও নিখুঁত কাজ জনসমাগমের মধ্যেও আপনাকে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখবে। কাপড়, রং ও কারুকাজ—তিনটির সমন্বয়ই এই লুকে আভিজাত্য ও বৈচিত্র্য এনে দেয়।

ব্লাশ সিল্ক এমব্রয়ডারি লেহেঙ্গা

বর্তমানে হালকা বা প্যাস্টেল রংগুলো দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মার্জিত একটা লুকের জন্য ব্লাশ সিল্ক এমব্রয়ডারি লেহেঙ্গা হতে পারে আংটিবদলের দিনের সেরা পছন্দ। খুব জমকালো না হলেও কনের স্বকীয় স্নিগ্ধতা ফুটিয়ে তোলার জন্য এর রং ও সূক্ষ্ম কারুকাজই যথেষ্ট। যাঁদের আংটিবদল দিনের বেলায় কিংবা যাঁরা এই দিনে ভিনটেজ থিমে সাজতে চান, তাঁরা এ ধরনের লেহেঙ্গা বেছে নিতে পারেন।

বিয়ের যেকোনো আয়োজনে শাড়ির পাশাপাশি লেহেঙ্গা এখন দারুণ জনপ্রিয়। ছবি: পেক্সেলস
বিয়ের যেকোনো আয়োজনে শাড়ির পাশাপাশি লেহেঙ্গা এখন দারুণ জনপ্রিয়। ছবি: পেক্সেলস

রিগ্যাল ব্লু ভেলভেট লেহেঙ্গা

শীতকালে রাতের জমকালো বাগদানের আয়োজনে সেরা লুকের জন্য রিগ্যাল ব্লু ভেলভেটের লেহেঙ্গা হবে একটি চমৎকার পছন্দ। লেহেঙ্গায় রিগ্যাল ব্লু ভেলভেটের ওপর বড় মোটিফের কাজ, সঙ্গে হাই-নেক চোলি আপনাকে অনন্য করে তুলবে।

আবায়া স্টাইল এমব্রয়ডারড স্যুট

বাগদানের জন্য যদি সালোয়ার স্যুটের কথা ভাবেন, তবে আবায়া স্টাইল এমব্রয়ডারি করা স্যুট বেছে নিতে পারেন। এই পোশাকে ফুল নকশার সূক্ষ্ম কাজের প্রাধান্য থাকায় একটা রাজকীয় ব্রাইডাল লুক দেয়। সঙ্গে পরা মানানসই ওড়না এই এথনিক পোশাকের আকর্ষণ ও আধুনিকতা বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।

জরি ও পাথরের কাজের প্যাস্টেল সালোয়ার-কামিজ

যাঁরা বাগদানের জন্য সালোয়ার-কামিজ বেশি উপযুক্ত মনে করেন, তাঁরা জরি, ভারী পাথর ও এমব্রয়ডারি করা প্যাস্টেল রঙের সালোয়ার-কামিজ বেছে নিতে পারেন। এটি লেহেঙ্গার তুলনায় আরামদায়ক এবং আউটডোর রিসেপশনের জন্য বেশি উপযুক্ত। এর সঙ্গে কুন্দনের বা ভিনটেজ জুয়েলারি ব্যবহার করলে সাজে একটা ক্ল্যাসিক ভাব আসবে।

রাফল শাড়ি

যাঁরা শাড়ির স্টাইলে একটু নতুনত্ব ও বৈচিত্র্য খুঁজছেন, রাফল শাড়ি তাঁদের জন্য উপযুক্ত পছন্দ হবে। এটি গতানুগতিক শাড়িতে আধুনিক একটা টুইস্ট দেয় এবং প্রি-মেড হওয়াতে পরাও সহজ। এই শাড়ির সঙ্গে সাজের জন্য স্লিক পনিটেল ও বড় স্টেটমেন্ট জুয়েলারি ব্যবহার করে একটা নজরকাড়া লুক তৈরি করা যায়।

রাফল শাড়ি গতানুগতিক শাড়িতে আধুনিক টুইস্ট দেয় এবং প্রি-মেড হওয়ায় এটি পরা সহজ। ছবি: পেক্সেলস
রাফল শাড়ি গতানুগতিক শাড়িতে আধুনিক টুইস্ট দেয় এবং প্রি-মেড হওয়ায় এটি পরা সহজ। ছবি: পেক্সেলস

কেপ-ব্লাউসসহ শাড়ি

এটি শাড়ি ও পশ্চিমা পোশাকের একটি চমৎকার কম্বিনেশন। এই সাজে শাড়ির সঙ্গে একটি কেপ স্টাইলের ব্লাউজ বা কেপ-টপ যোগ করা হয়। এটি গতানুগতিক সাজ থেকে ভিন্নধারার হওয়ায় সহজে সবার নজর কাড়ে এবং আধুনিক রুচির প্রকাশ ঘটায়।

টিউল স্কার্ট ও পেপলাম ব্লাউজ

যাঁরা রূপকথার রাজকন্যাদের মতো ফ্যান্টাসি লুকে নিজেদের দেখতে চান, তাঁদের জন্য এটি উপযুক্ত। টিউল স্কার্ট ও ভারী এমব্রয়ডারি করা পেপলাম ব্লাউজ আধুনিকতার সঙ্গে মার্জিত রুচির পরিচয় বহন করে।

রয়্যাল-ব্লু স্পার্কলিং বল গাউন

যাঁরা একটা গ্র্যান্ড এন্ট্রি চান, তাঁদের জন্য এই অফ-শোল্ডার বল গাউন সেরা। এতে করা নিখুঁত পাথরের কারুকাজ ঝলমল করে, ফলে বউকে সত্যিকারের রাজকন্যার মতো লুক দেয়।

সূত্র: স্টাইলক্রেজ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগদানের বয়সসীমা বাড়ল

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত