
আজকের পত্রিকা: দীর্ঘদিন ব্যাঙ্গালোর শহরে বসবাস করছেন। শহর হিসেবে ব্যাঙ্গালোর কেমন?
ফাতিমা জাহান: আমি যেসময় ব্যাঙ্গালোরে গিয়েছি সেসময়কার ব্যাঙ্গালোর আর এখনকার ব্যাঙ্গালোরের মাঝে ফাঁরাক অনেক। বিশ থেকে বাইশ বছর আগে ব্যাঙ্গালোরে বিদেশের আউটসোর্সিং কম্পানিগুলো সবে অফিস খুলতে শুরু করেছে। তখন জনসংখ্যাও তেমন ছিলো না, ছিলো না সুউচ্চ ভবন। সাধারণত সেখানে স্থানীয় মানুষজন বসবাস করতেন তখন। তবে পড়ালেখা করার জন্য ভারতের অন্যান্য রাজ্য এবং আশেপাশের দেশ থেকে প্রচুর ছাত্র আসতেন। তখন ব্যাঙ্গালোরের শিল্প সংস্কৃতিতে ছিল শুধুই দক্ষিণ ভারতীয় প্রভাব। আইনশৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা, সময়ানুবর্তিতা, সততা তখনও ছিল, এখনও আছে। এ শহরে অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে কেউ নাক গলায় না। সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। এখনকার ব্যাঙ্গালোর আগের চেয়ে বিস্তৃত হয়েছে চারিদিকে। আগের মতো সেই ছিমছাম, ছায়াঘেরা, শান্ত, স্থানীয় শহরটি নেই। এখন উঁচু দালান বেড়েছে, বেড়েছে জনসংখ্যা, রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিভিন্ন পেশায় কাজের আশায় আসা মানুষের সংখ্যা বাড়ার কারণে এখন ব্যাঙ্গালোরকে ঠিক আর আগের মতো দক্ষিণী সংস্কৃতির শহর বলা যায় না। একটা বহুজাতিক সংস্কৃতির শহর হয়ে গিয়েছে এটি।
আজকের পত্রিকা: বসবাস করছেন ব্যাঙ্গালোর শহরে। কিন্তু লিখলেন ‘লখনউনামা’। কারণ কী?
ফাতিমা জাহান: আমি ব্যাঙ্গালোরে অস্থায়ীভাবে বহুবছর ধরে বসবাস করলেও মনে প্রাণে একজন বাঙালি। দক্ষিণ ভারতের ভাষা, সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলাদেশের ভাষা, সংস্কৃতির খুব একটা মিল নেই। বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ভাষা, সাহিত্যে কয়েক শ বছর ধরে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে উত্তর ভারতের ভাষা ও সংস্কৃতি। এক সময় ভারত উপমহাদেশের দরবারি ভাষা ছিল ফারসি। পারস্য থেকে আসা লখনউয়ের নবাবগণ সঙ্গে করে কবিতা, গজল, আদবকায়দা, পোশাক পরার ধরন, খাদ্য ইত্যাদি শুধু নিয়েই আসেননি, এ উপমহাদেশে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। খোদ বাংলা ভাষায় আট হাজারের বেশি ফারসি শব্দ আছে। বিরিয়ানি, কাবাব থেকে শুরু করে ঘুরি ওড়ানো, পশুপাখির লড়াইয়ের মতো সৌখিন খেলাধুলা বাংলায় পরিচিত করেছেন লখনউয়ের নবাবগণ। আমাদের এক জেনারেশন আগের মানুষজনও কিন্তু ফারসি পড়তে-লিখতে পারতেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমানো পর্যন্ত আমরা বহুভাবে লখনউয়ের রীতিনীতি পালন করি।
আমি বিজ্ঞানের ছাত্র হলেও ইতিহাস আমার প্রিয় বিষয়। নিজেদের সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ইতিহাস জানবার জন্যই আমি বারবার লখনউ গিয়ে খোঁজ করেছি সেই ইতিহাস।
আজকের পত্রিকা: আপনার তিনটি বইয়ের দুটি-ই ভ্রমণ বিষয়ক। একটি সম্ভবত কবিতার।
ফাতিমা জাহান: আমার লেখা প্রথম বই ছিল কবিতার। ইংরেজি মাধ্যমে পড়ার কারণে এবং বাংলা ভাষা চর্চা থেকে দূরে থাকার কারণে আমি বাংলায় তেমন পরিণত ছিলাম না। ৬/৭ বছর আগে নিজ উদ্যোগে বাংলা শেখা ও লেখা শুরু করি। তখন ছোট ছোট কবিতা লিখে বাংলার চর্চা শুরু হয়েছিল। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার ভ্রমণের ছবি দেখে বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকগণ আমার কাছে ভ্রমণ কাহিনি চাওয়া শুরু করেন। সাহস করে দুই একটা লিখে ফেলার পর আরও অনুরোধ আসতে থাকে। এভাবেই তৈরি হয়ে যায় আমার প্রথম ভ্রমণগ্রন্থ ‘মওলানা জালালউদ্দিন রুমির খোঁজে তুরস্কে’। তবে লেখক হিসেবে আমি খুবই অলস এবং বাংলা শিক্ষার্থী হিসেবে এখনও নবীন। সম্পাদক-প্রকাশকের তাড়া না থাকলে হয়তোবা দ্বিতীয় ভ্রমণগ্রন্থ ‘লখনউনামা’ গুছিয়ে মলাটবন্দী করতে পারতাম না।
আজকের পত্রিকা: আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতার তুলনায় বইয়ের সংখ্যা বেশ কম। কারণ কী?
ফাতিমা জাহান: বই প্রকাশের ইচ্ছা আমি কখনোই নিজ থেকে পোষণ করি না। আমি ভ্রমণ করি নিজের জন্য। ভ্রমণ আমার কাছে এক ধরনের প্রার্থনা। আমি ভ্রমণেই মগ্ন থাকি। অন্যান্যদের মতো আমি খুব সামাজিক নই। অন্যদের মতো আমারও বই প্রকাশ করতে হবে, এমন তাড়া আমি নিজ থেকে কখনোই অনুভব করি না। আরেকটি বিষয় হলো, লেখক হিসেবে আমি ভীষণ খুঁতখুঁতে। একটি বই মানে একটি ডকুমেন্ট। রিল, টিকটক, ইউটিউব এসবই ক্ষণস্থায়ী আনন্দদায়ক মাধ্যম। কিন্তু একটি বই সেভাবে লেখা হলে হাজার বছর পরেও কারো উপকারে আসতে পারে। বই লেখা সাধনার ব্যাপার। আমার ধারণা, আমি এখনও সেই সাধনার স্তরে পৌঁছাতে পারিনি।
আজকের পত্রিকা: ভ্রমণ আপনার প্রিয় বিষয়। সম্ভবত উত্তর ও দক্ষিণ মেরু বাদে আপনি সব মহাদেশের কোনো না কোনো দেশে গেছেন। ভ্রমণে উৎসাহিত হওয়ার কারণ কী?
ফাতিমা জাহান: ভ্রমণ আমার কাছে প্রার্থনার মতো। প্রার্থনায় মানুষ মনে শান্তি পায়। আমি পাই ভ্রমণে। এ ছাড়া নিজের দেশ, জাতি, সংস্কৃতির বাইরে এই বিশাল পৃথিবীতে কত কিছু যে জানার আছে, শেখার আছে, তা ভ্রমণ ছাড়া সম্ভব নয়। এমনও হয়েছে, কোনো একটি জায়গা সম্পর্কে আমি কিছু না জেনে চলে গিয়েছি আর ফিরে এসেছি ঝুলি ভর্তী জ্ঞান ও আনন্দ নিয়ে। এই অভিজ্ঞতাই হয়তো ভ্রমণে আমাকে আরও বেশি উৎসাহিত করেছে।
আজকের পত্রিকা: আপনি একজন সলো ট্রাভেলার। একাকী ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন। এর বিশেষ কোনো কারণ আছে কি?
ফাতিমা জাহান: সোলো ট্রাভেলার হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ, আমি আমার ভ্রমণের সময় ও সুযোগ মতো খুব কম সঙ্গী পেয়েছি যার রুচি আমার সঙ্গে মেলে। আরও একটি কারণ, যেকোনো জনপদে আমি দীর্ঘ সময় নিয়ে ভ্রমণ করি। সেখানকার ভাষা, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানি। দীর্ঘ সময় নিয়ে ভ্রমণ করা যায়, ভারত উপমহাদেশে এখনও এই কনসেপ্টটি ঠিক মতো দানাবাঁধেনি। ভারতবর্ষের মানুষ এখনও ভিনদেশী সংস্কৃতি বা খাবারে রপ্ত হতে পারেনি। সব জায়গায় নিজেদের পছন্দ মতো খাবার বা আবাস পাওয়া যে যাবে, এমনও নয়। আমি বেশ কয়েক বছর মাউন্টেইন ক্লাইম্বিং করেছি। তাই থাকা খাওয়া নিয়ে আমার বায়াসনেস নেই। অনেক সময় প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভ্রমণের সময় নাগরিক সুযোগ সুবিধা একেবারেই মেলে না। এটিও শহুরে ভ্রামণিকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে। যত প্রতিকূলতা থাকুক না কেন, আমি তাই সঙ্গী না পেলে একাই বেরিয়ে পড়ি।
এমনও হয়, কোনো একটা জায়গা আমার পছন্দ হলো কিন্তু আমার সঙ্গীর হলো না বা ভাইসভার্সা। তখন ভ্রমণের আনন্দ মাটি হয়ে যায়।
আজকের পত্রিকা: ভ্রমণে গিয়ে বিপদের মুখে পড়েছেন কোথায়?
ফাতিমা জাহান: ভ্রমণে গিয়ে আমি বিপদের মুখোমুখি হইনি। তবে বিপদ হতে পারে এমন জায়গায় ভ্রমণ করেছি। একবার কাশ্মীরে কারফিউ চলাকালীন সময়ে গিয়ে হাজির হয়েছিলাম। ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল সে যাত্রা। অ্যাডভেঞ্চার আমার রক্তে মিশে আছে। এটা এক ধরনের নেশা। রাজ্য জয় করার নেশার মতো।
আজকের পত্রিকা: ব্যাঙ্গালোরসহ দক্ষিণ ভারতের অনেক শহর এখন বাঙালিদের প্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন।
ফাতিমা জাহান: এই বিষয়টিকে আমি খুব ইতিবাচক ভাবে দেখি। বেশির ভাগ বাঙ্গালীকে অনেকেই বলেন কুয়োর ব্যাঙ। বাঙ্গালী যে উত্তর দক্ষিণে ভ্রমণের উদ্দেশ্য ছড়িয়ে পড়ছে, ব্যাপারটি খুবই আশাবাদী করে আমাকে। দক্ষিণ ভারতের ভাষা ভিন্ন, ভিন্ন এদের খাবার ও সংস্কৃতি। মানুষ যত ভ্রমণ করবে, তত জানবে, ততই অন্য জাতিকে শ্রদ্ধা করতে শিখবে।
আজকের পত্রিকা: দক্ষিণ ভারত চিকিৎসা ভ্রমণের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বসবাসের অভিজ্ঞতায় কারণগুলো কী বলে মনে করেন?
ফাতিমা জাহান: সততা, দায়িত্বশীলতা, সময়ানুবর্তিতা ও নিয়মানুবর্তিতার জন্য দক্ষিণ ভারত নিজের জায়গা অনেক আগেই করে নিয়েছে। দক্ষিণ ভারতের সেবা খাত অভূতপূর্ব উদাহরণ হয়ে থাকতে পারে বাংলাদেশের জন্য। চিকিৎসাবিজ্ঞানে রোবোটিক টেকনোলজির ব্যবহার এক যুগের বেশি সময় আগে থেকে হয়ে আসছে, যার প্রয়োগ আমি দেশে হয় বলে এখনও শুনিনি। উন্নত দেশে যখন যে প্রযুক্তির ব্যবহার চালু হয় ভারতে তা সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে, বিশেষ করে ব্যাঙ্গালোরে। এ বিষয়ের সঙ্গে চিকিৎসা সেবায় জড়িত সকলকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।
একজন চিকিৎসক যে পরিমাণ সময় নেন একজন রোগী দেখতে বা কেইস হিস্ট্রি নিতে, তার নজির আমাদের দেশে খুব কম। এ ছাড়া সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা বহুলাংশে ভালো, জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলকভাবে কম, নিরাপদ নগর হওয়ার কারণে চুরি ছিনতাইয়ের ভয় নেই, নারীদের চলাফেরা বা পোশাকে নেই কোনো আরোপ। অকারণে হয়রানিমূলক আচরণের আশঙ্কা নেই। কাজ করে দেবার নাম করে টাকাপয়সা মেরে দিয়ে উধাও হয়ে যাবার উদাহরণও খুব বেশি পাওয়া যায় না। ব্যাঙ্গালোরের পুলিশ ও প্রশাসন এ ব্যাপারে শক্ত অবস্থানে আছে।
আজকের পত্রিকা: দেশের যে নারীরা সলো ট্রাভেল করতে চায় তাদের জন্য কী বলবেন?
ফাতিমা জাহান: নিজেকে জানার জন্য, নিজের মনের চাহিদা বোঝার জন্য, নিজের ব্যক্তিত্বকে উপলব্ধি করার জন্য প্রত্যেক মানুষের সোলো ট্রাভেলিং করা উচিৎ বলে আমি মনে করি। বেশিরভাগ মানুষ সমাজ যেভাবে শিখিয়ে দেয় সেভাবে পরিচালিত হয়, কিছুটা বাধ্য হয়ে কিছুটা নিজের বিবেক বুদ্ধি ব্যবহার না করে। আমাদের দেশের নারীরা সব ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। নারীদের অগ্রযাত্রাকে আমি সবসময়ই উৎসাহিত করি। বহু দেশে নারীর কাজ বা পুরুষের কাজ বলে আলাদা কিছু নেই।
যারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সোলো ট্রাভেলিং করতে চান তাঁদের বলব, আর দেরি নয় বেরিয়ে পড়ুন। জগৎ বিশাল কিন্তু জীবন ছোট। এক জীবনে অনেক কিছু করার আছে, জানার আছে, শেখার আছে। আর এই সাহস, এই শিক্ষা ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে। ভ্রমণ মানুষের হৃদয়ের পথ প্রশস্ত করে, একজন মানুষকে আলোকিত করে। এই আলোর মাঝেই যেন আমাদের বসবাস হয়।

আজকের পত্রিকা: দীর্ঘদিন ব্যাঙ্গালোর শহরে বসবাস করছেন। শহর হিসেবে ব্যাঙ্গালোর কেমন?
ফাতিমা জাহান: আমি যেসময় ব্যাঙ্গালোরে গিয়েছি সেসময়কার ব্যাঙ্গালোর আর এখনকার ব্যাঙ্গালোরের মাঝে ফাঁরাক অনেক। বিশ থেকে বাইশ বছর আগে ব্যাঙ্গালোরে বিদেশের আউটসোর্সিং কম্পানিগুলো সবে অফিস খুলতে শুরু করেছে। তখন জনসংখ্যাও তেমন ছিলো না, ছিলো না সুউচ্চ ভবন। সাধারণত সেখানে স্থানীয় মানুষজন বসবাস করতেন তখন। তবে পড়ালেখা করার জন্য ভারতের অন্যান্য রাজ্য এবং আশেপাশের দেশ থেকে প্রচুর ছাত্র আসতেন। তখন ব্যাঙ্গালোরের শিল্প সংস্কৃতিতে ছিল শুধুই দক্ষিণ ভারতীয় প্রভাব। আইনশৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা, সময়ানুবর্তিতা, সততা তখনও ছিল, এখনও আছে। এ শহরে অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে কেউ নাক গলায় না। সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। এখনকার ব্যাঙ্গালোর আগের চেয়ে বিস্তৃত হয়েছে চারিদিকে। আগের মতো সেই ছিমছাম, ছায়াঘেরা, শান্ত, স্থানীয় শহরটি নেই। এখন উঁচু দালান বেড়েছে, বেড়েছে জনসংখ্যা, রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিভিন্ন পেশায় কাজের আশায় আসা মানুষের সংখ্যা বাড়ার কারণে এখন ব্যাঙ্গালোরকে ঠিক আর আগের মতো দক্ষিণী সংস্কৃতির শহর বলা যায় না। একটা বহুজাতিক সংস্কৃতির শহর হয়ে গিয়েছে এটি।
আজকের পত্রিকা: বসবাস করছেন ব্যাঙ্গালোর শহরে। কিন্তু লিখলেন ‘লখনউনামা’। কারণ কী?
ফাতিমা জাহান: আমি ব্যাঙ্গালোরে অস্থায়ীভাবে বহুবছর ধরে বসবাস করলেও মনে প্রাণে একজন বাঙালি। দক্ষিণ ভারতের ভাষা, সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলাদেশের ভাষা, সংস্কৃতির খুব একটা মিল নেই। বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ভাষা, সাহিত্যে কয়েক শ বছর ধরে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে উত্তর ভারতের ভাষা ও সংস্কৃতি। এক সময় ভারত উপমহাদেশের দরবারি ভাষা ছিল ফারসি। পারস্য থেকে আসা লখনউয়ের নবাবগণ সঙ্গে করে কবিতা, গজল, আদবকায়দা, পোশাক পরার ধরন, খাদ্য ইত্যাদি শুধু নিয়েই আসেননি, এ উপমহাদেশে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। খোদ বাংলা ভাষায় আট হাজারের বেশি ফারসি শব্দ আছে। বিরিয়ানি, কাবাব থেকে শুরু করে ঘুরি ওড়ানো, পশুপাখির লড়াইয়ের মতো সৌখিন খেলাধুলা বাংলায় পরিচিত করেছেন লখনউয়ের নবাবগণ। আমাদের এক জেনারেশন আগের মানুষজনও কিন্তু ফারসি পড়তে-লিখতে পারতেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমানো পর্যন্ত আমরা বহুভাবে লখনউয়ের রীতিনীতি পালন করি।
আমি বিজ্ঞানের ছাত্র হলেও ইতিহাস আমার প্রিয় বিষয়। নিজেদের সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ইতিহাস জানবার জন্যই আমি বারবার লখনউ গিয়ে খোঁজ করেছি সেই ইতিহাস।
আজকের পত্রিকা: আপনার তিনটি বইয়ের দুটি-ই ভ্রমণ বিষয়ক। একটি সম্ভবত কবিতার।
ফাতিমা জাহান: আমার লেখা প্রথম বই ছিল কবিতার। ইংরেজি মাধ্যমে পড়ার কারণে এবং বাংলা ভাষা চর্চা থেকে দূরে থাকার কারণে আমি বাংলায় তেমন পরিণত ছিলাম না। ৬/৭ বছর আগে নিজ উদ্যোগে বাংলা শেখা ও লেখা শুরু করি। তখন ছোট ছোট কবিতা লিখে বাংলার চর্চা শুরু হয়েছিল। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার ভ্রমণের ছবি দেখে বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকগণ আমার কাছে ভ্রমণ কাহিনি চাওয়া শুরু করেন। সাহস করে দুই একটা লিখে ফেলার পর আরও অনুরোধ আসতে থাকে। এভাবেই তৈরি হয়ে যায় আমার প্রথম ভ্রমণগ্রন্থ ‘মওলানা জালালউদ্দিন রুমির খোঁজে তুরস্কে’। তবে লেখক হিসেবে আমি খুবই অলস এবং বাংলা শিক্ষার্থী হিসেবে এখনও নবীন। সম্পাদক-প্রকাশকের তাড়া না থাকলে হয়তোবা দ্বিতীয় ভ্রমণগ্রন্থ ‘লখনউনামা’ গুছিয়ে মলাটবন্দী করতে পারতাম না।
আজকের পত্রিকা: আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতার তুলনায় বইয়ের সংখ্যা বেশ কম। কারণ কী?
ফাতিমা জাহান: বই প্রকাশের ইচ্ছা আমি কখনোই নিজ থেকে পোষণ করি না। আমি ভ্রমণ করি নিজের জন্য। ভ্রমণ আমার কাছে এক ধরনের প্রার্থনা। আমি ভ্রমণেই মগ্ন থাকি। অন্যান্যদের মতো আমি খুব সামাজিক নই। অন্যদের মতো আমারও বই প্রকাশ করতে হবে, এমন তাড়া আমি নিজ থেকে কখনোই অনুভব করি না। আরেকটি বিষয় হলো, লেখক হিসেবে আমি ভীষণ খুঁতখুঁতে। একটি বই মানে একটি ডকুমেন্ট। রিল, টিকটক, ইউটিউব এসবই ক্ষণস্থায়ী আনন্দদায়ক মাধ্যম। কিন্তু একটি বই সেভাবে লেখা হলে হাজার বছর পরেও কারো উপকারে আসতে পারে। বই লেখা সাধনার ব্যাপার। আমার ধারণা, আমি এখনও সেই সাধনার স্তরে পৌঁছাতে পারিনি।
আজকের পত্রিকা: ভ্রমণ আপনার প্রিয় বিষয়। সম্ভবত উত্তর ও দক্ষিণ মেরু বাদে আপনি সব মহাদেশের কোনো না কোনো দেশে গেছেন। ভ্রমণে উৎসাহিত হওয়ার কারণ কী?
ফাতিমা জাহান: ভ্রমণ আমার কাছে প্রার্থনার মতো। প্রার্থনায় মানুষ মনে শান্তি পায়। আমি পাই ভ্রমণে। এ ছাড়া নিজের দেশ, জাতি, সংস্কৃতির বাইরে এই বিশাল পৃথিবীতে কত কিছু যে জানার আছে, শেখার আছে, তা ভ্রমণ ছাড়া সম্ভব নয়। এমনও হয়েছে, কোনো একটি জায়গা সম্পর্কে আমি কিছু না জেনে চলে গিয়েছি আর ফিরে এসেছি ঝুলি ভর্তী জ্ঞান ও আনন্দ নিয়ে। এই অভিজ্ঞতাই হয়তো ভ্রমণে আমাকে আরও বেশি উৎসাহিত করেছে।
আজকের পত্রিকা: আপনি একজন সলো ট্রাভেলার। একাকী ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন। এর বিশেষ কোনো কারণ আছে কি?
ফাতিমা জাহান: সোলো ট্রাভেলার হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ, আমি আমার ভ্রমণের সময় ও সুযোগ মতো খুব কম সঙ্গী পেয়েছি যার রুচি আমার সঙ্গে মেলে। আরও একটি কারণ, যেকোনো জনপদে আমি দীর্ঘ সময় নিয়ে ভ্রমণ করি। সেখানকার ভাষা, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানি। দীর্ঘ সময় নিয়ে ভ্রমণ করা যায়, ভারত উপমহাদেশে এখনও এই কনসেপ্টটি ঠিক মতো দানাবাঁধেনি। ভারতবর্ষের মানুষ এখনও ভিনদেশী সংস্কৃতি বা খাবারে রপ্ত হতে পারেনি। সব জায়গায় নিজেদের পছন্দ মতো খাবার বা আবাস পাওয়া যে যাবে, এমনও নয়। আমি বেশ কয়েক বছর মাউন্টেইন ক্লাইম্বিং করেছি। তাই থাকা খাওয়া নিয়ে আমার বায়াসনেস নেই। অনেক সময় প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভ্রমণের সময় নাগরিক সুযোগ সুবিধা একেবারেই মেলে না। এটিও শহুরে ভ্রামণিকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে। যত প্রতিকূলতা থাকুক না কেন, আমি তাই সঙ্গী না পেলে একাই বেরিয়ে পড়ি।
এমনও হয়, কোনো একটা জায়গা আমার পছন্দ হলো কিন্তু আমার সঙ্গীর হলো না বা ভাইসভার্সা। তখন ভ্রমণের আনন্দ মাটি হয়ে যায়।
আজকের পত্রিকা: ভ্রমণে গিয়ে বিপদের মুখে পড়েছেন কোথায়?
ফাতিমা জাহান: ভ্রমণে গিয়ে আমি বিপদের মুখোমুখি হইনি। তবে বিপদ হতে পারে এমন জায়গায় ভ্রমণ করেছি। একবার কাশ্মীরে কারফিউ চলাকালীন সময়ে গিয়ে হাজির হয়েছিলাম। ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল সে যাত্রা। অ্যাডভেঞ্চার আমার রক্তে মিশে আছে। এটা এক ধরনের নেশা। রাজ্য জয় করার নেশার মতো।
আজকের পত্রিকা: ব্যাঙ্গালোরসহ দক্ষিণ ভারতের অনেক শহর এখন বাঙালিদের প্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন।
ফাতিমা জাহান: এই বিষয়টিকে আমি খুব ইতিবাচক ভাবে দেখি। বেশির ভাগ বাঙ্গালীকে অনেকেই বলেন কুয়োর ব্যাঙ। বাঙ্গালী যে উত্তর দক্ষিণে ভ্রমণের উদ্দেশ্য ছড়িয়ে পড়ছে, ব্যাপারটি খুবই আশাবাদী করে আমাকে। দক্ষিণ ভারতের ভাষা ভিন্ন, ভিন্ন এদের খাবার ও সংস্কৃতি। মানুষ যত ভ্রমণ করবে, তত জানবে, ততই অন্য জাতিকে শ্রদ্ধা করতে শিখবে।
আজকের পত্রিকা: দক্ষিণ ভারত চিকিৎসা ভ্রমণের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বসবাসের অভিজ্ঞতায় কারণগুলো কী বলে মনে করেন?
ফাতিমা জাহান: সততা, দায়িত্বশীলতা, সময়ানুবর্তিতা ও নিয়মানুবর্তিতার জন্য দক্ষিণ ভারত নিজের জায়গা অনেক আগেই করে নিয়েছে। দক্ষিণ ভারতের সেবা খাত অভূতপূর্ব উদাহরণ হয়ে থাকতে পারে বাংলাদেশের জন্য। চিকিৎসাবিজ্ঞানে রোবোটিক টেকনোলজির ব্যবহার এক যুগের বেশি সময় আগে থেকে হয়ে আসছে, যার প্রয়োগ আমি দেশে হয় বলে এখনও শুনিনি। উন্নত দেশে যখন যে প্রযুক্তির ব্যবহার চালু হয় ভারতে তা সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে, বিশেষ করে ব্যাঙ্গালোরে। এ বিষয়ের সঙ্গে চিকিৎসা সেবায় জড়িত সকলকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।
একজন চিকিৎসক যে পরিমাণ সময় নেন একজন রোগী দেখতে বা কেইস হিস্ট্রি নিতে, তার নজির আমাদের দেশে খুব কম। এ ছাড়া সেখানকার যোগাযোগব্যবস্থা বহুলাংশে ভালো, জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলকভাবে কম, নিরাপদ নগর হওয়ার কারণে চুরি ছিনতাইয়ের ভয় নেই, নারীদের চলাফেরা বা পোশাকে নেই কোনো আরোপ। অকারণে হয়রানিমূলক আচরণের আশঙ্কা নেই। কাজ করে দেবার নাম করে টাকাপয়সা মেরে দিয়ে উধাও হয়ে যাবার উদাহরণও খুব বেশি পাওয়া যায় না। ব্যাঙ্গালোরের পুলিশ ও প্রশাসন এ ব্যাপারে শক্ত অবস্থানে আছে।
আজকের পত্রিকা: দেশের যে নারীরা সলো ট্রাভেল করতে চায় তাদের জন্য কী বলবেন?
ফাতিমা জাহান: নিজেকে জানার জন্য, নিজের মনের চাহিদা বোঝার জন্য, নিজের ব্যক্তিত্বকে উপলব্ধি করার জন্য প্রত্যেক মানুষের সোলো ট্রাভেলিং করা উচিৎ বলে আমি মনে করি। বেশিরভাগ মানুষ সমাজ যেভাবে শিখিয়ে দেয় সেভাবে পরিচালিত হয়, কিছুটা বাধ্য হয়ে কিছুটা নিজের বিবেক বুদ্ধি ব্যবহার না করে। আমাদের দেশের নারীরা সব ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। নারীদের অগ্রযাত্রাকে আমি সবসময়ই উৎসাহিত করি। বহু দেশে নারীর কাজ বা পুরুষের কাজ বলে আলাদা কিছু নেই।
যারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সোলো ট্রাভেলিং করতে চান তাঁদের বলব, আর দেরি নয় বেরিয়ে পড়ুন। জগৎ বিশাল কিন্তু জীবন ছোট। এক জীবনে অনেক কিছু করার আছে, জানার আছে, শেখার আছে। আর এই সাহস, এই শিক্ষা ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে। ভ্রমণ মানুষের হৃদয়ের পথ প্রশস্ত করে, একজন মানুষকে আলোকিত করে। এই আলোর মাঝেই যেন আমাদের বসবাস হয়।

আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
৪৩ মিনিট আগে
সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে।
৪৪ মিনিট আগে
বেকিংয়ের কথা মনে এলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে নরম কেক, তুলতুলে পাউরুটি কিংবা বিস্কুটের কথা। তবে এসব বানানোর সময় একই ময়দা দিয়ে সব তৈরি করতে গেলেই ঘটে বিপত্তি—হয় কেক শক্ত হয়ে যায়, নয়তো পাউরুটি ঠিকমতো ফোলে না।
২ ঘণ্টা আগে
আসছে বড়দিন। মানে ছুটির দিন। কর্মব্যস্ত জীবনে একটা দিন ছুটি মানেই খানিক অন্য রকম খাবার খাওয়ার চেষ্টা। শখের রাঁধুনি যাঁরা ভাবছেন, এবার বড়দিনে রান্নাঘরের দায়িত্বটা নিজেই নেবেন, তাঁদের জন্যই এই লেখা। যেহেতু উৎসবে প্রথম নিজে রান্না করবেন, তাই রান্নাটা যত রিস্ক ফ্রি হবে, ততই ভালো। মাংস ও মিষ্টি আইটেমের...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান। বন্ধুদের সঙ্গে সময় ভালো কাটবে, তবে তাদের পকেট মারার চেষ্টা করবেন না!
বৃষ
আজ খুব ব্যস্ত থাকবেন। এত দৌড়ঝাঁপ করবেন যে লোকে ভাববে আপনি বোধহয় অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সাবধান, আজ পায়ে চোট পাওয়ার প্রবল যোগ। রাস্তাঘাটে মোবাইলে মুখ গুঁজে না হেঁটে একটু সামনের দিকে তাকান। আর্থিক বিনিয়োগের জন্য দিনটি ভালো, তবে টাকাটা লটারিতে না লাগিয়ে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে লাগালে ভবিষ্যতে বাড়ির লোক আপনাকে অন্তত একটু সম্মান দেবে।
মিথুন
অফিসে আজ বসের প্রচুর কথা শুনতে হতে পারে। মনে রাখবেন, বসের কথাগুলো অনেকটা রেডিওর বিজ্ঞাপনের মতো—শুনতে খারাপ লাগলেও বন্ধ করার উপায় নেই। বাড়িতে গেস্ট আসার সম্ভাবনা আছে, যা আপনার শান্তিতে বিঘ্ন ঘটাবে। জরুরি কাগজে সই করার আগে অন্তত তিনবার পড়ে নিন, নয়তো পরে দেখবেন নিজের সম্পত্তি অজান্তেই কাউকে দান করে দিয়েছেন। আর্থিক দিকটা মোটামুটি উজ্জ্বল।
কর্কট
সকাল থেকে ব্যবসায় ভালো গতি আসবে। কাস্টমারকে কথা বলার সুযোগ দেবেন না, একাই বকে যান। তবে খরচ করার সময় একটু রাশ টানুন, জমানো টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার ভয় আছে। ভাই-বোনদের ওপর আজ দাদাগিরি ফলাতে পারবেন, তারা আপনার কথা শুনবে (হয়তো ভয়ে)। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, কিন্তু তাই বলে আজই হিমালয়ে ট্রেকিং করতে বেরিয়ে যাবেন না!
সিংহ
স্ত্রীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার যোগ আছে। মনে রাখবেন, স্ত্রীর হাসি মানেই আপনার পকেটের ফাঁসি! পাশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে। যদি কেউ আপনার নামে ষড়যন্ত্র করে, তবে জানবেন জনপ্রিয় হচ্ছেন। আজ নতুন কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে পারে, তবে সেই বন্ধুর থেকে টাকা ধার নেওয়ার কথা এখনই ভাববেন না।
কন্যা
আপনার অসাধারণ বুদ্ধির জোরে আজ ব্যবসায় মুনাফা বাড়বে। ঋণ থেকে মুক্তির সুযোগ আসতে পারে, কিন্তু তার জন্য লটারি জেতার অপেক্ষা করলে চলবে না। আজ কাউকে ‘না’ বলতে শিখুন, নয়তো লোকে আপনাকে দিয়ে অফিসের সব ছোট কাজ করিয়ে নেবে। ভ্রমণে বেরোলে পেটের দিকে খেয়াল রাখুন, রাস্তার ফুচকা আপনার বড় শত্রু হতে পারে।
তুলা
প্রেমে অতিরিক্ত আশা করা আজ ঠিক হবে না। হয়তো চাঁদ-তারা এনে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, আর সঙ্গী হয়তো ভাবছে পরের মাসে ইলেকট্রিক বিল কে দেবে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে। তাড়াহুড়ো এড়িয়ে চলুন, শান্তিতে এক কাপ চা খান। মনে রাখবেন, প্রেম না টিকলে কাচ্চি বিরিয়ানি তো আছেই!
বৃশ্চিক
সকালের দিকে কোনো বন্ধুর দ্বারা একটু বিরক্ত হতে পারেন। হয়তো সে আপনার কাছে পুরোনো ধার চাইতে এসেছে। শরীরের কোথাও ব্যথা আজ আপনার কাজে বাগড়া দিতে পারে। হাঁটাহাঁটি করার সময় একটু সচেতন থাকুন। প্রিয়জনের প্রতি আস্থা বজায় রাখুন, অকারণে গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে কপালে দুঃখ আছে।
ধনু
আজ সকাল থেকেই মন খাওয়ার দিকে থাকবে। ডায়েট চার্টটা আজ ড্রয়ারে ভরে রাখুন। সমাজে দান-ধ্যান করার জন্য খ্যাতি বাড়তে পারে, তবে নিজের পকেট খালি করে দান করবেন না। অতিথিদের সংখ্যা বাড়তে পারে, তাই ফ্রিজে অন্তত কয়েকটা মিষ্টি মজুত রাখুন। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ থাকবে।
মকর
অংশীদারি ব্যবসায় নিজের অধিকার বজায় রাখার চেষ্টা করুন, নয়তো পার্টনার আপনাকে দিয়ে চা বানিয়ে নেবে। শিল্পীদের জন্য আজ দারুণ সুযোগ আসতে পারে। গাড়ি কেনার পরিকল্পনা থাকলে আজ আলোচনা এগোতে পারেন। গুরুজনদের শরীর নিয়ে একটু দুশ্চিন্তা হতে পারে, তাই অযথা তর্ক করে তাঁদের ব্লাড প্রেশার বাড়াবেন না।
কুম্ভ
আজকের দিনটি আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বিবাদে জড়ানোর সম্ভাবনা আছে, তাই পাড়ার মোড়ে অযথা তর্ক করবেন না। ব্যবসায় একটু ক্ষতির আশঙ্কা আছে, তাই বড় ইনভেস্টমেন্ট আজ এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন, অন্তত প্রতিদিন সকালে দাঁত মাজাটা শুরু করতে পারেন!
মীন
আজ কর্মক্ষেত্রে পরিস্থিতি আপনার অনুকূল থাকবে। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে বসের চেয়ারে বসে পড়বেন না। পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই বড় সিদ্ধান্ত নিন। মূল্যবান জিনিসপত্রের প্রতি যত্নশীল হোন, নয়তো দেখবেন মোবাইলটা ভুলে বাসেই ফেলে এসেছেন। দিনটি সামগ্রিকভাবে শুভ, শুধু বিকেলের পর একটু শান্ত থাকুন।

মেষ
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান। বন্ধুদের সঙ্গে সময় ভালো কাটবে, তবে তাদের পকেট মারার চেষ্টা করবেন না!
বৃষ
আজ খুব ব্যস্ত থাকবেন। এত দৌড়ঝাঁপ করবেন যে লোকে ভাববে আপনি বোধহয় অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সাবধান, আজ পায়ে চোট পাওয়ার প্রবল যোগ। রাস্তাঘাটে মোবাইলে মুখ গুঁজে না হেঁটে একটু সামনের দিকে তাকান। আর্থিক বিনিয়োগের জন্য দিনটি ভালো, তবে টাকাটা লটারিতে না লাগিয়ে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে লাগালে ভবিষ্যতে বাড়ির লোক আপনাকে অন্তত একটু সম্মান দেবে।
মিথুন
অফিসে আজ বসের প্রচুর কথা শুনতে হতে পারে। মনে রাখবেন, বসের কথাগুলো অনেকটা রেডিওর বিজ্ঞাপনের মতো—শুনতে খারাপ লাগলেও বন্ধ করার উপায় নেই। বাড়িতে গেস্ট আসার সম্ভাবনা আছে, যা আপনার শান্তিতে বিঘ্ন ঘটাবে। জরুরি কাগজে সই করার আগে অন্তত তিনবার পড়ে নিন, নয়তো পরে দেখবেন নিজের সম্পত্তি অজান্তেই কাউকে দান করে দিয়েছেন। আর্থিক দিকটা মোটামুটি উজ্জ্বল।
কর্কট
সকাল থেকে ব্যবসায় ভালো গতি আসবে। কাস্টমারকে কথা বলার সুযোগ দেবেন না, একাই বকে যান। তবে খরচ করার সময় একটু রাশ টানুন, জমানো টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার ভয় আছে। ভাই-বোনদের ওপর আজ দাদাগিরি ফলাতে পারবেন, তারা আপনার কথা শুনবে (হয়তো ভয়ে)। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, কিন্তু তাই বলে আজই হিমালয়ে ট্রেকিং করতে বেরিয়ে যাবেন না!
সিংহ
স্ত্রীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার যোগ আছে। মনে রাখবেন, স্ত্রীর হাসি মানেই আপনার পকেটের ফাঁসি! পাশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে। যদি কেউ আপনার নামে ষড়যন্ত্র করে, তবে জানবেন জনপ্রিয় হচ্ছেন। আজ নতুন কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে পারে, তবে সেই বন্ধুর থেকে টাকা ধার নেওয়ার কথা এখনই ভাববেন না।
কন্যা
আপনার অসাধারণ বুদ্ধির জোরে আজ ব্যবসায় মুনাফা বাড়বে। ঋণ থেকে মুক্তির সুযোগ আসতে পারে, কিন্তু তার জন্য লটারি জেতার অপেক্ষা করলে চলবে না। আজ কাউকে ‘না’ বলতে শিখুন, নয়তো লোকে আপনাকে দিয়ে অফিসের সব ছোট কাজ করিয়ে নেবে। ভ্রমণে বেরোলে পেটের দিকে খেয়াল রাখুন, রাস্তার ফুচকা আপনার বড় শত্রু হতে পারে।
তুলা
প্রেমে অতিরিক্ত আশা করা আজ ঠিক হবে না। হয়তো চাঁদ-তারা এনে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, আর সঙ্গী হয়তো ভাবছে পরের মাসে ইলেকট্রিক বিল কে দেবে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে। তাড়াহুড়ো এড়িয়ে চলুন, শান্তিতে এক কাপ চা খান। মনে রাখবেন, প্রেম না টিকলে কাচ্চি বিরিয়ানি তো আছেই!
বৃশ্চিক
সকালের দিকে কোনো বন্ধুর দ্বারা একটু বিরক্ত হতে পারেন। হয়তো সে আপনার কাছে পুরোনো ধার চাইতে এসেছে। শরীরের কোথাও ব্যথা আজ আপনার কাজে বাগড়া দিতে পারে। হাঁটাহাঁটি করার সময় একটু সচেতন থাকুন। প্রিয়জনের প্রতি আস্থা বজায় রাখুন, অকারণে গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে কপালে দুঃখ আছে।
ধনু
আজ সকাল থেকেই মন খাওয়ার দিকে থাকবে। ডায়েট চার্টটা আজ ড্রয়ারে ভরে রাখুন। সমাজে দান-ধ্যান করার জন্য খ্যাতি বাড়তে পারে, তবে নিজের পকেট খালি করে দান করবেন না। অতিথিদের সংখ্যা বাড়তে পারে, তাই ফ্রিজে অন্তত কয়েকটা মিষ্টি মজুত রাখুন। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ থাকবে।
মকর
অংশীদারি ব্যবসায় নিজের অধিকার বজায় রাখার চেষ্টা করুন, নয়তো পার্টনার আপনাকে দিয়ে চা বানিয়ে নেবে। শিল্পীদের জন্য আজ দারুণ সুযোগ আসতে পারে। গাড়ি কেনার পরিকল্পনা থাকলে আজ আলোচনা এগোতে পারেন। গুরুজনদের শরীর নিয়ে একটু দুশ্চিন্তা হতে পারে, তাই অযথা তর্ক করে তাঁদের ব্লাড প্রেশার বাড়াবেন না।
কুম্ভ
আজকের দিনটি আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বিবাদে জড়ানোর সম্ভাবনা আছে, তাই পাড়ার মোড়ে অযথা তর্ক করবেন না। ব্যবসায় একটু ক্ষতির আশঙ্কা আছে, তাই বড় ইনভেস্টমেন্ট আজ এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন, অন্তত প্রতিদিন সকালে দাঁত মাজাটা শুরু করতে পারেন!
মীন
আজ কর্মক্ষেত্রে পরিস্থিতি আপনার অনুকূল থাকবে। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে বসের চেয়ারে বসে পড়বেন না। পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই বড় সিদ্ধান্ত নিন। মূল্যবান জিনিসপত্রের প্রতি যত্নশীল হোন, নয়তো দেখবেন মোবাইলটা ভুলে বাসেই ফেলে এসেছেন। দিনটি সামগ্রিকভাবে শুভ, শুধু বিকেলের পর একটু শান্ত থাকুন।

আমি যেসময় ব্যাঙ্গালোরে গিয়েছি সেসময়কার ব্যাঙ্গালোর আর এখনকার ব্যাঙ্গালোরের মাঝে ফাঁরাক অনেক। বিশ থেকে বাইশ বছর আগে ব্যাঙ্গালোরে বিদেশের আউটসোর্সিং কম্পানিগুলো সবে অফিস খুলতে শুরু করেছে। তখন জনসংখ্যাও তেমন ছিলো না, ছিলো না সুউচ্চ ভবন। সাধারণত সেখানে
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে।
৪৪ মিনিট আগে
বেকিংয়ের কথা মনে এলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে নরম কেক, তুলতুলে পাউরুটি কিংবা বিস্কুটের কথা। তবে এসব বানানোর সময় একই ময়দা দিয়ে সব তৈরি করতে গেলেই ঘটে বিপত্তি—হয় কেক শক্ত হয়ে যায়, নয়তো পাউরুটি ঠিকমতো ফোলে না।
২ ঘণ্টা আগে
আসছে বড়দিন। মানে ছুটির দিন। কর্মব্যস্ত জীবনে একটা দিন ছুটি মানেই খানিক অন্য রকম খাবার খাওয়ার চেষ্টা। শখের রাঁধুনি যাঁরা ভাবছেন, এবার বড়দিনে রান্নাঘরের দায়িত্বটা নিজেই নেবেন, তাঁদের জন্যই এই লেখা। যেহেতু উৎসবে প্রথম নিজে রান্না করবেন, তাই রান্নাটা যত রিস্ক ফ্রি হবে, ততই ভালো। মাংস ও মিষ্টি আইটেমের...
২ ঘণ্টা আগেতুষ্টি মনোয়ার

সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে। সঙ্গে আপনার ঘর করে তুলবে প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শক্তিতে ভরপুর। এটি যেমন আভিজাত্যপূর্ণ, তেমনি মন ভালো রাখতেও যথেষ্ট কার্যকর। এখন খুব সহজে একটি সুইচ টিপে নিজের ঘর ছবির মতো অনন্য করে তোলা যায়। ঘর স্মার্টভাবে সাজাতে কোন জায়গায় কী রকম আলো ব্যবহার করতে হবে, তা জেনে নিন এখানে।
আলোর ধরন ও ব্যবহার
ঘর সাজাতে সাধারণত কয়েক ধরনের আলো ব্যবহার করা হয়—
উৎসবে বিভিন্ন ঘরে আলোর ব্যবহার
শোয়ার ঘর
শোয়ার ঘর যেহেতু বিশ্রামের জায়গা, তাই সেখানে আলো হওয়া উচিত নরম। তবে বাড়িতে দাওয়াত বা উৎসবের দিনগুলোয় অতিথি সমাগম হলে শোয়ার ঘরেও আড্ডা জমে ওঠে। উৎসবকে কেন্দ্র করে শোয়ার ঘর আলোয় সাজাতে পারেন। দেয়ালের ল্যাম্প অথবা সিলিং থেকে ঝোলানো পেন্ডেন্ট লাইটে ঘরে আভিজাত্য এনে দেয়। এই ঘরের আলোকসজ্জায় ফ্ল্যাশ-মাউন্ট-ফিক্সচার বেছে নিতে পারেন।

বসার ঘর
এটি সবাই মিলে বসে টিভি দেখা বা আড্ডা দেওয়ার জায়গা। এই ঘরে টিভির পেছনে ‘বায়াস লাইটিং’ ব্যবহার করলে চোখের ওপর চাপ কম পড়বে। এখানে আড্ডার আবহ ঠিক রাখতে সাধারণ আলোর পাশাপাশি মৃদু আলোর ব্যবস্থাও রাখা উচিত।

ডাইনিং
খাবার টেবিলের ঠিক ওপরে একটি ঝাড়বাতি বা মাল্টি-লাইট পেন্ডেন্ট বসালে তা সব দিকে সমানভাবে আলো ছড়াবে। খাবারের পরিবেশ উৎসবমুখর রাখতে আলোর তীব্রতা কমানো-বাড়ানোর জন্য ‘ডিমার সুইচ’ ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

পড়ার ঘর
পড়ার টেবিলে অবশ্যই অ্যাডজাস্টেবল ল্যাম্প রাখতে হবে। এখানে আলো এমনভাবে সেট করতে হবে, যাতে বইয়ের ওপর সরাসরি আলো পড়ে এবং চোখের ওপর চাপ তৈরি না করে।
সিঁড়ি ও আউটডোর
নিরাপত্তার জন্য সিঁড়িতে স্ট্রিপ লাইট বা ওয়াল মাউন্টেড স্পটলাইট ব্যবহার করতে পারেন। আর উৎসবে বাড়ির প্রবেশপথ বা বাগানে হাঙ্গিং লাইট লাগালে তা বাড়ির সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।
সূত্র: হোমলেন

সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে। সঙ্গে আপনার ঘর করে তুলবে প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শক্তিতে ভরপুর। এটি যেমন আভিজাত্যপূর্ণ, তেমনি মন ভালো রাখতেও যথেষ্ট কার্যকর। এখন খুব সহজে একটি সুইচ টিপে নিজের ঘর ছবির মতো অনন্য করে তোলা যায়। ঘর স্মার্টভাবে সাজাতে কোন জায়গায় কী রকম আলো ব্যবহার করতে হবে, তা জেনে নিন এখানে।
আলোর ধরন ও ব্যবহার
ঘর সাজাতে সাধারণত কয়েক ধরনের আলো ব্যবহার করা হয়—
উৎসবে বিভিন্ন ঘরে আলোর ব্যবহার
শোয়ার ঘর
শোয়ার ঘর যেহেতু বিশ্রামের জায়গা, তাই সেখানে আলো হওয়া উচিত নরম। তবে বাড়িতে দাওয়াত বা উৎসবের দিনগুলোয় অতিথি সমাগম হলে শোয়ার ঘরেও আড্ডা জমে ওঠে। উৎসবকে কেন্দ্র করে শোয়ার ঘর আলোয় সাজাতে পারেন। দেয়ালের ল্যাম্প অথবা সিলিং থেকে ঝোলানো পেন্ডেন্ট লাইটে ঘরে আভিজাত্য এনে দেয়। এই ঘরের আলোকসজ্জায় ফ্ল্যাশ-মাউন্ট-ফিক্সচার বেছে নিতে পারেন।

বসার ঘর
এটি সবাই মিলে বসে টিভি দেখা বা আড্ডা দেওয়ার জায়গা। এই ঘরে টিভির পেছনে ‘বায়াস লাইটিং’ ব্যবহার করলে চোখের ওপর চাপ কম পড়বে। এখানে আড্ডার আবহ ঠিক রাখতে সাধারণ আলোর পাশাপাশি মৃদু আলোর ব্যবস্থাও রাখা উচিত।

ডাইনিং
খাবার টেবিলের ঠিক ওপরে একটি ঝাড়বাতি বা মাল্টি-লাইট পেন্ডেন্ট বসালে তা সব দিকে সমানভাবে আলো ছড়াবে। খাবারের পরিবেশ উৎসবমুখর রাখতে আলোর তীব্রতা কমানো-বাড়ানোর জন্য ‘ডিমার সুইচ’ ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

পড়ার ঘর
পড়ার টেবিলে অবশ্যই অ্যাডজাস্টেবল ল্যাম্প রাখতে হবে। এখানে আলো এমনভাবে সেট করতে হবে, যাতে বইয়ের ওপর সরাসরি আলো পড়ে এবং চোখের ওপর চাপ তৈরি না করে।
সিঁড়ি ও আউটডোর
নিরাপত্তার জন্য সিঁড়িতে স্ট্রিপ লাইট বা ওয়াল মাউন্টেড স্পটলাইট ব্যবহার করতে পারেন। আর উৎসবে বাড়ির প্রবেশপথ বা বাগানে হাঙ্গিং লাইট লাগালে তা বাড়ির সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।
সূত্র: হোমলেন

আমি যেসময় ব্যাঙ্গালোরে গিয়েছি সেসময়কার ব্যাঙ্গালোর আর এখনকার ব্যাঙ্গালোরের মাঝে ফাঁরাক অনেক। বিশ থেকে বাইশ বছর আগে ব্যাঙ্গালোরে বিদেশের আউটসোর্সিং কম্পানিগুলো সবে অফিস খুলতে শুরু করেছে। তখন জনসংখ্যাও তেমন ছিলো না, ছিলো না সুউচ্চ ভবন। সাধারণত সেখানে
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
৪৩ মিনিট আগে
বেকিংয়ের কথা মনে এলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে নরম কেক, তুলতুলে পাউরুটি কিংবা বিস্কুটের কথা। তবে এসব বানানোর সময় একই ময়দা দিয়ে সব তৈরি করতে গেলেই ঘটে বিপত্তি—হয় কেক শক্ত হয়ে যায়, নয়তো পাউরুটি ঠিকমতো ফোলে না।
২ ঘণ্টা আগে
আসছে বড়দিন। মানে ছুটির দিন। কর্মব্যস্ত জীবনে একটা দিন ছুটি মানেই খানিক অন্য রকম খাবার খাওয়ার চেষ্টা। শখের রাঁধুনি যাঁরা ভাবছেন, এবার বড়দিনে রান্নাঘরের দায়িত্বটা নিজেই নেবেন, তাঁদের জন্যই এই লেখা। যেহেতু উৎসবে প্রথম নিজে রান্না করবেন, তাই রান্নাটা যত রিস্ক ফ্রি হবে, ততই ভালো। মাংস ও মিষ্টি আইটেমের...
২ ঘণ্টা আগেফারাহ্ রহমান

বেকিংয়ের কথা মনে এলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে নরম কেক, তুলতুলে পাউরুটি কিংবা বিস্কুটের কথা। তবে এসব বানানোর সময় একই ময়দা দিয়ে সব তৈরি করতে গেলেই ঘটে বিপত্তি—হয় কেক শক্ত হয়ে যায়, নয়তো পাউরুটি ঠিকমতো ফোলে না। এর মূল কারণ হলো ভুল ময়দা নির্বাচন করা। প্রতিটি খাবারের সঠিক গন্ধ ও স্বাদ বজায় রাখতে এর মূল উপাদান সম্পর্কে ধারণা রাখা খুবই জরুরি। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন। তারপর নতুন বছর; ফলে এটাই বেকিংয়ের সেরা সময়। জেনে নিতে পারেন কোন খাবার বেকিংয়ে কোন ধরনের ময়দা বেছে নিতে হবে।
ময়দা আসলে কী
বিভিন্ন শস্য; যেমন ধান, গম, যব, বিভিন্ন বাদাম অথবা বিভিন্ন বীজ পিষে তৈরি করা মিহি গুঁড়াই মূলত ময়দা। আমরা সাধারণত গমের ময়দা বেশি ব্যবহার করি। ময়দার সঙ্গে পানি বা দুধ মেশালে এতে থাকা প্রোটিনগুলো মিলে ‘গ্লুটেন’ তৈরি করে। এই গ্লুটেনই খাবার নরম বানায়।
ভিন্ন ভিন্ন ময়দা এবং এর ব্যবহার
সাধারণ ময়দা
আমাদের রান্নাঘরে খুঁজলেই পাওয়া যায় এই সাধারণ ময়দা বা অল পারপাস ফ্লাওয়ার। কেক, বিস্কুট, পেস্ট্রি কিংবা প্যানকেক বানানোর জন্য এটি সবচেয়ে উপযুক্ত। এর গ্লুটেন মাঝারি মানের হওয়ায় তৈরি খাবার খুব বেশি নরম বা শক্ত হয় না।
স্ট্রং হোয়াইট ব্রেড ফ্লাওয়ার
এটি পাউরুটি বানানোর জন্য বিশেষ ময়দা। যাঁরা ঘরে পাউরুটি, পিৎজা অথবা ডোনাট বানাতে চান, তাঁদের জন্য এটি হবে সেরা। এতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে, যা প্রচুর গ্লুটেন তৈরি করে। ফলে পাউরুটি অনেক বেশি ফোলে এবং সুন্দর টেক্সচার তৈরি করে।
সেলফ-রাইজিং ফ্লাওয়ার
এই ময়দায় আগে থেকে বেকিং পাউডার ও লবণ মেশানো থাকে। ঝটপট কেক, মাফিন বা স্কোনস বানাতে এটি ব্যবহার করা হয়। এতে আগে থেকে পরিমাণমতো সব মেশানো থাকায় পরিমাণে ভুল হওয়ার ভয় থাকে না।
হোলসাম ফ্লাওয়ার
পুরো গম পিষে এটি তৈরি করা হয়। ফলে এতে আঁশ ও পুষ্টিগুণ বেশি থাকে এবং এটি দেখতে লাল বা বাদামি রঙের হয়। স্বাস্থ্যকর রুটি বা ভারী পাউরুটি বানাতে এটি ব্যবহার করা হয়। এটি একটু ঘন ও দানাদার হয়।
কর্নফ্লাওয়ার
এটি আসলে বেকিংয়ের চেয়ে রান্নায় বেশি ব্যবহার করা হয়। স্যুপ অথবা ঘন সস তৈরিতে কর্নফ্লাওয়ার অতুলনীয়। তবে এটি ব্যবহার করার আগে ঠান্ডা পানিতে গুলিয়ে ব্যবহার করলে দলা পাকানোর ভয় থাকে না।
সঠিক নির্বাচনেই সাফল্য
যে রেসিপির জন্য যে ধরনের ময়দার কথা বলা হয়, সব সময় সেটিই ব্যবহারের চেষ্টা করুন। হাতের কাছে সেলফ-রাইজিং ফ্লাওয়ার না থাকলে সাধারণ ময়দার সঙ্গে পরিমাণমতো বেকিং পাউডার মিশিয়ে নিলে কাজ চলে যাবে। সঠিক ময়দা ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে দারুণ কেক বা পাউরুটি বানাতে পারবেন।
সূত্র: গয়া বেকারি ও অন্যান্য

বেকিংয়ের কথা মনে এলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে নরম কেক, তুলতুলে পাউরুটি কিংবা বিস্কুটের কথা। তবে এসব বানানোর সময় একই ময়দা দিয়ে সব তৈরি করতে গেলেই ঘটে বিপত্তি—হয় কেক শক্ত হয়ে যায়, নয়তো পাউরুটি ঠিকমতো ফোলে না। এর মূল কারণ হলো ভুল ময়দা নির্বাচন করা। প্রতিটি খাবারের সঠিক গন্ধ ও স্বাদ বজায় রাখতে এর মূল উপাদান সম্পর্কে ধারণা রাখা খুবই জরুরি। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন। তারপর নতুন বছর; ফলে এটাই বেকিংয়ের সেরা সময়। জেনে নিতে পারেন কোন খাবার বেকিংয়ে কোন ধরনের ময়দা বেছে নিতে হবে।
ময়দা আসলে কী
বিভিন্ন শস্য; যেমন ধান, গম, যব, বিভিন্ন বাদাম অথবা বিভিন্ন বীজ পিষে তৈরি করা মিহি গুঁড়াই মূলত ময়দা। আমরা সাধারণত গমের ময়দা বেশি ব্যবহার করি। ময়দার সঙ্গে পানি বা দুধ মেশালে এতে থাকা প্রোটিনগুলো মিলে ‘গ্লুটেন’ তৈরি করে। এই গ্লুটেনই খাবার নরম বানায়।
ভিন্ন ভিন্ন ময়দা এবং এর ব্যবহার
সাধারণ ময়দা
আমাদের রান্নাঘরে খুঁজলেই পাওয়া যায় এই সাধারণ ময়দা বা অল পারপাস ফ্লাওয়ার। কেক, বিস্কুট, পেস্ট্রি কিংবা প্যানকেক বানানোর জন্য এটি সবচেয়ে উপযুক্ত। এর গ্লুটেন মাঝারি মানের হওয়ায় তৈরি খাবার খুব বেশি নরম বা শক্ত হয় না।
স্ট্রং হোয়াইট ব্রেড ফ্লাওয়ার
এটি পাউরুটি বানানোর জন্য বিশেষ ময়দা। যাঁরা ঘরে পাউরুটি, পিৎজা অথবা ডোনাট বানাতে চান, তাঁদের জন্য এটি হবে সেরা। এতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে, যা প্রচুর গ্লুটেন তৈরি করে। ফলে পাউরুটি অনেক বেশি ফোলে এবং সুন্দর টেক্সচার তৈরি করে।
সেলফ-রাইজিং ফ্লাওয়ার
এই ময়দায় আগে থেকে বেকিং পাউডার ও লবণ মেশানো থাকে। ঝটপট কেক, মাফিন বা স্কোনস বানাতে এটি ব্যবহার করা হয়। এতে আগে থেকে পরিমাণমতো সব মেশানো থাকায় পরিমাণে ভুল হওয়ার ভয় থাকে না।
হোলসাম ফ্লাওয়ার
পুরো গম পিষে এটি তৈরি করা হয়। ফলে এতে আঁশ ও পুষ্টিগুণ বেশি থাকে এবং এটি দেখতে লাল বা বাদামি রঙের হয়। স্বাস্থ্যকর রুটি বা ভারী পাউরুটি বানাতে এটি ব্যবহার করা হয়। এটি একটু ঘন ও দানাদার হয়।
কর্নফ্লাওয়ার
এটি আসলে বেকিংয়ের চেয়ে রান্নায় বেশি ব্যবহার করা হয়। স্যুপ অথবা ঘন সস তৈরিতে কর্নফ্লাওয়ার অতুলনীয়। তবে এটি ব্যবহার করার আগে ঠান্ডা পানিতে গুলিয়ে ব্যবহার করলে দলা পাকানোর ভয় থাকে না।
সঠিক নির্বাচনেই সাফল্য
যে রেসিপির জন্য যে ধরনের ময়দার কথা বলা হয়, সব সময় সেটিই ব্যবহারের চেষ্টা করুন। হাতের কাছে সেলফ-রাইজিং ফ্লাওয়ার না থাকলে সাধারণ ময়দার সঙ্গে পরিমাণমতো বেকিং পাউডার মিশিয়ে নিলে কাজ চলে যাবে। সঠিক ময়দা ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে দারুণ কেক বা পাউরুটি বানাতে পারবেন।
সূত্র: গয়া বেকারি ও অন্যান্য

আমি যেসময় ব্যাঙ্গালোরে গিয়েছি সেসময়কার ব্যাঙ্গালোর আর এখনকার ব্যাঙ্গালোরের মাঝে ফাঁরাক অনেক। বিশ থেকে বাইশ বছর আগে ব্যাঙ্গালোরে বিদেশের আউটসোর্সিং কম্পানিগুলো সবে অফিস খুলতে শুরু করেছে। তখন জনসংখ্যাও তেমন ছিলো না, ছিলো না সুউচ্চ ভবন। সাধারণত সেখানে
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
৪৩ মিনিট আগে
সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে।
৪৪ মিনিট আগে
আসছে বড়দিন। মানে ছুটির দিন। কর্মব্যস্ত জীবনে একটা দিন ছুটি মানেই খানিক অন্য রকম খাবার খাওয়ার চেষ্টা। শখের রাঁধুনি যাঁরা ভাবছেন, এবার বড়দিনে রান্নাঘরের দায়িত্বটা নিজেই নেবেন, তাঁদের জন্যই এই লেখা। যেহেতু উৎসবে প্রথম নিজে রান্না করবেন, তাই রান্নাটা যত রিস্ক ফ্রি হবে, ততই ভালো। মাংস ও মিষ্টি আইটেমের...
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

আসছে বড়দিন। মানে ছুটির দিন। কর্মব্যস্ত জীবনে একটা দিন ছুটি মানেই খানিক অন্য রকম খাবার খাওয়ার চেষ্টা। শখের রাঁধুনি যাঁরা ভাবছেন, এবার বড়দিনে রান্নাঘরের দায়িত্বটা নিজেই নেবেন, তাঁদের জন্যই এই লেখা। যেহেতু উৎসবে প্রথম নিজে রান্না করবেন, তাই রান্নাটা যত রিস্ক ফ্রি হবে, ততই ভালো। মাংস ও মিষ্টি আইটেমের পাশাপাশি ভেজ আইটেমও তো রাখা চাই। কী থাকতে পারে ভেজ আইটেমে?
হানি রোস্টেড ক্যারট
উপকরণ
ছোট গাজর ১ কেজি, অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ, খাঁটি মধু ৩ টেবিল চামচ, তাজা লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, থাইম গুঁড়া সামান্য, লবণ এবং গোলমরিচগুঁড়া পরিমাণমতো।

প্রণালি
ওভেন ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রিহিট করুন। গাজরের গোড়া ও আগার অংশ কেটে খোসা ছাড়িয়ে নিন। গাজর মোটা হলে লম্বালম্বি অর্ধেক বা লম্বালম্বি চার টুকরো করে কেটে নিয়ে একটি বড় বেকিং ট্রেতে রাখুন। এবার এগুলোর ওপর অলিভ অয়েল ঢেলে দিন। এরপর ওপর থেকে লবণ ও গোলমরিচ ছড়িয়ে দিয়ে ভালো করে মেশান। তারপর ওভেনে ১৫ থেকে ২৫ মিনিটের জন্য বেক করুন। প্রায় নরম ও হালকা বাদামি না হওয়া পর্যন্ত বেক করতে থাকুন। কতটা সময় বেক করতে হবে, তা নির্ভর করবে গাজর কতটা পুরু তার ওপর।
এই ফাঁকে একটি বাটিতে মধু ও লেবুর রস একসঙ্গে ফেটিয়ে নিন। এবার ওভেন থেকে গাজরের ট্রে বের করে নিয়ে বেক করা গাজরের ওপর মধু ও লেবুর মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন। সামান্য থাইম পাতার গুঁড়াও ছড়িয়ে দিতে পারেন। এবার সবকিছু হালকা করে মিশিয়ে নিয়ে আরও ৮-১০ মিনিটের জন্য ওভেনে বেক করুন। গাজরে চকচকে ভাব এলে বের করে পরিবেশন করুন।
এই রেসিপি ভেগানদের জন্য তৈরি করতে, মধুর পরিবর্তে ম্যাপল সিরাপ ব্যবহার করতে পারেন।
রেড ক্যাবেজ স্যালাড
উপকরণ
মাখন ১ চা-চামচ, অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ, সরু করে কাটা পেঁয়াজ ১টি, দারুচিনিগুঁড়া ১ চা- চামচ, জায়ফলগুঁড়া আধা চা-চামচ, ঝিরি ঝিরি করে কাটা লাল বাঁধাকপি ৬০০ গ্রাম, ব্রাউন সুগার ৩ টেবিল চামচ, খোসা ছাড়িয়ে কুচি করে করা আপেল ৩টি, সিরকা এক টেবিল চামচ, থাইম পাতা সাজানোর জন্য।
প্রণালি
একটি বড় ঢাকনাযুক্ত সসপ্যানে মাখন এবং তেল গরম করুন। গরম হলে পেঁয়াজ দিন এবং নরম না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এবার অন্যান্য মসলা দিয়ে নাড়ুন। তারপর বাঁধাকপি যোগ করুন এবং মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন। এভাবে ৩ থেকে ৪ মিনিট ভাজুন। এবার চিনি, আপেল কুচি ও সিরকা দিয়ে আবার কিছুক্ষণ নাড়ুন। তারপর চুলার আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৩০ মিনিট ধরে রান্না করুন। সবশেষ নিজের পছন্দমতো ডিশে পরিবেশন করুন।
পারফেক্ট রোস্ট পটেটো
উপকরণ
যেকোনো উদ্ভিজ্জ তেল ৩ টেবিল চামচ, ৪ ভাগ করে কাটা মাঝারি আকারের আলু ২০০ গ্রাম, লবণ ও গোলমরিচগুঁড়া পরিমাণমতো।

প্রণালি
ওভেন ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস প্রিহিট করুন। চুলায় আলুগুলো প্যানে ঢেকে সেদ্ধ হতে দিন। পানি ফুটে উঠলে লবণ দিয়ে আবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে সেদ্ধ করুন। আধা সেদ্ধ হলে আলুগুলো চুলা থেকে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার পেপার টাওয়েল দিয়ে চেপে আলুর সঙ্গে লেগে থাকা বাড়তি পানি শুকিয়ে ফেলুন। এবার ট্রেতে করে আলুগুলো ১০ মিনিটের জন্য বাতাসের নিচে রাখুন। ওভেন ট্রেতে তেল দিয়ে আলুগুলো ছড়িয়ে দিন। ভালোভাবে তেল ও আলু মাখা হয়ে গেলে ওভেনে ২০ মিনিট ধরে বেক করুন। এরপর বের করে আলুগুলো উল্টেপাল্টে দিয়ে আরও ২০-৩০ মিনিটের জন্য অথবা সোনালি ও মুচমুচে না হওয়া পর্যন্ত বেক করুন। হয়ে গেলে আলুর ওপর লবণ ও গোলমরিচগুঁড়া ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।
সূত্র: বিবিসি ইউকে

আসছে বড়দিন। মানে ছুটির দিন। কর্মব্যস্ত জীবনে একটা দিন ছুটি মানেই খানিক অন্য রকম খাবার খাওয়ার চেষ্টা। শখের রাঁধুনি যাঁরা ভাবছেন, এবার বড়দিনে রান্নাঘরের দায়িত্বটা নিজেই নেবেন, তাঁদের জন্যই এই লেখা। যেহেতু উৎসবে প্রথম নিজে রান্না করবেন, তাই রান্নাটা যত রিস্ক ফ্রি হবে, ততই ভালো। মাংস ও মিষ্টি আইটেমের পাশাপাশি ভেজ আইটেমও তো রাখা চাই। কী থাকতে পারে ভেজ আইটেমে?
হানি রোস্টেড ক্যারট
উপকরণ
ছোট গাজর ১ কেজি, অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ, খাঁটি মধু ৩ টেবিল চামচ, তাজা লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, থাইম গুঁড়া সামান্য, লবণ এবং গোলমরিচগুঁড়া পরিমাণমতো।

প্রণালি
ওভেন ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রিহিট করুন। গাজরের গোড়া ও আগার অংশ কেটে খোসা ছাড়িয়ে নিন। গাজর মোটা হলে লম্বালম্বি অর্ধেক বা লম্বালম্বি চার টুকরো করে কেটে নিয়ে একটি বড় বেকিং ট্রেতে রাখুন। এবার এগুলোর ওপর অলিভ অয়েল ঢেলে দিন। এরপর ওপর থেকে লবণ ও গোলমরিচ ছড়িয়ে দিয়ে ভালো করে মেশান। তারপর ওভেনে ১৫ থেকে ২৫ মিনিটের জন্য বেক করুন। প্রায় নরম ও হালকা বাদামি না হওয়া পর্যন্ত বেক করতে থাকুন। কতটা সময় বেক করতে হবে, তা নির্ভর করবে গাজর কতটা পুরু তার ওপর।
এই ফাঁকে একটি বাটিতে মধু ও লেবুর রস একসঙ্গে ফেটিয়ে নিন। এবার ওভেন থেকে গাজরের ট্রে বের করে নিয়ে বেক করা গাজরের ওপর মধু ও লেবুর মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন। সামান্য থাইম পাতার গুঁড়াও ছড়িয়ে দিতে পারেন। এবার সবকিছু হালকা করে মিশিয়ে নিয়ে আরও ৮-১০ মিনিটের জন্য ওভেনে বেক করুন। গাজরে চকচকে ভাব এলে বের করে পরিবেশন করুন।
এই রেসিপি ভেগানদের জন্য তৈরি করতে, মধুর পরিবর্তে ম্যাপল সিরাপ ব্যবহার করতে পারেন।
রেড ক্যাবেজ স্যালাড
উপকরণ
মাখন ১ চা-চামচ, অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ, সরু করে কাটা পেঁয়াজ ১টি, দারুচিনিগুঁড়া ১ চা- চামচ, জায়ফলগুঁড়া আধা চা-চামচ, ঝিরি ঝিরি করে কাটা লাল বাঁধাকপি ৬০০ গ্রাম, ব্রাউন সুগার ৩ টেবিল চামচ, খোসা ছাড়িয়ে কুচি করে করা আপেল ৩টি, সিরকা এক টেবিল চামচ, থাইম পাতা সাজানোর জন্য।
প্রণালি
একটি বড় ঢাকনাযুক্ত সসপ্যানে মাখন এবং তেল গরম করুন। গরম হলে পেঁয়াজ দিন এবং নরম না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এবার অন্যান্য মসলা দিয়ে নাড়ুন। তারপর বাঁধাকপি যোগ করুন এবং মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন। এভাবে ৩ থেকে ৪ মিনিট ভাজুন। এবার চিনি, আপেল কুচি ও সিরকা দিয়ে আবার কিছুক্ষণ নাড়ুন। তারপর চুলার আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৩০ মিনিট ধরে রান্না করুন। সবশেষ নিজের পছন্দমতো ডিশে পরিবেশন করুন।
পারফেক্ট রোস্ট পটেটো
উপকরণ
যেকোনো উদ্ভিজ্জ তেল ৩ টেবিল চামচ, ৪ ভাগ করে কাটা মাঝারি আকারের আলু ২০০ গ্রাম, লবণ ও গোলমরিচগুঁড়া পরিমাণমতো।

প্রণালি
ওভেন ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস প্রিহিট করুন। চুলায় আলুগুলো প্যানে ঢেকে সেদ্ধ হতে দিন। পানি ফুটে উঠলে লবণ দিয়ে আবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে সেদ্ধ করুন। আধা সেদ্ধ হলে আলুগুলো চুলা থেকে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার পেপার টাওয়েল দিয়ে চেপে আলুর সঙ্গে লেগে থাকা বাড়তি পানি শুকিয়ে ফেলুন। এবার ট্রেতে করে আলুগুলো ১০ মিনিটের জন্য বাতাসের নিচে রাখুন। ওভেন ট্রেতে তেল দিয়ে আলুগুলো ছড়িয়ে দিন। ভালোভাবে তেল ও আলু মাখা হয়ে গেলে ওভেনে ২০ মিনিট ধরে বেক করুন। এরপর বের করে আলুগুলো উল্টেপাল্টে দিয়ে আরও ২০-৩০ মিনিটের জন্য অথবা সোনালি ও মুচমুচে না হওয়া পর্যন্ত বেক করুন। হয়ে গেলে আলুর ওপর লবণ ও গোলমরিচগুঁড়া ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।
সূত্র: বিবিসি ইউকে

আমি যেসময় ব্যাঙ্গালোরে গিয়েছি সেসময়কার ব্যাঙ্গালোর আর এখনকার ব্যাঙ্গালোরের মাঝে ফাঁরাক অনেক। বিশ থেকে বাইশ বছর আগে ব্যাঙ্গালোরে বিদেশের আউটসোর্সিং কম্পানিগুলো সবে অফিস খুলতে শুরু করেছে। তখন জনসংখ্যাও তেমন ছিলো না, ছিলো না সুউচ্চ ভবন। সাধারণত সেখানে
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
৪৩ মিনিট আগে
সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে।
৪৪ মিনিট আগে
বেকিংয়ের কথা মনে এলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে নরম কেক, তুলতুলে পাউরুটি কিংবা বিস্কুটের কথা। তবে এসব বানানোর সময় একই ময়দা দিয়ে সব তৈরি করতে গেলেই ঘটে বিপত্তি—হয় কেক শক্ত হয়ে যায়, নয়তো পাউরুটি ঠিকমতো ফোলে না।
২ ঘণ্টা আগে