ইশতিয়াক হাসান

জলপ্রপাত পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। গহিন জঙ্গলের ভেতরে সবুজ কোনো পাহাড় থেকে নেমে আসা জলপ্রপাতের আকর্ষণ এতটাই তীব্র যে রোমাঞ্চপ্রেমীরা এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে কখনো কখনো জীবনের ঝুঁকিও নিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশেও চমৎকার কিছু জলপ্রপাত আছে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জলপ্রপাতগুলোর দশটির সঙ্গে।
ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত
আফ্রিকা মহাদেশের দুই দেশ জিম্বাবুয়ে ও জাম্বিয়ার সীমানায় পড়েছে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। এটি পৃথিবীর বিখ্যাত জলপ্রপাতগুলোর একটি। প্রায় ১ হাজার ৭০৮ মিটার চওড়া ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, আর এতে পানির পতন ঘটে ১০৮ মিটার উচ্চতা থেকে। এই দুটিকে বিবেচনায় আনলে এটি বিশ্বের বৃহত্তম জলপ্রপাতগুলোর একটি।
ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস—এই জলপ্রপাতের সৌন্দর্য উপভোগের সেরা সময়। কারণ বৃষ্টির কারণে ওই সময় ফুলে-ফেঁপে উঠে জলপ্রপাতটির পানির উৎস জাম্বেসি নদী।
এমনিতেই এর রূপের তুলনা নেই। তারপর আবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মুনবো। রাতের বেলায় দেখা যাওয়া রংধনুই রেইনবোর বদলে মুনবো নামে পরিচিত। বুঝতেই পারছেন বিশাল জায়গা নিয়ে ছড়ানো জলপ্রপাতটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি পড়ে। এতে জলকণার কারণে সব সময়ই প্রচুর কুয়াশা তৈরি হয়। এ কারণেই চন্দ্রালোকিত রাতে এখানে সহজেই জন্ম হয় অসাধারণ এক দৃশ্যের, রাতের রংধনু। মজার ঘটনা জলপ্রপাতটিতে ঘুরতে যাওয়া অনেক পর্যটকই এখানকার এই আশ্চর্য বিষয়টির কথা জানেনই না।
পূর্ণিমার সময় জিম্বাবুয়ে কিংবা জাম্বিয়ার চিরসবুজ অরণ্য বা রেইন ফরেস্ট ধরে পৌঁছে যেতে পারবেন জলপ্রপাতের কাছে। ওই সময় সন্ধ্যার পরে মুনবো দেখানোর জন্য ট্যুর কোম্পানিগুলো বিশেষ আয়োজন করে।
অ্যাঞ্জেল ফলস
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার ক্যানাইমা জাতীয় উদ্যানে অবস্থান অ্যাঞ্জেল ফলসের। পৃথিবীর দীর্ঘতম বা উচ্চতম জলপ্রপাত এটি। এখানে কেরেপ নদী ৯৭৯ মিটার বা ৩২১২ ফুট উচ্চতা থেকে নেমে এসেছে। এর মধ্যে ৮০৭ মিটার বা ২৬৪৮ ফুট বিরতিহীনভাবে পতন ঘটেছে জলের ধারার। এটি কিন্তু ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।
এই জলপ্রপাত দেখার সেরা সময় জুন থেকে ডিসেম্বর। কারণ ওই সময় ভরা নদীর কারণে জলপ্রপাতটিও রূপের ডালি মেলে ধরে।
ইগুয়াজু ফলস
দক্ষিণ আমেরিকার দুই দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সীমানায় পড়েছে ইগুয়াজু জলপ্রপাত। বিশাল জায়গা নিয়ে ছড়িয়েছে এটি। একটি-দুটি নয় ২৭৫টি আলাদা ধারা রয়েছে এতে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু ডেভিল’স থ্রোট, ৮২ মিটার উঁচু এটি। বুঝতেই পারছেন এতগুলো ধারা মিলিয়ে কী মনোমুগ্ধকর এক দৃশ্যের জন্ম দিয়েছে।
এক দশমিক সাত মাইল এলাকা নিয়ে ছড়িয়ে আছে আশ্চর্য এই জলপ্রপাতটি। ইগুয়াজু নদী জন্ম দিয়েছে এর। এই নদী এখানে আলাদা করেছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাকে। যেতে পারবেন দু্ই দেশ থেকেই।
ডেটিফস জলপ্রপাত
জলপ্রপাতের জন্য আলাদা নাম আছে আইসল্যান্ডের। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত দেশটির উত্তর-পূর্বে অবস্থিত ডেটিফস জলপ্রপাত। উচ্চতায় মাত্র ৪৫ মিটার বা ১৪৮ ফুট হলেও একে বিবেচনা করা হয় ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী জলপ্রপাত হিসেবে। জকুলসো ও ফিয়েলেম নদী প্রতি সেকেন্ডে ২১২ টন জলসহ নেমে আসছে এখানে।
ডেটিফসের এক বন্ধু আছে, নাম গালফস। আইসল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এই জলপ্রপাতটি ৩২ মিটার বা ১০৫ ফুট ওপর থেকে নেমে আসছে। এই জলপ্রপাতে রংধনু খেলা করার দৃশ্য দেখা অতি সাধারণ ঘটনা। কেউ কেউ আদর করে ডাকে গোল্ডেন ফলস বা সোনালি জলপ্রপাত নামেও।
বন গিয়ক-দেতিয়ান ফলস
এটি এমন আরেকটি জলপ্রপাত যেটি দুই দেশের সীমানায় পড়েছে। ভিয়েতনাম-চীনের সীমান্তে অবস্থিত বন গিয়ক-দেতিয়ান ফলসকে কখনো আলাদা দুটি জলপ্রপাত বলে মনে হবে। তবে বর্ষায় মিলেমিশে একাবার হয়ে যায় বলে একক জলপ্রপাত হিসেবেই পরিচিত। পাথুরে প্রবল বেগে পানি পতনের শব্দ শোনা যায় বহুদূর থেকে।
বাংলাদেশের মানুষের এখন ভিয়েতনাম ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে। আর সেখানে গেলে সুন্দর এই জলপ্রপাতটি দেখার সৌভাগ্য থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না আশা করি। সবাই বলে চীনের অংশ থেকে ভিয়েতনামের অংশই বেশি মনোমুগ্ধকর।
নায়াগ্রা জলপ্রপাত
শুধু উত্তর আমেরিকা নয় গোটা বিশ্বেরই সবচেয়ে বিখ্যাত জলপ্রপাত খুব সম্ভবত নায়াগ্রা। এমনকি এর আকারও এতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। বিখ্যাত অন্য জলপ্রপাতগুলোর তুলনায় নায়াগ্রার উচ্চতা একেবারেই কম। মাত্র ৫১ মিটার বা ১৬৭ ফুট। কথিত আছে ইগুয়াজু জলপ্রপাত দেখতে গিয়ে ওই সময়কার মার্কিন ফার্স্ট লেডি এলেনর রুজভেল্ট বলেন, ‘দুর্ভাগা নায়াগ্রা’। তবে এই উচ্চতায় খাট হওয়াটা এর অসাধারণ সৌন্দর্যে বিন্দুমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
তিনটি আলাদা প্রপাত নিয়ে তৈরি হওয়া জলপ্রপাতটি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা দুই দেশের সীমানায় পড়েছে। কাজেই যেতে পারবেন দুই দেশ থেকে। তবে অভিজ্ঞরা বলেন, কানাডা অংশ থেকেই নাকি বেশি সুন্দর দেখায় নায়াগ্রাকে।
কায়েতেয়োর জলপ্রপাত
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত গায়ানার ঠিক কেন্দ্রে অবস্থান জলপ্রপাতটির। আমাজনের গভীর অরণ্যে খাঁড়া এর পাহাড়ের ওপর থেকে রূপের ছটা ছড়িয়ে নেমেছে জলপ্রপাতটি। ৭৪১ ফুট উচ্চতার জলপ্রপাতটি উচ্চতায় নায়াগ্রার চার গুণ এবং ভিক্টোরিয়ার দ্বিগুণ। দুর্গমতা এর প্রতি মানুষের আকর্ষণ আরও বাড়িয়েছে।
জলপ্রপাতটির বেশ কাছেই আছে একটি এয়ারস্ট্রিপ। ওখান থেকে গেলে খুব বেশি জঙ্গল পেরোতে হবে। আর যদি রোমাঞ্চের নেশাটা সীমা ছাড়া হয় তবে আমাজনের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে তিন দিনে পৌঁছাবেন জলপ্রপাতের ধারে। বুঝতেই পারছেন, দূরত্বের বড় একটা অংশ পেরোতে দুই পা-ই হবে ভরসা।
রুবি ফলস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির চাটানুগায় আছে আশ্চর্য এক জলপ্রপাত। এর অবস্থান মাটির ওপরে নয় বরং পাতালের গুহায়। অর্থাৎ আশ্চর্য এই জলপ্রপাত দেখতে হলে আপনাকে ঢুঁ মারতে হবে পাতালরাজ্যে।
ধারণা করা হয়, কোটি কোটি বছর ধরে এভাবে টেনেসির মাটির নিচে পানি ঝরিয়ে যাচ্ছিল জলপ্রপাতটি। তবে মজার ব্যাপার, সাধারণ মানুষ রুবি ফলসের কথা জানতে পারে বিশ শতকে।
১৪৫ ফুট ওপর থেকে পানির ধারা নেমে আসছে এতে। বৃষ্টি ও ঝরনার পানি জলপ্রপাতের মাধ্যমে নেমে আসে। এতে যেতে হলে পর্যটকদের ঢুকতে হয় পনেরো শতকের একটি আইরিশ দুর্গের রেপ্লিকার মধ্য দিয়ে।
প্লিটভিস জলপ্রপাত
ক্রোয়েশিয়ার প্লিটভিস লেকস ন্যাশনাল পার্কে দেখা পাবেন বিশ্বের অন্যতম সুন্দর এই জলপ্রপাতটির। সবকিছু মিলিয়ে তালিকার অন্য জলপ্রপাতগুলোর কোনোটির সঙ্গেই এর মিল পাবেন না। ১৬টি হ্রদ যুক্ত হয়েছে অনেকগুলো প্রপাতের মাধ্যমে। চারপাশের এবং যেসব পাহাড় থেকে জলপ্রপাতগুলো নেমে এসেছে সেগুলো মূলত সবুজ গাছপালায় ঠাসা চুনাপাথরে সমৃদ্ধ।
ইয়োসেমাইট জলপ্রপাত
ইয়োসেমাইট উত্তর আমেরিকার দীর্ঘতম জলপ্রপাত। ক্যালিফোর্নিয়ার ইয়োসেমাইট জাতীয় উদ্যানের দুই হাজার ৪০০ ফুট উচ্চতা থেকে তীব্র বেগে পানি পতন ঘটছে এখানে। এর তিনটি অংশ আপার ফলস, মিডল কেসকেডস এবং লোয়ার ফলস।
জলপ্রপাতের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগের পাশাপাশি জাতীয় উদ্যানটিতে ট্র্যাকিং কিংবা হাইকিং করাটাও দারুণ রোমাঞ্চকর। মে ও জুন মাস একে দেখার সেরা সময়।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ, ট্রাভেল লেইজার ডট কম, ট্রাভেল ট্রায়াঙ্গল ডট কম, টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুন:

জলপ্রপাত পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। গহিন জঙ্গলের ভেতরে সবুজ কোনো পাহাড় থেকে নেমে আসা জলপ্রপাতের আকর্ষণ এতটাই তীব্র যে রোমাঞ্চপ্রেমীরা এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে কখনো কখনো জীবনের ঝুঁকিও নিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশেও চমৎকার কিছু জলপ্রপাত আছে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জলপ্রপাতগুলোর দশটির সঙ্গে।
ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত
আফ্রিকা মহাদেশের দুই দেশ জিম্বাবুয়ে ও জাম্বিয়ার সীমানায় পড়েছে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। এটি পৃথিবীর বিখ্যাত জলপ্রপাতগুলোর একটি। প্রায় ১ হাজার ৭০৮ মিটার চওড়া ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, আর এতে পানির পতন ঘটে ১০৮ মিটার উচ্চতা থেকে। এই দুটিকে বিবেচনায় আনলে এটি বিশ্বের বৃহত্তম জলপ্রপাতগুলোর একটি।
ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস—এই জলপ্রপাতের সৌন্দর্য উপভোগের সেরা সময়। কারণ বৃষ্টির কারণে ওই সময় ফুলে-ফেঁপে উঠে জলপ্রপাতটির পানির উৎস জাম্বেসি নদী।
এমনিতেই এর রূপের তুলনা নেই। তারপর আবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মুনবো। রাতের বেলায় দেখা যাওয়া রংধনুই রেইনবোর বদলে মুনবো নামে পরিচিত। বুঝতেই পারছেন বিশাল জায়গা নিয়ে ছড়ানো জলপ্রপাতটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি পড়ে। এতে জলকণার কারণে সব সময়ই প্রচুর কুয়াশা তৈরি হয়। এ কারণেই চন্দ্রালোকিত রাতে এখানে সহজেই জন্ম হয় অসাধারণ এক দৃশ্যের, রাতের রংধনু। মজার ঘটনা জলপ্রপাতটিতে ঘুরতে যাওয়া অনেক পর্যটকই এখানকার এই আশ্চর্য বিষয়টির কথা জানেনই না।
পূর্ণিমার সময় জিম্বাবুয়ে কিংবা জাম্বিয়ার চিরসবুজ অরণ্য বা রেইন ফরেস্ট ধরে পৌঁছে যেতে পারবেন জলপ্রপাতের কাছে। ওই সময় সন্ধ্যার পরে মুনবো দেখানোর জন্য ট্যুর কোম্পানিগুলো বিশেষ আয়োজন করে।
অ্যাঞ্জেল ফলস
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার ক্যানাইমা জাতীয় উদ্যানে অবস্থান অ্যাঞ্জেল ফলসের। পৃথিবীর দীর্ঘতম বা উচ্চতম জলপ্রপাত এটি। এখানে কেরেপ নদী ৯৭৯ মিটার বা ৩২১২ ফুট উচ্চতা থেকে নেমে এসেছে। এর মধ্যে ৮০৭ মিটার বা ২৬৪৮ ফুট বিরতিহীনভাবে পতন ঘটেছে জলের ধারার। এটি কিন্তু ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।
এই জলপ্রপাত দেখার সেরা সময় জুন থেকে ডিসেম্বর। কারণ ওই সময় ভরা নদীর কারণে জলপ্রপাতটিও রূপের ডালি মেলে ধরে।
ইগুয়াজু ফলস
দক্ষিণ আমেরিকার দুই দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সীমানায় পড়েছে ইগুয়াজু জলপ্রপাত। বিশাল জায়গা নিয়ে ছড়িয়েছে এটি। একটি-দুটি নয় ২৭৫টি আলাদা ধারা রয়েছে এতে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু ডেভিল’স থ্রোট, ৮২ মিটার উঁচু এটি। বুঝতেই পারছেন এতগুলো ধারা মিলিয়ে কী মনোমুগ্ধকর এক দৃশ্যের জন্ম দিয়েছে।
এক দশমিক সাত মাইল এলাকা নিয়ে ছড়িয়ে আছে আশ্চর্য এই জলপ্রপাতটি। ইগুয়াজু নদী জন্ম দিয়েছে এর। এই নদী এখানে আলাদা করেছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাকে। যেতে পারবেন দু্ই দেশ থেকেই।
ডেটিফস জলপ্রপাত
জলপ্রপাতের জন্য আলাদা নাম আছে আইসল্যান্ডের। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত দেশটির উত্তর-পূর্বে অবস্থিত ডেটিফস জলপ্রপাত। উচ্চতায় মাত্র ৪৫ মিটার বা ১৪৮ ফুট হলেও একে বিবেচনা করা হয় ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী জলপ্রপাত হিসেবে। জকুলসো ও ফিয়েলেম নদী প্রতি সেকেন্ডে ২১২ টন জলসহ নেমে আসছে এখানে।
ডেটিফসের এক বন্ধু আছে, নাম গালফস। আইসল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এই জলপ্রপাতটি ৩২ মিটার বা ১০৫ ফুট ওপর থেকে নেমে আসছে। এই জলপ্রপাতে রংধনু খেলা করার দৃশ্য দেখা অতি সাধারণ ঘটনা। কেউ কেউ আদর করে ডাকে গোল্ডেন ফলস বা সোনালি জলপ্রপাত নামেও।
বন গিয়ক-দেতিয়ান ফলস
এটি এমন আরেকটি জলপ্রপাত যেটি দুই দেশের সীমানায় পড়েছে। ভিয়েতনাম-চীনের সীমান্তে অবস্থিত বন গিয়ক-দেতিয়ান ফলসকে কখনো আলাদা দুটি জলপ্রপাত বলে মনে হবে। তবে বর্ষায় মিলেমিশে একাবার হয়ে যায় বলে একক জলপ্রপাত হিসেবেই পরিচিত। পাথুরে প্রবল বেগে পানি পতনের শব্দ শোনা যায় বহুদূর থেকে।
বাংলাদেশের মানুষের এখন ভিয়েতনাম ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে। আর সেখানে গেলে সুন্দর এই জলপ্রপাতটি দেখার সৌভাগ্য থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না আশা করি। সবাই বলে চীনের অংশ থেকে ভিয়েতনামের অংশই বেশি মনোমুগ্ধকর।
নায়াগ্রা জলপ্রপাত
শুধু উত্তর আমেরিকা নয় গোটা বিশ্বেরই সবচেয়ে বিখ্যাত জলপ্রপাত খুব সম্ভবত নায়াগ্রা। এমনকি এর আকারও এতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। বিখ্যাত অন্য জলপ্রপাতগুলোর তুলনায় নায়াগ্রার উচ্চতা একেবারেই কম। মাত্র ৫১ মিটার বা ১৬৭ ফুট। কথিত আছে ইগুয়াজু জলপ্রপাত দেখতে গিয়ে ওই সময়কার মার্কিন ফার্স্ট লেডি এলেনর রুজভেল্ট বলেন, ‘দুর্ভাগা নায়াগ্রা’। তবে এই উচ্চতায় খাট হওয়াটা এর অসাধারণ সৌন্দর্যে বিন্দুমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
তিনটি আলাদা প্রপাত নিয়ে তৈরি হওয়া জলপ্রপাতটি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা দুই দেশের সীমানায় পড়েছে। কাজেই যেতে পারবেন দুই দেশ থেকে। তবে অভিজ্ঞরা বলেন, কানাডা অংশ থেকেই নাকি বেশি সুন্দর দেখায় নায়াগ্রাকে।
কায়েতেয়োর জলপ্রপাত
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত গায়ানার ঠিক কেন্দ্রে অবস্থান জলপ্রপাতটির। আমাজনের গভীর অরণ্যে খাঁড়া এর পাহাড়ের ওপর থেকে রূপের ছটা ছড়িয়ে নেমেছে জলপ্রপাতটি। ৭৪১ ফুট উচ্চতার জলপ্রপাতটি উচ্চতায় নায়াগ্রার চার গুণ এবং ভিক্টোরিয়ার দ্বিগুণ। দুর্গমতা এর প্রতি মানুষের আকর্ষণ আরও বাড়িয়েছে।
জলপ্রপাতটির বেশ কাছেই আছে একটি এয়ারস্ট্রিপ। ওখান থেকে গেলে খুব বেশি জঙ্গল পেরোতে হবে। আর যদি রোমাঞ্চের নেশাটা সীমা ছাড়া হয় তবে আমাজনের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে তিন দিনে পৌঁছাবেন জলপ্রপাতের ধারে। বুঝতেই পারছেন, দূরত্বের বড় একটা অংশ পেরোতে দুই পা-ই হবে ভরসা।
রুবি ফলস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির চাটানুগায় আছে আশ্চর্য এক জলপ্রপাত। এর অবস্থান মাটির ওপরে নয় বরং পাতালের গুহায়। অর্থাৎ আশ্চর্য এই জলপ্রপাত দেখতে হলে আপনাকে ঢুঁ মারতে হবে পাতালরাজ্যে।
ধারণা করা হয়, কোটি কোটি বছর ধরে এভাবে টেনেসির মাটির নিচে পানি ঝরিয়ে যাচ্ছিল জলপ্রপাতটি। তবে মজার ব্যাপার, সাধারণ মানুষ রুবি ফলসের কথা জানতে পারে বিশ শতকে।
১৪৫ ফুট ওপর থেকে পানির ধারা নেমে আসছে এতে। বৃষ্টি ও ঝরনার পানি জলপ্রপাতের মাধ্যমে নেমে আসে। এতে যেতে হলে পর্যটকদের ঢুকতে হয় পনেরো শতকের একটি আইরিশ দুর্গের রেপ্লিকার মধ্য দিয়ে।
প্লিটভিস জলপ্রপাত
ক্রোয়েশিয়ার প্লিটভিস লেকস ন্যাশনাল পার্কে দেখা পাবেন বিশ্বের অন্যতম সুন্দর এই জলপ্রপাতটির। সবকিছু মিলিয়ে তালিকার অন্য জলপ্রপাতগুলোর কোনোটির সঙ্গেই এর মিল পাবেন না। ১৬টি হ্রদ যুক্ত হয়েছে অনেকগুলো প্রপাতের মাধ্যমে। চারপাশের এবং যেসব পাহাড় থেকে জলপ্রপাতগুলো নেমে এসেছে সেগুলো মূলত সবুজ গাছপালায় ঠাসা চুনাপাথরে সমৃদ্ধ।
ইয়োসেমাইট জলপ্রপাত
ইয়োসেমাইট উত্তর আমেরিকার দীর্ঘতম জলপ্রপাত। ক্যালিফোর্নিয়ার ইয়োসেমাইট জাতীয় উদ্যানের দুই হাজার ৪০০ ফুট উচ্চতা থেকে তীব্র বেগে পানি পতন ঘটছে এখানে। এর তিনটি অংশ আপার ফলস, মিডল কেসকেডস এবং লোয়ার ফলস।
জলপ্রপাতের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগের পাশাপাশি জাতীয় উদ্যানটিতে ট্র্যাকিং কিংবা হাইকিং করাটাও দারুণ রোমাঞ্চকর। মে ও জুন মাস একে দেখার সেরা সময়।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ, ট্রাভেল লেইজার ডট কম, ট্রাভেল ট্রায়াঙ্গল ডট কম, টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুন:
ইশতিয়াক হাসান

জলপ্রপাত পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। গহিন জঙ্গলের ভেতরে সবুজ কোনো পাহাড় থেকে নেমে আসা জলপ্রপাতের আকর্ষণ এতটাই তীব্র যে রোমাঞ্চপ্রেমীরা এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে কখনো কখনো জীবনের ঝুঁকিও নিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশেও চমৎকার কিছু জলপ্রপাত আছে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জলপ্রপাতগুলোর দশটির সঙ্গে।
ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত
আফ্রিকা মহাদেশের দুই দেশ জিম্বাবুয়ে ও জাম্বিয়ার সীমানায় পড়েছে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। এটি পৃথিবীর বিখ্যাত জলপ্রপাতগুলোর একটি। প্রায় ১ হাজার ৭০৮ মিটার চওড়া ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, আর এতে পানির পতন ঘটে ১০৮ মিটার উচ্চতা থেকে। এই দুটিকে বিবেচনায় আনলে এটি বিশ্বের বৃহত্তম জলপ্রপাতগুলোর একটি।
ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস—এই জলপ্রপাতের সৌন্দর্য উপভোগের সেরা সময়। কারণ বৃষ্টির কারণে ওই সময় ফুলে-ফেঁপে উঠে জলপ্রপাতটির পানির উৎস জাম্বেসি নদী।
এমনিতেই এর রূপের তুলনা নেই। তারপর আবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মুনবো। রাতের বেলায় দেখা যাওয়া রংধনুই রেইনবোর বদলে মুনবো নামে পরিচিত। বুঝতেই পারছেন বিশাল জায়গা নিয়ে ছড়ানো জলপ্রপাতটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি পড়ে। এতে জলকণার কারণে সব সময়ই প্রচুর কুয়াশা তৈরি হয়। এ কারণেই চন্দ্রালোকিত রাতে এখানে সহজেই জন্ম হয় অসাধারণ এক দৃশ্যের, রাতের রংধনু। মজার ঘটনা জলপ্রপাতটিতে ঘুরতে যাওয়া অনেক পর্যটকই এখানকার এই আশ্চর্য বিষয়টির কথা জানেনই না।
পূর্ণিমার সময় জিম্বাবুয়ে কিংবা জাম্বিয়ার চিরসবুজ অরণ্য বা রেইন ফরেস্ট ধরে পৌঁছে যেতে পারবেন জলপ্রপাতের কাছে। ওই সময় সন্ধ্যার পরে মুনবো দেখানোর জন্য ট্যুর কোম্পানিগুলো বিশেষ আয়োজন করে।
অ্যাঞ্জেল ফলস
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার ক্যানাইমা জাতীয় উদ্যানে অবস্থান অ্যাঞ্জেল ফলসের। পৃথিবীর দীর্ঘতম বা উচ্চতম জলপ্রপাত এটি। এখানে কেরেপ নদী ৯৭৯ মিটার বা ৩২১২ ফুট উচ্চতা থেকে নেমে এসেছে। এর মধ্যে ৮০৭ মিটার বা ২৬৪৮ ফুট বিরতিহীনভাবে পতন ঘটেছে জলের ধারার। এটি কিন্তু ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।
এই জলপ্রপাত দেখার সেরা সময় জুন থেকে ডিসেম্বর। কারণ ওই সময় ভরা নদীর কারণে জলপ্রপাতটিও রূপের ডালি মেলে ধরে।
ইগুয়াজু ফলস
দক্ষিণ আমেরিকার দুই দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সীমানায় পড়েছে ইগুয়াজু জলপ্রপাত। বিশাল জায়গা নিয়ে ছড়িয়েছে এটি। একটি-দুটি নয় ২৭৫টি আলাদা ধারা রয়েছে এতে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু ডেভিল’স থ্রোট, ৮২ মিটার উঁচু এটি। বুঝতেই পারছেন এতগুলো ধারা মিলিয়ে কী মনোমুগ্ধকর এক দৃশ্যের জন্ম দিয়েছে।
এক দশমিক সাত মাইল এলাকা নিয়ে ছড়িয়ে আছে আশ্চর্য এই জলপ্রপাতটি। ইগুয়াজু নদী জন্ম দিয়েছে এর। এই নদী এখানে আলাদা করেছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাকে। যেতে পারবেন দু্ই দেশ থেকেই।
ডেটিফস জলপ্রপাত
জলপ্রপাতের জন্য আলাদা নাম আছে আইসল্যান্ডের। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত দেশটির উত্তর-পূর্বে অবস্থিত ডেটিফস জলপ্রপাত। উচ্চতায় মাত্র ৪৫ মিটার বা ১৪৮ ফুট হলেও একে বিবেচনা করা হয় ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী জলপ্রপাত হিসেবে। জকুলসো ও ফিয়েলেম নদী প্রতি সেকেন্ডে ২১২ টন জলসহ নেমে আসছে এখানে।
ডেটিফসের এক বন্ধু আছে, নাম গালফস। আইসল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এই জলপ্রপাতটি ৩২ মিটার বা ১০৫ ফুট ওপর থেকে নেমে আসছে। এই জলপ্রপাতে রংধনু খেলা করার দৃশ্য দেখা অতি সাধারণ ঘটনা। কেউ কেউ আদর করে ডাকে গোল্ডেন ফলস বা সোনালি জলপ্রপাত নামেও।
বন গিয়ক-দেতিয়ান ফলস
এটি এমন আরেকটি জলপ্রপাত যেটি দুই দেশের সীমানায় পড়েছে। ভিয়েতনাম-চীনের সীমান্তে অবস্থিত বন গিয়ক-দেতিয়ান ফলসকে কখনো আলাদা দুটি জলপ্রপাত বলে মনে হবে। তবে বর্ষায় মিলেমিশে একাবার হয়ে যায় বলে একক জলপ্রপাত হিসেবেই পরিচিত। পাথুরে প্রবল বেগে পানি পতনের শব্দ শোনা যায় বহুদূর থেকে।
বাংলাদেশের মানুষের এখন ভিয়েতনাম ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে। আর সেখানে গেলে সুন্দর এই জলপ্রপাতটি দেখার সৌভাগ্য থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না আশা করি। সবাই বলে চীনের অংশ থেকে ভিয়েতনামের অংশই বেশি মনোমুগ্ধকর।
নায়াগ্রা জলপ্রপাত
শুধু উত্তর আমেরিকা নয় গোটা বিশ্বেরই সবচেয়ে বিখ্যাত জলপ্রপাত খুব সম্ভবত নায়াগ্রা। এমনকি এর আকারও এতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। বিখ্যাত অন্য জলপ্রপাতগুলোর তুলনায় নায়াগ্রার উচ্চতা একেবারেই কম। মাত্র ৫১ মিটার বা ১৬৭ ফুট। কথিত আছে ইগুয়াজু জলপ্রপাত দেখতে গিয়ে ওই সময়কার মার্কিন ফার্স্ট লেডি এলেনর রুজভেল্ট বলেন, ‘দুর্ভাগা নায়াগ্রা’। তবে এই উচ্চতায় খাট হওয়াটা এর অসাধারণ সৌন্দর্যে বিন্দুমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
তিনটি আলাদা প্রপাত নিয়ে তৈরি হওয়া জলপ্রপাতটি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা দুই দেশের সীমানায় পড়েছে। কাজেই যেতে পারবেন দুই দেশ থেকে। তবে অভিজ্ঞরা বলেন, কানাডা অংশ থেকেই নাকি বেশি সুন্দর দেখায় নায়াগ্রাকে।
কায়েতেয়োর জলপ্রপাত
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত গায়ানার ঠিক কেন্দ্রে অবস্থান জলপ্রপাতটির। আমাজনের গভীর অরণ্যে খাঁড়া এর পাহাড়ের ওপর থেকে রূপের ছটা ছড়িয়ে নেমেছে জলপ্রপাতটি। ৭৪১ ফুট উচ্চতার জলপ্রপাতটি উচ্চতায় নায়াগ্রার চার গুণ এবং ভিক্টোরিয়ার দ্বিগুণ। দুর্গমতা এর প্রতি মানুষের আকর্ষণ আরও বাড়িয়েছে।
জলপ্রপাতটির বেশ কাছেই আছে একটি এয়ারস্ট্রিপ। ওখান থেকে গেলে খুব বেশি জঙ্গল পেরোতে হবে। আর যদি রোমাঞ্চের নেশাটা সীমা ছাড়া হয় তবে আমাজনের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে তিন দিনে পৌঁছাবেন জলপ্রপাতের ধারে। বুঝতেই পারছেন, দূরত্বের বড় একটা অংশ পেরোতে দুই পা-ই হবে ভরসা।
রুবি ফলস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির চাটানুগায় আছে আশ্চর্য এক জলপ্রপাত। এর অবস্থান মাটির ওপরে নয় বরং পাতালের গুহায়। অর্থাৎ আশ্চর্য এই জলপ্রপাত দেখতে হলে আপনাকে ঢুঁ মারতে হবে পাতালরাজ্যে।
ধারণা করা হয়, কোটি কোটি বছর ধরে এভাবে টেনেসির মাটির নিচে পানি ঝরিয়ে যাচ্ছিল জলপ্রপাতটি। তবে মজার ব্যাপার, সাধারণ মানুষ রুবি ফলসের কথা জানতে পারে বিশ শতকে।
১৪৫ ফুট ওপর থেকে পানির ধারা নেমে আসছে এতে। বৃষ্টি ও ঝরনার পানি জলপ্রপাতের মাধ্যমে নেমে আসে। এতে যেতে হলে পর্যটকদের ঢুকতে হয় পনেরো শতকের একটি আইরিশ দুর্গের রেপ্লিকার মধ্য দিয়ে।
প্লিটভিস জলপ্রপাত
ক্রোয়েশিয়ার প্লিটভিস লেকস ন্যাশনাল পার্কে দেখা পাবেন বিশ্বের অন্যতম সুন্দর এই জলপ্রপাতটির। সবকিছু মিলিয়ে তালিকার অন্য জলপ্রপাতগুলোর কোনোটির সঙ্গেই এর মিল পাবেন না। ১৬টি হ্রদ যুক্ত হয়েছে অনেকগুলো প্রপাতের মাধ্যমে। চারপাশের এবং যেসব পাহাড় থেকে জলপ্রপাতগুলো নেমে এসেছে সেগুলো মূলত সবুজ গাছপালায় ঠাসা চুনাপাথরে সমৃদ্ধ।
ইয়োসেমাইট জলপ্রপাত
ইয়োসেমাইট উত্তর আমেরিকার দীর্ঘতম জলপ্রপাত। ক্যালিফোর্নিয়ার ইয়োসেমাইট জাতীয় উদ্যানের দুই হাজার ৪০০ ফুট উচ্চতা থেকে তীব্র বেগে পানি পতন ঘটছে এখানে। এর তিনটি অংশ আপার ফলস, মিডল কেসকেডস এবং লোয়ার ফলস।
জলপ্রপাতের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগের পাশাপাশি জাতীয় উদ্যানটিতে ট্র্যাকিং কিংবা হাইকিং করাটাও দারুণ রোমাঞ্চকর। মে ও জুন মাস একে দেখার সেরা সময়।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ, ট্রাভেল লেইজার ডট কম, ট্রাভেল ট্রায়াঙ্গল ডট কম, টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুন:

জলপ্রপাত পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। গহিন জঙ্গলের ভেতরে সবুজ কোনো পাহাড় থেকে নেমে আসা জলপ্রপাতের আকর্ষণ এতটাই তীব্র যে রোমাঞ্চপ্রেমীরা এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে কখনো কখনো জীবনের ঝুঁকিও নিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশেও চমৎকার কিছু জলপ্রপাত আছে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জলপ্রপাতগুলোর দশটির সঙ্গে।
ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত
আফ্রিকা মহাদেশের দুই দেশ জিম্বাবুয়ে ও জাম্বিয়ার সীমানায় পড়েছে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত। এটি পৃথিবীর বিখ্যাত জলপ্রপাতগুলোর একটি। প্রায় ১ হাজার ৭০৮ মিটার চওড়া ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, আর এতে পানির পতন ঘটে ১০৮ মিটার উচ্চতা থেকে। এই দুটিকে বিবেচনায় আনলে এটি বিশ্বের বৃহত্তম জলপ্রপাতগুলোর একটি।
ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস—এই জলপ্রপাতের সৌন্দর্য উপভোগের সেরা সময়। কারণ বৃষ্টির কারণে ওই সময় ফুলে-ফেঁপে উঠে জলপ্রপাতটির পানির উৎস জাম্বেসি নদী।
এমনিতেই এর রূপের তুলনা নেই। তারপর আবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মুনবো। রাতের বেলায় দেখা যাওয়া রংধনুই রেইনবোর বদলে মুনবো নামে পরিচিত। বুঝতেই পারছেন বিশাল জায়গা নিয়ে ছড়ানো জলপ্রপাতটি থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি পড়ে। এতে জলকণার কারণে সব সময়ই প্রচুর কুয়াশা তৈরি হয়। এ কারণেই চন্দ্রালোকিত রাতে এখানে সহজেই জন্ম হয় অসাধারণ এক দৃশ্যের, রাতের রংধনু। মজার ঘটনা জলপ্রপাতটিতে ঘুরতে যাওয়া অনেক পর্যটকই এখানকার এই আশ্চর্য বিষয়টির কথা জানেনই না।
পূর্ণিমার সময় জিম্বাবুয়ে কিংবা জাম্বিয়ার চিরসবুজ অরণ্য বা রেইন ফরেস্ট ধরে পৌঁছে যেতে পারবেন জলপ্রপাতের কাছে। ওই সময় সন্ধ্যার পরে মুনবো দেখানোর জন্য ট্যুর কোম্পানিগুলো বিশেষ আয়োজন করে।
অ্যাঞ্জেল ফলস
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার ক্যানাইমা জাতীয় উদ্যানে অবস্থান অ্যাঞ্জেল ফলসের। পৃথিবীর দীর্ঘতম বা উচ্চতম জলপ্রপাত এটি। এখানে কেরেপ নদী ৯৭৯ মিটার বা ৩২১২ ফুট উচ্চতা থেকে নেমে এসেছে। এর মধ্যে ৮০৭ মিটার বা ২৬৪৮ ফুট বিরতিহীনভাবে পতন ঘটেছে জলের ধারার। এটি কিন্তু ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।
এই জলপ্রপাত দেখার সেরা সময় জুন থেকে ডিসেম্বর। কারণ ওই সময় ভরা নদীর কারণে জলপ্রপাতটিও রূপের ডালি মেলে ধরে।
ইগুয়াজু ফলস
দক্ষিণ আমেরিকার দুই দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সীমানায় পড়েছে ইগুয়াজু জলপ্রপাত। বিশাল জায়গা নিয়ে ছড়িয়েছে এটি। একটি-দুটি নয় ২৭৫টি আলাদা ধারা রয়েছে এতে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু ডেভিল’স থ্রোট, ৮২ মিটার উঁচু এটি। বুঝতেই পারছেন এতগুলো ধারা মিলিয়ে কী মনোমুগ্ধকর এক দৃশ্যের জন্ম দিয়েছে।
এক দশমিক সাত মাইল এলাকা নিয়ে ছড়িয়ে আছে আশ্চর্য এই জলপ্রপাতটি। ইগুয়াজু নদী জন্ম দিয়েছে এর। এই নদী এখানে আলাদা করেছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাকে। যেতে পারবেন দু্ই দেশ থেকেই।
ডেটিফস জলপ্রপাত
জলপ্রপাতের জন্য আলাদা নাম আছে আইসল্যান্ডের। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত দেশটির উত্তর-পূর্বে অবস্থিত ডেটিফস জলপ্রপাত। উচ্চতায় মাত্র ৪৫ মিটার বা ১৪৮ ফুট হলেও একে বিবেচনা করা হয় ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী জলপ্রপাত হিসেবে। জকুলসো ও ফিয়েলেম নদী প্রতি সেকেন্ডে ২১২ টন জলসহ নেমে আসছে এখানে।
ডেটিফসের এক বন্ধু আছে, নাম গালফস। আইসল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এই জলপ্রপাতটি ৩২ মিটার বা ১০৫ ফুট ওপর থেকে নেমে আসছে। এই জলপ্রপাতে রংধনু খেলা করার দৃশ্য দেখা অতি সাধারণ ঘটনা। কেউ কেউ আদর করে ডাকে গোল্ডেন ফলস বা সোনালি জলপ্রপাত নামেও।
বন গিয়ক-দেতিয়ান ফলস
এটি এমন আরেকটি জলপ্রপাত যেটি দুই দেশের সীমানায় পড়েছে। ভিয়েতনাম-চীনের সীমান্তে অবস্থিত বন গিয়ক-দেতিয়ান ফলসকে কখনো আলাদা দুটি জলপ্রপাত বলে মনে হবে। তবে বর্ষায় মিলেমিশে একাবার হয়ে যায় বলে একক জলপ্রপাত হিসেবেই পরিচিত। পাথুরে প্রবল বেগে পানি পতনের শব্দ শোনা যায় বহুদূর থেকে।
বাংলাদেশের মানুষের এখন ভিয়েতনাম ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে। আর সেখানে গেলে সুন্দর এই জলপ্রপাতটি দেখার সৌভাগ্য থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না আশা করি। সবাই বলে চীনের অংশ থেকে ভিয়েতনামের অংশই বেশি মনোমুগ্ধকর।
নায়াগ্রা জলপ্রপাত
শুধু উত্তর আমেরিকা নয় গোটা বিশ্বেরই সবচেয়ে বিখ্যাত জলপ্রপাত খুব সম্ভবত নায়াগ্রা। এমনকি এর আকারও এতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। বিখ্যাত অন্য জলপ্রপাতগুলোর তুলনায় নায়াগ্রার উচ্চতা একেবারেই কম। মাত্র ৫১ মিটার বা ১৬৭ ফুট। কথিত আছে ইগুয়াজু জলপ্রপাত দেখতে গিয়ে ওই সময়কার মার্কিন ফার্স্ট লেডি এলেনর রুজভেল্ট বলেন, ‘দুর্ভাগা নায়াগ্রা’। তবে এই উচ্চতায় খাট হওয়াটা এর অসাধারণ সৌন্দর্যে বিন্দুমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
তিনটি আলাদা প্রপাত নিয়ে তৈরি হওয়া জলপ্রপাতটি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা দুই দেশের সীমানায় পড়েছে। কাজেই যেতে পারবেন দুই দেশ থেকে। তবে অভিজ্ঞরা বলেন, কানাডা অংশ থেকেই নাকি বেশি সুন্দর দেখায় নায়াগ্রাকে।
কায়েতেয়োর জলপ্রপাত
দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত গায়ানার ঠিক কেন্দ্রে অবস্থান জলপ্রপাতটির। আমাজনের গভীর অরণ্যে খাঁড়া এর পাহাড়ের ওপর থেকে রূপের ছটা ছড়িয়ে নেমেছে জলপ্রপাতটি। ৭৪১ ফুট উচ্চতার জলপ্রপাতটি উচ্চতায় নায়াগ্রার চার গুণ এবং ভিক্টোরিয়ার দ্বিগুণ। দুর্গমতা এর প্রতি মানুষের আকর্ষণ আরও বাড়িয়েছে।
জলপ্রপাতটির বেশ কাছেই আছে একটি এয়ারস্ট্রিপ। ওখান থেকে গেলে খুব বেশি জঙ্গল পেরোতে হবে। আর যদি রোমাঞ্চের নেশাটা সীমা ছাড়া হয় তবে আমাজনের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে তিন দিনে পৌঁছাবেন জলপ্রপাতের ধারে। বুঝতেই পারছেন, দূরত্বের বড় একটা অংশ পেরোতে দুই পা-ই হবে ভরসা।
রুবি ফলস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির চাটানুগায় আছে আশ্চর্য এক জলপ্রপাত। এর অবস্থান মাটির ওপরে নয় বরং পাতালের গুহায়। অর্থাৎ আশ্চর্য এই জলপ্রপাত দেখতে হলে আপনাকে ঢুঁ মারতে হবে পাতালরাজ্যে।
ধারণা করা হয়, কোটি কোটি বছর ধরে এভাবে টেনেসির মাটির নিচে পানি ঝরিয়ে যাচ্ছিল জলপ্রপাতটি। তবে মজার ব্যাপার, সাধারণ মানুষ রুবি ফলসের কথা জানতে পারে বিশ শতকে।
১৪৫ ফুট ওপর থেকে পানির ধারা নেমে আসছে এতে। বৃষ্টি ও ঝরনার পানি জলপ্রপাতের মাধ্যমে নেমে আসে। এতে যেতে হলে পর্যটকদের ঢুকতে হয় পনেরো শতকের একটি আইরিশ দুর্গের রেপ্লিকার মধ্য দিয়ে।
প্লিটভিস জলপ্রপাত
ক্রোয়েশিয়ার প্লিটভিস লেকস ন্যাশনাল পার্কে দেখা পাবেন বিশ্বের অন্যতম সুন্দর এই জলপ্রপাতটির। সবকিছু মিলিয়ে তালিকার অন্য জলপ্রপাতগুলোর কোনোটির সঙ্গেই এর মিল পাবেন না। ১৬টি হ্রদ যুক্ত হয়েছে অনেকগুলো প্রপাতের মাধ্যমে। চারপাশের এবং যেসব পাহাড় থেকে জলপ্রপাতগুলো নেমে এসেছে সেগুলো মূলত সবুজ গাছপালায় ঠাসা চুনাপাথরে সমৃদ্ধ।
ইয়োসেমাইট জলপ্রপাত
ইয়োসেমাইট উত্তর আমেরিকার দীর্ঘতম জলপ্রপাত। ক্যালিফোর্নিয়ার ইয়োসেমাইট জাতীয় উদ্যানের দুই হাজার ৪০০ ফুট উচ্চতা থেকে তীব্র বেগে পানি পতন ঘটছে এখানে। এর তিনটি অংশ আপার ফলস, মিডল কেসকেডস এবং লোয়ার ফলস।
জলপ্রপাতের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগের পাশাপাশি জাতীয় উদ্যানটিতে ট্র্যাকিং কিংবা হাইকিং করাটাও দারুণ রোমাঞ্চকর। মে ও জুন মাস একে দেখার সেরা সময়।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ, ট্রাভেল লেইজার ডট কম, ট্রাভেল ট্রায়াঙ্গল ডট কম, টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুন:

দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক...
২ ঘণ্টা আগে
সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হবে, আপনি একজন সুপারহিরো, যার হাতে এখনো কোনো মিশন নেই। এই এনার্জি দিয়ে হয়তো অফিসের বসের দেওয়া এক মাসের কাজ মাত্র দুই ঘণ্টায় শেষ করে ফেলবেন, কিন্তু তারপরে কী করবেন? বাকি ছয় ঘণ্টা সহকর্মীদের বিরক্ত করে কাটাবেন।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
৪ ঘণ্টা আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। অথচ চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক চাপ ও অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এ সমস্যার বড় কারণ।
ভারতের ইয়েলো ফার্টিলিটির প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ঈশা নান্দাল জানিয়েছেন, পুরুষের খাবার, ঘুম, কাজের ধরন, শরীরচর্চা ও বিশ্রামের অভ্যাস সরাসরি প্রভাব ফেলে হরমোনের ভারসাম্য ও শুক্রাণু উৎপাদনে। তাঁর মতে, অনেক সময় ছোট ভুলগুলোই শুক্রাণুর গুণগত মান নষ্ট করে দেয়। সুখবর হচ্ছে, এ ভুলগুলোর বেশির ভাগই পরিবর্তনযোগ্য।
প্রজনন বিশেষজ্ঞদের মতে, ৭টি অভ্যাস পুরুষের উর্বরতা কমিয়ে দিতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ
মানসিক চাপ বা স্ট্রেস শরীরে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ বাড়ায়। এই হরমোনটি টেস্টোস্টেরন কমিয়ে দেয় এবং শুক্রাণু উৎপাদন ব্যাহত করে। যেহেতু একটি শুক্রাণু তৈরি হতে ৭০-৯০ দিন সময় লাগে, তাই কয়েক মাসের কাজের চাপ বা মানসিক অস্থিরতাও এটি তৈরির প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এ থেকে রক্ষা পেতে বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত ধ্যান, গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস, পর্যাপ্ত ঘুম এবং শান্ত পরিবেশে সময় কাটানোর পরামর্শ দেন।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার শরীরের কোষের সুরক্ষা দেয় এবং পুরুষের প্রজননক্ষমতা উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে বাদাম, আঙুর, শস্যদানা, সবুজ শাকসবজি, বিভিন্ন ধরনের বীজ ও ফল শুক্রাণুর গুণগত মান, ঘনত্ব ও গতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এসব খাবারে থাকা ভিটামিন সি, ই, জিংক, সেলেনিয়াম এবং পলিফেনল শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যাল কমিয়ে শুক্রাণুকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। অন্যদিকে অতিরিক্ত কফি খাওয়া, নিয়মিত জাংকফুড, মিষ্টি নাশতা বা অত্যধিক চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া শরীরে প্রদাহ বাড়ায় এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। এসব খাবার শুক্রাণুর গতিশীলতা কমিয়ে দেয়, শক্তি কেড়ে নেয় এবং কখনো কখনো শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে।
অতিরিক্ত তাপ ও অতিরিক্ত ব্যায়াম
শুক্রাণু তাপ সংবেদনশীল। কোলে ল্যাপটপ রাখা, খুব আঁটসাঁট পোশাক, গাড়ির গরম সিট, স্টিম বাথ টেস্টিকলের তাপমাত্রা বাড়িয়ে শুক্রাণু উৎপাদনে বাধা দেয়। আবার হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম উপকারী হলেও অতিরিক্ত ব্যায়াম শরীরের স্বাভাবিক টেস্টোস্টেরন কমিয়ে দেয়, ফলে শুক্রাণু উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ধূমপান, অ্যালকোহল ও নেশাজাতীয় দ্রব্য
ডা. নান্দাল জানান, তামাক, অ্যালকোহল ও মাদকদ্রব্য শুক্রাণুর আকার, সংখ্যা ও গতিশীলতা নষ্ট করে। এমনকি মাঝেমধ্যে ব্যবহারেরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব অভ্যাস কমানো বা সম্পূর্ণ বাদ দিলে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যেই শুক্রাণু তৈরির অবস্থা উন্নত হয়।
স্বাস্থ্য সমস্যা উপেক্ষা করা
ভ্যারিকোসিল, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ ও থাইরয়েড সমস্যা থাকলে অনেক সময় লক্ষণ দেখা দেওয়া ছাড়াই পুরুষের শুক্রাণু কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। অনেক পুরুষ প্রকৃতিগত কারণেই এসব শারীরিক সমস্যাকে ছোট মনে করে বা দেরিতে চিকিৎসা নেয়। কিন্তু এসব সমস্যার শুরুতে পরীক্ষা, দ্রুত নির্ণয় ও চিকিৎসা সন্তান গ্রহণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
পরিবেশগত দূষণ ও রাসায়নিকের প্রভাব
কীটনাশক, ভারী ধাতু, প্লাস্টিকের রাসায়নিক, বায়ুদূষণ ও শিল্পকারখানার রাসায়নিক শুক্রাণুর গুণগত মান নষ্ট করে। যদিও পুরোপুরি এড়ানো যায় না, তবে বিপিএ মুক্ত বোতল, জৈব খাবার বা কম রাসায়নিকযুক্ত বিকল্প ব্যবহার করলে এ ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
আগে থেকেই বীর্য পরীক্ষা না করানো
আগে বীর্য পরীক্ষা সাধারণত শেষ ধাপ হিসেবে ধরা হতো। এখন চিকিৎসকেরা পরিবার গঠনের পরিকল্পনা থাকলে পুরুষদের আগেই পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। সহজ ও ব্যথামুক্ত এই পরীক্ষায় পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় এবং সমস্যা থাকলে দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো, ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ, পরিবেশগত বিষাক্ততা কমানো এবং সময়মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা এসবই পুরুষদের উর্বরতা ভালো রাখতে বড় ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সন্তান নেওয়ার আগে পুরুষের স্বাস্থ্যকে সমান গুরুত্ব দিলে দীর্ঘমেয়াদি প্রজনন স্বাস্থ্য আরও শক্তিশালী হয়।
সূত্র: হেলথশট

দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। অথচ চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক চাপ ও অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এ সমস্যার বড় কারণ।
ভারতের ইয়েলো ফার্টিলিটির প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ঈশা নান্দাল জানিয়েছেন, পুরুষের খাবার, ঘুম, কাজের ধরন, শরীরচর্চা ও বিশ্রামের অভ্যাস সরাসরি প্রভাব ফেলে হরমোনের ভারসাম্য ও শুক্রাণু উৎপাদনে। তাঁর মতে, অনেক সময় ছোট ভুলগুলোই শুক্রাণুর গুণগত মান নষ্ট করে দেয়। সুখবর হচ্ছে, এ ভুলগুলোর বেশির ভাগই পরিবর্তনযোগ্য।
প্রজনন বিশেষজ্ঞদের মতে, ৭টি অভ্যাস পুরুষের উর্বরতা কমিয়ে দিতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ
মানসিক চাপ বা স্ট্রেস শরীরে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ বাড়ায়। এই হরমোনটি টেস্টোস্টেরন কমিয়ে দেয় এবং শুক্রাণু উৎপাদন ব্যাহত করে। যেহেতু একটি শুক্রাণু তৈরি হতে ৭০-৯০ দিন সময় লাগে, তাই কয়েক মাসের কাজের চাপ বা মানসিক অস্থিরতাও এটি তৈরির প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এ থেকে রক্ষা পেতে বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত ধ্যান, গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস, পর্যাপ্ত ঘুম এবং শান্ত পরিবেশে সময় কাটানোর পরামর্শ দেন।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার শরীরের কোষের সুরক্ষা দেয় এবং পুরুষের প্রজননক্ষমতা উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে বাদাম, আঙুর, শস্যদানা, সবুজ শাকসবজি, বিভিন্ন ধরনের বীজ ও ফল শুক্রাণুর গুণগত মান, ঘনত্ব ও গতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এসব খাবারে থাকা ভিটামিন সি, ই, জিংক, সেলেনিয়াম এবং পলিফেনল শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যাল কমিয়ে শুক্রাণুকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। অন্যদিকে অতিরিক্ত কফি খাওয়া, নিয়মিত জাংকফুড, মিষ্টি নাশতা বা অত্যধিক চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া শরীরে প্রদাহ বাড়ায় এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। এসব খাবার শুক্রাণুর গতিশীলতা কমিয়ে দেয়, শক্তি কেড়ে নেয় এবং কখনো কখনো শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে।
অতিরিক্ত তাপ ও অতিরিক্ত ব্যায়াম
শুক্রাণু তাপ সংবেদনশীল। কোলে ল্যাপটপ রাখা, খুব আঁটসাঁট পোশাক, গাড়ির গরম সিট, স্টিম বাথ টেস্টিকলের তাপমাত্রা বাড়িয়ে শুক্রাণু উৎপাদনে বাধা দেয়। আবার হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম উপকারী হলেও অতিরিক্ত ব্যায়াম শরীরের স্বাভাবিক টেস্টোস্টেরন কমিয়ে দেয়, ফলে শুক্রাণু উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ধূমপান, অ্যালকোহল ও নেশাজাতীয় দ্রব্য
ডা. নান্দাল জানান, তামাক, অ্যালকোহল ও মাদকদ্রব্য শুক্রাণুর আকার, সংখ্যা ও গতিশীলতা নষ্ট করে। এমনকি মাঝেমধ্যে ব্যবহারেরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব অভ্যাস কমানো বা সম্পূর্ণ বাদ দিলে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যেই শুক্রাণু তৈরির অবস্থা উন্নত হয়।
স্বাস্থ্য সমস্যা উপেক্ষা করা
ভ্যারিকোসিল, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ ও থাইরয়েড সমস্যা থাকলে অনেক সময় লক্ষণ দেখা দেওয়া ছাড়াই পুরুষের শুক্রাণু কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। অনেক পুরুষ প্রকৃতিগত কারণেই এসব শারীরিক সমস্যাকে ছোট মনে করে বা দেরিতে চিকিৎসা নেয়। কিন্তু এসব সমস্যার শুরুতে পরীক্ষা, দ্রুত নির্ণয় ও চিকিৎসা সন্তান গ্রহণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
পরিবেশগত দূষণ ও রাসায়নিকের প্রভাব
কীটনাশক, ভারী ধাতু, প্লাস্টিকের রাসায়নিক, বায়ুদূষণ ও শিল্পকারখানার রাসায়নিক শুক্রাণুর গুণগত মান নষ্ট করে। যদিও পুরোপুরি এড়ানো যায় না, তবে বিপিএ মুক্ত বোতল, জৈব খাবার বা কম রাসায়নিকযুক্ত বিকল্প ব্যবহার করলে এ ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
আগে থেকেই বীর্য পরীক্ষা না করানো
আগে বীর্য পরীক্ষা সাধারণত শেষ ধাপ হিসেবে ধরা হতো। এখন চিকিৎসকেরা পরিবার গঠনের পরিকল্পনা থাকলে পুরুষদের আগেই পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। সহজ ও ব্যথামুক্ত এই পরীক্ষায় পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় এবং সমস্যা থাকলে দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো, ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ, পরিবেশগত বিষাক্ততা কমানো এবং সময়মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা এসবই পুরুষদের উর্বরতা ভালো রাখতে বড় ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সন্তান নেওয়ার আগে পুরুষের স্বাস্থ্যকে সমান গুরুত্ব দিলে দীর্ঘমেয়াদি প্রজনন স্বাস্থ্য আরও শক্তিশালী হয়।
সূত্র: হেলথশট

জলপ্রপাত পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। গহিন জঙ্গলের ভেতরে সবুজ কোনো পাহাড় থেকে নেমে আসা জলপ্রপাতের আকর্ষণ এতটাই তীব্র যে রোমাঞ্চপ্রেমীরা এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে কখনো কখনো জীবনের ঝুঁকিও নিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশেও চমৎকার কিছু জলপ্রপাত আছে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণী
২২ অক্টোবর ২০২৪
সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হবে, আপনি একজন সুপারহিরো, যার হাতে এখনো কোনো মিশন নেই। এই এনার্জি দিয়ে হয়তো অফিসের বসের দেওয়া এক মাসের কাজ মাত্র দুই ঘণ্টায় শেষ করে ফেলবেন, কিন্তু তারপরে কী করবেন? বাকি ছয় ঘণ্টা সহকর্মীদের বিরক্ত করে কাটাবেন।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
৪ ঘণ্টা আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার শরীরে এত বেশি এনার্জি থাকবে যে ভুলবশত বাড়ির সব ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র চার্জ করার চেষ্টা করতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হবে, আপনি একজন সুপারহিরো, যার হাতে এখনো কোনো মিশন নেই। এই এনার্জি দিয়ে হয়তো অফিসের বসের দেওয়া এক মাসের কাজ মাত্র দুই ঘণ্টায় শেষ করে ফেলবেন, কিন্তু তারপরে কী করবেন? বাকি ছয় ঘণ্টা সহকর্মীদের বিরক্ত করে কাটাবেন। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত উৎসাহে আজ এমন কিছু করার চেষ্টা করবেন না, যাতে প্রতিবেশী আপনাকে দেখে দরজা বন্ধ করে দেয়। প্রেমের ক্ষেত্রে প্রিয়জনকে ইমপ্রেস করতে গিয়ে এমন কিছু বলে ফেলবেন, যা গুগলেও খুঁজে পাওয়া যায় না। অতিরিক্ত শক্তি কাজে লাগিয়ে আজ অন্তত একটা পুরোনো বাক্স গুছিয়ে ফেলুন। বাকিটা ওপরওয়ালার হাতে!
বৃষ
আপনার জীবনের ‘স্বযত্নলালিত স্বপ্ন’ আজ সত্যি হতে পারে! আর সেই স্বপ্নটি হলো, সারা দিন সোফায় শুয়ে থাকা এবং প্রিয় খাবার ডেলিভারি নেওয়া। আজ এমন এক গভীর আলস্যের জালে জড়িয়ে পড়বেন যে, রিমোট কন্ট্রোলটা হাত থেকে পড়ে গেলে সেটা তোলার জন্য কাউকে ফোন করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। কর্মক্ষেত্রে কাজের গতি হবে কচ্ছপের থেকেও ধীর। সহকর্মীরা ভাববে, আপনি হয়তো ধ্যানের নতুন কোনো উচ্চস্তরে পৌঁছে গেছেন। অর্থের দিক থেকে আজ এমন কিছু ডিসকাউন্ট খুঁজতে গিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন, যা আসলে অস্তিত্বহীন। আজ যদি কেউ আপনাকে তাড়াহুড়ো করতে বলে, মনে মনে বলুন: ‘আমি বৃষ, তাড়াহুড়ো আমার ডিকশনারিতে নেই। ওটা অন্য কোনো রাশির জন্য।’
মিথুন
আপনার ভেতরের দুটি মানুষ আজ সকাল থেকে প্রচণ্ড তর্কে লিপ্ত থাকবে। একজন বলবে, ‘আজ আমি পৃথিবীকে জয় করব!’ অন্যজন বলবে, ‘আরে বাবা, আগে ঠিক করো কোন রঙের মোজাটা পরবে!’ আপনি কোনো একটি বিষয়ে স্থির হতে পারবেন না। কফি না চা? লাল শার্ট না নীল? এই দ্বিধায় পুরো দিন কেটে যাবে। এমন কারও অভাব অনুভব করবেন, যে আপনার সব দ্বিমুখী সিদ্ধান্তকে একমুখী করে দিতে পারে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনি আজ চূড়ান্ত জনপ্রিয়। এত বেশি মেসেজ আসবে যে ফোন চার্জে দিয়েই আপনি হয়তো চার্জার খুঁজে পাবেন না। আজ একটি মাত্র কাজ করুন: স্থির থাকুন। যদি না পারেন, তাহলে একটি কয়েন টস করুন এবং টস হওয়ার আগেই সেই সিদ্ধান্তকে মেনে নিন।
কর্কট
আজ আপনার মন অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ। যেকোনো তুচ্ছ ঘটনাতেই চোখে পানি চলে আসতে পারে। হয়তো দেখবেন, ফ্রিজে শেষ রুটিটা দেখে অতীতের সব দুঃখ মনে পড়ে যাচ্ছে। মনে হবে, পৃথিবীর সবচেয়ে আরামদায়ক স্থান হলো ঘর। তাই আজ ঘর থেকে বের হতে চাইবেন না। যদি বের হতে হয়, তাহলে একটা বালিশ আর কম্বল সঙ্গে নিয়ে নিন—কে জানে কখন কোথায় একটু আবেগ নিয়ে বসা দরকার হয়! পরিবারকে নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবেন। বিশেষত, বাড়ির পোষা প্রাণীটি ঠিকমতো খাচ্ছে কিনা, সেটা নিয়ে আজ গবেষণা করতে পারেন। আজ অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করতে পারেন। তবে পুরোনো বিল বা ফাইনাল পরীক্ষার খাতা দেখলে চোখ মুছতে টিস্যু পেপার হাতের কাছে রাখুন।
সিংহ
আজ যা কিছু করবেন, তাতেই আপনার লাইমলাইট চাই। ধরুন, অফিসে এক গ্লাস পানি খেলেন, আপনার মনে হবে সেটা একটা প্রেস কনফারেন্সের যোগ্য ইভেন্ট। যদি কেউ আপনার দিকে না তাকায়, তাহলে নিজেই জোরে জোরে নিজের প্রশংসা শুরু করে দেবেন। আপনার মনে হবে, আপনার প্রতিটি পদক্ষেপই বুঝি ইতিহাস তৈরি করছে। প্রেমের ক্ষেত্রে, পার্টনার আপনার প্রশংসা না করলে আপনি হয়তো সাময়িক ধর্মঘট শুরু করে দিতে পারেন। সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে গেলে বিল দেওয়ার সময় এমন নাটকীয় ভঙ্গিতে মানিব্যাগ বের করবেন, যাতে মনে হয় আপনি পুরো গ্যালাক্সির দেনা মেটাচ্ছেন। সবার মনোযোগ পেতে আজ আপনি যা-ই করুন না কেন, শেষমেশ দেখবেন বাড়ির কুকুরটাই সবচেয়ে বেশি করতালি পাচ্ছে। সেটা মেনে নিন।
কন্যা
আজ আপনার মস্তিষ্ক একটি হাইপার-অ্যাকটিভ স্প্রেডশিটের মতো চলবে। আপনার প্রধান চিন্তা হবে, বালিশের কভারটি আর টেবিলের কোণটা একই সমান্তরালে আছে কি না। কাজের জায়গায় সহকর্মীর কফির মগে কতটুকু চিনি বেশি আছে, সেটা বের করে ফেলবেন। আর সেই খুঁত নিয়েই আপনি আজ একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করে ফেলবেন। যদি দেখেন কোনো কিছু নিখুঁত নয়, তাহলে মেজাজ সপ্তমে উঠবে। দুশ্চিন্তা করবেন না, আজকের দিনের সবচেয়ে বড় ভুলটি হয়তো আপনিই করবেন, সঠিকটা করতে গিয়ে ভুলটা করে ফেলবেন! আজ দয়া করে নিজের চুল গুনতে শুরু করবেন না। আজ অন্তত একবার একটা ভুল করুন। স্বাধীনতা উপভোগ করুন!
তুলা
ন্যায়, ভারসাম্য এবং সৌন্দর্যের পূজারি আপনি আজ একটি কঠিন পরীক্ষায় পড়বেন। আপনাকে হয়তো ঠিক করতে হবে, দুপুরে ভাত খাবেন নাকি রুটি! এই নিয়েই অন্তত এক ঘণ্টা ভাববেন এবং শেষমেশ দুটোই খেয়ে ফেলবেন। কর্মক্ষেত্রে দুটি সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী মতের সঙ্গে সহমত হবেন, আর এতে সহকর্মীরা আপনাকে ‘ডাবল এজেন্ট’ ভাবতে পারে। প্রেমের ক্ষেত্রে পার্টনারের সামান্যতম অভিযোগ শুনেই এত বেশি ভারসাম্য আনতে চাইবেন যে সম্পর্কটা দড়ির ওপর হাঁটা সার্কাসের মতো মনে হবে। কোনো জটিল সিদ্ধান্ত এলে আজ শুধু একটা জিনিস ভাবুন: যেটাতে আপনার সবচেয়ে কম কষ্ট হবে। ব্যস! ব্যালেন্স নিজের থেকেই চলে আসবে।
বৃশ্চিক
আজ মন গভীর ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত থাকবে। হয়তো ভাববেন, পাশের ডেস্কের সহকর্মী কেন আজ আপনার দিকে একটু বেশি হেসেছেন? এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো গভীর রহস্য আছে! সারা দিন ধরে সেই রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করবেন, যা আসলে সামান্য দাঁত ব্রাশ করার পরের হাসি। তীব্র মনোযোগ আজ আপনাকে অনেক জটিল সমস্যার সমাধান দেবে, কিন্তু সেটা কাউকে বুঝতে দেবেন না। মনে রাখবেন, আপনার নীরবতা আজ একটি পারমাণবিক বোমার চেয়েও শক্তিশালী। লোকে ভাববে আপনি ধ্যান করছেন, কিন্তু আসলে ভাবছেন, কীভাবে প্রতিদ্বন্দ্বীর চায়ে লবণ মিশিয়ে দেবেন। কাউকে কিছু বলবেন না। নীরবতা আজ স্বর্ণময়। সেটা জমিয়ে রাখুন।
ধনু
আজ মন চঞ্চল, আজ বাড়ি ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করতে পারেন। হয়তো অফিস থেকে সোজা হিমালয় বা চাঁদে চলে যাওয়ার টিকিট খুঁজতে থাকবেন। আপনার ফিলোসফিক্যাল রগ আজ এত বেশি চড়ে থাকবে যে, ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে মহাজাগতিক সত্য আবিষ্কার করতে পারেন। আপনার অতি-সৎ কথাগুলো আজ কারও না কারও মন খারাপ করবে। হয়তো বলবেন, ‘তোমাকে এই শাড়িতে এত মোটা লাগছে না, যতটা গত সপ্তাহে লাগছিল।’ এই রাশিফল পড়ার সময়ও আপনি ভাবছেন, এটার কোথাও কোনো বানান ভুল আছে কি না। আজ মুখটা সাবধানে ব্যবহার করুন। বিশেষত যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ মিটিং থাকে, তাহলে কথা বলার আগে তিনবার কফি খান।
মকর
আজ আপনি বিশ্বের সবচেয়ে সফল এবং গম্ভীর মানুষ। মনে করবেন, পৃথিবীর সব দায়িত্ব আপনার কাঁধেই। আপনার প্রধান শখ হবে অন্যদের হাসতে দেখে বিরক্ত হওয়া। ভাববেন, ‘এরা এত হাসছে কেন? কাজের ডেডলাইন তো এখনো বাকি!’ আপনার মনে হবে, আপনি যদি এক ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেন, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে, পার্টনারকে ইমপ্রেস করতে কোনো রোমান্টিক ডিনার বা উপহার না দিয়ে, বরং একটি সুন্দর এক্সেল শিট তৈরি করে দেবেন, যেখানে আপনাদের সম্পর্কের আগামী ১০ বছরের লক্ষ্য লেখা থাকবে। আজকের দিনটি একটু আরাম করুন। না করলে মস্তিষ্ক আপনাকে মনে করিয়ে দেবে যে আপনার দাঁত ব্রাশ করা বাকি এবং এই ভুলটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
কুম্ভ
আজ এমন একটি অদ্ভুত আইডিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন, যা পৃথিবীর বাকি ১১টা রাশি কখনোই বুঝবে না। হয়তো ঠিক করবেন, প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে কীভাবে বিশ্বশান্তি আনা যায়, অথবা কেন সব শার্টে তিনটি করে কলার থাকা উচিত। আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টগুলো আজ খুবই বৈপ্লবিক হবে, কিন্তু বন্ধুরা হয়তো ভাববে আপনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কেউ আপনার কথা বুঝতে না পারলে আরও খুশি হবেন—কারণ জানেন আপনি কতটা এগিয়ে! প্রেম নিয়ে ভাবনা হবে, কেন এই ‘সামাজিক বন্ধন’-এর প্রয়োজন, যেখানে দুজন মানুষ শুধু নিজেদের মধ্যে একটি ইমোজি বিনিময় করেও দিব্যি থাকতে পারে। পরামর্শ: আপনার আইডিয়াগুলো খুব ভালো। কিন্তু আজ দয়া করে আপনার আইডিয়াগুলো দিয়ে পোষা প্রাণীটির ওপর কোনো পরীক্ষা করবেন না।
মীন
আজ বাস্তবের ধারেকাছেও থাকবেন না। দিনের বেশির ভাগ সময় এমন এক কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াবেন, যেখানে আপনার সব বিল পরিশোধ হয়ে গেছে এবং পোষা মাছটা কথা বলতে পারে। কাজের জায়গায় ভুলবশত সহকর্মীকে ‘আমার স্বপ্নে দেখা রাজকুমার/রাজকুমারী’ বলে ডাকতে পারেন। মনে হবে, জীবন একটি হিন্দি সিনেমা, আর আপনি তার হিরো/হিরোইন। যদি কিছু ভুলে যান, যেমন চাবি বা মানিব্যাগ, তার জন্য গ্রহদের দোষ দেবেন। সন্ধ্যায়, হয়তো এত বেশি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠবেন যে টিভির সিরিয়ালের ভিলেনের দুঃখেও চোখে পানি চলে আসবে। আজ চোখ খুলে হাঁটুন। আর যদি চারপাশের মানুষ আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করে, তাহলে চোখ বন্ধ করে শুধু ‘হুম’ বলে দিন। নিরাপদ থাকবেন।

মেষ
আজ আপনার শরীরে এত বেশি এনার্জি থাকবে যে ভুলবশত বাড়ির সব ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র চার্জ করার চেষ্টা করতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হবে, আপনি একজন সুপারহিরো, যার হাতে এখনো কোনো মিশন নেই। এই এনার্জি দিয়ে হয়তো অফিসের বসের দেওয়া এক মাসের কাজ মাত্র দুই ঘণ্টায় শেষ করে ফেলবেন, কিন্তু তারপরে কী করবেন? বাকি ছয় ঘণ্টা সহকর্মীদের বিরক্ত করে কাটাবেন। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত উৎসাহে আজ এমন কিছু করার চেষ্টা করবেন না, যাতে প্রতিবেশী আপনাকে দেখে দরজা বন্ধ করে দেয়। প্রেমের ক্ষেত্রে প্রিয়জনকে ইমপ্রেস করতে গিয়ে এমন কিছু বলে ফেলবেন, যা গুগলেও খুঁজে পাওয়া যায় না। অতিরিক্ত শক্তি কাজে লাগিয়ে আজ অন্তত একটা পুরোনো বাক্স গুছিয়ে ফেলুন। বাকিটা ওপরওয়ালার হাতে!
বৃষ
আপনার জীবনের ‘স্বযত্নলালিত স্বপ্ন’ আজ সত্যি হতে পারে! আর সেই স্বপ্নটি হলো, সারা দিন সোফায় শুয়ে থাকা এবং প্রিয় খাবার ডেলিভারি নেওয়া। আজ এমন এক গভীর আলস্যের জালে জড়িয়ে পড়বেন যে, রিমোট কন্ট্রোলটা হাত থেকে পড়ে গেলে সেটা তোলার জন্য কাউকে ফোন করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। কর্মক্ষেত্রে কাজের গতি হবে কচ্ছপের থেকেও ধীর। সহকর্মীরা ভাববে, আপনি হয়তো ধ্যানের নতুন কোনো উচ্চস্তরে পৌঁছে গেছেন। অর্থের দিক থেকে আজ এমন কিছু ডিসকাউন্ট খুঁজতে গিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন, যা আসলে অস্তিত্বহীন। আজ যদি কেউ আপনাকে তাড়াহুড়ো করতে বলে, মনে মনে বলুন: ‘আমি বৃষ, তাড়াহুড়ো আমার ডিকশনারিতে নেই। ওটা অন্য কোনো রাশির জন্য।’
মিথুন
আপনার ভেতরের দুটি মানুষ আজ সকাল থেকে প্রচণ্ড তর্কে লিপ্ত থাকবে। একজন বলবে, ‘আজ আমি পৃথিবীকে জয় করব!’ অন্যজন বলবে, ‘আরে বাবা, আগে ঠিক করো কোন রঙের মোজাটা পরবে!’ আপনি কোনো একটি বিষয়ে স্থির হতে পারবেন না। কফি না চা? লাল শার্ট না নীল? এই দ্বিধায় পুরো দিন কেটে যাবে। এমন কারও অভাব অনুভব করবেন, যে আপনার সব দ্বিমুখী সিদ্ধান্তকে একমুখী করে দিতে পারে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনি আজ চূড়ান্ত জনপ্রিয়। এত বেশি মেসেজ আসবে যে ফোন চার্জে দিয়েই আপনি হয়তো চার্জার খুঁজে পাবেন না। আজ একটি মাত্র কাজ করুন: স্থির থাকুন। যদি না পারেন, তাহলে একটি কয়েন টস করুন এবং টস হওয়ার আগেই সেই সিদ্ধান্তকে মেনে নিন।
কর্কট
আজ আপনার মন অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ। যেকোনো তুচ্ছ ঘটনাতেই চোখে পানি চলে আসতে পারে। হয়তো দেখবেন, ফ্রিজে শেষ রুটিটা দেখে অতীতের সব দুঃখ মনে পড়ে যাচ্ছে। মনে হবে, পৃথিবীর সবচেয়ে আরামদায়ক স্থান হলো ঘর। তাই আজ ঘর থেকে বের হতে চাইবেন না। যদি বের হতে হয়, তাহলে একটা বালিশ আর কম্বল সঙ্গে নিয়ে নিন—কে জানে কখন কোথায় একটু আবেগ নিয়ে বসা দরকার হয়! পরিবারকে নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবেন। বিশেষত, বাড়ির পোষা প্রাণীটি ঠিকমতো খাচ্ছে কিনা, সেটা নিয়ে আজ গবেষণা করতে পারেন। আজ অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করতে পারেন। তবে পুরোনো বিল বা ফাইনাল পরীক্ষার খাতা দেখলে চোখ মুছতে টিস্যু পেপার হাতের কাছে রাখুন।
সিংহ
আজ যা কিছু করবেন, তাতেই আপনার লাইমলাইট চাই। ধরুন, অফিসে এক গ্লাস পানি খেলেন, আপনার মনে হবে সেটা একটা প্রেস কনফারেন্সের যোগ্য ইভেন্ট। যদি কেউ আপনার দিকে না তাকায়, তাহলে নিজেই জোরে জোরে নিজের প্রশংসা শুরু করে দেবেন। আপনার মনে হবে, আপনার প্রতিটি পদক্ষেপই বুঝি ইতিহাস তৈরি করছে। প্রেমের ক্ষেত্রে, পার্টনার আপনার প্রশংসা না করলে আপনি হয়তো সাময়িক ধর্মঘট শুরু করে দিতে পারেন। সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে গেলে বিল দেওয়ার সময় এমন নাটকীয় ভঙ্গিতে মানিব্যাগ বের করবেন, যাতে মনে হয় আপনি পুরো গ্যালাক্সির দেনা মেটাচ্ছেন। সবার মনোযোগ পেতে আজ আপনি যা-ই করুন না কেন, শেষমেশ দেখবেন বাড়ির কুকুরটাই সবচেয়ে বেশি করতালি পাচ্ছে। সেটা মেনে নিন।
কন্যা
আজ আপনার মস্তিষ্ক একটি হাইপার-অ্যাকটিভ স্প্রেডশিটের মতো চলবে। আপনার প্রধান চিন্তা হবে, বালিশের কভারটি আর টেবিলের কোণটা একই সমান্তরালে আছে কি না। কাজের জায়গায় সহকর্মীর কফির মগে কতটুকু চিনি বেশি আছে, সেটা বের করে ফেলবেন। আর সেই খুঁত নিয়েই আপনি আজ একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করে ফেলবেন। যদি দেখেন কোনো কিছু নিখুঁত নয়, তাহলে মেজাজ সপ্তমে উঠবে। দুশ্চিন্তা করবেন না, আজকের দিনের সবচেয়ে বড় ভুলটি হয়তো আপনিই করবেন, সঠিকটা করতে গিয়ে ভুলটা করে ফেলবেন! আজ দয়া করে নিজের চুল গুনতে শুরু করবেন না। আজ অন্তত একবার একটা ভুল করুন। স্বাধীনতা উপভোগ করুন!
তুলা
ন্যায়, ভারসাম্য এবং সৌন্দর্যের পূজারি আপনি আজ একটি কঠিন পরীক্ষায় পড়বেন। আপনাকে হয়তো ঠিক করতে হবে, দুপুরে ভাত খাবেন নাকি রুটি! এই নিয়েই অন্তত এক ঘণ্টা ভাববেন এবং শেষমেশ দুটোই খেয়ে ফেলবেন। কর্মক্ষেত্রে দুটি সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী মতের সঙ্গে সহমত হবেন, আর এতে সহকর্মীরা আপনাকে ‘ডাবল এজেন্ট’ ভাবতে পারে। প্রেমের ক্ষেত্রে পার্টনারের সামান্যতম অভিযোগ শুনেই এত বেশি ভারসাম্য আনতে চাইবেন যে সম্পর্কটা দড়ির ওপর হাঁটা সার্কাসের মতো মনে হবে। কোনো জটিল সিদ্ধান্ত এলে আজ শুধু একটা জিনিস ভাবুন: যেটাতে আপনার সবচেয়ে কম কষ্ট হবে। ব্যস! ব্যালেন্স নিজের থেকেই চলে আসবে।
বৃশ্চিক
আজ মন গভীর ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত থাকবে। হয়তো ভাববেন, পাশের ডেস্কের সহকর্মী কেন আজ আপনার দিকে একটু বেশি হেসেছেন? এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো গভীর রহস্য আছে! সারা দিন ধরে সেই রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করবেন, যা আসলে সামান্য দাঁত ব্রাশ করার পরের হাসি। তীব্র মনোযোগ আজ আপনাকে অনেক জটিল সমস্যার সমাধান দেবে, কিন্তু সেটা কাউকে বুঝতে দেবেন না। মনে রাখবেন, আপনার নীরবতা আজ একটি পারমাণবিক বোমার চেয়েও শক্তিশালী। লোকে ভাববে আপনি ধ্যান করছেন, কিন্তু আসলে ভাবছেন, কীভাবে প্রতিদ্বন্দ্বীর চায়ে লবণ মিশিয়ে দেবেন। কাউকে কিছু বলবেন না। নীরবতা আজ স্বর্ণময়। সেটা জমিয়ে রাখুন।
ধনু
আজ মন চঞ্চল, আজ বাড়ি ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করতে পারেন। হয়তো অফিস থেকে সোজা হিমালয় বা চাঁদে চলে যাওয়ার টিকিট খুঁজতে থাকবেন। আপনার ফিলোসফিক্যাল রগ আজ এত বেশি চড়ে থাকবে যে, ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে মহাজাগতিক সত্য আবিষ্কার করতে পারেন। আপনার অতি-সৎ কথাগুলো আজ কারও না কারও মন খারাপ করবে। হয়তো বলবেন, ‘তোমাকে এই শাড়িতে এত মোটা লাগছে না, যতটা গত সপ্তাহে লাগছিল।’ এই রাশিফল পড়ার সময়ও আপনি ভাবছেন, এটার কোথাও কোনো বানান ভুল আছে কি না। আজ মুখটা সাবধানে ব্যবহার করুন। বিশেষত যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ মিটিং থাকে, তাহলে কথা বলার আগে তিনবার কফি খান।
মকর
আজ আপনি বিশ্বের সবচেয়ে সফল এবং গম্ভীর মানুষ। মনে করবেন, পৃথিবীর সব দায়িত্ব আপনার কাঁধেই। আপনার প্রধান শখ হবে অন্যদের হাসতে দেখে বিরক্ত হওয়া। ভাববেন, ‘এরা এত হাসছে কেন? কাজের ডেডলাইন তো এখনো বাকি!’ আপনার মনে হবে, আপনি যদি এক ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেন, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে, পার্টনারকে ইমপ্রেস করতে কোনো রোমান্টিক ডিনার বা উপহার না দিয়ে, বরং একটি সুন্দর এক্সেল শিট তৈরি করে দেবেন, যেখানে আপনাদের সম্পর্কের আগামী ১০ বছরের লক্ষ্য লেখা থাকবে। আজকের দিনটি একটু আরাম করুন। না করলে মস্তিষ্ক আপনাকে মনে করিয়ে দেবে যে আপনার দাঁত ব্রাশ করা বাকি এবং এই ভুলটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
কুম্ভ
আজ এমন একটি অদ্ভুত আইডিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন, যা পৃথিবীর বাকি ১১টা রাশি কখনোই বুঝবে না। হয়তো ঠিক করবেন, প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে কীভাবে বিশ্বশান্তি আনা যায়, অথবা কেন সব শার্টে তিনটি করে কলার থাকা উচিত। আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টগুলো আজ খুবই বৈপ্লবিক হবে, কিন্তু বন্ধুরা হয়তো ভাববে আপনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কেউ আপনার কথা বুঝতে না পারলে আরও খুশি হবেন—কারণ জানেন আপনি কতটা এগিয়ে! প্রেম নিয়ে ভাবনা হবে, কেন এই ‘সামাজিক বন্ধন’-এর প্রয়োজন, যেখানে দুজন মানুষ শুধু নিজেদের মধ্যে একটি ইমোজি বিনিময় করেও দিব্যি থাকতে পারে। পরামর্শ: আপনার আইডিয়াগুলো খুব ভালো। কিন্তু আজ দয়া করে আপনার আইডিয়াগুলো দিয়ে পোষা প্রাণীটির ওপর কোনো পরীক্ষা করবেন না।
মীন
আজ বাস্তবের ধারেকাছেও থাকবেন না। দিনের বেশির ভাগ সময় এমন এক কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াবেন, যেখানে আপনার সব বিল পরিশোধ হয়ে গেছে এবং পোষা মাছটা কথা বলতে পারে। কাজের জায়গায় ভুলবশত সহকর্মীকে ‘আমার স্বপ্নে দেখা রাজকুমার/রাজকুমারী’ বলে ডাকতে পারেন। মনে হবে, জীবন একটি হিন্দি সিনেমা, আর আপনি তার হিরো/হিরোইন। যদি কিছু ভুলে যান, যেমন চাবি বা মানিব্যাগ, তার জন্য গ্রহদের দোষ দেবেন। সন্ধ্যায়, হয়তো এত বেশি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠবেন যে টিভির সিরিয়ালের ভিলেনের দুঃখেও চোখে পানি চলে আসবে। আজ চোখ খুলে হাঁটুন। আর যদি চারপাশের মানুষ আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করে, তাহলে চোখ বন্ধ করে শুধু ‘হুম’ বলে দিন। নিরাপদ থাকবেন।

জলপ্রপাত পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। গহিন জঙ্গলের ভেতরে সবুজ কোনো পাহাড় থেকে নেমে আসা জলপ্রপাতের আকর্ষণ এতটাই তীব্র যে রোমাঞ্চপ্রেমীরা এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে কখনো কখনো জীবনের ঝুঁকিও নিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশেও চমৎকার কিছু জলপ্রপাত আছে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণী
২২ অক্টোবর ২০২৪
দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক...
২ ঘণ্টা আগে
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
৪ ঘণ্টা আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ডিসেম্বরের ছুটির দিন খানিকটা আলাদা তো বটেই। এমন শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
গরুর মাংস ১ কেজি, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২ পিস, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ফালি ৮ থেকে ১০টি, বেরেস্তা আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ।
প্রণালি
গরুর মাংস টক দই এবং সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রাখুন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে তাতে মাখানো মাংস দিয়ে দিন। তারপর ভালোভাবে নেড়ে অল্প আঁচে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রান্না করে ঢাকনা দিয়ে দিন। এবার ঢাকনা খুলে মাংস ভালোভাবে কষান। যদি মাংস সেদ্ধ না হয়, তবে সামান্য পানি দিন। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে কাঁচা মরিচ ফালি ও পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে দমে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। ব্যস, রান্না হয়ে গেল কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসা।

ডিসেম্বরের ছুটির দিন খানিকটা আলাদা তো বটেই। এমন শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
গরুর মাংস ১ কেজি, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২ পিস, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ফালি ৮ থেকে ১০টি, বেরেস্তা আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ।
প্রণালি
গরুর মাংস টক দই এবং সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রাখুন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে তাতে মাখানো মাংস দিয়ে দিন। তারপর ভালোভাবে নেড়ে অল্প আঁচে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রান্না করে ঢাকনা দিয়ে দিন। এবার ঢাকনা খুলে মাংস ভালোভাবে কষান। যদি মাংস সেদ্ধ না হয়, তবে সামান্য পানি দিন। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে কাঁচা মরিচ ফালি ও পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে দমে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। ব্যস, রান্না হয়ে গেল কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসা।

জলপ্রপাত পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। গহিন জঙ্গলের ভেতরে সবুজ কোনো পাহাড় থেকে নেমে আসা জলপ্রপাতের আকর্ষণ এতটাই তীব্র যে রোমাঞ্চপ্রেমীরা এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে কখনো কখনো জীবনের ঝুঁকিও নিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশেও চমৎকার কিছু জলপ্রপাত আছে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণী
২২ অক্টোবর ২০২৪
দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক...
২ ঘণ্টা আগে
সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হবে, আপনি একজন সুপারহিরো, যার হাতে এখনো কোনো মিশন নেই। এই এনার্জি দিয়ে হয়তো অফিসের বসের দেওয়া এক মাসের কাজ মাত্র দুই ঘণ্টায় শেষ করে ফেলবেন, কিন্তু তারপরে কী করবেন? বাকি ছয় ঘণ্টা সহকর্মীদের বিরক্ত করে কাটাবেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
২০ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

রুপালি পর্দায় ষাটের দশকের নায়িকাদের দেখলে এখনো মুগ্ধতা কাজ করে। অথচ সে সময়ে এখনকার মতো আধুনিক মেকআপ কিট তো ছিলই না, বরং মেকআপ নিখুঁত করতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হতো। তবু সে সময়কার মেকআপ লুক এখনকার মেকআপ থেকে অনেকটা আলাদা হওয়া সত্ত্বেও কেমন যেন এক মায়া ভ্রম সৃষ্টি করে। সে কারণেই কিনা, সেই সব লুক নানান সময় কোনো না কোনোভাবে ফিরে ফিরে এসেছে। একেবারে শতভাগ না হলেও আলাদাভাবে চোখের সাজ, ঠোঁটের সাজ, বেজ মেকআপ—সবই কোনো না কোনোভাবে ঘুরেফিরে ঠিকই জায়গা করে নিচ্ছে তরুণীদের মনে।
সেই সময়ের মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।
ষাটের দশকে মেকআপের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত চোখ। সে সময়ের জনপ্রিয় লুক ছিল মডেল টুইগির ‘ডল-আইড’। এই মেকআপে দুই থেকে তিন স্তরের মাসকারা ব্যবহার করে চোখের পাপড়িকে খুবই ঘন, লম্বা ও ড্রামাটিক করা হতো। সঙ্গে চোখের নিচের পাতার ওয়াটার লাইনে সাদা আই পেনসিল ব্যবহার করে চোখের আকৃতি পুতুলের চোখের মতো বড় দেখানো হতো।
এই দশকে চোখের সাজে আইলাইনারের ব্যবহার ছিল খুবই জনপ্রিয়। সোফিয়া লরেন বা ডায়ানা রসের মতো তারকারা চোখের ওপরে ল্যাশ লাইনে মোটা করে কালো লাইনার টেনে দিতেন। এতে চোখে একধরনের নাটকীয়তা আসত। এই বোল্ড উইংগড লাইনার লুকটি আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।

ষাটের দশকে ক্যাট আই ছিল খুবই প্রচলিত। গায়িকা অ্যারেথা ফ্র্যাঙ্কলিন ক্যাট আই লুকের সঙ্গে চোখের ওপরের ও নিচের লাইনার কিছুটা স্মাজ করে একটা আবেদনময় লুক আনতেন। এই লুক রাতের সাজ হিসেবে খুবই মানানসই।
তখনকার মেকআপ কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল কাট ক্রিজ লাইনার। অভিনেত্রী শের ও ডায়হান ক্যারলের মতো তারকারা চোখের ভাঁজের ওপর দিয়ে একটি চিকন কালো রেখা টেনে দিতেন। এটি চোখে একটি গভীর ও নাটকীয় লুক দিত।

অভিনেত্রী ব্রিজিট বার্দোত বা রনি স্পেক্টারের লুকে এই কৌশল চোখে পড়ে। এই কৌশলে চোখের চারপাশে, বিশেষ করে নিচের ল্যাশ লাইনে ঘন কালো কাজল ব্যবহার করা হতো। সাধারণত দিনের বেলার সাজের চেয়ে রাতের সাজে এটি চোখকে আরও বোল্ড ও রহস্যময় করে তোলে। বর্তমানেও ড্রামাটিক লুক তৈরি করতে চাইলে কৌল-রিমড আইস লুকটি তৈরি করে দেখতে পারেন।
সে সময় চোখের সাজ যেহেতু খুবই জাঁকজমকপূর্ণ ও নাটকীয় হতো, তাই ভারসাম্য বজায় রাখতে ঠোঁটের সাজ হতো একেবারেই সাদামাটা। এই দশকে কখনোই ঠোঁট ও চোখকে একসঙ্গে হাইলাইট করা হতো না; বরং চোখের সাজকেই প্রাধান্য দিতে ঠোঁটে ন্যুড, সাদামাটা গোলাপি বা হালকা কমলার মতো মিউট শেডগুলো ব্যবহার করা হতো। অভিনেত্রী জেন বার্কিন সব সময় সফট পিংক লিপ কালার দিয়ে একটা ন্যাচারাল লুক তৈরি করতেন।
সে সময় চোখের সাজে উজ্জ্বল রংগুলোর মধ্যে কালো, ধূসর, সাদা বা নীল রঙের প্রাধান্য ছিল বেশি। এলিজাবেথ টেলর বা ডেনিয়েল লুনার মতো তারকারা চোখে উজ্জ্বল নীল রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতেন, যা সাজে একটা চমৎকার আভিজাত্য আনত।
ষাটের দশকের শুরুর দিকে মেকআপের বেস তৈরিতে পাউডার ব্যবহার করে ত্বক সম্পূর্ণ ম্যাট রাখা হতো। সময়ের সঙ্গে এই ধারা বদলে দশকের শেষের দিকে ত্বক প্রাণবন্ত ও সতেজ দেখাতে গ্লোয়ি বা উজ্জ্বল মেকআপের চল শুরু হয়। আজকের দিনেও ডালনেস কাটিয়ে ফ্রেশ লুক তৈরিতে গ্লোয়ি বেস বেশ জনপ্রিয়।
সে যুগে ভ্রুর আকারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতো। ন্যান্সি কোয়ান বা নিনা সিমনের মতো তারকারা হাই-আর্চড আইব্রোর ট্রেন্ড সেট করেন, যা চোখের নাটকীয়তা আরও বাড়িয়ে তুলত।
সে সময় বোল্ড লুক থেকে শুরু করে মিনিমালিস্টিক বা ক্যাজুয়াল লুক—সবখানেই মাসকারা ছিল সাজের অপরিহার্য অংশ। অড্রে হেপবার্ন তাঁর মিনিমালিস্টিক লুকে চোখের ওপরের পাতায় মোটা লাইনারের সঙ্গে ঘন করে মাসকারা এবং ঠোঁটে হালকা কোরাল শেড ব্যবহার করে ক্ল্যাসিক লুক তৈরি করতেন।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, ছবি সৌজন্য: যাদুর বাক্স

রুপালি পর্দায় ষাটের দশকের নায়িকাদের দেখলে এখনো মুগ্ধতা কাজ করে। অথচ সে সময়ে এখনকার মতো আধুনিক মেকআপ কিট তো ছিলই না, বরং মেকআপ নিখুঁত করতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হতো। তবু সে সময়কার মেকআপ লুক এখনকার মেকআপ থেকে অনেকটা আলাদা হওয়া সত্ত্বেও কেমন যেন এক মায়া ভ্রম সৃষ্টি করে। সে কারণেই কিনা, সেই সব লুক নানান সময় কোনো না কোনোভাবে ফিরে ফিরে এসেছে। একেবারে শতভাগ না হলেও আলাদাভাবে চোখের সাজ, ঠোঁটের সাজ, বেজ মেকআপ—সবই কোনো না কোনোভাবে ঘুরেফিরে ঠিকই জায়গা করে নিচ্ছে তরুণীদের মনে।
সেই সময়ের মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।
ষাটের দশকে মেকআপের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত চোখ। সে সময়ের জনপ্রিয় লুক ছিল মডেল টুইগির ‘ডল-আইড’। এই মেকআপে দুই থেকে তিন স্তরের মাসকারা ব্যবহার করে চোখের পাপড়িকে খুবই ঘন, লম্বা ও ড্রামাটিক করা হতো। সঙ্গে চোখের নিচের পাতার ওয়াটার লাইনে সাদা আই পেনসিল ব্যবহার করে চোখের আকৃতি পুতুলের চোখের মতো বড় দেখানো হতো।
এই দশকে চোখের সাজে আইলাইনারের ব্যবহার ছিল খুবই জনপ্রিয়। সোফিয়া লরেন বা ডায়ানা রসের মতো তারকারা চোখের ওপরে ল্যাশ লাইনে মোটা করে কালো লাইনার টেনে দিতেন। এতে চোখে একধরনের নাটকীয়তা আসত। এই বোল্ড উইংগড লাইনার লুকটি আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।

ষাটের দশকে ক্যাট আই ছিল খুবই প্রচলিত। গায়িকা অ্যারেথা ফ্র্যাঙ্কলিন ক্যাট আই লুকের সঙ্গে চোখের ওপরের ও নিচের লাইনার কিছুটা স্মাজ করে একটা আবেদনময় লুক আনতেন। এই লুক রাতের সাজ হিসেবে খুবই মানানসই।
তখনকার মেকআপ কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল কাট ক্রিজ লাইনার। অভিনেত্রী শের ও ডায়হান ক্যারলের মতো তারকারা চোখের ভাঁজের ওপর দিয়ে একটি চিকন কালো রেখা টেনে দিতেন। এটি চোখে একটি গভীর ও নাটকীয় লুক দিত।

অভিনেত্রী ব্রিজিট বার্দোত বা রনি স্পেক্টারের লুকে এই কৌশল চোখে পড়ে। এই কৌশলে চোখের চারপাশে, বিশেষ করে নিচের ল্যাশ লাইনে ঘন কালো কাজল ব্যবহার করা হতো। সাধারণত দিনের বেলার সাজের চেয়ে রাতের সাজে এটি চোখকে আরও বোল্ড ও রহস্যময় করে তোলে। বর্তমানেও ড্রামাটিক লুক তৈরি করতে চাইলে কৌল-রিমড আইস লুকটি তৈরি করে দেখতে পারেন।
সে সময় চোখের সাজ যেহেতু খুবই জাঁকজমকপূর্ণ ও নাটকীয় হতো, তাই ভারসাম্য বজায় রাখতে ঠোঁটের সাজ হতো একেবারেই সাদামাটা। এই দশকে কখনোই ঠোঁট ও চোখকে একসঙ্গে হাইলাইট করা হতো না; বরং চোখের সাজকেই প্রাধান্য দিতে ঠোঁটে ন্যুড, সাদামাটা গোলাপি বা হালকা কমলার মতো মিউট শেডগুলো ব্যবহার করা হতো। অভিনেত্রী জেন বার্কিন সব সময় সফট পিংক লিপ কালার দিয়ে একটা ন্যাচারাল লুক তৈরি করতেন।
সে সময় চোখের সাজে উজ্জ্বল রংগুলোর মধ্যে কালো, ধূসর, সাদা বা নীল রঙের প্রাধান্য ছিল বেশি। এলিজাবেথ টেলর বা ডেনিয়েল লুনার মতো তারকারা চোখে উজ্জ্বল নীল রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতেন, যা সাজে একটা চমৎকার আভিজাত্য আনত।
ষাটের দশকের শুরুর দিকে মেকআপের বেস তৈরিতে পাউডার ব্যবহার করে ত্বক সম্পূর্ণ ম্যাট রাখা হতো। সময়ের সঙ্গে এই ধারা বদলে দশকের শেষের দিকে ত্বক প্রাণবন্ত ও সতেজ দেখাতে গ্লোয়ি বা উজ্জ্বল মেকআপের চল শুরু হয়। আজকের দিনেও ডালনেস কাটিয়ে ফ্রেশ লুক তৈরিতে গ্লোয়ি বেস বেশ জনপ্রিয়।
সে যুগে ভ্রুর আকারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতো। ন্যান্সি কোয়ান বা নিনা সিমনের মতো তারকারা হাই-আর্চড আইব্রোর ট্রেন্ড সেট করেন, যা চোখের নাটকীয়তা আরও বাড়িয়ে তুলত।
সে সময় বোল্ড লুক থেকে শুরু করে মিনিমালিস্টিক বা ক্যাজুয়াল লুক—সবখানেই মাসকারা ছিল সাজের অপরিহার্য অংশ। অড্রে হেপবার্ন তাঁর মিনিমালিস্টিক লুকে চোখের ওপরের পাতায় মোটা লাইনারের সঙ্গে ঘন করে মাসকারা এবং ঠোঁটে হালকা কোরাল শেড ব্যবহার করে ক্ল্যাসিক লুক তৈরি করতেন।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, ছবি সৌজন্য: যাদুর বাক্স

জলপ্রপাত পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। গহিন জঙ্গলের ভেতরে সবুজ কোনো পাহাড় থেকে নেমে আসা জলপ্রপাতের আকর্ষণ এতটাই তীব্র যে রোমাঞ্চপ্রেমীরা এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে কখনো কখনো জীবনের ঝুঁকিও নিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশেও চমৎকার কিছু জলপ্রপাত আছে। তবে আজ আমরা পরিচয় করিয়ে দেব বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণী
২২ অক্টোবর ২০২৪
দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক...
২ ঘণ্টা আগে
সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনে হবে, আপনি একজন সুপারহিরো, যার হাতে এখনো কোনো মিশন নেই। এই এনার্জি দিয়ে হয়তো অফিসের বসের দেওয়া এক মাসের কাজ মাত্র দুই ঘণ্টায় শেষ করে ফেলবেন, কিন্তু তারপরে কী করবেন? বাকি ছয় ঘণ্টা সহকর্মীদের বিরক্ত করে কাটাবেন।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
৪ ঘণ্টা আগে