Ajker Patrika

রোজায় নতুন মায়েরা ওজন কমাবেন যেভাবে

সানজিদা সামরিন, ঢাকা 
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৫, ১৬: ৪২
সি–সেকশন ডেলিভারি হলে সন্তান জন্মদানের ৬ মাস বা এক বছরের মধ্য়ে কঠিন শরীরচর্চা এবং কড়া ডায়েট করার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকে। ছবি: ফ্রিপিক
সি–সেকশন ডেলিভারি হলে সন্তান জন্মদানের ৬ মাস বা এক বছরের মধ্য়ে কঠিন শরীরচর্চা এবং কড়া ডায়েট করার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকে। ছবি: ফ্রিপিক

রোজার অন্যতম স্বাস্থ্যকর দিক হচ্ছে, বাড়তি ওজন বা মেদ কমে যাওয়া। যারা এর মধ্যে মা হয়েছেন ও রোজা রাখার অবস্থায় রয়েছেন, তাঁরা হয়তো ভাবছেন শরীর থেকে বাড়তি মেদ কমানোর এটাই সবচেয়ে ভালো সময়। গর্ভকাল ও প্রসব পরবর্তী সময়ে মায়ের শরীরে মেদ জমা হয়। শারীরবৃত্তীয় নানান পরিবর্তনের কারণে সহজে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসতে চায় না। সি–সেকশন ডেলিভারি হলে সন্তান জন্মদানের ৬ মাস বা এক বছরের মধ্য়ে কঠিন শরীরচর্চা করার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা থাকে। আবার এই সময়ে সন্তানকে স্তন্যপান করাতে হয় বলে কড়া ডায়েট মেনেও চলা যায় না। সে ক্ষেত্রে ইফতার ও সেহরিতে কী খাবেন এবং কীভাবে খাবেন তার যদি ছোট্ট একটা তালিকা করে ফেলা যায় তাহলে কিন্তু ওজন কমানোর কাজটাও সহজ হয়। আবার শরীরও পুষ্টিহীনতায় ভোগে না।

এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত ওজন ঝরাতে গেলে ইফতার ও সেহরিতে ক্যালরি মেপে খেতে হবে, এটাই আসল কথা। কিন্তু বেশির ভাগ বাড়িতেই ইফতারে ভাজাভুজি, যেমন, ছোলা, পেঁয়াজি, বেগুনি, আলুর চপ, পাকোড়া, কাবাব ইত্যাদি তৈরি হয়। সারা দিন রোজা রাখার পর এসব তৈলাক্ত, চর্বিযুক্ত ও ক্যালরিবহুল খাবার খেলে রক্তে ক্ষতিকর চর্বি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

আবার অনেকেই ইফতারে ভরপেট খেয়ে রাতের খাবার না খেয়ে একবারে সেহরি করেন সেটাও কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? পুষ্টিবিদদের মতে, ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া তো ক্ষতিকরই, পাশাপাশি রাতের খাবার না খাওয়াও ভালো অভ্যাস নয়। রাতে না খেয়ে থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে না। পাশাপাশি কর্টিসল হরমোন উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে যায়। যে কারণে বিপাকপ্রক্রিয়া ধীর গতিতে সম্পন্ন হতে থাকে। এ কারণে শরীরে মেদ জমতে থাকে। তাই ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে পরিমিত এবং রাতে খাবার খাওয়ার সময়টা এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে। অন্যদিকে সেহরিতে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম।

ইফতারে মুরগির মাংস সেদ্ধ, সবজি ও ডিম দিয়ে তৈরি প্রোটিন সালাদ খাওয়া যেতে পারে। ছবি: রন্ধনশিল্পী ফারজানা বাতেন
ইফতারে মুরগির মাংস সেদ্ধ, সবজি ও ডিম দিয়ে তৈরি প্রোটিন সালাদ খাওয়া যেতে পারে। ছবি: রন্ধনশিল্পী ফারজানা বাতেন

নতুন মায়েরা যেভাবে এগুলো মেনে চলবেন—

ইফতার

ইফতারের শুরুতে প্রথমে এক গ্লাস পানি পান করুন। এরপর পছন্দমতো স্মুদি বা শরবতে চুমুক দিতে পারেন। তবে স্মুদি বা শরবতে কোনো প্রকার চিনি ব্যবহার করা যাবে না। খেজুর বা সহজপাচ্য শর্করা, যেমন বাদাম, কলা ও অন্যান্য ফল মেশানো দই-চিড়া, পায়েস, ওটমিল, চিয়া পুডিং দিয়ে ইফতার করা যেতে পারে। এসব খাবার শরীরে শক্তি জোগায় ও স্তন্যদায়ী মায়ের দুধ উৎপাদনেও ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া অল্প ঝাল ও মসলা দিয়ে রান্না হালিম খাওয়া যেতে পারে। হালিম কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বির খুব ভালো উৎস। যাঁরা সালাদ খেতে ভালোবাসেন তাঁরা মুরগির মাংস সেদ্ধ, সবজি ও ডিম দিয়ে প্রোটিন সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন। অথবা চিকেন স্যুপও খেতে পারেন। এসব খাবার শরীরে বাড়তি মেদ জমা হতে দেয় না। সেই সঙ্গে পূরণ করে প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি। মেদ ঝরাতে স্বাস্থ্যকর খাবার তালিকা যেমন মেনে চলতে হবে, তেমনি পর্যাপ্ত পানিও পান করতে হবে। তবে ইফতারে ভরপেট খাওয়া যাবে না।

ইফতারে মাংসের কোনো আইটেম খেলে রাতের খাবারে মাংস এড়িয়ে চলুন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইফতারে মাংসের কোনো আইটেম খেলে রাতের খাবারে মাংস এড়িয়ে চলুন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাতের খাবার

রোজার সময় রাতের খাবার একেবারে এড়িয়ে যাওয়ার পরিবর্তে খুব হালকা খাবার খাওয়া যেতে পারে। তবে তা অবশ্যই ঘুমোনোর অন্তত ২ ঘণ্টা আগে খেতে হবে। নয়তো হজমের সমস্যা হতে পারে। ইফতারে মাংসের কোনো আইটেম খেলে রাতের খাবারে মাংস এড়িয়ে চলুন। সবজি, ভাত, ডাল হতে পারে আদর্শ খাবার। তবে খাওয়ার আগে কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। লেবুর রসে রয়েছে পলিফেনল নামক একটি উপাদান। এটি অতিরিক্ত মেদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তবে ইফতারে বিরিয়ানি, তেহারি ও কাবাবের মতো ভারী খাবার যদি কখনো খাওয়া হয়ে যায়, তাহলে কিছুক্ষণ পর লেবুর রস মেশানো পানি পান করা যেতে পারে।

রক্তে বাড়তি শর্করার কারণে অনেক সময় নতুন মায়েদের ওজন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ঘন ঘন ক্ষুধাও পায়। এই উপসর্গ কমাতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাতে শোয়ার আগে দারুচিনি ভেজানো এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করা যেতে পারে।

খাবারে নিয়মকানুন মেনে চলার পাশাপাশি নতুন মায়েদের রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। ছবি: ফ্রিপিক
খাবারে নিয়মকানুন মেনে চলার পাশাপাশি নতুন মায়েদের রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। ছবি: ফ্রিপিক

সেহরি

সেহরির সময় ঘুম থেকে উঠে প্রথমে এক গ্লাস মেথি ভেজানো পানি পান করুন। প্রসব পরবর্তী সময়ে হরমোনের সমতা রক্ষা করতে এবং বিপাক হার বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে বিশেষ এই পানীয়টি। ফলে, তা ওজন ঝরাতেও সাহায্য করে। এ ছাড়া মেথি ভেজানো পানি পান করলে মায়ের বুকে দুধ উৎপাদনও বেড়ে যায়। এই পানি পানের ২০ মিনিট পর সেহরি করুন। সেহরিতে থাকতে পারে ভাত বা রুটি, মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, সবজি, দুধ বা টক দই ও কলা।

তবে খাবারে নিয়মকানুন মেনে চলার পাশাপাশি নতুন মায়েদের রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বিপাক ক্রিয়া বিঘ্নিত হয়। ফলে ওজন কমার পরিবর্তে উল্টো বেড়ে যেতে পারে।

সূত্র: ফার্স্ট রেসপন্স হেল্থকেয়ার, হেলথ লাইন, হেলথশটস ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২০২৬ সালে লিপস্টিকের যে ৫টি ট্রেন্ড জনপ্রিয় হবে

ফারিয়া রহমান খান 
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১৩
২০২৬ সালে লিপস্টিকের যে ৫টি ট্রেন্ড জনপ্রিয় হবে

মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন। আগামী বছর লিপস্টিকের ট্রেন্ডে থাকবে কিছু বৈচিত্র্য; একদিকে থাকবে স্নিগ্ধ গোলাপি আভা, অন্যদিকে ব্ল্যাক ও চেরি রেডের মতো শেডগুলো।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রিমিয়াম বিউটি ও মেকআপ স্টুডিও ব্র্যান্ড কেলি ঝাং মেকআপের নতুন পাঁচটি ট্রেন্ডের কথা জানিয়েছে।

lipstick-2

স্মোকি রোজ

কয়েক বছর ধরে ন্যুড শেডের জনপ্রিয়তা থাকলেও ২০২৬ সালে ঠোঁটে ফিরে আসবে ক্ল্যাসিক গোলাপি আভা। তবে এবারের গোলাপি কোনো চড়া বা উগ্র শেড নয়, বরং এটি হবে অত্যন্ত স্নিগ্ধ, কোমল ও অনুজ্জ্বল একধরনের ‘স্মোকি রোজ’ শেড। এই শেড চেহারায় তাৎক্ষণিক একটি সতেজ ভাব ফুটিয়ে তোলে এবং একদম ভারী মনে হয় না। যাঁরা একেবারে ন্যাচারাল বা ‘ক্লিন মেকআপ লুক’ পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এটি হবে সেরা পছন্দ। সাধারণ ন্যুড শেডগুলো চেহারায় একটি ফ্যাকাশে ভাব আনে। কিন্তু স্মোকি রোজ সাধারণ ন্যুডের চেয়ে একটু বেশি উজ্জ্বল হওয়ায় চেহারায় আনে স্নিগ্ধ ভাব। নিত্যদিনের আউটিংয়ের জন্য নিজেকে মার্জিত এবং সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে আগামী বছর এই ট্রেন্ড থাকবে তালিকার শীর্ষে।

গথিক ব্ল্যাক
গথিক ব্ল্যাক

গথিক ব্ল্যাক

যাঁরা একটু সাহসী লুক পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য সামনের বছর ফিরতে চলেছে ব্ল্যাক লিপস্টিক। সাধারণত ফ্যাশন শো বা এডিটরিয়ালে এর ব্যবহার বেশি দেখা গেলেও ২০২৬ সালে এটি মূলধারার ফ্যাশনে জায়গা করে নেবে। ক্লিন মেকআপ লুকের বদলে যাঁরা একটু বোল্ড বা ড্রামাটিক লুক চাচ্ছেন, তাঁদের জন্য সেরা হবে এই পিগমেন্টেড ব্ল্যাক লিপস্টিক।

ক্লাউড লিপস
ক্লাউড লিপস

ক্লাউড লিপস

এটি হতে চলেছে ২০২৬ সালের অন্যতম সেরা ট্রেন্ড। বিশ্বখ্যাত কালার ইনস্টিটিউট প্যানটোন ২০২৬ সালের জন্য যে ‘ক্লাউড ড্যান্সার’ রং বেছে নিয়েছে, সামনের বছর লিপস্টিকের শেডেও এর প্রতিফলন দেখা যাবে। এই ট্রেন্ডে ঠোঁটের বর্ডার কিংবা রেখা খুব একটা স্পষ্ট থাকে না, বরং হালকাভাবে ব্লার করে দেওয়া হয়। এটি দেখতে অনেকটা ফ্রেঞ্চ বা কোরিয়ান মেকআপের মতো মনে হয়, যা খুবই স্নিগ্ধ দেখায়। প্রতিদিনের হালকা সাজের জন্য এই ক্লাউড লিপস হবে দারুণ মানানসই।

ভিনাইল লিপস
ভিনাইল লিপস

ভিনাইল লিপস

যাঁরা ম্যাট নাকি গ্লসি লিপস নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন, তাঁদের জন্য সুখবর হিসেবে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে হাই-শাইন বা ভিনাইল লিপস। ভিনাইল ফিনিশ মূলত ঠোঁটে আয়নার মতো একধরনের চকচকে আভা তৈরি করে, যা ঠোঁটকে আরও ভরাট, মসৃণ ও সজীব করে তোলে। লিপ গ্লস, লিপ অয়েল বা স্টেইন ব্যবহার করে খুব সহজে এই লুক তৈরি করা সম্ভব। ম্যাট লিপস্টিকই বেশি পছন্দ হলে লিপস্টিকের ওপর ঠোঁটের মাঝ বরাবর কিছুটা ট্রান্সপারেন্ট গ্লস বা লিপ অয়েল লাগিয়ে নিলে মুহূর্তেই তৈরি হয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত ভিনাইল লুক। ২০২৬ সালে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে এই লুকই হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।

চেরি রেড
চেরি রেড

চেরি রেড

লাল রঙের আবেদন কখনো পুরোনো হওয়ার নয়। ২০২৬ সালে ফিরে আসতে চলেছে চেরি রেড বা গাঢ় লাল লিপস্টিক। উজ্জ্বল ত্বকের সঙ্গে একটি গাঢ় লাল লিপস্টিক মুহূর্তে আপনাকে দিতে পারে আত্মবিশ্বাসী ও অভিজাত লুক। তবে এই বোল্ড লুক নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে দরকার একটু প্রস্তুতি। সুন্দর একটা ফিনিশ পেতে লিপস্টিক ব্যবহারের আগে ঠোঁট ভালো করে এক্সফোলিয়েট করে সামান্য লিপ বাম লাগিয়ে লিপস্টিক দিলে তা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় এবং ঠোঁট দেখায় বেশ মসৃণ ও আকর্ষণীয়।

সূত্র: গ্ল্যামার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সব চর্বি কি সবার জন্য সমান ক্ষতিকর

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি। এই পুরোনো ধারণা ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছে। ছবি: পেক্সেলস
ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি। এই পুরোনো ধারণা ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছে। ছবি: পেক্সেলস

দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে?

৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। নতুন এই গবেষণার চমকপ্রদ দিক হলো, ‘একই দাওয়াই সবার জন্য’ এই পুরোনো ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানানো।

গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি আগে থেকে কম বা মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে, তাঁদের মৃত্যুঝুঁকি কমার ক্ষেত্রে পরবর্তী পাঁচ বছরে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি কমানো তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি। তবে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য চিত্রটি ভিন্ন। তাঁদের ক্ষেত্রে চর্বি কমানো বা পরিবর্তন করা মৃত্যুঝুঁকি এবং হার্ট অ্যাটাকের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। মূলত স্যাচুরেটেড ফ্যাট লিভারের ব্যাড কোলেস্টেরল বা এলডিএল পরিষ্কার করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে রক্তনালিতে চর্বি জমে প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। তবে পাঁচ বছরের স্বল্প মেয়াদে সুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই কোলেস্টেরল কমানো হৃদ্‌রোগ প্রতিরোধে সরাসরি ভূমিকা রাখছে না বলেই গবেষণায় উঠে এসেছে।

পরিবর্তন যখন খাদ্যের স্বাদে

আপনি কী খাচ্ছেন না, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি তার বদলে কী খাচ্ছেন। ছবি: পেক্সেলস
আপনি কী খাচ্ছেন না, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি তার বদলে কী খাচ্ছেন। ছবি: পেক্সেলস

গবেষকেরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। তা হলো, আপনি কী খাচ্ছেন না, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি তার বদলে কী খাচ্ছেন। কেবল চর্বি কমানোর চেয়ে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের বদলে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট; যেমন বাদাম, স্যামন বা ম্যাকারেল মাছের তেল গ্রহণ করা অনেক বেশি কার্যকর। এ ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছোট পরীক্ষা বেশ কার্যকর। সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের এক দলকে দেওয়া হয়েছিল প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত কেক ও বিস্কুট, আর অন্য দলকে দেওয়া হয়েছিল সমপরিমাণ ক্যালরির স্বাস্থ্যকর ফ্যাট (বাদাম ও মাছ)। এই গবেষণার ফল ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম দলের রক্তে ব্যাড কোলেস্টেরল ১০ শতাংশ এবং লিভারে চর্বির পরিমাণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল, যা ডায়াবেটিস ও হৃদ্‌রোগের বড় কারণ। বিপরীতে, যাঁরা স্বাস্থ্যকর চর্বি খেয়েছিলেন, তাঁদের কোলেস্টেরল শুধু কমেইনি, বরং হৃদ্‌যন্ত্রের কর্মক্ষমতাও বেড়েছিল।

বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নীতা ফরুহি এই গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, পাঁচ বছর সময়কাল হৃদ্‌রোগের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বোঝার জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ, হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি মডেলগুলো সাধারণত ১০ বছরের হিসাব ধরে তৈরি করা হয়। এ ছাড়া তিনি আরও একটি দিক তুলে ধরেছেন, সব স্যাচুরেটেড ফ্যাট এক নয়। লাল মাংসের ফ্যাট এবং গাঁজানো দুগ্ধজাত পণ্য; যেমন দই বা পনির আমাদের শরীরে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে কাজ করতে পারে। তাই কেবল নিউট্রিশন বা উপাদানের দিকে নয়; বরং সেই উপাদানের উৎসের দিকে নজর দিতে হবে। কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক টম স্যান্ডার্স আবার বলছেন, গত ৫০ বছরে কোলেস্টেরল এবং হৃদ্‌রোগে মৃত্যুহার কমার পেছনে এই প্রচলিত খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শগুলোর বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই গড়পড়তা কোলেস্টেরল লেভেল কমিয়ে রাখা পুরো জনসংখ্যার জন্যই দীর্ঘ মেয়াদে মঙ্গলজনক।

ভারসাম্যই যেখানে চাবিকাঠি

গবেষণা আর পাল্টা গবেষণার এই ভিড়ে সাধারণ মানুষের জন্য বার্তাটি বেশ স্পষ্ট। চর্বি আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। কারণ, এটি ভিটামিন শোষণে সাহায্য করে। এনএইচএসের পরামর্শ অনুযায়ী, পুরুষদের দৈনিক ৩০ গ্রাম এবং নারীদের ২০ গ্রামের বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু জীবন বাঁচাতে শুধু ফ্যাট কমানোই যথেষ্ট নয়। প্রক্রিয়াজাত মাংস বা কেক-বিস্কুটের বদলে প্লেটে রাখতে হবে তৈলাক্ত মাছ, বাদাম ও উদ্ভিজ্জ তেল। স্যাচুরেটেড ফ্যাট হয়তো অনেকের জন্য তাৎক্ষণিক ঘাতক নয়, কিন্তু সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্যের গুণগত মান এবং উৎসের দিকে নজর দেওয়াই বরং বুদ্ধিমানের কাজ।

সূত্র: ডেইলি মেইল

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর ঋণ—দুটাই সমান বিপজ্জনক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আজকের রাশিফল: তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর ঋণ—দুটাই সমান বিপজ্জনক

মেষ

আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান। বন্ধুদের সঙ্গে সময় ভালো কাটবে, তবে তাদের পকেট মারার চেষ্টা করবেন না!

বৃষ

আজ খুব ব্যস্ত থাকবেন। এত দৌড়ঝাঁপ করবেন যে লোকে ভাববে আপনি বোধহয় অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সাবধান, আজ পায়ে চোট পাওয়ার প্রবল যোগ। রাস্তাঘাটে মোবাইলে মুখ গুঁজে না হেঁটে একটু সামনের দিকে তাকান। আর্থিক বিনিয়োগের জন্য দিনটি ভালো, তবে টাকাটা লটারিতে না লাগিয়ে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে লাগালে ভবিষ্যতে বাড়ির লোক আপনাকে অন্তত একটু সম্মান দেবে।

মিথুন

অফিসে আজ বসের প্রচুর কথা শুনতে হতে পারে। মনে রাখবেন, বসের কথাগুলো অনেকটা রেডিওর বিজ্ঞাপনের মতো—শুনতে খারাপ লাগলেও বন্ধ করার উপায় নেই। বাড়িতে গেস্ট আসার সম্ভাবনা আছে, যা আপনার শান্তিতে বিঘ্ন ঘটাবে। জরুরি কাগজে সই করার আগে অন্তত তিনবার পড়ে নিন, নয়তো পরে দেখবেন নিজের সম্পত্তি অজান্তেই কাউকে দান করে দিয়েছেন। আর্থিক দিকটা মোটামুটি উজ্জ্বল।

কর্কট

সকাল থেকে ব্যবসায় ভালো গতি আসবে। কাস্টমারকে কথা বলার সুযোগ দেবেন না, একাই বকে যান। তবে খরচ করার সময় একটু রাশ টানুন, জমানো টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার ভয় আছে। ভাই-বোনদের ওপর আজ দাদাগিরি ফলাতে পারবেন, তারা আপনার কথা শুনবে (হয়তো ভয়ে)। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, কিন্তু তাই বলে আজই হিমালয়ে ট্রেকিং করতে বেরিয়ে যাবেন না!

সিংহ

স্ত্রীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার যোগ আছে। মনে রাখবেন, স্ত্রীর হাসি মানেই আপনার পকেটের ফাঁসি! পাশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে। যদি কেউ আপনার নামে ষড়যন্ত্র করে, তবে জানবেন জনপ্রিয় হচ্ছেন। আজ নতুন কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে পারে, তবে সেই বন্ধুর থেকে টাকা ধার নেওয়ার কথা এখনই ভাববেন না।

কন্যা

আপনার অসাধারণ বুদ্ধির জোরে আজ ব্যবসায় মুনাফা বাড়বে। ঋণ থেকে মুক্তির সুযোগ আসতে পারে, কিন্তু তার জন্য লটারি জেতার অপেক্ষা করলে চলবে না। আজ কাউকে ‘না’ বলতে শিখুন, নয়তো লোকে আপনাকে দিয়ে অফিসের সব ছোট কাজ করিয়ে নেবে। ভ্রমণে বেরোলে পেটের দিকে খেয়াল রাখুন, রাস্তার ফুচকা আপনার বড় শত্রু হতে পারে।

তুলা

প্রেমে অতিরিক্ত আশা করা আজ ঠিক হবে না। হয়তো চাঁদ-তারা এনে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, আর সঙ্গী হয়তো ভাবছে পরের মাসে ইলেকট্রিক বিল কে দেবে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে। তাড়াহুড়ো এড়িয়ে চলুন, শান্তিতে এক কাপ চা খান। মনে রাখবেন, প্রেম না টিকলে কাচ্চি বিরিয়ানি তো আছেই!

বৃশ্চিক

সকালের দিকে কোনো বন্ধুর দ্বারা একটু বিরক্ত হতে পারেন। হয়তো সে আপনার কাছে পুরোনো ধার চাইতে এসেছে। শরীরের কোথাও ব্যথা আজ আপনার কাজে বাগড়া দিতে পারে। হাঁটাহাঁটি করার সময় একটু সচেতন থাকুন। প্রিয়জনের প্রতি আস্থা বজায় রাখুন, অকারণে গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে কপালে দুঃখ আছে।

ধনু

আজ সকাল থেকেই মন খাওয়ার দিকে থাকবে। ডায়েট চার্টটা আজ ড্রয়ারে ভরে রাখুন। সমাজে দান-ধ্যান করার জন্য খ্যাতি বাড়তে পারে, তবে নিজের পকেট খালি করে দান করবেন না। অতিথিদের সংখ্যা বাড়তে পারে, তাই ফ্রিজে অন্তত কয়েকটা মিষ্টি মজুত রাখুন। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ থাকবে।

মকর

অংশীদারি ব্যবসায় নিজের অধিকার বজায় রাখার চেষ্টা করুন, নয়তো পার্টনার আপনাকে দিয়ে চা বানিয়ে নেবে। শিল্পীদের জন্য আজ দারুণ সুযোগ আসতে পারে। গাড়ি কেনার পরিকল্পনা থাকলে আজ আলোচনা এগোতে পারেন। গুরুজনদের শরীর নিয়ে একটু দুশ্চিন্তা হতে পারে, তাই অযথা তর্ক করে তাঁদের ব্লাড প্রেশার বাড়াবেন না।

কুম্ভ

আজকের দিনটি আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বিবাদে জড়ানোর সম্ভাবনা আছে, তাই পাড়ার মোড়ে অযথা তর্ক করবেন না। ব্যবসায় একটু ক্ষতির আশঙ্কা আছে, তাই বড় ইনভেস্টমেন্ট আজ এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন, অন্তত প্রতিদিন সকালে দাঁত মাজাটা শুরু করতে পারেন!

মীন

আজ কর্মক্ষেত্রে পরিস্থিতি আপনার অনুকূল থাকবে। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে বসের চেয়ারে বসে পড়বেন না। পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই বড় সিদ্ধান্ত নিন। মূল্যবান জিনিসপত্রের প্রতি যত্নশীল হোন, নয়তো দেখবেন মোবাইলটা ভুলে বাসেই ফেলে এসেছেন। দিনটি সামগ্রিকভাবে শুভ, শুধু বিকেলের পর একটু শান্ত থাকুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উৎসবে ঘরের আবহ বদলে দেবে আলোর ব্যবহার

তুষ্টি মনোয়ার
ছবি: রিনিশ ডিআইওয়াই নেস্ট
ছবি: রিনিশ ডিআইওয়াই নেস্ট

সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে। সঙ্গে আপনার ঘর করে তুলবে প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শক্তিতে ভরপুর। এটি যেমন আভিজাত্যপূর্ণ, তেমনি মন ভালো রাখতেও যথেষ্ট কার্যকর। এখন খুব সহজে একটি সুইচ টিপে নিজের ঘর ছবির মতো অনন্য করে তোলা যায়। ঘর স্মার্টভাবে সাজাতে কোন জায়গায় কী রকম আলো ব্যবহার করতে হবে, তা জেনে নিন এখানে।

আলোর ধরন ও ব্যবহার

ঘর সাজাতে সাধারণত কয়েক ধরনের আলো ব্যবহার করা হয়—

  • প্রাকৃতিক আলো: জানালার মাধ্যমে আসা আলো ঘরে আরামদায়ক একটা ভাব দেয়। এটি আমাদের শরীরে সেরোটোনিন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে মন ভালো থাকে।
  • অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট: এটি পুরো ঘর সমানভাবে আলোকিত করে। সাধারণত বসার ঘরে এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি।
  • টাস্ক লাইট: পড়াশোনা, রান্না বা ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে যে জোরালো আলো ব্যবহার করা হয়, সেটিই হলো টাস্ক লাইট।
  • অ্যাকসেন্ট লাইট: ঘরের কোনো নির্দিষ্ট কোনা, ছবি বা গাছ ফুটিয়ে তুলতে এই আলো ব্যবহার করা হয়।
  • মুড লাইটিং: ক্লান্তিকর দিনের শেষে একটু প্রশান্তি পেতে ওয়ার্ম এলইডি স্ট্রিপ বা ফেইরি লাইটের মৃদু আলো খুব ভালো কাজ করে।

উৎসবে বিভিন্ন ঘরে আলোর ব্যবহার

শোয়ার ঘর

শোয়ার ঘর যেহেতু বিশ্রামের জায়গা, তাই সেখানে আলো হওয়া উচিত নরম। তবে বাড়িতে দাওয়াত বা উৎসবের দিনগুলোয় অতিথি সমাগম হলে শোয়ার ঘরেও আড্ডা জমে ওঠে। উৎসবকে কেন্দ্র করে শোয়ার ঘর আলোয় সাজাতে পারেন। দেয়ালের ল্যাম্প অথবা সিলিং থেকে ঝোলানো পেন্ডেন্ট লাইটে ঘরে আভিজাত্য এনে দেয়। এই ঘরের আলোকসজ্জায় ফ্ল্যাশ-মাউন্ট-ফিক্সচার বেছে নিতে পারেন।

2

বসার ঘর

এটি সবাই মিলে বসে টিভি দেখা বা আড্ডা দেওয়ার জায়গা। এই ঘরে টিভির পেছনে ‘বায়াস লাইটিং’ ব্যবহার করলে চোখের ওপর চাপ কম পড়বে। এখানে আড্ডার আবহ ঠিক রাখতে সাধারণ আলোর পাশাপাশি মৃদু আলোর ব্যবস্থাও রাখা উচিত।

545576442_1118617443699907_7184441671146611119_n---Copy

ডাইনিং

খাবার টেবিলের ঠিক ওপরে একটি ঝাড়বাতি বা মাল্টি-লাইট পেন্ডেন্ট বসালে তা সব দিকে সমানভাবে আলো ছড়াবে। খাবারের পরিবেশ উৎসবমুখর রাখতে আলোর তীব্রতা কমানো-বাড়ানোর জন্য ‘ডিমার সুইচ’ ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

4

পড়ার ঘর

পড়ার টেবিলে অবশ্যই অ্যাডজাস্টেবল ল্যাম্প রাখতে হবে। এখানে আলো এমনভাবে সেট করতে হবে, যাতে বইয়ের ওপর সরাসরি আলো পড়ে এবং চোখের ওপর চাপ তৈরি না করে।

সিঁড়ি ও আউটডোর

নিরাপত্তার জন্য সিঁড়িতে স্ট্রিপ লাইট বা ওয়াল মাউন্টেড স্পটলাইট ব্যবহার করতে পারেন। আর উৎসবে বাড়ির প্রবেশপথ বা বাগানে হাঙ্গিং লাইট লাগালে তা বাড়ির সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।

সূত্র: হোমলেন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত