জসিম উদ্দিন, নীলফামারী

রেলের শহর হিসেবে খ্যাতি আছে উত্তরের ছোট্ট শহর সৈয়দপুরের। ব্যবসার জন্যও খানিক খ্যাতি আছে। এসব ছাপিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সৈয়দপুরের অন্য এক খ্যাতি তৈরি হয়েছে। সেটা হলো, সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৩৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে। এককভাবে এটি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বেশ ভালো অর্জন।
গত কয়েক বছরের হিসাবটা সে কথাই বলছে। ২০১৬ সালে ৩৮ জন, ২০১৭ সালে ২৯, ২০১৮ সালে ৩৬, ২০১৯ সালে ৩৮, ২০২০ সালে ৪০ এবং ২০২১ সালে ৪০ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে। এ বছর ৩৫ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে। তাঁদের মধ্যে ছেলে ১৯ জন ও মেয়ে ১৬ জন। শুধু তা-ই নয়, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটের মতো বিভিন্ন প্রকৌশল গুচ্ছেও বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি হন এই প্রতিষ্ঠান থেকে।
সাফল্যের কারণ
এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রয়েছে সুশৃঙ্খল পরিবেশ, পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং কঠোর তদারকি। এ জন্য প্রতিবছর আশানুরূপ ফল করছেন শিক্ষার্থীরা। মূলত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিবছর মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ধারাবাহিক সফলতা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করেন অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক।
শহরের পাশাপাশি গ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ কলেজে পড়ার সুযোগ পান। কলেজের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একধরনের সেতুবন্ধ তৈরি করা হয়। ক্লাসরুমে সম্পূর্ণ পাঠদান সম্পন্ন করা হয়। শিক্ষার্থীরা যে বিষয়ের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে চান, তাঁদের শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সেসব বিষয়ের বাড়তি পড়াশোনার জন্য বলা হয়। এ ছাড়া এ প্রতিষ্ঠান থেকে ইতিমধ্যে যাঁরা মেডিকেলে বা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয় বর্তমান শিক্ষার্থীদের। এতে দুই প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয় সেতুবন্ধ।
সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজে শুধু ছাত্রদেরই পড়ানো হয় না, এখানে অভিভাবকদেরও সচেতন করা হয়। এ কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জামাল উদ্দিন। তিনি জানান, কলেজ থেকে অভিভাবকদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়। তিনি অভিভাবক হিসেবে সেসব নির্দেশনা মেনে চলেছেন এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সন্তানদের সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে কাজে লাগিয়েছেন। জামাল উদ্দিন আরও জানান, শিক্ষকদের পড়াশোনার কলাকৌশলে প্রতিবছর প্রতিষ্ঠানটি ভালো ফলের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। কলেজটির পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। কলেজের জনপ্রিয় এ শিক্ষক জানিয়েছেন, পড়াশোনা হলো একটি সমন্বিত উদ্যোগ। এখানে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেলবন্ধন আছে বলেই সফলতা রয়েছে।
পাসের হার শতভাগ
গত বছর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২৫৫ জন শিক্ষার্থীর সবাই পাস করেন। তাঁদের মধ্যে ২২৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এই ব্যাচেরই ৩৫ জন শিক্ষার্থী এ বছর সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
স্কুল থেকে কলেজ
১৯৬৪ সালে দেশের চারটি শিল্পাঞ্চলে টেকনিক্যাল স্কুল গড়ে ওঠে। এগুলোর একটি হচ্ছে সৈয়দপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল। পরে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে কলেজে উন্নীত করে নাম দেওয়া হয় সৈয়দপুর সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ। ২০১৯ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর নাম পরিবর্তন করে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ নামকরণ করে। কলেজটিতে শুধু বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
যাঁরা যেখানে
চলতি বছর ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিলয়, পারভেজ, কানিজ ফাতেমা ও মাইশা; রংপুর মেডিকেল কলেজে রকিবুল হাসান সিফাত, সাদিকুল হাবিব, রেজওয়ানা রিতু, ওহনা, জান্নাতুল ফেরদৌস, তাসিন বিনতে রিয়াজ, নাজিয়া নুসরাত ইমু, আফ্রিদি হাসান সিয়াম ও নাফিস ফুয়াদ; রাজশাহী মেডিকেল কলেজে সায়েম, সানজিদা শর্মি ও আফিয়া ইবনাত; ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে শহীদ আফ্রিদি, ধীরাজ রায় ও রাফিন সাদ; মাগুরা মেডিকেল কলেজে রাফিয়া সুলতানা; শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে জিসান রসুল ও শ্রীদেবী রায়; ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজে নওশিন নিধি; নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজে মেফতাহুল জান্নাত; পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ইসরাত জাহান; সুনামগঞ্জের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে ইশতিয়াক, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে মৌলি; চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে মুনতাসির শিহাব, সানজিদা ফারজানা মেধা ও মুনতাসির আলী; পাবনা মেডিকেল কলেজে শাহরিয়ার হোসেন শিমুল; ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে আহসান হাবিব ইমন; খুলনা মেডিকেল কলেজে দীপংকর রায় দিব্য; নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজে রিজভী এবং নীলফামারী মেডিকেল কলেজে আসাদুজ্জামান আসাদ।


রেলের শহর হিসেবে খ্যাতি আছে উত্তরের ছোট্ট শহর সৈয়দপুরের। ব্যবসার জন্যও খানিক খ্যাতি আছে। এসব ছাপিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সৈয়দপুরের অন্য এক খ্যাতি তৈরি হয়েছে। সেটা হলো, সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৩৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে। এককভাবে এটি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বেশ ভালো অর্জন।
গত কয়েক বছরের হিসাবটা সে কথাই বলছে। ২০১৬ সালে ৩৮ জন, ২০১৭ সালে ২৯, ২০১৮ সালে ৩৬, ২০১৯ সালে ৩৮, ২০২০ সালে ৪০ এবং ২০২১ সালে ৪০ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে। এ বছর ৩৫ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে। তাঁদের মধ্যে ছেলে ১৯ জন ও মেয়ে ১৬ জন। শুধু তা-ই নয়, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটের মতো বিভিন্ন প্রকৌশল গুচ্ছেও বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি হন এই প্রতিষ্ঠান থেকে।
সাফল্যের কারণ
এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রয়েছে সুশৃঙ্খল পরিবেশ, পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং কঠোর তদারকি। এ জন্য প্রতিবছর আশানুরূপ ফল করছেন শিক্ষার্থীরা। মূলত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিবছর মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ধারাবাহিক সফলতা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করেন অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক।
শহরের পাশাপাশি গ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ কলেজে পড়ার সুযোগ পান। কলেজের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একধরনের সেতুবন্ধ তৈরি করা হয়। ক্লাসরুমে সম্পূর্ণ পাঠদান সম্পন্ন করা হয়। শিক্ষার্থীরা যে বিষয়ের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে চান, তাঁদের শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সেসব বিষয়ের বাড়তি পড়াশোনার জন্য বলা হয়। এ ছাড়া এ প্রতিষ্ঠান থেকে ইতিমধ্যে যাঁরা মেডিকেলে বা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয় বর্তমান শিক্ষার্থীদের। এতে দুই প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয় সেতুবন্ধ।
সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজে শুধু ছাত্রদেরই পড়ানো হয় না, এখানে অভিভাবকদেরও সচেতন করা হয়। এ কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জামাল উদ্দিন। তিনি জানান, কলেজ থেকে অভিভাবকদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়। তিনি অভিভাবক হিসেবে সেসব নির্দেশনা মেনে চলেছেন এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সন্তানদের সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে কাজে লাগিয়েছেন। জামাল উদ্দিন আরও জানান, শিক্ষকদের পড়াশোনার কলাকৌশলে প্রতিবছর প্রতিষ্ঠানটি ভালো ফলের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। কলেজটির পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। কলেজের জনপ্রিয় এ শিক্ষক জানিয়েছেন, পড়াশোনা হলো একটি সমন্বিত উদ্যোগ। এখানে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেলবন্ধন আছে বলেই সফলতা রয়েছে।
পাসের হার শতভাগ
গত বছর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২৫৫ জন শিক্ষার্থীর সবাই পাস করেন। তাঁদের মধ্যে ২২৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এই ব্যাচেরই ৩৫ জন শিক্ষার্থী এ বছর সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
স্কুল থেকে কলেজ
১৯৬৪ সালে দেশের চারটি শিল্পাঞ্চলে টেকনিক্যাল স্কুল গড়ে ওঠে। এগুলোর একটি হচ্ছে সৈয়দপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল। পরে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে কলেজে উন্নীত করে নাম দেওয়া হয় সৈয়দপুর সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ। ২০১৯ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর নাম পরিবর্তন করে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ নামকরণ করে। কলেজটিতে শুধু বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
যাঁরা যেখানে
চলতি বছর ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিলয়, পারভেজ, কানিজ ফাতেমা ও মাইশা; রংপুর মেডিকেল কলেজে রকিবুল হাসান সিফাত, সাদিকুল হাবিব, রেজওয়ানা রিতু, ওহনা, জান্নাতুল ফেরদৌস, তাসিন বিনতে রিয়াজ, নাজিয়া নুসরাত ইমু, আফ্রিদি হাসান সিয়াম ও নাফিস ফুয়াদ; রাজশাহী মেডিকেল কলেজে সায়েম, সানজিদা শর্মি ও আফিয়া ইবনাত; ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে শহীদ আফ্রিদি, ধীরাজ রায় ও রাফিন সাদ; মাগুরা মেডিকেল কলেজে রাফিয়া সুলতানা; শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে জিসান রসুল ও শ্রীদেবী রায়; ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজে নওশিন নিধি; নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজে মেফতাহুল জান্নাত; পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ইসরাত জাহান; সুনামগঞ্জের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে ইশতিয়াক, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে মৌলি; চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে মুনতাসির শিহাব, সানজিদা ফারজানা মেধা ও মুনতাসির আলী; পাবনা মেডিকেল কলেজে শাহরিয়ার হোসেন শিমুল; ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে আহসান হাবিব ইমন; খুলনা মেডিকেল কলেজে দীপংকর রায় দিব্য; নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজে রিজভী এবং নীলফামারী মেডিকেল কলেজে আসাদুজ্জামান আসাদ।

জসিম উদ্দিন, নীলফামারী

রেলের শহর হিসেবে খ্যাতি আছে উত্তরের ছোট্ট শহর সৈয়দপুরের। ব্যবসার জন্যও খানিক খ্যাতি আছে। এসব ছাপিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সৈয়দপুরের অন্য এক খ্যাতি তৈরি হয়েছে। সেটা হলো, সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৩৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে। এককভাবে এটি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বেশ ভালো অর্জন।
গত কয়েক বছরের হিসাবটা সে কথাই বলছে। ২০১৬ সালে ৩৮ জন, ২০১৭ সালে ২৯, ২০১৮ সালে ৩৬, ২০১৯ সালে ৩৮, ২০২০ সালে ৪০ এবং ২০২১ সালে ৪০ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে। এ বছর ৩৫ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে। তাঁদের মধ্যে ছেলে ১৯ জন ও মেয়ে ১৬ জন। শুধু তা-ই নয়, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটের মতো বিভিন্ন প্রকৌশল গুচ্ছেও বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি হন এই প্রতিষ্ঠান থেকে।
সাফল্যের কারণ
এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রয়েছে সুশৃঙ্খল পরিবেশ, পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং কঠোর তদারকি। এ জন্য প্রতিবছর আশানুরূপ ফল করছেন শিক্ষার্থীরা। মূলত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিবছর মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ধারাবাহিক সফলতা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করেন অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক।
শহরের পাশাপাশি গ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ কলেজে পড়ার সুযোগ পান। কলেজের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একধরনের সেতুবন্ধ তৈরি করা হয়। ক্লাসরুমে সম্পূর্ণ পাঠদান সম্পন্ন করা হয়। শিক্ষার্থীরা যে বিষয়ের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে চান, তাঁদের শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সেসব বিষয়ের বাড়তি পড়াশোনার জন্য বলা হয়। এ ছাড়া এ প্রতিষ্ঠান থেকে ইতিমধ্যে যাঁরা মেডিকেলে বা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয় বর্তমান শিক্ষার্থীদের। এতে দুই প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয় সেতুবন্ধ।
সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজে শুধু ছাত্রদেরই পড়ানো হয় না, এখানে অভিভাবকদেরও সচেতন করা হয়। এ কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জামাল উদ্দিন। তিনি জানান, কলেজ থেকে অভিভাবকদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়। তিনি অভিভাবক হিসেবে সেসব নির্দেশনা মেনে চলেছেন এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সন্তানদের সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে কাজে লাগিয়েছেন। জামাল উদ্দিন আরও জানান, শিক্ষকদের পড়াশোনার কলাকৌশলে প্রতিবছর প্রতিষ্ঠানটি ভালো ফলের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। কলেজটির পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। কলেজের জনপ্রিয় এ শিক্ষক জানিয়েছেন, পড়াশোনা হলো একটি সমন্বিত উদ্যোগ। এখানে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেলবন্ধন আছে বলেই সফলতা রয়েছে।
পাসের হার শতভাগ
গত বছর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২৫৫ জন শিক্ষার্থীর সবাই পাস করেন। তাঁদের মধ্যে ২২৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এই ব্যাচেরই ৩৫ জন শিক্ষার্থী এ বছর সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
স্কুল থেকে কলেজ
১৯৬৪ সালে দেশের চারটি শিল্পাঞ্চলে টেকনিক্যাল স্কুল গড়ে ওঠে। এগুলোর একটি হচ্ছে সৈয়দপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল। পরে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে কলেজে উন্নীত করে নাম দেওয়া হয় সৈয়দপুর সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ। ২০১৯ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর নাম পরিবর্তন করে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ নামকরণ করে। কলেজটিতে শুধু বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
যাঁরা যেখানে
চলতি বছর ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিলয়, পারভেজ, কানিজ ফাতেমা ও মাইশা; রংপুর মেডিকেল কলেজে রকিবুল হাসান সিফাত, সাদিকুল হাবিব, রেজওয়ানা রিতু, ওহনা, জান্নাতুল ফেরদৌস, তাসিন বিনতে রিয়াজ, নাজিয়া নুসরাত ইমু, আফ্রিদি হাসান সিয়াম ও নাফিস ফুয়াদ; রাজশাহী মেডিকেল কলেজে সায়েম, সানজিদা শর্মি ও আফিয়া ইবনাত; ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে শহীদ আফ্রিদি, ধীরাজ রায় ও রাফিন সাদ; মাগুরা মেডিকেল কলেজে রাফিয়া সুলতানা; শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে জিসান রসুল ও শ্রীদেবী রায়; ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজে নওশিন নিধি; নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজে মেফতাহুল জান্নাত; পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ইসরাত জাহান; সুনামগঞ্জের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে ইশতিয়াক, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে মৌলি; চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে মুনতাসির শিহাব, সানজিদা ফারজানা মেধা ও মুনতাসির আলী; পাবনা মেডিকেল কলেজে শাহরিয়ার হোসেন শিমুল; ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে আহসান হাবিব ইমন; খুলনা মেডিকেল কলেজে দীপংকর রায় দিব্য; নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজে রিজভী এবং নীলফামারী মেডিকেল কলেজে আসাদুজ্জামান আসাদ।


রেলের শহর হিসেবে খ্যাতি আছে উত্তরের ছোট্ট শহর সৈয়দপুরের। ব্যবসার জন্যও খানিক খ্যাতি আছে। এসব ছাপিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সৈয়দপুরের অন্য এক খ্যাতি তৈরি হয়েছে। সেটা হলো, সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৩৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে। এককভাবে এটি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বেশ ভালো অর্জন।
গত কয়েক বছরের হিসাবটা সে কথাই বলছে। ২০১৬ সালে ৩৮ জন, ২০১৭ সালে ২৯, ২০১৮ সালে ৩৬, ২০১৯ সালে ৩৮, ২০২০ সালে ৪০ এবং ২০২১ সালে ৪০ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে। এ বছর ৩৫ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে। তাঁদের মধ্যে ছেলে ১৯ জন ও মেয়ে ১৬ জন। শুধু তা-ই নয়, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটের মতো বিভিন্ন প্রকৌশল গুচ্ছেও বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি হন এই প্রতিষ্ঠান থেকে।
সাফল্যের কারণ
এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রয়েছে সুশৃঙ্খল পরিবেশ, পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং কঠোর তদারকি। এ জন্য প্রতিবছর আশানুরূপ ফল করছেন শিক্ষার্থীরা। মূলত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিবছর মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ধারাবাহিক সফলতা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করেন অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক।
শহরের পাশাপাশি গ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ কলেজে পড়ার সুযোগ পান। কলেজের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একধরনের সেতুবন্ধ তৈরি করা হয়। ক্লাসরুমে সম্পূর্ণ পাঠদান সম্পন্ন করা হয়। শিক্ষার্থীরা যে বিষয়ের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে চান, তাঁদের শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সেসব বিষয়ের বাড়তি পড়াশোনার জন্য বলা হয়। এ ছাড়া এ প্রতিষ্ঠান থেকে ইতিমধ্যে যাঁরা মেডিকেলে বা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয় বর্তমান শিক্ষার্থীদের। এতে দুই প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয় সেতুবন্ধ।
সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজে শুধু ছাত্রদেরই পড়ানো হয় না, এখানে অভিভাবকদেরও সচেতন করা হয়। এ কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জামাল উদ্দিন। তিনি জানান, কলেজ থেকে অভিভাবকদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়। তিনি অভিভাবক হিসেবে সেসব নির্দেশনা মেনে চলেছেন এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সন্তানদের সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে কাজে লাগিয়েছেন। জামাল উদ্দিন আরও জানান, শিক্ষকদের পড়াশোনার কলাকৌশলে প্রতিবছর প্রতিষ্ঠানটি ভালো ফলের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। কলেজটির পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। কলেজের জনপ্রিয় এ শিক্ষক জানিয়েছেন, পড়াশোনা হলো একটি সমন্বিত উদ্যোগ। এখানে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেলবন্ধন আছে বলেই সফলতা রয়েছে।
পাসের হার শতভাগ
গত বছর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২৫৫ জন শিক্ষার্থীর সবাই পাস করেন। তাঁদের মধ্যে ২২৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এই ব্যাচেরই ৩৫ জন শিক্ষার্থী এ বছর সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
স্কুল থেকে কলেজ
১৯৬৪ সালে দেশের চারটি শিল্পাঞ্চলে টেকনিক্যাল স্কুল গড়ে ওঠে। এগুলোর একটি হচ্ছে সৈয়দপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল। পরে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে কলেজে উন্নীত করে নাম দেওয়া হয় সৈয়দপুর সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ। ২০১৯ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর নাম পরিবর্তন করে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ নামকরণ করে। কলেজটিতে শুধু বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
যাঁরা যেখানে
চলতি বছর ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিলয়, পারভেজ, কানিজ ফাতেমা ও মাইশা; রংপুর মেডিকেল কলেজে রকিবুল হাসান সিফাত, সাদিকুল হাবিব, রেজওয়ানা রিতু, ওহনা, জান্নাতুল ফেরদৌস, তাসিন বিনতে রিয়াজ, নাজিয়া নুসরাত ইমু, আফ্রিদি হাসান সিয়াম ও নাফিস ফুয়াদ; রাজশাহী মেডিকেল কলেজে সায়েম, সানজিদা শর্মি ও আফিয়া ইবনাত; ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে শহীদ আফ্রিদি, ধীরাজ রায় ও রাফিন সাদ; মাগুরা মেডিকেল কলেজে রাফিয়া সুলতানা; শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে জিসান রসুল ও শ্রীদেবী রায়; ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজে নওশিন নিধি; নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজে মেফতাহুল জান্নাত; পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ইসরাত জাহান; সুনামগঞ্জের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে ইশতিয়াক, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে মৌলি; চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে মুনতাসির শিহাব, সানজিদা ফারজানা মেধা ও মুনতাসির আলী; পাবনা মেডিকেল কলেজে শাহরিয়ার হোসেন শিমুল; ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে আহসান হাবিব ইমন; খুলনা মেডিকেল কলেজে দীপংকর রায় দিব্য; নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজে রিজভী এবং নীলফামারী মেডিকেল কলেজে আসাদুজ্জামান আসাদ।


ভোজনরসিকদের কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিবছর প্রকাশিত হয় ‘টেস্ট অ্যাটলাস’-এর বার্ষিক র্যাঙ্কিং। এই তালিকা বিশ্বের সেরা রন্ধনশৈলীর এক তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে। প্রতিটি দেশের সুপরিচিত এবং সর্বোচ্চ রেট পাওয়া খাবার ও খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যায়নের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই তালিকা।...
৫ ঘণ্টা আগে
এই জন-অরণ্য থেকে একটু সরে গেলে দেখা পাওয়া যাবে এক অদেখা নেপালের, যেখানে আছে নীরব প্রকৃতি, থারু অধিবাসীদের একেবারে নিস্তরঙ্গ জীবন, ন্যাশনাল পার্ক আর পার্কভর্তি বিভিন্ন বন্য প্রাণী। বলা হচ্ছে নেপালের দক্ষিণ প্রান্তের একটি অসম্ভব সুন্দর তরাই অঞ্চল অঞ্চলের কথা। নিম্নভূমি অঞ্চলটি নীরবে তুলে ধরে দেশটির...
৭ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার এনার্জি লেভেল থাকবে রকেটগতিতে। কিন্তু গ্রহরা ফিসফিস করে বলছে, ‘অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করে কফির কাপে লবণ দিয়ে দেবেন না, প্লিজ!’ কর্মক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আপনার প্রশংসা হবে, কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার সমাধান দৌড়ে গিয়ে করা যায় না।
৭ ঘণ্টা আগে
ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের কথা শুনলে প্রথমে মনে ভেসে ওঠে প্রাচীন স্থাপনা বা ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ইত্যাদির কথা। কিন্তু জানেন কি, জাতিসংঘের এই সংস্থা অসংখ্য খাদ্য ও রন্ধন ঐতিহ্যকেও স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বীকৃতি পাওয়া খাবারগুলো ‘রিপ্রেজেনটেটিভ লিস্ট অব দ্য ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটিজ’র...
৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ভোজনরসিকেরা যতটা জম্পেশ করে, আগ্রহ নিয়ে খাবার খেয়ে থাকে, রন্ধনকৌশল জানতেও তারা ততটাই মাথা ঘামায়। তারা জানতে চায়, খাবারের ইতিহাস, তার রেসিপি, তার উপাদান ইত্যাদি। তাদের কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিবছর প্রকাশিত হয় ‘টেস্ট অ্যাটলাস’-এর বার্ষিক র্যাঙ্কিং। এই তালিকা বিশ্বের সেরা রন্ধনশৈলীর এক তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে। প্রতিটি দেশের সুপরিচিত এবং সর্বোচ্চ রেট পাওয়া খাবার ও খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যায়নের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই তালিকা।
২০২৫ সালের এই র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ত্রিশে স্থান করে নিয়েছে বিভিন্ন মহাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার। এই বৈশ্বিক র্যাঙ্কিং স্পষ্ট করে, প্রতিটি দেশের রন্ধনশৈলী নিজস্ব ইতিহাস, উপকরণ এবং আবেগ বহন করে। টেস্ট অ্যাটলাস ২০২৫-এর এই তালিকা খাদ্যপ্রেমীদের জন্য এক নতুন স্বাদ ভ্রমণের নিমন্ত্রণ।

শীর্ষ পাঁচে ভূমধ্যসাগরীয় সৌরভ ও মেক্সিকান জাদু
এবার তালিকার চূড়ায় রয়েছে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল এবং মেক্সিকোর সুস্বাদু রন্ধনশৈলী। তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে গ্রিস। তাদের রেটিং দেওয়া হয়েছে ৪ দশমিক ৬০। তাদের ঐতিহ্যবাহী গ্রিল করা খাবার ‘কোকোরিটসি’ বিশ্ব স্বাদের জগতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে ইতালি। দেশটির রেটিং ৪ দশমিক ৫৯। পিৎজাসহ বিশ্বের অসংখ্য জনপ্রিয় খাবারের জন্মভূমি এই দেশ। তৃতীয় স্থান দখল করেছে মেক্সিকো, তাদের রেটিং ৪ দশমিক ৫২। দেশটি তাদের কার্নে আসাডা টাকোসের মতো প্রাণবন্ত ও মসলাদার স্ট্রিট ফুডের মাধ্যমে স্বাদের এক অনন্য জগৎ তৈরি করেছে। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান যথাক্রমে আছে স্পেন ও পর্তুগাল। দেশ দুটি একসঙ্গে ৪ দশমিক ৫০ রেটিং পেয়েছে। স্পেনের ঐতিহ্যবাহী রোস্ট ল্যাম্ব লেচাজো এবং পর্তুগালের মাংস, ক্ল্যাম ও আলুমিশ্রিত পদ কার্নে দে পোর্কো আ আলেন্তেজানা খাদ্যরসিকদের মন জয় করেছে।
প্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বিশেষ স্বাদ
এশীয় রন্ধনশৈলী মসলার জটিল ব্যবহার এবং সুগন্ধি খাবারের জন্য বিখ্যাত। তুরস্কের মতো ইউরেশীয় এবং আফ্রিকান দেশগুলোও এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। তালিকায় স্পেন ও পর্তুগালের র্যাঙ্কিংয়ের নম্বরে আছে তুরস্ক। ইস্কান্দার কেবাপ তাদের সেরা দশে জায়গা করে দিয়েছে। এরপর এশিয়ার দেশ হিসেবে আছে ইন্দোনেশিয়া ও জাপান। জাপান মূলত সুসির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি পেয়েছে। তালিকায় দশম অবস্থানে আছে চীন। দেশটির হট পট বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। মসলাদার কারির দেশ ভারতের অবস্থান বারোতম। তাদের রেটিং দেওয়া হয়েছে ৪ দশমিক ৪২। বান মি থিতের জন্য পরিচিত ভিয়েতনামের অবস্থান ১৯তম।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে থাইল্যান্ড আছে ২৮তম অবস্থানে। তাদের এই অবস্থান নিশ্চিত করেছে ফাট কাফরাও নামের খাবারটি। আফ্রিকার উত্তর প্রান্ত থেকে তালিকায় স্থান পেয়েছে আলজেরিয়া। তাদের অবস্থান একুশতম। এদিকে তিউনিসিয়ার অবস্থান ৩০তম। দেশটি নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পদ ব্রিক নিয়ে সেরা ৩০-এ জায়গা করে নিয়েছে।
ইউরোপের ঐতিহ্য ও বলকান অঞ্চলের গ্রিলড ফ্লেভার

ইউরোপের অন্যান্য অংশ এবং বলকান অঞ্চল তাদের ক্ল্যাসিক ও হৃদয়গ্রাহী খাবারের জন্য পরিচিত। তালিকায় অষ্টম অবস্থানে আছে ফ্রান্স। আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত রন্ধনশৈলী তাদের এই অবস্থানে তুলে এনেছে। মধ্য ইউরোপ থেকে ১১তম অবস্থানে আছে পোল্যান্ড। তাদের বিখ্যাত খাবার পিয়েরোগি বা ডাম্পলিং। হাঙ্গেরির বিশেষ স্ট্যু গুলাশ তার দীর্ঘ ঐতিহ্যের গুণে ২০তম অবস্থানে নিয়ে গেছে হাঙ্গেরিকে। বলকান অঞ্চলের দেশ সার্বিয়া আছে তালিকার ১৫তম অবস্থানে। আর এই অবস্থানে তাদের এনেছে প্লেজেস্কাবিকা নামের একটি খাবার। এটি সার্বিয়ার একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রিলড মাংসের পদ। ১৭তম অবস্থানে আছে ক্রোয়েশিয়া। জাগোরস্কি স্ট্রুক্লি নিয়ে তারা তাদের গ্রিলড ও প্যাস্ট্রিভিত্তিক খাবারের প্রতিনিধিত্ব করেছে। তালিকায় স্থান পাওয়া আরও ইউরোপিয়ান দেশগুলো হলো জার্মানি, রোমানিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র এবং জর্জিয়া।
আমেরিকা মহাদেশের স্বাদযাত্রা
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলো তাদের বিখ্যাত মাংস এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আছে ১৩তম অবস্থানে। সেদ্ধ মেইন লবস্টারের মতো আমেরিকান খাবারের মাধ্যমে ভালো রেটিং অর্জন করেছে দেশটি। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে কাউসা রেলেনা নিয়ে পেরুর অবস্থান ১৪তম। গরুর মাংসের বিখ্যাত কাট পিকানহা নিয়ে ১৬তম অবস্থানে আছে ব্রাজিল। ঐতিহ্যবাহী গ্রিলড মাংস আসাডো নিয়ে এই তালিকায় ২৫তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

ভোজনরসিকেরা যতটা জম্পেশ করে, আগ্রহ নিয়ে খাবার খেয়ে থাকে, রন্ধনকৌশল জানতেও তারা ততটাই মাথা ঘামায়। তারা জানতে চায়, খাবারের ইতিহাস, তার রেসিপি, তার উপাদান ইত্যাদি। তাদের কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিবছর প্রকাশিত হয় ‘টেস্ট অ্যাটলাস’-এর বার্ষিক র্যাঙ্কিং। এই তালিকা বিশ্বের সেরা রন্ধনশৈলীর এক তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে। প্রতিটি দেশের সুপরিচিত এবং সর্বোচ্চ রেট পাওয়া খাবার ও খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যায়নের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই তালিকা।
২০২৫ সালের এই র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ত্রিশে স্থান করে নিয়েছে বিভিন্ন মহাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার। এই বৈশ্বিক র্যাঙ্কিং স্পষ্ট করে, প্রতিটি দেশের রন্ধনশৈলী নিজস্ব ইতিহাস, উপকরণ এবং আবেগ বহন করে। টেস্ট অ্যাটলাস ২০২৫-এর এই তালিকা খাদ্যপ্রেমীদের জন্য এক নতুন স্বাদ ভ্রমণের নিমন্ত্রণ।

শীর্ষ পাঁচে ভূমধ্যসাগরীয় সৌরভ ও মেক্সিকান জাদু
এবার তালিকার চূড়ায় রয়েছে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল এবং মেক্সিকোর সুস্বাদু রন্ধনশৈলী। তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে গ্রিস। তাদের রেটিং দেওয়া হয়েছে ৪ দশমিক ৬০। তাদের ঐতিহ্যবাহী গ্রিল করা খাবার ‘কোকোরিটসি’ বিশ্ব স্বাদের জগতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে ইতালি। দেশটির রেটিং ৪ দশমিক ৫৯। পিৎজাসহ বিশ্বের অসংখ্য জনপ্রিয় খাবারের জন্মভূমি এই দেশ। তৃতীয় স্থান দখল করেছে মেক্সিকো, তাদের রেটিং ৪ দশমিক ৫২। দেশটি তাদের কার্নে আসাডা টাকোসের মতো প্রাণবন্ত ও মসলাদার স্ট্রিট ফুডের মাধ্যমে স্বাদের এক অনন্য জগৎ তৈরি করেছে। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান যথাক্রমে আছে স্পেন ও পর্তুগাল। দেশ দুটি একসঙ্গে ৪ দশমিক ৫০ রেটিং পেয়েছে। স্পেনের ঐতিহ্যবাহী রোস্ট ল্যাম্ব লেচাজো এবং পর্তুগালের মাংস, ক্ল্যাম ও আলুমিশ্রিত পদ কার্নে দে পোর্কো আ আলেন্তেজানা খাদ্যরসিকদের মন জয় করেছে।
প্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বিশেষ স্বাদ
এশীয় রন্ধনশৈলী মসলার জটিল ব্যবহার এবং সুগন্ধি খাবারের জন্য বিখ্যাত। তুরস্কের মতো ইউরেশীয় এবং আফ্রিকান দেশগুলোও এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। তালিকায় স্পেন ও পর্তুগালের র্যাঙ্কিংয়ের নম্বরে আছে তুরস্ক। ইস্কান্দার কেবাপ তাদের সেরা দশে জায়গা করে দিয়েছে। এরপর এশিয়ার দেশ হিসেবে আছে ইন্দোনেশিয়া ও জাপান। জাপান মূলত সুসির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি পেয়েছে। তালিকায় দশম অবস্থানে আছে চীন। দেশটির হট পট বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। মসলাদার কারির দেশ ভারতের অবস্থান বারোতম। তাদের রেটিং দেওয়া হয়েছে ৪ দশমিক ৪২। বান মি থিতের জন্য পরিচিত ভিয়েতনামের অবস্থান ১৯তম।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে থাইল্যান্ড আছে ২৮তম অবস্থানে। তাদের এই অবস্থান নিশ্চিত করেছে ফাট কাফরাও নামের খাবারটি। আফ্রিকার উত্তর প্রান্ত থেকে তালিকায় স্থান পেয়েছে আলজেরিয়া। তাদের অবস্থান একুশতম। এদিকে তিউনিসিয়ার অবস্থান ৩০তম। দেশটি নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পদ ব্রিক নিয়ে সেরা ৩০-এ জায়গা করে নিয়েছে।
ইউরোপের ঐতিহ্য ও বলকান অঞ্চলের গ্রিলড ফ্লেভার

ইউরোপের অন্যান্য অংশ এবং বলকান অঞ্চল তাদের ক্ল্যাসিক ও হৃদয়গ্রাহী খাবারের জন্য পরিচিত। তালিকায় অষ্টম অবস্থানে আছে ফ্রান্স। আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত রন্ধনশৈলী তাদের এই অবস্থানে তুলে এনেছে। মধ্য ইউরোপ থেকে ১১তম অবস্থানে আছে পোল্যান্ড। তাদের বিখ্যাত খাবার পিয়েরোগি বা ডাম্পলিং। হাঙ্গেরির বিশেষ স্ট্যু গুলাশ তার দীর্ঘ ঐতিহ্যের গুণে ২০তম অবস্থানে নিয়ে গেছে হাঙ্গেরিকে। বলকান অঞ্চলের দেশ সার্বিয়া আছে তালিকার ১৫তম অবস্থানে। আর এই অবস্থানে তাদের এনেছে প্লেজেস্কাবিকা নামের একটি খাবার। এটি সার্বিয়ার একটি ঐতিহ্যবাহী গ্রিলড মাংসের পদ। ১৭তম অবস্থানে আছে ক্রোয়েশিয়া। জাগোরস্কি স্ট্রুক্লি নিয়ে তারা তাদের গ্রিলড ও প্যাস্ট্রিভিত্তিক খাবারের প্রতিনিধিত্ব করেছে। তালিকায় স্থান পাওয়া আরও ইউরোপিয়ান দেশগুলো হলো জার্মানি, রোমানিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র এবং জর্জিয়া।
আমেরিকা মহাদেশের স্বাদযাত্রা
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলো তাদের বিখ্যাত মাংস এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আছে ১৩তম অবস্থানে। সেদ্ধ মেইন লবস্টারের মতো আমেরিকান খাবারের মাধ্যমে ভালো রেটিং অর্জন করেছে দেশটি। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে কাউসা রেলেনা নিয়ে পেরুর অবস্থান ১৪তম। গরুর মাংসের বিখ্যাত কাট পিকানহা নিয়ে ১৬তম অবস্থানে আছে ব্রাজিল। ঐতিহ্যবাহী গ্রিলড মাংস আসাডো নিয়ে এই তালিকায় ২৫তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

রেলের শহর হিসেবে খ্যাতি আছে উত্তরের ছোট্ট শহর সৈয়দপুরের। ব্যবসার জন্যও খানিক খ্যাতি আছে। এসব ছাপিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সৈয়দপুরের অন্য এক খ্যাতি তৈরি হয়েছে। সেটা হলো, সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৩৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে। এককভাবে এটি কোনো শিক্ষাপ্
১৯ মার্চ ২০২৩
এই জন-অরণ্য থেকে একটু সরে গেলে দেখা পাওয়া যাবে এক অদেখা নেপালের, যেখানে আছে নীরব প্রকৃতি, থারু অধিবাসীদের একেবারে নিস্তরঙ্গ জীবন, ন্যাশনাল পার্ক আর পার্কভর্তি বিভিন্ন বন্য প্রাণী। বলা হচ্ছে নেপালের দক্ষিণ প্রান্তের একটি অসম্ভব সুন্দর তরাই অঞ্চল অঞ্চলের কথা। নিম্নভূমি অঞ্চলটি নীরবে তুলে ধরে দেশটির...
৭ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার এনার্জি লেভেল থাকবে রকেটগতিতে। কিন্তু গ্রহরা ফিসফিস করে বলছে, ‘অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করে কফির কাপে লবণ দিয়ে দেবেন না, প্লিজ!’ কর্মক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আপনার প্রশংসা হবে, কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার সমাধান দৌড়ে গিয়ে করা যায় না।
৭ ঘণ্টা আগে
ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের কথা শুনলে প্রথমে মনে ভেসে ওঠে প্রাচীন স্থাপনা বা ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ইত্যাদির কথা। কিন্তু জানেন কি, জাতিসংঘের এই সংস্থা অসংখ্য খাদ্য ও রন্ধন ঐতিহ্যকেও স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বীকৃতি পাওয়া খাবারগুলো ‘রিপ্রেজেনটেটিভ লিস্ট অব দ্য ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটিজ’র...
৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

হিমালয়কন্যা নেপাল। দেশটির বরফঢাকা পাহাড়চূড়া, সবুজ উপত্যকা ও সংস্কৃতি একে আকর্ষণীয় করে তুলেছে পর্যটকদের কাছে। এই সৌন্দর্য যে পুরোটাই প্রাকৃতিক, মানুষের সৃষ্টি নয়, সেই তথ্য আমরা জানি। নেপালে হিমালয়, প্রাচীন মন্দির, আদিবাসী সংস্কৃতি, উপত্যকা ইত্যাদি দেখতে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ ভিড় করে। বিখ্যাত ভ্রমণ গন্তব্যগুলো গিজ গিজ করে মানুষে। এই জন-অরণ্য থেকে একটু সরে গেলে দেখা পাওয়া যাবে এক অদেখা নেপালের, যেখানে আছে নীরব প্রকৃতি, থারু অধিবাসীদের একেবারে নিস্তরঙ্গ জীবন, ন্যাশনাল পার্ক আর পার্কভর্তি বিভিন্ন বন্য প্রাণী। বলা হচ্ছে নেপালের দক্ষিণ প্রান্তের একটি অসম্ভব সুন্দর তরাই অঞ্চল অঞ্চলের কথা। নিম্নভূমি অঞ্চলটি নীরবে তুলে ধরে দেশটির এক ভিন্ন চিত্র। বন্য প্রাণী, জাতীয় উদ্যান এবং এক উদ্ভাবনী কমিউনিটি হোমস্টে নেটওয়ার্কের জন্য বিখ্যাত তরাই অঞ্চল। এটি নেপালের আদিবাসী থারু জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল।
নেপালের এই তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত অঞ্চলে ভ্রমণ করা মানেই খাঁটি অভিজ্ঞতা লাভ করা। এখানে থারু সংস্কৃতির প্রাচীন আতিথেয়তার মন্ত্র হলো ‘অতিথি দেব ভবঃ’, অর্থাৎ অতিথি দেবতা।

ধান্য উৎসব এবং থারু আতিথেয়তা
নেপাল-ভারত সীমান্তসংলগ্ন তরাই অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম ভাদা। সেখানে ধান কাটা শেষ আউলি নামের একটি উৎসব উদ্যাপিত হয় মূলত প্রকৃতিমাতাকে ধন্যবাদ জানাতে। এই গ্রাম্যের ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশৈলীর মধ্যে আছে পেঁয়াজ, মরিচ ও কামরাঙার সঙ্গে চিনি, ধনে ও জিরা মিশিয়ে মসলাদার ফলের আচার তৈরি। আউলি উৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ধানখেতের ইঁদুর পুড়িয়ে রান্না করে তা ভোজ হিসেবে গ্রহণ করা। এটি দেবতার কাছে প্রতীকী নিবেদন করা হয়; যাতে আগামী বছরের ফসল ইঁদুরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পায়। উৎসবে ছ্যাঙ নামে চাল বা বাটারগাছের শুকনো ফুল থেকে তৈরি মিষ্টিজাতীয় স্থানীয় পানীয় পরিবেশন করা হয়। এই গ্রামের হোমস্টেগুলো স্থানীয় নারীরা পরিচালনা করেন। এই উদ্যোগ তাদের আর্থিক স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। এই বিষয়গুলো তাদের সামাজিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
বন্য প্রাণীর স্বর্গরাজ্য: তরাই জাতীয় উদ্যান
তরাই অঞ্চলের প্রধান আকর্ষণ থারু সংস্কৃতি। কিন্তু এটি ছাড়াও গ্রামটি সমৃদ্ধ বন্য প্রাণী নিয়ে। এখানকার তৃণভূমি, জলাভূমি এবং উপক্রান্তীয় অরণ্য সংরক্ষিত হয়েছে জাতীয় উদ্যানগুলোতে। এখানকার শুক্লা ফান্টা নামের পার্কে বিপুলসংখ্যক চিত্রল হরিণ। এটি বিশ্বের বৃহত্তম বারাশিঙ্গার আবাসস্থল। বারদিয়া উদ্যানটি বেঙ্গল টাইগারের জন্য বিখ্যাত। এ ছাড়া ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট চিতওয়ানে বাঘ, বুনো এশীয় হাতি এবং বৃহত্তর এক-শৃঙ্গ গন্ডারের সংখ্যা বাড়ছে।
সাফারি ও গন্ডার দর্শন

চিতওয়ান ন্যাশনাল পার্কে প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক ভ্রমণে যায়। কিন্তু এর পার্শ্ববর্তী কমিউনিটি পরিচালিত বনগুলোতে পর্যটকের ভিড় কম থাকে। তবে ভিড় এড়িয়ে যদি বারাউলি গ্রামে যান, দেখতে পাবেন চারটি কমিউনিটি ফরেস্টের প্রবেশদ্বার। বারাউলিতে ১২টি হোমস্টে আছে। সেখানে প্রতিটি পরিবার যাতে সমানভাবে সুবিধা পায়, সে জন্য অতিথিদের ঘোরানো পদ্ধতিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই হোমস্টে ফির ৮০ শতাংশ পরিবারগুলো পায়। বাকিটা স্থানীয় উন্নয়নের জন্য একটি কমিউনিটি ফান্ডে জমা হয়। এই ফান্ড থেকে স্থানীয় স্কুলে ইংরেজি শিক্ষক নিয়োগের মতো কাজ করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় গাইডের সঙ্গে সাফারি করে নারায়ণী নদীর প্রাকৃতিক বাধা অতিক্রম করে কমিউনিটি ফরেস্টে প্রবেশ করা যায়। সেখানে বেঙ্গল টাইগারের সতর্কসংকেত থেকে শুরু করে বন্য শূকর, বারাশিঙ্গা, ময়ূর এবং হর্নবিল পাখি দেখা যায়। এই ভ্রমণের রোমাঞ্চকর অংশ হতে পারে একটি এক-শৃঙ্গ গন্ডার।
পরিবেশের প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি
কমিউনিটি ট্যুরিজমের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে বন্য প্রাণী সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে। একসময় প্রাণীগুলোকে কেবল ফসল নষ্টকারী উপদ্রব হিসেবে দেখা হলেও এখন তারা একে মূল্যবান সম্পদ মনে করে এবং এর সুরক্ষা নিশ্চিত করে। ভ্রমণকারীরা যদি স্থানীয় মানুষ এবং পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ভ্রমণ করে, তবে সবাই উপকৃত হবে। তরাই অঞ্চল প্রমাণ করে, পর্যটনকে স্থানীয় মানুষ এবং প্রকৃতির উন্নতির জন্য কীভাবে এক আদর্শ মডেল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সূত্র: বিবিসি

হিমালয়কন্যা নেপাল। দেশটির বরফঢাকা পাহাড়চূড়া, সবুজ উপত্যকা ও সংস্কৃতি একে আকর্ষণীয় করে তুলেছে পর্যটকদের কাছে। এই সৌন্দর্য যে পুরোটাই প্রাকৃতিক, মানুষের সৃষ্টি নয়, সেই তথ্য আমরা জানি। নেপালে হিমালয়, প্রাচীন মন্দির, আদিবাসী সংস্কৃতি, উপত্যকা ইত্যাদি দেখতে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ ভিড় করে। বিখ্যাত ভ্রমণ গন্তব্যগুলো গিজ গিজ করে মানুষে। এই জন-অরণ্য থেকে একটু সরে গেলে দেখা পাওয়া যাবে এক অদেখা নেপালের, যেখানে আছে নীরব প্রকৃতি, থারু অধিবাসীদের একেবারে নিস্তরঙ্গ জীবন, ন্যাশনাল পার্ক আর পার্কভর্তি বিভিন্ন বন্য প্রাণী। বলা হচ্ছে নেপালের দক্ষিণ প্রান্তের একটি অসম্ভব সুন্দর তরাই অঞ্চল অঞ্চলের কথা। নিম্নভূমি অঞ্চলটি নীরবে তুলে ধরে দেশটির এক ভিন্ন চিত্র। বন্য প্রাণী, জাতীয় উদ্যান এবং এক উদ্ভাবনী কমিউনিটি হোমস্টে নেটওয়ার্কের জন্য বিখ্যাত তরাই অঞ্চল। এটি নেপালের আদিবাসী থারু জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল।
নেপালের এই তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত অঞ্চলে ভ্রমণ করা মানেই খাঁটি অভিজ্ঞতা লাভ করা। এখানে থারু সংস্কৃতির প্রাচীন আতিথেয়তার মন্ত্র হলো ‘অতিথি দেব ভবঃ’, অর্থাৎ অতিথি দেবতা।

ধান্য উৎসব এবং থারু আতিথেয়তা
নেপাল-ভারত সীমান্তসংলগ্ন তরাই অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম ভাদা। সেখানে ধান কাটা শেষ আউলি নামের একটি উৎসব উদ্যাপিত হয় মূলত প্রকৃতিমাতাকে ধন্যবাদ জানাতে। এই গ্রাম্যের ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশৈলীর মধ্যে আছে পেঁয়াজ, মরিচ ও কামরাঙার সঙ্গে চিনি, ধনে ও জিরা মিশিয়ে মসলাদার ফলের আচার তৈরি। আউলি উৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ধানখেতের ইঁদুর পুড়িয়ে রান্না করে তা ভোজ হিসেবে গ্রহণ করা। এটি দেবতার কাছে প্রতীকী নিবেদন করা হয়; যাতে আগামী বছরের ফসল ইঁদুরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পায়। উৎসবে ছ্যাঙ নামে চাল বা বাটারগাছের শুকনো ফুল থেকে তৈরি মিষ্টিজাতীয় স্থানীয় পানীয় পরিবেশন করা হয়। এই গ্রামের হোমস্টেগুলো স্থানীয় নারীরা পরিচালনা করেন। এই উদ্যোগ তাদের আর্থিক স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। এই বিষয়গুলো তাদের সামাজিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
বন্য প্রাণীর স্বর্গরাজ্য: তরাই জাতীয় উদ্যান
তরাই অঞ্চলের প্রধান আকর্ষণ থারু সংস্কৃতি। কিন্তু এটি ছাড়াও গ্রামটি সমৃদ্ধ বন্য প্রাণী নিয়ে। এখানকার তৃণভূমি, জলাভূমি এবং উপক্রান্তীয় অরণ্য সংরক্ষিত হয়েছে জাতীয় উদ্যানগুলোতে। এখানকার শুক্লা ফান্টা নামের পার্কে বিপুলসংখ্যক চিত্রল হরিণ। এটি বিশ্বের বৃহত্তম বারাশিঙ্গার আবাসস্থল। বারদিয়া উদ্যানটি বেঙ্গল টাইগারের জন্য বিখ্যাত। এ ছাড়া ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট চিতওয়ানে বাঘ, বুনো এশীয় হাতি এবং বৃহত্তর এক-শৃঙ্গ গন্ডারের সংখ্যা বাড়ছে।
সাফারি ও গন্ডার দর্শন

চিতওয়ান ন্যাশনাল পার্কে প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক ভ্রমণে যায়। কিন্তু এর পার্শ্ববর্তী কমিউনিটি পরিচালিত বনগুলোতে পর্যটকের ভিড় কম থাকে। তবে ভিড় এড়িয়ে যদি বারাউলি গ্রামে যান, দেখতে পাবেন চারটি কমিউনিটি ফরেস্টের প্রবেশদ্বার। বারাউলিতে ১২টি হোমস্টে আছে। সেখানে প্রতিটি পরিবার যাতে সমানভাবে সুবিধা পায়, সে জন্য অতিথিদের ঘোরানো পদ্ধতিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই হোমস্টে ফির ৮০ শতাংশ পরিবারগুলো পায়। বাকিটা স্থানীয় উন্নয়নের জন্য একটি কমিউনিটি ফান্ডে জমা হয়। এই ফান্ড থেকে স্থানীয় স্কুলে ইংরেজি শিক্ষক নিয়োগের মতো কাজ করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় গাইডের সঙ্গে সাফারি করে নারায়ণী নদীর প্রাকৃতিক বাধা অতিক্রম করে কমিউনিটি ফরেস্টে প্রবেশ করা যায়। সেখানে বেঙ্গল টাইগারের সতর্কসংকেত থেকে শুরু করে বন্য শূকর, বারাশিঙ্গা, ময়ূর এবং হর্নবিল পাখি দেখা যায়। এই ভ্রমণের রোমাঞ্চকর অংশ হতে পারে একটি এক-শৃঙ্গ গন্ডার।
পরিবেশের প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি
কমিউনিটি ট্যুরিজমের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে বন্য প্রাণী সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে। একসময় প্রাণীগুলোকে কেবল ফসল নষ্টকারী উপদ্রব হিসেবে দেখা হলেও এখন তারা একে মূল্যবান সম্পদ মনে করে এবং এর সুরক্ষা নিশ্চিত করে। ভ্রমণকারীরা যদি স্থানীয় মানুষ এবং পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ভ্রমণ করে, তবে সবাই উপকৃত হবে। তরাই অঞ্চল প্রমাণ করে, পর্যটনকে স্থানীয় মানুষ এবং প্রকৃতির উন্নতির জন্য কীভাবে এক আদর্শ মডেল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সূত্র: বিবিসি

রেলের শহর হিসেবে খ্যাতি আছে উত্তরের ছোট্ট শহর সৈয়দপুরের। ব্যবসার জন্যও খানিক খ্যাতি আছে। এসব ছাপিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সৈয়দপুরের অন্য এক খ্যাতি তৈরি হয়েছে। সেটা হলো, সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৩৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে। এককভাবে এটি কোনো শিক্ষাপ্
১৯ মার্চ ২০২৩
ভোজনরসিকদের কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিবছর প্রকাশিত হয় ‘টেস্ট অ্যাটলাস’-এর বার্ষিক র্যাঙ্কিং। এই তালিকা বিশ্বের সেরা রন্ধনশৈলীর এক তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে। প্রতিটি দেশের সুপরিচিত এবং সর্বোচ্চ রেট পাওয়া খাবার ও খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যায়নের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই তালিকা।...
৫ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার এনার্জি লেভেল থাকবে রকেটগতিতে। কিন্তু গ্রহরা ফিসফিস করে বলছে, ‘অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করে কফির কাপে লবণ দিয়ে দেবেন না, প্লিজ!’ কর্মক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আপনার প্রশংসা হবে, কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার সমাধান দৌড়ে গিয়ে করা যায় না।
৭ ঘণ্টা আগে
ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের কথা শুনলে প্রথমে মনে ভেসে ওঠে প্রাচীন স্থাপনা বা ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ইত্যাদির কথা। কিন্তু জানেন কি, জাতিসংঘের এই সংস্থা অসংখ্য খাদ্য ও রন্ধন ঐতিহ্যকেও স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বীকৃতি পাওয়া খাবারগুলো ‘রিপ্রেজেনটেটিভ লিস্ট অব দ্য ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটিজ’র...
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার এনার্জি লেভেল থাকবে রকেটগতিতে। কিন্তু গ্রহরা ফিসফিস করে বলছে, ‘অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করে কফির কাপে লবণ দিয়ে দেবেন না, প্লিজ!’ কর্মক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আপনার প্রশংসা হবে, কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার সমাধান দৌড়ে গিয়ে করা যায় না। প্রেমে আজ আপনি খুব আবেগপ্রবণ। তবে হুট করে কাউকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার আগে একবার ভেবে দেখুন। কারণ, কাল সকালে ঘুম ভাঙলে মনে হতে পারে—‘আরে, এটা আমি কী করলাম?’ সন্ধ্যায় একটা জরুরি কাজ ফেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে ধরা পড়তে পারেন।
বৃষ
আজ আপনার মন শান্তিতে থাকতে চাইবে, বিশেষত সোফার ওপর উপুড় হয়ে শুয়ে। কিন্তু ভাগ্য জোর করে কিছু কঠিন কাজ করাবে। অফিসের ডেস্কে লাঞ্চবক্স আপনার কাছে আজকের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস। কোনো সহকর্মী যদি আপনার প্রিয় মিষ্টির দিকে হাত বাড়ান, তবে আপনি মকর রাশির মতো গম্ভীর হয়ে প্রতিবাদ করতে পারেন। আর্থিক দিক থেকে ভালো খবর আছে, তবে সেই অতিরিক্ত টাকাটা কোনো দামি ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্টে খরচ করে ফেলবেন কি না, সে বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে। জেদ আজ আপনাকে এক কঠিন আলোচনায় জিতিয়ে দেবে, কিন্তু প্রেমের ক্ষেত্রে একটু নরম হোন, নইলে সঙ্গী ভাববেন আপনি পাথর!
মিথুন
আজ আপনার মাথায় একসঙ্গে দুটি সিনেমা চলতে পারে—একটি কমেডি, অন্যটি থ্রিলার। একই সঙ্গে দুটি মিটিংয়ে থাকার চেষ্টা করতে পারেন এবং দুটির একটিতেও মনোযোগ দিতে পারবেন না। ফোন কলে এমনভাবে কথা বলবেন যে অপর প্রান্তের মানুষটি ভাববেন, আপনি হয়তো সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছেন! সন্ধ্যাবেলা প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার কথা থাকলেও আপনি বেরোবেন কি না, তা নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবেন। শেষমেশ হয়তো দুটি অপশনই বাতিল করে বাড়ি বসে সিনেমা দেখবেন। এটাই আপনার আজকের ‘ব্যালেন্স’।
কর্কট
আজ আপনার মুড দোল খাচ্ছে দোলনার মতো—এই হাসছেন, এই চোখের কোণে জল। বস হয়তো সামান্য কিছু বলেছেন, আর আপনি ভাবছেন চাকরিটা বুঝি আর নেই! সন্ধ্যায় বাড়ির আরামদায়ক পরিবেশ আপনার কাছে ভূস্বর্গ। কিন্তু ঘরের জিনিসপত্র গোছাতে গিয়ে পুরোনো স্মৃতি আঁকড়ে ধরে কাঁদতে শুরু করতে পারেন। পরিবার যথেষ্ট সমর্থন দেবে, তবে তাদের সামনে সামান্য হাসি ধরে রাখুন। কারণ, আপনার দুশ্চিন্তা দেখে তারা আপনাকে নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবেন। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আজ মায়ের পরামর্শ মেনে চলুন। একজন পুরোনো বন্ধু হঠাৎ আপনার কাছে ঋণ চাইতে পারে। সামলে!
সিংহ
গ্রহরা আজ চাচ্ছে, একটু বিনীত হোন। কিন্তু আপনি তো ‘রাজা’, তাই বিনয় আপনার ড্রেস কোডে নেই। কর্মস্থলে নিজের কাজের প্রশংসা শুনতে চাইবেন, আর যদি কেউ না করে, তবে নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে নেবেন। আজ আপনার ব্যক্তিত্বে এত ঝলক থাকবে যে অনেকে আপনার থেকে আলো চেয়ে বসতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নাটকীয়তা দেখাতে গিয়ে পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলবেন না। সন্ধ্যাবেলা পার্টিতে মধ্যমণি হওয়ার প্রবল যোগ, কিন্তু মনে রাখবেন, সব সময় ক্যামেরার ফোকাসে থাকার চেষ্টা করলে পা পিছলে যেতে পারে! ভুল করেও অন্যের ক্রেডিট নিতে যাবেন না, তাতে আপনার ‘রাজকীয়’ ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে।
কন্যা
আজ আপনার কাজ হলো জগতের সমস্ত খুঁত খুঁজে বের করা। সহকর্মী বা বাড়ির লোক সামান্য ভুল করলেও আপনি সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবেন। বস একটি রিপোর্ট জমা দিতে বললেন? আপনি সেটা ১০০ বার চেক করবেন এবং প্রতিবারই নতুন একটি বানান ভুল খুঁজে পাবেন। অতিরিক্ত বিশ্লেষণ করতে গিয়ে একটা সহজ সমস্যাকে জটিল করে ফেলবেন। প্রেমের ক্ষেত্রেও আপনার সমালোচনা করার প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। সঙ্গীর জামার রং কেন আপনার পছন্দের নয়, এই নিয়ে তর্ক শুরু হতে পারে। আজ অন্তত একবার ভুল করুন! নইলে পৃথিবী আপনাকে পারফেক্ট রোবট ভেবে বসবে।
তুলা
আজ আপনার জীবনে ‘ব্যালেন্স’ বজায় রাখা খুবই কঠিন। মন আজ দুটি পোশাকের মধ্যে, দুটি খাবারের মেনুর মধ্যে অথবা দুজন মানুষের মধ্যে আটকে থাকবে। যদি বলেন ‘হ্যাঁ’, তবে এক মিনিট পর বলবেন ‘না’। পার্টনারকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়ে শুধু ‘কী খাব’ এই সিদ্ধান্ত নিতেই পুরো সন্ধ্যা পার করে দিতে পারেন। তবে আপনার মননশীলতা আজ অন্যদের মুগ্ধ করবে। কঠিন পরিস্থিতিতেও হাসিমুখে সামলে নেবেন। শুধু চেষ্টা করুন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব যেন অন্য কেউ না নেয়!
বৃশ্চিক
আপনার রহস্যময় ব্যক্তিত্ব আজ চরমে! কেউ কিছু বলুক বা না বলুক, সন্দেহ করবেনই। মনে হবে সবাই আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কর্মস্থলে কোনো গোপন খবর জানার জন্য আপনার মন আজ ছটফট করবে। হয়তো সহকর্মীর ডেস্কে উঁকি মারতে গিয়ে ধরা পড়ে যেতে পারেন! প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গীর প্রতিটি কথা খুঁটিয়ে দেখবেন। যদি সে একটু বেশি হাসে, মনে হবে এর পেছনে কোনো গভীর রহস্য লুকিয়ে আছে। সব রহস্যের উত্তর জানতে নেই, মশাই! কিছু জিনিস যেমন আছে, তেমনই থাকতে দিন। নইলে জীবনটা ডকুমেন্টারি না হয়ে কমেডি শো হয়ে যাবে।
ধনু
আজ মন মুক্ত হাওয়ায় ভাসতে চাইবে, আর আপনি অফিসের ডেস্কে বসে পৃথিবীর ভূগোল নিয়ে গভীর দার্শনিক আলোচনা শুরু করে দেবেন। বসকে বোঝাতে চাইবেন, কেন কাজ ছেড়ে আপনার হিমালয়ে চলে যাওয়া উচিত। আপনার অতিরিক্ত উৎসাহ আর জ্ঞান জাহির করার প্রবণতা অন্যদের কিছুটা বিরক্তির কারণ হতে পারে। আর্থিক দিক ভালো, আপনি হয়তো কোনো বড় ট্রাভেল প্যাকেজে বুকিং দিয়ে ফেলতে পারেন। কিন্তু টিকিট কাটার আগে একবার নিশ্চিত হন, পকেটে টাকা আছে তো? আজ এমন একজনকে জ্ঞানী উপদেশ দেবেন, যিনি আপনার চেয়ে বয়সে এবং জ্ঞানে ঢের বড়।
মকর
গ্রহরা আজ বলছে, আপনার উচিত একটু ছুটি নেওয়া। কিন্তু আপনি তো জন্মগত ওয়ার্কহলিক! আজ হয়তো দুই দিনের কাজ এক দিনে শেষ করে ফেলবেন, এবং তারপর আরও কিছু অতিরিক্ত কাজ খুঁজে বের করবেন। আপনার গম্ভীর মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা আজ ব্যর্থ হতে পারে। কেউ মজার জোকস বললেও হিসাব করবেন, এতে আপনার কত সময় নষ্ট হলো। তবে নিয়মানুবর্তিতা আজ আপনাকে বড় সাফল্য এনে দেবে। সন্ধ্যায় পরিবারকে সময় দিন, তবে প্লিজ সেই সময়টাকেও ‘মিটিং’ বা ‘প্রজেক্ট’ হিসেবে ট্রিট করবেন না! সঙ্গী চাচ্ছেন আপনি কিছু রোমান্টিক কথা বলুন, কিন্তু আপনি হয়তো তাকে আপনার ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বোঝাতে শুরু করবেন।
কুম্ভ
আজ এমন কিছু করবেন, যা কেউ কখনো ভাবেনি। হয়তো উল্টো করে শার্ট পরে অফিসে চলে যাবেন, অথবা সবার সঙ্গে তর্ক করবেন যে মাধ্যাকর্ষণ বল একটি ভুল ধারণা। আইডিয়াগুলো হবে চরম ইউনিক, কিন্তু অনেকে হয়তো তা বুঝতে পারবে না। আপনার মনে হবে, বাকি পৃথিবী আপনার চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে। সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিন, কিন্তু ‘ফ্রি ওয়াইফাই’ খুঁজতে গিয়ে যেন সবার নজরের বাইরে চলে না যান। বন্ধুদের মধ্যে কেউ একজন আপনার উদ্ভট পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। আজ মানবজাতির কল্যাণে কিছু করতে চাইবেন, কিন্তু দিনের শেষে হয়তো কেবল নিজের বিছানাটাই গুছিয়ে রাখবেন।
মীন
আজ সারা দিন মেঘে ভাসবেন। দিনের বেলা কাজ করার সময় হঠাৎ স্বপ্ন দেখা শুরু করতে পারেন। সহকর্মীরা আপনাকে ডাকতে ডাকতে ক্লান্ত হয়ে যাবে। কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ ভুলে যেতে পারেন। কারণ, আপনার প্রিয় চরিত্রের সঙ্গে কাল্পনিক কথোপকথন চলছিল। সৃজনশীল কাজে দুর্দান্ত সাফল্য, কিন্তু সেই সাফল্যকে বাস্তব দুনিয়ায় আনতে গিয়ে হিমশিম খাবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রোমান্টিকতা দেখিয়ে ফেললে সঙ্গী ঘাবড়ে যেতে পারেন। আজ হাঁটার সময় আশপাশে খেয়াল রাখুন। কারণ, আপনার মন যেখানেই থাকুক, শরীরটা কিন্তু ভারাকর্ষণ মেনে চলে। একটা বড়সড় হোঁচট খাওয়া কপালে লেখা আছে!

মেষ
আজ আপনার এনার্জি লেভেল থাকবে রকেটগতিতে। কিন্তু গ্রহরা ফিসফিস করে বলছে, ‘অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করে কফির কাপে লবণ দিয়ে দেবেন না, প্লিজ!’ কর্মক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আপনার প্রশংসা হবে, কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার সমাধান দৌড়ে গিয়ে করা যায় না। প্রেমে আজ আপনি খুব আবেগপ্রবণ। তবে হুট করে কাউকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার আগে একবার ভেবে দেখুন। কারণ, কাল সকালে ঘুম ভাঙলে মনে হতে পারে—‘আরে, এটা আমি কী করলাম?’ সন্ধ্যায় একটা জরুরি কাজ ফেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে ধরা পড়তে পারেন।
বৃষ
আজ আপনার মন শান্তিতে থাকতে চাইবে, বিশেষত সোফার ওপর উপুড় হয়ে শুয়ে। কিন্তু ভাগ্য জোর করে কিছু কঠিন কাজ করাবে। অফিসের ডেস্কে লাঞ্চবক্স আপনার কাছে আজকের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস। কোনো সহকর্মী যদি আপনার প্রিয় মিষ্টির দিকে হাত বাড়ান, তবে আপনি মকর রাশির মতো গম্ভীর হয়ে প্রতিবাদ করতে পারেন। আর্থিক দিক থেকে ভালো খবর আছে, তবে সেই অতিরিক্ত টাকাটা কোনো দামি ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্টে খরচ করে ফেলবেন কি না, সে বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে। জেদ আজ আপনাকে এক কঠিন আলোচনায় জিতিয়ে দেবে, কিন্তু প্রেমের ক্ষেত্রে একটু নরম হোন, নইলে সঙ্গী ভাববেন আপনি পাথর!
মিথুন
আজ আপনার মাথায় একসঙ্গে দুটি সিনেমা চলতে পারে—একটি কমেডি, অন্যটি থ্রিলার। একই সঙ্গে দুটি মিটিংয়ে থাকার চেষ্টা করতে পারেন এবং দুটির একটিতেও মনোযোগ দিতে পারবেন না। ফোন কলে এমনভাবে কথা বলবেন যে অপর প্রান্তের মানুষটি ভাববেন, আপনি হয়তো সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছেন! সন্ধ্যাবেলা প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার কথা থাকলেও আপনি বেরোবেন কি না, তা নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবেন। শেষমেশ হয়তো দুটি অপশনই বাতিল করে বাড়ি বসে সিনেমা দেখবেন। এটাই আপনার আজকের ‘ব্যালেন্স’।
কর্কট
আজ আপনার মুড দোল খাচ্ছে দোলনার মতো—এই হাসছেন, এই চোখের কোণে জল। বস হয়তো সামান্য কিছু বলেছেন, আর আপনি ভাবছেন চাকরিটা বুঝি আর নেই! সন্ধ্যায় বাড়ির আরামদায়ক পরিবেশ আপনার কাছে ভূস্বর্গ। কিন্তু ঘরের জিনিসপত্র গোছাতে গিয়ে পুরোনো স্মৃতি আঁকড়ে ধরে কাঁদতে শুরু করতে পারেন। পরিবার যথেষ্ট সমর্থন দেবে, তবে তাদের সামনে সামান্য হাসি ধরে রাখুন। কারণ, আপনার দুশ্চিন্তা দেখে তারা আপনাকে নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবেন। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আজ মায়ের পরামর্শ মেনে চলুন। একজন পুরোনো বন্ধু হঠাৎ আপনার কাছে ঋণ চাইতে পারে। সামলে!
সিংহ
গ্রহরা আজ চাচ্ছে, একটু বিনীত হোন। কিন্তু আপনি তো ‘রাজা’, তাই বিনয় আপনার ড্রেস কোডে নেই। কর্মস্থলে নিজের কাজের প্রশংসা শুনতে চাইবেন, আর যদি কেউ না করে, তবে নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে নেবেন। আজ আপনার ব্যক্তিত্বে এত ঝলক থাকবে যে অনেকে আপনার থেকে আলো চেয়ে বসতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নাটকীয়তা দেখাতে গিয়ে পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলবেন না। সন্ধ্যাবেলা পার্টিতে মধ্যমণি হওয়ার প্রবল যোগ, কিন্তু মনে রাখবেন, সব সময় ক্যামেরার ফোকাসে থাকার চেষ্টা করলে পা পিছলে যেতে পারে! ভুল করেও অন্যের ক্রেডিট নিতে যাবেন না, তাতে আপনার ‘রাজকীয়’ ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে।
কন্যা
আজ আপনার কাজ হলো জগতের সমস্ত খুঁত খুঁজে বের করা। সহকর্মী বা বাড়ির লোক সামান্য ভুল করলেও আপনি সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবেন। বস একটি রিপোর্ট জমা দিতে বললেন? আপনি সেটা ১০০ বার চেক করবেন এবং প্রতিবারই নতুন একটি বানান ভুল খুঁজে পাবেন। অতিরিক্ত বিশ্লেষণ করতে গিয়ে একটা সহজ সমস্যাকে জটিল করে ফেলবেন। প্রেমের ক্ষেত্রেও আপনার সমালোচনা করার প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। সঙ্গীর জামার রং কেন আপনার পছন্দের নয়, এই নিয়ে তর্ক শুরু হতে পারে। আজ অন্তত একবার ভুল করুন! নইলে পৃথিবী আপনাকে পারফেক্ট রোবট ভেবে বসবে।
তুলা
আজ আপনার জীবনে ‘ব্যালেন্স’ বজায় রাখা খুবই কঠিন। মন আজ দুটি পোশাকের মধ্যে, দুটি খাবারের মেনুর মধ্যে অথবা দুজন মানুষের মধ্যে আটকে থাকবে। যদি বলেন ‘হ্যাঁ’, তবে এক মিনিট পর বলবেন ‘না’। পার্টনারকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়ে শুধু ‘কী খাব’ এই সিদ্ধান্ত নিতেই পুরো সন্ধ্যা পার করে দিতে পারেন। তবে আপনার মননশীলতা আজ অন্যদের মুগ্ধ করবে। কঠিন পরিস্থিতিতেও হাসিমুখে সামলে নেবেন। শুধু চেষ্টা করুন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব যেন অন্য কেউ না নেয়!
বৃশ্চিক
আপনার রহস্যময় ব্যক্তিত্ব আজ চরমে! কেউ কিছু বলুক বা না বলুক, সন্দেহ করবেনই। মনে হবে সবাই আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কর্মস্থলে কোনো গোপন খবর জানার জন্য আপনার মন আজ ছটফট করবে। হয়তো সহকর্মীর ডেস্কে উঁকি মারতে গিয়ে ধরা পড়ে যেতে পারেন! প্রেমের ক্ষেত্রে সঙ্গীর প্রতিটি কথা খুঁটিয়ে দেখবেন। যদি সে একটু বেশি হাসে, মনে হবে এর পেছনে কোনো গভীর রহস্য লুকিয়ে আছে। সব রহস্যের উত্তর জানতে নেই, মশাই! কিছু জিনিস যেমন আছে, তেমনই থাকতে দিন। নইলে জীবনটা ডকুমেন্টারি না হয়ে কমেডি শো হয়ে যাবে।
ধনু
আজ মন মুক্ত হাওয়ায় ভাসতে চাইবে, আর আপনি অফিসের ডেস্কে বসে পৃথিবীর ভূগোল নিয়ে গভীর দার্শনিক আলোচনা শুরু করে দেবেন। বসকে বোঝাতে চাইবেন, কেন কাজ ছেড়ে আপনার হিমালয়ে চলে যাওয়া উচিত। আপনার অতিরিক্ত উৎসাহ আর জ্ঞান জাহির করার প্রবণতা অন্যদের কিছুটা বিরক্তির কারণ হতে পারে। আর্থিক দিক ভালো, আপনি হয়তো কোনো বড় ট্রাভেল প্যাকেজে বুকিং দিয়ে ফেলতে পারেন। কিন্তু টিকিট কাটার আগে একবার নিশ্চিত হন, পকেটে টাকা আছে তো? আজ এমন একজনকে জ্ঞানী উপদেশ দেবেন, যিনি আপনার চেয়ে বয়সে এবং জ্ঞানে ঢের বড়।
মকর
গ্রহরা আজ বলছে, আপনার উচিত একটু ছুটি নেওয়া। কিন্তু আপনি তো জন্মগত ওয়ার্কহলিক! আজ হয়তো দুই দিনের কাজ এক দিনে শেষ করে ফেলবেন, এবং তারপর আরও কিছু অতিরিক্ত কাজ খুঁজে বের করবেন। আপনার গম্ভীর মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা আজ ব্যর্থ হতে পারে। কেউ মজার জোকস বললেও হিসাব করবেন, এতে আপনার কত সময় নষ্ট হলো। তবে নিয়মানুবর্তিতা আজ আপনাকে বড় সাফল্য এনে দেবে। সন্ধ্যায় পরিবারকে সময় দিন, তবে প্লিজ সেই সময়টাকেও ‘মিটিং’ বা ‘প্রজেক্ট’ হিসেবে ট্রিট করবেন না! সঙ্গী চাচ্ছেন আপনি কিছু রোমান্টিক কথা বলুন, কিন্তু আপনি হয়তো তাকে আপনার ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বোঝাতে শুরু করবেন।
কুম্ভ
আজ এমন কিছু করবেন, যা কেউ কখনো ভাবেনি। হয়তো উল্টো করে শার্ট পরে অফিসে চলে যাবেন, অথবা সবার সঙ্গে তর্ক করবেন যে মাধ্যাকর্ষণ বল একটি ভুল ধারণা। আইডিয়াগুলো হবে চরম ইউনিক, কিন্তু অনেকে হয়তো তা বুঝতে পারবে না। আপনার মনে হবে, বাকি পৃথিবী আপনার চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে। সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিন, কিন্তু ‘ফ্রি ওয়াইফাই’ খুঁজতে গিয়ে যেন সবার নজরের বাইরে চলে না যান। বন্ধুদের মধ্যে কেউ একজন আপনার উদ্ভট পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। আজ মানবজাতির কল্যাণে কিছু করতে চাইবেন, কিন্তু দিনের শেষে হয়তো কেবল নিজের বিছানাটাই গুছিয়ে রাখবেন।
মীন
আজ সারা দিন মেঘে ভাসবেন। দিনের বেলা কাজ করার সময় হঠাৎ স্বপ্ন দেখা শুরু করতে পারেন। সহকর্মীরা আপনাকে ডাকতে ডাকতে ক্লান্ত হয়ে যাবে। কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ ভুলে যেতে পারেন। কারণ, আপনার প্রিয় চরিত্রের সঙ্গে কাল্পনিক কথোপকথন চলছিল। সৃজনশীল কাজে দুর্দান্ত সাফল্য, কিন্তু সেই সাফল্যকে বাস্তব দুনিয়ায় আনতে গিয়ে হিমশিম খাবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রোমান্টিকতা দেখিয়ে ফেললে সঙ্গী ঘাবড়ে যেতে পারেন। আজ হাঁটার সময় আশপাশে খেয়াল রাখুন। কারণ, আপনার মন যেখানেই থাকুক, শরীরটা কিন্তু ভারাকর্ষণ মেনে চলে। একটা বড়সড় হোঁচট খাওয়া কপালে লেখা আছে!

রেলের শহর হিসেবে খ্যাতি আছে উত্তরের ছোট্ট শহর সৈয়দপুরের। ব্যবসার জন্যও খানিক খ্যাতি আছে। এসব ছাপিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সৈয়দপুরের অন্য এক খ্যাতি তৈরি হয়েছে। সেটা হলো, সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৩৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে। এককভাবে এটি কোনো শিক্ষাপ্
১৯ মার্চ ২০২৩
ভোজনরসিকদের কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিবছর প্রকাশিত হয় ‘টেস্ট অ্যাটলাস’-এর বার্ষিক র্যাঙ্কিং। এই তালিকা বিশ্বের সেরা রন্ধনশৈলীর এক তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে। প্রতিটি দেশের সুপরিচিত এবং সর্বোচ্চ রেট পাওয়া খাবার ও খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যায়নের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই তালিকা।...
৫ ঘণ্টা আগে
এই জন-অরণ্য থেকে একটু সরে গেলে দেখা পাওয়া যাবে এক অদেখা নেপালের, যেখানে আছে নীরব প্রকৃতি, থারু অধিবাসীদের একেবারে নিস্তরঙ্গ জীবন, ন্যাশনাল পার্ক আর পার্কভর্তি বিভিন্ন বন্য প্রাণী। বলা হচ্ছে নেপালের দক্ষিণ প্রান্তের একটি অসম্ভব সুন্দর তরাই অঞ্চল অঞ্চলের কথা। নিম্নভূমি অঞ্চলটি নীরবে তুলে ধরে দেশটির...
৭ ঘণ্টা আগে
ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের কথা শুনলে প্রথমে মনে ভেসে ওঠে প্রাচীন স্থাপনা বা ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ইত্যাদির কথা। কিন্তু জানেন কি, জাতিসংঘের এই সংস্থা অসংখ্য খাদ্য ও রন্ধন ঐতিহ্যকেও স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বীকৃতি পাওয়া খাবারগুলো ‘রিপ্রেজেনটেটিভ লিস্ট অব দ্য ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটিজ’র...
৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের কথা শুনলে প্রথমে মনে ভেসে ওঠে প্রাচীন স্থাপনা বা ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ইত্যাদির কথা। কিন্তু জানেন কি, জাতিসংঘের এই সংস্থা অসংখ্য খাদ্য ও রন্ধন ঐতিহ্যকেও স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বীকৃতি পাওয়া খাবারগুলো ‘রিপ্রেজেনটেটিভ লিস্ট অব দ্য ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটিজ’র তালিকায় জায়গা পেয়েছে। সংস্কৃতি উদ্যাপন ও সুরক্ষার একটি অংশ হিসেবে ইউনেসকো উৎসব, সামাজিক আচার, লোকায়ত জ্ঞান, উৎপাদন ও ফসল তোলার পদ্ধতি এবং উদ্ভাবনী রন্ধনশৈলীকে গুরুত্বসহকারে দেখে।
ইউনেসকোর এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে, খাবার কেবল পেট ভরানোর উপকরণ নয়; এটি একটি জাতির ইতিহাস, পরিচয়, সামাজিক বন্ধন এবং পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধার প্রকাশ। বিশ্বজুড়ে এই ঐতিহ্যবাহী রন্ধন সংস্কৃতিগুলো কেবল সংরক্ষণের যোগ্য নয়, বরং উদ্যাপনেরও দাবি রাখে।

২০২৪ সালের সংযোজন
২০২৪ সালে এস্তোনিয়ার মুলগিমা অঞ্চলের মুলগি পুডের নামে একটি খাবারকে এই তালিকায় স্থান দেওয়া হয়। এই ঐতিহ্যবাহী খাবার রান্না করা হয় শূকরের ভাজা মাংসের সঙ্গে আলু ও বার্লি সহযোগে। এটি মূলত একটি ভাজা খাবার।
আমরা জানি, কফি ক্লান্তি দূর করে। কিন্তু অ্যারাবিকা কফিকে উদারতার প্রতীক হিসেবে ধরা হয় ওমান, কাতার, জর্ডান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এ কফি পরিবেশন ও পান করা সেসব দেশে দৈনন্দিন আচার। এটি নির্দিষ্ট সামাজিক প্রথা ও শিষ্টাচারের সঙ্গে জড়িত। এই ধারা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অনানুষ্ঠানিকভাবে স্থানান্তরিত হয়। এটি আতিথেয়তা ও উদারতার প্রতীক।
২০২২ সালের গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি
বিটরুট বা গাঁজানো বিটরুটের রস ব্যবহার করে তৈরি করা হয় ইউক্রেনীয় খাবার বোরশ। এই টক ঝোল ঝোল খাবারটি শত শত বছরের পুরোনো। ২০২২ সালে ইউনেসকো এটিকে রিপ্রেজেনটেটিভ লিস্ট অব দ্য ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটিজের তালিকায় যুক্ত করে। সামরিক সংঘাতের কারণে বর্তমানে এর রান্না ও উপভোগ সীমিত হয়ে পড়েছে।

২০২২ সালে ইউনেসকো ফ্রান্সের ব্যাগেত রুটি তৈরির ঐতিহ্যকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই আইকনিক পণ্যের সঙ্গে জড়িত ফরাসি জীবনধারা। ২০২২ সালে তালিকায় যুক্ত হওয়া ‘আল-মানসাফ’ জর্ডানের একটি উৎসবের খাবার। এটি সামাজিক সংহতি ও গভীর পরিচয়ের প্রতীক। কিউব করা ভেড়ার মাংস মসলা দিয়ে সেদ্ধ করা আল-মানসাফ নামের এই খাবার দইয়ের সস দিয়ে পরিবেশন করা হয় ভাতের সঙ্গে।
২০২২ সালে স্বীকৃতি দেওয়া হয় চীনের চা প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে। চা-বাগান ব্যবস্থাপনা, পাতা তোলা, হাতে চা তৈরির প্রক্রিয়া, পান করা এবং ভাগ করে নেওয়ার জ্ঞান ও পদ্ধতির ভিত্তিতে তালিকায় স্থান পায় চীনের চা। হাইতির স্থানীয় কুমড়ো স্কোয়াশ দিয়ে তৈরি হয় জুমু স্যুপ। এই স্যুপ ১৮০৪ সালে দেশটির স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ঐতিহ্যবাহী খাদ্যে পরিণত হয়েছে। এটি ২০২২ সালে তালিকায় যুক্ত করা হয়।
প্রাচীন ও বৈশ্বিক ঐতিহ্য
২০১৭ সালে স্বীকৃতি দেওয়া হয় মালয়েশিয়ার মালায়ির এনসিমা নামের খাবারকে। এটি ভুট্টার আটা দিয়ে তৈরি ঘন লাসসির মতো খাবার। মালয়বাসী এটি মাছের সঙ্গে খায়। নিওপলিটান পিৎজা ইউওলোর শিল্প মূলত ইতালির নেপলসের পিৎজা শেফদের একেবারে নিজস্ব। তাদের বিশেষভাবে ময়দা তৈরির কৌশলের জন্য খাবারটি ২০১৭ সালের ইউনেসকোর তালিকায় যুক্ত হয়। শৈল্পিক প্রদর্শনী এবং কাঠের চুলায় ঘূর্ণন গতির মাধ্যমে এই পিৎজা সেঁকার বিশেষ কৌশল চমকে দেবে আপনাকে।

২০১৬ সালে ইউনেসকো বেলজিয়ান বিয়ারকে অপরিহার্য জীবনযাপনের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই পানীয় বেলজিয়ামের দৈনন্দিন জীবন এবং বেশির ভাগ উৎসব অনুষ্ঠান উদ্যাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উজবেকিস্তানের একটি বিশেষ খাবার প্লভ। ২০১৬ সালে ইউনেসকো হেরিটেজের তালিকায় জায়গা পাওয়া এই খাবার চাল, মাংস, মসলা ও সবজি দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী উজবেক খাবার, যা আতিথেয়তার প্রতীক হিসেবে পরিবেশন করা হয়।
২০১০ সালে ইউনেসকো পুরো মেক্সিকান রন্ধনপ্রণালিকে মানবতার অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বা ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটিজ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। মেক্সিকান খাবারগুলো ভুট্টা, মরিচ, টমেটো, অ্যাভোকাডো ও বিভিন্ন মসলার ব্যবহার এবং ঐতিহ্যবাহী রান্না পদ্ধতির এক মিশ্রণ। অ্যাজটেক, মায়া এবং স্প্যানিশ রন্ধন ঐতিহ্যের সুস্বাদু মিশ্রণ মেক্সিকান খাবার। মেক্সিকোর রন্ধনপ্রণালি কৃষি পদ্ধতি, আচারিক অনুশীলন, পূর্বপুরুষদের রান্নার দক্ষতা এবং সামাজিক প্রথাসংবলিত একটি সংস্কৃতি মডেল হিসেবে স্বীকৃত।
তালিকায় যুক্ত হওয়া উল্লেখযোগ্য আরও কিছু খাবার
তালিকায় অন্তর্ভুক্ত উল্লেখযোগ্য অন্য রন্ধন ঐতিহ্যগুলো হলো—
২০২১: ইতালির ট্রাফল হান্টিং, সেনেগালের চিবু জেন।
২০২০: সিঙ্গাপুরের হকার ফুড সেন্টার সংস্কৃতি, উত্তর আফ্রিকার কুসকুস রন্ধনপ্রণালি, মাল্টার ফটিরা রুটি এবং প্যারাগুয়ের ঐতিহ্যবাহী পানীয় তেরেরে।
২০১৯: মঙ্গোলিয়ায় এরাগ তৈরির ঐতিহ্যবাহী কৌশল।
২০১৩: জাপানের ওয়াশোকু, ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্যাভ্যাস, জর্জিয়ার কুয়েভরি ওয়াইন তৈরি এবং কোরিয়ান উপদ্বীপের কিমজাং।
২০১১: তুরস্কের আনুষ্ঠানিক কেশ কেক ঐতিহ্য।
সূত্র: ইউনেসকো ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ

ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের কথা শুনলে প্রথমে মনে ভেসে ওঠে প্রাচীন স্থাপনা বা ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ইত্যাদির কথা। কিন্তু জানেন কি, জাতিসংঘের এই সংস্থা অসংখ্য খাদ্য ও রন্ধন ঐতিহ্যকেও স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বীকৃতি পাওয়া খাবারগুলো ‘রিপ্রেজেনটেটিভ লিস্ট অব দ্য ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটিজ’র তালিকায় জায়গা পেয়েছে। সংস্কৃতি উদ্যাপন ও সুরক্ষার একটি অংশ হিসেবে ইউনেসকো উৎসব, সামাজিক আচার, লোকায়ত জ্ঞান, উৎপাদন ও ফসল তোলার পদ্ধতি এবং উদ্ভাবনী রন্ধনশৈলীকে গুরুত্বসহকারে দেখে।
ইউনেসকোর এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে, খাবার কেবল পেট ভরানোর উপকরণ নয়; এটি একটি জাতির ইতিহাস, পরিচয়, সামাজিক বন্ধন এবং পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধার প্রকাশ। বিশ্বজুড়ে এই ঐতিহ্যবাহী রন্ধন সংস্কৃতিগুলো কেবল সংরক্ষণের যোগ্য নয়, বরং উদ্যাপনেরও দাবি রাখে।

২০২৪ সালের সংযোজন
২০২৪ সালে এস্তোনিয়ার মুলগিমা অঞ্চলের মুলগি পুডের নামে একটি খাবারকে এই তালিকায় স্থান দেওয়া হয়। এই ঐতিহ্যবাহী খাবার রান্না করা হয় শূকরের ভাজা মাংসের সঙ্গে আলু ও বার্লি সহযোগে। এটি মূলত একটি ভাজা খাবার।
আমরা জানি, কফি ক্লান্তি দূর করে। কিন্তু অ্যারাবিকা কফিকে উদারতার প্রতীক হিসেবে ধরা হয় ওমান, কাতার, জর্ডান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এ কফি পরিবেশন ও পান করা সেসব দেশে দৈনন্দিন আচার। এটি নির্দিষ্ট সামাজিক প্রথা ও শিষ্টাচারের সঙ্গে জড়িত। এই ধারা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অনানুষ্ঠানিকভাবে স্থানান্তরিত হয়। এটি আতিথেয়তা ও উদারতার প্রতীক।
২০২২ সালের গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি
বিটরুট বা গাঁজানো বিটরুটের রস ব্যবহার করে তৈরি করা হয় ইউক্রেনীয় খাবার বোরশ। এই টক ঝোল ঝোল খাবারটি শত শত বছরের পুরোনো। ২০২২ সালে ইউনেসকো এটিকে রিপ্রেজেনটেটিভ লিস্ট অব দ্য ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটিজের তালিকায় যুক্ত করে। সামরিক সংঘাতের কারণে বর্তমানে এর রান্না ও উপভোগ সীমিত হয়ে পড়েছে।

২০২২ সালে ইউনেসকো ফ্রান্সের ব্যাগেত রুটি তৈরির ঐতিহ্যকে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই আইকনিক পণ্যের সঙ্গে জড়িত ফরাসি জীবনধারা। ২০২২ সালে তালিকায় যুক্ত হওয়া ‘আল-মানসাফ’ জর্ডানের একটি উৎসবের খাবার। এটি সামাজিক সংহতি ও গভীর পরিচয়ের প্রতীক। কিউব করা ভেড়ার মাংস মসলা দিয়ে সেদ্ধ করা আল-মানসাফ নামের এই খাবার দইয়ের সস দিয়ে পরিবেশন করা হয় ভাতের সঙ্গে।
২০২২ সালে স্বীকৃতি দেওয়া হয় চীনের চা প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে। চা-বাগান ব্যবস্থাপনা, পাতা তোলা, হাতে চা তৈরির প্রক্রিয়া, পান করা এবং ভাগ করে নেওয়ার জ্ঞান ও পদ্ধতির ভিত্তিতে তালিকায় স্থান পায় চীনের চা। হাইতির স্থানীয় কুমড়ো স্কোয়াশ দিয়ে তৈরি হয় জুমু স্যুপ। এই স্যুপ ১৮০৪ সালে দেশটির স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ঐতিহ্যবাহী খাদ্যে পরিণত হয়েছে। এটি ২০২২ সালে তালিকায় যুক্ত করা হয়।
প্রাচীন ও বৈশ্বিক ঐতিহ্য
২০১৭ সালে স্বীকৃতি দেওয়া হয় মালয়েশিয়ার মালায়ির এনসিমা নামের খাবারকে। এটি ভুট্টার আটা দিয়ে তৈরি ঘন লাসসির মতো খাবার। মালয়বাসী এটি মাছের সঙ্গে খায়। নিওপলিটান পিৎজা ইউওলোর শিল্প মূলত ইতালির নেপলসের পিৎজা শেফদের একেবারে নিজস্ব। তাদের বিশেষভাবে ময়দা তৈরির কৌশলের জন্য খাবারটি ২০১৭ সালের ইউনেসকোর তালিকায় যুক্ত হয়। শৈল্পিক প্রদর্শনী এবং কাঠের চুলায় ঘূর্ণন গতির মাধ্যমে এই পিৎজা সেঁকার বিশেষ কৌশল চমকে দেবে আপনাকে।

২০১৬ সালে ইউনেসকো বেলজিয়ান বিয়ারকে অপরিহার্য জীবনযাপনের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই পানীয় বেলজিয়ামের দৈনন্দিন জীবন এবং বেশির ভাগ উৎসব অনুষ্ঠান উদ্যাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উজবেকিস্তানের একটি বিশেষ খাবার প্লভ। ২০১৬ সালে ইউনেসকো হেরিটেজের তালিকায় জায়গা পাওয়া এই খাবার চাল, মাংস, মসলা ও সবজি দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী উজবেক খাবার, যা আতিথেয়তার প্রতীক হিসেবে পরিবেশন করা হয়।
২০১০ সালে ইউনেসকো পুরো মেক্সিকান রন্ধনপ্রণালিকে মানবতার অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বা ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটিজ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। মেক্সিকান খাবারগুলো ভুট্টা, মরিচ, টমেটো, অ্যাভোকাডো ও বিভিন্ন মসলার ব্যবহার এবং ঐতিহ্যবাহী রান্না পদ্ধতির এক মিশ্রণ। অ্যাজটেক, মায়া এবং স্প্যানিশ রন্ধন ঐতিহ্যের সুস্বাদু মিশ্রণ মেক্সিকান খাবার। মেক্সিকোর রন্ধনপ্রণালি কৃষি পদ্ধতি, আচারিক অনুশীলন, পূর্বপুরুষদের রান্নার দক্ষতা এবং সামাজিক প্রথাসংবলিত একটি সংস্কৃতি মডেল হিসেবে স্বীকৃত।
তালিকায় যুক্ত হওয়া উল্লেখযোগ্য আরও কিছু খাবার
তালিকায় অন্তর্ভুক্ত উল্লেখযোগ্য অন্য রন্ধন ঐতিহ্যগুলো হলো—
২০২১: ইতালির ট্রাফল হান্টিং, সেনেগালের চিবু জেন।
২০২০: সিঙ্গাপুরের হকার ফুড সেন্টার সংস্কৃতি, উত্তর আফ্রিকার কুসকুস রন্ধনপ্রণালি, মাল্টার ফটিরা রুটি এবং প্যারাগুয়ের ঐতিহ্যবাহী পানীয় তেরেরে।
২০১৯: মঙ্গোলিয়ায় এরাগ তৈরির ঐতিহ্যবাহী কৌশল।
২০১৩: জাপানের ওয়াশোকু, ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্যাভ্যাস, জর্জিয়ার কুয়েভরি ওয়াইন তৈরি এবং কোরিয়ান উপদ্বীপের কিমজাং।
২০১১: তুরস্কের আনুষ্ঠানিক কেশ কেক ঐতিহ্য।
সূত্র: ইউনেসকো ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ

রেলের শহর হিসেবে খ্যাতি আছে উত্তরের ছোট্ট শহর সৈয়দপুরের। ব্যবসার জন্যও খানিক খ্যাতি আছে। এসব ছাপিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সৈয়দপুরের অন্য এক খ্যাতি তৈরি হয়েছে। সেটা হলো, সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৩৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে। এককভাবে এটি কোনো শিক্ষাপ্
১৯ মার্চ ২০২৩
ভোজনরসিকদের কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিবছর প্রকাশিত হয় ‘টেস্ট অ্যাটলাস’-এর বার্ষিক র্যাঙ্কিং। এই তালিকা বিশ্বের সেরা রন্ধনশৈলীর এক তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে। প্রতিটি দেশের সুপরিচিত এবং সর্বোচ্চ রেট পাওয়া খাবার ও খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যায়নের ভিত্তিতে তৈরি হয় এই তালিকা।...
৫ ঘণ্টা আগে
এই জন-অরণ্য থেকে একটু সরে গেলে দেখা পাওয়া যাবে এক অদেখা নেপালের, যেখানে আছে নীরব প্রকৃতি, থারু অধিবাসীদের একেবারে নিস্তরঙ্গ জীবন, ন্যাশনাল পার্ক আর পার্কভর্তি বিভিন্ন বন্য প্রাণী। বলা হচ্ছে নেপালের দক্ষিণ প্রান্তের একটি অসম্ভব সুন্দর তরাই অঞ্চল অঞ্চলের কথা। নিম্নভূমি অঞ্চলটি নীরবে তুলে ধরে দেশটির...
৭ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার এনার্জি লেভেল থাকবে রকেটগতিতে। কিন্তু গ্রহরা ফিসফিস করে বলছে, ‘অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করে কফির কাপে লবণ দিয়ে দেবেন না, প্লিজ!’ কর্মক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আপনার প্রশংসা হবে, কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার সমাধান দৌড়ে গিয়ে করা যায় না।
৭ ঘণ্টা আগে