প্রযুক্তি ডেস্ক

ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (আইসি) প্রযুক্তির বিপ্লবের ফলে আমাদের ব্যবহারের সব ডিভাইস আকারে দিন দিন ছোট হয়ে যাচ্ছে। এখন আমরা মোবাইল ফোন কিংবা ট্যাবে এমন সব কাজ করতে পারি, যেগুলো অ্যানালগ সময়ের ‘শক্তিশালী’ কম্পিউটারেও করা যেত না!
বহনযোগ্য হওয়ায় এখন বেশির ভাগ মানুষ ডেস্কটপ কম্পিউটারের বদলে ল্যাপটপ ব্যবহার করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বর্তমানে আমরা যেমন কম্পিউটার দেখি তা সময়ের সঙ্গে ব্যাপক পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে এই রূপে এসেছে। পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটারের ওজন ছিল ৩০ টন! এ ছাড়া কম্পিউটারটির আয়তন ছিল প্রায় ১ হাজার ৮০০ বর্গফুট। অর্থাৎ প্রায় একটি ঘরের সমান।
তবে প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার ইনিয়াকের কাজ শুরুর আগে, বৈদ্যুতিক নয়, পানি–চালিত কম্পিউটার তৈরি করেছিল রাশিয়া! পানির প্রবাহ ও আয়তনের সামান্য পরিবর্তন হিসাব করে সমাধান করা যেত গাণিতিক সমস্যার।
রাশিয়ার বিজ্ঞানী ভ্লাদিমির লুকিয়ানভ ১৯৩৬ সালে এই কম্পিউটার তৈরি করেন। এটিই ছিল বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার যা পারশিয়াল ডিফারেনশিয়াল ইকুয়েশন সমাধান করতে পারত।
কম্পিউটারটিতে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট হিসেবে ছিল পরস্পর সংযুক্ত পানিভর্তি কাচের টিউব এবং পাম্প। টিউবে পানির স্তর সমাধান (আউটপুট) নির্দেশ করত। ট্যাপ এবং প্লাগগুলো সমীকরণের চলক অনুযায়ী সামঞ্জস্য বজায় রাখত। ভূতত্ত্ব, রকেট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ধাতুবিদ্যার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই কম্পিউটারের ব্যবহার ছিল।
লুকিয়ানভের ইন্টিগ্রেটরগুলোর প্রথম দিকের সংস্করণগুলো পরীক্ষামূলক ছিল। ইন্টিগ্রেটরগুলো ছিল টিন এবং কাচের টিউব দিয়ে তৈরি, প্রতিটি ইন্টিগ্রেটর একটিমাত্র সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহার করা যেত। ১৯৩০-এর দশকে পারশিয়াল ডিফারেনশিয়াল ইকুয়েশন সমাধানের জন্য এটি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের একমাত্র কম্পিউটার ছিল।
১৯৪১ সালে মডুলার ডিজাইনের একটি হাইড্রোলিক ইন্টিগ্রেটর তৈরি করেছিলেন লুকিয়ানভ, যার মাধ্যমে একের অধিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান করা যেত। পরবর্তীতে দ্বি-মাত্রিক এবং ত্রি-মাত্রিক হাইড্রোলিক ইন্টিগ্রেটর ডিজাইন করা হয়েছিল। ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৫ সালে রাশিয়ার নিশেটম্যাশ (NIISCHETMASH) ইনস্টিটিউটে স্ট্যান্ডার্ড ইউনিফায়েড ইউনিটের আকারে একটি ইন্টিগ্রেটর তৈরি করা হয়।
গণনা এবং বিশ্লেষণাত্মক মেশিনের কারখানা রিয়াজান প্ল্যান্টে ১৯৫৫ সালে ইন্টিগ্রেটরগুলো ব্যাপক আকারে উৎপাদন শুরু করা হয়। ইন্টিগ্রেটরগুলো চেকোস্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া এবং চীনে সরবরাহ করা হয়েছিল।
১৯৪০–এর দশকে তুর্কমিনিস্তানের কারাকুম খালের নকশা করতে এই ওয়াটার ইন্টিগ্রেটর ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া ১৯৭০–এর দশকে বৈকাল আমুর রেললাইন ডিজাইনেও এই কম্পিউটারের সহায়তা নেওয়া হয়েছিল। সার্বিয়ার পূর্বাঞ্চল থেকে রাশিয়ার পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত এই ব্রডগেজ রেললাইনের দৈর্ঘ্য ৪ হাজার ৩২৪ কিলোমিটার।
বড় কোনো অবকাঠামোর নকশা করার জন্য ১৯৮০–এর দশক পর্যন্ত পানি–চালিত এই অ্যানালগ কম্পিউটার ব্যবহার করেছে সোভিয়েত ইউনিয়ন। ভূতত্ত্ব, খনি খনন, ধাতুবিদ্যা, রকেট তৈরি এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খাতে এই কম্পিউটার ব্যবহার করা হতো।
মস্কোর পলিটেকনিক মিউজিয়ামে এ ধরনের দুটি হাইড্রোলিক ইন্টিগ্রেটর এখনো সংরক্ষিত আছে।

ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (আইসি) প্রযুক্তির বিপ্লবের ফলে আমাদের ব্যবহারের সব ডিভাইস আকারে দিন দিন ছোট হয়ে যাচ্ছে। এখন আমরা মোবাইল ফোন কিংবা ট্যাবে এমন সব কাজ করতে পারি, যেগুলো অ্যানালগ সময়ের ‘শক্তিশালী’ কম্পিউটারেও করা যেত না!
বহনযোগ্য হওয়ায় এখন বেশির ভাগ মানুষ ডেস্কটপ কম্পিউটারের বদলে ল্যাপটপ ব্যবহার করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বর্তমানে আমরা যেমন কম্পিউটার দেখি তা সময়ের সঙ্গে ব্যাপক পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে এই রূপে এসেছে। পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটারের ওজন ছিল ৩০ টন! এ ছাড়া কম্পিউটারটির আয়তন ছিল প্রায় ১ হাজার ৮০০ বর্গফুট। অর্থাৎ প্রায় একটি ঘরের সমান।
তবে প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার ইনিয়াকের কাজ শুরুর আগে, বৈদ্যুতিক নয়, পানি–চালিত কম্পিউটার তৈরি করেছিল রাশিয়া! পানির প্রবাহ ও আয়তনের সামান্য পরিবর্তন হিসাব করে সমাধান করা যেত গাণিতিক সমস্যার।
রাশিয়ার বিজ্ঞানী ভ্লাদিমির লুকিয়ানভ ১৯৩৬ সালে এই কম্পিউটার তৈরি করেন। এটিই ছিল বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার যা পারশিয়াল ডিফারেনশিয়াল ইকুয়েশন সমাধান করতে পারত।
কম্পিউটারটিতে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট হিসেবে ছিল পরস্পর সংযুক্ত পানিভর্তি কাচের টিউব এবং পাম্প। টিউবে পানির স্তর সমাধান (আউটপুট) নির্দেশ করত। ট্যাপ এবং প্লাগগুলো সমীকরণের চলক অনুযায়ী সামঞ্জস্য বজায় রাখত। ভূতত্ত্ব, রকেট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ধাতুবিদ্যার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই কম্পিউটারের ব্যবহার ছিল।
লুকিয়ানভের ইন্টিগ্রেটরগুলোর প্রথম দিকের সংস্করণগুলো পরীক্ষামূলক ছিল। ইন্টিগ্রেটরগুলো ছিল টিন এবং কাচের টিউব দিয়ে তৈরি, প্রতিটি ইন্টিগ্রেটর একটিমাত্র সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহার করা যেত। ১৯৩০-এর দশকে পারশিয়াল ডিফারেনশিয়াল ইকুয়েশন সমাধানের জন্য এটি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের একমাত্র কম্পিউটার ছিল।
১৯৪১ সালে মডুলার ডিজাইনের একটি হাইড্রোলিক ইন্টিগ্রেটর তৈরি করেছিলেন লুকিয়ানভ, যার মাধ্যমে একের অধিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান করা যেত। পরবর্তীতে দ্বি-মাত্রিক এবং ত্রি-মাত্রিক হাইড্রোলিক ইন্টিগ্রেটর ডিজাইন করা হয়েছিল। ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৫ সালে রাশিয়ার নিশেটম্যাশ (NIISCHETMASH) ইনস্টিটিউটে স্ট্যান্ডার্ড ইউনিফায়েড ইউনিটের আকারে একটি ইন্টিগ্রেটর তৈরি করা হয়।
গণনা এবং বিশ্লেষণাত্মক মেশিনের কারখানা রিয়াজান প্ল্যান্টে ১৯৫৫ সালে ইন্টিগ্রেটরগুলো ব্যাপক আকারে উৎপাদন শুরু করা হয়। ইন্টিগ্রেটরগুলো চেকোস্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া এবং চীনে সরবরাহ করা হয়েছিল।
১৯৪০–এর দশকে তুর্কমিনিস্তানের কারাকুম খালের নকশা করতে এই ওয়াটার ইন্টিগ্রেটর ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া ১৯৭০–এর দশকে বৈকাল আমুর রেললাইন ডিজাইনেও এই কম্পিউটারের সহায়তা নেওয়া হয়েছিল। সার্বিয়ার পূর্বাঞ্চল থেকে রাশিয়ার পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত এই ব্রডগেজ রেললাইনের দৈর্ঘ্য ৪ হাজার ৩২৪ কিলোমিটার।
বড় কোনো অবকাঠামোর নকশা করার জন্য ১৯৮০–এর দশক পর্যন্ত পানি–চালিত এই অ্যানালগ কম্পিউটার ব্যবহার করেছে সোভিয়েত ইউনিয়ন। ভূতত্ত্ব, খনি খনন, ধাতুবিদ্যা, রকেট তৈরি এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খাতে এই কম্পিউটার ব্যবহার করা হতো।
মস্কোর পলিটেকনিক মিউজিয়ামে এ ধরনের দুটি হাইড্রোলিক ইন্টিগ্রেটর এখনো সংরক্ষিত আছে।

ঝরনাপাখি। নামে যার সঙ্গে ঝরনা জড়িয়ে, তার সঙ্গে ঝরনার সম্পর্ক যে নিবিড় হবে, সেটা না বললেও চলে। এই অপার্থিব সুন্দর পাখির বাহারি বাংলা নামের তালিকাও বেশ সমৃদ্ধ—নীলাম্বর জলখঞ্জরী, নীল পানগির্দি, ঝরনাপাখি, নীল কপালিগির্দি, নীলচে লালগির্দি ইত্যাদি।
১ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষের দিকে এসে পর্যটন খাতে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে ভারত। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেখা গেছে, ভারতের পর্যটন প্রসার বাজেট সীমাবদ্ধতার মধ্যে পড়েছে। দেশটির এই অবস্থায় লাভবান হচ্ছে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিযোগীরা।
১ ঘণ্টা আগে
আত্মবিশ্বাস একেবারে হিমালয়ের চূড়ায়। পৈতৃক সম্পত্তি পাওয়ার যোগ আছে। বাতের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় নিজেকে স্পাইডারম্যান ভাববেন না। বেশি লাফঝাঁপ করলে কপালে হাড়ের ডাক্তার আছে। সকাল-সন্ধ্যা রিজিক বৃদ্ধির দোয়া করতে থাকুন।
১ ঘণ্টা আগে
কল্পনা করুন, আপনার কাছে এমন একটি জাদুর কার্ড আছে, যা দিয়ে সারা জীবন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ করতে পারবেন! আর সেই ভ্রমণ হবে কোনো খরচ ছাড়াই—যতবার খুশি। শুনতে রূপকথার মতো মনে হলেও আশির দশকে আমেরিকান এয়ারলাইনস ঠিক এমন ধরনের সুযোগ দিয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেনাকিব বাপ্পি

ঝরনাপাখি। নামে যার সঙ্গে ঝরনা জড়িয়ে, তার সঙ্গে ঝরনার সম্পর্ক যে নিবিড় হবে, সেটা না বললেও চলে। এই অপার্থিব সুন্দর পাখির বাহারি বাংলা নামের তালিকাও বেশ সমৃদ্ধ—নীলাম্বর জলখঞ্জরী, নীল পানগির্দি, ঝরনাপাখি, নীল কপালিগির্দি, নীলচে লালগির্দি ইত্যাদি।
ইংরেজিতে এর নাম প্লাম্বিয়াস ওয়াটার রেডস্টার্ট; আর দাঁতভাঙা বৈজ্ঞানিক নাম ফিনিকিউরাস ফুলিগিনোসাস।
ডিসেম্বরের শুরুর দিকের ঘটনা। মৌলভীবাজারের মাধবকুণ্ডে এই পাখির আগমন ঘটেছে—খবরটি পেয়েই মন অস্থির হয়ে উঠল। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বেশ কয়েকজন আলোকচিত্রী এর ছবি পোস্ট করে যেন সেই অস্থিরতার আগুনে ঘি ঢেলে দিলেন। ভাবছি কী করা যায়! ঠিক তখন কাকতালীয়ভাবে সিলেট থেকে অতি প্রিয় এক আলোকচিত্রীর কল পেলাম। আমি কল রিসিভ করতেই তিনি বললেন, ‘চলে আসো।’ তারপর জানালেন কারা কারা থাকবেন, কখন উপস্থিত হবেন ইত্যাদি তথ্য।
পরদিন রাতের বাসে কয়েকজন মিলে রওনা দিলাম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে।
ভোরে পৌঁছে দেখি, ফটোগ্রাফার শামীম ভাই আর তাঁর সঙ্গী-সাথিরা ছবি তোলা শুরু করে দিয়েছেন। ফলে ‘মহাশয়কে’ খুঁজে পেতে বিশেষ বেগ পেতে হলো না। দীর্ঘ সময় নিয়ে মন-প্রাণ ভরে ছবি তুললাম। মাঝেমধ্যে ক্যামেরার শাটার চাপা থামিয়ে চর্মচক্ষু দিয়েও তার সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভুলিনি।
আকারে অত্যন্ত ছোট এই পাখির পুরুষ প্রজাতির গড় ওজন প্রায় ২২ গ্রাম আর স্ত্রী পাখির ১৮ গ্রাম। এত হালকা শরীরে কী পাহাড়সম সৌন্দর্যই না বয়ে বেড়ায় এরা!
শীতকালে পাহাড়ি নদীর ধারে এই ঝরনাপাখি অস্থায়ী নীড় বানায়। শীত বিদায় নিতেই চলে যায় গ্রীষ্মের গন্তব্যে। সেখানে পৌঁছেই সংসার গড়ায় মনোযোগী হয়। মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত এদের প্রজননকাল। স্ত্রী নীল পানগির্দি সাধারণত তিন অথবা চারটি হালকা গোলাপি-ধূসর কিংবা হালকা হলদে রঙের ডিম পাড়ে। ডিমে তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সে একাই দায়িত্ব পালন করে। তবে ছানা লালন-পালনের দায়িত্ব পুরুষটির কাঁধেও সমানভাবে বর্তায়।
বাংলাদেশ ছাড়াও আফগানিস্তান, ভুটান, চীন, ভারত, লাওস, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে এদের দেখা মেলে।
সবশেষে সেখান থেকে বিদায় নিয়ে সাগরনালে নীলপরীর সন্ধানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলো, যা প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির ভিন্ন এক গল্প। সেটি অন্য সময়ের জন্য তোলা থাক।
ক্যামেরা ব্যাগে নেওয়ার আগমুহূর্তে পাখিটি পানি আর মাটির সীমানাস্থলে এমনভাবে এসে বসল, দৃশ্যটা যেন এক ইলিউশন। মনে হলো, একটি পাখি হুট করে দুটো পাখি হয়ে গেছে। মনে মনে ‘ঝরনার জলে কার ছায়া গো’ বলতে বলতে সেদিনের মতো ক্লিক করলাম ঝরনাপাখির শেষ ছবিটি।
ছবি ও লেখা: নাকিব বাপ্পি

ঝরনাপাখি। নামে যার সঙ্গে ঝরনা জড়িয়ে, তার সঙ্গে ঝরনার সম্পর্ক যে নিবিড় হবে, সেটা না বললেও চলে। এই অপার্থিব সুন্দর পাখির বাহারি বাংলা নামের তালিকাও বেশ সমৃদ্ধ—নীলাম্বর জলখঞ্জরী, নীল পানগির্দি, ঝরনাপাখি, নীল কপালিগির্দি, নীলচে লালগির্দি ইত্যাদি।
ইংরেজিতে এর নাম প্লাম্বিয়াস ওয়াটার রেডস্টার্ট; আর দাঁতভাঙা বৈজ্ঞানিক নাম ফিনিকিউরাস ফুলিগিনোসাস।
ডিসেম্বরের শুরুর দিকের ঘটনা। মৌলভীবাজারের মাধবকুণ্ডে এই পাখির আগমন ঘটেছে—খবরটি পেয়েই মন অস্থির হয়ে উঠল। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বেশ কয়েকজন আলোকচিত্রী এর ছবি পোস্ট করে যেন সেই অস্থিরতার আগুনে ঘি ঢেলে দিলেন। ভাবছি কী করা যায়! ঠিক তখন কাকতালীয়ভাবে সিলেট থেকে অতি প্রিয় এক আলোকচিত্রীর কল পেলাম। আমি কল রিসিভ করতেই তিনি বললেন, ‘চলে আসো।’ তারপর জানালেন কারা কারা থাকবেন, কখন উপস্থিত হবেন ইত্যাদি তথ্য।
পরদিন রাতের বাসে কয়েকজন মিলে রওনা দিলাম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে।
ভোরে পৌঁছে দেখি, ফটোগ্রাফার শামীম ভাই আর তাঁর সঙ্গী-সাথিরা ছবি তোলা শুরু করে দিয়েছেন। ফলে ‘মহাশয়কে’ খুঁজে পেতে বিশেষ বেগ পেতে হলো না। দীর্ঘ সময় নিয়ে মন-প্রাণ ভরে ছবি তুললাম। মাঝেমধ্যে ক্যামেরার শাটার চাপা থামিয়ে চর্মচক্ষু দিয়েও তার সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভুলিনি।
আকারে অত্যন্ত ছোট এই পাখির পুরুষ প্রজাতির গড় ওজন প্রায় ২২ গ্রাম আর স্ত্রী পাখির ১৮ গ্রাম। এত হালকা শরীরে কী পাহাড়সম সৌন্দর্যই না বয়ে বেড়ায় এরা!
শীতকালে পাহাড়ি নদীর ধারে এই ঝরনাপাখি অস্থায়ী নীড় বানায়। শীত বিদায় নিতেই চলে যায় গ্রীষ্মের গন্তব্যে। সেখানে পৌঁছেই সংসার গড়ায় মনোযোগী হয়। মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত এদের প্রজননকাল। স্ত্রী নীল পানগির্দি সাধারণত তিন অথবা চারটি হালকা গোলাপি-ধূসর কিংবা হালকা হলদে রঙের ডিম পাড়ে। ডিমে তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সে একাই দায়িত্ব পালন করে। তবে ছানা লালন-পালনের দায়িত্ব পুরুষটির কাঁধেও সমানভাবে বর্তায়।
বাংলাদেশ ছাড়াও আফগানিস্তান, ভুটান, চীন, ভারত, লাওস, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে এদের দেখা মেলে।
সবশেষে সেখান থেকে বিদায় নিয়ে সাগরনালে নীলপরীর সন্ধানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলো, যা প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির ভিন্ন এক গল্প। সেটি অন্য সময়ের জন্য তোলা থাক।
ক্যামেরা ব্যাগে নেওয়ার আগমুহূর্তে পাখিটি পানি আর মাটির সীমানাস্থলে এমনভাবে এসে বসল, দৃশ্যটা যেন এক ইলিউশন। মনে হলো, একটি পাখি হুট করে দুটো পাখি হয়ে গেছে। মনে মনে ‘ঝরনার জলে কার ছায়া গো’ বলতে বলতে সেদিনের মতো ক্লিক করলাম ঝরনাপাখির শেষ ছবিটি।
ছবি ও লেখা: নাকিব বাপ্পি

প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার ইনিয়াকের কাজ শুরুর আগে, বৈদ্যুতিক নয়, পানি–চালিত কম্পিউটার তৈরি করেছিল রাশিয়া! পানির প্রবাহ ও আয়তনের সামান্য পরিবর্তন হিসাব করে সমাধান করা যেত গাণিতিক সমস্যার।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বছরের শেষের দিকে এসে পর্যটন খাতে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে ভারত। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেখা গেছে, ভারতের পর্যটন প্রসার বাজেট সীমাবদ্ধতার মধ্যে পড়েছে। দেশটির এই অবস্থায় লাভবান হচ্ছে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিযোগীরা।
১ ঘণ্টা আগে
আত্মবিশ্বাস একেবারে হিমালয়ের চূড়ায়। পৈতৃক সম্পত্তি পাওয়ার যোগ আছে। বাতের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় নিজেকে স্পাইডারম্যান ভাববেন না। বেশি লাফঝাঁপ করলে কপালে হাড়ের ডাক্তার আছে। সকাল-সন্ধ্যা রিজিক বৃদ্ধির দোয়া করতে থাকুন।
১ ঘণ্টা আগে
কল্পনা করুন, আপনার কাছে এমন একটি জাদুর কার্ড আছে, যা দিয়ে সারা জীবন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ করতে পারবেন! আর সেই ভ্রমণ হবে কোনো খরচ ছাড়াই—যতবার খুশি। শুনতে রূপকথার মতো মনে হলেও আশির দশকে আমেরিকান এয়ারলাইনস ঠিক এমন ধরনের সুযোগ দিয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বছরের শেষের দিকে এসে পর্যটন খাতে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে ভারত। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেখা গেছে, ভারতের পর্যটন প্রসার বাজেট সীমাবদ্ধতার মধ্যে পড়েছে। দেশটির এই অবস্থায় লাভবান হচ্ছে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিযোগীরা।
ভ্রমণবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘স্কিফট’ তাদের প্রতিবেদনে সরকারি মালিকানাধীন এক্সিম ব্যাংকের একটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, বৈশ্বিক ভ্রমণ দ্রুতগতিতে পুনরুদ্ধার করা সত্ত্বেও ভারত পর্যটনের সম্পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে।
২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন আন্তর্জাতিক পর্যটক ভ্রমণ করেছে। এ সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। মহামারি-পরবর্তী ভ্রমণ প্রবণতার হার বাড়া, উন্নত বিমান সংযোগ এবং শিথিল ভিসা নীতির কারণে বিশ্বব্যাপী পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে।
‘স্কিফট’ জানিয়েছে, ভারত এই প্রবৃদ্ধির সামান্য অংশ ধরে রাখতে পেরেছে মাত্র।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ট্যাক্স টিএমআই জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে মার্চে ২৬ দশমিক ১৫ লাখ পর্যটকের তুলনায় এপ্রিল থেকে জুনে ভারতে বিদেশি পর্যটকের আগমন (এফটিএ) কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৪৮ লাখে। তবে তৃতীয় প্রান্তিকে কিছুটা বেড়েছে। ১৫ ডিসেম্বর সংসদে একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে ভারতের কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, এ বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে মোট বিদেশি পর্যটক আগমন দাঁড়িয়েছে ৬১ দশমিক ৮৩ লাখ।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রান্তিক ভিত্তিতে ভারতে বিদেশি পর্যটকের আগমনের তথ্য পেশ করেন। সেই সংখ্যাগুলো হলো জানুয়ারি-মার্চ বা প্রথম প্রান্তিক: ২৬ দশমিক ১৫ লাখ, এপ্রিল-জুন বা দ্বিতীয় প্রান্তিক: ১৬ দশমিক ৪৮ লাখ এবং জুলাই-সেপ্টেম্বর বা তৃতীয় প্রান্তিক: ১৯ দশমিক ২০ লাখ।
শেখাওয়াত সংসদে তাঁর লিখিত জবাবে আরও জানান, বিদেশি পর্যটকের আগমন কমে যাওয়ার মূল কারণ বাংলাদেশ থেকে আসার সংখ্যা নিম্নমুখী হওয়া। এ ছাড়া তিনি আরও কিছু কারণের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ভ্রমণের ধরনে মৌসুমি তারতম্য, চলমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন দেশ-নির্দিষ্ট গতিশীলতা।
শেখাওয়াত বলেন, পর্যটনমন্ত্রী ভারতকে একটি নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও আকর্ষণীয় বৈশ্বিক পর্যটন গন্তব্য হিসেবে প্রচারের জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে।
এদিকে ভ্রমণ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভারতের পর্যটনশিল্পের জন্য আরও একটি কঠিন বছর পার হতে চলেছে।
সূত্র: স্কিফট, ট্যাক্স টিএমআই, মিন্ট

বছরের শেষের দিকে এসে পর্যটন খাতে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে ভারত। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেখা গেছে, ভারতের পর্যটন প্রসার বাজেট সীমাবদ্ধতার মধ্যে পড়েছে। দেশটির এই অবস্থায় লাভবান হচ্ছে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিযোগীরা।
ভ্রমণবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘স্কিফট’ তাদের প্রতিবেদনে সরকারি মালিকানাধীন এক্সিম ব্যাংকের একটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, বৈশ্বিক ভ্রমণ দ্রুতগতিতে পুনরুদ্ধার করা সত্ত্বেও ভারত পর্যটনের সম্পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে।
২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন আন্তর্জাতিক পর্যটক ভ্রমণ করেছে। এ সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। মহামারি-পরবর্তী ভ্রমণ প্রবণতার হার বাড়া, উন্নত বিমান সংযোগ এবং শিথিল ভিসা নীতির কারণে বিশ্বব্যাপী পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে।
‘স্কিফট’ জানিয়েছে, ভারত এই প্রবৃদ্ধির সামান্য অংশ ধরে রাখতে পেরেছে মাত্র।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ট্যাক্স টিএমআই জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে মার্চে ২৬ দশমিক ১৫ লাখ পর্যটকের তুলনায় এপ্রিল থেকে জুনে ভারতে বিদেশি পর্যটকের আগমন (এফটিএ) কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৪৮ লাখে। তবে তৃতীয় প্রান্তিকে কিছুটা বেড়েছে। ১৫ ডিসেম্বর সংসদে একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে ভারতের কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, এ বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে মোট বিদেশি পর্যটক আগমন দাঁড়িয়েছে ৬১ দশমিক ৮৩ লাখ।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রান্তিক ভিত্তিতে ভারতে বিদেশি পর্যটকের আগমনের তথ্য পেশ করেন। সেই সংখ্যাগুলো হলো জানুয়ারি-মার্চ বা প্রথম প্রান্তিক: ২৬ দশমিক ১৫ লাখ, এপ্রিল-জুন বা দ্বিতীয় প্রান্তিক: ১৬ দশমিক ৪৮ লাখ এবং জুলাই-সেপ্টেম্বর বা তৃতীয় প্রান্তিক: ১৯ দশমিক ২০ লাখ।
শেখাওয়াত সংসদে তাঁর লিখিত জবাবে আরও জানান, বিদেশি পর্যটকের আগমন কমে যাওয়ার মূল কারণ বাংলাদেশ থেকে আসার সংখ্যা নিম্নমুখী হওয়া। এ ছাড়া তিনি আরও কিছু কারণের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ভ্রমণের ধরনে মৌসুমি তারতম্য, চলমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন দেশ-নির্দিষ্ট গতিশীলতা।
শেখাওয়াত বলেন, পর্যটনমন্ত্রী ভারতকে একটি নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও আকর্ষণীয় বৈশ্বিক পর্যটন গন্তব্য হিসেবে প্রচারের জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে।
এদিকে ভ্রমণ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভারতের পর্যটনশিল্পের জন্য আরও একটি কঠিন বছর পার হতে চলেছে।
সূত্র: স্কিফট, ট্যাক্স টিএমআই, মিন্ট

প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার ইনিয়াকের কাজ শুরুর আগে, বৈদ্যুতিক নয়, পানি–চালিত কম্পিউটার তৈরি করেছিল রাশিয়া! পানির প্রবাহ ও আয়তনের সামান্য পরিবর্তন হিসাব করে সমাধান করা যেত গাণিতিক সমস্যার।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ঝরনাপাখি। নামে যার সঙ্গে ঝরনা জড়িয়ে, তার সঙ্গে ঝরনার সম্পর্ক যে নিবিড় হবে, সেটা না বললেও চলে। এই অপার্থিব সুন্দর পাখির বাহারি বাংলা নামের তালিকাও বেশ সমৃদ্ধ—নীলাম্বর জলখঞ্জরী, নীল পানগির্দি, ঝরনাপাখি, নীল কপালিগির্দি, নীলচে লালগির্দি ইত্যাদি।
১ ঘণ্টা আগে
আত্মবিশ্বাস একেবারে হিমালয়ের চূড়ায়। পৈতৃক সম্পত্তি পাওয়ার যোগ আছে। বাতের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় নিজেকে স্পাইডারম্যান ভাববেন না। বেশি লাফঝাঁপ করলে কপালে হাড়ের ডাক্তার আছে। সকাল-সন্ধ্যা রিজিক বৃদ্ধির দোয়া করতে থাকুন।
১ ঘণ্টা আগে
কল্পনা করুন, আপনার কাছে এমন একটি জাদুর কার্ড আছে, যা দিয়ে সারা জীবন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ করতে পারবেন! আর সেই ভ্রমণ হবে কোনো খরচ ছাড়াই—যতবার খুশি। শুনতে রূপকথার মতো মনে হলেও আশির দশকে আমেরিকান এয়ারলাইনস ঠিক এমন ধরনের সুযোগ দিয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আত্মবিশ্বাস একেবারে হিমালয়ের চূড়ায়। পৈতৃক সম্পত্তি পাওয়ার যোগ আছে। বাতের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় নিজেকে স্পাইডারম্যান ভাববেন না। বেশি লাফঝাঁপ করলে কপালে হাড়ের ডাক্তার আছে। সকাল-সন্ধ্যা রিজিক বৃদ্ধির দোয়া করতে থাকুন।
বৃষ
শরীর চনমনে থাকবে। জীবনসঙ্গীর দেখা পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। যারা সিঙ্গেল, তারা আজ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বেশি সময় নষ্ট করবেন। রাজনীতিবিদদের জন্য দিনটি ভালো, মানে আজ বেশি মিথ্যা বললেও কেউ ধরবে না! তবে অ্যাকাউন্ট্যান্টরা সাবধান! হিসাবে ভুল করলে বস আপনাকে ‘ডেবিট’ করে দেবে।
মিথুন
বুদ্ধির জোরে শত্রুকে কুপোকাত করবেন। তবে খরচ হবে পাগলের মতো। পকেট থেকে টাকা আজ যেন ডানার সাহায্যে উড়ে যেতে চাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের জন্য কর্মচারীদের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার চান্স আছে। চা খাওয়ার সময় চিনির বদলে কর্মচারীর ওপর ঝাল মেটাবেন না।
কর্কট
চাঁদ আর মঙ্গলের মিলন আপনার রাশিতেই হচ্ছে! আপনি আজ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। পছন্দের জায়গায় ট্রান্সফার বা ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান। কেউ যদি বলে ‘ভাই, তোর ফোনটা একটু দিবি?’ —দেবেন না! ওটা আপনার চরিত্রহননের প্রথম ধাপ হতে পারে।
সিংহ
আত্মীয়রা আজ আপনার পেছনে কাঠি করার চেষ্টা করবে। সন্তানের উন্নতিতে আপনার বুক আজ কয়েক ইঞ্চি উন্নত হবে। কর্মক্ষেত্রে একদম শেষ মুহূর্তে কাজ আটকে যেতে পারে। মানে গোলপোস্ট পর্যন্ত গিয়ে বল বাইরে মেরে আসার মতো অবস্থা। শান্ত থাকুন, স্ত্রী বা স্বামীর সঙ্গে সকালে ঝগড়া করে দিনটি মাটি করবেন না।
কন্যা
পড়াশোনায় সাফল্য আসবে। প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি দারুণ রোমান্টিক। স্ত্রীর কোনো কাজে থমকে যেতে পারেন (হয়তো ভালো রান্না, নয়তো বড় শপিং লিস্ট)।
পেশি বা স্নায়ুর সমস্যায় ভুগতে পারেন। জিমের ট্রেইনারের কথা শুনে বেশি ভারী ওজন তুলতে যাবেন না, কোমর সোজা করতে কালঘাম ছুটে যাবে।
তুলা
বিনিয়োগের জন্য দিনটি দারুণ। দীর্ঘদিনের কোনো ঝুলে থাকা কাজ আজ শেষ হবে। অন্যদের সঙ্গে খুশি ভাগ করুন, কিন্তু ক্রেডিট কার্ডের পাসওয়ার্ড ভাগ করবেন না। আজ কেউ আপনাকে উল্টোপাল্টা বুঝিয়ে টাকা ধার নিতে পারে। মনে রাখবেন, ধার দেওয়া টাকা আর হারানো দাঁত—একই জিনিস!
বৃশ্চিক
উপার্জনের পথ মসৃণ হবে। মানে আজ দু-টাকা বেশি আসার সম্ভাবনা। প্রেমে বিবাদ এমনকি বিচ্ছেদ পর্যন্ত হতে পারে! আপনার খিটখিটে মেজাজ আজ বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই সঙ্গীকে ‘তুমি মোটা হয়ে গেছ’ বা ‘তোমার হাতের রান্না ভালো না’—এই জাতীয় আত্মঘাতী মন্তব্য আজ করবেন না।
ধনু
দিনটি প্রচণ্ড ব্যস্ততায় কাটবে। কাজ শেষ করতে করতে নাভিশ্বাস উঠবে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে। অফিসের বসের চেহারা দেখলে যদি মনে হয় কামড়ে দিই, তবে একটা চকলেট খেয়ে নিন। গুরুজনদের সঙ্গে মনোমালিন্য এড়িয়ে চলুন।
মকর
ইতিবাচক শক্তি আপনার সঙ্গে আছে। গুরুত্বপূর্ণ কোনো মানুষের সঙ্গে দেখা হতে পারে, যিনি আপনার জীবন বদলে দিতে পারেন। সবকিছু দ্রুত করার চক্করে জুতা উল্টো পায়ে পরে ফেলবেন না। পকেটমার থেকে সাবধান থাকুন, আজ আপনার পকেটে অনেকের নজর আছে।
কুম্ভ
শত বাধা সত্ত্বেও আজ সফল হবেনই। বাড়িতে আজ অতিথি সমাগম হতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলার সম্ভাবনা আছে। বাড়ির বড়দের সঙ্গে তর্কে যাবেন না। কারণ, শেষ পর্যন্ত তাদের কথাই ঠিক হয় (নয়তো তাদের হাতে লাঠি থাকে)।
মীন
সঞ্চয় নিয়ে চিন্তা বাড়বে। খরচ নিয়ন্ত্রণ না করলে মাসের শেষে শুধু মুড়ি খেয়ে থাকতে হবে। সঞ্চয় খোয়ানোর ভয় আছে। আজ অনলাইনে ‘ডিসকাউন্ট’ দেখে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। মনে রাখবেন, যেটা আপনার দরকার নেই, সেটা এক টাকায় পেলেও আসলে ওটা লোকসান।

মেষ
আত্মবিশ্বাস একেবারে হিমালয়ের চূড়ায়। পৈতৃক সম্পত্তি পাওয়ার যোগ আছে। বাতের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় নিজেকে স্পাইডারম্যান ভাববেন না। বেশি লাফঝাঁপ করলে কপালে হাড়ের ডাক্তার আছে। সকাল-সন্ধ্যা রিজিক বৃদ্ধির দোয়া করতে থাকুন।
বৃষ
শরীর চনমনে থাকবে। জীবনসঙ্গীর দেখা পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। যারা সিঙ্গেল, তারা আজ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বেশি সময় নষ্ট করবেন। রাজনীতিবিদদের জন্য দিনটি ভালো, মানে আজ বেশি মিথ্যা বললেও কেউ ধরবে না! তবে অ্যাকাউন্ট্যান্টরা সাবধান! হিসাবে ভুল করলে বস আপনাকে ‘ডেবিট’ করে দেবে।
মিথুন
বুদ্ধির জোরে শত্রুকে কুপোকাত করবেন। তবে খরচ হবে পাগলের মতো। পকেট থেকে টাকা আজ যেন ডানার সাহায্যে উড়ে যেতে চাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের জন্য কর্মচারীদের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার চান্স আছে। চা খাওয়ার সময় চিনির বদলে কর্মচারীর ওপর ঝাল মেটাবেন না।
কর্কট
চাঁদ আর মঙ্গলের মিলন আপনার রাশিতেই হচ্ছে! আপনি আজ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। পছন্দের জায়গায় ট্রান্সফার বা ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান। কেউ যদি বলে ‘ভাই, তোর ফোনটা একটু দিবি?’ —দেবেন না! ওটা আপনার চরিত্রহননের প্রথম ধাপ হতে পারে।
সিংহ
আত্মীয়রা আজ আপনার পেছনে কাঠি করার চেষ্টা করবে। সন্তানের উন্নতিতে আপনার বুক আজ কয়েক ইঞ্চি উন্নত হবে। কর্মক্ষেত্রে একদম শেষ মুহূর্তে কাজ আটকে যেতে পারে। মানে গোলপোস্ট পর্যন্ত গিয়ে বল বাইরে মেরে আসার মতো অবস্থা। শান্ত থাকুন, স্ত্রী বা স্বামীর সঙ্গে সকালে ঝগড়া করে দিনটি মাটি করবেন না।
কন্যা
পড়াশোনায় সাফল্য আসবে। প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি দারুণ রোমান্টিক। স্ত্রীর কোনো কাজে থমকে যেতে পারেন (হয়তো ভালো রান্না, নয়তো বড় শপিং লিস্ট)।
পেশি বা স্নায়ুর সমস্যায় ভুগতে পারেন। জিমের ট্রেইনারের কথা শুনে বেশি ভারী ওজন তুলতে যাবেন না, কোমর সোজা করতে কালঘাম ছুটে যাবে।
তুলা
বিনিয়োগের জন্য দিনটি দারুণ। দীর্ঘদিনের কোনো ঝুলে থাকা কাজ আজ শেষ হবে। অন্যদের সঙ্গে খুশি ভাগ করুন, কিন্তু ক্রেডিট কার্ডের পাসওয়ার্ড ভাগ করবেন না। আজ কেউ আপনাকে উল্টোপাল্টা বুঝিয়ে টাকা ধার নিতে পারে। মনে রাখবেন, ধার দেওয়া টাকা আর হারানো দাঁত—একই জিনিস!
বৃশ্চিক
উপার্জনের পথ মসৃণ হবে। মানে আজ দু-টাকা বেশি আসার সম্ভাবনা। প্রেমে বিবাদ এমনকি বিচ্ছেদ পর্যন্ত হতে পারে! আপনার খিটখিটে মেজাজ আজ বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই সঙ্গীকে ‘তুমি মোটা হয়ে গেছ’ বা ‘তোমার হাতের রান্না ভালো না’—এই জাতীয় আত্মঘাতী মন্তব্য আজ করবেন না।
ধনু
দিনটি প্রচণ্ড ব্যস্ততায় কাটবে। কাজ শেষ করতে করতে নাভিশ্বাস উঠবে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে। অফিসের বসের চেহারা দেখলে যদি মনে হয় কামড়ে দিই, তবে একটা চকলেট খেয়ে নিন। গুরুজনদের সঙ্গে মনোমালিন্য এড়িয়ে চলুন।
মকর
ইতিবাচক শক্তি আপনার সঙ্গে আছে। গুরুত্বপূর্ণ কোনো মানুষের সঙ্গে দেখা হতে পারে, যিনি আপনার জীবন বদলে দিতে পারেন। সবকিছু দ্রুত করার চক্করে জুতা উল্টো পায়ে পরে ফেলবেন না। পকেটমার থেকে সাবধান থাকুন, আজ আপনার পকেটে অনেকের নজর আছে।
কুম্ভ
শত বাধা সত্ত্বেও আজ সফল হবেনই। বাড়িতে আজ অতিথি সমাগম হতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলার সম্ভাবনা আছে। বাড়ির বড়দের সঙ্গে তর্কে যাবেন না। কারণ, শেষ পর্যন্ত তাদের কথাই ঠিক হয় (নয়তো তাদের হাতে লাঠি থাকে)।
মীন
সঞ্চয় নিয়ে চিন্তা বাড়বে। খরচ নিয়ন্ত্রণ না করলে মাসের শেষে শুধু মুড়ি খেয়ে থাকতে হবে। সঞ্চয় খোয়ানোর ভয় আছে। আজ অনলাইনে ‘ডিসকাউন্ট’ দেখে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। মনে রাখবেন, যেটা আপনার দরকার নেই, সেটা এক টাকায় পেলেও আসলে ওটা লোকসান।

প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার ইনিয়াকের কাজ শুরুর আগে, বৈদ্যুতিক নয়, পানি–চালিত কম্পিউটার তৈরি করেছিল রাশিয়া! পানির প্রবাহ ও আয়তনের সামান্য পরিবর্তন হিসাব করে সমাধান করা যেত গাণিতিক সমস্যার।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ঝরনাপাখি। নামে যার সঙ্গে ঝরনা জড়িয়ে, তার সঙ্গে ঝরনার সম্পর্ক যে নিবিড় হবে, সেটা না বললেও চলে। এই অপার্থিব সুন্দর পাখির বাহারি বাংলা নামের তালিকাও বেশ সমৃদ্ধ—নীলাম্বর জলখঞ্জরী, নীল পানগির্দি, ঝরনাপাখি, নীল কপালিগির্দি, নীলচে লালগির্দি ইত্যাদি।
১ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষের দিকে এসে পর্যটন খাতে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে ভারত। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেখা গেছে, ভারতের পর্যটন প্রসার বাজেট সীমাবদ্ধতার মধ্যে পড়েছে। দেশটির এই অবস্থায় লাভবান হচ্ছে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিযোগীরা।
১ ঘণ্টা আগে
কল্পনা করুন, আপনার কাছে এমন একটি জাদুর কার্ড আছে, যা দিয়ে সারা জীবন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ করতে পারবেন! আর সেই ভ্রমণ হবে কোনো খরচ ছাড়াই—যতবার খুশি। শুনতে রূপকথার মতো মনে হলেও আশির দশকে আমেরিকান এয়ারলাইনস ঠিক এমন ধরনের সুযোগ দিয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

কল্পনা করুন, আপনার কাছে এমন একটি জাদুর কার্ড আছে, যা দিয়ে সারা জীবন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ করতে পারবেন! আর সেই ভ্রমণ হবে কোনো খরচ ছাড়াই—যতবার খুশি।
শুনতে রূপকথার মতো মনে হলেও আশির দশকে আমেরিকান এয়ারলাইনস ঠিক এমন ধরনের সুযোগ দিয়েছিল। গল্পের শুরু ১৯৮১ সালে। আমেরিকান এয়ারলাইনস তখন গভীর আর্থিক সংকটে। জ্বালানি তেলের আকাশচুম্বী দাম আর তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে টিকে থাকতে তাদের জরুরি ভিত্তিতে বিপুল নগদ অর্থের প্রয়োজন ছিল। দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে তারা এক অভিনব বুদ্ধি বের করল।
চালু করা হলো এয়ার পাস। প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা করল, মাত্র ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার দিলে মিলবে আজীবন আনলিমিটেড ফার্স্ট ক্লাস ভ্রমণের সুবিধা। বর্তমানে বাজারমূল্যে যা প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। প্রতিষ্ঠানটি ভেবেছিল, বড় বড় ব্যবসায়ী হয়তো তাঁদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য এগুলো কিনবেন। কিন্তু তারা যা কল্পনা করতে পারেনি তা হলো, তাদের দেওয়া সেই গোল্ডেন টিকিট অল্প দিনের মধ্যেই তাদের কোটি কোটি ডলারের লোকসানে রূপ নেবে।
গোল্ডেন টিকিটের সুযোগ লুফে নেওয়া ৬৬ জনের মধ্যে একজন ছিলেন শিকাগোর বিনিয়োগ ব্যাংকার স্টিভেন রথস্টাইন। ১৯৮৭ সালে তিনি ২ লাখ ৫০ হাজার ডলারে নিজের জন্য এবং পরে আরও ১ লাখ ৫০ হাজার ডলারে একজন সঙ্গীর জন্য আজীবন পাস কেনেন। রথস্টাইনের স্ত্রী ন্যান্সির ভাষায়, স্টিভেন প্লেনে উঠতেন ঠিক সেভাবেই, যেভাবে সাধারণ মানুষ বাসে ওঠে। তবে পরবর্তী ২০ বছরে তিনি যা করেন, তা অবিশ্বাস্য। তিনি মোট ১০ হাজারের বেশিবার ফ্লাইটে ভ্রমণ করেছেন। তিনি বছরে গড়ে ৪৭৬টি ফ্লাইট অর্থাৎ দিনে অন্তত একটির বেশি ফ্লাইটে ভ্রমণ করেছেন। তাঁর মোট ভ্রমণের দূরত্ব ছিল প্রায় ৩ কোটি মাইল!
স্টিভেন নিউইয়র্কে গেছেন ১ হাজার বার, লন্ডনে ৫০০ বার, এমনকি টোকিও অথবা প্যারিসেও গেছেন শত শত বার। মাঝে মাঝে তিনি শিকাগো থেকে স্রেফ তাঁর প্রিয় রেস্তোরাঁ থেকে একটি স্যান্ডউইচ খাওয়ার জন্য অন্য শহরে পাড়ি দিতেন। আমেরিকান এয়ারলাইনসের জন্য তিনি হয়ে উঠেছিলেন এক চলন্ত লোকসান। একসময় হিসাব করে দেখা গেল, তাঁর এই ভ্রমণ করার পেছনে এয়ারলাইনসটির ক্ষতি হয়েছিল প্রায় ২১ মিলিয়ন ডলার।
তবে স্টিভেন রথস্টাইনের এই অবিরাম ছুটে চলার পেছনে শুধু বিলাসিতা ছিল না; ছিল এক গভীর বিষাদও। ২০০২ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় রথস্টাইনের কিশোর ছেলে জশ মারা যায়। এরপর রথস্টাইন আরও বেশি একা হয়ে পড়েন। রাতের বেলা যখন বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে থাকত, তিনি একাকিত্ব কাটাতে এয়ারলাইনসের বুকিং এজেন্টদের ফোন দিতেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প করতেন তাঁদের সঙ্গে। ফোন রাখার আগে এজেন্টরা যখন জিজ্ঞাসা করতেন, কোনো বুকিং করতে চান কি না। তখন তিনি অবলীলায় বলে দিতেন, ‘আচ্ছা, পরের সপ্তাহে আমাকে সানফ্রান্সিসকোর একটা টিকিট দাও।’ আসলে তাঁর কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না, তিনি কেবল মানুষের কণ্ঠস্বর শুনতে চাইতেন।
রথস্টাইনের এই যাত্রায় ছেদ পড়ে ২০০৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর। সেবার ও’হারে বিমানবন্দরে স্টিভেন যখন তাঁর বন্ধুর সঙ্গে লন্ডন যাওয়ার জন্য গেটে পৌঁছালেন, তখন তাঁকে একটি চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হলো। চিঠিতে বলা ছিল, তাঁর আজীবন পাসের মেয়াদ আজ থেকে শেষ। এয়ারলাইনস অভিযোগ তুলল, রথস্টাইন ‘প্রতারণা’ করেছেন। তারা দাবি করে, রথস্টাইন ভুয়া নামে পাশের সিট বুক করতেন, যাতে কেউ তাঁর পাশে বসতে না পারেন। এ ছাড়া তিনি মাঝেমধ্যে বিমানবন্দরে অপরিচিত মানুষদের তাঁর ‘কম্প্যানিয়ন পাস’ দিয়ে ফার্স্ট ক্লাসে আপগ্রেড করে দিতেন; যাকে এয়ারলাইনস নিয়মবহির্ভূত বলে দাবি করে। এদিকে স্টিভেন পাল্টা মামলা করলেন। তাঁর দাবি ছিল, তিনি কেবল অভাবী মানুষদের সাহায্য করেছেন, কাউকে নিজের পাস ব্যবহার করতে দেননি। বছরের পর বছর ধরে চলা এই আইনি লড়াই ২০১২ সালে একটি গোপন মীমাংসার মাধ্যমে শেষ হয়।
এয়ারলাইনসটি ১৯৯৪ সালে এই স্কিম বন্ধ করে দেয়। ২০০৪ সালে একবার ৩ মিলিয়ন ডলারে এটি পুনরায় বিক্রির চেষ্টা করা হলেও কেউ তা কেনেনি। স্টিভেনের মতো আরেকজন গ্রাহক জ্যাক ভ্রুমও একইভাবে তাঁর পাস হারিয়ে আইনি লড়াইয়ে জড়ান। আজকের যুগে যেখানে প্রতিটি মাইলের হিসাব রাখা হয় এবং কঠোর পরিচয়পত্র ছাড়া বিমানে ওঠা অসম্ভব, সেখানে স্টিভেন রথস্টাইন কিংবা জ্যাক ভ্রুমের এই গল্প এক সোনালি অতীতের সাক্ষী হয়ে আছে।
সূত্র: এরোটাইম, ফোর্বস

কল্পনা করুন, আপনার কাছে এমন একটি জাদুর কার্ড আছে, যা দিয়ে সারা জীবন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে প্রথম শ্রেণিতে ভ্রমণ করতে পারবেন! আর সেই ভ্রমণ হবে কোনো খরচ ছাড়াই—যতবার খুশি।
শুনতে রূপকথার মতো মনে হলেও আশির দশকে আমেরিকান এয়ারলাইনস ঠিক এমন ধরনের সুযোগ দিয়েছিল। গল্পের শুরু ১৯৮১ সালে। আমেরিকান এয়ারলাইনস তখন গভীর আর্থিক সংকটে। জ্বালানি তেলের আকাশচুম্বী দাম আর তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে টিকে থাকতে তাদের জরুরি ভিত্তিতে বিপুল নগদ অর্থের প্রয়োজন ছিল। দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে তারা এক অভিনব বুদ্ধি বের করল।
চালু করা হলো এয়ার পাস। প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা করল, মাত্র ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার দিলে মিলবে আজীবন আনলিমিটেড ফার্স্ট ক্লাস ভ্রমণের সুবিধা। বর্তমানে বাজারমূল্যে যা প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। প্রতিষ্ঠানটি ভেবেছিল, বড় বড় ব্যবসায়ী হয়তো তাঁদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য এগুলো কিনবেন। কিন্তু তারা যা কল্পনা করতে পারেনি তা হলো, তাদের দেওয়া সেই গোল্ডেন টিকিট অল্প দিনের মধ্যেই তাদের কোটি কোটি ডলারের লোকসানে রূপ নেবে।
গোল্ডেন টিকিটের সুযোগ লুফে নেওয়া ৬৬ জনের মধ্যে একজন ছিলেন শিকাগোর বিনিয়োগ ব্যাংকার স্টিভেন রথস্টাইন। ১৯৮৭ সালে তিনি ২ লাখ ৫০ হাজার ডলারে নিজের জন্য এবং পরে আরও ১ লাখ ৫০ হাজার ডলারে একজন সঙ্গীর জন্য আজীবন পাস কেনেন। রথস্টাইনের স্ত্রী ন্যান্সির ভাষায়, স্টিভেন প্লেনে উঠতেন ঠিক সেভাবেই, যেভাবে সাধারণ মানুষ বাসে ওঠে। তবে পরবর্তী ২০ বছরে তিনি যা করেন, তা অবিশ্বাস্য। তিনি মোট ১০ হাজারের বেশিবার ফ্লাইটে ভ্রমণ করেছেন। তিনি বছরে গড়ে ৪৭৬টি ফ্লাইট অর্থাৎ দিনে অন্তত একটির বেশি ফ্লাইটে ভ্রমণ করেছেন। তাঁর মোট ভ্রমণের দূরত্ব ছিল প্রায় ৩ কোটি মাইল!
স্টিভেন নিউইয়র্কে গেছেন ১ হাজার বার, লন্ডনে ৫০০ বার, এমনকি টোকিও অথবা প্যারিসেও গেছেন শত শত বার। মাঝে মাঝে তিনি শিকাগো থেকে স্রেফ তাঁর প্রিয় রেস্তোরাঁ থেকে একটি স্যান্ডউইচ খাওয়ার জন্য অন্য শহরে পাড়ি দিতেন। আমেরিকান এয়ারলাইনসের জন্য তিনি হয়ে উঠেছিলেন এক চলন্ত লোকসান। একসময় হিসাব করে দেখা গেল, তাঁর এই ভ্রমণ করার পেছনে এয়ারলাইনসটির ক্ষতি হয়েছিল প্রায় ২১ মিলিয়ন ডলার।
তবে স্টিভেন রথস্টাইনের এই অবিরাম ছুটে চলার পেছনে শুধু বিলাসিতা ছিল না; ছিল এক গভীর বিষাদও। ২০০২ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় রথস্টাইনের কিশোর ছেলে জশ মারা যায়। এরপর রথস্টাইন আরও বেশি একা হয়ে পড়েন। রাতের বেলা যখন বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে থাকত, তিনি একাকিত্ব কাটাতে এয়ারলাইনসের বুকিং এজেন্টদের ফোন দিতেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প করতেন তাঁদের সঙ্গে। ফোন রাখার আগে এজেন্টরা যখন জিজ্ঞাসা করতেন, কোনো বুকিং করতে চান কি না। তখন তিনি অবলীলায় বলে দিতেন, ‘আচ্ছা, পরের সপ্তাহে আমাকে সানফ্রান্সিসকোর একটা টিকিট দাও।’ আসলে তাঁর কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না, তিনি কেবল মানুষের কণ্ঠস্বর শুনতে চাইতেন।
রথস্টাইনের এই যাত্রায় ছেদ পড়ে ২০০৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর। সেবার ও’হারে বিমানবন্দরে স্টিভেন যখন তাঁর বন্ধুর সঙ্গে লন্ডন যাওয়ার জন্য গেটে পৌঁছালেন, তখন তাঁকে একটি চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হলো। চিঠিতে বলা ছিল, তাঁর আজীবন পাসের মেয়াদ আজ থেকে শেষ। এয়ারলাইনস অভিযোগ তুলল, রথস্টাইন ‘প্রতারণা’ করেছেন। তারা দাবি করে, রথস্টাইন ভুয়া নামে পাশের সিট বুক করতেন, যাতে কেউ তাঁর পাশে বসতে না পারেন। এ ছাড়া তিনি মাঝেমধ্যে বিমানবন্দরে অপরিচিত মানুষদের তাঁর ‘কম্প্যানিয়ন পাস’ দিয়ে ফার্স্ট ক্লাসে আপগ্রেড করে দিতেন; যাকে এয়ারলাইনস নিয়মবহির্ভূত বলে দাবি করে। এদিকে স্টিভেন পাল্টা মামলা করলেন। তাঁর দাবি ছিল, তিনি কেবল অভাবী মানুষদের সাহায্য করেছেন, কাউকে নিজের পাস ব্যবহার করতে দেননি। বছরের পর বছর ধরে চলা এই আইনি লড়াই ২০১২ সালে একটি গোপন মীমাংসার মাধ্যমে শেষ হয়।
এয়ারলাইনসটি ১৯৯৪ সালে এই স্কিম বন্ধ করে দেয়। ২০০৪ সালে একবার ৩ মিলিয়ন ডলারে এটি পুনরায় বিক্রির চেষ্টা করা হলেও কেউ তা কেনেনি। স্টিভেনের মতো আরেকজন গ্রাহক জ্যাক ভ্রুমও একইভাবে তাঁর পাস হারিয়ে আইনি লড়াইয়ে জড়ান। আজকের যুগে যেখানে প্রতিটি মাইলের হিসাব রাখা হয় এবং কঠোর পরিচয়পত্র ছাড়া বিমানে ওঠা অসম্ভব, সেখানে স্টিভেন রথস্টাইন কিংবা জ্যাক ভ্রুমের এই গল্প এক সোনালি অতীতের সাক্ষী হয়ে আছে।
সূত্র: এরোটাইম, ফোর্বস

প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার ইনিয়াকের কাজ শুরুর আগে, বৈদ্যুতিক নয়, পানি–চালিত কম্পিউটার তৈরি করেছিল রাশিয়া! পানির প্রবাহ ও আয়তনের সামান্য পরিবর্তন হিসাব করে সমাধান করা যেত গাণিতিক সমস্যার।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ঝরনাপাখি। নামে যার সঙ্গে ঝরনা জড়িয়ে, তার সঙ্গে ঝরনার সম্পর্ক যে নিবিড় হবে, সেটা না বললেও চলে। এই অপার্থিব সুন্দর পাখির বাহারি বাংলা নামের তালিকাও বেশ সমৃদ্ধ—নীলাম্বর জলখঞ্জরী, নীল পানগির্দি, ঝরনাপাখি, নীল কপালিগির্দি, নীলচে লালগির্দি ইত্যাদি।
১ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষের দিকে এসে পর্যটন খাতে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে ভারত। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেখা গেছে, ভারতের পর্যটন প্রসার বাজেট সীমাবদ্ধতার মধ্যে পড়েছে। দেশটির এই অবস্থায় লাভবান হচ্ছে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিযোগীরা।
১ ঘণ্টা আগে
আত্মবিশ্বাস একেবারে হিমালয়ের চূড়ায়। পৈতৃক সম্পত্তি পাওয়ার যোগ আছে। বাতের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় নিজেকে স্পাইডারম্যান ভাববেন না। বেশি লাফঝাঁপ করলে কপালে হাড়ের ডাক্তার আছে। সকাল-সন্ধ্যা রিজিক বৃদ্ধির দোয়া করতে থাকুন।
১ ঘণ্টা আগে