Ajker Patrika

আমরা শতভাগ স্বনির্ভরতা চাই

মো. আশিকুর রহমান
আপডেট : ১১ জুন ২০২৩, ১১: ৫১
আমরা শতভাগ স্বনির্ভরতা চাই

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম গত বছরের ২০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি ঢাকা বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানি (ডেসকো) লিমিটেডের স্বতন্ত্র পরিচালক, বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের সভাপতি, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশের (আইইবি) কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র, এমআরপি, ইভিএমসহ দেশের আইসিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. আশিকুর রহমান

উপাচার্য হিসেবে যোগদানের ছয় মাস সম্পন্ন করেছেন। নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?
আগামী চার বছরের মধ্যে বিডিইউকে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে চাই। আমি সত্যিকার একটা ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বানিয়ে চলে আসতে চাই। আমি আমার ধ্যান-জ্ঞান দিয়ে চেষ্টা করছি। বিডিইউর শিক্ষার্থীরা তাঁদের স্নাতক শেষ করার পর যেন গর্ব করে বলতে পারেন, আমি বিডিইউর গ্র্যাজুয়েট। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। সে জন্য সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

সহযোগিতা কেমন পাচ্ছেন?
আমি ঠিক যেভাবে করতে চাচ্ছিলাম, সেভাবে করতে পারছি না, এটা বললে ভুল হবে। যেগুলো আমার হাতে ছিল, সেগুলো আমি সময়মতো করেছি। তবে একটা নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জমি অধিগ্রহণ, সরকারি অনুমোদনের কিছু বিষয় তো থাকেই। যেমন নতুন তিনটি বিভাগ এই শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু করতে চাইলেও সেটা আগামী শিক্ষাবর্ষে চালু করতে হচ্ছে। সেই তিনটি বিভাগ হচ্ছে—আমি যে কারিকুলামে করতে চেয়েছি, সেই কারিকুলামেই হচ্ছে। দশটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ নিয়ে কারিকুলাম প্রণয়ন কমিটি করেছি। কিছুটা হয়তো বিলম্ব হচ্ছে। 

আপনার নতুন পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাই
একজন শিক্ষার্থী হিসেবে নেতৃত্বের গুণাবলি, যোগাযোগ দক্ষতা, সমন্বয় সাধন দক্ষতা, স্মার্টলি কাজ করার দক্ষতা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির দক্ষতাসহ আরও অনেক দক্ষতার প্রয়োজন হয়। এসব দক্ষতা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে আমি আসার পর নতুন আটটি ক্লাব নতুনভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। তারা ডিভাইস ডেভেলপ করছে, স্পোর্টস উইক আয়োজনসহ বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে দারুণ কাজ করছে। আমাদের অফিসের কোনো সিস্টেম ছিল না, আমি একটা সমন্বিত নিয়ম করেছি। এখন সবাই জানে তার কাজ কী এবং তাঁরা নিজের কাজ নিজের মতো করছেন। আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য ওপেন বা ক্লোজ ক্রেডিট কোনো কিছু না করে খিচুড়ির মতো একটা বিধি ছিল, সেটার অনুমোদন ছিল না। আমার পূর্ণাঙ্গ বিধি প্রণয়ন করেছি এবং সিন্ডিকেট অনুমোদন করেছি। অর্গানোগ্রাম সিন্ডিকেটে পাস করেছি। দুটোই ইউজিসিতে সাবমিট করা হবে এখন। আমাদের ডেভেলপড সফটওয়্যারের মাধ্যমে কোনো শিক্ষক ক্লাসে দেরিতে গেলে বা নির্দিষ্ট সময়ের আগে ক্লাস শেষ করলে সফটওয়্যার এসএমএস করে আমাকে জানিয়ে দেবে। কোন শিক্ষক কী পড়ালেন, ভিডিও এবং ক্লাস ম্যাটেরিয়ালস সবটা অনলাইনে থেকে যাবে। সব ক্লাস টেস্ট অনলাইনে নিতে হবে, কাগজে কোনো ক্লাস টেস্ট নেওয়া যাবে না। কোনো অ্যাসাইনমেন্ট কাগজে নেওয়া যাবে না। এতে শিক্ষকেরা নিজেদের ও শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে গড়ে তুলতে পারবেন। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, জুলাই মাস থেকে পুরোদমে নির্ভুলভাবে কাজ শুরু করতে পারব। ২০৪১ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছি। 

একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানের বিষয়ে যদি সবিস্তারে বলতেন
একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানের মূল বিষয় হচ্ছে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি। আমরা ২০৪১ সালের স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। ২০৪১ সালে মূলত প্রধানমন্ত্রীর তিনটি টার্গেট। প্রথমত, বাংলাদেশ স্মার্ট হবে, বাংলাদেশের জনগণকে স্মার্ট হতে হবে। একটা দেশ তো কখনো স্মার্ট হয় না; দেশের জনগণ স্মার্ট হয়, সিস্টেম স্মার্ট, সোসাইটি স্মার্ট হয়। সিস্টেম, সোসাইটি, গভর্নমেন্ট যা-ই স্মার্ট হোক না কেন, জনগণকে আগে স্মার্ট হতে হবে। সেই জনগণকে আমাদের তৈরি করতে হবে। যে জনগণ চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বুঝবে, যে জনগণ ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি বুঝবে, যে জনগণ বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। দ্বিতীয়ত, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ধনী দেশ হবে। তৃতীয়ত, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ টেকনোলজিকে নেতৃত্ব দেবে। আমাদের টার্গেট হচ্ছে, এই দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য। আমি যদি স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করি, তাহলে আমার সোসাইটি স্মার্ট হবে, ইকোনমি স্মার্ট হবে, গভর্নমেন্ট স্মার্ট হবে। যখন এগুলো স্মার্ট হবে, দেশ স্বাভাবিকভাবেই ধনী দেশ হয়ে যাবে। আর যখন জনগণ স্মার্ট হবে, দেশ ধনী হবে, তখন স্বাভাবিকভাবেই দেশ প্রযুক্তিতে বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে। স্মার্ট জনগণ তৈরির জন্য এবং সমস্ত টেকনোলজি বাংলাদেশে আনার জন্য আমাকে কীভাবে জনবল তৈরি করতে হবে, তার ওপর ভিত্তি করে আমরা পাঁচটি ফ্যাকাল্টির চিন্তা করছি। এগুলো হলো ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, সিকিউরিটি অ্যান্ড কমিউনিকেশন, সফটওয়্যার অ্যান্ড মেশিন লার্নিং, সাইবার ফিজিক্যাল সিস্টেম, লাইফ সায়েন্স। 

এই সিদ্ধান্তগুলো কি আপনার মস্তিষ্কপ্রসূত?
এর আগে যেহেতু মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, এনআইডি এবং ইভিএম তৈরি করাসহ অনেকগুলো ন্যাশনাল পলিসির সঙ্গে জড়িত ছিলাম, আমার কাছে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ একটা পার্ট হয়ে গেছে। আমাদের এই ৫ ফ্যাকাল্টির অধীনে ১৭টি ডিপার্টমেন্ট থাকবে। এসব ডিপার্টমেন্ট করতে পারলে আমাদের বিদেশের ওপর নির্ভরতা কমবে। সব টেকনোলজি আমাদের এখানে তৈরি হবে। আমরা বিদেশে থেকে কোনো মেশিন কিনব না, বিদেশ থেকে কোনো ম্যানপাওয়ার হায়ার করব না, বিদেশ থেকে কোনো সফটওয়্যার কিনব না। এখানে মেশিন, ম্যানপাওয়ার ও সফটওয়্যার তৈরি করা হবে। আমরা আমাদের মেশিন ও সফটওয়্যার বিদেশে বিক্রি করব। আমাদের ম্যানপাওয়ার বিদেশে যাবে। আমরা এভাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব ইনশা আল্লাহ। আমাদের এই ১৭টি বিভাগের মধ্যে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ফ্যাকাল্টির অধীনে আগে আইসিটি অ্যান্ড এডুকেশন বিভাগ ছিল। ইন্টারন্যাশনাল ডোমেইনের সঙ্গে কোপআপ করতে না পারায় এটাকে পরিবর্তন করে এডুকেশনাল টেকনোলজি বানিয়েছি এবং ইন্টারন্যাশনাল এক্সপার্ট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সপার্ট ও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সপার্টদের সমন্বয়ে পুরো কারিকুলাম পরিবর্তন করেছি। এভাবে আমরা মোট পাঁচটি বিভাগের কারিকুলাম চেঞ্জ করেছি।

আজকের পত্রিকা: বলা হয়ে থাকে, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা যুগোপযোগী নয়। এ ক্ষেত্রে আপনার ভাবনা শুনতে চাই?
ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম: আমাদের বর্তমান যে শিক্ষাব্যবস্থা সেটা পৃথিবীতে টিকবে না। একটা ছেলে বা মেয়ে মোবাইল ব্যবহার করে ইউটিউবে ঢুকলেই আনলিমিটেড ভিডিও পেয়ে যাচ্ছে, তথ্যনির্ভর ও সময়োপযোগী ক্লাস লেকচার পাচ্ছে, সেই শিক্ষার্থী যখন আমাদের দেশের ক্লাসগুলোতে ঢুকছে, তাকে আমরা হোয়াইট বোর্ডে মার্কার দিয়ে লিখে দিচ্ছি আর সে মনোযোগ দিয়ে শুনবে, এই কল্পনা করাটা আসলে যুক্তিসংগত নয়। আমাদের অনেকেই বলে, আজকালকার ছেলেমেয়েরা মনোযোগী নয়, তারা পড়াশোনা করতে চায় না, তারা মোবাইলে-ল্যাপটপে বেশি সময় দেয়। আমি বলব, এই ডিফিকাল্টিজ আমরা যারা এডুকেশনিস্ট আছি তাদের। আমরা যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তন করতে পারিনি। একটা আনইন্টারেস্টেড এডুকেশন সিস্টেম, সিজিপিএ ও সার্টিফিকেটনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা তাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছি। এই শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে দেশকে উন্নত করা সম্ভব নয়, স্মার্ট বাংলাদেশ বানানো সম্ভব নয়। তাহলে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত? এটা নিয়ে কাজ করবে এডুকেশনাল টেকনোলজি ডিপার্টমেন্ট।

আজকের পত্রিকা: বাকি বিভাগগুলো সম্পর্কেও জানতে চাই?
ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম: আমরা ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ফ্যাকাল্টির অধীনে বিজনেস ইন্টেলিজেন্স নামে আরেকটা ডিপার্টমেন্ট খুলব। আপনারা লক্ষ করে দেখবেন যে ১০ বছর আগে বিবিএ, এমবিএর যে চাহিদা ছিল, আজ তা অনেকটাই কমে গেছে। কিন্তু কেন কমে গেছে, সেটার কারণ অনুসন্ধান তো করা উচিত। এমন তো নয় যে পৃথিবী থেকে বিজনেস কমে গেছে। মূল বিষয়টা হচ্ছে, এখন বিজনেস হচ্ছে প্রযুক্তিনির্ভর। সে কারণে কম্পিউটার টেকনোলজি ও বিজনেস দুটোই দরকার। দুটোকেই সমন্বয় করতে হবে। দেখা যাচ্ছে, যারা প্রযুক্তি বোঝে, তারা বিজনেস বুঝছে না, আবার যারা বিজনেস বোঝে, তারা টেকনোলজি বুঝছে না। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির দরকার এমন এক ব্যক্তি যে প্রযুক্তি ও ব্যবসা দুটোই বোঝে। এ জন্য আমরা বিজনেস ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট নামে একটা সাবজেক্ট খুলছি।
একচোরিয়াল সায়েন্স নামে আরও একটি বিভাগ আমরা খুলব। এখন যে ফাইন্যান্স শেখানো হয়, তা এই প্রযুক্তির যুগে অচল। একচোরিয়াল সায়েন্স প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি, ইনস্যুরেন্সসহ বিভিন্ন বিষয় পড়াবে। সিকিউরিটি অ্যান্ড কমিউনিকেশন ফ্যাকাল্টির অধীনে সাইবার সিকিউরিটি বিভাগ চালু করব। এটা হাইডিমান্ডিং সাবজেক্ট। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ১০ হাজারের বেশি এই ডিপার্টমেন্টের গ্র্যাজুয়েট প্রয়োজন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশে এই সাবজেক্টই নেই। আমরা খুলছি এই সাবজেক্ট।

সফটওয়্যার অ্যান্ড মেশিন ফ্যাকাল্টির অধীনে ইতিমধ্যে দুটো বিভাগের অনুমোদন পেয়েছি। এর মধ্যে একটা হচ্ছে, ডেটা সায়েন্স। বর্তমানে পুরো পৃথিবীই ডেটার ওপর নির্ভরশীল। ডেটা অ্যানালাইসিস ছাড়া এখন বাণিজ্য সম্ভব নয়। সত্যি বলতে কি, ডেটা অ্যানালাইসিস ছাড়া এখনকার পৃথিবীতে কোনো কিছুই সম্ভব নয়। নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগ খুলছি। বর্তমানে বাংলাদেশে ২০ হাজারের বেশি চাকরির সুযোগ করছে এ ক্ষেত্রে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো গ্র্যাজুয়েট নেই, আমরা গ্র্যাজুয়েট তৈরি করব। ক্লাউড কম্পিউটিং, এখন বিজনেস প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাউড কম্পিউটিং ছাড়া কাজ করতে পারে না। এই সেক্টরেও এখন প্রচুর চাকরির চাহিদা রয়েছে। আমরা নিজেরা গেম ডেভেলপ করব। বিদেশের গেম আমরা খেলব না, নিজেদের গেম খেলব। এখন মাইক্রোচিপ সব বিদেশে থেকে আনতে হয়। আমরা চাই না বিদেশের মাইক্রোচিপ এ দেশে ব্যবহার হোক। আমরা আমাদের নিজেদের মানসম্মত মাইক্রোচিপ তৈরি করতে চাই। বিদেশ থেকে কিছু আনব না। আমরা শতভাগ স্বনির্ভরতা চাই। এমন ১৭টি বিভাগ আমরা চিন্তা করছি। এই ১৭টি বিভাগ যদি খুলতে পারি, তাহলে বাংলাদেশকে কোনো দেশের কাছে প্রযুক্তির জন্য যেতে হবে না।

আজকের পত্রিকা: বিডিইউ স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম গ্রহণে কি বিশেষ নজর দিয়েছে?
ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম: স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম ইতিমধ্যে আমরা শুরু করে দিয়েছি। আমাদের টিউটাবেসড এডুকেশন সিস্টেম। আগে যে তিন ঘণ্টা  ক্লাস হতো, এখন সেটা দুই ঘণ্টা করে দুটো ক্লাস হয়, পরে টিউটোরিয়াল ক্লাস। ওই টিউটোরিয়াল ক্লাসে শিক্ষার্থীরা লেকচার ক্লাসে যা শিখল তার রিয়াল লাইফে অ্যাপ্লাই করতে পারল কি না বা বাস্তবজীবনে কীভাবে কাজে লাগাবে, নতুন কী কী উদ্ভাবন করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করবে। প্রতিটি ক্লাস শেষে এমন দুই ঘণ্টা করে আলোচনা হবে। আর প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসে হাতেকলমে শিক্ষা তো রয়েছেই। আমাদের লেকচার ক্লাসগুলোতে অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইউএসএসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকেরা ক্লাস নিতে সম্মত হয়েছেন। তাঁরা অনলাইনে ক্লাস নেবেন। টিউটোরিয়াল ও ল্যাব ক্লাসগুলো বিভাগের শিক্ষকেরা নেবেন।

আজকের পত্রিকা: শিক্ষার্থীদের সফট স্কিল বিকাশে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?
ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম: আমাদের শিক্ষার্থীরা সফট স্কিলে পিছিয়ে রয়েছে। নিজেদের মার্কেটিং, নিজেদের প্রেজেন্টেশনে ঘাটতি রয়েছে। আমরা সফট স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য ওয়াদানি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে চুক্তি করেছি। তাদের ৯০টি প্রেজেন্টেশন মডিউল আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক করেছি। শিক্ষার্থীরা প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে এই মডিউলগুলো শেষ করবে। সময় ব্যবস্থাপনা কিংবা নতুন কিছু উদ্ভাবন কীভাবে করা যায়, কীভাবে সিভি লিখতে হবে, চাকরির সাক্ষাৎকারে বোর্ডের মুখোমুখি হতে হবে কীভাবে, সব এখানে শেখানো হচ্ছে। আমরা থার্ড ইয়ারে ক্যাপসট্রম প্রজেক্ট নিচ্ছি। যে শিক্ষার্থী রোবটিকসে পড়ে, সে হয়তো ভাবছে, আমি এমন একটা রোবট বানাতে পারি যে খাবার পরিবেশন করে। তার মাথায় একটা আইডিয়া এল, সেই কনসেপ্টকে সে ডেভেলপ করবে। সেটা ইমপ্লিমেন্ট করে অ্যাপ্লাই করে দেখাবে। এক বছরে সে একই কাজ করবে। এখানে আমরা ক্লাসটেস্ট ওরিয়েন্টেড নই, সব সময় অ্যাসেসমেন্ট হবে। রিয়াল লাইফ অ্যাপ্লিকেশনের দিকে আমরা ফোকাস করছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র মাহফুজ আলম, এনসিপির পক্ষে মনোনয়নপত্র নিলেন বড় ভাই মাহবুব

আত্মসমর্পণ করে দুই মামলায় জামিন পেলেন এনসিপির আখতার

এনসিপির নির্বাচনকালীন কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিয়ের ঘরোয়া আয়োজনে ভোজন পর্বে যা রাখতে পারেন

বীভাবরী রায়
ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা
ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

খোঁজ নিলে জানা যাবে, আমাদের মা-খালাদের অনেকের বিয়ে বাড়িতেই সম্পন্ন হয়েছে। শুধু কি তাই? বিয়ের খাবারদাবারও রান্না করতেন বাড়ির লোকজনই। কমিউনিটি সেন্টার হয়তো তখন ছিল হাতে গোনা। বাড়িতে বাবুর্চি ডেকে বিয়ের ভোজের আয়োজনও যেন ছিল বাহুল্য। পুরোনো সেই দিনগুলো যেন আবার ফিরিয়ে দিয়েছে করোনাকাল। মনে করে দেখুন, লকডাউনের দিনগুলোয় বিয়ে কিন্তু বাড়িতেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিকটাত্মীয় ও বর-কনের পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে সেই বিয়ের ভোজের আয়োজনও ছিল বাড়িতে। আর বিয়ের খাবার রান্নার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন মা-খালা-বোনেরাই।

বিরিয়ানি বা পোলাওয়ের সঙ্গে গরু কিংবা খাসির রেজালা, মুরগির রোস্ট রাঁধতে কীই-বা লাগে। সঙ্গে থাকত সালাদ, চায়নিজ সবজি বা এক পদের বড় মাছ ভাজা। শেষ পাতে দই, মিষ্টি, জর্দা—ব্যস। ঘরোয়া বিয়ের আয়োজনে এর চেয়ে বেশি আর কীই-বা লাগে? তবে ঘরোয়া বিয়ে এবং ঘরে বিয়ের খাবারের আয়োজনকে এখনকার তরুণ বর-কনেও কিন্তু খুব ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। কমিউনিটি সেন্টারে ঘটা করে বিয়ের আয়োজনের ঘনঘটার মাঝেও এখন অনেকে বাড়িতে ছোট পরিসরে বিয়ের ছিমছাম আয়োজনের পক্ষপাতী। এতে ঝামেলাও কমে, খরচও বাঁচে। তাঁরা বরং বিয়ের খাবারকে কাস্টমাইজ করে আরও সংক্ষিপ্ত করার পক্ষে। যাঁরা এই মৌসুমে ঘরেই বিয়ে ও বউভাতের খাওয়াদাওয়ার আয়োজনের কথা ভাবছেন, তাঁরা দেখুন তো এই কয়েকটি পদ রাঁধবেন কি না! ঘরোয়া বিয়ের আয়োজনে পোলাও বা বিরিয়ানির সঙ্গে পরিবেশনের মতো কয়েকটি বিশেষ পদের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

ঝাল মিষ্টির ভিন্ন স্বাদের খাসির মাংস

উপকরণ

খাসির মাংস ১ কেজি, টক দই ১ কাপ, আদা ও রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ, শাহি জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, কাজুবাদামবাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-০১২টা, টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ এবং ঘি ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি

খাসির মাংস, টক দই সব মসলা দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রাখুন দুই থেকে তিন ঘণ্টা। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি হালকা বাদামি করে ভেজে মাখানো মাংস দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে ঢাকনা খুলে অল্প আঁচে রান্না করুন ১০-১৫ মিনিট। এবার কষানো হলে যদি মাংস সেদ্ধ না হয়, তাহলে সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করুন মাংস সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে কাঁচা মরিচ, টমেটো সস দিয়ে দমে রাখুন ১০ মিনিট। তৈরি হয়ে গেল ঝাল মিষ্টি ভিন্ন স্বাদের খাসির মাংস।

ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা
ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

শাহি জালি কাবাব

উপকরণ

গরুর মাংসের সেদ্ধ কিমা ২ কাপ, আলু সেদ্ধ এক কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, ধনে ও জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, কাশ্মীরি মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, মিঠা আতর দু-তিন ফোঁটা, কাবাব মসলা ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতার কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচের কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, ঘি ২ টেবিল চামচ, ডিম ৩টি, লেবুর রস ১ চা-চামচ।

প্রণালি

সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে গোল করে কাবাব তৈরি করে তেল ব্রাশ করে ৩০ মিনিট রেখে দিন। পরে দুটি ডিম ফেটিয়ে ১ টেবিল চামচ পানি দিয়ে আবারও ফেটিয়ে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে কাবাবগুলো ডিমে ডুবিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে শাহি জালি কাবাব।

ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা
ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

বোরহানি

উপকরণ

টক দই ১ কেজি, ধনে ভাজাগুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরা ভাজাগুঁড়া ১ চা-চামচ, পোস্তদানা ভাজাগুঁড়া ১ চা-চামচ, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, বিট লবণ আধা চা-চামচ, পুদিনাপাতাবাটা ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচের বাটা ১ টেবিল চামচ, চিনি ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, লবণ স্বাদমতো, পানি ২ কাপ, বরফকুচি ১ কাপ।

প্রণালি

সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর পাতলা কাপড় দিয়ে চেলে নিন। এবার বরফকুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র মাহফুজ আলম, এনসিপির পক্ষে মনোনয়নপত্র নিলেন বড় ভাই মাহবুব

আত্মসমর্পণ করে দুই মামলায় জামিন পেলেন এনসিপির আখতার

এনসিপির নির্বাচনকালীন কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যেমন হবে বাইকারদের শীতপোশাক

ফিচার ডেস্ক
যেমন হবে বাইকারদের শীতপোশাক

চলছে ডিসেম্বর, বাংলায় পৌষ মাস। যাঁরা প্রতিদিন বাইক চালিয়ে অফিসে যাওয়া-আসা করেন অথবা বাইরে বের হলে ব্যক্তিগত বাইকে চড়ে যান, তাঁদের ক্ষেত্রে এই মৌসুমে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন। শীতের ঠান্ডা হাওয়া থেকে রক্ষা পেতে বাইকারদের জন্য বিশেষ পোশাক খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাইকারদের আলমারিতে যে ঠান্ডা প্রতিরোধক পরিধেয় রাখা জরুরি সেগুলো হলো:

ভারী জ্যাকেট বা সোয়েটার

শীতকালে বাইকারদের পলিয়েস্টার বা রেয়নের কাপড় পরিধান করা ভালো। সিনথেটিক পোশাক শীতের রাতে ভালো কাজ করে। মোটরসাইকেলচালক ও আরোহীরা ভারী সোয়েটার অথবা জ্যাকেটজাতীয় পোশাক ব্যবহার করুন শীত থেকে রক্ষা পেতে। বাইকচালকদের জন্য চামড়ার জ্যাকেট খুব ভালো পছন্দ হতে পারে। এটি শরীরের তাপ ধরে রাখতে পারে খুব ভালোভাবে।

চেস্ট প্রটেক্টর

বাইক চালানোর সময় শরীরের সামনের দিকে বাতাস লাগে। অনেক সময় জ্যাকেট কিংবা সোয়েটার সেই বাতাস ঠেকাতে পারে না। বুকে লাগা বাতাস ঠেকানোর জন্য পাওয়া যায় চেস্ট প্রটেক্টর। চেস্ট প্রটেক্টর কেনার সময় রেক্সিন বা লেদারের তৈরি চেস্ট প্রটেক্টরই বেছে নিন।

এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট

শীতের বাতাস থেকে বাঁচতে ভালো মানের একটি এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট সংগ্রহ করে নিন। ভালো মানের রেইনকোট ভালো মানের এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট হিসেবে কাজ করতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেটও পাওয়া যায় বাজারে। এগুলো অনেকটা রেইনকোটের মতো দেখতে।

গ্লাভস শীতে হাতে অবশ্যই গ্লাভস

পরে নেবেন। গ্লাভস শীতকালে হাত ঠান্ডা হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং তাপ ধরে রাখে। সাধারণত হাতের তাপ সহজে কমে না। কিন্তু একবার কমতে থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে হাতের তাপ ধরে রাখার জন্য গ্লাভসের কোনো বিকল্প নেই। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গ্লাভস পাওয়া যায়। হাতের মাপমতো পছন্দের গ্লাভসটি কিনে পরে ফেলুন।

জুতা ও মোজা

শুধু জুতা বা স্যান্ডেল পরলে শরীরের তাপ ধরে রাখা যায় না; বরং শরীর দ্রুত তাপ হারায়। কিন্তু মোজা পরলে শরীরের এই তাপ কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। সুতি বা সিনথেটিক যেকোনো আরামদায়ক মোজা ব্যবহার করতে পারেন। শীতের দিনে বাইক চালানোর সময় স্যান্ডেল ব্যবহার না করে জুতা ব্যবহার করা ভালো।

সূত্র: রাইড অ্যাডভেঞ্চারস ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র মাহফুজ আলম, এনসিপির পক্ষে মনোনয়নপত্র নিলেন বড় ভাই মাহবুব

আত্মসমর্পণ করে দুই মামলায় জামিন পেলেন এনসিপির আখতার

এনসিপির নির্বাচনকালীন কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মধুতে বিষ! শত শত বছর ধরে খেয়ে চলেছে মানুষ এই বিশেষ মধু

রজত কান্তি রায়, ঢাকা  
পৃথিবীর খুব অল্প জায়গায় দেলি বাল কিংবা ম্যাড হানি নামের মধু উৎপাদন হয়। ছবি: সিএনএন
পৃথিবীর খুব অল্প জায়গায় দেলি বাল কিংবা ম্যাড হানি নামের মধু উৎপাদন হয়। ছবি: সিএনএন

শীতকাল এলে সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে গলির মোড়, প্রায় সবখানে মধুর বিজ্ঞাপন চলতে থাকে। কত রকমের যে মধু হতে পারে, তা না দেখলে বোঝা কঠিন। প্রায় সব মধু বিক্রেতার মধুই শতভাগ ‘পিওর’। কারও কারও মধু তো সুন্দরবনের একমাত্র খাঁটি মধু! কারও মধু আবার সরিষা ফুল থেকে তৈরি! যা হোক, শীত মানে বঙ্গদেশে মধুর বাজারে চলে ভীষণ উত্তেজনা। আর দাম? সে তো আপনারা নিজেরাই জানেন।

আমাদের সবার কাছে প্রায় একই রকম তথ্য আছে, মধু হলো উত্তম মিষ্টিজাতীয় খাবার। তার ওপর আর মিষ্টি নেই! সেসব হয়তো ঠিক আছে। কিন্তু তথ্য যদি বলে, মধুতেও বিষ থাকে! প্রথমে অবিশ্বাস্য, তারপর খতিয়ে দেখার চেষ্টা করবেন অনেকেই। হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন। মধুতেও থাকে বিষ। কিংবা মধুও হয় বিষাক্ত। কিন্তু সেটাও খাওয়া হয়। শত শত বছর ধরেই খাওয়া হয়।

যেসব পাহাড়ি জায়গায় রডোডেনড্রন ফুলের প্রাচুর্য আছে, সেসব জায়গায় ম্যাড হানি উৎপন্ন হয়। ছবি: উইকিপিডিয়া
যেসব পাহাড়ি জায়গায় রডোডেনড্রন ফুলের প্রাচুর্য আছে, সেসব জায়গায় ম্যাড হানি উৎপন্ন হয়। ছবি: উইকিপিডিয়া

একটা ছোটগল্প শোনাই। সে বহুকাল আগে, খ্রিষ্টপূর্ব ৪০১ সালের ঘটনা। গ্রিক সেনারা তুরস্কের ট্রাবজোন অঞ্চলে অভিযান চালাল; কিন্তু সেটা ঘটনা নয়। পৃথিবীর ইতিহাসে সে রকম অভিযানের বহু গল্প আছে। এই অভিযান বিখ্যাত হয়ে আছে, সে অঞ্চলের এক বিশেষ মধুর কারণে। গ্রিক সেনারা ট্রাবজোন অঞ্চলে পাওয়া বিশেষ এক মধু খেয়ে বমি করতে শুরু করল। সেনাদের কেউ কেউ এতটাই মাতাল হয়ে পড়ল যে, তাদের মস্তিষ্কে ‘বিভ্রান্তি’ দেখা দিল। কেউ কেউ মৃত মানুষের মতো পড়ে রইল এবং তারপর যা হওয়ার তা-ই হলো, গ্রিকরা পরাজিত হলো। এ ঘটনার কথা লিখেছিলেন ঐতিহাসিক জেনোফন। সেটাই ছিল এ মধুর বিষক্রিয়ার প্রথম লিখিত বিবরণ।

সেই মধুর নাম ইংরেজিতে ‘ম্যাড হানি’ আর তুরস্কের আঞ্চলিক ভাষায় ‘দেলি বাল’। দেলি অর্থ পাগল, আর বাল অর্থ মধু। দুইয়ে মিলে ইংরেজিতে ম্যাড হানি আর বাংলায় পাগলা মধু।

সীমিত উৎপাদন

সেই মধুর নাম ইংরেজিতে ‘ম্যাড হানি’ আর তুরস্কের আঞ্চলিক ভাষায় ‘দেলি বাল’। দেলি অর্থ পাগল, আর বাল অর্থ মধু। দুইয়ে মিলে ইংরেজিতে ম্যাড হানি আর বাংলায় পাগলা মধু। পৃথিবীর খুব অল্প জায়গায় এই দেলি বাল কিংবা ম্যাড হানি নামের মধু উৎপাদন হয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তুরস্কের কৃষ্ণসাগর অঞ্চল আর নেপালের পূর্ব হিমালয় অঞ্চলের কিছু জায়গায় এই মধু উৎপন্ন হয়। সম্প্রতি সিএনএনের সাংবাদিক মৌরিন ও’হেয়ার এ বিষয়ে একটি লেখা লিখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পৃথিবীর দুটি জায়গায় এই ‘বিরল মধু’ পাওয়া যায়। আবার কিছু সূত্র বলে, এই দুটি জায়গার সঙ্গে জর্জিয়া ও আজারবাইজানের ককেশীয় দেশগুলোতেও সীমিত পরিমাণে এই মধু উৎপন্ন হয়। মূলত যেসব পাহাড়ি জায়গায় রডোডেনড্রন ফুলের প্রাচুর্য আছে, সেসব জায়গায় ম্যাড হানি উৎপন্ন হয়। স্থানীয় পার্বত্য মৌমাছিরা রডোডেনড্রন ফুলের রস সংগ্রহ করে এই বিশেষ মধু তৈরি করে।

বিষাক্ত কেন

রডোডেনড্রন ফুলের পরাগ রেণু ও নেকটারে থাকে গ্রায়ানটক্সিন নামক এক ধরনের নিউরোটক্সিন। এটি মধুতে সঞ্চিত হয়। এই টক্সিনই ম্যাড হানির রহস্যময় ও বিপজ্জনক সব বৈশিষ্ট্য তৈরি করে।

তুরস্কের একটি মৌমাছি পালন ঘর। ছবি: সিএনএন
তুরস্কের একটি মৌমাছি পালন ঘর। ছবি: সিএনএন

এ মধুর স্বাদ কেমন

চেখে যেহেতু দেখা হয়নি, তাই নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। তবে মধু যেহেতু, মিষ্টতা কিছু থাকবেই। তবে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, ম্যাড হানির স্বাদ তিতা বা টক অর্থাৎ, সাধারণ মধুর চেয়ে ভিন্ন। এর রং গাঢ় বাদামি বা লালচে রং।

এক দারুণ ঐতিহ্য

বিপদ যতই থাক, যারা এ মধু উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত তারা এটি চেখে দেখবে না, তা তো হয় না। ফলে নেপাল ও তুরস্কের কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে এ মধুকে কেন্দ্র করে শত শত বছর ধরে তৈরি হয়েছে ঐতিহ্য।

নেপালের গুরাং সম্প্রদায় ও তুরস্কের কৃষ্ণসাগর অঞ্চলের স্থানীয় লোকেরা প্রজন্ম ধরে অল্প পরিমাণে ম্যাড হানি ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করে আসছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। তারা এটিকে পেটের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এমনকি যৌনশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ব্যবহার করে। তবে এর ব্যবহার সব সময়ই একটি জটিল রীতিনীতি ও পরিমিতিবোধের মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয়।

এটাও বলে রাখি, কিছু মানুষ এটিকে ‘হানি হাই’ বা নেশার জন্যও ব্যবহার করে।

পরিমাণের বেশি খেলে কী হতে পারে?

বিপদ আছে। যেকোনো খাবারই পরিমাণের বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু এই ম্যাড হানি স্বল্প মাত্রায় খেলেও হতে পারে হালকা ইউফোরিয়া, স্নায়বিক শিথিলতা বা বমি বমি ভাব। আর উচ্চ মাত্রায় খেলে? সে তালিকা বেশ লম্বা।

  • বমি, অতিরিক্ত ঘাম, মাথা ঘোরা।
  • হার্ট রেট ও রক্তচাপ কমে যাওয়া।
  • অস্থিরতা, মাংসপেশির দুর্বলতা।
  • গুরুতর ক্ষেত্রে অ্যারিথমিয়া, শ্বাসকষ্ট, অচেতনতা, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

তবে হ্যাঁ, প্রাকৃতিক এই উত্তেজকের জন্য আছে প্রাকৃতিক চিকিৎসা। জানা যাচ্ছে, সাধারণত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লক্ষণগুলো নিজে থেকে কমে যায়। তবে গুরুতর ক্ষেত্রে হাসপাতালে চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।

বলে রাখা ভালো, এটি বেশির ভাগ দেশে অবৈধ নয়। তবে বিক্রি বা বিপণনে নিয়ন্ত্রণ আছে।

আধুনিক বাণিজ্য ও অপব্যবহার

বিশেষ কিছু অঞ্চলের মানুষদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পরিচালিত জ্ঞানের মাধ্যমে যে মধু একসময় ছিল বিশেষ, সে মধুই এখন ‘অনলাইন পণ্যে’ পরিণত হয়েছে। ফলে চাহিদা বেড়েছে স্বাভাবিকভাবে। নেপাল ও তুরস্ক থেকে এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘এক্সোটিক হানি’ বা ‘সাইকোঅ্যাকটিভ হানি’ হিসেবে বিক্রি হয়। পর্যটকদের মধ্যে এটি খাওয়া একটি ‘অভিজ্ঞতা’ হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে, বিশেষ করে নেপালের অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের ক্ষেত্রে। আর এ চাহিদা বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে ভেজাল ম্যাড হানির পরিমাণ।

বৈচিত্র্যপিয়াসীরা ভেজাল না খেয়ে আসলের সন্ধান করতে পারেন।

সূত্র:

  • এডিশন ডট সিএনএন ডটকম, মৌরিন ও’হেয়ারের লেখা। ৩ নভেম্বর, ২০২৫
  • The Dangerous Honey of Nepal, BBC, 2019
  • পয়জন ডট ওআরজি
  • জামা নেটওয়ার্ক ডটকম
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র মাহফুজ আলম, এনসিপির পক্ষে মনোনয়নপত্র নিলেন বড় ভাই মাহবুব

আত্মসমর্পণ করে দুই মামলায় জামিন পেলেন এনসিপির আখতার

এনসিপির নির্বাচনকালীন কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতে চাদর স্টাইলিং করবেন যেভাবে

বিভাবরী রায়
ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে ফ্যাশন ডিজাইনাররা চাদর নকশাদার করে তুলছেন। ছবি সৌজন্য: সাতকাহন
ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে ফ্যাশন ডিজাইনাররা চাদর নকশাদার করে তুলছেন। ছবি সৌজন্য: সাতকাহন

শীত জেঁকে বসেছে। ভারী গরম কাপড় গায়ে না চড়িয়ে বাইরে বের হওয়া কঠিন। তবে চুপি চুপি বলে রাখি, অনলাইন শপিংয়ে যাঁরা পটু, তাঁরা কিন্তু প্রতিবছর নিত্য়নতুন গায়ে চড়ানোর চাদর কিনে ফেলেন। হ্যাঁ, মায়ের বকুনি খাওয়ার ভয়ে হয়তো আলমারিতে বন্দী করে রাখেন। কিন্তু প্রতিবছর এত সুন্দর সুন্দর থিমে চাদর বাজারে আসে, না কিনলেই বরং অপরাধবোধ হয়!

শীতের চাদরের আবেদন সব সময় ছিল। আগে সেগুলো শাড়ি বা সালোয়ার কামিজের সঙ্গে পরতেন মেয়েরা। আর এখন পরছেন জিনস টপসের সঙ্গে। তবে কখন কালার ম্যাচিং এবং কখন কালার কনট্রাস্ট করে পরতে হবে, তা মনে রাখতে হবে। কীভাবে পরবেন, তা নির্ভর করে কোথায় যাচ্ছেন এবং নিজে কতটা ক্যারি করতে পারছেন, তার ওপর। সৌমিক দাস, প্রধান নির্বাহী, রঙ বাংলাদেশ

শীতে স্টাইলিংয়ের জন্য চাদরের তুলনা হয় না। একসময় চাদরের জমিনে ফুটিয়ে তোলা হতো বিভিন্ন নকশা। এখন ক্রেতাদের চাহিদার কথা ভেবে ফ্যাশন ডিজাইনাররাই সেগুলো নকশাদার করে তুলছেন। তৈরি করছেন বিভিন্ন থিমেটিক নকশার চাদরও। নকশাদার ও থিমেটিক এসব চাদর শাড়ি, কুর্তি, টপস, সিঙ্গেল কামিজ, সালোয়ার-কামিজ—সবকিছুর সঙ্গে পরা যায়। কিন্তু কোন পোশাকের সঙ্গে কোন চাদর কীভাবে পরবেন, সেটাও তো জেনে রাখা প্রয়োজন।

শীতে ভ্রমণ, বনভোজন, সকালে রোদ পোহাতে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারগুলো চলতেই থাকে। একেক জায়গায় একেকভাবে চাদর পরা জরুরি। অর্থাৎ সব জায়গায় একইভাবে চাদর পরা যাবে না।

শাড়ির সঙ্গে

শাড়ির সঙ্গে চাদর স্টাইলিং করার খুব বেশি উপায় নেই। হয় গায়ে জড়িয়ে পরা, নয়তো এক কাঁধের ওপর ফেলে রাখা। সেই ফেলে রাখা গুছিয়েও হতে পারে আবার ছেড়ে দিয়েও হতে পারে। যে ক্যারিশমা করতে পারেন, তা হলো একরঙা শাড়ির সঙ্গে ছাপা ও জ্যামিতিক প্যাটার্নের উজ্জ্বল রঙের মিলমিশ রয়েছে এমন চাদর পরুন।

শাড়ির সঙ্গে চাদর বাঙালি জীবনের ধ্রুপদি যুগলবন্দী। ছবি সৌজন্য: সাতকাহন
শাড়ির সঙ্গে চাদর বাঙালি জীবনের ধ্রুপদি যুগলবন্দী। ছবি সৌজন্য: সাতকাহন

লুজ ডেনিম প্যান্টের সঙ্গে

লুজ ডেনিম প্যান্ট এখন বেশ জনপ্রিয়। ডেনিম প্যান্টের ওপর ক্রপ টি-শার্ট পরলেও কিন্তু গায়ে জড়িয়ে নিতে পারেন চাদর। ডেনিমের ওপর জড়িয়ে নিতে পারেন উলের সুতায় বোনা, তসরের কিংবা সিনথেটিক সুতায় বোনা চাদর, সিল্কের চাদর, অ্যান্ডি চাদর অথবা ডুপিয়ান কাপড়ের চাদর। গলায় স্কার্ফের মতো জড়িয়ে হোক বা পুরো গা ঢেকে, দিব্যি বেরিয়ে পরতে পারেন ডেনিমের সঙ্গে চাদর পরে।

কামিজের সঙ্গে

একটু স্টাইলিশভাবে পরতে প্রথমে চাদর গলায় ঝোলান। চাদরের শেষ দুই মাথা একসঙ্গে গিঁট দিয়ে নিন। বড়সড় যে লুপটি তৈরি হলো, তা গলায় পরুন। গিঁটের অংশটি কাঁধের পেছনে থাকবে। এবার টুইস্ট করে দুই বা তিন স্তরে গলায় পরুন এবং প্রয়োজনমতো ছড়িয়ে নিন। যাতে এলোমেলো না হয়ে যায়। সেটা ঠেকাতে গিঁটের সঙ্গে ব্রোচ পিনআপ করে নিতে পারেন।

আরও যেভাবে পরতে পারেন

ডেনিম প্যান্টের ওপর ক্রপ টি-শার্ট পরলেও কিন্তু গায়ে জড়িয়ে নিতে পারেন চাদর। ছবি সৌজন্য: সাতকাহন
ডেনিম প্যান্টের ওপর ক্রপ টি-শার্ট পরলেও কিন্তু গায়ে জড়িয়ে নিতে পারেন চাদর। ছবি সৌজন্য: সাতকাহন

এলিগ্যান্ট স্টাইলের জন্য

অভিজাত লুক পেতে বেছে নিতে পারেন ইউনিক বো স্টাইল। এ স্টাইলের জন্য পাতলা চাদর বেছে নিতে পারেন। কাঁধের দুই পাশে ঝোলানো চাদরের এক প্রান্ত বড় ও অন্য প্রান্তটি ছোট রাখুন। এবার বড় প্রান্তটির শেষ মাথা থেকে ওপরের দিকে লুপ তৈরি করুন। এরপর লুপের মাঝ বরাবর ধরে অন্য প্রান্ত দিয়ে পেঁচিয়ে টাইট করে নিন।

আউটিংয়ে ঝলমলে দেখাতে

একটু ঝলমলে আউটলুক পেতে উজ্জ্বল রঙের শাল বেছে নিতে পারেন। ওজনে হালকা ও উজ্জ্বল প্রিন্টের চাদর আর কুল টোনের কামিজ বা একরঙা টি-শার্ট চটজলদি অভিজাত লুক দেবে। উজ্জ্বল রঙের প্রিন্টের চাদর সাদামাটা শার্ট বা টপসকেও অভিজাত লুকে বদলে দেয়।

বোহিমিয়ান স্টাইল

বোহিমিয়ান স্টাইলে শাল বা চাদর পরতে গলায় দুই প্যাঁচে জড়িয়ে বাঁ পাশের প্রান্তের এক কোনা ডান দিকে চাদরের গলার অংশের সঙ্গে পিনআপ করে নিন। অন্য প্রান্তটি থাকবে ছড়ানো প্রান্তের নিচে।

সালোয়ার ও কামিজের সঙ্গে চোদর। ছবি সৌজন্য: সাতকাহন
সালোয়ার ও কামিজের সঙ্গে চোদর। ছবি সৌজন্য: সাতকাহন

কোথায় পাবেন এসব চাদর

প্রায় সব ফ্যাশন হাউস বিভিন্ন ধরনের চাদর বিক্রি করে। অনেক অনলাইন পেজও এগুলো বিক্রি করে। কোনো কোনো পেজ পছন্দমতো চাদর তৈরিও করে দেয়। প্রতিটি জেলা শহরের সুপারমার্কেটে বা যেকোনো শপিং মলে খুঁজলে পাওয়া যাবে পছন্দের চাদর।

ছবি সৌজন্য: সাতকাহন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র মাহফুজ আলম, এনসিপির পক্ষে মনোনয়নপত্র নিলেন বড় ভাই মাহবুব

আত্মসমর্পণ করে দুই মামলায় জামিন পেলেন এনসিপির আখতার

এনসিপির নির্বাচনকালীন কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত