আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। তবে এই প্রক্রিয়া আগের চেয়ে এখন আরও বেশি কঠিন।
সুইডিশ মাইগ্রেশন এজেন্সির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, সুইডেন সরকার নতুন একটি আয়ের নিয়ম ঘোষণা করেছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশি কর্মীদের জন্য প্রতি মাসে করের আগে কমপক্ষে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন (প্রায় ৩ দশমিক ৮১ লাখ টাকা) উপার্জন করা বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম তাঁদের জন্য প্রযোজ্য, যাঁরা কাজের অনুমতি বাড়াতে এবং পরবর্তীকালে স্থায়ী বসবাস নিশ্চিত করতে চান। এখানে সুইডেনের স্থায়ী বসবাসের যোগ্যতা, খরচ, প্রক্রিয়া এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে একটি বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো।
কেন সুইডেনে স্থায়ী বসবাস গুরুত্বপূর্ণ
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেলে প্রতিবছর বা দুই বছর পরপর ভিসার জন্য পুনরায় আবেদন করার ঝামেলা থেকে মুক্তি মেলে। এটি আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং আপনাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের মতো কিছু অধিকারও দেয়। স্থায়ী বসবাসের মর্যাদা পেলে আপনি—
১. আর কোনো নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার অধীনে থাকতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে চাকরি বা ভূমিকা পরিবর্তন করতে পারেন।
২. শেনজেন অঞ্চলের দেশগুলোতে আরও সহজে ভ্রমণ এবং কাজ করার সুযোগ পাবেন।
৩. আপনার পরিবারের সদস্যরাও একটি স্থিতিশীল অভিবাসন মর্যাদা উপভোগ করবে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে।
যোগ্যতার মানদণ্ড
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে অবশ্যই একটি বৈধ কাজের অনুমতি রাখতে হবে। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত দেওয়া হলো—
১. গত সাত বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৪৪ মাস কাজ করার পাশাপাশি আপনার কাছে ৪৮ মাসের জন্য কাজের অনুমতি থাকতে হবে (সাধারণত দুটি দুই বছরের মেয়াদে দেওয়া হয়)।
২. চাকরি ও বেতনের সব প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে আপনার কাজের অনুমতি নবায়নের জন্য যোগ্য হতে হবে।
৩. নিয়মিত আয় এবং আবাসন প্রমাণ করতে হবে।
৪. কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড থাকা যাবে না এবং সুইডেনে একটি ভালো জীবনযাপন করার প্রমাণ দেখাতে হবে।
৫. আপনার কাজের অনুমতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিন আগে আবেদন জমা দেওয়া যেতে পারে। যদি আপনি ৪৮ মাসের নিয়মটি পূরণ না করেন, তবে আপনাকে আবেদনের জন্য ষষ্ঠ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
যোগ্যতার পাশাপাশি কাগজপত্রও আপনার আবেদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবেদন করার সময় এই নথিগুলো প্রস্তুত রাখুন—
১. বৈধ পাসপোর্ট এবং সাম্প্রতিক ভিসার স্ট্যাম্প।
২. চুক্তিপত্র ও বেতনের স্লিপ।
৩. ভাড়া বা মালিকানার কাগজপত্রসহ আবাসনের প্রমাণ।
৪. ব্যাংকের বিবরণী ও আয়কর রিটার্নের কাগজপত্র।
৫. বিমার বিবরণ।
৬. যদি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আবেদন করেন, তাহলে পারিবারিক সম্পর্ক প্রমাণের কাগজপত্র।
এই নথিগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবেদন প্রক্রিয়াকরণ দ্রুত হয় এবং প্রত্যাখ্যানের আশঙ্কা কমে যায়।
আবেদনের ধাপ
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদনকারীরা এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারেন—
১. সুইডেন মাইগ্রেশন এজেন্সির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করুন।
২. বেতনের স্লিপ, আবাসনের প্রমাণ, চুক্তিপত্রসহ প্রয়োজনীয় সব নথি আপলোড করুন।
৩. অনলাইনে আবেদন ফি জমা দিন।
৪. একজন কেস অফিসার নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করুন।
৫. যদি বলা হয়, তাহলে বায়োমেট্রিক জমা দিন।
৬. সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করুন এবং অনুমোদন পেলে আপনার স্থায়ী বসবাসের কার্ড সংগ্রহ করুন।
বেশির ভাগ আবেদনকারীর জন্য এই প্রক্রিয়া ডিজিটাল, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দূতাবাস থেকে সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের নতুন আয়ের নিয়ম
২০২৫ সালের ১৭ জুন থেকে সুইডেন আর্থিক শর্ত বাড়িয়েছে। কাজের অনুমতির জন্য যোগ্য হতে (স্থায়ী বসবাসের দিকে অগ্রসর হতে) হলে আপনাকে সুইডেনের গড় বেতনের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ উপার্জন করতে হবে। এর পরিমাণ হলো প্রতি মাসে করের আগে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন, যা প্রায় ৪ লাখ টাকার সমান।
এ নিয়ম নতুন আবেদন এবং নির্ধারিত সময়সীমার পরে জমা দেওয়া অনুমতির নবায়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে কিছু ক্ষেত্রে যেমন ইইউ বা ইইএ নাগরিক, ব্লু কার্ডধারী, মৌসুমি কর্মী, গবেষক, ক্রীড়াবিদ, ইন্টার্ন এবং আউ পেয়াররা এই নিয়ম থেকে অব্যাহতি পাবেন।
স্থায়ী বসবাসের আবেদনের খরচ
আবেদন ফি প্রায় ১৯ হাজার টাকা, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা কম। তবে এর সময়, কাগজপত্র এবং অপেক্ষার দীর্ঘ প্রক্রিয়া বাড়তি খরচ যোগ করতে পারে।
কিছু সুইডিশ কোম্পানি তাদের কর্মীদের এবং তাদের পরিবারের জন্য এই ফি দিয়ে থাকে। যদি তা না হয়, তাহলে নিয়োগকর্তারা পরিবারের সদস্যদের জন্য কিস্তিতে ফি দেওয়ার ব্যবস্থা করে সাহায্য করতে পারেন।
যদি আপনি স্বাধীনভাবে আবেদন করেন, তাহলে মনে রাখবেন, আপনার আবেদনটি পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে এবং সিদ্ধান্ত আসতে কয়েক মাস বা এমনকি বছরও লেগে যেতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের কিছু সুবিধা
স্থায়ী বসবাস কিছু বিশেষ সুযোগ করে দেয়—
১. ভ্রমণের স্বাধীনতা: শেনজেন অঞ্চলের মধ্যে যাতায়াত করা নিজ দেশের ভিসা থেকে আবেদন করার চেয়ে অনেক সহজ।
২. পারিবারিক স্থিতিশীলতা: পরিবারের সদস্যরা বারবার ভিসা নবায়ন না করেই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের সুবিধা উপভোগ করতে পারে।
৩. নাগরিকত্বের পথ: কয়েক বছর স্থায়ী বসবাসের পর নিজ দেশের নাগরিকত্ব এবং একটি সুইডিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারে।
৪. স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা: সরকারি পরিষেবাগুলোর সুবিধা পারিবারিক জীবনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি মূল্য যোগ করে।
স্থায়ী বসবাস কি বাতিল হতে পারে
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি শর্তহীন নয়। মাইগ্রেশন এজেন্সি এটি বাতিল করতে পারে; যদি—
১. আপনি আর সুইডেনে না থাকেন বা দীর্ঘ সময় বিদেশে কাটান।
২. আবেদনের সময় আপনি মিথ্যা বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে থাকেন।
তবে যদি আপনি সুইডেনে বসবাস চালিয়ে যান এবং নিয়মাবলি মেনে চলেন, তাহলে স্থায়ী বসবাস আপনাকে বারবার নবায়ন ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য বসবাসের অনুমতি দেয়।
চ্যালেঞ্জ
নিয়মাবলি স্পষ্ট হলেও আবেদনকারীদের কিছু বাধার মুখোমুখি হতে হয়। প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো হলো—
১. দীর্ঘ প্রক্রিয়াকরণের সময়, যা কখনো কখনো কয়েক বছর পর্যন্তও বাড়তে পারে।
২. আবেদন পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা।
৩. নিয়মাবলি মাঝপথে পরিবর্তন হওয়া, যা কখনো কখনো পূর্ববর্তী আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়।
৪. নিয়োগকর্তারা সব সময় পরিবারের সদস্যদের ভিসার জন্য সাহায্য না-ও করতে পারেন।
৫. এমনকি ছোটখাটো আইনি সমস্যাও অনুমোদনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
স্থায়ী বসবাস বনাম নাগরিকত্ব: পার্থক্য কী
স্থায়ী বসবাস (পিআর): এটি আপনাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সুইডেনে বসবাস এবং কাজ করার অধিকার দেয়। এটি শেনজেন অঞ্চলে ভ্রমণের স্বাধীনতা এবং স্থিতিশীলতা দেয়, কিন্তু আপনি নিজ দেশের নাগরিক হিসেবে থাকেন।
নাগরিকত্ব: এটি আপনাকে পূর্ণ রাজনৈতিক ও আইনি অধিকার দেয়, যার মধ্যে ভোট দেওয়া, সুইডিশ পাসপোর্ট পাওয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিস্তৃত সুযোগ অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত, স্থায়ী বসবাসের পর পাঁচ বছর থাকার পর (যদি আপনি একজন সুইডিশ নাগরিককে বিয়ে করেন, তাহলে সময়টি কম) এবং ভালো আচরণের প্রমাণ দিলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।
আবেদন গ্রহণের সম্ভাবনা বাড়াতে কিছু টিপস
আপনার স্থায়ী বসবাসের আবেদনকে শক্তিশালী করতে এই বিষয়গুলো মনে রাখুন—
১. নিয়মিত কর্মসংস্থান বজায় রাখুন: কাজের কোনো বিরতি এড়িয়ে চলুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনার বেতনসীমা প্রয়োজনীয় মাপকাঠির সঙ্গে মেলে।
২. আর্থিক রেকর্ড প্রস্তুত রাখুন: ব্যাংকের বিবরণী, বেতনের স্লিপ এবং আবাসনের প্রমাণপত্র আবেদন প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে।
৩. আইনি ঝামেলা এড়িয়ে চলুন: সামান্য অপরাধও আপনার অনুমোদনের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করতে পারে।
৪. সুইডিশ ভাষার মূল বিষয়গুলো শিখুন: ভাষাজ্ঞান বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি আপনার সামাজিক সংহতির আগ্রহ প্রমাণ করে।
৫. সর্বদা খোঁজখবর রাখুন: নিয়মগুলো প্রায়ই পরিবর্তন হয়, তাই মাইগ্রেশন এজেন্সির সর্বশেষ আপডেটগুলো সব সময় যাচাই করুন।
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে কত সময় লাগে—এর উত্তর হলো, আপনার আবেদনের বিষয়টি এবং মাইগ্রেশন এজেন্সির কাজের চাপের ওপর নির্ভর করে প্রক্রিয়াকরণে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
পরিবারের সদস্যরা কি আবেদন করতে পারে
আপনার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও আবেদন করতে পারে, তবে আয় এবং আবাসনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে।

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। তবে এই প্রক্রিয়া আগের চেয়ে এখন আরও বেশি কঠিন।
সুইডিশ মাইগ্রেশন এজেন্সির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, সুইডেন সরকার নতুন একটি আয়ের নিয়ম ঘোষণা করেছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশি কর্মীদের জন্য প্রতি মাসে করের আগে কমপক্ষে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন (প্রায় ৩ দশমিক ৮১ লাখ টাকা) উপার্জন করা বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম তাঁদের জন্য প্রযোজ্য, যাঁরা কাজের অনুমতি বাড়াতে এবং পরবর্তীকালে স্থায়ী বসবাস নিশ্চিত করতে চান। এখানে সুইডেনের স্থায়ী বসবাসের যোগ্যতা, খরচ, প্রক্রিয়া এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে একটি বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো।
কেন সুইডেনে স্থায়ী বসবাস গুরুত্বপূর্ণ
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেলে প্রতিবছর বা দুই বছর পরপর ভিসার জন্য পুনরায় আবেদন করার ঝামেলা থেকে মুক্তি মেলে। এটি আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং আপনাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের মতো কিছু অধিকারও দেয়। স্থায়ী বসবাসের মর্যাদা পেলে আপনি—
১. আর কোনো নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার অধীনে থাকতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে চাকরি বা ভূমিকা পরিবর্তন করতে পারেন।
২. শেনজেন অঞ্চলের দেশগুলোতে আরও সহজে ভ্রমণ এবং কাজ করার সুযোগ পাবেন।
৩. আপনার পরিবারের সদস্যরাও একটি স্থিতিশীল অভিবাসন মর্যাদা উপভোগ করবে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে।
যোগ্যতার মানদণ্ড
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে অবশ্যই একটি বৈধ কাজের অনুমতি রাখতে হবে। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত দেওয়া হলো—
১. গত সাত বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৪৪ মাস কাজ করার পাশাপাশি আপনার কাছে ৪৮ মাসের জন্য কাজের অনুমতি থাকতে হবে (সাধারণত দুটি দুই বছরের মেয়াদে দেওয়া হয়)।
২. চাকরি ও বেতনের সব প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে আপনার কাজের অনুমতি নবায়নের জন্য যোগ্য হতে হবে।
৩. নিয়মিত আয় এবং আবাসন প্রমাণ করতে হবে।
৪. কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড থাকা যাবে না এবং সুইডেনে একটি ভালো জীবনযাপন করার প্রমাণ দেখাতে হবে।
৫. আপনার কাজের অনুমতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিন আগে আবেদন জমা দেওয়া যেতে পারে। যদি আপনি ৪৮ মাসের নিয়মটি পূরণ না করেন, তবে আপনাকে আবেদনের জন্য ষষ্ঠ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
যোগ্যতার পাশাপাশি কাগজপত্রও আপনার আবেদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবেদন করার সময় এই নথিগুলো প্রস্তুত রাখুন—
১. বৈধ পাসপোর্ট এবং সাম্প্রতিক ভিসার স্ট্যাম্প।
২. চুক্তিপত্র ও বেতনের স্লিপ।
৩. ভাড়া বা মালিকানার কাগজপত্রসহ আবাসনের প্রমাণ।
৪. ব্যাংকের বিবরণী ও আয়কর রিটার্নের কাগজপত্র।
৫. বিমার বিবরণ।
৬. যদি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আবেদন করেন, তাহলে পারিবারিক সম্পর্ক প্রমাণের কাগজপত্র।
এই নথিগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবেদন প্রক্রিয়াকরণ দ্রুত হয় এবং প্রত্যাখ্যানের আশঙ্কা কমে যায়।
আবেদনের ধাপ
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদনকারীরা এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারেন—
১. সুইডেন মাইগ্রেশন এজেন্সির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করুন।
২. বেতনের স্লিপ, আবাসনের প্রমাণ, চুক্তিপত্রসহ প্রয়োজনীয় সব নথি আপলোড করুন।
৩. অনলাইনে আবেদন ফি জমা দিন।
৪. একজন কেস অফিসার নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করুন।
৫. যদি বলা হয়, তাহলে বায়োমেট্রিক জমা দিন।
৬. সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করুন এবং অনুমোদন পেলে আপনার স্থায়ী বসবাসের কার্ড সংগ্রহ করুন।
বেশির ভাগ আবেদনকারীর জন্য এই প্রক্রিয়া ডিজিটাল, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দূতাবাস থেকে সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের নতুন আয়ের নিয়ম
২০২৫ সালের ১৭ জুন থেকে সুইডেন আর্থিক শর্ত বাড়িয়েছে। কাজের অনুমতির জন্য যোগ্য হতে (স্থায়ী বসবাসের দিকে অগ্রসর হতে) হলে আপনাকে সুইডেনের গড় বেতনের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ উপার্জন করতে হবে। এর পরিমাণ হলো প্রতি মাসে করের আগে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন, যা প্রায় ৪ লাখ টাকার সমান।
এ নিয়ম নতুন আবেদন এবং নির্ধারিত সময়সীমার পরে জমা দেওয়া অনুমতির নবায়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে কিছু ক্ষেত্রে যেমন ইইউ বা ইইএ নাগরিক, ব্লু কার্ডধারী, মৌসুমি কর্মী, গবেষক, ক্রীড়াবিদ, ইন্টার্ন এবং আউ পেয়াররা এই নিয়ম থেকে অব্যাহতি পাবেন।
স্থায়ী বসবাসের আবেদনের খরচ
আবেদন ফি প্রায় ১৯ হাজার টাকা, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা কম। তবে এর সময়, কাগজপত্র এবং অপেক্ষার দীর্ঘ প্রক্রিয়া বাড়তি খরচ যোগ করতে পারে।
কিছু সুইডিশ কোম্পানি তাদের কর্মীদের এবং তাদের পরিবারের জন্য এই ফি দিয়ে থাকে। যদি তা না হয়, তাহলে নিয়োগকর্তারা পরিবারের সদস্যদের জন্য কিস্তিতে ফি দেওয়ার ব্যবস্থা করে সাহায্য করতে পারেন।
যদি আপনি স্বাধীনভাবে আবেদন করেন, তাহলে মনে রাখবেন, আপনার আবেদনটি পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে এবং সিদ্ধান্ত আসতে কয়েক মাস বা এমনকি বছরও লেগে যেতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের কিছু সুবিধা
স্থায়ী বসবাস কিছু বিশেষ সুযোগ করে দেয়—
১. ভ্রমণের স্বাধীনতা: শেনজেন অঞ্চলের মধ্যে যাতায়াত করা নিজ দেশের ভিসা থেকে আবেদন করার চেয়ে অনেক সহজ।
২. পারিবারিক স্থিতিশীলতা: পরিবারের সদস্যরা বারবার ভিসা নবায়ন না করেই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের সুবিধা উপভোগ করতে পারে।
৩. নাগরিকত্বের পথ: কয়েক বছর স্থায়ী বসবাসের পর নিজ দেশের নাগরিকত্ব এবং একটি সুইডিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারে।
৪. স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা: সরকারি পরিষেবাগুলোর সুবিধা পারিবারিক জীবনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি মূল্য যোগ করে।
স্থায়ী বসবাস কি বাতিল হতে পারে
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি শর্তহীন নয়। মাইগ্রেশন এজেন্সি এটি বাতিল করতে পারে; যদি—
১. আপনি আর সুইডেনে না থাকেন বা দীর্ঘ সময় বিদেশে কাটান।
২. আবেদনের সময় আপনি মিথ্যা বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে থাকেন।
তবে যদি আপনি সুইডেনে বসবাস চালিয়ে যান এবং নিয়মাবলি মেনে চলেন, তাহলে স্থায়ী বসবাস আপনাকে বারবার নবায়ন ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য বসবাসের অনুমতি দেয়।
চ্যালেঞ্জ
নিয়মাবলি স্পষ্ট হলেও আবেদনকারীদের কিছু বাধার মুখোমুখি হতে হয়। প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো হলো—
১. দীর্ঘ প্রক্রিয়াকরণের সময়, যা কখনো কখনো কয়েক বছর পর্যন্তও বাড়তে পারে।
২. আবেদন পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা।
৩. নিয়মাবলি মাঝপথে পরিবর্তন হওয়া, যা কখনো কখনো পূর্ববর্তী আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়।
৪. নিয়োগকর্তারা সব সময় পরিবারের সদস্যদের ভিসার জন্য সাহায্য না-ও করতে পারেন।
৫. এমনকি ছোটখাটো আইনি সমস্যাও অনুমোদনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
স্থায়ী বসবাস বনাম নাগরিকত্ব: পার্থক্য কী
স্থায়ী বসবাস (পিআর): এটি আপনাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সুইডেনে বসবাস এবং কাজ করার অধিকার দেয়। এটি শেনজেন অঞ্চলে ভ্রমণের স্বাধীনতা এবং স্থিতিশীলতা দেয়, কিন্তু আপনি নিজ দেশের নাগরিক হিসেবে থাকেন।
নাগরিকত্ব: এটি আপনাকে পূর্ণ রাজনৈতিক ও আইনি অধিকার দেয়, যার মধ্যে ভোট দেওয়া, সুইডিশ পাসপোর্ট পাওয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিস্তৃত সুযোগ অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত, স্থায়ী বসবাসের পর পাঁচ বছর থাকার পর (যদি আপনি একজন সুইডিশ নাগরিককে বিয়ে করেন, তাহলে সময়টি কম) এবং ভালো আচরণের প্রমাণ দিলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।
আবেদন গ্রহণের সম্ভাবনা বাড়াতে কিছু টিপস
আপনার স্থায়ী বসবাসের আবেদনকে শক্তিশালী করতে এই বিষয়গুলো মনে রাখুন—
১. নিয়মিত কর্মসংস্থান বজায় রাখুন: কাজের কোনো বিরতি এড়িয়ে চলুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনার বেতনসীমা প্রয়োজনীয় মাপকাঠির সঙ্গে মেলে।
২. আর্থিক রেকর্ড প্রস্তুত রাখুন: ব্যাংকের বিবরণী, বেতনের স্লিপ এবং আবাসনের প্রমাণপত্র আবেদন প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে।
৩. আইনি ঝামেলা এড়িয়ে চলুন: সামান্য অপরাধও আপনার অনুমোদনের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করতে পারে।
৪. সুইডিশ ভাষার মূল বিষয়গুলো শিখুন: ভাষাজ্ঞান বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি আপনার সামাজিক সংহতির আগ্রহ প্রমাণ করে।
৫. সর্বদা খোঁজখবর রাখুন: নিয়মগুলো প্রায়ই পরিবর্তন হয়, তাই মাইগ্রেশন এজেন্সির সর্বশেষ আপডেটগুলো সব সময় যাচাই করুন।
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে কত সময় লাগে—এর উত্তর হলো, আপনার আবেদনের বিষয়টি এবং মাইগ্রেশন এজেন্সির কাজের চাপের ওপর নির্ভর করে প্রক্রিয়াকরণে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
পরিবারের সদস্যরা কি আবেদন করতে পারে
আপনার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও আবেদন করতে পারে, তবে আয় এবং আবাসনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। তবে এই প্রক্রিয়া আগের চেয়ে এখন আরও বেশি কঠিন।
সুইডিশ মাইগ্রেশন এজেন্সির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, সুইডেন সরকার নতুন একটি আয়ের নিয়ম ঘোষণা করেছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশি কর্মীদের জন্য প্রতি মাসে করের আগে কমপক্ষে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন (প্রায় ৩ দশমিক ৮১ লাখ টাকা) উপার্জন করা বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম তাঁদের জন্য প্রযোজ্য, যাঁরা কাজের অনুমতি বাড়াতে এবং পরবর্তীকালে স্থায়ী বসবাস নিশ্চিত করতে চান। এখানে সুইডেনের স্থায়ী বসবাসের যোগ্যতা, খরচ, প্রক্রিয়া এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে একটি বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো।
কেন সুইডেনে স্থায়ী বসবাস গুরুত্বপূর্ণ
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেলে প্রতিবছর বা দুই বছর পরপর ভিসার জন্য পুনরায় আবেদন করার ঝামেলা থেকে মুক্তি মেলে। এটি আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং আপনাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের মতো কিছু অধিকারও দেয়। স্থায়ী বসবাসের মর্যাদা পেলে আপনি—
১. আর কোনো নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার অধীনে থাকতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে চাকরি বা ভূমিকা পরিবর্তন করতে পারেন।
২. শেনজেন অঞ্চলের দেশগুলোতে আরও সহজে ভ্রমণ এবং কাজ করার সুযোগ পাবেন।
৩. আপনার পরিবারের সদস্যরাও একটি স্থিতিশীল অভিবাসন মর্যাদা উপভোগ করবে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে।
যোগ্যতার মানদণ্ড
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে অবশ্যই একটি বৈধ কাজের অনুমতি রাখতে হবে। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত দেওয়া হলো—
১. গত সাত বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৪৪ মাস কাজ করার পাশাপাশি আপনার কাছে ৪৮ মাসের জন্য কাজের অনুমতি থাকতে হবে (সাধারণত দুটি দুই বছরের মেয়াদে দেওয়া হয়)।
২. চাকরি ও বেতনের সব প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে আপনার কাজের অনুমতি নবায়নের জন্য যোগ্য হতে হবে।
৩. নিয়মিত আয় এবং আবাসন প্রমাণ করতে হবে।
৪. কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড থাকা যাবে না এবং সুইডেনে একটি ভালো জীবনযাপন করার প্রমাণ দেখাতে হবে।
৫. আপনার কাজের অনুমতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিন আগে আবেদন জমা দেওয়া যেতে পারে। যদি আপনি ৪৮ মাসের নিয়মটি পূরণ না করেন, তবে আপনাকে আবেদনের জন্য ষষ্ঠ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
যোগ্যতার পাশাপাশি কাগজপত্রও আপনার আবেদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবেদন করার সময় এই নথিগুলো প্রস্তুত রাখুন—
১. বৈধ পাসপোর্ট এবং সাম্প্রতিক ভিসার স্ট্যাম্প।
২. চুক্তিপত্র ও বেতনের স্লিপ।
৩. ভাড়া বা মালিকানার কাগজপত্রসহ আবাসনের প্রমাণ।
৪. ব্যাংকের বিবরণী ও আয়কর রিটার্নের কাগজপত্র।
৫. বিমার বিবরণ।
৬. যদি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আবেদন করেন, তাহলে পারিবারিক সম্পর্ক প্রমাণের কাগজপত্র।
এই নথিগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবেদন প্রক্রিয়াকরণ দ্রুত হয় এবং প্রত্যাখ্যানের আশঙ্কা কমে যায়।
আবেদনের ধাপ
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদনকারীরা এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারেন—
১. সুইডেন মাইগ্রেশন এজেন্সির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করুন।
২. বেতনের স্লিপ, আবাসনের প্রমাণ, চুক্তিপত্রসহ প্রয়োজনীয় সব নথি আপলোড করুন।
৩. অনলাইনে আবেদন ফি জমা দিন।
৪. একজন কেস অফিসার নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করুন।
৫. যদি বলা হয়, তাহলে বায়োমেট্রিক জমা দিন।
৬. সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করুন এবং অনুমোদন পেলে আপনার স্থায়ী বসবাসের কার্ড সংগ্রহ করুন।
বেশির ভাগ আবেদনকারীর জন্য এই প্রক্রিয়া ডিজিটাল, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দূতাবাস থেকে সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের নতুন আয়ের নিয়ম
২০২৫ সালের ১৭ জুন থেকে সুইডেন আর্থিক শর্ত বাড়িয়েছে। কাজের অনুমতির জন্য যোগ্য হতে (স্থায়ী বসবাসের দিকে অগ্রসর হতে) হলে আপনাকে সুইডেনের গড় বেতনের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ উপার্জন করতে হবে। এর পরিমাণ হলো প্রতি মাসে করের আগে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন, যা প্রায় ৪ লাখ টাকার সমান।
এ নিয়ম নতুন আবেদন এবং নির্ধারিত সময়সীমার পরে জমা দেওয়া অনুমতির নবায়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে কিছু ক্ষেত্রে যেমন ইইউ বা ইইএ নাগরিক, ব্লু কার্ডধারী, মৌসুমি কর্মী, গবেষক, ক্রীড়াবিদ, ইন্টার্ন এবং আউ পেয়াররা এই নিয়ম থেকে অব্যাহতি পাবেন।
স্থায়ী বসবাসের আবেদনের খরচ
আবেদন ফি প্রায় ১৯ হাজার টাকা, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা কম। তবে এর সময়, কাগজপত্র এবং অপেক্ষার দীর্ঘ প্রক্রিয়া বাড়তি খরচ যোগ করতে পারে।
কিছু সুইডিশ কোম্পানি তাদের কর্মীদের এবং তাদের পরিবারের জন্য এই ফি দিয়ে থাকে। যদি তা না হয়, তাহলে নিয়োগকর্তারা পরিবারের সদস্যদের জন্য কিস্তিতে ফি দেওয়ার ব্যবস্থা করে সাহায্য করতে পারেন।
যদি আপনি স্বাধীনভাবে আবেদন করেন, তাহলে মনে রাখবেন, আপনার আবেদনটি পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে এবং সিদ্ধান্ত আসতে কয়েক মাস বা এমনকি বছরও লেগে যেতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের কিছু সুবিধা
স্থায়ী বসবাস কিছু বিশেষ সুযোগ করে দেয়—
১. ভ্রমণের স্বাধীনতা: শেনজেন অঞ্চলের মধ্যে যাতায়াত করা নিজ দেশের ভিসা থেকে আবেদন করার চেয়ে অনেক সহজ।
২. পারিবারিক স্থিতিশীলতা: পরিবারের সদস্যরা বারবার ভিসা নবায়ন না করেই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের সুবিধা উপভোগ করতে পারে।
৩. নাগরিকত্বের পথ: কয়েক বছর স্থায়ী বসবাসের পর নিজ দেশের নাগরিকত্ব এবং একটি সুইডিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারে।
৪. স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা: সরকারি পরিষেবাগুলোর সুবিধা পারিবারিক জীবনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি মূল্য যোগ করে।
স্থায়ী বসবাস কি বাতিল হতে পারে
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি শর্তহীন নয়। মাইগ্রেশন এজেন্সি এটি বাতিল করতে পারে; যদি—
১. আপনি আর সুইডেনে না থাকেন বা দীর্ঘ সময় বিদেশে কাটান।
২. আবেদনের সময় আপনি মিথ্যা বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে থাকেন।
তবে যদি আপনি সুইডেনে বসবাস চালিয়ে যান এবং নিয়মাবলি মেনে চলেন, তাহলে স্থায়ী বসবাস আপনাকে বারবার নবায়ন ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য বসবাসের অনুমতি দেয়।
চ্যালেঞ্জ
নিয়মাবলি স্পষ্ট হলেও আবেদনকারীদের কিছু বাধার মুখোমুখি হতে হয়। প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো হলো—
১. দীর্ঘ প্রক্রিয়াকরণের সময়, যা কখনো কখনো কয়েক বছর পর্যন্তও বাড়তে পারে।
২. আবেদন পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা।
৩. নিয়মাবলি মাঝপথে পরিবর্তন হওয়া, যা কখনো কখনো পূর্ববর্তী আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়।
৪. নিয়োগকর্তারা সব সময় পরিবারের সদস্যদের ভিসার জন্য সাহায্য না-ও করতে পারেন।
৫. এমনকি ছোটখাটো আইনি সমস্যাও অনুমোদনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
স্থায়ী বসবাস বনাম নাগরিকত্ব: পার্থক্য কী
স্থায়ী বসবাস (পিআর): এটি আপনাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সুইডেনে বসবাস এবং কাজ করার অধিকার দেয়। এটি শেনজেন অঞ্চলে ভ্রমণের স্বাধীনতা এবং স্থিতিশীলতা দেয়, কিন্তু আপনি নিজ দেশের নাগরিক হিসেবে থাকেন।
নাগরিকত্ব: এটি আপনাকে পূর্ণ রাজনৈতিক ও আইনি অধিকার দেয়, যার মধ্যে ভোট দেওয়া, সুইডিশ পাসপোর্ট পাওয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিস্তৃত সুযোগ অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত, স্থায়ী বসবাসের পর পাঁচ বছর থাকার পর (যদি আপনি একজন সুইডিশ নাগরিককে বিয়ে করেন, তাহলে সময়টি কম) এবং ভালো আচরণের প্রমাণ দিলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।
আবেদন গ্রহণের সম্ভাবনা বাড়াতে কিছু টিপস
আপনার স্থায়ী বসবাসের আবেদনকে শক্তিশালী করতে এই বিষয়গুলো মনে রাখুন—
১. নিয়মিত কর্মসংস্থান বজায় রাখুন: কাজের কোনো বিরতি এড়িয়ে চলুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনার বেতনসীমা প্রয়োজনীয় মাপকাঠির সঙ্গে মেলে।
২. আর্থিক রেকর্ড প্রস্তুত রাখুন: ব্যাংকের বিবরণী, বেতনের স্লিপ এবং আবাসনের প্রমাণপত্র আবেদন প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে।
৩. আইনি ঝামেলা এড়িয়ে চলুন: সামান্য অপরাধও আপনার অনুমোদনের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করতে পারে।
৪. সুইডিশ ভাষার মূল বিষয়গুলো শিখুন: ভাষাজ্ঞান বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি আপনার সামাজিক সংহতির আগ্রহ প্রমাণ করে।
৫. সর্বদা খোঁজখবর রাখুন: নিয়মগুলো প্রায়ই পরিবর্তন হয়, তাই মাইগ্রেশন এজেন্সির সর্বশেষ আপডেটগুলো সব সময় যাচাই করুন।
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে কত সময় লাগে—এর উত্তর হলো, আপনার আবেদনের বিষয়টি এবং মাইগ্রেশন এজেন্সির কাজের চাপের ওপর নির্ভর করে প্রক্রিয়াকরণে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
পরিবারের সদস্যরা কি আবেদন করতে পারে
আপনার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও আবেদন করতে পারে, তবে আয় এবং আবাসনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে।

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। তবে এই প্রক্রিয়া আগের চেয়ে এখন আরও বেশি কঠিন।
সুইডিশ মাইগ্রেশন এজেন্সির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, সুইডেন সরকার নতুন একটি আয়ের নিয়ম ঘোষণা করেছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশি কর্মীদের জন্য প্রতি মাসে করের আগে কমপক্ষে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন (প্রায় ৩ দশমিক ৮১ লাখ টাকা) উপার্জন করা বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম তাঁদের জন্য প্রযোজ্য, যাঁরা কাজের অনুমতি বাড়াতে এবং পরবর্তীকালে স্থায়ী বসবাস নিশ্চিত করতে চান। এখানে সুইডেনের স্থায়ী বসবাসের যোগ্যতা, খরচ, প্রক্রিয়া এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে একটি বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হলো।
কেন সুইডেনে স্থায়ী বসবাস গুরুত্বপূর্ণ
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেলে প্রতিবছর বা দুই বছর পরপর ভিসার জন্য পুনরায় আবেদন করার ঝামেলা থেকে মুক্তি মেলে। এটি আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং আপনাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের মতো কিছু অধিকারও দেয়। স্থায়ী বসবাসের মর্যাদা পেলে আপনি—
১. আর কোনো নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার অধীনে থাকতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে চাকরি বা ভূমিকা পরিবর্তন করতে পারেন।
২. শেনজেন অঞ্চলের দেশগুলোতে আরও সহজে ভ্রমণ এবং কাজ করার সুযোগ পাবেন।
৩. আপনার পরিবারের সদস্যরাও একটি স্থিতিশীল অভিবাসন মর্যাদা উপভোগ করবে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে।
যোগ্যতার মানদণ্ড
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে অবশ্যই একটি বৈধ কাজের অনুমতি রাখতে হবে। নিচে এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত দেওয়া হলো—
১. গত সাত বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৪৪ মাস কাজ করার পাশাপাশি আপনার কাছে ৪৮ মাসের জন্য কাজের অনুমতি থাকতে হবে (সাধারণত দুটি দুই বছরের মেয়াদে দেওয়া হয়)।
২. চাকরি ও বেতনের সব প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে আপনার কাজের অনুমতি নবায়নের জন্য যোগ্য হতে হবে।
৩. নিয়মিত আয় এবং আবাসন প্রমাণ করতে হবে।
৪. কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড থাকা যাবে না এবং সুইডেনে একটি ভালো জীবনযাপন করার প্রমাণ দেখাতে হবে।
৫. আপনার কাজের অনুমতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিন আগে আবেদন জমা দেওয়া যেতে পারে। যদি আপনি ৪৮ মাসের নিয়মটি পূরণ না করেন, তবে আপনাকে আবেদনের জন্য ষষ্ঠ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
যোগ্যতার পাশাপাশি কাগজপত্রও আপনার আবেদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবেদন করার সময় এই নথিগুলো প্রস্তুত রাখুন—
১. বৈধ পাসপোর্ট এবং সাম্প্রতিক ভিসার স্ট্যাম্প।
২. চুক্তিপত্র ও বেতনের স্লিপ।
৩. ভাড়া বা মালিকানার কাগজপত্রসহ আবাসনের প্রমাণ।
৪. ব্যাংকের বিবরণী ও আয়কর রিটার্নের কাগজপত্র।
৫. বিমার বিবরণ।
৬. যদি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আবেদন করেন, তাহলে পারিবারিক সম্পর্ক প্রমাণের কাগজপত্র।
এই নথিগুলো সঠিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবেদন প্রক্রিয়াকরণ দ্রুত হয় এবং প্রত্যাখ্যানের আশঙ্কা কমে যায়।
আবেদনের ধাপ
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদনকারীরা এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারেন—
১. সুইডেন মাইগ্রেশন এজেন্সির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করুন।
২. বেতনের স্লিপ, আবাসনের প্রমাণ, চুক্তিপত্রসহ প্রয়োজনীয় সব নথি আপলোড করুন।
৩. অনলাইনে আবেদন ফি জমা দিন।
৪. একজন কেস অফিসার নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করুন।
৫. যদি বলা হয়, তাহলে বায়োমেট্রিক জমা দিন।
৬. সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করুন এবং অনুমোদন পেলে আপনার স্থায়ী বসবাসের কার্ড সংগ্রহ করুন।
বেশির ভাগ আবেদনকারীর জন্য এই প্রক্রিয়া ডিজিটাল, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দূতাবাস থেকে সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের নতুন আয়ের নিয়ম
২০২৫ সালের ১৭ জুন থেকে সুইডেন আর্থিক শর্ত বাড়িয়েছে। কাজের অনুমতির জন্য যোগ্য হতে (স্থায়ী বসবাসের দিকে অগ্রসর হতে) হলে আপনাকে সুইডেনের গড় বেতনের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ উপার্জন করতে হবে। এর পরিমাণ হলো প্রতি মাসে করের আগে ২৯ হাজার ৬৮০ সুইডিশ ক্রোন, যা প্রায় ৪ লাখ টাকার সমান।
এ নিয়ম নতুন আবেদন এবং নির্ধারিত সময়সীমার পরে জমা দেওয়া অনুমতির নবায়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে কিছু ক্ষেত্রে যেমন ইইউ বা ইইএ নাগরিক, ব্লু কার্ডধারী, মৌসুমি কর্মী, গবেষক, ক্রীড়াবিদ, ইন্টার্ন এবং আউ পেয়াররা এই নিয়ম থেকে অব্যাহতি পাবেন।
স্থায়ী বসবাসের আবেদনের খরচ
আবেদন ফি প্রায় ১৯ হাজার টাকা, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা কম। তবে এর সময়, কাগজপত্র এবং অপেক্ষার দীর্ঘ প্রক্রিয়া বাড়তি খরচ যোগ করতে পারে।
কিছু সুইডিশ কোম্পানি তাদের কর্মীদের এবং তাদের পরিবারের জন্য এই ফি দিয়ে থাকে। যদি তা না হয়, তাহলে নিয়োগকর্তারা পরিবারের সদস্যদের জন্য কিস্তিতে ফি দেওয়ার ব্যবস্থা করে সাহায্য করতে পারেন।
যদি আপনি স্বাধীনভাবে আবেদন করেন, তাহলে মনে রাখবেন, আপনার আবেদনটি পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে এবং সিদ্ধান্ত আসতে কয়েক মাস বা এমনকি বছরও লেগে যেতে পারে।
স্থায়ী বসবাসের কিছু সুবিধা
স্থায়ী বসবাস কিছু বিশেষ সুযোগ করে দেয়—
১. ভ্রমণের স্বাধীনতা: শেনজেন অঞ্চলের মধ্যে যাতায়াত করা নিজ দেশের ভিসা থেকে আবেদন করার চেয়ে অনেক সহজ।
২. পারিবারিক স্থিতিশীলতা: পরিবারের সদস্যরা বারবার ভিসা নবায়ন না করেই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের সুবিধা উপভোগ করতে পারে।
৩. নাগরিকত্বের পথ: কয়েক বছর স্থায়ী বসবাসের পর নিজ দেশের নাগরিকত্ব এবং একটি সুইডিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারে।
৪. স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা: সরকারি পরিষেবাগুলোর সুবিধা পারিবারিক জীবনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি মূল্য যোগ করে।
স্থায়ী বসবাস কি বাতিল হতে পারে
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি শর্তহীন নয়। মাইগ্রেশন এজেন্সি এটি বাতিল করতে পারে; যদি—
১. আপনি আর সুইডেনে না থাকেন বা দীর্ঘ সময় বিদেশে কাটান।
২. আবেদনের সময় আপনি মিথ্যা বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে থাকেন।
তবে যদি আপনি সুইডেনে বসবাস চালিয়ে যান এবং নিয়মাবলি মেনে চলেন, তাহলে স্থায়ী বসবাস আপনাকে বারবার নবায়ন ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য বসবাসের অনুমতি দেয়।
চ্যালেঞ্জ
নিয়মাবলি স্পষ্ট হলেও আবেদনকারীদের কিছু বাধার মুখোমুখি হতে হয়। প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো হলো—
১. দীর্ঘ প্রক্রিয়াকরণের সময়, যা কখনো কখনো কয়েক বছর পর্যন্তও বাড়তে পারে।
২. আবেদন পর্যালোচনাধীন থাকা অবস্থায় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা।
৩. নিয়মাবলি মাঝপথে পরিবর্তন হওয়া, যা কখনো কখনো পূর্ববর্তী আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়।
৪. নিয়োগকর্তারা সব সময় পরিবারের সদস্যদের ভিসার জন্য সাহায্য না-ও করতে পারেন।
৫. এমনকি ছোটখাটো আইনি সমস্যাও অনুমোদনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
স্থায়ী বসবাস বনাম নাগরিকত্ব: পার্থক্য কী
স্থায়ী বসবাস (পিআর): এটি আপনাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সুইডেনে বসবাস এবং কাজ করার অধিকার দেয়। এটি শেনজেন অঞ্চলে ভ্রমণের স্বাধীনতা এবং স্থিতিশীলতা দেয়, কিন্তু আপনি নিজ দেশের নাগরিক হিসেবে থাকেন।
নাগরিকত্ব: এটি আপনাকে পূর্ণ রাজনৈতিক ও আইনি অধিকার দেয়, যার মধ্যে ভোট দেওয়া, সুইডিশ পাসপোর্ট পাওয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিস্তৃত সুযোগ অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত, স্থায়ী বসবাসের পর পাঁচ বছর থাকার পর (যদি আপনি একজন সুইডিশ নাগরিককে বিয়ে করেন, তাহলে সময়টি কম) এবং ভালো আচরণের প্রমাণ দিলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।
আবেদন গ্রহণের সম্ভাবনা বাড়াতে কিছু টিপস
আপনার স্থায়ী বসবাসের আবেদনকে শক্তিশালী করতে এই বিষয়গুলো মনে রাখুন—
১. নিয়মিত কর্মসংস্থান বজায় রাখুন: কাজের কোনো বিরতি এড়িয়ে চলুন এবং নিশ্চিত করুন যে আপনার বেতনসীমা প্রয়োজনীয় মাপকাঠির সঙ্গে মেলে।
২. আর্থিক রেকর্ড প্রস্তুত রাখুন: ব্যাংকের বিবরণী, বেতনের স্লিপ এবং আবাসনের প্রমাণপত্র আবেদন প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে।
৩. আইনি ঝামেলা এড়িয়ে চলুন: সামান্য অপরাধও আপনার অনুমোদনের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করতে পারে।
৪. সুইডিশ ভাষার মূল বিষয়গুলো শিখুন: ভাষাজ্ঞান বাধ্যতামূলক নয়, তবে এটি আপনার সামাজিক সংহতির আগ্রহ প্রমাণ করে।
৫. সর্বদা খোঁজখবর রাখুন: নিয়মগুলো প্রায়ই পরিবর্তন হয়, তাই মাইগ্রেশন এজেন্সির সর্বশেষ আপডেটগুলো সব সময় যাচাই করুন।
সুইডেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতে কত সময় লাগে—এর উত্তর হলো, আপনার আবেদনের বিষয়টি এবং মাইগ্রেশন এজেন্সির কাজের চাপের ওপর নির্ভর করে প্রক্রিয়াকরণে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
পরিবারের সদস্যরা কি আবেদন করতে পারে
আপনার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও আবেদন করতে পারে, তবে আয় এবং আবাসনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে।

শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
৪৩ মিনিট আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৭ ঘণ্টা আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ডিসেম্বরের ছুটির দিন খানিকটা আলাদা তো বটেই। এমন শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
গরুর মাংস ১ কেজি, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২ পিস, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ফালি ৮ থেকে ১০টি, বেরেস্তা আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ।
প্রণালি
গরুর মাংস টক দই এবং সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রাখুন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে তাতে মাখানো মাংস দিয়ে দিন। তারপর ভালোভাবে নেড়ে অল্প আঁচে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রান্না করে ঢাকনা দিয়ে দিন। এবার ঢাকনা খুলে মাংস ভালোভাবে কষান। যদি মাংস সেদ্ধ না হয়, তবে সামান্য পানি দিন। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে কাঁচা মরিচ ফালি ও পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে দমে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। ব্যস, রান্না হয়ে গেল কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসা।

ডিসেম্বরের ছুটির দিন খানিকটা আলাদা তো বটেই। এমন শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
গরুর মাংস ১ কেজি, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২ পিস, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ফালি ৮ থেকে ১০টি, বেরেস্তা আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ।
প্রণালি
গরুর মাংস টক দই এবং সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রাখুন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে তাতে মাখানো মাংস দিয়ে দিন। তারপর ভালোভাবে নেড়ে অল্প আঁচে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রান্না করে ঢাকনা দিয়ে দিন। এবার ঢাকনা খুলে মাংস ভালোভাবে কষান। যদি মাংস সেদ্ধ না হয়, তবে সামান্য পানি দিন। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে কাঁচা মরিচ ফালি ও পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে দমে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। ব্যস, রান্না হয়ে গেল কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসা।

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে...
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৭ ঘণ্টা আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগেফারিয়া রহমান খান

রুপালি পর্দায় ষাটের দশকের নায়িকাদের দেখলে এখনো মুগ্ধতা কাজ করে। অথচ সে সময়ে এখনকার মতো আধুনিক মেকআপ কিট তো ছিলই না, বরং মেকআপ নিখুঁত করতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হতো। তবু সে সময়কার মেকআপ লুক এখনকার মেকআপ থেকে অনেকটা আলাদা হওয়া সত্ত্বেও কেমন যেন এক মায়া ভ্রম সৃষ্টি করে। সে কারণেই কিনা, সেই সব লুক নানান সময় কোনো না কোনোভাবে ফিরে ফিরে এসেছে। একেবারে শতভাগ না হলেও আলাদাভাবে চোখের সাজ, ঠোঁটের সাজ, বেজ মেকআপ—সবই কোনো না কোনোভাবে ঘুরেফিরে ঠিকই জায়গা করে নিচ্ছে তরুণীদের মনে।
সেই সময়ের মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।
ষাটের দশকে মেকআপের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত চোখ। সে সময়ের জনপ্রিয় লুক ছিল মডেল টুইগির ‘ডল-আইড’। এই মেকআপে দুই থেকে তিন স্তরের মাসকারা ব্যবহার করে চোখের পাপড়িকে খুবই ঘন, লম্বা ও ড্রামাটিক করা হতো। সঙ্গে চোখের নিচের পাতার ওয়াটার লাইনে সাদা আই পেনসিল ব্যবহার করে চোখের আকৃতি পুতুলের চোখের মতো বড় দেখানো হতো।
এই দশকে চোখের সাজে আইলাইনারের ব্যবহার ছিল খুবই জনপ্রিয়। সোফিয়া লরেন বা ডায়ানা রসের মতো তারকারা চোখের ওপরে ল্যাশ লাইনে মোটা করে কালো লাইনার টেনে দিতেন। এতে চোখে একধরনের নাটকীয়তা আসত। এই বোল্ড উইংগড লাইনার লুকটি আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।

ষাটের দশকে ক্যাট আই ছিল খুবই প্রচলিত। গায়িকা অ্যারেথা ফ্র্যাঙ্কলিন ক্যাট আই লুকের সঙ্গে চোখের ওপরের ও নিচের লাইনার কিছুটা স্মাজ করে একটা আবেদনময় লুক আনতেন। এই লুক রাতের সাজ হিসেবে খুবই মানানসই।
তখনকার মেকআপ কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল কাট ক্রিজ লাইনার। অভিনেত্রী শের ও ডায়হান ক্যারলের মতো তারকারা চোখের ভাঁজের ওপর দিয়ে একটি চিকন কালো রেখা টেনে দিতেন। এটি চোখে একটি গভীর ও নাটকীয় লুক দিত।

অভিনেত্রী ব্রিজিট বার্দোত বা রনি স্পেক্টারের লুকে এই কৌশল চোখে পড়ে। এই কৌশলে চোখের চারপাশে, বিশেষ করে নিচের ল্যাশ লাইনে ঘন কালো কাজল ব্যবহার করা হতো। সাধারণত দিনের বেলার সাজের চেয়ে রাতের সাজে এটি চোখকে আরও বোল্ড ও রহস্যময় করে তোলে। বর্তমানেও ড্রামাটিক লুক তৈরি করতে চাইলে কৌল-রিমড আইস লুকটি তৈরি করে দেখতে পারেন।
সে সময় চোখের সাজ যেহেতু খুবই জাঁকজমকপূর্ণ ও নাটকীয় হতো, তাই ভারসাম্য বজায় রাখতে ঠোঁটের সাজ হতো একেবারেই সাদামাটা। এই দশকে কখনোই ঠোঁট ও চোখকে একসঙ্গে হাইলাইট করা হতো না; বরং চোখের সাজকেই প্রাধান্য দিতে ঠোঁটে ন্যুড, সাদামাটা গোলাপি বা হালকা কমলার মতো মিউট শেডগুলো ব্যবহার করা হতো। অভিনেত্রী জেন বার্কিন সব সময় সফট পিংক লিপ কালার দিয়ে একটা ন্যাচারাল লুক তৈরি করতেন।
সে সময় চোখের সাজে উজ্জ্বল রংগুলোর মধ্যে কালো, ধূসর, সাদা বা নীল রঙের প্রাধান্য ছিল বেশি। এলিজাবেথ টেলর বা ডেনিয়েল লুনার মতো তারকারা চোখে উজ্জ্বল নীল রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতেন, যা সাজে একটা চমৎকার আভিজাত্য আনত।
ষাটের দশকের শুরুর দিকে মেকআপের বেস তৈরিতে পাউডার ব্যবহার করে ত্বক সম্পূর্ণ ম্যাট রাখা হতো। সময়ের সঙ্গে এই ধারা বদলে দশকের শেষের দিকে ত্বক প্রাণবন্ত ও সতেজ দেখাতে গ্লোয়ি বা উজ্জ্বল মেকআপের চল শুরু হয়। আজকের দিনেও ডালনেস কাটিয়ে ফ্রেশ লুক তৈরিতে গ্লোয়ি বেস বেশ জনপ্রিয়।
সে যুগে ভ্রুর আকারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতো। ন্যান্সি কোয়ান বা নিনা সিমনের মতো তারকারা হাই-আর্চড আইব্রোর ট্রেন্ড সেট করেন, যা চোখের নাটকীয়তা আরও বাড়িয়ে তুলত।
সে সময় বোল্ড লুক থেকে শুরু করে মিনিমালিস্টিক বা ক্যাজুয়াল লুক—সবখানেই মাসকারা ছিল সাজের অপরিহার্য অংশ। অড্রে হেপবার্ন তাঁর মিনিমালিস্টিক লুকে চোখের ওপরের পাতায় মোটা লাইনারের সঙ্গে ঘন করে মাসকারা এবং ঠোঁটে হালকা কোরাল শেড ব্যবহার করে ক্ল্যাসিক লুক তৈরি করতেন।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, ছবি সৌজন্য: যাদুর বাক্স

রুপালি পর্দায় ষাটের দশকের নায়িকাদের দেখলে এখনো মুগ্ধতা কাজ করে। অথচ সে সময়ে এখনকার মতো আধুনিক মেকআপ কিট তো ছিলই না, বরং মেকআপ নিখুঁত করতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হতো। তবু সে সময়কার মেকআপ লুক এখনকার মেকআপ থেকে অনেকটা আলাদা হওয়া সত্ত্বেও কেমন যেন এক মায়া ভ্রম সৃষ্টি করে। সে কারণেই কিনা, সেই সব লুক নানান সময় কোনো না কোনোভাবে ফিরে ফিরে এসেছে। একেবারে শতভাগ না হলেও আলাদাভাবে চোখের সাজ, ঠোঁটের সাজ, বেজ মেকআপ—সবই কোনো না কোনোভাবে ঘুরেফিরে ঠিকই জায়গা করে নিচ্ছে তরুণীদের মনে।
সেই সময়ের মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।
ষাটের দশকে মেকআপের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত চোখ। সে সময়ের জনপ্রিয় লুক ছিল মডেল টুইগির ‘ডল-আইড’। এই মেকআপে দুই থেকে তিন স্তরের মাসকারা ব্যবহার করে চোখের পাপড়িকে খুবই ঘন, লম্বা ও ড্রামাটিক করা হতো। সঙ্গে চোখের নিচের পাতার ওয়াটার লাইনে সাদা আই পেনসিল ব্যবহার করে চোখের আকৃতি পুতুলের চোখের মতো বড় দেখানো হতো।
এই দশকে চোখের সাজে আইলাইনারের ব্যবহার ছিল খুবই জনপ্রিয়। সোফিয়া লরেন বা ডায়ানা রসের মতো তারকারা চোখের ওপরে ল্যাশ লাইনে মোটা করে কালো লাইনার টেনে দিতেন। এতে চোখে একধরনের নাটকীয়তা আসত। এই বোল্ড উইংগড লাইনার লুকটি আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।

ষাটের দশকে ক্যাট আই ছিল খুবই প্রচলিত। গায়িকা অ্যারেথা ফ্র্যাঙ্কলিন ক্যাট আই লুকের সঙ্গে চোখের ওপরের ও নিচের লাইনার কিছুটা স্মাজ করে একটা আবেদনময় লুক আনতেন। এই লুক রাতের সাজ হিসেবে খুবই মানানসই।
তখনকার মেকআপ কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল কাট ক্রিজ লাইনার। অভিনেত্রী শের ও ডায়হান ক্যারলের মতো তারকারা চোখের ভাঁজের ওপর দিয়ে একটি চিকন কালো রেখা টেনে দিতেন। এটি চোখে একটি গভীর ও নাটকীয় লুক দিত।

অভিনেত্রী ব্রিজিট বার্দোত বা রনি স্পেক্টারের লুকে এই কৌশল চোখে পড়ে। এই কৌশলে চোখের চারপাশে, বিশেষ করে নিচের ল্যাশ লাইনে ঘন কালো কাজল ব্যবহার করা হতো। সাধারণত দিনের বেলার সাজের চেয়ে রাতের সাজে এটি চোখকে আরও বোল্ড ও রহস্যময় করে তোলে। বর্তমানেও ড্রামাটিক লুক তৈরি করতে চাইলে কৌল-রিমড আইস লুকটি তৈরি করে দেখতে পারেন।
সে সময় চোখের সাজ যেহেতু খুবই জাঁকজমকপূর্ণ ও নাটকীয় হতো, তাই ভারসাম্য বজায় রাখতে ঠোঁটের সাজ হতো একেবারেই সাদামাটা। এই দশকে কখনোই ঠোঁট ও চোখকে একসঙ্গে হাইলাইট করা হতো না; বরং চোখের সাজকেই প্রাধান্য দিতে ঠোঁটে ন্যুড, সাদামাটা গোলাপি বা হালকা কমলার মতো মিউট শেডগুলো ব্যবহার করা হতো। অভিনেত্রী জেন বার্কিন সব সময় সফট পিংক লিপ কালার দিয়ে একটা ন্যাচারাল লুক তৈরি করতেন।
সে সময় চোখের সাজে উজ্জ্বল রংগুলোর মধ্যে কালো, ধূসর, সাদা বা নীল রঙের প্রাধান্য ছিল বেশি। এলিজাবেথ টেলর বা ডেনিয়েল লুনার মতো তারকারা চোখে উজ্জ্বল নীল রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতেন, যা সাজে একটা চমৎকার আভিজাত্য আনত।
ষাটের দশকের শুরুর দিকে মেকআপের বেস তৈরিতে পাউডার ব্যবহার করে ত্বক সম্পূর্ণ ম্যাট রাখা হতো। সময়ের সঙ্গে এই ধারা বদলে দশকের শেষের দিকে ত্বক প্রাণবন্ত ও সতেজ দেখাতে গ্লোয়ি বা উজ্জ্বল মেকআপের চল শুরু হয়। আজকের দিনেও ডালনেস কাটিয়ে ফ্রেশ লুক তৈরিতে গ্লোয়ি বেস বেশ জনপ্রিয়।
সে যুগে ভ্রুর আকারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতো। ন্যান্সি কোয়ান বা নিনা সিমনের মতো তারকারা হাই-আর্চড আইব্রোর ট্রেন্ড সেট করেন, যা চোখের নাটকীয়তা আরও বাড়িয়ে তুলত।
সে সময় বোল্ড লুক থেকে শুরু করে মিনিমালিস্টিক বা ক্যাজুয়াল লুক—সবখানেই মাসকারা ছিল সাজের অপরিহার্য অংশ। অড্রে হেপবার্ন তাঁর মিনিমালিস্টিক লুকে চোখের ওপরের পাতায় মোটা লাইনারের সঙ্গে ঘন করে মাসকারা এবং ঠোঁটে হালকা কোরাল শেড ব্যবহার করে ক্ল্যাসিক লুক তৈরি করতেন।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, ছবি সৌজন্য: যাদুর বাক্স

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে...
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
৪৩ মিনিট আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগেমুহাম্মদ জাভেদ হাকিম

এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি। রুম থেকে ঝটপট বেরিয়ে পড়লাম আলীপুরের মাছের আড়তগুলোতে আসা নানান পদের মাছ দেখতে। রিকশা ভ্যানে দ্রুত পৌঁছেও গেলাম।
মাছের বাজার মানেই বিক্রির হাঁকডাক। ঘাটে নোঙর করা রয়েছে জেলেদের সারি সারি সাগরফেরত ট্রলার। তাতে চেনা-অচেনা বাহারি মাছ। এত মাছ দেখে কেনার ইচ্ছা জাগল। কিছু টাটকা চিংড়ি ও বেল ঘাগড়া মাছ কিনে ভ্যানচালকের বাসায় রান্নার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হলো। এবার হোটেলে ফিরে খানিকটা সময় বিশ্রাম। দুপুরে ভ্যানচালক ফিরে এলেন দেশীয় মোটা চালের ভাত, ডাল, ভর্তা ও মাছের তরকারি নিয়ে! পাকা রাঁধুনির রান্না বেশ আয়েশ করে খেয়েদেয়ে বের হয়ে পড়ি তাহেরপুরের পথে।
যেতে যেতে আমখোলা পাড়ায় ব্রেক। সড়কের পাশেই তালগাছের ছায়ায় ঘেরা স্বচ্ছ টলটলে পানির একটি পুকুর। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো কুয়াকাটার প্রথম খনন করা মিষ্টি পানির পুকুর এটি। এখান থেকে মগ জনগোষ্ঠী সুপেয় পানি সংগ্রহ করত। পুকুরের আশপাশের পরিবেশটাও বেশ চমৎকার। চাইলে এক বিকেল আমখোলা পাড়া পুকুরটির ধারে বসে কাটিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের যেতে হবে অনেক দূর।
রিকশা ভ্যান চলল। চলতে চলতে সাবমেরিন অফিস পার হওয়ার পরেই তাহেরপুরের সৌন্দর্য আমাদের গিলে ফেলল! পথের দুই ধারে সারি সারি প্রাচীন তালগাছ। কোনো কোনো সড়কের দুই পাশে বাবলাগাছ। এর সৌন্দর্য লিখে বোঝানো দায়। পা বাড়ালাম লেবুর বনের পথে। বেহাল বেড়িবাঁধ সড়ক হলেও যাওয়ার পরে নিমেষে পথের ক্লান্তি উবে যায়। প্রায় এক হাজার একর আয়তনের লেবুর বনে লেবুগাছের দেখা না মিললেও দেখা হলো প্রচুর কেওড়া, গেওয়া, গরান, কড়ই, গোলপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সঙ্গে। এগুলোর মধ্যে সৈকত লাগোয়া কিছু মৃত গাছের আকার দেখে আমাদের মনে হলো, যেন প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরে গিয়েছি! লেবুগাছের অস্তিত্ব না থাকলেও লেবুর বন এককথায় অসাধারণ।
ইতিমধ্যে পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে সূর্য। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। ভাটার ফলে শান্ত সাগরের দিগন্তবিস্তৃত বালিয়াড়িতে, মৃদু হাওয়ায় এবার ভ্যান চলে আন্ধারমানিকের দিকে। মাগরিবের ওয়াক্ত হলে সৈকতঘেঁষা মসজিদে নামাজ আদায় করে, সারি সারি দোকানের কোনো একটা থেকে তাজা সামুদ্রিক মাছ আর কাঁকড়া কিনে ফ্রাই করতে দিই। চোখের সামনে তেলে ভাজা মচমচে কাঁকড়া চলেও আসে আমাদের হাতে। খেতে সুস্বাদু।
চারদিকে অন্ধকার জেঁকে বসলে আমরা আলীপুরের দিকে ফিরি। রাতের খাবার খেয়ে রুমে ঢুকে ঘুমের প্রস্তুতি। উঠতে হবে ভোররাত চারটায়। টার্গেট কাউয়ার চরে সূর্যোদয় দেখা।
এখন পর্যন্ত সবকিছু চলছে ঠিকমতো। চারটায় উঠে প্রস্তুত। যেতে যেতে লক্ষ্মীর বাজার গ্রামের সুন্দর উঠানওয়ালা একটি মসজিদ। সেখানে নামাজ আদায় করেই ছুটতে শুরু করি। কিন্তু নাহ্! গঙ্গামতির চর পর্যন্ত পৌঁছাতেই পুব আকাশে একরাশ মেঘের আগমনে সূর্যোদয় দেখা ভেস্তে যায়। তাতে কি? একটি টার্গেট মিস হয়েছে মাত্র। বাকিগুলো তো পড়েই আছে। একটা ডাবের পানি শেষ করে আমরা উঠে পড়ি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে।

সেটা চলতে শুরু করল সৈকত ধরে। ডানে সাগর আর বাঁয়ে দীর্ঘ ঝাউবন। আমরা যাচ্ছি আর থামছি। মূলত অবারিত প্রকৃতি আমাদের থামতে বাধ্য করছে। প্রায় বিলুপ্ত সাগরলতার দেখা মিলল কাউয়ার চরে। চোখে পড়ল শব্দ পেলেই গর্তে লুকিয়ে পড়া লাল কাঁকড়াদের। পায়রা নদীর মোহনায় দেখা হলো খেয়া জালে মাছ শিকার। এই সকালে উত্তাল সাগরের রূপ শান্ত। এ রকমটা দেখতে দেখতে পৌঁছে যাই কাউয়ার চর সৈকতের শেষ সীমা পর্যন্ত। বাইক ছেড়ে ঢুকে যাই ঝাউবনের ভেতরে। প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ ঝাউবনের সৌন্দর্য কি ধরা যাবে এই লেখায়!
কাউয়ার চরের আরেক দর্শনীয় জিনিস বটতলীর হামিদ সি প্যালেস। সেখানে যাওয়ার আগে সাগর থেকে ধরে আনা তাজা ইলিশ দিয়ে খিচুড়ি খাওয়া হলো। এত কম দাম দেখে ঢাকাবাসীর জন্য দীর্ঘশ্বাস না ছেড়ে পারলাম না। ডুবোতেলে নিজ হাতে ইলিশ ভাজতে পেরে যারপরনাই খুশি হয়ে ভ্যানে উঠে বসি।

সৈকত লাগোয়া বেড়িবাঁধের দুই পাশে সারি সারি বাবলাগাছ। নির্জন রাস্তা ধরে মাত্র ১০ মিনিটে ভ্যান পৌঁছে গেল হামিদ প্যালেসের দোরগোড়ায়। ধীর পায়ে হেঁটে প্রবেশ করলাম ভেতরে। প্রবেশদ্বারের দুই পাশে আকাশমণি বৃক্ষ। ভেতরটাতে অন্যান্য গাছ। নান্দনিক ডিজাইনের দোতলা বাংলো। এর ছাদ থেকে ঝাউবনসহ পুরো প্যালেসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নজরে আসে। প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে অসংখ্য তালগাছ। প্যালেসটাকে তালবাগান বললেও ভুল হবে না। রয়েছে মাছের খামার। সঙ্গে দেশি গরুর বহর। অচেনা স্বর্ণ-৫ জাতের ধানের চাষাবাদ। বাতাসে ধানগাছের দোল। এ সবকিছু মিলিয়ে কাউয়ার চর ভ্রমণ সত্যি সার্থক।
যাবেন যেভাবে
ঢাকা-কুয়াকাটা সরাসরি বাস চলাচল করে। কুয়াকাটা থেকে মোটরবাইক অথবা অটো কিংবা ভ্যানগাড়িতে কাউয়ার চরে যাওয়া যায়। সকালে গিয়ে দুপুরেই ফিরে আসা সম্ভব।
থাকা-খাওয়া
কুয়াকাটায় অনেক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট রয়েছে। তাই থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই। কাউয়ার চরে থাকতে চাইলে নিজস্ব তাঁবুতে অথবা স্থানীয়দের সহযোগিতায় কিংবা মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে গঙ্গামতিতে থাকা যায়।

এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি। রুম থেকে ঝটপট বেরিয়ে পড়লাম আলীপুরের মাছের আড়তগুলোতে আসা নানান পদের মাছ দেখতে। রিকশা ভ্যানে দ্রুত পৌঁছেও গেলাম।
মাছের বাজার মানেই বিক্রির হাঁকডাক। ঘাটে নোঙর করা রয়েছে জেলেদের সারি সারি সাগরফেরত ট্রলার। তাতে চেনা-অচেনা বাহারি মাছ। এত মাছ দেখে কেনার ইচ্ছা জাগল। কিছু টাটকা চিংড়ি ও বেল ঘাগড়া মাছ কিনে ভ্যানচালকের বাসায় রান্নার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হলো। এবার হোটেলে ফিরে খানিকটা সময় বিশ্রাম। দুপুরে ভ্যানচালক ফিরে এলেন দেশীয় মোটা চালের ভাত, ডাল, ভর্তা ও মাছের তরকারি নিয়ে! পাকা রাঁধুনির রান্না বেশ আয়েশ করে খেয়েদেয়ে বের হয়ে পড়ি তাহেরপুরের পথে।
যেতে যেতে আমখোলা পাড়ায় ব্রেক। সড়কের পাশেই তালগাছের ছায়ায় ঘেরা স্বচ্ছ টলটলে পানির একটি পুকুর। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো কুয়াকাটার প্রথম খনন করা মিষ্টি পানির পুকুর এটি। এখান থেকে মগ জনগোষ্ঠী সুপেয় পানি সংগ্রহ করত। পুকুরের আশপাশের পরিবেশটাও বেশ চমৎকার। চাইলে এক বিকেল আমখোলা পাড়া পুকুরটির ধারে বসে কাটিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের যেতে হবে অনেক দূর।
রিকশা ভ্যান চলল। চলতে চলতে সাবমেরিন অফিস পার হওয়ার পরেই তাহেরপুরের সৌন্দর্য আমাদের গিলে ফেলল! পথের দুই ধারে সারি সারি প্রাচীন তালগাছ। কোনো কোনো সড়কের দুই পাশে বাবলাগাছ। এর সৌন্দর্য লিখে বোঝানো দায়। পা বাড়ালাম লেবুর বনের পথে। বেহাল বেড়িবাঁধ সড়ক হলেও যাওয়ার পরে নিমেষে পথের ক্লান্তি উবে যায়। প্রায় এক হাজার একর আয়তনের লেবুর বনে লেবুগাছের দেখা না মিললেও দেখা হলো প্রচুর কেওড়া, গেওয়া, গরান, কড়ই, গোলপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সঙ্গে। এগুলোর মধ্যে সৈকত লাগোয়া কিছু মৃত গাছের আকার দেখে আমাদের মনে হলো, যেন প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরে গিয়েছি! লেবুগাছের অস্তিত্ব না থাকলেও লেবুর বন এককথায় অসাধারণ।
ইতিমধ্যে পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে সূর্য। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। ভাটার ফলে শান্ত সাগরের দিগন্তবিস্তৃত বালিয়াড়িতে, মৃদু হাওয়ায় এবার ভ্যান চলে আন্ধারমানিকের দিকে। মাগরিবের ওয়াক্ত হলে সৈকতঘেঁষা মসজিদে নামাজ আদায় করে, সারি সারি দোকানের কোনো একটা থেকে তাজা সামুদ্রিক মাছ আর কাঁকড়া কিনে ফ্রাই করতে দিই। চোখের সামনে তেলে ভাজা মচমচে কাঁকড়া চলেও আসে আমাদের হাতে। খেতে সুস্বাদু।
চারদিকে অন্ধকার জেঁকে বসলে আমরা আলীপুরের দিকে ফিরি। রাতের খাবার খেয়ে রুমে ঢুকে ঘুমের প্রস্তুতি। উঠতে হবে ভোররাত চারটায়। টার্গেট কাউয়ার চরে সূর্যোদয় দেখা।
এখন পর্যন্ত সবকিছু চলছে ঠিকমতো। চারটায় উঠে প্রস্তুত। যেতে যেতে লক্ষ্মীর বাজার গ্রামের সুন্দর উঠানওয়ালা একটি মসজিদ। সেখানে নামাজ আদায় করেই ছুটতে শুরু করি। কিন্তু নাহ্! গঙ্গামতির চর পর্যন্ত পৌঁছাতেই পুব আকাশে একরাশ মেঘের আগমনে সূর্যোদয় দেখা ভেস্তে যায়। তাতে কি? একটি টার্গেট মিস হয়েছে মাত্র। বাকিগুলো তো পড়েই আছে। একটা ডাবের পানি শেষ করে আমরা উঠে পড়ি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে।

সেটা চলতে শুরু করল সৈকত ধরে। ডানে সাগর আর বাঁয়ে দীর্ঘ ঝাউবন। আমরা যাচ্ছি আর থামছি। মূলত অবারিত প্রকৃতি আমাদের থামতে বাধ্য করছে। প্রায় বিলুপ্ত সাগরলতার দেখা মিলল কাউয়ার চরে। চোখে পড়ল শব্দ পেলেই গর্তে লুকিয়ে পড়া লাল কাঁকড়াদের। পায়রা নদীর মোহনায় দেখা হলো খেয়া জালে মাছ শিকার। এই সকালে উত্তাল সাগরের রূপ শান্ত। এ রকমটা দেখতে দেখতে পৌঁছে যাই কাউয়ার চর সৈকতের শেষ সীমা পর্যন্ত। বাইক ছেড়ে ঢুকে যাই ঝাউবনের ভেতরে। প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ ঝাউবনের সৌন্দর্য কি ধরা যাবে এই লেখায়!
কাউয়ার চরের আরেক দর্শনীয় জিনিস বটতলীর হামিদ সি প্যালেস। সেখানে যাওয়ার আগে সাগর থেকে ধরে আনা তাজা ইলিশ দিয়ে খিচুড়ি খাওয়া হলো। এত কম দাম দেখে ঢাকাবাসীর জন্য দীর্ঘশ্বাস না ছেড়ে পারলাম না। ডুবোতেলে নিজ হাতে ইলিশ ভাজতে পেরে যারপরনাই খুশি হয়ে ভ্যানে উঠে বসি।

সৈকত লাগোয়া বেড়িবাঁধের দুই পাশে সারি সারি বাবলাগাছ। নির্জন রাস্তা ধরে মাত্র ১০ মিনিটে ভ্যান পৌঁছে গেল হামিদ প্যালেসের দোরগোড়ায়। ধীর পায়ে হেঁটে প্রবেশ করলাম ভেতরে। প্রবেশদ্বারের দুই পাশে আকাশমণি বৃক্ষ। ভেতরটাতে অন্যান্য গাছ। নান্দনিক ডিজাইনের দোতলা বাংলো। এর ছাদ থেকে ঝাউবনসহ পুরো প্যালেসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নজরে আসে। প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে অসংখ্য তালগাছ। প্যালেসটাকে তালবাগান বললেও ভুল হবে না। রয়েছে মাছের খামার। সঙ্গে দেশি গরুর বহর। অচেনা স্বর্ণ-৫ জাতের ধানের চাষাবাদ। বাতাসে ধানগাছের দোল। এ সবকিছু মিলিয়ে কাউয়ার চর ভ্রমণ সত্যি সার্থক।
যাবেন যেভাবে
ঢাকা-কুয়াকাটা সরাসরি বাস চলাচল করে। কুয়াকাটা থেকে মোটরবাইক অথবা অটো কিংবা ভ্যানগাড়িতে কাউয়ার চরে যাওয়া যায়। সকালে গিয়ে দুপুরেই ফিরে আসা সম্ভব।
থাকা-খাওয়া
কুয়াকাটায় অনেক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট রয়েছে। তাই থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই। কাউয়ার চরে থাকতে চাইলে নিজস্ব তাঁবুতে অথবা স্থানীয়দের সহযোগিতায় কিংবা মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে গঙ্গামতিতে থাকা যায়।

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে...
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
৪৩ মিনিট আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৭ ঘণ্টা আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
পাঁচ তারা স্বীকৃতি পাওয়া মানে হলো হোটেলটিতে আন্তর্জাতিক মানের কক্ষ, নিরাপত্তা, রেস্টুরেন্ট, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ, স্টাফ প্রশিক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করা। তাই যেকোনো ভ্রমণকারী নিশ্চিন্তে সেসব হোটেল বেছে নিতে পারেন।
ঢাকার অনুমোদিত পাঁচ তারা হোটেল
এই হোটেলগুলো মূলত গুলশান, বনানী, খিলক্ষেত ও তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত। ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী, কনফারেন্স, কনসার্ট এবং আন্তর্জাতিক ইভেন্টের জন্য এগুলো দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কক্সবাজারের পাঁচ তারা হোটেল
বিশ্বের দীর্ঘতম সাদা বালুর সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে পাঁচ তারা হোটেলের চাহিদা বেশি। এখানে বিলাসী পর্যটকদের জন্য পাঁচ তারা ৩টি হোটেল রয়েছে। সেগুলো হলো—
এই হোটেলগুলো মূলত সমুদ্রের কাছে। ইনফিনিটি পুল, বিচ অ্যাক্সেস, লাইভ রেস্টুরেন্ট ও স্পা সেবার জন্য জনপ্রিয়।

পাহাড়ি ও রিসোর্ট অঞ্চল
অনেকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য শান্ত পরিবেশ খোঁজেন। তাঁদের জন্য সিলেট বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে রয়েছে বেশ কয়েকটি পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্ট।

চট্টগ্রামে আছে পাঁচ তারা একটি হোটেল
চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কারণে এখানে উচ্চমানের হোটেলের চাহিদা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। তবে এই শহরে সরকারি তালিকা অনুযায়ী মাত্র একটি পাঁচ তারা হোটেল রয়েছে। নাম র্যাডিসন ব্লু বে ভিউ।
সাম্প্রতিক আপডেট অনুযায়ী নতুন যে হোটেলগুলো পাঁচ তারা তালিকায় যুক্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের দুটি হোটেল রয়েছে। এগুলো দেশের আঞ্চলিক হোটেলশিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এ দুটি হোটেল হলো—
যেহেতু অনেক হোটেল নিজেকে ‘পাঁচ তারা’ দাবি করে, তাই সরকারি স্বীকৃতি থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। মান যাচাই, নিরাপত্তা, স্টাফ কোয়ালিটি এবং সেবা মানের মতো বিষয়ে সরকারিভাবে অনুমোদিত হোটেলগুলোকে নির্ধারিত মান বজায় রাখতে হয়। এতে পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট সেবা নিশ্চিত থাকে।
সূত্র: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
পাঁচ তারা স্বীকৃতি পাওয়া মানে হলো হোটেলটিতে আন্তর্জাতিক মানের কক্ষ, নিরাপত্তা, রেস্টুরেন্ট, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ, স্টাফ প্রশিক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করা। তাই যেকোনো ভ্রমণকারী নিশ্চিন্তে সেসব হোটেল বেছে নিতে পারেন।
ঢাকার অনুমোদিত পাঁচ তারা হোটেল
এই হোটেলগুলো মূলত গুলশান, বনানী, খিলক্ষেত ও তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত। ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী, কনফারেন্স, কনসার্ট এবং আন্তর্জাতিক ইভেন্টের জন্য এগুলো দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কক্সবাজারের পাঁচ তারা হোটেল
বিশ্বের দীর্ঘতম সাদা বালুর সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে পাঁচ তারা হোটেলের চাহিদা বেশি। এখানে বিলাসী পর্যটকদের জন্য পাঁচ তারা ৩টি হোটেল রয়েছে। সেগুলো হলো—
এই হোটেলগুলো মূলত সমুদ্রের কাছে। ইনফিনিটি পুল, বিচ অ্যাক্সেস, লাইভ রেস্টুরেন্ট ও স্পা সেবার জন্য জনপ্রিয়।

পাহাড়ি ও রিসোর্ট অঞ্চল
অনেকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য শান্ত পরিবেশ খোঁজেন। তাঁদের জন্য সিলেট বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে রয়েছে বেশ কয়েকটি পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্ট।

চট্টগ্রামে আছে পাঁচ তারা একটি হোটেল
চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কারণে এখানে উচ্চমানের হোটেলের চাহিদা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। তবে এই শহরে সরকারি তালিকা অনুযায়ী মাত্র একটি পাঁচ তারা হোটেল রয়েছে। নাম র্যাডিসন ব্লু বে ভিউ।
সাম্প্রতিক আপডেট অনুযায়ী নতুন যে হোটেলগুলো পাঁচ তারা তালিকায় যুক্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের দুটি হোটেল রয়েছে। এগুলো দেশের আঞ্চলিক হোটেলশিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এ দুটি হোটেল হলো—
যেহেতু অনেক হোটেল নিজেকে ‘পাঁচ তারা’ দাবি করে, তাই সরকারি স্বীকৃতি থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। মান যাচাই, নিরাপত্তা, স্টাফ কোয়ালিটি এবং সেবা মানের মতো বিষয়ে সরকারিভাবে অনুমোদিত হোটেলগুলোকে নির্ধারিত মান বজায় রাখতে হয়। এতে পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট সেবা নিশ্চিত থাকে।
সূত্র: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন দেখা বিদেশিদের জন্য সুইডেন হতে পারে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। উদ্ভাবনী অর্থনীতি, সহজ কর্মক্ষেত্র, সংস্কৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত এই নরডিক দেশ এখন বিদেশি কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের (পারমানেন্ট রেসিডেন্সি বা পিআর) পথ আরও স্পষ্ট করে তুলেছে...
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
৪৩ মিনিট আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৭ ঘণ্টা আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে